নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ঈশ্বর পটল তুলছে - নীৎসে/নীশে/নিৎচা

উদাসী স্বপ্ন

রক্তের নেশা খুব খারাপ জিনিস, রক্তের পাপ ছাড়ে না কাউকে, এমনকি অনাগত শিশুর রক্তের হিসাবও দিতে হয় এক সময়। গালাগাল,থ্রেট বা রিদ্দা করতে চাইলে এখানে যোগাযোগ করতে পারেন: [email protected]

উদাসী স্বপ্ন › বিস্তারিত পোস্টঃ

স্ট্রিং থিওরী------------------------------------- স হজ কথায় যা বুঝি-১

০৫ ই অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১০:০১

[পোস্ট সহযোগী কিছু লেখা:

পার্টিক্যাল ফিজিক্সের বিভিন্ন কনিকা এবং ব্যাপার নিয়ে সহজে লেখা।

থিওরী অব এভরিথিং নিয়ে কিছু ছিটেফোটা

সুপার সিমেট্রির হাল হকিকত নিয়ে কিছু একটা লেখার চেষ্টা

সবকিছু যে ক্ষেত্রময় সেটার ওপর একটু আলোকপাত করা হইছে এই লিংকে।]

মাঝরাতে ঘুম ভাঙার পর আর ঘুম আসছে না। প্রচন্ড ক্ষুধা লেগেছে কিন্তু ভাত রাধার মতো ইচ্ছে নেই। শীতের কনকনে হাওয়ায় হাড্ডি জমে গেলেও জানালা খুলে তারার আলোয় চকচকে আকাশ দেখতে খারাপ লাগছে না।

নিঃসঙ্গতাকে কাটানোর জন্য মানুষ কতকিছু করে। মদের নেশায় ডুবে ডিস্কোতে গা ভাসিয়ে দেয়। ডিস্কো শেষে নাম না জানা তরুনীর সাথে সখ্যতা, হাসি ঠাট্টার মাতলামীতে ডুবে গিয়ে রাত কাটানো হতে পারে একটা অন্যরকম জীবনের অংশ। আবার হতে পারে বিশাল একটা ডেরিভেশন মাথার মধ্যে ঘুরতে ঘুরতে হঠাৎ একটা দুটো প্যারামিটার ওলট পালট করে দিলে অদ্ভূত ইকোয়েশন দাড়িয়ে যায়।

প্রতিদিন প্রতিরাত শিখছি, শিখবার শেষ নেই। হাতের তালুতে তাকিয়ে দেখি অনেক অনেক রেখা। এসব রেখাগুলোকে সুতোর মতো ধরে নিলাম। অনেক অনেক সুতো।নাইলনের সুতো, রেশমী সুতো।

এই মহাবিশ্বের সবকিছুই সৃষ্টি এরকম সুতো দিয়ে। এই সুতো অবশ্য কোনো নাইলন বা রেশমীর তৈরী নয়, শক্তির তৈরী। শক্তির তৈরী জিনিসটা হয়তো অনেকের বুঝে আসবে না। যদি বলি আমরা যখন কোনো কিছু ভাংতে ইলেক্ট্রন কোয়ার্ক লেভেলে চলে যাই তখন সেগুলো কিসের তৈরী সেটা ভাববার চেষ্টা করি। তখন আর কোনো কনিকা পাবো না। পাবো শক্তি। এই ধারনা থেকেই এটম বোমার সৃষ্টি হয়েছিলো। যতরকম পারমানবিক শক্তির চিন্তা চেতনা এই মূল ভাবনা ঘিরেই। আইনস্টাইন একে E=mc^2 হিসেবে বলে গেছেন।

