নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ঈশ্বর পটল তুলছে - নীৎসে/নীশে/নিৎচা

উদাসী স্বপ্ন

রক্তের নেশা খুব খারাপ জিনিস, রক্তের পাপ ছাড়ে না কাউকে, এমনকি অনাগত শিশুর রক্তের হিসাবও দিতে হয় এক সময়। গালাগাল,থ্রেট বা রিদ্দা করতে চাইলে এখানে যোগাযোগ করতে পারেন: [email protected]

উদাসী স্বপ্ন › বিস্তারিত পোস্টঃ

ট্রেন্স গড: আর্মিন ভ্যান বিউড়েন এবং ইন্টেন্স!

০৭ ই মে, ২০১৩ রাত ২:২৪

আউযুবিল্লাহ হি মিনাশ শইতানুর রাজীম
বিসমিল্লাহের রহমানির রহিম

বাংলা হবে তালেবান
আমরা হবো আফগান

আমি অবশেষে মৌলবাদীদের দলে নাম লিখাইলাম। যাই হোক এই আশাবাদ ব্যাক্ত কইরা আমি আমার পোস্ট খানা শুরু করি।


ট্রেন্স মিউজিকটা দেশে খুব বেশী পরিচিত জেনরা না। রিদয় খান তার একটা এলবামে একটা ট্রেন্স গিয়েছিলো আর হাবিবের বলো কেন এমন হয় হয়তো ট্রেন্স এর মধ্যে ফেলা যায় যদিও কেউ ট্রেন্স এর গ্রামার ধরে বসলে বলতে হবে এগুলো সেরকম ট্রেন পড়ে না।

ট্রেন্স মিউজিকের নেশাটা খুবই ভয়ন্কর। এটা আমাদের চেনাজানা হেরোইন বা সিগারেটের নেশা না, অথবা এলএসডির মতো ক্ষতিকর মরণ ঘাতী নেশা না। তবে এটা ঠিক কেউ যদি ট্রেন্স এর নেশায় পড়ে তার আর রক্ষে নেই। সংগীতের আসল মজা মনে হয় ট্রেন্স মিউজিকেই।

আর্মিন ভ্যান বিউড়েন বাংলাদেশে কতটা জনপ্রিয় জানি না তবে সারা বিশ্বে ট্রেন্স মিউজিকে ঈশ্বর বলা হয় এবং পৃথিবীর বর্তমান সময়ের টপ ডিজে হলো এই আর্মিন ভ্যান বুড়েন।আর্মিনের জন্ম ১৯৭৬ সালে ডিসেম্বরের ২৬ তারিখ নেদারল্যান্ডের লীবেনে আর কৈশোর কাটে কুডার্ক আন ডেন রীইনে। ওর মা গান চাচা কম বেশী মিউজিকের সাথে সম্পর্ক যুক্ত।

খুব ছোট বেলা থেকেই ওর মিউজিকের প্রতি আগ্রহ ছিলো খুব বেশী এবং মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে সেসব মিউজিক শুনতো। হাতে যা পকেট মানি থাকতো তাই দিয়ে টেপ কিনতো আর বুঁদ হয়ে থাকতো। বয়স যখন ১০ তখন ওর মা একটা কম্পিউটার জিতে একটা অনুষ্ঠানে এবং সেখানে ও কিছু প্রোগ্রাম পায় যেগুলো দিয়ে বেসিক প্রোগ্রাম লেখা যায়। সংগীতের আগ্রহের প্রধান যন্ত্র ছিলো টেপ সেই থেকে এসব ইলেক্ট্রনিক্স আর টেকনোলজী থেকে আগ্রহ জন্মায় আর তখন কম্পিউটারের বেসিক প্রোগ্রাম দিয়ে কিছু মিউজিক সিন্থেসাইজ করাটা আয়ত্ত করে।ওর চাচা ওর ছোট ছোট মিক্স টেপ দেখে ওর সাথে লেগে যায় এবং পুচকে আর্মিন তখন তার মিক্স টেপগুলো বন্ধুদের মধ্যে ছড়ায় দিতে থাকে। এগুলো বন্ধুদের মধ্যে বেশ জনপ্রিয়তা পেতে থাকে। তখন অবশ্য ওর ঝোক ছিলো ড্যান্স মিউজিকে পরে সেটা ইলেক্ট্রনিক মিউজিকের দিকে ঝুকতে থাকে।

