নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ঈশ্বর পটল তুলছে - নীৎসে/নীশে/নিৎচা

উদাসী স্বপ্ন

রক্তের নেশা খুব খারাপ জিনিস, রক্তের পাপ ছাড়ে না কাউকে, এমনকি অনাগত শিশুর রক্তের হিসাবও দিতে হয় এক সময়। গালাগাল,থ্রেট বা রিদ্দা করতে চাইলে এখানে যোগাযোগ করতে পারেন: [email protected]

উদাসী স্বপ্ন › বিস্তারিত পোস্টঃ

রক্তস্নাত

০৮ ই জুন, ২০১৩ ভোর ৬:৪৩

১.

: তুমি কি জানো পাগলামী এ সময়ের জন্য ঔষুধ হতে পারে?
: কিভাবে?
: নির্দিষ্ট পরিমানের পাগলামীকে আমরা তেলের মতো মজুত করতে পারি। একটা জন গোষ্ঠীকে তাতে নেশাতুর করতে পারি। আধুনিক সমাজ মানুষকে অনেক অপশন দিয়েছে কিন্তু দিতে পারেনি তার মৌলিক অধিকারের চিরস্হায়ী নিরাপত্তা। এই চিরস্হায়ী নিরাপত্তার জন্য সে বারংবার দায়ী করে রাস্ট্রব্যাবস্হার কর্নধারকে। তাহলে কেন নয় এই পাগলামীর মজুতীকরন?
: হুমম....তেল খুব দামী। কিন্তু এতে তোমার লাভ কি?
: বন্ধুত্বের এক অনন্য সুযোগ।নিজের একাকীত্বের বহুমুখী সমাধান।
: তাহলে তো ওপাশ থেকে এক পা আগালে তোমাকে এক পা পেছাতে হবে।
: তাতে কি পাগলামীকে ছড়িয়ে দেবার পরিস্হিতিকে দেখা ছাড়া আর কোনো উপায় থাকে না?
: মাঝে মাঝে চেয়ে চেয়ে দেখা ছাড়া আর কীইবা করতে পারি! আসল ব্যাপার হলো তোমার হাতের নাটাইটা তুমি কিভাবে ঘুরাচ্ছ।

শাহেদ মুচকী হাসি হাসলো। তিন্নী সাইকোলজীতে পিএইচডি করছে জার্মানীর পোস্টড্যাম ইউনিভার্সিটিতে, সামারে দেশে এসেছে কিছুদিনের জন্য। দেশের আসার উদ্দেশ্য তিন্নীর নিজের কাছেই খুব একটা পরিস্কার না। ফেসবুকে শাহেদের সাথে পরিচয়, শাহেদের মতো ভালো সাবজেক্ট আর হয় না, মনে মনে সেই লোভ সামলানো যায়নি।

: আজকে উঠি। আমাকে একটু ঢাকার বাইরে যেতে হবে। ইটের ভাটার ব্যবসা ভালো যাচ্ছে না। ভাবছি এই তত্বটার প্রয়োগ করবো।
: পিঠ বাচিয়ে চলবেন।

শাহেদ ফ্লাট থেকে বেরিয়ে যাবার সময় বলে উঠলো,"পরশুদিন সাভার, মনে আছে তো?"

তিন্নী একটু ভেবে রহস্যহাসি দিতে চেষ্টা করলো,"ভেবে দেখবো!"

শাহেদ ১৫০০ সিসির হোন্ডাটা স্টার্ট দিলো। ঢাকা শহরে ১৫০০ সিসির হোন্ডার লাইসেন্স পাওয়া যায় না। তবু যার ক্ষমতা আছে সে চালায়। দেশটা চলে গেছে গুটিকয়েক মানুষের হাতে।

২.

আজ মাঘী পূর্নিমা। জ্যোৎস্নার আলোটা দেখে মনে হচ্ছে বরফের মধ্যে যখন চাদের আলোর প্রতিফলিত হয় ঠিক সেরকম লাগছে। বাতাসটাও চমৎকার, না ঠান্ডা না গরম। বর্ষাকালে এমন পরিস্কার আকাশ কখনো ভাবা যায়?

