নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ঈশ্বর পটল তুলছে - নীৎসে/নীশে/নিৎচা

উদাসী স্বপ্ন

রক্তের নেশা খুব খারাপ জিনিস, রক্তের পাপ ছাড়ে না কাউকে, এমনকি অনাগত শিশুর রক্তের হিসাবও দিতে হয় এক সময়। গালাগাল,থ্রেট বা রিদ্দা করতে চাইলে এখানে যোগাযোগ করতে পারেন: [email protected]

উদাসী স্বপ্ন › বিস্তারিত পোস্টঃ

৫ম ডাইমেনশন, গ্রাভিটেশনাল ওয়েভ-টাইম ট্রাভেল কাহিনী আর আমি বিড়ি টানলেই কেন এন্টার্কটিকার বরফ গলে?

২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৩:২৭

(কয়েকদিন আগে দু হাতের কব্জী রাস্তায় স্লিপ কেটে ফ্রাকচার হওয়ায় ব্যান্ডেজ লাগানো হইছে.. এই দু হাতে ব্যান্ডেজ নিয়েই এই লেখাটা লেখা! বানান ভুল বা বাক্য গঠনে সমস্যা হলে প্লিজ জানাবেন)

ডাইমেনশন বা মাত্রা নিয়ে যে কোনো প্রকারের কনফিউশন থাকলে এই ভিডিওটি দেখার অনুরোধ রইলো। সবাই বুঝে যাবেন ১০ মাত্রা কি! আজ থেকে কয়েকবছর আগেও এই ডি ব্রেন সম্পর্কে অনেক বাঘা বাঘা পদার্থবিদ মাথা চুলকাতো। আশা করি এই ভিডিও আপনাকেও একজন বাঘা পদার্থবিদ বানিয়ে দিতে পারে, তবে এই ভিডিও অনেক আগেই নেটে অনেকেই বহুবার শেয়ার করেছে।



আমার লেখার বিষয়বস্তু এত বিশদ নয়। তার আগে আমি একটু কথা বলি। আমরা ছোট বেলায় যখন পড়ালেখা শুরু করি তখন দেখতাম জ্যামিতিতে আমাদেরকে পড়ানো হতো x অক্ষ আর y অক্ষ। তারপর যখন আরও একটু পড়ালেখা করি তখন ছবি আকা বা যেকোনো বাক্স আকা শিখলে জানতে পারি আমাদের চারপাশে প্রতিটা দৃশ্যমান বস্তুর দৈর্ঘ্য, প্রস্থ এবং উচ্চতা বর্তমান। এখন আপনি হাত উচিয়ে বলতে পারেন একটা কাগজের তো শুধু দৈর্ঘ্য প্রস্থ আছে কিন্তু উচ্চতা তো নেই।

কথাটা ঠিক আবার ঠিক না। ঠিক এই জন্য যে আপাত দৃষ্টিতে এর কোনো উচ্চতা নাই কিন্তু আবার বেঠিক এই জন্য যে এই কাগজটা কত মোটা সেটা যত সূক্ষ্মই হোক সেটাই উচ্চতা।

তো আমরা ধরে নেই তার কোনো উচ্চতা নেই। তার মানে ফিনফিনে কাগজটার মাত্র দুটো মাত্রা কিন্তু যখন এটা দিয়ে কোনো বাক্স বানান বা শুধু ভাজ করেন তাহলে আপনি এর একটা উচ্চতা পাবেন।

এটা গেলো বাস্তবতার ভিত্তিতে। এখন ডাইমেনশন নিয়ে যখন চিন্তা ভাবনা শুরু হয় তখন দেখা যায় গানিতিক ভাবে উচ্চতর মাত্রা দিয়ে বস্তুর জ্যামিতিক গঠন কি হতে পারে সেটা অনুমান করা খুব কঠিন কিছু না। আপনি গানিতিক ভাবে চোখ বুঝে ঘাত সমূহের ইন্টিগ্রাল ইকোয়েশন দিয়ে তাদের জটিল ফিগার গুলোর জিওম্যাট্রিক রূপ দিতে পারেন।

কিন্তু আপনি যখন পদার্থবিজ্ঞানের মৌলিক তত্বে আসবেন তখন একটু সমস্যা। এই যেমন আপনি বস্তুর দৈর্ঘ্য প্রস্থ আর উচ্চতা দেখছেন, এর পর কি?চিন্তা করেন।

যদি আমরা এই দৈর্ঘ্য প্রস্থ উচ্চতাকে জ্যামিতি অনুসারে আকি তাহলে নীচের ছবির মতোই মনে হবে যা x, y , z দিয়ে ব্যাখ্যা করা যায়।



চিত্র ১: এখানে এই বাক্সটির দৈর্ঘ্য প্রস্থ এবং উচ্চতা দুটোই বিদ্যমান। গানিতিক ভাবে যেটাকে আমরা x,y,z ভাবে বলতে পারি।



চিত্র ২: এখানে x,y,z ছাড়াও আরেকটা মাত্রা আছে যার ফলে ছবিটাএরকম হয়েছে। আসলে স্থানিক মাত্রাগুলো সবসময় একটার ওপর লম্বভাবে (৯০ ডিগ্রি কোনে) অবস্থান করে কিন্তু এর দিক থাকবে ভিন্ন। তাই বাক্স পেটে ঢুকে গেছে। সূত্র: Click This Link


আইনস্টাইন যখন স্পেশাল থিওরী অব রিলেটিভিটি নিয়ে দুনিয়া মাতাচ্ছিলো তখনও মহাবিশ্বের মৌলিক বলের চারটির সবকয়টি আবিষ্কার হয় নি। দুর্বল এবং শক্তিশালী মিথস্ক্রিয় বল সম্পর্কে তখন কোনো আইডিয়া ছিলো না। তবে আইনস্টাইনের মাথায় এটা ঘুরছিলো যে মৌলিক যত বল (তড়িৎচৌম্বকীয় বল আর গ্রাভিটি) এগুলোকে কিভাবে একীভূত করা যায়। যদি এগুলো একীভূত করাই যায় তাহলে মহাবিশ্ব সৃষ্টির সকল প্রশ্নের উত্তর পাওয়া যাবে বৈকি। কিন্তু কোনো ভাবেই এই বল দুটিকে একীভূত করা যাচ্ছিলো।

আইনস্টাইনের স্পেশাল থিওরী অব রিলেটিভিটি অনুসারে যেকোনো ভর বিশিস্ট বস্তু কোথাও অবস্থান করে সেখানে স্থান কালের মাত্রা বেঁকে যায়। এর সবচেয়ে বড় প্রমান হলো গ্রাভিটেশনাল লেন্সিং যেটা আমরা মহাবিশ্বকে টেলিস্কোপ দিয়ে কোনো বিশাল তারা বা ব্লাক হোলকে অনুসরন করলে দেখা যাবে তার পাশ দিয়ে আলো বেকে যাচ্ছে। আলো হচ্ছে একটি তড়িৎচৌম্বকীয় বল যার গতিবেগ আমাদের জানা মতে সর্বোচ্চ।

তো আইনস্টাইনের এই তত্বে স্থান কাল মাত্রার হিসাব ৪ মানে ৪ টি মাত্রা বিদ্যমান যার তিনটি হলো স্থানিক মানে দৈর্ঘ্য প্রস্থ উচ্চতার সমমান এবং আরেকটি হচ্ছে সময় মানে আলোর গতি অথবা যেভাবে আপনি ইন্টারপ্রেট করেন (এটা করা হয়েছে গানিতিক ব্যাখ্যার সাথে সহজে মেলানোর জন্য)।

কালুজা ক্লেইন থিওরী:

আইনস্টাইনের স্থান-কাল নিয়ে স্পেশাল থিওরী অব রিলেটিভিট যখন সবাইকে চমকে দিলো তখন কালুজা-ক্লেইন নামের দুই গনিতবিদ ভাবলেন যে স্থানিক এই তিনমাত্রা ছাড়াও যদি আরও একটি মাত্রা থাকে তাহলে কি হবে...