আর্মিনের কাছে মনে থাকে ৮০ র দশকের ইলেক্ট্রনিক মিউজিক অনেকটা বিদ্রোহী বা প্রথাভঙ্গের মতোই। মিউজিকের নেশায় ও যতটা বুদ হতে থাকে তখন মনে হতে থাকে একটা ব্যাক আপ প্লান করা উচিত। ব্যাক আপ প্লান হিসেবে স্টডলীক জীমন্যাসিয়াম লীবেন থেকে গ্রাজুয়েশন শেষ করে। গ্রাজুয়েশন করার সময়ই সে তার প্রথম সিঙ্গেল বের করে ব্লু ফেয়ার যেটা মূলত ইউরো ট্রান্স সাবজেনরার। সাইবার রেকর্ডসের ব্যানারে বের হওয়া সিঙ্গেলটা ইউকের টপ চার্টে স্হান পায়।আরেকটা ট্রাক কমিউনিকেশন যেটা পরবর্তীতে ১৯৯৯ সালে ইবিজায় প্রচুর জনপ্রিয়তা লাভ করতে থাকে এবং ইউকে তে টপ চার্টে ১৮ তে স্হান করে নেয়। এই অবস্হাতেই শোর জন্য প্রচুর ডাক আসে।

তখন ও সিদ্ধান্ত নেয় ল' কলেজে ভর্তি হবার আইন বিষয়ক পড়ালেখায়। কিন্তু মিউজিকের প্রতি এতটাই ব্রত ছিলো সে শেষ বর্ষে এসে ওর কোর্স গুলো দীর্ঘায়িত হতে থাকে। এর মধ্যে বিভিন্ন জায়গায় সে মিউজিক অনুষ্ঠানে অংশ নেয়, বিভিন্ন ছোটখাটো শো করতে থাকে। গ্রাজুয়েশন শেষ না করেই লীবেনের নেক্সাস ক্লাবে অফার পায় ডিজে হিসেবে যেখানে ও মূলত ডিজে বক্সের সাথে খুব ভালে ভাবে পরিচিত হয় এবং কিভাবে দীর্ঘক্ষন মিউজিক তৈরী করতে হয় সেটা আ্য়ত্ত করতে শিখে। দৈনিক ৬ থেকে ৭ ঘন্টা টানা ডিজেগিরী করে মিউজিক মোড, ফিউশন আর পাবলিক এক্সেপটেন্সের ধারনা পায়। ছুটির সময় সপ্তাহে ৪ দিন টানা ডিজেইং করতো এবং এই শো করার সময় ডেভ লুইসের সাথে ওর দেখা হয় যে মূলত ইংল্যান্ড আর আমেরিকার ডিজে ছিলো।

১৯৯৯ সালটা আর্মিনের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ন ছিলো। আর্মিনের নিজের আর্মিন্ড নামে ইউনাটেড রেকর্ডিং এর সাথে একটা লেবেল তৈরী করে এবং গীগ-ওয়ান নামের প্রথম সিঙ্গেল বের করে এই লেবেলে। তার দ্বিতীয় রিলিজ টাচ মী ইউকে মিনিস্ট্রি অব সাউন্ডের রেকর্ডের সাথে বের রাইজিং স্টারের নামে। মনে পড়ে এই মিউজিকটা যখন প্রথম শুনি তখন মনে হয়েছিলো প্রোগ্রেসিভ হাউজ ইজ কুল।
তার পরবর্তী রিলিজ ফ্রী প্রচন্ড হীট পায় যেটা তাকে জনপ্রিয়তা এনে দেয়। এর ফলে গায়ার সাথে ফোর এলিমেন্টস বের করে ওয়ার্নার ব্রাদার্সের মতো বড় প্রতিষ্ঠানের ব্যানারে। টিয়েস্টো তখন ছিলো ডিজেদের সেরা ডিজে এবং তার হাউজ মিউজিকের কিছুটা প্রভাব আর্মিনের পাওয়া যায়। যখন টিয়েস্টরা আর্মিনের সাথে টিম করে দুটো প্রজেক্টে অংশ নেয় তখন ডিজে সমাজে ওর খ্যাতী ছড়াতে থাকে আর সে সময় পল ভ্যান ডাইক, এলিবী, ফ্যারী কোর্টসেনের ডিজের সাথে কোলাবোরেশন শুরু করে বিভিন্ন রেকর্ড কোম্পানীর ব্যানারে।

