নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ঈশ্বর পটল তুলছে - নীৎসে/নীশে/নিৎচা

উদাসী স্বপ্ন

রক্তের নেশা খুব খারাপ জিনিস, রক্তের পাপ ছাড়ে না কাউকে, এমনকি অনাগত শিশুর রক্তের হিসাবও দিতে হয় এক সময়। গালাগাল,থ্রেট বা রিদ্দা করতে চাইলে এখানে যোগাযোগ করতে পারেন: [email protected]

উদাসী স্বপ্ন › বিস্তারিত পোস্টঃ

ওয়ার্মহোল পাওয়া গেছে কোয়ান্টাম এনট্যাঙ্গলম্যান্টের মধ্যে

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ৮:৩৬

ইপিআর প্যারাডক্স:

কোয়ান্টাম ফিজিক্সের জন্ম হয় ডি ব্রগলীর একটা ইকোয়েশন থেকে যেখানে তিনি বলেছিলেন যে ইলেক্ট্রনের মতো কনিকাসমূহকে তরঙ্গ দিয়েও ব্যাখ্যা করা যায়। এর মানে হলো একটি কনিকাকে আমরা তরঙ্গের সাথেও তুলনা করতে পারি।

শ্রোয়েডিঙ্গার কিছু দিন পর হাইড্রোজেনের স্পেকট্রাম দেখে ইলেক্ট্রনের এই ব্যাপারটি সম্পর্কে আরো ধারনা দেন। হাইজেনবার্গ আরেকটু এগিয়ে গিয়ে বললেন যে আপনি কখনো ইলেক্ট্রনের মতো কনিকার অবস্হান এবং মোমেন্টাম একই সাথে মাপতে পারবেন না। তার মানে হলো ধরুন একটা কনিকা ঘুরতেছে যে কোনো দিকে। এখন আপনি যদি তাকে তিনটি অক্ষাংশে রেখে বিচার করেন তাহলে হয়তো দেখবেন যখন কনিকাটি x অক্ষ বরাবর ডানে ঘুরছে তখন আপনি জানতে পারবেন না যে y অক্ষ বরাবর কোন দিকে ঘুরছে। আবার আপনি যদি দেখেন y বরাবর উপরের দিকে ঘুরছে তখন আপনি জানতে পারবেন না যে x অক্ষ বরাবর কোন দিকে ঘুরছে।


এই ভ্যাজাল নিয়ে কোপেনহেগেন নিলস বোর কয়েক জন প্রথিতযশা পদার্থবিদ নিয়ে এর সমাধান খুজার চেষ্টা করলেন যার নাম কোপেনহেগেন ইন্টার প্রিটেশন।যার মানে হলো কোয়ান্টাম ম্যাকানিক্সে যতক্ষন না আপনি কোনকিছু মাপতেছেন ততক্ষন পর্যন্ত সবকিছুই অনিশ্চিত এবং অনির্নেয়। ধরা যাক কোনো একটা কনিকাকে আপনি তরঙ্গ তত্ব পরীক্ষা করার সময় দেখলেন যে অসংখ্য ইলেক্ট্রন দ্বারা পূর্ন সাগর যখন তরঙ্গের ন্যায় আচরন করছে তখন তার প্রত্যেকটি ইলেক্ট্রনও একেকটা তরঙ্গের ন্যায় আচরন করবে।

ম্যাক্স বর্ন এই সমাধানের সাথে আরেকটু যোগ করে বললেন যদি আমরা ইলেক্ট্রনের তরঙ্গের যে বৈশিষ্ট্য রয়েছে তার বর্গ করি অথবা তার জটিল মানের সাথে গুন করি তাহলে আমরা ঐ ইলেক্ট্রনের অবস্হান মানে x অক্ষে কোথায় থাকতে পারে আছে সেটা সম্পর্কে একটা ধারনা পেতে পারি।তার মানে তরঙ্গের চরিত্র যদি আমরা y অক্ষে বসাই তাইলে দেখা যাইতেছে x অক্ষে আমরা একটা গতি করতে পারতেছি। কিন্তু আমরা এখনো x অক্ষ বরাবর এইটা যদি জানতে পারি তাইলে কোপেনহেগেন ইন্টারপ্রিটেশন অনুযায়ী যদি ইলেক্ট্রন x অক্ষ বরাবর কই আছে সেইটা যদি জানতে পারি তখন আর সেইটা তরঙ্গ থাকতেছে না, তখন সেইটা কনিকা হইয়া যাইতেছে। তার মানে এইখানে তরঙ্গ তত্ব মাইর খাইয়া যাইতেছে।