এই স্ট্রিং বা শক্তির তন্তু দিয়েই সবকিছুর সৃষ্টি। যারা ইলেক্ট্রিক্যাল ইন্জ্ঞিনিয়ারিং এ পড়ছেন তারা জেনে থাকবেন যে কোনো প্রকারের সিগন্যালকে আমরা সাইনোসয়ডাল ওয়েভ দিয়ে ব্যাখ্যা করতে পারি। একে বলি আমরা হারমোনিকস। ল্যাপ্লাস ট্রান্সফরমেশনে নিয়ে সব গুলো সরলীকরন করা যায় খুব স হজে। স্ট্রিং থিওরীর ক্ষেত্রে সেম কাজটাই করা হয় তবে তাকে হিলবার্ট স্পেস বলা হয়। এই অংশটা যারা ইলেক্ট্রিক্যাল ইন্জ্ঞিনিয়ারিং এ পড়ালেখা করছেন না তাদের না বুঝলেও চলবে।

এই স্ট্রিং দিয়েই স্ট্যান্ডার্ড মডেলের সকল কনার সৃষ্টি। মহাবিশ্ব যদি একটা বিল্ডিং হয় তাহলে স্ট্যান্ডার্ড মডেলের কনিকা সমূহ হলো এর ইট আর চারটি মৌলিক বল হলো এই ইট গুলোকে বিভিন্ন সজ্জায় রেখে দেয়ার সিমেন্ট বা আঠা। এই মডেলে ১২ রকমের মৌলিক ব্লক বা ইট আছে যার মধ্যে ছয়টা হলো বিভিন্ন রকমের কোয়ার্ক। এই কোয়ার্কের শ্রেনীবিন্যাস এভাবে করা যায় যে এগুলো একেকটা শক্তির ডিব্বা বা আধার। এদের নামগুলো হলো উপর, নীচ, চার্ম, স্ট্র‌্যান্জ্ঞ, শীর্ষ, সর্বশেষ। ব্লকের বাকী ছয়টা লেপটন নামে পরিচিত যার মধ্যে ইলেক্ট্রন, মিউওন, টাউওন, নিউট্রিনো পড়ে।

চারটি মৌলিক বল হল তড়িৎচৌম্বকীয় বল, গ্রাভিটি, শক্তিশালী এবং দুর্বল আনবিক বল।এই বল গুলো বিভিন্ন মৌলিক কনিকার মাধ্যমে বাহিত হয়। যেমন ফোটন কনিকা যাকে আমরা আলোক কনিকা হিসেবে চিনি এই কনিকা তড়িৎচৌম্বকীয় বল বহন করে। যখন দুটো চুম্বক একে অপরকে আকর্ষন করে তখন এরা একে অপরের সাথে ফোটনের আদান প্রদান করে। গ্রাভিটি গ্রাভিটন নামক কনিকা দ্বারা বাহিত।শক্তিশালী বল গ্লুওনের আট টি কনিকা দ্বারা বাহিত এবং দুর্বল আনবিক বল W+, W- , Z কনিকা দ্বারা বাহিত।

যদিও সবগুলো বল বাহী কনিকা সমূহ পর্যবেক্ষন করা গেলেও গ্রাভিটন এর খোজ এখনো পাওয়া যায়নি সেহেতু এটা এখনো হাইপোর পর্যায়ে আছে কিন্তু এটা করা গেলে মূলত স্ট্রিং থিওরীর জন্য আর কোনো বাধা থাকে না। আর স্ট্রিং থিওরীর মাধ্যমে সবগুলো ব্যাখ্যা করা যায় বলেই একে বলা হয় থিওরী অব এভরিথিং।

পর্ব ২

মন্তব্য ২৯ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২৯) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১১:৩৮

দি ফ্লাইং ডাচম্যান বলেছেন: সহজই লাগলো আপাতত! :)

০৫ ই অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৫:১৯

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: রাতে ঘুম আসতেছিলো না। তাই মাথায় যা আসছে লিখে দিছি। যদি ডিটেলসে লিখতাম তাহলে হয়তো খবর আছিলো

২| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১১:৪৯

আমি সাজিদ বলেছেন: সহজ কথায় বুঝলাম উদাসী দা।তবে, হিলবার্ট স্পেস বুঝি নাই।তবে বাকি কিছু বুঝতে ওটার দরকার হয় নি।আচ্ছা, গ্রাভিটন বিষয়ে হাইপোগুলা কি কি?
পোস্ট আরেকটু বড় করলে ভালো হতো