আইনস্টাইনের স্পেশাল রিলেটিভিটি অনুযায়ী আমরা একটা ধারনা পাই স্থান-কালের মাত্রা কোনো ভরের উপস্থিতিতে বেকে যেতে পারে। যেমন আপাত দৃস্টিতে ধরা যাক আমাদের পৃথিবী পৃষ্ঠ বাকানো মানে পুরাই গোলাকার। পৃথিবীপৃষ্ঠের যেকোনো বস্তুর অবস্থান জানতে আমরা ব্যাব হার করি অক্ষাংশ এবং দ্রাঘিমাংশ। কিন্তু এই মাত্রা দুটো পর্যায়ক্রমিক কারন আপনি যদি পৃথিবীর এক বিন্দু থেকে হাটা শুরু করেন সোজাসুজি তাহলে পুরো পৃথিবী ঘুরে সেই বিন্দুতেই চলে আসবেন। তার মানে পৃথিবীপৃষ্ঠটি আমাদের পারিপার্শ্বিক তিন মাত্রার জগতে একটা দ্বিমাত্রিক তল। ঠিক যেমন আপনার রুমের মেঝেতে পড়ে আছে একটা পাতলা সিলিন্ডারের মতো দু পাশের প্রান্ত আটকানো কাগজ।

কালুজা-ক্লেইন ভাবলেন যে যদি আমাদের বাহ্যিক মাত্রাগুলোর মধ্যে কোনো এক মাত্রা এমন ভাবে বাকানো হয় তাহলে কি হবে? ঐ বাকানো মাত্রাটি এভাবে চিরদিন চলতে পারে না কিন্তু ঐ বাকানো মাত্রার কারনে পুরো স্থান বা বস্তুটি একটি বৃত্তের সৃষ্টি করবে। স হজ ভাষায় আপনি হাতে কাগজ নিন। এর দৈর্ঘ্য আর প্রস্থ পাবেন। এখন আপনি দৈর্ঘ্য বা প্রস্থ বরাবর দুই প্রান্ত এক করেন তাহলে কি গোলাকার সিলিন্ডারের আকার নিচ্ছে না? সেরকম ভাবে বোঝার সাথে একটা চ্যাপ্টা বাক্স নিন যার দৈর্ঘ্য প্রস্থ এবং উচ্চতা তিনটাই পাবেন। এখন আপনি তার দৈর্ঘ্য বা প্রস্থ বা উচ্চতা যেকোনো মাত্রা বরাবর বাকিয়ে দুই প্রান্ত লাগিয়ে দিন, বাক্সটি কি গোলাকার হবে না? তাহলে আপনি দেখতে পাবেন ঐ সিলিন্ডার আকৃতির কাগজ বা বাক্সের পৃষ্ঠে যেভাবেই হোক একটা দাগ টানা শুরু করলে তার শেষ হবে ঐ দাগের শুরুর বিন্দুতে। তাহলে আপনি পেয়ে গেলেন বাকানো মাত্রা সমূহ।

তবে এই বক্রাকৃতির অবস্থা নির্ভর করবে আপনি কোন মাত্রাটাকে বাকিয়েছেন। যদি বৃত্তটির সাইজ একটা এটমের লক্ষ কোটি ভাগের এক ভাগ হয় তাহলে এই বক্র মাত্রাটি আপনার চোখে ধরা পড়বে না। তেমন ভাবেই আপনি একটা কাগজ নিয়ে ছোটবেলার সেই খেলার মতো এই কোনো ধরে যত ক্ষুদ্র সম্ভব গোলকরে ফেললেন তাহলে দেখা যাবে গোলাকার কাগজটি পাইপের মতো লম্বা হবে কিন্তু এর বক্রাকৃতির ব্যাস খুব কম থাকায় দূর থেকে একে আপনার একটি সরল রেখাই মনে হবে। ঠিক এই জিনিসটাই মাত্রার ক্ষেত্রে ভেবে দেখেন তাহলে ঐ বক্রাকৃতির বল আপনার কাছে নগন্যই মনে হবে। কালুজা এবং ক্লেইন ঠিক এই কনসেপ্ট নিয়েই গনিত কষে দেখালেন যে আপনার ত্রিমাত্রিক জগতের ভেতর আরেকটা ছোট মাত্রা থাকতে পারে এবং সেটি যদি এমন অতিক্ষুদ্র ব্যাসার্ধের হয় যেটা ধরতে পারেন প্লাংকের স্কেলে মাপতে হবে, তাহলে সেটা আপনার অনুভূতির বাইরে।

তখন সবাই ভাবতে লাগলেন এই অতি ক্ষুদ্র চতুর্থ মাত্রা যেটা আমার গায়েই লাগে না সেটা নিয়ে ভাববো কেন? তখন কালুজা-ক্লেইন দেখালেন জেনারেল রিলেটিভিটির মাধ্যমে যে এই অতিরিক্ত মাত্রা আমাদের ওপর তারপরও কিছু প্রভাব ফেলে যেমনটা ফেলে গ্রাভিটি নামের বলটি। এবং গ্রাভিটির তুলনায় তড়িৎচৌম্বকীয় বল ততটাই শক্তিশালী। তাহলে দেখা গেলো আমরা স্থানিক তিন মাত্রা পেলাম, বাকানো অতিক্ষুদ্র মাত্রা হিসেবে গ্রাভিটিকে এবং ৫ নম্বর মাত্রা হলো তড়িৎচৌম্বকীয় বল যাকে আলো হিসেবে ধরে হিসাব করতে পদার্থবিদেরা পছন্দ করেন এবং আইনস্টাইনের রিলেটিভিটির তত্ব আর হাইপোতে আলোকেই সময়ের সম্পর্কযুক্ত ভাইরা ভাই তুলে ধরেছেন।
সূত্র

এই তত্বে গানিতিক ভুল না থাকলেও যখন পদার্থবিজ্ঞানে এর প্রয়োগ ঘটানো হয় তখন দেখা যায় এই হিসেবে ইলক্ট্রনের ভরের বেশ হের ফের ঘটে। মানে পরীক্ষিতভাবে যে ভর পাওয়া যায় তার চেয়ে ব হুগুন বেশী পার্থক্য থেকে যায়। এছাড়া এই তত্ব শুধু তড়িৎচৌম্বকীয় বল এবং গ্রাভিটিকে নিয়ে কাজ করে কিন্তু পরবর্তীতে আবিস্কৃত হওয়া বাকি দুটো মৌলিক বল: দুর্বল এবং শক্তিশালী মিথস্ক্রিয় বলকে একীভূত করাটা সম্ভব হয় নাই।

তার ওপর দেখা যায় এই বাকানো মাত্রার কারনে পুরো বস্তুটি গোলাকার হয়েই যায় তাহলে তার পৃষ্ঠ বরাবর তড়িৎচৌম্বকীয় বলপ্রাপ্ত কনিকা সমুহ পরিভ্রমন করবে।যদি ইলেক্ট্রনের কথা চিন্তা করি, এই বাকানো মাত্রার ব্যাসার্ধ ইলেক্ট্রনের তড়িৎচার্জের সাথে সম্পর্কযুক্ত এবং যখন পৃষ্ঠে বরাবর ইলেক্ট্রন ঘুরা আরম্ভ করবে তাহলে অপর দিকে এর এন্টি ইলেক্ট্রন মানে পজিট্রনও ঘুরবে এবং একটা বিন্দুতে এসে তাদের সংঘর্ষ হয়ে তারা ধ্বংস হয়ে যাবে। যেটা বাস্তবে হচ্ছে না। পৃথিবী থেকে নিঃসরিত আলো বা সূর্য্য পৃষ্ঠের বিকিরন নিঃসরিত হয়ে সরলপথেই গমন করছে.....কিছুই ধ্বংস হচ্ছে না।