এখন আমরা যদি কোপেনহেগেন ইন্টারপ্রিটেশনরে আরেকটু আগায় নিয়া এই ভাবে বলি যে ধরেন একই কোয়ান্টাম ভ্যাকুয়াম থিকা একটা ইলেক্ট্রন আরেকটা এন্টি ইলেক্ট্রন মানে পজিট্রন জোড়া আকারে পয়দা করি তখন সেইটা হবে কোয়ান্টাম এনট্যাঙ্গলম্যান্ট। এইটা কোয়ান্টাম এনট্যাঙ্গলম্যান্ট এই জন্য যে ধরেন ইলেক্ট্রন ঘুরতেছে t সময়ে যদি উপরের দিকে তাইলে পজিট্রন ঐ একই t সময়ে ঘুরবে নীচের দিকে।

এখন ধরেন যদু মদু দুই ভাই। একজনের হাতে ইলেক্ট্রন ধরায় দিয়া পাঠায় দিলাম আমেরিকা আরেকজনের হাতে পজিট্রন ধরায় দিয়া পাঠায় দিলাম টিম্বাকটুর কুনো এক গুহায়। এখন t সময়ে হঠাৎ কইরা বললাম যদু তুমার হাতের ইলেক্ট্রনরে নীচের দিকে ঘুরাও। সে ঘুরাইলো। এমন সময় মদুরে বললাম টিম্বাকটুতে ঐ t সময়ে পজিট্রন কুন দিক ঘুরছে, সে বলবে উপরের দিকে। দুই ইলেক্ট্রন পজিট্রনের মধ্যে কোনো কানেকশন বা যোগাযোগ নাই কিন্তু একজনের পরিবর্তন হইলে আরেকজন টের পায়। কি তমসা! এইটাই কোয়ান্টাম এনট্যাঙ্গলম্যান্ট। এর কারন হইলো ঐ ইলেক্ট্রন আর পজিট্রনের তরঙ্গের যে বৈশিষ্ট্য দুই জনেই একে অপরেরটা ভাগাভাগি কইরা রাখছে। ফলে একজনের টা পরিবর্তন হইলো আরেকজনের পরিবর্তন হয়ে যায়।

এখন যদু মদুরে আরেকটু শিখাইলাম x এবং y অক্ষ। কারন উপরের তরঙ্গের কাহিনীটা আরেকটু কারিগরী করা দরকার।আমরা যদুরে বললাম y ডিরেকশনে t সময়ে ইলেক্ট্রন কুন দিকে ঘুরছে, সে বললো উপরের দিকে আর মদু বললো একই সময়ে y ডিরেকশনে নীচ দিকে। এখন কথা হইলো মদু তার কাজে ফাকি দিলো, সে দেখলো না যে y ডিরেকশনে আসলে কুন দিকে ঘুরতেছে, সে দেখলো তার গুহার সামনে থাকা গার্লস স্কুল কখন ছুটি হইতেছে আর কতগুলা সুন্দরী কুন দিকে যাইতেছে। ধরেন তখন ধমক মাইরা কইলেন কি করলি? সে t সময়ে ভুল করে x ডিরেকশনেরটা দেখে বললো ডান দিকে যাইতেছে। কিন্তু সমস্যা হইলো আপনি কিন্তু যদুর কথা জানেন যে ঐ t সময়ে যেহেতু তারটা উপরে ঘুরছে তাইলে এরটা নীচের দিকে ঘুরবে।


কিন্তু হাইজেনবার্গের অনিশ্চয়তা তত্ব অনুযায়ী আপনে কোনো কনিকার অবস্হান আর মোমেন্টাম বা x এবং y অক্ষের অবস্হান একই সময়ে জানতে পারেন না। তার মানে যদু যদি y অক্ষে ইলেক্ট্রন কুন দিকে ঘুরছে তাইলে মদু x এবং y দুইটাই জানতে পারতেছে পজিট্রনের।

