নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ঈশ্বর পটল তুলছে - নীৎসে/নীশে/নিৎচা

উদাসী স্বপ্ন

রক্তের নেশা খুব খারাপ জিনিস, রক্তের পাপ ছাড়ে না কাউকে, এমনকি অনাগত শিশুর রক্তের হিসাবও দিতে হয় এক সময়। গালাগাল,থ্রেট বা রিদ্দা করতে চাইলে এখানে যোগাযোগ করতে পারেন: [email protected]

উদাসী স্বপ্ন › বিস্তারিত পোস্টঃ

ব্যার্থ সংগ্রামের ২০১৩, বিদায়...............নতুন দিনের সংগ্রামের হোক জয়গান

০১ লা জানুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৪৭

পথে পথে লেখা আছে কত হাসি কান্নার গান। সে গানে মিশে আছি আমি তুমি সকলে। দুঃখ ভালোবাসা বেড়াজালে কেটে যায় ঘন্টা, দিন, মাস, বছর। নতুনের আগমনে প্রাক্ষলিত হয় কোনো দিন, নিমিষে বিষাদ ঘিরে ফেলে প্রিয় মানুষের চিরপ্রস্হানে।

সুখের জন্য মূল্য দিতে হয়, দুঃখের সাথে সহবাস মানুষের কাছে চির অম্লান এক বিষয়। আফ্রিকা থেকে উড়ে আসা এক ছেলে ক্লাসে শুনছিলো লেকচার আজ হতে প্রায় ছয় বছর আগে। ক্লাসটা নেয়া হয়েছিলো হার্ভার্ডে যারা প্রকৌশলী নন তাদের জন্য। ক্লাসের এসাইনম্যান্ট ছিলো এমন একটি আইডিয়া যার ফলে পৃথিবীর অধিকাংশ মানুষকে অন্ধকার থেকে আলোতে নিয়ে আসবে। আ্ফ্রিকা থেকে উঠে আসা ছেলেটি তার বান্ধবীকে নিয়ে একটি আইডিয়া দেয় তখন। সেই আইডিয়া নিয়ে পৃথিবীর সবচেয়ে উৎকর্ষময় ইউনিভার্সিটি গবেষনা শুরু করে, ২০১৩ তে এসে ঐ বালকের নিজের দেশ তানজানিয়ায় গিয়ে আমেরিকার সবচেয়ে ক্ষমতাবান মানুষ বারাক ওবামা একটা ফুটবলে লাথী দেয়। সেই ফুটবল এমন কোনো বল নয়, বলটিকে ৩০ মিনিট লাথী দিয়ে ঘুরাতে হয় তাহলে সেটা দিয়ে একটা মোবাইল ফোনকে ১৬ ঘন্টার জন্য চার্জ দিতে সক্ষম।

সুখে থাকার সংগ্রামের জন্য আমরা ১৯৭১ সালে ৩০ লাখ বাঙ্গালীকে হারিয়েছি। মনে লেগে থাকা বছরের পর বছর ক্ষত যন্ত্রনা দিনে দিনে ভোতা বানিয়ে ফেলেছিলো আমাদের সকল অনুভূতিকে। একসময় ভাবতে শিখেছিলাম খোদার দুনিয়ায় বিচার পাবো না। এ বিচার রোজ কেয়ামতেই পাবো হয়তো। তবু মানুষ হাল ছাড়েনি, পথে নামে, পুরো শাহবাগে নারী পুরুষ শিশু সবাই এক কন্ঠে বলে ওঠে "বিচার নয়, ফাঁসি চাই"।

শয়তানের মতো মূর্তি যে কিনা এতগুলো মানুষের ওপর নির্যাতন করে হত্যা করে আবার এসব অপরাধের জন্য ফাঁষি না হওয়ায় 'ভি' চিহ্ন দেখায় যা দেখে রাগে ক্রোধে ক্ষেপে উঠেছিলো লক্ষ লক্ষ মানুষ। শাহবাগে জড়ো হতে থাকে সবাই, অহিংস প্রতিবাদে ফেটে পড়ে দেশের প্রতিটা অলিগলি। তখন আমরা জানতাম এই বিচারের জন্য আমাদের কড়া মূল্য দিতে হবে আরেকবার। হ্যা, দিতে হচ্ছে; শুধু একবার নয়, বহুবার।

