নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আকাশে আকাশে যাবে জ্বলে, নক্ষত্র অনেক রাত আরও

এনামুল রেজা

আমাকে খোঁজনা তুমি বহুদিন, কতোদিন আমিও তোমাকে..

এনামুল রেজা › বিস্তারিত পোস্টঃ

পাওলো কোয়েলহোর প্যান্ডোরাস বক্স

০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১০:৩০





মধ্যযুগের ইউরোপে উইচক্রাফটের কথা আমরা জানি। এবং সেটুকু জানলে এটুকুও আমরা জানি যে কিভাবে সাধারণ মানুষেরা উইচক্রাফটের দোহাই দিয়ে অসংখ্য লোককে পুড়িয়ে মেরেছিলো। এর পিছনে ছিলো চার্চের প্ররোচনা।

এথেনা মধ্যযুগীয় কোন রমনী না। সে আধুনিক যুগের এক নারী। ছোটো থেকেই যে পালিত হয়েছে পালক পিতামাতার কাছে। যত বড় হয়, সে বুঝতে পারে অলৌকিক কিছু ক্ষমতা তার মাঝে বড় হচ্ছে, তার সাথে সাথে। পৃথিবীর প্রচলিত বিশ্বাসের, নিয়মের চেয়ে তার জীবন দর্শন যতদিন যায়, আলাদা হয়ে যাচ্ছে। আদতে তার জীবনটা এই রহস্যময় অলৌকিকতার অনুসন্ধান কিংবা একটা ভ্রমণ।



গল্প বলার ঢং অভিনব। লেখক বলছেন, কাহিনীটা একটা বায়োগ্রাফি। যার জীবনি, পরিচিত মানুষেরা তাকে যেভাবে দেখেছে তাদের জবানীর মাঝ দিয়েই ই বায়োগ্রাফি বলে গিয়েছেন লেখক। আমি পাওলো কোয়েলহোর বই "উইচ অভ পোর্তোবেলোর" কথাই বলছি। এটা এমন এক নারীর গল্প, যে নারীটি নিজের জীবনকে উৎসর্গ করেছিলো ডাকিনীবিদ্যার প্রতি।



আদিভৌতিক বিষয়গুলোর প্রতি এথেনার অবসেশন, তার অদ্ভুত বোহেমিয়ান জীবন, উত্থান-পতনের গল্পই হলো উইচ অফ পোর্তোবেলো। পাওলো কোয়েলহোর অন্যান্য বইগুলোর মতোই এ বইটাও অসাধারণ সব জীবন দর্শন আমাদের সামনে মেলে ধরে। জীবনকে ভালবাসতে শিখায়, আনন্দিত কিংবা দুঃখী করে তোলে।



বইয়ের কিছু অংশ তুলে দেওয়ার লোভ সামলানো গেলোনা।



পৃথিবীতে ৪ ধরণের নারী দেখা যায়-

১। কুমারী ( আমি শারীরিক বা অক্ষতযোনী কুমারির কথা বলছিনা)। এ ধরণের মেয়েরা স্বাধীনচেতা হয়। নিজের যোগ্যতাবলেই পৃথিবী থেকে দরকারি বিষয়গুলো এরা শিখতে আগ্রহী হয়। সবসময় ভালবাসে নিত্য নতুন প্রতিকুলতার মুখোমুখি হয়ে তাকে জয় করতে।

২। শহীদ। এই ধরণের নারীরা জীবনকে বুঝতে শেখে বেদনা, আত্মত্যাগ আর দুঃখকষ্টকে মেনে নেওয়ার মাধ্যমে।

৩। সন্ন্যাসিনী। এরা ভালবাসার সর্বোচ্চ শীখরে নিজেদের নিয়ে যায়। নিঃস্বার্থ হয়ে ভালবাসে, প্রতিদানের আশ্বাস ছাড়াই।

৪। ডাকিনী। এরা পরমানন্দ ও পূর্ণতা প্রাপ্তির অভিযানে নিজেদের নিয়োজিত করে। জীবন তাদের কাছে এক অনুসন্ধান।



সাধারণত, নারীরা এই চারটির যেকোনো একটি ধরণকে তাদের জীবনাদর্শে পরিণত করে, কিন্তু এথেনা একই সাথে এই চার রকম সংজ্ঞা নিজের মাঝে ধারণ করেছিলো!

--------------------------------------



অতঃপর এনামুল রেজা

মন্তব্য ১৮ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১৮) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১১:২০

ইলুসন বলেছেন: ২ আর ৩ নম্বরটা প্রায় একই মনে হচ্ছে।

০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১২:১৮

এনামুল রেজা বলেছেন: শহীদ আর সন্ন্যাসিনী?
কাছাকাছি। তবে সন্নাসিনীরা উদাসিন। শহীদেরা উদাসিন হতে পারেনা।

২| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১:৫৮

ফারিয়া বলেছেন: পুরো ব্যাপারটা উইয়ারড লাগলো! মানুষ অনেক রকম হতে পারে।

০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ২:২৪

এনামুল রেজা বলেছেন: পৃথিবীটা বিচিত্র সব মানুষের সমাবেশ ফারিয়া। একজন অলৌকিক ক্ষমতায় এবসার্ড মেয়ের গল্প, উইয়ার্ড লাগতেই পারে। আপনি ঠিকই বলছেন।

