নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ঈশ্বর পটল তুলছে - নীৎসে/নীশে/নিৎচা

উদাসী স্বপ্ন

রক্তের নেশা খুব খারাপ জিনিস, রক্তের পাপ ছাড়ে না কাউকে, এমনকি অনাগত শিশুর রক্তের হিসাবও দিতে হয় এক সময়। গালাগাল,থ্রেট বা রিদ্দা করতে চাইলে এখানে যোগাযোগ করতে পারেন: [email protected]

উদাসী স্বপ্ন › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাল্যবিবাহ -১: ইসলামে কি সত্যি বাল্যবিবাহ জায়েজ? একটা উন্মুক্ত আলোচনা

১৬ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১১:০৫

পশ্চিমাবিশ্বে বাল্যবিবাহ নিয়ে খুব একটা হৈ চৈ দেখা যায় না কারন এখানে একেতো পারিবারিক বন্ধ শিথিল তার ওপর যখন কৈশোরে পদার্পন করে তখন তারা জীবনের এত বড় একটা সিদ্ধান্ত নিক সেটা তারা চায় না। তার ওপর শারিরীক সক্ষমতা, ক্যারিয়ার এসব নানা দিক ভেবে প্রায় সবদেশেই ১৮ এর কাছাকাছি রাখা হয়েছে। অনেক পশ্চিমা উন্নত দেশে এটাকে ১৬ তেও রাখা হয়েছে। এর নীচে তারা মনে করে বিয়ে করাটা ঠিক না। যদিও তাদের এজ অব কনসেন্ট ১৪ তেই দিয়ে দেয়া হয়। তবে এখানে একটা সূক্ষ্ম ব্যাপার আছে। যার সাথে যৌনতায় মিলিত হবে তাকেও তার বয়সের আশেপাশেই হতে হবে এবং যদি কিশোরী মনে করে তার সম্মতিতে করা হয় নি, তাহলে যতদিন পরেই হোক আইনের সাহায্য নিতে পারে। হাজার হোক টিনেজ বয়স, ভালো বুঝানো হলে আর প্রেসার দিলে সবই সেদিকে বুঝে।

কিন্তু মধ্যপ্রাচ্যের দিকে তাকালে তারা বয়স ৯ হতে শুরু করে ১২ বছরের মধ্যেই বিয়ে দিয়ে দেয়। দেখা গেলো যারা বিয়ে করছেন সেই পুরুষটির বয়ষ ২৫, ৩০ কখনোবা ৪০। ৩০,৪০ বছরের পুরুষ যদি ৯ বছরের কন্যাকে বিয়ে করে সেটা শুনতেও উদ্ভট শোনায়।

বাংলাদেশ ক্ষুদ্র দেশ হলেই জনসংখ্যার ঘনত্বের দিক থেকে বিশ্বের প্রথম সারিতেই। স্বাধীনতা যুদ্ধের পর বাংলাদেশের জনসংখ্যা প্রায় ৭ কোটি হলেও ৪৫ বছর পর তা এখন বেড়ে দাড়িয়েছে ১৬ কোটিতে। আমরা জনসংখ্যা বৃদ্ধির হারে লাগাম ধরতে পারলেও জনসংখ্যার বিস্ফোরন ঠেকাতে পারিনি। বলা হয় কুসংস্কার, বাল্যবিবাহ (যার ফলে অধিক সন্তান গর্ভ ধারন), শিক্ষার অভাব ইত্যাদি এজন্য দায়ী। তবে এটা ঠিক দক্ষিন এশিয়ায় সর্বোচ্চ বাল্যবিবাহের হার বাংলাদেশেই। সরকারের নানা প্রচেষ্টা সত্বেও বাল্যবিবাহ ঠেকানো যাচ্ছে না।

সাধারন জন গনের মধ্যে একটা চিন্তা বসবাস করে যে মেয়ের বয়ঃসন্ধী হলেই তাকে বিয়ে করা যায়, গর্ভবতীও করা যায়। মেয়েরা যেনো সন্তান বানানোর মেশিন। আর তাই অল্প বয়সী মেয়েদের বিয়ের বাজার এদেশে বেশ রমরমা এবং যারা পচিশোর্ধ্ব তাদের বাজার পড়তির দিকে। অনেকে আবার এটাও বলে বাংলাদেশের মেয়েরা এখন অল্প বয়সেই যৌনচর্চা করছে, ফলে যেহেতু তাতে তাদের সমস্যা হচ্ছে না সেহেতু বিয়ে দিলে কি সমস্যা?

তবে সকল কিছুর মূলে একটা ধর্মীয় দিক আছে। ইসলামের শেষ নবী মোহাম্মাদ (সাঃ) যখন তার বয়স ২৫ ছিলো তখন ৪০ বছরের নাম্নী হযরত খাদেজা (রাঃ) বিয়ে করেছিলেন। এরপর আরো বিয়ে করলেও যখন তিনি ৫১ বৎসর বয়সে উপনীত হন তখন তিনি ৬ (মতান্তরে ৯) বছর বয়সী হযরত আয়েশা (রাঃ) বিয়ে করেছিলেন। যেহেতু নবিজী (সাঃ) করা সব কাজই আমল করা মুসলমানদের সুন্নতী আমলের মধ্যে সেহেতু অনেকেই এই বাল্যবিবাহের পেছনে এডভোকেসী করেন। আবার মুসলমানদের মধ্যে এমন একটা অংশ আছেন যারা যুক্তি দিয়ে বিশ্বাস করেন যে আয়েশা (রাঃ) বিয়ের বয়স সম্পর্কিত হাদিস টি মিথ্যা। এই ব্যাপারেও কিছু মতভেদ আছে।
আমি এর আগে বাল্যবিবাহ নিয়ে পোস্ট দিয়েছিলামযেখানে ইসলামের এটা সিদ্ধ কিনা তা নিয়ে আলোচনা করা হয়েছিলো এবং সেই একই পোস্টে বিজ্ঞান অনুযায়ী এই বাল্যবিবাহ কি আসলেই ক্ষতির কারন সেটা নিয়েও লিখেছিলাম। লেখার পর বুঝতে পারলাম আসলে এত বিশাল একটা ব্যাপার নিয়ে এক পোস্টে লেখা ঠিক হয় নি। এত বড় বিশালত্বের পরিসরে আলোচনা যেমন ফলপ্রসূ হয়নি তেমনি এর আলোচনার পরিণতিও খুব একটা সুখকর হয় নি। সেটা বিবেচনা করেই এই বাল্যবিবাহ ব্যাপারটা আমি দুভাগে ভাগ করি। আজ হলো তার প্রথম ভাগ এখানে আমরা শুধু আলোচনা করবো ইসলাম ধর্মে সত্যিকারার্থেই বাল্যবিবাহ সমর্থন করে কিনা? হযরত আয়েশা (রাঃ) যখন বিবাহ করেন তখন তার বয়স কত ছিলো এবং হাদিসটা কি আদৌ জাল না সহী?

