নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ঈশ্বর পটল তুলছে - নীৎসে/নীশে/নিৎচা

উদাসী স্বপ্ন

রক্তের নেশা খুব খারাপ জিনিস, রক্তের পাপ ছাড়ে না কাউকে, এমনকি অনাগত শিশুর রক্তের হিসাবও দিতে হয় এক সময়। গালাগাল,থ্রেট বা রিদ্দা করতে চাইলে এখানে যোগাযোগ করতে পারেন: [email protected]

উদাসী স্বপ্ন › বিস্তারিত পোস্টঃ

জানা আপু: সামু কি মৌলবাদীদের এজেন্ডাকে উৎসাহিত করতেছে?

১০ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ৮:১৫

প্রথমেই বইলা নেই, আমি ডাক্তার না। পোলাপান বয়সে ছাত্ররা যখন বায়োলজী পড়ছে আমি তখন সিস্টেমের ফাঁক গলে তখন ইটা বাদ দিয়া কৃষি শিক্ষা, উচ্চতর গনিতে বাইপাস করছি। তবে জীব বিজ্ঞান আর মানুষের শারীরিক এনাটমি নিয়া আমার আগ্রহের অন্তঃ নাই।

সামু কয়দিন ধইরা একটা পোস্ট ঝুলাইছেযেইখানে জন্মবিরতিকরন পিলের সর্বনাশা সাইড এফেক্ট নিয়া লেখা হইছে। পোস্ট পইড়া নানা মানুষের অভিযোগ যে পোস্ট টা অনেকটা পুরুষবিরোধী। আসলে আমি এই ক্যাচালে যাইতে চাই না। কারন আমি একে নারীবাদী কিন্তু তাই বইলা এই নয় যে নারী নারী হইছে বইলা সব জায়গায় নারীত্ব দেখাইয়া ডিসকাউন্ট, প্রোয়োরিটি নিবো, নিজেগো নবী রাসূল গো মতো নিস্পাপ দাবী করবো আর পুরুষ পয়দা হইয়া বড় হইলেই ইতায় ইবলিশ, নারী পেটায়, এরে কোনো সুযোগ দেয়া যেইবো না এইটা আমি বিশ্বাস করি না। যাই হোক পোস্টের বিষয় বস্তু এইটা না।

জন্ম বিরতিকরন পিল:

জন্ম বিরতিকরন পিল কেমনে কাজ করে সেইটা আগে বুঝি। মেয়ে মানুষের শরীরে দুইটা হরমোন থাকে এস্ট্রোজেন আর প্রোজেস্টিন।

এস্ট্রোজেন: যখন শরীরে এস্ট্রোজেন হরমোনের পরিমান বেশী থাকে তখন মেয়েদের ডিম্বাশয় সবচেয়ে উর্বর থাকে। এখন ঐ সময়ে যদি এমন কোনো উপায় করা যায় যে এস্ট্রোজেনের পরিমান কমায় রাখা হয় তাইলে কি হবে? যখন ডিম্বাশয় তার নিষিক্তকরন প্রক্রিয়া শুরু করে তখন ডিম্বানু ডিম্বাশয় থিকা চইলা আসে ইউটেরিয়াসে চিকনা ফেলোপিয়ান টিউবের মাধ্যমে। এখন বার্থ কন্ট্রোল পিলে থাকে সিন্থেটিক এস্ট্রোজেন যেটা শরীরে এই হরমোনের পরিমান এমন একটা মাত্রায় থাকে যে শরীরে আসল এস্ট্রোজেন হরমোন তার নিঃসরন করে না। তার মানে বোকা বানানো হয় যাতে ডিম্বাশয় থেকে ডিম্বানু ইউটেরিয়াসে না পাঠায়। ফলে নো গর্ভধারন।



প্রোজেস্টেরন: এই হরমোন মেয়েদের পিরিয়ডের সময় পরিবর্তন করে ফেলে। এই হরমোনের লেভেল কমে গেলে ইউটেরাইন লাইন মোটা হইতে থাকে এর ফলে শরীর সিগনাল পায় এর পিরিয়ড শেষ তাই ডিম্বাশয়ের নিষিক্তের সময় শেষ। বার্থ কন্ট্রোল পিলের সিনথেটিক প্রোজেস্টিন মেয়েদের কার্ভিক্সের মিউকাসের পুরুত্ব বাড়ায় ফলে ডিম্বানু কার্ভিক্সের পৌছাইতে পারে না। তখন যৌনকর্মের ফলে শুক্রানুর আগমন ঘটলে সেখানে কোনো ডিম্বানুও পায় না তাই নো গর্ভপাত।

অন্যান্য উপাদান: এগুলা ছাড়াও এর মধ্যে থাকে চিনি, গ্লুকোজ, টাইটানিয়াম ডাইক্লামেট, ম্যাগনেসিয়ামের কিছু যৌগ হাবিজাবি যা শরীরে অন্যান্য কাজে লেগে যায়।

এখন উপরে পইরা জানতে পারলাম যে প্রক্রিয়ায় গর্ভধান ঠেকানো হয় সেটা মূলত প্রাকৃতিক পদ্ধতি যা শরীরে প্রতি মাসে একটা নির্দিষ্ট সময়ে ঘটে। এখন কথা হইলো পিল খাইলে যে সমস্যা হয় এগুলা কি এবং কেন?


পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া:

তার আগে এই পোস্টে দেইখা নেই কি কি পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার কথা লেখা আছে:

১) লিপিডের সমস্যা: রক্তে লিপিড বলতে যেটা বুঝায় সেইটা হইলো প্রথমত কোলেস্টেরল আর ফ্যাটি এসিড। কোলস্টেরল নিয়া আমাগো আমজনতার মাঝে একটা ভুল ধারন হইছে সেইটা হইলো গরুর গোস্তে কোলেস্টেরল বেশী। আসলে আমাগো শরীরে যে কোল্সটেরল থাকে তার ৭৫ ভাগ আমাগো শরীরেই পয়দা হয়। কোলেস্টেরল দুই প্রকার। এর মধ্যে যেইটা খারাপ তার বেশীরভাগ অংশ শরীর থিকাই পয়দা হয় আর মাত্রা ভাগ খাবার থিকা খাই। এর বেশী খাইলে টাট্টি দিয়া বাইর হইয়া যায়। ফ্যাটি এসিড অবশ্য খুব একটা ভালো না। এখন কথা হইলো আপনে একজন হৃষ্টপুষ্ট মানুষ এখন ডেইলী যদি কোক আর ঘি এ ভাজা রোস্ট খান, কার্ডিও বা ওয়েটলিফটিং এর খবর নাই, তাইলে সমস্যা তো এমনেই হইবো।
একটা গবেষনা পত্র যেইখানেবলা আছে যে যারা এই বার্থ কন্ট্রোল পিল খায় তাগো শরীরে লিপিডের যে কোলস্টেরল লেভেল মানে এলডিএল (যেইটা সবচেয়ে খারাপ) সেইটা খুব বেশী যা হ্রদরোগের ঝুকি বাড়ায়। কিন্তু গবেষনায় এইটাও দেখা গেছে যাদের লিপিড লেভেল নরমাল তাগো কোনো সমস্যা হয় না। এর কারন হিসেবে বলা হইছে যে পিলে প্রোজস্টিন আছে ঐটা খাইলে এলডিএল বাড়ে। তার মানে এস্টজেন যুক্ত পিল খাইলে সমস্যা হবার কথা না। তারপরও আরও নানান কথা বলা আছে কিন্তু বাকীটা এই জার্নাল থিকা পইড়া লন। কিন্তু সব কথার একটাই কথা এই পিল খাইলে এলডিএল যতটুকু বাড়ে অতটুকুতে মাইয়াগো হ্রদরোগের ঝুকি বাড়ায় না।

২) প্যানক্রিয়াটিস: খাবার খাওয়া হইলে পিত্তীর সাথে আরেকটা গ্লান্ড আছে প্যানক্রিয়াটিস যেইটা আমাদের খাবারের হজমে স হায়তা করে। এখন গবেষনায় দেখা গেছে এস্ট্রোজেন যুক্ত পিলে অনেকের প্যানক্রিয়াটিসে সমস্যা হয়। তাইলে এর সমাধান কি? সোজা ডাক্তারের কাছে হাটা ধরেন। যদি ডাক্তার কয় এই এস্ট্রোজেন শালার ব্যাটার দোষ, পিলটা টুক কইরা প্রোস্টেজনেরটা নেন।

৩) মাথা ধরা, নসিয়া: এগুলা দূর করার সবচেয়ে কার্যকরী উপায় হলো ভালো ডায়েট। ভালো ডায়েট বোলে তো পিল খাওনের সময় দুধ আর ভালো খাবার যেখানে আমিষ এবং প্রোটিন আছে সেসব খাওয়া।

এরম আরও বহু সমস্যার কথা বলা হইছে যেগুলার বিষয়ে বলা যায় আপনে যদি বাজার থিকা মাথা ব্যাথার এন্টাসিড কিনে আনেন এখন মুড়ির মতো খাওয়া শুরু করেন তাইলে কি হবে? অথবা রেনিট কিনে এনে আলসারের জন্য খাওয়া শুরু করলেন। এমনও লোক দেখছি সে দৈনিক ২ বার খাওনের পর বছরের পর বছর খাচ্ছে। একটা সময় পর দেখা গেলো হয় তার পিত্তীতে পাথর নাইলে কিডনি টাটা বায় বায় জানাইছে।

কথা হইলো প্রয়োজনের অতিরিক্ত কোনো কিছুই ভালো না। কিন্তু আপনে যদি সপ্তাহে কোনো বার মিস করেন তাহলে প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী কভার করেন তাহলে ক্ষতি হবার কথা না। নতুন বিয়ে হইলে প্রথম কয়েকমাস জন্ম নিয়ন্ত্রনবড়ি নিয়মিত খাওয়া লাগতে পারে কিন্তু যতদূর বুঝি বা জানি সময় গড়াইলে এই হার পারস্পরিক মিলনের হারের কমার সাথে সাথে মাসে কততে নাইমা আসে পারলে একটা সার্ভে করেন। তার ওপর বাংলাদেশে যে কাম কাইজ গ্যানজ্ঞাম আমার তো মনে হয় না মানুষের সারা জীবন বা মাস ধইরা খাওয়া লাগবে! যাই হোক স্পর্শকাতর বিষয়ে মানুষ জেনারেল নলেজ নিয়া টোকা দিতে চাই না!


পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া যদি হয়ই তাইলে সমস্যা কোথায়:

এখন বাংলাদেশ হইলো পুরাই মুক্তিযুদ্ধের চেতনার দেশ সেইটা নিয়া নাই বললাম। তবে মনে পড়ে ২০০২ বা ২০০৪ এর দিকে হঠাৎ দেখা গেলো ১২ টা শিশুর কিডনী ফেইলর। তাদের ডায়ালাইসিস করন লাগতেছে। এখন শরীরের মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী এবং স হনশীল অংগ হইলো কিডনী তাইলে পিচকিদের কিডনী নষ্ট হইবো কেন? না খায় মদ না করছে অন্যকিছু। তো ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের এক ডাক্টার সদ্য জাপান ঠেকে আসছে। সে জাপানের ঐ ইউনির স হায়তায় এক মাসের মধ্যে বাইর করে যে পয়ারাসিটামল খাইয়া এই সমস্যা। তো এই পয়ারাসিটামল আসলো কইতে থিকা? খোজ নিয়া জানা গেলো এক ভদ্রলোক নতুন ঔষুধের ফ্যাক্ট্ররি খুলছে। সেই লোক তার ব্যাবসার প্রথম যে দুইটা ঔষুধ বানাইছে তার মধ্যে এই প্যারাসিটামল আরেকটা গ্যাস্ট্রিকের। তো সাথে সাথে এইটা নিয়া তোলপাড়। তখন র‌্যাব আছিলো হট কেক। র‌্যাব ধরলো। জানা গেলো সেই বেটা নাকি বিএনপির এক নেতা আছিলো। নেতাবাজী ভালা লাগে না, তাই নিজে ব্যাবসা খুলছে। ঔষুধে আবার বিএসটিআই এর সীল ছাপ্পর আছে।

ত যখন এমন কোম্পানী লাইসেন্স নিয়া বা না নিয়া যদি ঔষুধ বানানি শুরু করে এবং আমাদের সাধু সন্ত বিএসটিআই এমনে কিরা লাইসেন্স দেয়া শুরু করে বা তার সীল নকল কইরা ঔষুধ বানায় তাইলে শুধু জন্ম নিয়ন্ত্রন বড়ি কেন, যেকোনো কিছু খাইলে নিজের বা নিজের আপন জনের রাম নাম সত্য হবার চান্স থাকে। পশ্চিমা বিশ্বে যে রেগুলাটেরী বডি আছে, যে কন্ট্রোল আছে সেখানকার মেয়েরা তো মুড়ির মতো এসব খায়, কই ভাই এগো তো এমন জনে জনে বাচ্চা পয়দা হওয়া বন্ধ বা এইডসের মহামারী ছড়াইতেছে না।

কারন এদের যৌনশিক্ষা এবং এরা যা খায় সবগুলোই সঠিক ভাবে দেয়া হইতেছে, নিয়ন্ত্রন করা হইতেছে। ফলে যেরকম "ডাহা মিথ্যা কথা" শিরোনাম দিয়া লেখা হইলো তখন মনে হইলো এই পোস্টের অন্য উদ্দেশ্য থাকে।

তো আমরা যদি সরকারকে প্রেসার না দিয়া বা সিস্টেম কেমনে চেন্জ করা যায় সেটা না বইলা পুরা একটা রাস্তা বন্ধ করে দেই তাহলে কি হবে চিন্তা করছেন?