শাহেদ বেশ বিষন্ন। ওর বাগানবাড়িটার সামনে বিশাল জায়গা, চারিদিকে গাছে ঘেরা। এক কোনায় কাঠ পুড়িয়ে বিশাল খাসি ঝলসানো হচ্ছে। শাহেদ নিজ হাতে চামড়া ছুলে সেখানে সেট করেছে মাল মশল্লা দিয়ে। অনেকটা গ্রীল পার্টি।

: আমি বলেছিলাম জার্মানী গিয়েও ভুলতে পারবেন না এমন গ্রিল পার্টি। যত ক্যাম্পিং করেন না কেন! এই নিন শুরু করুন।

তিন্নী বিয়ারটা শেষ করে মুখে পুড়লো খাসির গোস্ত....অসাধারন। দেশের মশল্লায় একটা আলাদা ঝাজ আছে যেটা বিদেশে পাওয়া যায়।
: গ্রীল এত সুন্দর কিভাবে শিখেছেন?
: পুরান ঢাকায় রোজার সময় প্রায় সবগুলো বড় বড় হোটেলে খাসির গোস্ত এরকম প্রথমে গ্রীল করে মশল্লা মাখিয়ে। আমার এক কাস্টমার ছিলো যার পুরান ঢাকায় এমন হোটেল ছিলো। সে আমাকে প্রতি রোজায় এরকম বিশাল দাওয়াত করে খাওয়ান। সেখান থেকেই শেখা। ভালো কথা হুইস্কি আর ভোদকার বোতল আছে।
: না না.....এত ড্রিংক করতে পারবো না। আমি সামলাতে পারি না।
: জাস্ট শুরু করেন।

তিন্নী হুইস্কি আর ভোদকার দুটো পেগ মেরেই পুরো হ্যাং হয়ে গেলো। টলতে লাগলো। শাহেদ বলতে থাকলো,"তিন্নী, একটা কথা বলি। খুব গোপন কথা। আমার একটা গোপন অভ্যাস আছে। অভ্যাসটা আমি পেয়েছি আমার বাবার কাছ থেকে।"
তিন্নি ঘোরের মধ্যে একটা ফিচকি হাসি দিয়ে বললো,"আমি জানি।তুমি রক্ত খুব পছন্দ কর। তোমার বাবা শিকারী ছিলো।"
: এটা আমি তোমাকে বলেছিলাম। আমার বাবা শুধু শিকারী ছিলো না।
: সত্যি করে বলতো, তোমার মা কি তোমার বাবা মেরেছে?
: (শাহেদ হাসি দিলো একটা) না, আমি মেরেছি। আমার বাবা দারোয়ানকে রাতের আধারে গলা কেটে ফেলে তার রক্তের ফিনকি দেখছিলেন, তখন আমি সেটা দেখে ফেলি। আমার চোখের জ্বল জ্বল দেখে আমার বাবার মাথায় খুন চেপে যায়। সে চাননি আমিও তার মতো হই। সে বাড়ি ফিরে সেদিন আর কিছু বলেননি। খুব ভোরে বাড়ি থেকে চলে যান। বিকেল বেলা বাড়ি ফিরে দেখেন মায়ের গলা কাটা, ফিনকি দিয়ে রক্ত বেরুচ্ছে। আর আমি পাশে দাড়িয়ে। সে অনেকটা পাগলের মতো হয়ে যায়।
: তুমি এই পর্যন্ত কতগুলো মানুষ মেরেছো?
: ২৭ টা।
: (তিন্নির হাসি বন্ধ হয়ে গেলো, অনেকটা সংজ্ঞাহীনের মতো বলতে লাগলো) শিট.. কেন এতো বড় ভুল হলো?

শাহেদ তিন্নীর নিদ্রিত দেহটা পলিথিনে ঘেরা একটা ঘরে নিয়ে গেলো। তারপর হাতের আর পায়ের রগ কেটে ফেললো। এরপর গলায় একটা সার্জিক্যাল ব্লেড দিয়ে একটা পোজ দিয়ে দিলো। ফিনকি দিয়ে রক্ত বেরিয়ে চারিদিকে ছিটিয়ে পড়ছে। সেই রক্তের স্রোতধারায় শাহেদ নিজেকে স্নাত করলো। ছবি তুললো ডিএসএলআরে।

