নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আকাশে আকাশে যাবে জ্বলে, নক্ষত্র অনেক রাত আরও

এনামুল রেজা

আমাকে খোঁজনা তুমি বহুদিন, কতোদিন আমিও তোমাকে..

এনামুল রেজা › বিস্তারিত পোস্টঃ

একান্তই বোদলেয়ার

২১ শে মার্চ, ২০১৪ বিকাল ৫:১৫

শার্ল বোদলেয়ার। আধুনিক কবিতার অঘোষিত জনক। জন্মেছিলেন ফ্রান্সে, ১৮২১ সালে।

পরবর্তিতে আকাশ্চুম্বি খ্যাতি অর্জন করেছেন অথচ যখন বেঁচে ছিলেন কেউ তাদের তেমন গুরুত্বপূর্ণ মনে করতোনা, এই দলের শিল্পিদের মাঝে তিনি নেতৃস্থানিয়। তার দলে যারা আছেন, তাদের কথা ভাবলেও গায়ের রোম দাঁড়িয়ে যায়। মাত্র দুজনের নাম করি। ফ্রাঁজ কাফকা, এ্যাডগার এ্যালান পো! আচ্ছা, আমাদের জীবনানন্দকেও বা বাদ দেই কিভাবে?



শিল্পের মূল ব্যাপারটি কোথায়? শিল্পির খ্যাতিতে নাকি শিল্পে? সৃষ্টিশীলতা সবসময়ই কালানুপাতিক। এক দশকের বা এক প্রজন্মের প্রবল খ্যাতিমান লেখক পরের দশকে বা প্রজন্মেই গায়েব হয়ে যেতে পারেন। আবার উপরে যাদের নাম নিলাম, তারা পরবর্তিতে খ্যাতিমান হয়েছেন তাদের সৃষ্টি দ্বারাই! ব্যাপারটি এক বিচিত্র ধাঁধার মত।



একদল মনে করেন, যুগের পর যুগ যে লেখা মানুষের ভাললাগা পায়, সেটা কালজয়ী। কেউ কেউ আবার ভাবেন, জীবতকালে যে শিল্পি তার শিল্পের মূল্য পেলনা, পরবর্তিতে পেয়েই বা কি লাভ?

সাহিত্য বা কবিতা কিংবা চিত্রকলায় শিল্পীর মোটিভ কিন্তু মূল্যের চেয়ে মূল্যবোধে। শিল্পি নিজে তার প্রতিটা শিল্প সৃষ্টিতে অপার আনন্দ লাভ করেন। এই এক যায়গাতেই মনে হয় সবাই এক মত হয়ে থাকেন সব সময়!



হঠাৎ করেই মানিক বন্দোপাধ্যায়ের কথা মনে পড়ছে। স্বল্পায়ু জীবনটা তার কেটেছে প্রবল অর্থকষ্টে। খ্যাতির খানিক ছটা পেলেও তা সেই অর্থে জনপ্রিয়তা তাকে সেসবদিনে এনে দিতে পারেনি। মারা গিয়েছিলেন ধুঁকে ধুঁকে। প্রবল মদ্যপান তার শরীরকে শেষ করেছিল, ঠিক একই ব্যাপার আমরা দেখবো এ্যালান পোর জীবনেও।

জীবনের শেষ দিকে এসে মানিক একটা কথা বলেছিলেন, “দেখো দুটি ডালভাতের সংস্থান না রেখে বাঙলা দেশে কেউ যেন সাহিত্য করতে না যায়!”

এই বাক্যে কি প্রবল আক্ষেপ মিশে আছে, বোঝা যায়। তবু মাত্র বিশ বছরের সাহিত্য জীবনে ৩৯টার মত উপন্যাস লিখেছিলেন তিনি! কিভাবে পেরেছিলেন? শিল্প সৃষ্টির আনন্দ কতোটা মোহময়, প্রতিটা শিল্পি পলে পলেই অনুভব করেন!



শার্ল বোদলেয়ার দিয়ে শুরু করে মানিকে চলে এসেছি! তবে শেষ করি ওই মুকুট বিহীন কবি সম্রাটকে দিয়েই। এই মুহুর্তে পলাশ দত্তের অনুবাদিত বোদলেয়ারের জার্নাল “জরুরি সব দিন পড়ছি”। বিচিত্র সব অনুভুতি গিলে খাচ্ছে আমাকে।



ভালবাসা সম্পর্কে বোদলেয়ারের অনুভব হল এই- “ নিজের লাভের জন্য নিজেকে নীচ করে তোলার আকাংখাই ভালবাসা!” অনুভবটা ইউনিভার্সাল হবার কথা! ভিন্নমত থাকতেই পারে। তবু অবাক হই! কিংবা এই লাইনটা বিস্মিত করে আরও বেশি- “ভিড়ের মধ্যে থাকলে আমরা আনন্দিত হই, সেটির কারণ সংখ্যায় বেড়ে যাবার জ়ৈবিক সুখ।“



আমি বুঁদ হয়ে আছি বোদলেয়ারে। এই মহান কবি এমুহুর্তে আমার একান্ত বোদলেয়ার।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা মে, ২০১৪ রাত ১১:২২

এহসান সাবির বলেছেন: সুন্দর পোস্ট।

০৫ ই মে, ২০১৪ রাত ৯:০২

এনামুল রেজা বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে। :)

২| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:২৬

লিরিকস বলেছেন: ১ম পোস্টে আমি আছি :)

৩| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ১:১৮

এনামুল রেজা বলেছেন: খুজে পেয়েছেন তবে আমাকে। ধন্যবাদ সাথে থাকার জন্য। :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.