০৫ ই অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৫:২৪

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: হিলবার্ট স্পেস নিয়ে পরে বলবো। এখন বললে কিছু বুঝবেন না।তবে সংক্ষেপে জানতে চাইলে এখান থেকে ঘুরে আসতে পারেন। আর ডিটেইলে এখানে কিছুটা পাবেন।

৩| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১১:৫৪

নেক্সাস বলেছেন: বিজ্ঞান ! ওরে বাপ্রে আমারে ধর....

০৫ ই অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৫:২৫

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: কে ধরবে আপনাকে?

৪| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১:১৫

ইরফান আহমেদ বর্ষণ বলেছেন: সহজ কথায় বুঝছি......... :)

০৫ ই অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৫:২৫

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: এত ডিটেইলে বোঝার কিছু নাই। আমরা তো আর সার্নে চাকুরী করবো না!

৫| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১:৩২

শীলা শিপা বলেছেন: কঠিন কঠিন সব কথা!!! আবার পড়তে হবে...

০৫ ই অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৫:২৬

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: পদার্থবিজ্ঞান খুবই বোরিং জিনিস

৬| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:২৯

ম্যাভেরিক বলেছেন: "যদি বলি আমরা যখন কোনো কিছু ভাংতে ইলেক্ট্রন কোয়ার্ক লেভেলে চলে যাই তখন সেগুলো কিসের তৈরী সেটা ভাববার চেষ্টা করি। তখন আর কোনো কনিকা পাবো না। পাবো শক্তি। এই ধারনা থেকেই এটম বোমার সৃষ্টি হয়েছিলো।"

না, ক্রমাগত বিভাজনের ফলে একসময় শক্তি/স্ট্রিং পাব, এ ধারণা থেকে এটম বোমা সৃষ্টি হয়নি। কোয়ার্কের আবিষ্কার বা শক্তির স্ট্রিং ধারণার অনেক আগেই জাপানে লিটল বয় আর ফ্যাট ম্যানকে ছেড়ে দেয়া হয়েছিল। তেজস্ত্রিয়তা এবং পারমাণবিক বিভাজনে বহু বিজ্ঞানীর ধারাবাহিক পর্যবেক্ষণ/গবেষণার ফল বোমা, এবং তা কোয়ার্ক-স্ট্রিং যুগের আগে।

"যদিও সবগুলো বল বাহী কনিকা সমূহ পর্যবেক্ষন করা গেলেও গ্রাভিটন এর খোজ এখনো পাওয়া যায়নি সেহেতু এটা এখনো হাইপোর পর্যায়ে আছে কিন্তু এটা করা গেলে মূলত স্ট্রিং থিওরীর জন্য আর কোনো বাধা থাকে না।"

স্ট্রিং থিওরি যেহেতু সবই ব্যাখ্যা করতে চায়, এজন্য আসলে কিছুই ব্যাখ্যা করতে পারে না। এর সুনির্দিষ্ট প্রেডিকশান ক্ষমতা, বিজ্ঞান তত্ত্বের জন্য যা মূল পূর্বশর্ত, প্রায় শূন্য এবং নানা বিভ্রান্তিতে ভরা। গজিয়েছে এর অনেক অনেক শাখা-প্রশাখা। এখন পর্যন্ত স্ট্রিং-এর অস্তিত্বে সুনির্দিষ্ট কোনো পরীক্ষাই সম্পাদন করা সম্ভব হয়নি। সুতরাং গ্রাভিটন পেয়ে গেলেই বাধা থাকবে না, কথাটি অতিকথন। বরং একটি সুশৃঙ্খল তত্ত্ব হিসেবে গড়ে উঠতেই স্ট্রিং থিওরিকে বহু, বহু দূরের পথ পাড়ি দিতে হবে।

০৫ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৯:২৫

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: কেমুন আছেন?

