নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ফার্মগেট গিয়ে নামলাম বাস থেকে।
দাড়িয়ে আছি সেযান পয়েন্ট এর সামনে।রাসেলের জন্য অপেক্ষা করছি।
রাসেল সমসময়ই দেরি করে সব কাজে। মাঝে মাঝে এতোরাগ উঠে ইচ্ছে করে বন্ধুত্ব শেষ করে দেই এই ঢিলা কোম্পানিটার সাথে কিন্তু কি করার ছোটবেলার বন্ধু বলে কথা।
৩০ মিনিট হয়ে গিয়েছে এখনো আসছে না।মাথা পুরো গরম। এমন সময় দেখলাম রাস্তার ওপারেই এক রিকশাচালক এবং একজন ভদ্র লোক তর্কাতর্কিতে মেতে উঠেছেন।ভদ্র লোকটির পোশাক-আশাকে উচ্চপদস্থ কোনও কর্মকর্তা মনে হলো।
তর্কাতর্কিটা রীতিমতো মারামারির কাছাকাছি চলে গিয়েছে,আমিও উনাদের দিকে লক্ষ্য করে বুঝার চেষ্টা করছিলাম যে কি নিয়ে এতো রাগান্বিত ভদ্রলোকটি।কিছুই বুঝে উঠতে পারছিলাম না।
এদিকে এতক্ষনে অনেক মানুষ জড় হয়ে গিয়েছে।
প্রায় সবাই রিকশাচালকটিকেই দোষারোপ করছে,রিকশাচালকটি চলে গেলো মাথানিচু করে কিছু একটা বলতে বলতে।
ভিড়ের মধ্য থেকে বেরিয়ে আসা একলোক এর কাছে জিজ্ঞাসা করে জানতে পারলাম,ভদ্রলোকটি মোহাম্মদপুর কৃষিমার্কেট এর কাছ থেকে রিকশাটিতে উঠেছেন এবং ফার্মগেট এসে নেমেছেন। রিকশাচালক স্বাভাবিক ভাড়া থেকে নাকি ১০ টাকা বেশী চেয়েছেন এই নিয়ে এতো হট্টগোল।
আমি এসব শুনতে শুনতে রাসেল এর কথা ভুলেই গিয়েছিলাম। এমন সময় রাসেল পিছন থেকে দেকে উঠলো।
প্রতিবার এর মতো একটু ঝারলাম ঢিলাটাকে তারপর রাস্তার অপারে গিয়ে বাসে উঠলাম গন্তব্য বসুন্ধরা মার্কেট।
১০ মিনিটএর মতো লাগলো ওখানে এসে আরও ৪ টা বন্ধুকে খুজতে লাগলাম।৩ টাকে পেলাম আর একটা নাকি আসতে পারবে না,কোথায় যেনো কি কাজ আছে তাই।
তো সবাই ঘুরছি,আসলে কিনাকাটার জন্য আসিনি। আড্ডা দেওয়ার জন্যই আসা।
তবুও ঘুরছি আর দেখছি। একেকটা জিনিস এর দাম ভালই নিচ্ছে দোকানদাররা। প্রায় প্রতিটি জিনিসের মূল্যই নির্ধারিত এবং একদাম।
মানুষ আসছে যাচ্ছে। মানুষের যেন কিনাকাটার শেষই নেই।
সন্ধ্যার কিছুক্ষন আগে আমি বিদায় নিয়ে বেরোলাম কারণ আমার কিছু কাজ ছিলো তাই ইচ্ছে থাকলেও বেরোতে হলো।
কিন্তু বেরিয়ে রাস্তায় অনেকটা সময় দাড়িয়ে থাকার পর ও কোনও বাসের সন্ধান পেলাম। যাও দুই একটা আসছে কিনতু পা রাখারও জায়গা নেই।
হাটা শুরু করলাম।
হাটতে হাটতে প্রায় শাহবাগ পর্যন্তই চলে আসলাম।এমন সময় বিআরটিসি এর দোতলা বাস যাচ্ছিলো। কিছুটা দৌড়িয়েই ধরতে হলো বাসটি। বাসটি অনেকটা ফাকা ছিলো। তবুও উপরে উঠলাম মানে দোতলাতে উঠলাম এবং একটি সিটে বসে পড়লাম। বন্ধুদের সাথে অনেকদিনপর আড্ডা দিলাম তাই কিছুটা সৃতিচারণ করছিলাম,আজকের দুষ্টমি গুলোও ভেসে উঠছিল চোখের সামনে।
সারাদিন কি কি করলাম সবই মনে মনে ভাবছিলাম।
রিকশাচালক এর ঘটনাটা মনে পরতেই আরও একটি কথা মনে হলো।
আচ্ছা আমরা ভালো ভালো অত্যাধুনিক মার্কেটে গিয়ে কতো দামি দামি জিনিস অহরহ কিনছি।একদাম দেওয়া থাকে তবুও কিনছি। একই জিনিস নিউমার্কেট অথবা ছোট ছোট মার্কেটে প্রায় অর্ধেক মূল্যতে পেতে পারি এটা জেনেও আমরা কিনছি। ভালো কথা।
কিন্তু রিকশাচালক অথবা বাস এর হেলপাররা ৫/১০ টাকা বেশী চাইলে আমরা এমন জানোয়ারের মতো কেনো করি???????ওরা তো সবসময় চায় না,আর যদি সবসময় চায়ও তবুও ওরা তো অন্যায় কিছু করেনি,আমরা কি আমাদের অফিসের মালিক এর কাছে বেতন বৃদ্ধির জন্য আবেদন করিনা?আমরা কি প্রমোশন এর জন্য আশা করে থাকি না??
তাহলে ওরা কাদের কাছে আশা করবে।ওদের জন্য তো আমরাই আছি তাই না!! ওদের যদি আমরা সাহায্য সহযোগিতা না করি তবে কে করবে!! ??
এইটুক ওয়াদা করছি আজ থেকে নিজের জতুটুক আছে তা দিয়েই মানুষকে সহযোগিতা করবো।মানুষের কষ্টটাকে নিজের করে বুঝার চেষ্টা করবো।কোনো মানুষকে ছোট চোখে দেখবো না।
২৯ শে আগস্ট, ২০১৫ রাত ১:৫৭
সাধারণ বালক বলেছেন: এতদিন শুধু মুখে ছিলো কিন্তু কখনো একটু গভীর ভাবে বুঝিনি।আজ অনেক কিছু বুঝলাম
২৯ শে আগস্ট, ২০১৫ রাত ২:০০
সাধারণ বালক বলেছেন: এতদিন তাদের কষ্টগুলো অনুভব করিনি।তাদের অধিকার গুলো বুঝিনি।শুধু মুখে মুখেই জানতাম ''মানুষ মানুষের জন্য'' কিন্তু আজ এই কথাটির ব্যাখ্যা খুঁজে পেয়েছি।
২| ২৮ শে আগস্ট, ২০১৫ রাত ১০:৪৭
শতদ্রু একটি নদী... বলেছেন: গাজী আঙ্কেলের কমেন্টে ঝাঁঝাঁ।
©somewhere in net ltd.
১| ২৮ শে আগস্ট, ২০১৫ রাত ১০:৪২
চাঁদগাজী বলেছেন:
ওয়াদা করতে হচ্ছে কেন, এটা তো জন্ম থেকেই থাকার কথা ছিল; এতদিন কি করেছেন?