এইটাই হইলো ইপিআর প্যারাডক্স।

আইন্সটাইন, পডলস্কি আরেকজন বিজ্ঞানীরে নিয়া ডি ব্রগলীর কোয়ান্টাম ম্যাকানিক্স আবিষ্কারের ১০ বছর পর এই ধাধা বাইর করে। এখন ধাধা যেহেতু বাইর করছে সেহেতু তারা দুইটা সমাধান দেয়।

১) দুই খান জোড়া কনিকা নিশ্চয়ই তাদের মধ্যে শেখ হায়েনার পোলা সজীব জয়ের মতো আলোর চেয়ে দ্রুত গতিতে তথ্য আদান প্রদান করছে

২) ইলেক্ট্রন আর পজিট্রনের ডিএনএ একই (লোল: ডিএনএ থাকে কোষে, পার্টিক্যালে না, তাইলে হইতে পারে দুইটাই এমুন মাল দিয়া হইছে যেইটা দিয়া একটা আরেকটার সম্পর্কে আগে ভাগেই জানে যে ও কখন কি করবে)

২ নম্বরখান যতই অসম্ভব লাগুক না কেন এর ব্যাখ্যা আবার কিন্তু পলির বর্জন নীতি দিয়া দেয়া যায়। যাই হোক এইটার ব্যাখ্যা আমার এই পোস্টে দেওনের কোনো প্রয়োজন নাই। যদি কেও জানতে চায় তাইলে এইটা আমি কমেন্টে বলতে পারি।
এই প্যারায় পুরা কোয়ান্টাম ম্যাকানিক্স একবারে ২ টাকার মুড়ি বানায়া ঠোঙ্গায় ভইরা দিলাম

ওয়ার্মহোল:

আমরা মনে হয় সবাই জাফর ইকবালের বই পড়ে ওয়ার্মহোল সেটা সম্পর্কে ধারনা পাইছি। যদি কারো ধারনা না থাকে তাইলে আমি সায়েন্স ফিকশনের ভাষায় যদি বলি দুইটা জোড়া কৃষ্ঞগহ্বর আলাদা কইরা তাদের মধ্যে একটা টানেল বানায় দেই, তাহলে আপনি যদি একটা কৃষ্ঞগ হ্বরে টুপ করে ফাল দিলে চোখের পলকে আপনি অন্য প্রান্তে চলে যেতে পারেন। আপনি এভাবে ইচ্ছা করলে কয়েক কোটি আলোবর্ষ এভাবে চোখের পলকে পাড়ি দিতে পারেন। খালি দরকার হবে আপনাকে একটা কৃষ্ঞ গ হ্বর দেখে তাতে টুপ করে ফাল দেয়া। আপনে একটা ওয়ার্ম হোল দিয়া টাইম মেশিনও বানাইতে পারেন যেইটা দিয়া আপনে ইচ্ছা করলে ভবিষ্যতেও যাইতে পারেন আবারও অতীতে গিয়া বদর যুদ্ধে এটম বোমাও ফাটাইতে পারেন নারায়া তকবীর বইলা।


কাজের কথায় আসি। ম্যালকাডেনা না কি ইনস্টিউট এর এক অধ্যাপক সোনার সাহেব এই ইপিআর প্যারাডক্স নিয়া কাজ করতে গেলেন। তিনি শোয়েঙ্গার এফেক্টের মাধ্যমে কোয়ার্ক আর এন্টি কোয়ার্কের জোড়া বানালেন কোয়ান্টাম ভ্যাকুয়াম থেকে। তারপর তাদের মধ্যে থেকে কিছু কোয়ার্ক আলাদা করলেন ইলেক্ট্রিক ডাইপোল ব্যাব হার করে।

তো সোনার সাহেবের কাছে আলাদাকৃত কোয়ার্ক গুলো নিশ্চয়ই ঐ এন্টি কোয়ার্কের সাথে এনট্যাঙ্গল করে আছে। আমি উপরে আপনাদের ইলেক্ট্রন পজিট্রনের বর্ননা দুইটা মাত্রা x এবং y দিয়া বর্ননা করছি। কিন্তু সোনার সাহেব দুই কাঠি সরেস হইয়া তার ক্যালকুলেশন আর ম্যাপিং ৪ মাত্রায় করলেন যেটাকে স্পেস টাইম ম্যাপিং হিসেবে বর্ননা করা যায় এবং তাতে আইনস্টাইনের আপেক্ষিকতার তত্ব আমদানী করে গ্রাভিটিকেও ঢুকিয়ে দিলেন।