জানা আপা তথা সামু সমীপে:

আমি কারো পক্ষ নিতেছি না। আমি শুধু কিছু ঘটনা মিলাই। আইয়ুব খা যখন পূর্ব পাকিস্তানে জন্ম নিয়ন্ত্রন বড়ি দেয় তখন আমাদের জাতীর পিতা ভরা মাঠে বলিয়া ছিলেন,"ওরা বাঙ্গালী জাতী কমানোর ষড়যন্ত্র করতেছে।"

যখন বাংলাদেশে জন্ম নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠা করে গ্রামে গ্রামে তা ছড়িয়ে দেয়া হলো তখন মোল্লারা ফতোয় দিলো কনডোমের বিরুদ্ধে: যারা কনডোম বয়াব হার কইরা বীর্য নষ্ট করটেছে তারা একেকটা সন্তান হত্যা করতেছে।

এমনকি ৮০ র দশকের শেষের দিকেও মনে পড়ে ছোটবেলায় যখন ইত্তেফাক পড়তাম তখন ভেতরের পাটায় দেখতাম জন্ম নিয়ন্ত্রন বড়ি ব্যাবহার করার জন্য গ্রামে সালিশ বসছে, দোররা মারা হইছে। জন্ম নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তরের কর্মী বা এনজিও র কর্মীরা যাতে গ্রাম ঢুকতে না পারে সেজন্য মোল্লারা গার্ড বসাইতো এমনকি যেসব মেয়েরা কাজ করতো তাদেরকে নষ্টা নারী বা বেশ্যা পরিচয় দিয়ে তাদের জীবন যাপন অতীষ্ট করে তুলতো।

আর তার ফল দেখেন: ১৬ কোটি মানুষ এই পুচকে দেশে। ধান উৎপাদনে ৪র্থ হবার পরও মানুষ ভাত পায় না। ঢাকা শহরে দিনের বেলা ফার্ম গেট গেলে মানুষ মানুষরে চাইপ্পা টিপ্যা শেষ কইরা ফেলায়।

এখনও গ্রামে গেলে এইসব জঙ্গি কাঠমোল্লা এসব শুনলে ভিত্রে ভিত্রে বা মসজিদে গিয়া ভরা খুতবায় জন্ম নিয়ন্ত্রনের খ্যাতা পুইড়া যেই বক্তব্য দেয় শুনলে মনে হয় দেশ এখনো ৮০ র দশকেই পইড়া আছে।

এমন একটা সময়ে এসব এক পেশে লেখা স্টিকি করা হলো যেখানে আধা সত্য আধা মিথ্য তাও এমন যদি হইতো কোনো ডাক্টার ভালো রেফারেন্স দিয়া লেখছে তাও না।এটা আসলে দুঃখ জনক

আশা করি আপনারা ভেবে দেখবেন এমন আত্মঘাতী আধা সত্য আধা প্রোপাগান্ডা মূলক পোস্ট স্টিকি করা ব্যাপারে!

মন্তব্য ৭২ টি রেটিং +১৫/-০

মন্তব্য (৭২) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ৮:২৪

মহা সমন্বয় বলেছেন: আসলে এগুলা সবই আমার ব্রেইন ওয়েভের বাইরে তাই কিছু বলতে পারছি না। তবে যখন সময় আসবে তখন দেখা যাবে। :)

১০ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ৯:৩২

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: ইহা নারীদের পোস্ট ভাই!

২| ১০ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ৮:৪৭

জেন রসি বলেছেন: চিকিৎসা বিজ্ঞান সম্পর্কে ধারনা খুবই কম। তবে সেই আলোচিত পোস্ট পড়ে আমার কাছে ব্যাপারটি গুরুত্বপূর্ণই মনে হয়েছে। কারন পিলের আসলেই যদি কোন ক্ষতিকারক প্রতিক্রিয়া থেকে থাকে তবে তা নিয়া সচেতনতার অবশ্যই দরকার আছে। তবে এ নিয়া গবেষণার দিক থেকেই কিছু বিতর্ক হচ্ছে বলে মনে হচ্ছে। কোম্পানিগুলো অন্যান্য কর্পোরেট হাউজের মত কিছু পলিটিক্স করবে এইটাও জানি। কারন দিন শেষে মুনাফাটাই আসল। আবার এনজিও গুলোও যে সবসময় মানব সেবায় ব্রত থাকে এমনটাও না। উদাহরন হিসাবে আফ্রিকায় ঘটানো অনেক পরীক্ষা নিরীক্ষার কথা বলা যাইতে পারে। এখন প্রশ্ন হচ্ছে উন্নত দেশগুলোতে পিলের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নিয়ে প্রতিক্রিয়া কি?

আপনি এই পোস্টটি দিয়ে ভালোই করেছেন। কারন সেই পোস্টের পোস্টদাতা মতের বিরুদ্ধে গেলে কমেন্টই মুছে ফেলেন। তাই সংশয় থাকলেও আলোকিত হওয়ার কোন সুযোগ থাকেনা। তবে এই ব্যাপারে খোলা মেলা ভাবেই আলোচনা চলা প্রয়োজন। কারন বিষয়টা গুরুত্বপূর্ণ। আলোচনা চলুক। তারপর আলোকিত হয়ে যাচাই বাছাই করব! সেই পোস্টটা প্রিয়তে নিয়েছি। আপনারটাও নিচ্ছি। আলোচনা থেকে কিছু যৌক্তিক ব্যাপার জানা যাবে আশা করছি।

১০ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ৯:৪৪

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: যেহেতু বৈদেশ আছি, উনার পোস্ট মতে যদি সত্যি এত ক্ষতিকারক হইতো তাইলে এই দেশে নব্য টিনেজার গুলার সব কয়টা বাঁজা আর অসুখে ভোগা মাইয়া হইতো। কারন এদের এজ অব কনসেন্ট হইলো ১৪। তার মানে বয়ফ্রেনে্ডের সাথে স হবাস ১৪ থিকাই করতে পারে। আর যেকোনো অস্টাদশী বা ২০ থেকে ৩০ এর মধ্যে মেয়েদের ভয়ানিটি ব্যাগ খুললেই একটা পাতা পাওয়া যায়। কনডম ও রাখে তারাই যাদের বয়ফ্রেন্ড নাই। তার মানে নাইট ক্লাবে যাবার পর যারা ঘন ঘন সঙ্গী পাল্টায়।

যাদের বয়ফ্রেন্ড আছে তাদের কাছে এগুলো থাকবেই। এবং বাংলাদেশের যেকোনো মেয়ের থেকে এরা গড়পড়তায় যৌনতায় এক্টিভ। তাহলে এসব দেশে কিন্তু এই সমস্যা নাই। আমেরিকার এফডিএ এই কন্ট্রাসেপটিভ পিলের বিরুদ্ধে প্রচুর গবেষনা করিয়েছে এবং প্রায় ৪০ বছর ধরে গবেষনা করিয়েছে। এখানে এফডিএর সাম্প্রতিক একটা স্টাডি আছে যেখানে মূলত রক্তে জমাট বাধার সাথে প্রোস্টেজন হরমোন সম্বিলিত পিলের একটা সম্পর্ক পাওয়া গেছে।এরা আরো স্টাডি করবে থ্রোম্বোটিক আর থাইরিওটিক সমস্যার সাথে এটার কোনো সম্পর্কযুক্তি আছে কিনা। বেশীরভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায় প্রোস্টেজেন সমস্যাটাকে ত্বরনায়িত করে কিন্তু সৃষ্টি করে না। তার মানে আগে থেকেই যাদের এই সমস্যা আছে মানে জেনেটিক্যাল তাদের আর কি।


এই লিংকে আরো রিসার্চ পেপার পাবেন যেগুলো প্রায় সবার জন্যই উন্মুক্ত! এগুলো বিস্তর গবেষনা চলছে। এখন কারো যদি প্রোস্টেজনে সমস্যা থাকে সে এস্ট্রোজেনে যেতে পারে। অপশন তো খোলা আছে। তাই বলে সব খারাপ এটা বলাটা জ্ঞানের অভাব সমতূল্য!

৩| ১০ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ৯:২১

নতুন বলেছেন: কথা হইলো প্রয়োজনের অতিরিক্ত কোনো কিছুই ভালো না। কিন্তু আপনে যদি সপ্তাহে দুয়েকবার খান মাসে কয়েকদিন তাহলে ক্ষতি হবার কথা না। নতুন বিয়ে হইলে প্রথম কয়েকমাস জন্ম নিয়ন্ত্রনবড়ি ডেইলী খাওয়া লাগতে পারে কিন্তু যতদূর বুঝি বা জানি সময় গড়াইলে এই হার মাসে কততে নাইমা আসে পারলে একটা সার্ভে করেন। তার ওপর বাংলাদেশে যে কাম কাইজ গ্যানজ্ঞাম আমার তো মনে হয় না মানুষের ডেইলি খাওয়া লাগবে! যাই হোক স্পর্শকাতর বিষয়ে মানুষ জেনারেল নলেজ নিয়া টোকা দিতে চাই না!

এই জিনিস দৈনিক ১ বটিকা রাতে সেব্য<<< কতদিন???

যতদিন আপনি সন্তান চাইবেন না ততদিন<<< :(

যাদের ১ সন্তান আছে তারা ২ বছর বিরতি নিতে চায়<<< তখন ২ বছর এই বটিকা সেবন করে যেতে হবে?

যারা ২ বাচ্চা নেবার পরে আর নিতে চায় না তারা কি করবে??? তারা শেষ বয়স পযন্ত দৈনিক সেবন করে যেতে হবে....

আমি অবশ্যই পিলের বিপক্ষে.... ছেলেদের কন্ডম ব্যবহার করাই সবচেয়ে যৌক্তিক পদ্বতী।

কারন আমি আমার স্ত্রীকে ভালবাসি তাই তাকে প্রতিদিন মাথা ধরা, নসিয়া , প্যানক্রিয়াটিসে সমস্যা হবার জন্য বটিকা দিতে চাই না।

১০ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১০:০০

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: এখন কখন কিভাবে পিল খাইতে হবে বা যদি মিস হয় তাইলে কি করতে হবে সেটা আপনারে মেডিকয়াল প্রাকটিশনাররাই বইলা দিবে। আমি কনডোম, বা অন্যান্য পদ্ধতির বিপক্ষে না। আর এমন কোনো দম্পতি নাই দুনিয়ায় যারা কিনা কোনো দিনও বাচ্চা নেবে না। অবশ্যই নেবে। কে কোনটা ব্যাব হার করবো সেই বিষয়ে অবশ্য তার স্বাধীনতা আছে।

আর প্যানক্রিয়াটিসে কি জন্য সমস্যা সেটা তো বললামই, এমনকি অনেক পিলে ড্রোসপিরেনোন আছে যেগুলোর বেশ কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া আছে সেগুলো এড়িয়ে চললেই হয়। একজন মহিলা সেই বলতে পারবে তার জন্য কোনটা ভালো এবং সেই অপশন আছে।

কথা হইলো আপনারা শিক্ষিত মানুষ।

আমার পোস্টটা আপনাদের মতো শিক্ষিত সচেতন মানুষদের নিয়া। কারন বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষ ধর্মীয় ভাবে গোড়াচ্ছন্ন, শিক্ষিত হয়েও অশিক্ষিত আর যারা অশিক্ষিত পেডোফাইল তাদের কথা তো বাদই দিলাম। আর বাংলাদেশের জনসংখ্যা বাড়ানোতে সাম্প্রতিক যে হার তাতে আপনাদের খুব একটা অবদান নাই, অবদান অশিক্ষিত, গোড়াচ্ছন্ন যারা এখনো মনে করে পরিবার পরিকল্পনা হারাম আর সন্তানের রিজিক সে পয়দা হওয়ার সময়ই নিয়ে আসবে তাদের জন্য। কারন এরা এসব পোস্ট পড়ার জন্য আর চটি পড়ার জন্যই বসে থাকে।


আর দ্বিতীয় কথা হলো এমন একটা ঔষুধের নাম দেন যার পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ায় মাথা ধরা, বমি বমি লাগে এইটা নাই! সব ঔষুধেরই কিছু না কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া আছেই। তবে এটা ঠিক বাংলাদেশের পিলে কতটুকু মান নিয়ন্ত্রন করা হয় সেটা দেখার বিষয়!

