নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আকাশে আকাশে যাবে জ্বলে, নক্ষত্র অনেক রাত আরও

এনামুল রেজা

আমাকে খোঁজনা তুমি বহুদিন, কতোদিন আমিও তোমাকে..

এনামুল রেজা › বিস্তারিত পোস্টঃ

শান্তশিষ্ট ভয় অথবা অগ্নিকান্ডঃ দ্যা কোয়াইট ওয়ানস

০২ রা অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ২:৫৫



আমরা যখন ভয় পাই, ঠিক কোন উপাদানগুলো আমাদের মনকে বাধ্য করে ভয় পেতে? অন্ধকার, একাকিত্ব নাকি মৃত্যুআশংকা? আসলে সমস্ত কিছুই নির্ভর করে কোন ঘটনার উপর ভিত্তি করে আমরা ভয় পাচ্ছি। উহু, অন্য কোনো বিষয় নিয়ে বলতে বসিনি। লিখতে চাচ্ছি পোশাকি ভয় নিয়ে। ভুতের ছবি দেখে ভয় পাওয়াটা তোঁ পোশাকিই, নাকি? সপ্তাহ শেষের রাত উদযাপন করতে টিভির সামনে বসেছিলাম। ভুতের মূভি দেখবো। মুভি দেখলামও। দ্যা কোয়াইট ওয়ানস।

গল্পের পটভূমি ১৯৭০ এর অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়। প্রফেসর জোসেফ কাপল্যান্ড একটা গবেষণায় মত্ত। যে গবেষণায় তিনি প্রমাণ করতে চান, আদিভৌতিক জাতীয় কোনো বিষয় পৃথিবীতে নেই। গিনীপিগ হিসেবে প্রফেসর পেয়েছেন জেন হারপার নামের এক তরুণীকে। যে তরুণী ভুতগ্রস্থ হবার কারণে নিজের পরিবার থেকে বিতাড়িত হয়েছে। কাপল্যান্ডের গবেষনার লক্ষ্য হচ্ছে, তিনি প্রমাণ করবেন জেনের উপর ভূতের আসর নেই। সে আদতে কোনো মানসিক ব্যাধিগ্রস্থা। কারণ এধরণের ঘটনা আগেও তিনি প্রমাণ করেছেন। অতীতে তার বিখ্যাত সাবজেক্ট ছিল ১২ বছর বয়সি এক ছেলে, যে আত্মাদের দেখতে পেতো। এবং সেটা প্রকাশ করতো ওসব বীভৎস আত্মাদের ছবি এঁকে। কাপল্যান্ড তার ছাত্রদের বর্ণনা করেন, এটাও এক ধরণের অসুখ। পজেশন (ভূতগ্রস্থতা) নয়, এর চিকিৎসা সম্ভব।

ব্রায়ান নামের তার এক ছাত্রকে কাপল্যান্ড আমন্ত্রণ জানান গবেষণাটি ভিডিও করবার জন্য। তার সাথে আরও আছে দুজন সহকারি ক্রিসি এবং হ্যারি। মূল শহর থেকে দুরবর্তি এক প্রাচীন বাড়িতে শুরু হয় গবেষণা। জেন হারপারকে একটি রুমে বন্দী করে রাখা হয়। সারাদিন তার রুমে উচ্চ ভলিউমে রক মিউজিক চলে, যাতে দিনের বেলা ঘুমুতে না পারে মেয়েটা। পদ্ধতিটা ভয়ানক, দিন রাত্রির জাগরণে মেয়েটির মনজগতে ঠিক কোন ধরণের পরিবর্তন আসে, দেখার জন্য প্রতি রাতেই প্রফেসর কাপল্যান্ড মেয়েটির কাজকর্ম লক্ষ্য করতে থাকেন।