আইনস্টাইন তার শেষ জীবনে সকল বল একীভূত করনের কাজ হাতে নিলেন তখন তার সামনে সবচেয়ে ভালো এবং কার্যকরী তত্ব ছিলো এই থিওরীই। কিন্তু এই কাজটি শেষ করার আগেই তিনি মারা যান। পরে যখন স্ট্রিং থিওরী এসে বললো শুধু ৫ টা না, ঐ তিনটা স্থানিক মাত্রা আর কালের মাত্রা বাদের প্রায় সবই বাকানো মাত্রা, তখন অনেকটা এই সমস্যার সমাধান হয় কিন্তু সেখানে আরো বেশ কিছু সমস্যার উদয় হয় সেটা হলো এলএইচসিতে এই পর্যন্ত যতগুলো কলিশন ঘটানো হইছে তার কোনোটাতেই স্ট্রিং থিওরীকে সমর্থন দেবার মতো কোনো কনিকা পাওয়া যায়নি।

আপনি হয়তো বলতে পারেন যেহেতু এসব কনিকার ভর কাল্পনিক এবং গতি আলোর খুব কাছাকাছি বা বেশী তাহলে এলএইচসি পাবে কিভাবে? এলএইচসিতে এই পর্যন্ত ১৪ টেরাইলেক্ট্রন ভোল্টের নীচে এি সংঘর্ষ ঘটানো হয়েছে এবং যদি এইসব কনিকা থেকেই থাকে তাহলে এসব কনিকা যে ভর নিয়ে তৈরী হবে সে ভর নিয়ে তারা অন্য মাত্রায় উধাও হয়ে যাবে। তার মানে আপনি যদি ৭ টেরা ইলেক্ট্রনভোল্ট দিয়ে কোনো কলিশন ঘটান তাহলে কলিশনের পর ৭ টেরাভোল্টের হিসাব পাবেন না। এর বেশ কিছু অংশ উধাও হয়ে যাবার কথা। কিন্তু তা হয় নি।

যদিও স্ট্রিং থিওরির লোকজন এর কারন হিসেবে হাইয়ারার্কি প্রবলেমের কথা বলে!


গ্রাভিটেশনাল ওয়েভ:

প্রথমে আমাদের বুঝতে হবে এই স্পেস টাইমটা কি? তাহলে চলেন আমরা একটা বিশাল পুস্কুরিনি দেখতে যাই। আমি যখন ঢাকা ছাড়ি শেষবারের মতো তখন ঢাকা শহরে পুস্কুরিনী খোঁজা আর খড়ের গাঁদায় সুই খোজা এক কথা। পুরা ঢাকা শহর যেনো ইটের দালানো বস্তি। যাই হোক ধরে নিলাম আপনি গ্রামের কোনো বিশাল পুস্কুরিনিতে বসে আছে যেটা খুব শান্ত। কোনো ঢেউ নেই। এখন আপনি তার মাঝখানে একটা ঢিল ছুড়েন তাহলে কি হবে? একটা ঢেউয়ের সৃষ্টি হবে।

বিগব্যাং বা যে মহাবিস্ফোরনের কারনে এই মহাবিশ্বের জন্ম এর গোড়া থেকেই শুরু হয়েছে স্হান কাল মাত্রার প্রসারন। সোজা কথায় সময় এবং স্থানের পথ চলা। আমাদের পুকুরের পানির শান্ত পৃষ্ঠটাই হলো এই স্পেস টাইম এবং যখনই আপনি এর মধ্যে ভর যুক্ত কলেন তখনই এই স্থান কাল বেকে যায়। এটা আইনস্টাইনের স্পেশাল রিলেটিভিটি থেকে জানতে পারি। কিন্তু যখন একটা ঘুরা শুরু করে তখন দূরের বস্তুকে আকর্ষন করতে শুরু করে যেটাকে আমরা গ্রাভিটি বলতে পারি।

অনেকটা আপনি একটা গ্লাসে পানি নিয়ে চিনি ঢাললেন এবং চামচ ডুবিয়ে নাড়াতে শুরু করলেন। দেখবেন পানিতে একটা ঘূর্নীর সৃষ্টি হয়েছে এবং মাঝখানে ডেবে গিয়ে এক কেন্দ্রে গিয়ে মিশছে কেন্দ্রমুখী বলের কারনে। এখন যদি গ্লাসের এক প্রান্তে কোনো কাগজের ছোট টুকরা ফেলেন তাহলে সেটিকেও কেন্দ্রে আকর্ষন করবে। ঠিক এমনটিই ঘটছে সূর্য্য এবং তার গ্রহের ক্ষেত্রে আর এই যে স্থান কালের পৃষ্ঠে যে ঢেউ এটাই হলো গ্রাভিটেশনাল ওয়েভ এবং এটি সময়ের গতিতে চলে।

বিজ্ঞানীরা এই গ্রাভিটেশনাল ওয়েভের এফেক্ট ধরতে পেরেছেন তাদের লিগো এক্সপেরিমেন্ট সেন্টারে যেটাতে মূলত শক্তিশালী গ্রাভিটেশনাল ওয়েভের কারনে সৃষ্ট স্থানিক যে সংকোচন হয়েছে সেটাকে নির্নয় করেছে এবং এর মান হলো একটি প্রোটনের ব্যাসার্ধের সমান।


চিত্র ৩: লিগোর বেসিক ডায়াগ্রাম।

এখন কথা হলো দুইটা ব্লাক হোলের সংঘর্ষ অনেক বড় ব্যাপার এর বাইরে কি গ্রাভিটেশনাল ওয়েভ হয় না? অবশ্যই হয়। আপনারা স্বামী স্ত্রী দুজনে মিলে নাচলেও হয় কিন্তু তার মান এত কম যে সেটা ডিটেক্ট করা যায় না। কারন গ্রাভিটি নিজেই খুব দুর্বল।

এই ব্যাপারে ডিটেলস লেখার ইচ্ছে ছিলো কিন্তু পত্র পত্রিকায় ব্লগ সমূহতে এতো লেখা হয়েছে এই নিয়ে যে আর কিছু লেখার ইচ্ছে নাই।

তবে এটা নিয়ে যে কথা না বললেই নয় সেটা নিয়ে আলোচনা করবো।

মিশিও কাকু এর মধ্যে ডিক্লেয়ার দিয়ে দিছেন যে টাইম মেশিন বানানোতে এখন তত্বগত কোনো বাধা নেই, যে বাধা আছে সেটা হলো প্রকৌশল গত। মানে ইন্জ্ঞিনিয়ারগুলান কাম পারে না দেইখা টাইম মেশিন আবিস্কার হইতেছে না!