যাই হোউক, আমি ইতিহাস নিয়া মোটেও ইন্টারেস্টেড না। কথাটা বলছি কনসেপ্ট থিকা। আপনের যতটুক কপি করছেন তার পরের লাইনে আইনস্টাইনের একটা সূত্র দিছি যেই সুত্রের মাধ্যমে সবাই বুঝতে পারে ভরের সাথে শক্তির কি সম্পর্ক। সুত্রটা যদি আমি আভিধানিকভাবে ব্যাখ্যা করি তাহলে যেইটা বলা যায় কোনো কিছুর ভর তার সর্বোচ্চ শক্তির থেকে আলোর গতির বর্গের ভাগফল। এইটাকে এইভাবেও বলা যায় ভরযুক্ত কনিকা ভাংলে শক্তির বিচ্ছুরন ঘটবে। আটম বোমা এইখান থিকাই বানানো হইছে। তবে যতদূর মনে পরে মোফাত সাহেব আইনস্টাইনরে ৩০ এর পরে একখান চিঠি লিখে জানায় তার এক্সট্রা ডাইমেনশন আর স্ট্রিং এর সাথে সময়ের সম্পর্কটা কি রকম হতে পারে। তখন আইনস্টাইন সাহেব দুঃখ করে বলে আসলে পদার্থবিজ্ঞান কুন ঠেলায় আছে বোঝা মুশকিল (পুরা আভিধানিক ইন্টারপ্রেট করতে পারলাম না)। তবে আিন্সটাইন সাহেব মরনের কিছউ আগে মোফাতের জার্নাল নিয়া কাজ শুরু করছিলেন সাথে কালাবীর জার্নাল দিয়া দেখানোর ট্রাই মারছিলেন চার বলের একীভূত করন।

আশ্চর্য্যের ব্যাপার হইলো ১৯৩৪ সালেই হিলবার্ট সাহেব তার হিলবার্ট স্পেসের ধারনা দিয়ে স্ট্রিং তত্বের বেসিক দিয়া দিছে। তো কথা হইলো স্ট্রিং এর ধারনা অনেক আগে থিকাই আইসা গেছিলো যখনও কোয়ার্ক বা কোয়ান্টাম ম্যাকানিক্সের উদ্ভব ঘটে নাই। অনেকটা ডিমের আগে মুরগী আসা আর কি। এখন আপনি নিউক্লিয়ার ফিউশন আর ফিশন দুটোর টাইম লাইন করেন। সবগুলোই কিন্তু একই সময়ে আইসা মিশছে।

আপনার কথা ঠিক ব হুবিজ্ঞানী গবেষনা করে আগেই বের করছে কিন্তু আইনস্টাইন যা করছে সেগুলাকে স হজভাবে একটা ইকোয়েশনে নিয়ে আসছে। এই কথাটা আমি ব হু আগেই অনেক পোস্টে ব্যাখ্যা করছি।

স্ট্রিং থিওরীর অনেক ভুল আছে কিন্তু সবাই এটাও জানে সবার মূলে এই স্ট্রিং ঐ আসবে। এইজন্যই বলা হয় আইনস্টাইনের দরকার। কারন অনেক তথ্য আমরা জানি কিন্তু জানি না কোনটা ঠিক কোনটা বেঠিক।কিন্তু এটা বলা যায় সবাই ঠিক পথেই আছে। আর তাইতো দেখেন সাম্প্রতিক বিটা-টাউ-টাউ চ্যানেলের রিভার্স অপ্রতিসাম্য অথবা মিউন-টাউ-টাউ চ্যানেলে এনার্জী মিসিং আর নব্য আবিস্কৃত কনিকা সমূহ তো সুপার সিমেট্রির দিকেই যাচ্ছে। সুপার সিমেট্রি তখন প্রমানিত হবে যখন হিগসীর বাকী বাকী ৪টা খুজে পাওয়া যাবে।

এটা ঠিক স্ট্রিং তত্ব পরিশীলিত নয়, তবে আমি স্ট্রিং এর পক্ষে এবং পরিশীলিত হবে একদিন সেটা যেভাবেই হোক, যত হতাশাই থাকুক।