এসব কথা মাথায় রেখে আমি আমার পোস্ট দু ভাগে ভাগ করি। প্রথমে আমি শুধু কোরানের কোটেশন দিয়ে দেখার চেষ্টা করবো আসলে কোরানে কি বলা আছে বর্ননায় এবং বিধি নিষেধের আমলে। পরের অংশে আমরা আসবো হাদিস পর্যালোচনায়। আশা করি পোস্টের কমেন্টে ব্যাক্তিগত বা ধর্মীয় আক্রমন ব্যাতিরেকে উপযুক্ত রেফারেন্স দিয়ে কথা বলবো যাতে সবাই আমরা আলোকিত হতে পারি আসলে ইসলামে বাল্যবিবাহ সম্পর্কে কি বলেছে!

কোরানের আলোকে:

আমি এখানে আরবী গুলো কপি করো না, শুধু বাংলাতে তার অর্থ লিখবো অনুবাদকের সুত্র সহ। আপনারা আরও অনুবাদকের সম্মিলন ঘটাতে পারেন। আমি বাংলা অর্থ নিছি আমি এখান থেকে। আর আরবী অর্থ করছি গুগল ট্রান্সলেটর আর আমার অনুর্বর মাথা থেকে।

১) সূরা আল আহযাব (মদীনায় অবতীর্ণ), আয়াত ৪৯

"মুমিনগণ! তোমরা যখন মুমিন নারীদেরকে বিবাহ কর, অতঃপর তাদেরকে স্পর্শ করার পূর্বে তালাক দিয়ে দাও, তখন তাদেরকে ইদ্দত পালনে বাধ্য করার অধিকার তোমাদের নাই। অতঃপর তোমরা তাদেরকে কিছু দেবে এবং উত্তম পন্থায় বিদায় দেবে। "

এই আয়াতে বলা হইছে তালাকের জন্য ইদ্দতের সময় দরকার সেসব স্ত্রীদের যারা বিয়ের পর যৌনসংসর্গে লিপ্ত হইছে স্বামীর সাথে। তাদের দরকার নেই যারা যৌনসংসর্গে লিপ্ত হয় নাই।

২) সূরা আত্ব-ত্বালাক্ব (মদীনায় অবতীর্ণ), আয়াত ৪

"তোমাদের স্ত্রীদের মধ্যে যাদের ঋতুবর্তী হওয়ার আশা নেই, তাদের ব্যাপারে সন্দেহ হলে তাদের ইদ্দত হবে তিন মাস। আর যারা এখনও ঋতুর বয়সে পৌঁছেনি, তাদেরও অনুরূপ ইদ্দতকাল হবে। গর্ভবর্তী নারীদের ইদ্দতকাল সন্তানপ্রসব পর্যন্ত। যে আল্লাহকে ভয় করে, আল্লাহ তার কাজ সহজ করে দেন।"

এটার আরবী উঠায় দেই, কারন আরবীতে একটু ক্যাচাল আছে:

وَاللَّائِي يَئِسْنَ مِنَ الْمَحِيضِ مِن نِّسَائِكُمْ إِنِ ارْتَبْتُمْ فَعِدَّتُهُنَّ ثَلَاثَةُ أَشْهُرٍ وَاللَّائِي لَمْ يَحِضْنَ وَأُوْلَاتُ الْأَحْمَالِ أَجَلُهُنَّ أَن يَضَعْنَ حَمْلَهُنَّ وَمَن يَتَّقِ اللَّهَ يَجْعَل لَّهُ مِنْ أَمْرِهِ يُسْرًا

প্রথম অংশে: يَئِسْنَ مِنَ الْمَحِيضِ এর অর্থ আভিধানিক অর্থ যতদূর খুইজা পাইলাম গুগল করে যাদের ঋতুঃ অতিশীঘ্র চালু হবে। যদি বিশ্বাস না করেন তাইলে গুগল ট্রান্সলেটে চীপা মারেন তাইলে আপনেও আরবী জেনে যাবেন। যাই হোক আপনারা অন্য ট্রান্সেলেশনে যেতে পারেন।
দ্বিতীয় অংশে: وَاللَّائِي لَمْ يَحِضْنَ এর মানে হলো আভিধানিক অর্থ খুজলে বুঝবেন যে এখনো নোংরা(stain) করে নাই। এখন মেয়েদের দুই সময়ে পিরিয়ড হয় না, এক হইলো বয়স না হইলে আরেক হইলো প্রেগন্যান্ট থাকলে। কিন্তু প্রেগন্যান্টের কথা পরে বলা হইছে। যেহেতু কোরান সাহিত্যের ভাষায় লেখা সেহেতু এটাই বুঝানো হইছে বলে মনে হচ্ছে।

তার মানে এই আয়াত অনুসারে যাদের পিরিয়ড শুরু হয় নাই তাদেরকে বিয়ের পর তালাক দিতে চাইলে কি করা উচিত সেটা বলা হইছে কিন্তু আয়াতানুসারে এই পিচ্চি মেয়েদের বিয়ে করতে মানা করে নাই বা করার জন্য আদেশ উপদেশও নাই! খেয়াল কইরা।

এখন আসেন আমরা واللائي لم يحضن" فعدتهن ثلاثة أشهر এইটা নিয়া আরেকটু গভীরে যাই:

وَ মানে 'এবং', وَاللَّائِي মানে হইলো "এবং যারা', لَمْ মানে হইলো 'না did not (অতীত কাল)', يَحِضْنَ মানে হইলো মেয়েদের মাসিক, পিরিয়ড যেটা বলেন, حيض মানে হইলো মাসিক করা, কিন্তু এই শব্দটার সাথে কিছু প্রিফিক্স সাফিক্সের ব্যাপার আছে ওগুলা ভালো কইরা খেয়াল করলে বুঝবেন এর অর্থ মূলত স্ত্রী লিঙ্গ, ব হুবচন, থার্ড পার্সন পার্সপেক্টিভে বলা হইছে। সাথে লামের কাহিনী আগেই বলছি।

তার মানে বুঝা যাইতেছে যে ঐ ধরনের স্ত্রীলোক যাদের মাসিক হয় নাই (অতীত কালে)। তার মানে لَمْ يَحِضْنَ এইটার অর্থ আভিধানিক ভাবে বলা যাইতে পারে এখনও মাসিক হয় নাই এমন কিছু। কারন এই "এখনও হয় নাই" এটা ছাড়া একটা মেয়ের আর কিই বা হতে পারে (ভাষাগত কমনসেন্স)! বিশ্বাস না হইলে যারা আরবী ভাষা নিয়া গবেষনা করে তাগো জিজ্ঞাসা করে দেখতে পারেন।
আপনার ইচ্ছা করলে ইবনে আব্বাস, ইবনে খাতির, আল ওয়াহিদির মতো ভাষাবিদকে অনুসরন করতে পারেন।

এতক্ষন আমি যেটা বললাম সেটা হলো বাল্যবিবাহের পক্ষে যারা কোরানিক প্রমানের কথা বলেন তাদের কথা, কিন্তু যারা কোরান অনুসারে মনে করে বাল্যবিবাহে ইসলামে মানা তারা নীচের আয়াতের কথা বলে:

وَابْتَلُواْ الْيَتَامَى حَتَّىَ إِذَا بَلَغُواْ النِّكَاحَ فَإِنْ آنَسْتُم مِّنْهُمْ رُشْدًا فَادْفَعُواْ إِلَيْهِمْ أَمْوَالَهُمْ وَلاَ تَأْكُلُوهَا إِسْرَافًا وَبِدَارًا أَن يَكْبَرُواْ وَمَن كَانَ غَنِيًّا فَلْيَسْتَعْفِفْ وَمَن كَانَ فَقِيرًا فَلْيَأْكُلْ بِالْمَعْرُوفِ فَإِذَا دَفَعْتُمْ إِلَيْهِمْ أَمْوَالَهُمْ فَأَشْهِدُواْ عَلَيْهِمْ وَكَفَى بِاللّهِ حَسِيبًا

"আর এতীমদের প্রতি বিশেষভাবে নজর রাখবে, যে পর্যন্ত না তারা বিয়ের বয়সে পৌঁছে। যদি তাদের মধ্যে বুদ্ধি-বিবেচনার উন্মেষ আঁচ করতে পার, তবে তাদের সম্পদ তাদের হাতে অর্পন করতে পার। এতীমের মাল প্রয়োজনাতিরিক্ত খরচ করো না বা তারা বড় হয়ে যাবে মনে করে তাড়াতাড়ি খেয়ে ফেলো না। যারা স্বচ্ছল তারা অবশ্যই এতীমের মাল খরচ করা থেকে বিরত থাকবে। আর যে অভাবগ্রস্ত সে সঙ্গত পরিমাণ খেতে পারে। যখন তাদের হাতে তাদের সম্পদ প্রত্যার্পণ কর, তখন সাক্ষী রাখবে। অবশ্য আল্লাহই হিসাব নেয়ার ব্যাপারে যথেষ্ট। "

এই আয়াতে বলা আছে বিয়ের বয়স। যারা বাল্যবিবাহের বিপক্ষে তাদের যুক্তি হলো النِّكَاحَ যেখানে এর লিটারাল অর্থ হলো যৌনসঙ্গম (ঢিকটিং ডিসটিং!) অনেকে হয়তো বলবেন কুটিকালে হিন্দি ছবি নিকাহ দেখছিলেন যারা অর্থ হইলো বিয়া। ভাইসু! আরবীতে বিয়ার শুদ্ধ আরবী زواج জুয়াজ।
কথা হইলো এই আয়াতে বিয়া নিয়া খুব একটা আলোচনা করা হয় নাই, আলোচনা করা হইছে এতিমের গার্ডিয়ানশীপ নিয়া। এখানে বলা হইছে যে মোটামোটি যৌনসংসর্গের ধারনা হইলেই সে বিয়ার জন্যউপযুক্ত কথাটা পাল্টাপাল্টিই ধরতে গেলে।কিন্তু এইখানে বয়স নিয়া কুনো বাতচিত নাই। তবে অনেক তাফসীর কারী এই বয়সটাকে বয়ঃসন্ধির সময় ভাবতেই ভালোবাসেন।

এখন আমরা ফিরে আসি সূরা আত্ব-ত্বালাক্ব (মদীনায় অবতীর্ণ), আয়াত ৪ এ যেখানে একটা শব্দ আছে সেটা হলো مِن نِّسَائِكُمْ (মিন নিসা-কুম) এখানেবাল্যবিবাহের যারা বিপক্ষেতারা এই নিসার মানে বলতে চান প্রাপ্ত বয়স্ক মহিলাদেরকে, অল্প বয়সী মেয়েদের না। কোরানে এই নিসার আরো অনেক ব্যাব হার আছে যেগুলোর অর্থ ঐ প্রাপ্ত বয়স্ক মহিলাদেরকে বোঝানো হইছে। কিন্তু যদি এইটা সত্যি কোরানের গ্রামাটিক্যাল ব্যাপারে বড় একটা প্রশ্নের পয়দা হয়। যাই হোক আমরা নিসা ব্যাব হ্রত আরো কিছু আয়াত দেখি:

সূরা আল বাক্বারাহ (মদীনায় অবতীর্ণ) আয়াত ৪৯

وَإِذْ نَجَّيْنَاكُم مِّنْ آلِ فِرْعَوْنَ يَسُومُونَكُمْ سُوَءَ الْعَذَابِ يُذَبِّحُونَ أَبْنَاءكُمْ وَيَسْتَحْيُونَ نِسَاءكُمْ وَفِي ذَلِكُم بَلاء مِّن رَّبِّكُمْ عَظِيمٌ

আর (স্মরণ কর) সে সময়ের কথা, যখন আমি তোমাদিগকে মুক্তিদান করেছি ফেরআউনের লোকদের কবল থেকে যারা তোমাদিগকে কঠিন শাস্তি দান করত; তোমাদের পুত্রসন্তানদেরকে জবাই করত এবং তোমাদের স্ত্রীদিগকে অব্যাহতি দিত। বস্তুতঃ তাতে পরীক্ষা ছিল তোমাদের পালনকর্তার পক্ষ থেকে, মহা পরীক্ষা।

সূরা আল আ’রাফ (মক্কায় অবতীর্ণ), আয়াত ১২৭

وَقَالَ الْمَلأُ مِن قَوْمِ فِرْعَونَ أَتَذَرُ مُوسَى وَقَوْمَهُ لِيُفْسِدُواْ فِي الأَرْضِ وَيَذَرَكَ وَآلِهَتَكَ قَالَ سَنُقَتِّلُ أَبْنَاءهُمْ وَنَسْتَحْيِـي نِسَاءهُمْ وَإِنَّا فَوْقَهُمْ قَاهِرُونَ

ফেরাউনের সম্প্রদায়ের র্সদাররা বলল, তুমি কি এমনি ছেড়ে দেবে মূসা ও তার সম্প্রদায়কে। দেশময় হৈ-চৈ করার জন্য এবং তোমাকে ও তোমার দেব-দেবীকে বাতিল করে দেবার জন্য। সে বলল, আমি এখনি হত্যা করব তাদের পুত্র সন্তানদিগকে; আর জীবিত রাখব মেয়েদেরকে। বস্তুতঃ আমরা তাদের উপর প্রবল।

একই সূরার ১৪১ নম্বর আয়াত:

وَإِذْ أَنجَيْنَاكُم مِّنْ آلِ فِرْعَونَ يَسُومُونَكُمْ سُوَءَ الْعَذَابِ يُقَتِّلُونَ أَبْنَاءكُمْ وَيَسْتَحْيُونَ نِسَاءكُمْ وَفِي ذَلِكُم بَلاء مِّن رَّبِّكُمْ عَظِيمٌ

আর সে সময়ের কথা স্মরণ কর, যখন আমি তোমাদেরকে ফেরাউনের লোকদের কবল থেকে মুক্তি দিয়েছি; তারা তোমাদেরকে দিত নিকৃষ্ট শাস্তি, তোমাদের পুত্র-সন্তানদের মেরে ফেলত এবং মেয়েদের বাঁচিয়ে রাখত। এতে তোমাদের প্রতি তোমাদের পরওয়ারদেগারের বিরাট পরীক্ষা রয়েছে।

সূরা ইব্রাহীম (মক্কায় অবতীর্ণ) আয়াত ৬

যখন মূসা স্বজাতিকে বললেনঃ তোমাদের প্রতি আল্লাহর অনুগ্রহ স্মরণ কর যখন তিনি তোমাদেরকে ফেরাউনের সম্প্রদায়ের কবল থেকে মুক্তি দেন। তারা তোমাদেরকে অত্যন্ত নিকৃষ্ট ধরনের শাস্তি দিত, তোমাদের ছেলেদেরকে হত্যা করত এবং তোমাদের মেয়েদেরকে জীবিত রাখত। এবং এতে তোমাদের পালনকর্তার পক্ষ থেকে বিরাট পরীক্ষা হয়েছিল।