শিফন শাড়ী পরিহিতা একজন নারী শুধু ক্ষমতার লোভের জন্য শাহবাগে দাড়িয়ে থাকা মানুষের প্রতিবাদকে উপেক্ষা করে। এই সব শয়তানরূপী মানুষদেরকে বাচানোর জন্য সে হরতাল অবরোধের ডাক দেয়, তার পাষন্ড পান্ডারা প্রথমে মিথ্যাচার ছড়ায় "শাহবাগী" বলে গালি দিয়ে; বলতে থাকে শাহবাগে যারা যায় তারা বেশ্যা, নেশা খোড়, নাস্তিক। হায় খোদা! কতটা মিথ্যাচার!

সেই শয়তানকে ফাসীতে ঝুলাতে বাধ্য হয় সরকার, এরপর থেকে শুরু হয় স্বাধীনতাবিরোধীদের অহর্নিশ আক্রমন। নগ্ন সহিংসতার রাজনীতিতে রাজনীতিবিদদের ভালো মানুষী মুখোশটা খসে পড়ে। পেট্রোল বোমায় পুড়ে মারা যায় কত মানুষ। দেশের অর্থনীতি বিপর্যস্ত হয়ে যায়। এই সুযোগে দুর্নীতিতে ডুবে থাকা এক ব্যার্থ সরকার কায়েম ভোল পাল্টে রূপ নিতে থাকে স্বৈরাচারীতার দিকে। প্রতিবেশী দেশ গিলে খাচ্ছে দেশের প্রতিটা অংশ, আমরা অসহায়ের মতো অপেক্ষা করছি একটা দুর্ভিক্ষ আসুক, আমাদের গিলে খাক।

যে আরব বসন্তের স্বপ্ন নিয়ে আমরা পথে নেমেছিলাম তারা কেমন আছে? না, তারাও ভালো নেই। ভেবেছিলো যে ধর্মীয় শাসনে মোড়া আছে মুক্তির আকাঙ্খা, তাতে কোনো মুক্তি মেলেনি। মিলেছে পাহাড় সমান দুর্নীতি, বেকারত্ব আর ধর্মের নামে অবিচার আর ধর্ষন। মোহমুক্তি ঘটতে শুরু করলে মানুষ আবারও পথে নামে, কিন্তু তাদের আন্দোলনক হাইজ্যাক করে নিয়ে যায় সেই পুরোনো দানব, সেনাবাহিনী। যে অভ্যুথ্থানের স্বপ্ন নিয়ে পথে নেমেছিলো বিপ্লবীরা, ভেবেছিলো বিপ্লব সফল, স্বপ্ন ভেঙ্গে যায় এক লহমায়। মুক্তি এখনও অধরা, মানুষ মরছে পথে ঘাটে। সেই মিশর থেকে সিরিয়া, বাংলাদেশ।

তবু আশায় বুক বাধতে চাই। কেন্দ্রিয় ব্যাংকের রিজার্ভে উপচে পড়ে টাকা গুলো নিয়ে সরকারের কি দাম্ভিক আচরন! অথচ মানুষ না খে্যে থাকে। কেন মানুষ মরবে যদি সরকারের হাতে এতগুলো টাকা থাকে? সেই সমাধান নিয়ে দেশের হাল ধরে কোথাকার কোন কেজরিওয়ালা। শ্বেত হস্তির মতো জেকে বসা কংগ্রেসকে হটিয়ে ক্ষমতা নেয় আম আদমি নামের কোথাকার কোন দল। মানুষের জন্য দেয়া ভর্তুকিগুলো সময়ের সাথে এক কার্যকরী সিদ্ধান্ত হতে চলেছে। মুখে হাসি যে ফোটাতেই হবে।