উনাকে কিছু বলার নাই, সারা জীবন ফিজিক্স বেচে অনেক কিছু করছেন, কিন্তু এভাবে প্রকৌশলীদের ওপর দোষারোপ করা তার বিমাতাসুলভ আচরনের মধ্যেই পড়ে! (কিডিং)


গ্রাভিটেশনাল ওয়েভ এবং টাইম মেশিন:


যখন বিগ ব্যাং ঘটেছিলো তখন থেকেই এই সময় আর স্থানের মাত্রা শুরু। বিস্ফোরনের ১ সেকেন্ডের অতি ক্ষুদ্র সময় (প্লাংক টাইম= ১০^-৪৩ সেকেন্ড) পর্যন্ত ৪ টি মৌলিক বল (গ্রাভিটি, তড়িৎ চৌম্বকীয়, দুর্বল মিথস্ক্রিয়, শক্তিশালী মিথস্ক্রিয় বল) একত্রেই ছিলো (যেখানে গ্রাভিটিই ছিলো সবচেয়ে শক্তিশালী এবং কর্তৃত্ব পরায়ন), এর পরই শুরু হয় ইনফ্লেশন....তারপর সবাই জানেন হয়তো। কথা হলো এই বিস্ফোরনের ফলে একটা শক্তিশালী গ্রাভিটেশনাল ওয়েভের সৃষ্টি হয়েছিলো এবং এটা এখনও এই মহাবিশ্বে বিদ্যমান। মহাবিশ্বে পরিভ্রমন কালে এরকম আরও বিস্ফোরনের কারনে এটা আরো শক্তিশালী হয়েছে এবং এর মধ্যে যে অতিআদি বিস্ফোরনের যে চিহ্ন সেটাও ব হন করছে যদিও সেটা অনেকটা বিকৃত।



চিত্র ৪: বিগ ব্যাং এর ক্রোনোলজিক্যাল ধারা।



চিত্র ৫: বিগ ব্যাং এর পর গ্রাভিটেশনাল ওয়েভ ভ্রমন করে পৃথিবী পর্যন্ত পৌছাতে যা সময় লাগতে পারে।

আমরা এখন থেকে মহাবিশ্বের দিকে তাকাবো তখন আমরা গ্রাভিটির কারনে আলোর যে গতির যে পরিবর্তন যার ফলে দূরবর্তী ঘটনায় কি ঘটেছে, সেখানে স্থানিক মাত্রার কি পরিবর্তন সাধিত হয়েছে সেটা সম্পর্কে একটা পরিষ্কার ধারনা পেতে পারি। এছাড়া এই গ্রাভিটেশনাল ওয়েভের অস্তিত্ব আইনস্টাইনের স্পেশাল রিলেটিভিটির একটা গুরুত্বপূর্ন দিকো প্রমান করে যেটা আসলে পৃথিবীতে কোনো ল্যাবে প্রমান করা সম্ভব নয়।

আরেকটা ব্যাপার হতে পারে সেটা হলো জিপিএস সিস্টেম আরো নিখুতভাবে কাজ করতে পারে। তখন হয়তো জিপিএস গাইডেড গুলি ডিজাইন করা যাবে যে গুলিটা দেখা গেলো মঙ্গলবারের ভরা বাজারে ১০০০ লোকের সাথে দাড়িয়ে থাকা মোল্লা হামিদ চাচা কপালের মাঝখানে বিধে যাবে খুবই নিখুত ভাবে!

তবে এর সাথে টাইম মেশিনের সম্পর্ক এটাই থাকতে পারে যে গ্রাভিটির কারনে স্থানের সংকোচন বা প্রসারন ঘটে তার ফলে স্থানের মাত্রার বিকৃতি ঘটে। এখন কথা আসে গ্রাভিটি যদি সত্যি আলাদা মাত্রা হয় তাহলে এটা কি স্থানিক মাত্রা সমূহকে বাকাতে পারবে? যদি পারে তাহলে তড়িৎচৌম্বকীয় বল বা আলো যে স্থান থেকে যাত্রা শুরু করেছে সে স্থানে ফিরে আসবে? (কিন্তু এখানে তো ঐ সমস্যা: কালুজা ক্লেইনের ক্যালকুলেশন অনুযায়ী ইলেক্ট্রন আর পজিট্রন গোলাকার পথে হাটা দিলো দু দিকে, তারা পৃষ্ঠ বরাবর ভ্রমন করে নিজেদের সাথে সংঘর্ষ করলে শেষ, তো?)

এগুলোর সমাধান করা গেলে তবেই বোঝা যাবে গোডলের ক্লোজড টাইম কার্ভেচার তৈরী হবে কিনা। তার আগে চার বলের একীভূত করন মানে theory of everything প্রমান করা দরকার!

তাই টাইম মেশিনের সাথে এই গ্রাভিটেশনাল ওয়েভের সম্পর্ক এমন যে আমি সিগারেট খাচ্ছি তাই এন্টার্কটিকার বরফ গলছে। এই কথাটা আপনার কাছে যেমন হাসির খোড়াক দেবে, আবার কোনো কিছুর সাথে কোনো কিছু সম্পর্কযুক্ত না এটা ভাবাটাও বাতুলতা!


লেখাটি লিখতে অনুরোধ করেছেন জনৈক কৃষ্ঞচূড়া!

মন্তব্য ৫০ টি রেটিং +১০/-০

মন্তব্য (৫০) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৩:৪৯

নতুন বলেছেন: বেশির ভাগই মাথার উপর দিয়া গেছে... একটা প্রশ্ন জাগলো...

এখনকার ইন্জ্ঞিনিয়ারগুলান না হয় টাইম মেশিন বানাইতে পারেনাই। কিন্তু ভবিশ্যতের ইন্জ্ঞিনিয়ারগুলান তো বানাইতে পারার কথা?? ( যদি টাইম মেশিন বানানো সম্ভভ হইতে) তারা কেন বানাই নাই?? বানাইলে আমাদের অতীতে তো টাইম মেশিনে কোন মেশিনম্যান আইছিলো তেমন ইতিহাস থাকতো...??

তার মানে কি ভবিশ্যতেও ইন্জ্ঞিনিয়ারা টাইম মেশিন বানাইতে পারে নাই??

নাকি টাইম মেশিনে অতীতে যাওয়া যাইবো না??

২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৩:৫৯

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: এর অনেক উত্তর আছে। ক্রোনোলজিক্যাল কনজেকচার অনুযায়ী আপনি শুধু অবজার্ভ করতে পারবেন কিন্তু কোনো পরিবর্তন আপনি করতে পারবেন না। যদি করতে যান তাহলে আর জায়গা মতো ফিরে যেতে পারবেন না!

আবার আরেকটা কথা বলা যায় প্রকৃতিতে শক্তির নিত্যতা বেশ কঠোরভাবেই মেনে চলে....কেউ এসে যদি পরিবর্তন করেও দেয় তাহলে হয় প্রকৃতিতে যা হবার তাই হবে, ফলাফল পরিবর্তন করতে পারবেন না অথবা নতুন এক টাইম লাইনের সৃষ্টি হবে।

আবার মাল্টিভার্স অনুযায়ী আপনি অতীতে যাওয়া মানে অন্য একটা মহাবিশ্বে চলে যাওয়া যেখানে আপনি আপনিই থাকবেন কিন্তু আপনার অবস্থা পরিবর্তিত। এখন আপনি আপনার প্রতিরুপরে মারেন কাটেন যাই করেন সেইটা সেই মহাবিশ্বেরই মধ্যে থেকে যাবে। যেমনটা জেট লীর ওয়ান মুভি।

তো অনেক বিজ্ঞানী অনেক ম্যাথমেটিক্যাল মডেল দিছে যার উত্তর আপনার এই ধাধা স হ নানা প্রিডেস্টিনেশন প্যারাডক্সের উত্তর দিছে কিন্তু কোনটা সত্য আপনি তখনই শিওর হবেন যখন আপনি জানবেন আপনি কিভাবে অতীত ভ্রমন করতে পারবেন!

তবে কোয়ান্টাম ফিজিক্স আর ডি ব্রেন তত্ব এমনকি আইনস্টাইনের রিলেটিভিটি তত্বও তাইম ট্রাভেল সমর্থন করে!

২| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ ভোর ৪:২৪

নতুন বলেছেন: হুম Professor Brian Cox এর একটা লেকচারে দেখেছিলাম তিনি ব্যক্ষা করেছেন যে টাইমট্রাভেল ভবিশ্যতের দিকে করা সম্ভব... যদি আলোর বেগে ভ্রমন করা যায়...

তাই ঐ রকমের রকেট তো ইন্জ্ঞিনিয়ারদের সময় লাগবোই।

হয়তো অতীতে ফিরে যাওয়া যায়না তাই আমাদের ভবিশ্যত থেকে কেউই এখনো অতীতে ফিরে আসেনাই।

২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ ভোর ৪:২৫

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: হতেও পারে....এখনও কিছু শিওর হয়ে বলার সময় আসে নি!

৩| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ ভোর ৪:২৮

নতুন বলেছেন: হুম আমরা এই সবের কোন কিনারা দেইখা যাইতে পারুম না। সেইটাই আফসোস থাকবে।

২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:০৮

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: ২০৪৫ পর্যন্ত কোনো মতে বাঁচার চেস্টা করেন। তারপর আর চিন্তা নাই। আর একটা লিংক লন


http://www.techworm.net/2015/11/researchers-working-technology-to-bring-dead-back-to-life.html

৪| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ ভোর ৪:৪১

বিষন্ন পথিক বলেছেন: আফনের পোষ্ট পড়লে মাথা ঘুরায়, খালি ঘুরায়

২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১০

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: দুনিয়া বাদ পুরা সৌরজগৎ গ্যালাক্সিই তো ঘূর্ণির মধ্যে আছে। সেইখানে আপনের আমার মাথা শরীর তো পান্তাভাত

৫| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৮:০২

শাহাদাত হোসেন বলেছেন: আহারে টাইম মেশিন খানা যদি আমি বেচেঁ থাকতে বানাইতে পারতো!

পোষ্ট খানা অতি জটিল তাই প্লাস দিলাম ।

২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১২

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: ২০৪৫ পর্যন্ত বাইচা থাকেন আর টাকা পয়সা জমান
বাকিটা এমনেই হইবো

৬| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:০৪

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অনেক দিন পর আবার পেলাম। পাইলাম আমি ইহাকে পাইলাম :)

ভাইডি আপনার লেখা পইড়া আমার একটা তত্ত্ব মনে হইল-
বড় মাত্র হইল আমার উপস্থিতি। আমি আছি সবই আছে। আমি নাই কিছুই নাই।
এইডা কুন মাত্রায় পড়ে :P

২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১৬

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: এচলাম অনুযায়ী ৭ম মাত্রা কারন কোরানে বলছে বিগ ব্যাং পর্যন্ত ভাবতে আর পরের জগতের সুখের জন্য এবাদত করতে। এরপরের জগত তৈরী হইছে কেমনে মানে ৮ম মাত্রা নিয়ে ভাবতে মানা করছে

৭| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:২৭

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: অসাধারন একটা পোস্ট। জটিল বিষয়কে সহজভাবে অনেকেই লিখতে পারেন না। পোস্টটা কাজে আসবে। শেয়ার করলাম।

আর আশা করি, দ্রুত সুস্থতা লাভ করবেন। :)

২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১৭

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: এক আটি ধনিয়া পাতা

৮| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:৫৪

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: মাথা ঘুরান দেয়। এত জ্ঞানের লেখা বুঝার মতো মগজ নাই ভাই। মাফ কইরা দেন।

২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:২৪

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: আপনি বুঝেন নাই এটা আমার ব্যার্থতা।

কারন আপনি একটা এ৪ কাগজ নেন তারপর ওটা দিয়া চোঙ্গা বানান যাতে এর এক প্রান্তে চোখ দিলে অন্য প্রান্তে কি আছে দেখা যায় দুরবীনের মতো। এটা বুঝছেন? তাহলে বুঝে গেলেন কালুজা ক্লেইন থিওরী। যেটা দিয়া আইনস্টাইন থিওরী অব এভ্রিথিং দিতে চাইছিলো।

এখন একটা পুস্কুনিতে যান। মাঝবরাবরা নৌকা নিয়া দাড়ান। চারপাশে যে ঢেউ সেটা গ্রাভিটেশনাল ওয়েভ কারন পানিটা হচ্ছে স্হান কালের পৃষ্ঠ আর আপনি নৌকা নিয়া দাড়াইলে পানির সমতল পৃষ্ঠে যে বক্রতা সেটা হলো আপনের ভর আছে তাই ওটা বেকে গেছে। কিন্তু যখনই নৌকায় কুদাকুদি করবেন আপনের ভর সম্বলিত দেহ আর নৌকার যে গ্রাভিটি তা স্পেস টাইম পৃষ্ঠ বা পানিতে আলোড়ন সৃস্টি করবে। এই আলোড়নটা গ্রাভিটেশনাল ওয়েভ।

বুঝছেন?

৯| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:৩৩

বিভাজন বলেছেন: আচ্ছা,আলোর থেকে বেশী গতিতে চললেতো অতীতে যাওয়ার কথা,,,,এরকম নাকি কিছু কথা আছে তারা সময়ের বিপরীত দিকে যাচ্ছে?ভাই উত্তর আশা করছি

২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:০৬

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: আলোর থেকে বেশী গতিতে ভ্রমন করে দুনিয়ায় ফিরে আসলে ভবিষ্যতে যাবেন।
আর ওয়ার্মহোলের ভেতর দিয়ে ভ্রমন করে সর্পিলাকার পথে আগের জায়গায় ফিরে আসলে অতীতে যেতে পারবেন।

সবচেয়ে সহজ ভাবে এটাই বুঝায়!

১০| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:৪১

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: স্ট্রিং থিউরিকে এখনো ফেলে দেওয়ার সময় আসে নাই মনে হয়, এইটা নিয়ে আরও গবেষণা দরকার। পোস্ট খুবই ইন্টারেস্টিং।

২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:১০

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: এইজন্য আইএলসি বানানো হচ্ছে। আর এই আব্স্কারটাও গুরুত্বপূর্ণ কারন এই হিসেব রেফারেন্স রেখে আমরা গ্রাভিটেশনাল এক্সপেরিমেন্টগুলোতে আরও নিখুঁত কাজে লাগাতে পারবো

১১| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:০৬

উল্টা দূরবীন বলেছেন: হালকা পাতলা বুঝলাম। পোস্টের জন্য ধন্যবাদ।

২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:৩৭

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: কিন্তু পোস্ট তো হালকাও না পাতলাও না স্লিমও না

পোস্টখানাতো পুরাই ডিজিটাল

১২| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:৪৭

বঙ্গভূমির রঙ্গমেলায় বলেছেন:
আসলেই পুরোটা মাথার উপ্রে দিয়া গেল। :)

একটা জটিল বিষয় এত সহজে লেখা যায় ভাবাই যায় না।

দারুণ কিছু জানলাম।

২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:১১

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: আপনি বুঝতে পারছেন এটাই আসল কথা

১৩| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:৫৬

স্পয়লার এ্যালার্ট বলেছেন: আমি বিড়ি টানলেই কেন এন্টার্কটিকার বরফ গলে? =p~
"বাটারফ্লাই এফেক্ট" এর মত "বিড়িখাই এফেক্ট" নাকিরে বাবা! :P

প্রিয়তে।

২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:১১

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: আপনে জিনিয়াস

১৪| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:০১

গেম চেঞ্জার বলেছেন: পর্যবেক্ষণে..