সূরা আল-মু’মিন (মক্কায় অবতীর্ণ), আয়াত ২৫

فَلَمَّا جَاءهُم بِالْحَقِّ مِنْ عِندِنَا قَالُوا اقْتُلُوا أَبْنَاء الَّذِينَ آمَنُوا مَعَهُ وَاسْتَحْيُوا نِسَاءهُمْ وَمَا كَيْدُ الْكَافِرِينَ إِلَّا فِي ضَلَالٍ

অতঃপর মূসা যখন আমার কাছ থেকে সত্যসহ তাদের কাছে পৌঁছাল; তখন তারা বলল, যারা তার সঙ্গী হয়ে বিশ্বাস স্থাপন করেছে, তাদের পুত্র সন্তানদেরকে হত্যা কর, আর তাদের নারীদেরকে জীবিত রাখ। কাফেরদের চক্রান্ত ব্যর্থই হয়েছে।

মোটামোটি এই আয়াত গুলাতেই নিসা ব্যাব হ্রত হইছে। এখন কথা হলো এইলো এই নিসা বলতে কি সত্যি প্রাপ্ত বয়স্ক মেয়েদেরকেই বোঝানো হইছে নাকি ঋতুবর্তী মেয়েদের বোঝানো হইছে এইটা নিয়া একটু আলোচনা করা যেতে পারে। এখন আপনি রেফারেন্স কোনটা ধরবেন? কোরানের বাইরে সাধারন মানুষের মুখের ভাষা, কিন্তু সমস্যা হলো কোরানিক আরবী এখন আর কোথাও ব্যাবহার হয় না। সবাই যে আরবী ভাষায় কথা বলে তাও বর্তমানে আন্ঞ্চলিক ভাবে ভিন্নতর অনেকটা বাংলার আন্ঞ্চলিক ভাষার মতো। কোরানিক ভাষা ঐ সময়ের পর ব হুবার বিবর্তিত হইছে।

তো কোরান নিয়ে আরও ঘাটাঘাটি করলে নিসা সম্পর্কে একটু পরিস্কার ধারনাও পাওয়া যেতে পারে:

সূরা আন নিসা (মদীনায় অবতীর্ণ), আয়াত ১২৭

وَيَسْتَفْتُونَكَ فِي النِّسَاء قُلِ اللّهُ يُفْتِيكُمْ فِيهِنَّ وَمَا يُتْلَى عَلَيْكُمْ فِي الْكِتَابِ فِي يَتَامَى النِّسَاء الَّلاتِي لاَ تُؤْتُونَهُنَّ مَا كُتِبَ لَهُنَّ وَتَرْغَبُونَ أَن تَنكِحُوهُنَّ وَالْمُسْتَضْعَفِينَ مِنَ الْوِلْدَانِ وَأَن تَقُومُواْ لِلْيَتَامَى بِالْقِسْطِ وَمَا تَفْعَلُواْ مِنْ خَيْرٍ فَإِنَّ اللّهَ كَانَ بِهِ عَلِيمًا

তারা আপনার কাছে নারীদের বিবাহের অনুমতি চায়। বলে দিনঃ আল্লাহ তোমাদেরকে তাদের সম্পর্কে অনুমতি দেন এবং কোরআনে তোমাদেরকে যা যা পাট করে শুনানো হয়, তা ঐ সব পিতৃহীনা-নারীদের বিধান, যাদের কে তোমরা নির্ধারিত অধিকার প্রদান কর না অথচ বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ করার বাসনা রাখ। আর অক্ষম শিশুদের বিধান এই যে, এতীমদের জন্যে ইনসাফের উপর কায়েম থাক। তোমরা যা ভাল কাজ করবে, তা আল্লাহ জানেন।

এখানে নিসা বলতে বোঝানো হইছে:
১) এতিম
২) কৈশোরী
৩) যাদের বিয়ে করতে চাও
৪) নবজাতক

আবার উপরের সূরা আত্ব-ত্বালাক্ব (মদীনায় অবতীর্ণ), আয়াত ৪ এ ফিরে আসি যেখানে ইদ্দতের কথা বলা হইছে কিন্তু যৌনসংসর্গের কথা বলা হয়নি। এই ব্যাপারে আমরা সূরা আল আহযাব (মদীনায় অবতীর্ণ), ৪৯ নম্বর আয়াতে ফিরে আসি। এখানে ইদ্দাহর কথা বলা হইছে তবে যৌনসংসর্গের কথা বলা হয় নাই। তার মানে বিয়া করা যায়।

এখন আসি হাদিসে:

হাদিস অনুসারে সবচেয়ে সহী হাদিস হযরত আয়েশা (সাঃ) নিজে ব্যাক্ত করা হাদিস:

Volume 7, Book 62, Number 65, bukhari:
Narrated 'Aisha:

that the Prophet married her when she was six years old and he consummated his marriage when she was nine years old. Hisham said: I have been informed that 'Aisha remained with the Prophet for nine years (i.e. till his death)." what you know of the Quran (by heart)'

তবে এই হাদিস নিয়ে আধুনিক সন্দেহবাদীরা অনেক হিসেব নিকেশ করে এটাকে ভুল প্রমান করতে চান। তাবাকাত অনুসারে আয়েশা (রঃ) এর পিতার ভাষ্যমতে মুহম্মদ (সাঃ) এর কাছে বিয়ের প্রস্তাব আসার আগে থেকেই আয়েশা রাঃ এর জন্য বিয়ের প্রস্তাব আসতে শুরু করে। আবার ইসাবা অনুসারে নবিজী সাঃ এর নব্যুয়ত প্রাপ্তির ৫ বছর আগে আয়েশা রাঃ এর জন্ম তাই ধরে নেই যে ৫১ বছর বয়সে যদি বিয়ে হয় তাহলে কমপক্ষে হযরত আয়েশা রাঃ এর বয়স হবে ন্যুনতম ১০ কি এগারো। এবং যেহেতু স হবাস প্রায় ৫ বছর পর হয় তাহলে তার বয়স হবে ১৬।তালাকাতে হিজরী সনের হিসাব দেখিয়েও এটাই প্রমান করা হয়েছে যে তার বিয়ে ন্যুনতম ১০ আর স হবাস হয়েছিলো ১৬ তে। পরে আরো অনেক ইসলামিক গবেষক এবং ইতিহাসবিদ আয়েশা রাঃ এর বড় বোন আসমা রাঃ এর মৃত্যু সময় ধরে হিসাব করে দেখেছেন তখন আয়েশা রাঃ এর বয়স হতে পারে ১৮ কি ১৯।

এই হিসাবগুলোর যাবতীয় রেফারেন্স পাবেন এখানে। যদি এটাই হয় তাহলে একটা গুরুত্বপূর্ন হাদিস জঈফ হাদিসে পরিনত হবে এবং হযরত আয়েশা (রাঃ) অনেক হাদিস এরকমভাবে সন্দেহের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে দাড়াবে। যদি তাই হয় তাহলে কোরানের নির্দেশিত রাসুলুল্লাহ (সাঃ) এর জীবনী মানে হাদিস নিয়ে বড় ধরনের সন্দেহ প্রবনতা আর বিতর্কের সৃষ্টি হবে।