কিন্তু যতদিন যেতে থাকে, জেন হারপার ইভি নামের এক আত্মার কথা বলে। ইভির অশুভ কার্যকলাপ রহস্যের ঘেরাটোপে বন্দী করে ফেলে সবাইকে। বাড়তে থাকে ভৌতিক কার্যক্রম। মাঝখান থেকে ব্রায়ান (ক্যামেরাম্যান) আবিষ্কার করে জেন হারপার নামের ভূতগ্রস্থা তরুণীটি তাকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করছে। কারণ জেন বুঝতে পেরেছে, ব্রায়ান পছন্দ করে তাকে। কি উদ্দেশ্য সাধনের জন্য জেন এমন করছে? এ গবেষণার ফলাফলই বা কি? সত্যিই কি জেন মানসিক রুগী? নাকি ইভির অশুভ আত্মা ভর করে আছে তার উপর?

মোটা দাগে, ২০১৪ তে মুক্তি পাওয়া ছবিটার মেকিং কিংবা কাহিনী নিয়ে বললে, মন্দ বলা যায়না। গল্পটা কৌতুহল যাগায়। ছবির শেষ পর্যন্ত টেনেও নিয়ে যায়। কারণ শেষ না দেখলে, আসলে কিছুই দেখা হয়না। পুরো মুভির ওই শেষটাই সবচেয়ে ভালো লেগেছে আমার কাছে। তবে প্রফেসর কাপল্যান্ডের নারী সহকারি ক্রিসির ভূমিকা মূভিটিতে পরিষ্কার নয়। তাকে কি রাখা হয়েছে প্রফেসর আর আরেক এসিস্ট্যান্ট হ্যারির দেহরঞ্জনের জন্য? তার প্রতি জেন হারপারের এত আক্রোশের কারণই বা কি?

তবে হ্যাঁ, ভৌতিক মুভির কাস্ট হিসেবে প্রত্যেকেই অসাধারণ অভিনয় করেছেন। কাপল্যান্ডের ভূমিকায় জেয়ার্ড হ্যারিসকে দুর্দান্ত লেগেছে। যেমন লেগেছিলো শার্লক হোমসের জিম মরিয়ার্টির চরিত্রে। তবে মেকিং এর একটাই দুর্বলতা, জেন হারপারের অতীত পরিষ্কার করার চেষ্টা করা হলেও, ধোঁয়াটা রয়েই যায়। পরিচালক জন পগ এখানেই হয়তো কম মার্কস পেয়েছেন।

জ্ঞানী-গুনীরা ছবিটাকে যাতা পর্যায়ের রেটিং দিয়েছেন। রোটেন টমেটোয় ছবিটা পেয়েছে মোটে ৩৬% ফ্রেশ রেটিং। মেটাক্রিটিক এ ৪১ % পজিটিভ। সুতরাং, মুভিটা আপনাকে দেখতে হবে নিজ দ্বায়িত্বে। হয়তো ভয়ের উপাদানের চেয়ে আপনি একটা চমৎকার গল্পই খুজে পাবেন। সেটা কিন্তু এই গল্পহীন হররের যুগে মন্দ ব্যাপার নয়। ৮৬% ফ্রেশ রেটিং পাওয়া “দ্যা কনজুরিং” এর চেয়ে এ মুভিটা আমার ভালো লেগেছে। কারণ কিছু হয়তো আছে। সে কারণ আবিষ্কার করতে বসে যেতে পারেন টিভি সেটের সামনে।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা অক্টোবর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:০৩

অপূর্ণ রায়হান বলেছেন: রিলিজ হয়েছে কবে ?

রিভিউ ভালো লাগলো । শুভেচ্ছা :)

০৫ ই অক্টোবর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৫৯

এনামুল রেজা বলেছেন: ২০১৪ রিলিজ হয়েছে..

ধন্যবাদ জানবেন। :)

২| ০২ রা অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১১:০৭

অন্ধবিন্দু বলেছেন:
ইন্টারেষ্টিং ! দেখার ইচ্ছে রইলো।

৩| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:০০

এনামুল রেজা বলেছেন: দেখে ফেলুন সময় করে। আশা করি ভালোই লাগবে.. :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.