১০ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১০:০৩

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: প্যারাটা একটু আপডেট করছি, রিভিশন দেয়া হইছিলো না। ধরায়া দেওনের জন্য ধইন্যা!

৪| ১০ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১১:১০

নতুন বলেছেন: আর দ্বিতীয় কথা হলো এমন একটা ঔষুধের নাম দেন যার পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ায় মাথা ধরা, বমি বমি লাগে এইটা নাই! সব ঔষুধেরই কিছু না কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া আছেই। তবে এটা ঠিক বাংলাদেশের পিলে কতটুকু মান নিয়ন্ত্রন করা হয় সেটা দেখার বিষয়!

এইটা বড়ই মুল্যবান কথা.... সব রকমের ঔষুধেই পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ায় আছে। তাই একান্ত দরকার না হইলে ঔষুধের কাছে যাইনা।

ঔষুধ হইলো অসুস্থ হইলে খাবার জিনিস... সুস্হ মানুষের রেগুলার খাওয়া ঠিক না।

আমাদের দেশে ঔষুধের মান নিয়ে কোন নিয়ন্ত্রন ব্যবস্তা আছে বইলা মনে হয় না। তাই ব্যবসায়ীরা তাদের ঔষুধকে বিক্রি করে লাভেরই চেস্টা করবে...মানুষের ক্ষতি দেখবে না।

এন্টিবায়টিক মুড়িমুড়কির মতন খায় আমাদের দেশের মানুষ.... সামনেই এই সব এন্টিবায়টিক আর কাজ করবেনা। এন্টিবায়টিক রেজিসটেন্টের সমস্যায় আমাদের দেশের অনেক মানুষই মারা যাবে। সেই সমস্যা খুবদ্রুতই আমাদের দিকে আসতেছে।

১০ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১১:১৮

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: তাহইলে কি আপনে পুরা এন্টিবায়োটিক খাওয়াই বাদ দিয়া দিবেন?

আপনে ভাবীর কথা বললেন.....আপনার স্ত্রী অসুস্থ না। কিন্তু তাকে শারীরিক একটা প্রক্রিয়া নিয়ন্ত্রন করার জন্য একটা ঔষুধ নিতে হয়। অনেকের ডায়াবেটিস আছে। তারা ২০-৩০ বছর ইনসুলিন নেন। একসময় দেখা যায় ইনসুলিন দিনে তিনবার নিতে হয়। এই ইনসুলিন নেয়ারও পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া আছে।কিন্তু ইনসুলিন না নিলে কি হবে?

বাংলাদেশে কনডমের প্রচলন এখনো জনপ্রিয় না নানা কারনে। কিন্তু পিলটা জনপ্রিয় করা গেছে। এখন যদি আপনি পিলের মানোন্নয়ন না করে এর বিরুদ্ধে প্রচারনা শুরু করেন তাহলে কি হবে? তার ওপর এমন না যে এর পার্শপ্রতিক্রিয়া থেকে বাচার উপায় নেই, অবশ্যই আছে। বেশ ভালো ভালো সমাধান আছে। আপনি সেগুলো নিয়েও কেন আলোচনা করবেন না? আপনার উদ্দেশ্য কি?

কয়েকবছর আগেও জামাতীরা ভ্যাক্সিনের বিরুদ্ধে আন্দোলন করতে লাগলো ঠিক এই ছোটোখাটো উপসর্গের ভয় দেখিয়ে। মনে পড়ে এর চেয়ে বড় সড় উপসর্গ আমরা যখন সেই ৮০ এর দশকে নিয়েছিলাম তখন হয়েছিলো। এখন যদি আপনি ভ্যাক্সিনটাই বন্ধ করে দেন এবং তাকে এরকম প্রোমোট করেন তাহলে পাকিস্থানের সাথে আমাদের পার্থক্যটা কোথায়?

আমার প্রশ্ন সামু কর্তৃপক্ষের কাছে এখানেই!

৫| ১০ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১১:৪৬

নতুন বলেছেন: লেখক বলেছেন: তাহইলে কি আপনে পুরা এন্টিবায়োটিক খাওয়াই বাদ দিয়া দিবেন?

আমি ডাক্তারের পরামশ` ছাড়া এন্টিবায়টিক সেবন বন্ধ এবং প্রসক্রিবসন ছাড়া বিক্রি বন্ধের পক্ষে।

অসুস্হ হইলে ঔষুধ তো খাইতেই হবে সেইটা তো আমি মানা করিনাই। কিন্তু সুস্হ অবস্থায় ওষুধ খাওয়ার পক্ষে আমি না।

আর পিল খাওয়াটা আমার কাছে মনে হয় মেয়েদের উপরে চাপিয়ে দেওয়া এবং মেয়েরা এক রকমের অন্য উপায় না পেয়ে এটাকেই বেছে নিয়েছে তাই জনপ্রিয় হয়েছে বলেই মনে হয়। কারন ছেলেরা কন্ডোমের পক্ষেনা।

আমি আমাদের দেশে ১ সন্তান প্রোমটের পক্ষে যাতে জনসংখ্যা একটু কোমানো যায়। কিন্তু তার জন্য নারী/পুরুষ উভয়েরই চেস্টা করা উচিত।

জামাতীরা মানুষইতো না...তাদের কাজকাম ভাল হয় কিভাবে??? :)


১১ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১২:১৬

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: আসলে কন্ডোমের জনপ্রিয়তার শুধু পুরুষরাই এটা পশ্চিমার বিশ্বের জন্য সব সময় ঠিক না। ২০১০ এর দিকে একটা স্টাডিতে দেখা গেছেমেয়েরা স্বতঃস্ফূর্ত ভাবেই পিলের দিকে ঝুকছে আর এর হার সবচেয়ে বেশী থাকে ১৪ থেকে ২৫ এর মধ্যে। এর কারন যাই থাকুক, কন্ডম ব্যাব হারের হার তখন প্রায় পিলের কাছাকাছি হলেও সেটা কম। আর সামগ্রীক থেকে ভাবলে মেয়েদের মধয়ে স্টারিলাইজেশন পদ্ধতিটা সবচেয়ে জনপ্রিয় যেটা মূলত ৩০ এর পর থেকে ৪৪ পর্যন্ত সবচেয়ে বেশী দেখা যায়।

আবার সাম্প্রতিক গবেষনায় দেখা গেছে ছেলেরা কন্ডোমের চাইতে পুল আউট পদ্ধতি সবচেয়ে বেশী ব্যাব হার করে যদিও কন্ডোম ব্যাব হারের ফলে অপ্রত্যাশিত গর্ভধারনের হার পুল আউট পদ্ধতির থেকে বেশ কম, কিন্তু তবুও ছেলেদের মধ্যে এই প্রবনতা বেশী। তার মানে দেখা যাচ্ছে এই পিলের ব্যাপারটাতে কোনো জোর করে চাপিয়ে দেবার মতো না। এটা স্বতঃস্ফূর্ত ভাবেই হচ্ছে।

যদিও এইডসের ঝুকি আছে কিন্তু উন্নত বিশ্বে এখনও দেখি নাইট আউট বা বুটি কলে প্রথমবার কন্ডোম ব্যাব হার হলেও এর পরে সেই পিলেই ঝুকে পড়ে।

আমাদের দেশের ব্যাপারটা পুরুষদের গরজের ওপর বেশী নির্ভর করে এর কারন দুটো। প্রথম কারন হলো ধর্মীয়, কারন অনেকেই মনে করে কন্ডোম ব্যাব হার করলে হক বন্ঞ্চিত করা। যদিও ইসলামে পুল আউটের ব্যাপারে বলা আছে কিন্তু তারপর কন্ডোমের ওপর একটা ধর্মীয় মনোভাব দাড়িয়ে গেছে। আর নারীরাও কিন্তু বেশ স্বতঃস্ফূর্ত ভাবেই নিচ্ছে এটা এজন্য বোঝা যায় যে পিল বিক্রির হার। কারন পিলের ব্যাব হারে যে গোপনীয়তা এবং স্বাচ্ছন্দবোধ সেটা কন্ডমে নেই।

তাই কেন যেন মনে হয় পুরুষতান্ত্রিক জোর জবরদস্তি একটা অজুহাত হতে পারে কিন্তু এই অজুহাতের প্রভাব খুব বেশী নেই সমাজে!

৬| ১১ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১২:১৫

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: গতানুগতিক যে সকল পোস্ট আছে নারী দিবস উপলক্ষে, আলোচ্য পোস্টটি তার চেয়ে ভিন্ন ছিলো। এই পোস্টটি স্টিকি করার পেছনে মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে, জন্মনিয়ন্ত্রন বড়ি খাওয়ার ফলে যদি নারীদের শারিরীক সমস্যা হয়, তাহলে পুরুষরা নারীদের প্রতি সম্মান, সহমর্মিতা ইত্যাদি প্রদর্শনের জন্য কতখানি এগিয়ে আসতে পারেন সেই বিষয়টিকে সকলের সামনে উপস্থাপন করা। একজন পুরুষ হিসেবে আমি যদি কখনও জানি, আমার প্রিয় মানুষটিকে একটি ঔষুধ তীলে তীলে ধ্বংস করে দিচ্ছে বা অন্য অনেক শারীরিক সমস্যার দিকে ধাবিত করছে, তাহলে আমার দায়িত্ব তাকে রক্ষা করা, তার পাশে দাঁড়ানো। এই বিষয়টি যখন জানতে পারি, তখন একজন মহিলা ডাক্তারের সাথে আরো নির্দিষ্ট করে বললে একজন ব্লগারের সাথে আলোচনা করেছিলাম, তিনিও স্টিকি পোস্টের বক্তব্যের ব্যাপারে সহমত প্রকাশ করেছেন। তবে তিনি মনে করেন, বাংলাদেশে প্রচলিত ধারায় যেহেতু যৌনতার ক্ষেত্রে নারীদের মতামতের কোন তোয়াক্কা করা হয় না, পুরুষদের আনন্দের ব্যাপারই মুখ্য থাকে, তাই নারীদেরকেই পিল খেতে হবে - এটাই সমাজে প্রচলিত রীতি। এটা নিঃসন্দেহে দুঃখজনক। নারী অধিকার নিয়ে যারা কথা বলেন, তারা চোখের আড়ালেই যদি এমন একটা অমানবিক ঘটনা ঘটে, তাহলে সেই বিষয়ে জন সচেতনতা সৃষ্টি করার কাজ ব্লগ থেকেই যদি শুরু হয়, তাহলে তা হবে আমাদের জন্য গর্বের।

যে কোন আলোচনায় একটি পাল্টা পোস্ট আসতেই পারে, আলোচনা সমালোচনা হতেই পারে। আমরা যে কোন যৌক্তিক সমালোচনাকে স্বাগত জানাই। এখানে খুব ভালো আলোচনা হচ্ছে। নতুন ভাইকে ধন্যবাদ। আপনাকেও ধন্যবাদ দিতে চাই। তবে অনুগ্রহ করে অহেতুক কোন আশংকা করবেন না এবং অনুরোধ করব, সব কিছুতে জামাতি সংযোগ না দেখার জন্য।

শুভ রাত।

১১ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১২:৩৩

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য

যখন জানতে পারি, তখন একজন মহিলা ডাক্তারের সাথে আরো নির্দিষ্ট করে বললে একজন ব্লগারের সাথে আলোচনা করেছিলাম, তিনিও স্টিকি পোস্টের বক্তব্যের ব্যাপারে সহমত প্রকাশ করেছেন।