শুভেচ্ছা। :)

৩| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৫ ভোর ৫:৪২

বিদ্রোহী বাঙালি বলেছেন: বইটি পড়া হয়নি। কোন লিংক থাকলে তুলে ধরলে কৃতজ্ঞ থাকবো।
জীবনের গভীর দর্শনকে বইটিতে মনে হচ্ছে তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়েছে, যা একটা নারী চরিত্রকে কেন্দ্র করে।
নারীদের চারটি ক্যাটাগরি পড়ে মন হচ্ছে ডাকিনী ক্যাটাগরিতে বাকী তিনটি ক্যাটাগরির একটা সমন্বয় রয়েছে।
সংক্ষিপ্ত আকারে হলেও আপনার পাঠ প্রতিক্রিয়া ভালো লাগলো রেজা। গল্পের সারবস্তু তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন, যা পাঠকের মাঝে বইটি পড়ার আগ্রহ সৃষ্টি করবে। নিরন্তর শুভ কামনা রইলো আপনার জন্য।

০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ২:২৮

এনামুল রেজা বলেছেন: সবার মাঝে চারটির সমন্বয় থাকেনা। এথেনার মাঝে ছিলো। সেজন্যেই হয়তো সে সবার চেয়ে বিচ্ছিন্ন একজন নারী হয়ে উঠেছিলো..
সময় করে পড়ে ফেলেন ভাইয়া। ভালো লাগবে।

আপনার আশেপাশে বইটা হার্ডকপিই মিলে যাওয়ার কথা। আমার কাছে হার্ডকপিই আছে মূল বইয়ের।

ধন্যবাদ এবং শুভকামনা রইলো। :)

৪| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৫ ভোর ৬:৪৮

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:




নারীর প্রকারভেদটি বেশ ইন্টারেস্টিং!
রিভিউটি আরেকটু দীর্ঘ হতে পারতো না? :)

০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ২:৩২

এনামুল রেজা বলেছেন: দুর্দান্ত ইন্টারেস্টিং মইনুল ভাই।
আরেকটু দীর্ঘ লেখা যেতো, কিন্তু এতো চমৎকার বইটা বিশ্লেষণ করতে ইচ্ছা করেনি। মতামত ঝেড়ে দিলাম শুধু।

ভালো থাকা হোক। শুভ দুপুর। :)

৫| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১০:৫৩

বঙ্গভূমির রঙ্গমেলায় বলেছেন:

ভাল লাগল রিভিউ।

শুরুর সাথে সাথেই শেষ। একটু অপূর্নতা রয়ে গেল। :)

০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ২:৩৬

এনামুল রেজা বলেছেন: বইটা সকল অপূর্ণতা দূর করবে নিশ্চিত। সময় করে পড়ে ফেলুন।

ধন্যবাদ জানবেন ভাই।

৬| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১:০৫

এহসান সাবির বলেছেন: এখনো পড়িনি, পড়ব... পাউলো কোয়েলহো আমার ফেভারিট....

সামুতে আমার যে প্রো পিক রয়েছে ওখানে আমারে হাতে একটা বই, ওটা কোয়েলহোর The Winner Stands Alone :)

০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ২:৩৮

এনামুল রেজা বলেছেন: কোয়েলহো আমারও অনেক প্রিয় লেখক। তাহলে তো মিলেই গেলো।

পড়ে ফেলেন এহসান ভাই। এটাও দুর্দান্ত।

ভালো থাকা হোক। শুভ দুপুর। :)

৭| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৫:২৮

সুস্মিতা শ্যামা বলেছেন: পাওলো কোয়েলয়ো আমারও খুব প্রিয়। ওর এই লেখাটা দিয়েই আমার কোয়েলয়ো যাত্রা শুরু। ভাল কথা, আপনি কি অরিত্র অন্বয় নামে লিখতেন এক সময়?

০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:০০

এনামুল রেজা বলেছেন: আমার কোয়েলো যাত্রা শুরু হয়েছিলো আলকেমিস্ট থেকে। এরপর থামার কথা না, থামেওনি।

অরিত্র অন্বয় নামে লিখতাম। মনে রেখেছেন দেখি। প্রথম আলোর নস্টালজিক সময়। ভালো আছেন তো?

৮| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৫৩

কলমের কালি শেষ বলেছেন: রিভিও ভাল লেগেছে । পড়ার আগ্রহ হচ্ছে ।

০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৫৪

এনামুল রেজা বলেছেন: পড়ে ফেলেন সময় করে। ভালো লাগবে আশা করি।

ধন্যবাদ জানবেন ভাই। ভালো থাকা হোক। শুভেচ্ছা।

৯| ১১ ই জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১:১৭

দীপংকর চন্দ বলেছেন: ভালো লাগা রইলো।

শুভকামনা জানবেন ভাই। অনিঃশেষ।

ভালো থাকবেন। সবসময়।

১১ ই জানুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৩:০৮

এনামুল রেজা বলেছেন: ধন্যবাদ জানবেন। :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.