আমি অবশ্য সুপার সিমেট্রি নিয়ে একটা লেখা লিখেছিলাম যেখানে এর বিস্তারিত কিছুটা খুজে পাবেন। আরও বিস্তারিত তথ্য দেয়া দরকার তবে কিছু জার্নাল এখনও পড়া হয়ে ওঠেনি

৭| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৮:০০

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: স্ট্রিং থিওরি নিয়ে পোস্ট ভালই লাগল।

০৫ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৯:২৫

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: ধইন্যা

৮| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১১:১০

ম্যাভেরিক বলেছেন: আছি ভালো। আপনার কী খবর?

যেভাবেই কনসেপ্ট ব্যাখ্যা করা হোক, আমাদের মনে রাখতে হবে এটম বোমা তৈরিতে স্ট্রিং-এর ধারণা, এমনকি E=mc^2-এরও উল্লেখযোগ্য কোনো ভূমিকা নেই। তা না হলে কনসেপ্ট ভুল হবে। :)

"আশ্চর্য্যের ব্যাপার হইলো ১৯৩৪ সালেই হিলবার্ট সাহেব তার হিলবার্ট স্পেসের ধারনা দিয়ে স্ট্রিং তত্বের বেসিক দিয়া দিছে।"

না, হিলবার্টের কাজ এখানে শুধু হিলবার্ট স্পেসের ধারণা দিয়ে গিয়েছে। হিলবার্ট স্পেস হচ্ছে আমাদের জ্যামিতির ইউক্লিডীয় স্পেসের সাধারণ, বিস্তৃত রূপ। ইউক্লিডীয় স্পেসের বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য দ্বারা যেমন জ্যামিতি, বীজগণিত, পদার্থবিদ্যার নানা হিসেবনিকেশ করা যায়, হিলবার্ট স্পেসেও তেমনি স্ট্রিং থিওরিসহ গণিত ও বিজ্ঞানের নানা হিসেবনিকেশ করা যায়।'কোয়ান্টাম ম্যাকানিক্সের আগে স্ট্রিং-এর উদ্ভব'কথাটি বেখাপ্পা লাগছে।

মোদ্দা কথা, মুরগির আগে ডিমের ব্যাপার নেই, কিংবা যদি তা ধরেও নেই, এটম বোমা তৈরিতে স্ট্রিং-এর ধারণার কোনো যোগসূত্র নেই। অবশ্য আমি দেখেছি, বিখ্যাত বিজ্ঞানী কিংবা যারা ভালো বিজ্ঞান বুঝেন, বিজ্ঞানের ইতিহাসে তারা খুবই দুর্বল, যদিও ইতিহাস চর্চা বিজ্ঞানের সঠিক গতিপথের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। :)

০৫ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১১:২৫

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: স্ট্রিং থিওরীর তত্বটা আসে ৭০ এর দশকে যতদূর জানি। সুসকিন্ড আর পেনরোজ দুটো স্বতন্ত্র জার্নালে লোকালাইজেশনের কিছু সমস্যা নিয়ে এই সমাধানের উদ্ভব ঘটায়। বস্তুতঃ এটা অবশ্যই সত্য যে ইতিহাসগত ভাবে স্ট্রিং থিওরীর জন্যই এইসব তত্বের উদ্ভব হয় নি কিন্তু আপনি যদি স্ট্রিং থিওরী যেসব ধারনার ওপর প্রতিষ্ঠা হলো এসব ধারনাগুলো মূলত এগুলোই। আইনস্টাইনের ঐ সূত্রটিকে যদি আমরা একটা সামান্য প্রিন্সিপাল হিসেবেই ধরে নেই তাহলে এটমিক বোমার পুরো ক্যালকুলেশনের ভিত্তি ছিলো এই সূত্রটি।