হিসাব মেলানোর সময় দেখলেন যদি তিনি স্ট্রিং থিওরীর মাত্রা গত কনসেপ্ট নিয়ে আগান তাহলে উচ্চ মাত্রায় গ্রাভিটি যেভাবে মিশে থাকে সেটার কারনে ৪ মাত্রায় এই এনট্যাঙ্গলম্যান্টে স্পেস-টাইমকে বাকা করে ফেলবে। যার ফলে একটা কোয়ার্কের চাল চলন তার এন্টি কোয়ার্কের চাল চলনকে প্রভাবিত করতে পারবে। সোনার সাহেব স্ট্রিং থিওরীর হলোগ্রাফিক দ্বৈততাকে বিচার করে আরো দেখেন যে এনট্যাঙ্গলম্যান্টের মাধ্যমে ৫ মাত্রায় থাকা গ্রাভিটির দেখা এখানে পাওয়া গেছে যার ফলে দুটো কনিকার উদ্ভবের সাথে সাথে একটি ওয়ার্ম হোলের সৃষ্টি হয়েছে যুগপৎভাবে। তার মানে যে টানেলের মাধ্যমে দুটো কনিকার তথ্য আদান প্রদান হয়েছে সেটাকে স্পেস-টাইম বেকিয়ে এত দ্রুত সময়ে গ্রাভিটির বাকানোর কারনটিকেই বড় করে দেখানো যায় যার ফলে এই ওয়ার্মহোলের উদ্ভব ঘটতে পারে।

তবে বর্তমান প্রযুক্তির মাধ্যমে ওয়ার্ম হোল সনাক্ত করার উপায় জানা নেই যদিও তাত্বিক ভাবে এটা জানি যে ওয়ার্ম হোল কিভাবে সৃস্টি হয় এবং কিভাবে কাজ করে। যাই হোক, ব্যাপারটা নিয়ে আরো গবেষনা করা যেতে পারে।

জার্নালটার লিংক

মন্তব্য ২৯ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (২৯) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ৮:৪৬

পাগলাগরু বলেছেন: কোয়ান্টাম এনট্যাঙ্গলম্যান্টের চিপায় ওয়ার্মহোল পাওয়া গেলে আপনের কি?

০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ ভোর ৬:৪৬

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: ভাই, শাহবাগে ১৯ জন মানুষ মরছে, কার কি? সমস্যা হইলো তাও কিছু মানুষ চিল্লায়, লেখা লেখি করে। এর ফলে দেখেন দুই তিনটা কুকুর বিড়াল যারা এই আকাম করছে তারা ধরাও খাইছে।

ক্লিয়ার?

২| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ৮:৫০

হাসান মাহবুব বলেছেন: ভালো লিখেছেন সায়েন্স ফিকশন। তবে প্রবন্ধ প্রবন্ধ ভাব এসে গেছে। চরিত্র চিত্রায়নে কুশলতার অভাব আছে। সংলাপের অভাব অনুভূত হলো। ফিনিশিংয়ে টুইস্ট থাকলে ভালো হতো।

০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ ভোর ৬:৪৭

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: এন্টেন ঝড়ে উইড়া গেলো। এন্টেনা খুজনের লিগা বাটি চালান দিছি। এন্টেনা খুইজা পাইলে কমেন্টখান মাথায় ধরা পড়তো মনে হয়

৩| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:৩৩

জেনো বলেছেন: আমি পলিরে জানতে চাই।
ইতিহাস ভালা পাই, তাই কইতেছিলাম কি, কনিকার অসংখ্য ইতিহাস থাকবার পারে ব্যাপারটা পড়ছিলাম, ক্লিয়ার না, একটু আলোচনা কইরেনতো।
সোনার সাহেবের ওয়ার্মহোল কি বাস্তব না গানিতিক? আর স্টিং থিউরি দিয়া যদি না আগাই তাহলে রেসাল্ট কেমনে ব্যাখ্যা করা যায়।

০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ ভোর ৬:৫৯

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: পলির বর্জ নীতি অনুযায়ী এটমের ভিতরে সব ইলেক্ট্রনের একই কোয়ান্টাম স্পিন বা কোয়ান্টাম অবস্হা থাকতে পারে না। এই যেমন ধরেন ইলেক্ট্রনের গ্রাউন্ড স্টেট হইলো 1s এখন সেম গ্রাউন্ড স্টেটে আরেকটার খুজ নাই। যদি থাকতেই হয় তাইলে তার এনার্জী ব্যান্ড একটু উপ্রে হইতে হইবে। এখন একটা যদি এক স্টেটে থাকে অন্যটা একটু উপ্রে হইতে বাধ্য। তার পরের গুলা পরবর্তী স্টেট গুলানে গাদাগাদি করে।

এই জন্য কি মনে আছে s, s, p, s?