যেই হাসির জন্য নিরন্তর গায়ের ঘাম ফেলে গার্মেন্টস কর্মীরা গড়ে তুলেছে আমাদের দেশের গার্মেন্টস শিল্প, সেই গার্মেন্টস শিল্পে ঘটে যায় মানব জাতীর ইতিহাসে কারখানায় দুর্ঘটনাজনিত সবচেয়ে বড় গণহত্যা। হ্যা, আমি এটা গনহত্যা্ই বলবো। কারন দুদিন আগেও বলা হয়েছিলো বিল্ডিং এর দেয়ালে ফাটল, পিলারে ফাটল। মালিক জোর করে গার্মেন্টস কর্মীদের কাজে ঢুকায়। সবচেয়ে বড় জেনারেটরটি চালু করার মুহুর্তেই কাগজের মতো ধ্বসে পড়ে আট তলা বিল্ডিং। প্রায় ১১০০ মানুষ মারা যায়। কত হাজার মানুষ আহত হয় তার কোনো হিসেব ছিলো না। আমাদের বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্বাপেক্ষা ব্যার্থ সরকারের সবচেয়ে অযোগ্য মন্ত্রী প্রথমে বলেন মাত্র ৫-১০ জন মানুষ মারা গেছে। যখন লাশের সংখ্যা ১০০ ছাড়ালো তখন বললো বিরোধী দল বিল্ডিং ধরে ঝাকাঝাকি করেছে।

মানুষের মাতমে চারিদিক অন্ধকার তখনি ফেসবুকের প্রচারনায়, দেশের প্রতিটা স্কুল কলেজ ভার্সিটি মাদ্রাসা থেকে যুবকেরা ঝাপিয়ে পড়ে। হ্যা, আমাদের কোনো বিদেশী সাহায্য লাগেনি। আমরাই বাচিয়েই হাজারের ওপর মানুষকে ধ্বংসস্তুপ থেকে। কত খেটে খাওয়া মানুষ চিরজীবনের জন্য হয়েছে বিকলাঙ্গ, যাদের গায়ে লেগেছে রক্তের দাগ তারা হয়েছে মানসিক ভাবে অসুস্হ। এত মৃত্যু মানুষ দেখেনি খুব বেশী। মৃত্যু জিনিসটা যে ভয়াব হ। কিন্তু আমরা পেরেছি, সত্যি পেরেছি

আরো আশার আলো আছে, মুক্তির কথা বলে বিজ্ঞান। যে মানুষ চোখে দেখে না তাদের জন্য সমাধান নিয়ে আসে রেটিনা কীট অথবা যারা জন্ম থেকে কানে শুনে না তাদের জন্য থ্রি ডি প্রিন্টারে কান তৈরীর প্রথম ধাপটা পার করে ফেলেছে। কতগুলো মানুষ জীবনে প্রথম শব্দ শুনছে অথবা রিয়ানার অদ্ভুত কন্ঠের সুরেলা গানে জীবনে প্রথম নাচতে পারছে এর চেয়ে বড় পাওয়া কি আছে?

নাহ, এই পাওয়াটা কোনো ঈশ্বর প্রেরিত দৈবদূত নিয়ে আসেনি অথবা পাওয়া হয়নি কোনো জাদুর কাঠির পরশে। যে এইচআইভির আক্রমনে মানুষ যখন অসহায় হয়ে মৃত্যুর দিন গুনতো, সেই এইচআইভিকে ঠেকিয়ে দিয়ে একটি শিশুকে পুরো পুরি রোগমুক্তি দেয়া গেছে। অথবা প্রযুক্তির উৎকর্ষতায় আসছে গুগল গ্লাস, মঙ্গলে যান পাঠালো চীন, ভারত। চাঁদে নিজেদের পতাকাও তুলে ফেললো।

সবচেয়ে আকর্ষনীয় খবর হলো ইরান আর আমেরিকা হাত মেলালো আর দুঃখ ময় ঘটনা হলো মুসলমানরাই ১লক্ষ নিরপরাধ মুসলমান নারী পুরুষ শিশুদেরকে রাসায়নিক বোমা দিয়ে হত্যা করলো। অথচ মুসলিম বিশ্ব নিশ্চুপ হয়ে রইলো আশ্চর্যজনক ভাবে