২০০০ সালে আর্মিন কম্পাইলেশন সিরিজের দইকে মনোযোগ দেয়। কারন ও তখন দীর্ঘক্ষন সেটে থেকে মিউজিক তৈরীতে সিদ্ধহস্ত হয়ে যায়। ওর মিউজিকের স্বাদ বেশ জনপ্রিয়তা লাগবার কারন ছিলো মূলত প্রোগ্রেসিভ হাউজ আর ভোকাল ট্রেন্স এর ফিউশন। এসময় ও এ স্টেট অব ট্রেন্স নামের একটা এলবাম বের করে যেটা বিক্রী হয়েছিলো ১০ ০০০ কপিরও বেশী।
মার্চের ২০০১ সালে আইডিএন্ডটির সাথে চুক্তিবদ্ধ হয় একটা রেডিও শোর জন্য যার নাম দেয়া হয় এ স্টেট অব ট্রেন্স। এখানে মূলত হাউজ, ট্রেন্স, ইলেক্ট্রনিক মিউজিকের জনপ্রি্য ট্রাক সমূহকে রিমিক্স করে দু ঘন্টার দীর্ঘ একটা মিউজিক ট্রেন তৈরী করা হয় যার হোস্ট মূলত আর্মিন ভ্যান বুড়েন। দু সপ্তাহ অন্তর অন্তর এই লাইভ শোটি এখনও চলছে এবং কিছুদিন আগে এই স্টেট অব ট্রান্সের সংখ্যা ৬০০ অতিক্রম করেছে। যারা নিয়মিত আর্মিনের স্টেট অব ট্রেন্স শুনে থাকেন তারা জানেন এই শো মিউজিকের ফিউশন লেভেল আর মিউজিকের এডিকশন কোন পর্যায়ে নিয়ে গেছে।

এই শো এখন এতটাই জনপ্রিয় যে আর্মিন কে এই শো লাইভ প্রচার করতে হয় একসাথে বেশ কয়েকটা দেশে। এর ৬০০ তম পর্ব এক যোগে ১২ টা শহরে লাইভ পরিবেশন করা হয় এবং এই লাইভ শো দেখার জন্য বিশাল স্টেডিয়াম এবং নাইট ক্লাবের কনসার্ট হল ভাড়া করা হয়েছিলো আর সেখানে তার মিউজিকে লাইভ কন্ট্রিবিউট করতে এসেছিলো রজার শা, এলি এন্ড ফিলা, জন ও কালাহান, আর্কটিক মান্কিস, কসমিক গেটস, ওরিয়ান ওলসন, এলেক্স মর্ফ, ড্যাশ বার্লিন,গ্যারেথ এমেরী, মার্কাস শুলজ স হ প্রখ্যাত ডিজে। এর ৫০০ তম সিরিজ ৪ ভাগে ভাগ করে বিশ্বের ৮ এর বেশী শহরে সপ্তাহ ব্যাপী শো চলে।


DJ MAG অনুযায়ী আর্মিনের র‌্যাংকিং:

2001: #27 2002: #5 2003: #3 2004: #3 2005: #3 2006: #2 2007: #1 2008: #1 2009: #1 2010: #1 2011: #2 2012: #1

ওর স্টেট অব ট্রান্স নিয়ে লিখতে গেলে আরও একটা বিশাল পোস্ট হয়ে যাবে।

আর্মিনের এই পর্যন্ত ৫ টি এলবাম বের হয়েছে।

১) ৭৬
২) শিভারস
৩) ইমাজিন
৪) মীরেজ
৫) ইনটেন্স

ইনটেন্স:

আর্মিনের নিজস্ব রেকর্ড কোম্পানী আরমাডা থেকে বের করা হয়েছে এই ইনটেন্স। অস্ট্রেলিয়ান সুন্দরী ফিওরাকে দিয়ে ওয়েটিং ফর দ্য নাইট গানটি লাভিং ইবিজা মুভির জন্য গাওয়া হয় যেখানে আর্মিন নাম ভূমিকায় অভিনয় করে।