এই ব্লগে ঠিক এই বিষয়ে খুব সুন্দর সুন্দরলেখা আছে।

কিন্তু আরো অনেক স হী হাদিস আছে যেখানে বাল্যবিবাহের ব্যাপারে সরাসরি সম্মতিমূলক নির্দেশনা আছে:

Book 008, Number 3309 বুখারী:
'A'isha (Allah be pleased with her) reported: Allah's Messenger (may peace be upon him) married me when I was six years old, and I was admitted to his house at the age of nine. She further said: We went to Medina and I had an attack of fever for a month, and my hair had come down to the earlobes. Umm Ruman (my mother) came to me and I was at that time on a swing along with my playmates. She called me loudly and I went to her and I did not know what she had wanted of me. She took hold of my hand and took me to the door, and I was saying: Ha, ha (as if I was gasping), until the agitation of my heart was over. She took me to a house, where had gathered the women of the Ansar. They all blessed me and wished me good luck and said: May you have share in good. She (my mother) entrusted me to them. They washed my head and embellished me and nothing frightened me. Allah's Messenger (, may peace be upon him) came there in the morning, and I was entrusted to him.

Book 008, Number 3310 বুখারী:
'A'isha (Allah be pleased with her) reported: Allah's Apostle (may peace be upon him) married me when I was six years old, and I was admitted to his house when I was nine years old.

Book 008, Number 3311 বুখারী:
'A'isha (Allah be pleased with her) reported that Allah's Apostle (may peace be upon him) married her when she was seven years old, and he was taken to his house as a bride when she was nine, and her dolls were with her; and when he (the Holy Prophet) died she was eighteen years old.

Book 29, Number 29.33.108, বুখারী:
108 Yahya related to me from Malik that he had heard that the Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, visited Umm Salama while she was in mourning for Abu Salama and she had put aloes on her eyes. He said, "What is this, Umm Salama?" She said, "It is only aloes, Messenger of Allah." He said, "Put it on at night and wipe it off in the daytime."

Malik said, "The mourning of a young girl who has not yet had a menstrual period takes the same form as the mourning of one who has had a period. She avoids what a mature woman avoids if her husband dies."

Malik said, "A slave-girl mourns her husband when he dies for two months and five nights like her idda.''

Malik said, "An umm walad does not have to mourn when her master dies, and a slave-girl does not have to mourn when her master dies. Mourning is for those with husbands."

তবে আপনারা যারা হযরত মোহাম্মদ (সাঃ) এর ৬ বছরের আয়েশা (রাঃ) বিয়ে করার ব্যাপারে মানতে পারেন না এই ব্লগ গুলোপড়ে দেখতে পারেন।

উম্মে ফাদল এবং অন্যান্য:

ইবনে ইসহাকের সীরাত উল রাসুল এর ইংলিশ অনুবাদ বইয়ের ৩১১ নম্বর পৃষ্ঠায় বর্নিত

"সুহাইলী ii.৭৯: ইউনুস I.I. এর রিওয়াইয়াতে বর্নিত নবী মোহাম্মদ তাকে (উম্মু-ল-ফাদল) দেখলেন যখন সে শিশুবস্থায় তার সামনে হামাগুড়ি দিচ্ছিলো এবং বললেন যে যদি সে বড় হবার সময় আমি জীবিত থাকি তাহলে তাকে আমি বিয়ে করবো।কিন্তু সে বড় হবার আগেই তিনি মারা যান এবং সুফিয়ান বিন আল আসওয়াদ বিন আব্দুল আসাদ আল মাখযুমিকে বিয়ে করেন এবং তিনি রিজকি ও লুবাবাকে প্রসব করেন।"

পেজের স্নাপশট:


এখানে দেখা যাচ্ছে তিনি যখন ঐ হামাগুড়ী দেয়া শিশুটিকে বিয়ে করতে চান তখন তার বয়স ছিলো মাত্র ২ বছরের কম এবং তার কয়েক বছর পর মারা গেলে এই শিশুবস্থাতেই তার বিয়ে হয়ে যায়।
শুধু তাই নয়, মুহাম্মদের তৃতীয় কন্যা কুলসুমের বিয়ে হয় মাত্র ৭ বছরে। মারা যান মাত্র ২৭ বছর বয়সে অসুস্থতার কারনে প্রায় বিনা চিকিৎসায়। নবী মোহাম্মদের দ্বিতীয় কন্যা রুকাইয়ার বিয়ে হয় ৮ অথবা ৯ বছর বয়সে এবং মাত্র ২৫ বছর বয়সে অসুস্থতার কারনে মারা যান।

তার মানে দেখা যাচ্ছে বাল্যবিবাহের করাল গ্রাস থেকে কেউ মুক্তি পায় নি যারা গর্ভবতী হয়ে পড়েছিলেন বিয়ের পরপরই অল্প বয়সে।

অনেকেই বলতে পারেন তখনকার আমলে বাল্যবিবাহের চল ছিলো তাই ইসলাম এই ব্যাপারটাকে নিষেধ না করে একটা নিয়মের মধ্যে এনেছে মাত্র। কিন্তু সর্বোপরী ইসলামে যে বাল্যবিবাহের ব্যাপারে সম্মতি দেয় এই ব্যাপারে কোনো সন্দেহ নেই

যদি সন্দেহ থাকে বা কিছু বলার থাকে তাহলে আমার মনে হয় কমেন্টে এই ব্যাপারে স্বতঃস্ফূর্ত আলোচনা করা যেতে পারে।


বিঃদ্রঃ আমার এই পোস্টের উদ্দেশ্য এটা নয় যে বাল্যবিবাহ খারাপ না ভালো। পোস্টের বিষয়বস্তু ইসলাম বাল্যবিবাহ সমর্থন করে কি না!

মন্তব্য ৬৮ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (৬৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই মার্চ, ২০১৬ দুপুর ২:২৪

বিজন রয় বলেছেন: ব্যাপার কি?

১৭ ই মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:০৪

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: তেমন কিছু না। এসব ব্যাপারে মুখ খোলে কেউ কারো বিরাগভাজন হতে চায় না!
দেশের আইন শৃঙ্খলাতো সর্বকালের সবচেয়ে ভালো ! ;)

২| ১৭ ই মার্চ, ২০১৬ দুপুর ২:২৫

বিজন রয় বলেছেন: এত সুন্দর একটি লেখা অথচ গেল ২৪/২৬ পোস্ট দেয়া হলেও কোন মন্তব্য নেই আমার টা ছাড়া।
ব্যাপার কি?

১৭ ই মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:০৮

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: আমিও জানি না। হয়তো সবাই ধরে রেখেছে বাল্যবিবাহ স্বতঃসিদ্ধ, তাই এটা নিয়া কথা বলার কিছু নাই অথবা লোকজনে ধরেই রাখছে আমাদের দেশ থেকে বাল্যবিবাহ উঠে গেছে।

ইউনিসেফের এই লিংকটা পড়ে দেখেন

৩| ১৭ ই মার্চ, ২০১৬ দুপুর ২:২৬

বিজন রয় বলেছেন: আমি কি ভুল করে আসলাম!!
আরে না না, ভাল লেখা ওরা পড়ে না।
ওরা জানে শুধু ক্যাঁচাল করতে।
একটু বাঁকিয়ে ধর্মের দিকে ইঙ্গিত করুন দেখবেন আপনা উপরে ঝাঁপিয়ে পড়বে।

১৭ ই মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:০৮

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: কুল ব্রো!