আমার মনে হয় একজন ডাক্তার এই ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করতে পারেন না। কারন এই পুরো ব্যাপারটি অনেক গুলো বিষয়ের ওপর নির্ভরশীল যেমন সমাজবিজ্ঞান আর যদি খুব নির্দিস্ট করে বলি জেন্ডার স্টাডিজ। সমস্যা হলো আমাদের দেশে কোনো সার্ভে হয় নি এই নিয়ে কিন্তু বাইরের দেশে প্রচুর সার্ভে হয়েছে যার লিংক কমেন্টে পাবেন এবং মনোযোগ দিয়ে ঐ সার্ভের স্ট্যাটস গুলো পড়লে দেখবেন শুধু সাদা মেয়েরা না, যারা ধর্মীয় ভাবে ক্যাথোলিক (হিস্পানিক, আফ্রিকান ইত্যাদি) তারাও স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে করছে যার কারন কোনো পুরুষতান্ত্রিক সমাজ নয়। এটা এখন একটা জীবন ধারা।


বাংলাদেশে প্রচলিত ধারায় যেহেতু যৌনতার ক্ষেত্রে নারীদের মতামতের কোন তোয়াক্কা করা হয় না, পুরুষদের আনন্দের ব্যাপারই মুখ্য থাকে, তাই নারীদেরকেই পিল খেতে হবে - এটাই সমাজে প্রচলিত রীতি।

আমি আবার উল্টোটা জানি কারন সেই ৭০ বা ৮০ এর দশক থেকে দেখেছি যেসব আপারা এই পিল নিয়ে বিভিন্ন গ্রামে বা পল্লিতে যেতো তারা কিভাবে গ্রাম্য বখাটে এবং জোতদার দ্বারা নিগৃহিত হতো। হাতের কাছে কোনো রেফারেন্স নেই তবে পেলে এই কমেন্টে আপডেট করেদেবো।


জন্মনিয়ন্ত্রন বড়ি খাওয়ার ফলে যদি নারীদের শারিরীক সমস্যা হয়, তাহলে পুরুষরা নারীদের প্রতি সম্মান, সহমর্মিতা ইত্যাদি প্রদর্শনের জন্য কতখানি এগিয়ে আসতে পারেন সেই বিষয়টিকে সকলের সামনে উপস্থাপন করা।


লিখেছেন, পুরুষের জন্য যৌন জীবনে কনডমের ব্যবহার অনেক টা জুতা পড়ে পুকুরে সাতার কাটার অনুভূতি। তাহলে নিতান্ত সাধারনের একটা উক্তি বলি, সাত সন্তানের জনক এক রিকশা চালকের মতে, “মিষ্টি খাইলে হাতে নিয়েই খাইতে হইবো। পলিথিনে মুড়াইয়া মিষ্টি খাওনে কূনো মজা নাই”। আর তাই তিনি রাবার(কনডম) ব্যবহার করেন না।

শরীরের যাবতীয় অনাচার সহ্য করে জন্ম নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি বেছে নিতে হয় নারীদেরকে। কেননা জরায়ু যেহেতু তার, তাই জগতের যাবতীয় গরল তো তাকেই গলধকরন করতে হবে। এখানে ক্ষমতার চর্চাকে অগুরুত্বপূর্ন ভাবলে চলবে না। ফুকোর ক্ষমতার চর্চা কিংবা বডি পলিটিকস এর কথাই যদি বলি।

উপরের দুটি লাইন ঐ পোস্ট থেকেই নেয়া। কমেন্টে খোজার ইচ্ছা নাই। এখানে কোথাও কিন্তু সহমর্মিতা বা পাশে দাড়ানোর কথা বলা নাই। এমনকি এটাও বলা নাই এই বড়ির কারনে যখন স্ত্রী অসুস্থ হয়ে পড়েন এর দায় দায়িত্ব নিয়ে স্বামীরা ভাবে না।

কিন্তু এই যেমন আপনি, নতুন স হ সবাই কিন্তু ভাবছে। সমাজের একটা শ্রেনী কিন্তু দাড়িয়ে গেছেন তাদের স্ত্রীদের পাশে দাড়ানোর জন্য তার মানে সমাজের একটা বড় অংশ তাদের স্ত্রীদের প্রতি স হমর্মী। কিন্তু সমসয়া হলো উনি একপেশে শুধু দোষারোপই করে গেলেন।

আবার আপনি পোস্ট এবং কমেন্টেও দেখবেন যেসব সমস্য বা সাইড এফেক্টের কঠা বেশী ফোকাস করা হয়েছে এগুলো বেশীর ভাগ ক্ষেত্রেই এড়ানো যায় যদি একজন দম্পতি সচেতন হোন। এবং বর্তমানে উন্নততর গবেষনায় বেশীর ভাগ পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া বেশ সুন্দরভাবেই লাঘব করা যাচ্ছে। কিন্তু এই যে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া এড়ানোর চিকিৎসাবিজ্ঞান কি উপ হার দিচ্ছে সেটা চেপে গেছেন। তার মানে দেখা যাচ্ছে উনার পোস্ট টা সর্বতভাবেই এই পিলগুলোকে বিষ হিসেবে দেখাচ্ছেন।

কিন্তু বাস্তবতা ভিন্ন। আপনি চারপাশে দেখেন, বাংলাদেশে কোন টা কোন কারনে হচ্ছে সেটা বোঝা মুশকিল কারন বাংলাদেশে খাদ্যভয়াসে ফরমালিন ঢুকে গেছে, জীবন চলনে ঢুকে গেছে টিভির ইন্ডিয়ান সিরিয়াল। তাই এফডিএ, সিডিসি পেজ যেখানে এসব গবেষনা গুলো নিখুততর সেগুলোর দিকে চোখ রাখুন। নিজে পড়ুন।


ঠিক একই উপসর্গের কথাকে বেশ ফলাও করে প্রচার করে বাংলাদেশে একবার ভিটামিন এ ক্যাপসুলের ভয়াক্সিনেশন বন্ধের পায়তারা করেছিলো। ভিটামিন এ না খেলে কেউ মারা যাবে না। এটা কোনো পথ্য ছিলো না। কিন্তু পাকিস্থানে যেমন পোলিওর টিকা বন্ধ করার জন্য সবাই হাউ কাউ করেছিলো ঠিক তেমনি ছিলো ভিটামিন এ ভ্যাক্সিনের জন্য।

আর এই পোস্টে এই পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার ব্যাপারটা পুরো চেপে গিয়ে পুরুষতান্ত্রিক সমাজব্যাবস্থার দোষ চাপানোতে কেনো আমি এটার যোগসূত্র পাবো না?

শুভ রাত্রি!

১১ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১:০১

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: আরেকটা কথা: মৌলবাদ মানেই জামাত না। মৌলবাদ আরও অনেক গভীরের। এরা শুধু ক্ষমতা নিয়েই ক্ষান্ত হয় না, এরা চায় সমাজের খুব মৌলিক উপাদান গুলো পাল্টে দিতে। আইসিস স্টেট বা তালেবান সরকার ছিলো এদের এক্সপেরিম্যান্ট যেগুলোর কোনোটাই জনপ্রিয়তা অর্জন করতে পারেনি সর্বসাধারনে কিন্তু সমাজের অব হেলিত মানুষদেরকে আকৃষ্ট করেছে।

তাই এরা এখন সরাসরি কোনো মতবিরোধে না গিয়ে সূক্ষাতিসূক্ষ্ম বিষয়ে আলোচনা করবে এবং যেকোনো প্রতিষ্ঠিত সিস্টেমের সামান্যতম ফাঁক খুজে পেলে সেটাকে বড় করে দেখিয়ে উপ্রে ফেলতে চাইবে।

বাংলাদেশ জনসংখ্যা বিস্ফোরনে ঝুকছে যদিও এই বিস্ফোরনের হারকে কিছুটা হলেও লাগাম পড়ানো গেছে এই পিলের মাধ্যমেই। একসময় বাংলাদেশের জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ক্রোমোবনতির দিকে যাবে কিন্তু এর ফলে সমগ্র জংোষ্ঠির যে জীবনমানের উন্নয়ন হবে সেটাকে রোধ করার জন্য মৌলবাদীরা উঠে পড়ে লেগেছে ব হু আগে থেকেই যেটা আপনি গ্রামে গন্জ্ঞের যেকোনো ওয়াজ মাহফিলে গেলেই দেখতে পাবেন। এসব ওয়াজ মাহফিলে আবিষ্ট হয়ে ম হু মানুষ নিজের অজান্তেই তাদে বানী প্রচার করছে।

আপনারা যেসব ক্ষতির কথা বলছেন সেগুলো অবশ্যই আছে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে কিন্তু এগুলেঅ বেশ ভালোভাবে কমিয়ে আনা সম্ভব যদি সঠিক মান নিয়ন্ত্রন এবং বাংলাদেশে এসবের ওপর নিজস্ব গবেষনা প্রতিষ্ঠান থাকে এবং টারা যদি এগুলো নিয়ে বেশী বেশী গবেষনা করে। এফডিএ, সিডিসি তাদের টেকনিক্যাল গবেষনার পাশাপাশি জেনারেল পপুলেশন পরিসংখ্যান সার্ভেও করে যার ফলে তারা নিজেরা এগুলোকে আরো বেশী নিয়ন্ত্রন করতে পারছে।

এজন্যই একটা সাইড বন্ধ না করে টার মানোন্নয়ন নিয়েই কিন্তু বেশী কথা হওয়া উচিত!

৭| ১১ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১২:৩৭

নতুন বলেছেন: আবার সাম্প্রতিক গবেষনায় দেখা গেছে ছেলেরা কন্ডোমের চাইতে পুল আউট পদ্ধতি সবচেয়ে বেশী ব্যাব হার করে যদিও কন্ডোম ব্যাব হারের ফলে অপ্রত্যাশিত গর্ভধারনের হার পুল আউট পদ্ধতির থেকে বেশ কম, কিন্তু তবুও ছেলেদের মধ্যে এই প্রবনতা বেশী। তার মানে দেখা যাচ্ছে এই পিলের ব্যাপারটাতে কোনো জোর করে চাপিয়ে দেবার মতো না। এটা স্বতঃস্ফূর্ত ভাবেই হচ্ছে।

পিলে নিয়ন্ত্রনটা মেয়েদের হাতে থাকে.... আর অপ্রত্যাশিত গর্ভধারনে পুরু ব্যাপারটাই নারীর উপর দিয়ে যায়...তাই যেহেতু তার ছেলে সঙ্গী কন্ডোম পছন্দকরে না তাই মেয়ে পিলকেই গ্রহন করে।

যদিও এইডসের ঝুকি আছে কিন্তু উন্নত বিশ্বে এখনও দেখি নাইট আউট বা বুটি কলে প্রথমবার কন্ডোম ব্যাব হার হলেও এর পরে সেই পিলেই ঝুকে পড়ে।

ঐখানের সমাজটাও পুরুষের প্রাধান্য বেশি...যদিও আমাদের থেকে গোড়ামী অনেক কম... নারীরাও অনেক স্বাধীনতা পায়। কিন্তু অপ্রত্যাশিত গর্ভধারন সমস্যা কিন্তু পুরুটাই নারীর সমস্যা... তাই নারী বড় সমস্যা থেকে বাচতে ছোট সমস্যা বেছে নেয়।

আমাদের দেশের ব্যাপারটা পুরুষদের গরজের ওপর বেশী নির্ভর করে এর কারন দুটো। প্রথম কারন হলো ধর্মীয়, কারন অনেকেই মনে করে কন্ডোম ব্যাব হার করলে হক বন্ঞ্চিত করা। যদিও ইসলামে পুল আউটের ব্যাপারে বলা আছে কিন্তু তারপর কন্ডোমের ওপর একটা ধর্মীয় মনোভাব দাড়িয়ে গেছে। আর নারীরাও কিন্তু বেশ স্বতঃস্ফূর্ত ভাবেই নিচ্ছে এটা এজন্য বোঝা যায় যে পিল বিক্রির হার। কারন পিলের ব্যাব হারে যে গোপনীয়তা এবং স্বাচ্ছন্দবোধ সেটা কন্ডমে নেই।

আমার মনে হয়না যে পুরুষ তান্ত্রীক সমাজের প্রভাবটা কম.... এটা অবশ্যই সবচেয়ে বড়...

আপনি আমি মনে হয়না একটা কাজ অন্যকে দিয়ে ঠিক মতন করাতে পারলে সেটা নিজে করতে যাবো... তেমনি যদি পুরুষ কন্ডম পড়ে তবে কোন নারীই এমন একটা ঔষুধ প্রতিদিন নিয়ম করে খাবেনা যেটাতে তার মাথা ঘুরবে, বমি ভাব হবে, মুটিয়ে যাবে...