প্রথম ইন্ট্র যার নাম ইন্টেন্স মূলত প্রগ্রেসিভ ট্রেন্স ট্রাক। প্রথম দিকে ভায়োলিন ব্যাবহারটা অসাধারন লেগেছে কারন আর্মিনের যারা স্টেট অব ট্রান্স শুনে থাকবেন তাদের কাছে ভায়োলিনের সঙ্গীতটা অপরিচিত। কারন বেশীর ভাগ সময়ে আর্মিনের বিভিন্ন শিল্পি যাদের সাথে কোলাবোরেশন করেছে তাদের সাথে মূলত ইলেক্ট্রনিক ইনস্ট্রুম্যান্টের ব্যাব হার বেশী থাকে। তবে ট্রাকে ইন্টেন্স এর ইন্ট্রোর বিস্তৃতকরন করতে গিয়ে কিছু কিছু ব্যাবহার মাঝে মাঝে বোর করলেও শেষের দিকে আউট্রোটা সুন্দর করেছে বিধায় শেষ হলে মনে হবে আরো একবার শোনা যায়। এবং এভাবেই এই ইন্ট্রো ট্রাকটা অসাধারন হয়ে যায় বার বার শুনতে শুনতে। ভায়োলীনে ছিলেন ইসরাইলী মিরি বেন আরি।

এর পরের ট্রাকটা হলো দিস ইজ হোয়াট ইজ ফিলস লাইক যাতে কন্ঠ দিয়েছে নতুন শিল্পি ট্রেভর গুথরী। প্রোগ্রেসিভ ভোকাল ট্রেন্স জেনরার গানটা এতটাই মেলোডিয়াস যে তা আর বলার অপেক্ষা রাখেনা। গানের মাঝে পপ টোনের টান আর মিউজিক ভিডিওতে পর্ন স্টার তারকা রন জেরেমী আর স্বয়ং আর্মিনের উপস্হিতি প্রানবন্ত করে তুলেছে গানটাকে। যদিও গানটার সাথে মিউজিক ভিডিওর কোনো মিল নেই তবে গানটা শুনলে বলতে বাধ্য গোমড়া মুখো হুতুম পেচাও মেতে উঠবে।

এর পরের গানটা হলো বিউটিফুল লাইফ যাতে কন্ঠ দিয়েছে সিন্ডি আমলা। ভোকাল ট্রেন্সের এই গানে মেলোডীর চেয়ে পপটোনে বেশী জোর দেয়া হয়েছে এবং গায়কীর টোনটাকে সিন্থেসাইজ টেকনোতে নিয়ে মাঝখানে যেখানে শুধু কীবোর্ডের সাথে ইফেক্ট দিয়ে এর ব্রীজ করা হয়েছে সেটা আকর্ষনীয়। গানের মূল আকর্ষন শুরু হয় এই ব্রীজের পর যখন ট্রেন্সের বিস্তৃতকরন টোনের ইন্ট্রো পার্ট শুরু হয়। এর পর যখন ভোকালের ইকোর সাথে হাউজ ইফেক্ট শুরু হয় বীটের টেম্পো বেড়ে যায় নতুনত্ব এখানেই ধরা দেয়। কম্পোজিশন টা অসাধারন।

এর পরের গানটা হলো অস্ট্রেলিয় সুন্দরী ফিওরার গাওয়া ওয়েটিং ফর দ্যা নাইট। সিম্পল ভোকাল ট্রেন্স আর্মিন অভিনীত লাভিং ইবিজাতে এই গানটা ব্যাব হার করা হয়েছে। গানটায় ফিওরার কন্ঠটা পুরাই অন্য রকম