৪| ১৭ ই মার্চ, ২০১৬ দুপুর ২:২৭

বিজন রয় বলেছেন: আরে ভাই, ইসলাম কি আর গীতা কি, বাল্য বিবাহ সমসময় খারাপ।
অত কথার কি কাজ??

১৭ ই মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:০৯

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: বাল্যবিবাহ খারাপ না ভালো সেটা নিয়ে পরের পোস্টে বলবো। সেকানেই দেখবেন লোকজনের কি বালিহারী যুক্তি!

৫| ১৭ ই মার্চ, ২০১৬ দুপুর ২:২৮

বিজন রয় বলেছেন: আপনি কিন্তু অনেক জানাশোনা লোক, ব্লগার। কিন্তু এরা আপনাকে চিনল না। আমি ছাড়া।

১৭ ই মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১০

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: ভাই আমি কেউ না!

৬| ১৭ ই মার্চ, ২০১৬ দুপুর ২:২৯

বিজন রয় বলেছেন: পোস্টে অন্য কোন মন্তব্য না দেখে আমি একাই ৬টি করলাম একটিতে না করে।

অসাম পোস্ট।
শুভকামনা।

১৭ ই মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১০

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: ভালো করছেন

ধইন্যা পাতা লন!

৭| ১৭ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৫:০৬

ইলা বলেছেন: যথেষ্ট খেটেছেন! বাল্যবিবাহ খারাপ না ভালো -এ বিষয় নিয়ে আলোচনা হলে দু' এক কথা বলা যেত। কি ন্তু যেহেতু, আপনি লিখেছেন -আমার এই পোস্টের উদ্দেশ্য এটা নয় যে বাল্যবিবাহ খারাপ না ভালো। পোস্টের বিষয়বস্তু ইসলাম বাল্যবিবাহ সমর্থন করে কি না!
এ আলোচনার জন্য যথেস্ট স্টাডি প্রয়োজন।

১৭ ই মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১২

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: কোরান শরীফ নিয়মিত পড়লে এগুলা এমনেই জানা যায়। আর যেসব ইসলামিক স্কলার এ ব্যাপারে মত দিয়েছেন তারা মূলত এই আয়াত আর হাদিস অনুসারেই কথা বলেন।

সমস্যা হলো যখন একই আয়াত আর হাদীস নিয়া সবাই ভিন্ন ভিন্ন মত দেয় তখন ঠিক বোঝা যায় না কে সত্যের পথে আছে কে নিজের প্রভাবের বলয় বড় রাখার স্বার্থে মত দিচ্ছে!

কাহিনী কি মেইলের উত্তর পাইলাম না। কেমন আছো?

সংসার চাকুরী কেমন চলে?

৮| ১৭ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ৮:৫৮

ইলা বলেছেন: চেক করলাম, মেইল তো পাইনি। প্রথম টা ভালই চলছে। চাকুরী নিয়ে ঝামেলা। কর্মস্থল বাংলাদেশের একেবারে উত্তর প্রান্তে

১৯ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ৮:০৭

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: বলো কি? আমি কিন্তু আবারও মেইল করছি। বুঝতেছি না এইটাও পাইছো কিনা!

৯| ১৯ শে মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৪:০৭

জেন রসি বলেছেন: বাল্যবিবাহ খারাপ। কেন খারাপ এটা নিয়ে আলোচনা হইতে পারে। কিন্তু আমার প্রশ্ন হচ্ছে যদি ইসলাম বলে বাল্য বিবাহ ঠিক তাহলেই কি তা ঠিক হয়ে যাবে? যদি শুধুই ধর্মীয় বিশ্বাস যেটা উত্তরাধিকার সূত্রে মানুষ পেয়ে থাকে তাই পরম সত্য এবং মানদণ্ড হিসাবে কাজ করে তবে আলোচনা করেও কোন লাভ নাই। আপনার অনুসন্ধানের মানসিকতাটা ভালো লাগছে। :)

১৯ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ৮:১৮

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: প্রথমতো ইসলামে বাল্যবিবাহ জায়েজ কিনা সেটা নিয়ে কিছু তর্ক বিতর্ক আছে। অনেকে আবার বলেন কোরানের আলোকেই যে বাল্যবিবাহ জায়েজ নয় যার লিংক পোস্টে পাবেন। কিন্তু পৃথিবীতে বেশীরভাগ আলেমরাই বাল্যবিবাহের পক্ষে। আর যারা কোরানিস্ট তারাহয়তো বলবে কোরানে নাই, তবে আভিধানিক আর পারিপার্শ্বিক অন্যান্য আয়াত পর্যালোচনা করলে ইসলাম এতে বাধা দেয় না, আপনাকে বাধ্যও করে না। তবে এ ব্যাপারে উপদেশ দেয় যা বয়ঃসন্ধি প্রাপ্তা হলেই সে বিবাহের উপযুক্ত। সন্তান কখনো কোন বয়সে ধারন করতে হবে সে ব্যাপারে কোনো নির্দেশনা নাই তবে কখন করতে হবে সে ব্যাপারে আছে। যেমন সন্টানের ভরন পোষন হক আদায় ইত্যাদি।

আবার এই বাল্যবিবাহ শরীরের জন্য ভালো না মন্দ এ ব্যাপারে অনেকেই বিতর্কের সৃষ্টি করেন যার প্রমান পাবেন এই পোস্টেযেখানে একজন স্বঘোষিত ডাক্তার (?) মত দিচ্ছেন বাল্যবিবাহের পর বাচ্চা নিলে এটা কোনো সমস্যা নয়। বাচ্চা নেয়া মেয়েদের প্রতি মাসে মাসিক হওয়ার মতোই স্বাভাবিক। এমনকি এই স্বঘোষিত ডাক্তার তার নাম না জানা কোন ইউনির জানি না কোন ডাক্তারনীর রেফারেন্সও দিলেন। আবার ব হু কস্টে এমন একটা জার্নাল দিলেন যেটা পড়ে মনে হলো বাংলাদেশের চিকিৎসা পেশায় যারা জড়িত তারা কেন আমজনতার মাঝে তাদের সার্বজনীন বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জনে ব্যার্থ।

তবে এটা নিয়ে পরের পোস্টে বিস্তারিত আলোচনা করার চেষ্টা করবো যদিও এসব ব্যাপারে বিস্তারিত আলোচনা করতে গেলে বই লিখতে হবে। আশ্চর্য্যের ব্যাপার ব্লগে এতো ডাক্তার, মেডিক্যাল পেশার সাথে এতো লোক আছেন কিন্তু তারা এই বিষয়ে কোনো আলোকপাত বা গভীরে গিয়ে আলোচনা করেন না, যেটা খুব দুঃখজনক ব্যাপার!