বলতে পারেন ২০১৩ ব্যার্থ অভ্যুথ্থানের বছর, আমি কিন্তু তা বলবো না। যুদ্ধের কেবল শুরু, বিপ্লবের চলছে এখন যৌবনকাল। বিপ্লব সফল হবেই। এই বিপ্লব শুধু আপনার আমার বা হিন্দু মুসলমান খ্রষ্টানদের নয়, আমাদের সকলের। আমাদের মুক্তি মিলবেই, কিন্তু তার জন্য দরকার সংগ্রাম। সম্রাজ্যবাদী আমেরিকা আজ মাথা নোয়াচ্ছে, ঘর থেকে নারীরা নিজেদের অধিকারের জন্য লড়াই করতে পথে ঘাটে যুদ্ধ করছে। নিরপরাধ মানুষ নিজের অধিকারের পথে নেমে হাতে হাতে ধরে রুখে দিচ্ছে শক্তিশালী ফ্যাসিবাদী স্বৈরতন্ত্রকে।

আজ রাজনীতিকরা ভিলেনের দলে। তাদেরকে পাল্টাতে হবেই, যদি না পাল্টায় তাহলে যেদিন এই বিপ্লব জয়ী হবে, তখন তারা হারিয়ে যাবে এই পৃথিবী থেকে অপমানের সাথে।

খুব মনে পড়ে আমার প্রিয় মানুষটিকে , তার ব্লগের লেখাগুলো। ব্লগের ইদানিং খুব একা লাগে। যদি সে আবার লেখা শুরু করতো, হয়তো বুকটা একটু হালকা হতো। এত ভালো লেখা লেখে যে, যে কিনা লিখতেই ভালোবাসে, সে কেনো কলম উঠিয়ে রাখবে? আমরা কি এর জবাব চাইতে পারি না এই নতুন বছরে?

মন্তব্য ১২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা জানুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৫৯

ইমরাজ কবির মুন বলেছেন:
সবমিলে খুব ভাল হৈসে পোস্টটা।
'১৪ এর শুভেচ্ছা স্বপ্ন ||

০১ লা জানুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:১৮

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: আপনাকেও শুভেচ্ছা!

২| ০১ লা জানুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:০৭

মামুন রশিদ বলেছেন: খুব ভালো লাগলো আপনার কথাগুলো । বোধের গভীর থেকে লিখেছেন আপনি । তবু আশায় বুক বাঁধি, নতুন বছর হয়ে উঠুক মঙ্গলময় । আমার আপনার দেশের সবার জন্য । আপনার প্রিয় মানুষ ব্লগার ফারা তন্বী আবার ফিরে আসুন লেখালেখিতে ।

শুভেচ্ছা এবং শুভকামনা !:#P

০১ লা জানুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:২০

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: আপনাকেও শুভ কামনা!

৩| ০১ লা জানুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:২৯

বোধহীন স্বপ্ন বলেছেন: যুদ্ধের কেবল শুরু, বিপ্লবের চলছে এখন যৌবনকাল। বিপ্লব সফল হবেই। এই বিপ্লব শুধু আপনার আমার বা মুসলমান খ্রষ্টান দের নয়, আমাদের সকলের।

০১ লা জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৮:৪৮

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: হুমমম

৪| ০১ লা জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১১:২৩

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
শিফন শাড়ী পরিহিতা একজন নারী শুধু ক্ষমতার লোভের জন্য শাহবাগে দাড়িয়ে থাকা মানুষের প্রতিবাদকে উপেক্ষা করে। এই সব শয়তানরূপী মানুষদেরকে বাচানোর জন্য সে হরতাল অবরোধের ডাক দেয়, তার পাষন্ড পান্ডারা প্রথমে মিথ্যাচার ছড়ায় শাহবাগী গালি দিয়ে; বলতে থাকে শাহবাগে যারা যায় তারা বেশ্যা, নেশা খোড়, নাস্তিক।
হায় খোদা! কতটা মিথ্যাচার!