এরপরের ট্রাকটা হলো পালসার যেটা মূলত আপলিফটিং ট্রেন্স যেখানে বিভিন্ন নোট নিয়ে সেগুলোর সাথে একের পিঠে এক জোড়া দিয়ে সেগুলোকে নানা ভাবে সিন্থেসাইজ করে এমনভাবে তৈরী করা হয়েছে শ্রোতাকে সবসময় ডিস্কো ট্রেন্স এর মুড এনে দেবে।আপলিফটিং ট্রেন্স এর বিরুদ্ধে অনেকেই অভিযোগ করে যে অতিরিক্ত ড্রামের জন্য এটাকে বোর লাগে। কিন্তু এখানে বীটগুলোর টেম্পো আর ডীপনেস কম থাকায় সেটাকে আরও হাউজ মুড দেয়ায় অসাধারন লাগবে।


সাউন্ড অব ড্রামসে কন্ঠ দিয়েছে লরা জেনসন যেটা মূলত প্রোগ্রেসিভ ভোকাল ট্রেন্স। গানটা মূলত মিউজিক নির্ভর হলেও গানের মেলোডি অসাধারন। ইন্ট্রো ভয়েস মেলোডি দিয়ে শুরু হলেও পরে ইন্ট্রো টোনটাই গানটাকে এগিয়ে নিয়ে সহযোগী টোন আর গায়িকার পপ টোনকে সাঙ্গ করে। তবে এখানে একটা কথা বলতে হয় গায়িকার কন্ঠকে মিউজিকের আতিশায্যে নষ্ট হয়ে যায়নি, আর আউট্রোটা ইন্ট্রোর মতো ভোকাল দিয়েই শেষ হয়।

লওরেন ইভান্সের কন্ঠে এলন ও প্রোগ্রেসিভ ভোকাল ট্রেনস যেটা মূলত ভোকাল ইন্ট্রো দিয়ে শুরু হলেও আগের ট্রাকটা সিম্পল মেলোডিক টোনে হলেও এই ট্রাকে ভোকালিস্টের কন্ঠে একটু ব্লুজ টোন আছে। ফলে মেলোডির চেয়ে গায়িকার ব্লুজ নোটে কোরাসটা অসাধারন। মাঝে একটু টেকনো টাচ আছে কিন্তু আগের গানের স্ট্রাকচারে মিলে গেলেও গানের ব্লুজ টোনটা গানটা একটা স্বকীয় রূপ দান করেছে।

লরা ভি এর কন্ঠে গাওয়া টার্ন দিজ লাভ এরাউন্ড মূলত আপলিফটিং বীটে শুরু এবং গায়কীতে ব্লুজ টোন আছে। টেম্পো ট্রেন্সের হলেও গানটা ট্রেন্স না, মূলত এটাকে পপ মিউজিক বলাই শ্রেয়।

ওন্ট লেট ইউ গোতে অরুনা কন্ঠ দিয়েছে মূলত প্রোগ্রেসিভ ভোকাল ট্রেন্স তবে গানটা মিউজিক নির্ভর।

ইন টেন ইয়ারস ফ্রম নাও মূলত প্রোগ্রেসিভ ঘরানার ড্রিম ট্রেন্স। গতানুগতিক টাইপ লেগেছে ট্রাকটা।

ফরএভার ইজ ইওরস এমাহুয়িটের কন্ঠে গাওয়া আরেকটি ট্রেন্স। প্রথমে আপলিফটিং ইন্ট্রোতে একটু বোরিং ভাব আসলেও যখন প্রোগ্রেসিভ সাউন্ডে এমা হোয়িটের গান শুরু হয় তখন পুরো ট্রাকটাই পাল্টে যায়। তখন শ্রোতা আগের মুডটার সাথে সংযোগ ঘটানো শুরু করে এবং যখন পরে এমা হোয়িটের পপ টোনের সাথে ট্রেন্স লেভেল টোনটা বাড়তে থাকে তখন অনেকের মনে গ্যারেথ এমরীর মিউজিক স্টাইলের কথা মনে পড়ে যাবে। গ্যারেথ এমেরী সাধারন মেইন টোনের ইন্ট্রোতে স্কুইজ মুড আনে পরে সেটার টেম্পো বেড়ে বিস্তৃত লাভ করে এবং গানের আসল মজা তখনই শুরু হয়।