শাহেদ একটু পর এই লাশটা ইটের ভাটার চুল্লীতে ফেলে দেবে। বর্ষাকালে ইটের ভাটা বন্ধ থাকে। অনেকে চুলো বন্ধ করে দেয়। শাহেদ বন্ধ করেনি, ওখানে ও লাশ জমাচ্ছে। ওর ইটের কারিগর রহমত মিয়া এক অদ্ভুত মিথের কথা বলেছিলো যে মানুষের রক্তে মাখা ইটে গড়া দালানে নাকি আত্মারা বসবার করে। ওর রক্তবিহীন আত্মাদের গোঙ্গানী শুনতে যায়, তাদের মর্ত্যের চিৎকারে নিজেকে এক শিকারী হিসেবে উথ্থীত করতে চায়। ১০ টা মানুষের দেহের লেলিহান শিখায় পোড়া ইটে নিজেকে ঈশ্বর হিসেবে ধারন করতে চায়।

মন্তব্য ১৬ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (১৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই জুন, ২০১৩ রাত ৮:৪৬

রাতুল_শাহ বলেছেন: দেশের মশল্লায় একটা আলাদা ঝাজ আছে যেটা বিদেশে পাওয়া যায়।

লাইনটা ক্লিয়ার হতে পারলাম না ভাই।

১১ ই জুন, ২০১৩ ভোর ৪:০৩

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: কনসেপ্ট হলো এভাবে যে দেশে বেশীরভাগ পরিবারে কাচা হলুদ মরিচ জিরা কিনে এনে সেগুলো গুড়ো করে মশল্লা বানায় আর ইউরোপে রেডিমেড টিআরএস বা অন্যান্য মশল্লা ব্যাব হার করা হয় যেগুলো স্বভাবতই ঝাঝ বা স্বাদটা কম থাকে। অনেকসময় রান্নার ওপরও নির্ভর করে।

২| ০৯ ই জুন, ২০১৩ রাত ১:১৭

আশরাফুল ইসলাম দূর্জয় বলেছেন:
কিছু কিছু লাইনে অদ্ভূত মুন্সিয়ানা ছিলো।
লেখাটা সব মিলিয়ে ভালো লেগেছে।।

১১ ই জুন, ২০১৩ ভোর ৪:০৪

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: লেখাটা একবসায় লেখা, এটাকে আরও ডেভেলপ করা যায়, অনেক তথ্য দিয়ে পাঠককে সরাসরি ইনভলভ করা যায়

৩| ০৯ ই জুন, ২০১৩ রাত ১:৩৭

জেনো বলেছেন: খেলুমনা। টেকনিক্যাল লেখা চাই। B-) B-) ;)

১১ ই জুন, ২০১৩ ভোর ৪:০৪

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: টেকনিক্যাল লেখা লিখতে ডর লাগে, কখন কে নাস্তিক খেতাব দিয়া বসে আল্লাহ জানে

৪| ০৯ ই জুন, ২০১৩ দুপুর ২:১৫

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: ভালো।

১১ ই জুন, ২০১৩ ভোর ৪:০৫

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: কুনটা?

৫| ০৯ ই জুন, ২০১৩ দুপুর ২:৩৪

হাসান মাহবুব বলেছেন: সাইকো গফ আরো লেখেন।

১১ ই জুন, ২০১৩ ভোর ৪:০৮

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: এটা সাইকো গল্প হলেও অনেকটা সাইকোলজি বেজ। সাইকোলজী সম্বন্ধে আমার খুব একটা ধারনা নেই এই জন্য যে একজন সাইকোলজিস্ট যেভাবে একটা সাবজেক্টকে ডীল করে কাউন্সেলিং এর সময় সেটা এখনও শতভাগ আমার কাছে ক্লিয়ার না। আর এরকম গল্প লিখতে গেলে সাবজেক্ট আর অবজার্ভার দুদিক থেকেই ভাবতে হয়।

অনেক সময় দিতে হবে এরকম লেখায় যেটা আমার পক্ষে সম্ভব নয় আপাতত, তবে ফেসবুকে এর ভার্সন আকারে ডেভেলপ করার ইচ্ছে আছে

৬| ০৯ ই জুন, ২০১৩ দুপুর ২:৪৬

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: শর্ট সাইকো গল্প দেখি ! বিস্তারিত হলে ভালো হতো ।