এখনো যেকোনো কোলাইডারে যেসব এটমিক সংঘর্ষ ঘটানো হয় তার থেকে উদ্ভূত শক্তির হিসেব করা হয় এই সূত্রটির উপর ভিত্তি করেই। ১৯০৫ সালে যখন এই জার্নালটি লেখেন তখন নিশ্চয়ই এটম বোমার কথা ভাবেননি কিন্তু অল্প ভরের বস্তুকে ভাংলে বিশাল শক্তির উদ্ভব সম্ভব সেটা এখান থেকেই ধারনা পাওয়া গেছে এবং নিউক্লিয়ার ফিশনটা এই কনসেপ্ট টাই অনুসরন করে।

আর হিলবার্ট স্পেস অবশ্যই জিওডেসি ব্যাপারে জিওম্যাট্রির ওপর ফুরিয়ার ট্রান্সফর্ম আর স্পেস হারমোনিকসের প্রয়োগ করে যেটার ওপর ভিত্তি করে লোকালাইজেশনে কজালিটির প্রবলেমের একটা দিক ব্যাখ্যা করেন খুব সম্ভবত পেনরোজ বা সুসকিন্ড যার ফলেই কিন্তু স্ট্রিং তত্ব।

ইতিহাসে আমি দুর্বল নই, আমি বকলম। তবে আমি যেটা ধারনা করি সেটা হলো একটা আবিস্কারের এভুলুশন কিভাবে ঘটেছে সেটার ওপর এবং সেই পারসপেক্টিভ থেকেই বলেছি।

তাই খালি তালগাছ না, পুরা তাল বাগান আমার :)

৯| ২১ শে অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১২:১৬

সিফাতুল্লাহ বলেছেন: সমস্যা একটাই। সাইন্সে "প্রমাণিত" বলে কিছু নেই।
সুধু বলা যায় "আজ পর্যন্ত কেউ ভুল প্রমাণ করতে পারে নি" বা "ঘটনার এ পর্যন্ত পাওয়া সবচেয়ে যৌক্তিক ব্যাখ্যা"।

/:)

২২ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১:১৯

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: কথাটা আমি অন্যভাবে দেখি। সায়েন্স যখনই একটা তত্ব দেয় তখন সেটা জনসাধারন্যে গ্রহন যোগ্যতা পেতে হলে তার প্রয়োগ দেখাতে হয়। ধরেন পাইলিং সিস্টেমের যে ক্যালকুলেশন সেটা ব হু বছর ধরে ব্রিজ থেকে শুরু করে বড় বড় স্হাপনায় কাজে লাগছে। কিন্তু কাল যদি একজন বলে এর মধ্যে ভুল আছে, সে আরো সঠিক ভাবে সেটা দেখিয়েও দিলো। তখন কি সব বিল্ডিং বা ব্রিজ কি ভেঙ্গে পড়বে?

না ভেঙ্গে পড়বে না। দেখা যাবে নতুন হিসাবের ওপর ভিত্তি করে যে নতুন পাইলিং সিস্টেম ক্যালকুলেশনটা আসলো সেটা দিয়ে আরও কম খরচে আরও মজবুত এবং বিশাল স্হাপনা তৈরী করা সম্ভব।

এরকম একটা হিসাব ছিলো ইথার। সেই ইথারের হিসেব দিয়ে মানুষ গ্যাসের ক্যালকুলেশন করেছে, বাষ্পীয় ইন্জ্ঞিন থেকে শুরু করে পাওয়ার স্টেশনের ধারনা পর্যন্ত দিয়েছে। কিন্তু ইথার বলতে কিছু নেই বলে বিজ্ঞানীরা একসময় তা প্রমান করলো এবং তার চেয়ে যুৎসই লজিক আসলো বাজারে। দেখেন বাজারে কত ভালো গাড়ি, বুলেট ট্রেন পাওয়ার স্টেশন ইত্যাদি।

এটাই বিজ্ঞান। বুঝেছেন ভাইয়া?

১০| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১২:৪৯

সিফাতুল্লাহ বলেছেন: লেখক বলেছেন: এটাই বিজ্ঞান। বুঝেছেন ভাইয়া?