আর সোনার সাহেব যেইটা খুইজা পাইছে সেইটা বলাই আছে ওয়ার্ম হোল ডিটেক্ট করার মতো টেকনোলজী নাই কিন্তু আজ পর্যন্ত কেউ এই আইডিয়া নিয়া কাজ করে নাই। ফলাফলগুলা যদি স্ট্রিং থিওরী দিয়ে হিসেব করা হয় তাহলে দেখা যায় ব্যাপারটা ননপারটারবিউটেশন সিস্টেমে চলে যেটা মূলত ওয়ার্মহোলের দিক নির্দেশ করে এছাড়া যে মাধ্যম বা উপায়ে তথ্যের আদানপ্রদান হয় এত দ্রূত সেটা মূলত একটা টানেলের মাধ্যমে যার সাথে সময়ের সম্পর্কযুক্ত অর্থহীন। এখন ঘটনা এমন হতে পারে যে বাস্তবে ব্যাপারটা ঘটছে কিন্তু আমরা ধরতে পারিনি। সে শুধু হিসেবের মাধ্যমে দেখিয়েছেন ঘটনাটা হচ্ছে।

ভুলও হতে পারে, তবে ব্যাখ্যাটা আপাত দৃস্টিতে বেশ গ্রহনযোগ্য

৪| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ৮:১৪

ম্যাভেরিক বলেছেন: "We show that the recently proposed bulk dual of an entangled pair of a quark and an antiquark corresponds to the Lorentzian continuation of the tunneling instanton describing Schwinger pair creation in the dual field theory. This observation supports and further explains the claim by Jensen and Karch that the bulk dual of an Einstein-Podolsky-Rosen pair is a string with a wormhole on its world sheet. We suggest that this constitutes a holographically dual realization of the creation of a Wheeler wormhole।"
--আধুনিক বিজ্ঞান যে প্রাচীন মিশরীয় উচ্চপুরোহিতদের হায়ারোগ্লিফের ভেতরে লুকোচ্ছে, এ হচ্ছে তার খানিকটে নমুনা।

০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:১৮

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: চেতেন কেন?

স্ট্রিং থিওরীখান পুরাটাই হইলো গণিত নির্ভর আর এইটারে এক্সপেরিমেন্ট করার মতো কুনো টেকনোলজিও নাই। তাই আপনার মতো গনিতবিদরাই এইটা বানাইছে।

এতদিন সুপারকন্ডাক্টিভ ক্যারেক্টারিস্টিকস স্টাডির জন্য ইপিআর প্যারাডক্স দিয়া হিসাব করা হইতো কিন্তু এর কোনো সঠিক ব্যাখ্যা না থাকায় বিজ্ঞানীরা খালি সুপারকন্ডাক্টিভিটি ব্যাপার কুন পদার্থে কেরাম আর সেইটা কিভাবে কাজে লাগান যায় সেইটা নিয়া ভাবতো কিন্তু টেকনোলজির ডেভেলপম্যান্টে কুনো দিক পাওয়া যাইতেছিলো না।

সোনার সাহেব যেইটা করছে পুরো হিসেব স্ট্রিং থিওরী হলোগ্রাফিক ইফেক্টের হিসাব দিয়া ব্যাখ্যা করনের ট্রাই মারছে যদি ক্যালকুলেশনটা মাথায় এখনো ঢুকে নাই। ফলাফল যা আছে তার দ্বারা এইটা মিলা গেছে। উপরের যে দুইটা অবাস্তব কন্ডিশন দিছিলাম যেইটা এতদিন বাজারে আছিলো সেইটার চাইতে এই হিসাবটা গ্রহনযোগ্য

যেদিন স্ট্রিং থিওরী সর্বসাধারনের জন্য পদার্থবিদরা বিশ্বাসের সাথে বলতে পারবে যে হ এইটাই ঠিক সেইদিন মনে হয় আপনার রাগ কিছুটা প্রশমিত হইবো এখন যেইটা হইতেছে হিগসীর ক্ষেত্রে