১১ ই জুন, ২০১৩ ভোর ৪:০৮

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: দেখি এর আপডেট ভার্সন লিখতে পারি কিনা

৭| ১৭ ই জুন, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:০৩

নির্লিপ্ত বলেছেন: খুব তাড়াহুড়ো করে লিখা মনে হয়েছে।

২২ শে জুন, ২০১৩ রাত ৮:১১

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: ঠিক ধরেছেন। গল্পের প্লট টা মাথায় আসে যখন আমি নীচের গানটা শুনতেছিলাম।



তারপর গল্পটা লিখে ফেলি ১৭ মিনিটে। তারপর শুয়ে পড়ি!মাঝখানে একবার বানান চেক করেছিলাম মনে হয়

৮| ০২ রা জুলাই, ২০১৩ রাত ৯:৫৪

পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: তুই একটা আস্ত বেয়াদব

০৩ রা জুলাই, ২০১৩ রাত ১:৪১

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: সামুতে আপনি স্বঘোষিত কবি ও সাহিত্যিক কিন্তু এমন একটা পোস্ট নেই যেখানে বানান বা বাক্যে ভুল নাই। প্রতিটা বাক্যে বানানরীতি আর শব্দের প্রয়োগ দেখলে মনে হয় ৫ পাস পোলাপান ইন্টারনেট ব্যাব হার করছে। আপনার প্রতিটা পোস্ট এর প্রমান।

আপনার এই পোস্টে একটা আয়াতে অর্থ লিখেছেন যেটাকে আপনি বলছে কোরান শরীফের ৭ এবং ৯ নম্বর আয়াতের অর্থ। আপনার অর্থ এভাবে লিখেছেন

যারা বায়াত হয় বা মুরিদ হয় তাদের হাত রাছুলের হাতের উপর আর রাছুলের হাত আল্লাহর হাতের উপর । নিশ্চয় আল্লাহ ক্ষমা শীল ।
কোরআনের একটি অক্ষর বা আয়াত কে অস্বীকার কারী আল্লাহকে অস্বীকার কারী , আর যারা আল্লাহকে অস্বীকার করে
তারা নাস্তিক , তাদের ধর্ম কর্ম , এবাদত , আল্লাহর নিকট গ্রহণীয়
নয় ।


অথচ কোরানের ঐ সূরার অর্থ পুরোপুরিই অন্য যার নিম্নরূপ:

৭) নভোমন্ডল ও ভূমন্ডলের বাহিনীসমূহ আল্লাহরই। আল্লাহ পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়।
৮)আমি আপনাকে প্রেরণ করেছি অবস্থা ব্যক্তকারীরূপে, সুসংবাদদাতা ও ভয় প্রদর্শনকারীরূপে।
৯) যাতে তোমরা আল্লাহ ও রসূলের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন কর এবং তাঁকে সাহায্য ও সম্মান কর এবং সকাল-সন্ধ্যায় আল্লাহর পবিত্রতা ঘোষণা কর।

রেফারেন্স

আপনি নিজেকে আহলে হাদিসের লোক বলেন অথচ আপনি স্বজ্ঞানে কোরানের ভুল অর্থ করলেন এবং পোস্টের টাইটেলে বললেন মাজার পূজা নিষিদ্ধ কিন্তু পোস্টের পুরোটাই পীরে আউলিয়াদের মাজার জিয়ারতের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে অগোছালো কথা।

আর আপনার এহেন আচরন দেখেই আপনাকে বুদ্ধিপ্রতিবন্ধি আর একটা পাগল বলাতে আপনি বললেন আমি বেয়াদ্দব।

তো এখানে একটু ভুলও বলছেন আমি শুধু বেয়াদ্দবও না, সন্ত্রাসীও। দেশে আমি চড় থাপ্পড় ছাড়া কথা কই না। আর তোর যা শরীর দুই ঠ্যাং ধইরা টান দিয়া ছিড়া ফালানোর মতো গায়ের শক্তিও আমার আছে। খালি এখন যেইটা দরকার সেইটা হইলো যদি পুরুষ হইয়া থাকস তাইলে বাড়ির ঠিকানা দে, তোর বাড়ীর সামনে তোর পরিবারের সামনে আমি তোরে এক টানে ছিড়ুম.... যা ফুট দুই টাকার ওগোলটাকি!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.