লাভ নেভার কেম ব্যাকেড প্রোগ্রেসিভ হাউজ সাব জেনরার ট্রাকটি ইন্ট্রো বীটের সাথে পাওয়ার বীটের কাজগুলো দারুন হয়েছে।রিচার্ড বেডফোর্ডের গায়কী মোটামোটি বলেই মনে হয়েছে যেটা আর্মিন তার মিউজিক দিয়ে পুষিয়ে নিয়েছে। কম্পোজিশনের প্রতিটা ধাচে অসাধারন মুন্সিয়ানার ছাপ আছে যেখানে রিচার্ড বেডফোর্ডের ব্রীজে সমস্যা মনে হলেও সেটা মিউজিকের বীটের সাথে মানিয়ে গিয়েছে।

এমনকি হু'জ এফ্রেইড অব ১৩৮ এও একই ঘটনা। কিন্তু যখন পুরো এলবাম টা শোনা হবে তখন ভুলটা ভাংবে। বিশেষ করে হঠাৎ করে গীটারের রীফের কাজ তার সাথে সিন্থেসাইজার রিমিক্স যেটা মূলট সিন্হপপ জেনরারর, সেটাতে আসলেই নতুনত্ব আছে।

এই ট্রাকের সেকেন্ড পার্ট রিপ্রাইজে সবচেয়ে বড় ধাক্কাটা শুরু হয় যখন এর রক স্কেলটা শুরু হয়। গীটারের ধ্রুপদী ব্যাব হার মনে হয়েছে ট্রেন্স মিউজিকের সাথে রকের এমন সমন্বয় আসলেই এক স্বতন্ত্র শৈল্পিক সমন্বয়ের লক্ষন! এই ট্রাকটা ট্রেন্স না, এটা রক ট্রাক। এবং রক ভক্তরা যদি কখনো শুনে থাকে তখন অবশ্যই বলতে হয় ট্রেন্স গড যখন রক বাজায় তখন সবাই মাথা নোয়ায়।

যখন ট্রেন্সের গড ভায়োলীন আর গীটার তুলে নেয় তখন তাতে ধ্রুপদী খেলবেই, কারন ঈশ্বর কখনো ভুল করে না আর সেই ঈশ্বরের নাম যদি হয় আর্মিন ভ্যান বিউড়েন।

আর্মিনের মিউজিকের একটা সেন্স খুব প্রখর বলা যায়। দীর্ঘ ২৬ বছরের মিউজিক ক্যারিয়ারে ও জানে দীর্ঘক্ষন সেটে মিউজিক বানাতে গেলে ঠিক কখন কোন ভ্যারিয়েশনে বাজালে শ্রোতাদের মধ্যে বোরিং বা মনোটোন ভাবটা আসবে না। আপলিফটিং সাব জেনরাতে এই রিস্কটা বেশী থাকে যার কবলে পল ওকেন ফিল্ড বা পল ভ্যান ডাইক স হ অনেকের মিউজিক প্রচন্ড এক ঘেয়েমী লাগে, ভ্যান বুড়েন সেই সমস্যাটা দূর করেছে ভ্যারিয়েশন মিউজিক নোট ইন্ট্রোডিউস তাও আবার ডিফারেন্ট কর্ডে আর মুডে।

যারা দীর্ঘদিন ওর স্টেট অব ট্রেন্স শুনেন তারা এই এলবামে যাবতীয় সকল এক্সপেরমেন্টের পরিশুদ্ধ রূপ দেখতে পাবেন।

যাই হোক, মিউজিকের বিপ্লব আজ কোথায় গিয়ে দাড়িয়েছে সেটা বাংলাদেশে বসে বুঝতে গেলে মাথার চুল নষ্ট হবে। আজাইরা পলিটিক্সে মাথার চুল নষ্ট করে আসুন সৃষ্টিশীল কাজে মন দেই!

রেফারেন্স

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই মে, ২০১৩ ভোর ৪:৩২

মাহমুদুল হাসান কায়রো বলেছেন: X( X( X( X((

০৭ ই মে, ২০১৩ ভোর ৫:১০

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: কাহিনী কি?

ভালো কথা এলি এন্ড ফিলা কিন্তু মিশরীয়

২| ০৭ ই মে, ২০১৩ ভোর ৪:৪০

রেড ওয়াইন বলেছেন: ভালো লাগলো!

০৭ ই মে, ২০১৩ ভোর ৫:১১

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: ধইন্যা!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.