৫| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:২৪

আজ আমি কোথাও যাবো না বলেছেন: :| :| :|

এর চেয়ে বেশী কিছু বলতে পারছি না।
বুঝি নাই কিছু। :!> :#>

০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:২০

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: বুঝার তেমন কিছু নাই, খালি এতটুকু বুইজা রাখেন যে ব্লাক হোল ছাড়াই ওয়ার্মহোলের খোজ পাওয়া গেছে। তার মানে আপনের বাড়ি থিকা আপনের শ্বশুড় বাড়ি যাইতে আর বাসের টিকিট কাটতে হইবো না। অদূর ভবিষ্যতে আপনের খালি একটা ইলেক্ট্রনের গেটে ঢুকায় দিমু, এক সেকেন্ডের কম সময় পর আপনের শ্বশুড় বাড়ীর পজিট্রন গেট দিয়া বাইর হইয়া ঢিকটিং ডিসটিং করবার পারবেন

৬| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:২৬

মদন বলেছেন: ধুর,
বাংলাদেশে ওয়ার্মহোল চালু হইলে দেখা যাইবো যাত্রা শুরু করছি প‌্যান্ট শার্ট পইরা, ওইপাশে ডেলিভারী দিসে নাঙ্গা কইরা :(

০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:৩০

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: একটা গুড পয়েন্ট আবিষ্কার করছেন এতদিন পর।

এখন এই আবিস্কারের জন্য আপনেরে এক কাদি ন্যাংটা কলা উপ হার দিলেন

অখন আপনের হাতের এই কস্মিনকালের পঁচা কলা ফেলান আর আমার দেয়া ফ্রেশ ন্যাংটা কলা গিলেন দয়া কইরা।

আর কত দেখবেন এই এক কলা!

৭| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:০৭

হিংস্র ঈগল বলেছেন: এখন যদু মদুরে আরেকটু শিখাইলাম x এবং y অক্ষ। কারন উপরের তরঙ্গের কাহিনীটা আরেকটু কারিগরী করা দরকার।আমরা যদুরে বললাম y ডিরেকশনে t সময়ে ইলেক্ট্রন কুন দিকে ঘুরছে, সে বললো উপরের দিকে আর মদু বললো একই সময়ে y ডিরেকশনে নীচ দিকে। এখন কথা হইলো মদু তার কাজে ফাকি দিলো, সে দেখলো না যে y ডিরেকশনে আসলে কুন দিকে ঘুরতেছে, সে দেখলো তার গুহার সামনে থাকা গার্লস স্কুল কখন ছুটি হইতেছে আর কতগুলা সুন্দরী কুন দিকে যাইতেছে। ধরেন তখন ধমক মাইরা কইলেন কি করলি? সে t সময়ে ভুল করে x ডিরেকশনেরটা দেখে বললো ডান দিকে যাইতেছে। কিন্তু সমস্যা হইলো আপনি কিন্তু যদুর কথা জানেন যে ঐ t সময়ে যেহেতু তারটা উপরে ঘুরছে তাইলে এরটা নীচের দিকে ঘুরবে।

বিজ্ঞানের ব বুঝি না। তাই কমার্স থেকে ইন্টার পাস করে ইংলিশে অনার্স কমপ্লিট করসি। তবে আপনার লেখাগুলো চরম। আপনি তো পদার্থ বিজ্ঞান নিয়ে থেওরি দিলেন। রসায়ন আর জীব বিজ্ঞানের আলকে গুহার সামনে গার্লস স্কুলের মেয়ে দেখা নিয়ে আরেকটা পোস্ট দেন এবার। আরও ক্লিয়ার হবে।

পোস্টে+++

১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ ভোর ৪:১৪

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: জীববিজ্ঞান আমার এসএসসিতেও ছিলো না। আমি কুটি কাল থিকাই ডিটারমাইন্ড আছিলাম আমি ইন্জ্ঞিনিয়ার হমু। জীব বিজ্ঞান নিয়া আমার জ্ঞান ২ বছরের এক পুচকের সমান।