সেই শয়তানকে ফাসীতে ঝুলাতে বাধ্য হয় সরকার!

ভাল লিখেছেন।

০২ রা জানুয়ারি, ২০১৪ ভোর ৪:০৩

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: ধইন্যা!

ভাই, নির্বাচনের পর দেশের অবস্হা কি হইবে সেইটা নিয়া দুইটা বাক্য প্রদান করেন!

৫| ০২ রা জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১১:২৫

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
নির্বাচনের পর দেশের অবস্হা এরকমই থাকবে।

দলছুট চোরচোট্টা নিয়ে আদর্শহীন সুবিধাবাদিদের দল বিএনপি। নেতারা রাস্তায় না নেমে পালিয়ে থাকে। কর্মিসমর্থকরাও একই চরিত্র। তাদের সব আন্দোলন জামাত নির্ভর, সুধু এই কারনেই সরকার যতেচ্ছ বলপ্রয়োগ করেও তেমন সমালচিত হচ্ছে না।
যুদ্ধাপরাধ ইশু সরকার সার্থক ভাবেই ব্যাবহার করেছে। কাদেরমোল্লার ফাঁসির কয়েকঘন্টা আগে প্রবল প্রতাপশালী সেক্রেটারিঅব স্টেট জন ক্যারির ফোন -
"আলোচনা শেষ না হওয়া পর্যন্ত ফাঁসি বিলম্বিত করা"
হাসিনা বলে দিয়েছে "ইমপসিবল"

সরকারের আরেকটি সাফল্য বিএনপি-জামাতের শক্তিশালী অস্ত্র 'হেফাজত' কে নিউট্রাল করা। সরকারের লবিষ্টরা সার্থক ভাবেই এই দুর্যোগের সময় একটি নাজুক ইশু 'হেফাজত' কে শান্ত রাখতে সক্ষম হয়েছে।

যদিও হেফাজতকে গত মে মাসে চরম নিষ্ঠুর ভাবে দমন করেছিল।
পুলিশী ইতিহাসে এটাই সবচেয়ে সার্থক সফল অপারেশন,
বিশ্ব 'মব কন্ট্রল' ইতিহাসেও এটি সফল মাইল ফলক হিসাবে থাকবে,
দু লক্ষ মারমুখি অবরোধকারিদের প্রায় বিনা রক্তপাতে, নন লেদাল ওয়েপন ইউজ করে মাত্র ১০ মিনিটে সরিয়ে দিয়ে .. সবকিছুর নিয়ন্ত্রনে নিয়ে নিয়ে পরিস্থিতি সম্পর্ন নিয়ন্ত্রনে আনতে সক্ষম হয়।

যেটা মিশরও পারেনি, মিশরে এরচেয়ে কমসংখক ব্রাদারহুড সমর্থকদের তাড়াতে পুলিশ ও আর্মি প্রায় একহাজার মানুষ হত্যা করে, এরপরেও দমন করতে পারেনি।

হেফাজত দমনের পর হাসিনার পুলিশ বাহিনী এখন বিপুল মনবলের অধিকারি।
জামাত-বিএনপির যে কোন বড় মানব আন্দোলন দমন করা তাদের কাছে কোন ব্যাপার না।

তাই নির্বাচনের পরও বিএনপি কোন নির্বাচন কালিন সরকারের বাস্তব রুপরেখা দিতে না পারলে, হাসিনা ৪-৫ বছর টিকে গেলে অবাক হওয়ার কিছু নেই।

০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৩৭

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: আমি জীবনে কিছু দলান্ধ, বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী, গোয়াড় এবং কার্যত মূর্খ্য লোকের দেখা সাক্ষাৎ পেয়েছিলাম। আপনার কমেন্ট দুর্ভাগ্যজনকভাবে তাদের কথাই মনে করিয়ে দিচ্ছে। আমি সাধারনত এসব কেঁচো শ্রেনীর বুদ্ধির মানুষের কোনো মন্তব্যের উত্তর দেই না, এড়িয়ে চলি। কিন্তু আপনার উত্তরগুলো দেব কারন আজকে বারবার আমার একটা কথাই মনে হয়