২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:১২

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: ধইন্যা পাতা

১৫| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:৪৩

এম.এ.জি তালুকদার বলেছেন: ব্লগে বেশী চলে প্রেম নিয়ে পান্ডিত্যপূর্ন মহাত্মাগণের কচ-কচানী,গর্বভরা বক-বকানী এবং কেউ সমালোচনা করলেই তার প্রতি ফোস-ফোসানী। সেখানে আপনি ব্যতিক্রম বলে ধন্যবাদ। আমি বিজ্ঞান ভালো বুঝিনা বলে যুক্তিসংগত একটা সামাজীক ব্লগ তৈরীর কাজ শুরু করেছি। আপনার পোস্টটা পড়ে’ আমার একাজটি করা অনেক সহজ হলো।

২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:২০

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: হুমম

হ্যাপী রুবেল বোলগানী

১৬| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:৫০

জেন রসি বলেছেন: অনেক সখ করে ব্রিফ হিস্টোরি অব টাইম বইটা কিনেছিলাম। ভেবেছিলাম সেটা পড়ে ফেলেই আমি সব রহস্যের উত্তর পেয়ে যাব! কিন্তু যখন পড়া শুরু করলাম তখন বুঝলাম ঘটনা খারাপ! রহস্য ভেদ হওয়ার বদলে তা আমার মস্তিষ্কে আরো ঘনীভূত হচ্ছিল। সেখানে সময়ের তীর নামে একটা চ্যাপ্টার আছে। যেখানে বলা হয়েছে তাত্ত্বিক ভাবে ভবিষ্যতে যাওয়া গেলে অতীতেও যাওয়ার কথা। এটার একটা ব্যাখ্যাও ছিল যা আমি বুঝি নাই। আপনার পোস্টটা চমৎকার। অনেক সহজ ভাবে সব কিছু ব্যাখ্যা করেছেন। যদিও সব কিছু আমি বুঝি নাই। যেমন একটা প্রশ্ন ছিল। সেটা হচ্ছে সময়ের সাথে মাত্রার সম্পর্ক কি? আরেকটু গভীর ভাবে পড়ে আরো কিছু জানতে চাইতে পারি। আশা করি বিরক্ত হবেন না। :)

২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:০৭

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: মেলা বিরক্ত হইছি
বিরক্তির ঠ্যালায় মাথার চুল জেল ছাড়াই স্পাইক হইয়া গেছে!

তার আগে আমার দুটা কুশ্চেন:

আপনে উত্তর কি ডিটেইলসে চান না সংক্ষেপে?
আপনে পড়ালেখা কি সায়েন্সে নাকি অন্য ফ্যাকাল্টিতে?

এই দুইটার উত্তর অনুযায়ী আপনারে বুঝানোর চেস্টা করতে পা

১৭| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:০৮

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: আইএলসির মেশিনে এক্সট্রা ডিমেনশন নিয়া কোন কথাবার্তা হয়েছে কি? এলএইচসি তে শুনছিলাম অন্য মাত্রাগুলার নাকি পরিচয় পাওয়া যাবে, এখনো পর্যন্ত তো কোন পেপার দেখলাম না।

২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:২৫

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: আইএলসি এখনও ডিজাইন ফেলে আছে এবং কিছু কিছু মডেল স্পেকট্রোমিটার বানিয়ে সেগুলো নিয়ে পরীক্ষা করা হচ্ছে। আসলে এসব ডিজাইন করা হয় বিভিন্ন তাত্বিক জার্নালে যেসব নতুন কনিকা এবং স্ট্রিং থিওরির এডভান্স হিসাব তার ওপর ভিত্তি করে। আপাতত এটিকে হিগস কনিকার ফ্যাক্টরী বানানো হবে যা দিয়ে পরে ডার্ক ম্যাটার ডার্ক এনার্জী আর সুপার স্ট্রিং কনিকার ভূত ভবিষ্যত খোজা হবে

১৮| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:৩১

হাসান মাহমুদ তানভীর বলেছেন: ++++++++++++

২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:৩৫

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: প্লাসের রেলগাড়ির জন্য আপনাকে এক গুচ্ছ ধনিয়া পাতা

১৯| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:০৭

জর্জিস বলেছেন: অনেক সুক্ষ্ম বিষয় পরিষ্কার হল ....মেলা ধইন্যা

২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ ভোর ৪:৫৭

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: আপনাকেও এক আটি ধইন্যা পাতা!

২০| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:৩০

জেন রসি বলেছেন: বিরক্তির ঠ্যালায় মাথার চুল জেল ছাড়াই স্পাইক হইয়া গেছে শুইনা আনন্দিত হলাম! আমার পড়াশোনা অন্য ফ্যাকাল্টিতে। তবে মাত্রা নিয়া আমার মাত্রাতিরিক্ত আগ্রহ আছে। তবে উত্তর ডিটেইলসেই চাই।

সময়কে চার মাত্রা বলা হয়। যার এক সরল ব্যাখ্যা হচ্ছে স্পেস থাকলে সময় থাকতেই হবে। এখন চারমাত্রার কোন প্রাণী যদি ত্রিমাত্রিক কিছু দেখে তবে তার কাছে সময় স্থির থাকবে। যেমন আমরা দ্বিমাত্রিক বইয়ের পাতা যেকোনো স্থান থেকে পড়া শুরু করতে পারি। এখন একজন চতুর্মাত্রিক প্রাণীর কাছে ত্রিমাত্রিক জগতের অতীত, বর্তমান, ভবিষ্যৎ বলে কিছু থাকবে না। আবার এখন বলা হচ্ছে সময়কে চতুর্থ মাত্রা হিসাবে ধরা ঠিক হবেনা। স্পেশাল থিওরিতে বলা হয়েছে সব ইনারশিয়াল রেফারেঞ্চ ফ্রেমে আলোর গতি এক। কিন্তু পরম রেফারেঞ্চে ফ্রেম বলে কিছু নেই। এবং সময়কে বাকি তিন মাত্রার মত স্পষ্ট ভাবে উপস্থাপন করা যায়নি। শুধু গানিতিক ভাবে ব্যাখ্যা করা গেছে।

আরেকটা ব্যাপার হচ্ছে আমরা ত্রিমাত্রিক প্রাণী হিসাবে সময়ের আবর্তে আবর্তিত হই। তাহলে একজন চতুর্মাত্রিক কিছুর জন্য পঞ্চম মাত্রার দরকার হবে। এখন এভাবে যদি চিন্তা করি তবে মাত্রা কি অসীম সংখ্যক কিছু হতে পারে?

২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ ভোর ৫:৪৭

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: সময়কে চার মাত্রা বলা হয়। যার এক সরল ব্যাখ্যা হচ্ছে স্পেস থাকলে সময় থাকতেই হবে। এখন চারমাত্রার কোন প্রাণী যদি ত্রিমাত্রিক কিছু দেখে তবে তার কাছে সময় স্থির থাকবে। যেমন আমরা দ্বিমাত্রিক বইয়ের পাতা যেকোনো স্থান থেকে পড়া শুরু করতে পারি। এখন একজন চতুর্মাত্রিক প্রাণীর কাছে ত্রিমাত্রিক জগতের অতীত, বর্তমান, ভবিষ্যৎ বলে কিছু থাকবে না। আবার এখন বলা হচ্ছে সময়কে চতুর্থ মাত্রা হিসাবে ধরা ঠিক হবেনা। স্পেশাল থিওরিতে বলা হয়েছে সব ইনারশিয়াল রেফারেঞ্চ ফ্রেমে আলোর গতি এক। কিন্তু পরম রেফারেঞ্চে ফ্রেম বলে কিছু নেই। এবং সময়কে বাকি তিন মাত্রার মত স্পষ্ট ভাবে উপস্থাপন করা যায়নি। শুধু গানিতিক ভাবে ব্যাখ্যা করা গেছে।

এইখানে কুশ্চেনটা কি? আপনি কি বলতে চাইতেছেন সময় কুনো মাত্রা না? কত্ত বড় সাহস আপনের.....আয় আইজকা!