রসায়ন ভুইলা গেছি তয় যখন পড়ছিলাম তখন এই ফিজিক্স দিয়াই সব বুঝতাম। আমার পুরা লাইফটাই ফিজিক্সময়। প্রেমও করছিলাম ফিজিক্সের সূত্রানুযায়ী।

এখন যে গ্যাড়াকলে আছি এইটা আমার অনেকদিনের প্লানের ফসল আর এই প্লানও করছিলাম ফিজিক্সের আলোকে, নো টার্ন ব্যাক। যদিও ফিরা আসার জন্য লুপ হোল খুজতেছি।

ধন্যবাদ অনুপ্রেসনা দেওনের জন্য তয় আমার লেখা বুঝনের ট্রাই কইরেন না কারন বাস্তব জীবনে কামে লাগে না। পোস্টের ১ নম্বর কমেন্ট খান কিন্তু ঠিকই কইছে!

৮| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:০৩

মাহাফুজ বলেছেন: শেলডন কুপারের বোর্ডের কথা মনে পড়ে গেল!!

১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ ভোর ৪:১৫

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: এইটা দেখা হয় নাই। কেন দেখা হয় নাই, বুঝতেছি না। মনে হয় বিগ ব্যাং থিওরী নামের একটা সুন্দর থিওরী নিয়া এমুন ইয়ার্কি ফাইজলামী মার্কা কমেডি আমি ঠিক গিলতে পারি নাই!

আমারি ব্যার্থতা!

৯| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ ভোর ৫:২৫

ম্যাভেরিক বলেছেন: হিগস নিয়ে সমস্যা নেই। দুটো ঝুনা নারকেল একটি আরেকটির সঙ্গে প্রচণ্ড জোরে ফাটালে, তাদের ভেতর শাঁস, পানি, ক্ষীর থাকলে একসময় তা ঠিকই বেরিয়ে আসবে। হিগসের থিওরি দিয়ে অঙ্ক না কষলেও তার বাস্তব অস্তিত্ব থাকলে তা পরীক্ষণে ধরা পড়ত, তখন থিওরিটা আসত পরে। যদিও এবারের নোবেলটা হিগস ক্ষেত্রের জন্য একটু তড়িঘড়ি হয়ে গেছে। আরও এক/দুই বছর অপেক্ষা করা দরকার ছিল, কারণ আবিষ্কৃত হিগসের অনেক কিছুই পরিষ্কার করা হয়নি।

তবে একটি কণা আর ওয়র্মহোলের মধ্যে পার্থক্য ব্যাপক। ওয়র্মহোল দিয়ে টাইমমেশিন বানানোর অলীক কল্পনা কেবল তারাই করতে পারেন টাইমের প্রকৃতি নিয়ে যারা গভীরভাবে ভাবেন না। মহাবিশ্বের প্রতিনিয়ত যে অসংখ্য পরিবর্তন ঘটছে, তার সবগুলো যদি একেবারে বন্ধ হয়ে যেত, এমনকি কি মানুষের চিন্তা-ভাবনাসহ, তাহলেই আপনি বলতে পারতেন, সময় স্থির হয়ে গেছে। কে বন্ধ করবে মহাবিশ্বের নিরন্তর এ পরিবর্তন, কে বন্ধ করবে সকল মানুষের চিন্তা-ভাবনা একযোগে? মানুষের তৈরি একটি মেশিন!

তবে ফ্যান্টাসি সাহিত্য হিসেবে ওয়র্মহোলের মূল্য আছে। :)

১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ ভোর ৫:৪৩

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: অনেক কিছু বুঝি না বলেই ফ্যান্টাসী বিশ্বাস করি আর ফ্যান্টাসী বাস্তবতায় পরিণত হোক না হোক, সেটা নিয়ে আমি কাজ করবোই, যে যাই বলুক।

১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ ভোর ৫:৪৭

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: তবুও আমি একটা লজিক দিতে পারি, আমার নিজস্ব লজিক....যদিও স্ট্রিং থিওরীর নাম শুনলে আপনে নাক সিটকান কিন্তু আপনার সময় নিয়ে যে কনফিউশন আছে তার একটা সমাধান দিতে পারি। যদি কখনো শুনতে চান!