১১ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১২:৪৫

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: আপনার সাথে আলোচনা করে মজা পাচ্ছি। আপনার কথাও সত্য। আসলে এসব ব্যাপারে যেটা বলতে হয় এবং যতদূর কলিগদের সাথে মিশেছি ততদূর মনে পড়ে তার মতের সাথে না মিললে সে আপনার সাথে তখনই কাট অফ করে ফেলবে। একটা সেকেন্ডও ভাববে না। কারন আপনি বলেছেন তারা স্বাধীনচেতা। আপনার এই কথাটা আগে আমিও ভাবতাম এটা এ কারনে যে অনেক স্ট্রেইট মেয়ে বুটিকল বা নাইট ক্লাব শেষে ছেলের বদলে মেয়েকে শয্য সঙ্গিনী করছে। আমি ভাবতাম পোলা পায় নাই বা মতের মিল নাই। পরে বুঝলাম এটা তারা করছে বৈচিত্রতার জন্য আবার শো অফ। অনেকে আবার এটাও ভাবে যে পিল খাবে না।

কিন্তু তার বয়ফ্রেন্ড কন্ডম ব্যাব হার করবে কি করবে না এটা পুরোপুরিই কিন্তু মেয়ের ওপর নির্ভরশীল। কারন মেয়ে যদি তালা লাগায় তাহলে পোলা কন্ডোমের দোকান কিনতে বাধ্য। সুইডেনের মতো নারী প্রধান দেশে এট লিস্ট মেয়েদের ওপর এব্যাপারে এতটুকু জোর চালানো যায় না।

বাংলাদেশের ক্ষেত্রে আপনার কথাটা সম্ভব হতে পারে। কিন্তু বড়ি খেলে যত না ওবেসিটি বা ওজন বাড়ানোর কথা বলেন, টার চেয়ে কয়েক হাজার গুন ওবেসিটি বাড়ে তার জীবনাচারের কারনে। যারা ওবেসিটি বা ওজনের বৃদ্ধি কন্ট্রোল করতে পারে টারা এমনেই পারে। আমাদের দেশের খাদ্যাভ্যাস এবং জীবনাচারের চাইতে কি এই পিল ওবেসিটি বেশী অবদান রাখে, আপনার কি মনে হয় ?

৮| ১১ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১:১১

পরিবেশবাদী ঈগলপাখি বলেছেন: bro you are beating a dead horse...........off course "SAMU" is promoting Chagu

১১ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১:১৫

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: @ঈগলু, কি খবর? মেলাদিন পর, ফেবুতেও দেখি না!

আমি জানি, তারপরও একটা টেস্ট করতেছি একটা আলোচনার টেম্পো এই ব্লগ কতদূর নিবার পারে।

আমি অখন দেশের কোনো কিছু নিয়াই আশা করি না। তয় অখন ইদানিং কেন জানি পুরানা দিনের কথা মনে পড়ে আগে আমরা কি লেখতাম.....আর সবার চিন্তা ভাবনা কতটা বিধৌত ছিলো।

এর জন্য নিজেদেরও দোষী মনে হয় কারন আমরা প্রায় বিনা ক্লেষে আত্মভিমানে বা স্বার্থপরতায় জায়গা গুলো ছেড়ে দিলাম বরাহশাবকদের জন্য!

৯| ১১ ই মার্চ, ২০১৬ সকাল ১১:২৩

টরপিড বলেছেন: খারাপ জিনিসেরও যে ভাল দিক থাকে আপনার পোস্টই তো তার প্রমাণ। ঐ পোস্ট আসল বলেই তো আপনি তথ্যবহুল পোস্ট দিলেন (যদিও আমার কাছে ঐ পোস্টটির সাথে মৌলবাদ বা এমন কিছুর কোন সম্পর্ক আছে বলে মনে হয়নি, আমার দেখার ভুল থাকতে পারে)। যারা এই সম্পর্কিত বিষয় নিয়ে ভাবছেন, তারা নিঃসন্দেহে লাভবান হবেন পোস্ট থেকে, আলোচনা থেকে। পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ বজায় রেখে সুস্থ তর্ক-বিতর্ক, যুক্তি-পাল্টা যুক্তি দেখতেও ভালো লাগে।

ভালো থাকবেন।

১১ ই মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১২:৪৫

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য

১০| ১১ ই মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১:০১

তার আর পর নেই… বলেছেন: আপনিও তা ডাক্তার নন। নান্দনিক নন্দিনীর পোস্ট পড়েছি। ভুল কিছু তো মনে হয়নি।

১১ ই মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১:৩৮

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: হুমমম.... তা নই

কিন্তু নিজের চিন্তা ভাবনাকে যুক্তিবোধের মাধ্যমে প্রকাশ করার অধিকার তো আছে। আর যেখানে অর্ধ অপ্রকাশিত একটা প্রয়োজনীয় পদ্ধতিকে ঘায়েল করে অনেক বড় ক্ষতির কারন ঘটাতে সেটা নিয়ে কথা বলাটাও তো অনুচিত নয়, ঠিক?


আপনার শৈশব কৈশোরের গল্প শুনতে চাই, কবে শোনাবেন?

১১ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৫:৪০

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: আর ভুল না শুদ্ধ সে ব্যাপারে রেফারেন্স দিয়েছি মিলিয়ে দেখবেন আশাসকরি

১১| ১১ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৩:৪৮

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: পোষ্টখানা দেখেছি, এবং কিছুটা পড়েও ছিলাম, কিন্তু ওনি মিথ্যা তথ্য বা আধা সত্য তথ্য সন্নিবেশ করেছে জানা ছিলো না........

১১ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৫:৩৬

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: এই জন্যই তার উদ্দেশ্য নিয়ে সন্দেহ। আরো সন্দেহ সামু কেন রেফারেন্স ছাড়া এরকম পোস্ট স্টিকি করলো তার একটা জবাবদীহিতা।

সামুর মডুর এই ব্যাপারে একটা জবাবদিহিতা থাকা দরকার

১২| ১১ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৫:০৫

অপু তানভীর বলেছেন: বাহ !!

এই পোস্ট দেখি নির্বাচিত পাতাতেও যায় নাই !!
আধা সত্য আধা মিথ্য সম্বলিত পোস্ট স্টিকি হইতে পারে কিন্তু এই পোস্ট নির্বাচিত পাতায় যাইতে পারে না ! :D

১১ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৫:৩৯

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: নির্বাচিত নিয়ে আমি কখনোই চিন্তিত নই।

তবে প্রশ্ন হলো এই আধা সত্য পোস্ট মডু নিজে করছে না সামুর সবার যায় আছে?

যদি সামুর সবার সাত থাকে ভ্যারিফিকেশন ছাড়াই তাহলে বলতে হচ্ছে এটা খুবই নিকৃস্টমানের কাজ

১৩| ১১ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৫:৪৪

অভিমান ইগো এবং ভালোবাসা বলেছেন: এই পোস্ট দেখে মাথায় কিছু প্রশ্ন এলো আবারও?

স্টিকি পোস্ট কি? কিসের ভিত্তিতে হয়? কারা স্টিকি করে? সে কি একজনই মডারেটর নাকি কয়েকজন মিলে? স্টিকি পোস্টদাতার আচরণ কেমন হওয়া উচিৎ ইত্যাদি ইত্যাদি?

এবং এই পোস্ট নির্বাচিততে নাই কেনো?

নির্বাচিতই বা কিসের ভিত্তিতে হয়?

১১ ই মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:২৩

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: এসব প্রশ্নের উত্তর আমি কিভাবে দেবো বুঝতে পারছি না। আমি আপনার মতো সাধারন লিখিয়ে যে কিছু তথ্য এবং তার ভিত্তিতে কিছু মতামত প্রদান করেছে মাত্র!

১৪| ১১ ই মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:০৮

শেয়াল বলেছেন: স্টিকি হওয়াটা ঠিক ছিল। এই পোস্ট নির্বাচিত পাতায় গেলে কারো কোন সমস্যা ছিল না। আপনার পোস্টে যৌক্তিক কথাও আছে এটা যেমন সত্য তেমনি সত্য হলো উনার পোস্টের ভাষ্যও। তবে আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি উনি বিষয়টাকে যেভাবে উপস্থাপন করে বড়িকে ভয়ানক ব্যাপার করে ফেলেছেন তাতে আপনার এ পোস্টটি অবশ্যই পাল্টা পোস্ট হিসেবে যৌক্তিক।

আলোচনা চলুক। আছি।

১১ ই মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:২৪

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: আলোচনা চলাটা অবশ্যই বান্ঞ্চনীয় বলে আমি মনে করি!

১৫| ১১ ই মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:২৬

গুলশান কিবরীয়া বলেছেন: পোস্টে সমর্থন আছে । বিস্তারিত পড়েছি । সময় করে আসবো । আপনার পজেটিভ আর স্পষ্ট উচ্চারণে সাধুবাদ জানাই ।
স্পষ্টভাষীদের ভালো লাগে , যারা বেশিভাগ সময়ই নিরপেক্ষ থাকে , no matter how hard it is ।

ভালো লাগলো আপনার প্রতিউত্তর গুলোও ।

১১ ই মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৪৩

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: আপনার মন্তব্য পেয়েও ভালো লাগলো! আসলে আলোচনা করতেই ব্লগে এখন আসা আর সাথে থাকে নতুন মানুষের নেটওয়ার্ক তৈরী করা!

হ্যাপী ব্লগিং!

১৬| ১১ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ৮:০৫

রুদ্র জাহেদ বলেছেন: এ ব্যাপারে এতো ডিটেইল জ্ঞান নাই।আলোচনা চলুক...পোস্ট আগেরটা প্রিয়তে রাখছি এটাও রাখলাম

১১ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ৯:৫৪

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: ধন্যবাদ!

১৭| ১১ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ৮:০৬

এক্সট্রাটেরেস্ট্রিয়াল স্বর্ণা বলেছেন:
Ekhono post pori nai. Ami shudhu jani ami ekta completely different reason a doctor er kache giyechilam. Doctor amake boleche, why do you think this is a problem? It's normal. Then she said, if you still want, the solution is to take contraceptive pills. American doctor amake ekta shamanno bepare contraceptive pills khete boleche. Ejonno ami sticky post a comment o kori nai.

Samur kono kichute ami surprised hoina. Amake shotto bolay ban korechilo =p~

১১ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ৯:৫৫

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: হুমমম....কি খবর ডাক্তার সাব?

আমার ইদানিং একটা সমস্যা হইছে, খাইলে ক্ষুধা লাগে না। এইটার জন্য কি করুম কও। প্রেসক্রিপশন দেও!