আওয়ামী লীগে কোনো আদর্শিক দলের নাম নয়, শুকর শ্রেনীর ঘ্যোঁৎঘ্যোঁৎ কারী অমানুষের দল

দলছুট চোরচোট্টা নিয়ে আদর্শহীন সুবিধাবাদিদের দল বিএনপি। নেতারা রাস্তায় না নেমে পালিয়ে থাকে। কর্মিসমর্থকরাও একই চরিত্র। তাদের সব আন্দোলন জামাত নির্ভর, সুধু এই কারনেই সরকার যতেচ্ছ বলপ্রয়োগ করেও তেমন সমালচিত হচ্ছে না।

দলছুট চোরচোট্টা নিয়ে আমার কিছু কথা আছে। বিএনপিতে অবশ্যই চোরচোট্টা ছিলো, দলছুট ছিলো। দলছুট হওয়াটা আমি দোষের মনে করি না এই জন্য যে বর্তমান গনতান্ত্রিক শাসনব্যাবস্হায় রাজনীতি একটা পেশা পৃথিবীর অনেক দেশে নিজের দলের কর্মকান্ডের বিরোধীতা বা নিজের দল থেকে পদত্যাগ করলে সংসদের সাংসদ নামক পদটি যায় না। এই নিয়মটি কে করেছিলো? মহান জাতীর পিতা বঙ্গবন্ধু শুধু এই কারনে যে উনি তোষামোদী যতটা পছন্দ করতেন তেমনী যৌক্তিক সমালোচনাকে ততটা ঘৃনা করতেন যার জন্যই আমি তাকে বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্বাপেক্ষা দ্বিতীয় ব্যার্থ নেতা হিসেবে মনে করি।

তত্বাবধায়ক সরকারের আমলে যতদূর সংখ্যাটা মনে পড়ে ২৯ থেকে ৪২ জন এমপির বিরুদ্ধে মঈন-ফখরু সরকার দুর্নীতির কারন খুজে পায় যার মধ্যে ২৯ জনকে কারাগারে নিতে সমর্থ হয় (সংখ্যাগুলো এদিক ওদিক হতে পারে)। এছাড়া চারদলিয় ঐক্যজোটের সময় দুর্নীতির অভিযোগ সরাসরি প্রমান হবার ফলে ময়মনসিংহের মোশাররফ হোসেনের মন্ত্রীত্ব চলে যায়। জঙ্গী অপরাধে উত্তরবঙ্গের এমপির বিরুদ্ধে কেস হলে শেষের দিকে গ্রেফতার করা হয়। দপ্তরবিহীন মন্ত্রী করিয়ে কাউকে দুদক দিয়ে তার জন্য সত্যতা নেয়া হয়নি।

এখন আমি এর সাথে লীগের কিছুটা তুলনা করি। আমি কুকুর বিড়ালদের কথা লিখে নিজের ব্লগ নষ্ট করবো না শুধু লিংক দেই।