আগের কমেন্টে বলছেন সময়ের সাথে মাত্রার সম্পর্ক কি এটা জানতে চান। এখন আমি নিজেই বুঝতে পারছি না আমি ঠিক কি ব্যাখ্যা করবো আপনার কাছে? তবে সত্যিকারার্থে সময়ের যে ফ্যাক্ড়া সেটা শুরু কইরা গেছেন নিউটন মিয়া। সে সব সময় দিয়া মাপছে। আইনস্টাইন আইসা সেই সময়রে থামানির রাস্তা দেখাইছে। আম জনতা তার পিছেও হো হো কইরা ছুটছে। কথা হইলো সময় জিনিসটা ছাড়া আপনি সব কিছু ব্যাখ্যা করতে পারবেন কি না?

পারবেন, অফকোর্স পারবেন। তখন ডিরাইভেশন ১ পাতার জায়গায় হইবো ৪ পাতা। কারন তখনফুরিয়ার ট্রান্সফরমের t এর জায়গায় ওয়েভের প্রতিটা পয়েন্টের মোমেন্টাম, কৌনিক ত্বরন, শক্তি স্তরের মাপের সাথে বিশাল একটা হোম্বোজোম্বো অভেদ দিয়া কাম করতে হইতো। ফুরিয়ার শেষ হইলে এর পর যদি ল্যাপ্লাসে যান তাইলে শিওর আমার মতো পুলাপান আর ইলেক্ট্রিক্যাল পাশ করন লাগতো না। তারপরও যারা আরও পড়তে যাইতো তাগো জন্য অপেক্ষা করতো ফ্রিকোয়েন্সি স্পেকট্রাম আনালাইসিস আর জেড এনালাইসিস। কোয়ান্টাম ফিজিক্সের ওয়েভ তত্ব আর আর ইলেক্ট্রিক্যাল ডিপার্টম্যান্ট সেখানেই মারা যাইতো! তবে সময় কোথাও পরিবর্তন, কোথাও গ্রোথ, কোথাও কনিকার অবস্থান এবং অবস্থার পরিবর্তন এবং এর ভূত ভবিষ্যতের চিন্তা ভাবনার স্ফূরন বুঝায়।

অবশ্যই টাইম বইলা কিছু নাই, কিন্তু হিসাবের সুবিধার্থে....আর সময় থামাইয়া দেয়া বলতে বা টাইম ট্রাভেল বলতে আসলে যেটা বোঝানো হয় সেটা হলো বস্তুর সাব এটমিক বা স্ট্রিং লেভেলের যেকোনো পূর্বাবস্থা বা ভবিষ্যত অবস্থায় নিয়ে তাকে কাজে লাগানো বা তার পরিবর্তন করা....


আরেকটা ব্যাপার হচ্ছে আমরা ত্রিমাত্রিক প্রাণী হিসাবে সময়ের আবর্তে আবর্তিত হই। তাহলে একজন চতুর্মাত্রিক কিছুর জন্য পঞ্চম মাত্রার দরকার হবে। এখন এভাবে যদি চিন্তা করি তবে মাত্রা কি অসীম সংখ্যক কিছু হতে পারে?

এই জন্য লেখার শুরুতেইএকটা ভিড্যু দিছি। ওটা দেখেন। ওখানে ১০ মাত্রা পর্যন্ত বলা আছে ডি ব্রেন থিওরী অনুসারে কিন্তু এম থিওরী বলে ১১ মাত্রা। কিন্তু স্ট্রিং থিওরী যখন সবার কাছে উপস্থাপন করা হয় তখন ২৬ মাত্রার কথা বলা হইছিলো। যদিও ঐ ২৬ মাত্রার আগামাথা কিছু বুঝি নাই। কিন্তু যেটা বুঝা যায় সেটা হলো কতগুলো প্যারামিটারের সম্ভাব্য ফলাফলের বিন্যাস সমাবেশের মাধ্যমেই এই মাত্রাগুলোর হিসাব করা হয়েছিলো। অসীম সংখ্যক হবার সম্ভাবনা তেমন দেখি না কারন সাধারন চিন্তা ভাবনায় এই মহাবিশ্ব এবং তার বাইরে যা কিছু আছে এবং তার অসীমত্বের যতরকম সম্ভাবনা হতে পারে, ১১ টার পর আর কোনো কিছু হবার সম্ভাবনা নাই। এখন আপনি যদি আরও যুক্তিযুক্ত সম্ভাবনার কথা বলতে পারেন গানিতিক ভাবে, তাহলে সেটাও পচিবল, কিন্তু ততদিন পর্যন্ত ১১ টাই থাক, নাকি?

২১| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ ভোর ৬:৩৪

পাকাচুল বলেছেন: সবাই যখন বলছে মাথার উপর দিয়ে গেছে, তাইলে ঘটনা সত্য।

আরেকটু সহজ করে ফিজিক্স যদি লেখা যেত, অনেকেই বুঝতে পারত।

ঘটনা হলো, আমি যদি টাইম মেশিন দিয়ে ৫ বছর আগে চলে যেতে পারি, এবং আমি যদি তখন সুইসাইড করে বসি, তাহলে এর সমাধান কিভাবে হবে?

২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৭:১২

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: হুজুর যদি বিখাউজের আটি হয় তাইলে পয়লাই বয়ান দিবো," পোলায় সুইসাইড খাইছে। এর জানাজা হারাম।" তখন ৫০০ টাকার জায়গায়২০০০ টাকা দিতে হবে। যেহেতু সুইসাইড খাইবেন সেহেতু জানাজাতে লোক পাওন যাইবো না কিন্তু ফখরুদ্দিনের বিরিয়ানীর প্যাকেট দিলে পাবলিক আর ভিত্রে খুইল্লা দেখপো না যে এইডা ফখরু না কাউয়া বিরানী। তখন গোলাম আজমের জানাজার রেকর্ড ভাইঙ্গা আপনের রেকর্ড হইবো আর ফেসবুক আর ব্লগে তা নিয়া তুমুল কেওমেও

এরপর কবরে শোয়াইয়া মানুষ বাড়ি যাইতে যাইতে আলাপ করবে বান্দায় ভরা যৌবনে সুইসাইড খাইলো কেন? গল্পের শাখা প্রশাখা মেইলা পুরা বাঁশ বাগান করে দেবে আপনেরে

২২| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:৫৯

জেন রসি বলেছেন: ঠিক আছে। আপাতত ১১ টাই থাক!