১০| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ ভোর ৬:১৪

ম্যাভেরিক বলেছেন: স্ট্রিং থিওরি নিয়ে আমি নাক সিঁটকাই না। সত্যি বলতে কী, স্পন্দিত তন্তুর ধারণাটি নিয়ে আমার আগ্রহ আছে বেশ। আমি নাক সিঁটকাই যখন নিছক অনুমানের উপর ভিত্তি করে বিজ্ঞানী ও বিজ্ঞানলেখকগণ তাঁদের ধ্যান-ধারণাকে সত্যি বলে বড় বড় চাপাবাজি করেন, সমান্তরাল মহাবিশ্ব, অসীম মহাবিশ্ব, মহাবিশ্ব-মহাবিশ্ব সংঘর্ষের দরুন ফাটল, অতীতে গিয়ে দাদাকে মেরে ফেলার দরুন নতুন বিশ্ব ইতিহাস সৃষ্টি প্রভৃতি নিয়ে কল্পনার লাগাম খুলে সেগুলো মূল ধারার বিজ্ঞান বলে দাবি করে ফেলেন। আমি যা আদর্শ বলে মানি তা হচ্ছে, ফ্যান্টাসি কিংবা আপাত অসম্ভব নিয়ে কাজ করতে মোটেও সমস্যা নেই, কেবল প্রমাণিত হবার আগে ফ্যান্টাসিকে প্রমাণিত বিজ্ঞান বলে না চালানো মানবতার জন্যই কল্যাণকর।

সময় নিয়ে আমার কনফিউশন নেই। তবে আপনার সমাধান শুনতে আগ্রহী। তার আগে পরিষ্কার উল্লেখ করে দিয়েন, আপনার সমাধানটি কি operational time নাকি psychological time নিয়ে। :)

১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ ভোর ৪:৫৪

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: অপারেশনাল টাইম আর সাইকোলজিক্যাল টাইম মানে?

১১| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ ভোর ৬:৪০

ম্যাভেরিক বলেছেন: "ওয়ার্মহোল পাওয়া গেছে কোয়ান্টাম এনট্যাঙ্গলম্যান্টের মধ্যে"--এই শিরোনাম পড়ে যেমন অনেকে বিভ্রান্ত হবে, ওয়র্মহোল ল্যাবরেটরিতে আবিষ্কার হয়ে গেছে বলে ধরে নেবে। সবাই তো আর আপনার মতো ভেতরের থিওরিটা বুঝবে না।

১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ ভোর ৪:৫৬

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: ইদানিং পদার্থবিজ্ঞান নিয়া মানুষের আগ্রহের পরিমান শূন্যের কোঠায়। তাই শিরোনামে একটু চমকায় আনছি যদিও পরে স্বীকার করছি গণিতের মাধ্যমে প্রমানিত আর কি!

মানুষ দুই টাকা দিয়া কিন্যা পত্রিকা পড়বার পারলে মাগনা তো এমুন দুই একটা শিরোনাম গিলাইলে কি সমস্যা?

১২| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৩২

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: ভাই মাথা ঠান্ডা কইরা নেই।

১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ ভোর ৪:৫৭

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: একখান কাম করে পদ্মার চরে নলকূপ বসাইয়া তার নীচে বইসা পড়েন। দেখবেন ঠান্ডা পানিতে মনটা বরফের খনি হইয়া যাইবো

১৩| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৪৫

রিফাত হোসেন বলেছেন: চিন্তা করছি গুগলের নতুন একধরনের সার্ভিস বানানো দরকার, যার মাধ্যমে যে নাদান কঠিন সব বিষয় বুঝতে ব্যর্থ হয় তা বিবর্তিত হয়ে সহজ বোধগম্য হয়ে পাঠকের সামনে উপস্থাপিত হবে !

১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ ভোর ৪:৫৭

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: গুগলারে মেইলান, লগে রেফারেন্স হিসাবে এই পুস্টখানা দেন!

আমি তাতে মাইন্ড খামু না!

১৪| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ৭:৫৯

রাতুল_শাহ বলেছেন: পোষ্ট পড়ে ইলেক্ট্রন আর পজিট্রনের অবস্থান ব্যাপারটা পরিষ্কার হইলো।

গভীরে যেতে হইলে আমার পড়াশোনা করা দরকার।

২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:১৯

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: বেগুন ভর্তা আর কালাইয়ের রুটি দিয়া যেই পোস্ট দিছো অখন বেগুন ভর্তা খাইতে মন চাইতাছে। সমস্যা হইলো ইলেক্ট্রিক হিটারে বেগুন পুড়ামু কেমনে?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.