কিছুটা! ;)

২৩ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ২:২২

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: ধইন্যাপাতা

১১| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ২:০৬

ইলা বলেছেন: ক্ষুধায় পেট চোঁ চোঁ করছে। বাকীটা পরে পড়মুনে।

২৪ শে অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ৭:৫৭

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: এই লেখা সুখী গৃহিনীদের জন্য নহে। আপনি ভুলে পোস্টে এসে পড়েছেন, এটা কোনো রান্না বান্নার রেসিপি পোস্ট না

১২| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪৯

মশিকুর বলেছেন:
+++++++++

থিউরি অফ এভরিথিং এর প্রথম পর্ব ভালই। প্রথম চারটা লিংক না পড়া থাকলে, পরবর্তী পর্ব গুলতে কি সমস্যা হবে???

২৬ শে অক্টোবর, ২০১৩ ভোর ৬:৩৬

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: আসলে সবগুলো একটা আরেকটার ওপর ভয়াব হ ভাবে সম্পর্কযুক্ত। তবে আপনি যদি ননটেকি হন তাহলে আপনার জন্য প্রথম দুটো পর্বই যথোপযুক্ত। এরপরও যদি কি কেন হিসেবে জানতে চান তাহলে পরের পর্ব গুলো শুধু আপনাকে কিছুটা ধারনা দেবে মাত্র

১৩| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:২২

টানিম বলেছেন: দারুন , ধন্যবাদ

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১:২৬

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: আপনারেও ধইন্যা। যদিও সিরিয়ালটায় বেশ কিছু বয়াপার লিখি নাই এই যেমুন স্ট্রিং থিওরী অনুযায়ী ব্লাক হোল, ডার্ক ম্যাটার, ইউনিভার্সের ভূত ভবিষ্যত ইত্যাদি

১৪| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১০:৫৬

বিপ্লব০০৭ বলেছেন: পিউরলি ইন্ডাকটিভ সার্কিটে যদি আমি একটা পিউর সাইনুসয়েড ভোল্টেজ অ্যাপ্লাই করি, তবে একটা পিউরলি সাইনুসয়েড কারেন্ট পাওয়া যায়। কিন্তু এইখানে ৯০ ডিগ্রি ফেইজ শিফট কেন আসে? মানে ভোল্টেজের মান যখন সর্বোচ্চ (θ = ৯০ডিগ্রি) তখন কেন ইন্ডাকটিভ সার্কিটের কারেন্টটা শুরু হয়? পিউরলি রেজিস্টিভ সার্কিটে অ্যাপ্লাইড সাইন ভোল্টেজ আর সার্কিটে প্রবাহিত সাইন কারেন্টের মধ্যে কোন ফেজ শিফট নাই...ঘটনাটি কি এইরকম যে ইন্ডাকটিভ বা ক্যাপাসিটিভ সার্কিটে ফেজ শিফট পাওয়া যায়- এইটা এক্সপেরিমেন্টাল রেজাল্ট নাকি এর তাত্ত্বিক ব্যাখ্যা আছে?

১৫| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১১:১২

বিপ্লব০০৭ বলেছেন: স্ট্রিং থিওরির পোস্টে সার্কিট সংক্রান্ত ত্যানা প্যাঁচানোর জন্য দু:খিত। কিন্তু মনটা উসখুস করছিলো,ত, আর যুৎসই পোস্ট খুঁজে পাচ্ছিলাম না। B-)

০৭ ই আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৩:৩৩

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: ভাই, এইটা লেন্জের সুত্র। আর যে সেকেন্ডারি কয়েলের বিপরীত মুখী আবেশী কারেন্ট সেটার মূল কারন রিএ্যাক্টেন্স। তাই যখন ভোল্টেজ ফুল থাকে তখন কারেন্ট ফুল থাকে না। আবেশায়িত কারেন্টের একটু টাইম লাগে, ল্যাগ হয়। ইলেক্ট্রন প্রবাহ তাই দেরিতে শুরু হয়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.