নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

হিমু হবার ইচ্ছে আমার নেই, ইমু হয়েই না হয় থাকলাম।হরহামেসা খরচ হওয়া বড় নোটটগুলি না হয় হতে পারলাম না, হৃদয় নামক মাটির ব্যাংকে না হয় জমা হলাম কিছু খুচরো পয়সা হয়ে।

ন্যানো ব্লগার ইমু

ঘর পোড়া গরু হয়েও সিঁদুরে মেঘকেই ভালবাসি।।

ন্যানো ব্লগার ইমু › বিস্তারিত পোস্টঃ

"অনূভূতি ও বাংলা ভাষার অবস্থান"

২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১২:৪৫

বাংরেজিঃ "Asola amr jad r rag basi kau kicu bolla vulta parina.aber valo vaba
bolla buji"

বাংলাঃ "আসলে আমার জেদ আর রাগ বেশি। কেউ কিছু বললে ভুলতে পারি না। আবার ভালোভাবে বললে বুঝি।"

অনভূতিকে যথাপযুক্তভাবে প্রকাশ করার জন্য সবসময় বাংলাটাকেই কেন যেন সর্বোত্তম মাধ্যম মনে হয়। সেটা ভালোবাসার জন্য হোক, রোমান্সের জন্য হোক, রাগ দেখানোর জন্য হোক, গালি দেবার জন্য হোক, কিংবা ভদ্রতা অথবা বেয়াদবি করার জন্যই হোক না কেন সবসময় বাংলাটাকেই বেছে নিয়েই মনে হয়েছে এটাই সর্বশ্রেষ্ঠ মাধ্যম। নিজের স্বতন্ত্রতা উপস্থাপনের জন্য বাংলার উপর মার্জিত কোন মাধ্যম আছে কিনা আমার সন্দেহ।

যেমনঃ আমরা বাংলা দ্বিরুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে নানাভাবে অনুভূতিগুলো প্রকাশ করতে পারি, যেটা অন্য সকল ভাষায় যায় না। "আমার জ্বর জ্বর লাগছে।" বাক্যটি বাংলায় যেভাবে প্রকাশ করা গেল, ইংরেজী সেভাবে কখনোই অনুভূতিটাকে প্রকাশ করা যাবে না। ইংরেজীতে হয়তো তা কখনোই হবে না। বাংলার অনুরুপ "I feel fever fever" দ্বারা তা বুঝাবে না।

আবার ধরা যাক, আমরা সম্মোধন জানাতে বিভিন্ন মাধ্যম ব্যবহার করে থাকি। আপনি, তুমি, তুই। অনেক ভাষাতেই শ্রদ্ধার সেই জায়গাটুকু নেই। ইংরেজীতে সবাইকেই "you" দ্বারা সম্মোধন করা হয়ে থাকে। শুনেছি আরবিতে যা বলে সম্মোধন করা হয় তাতে সবাইকেই "তুই" দ্বারা সম্মোধন করা হয়ে থাকে।

ইংরেজী লেখার পাশাপাশি যখন কম্পিউটার এবং ফোনে বাংলা লেখার প্রচলন চলে আসলো তখন থেকেই কেন যেন আর ইংরেজীকে ধিরে বাদ দিতে শুরু করেছিলাম। আমার কাছে ইংরেজীতে মনের ভাবগুলোকে প্রকাশের যথাযথ মাধ্যম কখনো মনে হয়নি। খুব প্রয়োজনবোধ ছাড়া কিংবা উপায়হীন হওয়া ছাড়া ইংরেজীতে লিখেছি বলে খুব কম সময়-ই হয়ে থাকে।

অনেকেই যখন ইংরেজীতে কিছু একটা লেখাকে নিজের ক্রেডিট মনে করেন, কিংবা ইংরেজীটাকেই উত্তম মাধ্যম ভেবে থাকেন তাদের জন্য কেন যেন নিজেকে অনুতপ্ত লাগে। অনেকেই ইংরেজী স্ট্যাটাস, কমেন্ট করে নিজের জ্ঞান গরিমার পরিধির বিশালতা প্রমান করতে চান। যা হোক সেটা তাদের ব্যক্তিগত ব্যাপার। তা নিয়ে আলোচনা কিংবা সমালোচনার অধিকার আমার নেই। যা সমালোচনা করে ফেললাম তা হয়তো অনেকটাই আবেগের বশবর্তী হয়ে আর উদাহরন ব্যাবহার করতে গিয়ে। জানি না কেন যে ইংরেজী কিংবা অন্য সকল ভাষা বলতে বা বুঝতে পারি না। যা দুই একটা জানি তাও কেন যেন প্রয়োগ করতে মুখে বেধে যায়। খুব রেগে গিয়ে গালি দিতে গিয়েও তাই হয়তো shut the **** off বলতে পারি না। shit, bullshit কিংবা hollycow বলার পরিবর্তে তাই হয়তো মনে হয় আমার ধ্যাততারি, ধুর, ধুর *** এই জাতীয় শব্দগুলিই যথাপযুক্ত। যা হোক পরিশেষে ভাষা দিবসে ভাষা নিয়ে অনেক অনুভূতি প্রকাশ করে ফেললাম। যদিও ভাষার মতো বিস্তৃত বিষয়ে জ্ঞান-গরিমা শূন্যের চারপাশেই ঘোরাফেরা করছে। যা বললাম তা সবটুকুই অনূভূতির যায়গা থেকে। বাংলা ভাষা চিরন্ঞ্জীবী হোক।।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ২:১৫

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: ভালো বলেছেন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.