১০| ১৯ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ৯:০২

গেম চেঞ্জার বলেছেন: আমি তো তব্দা গেলাম কারণ বিষয়টা নিয়া পুরাই বিভ্রান্তিতে আছি।

১৯ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ৯:৩৭

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: এখানে তব্দা খাওয়ার কিছু নেই। আপনি শিক্ষিত মানুষ, আপনার মধ্যে শিক্ষার চর্চা আছে। আপনি যদি মুসলিম হয়ে সত্যিকার ভাবে ইসলাম পালন করতে যান তাহলে কেন আপনি আলেম দের কাছে যাবেন? আলেমদের কাছে যাওয়াটা এজন্যই আমি প্রশ্নের মধ্যে ফেলছি কারন আপনি যদি ১০ জন আলেমের কাছে তাদের কাছে আপনে একের অধিক মত পাবেন।

যার প্রমান আমি আমার পোস্টে লিংক স হকারে দিছি। যদিও আমি বলছি না যে তারা আলেম যাদের লিংক দিয়েছি এবং আমিও আলেম নই। কিন্তু আমি নিয়মিত কোরান এবং হাদিসের জন্য একটা নির্দিস্ট সময় রাখি। অবাধ তথ্য প্রযুক্তির এই যুগে আপনাকে শুধু ব্যান্ড উইডথ কিনতে হয়। সমস্যা হলো ইন্টারনেটের স হজলভ্যতায় আমরা ফেসবুক, পর্ন হাবিজাবি কাজে ব্যায় করি। যদি আমরা একটু পড়ালেখা করি নিজেরা, এবং এগুলো নিয়ে আলোচনা করি তাহলে আমরা বুঝতে পারবো আসলে একটা ধর্ম বা একটা মতাদর্শ কি বলে, কি জন্য বলে। তখন আপনার কাছে স হজ হবে কারো কথায় না গিয়ে বিচার বুদ্ধি দিয়ে চালিত হওয়া।

ভালো থাকবেন!

১১| ২০ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১২:২৭

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: এই পোস্টে কোন আলোচনা না হওয়াটাই দুঃখজনক। অথচ ব্লগে ইদানিং ধর্ম সংক্রান্ত অনেক পোস্ট দেখি।

২০ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ২:৫৮

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: হুমম

১২| ২০ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১২:৫৫

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আজকেই চোখে পড়লো!

আসলেই গুরুত্বপূর্ন পোষ্ট এতটা কম অংশগ্রহন! দু:খজনক।

যাহোক। পোষ্টের বিষয়বস্তু খুবই সেনসিটিভ বলেই হয়তো অনেকে ভয়ে আলোচনায় বিরত থাকছে। আমার যেটুকু মনে হচ্ছে আমি আমার মতো করেই প্রকাশ করছি।
বিষয়টিকে যদি আমরা আজকে ২০১৬র জ্ঞান বোধ এবং অনুভব সামাজিক অবস্থার দৃষ্টিকোন থেকে দেখি অনেক অসঙ্গতি পাব। বা অনেক হেয়ালী মনে হবে।
আবার ঐ সম সময়িক বাস্তবতাকে যদি চোখের সামনে রেখে অনুভবের চেষ্টা করি তখন হয়তো তা ভিন্ন ডাইমেনশন দেবে।
ইসলাম আসার পূর্বে আরবে নারীদের কিভাবে মূল্যায়িত করা হতো তা একটা বড় ফ্যাক্টর।
নারী শিশুকে জীবন্ত কবর দেয়া, যে কোন উপায়ে হতা করা, বাজারে বিক্রি করে দেয়া, এই বাস্তবতা গুলোকে স্মরণে রেখে এবার এর সংশোধনে এবং নারীর কল্যানে যদি ভাবতে বসেন- তখন কি কি সম্ভাব্য পথ পাবেন?
আবারও বলছি আজকের আপনি আপনার বোধ চেতনা এবং বিশ্বাসে নয়- ইসলাম আসার পূর্বের নারী, শিশু এবং তাদের ভোগবাদী ণীতিকে স্মরনে রেখে!

তখন প্রথমত তাদের স্বাভাবিক মানবাধিকার দেয়ার মানসিকতাকে বিকশিত করাই ছিল বড় চ্যালেঞ্জ!
কারণ নারীকে স্রেফ ভোগ্যপণ্য মনে করত। এবং ভোগ শেষে ছুড়ে ফেল দিত ! কিংবা ক্রীতদাস বাজারে বিক্রি করে দিত!
ঐ সময়ে একজন নারী শিশুকে বাঁচতে হলে হয় ছেলেদের পোষাক পড়ে কিছূদিন কাটাতে হতো অথবা.. কারো অধিনস্ত হয়ে নিরাপদে বেঁচে থাকার জন্যই বাল্য কালে বিবাহ বেশ নিরাপদ এক্সিট ওয়ে ছিল। যে সব বাবা- মা সামাজিক বিধানের বাইরে তাদের কন্যাকে বাঁচিয়ে রাখতে চাইতেন- তারা ২য় পথটাই বেশি পছন্দ করবেন এটাই কি স্বাভাবিক নয়। এর পর ইসলামের আগমন।
সেখানে নারীকে সর্বোচ্চ সম্মান দেবার আহবান নিয়ে ইসলাম এ অবস্থাকে সরাসরি রুখে দাড়াল। নারীকে মানুষ হিসাবে সম্মান দিতে শেখাল। এবং ইসলামের বাস্তবানুগ প্রয়োগ পদ্ধতিতে যুগে যুগে যেমনটি দেখেছি সামাজিক অবস্থানের সাথে খাপ খাইয়ে নিতে প্রচলিত বিধানকে একবারে উপড়ে ফেলেনি। ধীরে ধিরে জ্ঞান প্রজ্ঞার বিকাশের পর একসময় সরাসরি নিষেধর পথে গেছে।
বাল্যবিবাহটা তেমনি একটা ইস্যু বলেই মনে করি।

২০ শে মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৩:০৩

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: আপনার এই আলোচনাটা গুরুত্বপূর্ন। ইসলামে কোনো কিছুই ফাও কাজে বলা নাই। সবকিছুই নির্দিস্ট একটা সময়ের ভিত্তিতে বলা হইছে। কখনো কখনো সিদ্ধান্ত কিভাবে নেয়া হইছে সেটার উপর গুরুত্ব বেশী দেয়া হইছে (ব্যাভিচারের শাস্তি সাক্ষ্মী অনুসারে) আবার কখনো কখনো কি সিদ্ধান্ত নেয়া হইছে সেটার ওপর গুরুত্ব দেয়া হইছে।

তবে এটা এই পোস্টের আলোচনার অংশ না। কারন এসব আলোচনায় সামান্য একটা ইস্যু যোগ করা হলো এর পরিসর অনেক বড় হয়ে যাবে ফলে আলোচনা রাস্তা রেখে গর্তে চলে যাবে যেটা হয়েছিলো বাল্যবিবাহ সম্পর্কিত আমার পূর্ববর্তী পোস্টে।

আমার এই পোস্টের শুধু একটাই উদ্দেশ্য, ইসলাম বাল্যবিবাহ সমর্থন করে কি না এবং যদি করেও তাহলে কতটুকু এবং কিভাবে উৎসাহিত করে। কি জন্য এটা মূখ্য নয়।

ধন্যবাদ ভৃগু সাহেব

১৩| ২০ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১০:৪৮

শায়মা বলেছেন: বাল্যবিবাহ চলবে না ভাইয়া। বাল্য বিবাহ তো সামাজিক অন্যায় কাজেই একজন নারীর মানষিক, শাররীক ঝুঁকির জন্য বাল্যবিবাহ অবশ্য প্রতিরোধ্য।

২০ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১০:৫৬

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: কিন্তু এই বিষয়টা কয়জনে বুঝে!