১৮| ১১ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১০:৫৩

জানা বলেছেন:
পোস্টের জন্যে ধন্যবাদ @ উদাসী স্বপ্ন। শিরোণামটি আপত্তিকর হলেও আপনার আলোচনা যৌক্তিক এবং গুরুত্বপূর্ণ।

'নারীবাদ' এবং 'পুরুষতন্ত্র' এই দু'টি বিষয়ের যে সম্পর্ক এবং দ্বন্দ তা নিয়ে বোধ করি বিশ্লেষণে যাবার প্রয়োজনীয়তা নেই এই পোস্টে কিংবা আলোচিত স্টিকি পোস্টে। কারণ সেটি সম্পূর্ণ ভিন্ন বিষয়।

কন্ট্রাসেপ্টিভ পিল এর মাত্রা, পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া এবং এর দীর্ঘমেয়াদি ব্যবহারের ফলে মেয়েদের শারিরীক সমস্যা নিয়ে মূলত লেখা ঐ পোস্ট আমরা স্টিকি করি নারী-পুরুষ উভয়ের সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষেই একটি বহুমূখী আলোচনা তৈরী করতে। সেই আলোচনায় পক্ষে বিপক্ষে নানান মত, অভিজ্ঞতা এবং সংশ্লিষ্ট তথ্য শেয়ার করে, পরামর্শ ও সম্ভাব্য প্রস্তাবনা যুক্ত করে একটি সমৃদ্ধ এবং যুক্তিযুক্ত বিতর্ক তৈরী করতে। ব্লগারদের মতামত এবং বিতর্কের মাধ্যমে একটি নির্দিষ্ট ফলাফলে পৌঁছতে যা কমিউনিটি 'ব্লগ' এর ধর্ম।

পোস্টটি নিয়ে আমরা নিজেরাও আলোচনা করেছি, সাধারণ বিবেচনা বোধ থেকেও নানা বিষয় ভেবে দেখার সুযোগ নিয়েছি। এমন কি পোস্টটি যে 'একপেশে' এবং পরামর্শ ও যুক্তিযুক্ত প্রস্তাব বিবির্জিত সেটাও লক্ষ্য করেছি । তারপরেও আমরা সঙ্গত কারণে পোস্টটিকে বেছে নিয়েছি। স্টিকি করার কারণে পোস্টটিতে একটি দরকারী বিষয়ে খোলামেলা আলোচনা হয়েছে, দ্বিমত বা ভিন্নমত প্রকাশিত হয়েছে। এই পোস্ট পড়ে কেউই জন্মনিরোধের বিষয়টি মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলে নিশ্চিন্তে সন্তান উৎপাদন করে যাবার মত নির্বোধ উপাদান খুঁজে পায়নি নিশ্চয়ই।

আপনার এই পোস্টটি আলাদা করে না হয়ে সত্যিকার অর্থে ঐ পোস্টে আলোচনা-সমালোচনার জন্যে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য হয়ে আসতে পারতো এবং সেটা হতো সবার জন্যে উপকার। কারণ ঐ পোস্টে কোথাও একটি বারও জন্মবিরতিকরণ বা নিয়ন্ত্রণের বিরোধিতা করা হয়নি যাতে মনে হতে পারে যে সেটি মৌলবাদের এজেন্ডা চর্চা। আপনার তা মনে হলে সেটিও আপনার ওখানেই আলোচনা করা সংগত ছিল।




১১ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১১:৫৮

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: @আপু ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য। যেহেতু আপনি আপনার পক্ষ থেকে পুরো ব্যাপারটা ক্লিয়ার করছেন, সেহেতু আমি তর্ক করবো না আপনার সাথে। তবে আমি শুধু আমার একটা আত্মপক্ষ সমর্থন করবো:

১) ঐ পোস্টে আমি মন্তব্য করার সাহস পায় নি। ধরেন আমি অনেক খাটা খাটুনি করে মন্তব্য করলাম, পোস্ট দাতার মন্তব্য পছন্দ হলো না বা ত্যাড়া উত্তর দিলেন। আমি নিজেও নিজের ট্যাম্পার ধরে রাখতে পারলাম না। আপনি আমার ট্যাম্পার জানেন। তারপর সে করলো সুলেমানী ব্যান, কমেন্টও মুছলো। তাহইলে দেখা যাইতো কি? আলোচনা অঙ্কুরেই বিনষ্ট। আমি বেশ কিছু দিন সামুতে অনিয়মিত, কে কেমন কি লেখে মাথায় আর নাই। তার ওপর কিছু কমেন্ট দেখলাম উনি অনেক পুরানা ব্লগারের কমেন্ট মুছে দিলো, মডুরে দিলো হালকা পাতলাঝাড়ি, অনেকের কমেন্ট মুছলো কিন্তু তাদের পরে একটা কমেন্টের পর আর কমেন্ট দেখলাম না মনে হয় ব্লক খাইছে। এখন বলেন কমেন্টে এরকম ম্যাছাকার গন হত্যা হইলে আমি কি পারবো বাঘা কাদেরের মতো পুরা প্লাটুন উড়ায় দিতে? যৌবনে পারতাম, এখন চলে আমার বৃদ্ধ কাল!

২) কমেন্ট হইছে ৪০০ এর উপ্রে। এই কমেন্টে আমি কুন যদুমদু যার সাথে দীর্ঘ সময় ধইরা আলোচনা চালাইতে পারে! কমেন্ট করার দুই সেকেন্ডের মধ্যে আমার কমেন্ট আমি নিজেই খুজ পাইতাম না!

৩) মৌলবাদের এজেন্ডা বা চর্চা, হাবিজাবি এগুলা উপ্রে বলছি। এগুলা আমার নিজস্ব মতামত। আপনার কাছে না লাগলে সমস্যা নাই, আমি প্রত্যাহার করতে রাজী....তবে একটা বিষয় বুঝি দেশটা এখনো কুশিক্ষায় ভরপুর। যতদূর জানি দেশের শিক্ষার হার ৭৮% এর কিছু উপ্রে কিন্তু আপনে আমি ভালোই জানেন এগুলার মাথায় কি আছে! আধা খ্যাচড়া ধর্মীয় জ্ঞান, সাথে আধা খ্যচড়া বিজ্ঞান সাথে আধা খ্যচড়া কু সংস্কার। ছোটবেলায় একটা জিনিস দেখছি মায়া আপাদের কিভাবে গ্রাম গন্জ্ঞ বাদ মফস্বল শহরে রাস্তাঘাটে কেমনে নিঃগৃহিত করা হতো। এগুলো নিয়ে ক্ষোভ তখন থেকেই। বাংলাদেশের নবাবজাদা পুরুষপোলা গুলা এমনে কন্ডম ব্যাব হার করে না, এখনও সিলেটে গেলে দেখবেন একেকটা পরিবারে ফুটবল টিম। কমেন্টে কেউ বলেনি তারা কন্ডোম ব্যাব হার করবে না, কিন্তু আপনি এটা ভালো করেই জানেন পাগলের সামনে ঢোল দিয়া যদি একটা বাড়ি দেন, বা সাঁকো নাড়াইতে যদি পাগলরে মানা করেন, তাইলে কি করবে সে!

৩) মৌলবাদের ব্যাপারে সামু অনেক আগে থেকেই তার অবস্থান শক্ত করতে পারেনি। যতদূর বুঝি এত বড় ব্লগে এরকম ভুল হতেই পারে। তবে পুরোনো অনেকের মতো আমার মধ্যে এই বয়াপার কিছুটা খ্যাধ(বানানটা ভুইলা গেছি) আছে।

আবারও ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য!

কেমন আছেন?

১২ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১২:০৯

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: একটা অনুরোধ

এইসব সেনসিটিভ ইস্যুতে উপযুক্ত সুত্র দেখে যেনো স্টিকি করা হয়। কারন বিজ্ঞান বাংলাদেশে মাইনকা চিপায় থাকলেও সারা বিশ্বে মেলা আগাইছে। তাই এ বলছে ও বলছে.....আর বিশেষ কিরা বাংলাদেশের ডাক্তার বলছে এগুলা যেনো রেফারেন্স হিসেবে না ধরা হয় কারন বাংলাদেশে এক উপসর্গ নিয়া ১০ টার কাছে গেলে ১০ রকম পথ্য দেবে।

রেফারেন্সের ব্যাপারে একটু সতর্ক দৃষ্টি দিলে এসব তর্ক বিতর্ক এড়ানো যায়। আর ঐ ব্লগার বড্ড একপেশে লেখছে। শায়মার লেখাটা সে হিসেবে নিরপেক্ষ ছিলো, আরো অনেক লেখাই কিন্তু নিরপেক্ষ ছিলো নারী দিবস টপিকেই!


ভালো থাকুন!

১৯| ১১ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১০:৫৬

বিজন রয় বলেছেন: এই পোস্টিও স্টিকি হোক।
এই পোস্টিও স্টিকি হোক।
এই পোস্টিও স্টিকি হোক।

২০| ১১ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১১:০৪

বিজন রয় বলেছেন: আপনি এই পোস্ট এত দেরী করে দিলেন কেন?

১১ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১১:৫৯

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: আমারও পেট আছে, এইটাও চালাইতে হয়। থাকি বৈদেশ....পেটের ধান্ধা তো করতে হইবো ভাই! হাত ভাংছি দেইকা ছুটি পাইয়া বোলগাই, কিন্তু পেট তো আর সেইটা দেখবো না!

২১| ১১ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১১:০৭

বিজন রয় বলেছেন: তবে পোস্টের শিরোনাম....... সামু কি মৌলবাদীদের এজেন্ডাকে উৎসাহিত করতেছে? এমন হতে পারতো।

"জানা আপু" এটুকু বলার দরকার ছিল না।

১২ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১২:০০

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: "জানা আপু" বলছি এইটা ভাই মেলা পুরানা কারন!

২২| ১২ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৩:৫০

জেন রসি বলেছেন: দুই পোস্টের আলোচনা দেখে এবং এই বিষয়ে কিছু স্টাডি করে কিছু ব্যাপার বুঝলাম। জন্ম বিরতিকরন পিলের কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া আছে এই বাপারে কোন সন্দেহ নাই। তাই যেহেতু বিষয়টা গুরুত্বপূর্ণ তাই সেই পোস্ট স্টিকি করে প্রমোট করাটা আমার কাছে ভালো সিদ্ধান্তই মনে হয়েছে। যদিও সেখানে কিছুটা অর্ধ সত্যের ব্যাপার ছিল। কিন্তু এই বিষয়টা নিয়ে একটা আলোচনার সুযোগও তৈরি হয়েছে। তবে এমন বিষয় নিয়ে যখন কেউ লেখে তখন তার বিরুদ্ধে আসা মতবাদ গুলোকে যুক্তি দিয়ে প্রমান করার দায়িত্বও নিতে হয়। সেই দায়িত্ব পালনে সেই পোস্টদাতা সম্পূর্ণ অসফল হয়েছেন। এতে এমন ধারানাও হতে পারে যেহেতু তিনি তার বিরুদ্ধে আসা জবাবগুলো মুছে ফেলছেন কিংবা উত্তর দিচ্ছেন না, তার মানে তিনি আসলেই তার উত্তর জানেন না। কারন উনি অনেক যৌক্তিক প্রশ্নেরও উত্তর দেন নাই। তাই হয়তোবা আপনাকে আপনার যুক্তিগুলো নিয়ে আলাদাভাবে এই পোস্ট দিতে হয়েছে। কিন্তু সেই পোস্ট স্টিকি হলেও আপনার পোস্ট নির্বাচিত পাতাতেও নেওয়া হয়নি। কারন এই নিয়ে বিতর্ক হোক সেটা অনেকেই চাচ্ছেনা। কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপারগুলোতে বিতর্কের মধ্যে দিয়েই একটা সিদ্ধান্তে আসা উচিৎ বলে মনে করি।

মৌলবাদী শক্তি জন্ম নিয়ন্ত্রনের বিপক্ষে। তারা এটাকে ধর্মের উপর আঘাত বলে মনে করে। তাই এ দেশে এই পিলকে জনপ্রিয় করতে অনেক কিছুই করতে হয়েছে। বিশেষ করে গ্রামে গঞ্জে কাঠমোল্লাদের ফতোয়া উপেক্ষা করে এনজিও গুলো তাদের কাজ চালাইছে। আবার এই পিলের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াও আছে, এটাও সত্য। বিকল্প পদ্ধতিও আছে। যেমন পুরুষরা কনডম ব্যবহার করতে পারে। এখন সেই পোস্টে বলা হয়েছে কেউ যেন পিল না খান। এই জায়গায় এসে আমাদেরকে ভাবতে হবে আমাদের দেশের আর্থ সামাজিক প্রেক্ষাপটের কথা। কারন যদি তার চাইতে বেটার কোন সমাধান না দেওয়া যায় তবে আবার পিছনেই ফীরে যেতে হবে- এটা কখনোই যৌক্তিক কিছু হতে পারেনা। কারন যদি এভাবে বলা হয় যেহেতু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া আছে তাই আপনারা খাবেন না তাহলে কিছুই হবেনা। হয়তো কেউ কেউ সচেতন হতে পারে। কিন্তু একটা সিস্টেম তৈরি করতে না পারলে অবশ্যই কাজের কাজ কিছুই হবেনা। পিলের চেয়েও ভালো কোন সমাধান খুঁজে বের করতে হবে। কিন্তু সাথে সাথে এটাও দেখতে হবে যেন মাথা ব্যথা কমানোর জন্য মাথাই কেটে না ফেলি। আর্থ সামাজিক প্রেক্ষাপটের সাথে এই সমস্যার সম্পর্ক নিয়ে আরো কিছু বলার ইচ্ছা ছিল। দরকার মনে করলে পরে বলবো।

১২ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৪:১২

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: মোটামোটি এটাই যুক্তিযুক্ত কথা। এটাই সহজ ভাষায় বলতে চাওয়া। মৌলবাদীর ব্যাপারে সামুর অবস্থান মডু আর জানা আপা দুজনই স্পষ্ট করেছে বিধায় এটা নিয়ে আপাতত নিঃশঙ্ক থাকা যেতে পারে।

তাহলে আমরা প্রথম অবস্থানে ফিরে আসি এই পোস্ট কেন স্টিকি করা হলো?