আওয়ামী লীগ সরকারের পদে থেকে বাংলাদেশে এরশাদের পর সর্বপ্রথম সরকারী কোষাগারের অর্থ দেশের উন্নয়ন ব্যাতিরেকে ব্যাক্তি স্বার্থ এবং দলের কল্যানে ব্যাব হার করেছে যার প্রথম ঘটনাটা সম্মুখে আসে সেটা ক্ষমতা পাবার দু বছরের মাথায় দেশ ব্যাপী কাউন্সিল। এরপর সে ঘটনার রেফারেন্সিং করে এনা প্রোপার্টিজের এমপি নিজ ক্ষমতাবলে সরকারী কাজ নিজের নামে করা, তার সূত্র ধরে আরও ৫-৬ জন এমপির পুচকে কোম্পানী গুলোর এগিয়ে আসে, যার ফলে শেয়ারবাজারে ধ্বসের পেছনে পীরবাবাকে সামনে রেখে লীগের এমপিদের যোগ সাজশ (কিছু কিছু লীগের কুকুর আতিউর রহমানের দোষ দেন, কিন্তু একটা কথা বলতে হয় অশিক্ষিত মূর্খদের, এসইসি একটা স্বতন্ত্র প্রতিষ্ঠান যেখানে অর্থ মন্ত্রী তাদের নিয়ন্ত্রকের বড় পোস্টে থাকায় এর লজিস্টিকস এবং অন্যান্য সুযোগ সুবিধার দ্বায়ভার তার) এবং সে শুধু ব্যাংকের হিসাব নিকাশটা এবং মনিটারী পলিসির সাথে মুদ্রাস্ফীতির যে সামন্জ্ঞস্য শেয়ার বাজারকে করতে হয় বিভিন্ন ইন্টারন্যাশনাল ট্রেডিং এর ক্ষেত্রে সেটার দিকে খেয়াল রাখতে হয়। সেখানে আতিউর রহমান নিজেদের দিক থেকে তার কিছু কাগজ দিয়েই ক্ষান্ত থাকেন কিন্তু এর পেছনে কি ঘটতে চলেছে সেটা তিনি ছেড়ে দিয়েছিলেন অর্থমন্ত্রীর উপর। কিন্তু আমাদের অথর্ব অর্থমন্ত্রী তো বৃদ্ধ ছাগল নতুবা শিক্ষিত চোর। যা হবার তাই হলো ৩৩ লক্ষ লোককে পঠে বসালো। যদিও এবার শেষের দিকে নিজের কিছু আপন লোকদের ঋন পাওয়া যাতে স হজ হয় সেজন্য এসএমই থেকে শুরু করে ক্ষুদ্র ঋনের ব্যাপারে বাংলাদেশকে ব্যাংকে নমনীয় হতে বললে আতিউর তা মনে করে দেয়ায় পাগলটা বলে বসে বাংলাদেশ ব্যাংক নাকি বোগাস।

এই হইলো আপনার চোর চোট্টা বাস স্ট্যান্ডের সন্ত্রাসীদের দল। ও আচ্ছা বাসস্ট্যান্ডের সন্ত্রাসী বলতে মনে পড়ে সন্ত্রাসী শাহজাহানের কথা। প্রথম আলোর মতিউরের পান থেকে চুন খসতে সবাই যখন এত গালি দিচ্ছেন এটা কিন্তু আগে দিতেন না। আগে শুধু গালি দিত বামেরা শুধু মাত্র তার কর্পোরেট চরিত্রের কারনে। মানুষ মাত্রই ভুল হয়, আর তাই মতি মিয়ার সামান্য ভুলের জন্য গালাগালি শুনতে হয় শুধু মাত্র এই কারনে যে বেশ কয়েকটি সড়ক দুর্ঘটনায় বাংলাদেশের কিছু কৃতী সন্তান এবং নিজেদের স্টাফরা আক্রান্ত হবার কারনে মতিউর রহমান স্বতঃপ্রনোদিত হয়ে শাহজাহান সাহেবকে চাপ দেন সড়ক ব্যাবস্হার সংস্কার এবং লাইসেন্সিং ও বিআরটিএর দুর্নীতি কমানোর জন্য। কিন্তু তাদের কথা উল্টো না শুনে সন্ত্রাসীটা বলে বসেন যে রাস্তার বিলবোর্ডে মেয়েদের ছবি দেখেই এক্সিডেন্ট হয়। তখন প্রথম আলো সরাসরি বলে বসে লীগের কিভাবে বারোটা বাজাতে হয় দেখে নেবে। আগে শুধু বিএনপিই গালাগাল করতো কারন জামাত শিবির নিয়ে ভয়াব হ সমালোচনা সাথে তাদের দুর্নীতির খবর পরিবেশনে, এর পর যুক্ত হয় লীগ। এখন সেদিন দেখলাম অশিক্ষিত লীগের কিছু বখাটে পোলাপানের গ্যাং নাম দিয়ে খোলা গ্রুপে মতি মিয়ার পোলার বখাটে পনা নিয়ে কত কথা। তাইলে লীগের তো ঘরে ঘরে সন্ত্রাসী আর চোর চোট্টা সেগুলো নিয়ে কোনো কথা তারা বলে না কেন? তারপর এই ভোটে স্বয়ং লীগের নেতার এভাবে ভ োট জালিয়াতীর ডাকের পরও শেখ হায়েনার নিশ্চুপ অবস্হান মনে মনে একটা প্রশ্নই জাগায়, বঙ্গবন্ধুকে গুলি করে হত্যা করার সময় তাকে বাচিয়ে রাখাটা ছিলো বাঙ্গালীর আরেকটি ভুল।