ধন্যবাদ আপনাকে।

দ্রুত সুস্থতা লাভ করুন।

শুভকামনা রইলো। :)

২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:৩৮

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: গুড

এবার একটু পিছন থেকে শুরু করি। যেহেতু আপনি সায়েন্সের ছাত্র না। তো কিছু কথা বলি। আপনি ধরেন বাজারে যান। আপনি বাজারে যান আপনার চাহিদার জিনিস খরিদ করতে। তো আপনি সেটা মূল্য দিয়ে নির্ধারন করেন। এখন এই মূল্যটা যে কোনো কিছুর হতে পারে, পণ্য, সেবা বা কাজ ইত্যাদি। এক কেজী পটলের দাম ৫০ টাকা, একটা টিশার্টের দাম ৩০০ টাকা, এমনকি একটা এজিপি কার্ডের দাম ৫৫০০ টাকা। এখানে মূল্যটা হলো একটা মাত্রা।

আবার এই মূল্য ব্যাপারটা আপনার দৈনিক এক থাকছে না। শুক্রবার আসলে পটলের দাম হয়ে যায় ৭০ টাকা, শনিবার হয় ৬০ টাকা, রবি বার আবার ৫০ টাকা। হাটের দিন মঙ্গলবার হলে সেটার দাম হয়ে যায় ৩৫ টাকা। তার মানে সময়ের সাথে এটা পরিবর্তিত হয়।

এখানে বস্তুর ফিজিক্যাল অস্তিত্ব বা ক্রয়ের মাধ্যম টাকার অস্তিত্ব থাকলেও মূল্য ব্যাপারটা কিন্তু বাস্তব অস্তিত্ব নাই। যখন ধরেন টাকা ছিলো না মানে অনেক আগে, যখন রাজ রাজাদের সময় ছিলো বা তারও আগে তখন আপনাকে পটল কিনতে হতো আধা কেজি চালের বিনিময়ে।

তার মানে মূল্য বা টাকা জিনিসটা এসেছে আরও স হজতর করতে। ফিজিক্সে টাইমের ব্যাপারটা সেমনই একটা ব্যাপার যেটা যুক্তিযুক্ত ভাবে একটা প্রত্যক্ষ প্যারামিটার কিন্তু যখন আপনি কোয়ান্টাম ফিজিক্সে যাবেন তখন কোয়ান্টাম ফিল্ডে সময়ের চিন্তা করা ফিলোসফিক্যালি অর্থহীন কিন্তু এর ব্যাব হার হচ্ছে কখনো আইজেন টাইম মানে সময়ের ইমাজিনারী পার্ট অথবা অপারেটর অথবা ফাংশন হিসেবে। একটু ভালো করে খেয়াল করলে দেখবেন সময়ের আসলে বাহ্যিক কোনো অস্তিত্ব কোথাও নাই এমনকি যখন কোয়ান্টাম এনট্যাঙ্গলম্যান্ট বা সুপার কন্ডাক্টর অথবা আরও একটু গভীরে সাব এটমিক লেভেলে সময়ের চিন্তা করাটা অর্থহীন কিন্তু ম্যাথমেটিক্যাল ইন্টারপ্রিটেশনে সময়ের t কখনো রিয়েল এন্টিজার বা কখনো পারশিয়াল ডিফারেন্সিয়াল ইকোয়েশনে চলে আসছে। আর এই সময়টা কি আপনাকে বুঝতে হলে গোড়া থেকে শুরু করেন, নিউটোনিয়ান ম্যাকানিক্স দিয়ে। তখন দেখবেন সময়টা আসলে কিছুই না, আমাদের পারিপার্শ্বিক পরিবেশকে আমাদের জীবনযাত্রার সাথে একটা সমন্বয় এবং এসব তত্বের নিখুত প্রয়োগের জন্যই এসেছে।

একজন ননসায়েন্সের ছাত্রের কাছে এরকম গভীর কিছু আমি কখনো আশা করিনি। আপনি আমাকে অবাক করেছেন। অবশ্যই আপনি মেধাবী এবং আশা করি আপনি যে বিষয়েই পড়ছেন সে বিষয়টা আপনার পছন্দের এবং আপনি এনজয় করছেন। কারন যখনই কোনো বিষয় আপনি এনজয় করবেন, আপনি সেটাকে নিজের জীবনের পাথেয় এবং জ্ঞানী হিসেবে গড়ে তুলতে পারবেন!

আপনার জন্য সর্বদা দোয়া এবং শুভ কামনা!

২৩| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:০১

কলাবাগান১ বলেছেন: কোথায় যেন পড়েছিলাম, আরেক ডাইমেনশনে গ্রাভিটি লিক করে বলেই এর বল এত যতটা হওয়ার কথা সেটা দেখায় না।

আমার একটা লিখা গ্রাভিটেশেনাল ওয়েভকে ডিটেক্ট করা নিয়ে.... কিন্তু ধর্মান্ধরা কেন ধর্ম এল তা নিয়েই বেশী মতামত সেখানে
gravitational wave

২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:৪৯

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: কোথায় যেন পড়েছিলাম, আরেক ডাইমেনশনে গ্রাভিটি লিক করে বলেই এর বল এত যতটা হওয়ার কথা সেটা দেখায় না!

এটা ডি ব্রেনের অন্যতম একটা এজাম্পশন। ধরা হয় উচ্চ মাত্রায় গ্রাভিটি খুব শক্তিশালী আর তাই বিগ ব্যাং এর প্লান্ক টাইমে সব বল একীভূত থাকবার সময় গ্রাভিটি ছিলো সকল বলের ওপর কর্তৃত্বপরায়ন। কিন্তু যখন স্থান কালের প্রসারনের জন্য ইনফ্লেশনের সূত্রপাত ঘটলো তখন গ্রাভিটি দুর্বল হয়ে চলে গেলো সাবএটমিক লেভেলে।

আপনার লেখাটা পড়লাম এবং আশ্চর্য্যের ব্যাপার হলো আমরা একে অপরের লেখা আগে না পড়লেও দউ জনেই এই গ্রাভিটেশনাল ওয়েভ বোঝাতে পুকুর নিয়ে টানাটানি করেছি। বেশ অবাক করলো।

মানুষ ধর্ম টানবেই, এমনকি আপনার ওখানে ধর্ম নিয়ে যে প্রথম কমেন্ট করলো সে এখানেও কমেন্ট করেছে। ধর্ম ঠিক না ভুল সে বিষয়ে যাবার ইচ্ছে নাই তার ওপর আমিও ধর্মের ওপর প্রচন্ড বিশ্বাসী একজন মানুষ। কিন্তু এসব জিনিস নিয়ে যারা ফাও তর্ক করে তারা নিজেরাও কোরান শরীফ কখনো পড়েনি। ফেসবুকে স্ট্যাটাসে সকাল সন্ধ্যা কোরান হাদিসের আয়াত পোস্ট করে কিন্তু রাতের গভীরে ঠিকই চটি পেজে একটা চটি পড়ে লাইক দিয়ে আসে যাতে করে পরিবর্তী ইরেকশনের টাইমে ঐ চটি আর তার সাথে ছবি দেখে টয়লেটে গিয়ে শান্ত হতে পারে। এরাই আবার বিভিন্ন পত্রিকার কমেন্টে গিয়ে ইসলামকে ঠেকাতে গিয়ে অন্যের মা বোনকে ধর্ষনের হুমকি দেয় আর মাবিয়ার মতো যারা দেশ উজ্জল করে, তাদের ইসলামের রাস্তায় আসার দাওয়াত দেয়!

বড়ই হাসি লাগে এসব মানুষদের দেখলে......ইসলাম রক্ষার জন্য এরা ধর্ষন করতেও রাজী, বুকে বোমা বেধে ভরা বাজারে আল্লাহু আকবর বলে মানুষ মারতেও রাজি!

দুঃখের বিষয় হলো এখন এরাই বাংলাদেশ....আমরা বাংলাদেশকে আর রিপ্রেজেন্ট করি না!

ভালো থাকবেন আর হ্যাপী ব্লগীং!

২৪| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:২৮

রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: এমন পোস্টের জন্য অনেক ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা।

২৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১:১২

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: আপনাকেও ধনিয়া পাতা

২৫| ০৬ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৫:১২

রানা আমান বলেছেন: মুল পোস্ট এর পাশাপাশি কমেন্টসএ মুল পোস্ট নিয়ে আলোচনা টাও অনেক আকর্ষনীয় ।

০৬ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১০:৩৪

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: ধনিয়া পাতার এক রাশ সবুজ শুভেচ্ছা শুধু লন,ধনিয়া পাতাটা না হয় আমার কাছেই থাকুক!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.