আমি প্রায় ৮ বছর ধরেই সামুতে আছি এবং যতদূর জানি বা বুঝি স্টিকি পোস্ট করার ব্যাপারে সেগুলোকেই বেছে নেয়া হয় যেগুলো নিয়ে প্রচলিত সময়ে এবং সমাজে মতামত দেবার দাবী রাখেএবং তাতে শক্ত রেফারেন্স থাকে।

এমন অনেক পোস্টের বেলায় দেখেছি সেসব পোস্টে পোস্ট দাতা যদি কোনো মন্তব্যের উত্তর না দেয় বা সে যদি স্বেচ্ছাচার বা কটু ব্যাব হার প্রদর্শন করে সেদিনই ওটা নামিয়ে ফেলা হয়।

কিন্তু এই পোস্টের বেলায় কি দেখলাম:

১) পোস্টে কোনো রেফারেন্স ছিলো না, ছিলো এক পেশে। আর মডুসাহেবের ভাষ্য মতে পোস্টে রেফারেন্স নাই কিন্তু বাংলাদেশের থার্ড ক্লাশ ডাক্তার (আমি বর্তমান প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের ডাক্তারদের থার্ড ক্লাশই বলবো করান এদের সেরা ১০ জন কে একত্রিত করলে যেকোনো সাধারন রোগের প্রাগনোসিস এবং ট্রিটম্যান্ট ১০ রকম করবে, কোনো মান নিয়ন্ত্রন নাই এদের) এর মৌখিক কথাকে আমলে নেয়া হয়েছে। যেখানে যেকোনো ঔষুধের গুন গত মান এবং তার পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া কি হতে পারে সে ব্যাপারে স্বর্বৈব এবং তত্ব ও বাস্তব সম্মত তথ্য দেবার ক্ষমতা রাখে একজন ফার্মেসিস্ট তাও যে ইমপ্লিমেন্ট সেকশনে কাজ করে, সেলস না।

সারা বিশ্বে ফার্মাসিস্টদের এই সুযোগ থাকলেও আমাদের সোনার বাংলা এমনই একটা দেশ যেখানে ফার্মাসিস্ট দেখলেই আমরা বলি ঔষুধের কম্পাউন্ডার। এমনকি একজন প্রথিতযশা সার্জ যখন অপারেশন টেবিলে অপারেট করা শুরু করেন তখনও সে কোনো ফার্মাসিস্টের সাথে কনসাল্ট বা তাকে আশে পাশে রাখার প্রয়োজন বোধ করেননা। হায় আমার সোনার বাংলা!

২) এই পোস্টে ক্যাচাল ব হু আগে থেকেই শুরু হয়েছিলো এবং কমেন্ট মুছা আর স্বেচ্ছাচারীতাও। একটা পোস্ট স্টিকি হলে একজন পোস্ট দাতার দায়িত্ব হয়ে যায় সেখানে আলোচনা করার। যদি একান্তই অক্ষম হোন তাহলে আলোচনার সুযোগ করে দিতে পারে কিন্তু উনি সেখানে সেল্ফ সেন্সরশীপ চালু করলেন (যেটা এখন খুব সাধারন ভাবেই দেখা হচ্ছে) এবং কিছু কিছু ব্যাপারে রুঢ় আচরনে করেন। তারপর যেদিন মডু সাহেব হালকা শুকনা ঝাড়ি খেলো আর এই আমার পোস্টে মোটামোটি কমেন্ট আসলো তখন নামানো হলো।

সন্দেহ এখান থেকেই শুরু হলো।

যাই হোক এটা নিয়া অনেক কথা বললাম, আসল কথা হলো আমাদের দেশে ঔষুধ গুলোর মান নিয়ন্ত্রন অনেক জরুরী এবং সঠিক পরামর্শ দিয়ে ওয়াকিব হালের ব্যাপারটা আরো স হজলভ্য করতে হবে!

ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য!

২৩| ১২ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৪:২২

এক্সট্রাটেরেস্ট্রিয়াল স্বর্ণা বলেছেন:
Amakeo Jana Apu name ekta post dite hobe =p~ Karon unake email dile jiboneo answer dey na ar comment a kichu bolleo kono reply dey na. Ami shudhu vabi ekjon nari hoye uni kivabe amar biruddhe ei bloge manush jeshob unbelievable vabe kharap kotha bole ar moderator ra shegulo support kore, sheshob dekheo uni kivabe chup thake.

১২ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৪:২৮

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: তুমি তো মিয়া পোস্টই দেও না। পোস্ট দেখি সব মুইছাও দিছো এইটা বুকামী।


ব্লগে তোমার পয়দার আগে থিকা বোলগাই। আমার নাম লিখ্যা সার্চ মারো গুগলে....দেখবা ব্লগে ব্লগে আমার নামে কি লেখা আছে আর কিছু কিছু স্ক্যান্ডালও পাইবা।

ব্লগে অনেক বন্ধু পাইছি অনেক ভালো জিনিস পাইছি কিন্তু এই ব্লগের কারনে আমার জীবনের অনেক কিছু চলে গেছে। নিজের নির্বুদ্ধিতা হলো আর কারন।

যাই হোক, তারপর বোলগে আছি, অনলাইনে আছি। জানা আপা রে লেখলে সে কখনো রেসপন্স করে না এইটা কখনো চিন্তা করতে পারি না। এমনকি সময়ে অসময়ে ফোন দিলে ফোন ধরে নাই এইটাও শুনি নাই। হয়তো কিছু মিসকমিউনিকেশন হইছে।

প্রথম কথা

পোস্ট ফিরায়া আনো নয়া লেখা দেও। কে কি কইলো কানে না দিয়া বোলকাও


দ্বিতীয় কথা

জীবন আগে.....ব্লগ হইলো ফেসবুকের মতো। চট সময়ের ইন্টালেকচুয়াল বিনোদন। ব্লগ লেইখা কেউ কিছু করতে পারে নাই (হাফিংটন পোস্ট ছাড়া)


তৃতীয় কথা

আমার প্রেসক্রিপশন কো?

২৪| ১২ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৪:৩৭

এক্সট্রাটেরেস্ট্রিয়াল স্বর্ণা বলেছেন:
Ejonnoi to ami eto relaxed. Jibon age blog pore. Ei moderator ra vabe tader dhomkite ami voye morbo =p~

Jana apa nijei jane unake ami emon email porjonto diyechi j, Could I email you to discuss an issue? Because kono reply nai.

Jai hok.

Ami ekhono doctor na, pore dibo lol

Arjuponir last two posts apnar pora uchit, especially the second to the last one. Amar comment section a ache. Commentgulo poren oi post er =p~

Do you know what I think when I see you posting like this? Why do you try so hard? You already know how it is here. Maybe in the hope of changing things a little bit? Maybe then I should try too. But I gave up long time ago.

১২ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৪:৫৩

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: হুমম.....আমি একচুয়েলি আরজুপনির ফ্যান না। কারন তার এক পোস্টে দেখলাম সে নিজের বই এর বিজ্ঞাপন দিচ্ছে। সাধারনত যখন কেউ একটা পুরো বই লিখে ফেলে তাকে আমি সাধারন্যের কাতারে ফেলি না। কারন একটা বই লিখতে একাগ্রতা ধৈর্য্য ঠিক আছে কিন্তু যে পরিমান ধারাবাহিক জ্ঞানচর্চা দরকার সেটা সাধারন মানুষের থাকে না। তার ওপর সেই বই যদি কোনো উচ্চতর বিষয়ের টেক্সট বুক, তাহলে তো কথাই নাই।

কিন্তু বইতে দেখলাম জেন্ডার স্টাডিজের বেসিক সংজ্ঞা গুলো উনি নিজের মতো করে লিখেছেন। সাধারন ভার্সিটি লেভেলের কোনো বিষয় নিয়ে পঠিতব্য কোনো বইতে কোনো এক আনকোরা লেখক বেসিক প্যারামিটার গুলোর সংজ্ঞা নিজের ইচ্ছা মতো বানায় বানায় লিখে তখন কেমন টা লাগে! আমি সেগুলো রেফারন্স দিয়ে বললাম যে বেসিক গুলো যদি এরকম বানায় বানায় লেখা হয় তাহলে বইটা আসলে ক্লাস ৮ এর কোনো ইচড়েপাকা পোলাপানের একটা রচনা বৈ কিছু না। যদিও ভাষাটা আমার একটু আক্রমনাত্মক ছিলো কিন্তু উনি কোনো আলোচনায় না গিয়ে আমাকে ব্লক করলেন।


পরে জানলাম উনি কোনো প্রাইভেট ইউনির শিক্ষিকা, তখন উনাকে আমার ঠগ ছাড়া কিছু মনে হয় নি। তাই আমি তার পোস্টে কমেন্ট তো দূরে থাক, ঢোকাটা মনে করি একটা ঠগকে জাতে উঠানো!

আর আমার এসব পোস্ট নিয়ে লেখালেখি করতে কোনো কস্ট হয় না। কারন এগুলো আমি এক বসায় লিখি। আমার অবসর সময় কাটে পড়ালেখা আর এক্সারসাইজ করে। যদিও গত প্রায় ১ মাস দু হাতের কব্জীর ফ্রাকচারে বসে আছি। এই বিষয়টা নিয়ে আমার খুব পড়ালেখা করতে হয় নি তবে যখনই যাই পড়ি না কেন একটু ডেপথে যাই, ডেপথে যাওয়াটা আমার কুটিকালের অভ্যাস। আর আমি সেভাবেই লিখি যাতে ভবিষ্যতে আমার লেখাতে কোনো জনসাধারনের উপকার হোক সেটা আমার জন্য মূখ্য নয়, আমার লেখা গুলো যাতে উচ্চতর কোনো কাজে বা থিসিস বা প্রবন্ধের লেখাতে সাহায্য করতে পারে সেটাই আমার লক্ষ থাকে।


এখন আগ পিছু চিন্তা এতো না কইরা পোস্টাও। পোস্ট দিতে থাকো নিজের মনের মতো একদিন তুমি হঠাৎ করেই বুঝতে পারবা কেন এবং কাদের জন্য ব্লগ লেখো!

হ্যাপী বোলগানী!

২৫| ১২ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৪:৪৬

তার আর পর নেই… বলেছেন: বুঝতে পারলাম না :( আমার শৈশব কৈশোরের গল্প! :(


১২ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৫:০৭

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: কারনটা বুঝিয়ে বলতে গেলে অনেক কথা বলতে হয় তার চেয়ে আমি বরং একটা কোট করি।
কোরানে সূরা বাকারাহর ৪২ নম্বর আয়াতে আছে

তোমরা সত্যকে মিথ্যার সাথে মিশিয়ে দিও না এবং জানা সত্ত্বে সত্যকে তোমরা গোপন করো না।


আর শৈশব কৈশোরের গল্প শোনার জন্যই বলেছিলাম কারন আপনার ঐ কমেন্ট টা আমাকে আগ্রহী করে তুলেছে শায়মার পোস্টে!

২৬| ১২ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৫:০২

এরশাদ বাদশা বলেছেন: বাহ!!! উদাসী ইজ অন ফায়ার!!!!
আমরা মূখ্য-সূখ্য মানুষ...কি আর কমু। তবে, মনে হয় কনডম ব্যবহারে পুরুষরা অনেক সময় অনীহা প্রকাশ করে...তাদের মতে কনডমে পুরোপুরি তৃপ্তি মেলেনা। এজন্য অনেকে বউকে পিল ব্যবহারে বাধ্য করে।
তাহলে সাইড এফেক্ট এর বিষয়গুলো কি অমূলক??

১২ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৫:০৯

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: মেলা দিন পর বাদশা সাহেব। সেই যে গেলেন আর খবর নাই। আমিও বিজি আছিলাম। আপনার মা কেমন আছে? অনেক দিন ধরে আপনার সাথে আমার যোগাযোগ নাই।

সাইড এফেক্ট অবশ্যই আছে কিন্তু সেগুলো এড়ানো সম্ভব। ডাক্তার বা এই সাইডে যারা পারদর্শী তারাই এর পরামর্শ দিতে পারবে। আর কনডমের ব্যাপারে পুরুষদের যেটা বললেন, আমার ক্ষেত্রে আমি মেয়েদেরকেও এটা বলতে দেখেছি!

যাই হোক এটা যার যার অভিজ্ঞতা!