যাই হোক, আপনি যদি আমাকে চিনে থাকেন তাহলে বলবো এই কমেন্টের উত্তর একটি রেফারেন্স সম্বলিত ভাবে দেবেন কারন যখন আমি নেক্সট টাইম উত্তর দিবো তখন নিজের দল যে কতটা নিকৃষ্ট আর নিজের বুদ্ধির অবগমন যে কত নীচে সেটা চোখে আঙ্গুল দিয়ে বুঝিয়ে দেবো। আপনাকে সেই রামপালের ইস্যুতে ছেড়ে দিয়েছিলাম দেখে মনে করবেন না যে আপনিই সঠিক। আমি ঐ ইস্যুতে কথা বলিনি শুধু এ কারনে যে এই ইস্যুতে অনেক ভালো ভালো যুক্তি মানুষ দিয়েছে যার ডিফেন্ড না করে লীগের শিক্ষিত চোর গুলা উল্টো ভাঙ্গার রেকর্ড বাজিয়েছে এবং আপনাকে যুক্তিতে হারালেও লীগ শুনবে না, জেতালেও লীগ শুনবে না। কারন খালেদা যেমন নিজের দেহ জামাতের কাছে বিক্রি করেছে তেমনি শেখ হায়েনা নিজের দেহ স হ পরিবারের সবার দেহকে ভারতের কাছে বিক্রি করে দিয়েছে।

প্রমান বা যুক্তি আরও লাগবে?

৬| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৩৫

মশিকুর বলেছেন:
রাজনীতিবিদদের প্রতিযোগিতা এখন নিম্নমুখি। কে কারচেয়ে কম খারাপ হবে, সে প্রতিযোগিতায়ই থাকে এরা। এদের কাউকেই ভালো বলা যায় না। বলতে হয় মন্দের ভালো। সবচেয়ে খারাপ বিষয় হল সহসাই এই হতাশা কাটার কোন লক্ষন দেখা যাচ্ছে না।

এদের নোংরা খেলায় আহত হয় সাধারন দর্শক। নির্মমতা কাকে বলে!!!!

নতুন বছরের শুভেচ্ছা উদাসী ভাই।

০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৪২

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: আপনাকেও শুভেচ্ছা।

আপনার মন্তব্যটি পড়ে বোঝা যায় আপনি যে শিক্ষায় দীক্ষিত তাতে নিজের বিবেকবোধ এবং মহত্ব টুকু জাগ্রত করে নিজেকে আদর্শ মানুষ হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যেই তা সম্পন্ন করেছেন। কিন্তু ভাবতে অবাক লাগে এই ব্লগে ইদানিং অধিকাংশ উচ্চশিক্ষিত, স্বল্পশিক্ষিত, প্রতিষ্ঠিত শুরু করে আমজনতার একটা বড় অংশ আপনার উপরের কমেন্টকারীর মতো দলকানা এবং অন্যায়কে ভয়াব হ রকমের প্রশ্রয় দিচ্ছে। যদি বাংলাদেশে নৈতিক অবক্ষয়ের কারনে ভালো মানুষের সংখ্যা এভাবেই কমতে থাকে তখন দুঃখ হয় এত বিশাল সংখ্যক দলান্ধ, বর্বর, প্রতারক, পেডোফাইল মন মানসিকতার লোকজনের কুকর্মের জন্য হাজারো নিস্পাপ খেটে খাওয়া কষ্ট পাবে।

আল্লাহর কাছে দোয়া করি যাতে এই ঘোর অমানিশা কেটে যাক

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.