২৭| ১২ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৫:২০

তার আর পর নেই… বলেছেন: আপনার কোট করা অংশ দিয়ে কি বুঝাতে চেয়েছেন বুঝতে পারিনি। হঠাৎ করে সুরা বাকারা থেকে কেন? স্পষ্ট করেই বইলেন। অস্পষ্টতা ভাল্লাগেনা।
আপনার ব্লগ পরিসংখ্যান দেখলাম।

১২ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৫:২৫

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: ওকে। অর্ধসত্য এ জন্য যে:

১) ত যখন এমন কোম্পানী লাইসেন্স নিয়া বা না নিয়া যদি ঔষুধ বানানি শুরু করে এবং আমাদের সাধু সন্ত বিএসটিআই এমনে কিরা লাইসেন্স দেয়া শুরু করে বা তার সীল নকল কইরা ঔষুধ বানায় তাইলে শুধু জন্ম নিয়ন্ত্রন বড়ি কেন, যেকোনো কিছু খাইলে নিজের বা নিজের আপন জনের রাম নাম সত্য হবার চান্স থাকে। পশ্চিমা বিশ্বে যে রেগুলাটেরী বডি আছে, যে কন্ট্রোল আছে সেখানকার মেয়েরা তো মুড়ির মতো এসব খায়, কই ভাই এগো তো এমন জনে জনে বাচ্চা পয়দা হওয়া বন্ধ বা এইডসের মহামারী ছড়াইতেছে না।

কারন এদের যৌনশিক্ষা এবং এরা যা খায় সবগুলোই সঠিক ভাবে দেয়া হইতেছে, নিয়ন্ত্রন করা হইতেছে। ফলে যেরকম "ডাহা মিথ্যা কথা" শিরোনাম দিয়া লেখা হইলো তখন মনে হইলো এই পোস্টের অন্য উদ্দেশ্য থাকে।

তো আমরা যদি সরকারকে প্রেসার না দিয়া বা সিস্টেম কেমনে চেন্জ করা যায় সেটা না বইলা পুরা একটা রাস্তা বন্ধ করে দেই তাহলে কি হবে চিন্তা করছেন?

২) মৌলবাদের এজেন্ডা বা চর্চা, হাবিজাবি এগুলা উপ্রে বলছি। এগুলা আমার নিজস্ব মতামত। আপনার কাছে না লাগলে সমস্যা নাই, আমি প্রত্যাহার করতে রাজী....তবে একটা বিষয় বুঝি দেশটা এখনো কুশিক্ষায় ভরপুর। যতদূর জানি দেশের শিক্ষার হার ৭৮% এর কিছু উপ্রে কিন্তু আপনে আমি ভালোই জানেন এগুলার মাথায় কি আছে! আধা খ্যাচড়া ধর্মীয় জ্ঞান, সাথে আধা খ্যচড়া বিজ্ঞান সাথে আধা খ্যচড়া কু সংস্কার। ছোটবেলায় একটা জিনিস দেখছি মায়া আপাদের কিভাবে গ্রাম গন্জ্ঞ বাদ মফস্বল শহরে রাস্তাঘাটে কেমনে নিঃগৃহিত করা হতো। এগুলো নিয়ে ক্ষোভ তখন থেকেই। বাংলাদেশের নবাবজাদা পুরুষপোলা গুলা এমনে কন্ডম ব্যাব হার করে না, এখনও সিলেটে গেলে দেখবেন একেকটা পরিবারে ফুটবল টিম। কমেন্টে কেউ বলেনি তারা কন্ডোম ব্যাব হার করবে না, কিন্তু আপনি এটা ভালো করেই জানেন পাগলের সামনে ঢোল দিয়া যদি একটা বাড়ি দেন, বা সাঁকো নাড়াইতে যদি পাগলরে মানা করেন, তাইলে কি করবে সে!

৩) লিখেছেন, পুরুষের জন্য যৌন জীবনে কনডমের ব্যবহার অনেক টা জুতা পড়ে পুকুরে সাতার কাটার অনুভূতি। তাহলে নিতান্ত সাধারনের একটা উক্তি বলি, সাত সন্তানের জনক এক রিকশা চালকের মতে, “মিষ্টি খাইলে হাতে নিয়েই খাইতে হইবো। পলিথিনে মুড়াইয়া মিষ্টি খাওনে কূনো মজা নাই”। আর তাই তিনি রাবার(কনডম) ব্যবহার করেন না।

শরীরের যাবতীয় অনাচার সহ্য করে জন্ম নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি বেছে নিতে হয় নারীদেরকে। কেননা জরায়ু যেহেতু তার, তাই জগতের যাবতীয় গরল তো তাকেই গলধকরন করতে হবে। এখানে ক্ষমতার চর্চাকে অগুরুত্বপূর্ন ভাবলে চলবে না। ফুকোর ক্ষমতার চর্চা কিংবা বডি পলিটিকস এর কথাই যদি বলি।

উপরের দুটি লাইন ঐ পোস্ট থেকেই নেয়া। কমেন্টে খোজার ইচ্ছা নাই। এখানে কোথাও কিন্তু সহমর্মিতা বা পাশে দাড়ানোর কথা বলা নাই। এমনকি এটাও বলা নাই এই বড়ির কারনে যখন স্ত্রী অসুস্থ হয়ে পড়েন এর দায় দায়িত্ব নিয়ে স্বামীরা ভাবে না।



বিভিন্ন কমেন্টের উত্তর গুলো থেকে কপি করে দিলাম। নতুন করে আর লিখতে ইচ্ছে হচ্ছে না সেই পুরোনো কাসুন্দি!

১২ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৫:২৬

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: হঠাৎ আমার ব্লগ পরিসংখ্যান কেন? আমি কি কোনো তদন্তের শিকার?

২৮| ১২ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৫:৪০

তার আর পর নেই… বলেছেন: আইচ্ছা, মনোযোগ দিয়া পরে আবার উত্তর করব।
তদন্ত নয়। দেখলাম। দেখা গেল, আমি এমন একজনের সাথে তর্ক করতেছি সে আবার এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞ, এই জন্য দেখে নিলাম।
একটা লেখা দেখলাম, ভালবেসে বিয়ে করছিলাম, ভালবাসা আছে …

১২ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১০:৪৭

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: বিশেষজ্ঞ?

গ্লাসের পানিটা গিলে ফেললাম নাহলে এই পানিতেই সুইসাইড করতাম।

ওটা আমার এক্স কে নিয়া করা। সেও ব্লগার। দুজনে সবাইকে জানিয়েই বিয়ে করলাম। আমাদের বিয়ের প্রচুর পোস্ট ছিলো। কোনোকারনে সম্পর্কটা তিক্ততায় নস্ট হয়ে যায়।

আমি সব ড্রাফট করে ফেলি ওকে নিয়ে। যাই হোক, এটাই সারমর্ম!

২৯| ১২ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৫:৪১

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: এসব তথ্য যাচাই করা আমাদের মতো সাধারণ মানুষের পক্ষে সম্ভব না।

১২ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১০:১৪

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: উমম... সাধারন মানুষরাই কিন্তু এগুলো বের করেছে। নিজেদের প্রজ্ঞা বুদ্ধিমত্তা খাটাতে দোষ কোথায়?

৩০| ১৩ ই মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১২:০৫

এরশাদ বাদশা বলেছেন: আপনার মেইল আইডিটা কি দেবেন একটু??

১৩ ই মার্চ, ২০১৬ দুপুর ২:৫৫

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: আমার ব্লগের মেইল আইডি হ্যাকড
ফেসবুকে নক করতে পারেন


https://facebook.com/udashi.bandor?ref=bookmarks

৩১| ২৫ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১১:৩৩

কালীদাস বলেছেন: হুম, আপনেও দেখি ঐ পোস্ট নিয়া পোস্ট দিছেন। আমি জানাআপার সাথে একমত, পোস্ট-টায় রেফারেন্সের অভাব দেখার মত। আর তাছাড়া, এত সাইড ইফেক্ট থাকলে এতদিনেও সারাদুনিয়ায় ব্যান হয় নাই মানাটা টাফ। দেখি কি রিপ্লাই দেয় ব্লগার।

২৬ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১২:৫৮

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: উনি কোনো রিপ্লাই দেন না। উনার পোস্টে কমেন্ট করলে তা ওনার পছন্দ না হলে মুছে দেন, ক্ষেত্রবিশেষে ব্যানও করেন। তাই আলাদা পোস্ট দিতে হইছে ভাই!

৩২| ২৬ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১:২৩

বিবেক ও সত্য বলেছেন: ++++++++++++্

২৬ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১:৩৪

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: ধইন্যা!

৩৩| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৬ ভোর ৪:৩৮

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:



ব্লগে এখন নিয়মিত হতে পারিনা। তাই পোষ্টটা মিস করেছি। পোষ্টের কনটেন্ট নিয়ে কিছু বলার নেই। শুধু বলবো শুধু পীলের উপর দোষ ত্রুটি যদি বিবেচনা করা হয়, তাহলে বিকল্প হিসেবে অনেক পদ্ধতিই আছে কিন্তু সর্বাধিক প্রচলিত বিকল্প পদ্ধতি হলো কনডম। কিন্তু কনডমের ক্ষতিকারক দিক আরও বেশী। কারণ একেতো থাকে ক্ষতিকর লুব্রিকেন্ট তার উপর পলি ইথিলিন ব্যবহার করা হয়। যার দীর্ঘ মেয়াদী এফেক্ট হলো জরায়ুর ক্যান্সার। তাইলে দেখা যাচ্ছে সবই ক্ষতিকর। তাহলে কি বছর বছর জনসংখ্যা শুধু বাড়বেই। না বিজ্ঞান পিরিয়ডের আগে এবং পরে সেফ টাইমের হিসাব দিয়েছে। কিন্তু এখন সমস্যা হলো এইসব কি আর সময় মেনে হয়!! যাই হোক ঐ পোষ্টটা শুধু মেডিক্যাল বিষয়ক হতে পারত। কিন্তু কিছুটা আক্রমনাত্মক ছিলো যেখানে সব দোষ পুরুষের উপর চাপিয়ে দেয়া হয়েছে।

যাই হোক আপনাদের উভয়ের পোষ্টই অনেক গুরুত্বপূর্ণ।

তবে সামুর স্টিকি পোষ্টের ব্যাপারে অনেক সময় হতাশ হতে হয়। অনেক সময় দেখা যায় অনেক স্টিকি হবার মত যোগ্য পোস্ট প্রাধান্য পায় না। এইটা অত্যন্ত দুঃখজনক। এই নিয়ে আমি নিজেও পোস্ট দিয়ে অনেক চিল্লা ফাল্লা করেছিলাম একসময় কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি। সামুকে ভালোবাসি বলেই সামুর ভালর জন্য কিছু কথা অনেক সময় বলে ফেলি। হয়ত সেটা হীতে বিপরীত হয়। যাই হোক সামু ফিরে পাক তার আপন মহিমা। সামুর সাথেই আছি সব সময়।

ধন্যবাদ ভাই।

০২ রা এপ্রিল, ২০১৬ ভোর ৪:৫৩

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: আপনার কমেন্ট থেকে কন্ডোমের ক্ষতিকারক দিক সম্পর্কে জানলাম যেটা আগে জানা ছিলো না। এত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য কেমনে আমি এতদিন স্কিপ করলাম আমার মাথাতেই আসতেছে না। নিজের জ্ঞানের পরিমান বড্ড অপ্রতুল মনে হচ্ছে। ধন্যবাদ এত সুন্দর তথ্যপূর্ন মন্তব্য করার জন্য এবং আমি কৃতজ্ঞ

৩৪| ২৮ শে নভেম্বর, ২০২৩ ভোর ৫:২৩

সোনালি কাবিন বলেছেন: .

৩৫| ২৮ শে নভেম্বর, ২০২৩ ভোর ৫:৪৫

সোনালি কাবিন বলেছেন: কালীদাস বলেছেন: হুম, আপনেও দেখি ঐ পোস্ট নিয়া পোস্ট দিছেন। আমি জানাআপার সাথে একমত, পোস্ট-টায় রেফারেন্সের অভাব দেখার মত। আর তাছাড়া, এত সাইড ইফেক্ট থাকলে এতদিনেও সারাদুনিয়ায় ব্যান হয় নাই মানাটা টাফ। দেখি কি রিপ্লাই দেয় ব্লগার।
২৬ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১২:৫৮০

লেখক বলেছেন: উনি কোনো রিপ্লাই দেন না। উনার পোস্টে কমেন্ট করলে তা ওনার পছন্দ না হলে মুছে দেন, ক্ষেত্রবিশেষে ব্যানও করেন। তাই আলাদা পোস্ট দিতে হইছে ভাই৷

# সাইড ইফেক্টের ব্যাপারে কালীদাসের কথা ভেবে দেখার মত

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.