কত লোকের কত যুক্তি কত থ্রেট! মনে হয় মানুষের বাড়াভাতে ছাই ঢালছি!

ফেসবুকে তো দেখতেছেন, কেমুন ইনডাইরেক্ট থেটারিং!

১৪| ২১ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১:৪২

তার আর পর নেই… বলেছেন: অনেকে আবার এটাও বলে বাংলাদেশের মেয়েরা এখন অল্প বয়সেই যৌনচর্চা করছে, ফলে যেহেতু তাতে তাদের সমস্যা হচ্ছে না সেহেতু বিয়ে দিলে কি সমস্যা?

আপনার উপরের এই লাইনটা দিয়ে বলি। বাংলাদেশে বাল্যবিবাহের কারণ মোটেই এটা নয়। প্রধান কারণ একটাই, মেয়েদের নিরাপত্তার চিন্তা।

মুহাম্মদ (স) যখন ফাতিমা (রা) কে বিয়ে দিয়েছিলেন তখন তাঁর বয়স পনের (মতান্তরে)

ইসলামে তখনকার সময়ে বাল্যবিবাহ ছিল কিন্তু পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে হয়তো সেটা এখন থাকতো না।

২১ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ৮:৩১

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: বাংলাদেশে বাল্যবিবাহের কারণ মোটেই এটা নয়। প্রধান কারণ একটাই, মেয়েদের নিরাপত্তার চিন্তা।

আপনার এ কথাটার ইউনিসেফ আর আইসিআরডব্লু যে চার বা পাচটা কারন উল্লেখ করেছে তার মধ্যে একটি। তবে এসব সার্ভে এবং গবেষনা করা হয়ে থাকে একটা নির্দিষ্ট সময়ে একটা নির্দিষ্ট কম্যুনিটি বা সমাজের ওপর। কিন্তু এই চার পাচটি কারন বাদে ব্যাভিচারের কারনটা বলা হইছে সেটা ব্লগে ব হু আগে থেকে চর্চিত। আর যেহেতু ব্লগে লেখা এবং অবশ্যই আমাদের দেশের আমজনতা ও সমাজিক দায়িত্ববোধের পরিপূর্নতার জন্য লেখা সেহেতু এই বিষয়টিও আমি উল্লেখ করেছি। এখন আপনি হয়তো বলতে পারেন কই পাইছেন, আপনে আমারে দেখান। তাহলে এখানে ক্লিক করেন। এখানে মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম যিনি পেশায় একজন টেলিকম ইন্জ্ঞিনিয়ার, উচ্চশিক্ষিত তো বটেই, ৪ নম্বরে কমেন্টে উদ্ধৃত করেছেন যা আমি হুবহু তুলে ধরলাম:

আপনের পেয়ারের উন্নত দেশগুলা যখন এই পরিসংখ্যান দেয়, তাগ দেশের স্কুলের অধিকাংশ মাইয়ারাই ১০/১২ বছর হওনের আগেই কুমারীত্ব হারায়, অনেকে গর্ভপাতও করে, তখন কোন সমস্যা হয় না, খুব মজা লাগে, তাই না?
আর সেই ভাইরাসে আক্রান্ত হইয়া এহন আমাগো দেশের পোলাপাইনও যখন লুকাইয়া লুকাইয়া মজা লুটতাছে, সেইটা খুব ভাল হইতাছে? ইংলিশ মিডিয়ামের পোলাপাইনের দেখাদেখি আমাগো বাংলা মিডিয়ামের পোলাপাইনও যখন উচ্ছন্নে যাইতেছে, তখন ঐসব এসটিডিওয়ালা পোলা-মাইয়াগরেতো পরে আমার আপনের পোলা মাইয়ারাই বিবাহ করব, নাকি?

অথচ আল্লাহ পাক এই ব্যাভিচারকে হারাম ঘোষনা করেছেন! আর এজন্যই বাবা মাকে সন্তান প্রাপ্ত বয়স্ক হলে এবং সুপাত্র-পাত্রী পাওয়া গেলে বিলম্ব না করে বিয়ে দিতে বলেছেন। যদি বাবা-মা এই দায়িত্ব পালনে উদাসীন হন, তবে ছেলে মেয়ে যত ব্যাভিচার করবে, তার দ্বায়ভার বিচার দিবসে বাবা-মাকেও বহন করতে হবে। এই সন্তানই বলবে, হে আল্লাহ, আগে আমার বাবা-মায়ের বিচার কর।


এদিকে মুদ্‌দাকির যিনি একজন ডাক্তার তিনি ১৯ নম্বর কমেন্টে মন্তব্য করেছেন:

মাত্র কয়েক বছর আগেও ধর্ষনের অফিসিয়াল সংজ্ঞায় একটা স্টেম ছিল যে,
১৭ বছরের নিচে কোন মেয়ে কোন পুরুষের সাথে ইচ্ছাকৃত সঙ্গম করলেও তা ধর্ষন
তারপরে তা হল,
১৬ বছরের নিচে কোন মেয়ে কোন পুরুষের সাথে ইচ্ছাকৃত সঙ্গম করলেও তা ধর্ষন
বর্তমানে এটি
১৫ বছরের নিচে কোন মেয়ে কোন পুরুষের সাথে ইচ্ছাকৃত সঙ্গম করলেও তা ধর্ষন

যাদের সভ্যতা নিয়া এত বড়াই করেন, শুনেছি ঐ কন্টিনেনটের কোন কোন দেশ এটাকে ১৪ বলার চেষ্টা করছেন।


২১ নম্বর কমেন্টে আরও বলেছেন:

শীত প্রধান দেশ গুলোতে, মেয়েদের পিউবার্টির গড় রেঞ্জ হল ১২-১৬ (এখনো, যদিও এটা কমছে দিনে দিনে)
আমাদের দেশের মত নাতিশীতোষ্ণ দেশে গড় ৯-১২,১৩
আফ্রিকানদের গড় আরো ১ থেকে দেড় বছর কম।
যার পিউবার্টি আজ শুরু হল তার সেটার পূর্নাংতা (শারীরীক আর মানসিক) পেতে সর্বোচ্চ ৩ বছর বা তার কিছু বেশী সময় লাগে।
এখন দেখুন পশ্চিমাদের এইজ অফ কনসেন্ট(নিজের ভালোমন্দ বোঝার ক্ষমতা আছে ধরে নেয়েহয় যে বয়সে) এর বয়স সীমা তারা চায় ১৪ হোক, ভাই তার মানে কি?
সে চাইলে তার যৌনতার স্বাধীনতা আছে, সে কারো সাথে ইচ্ছাকৃত সেক্স করলে তা ধর্ষন হবে না, সে যার সাথে করবে লোকে তাকে পেডোফিলিও বলবে না!!! এখন এটা নিশ্চয়ই বলবেন না, সেক্স করার এপ্রুভাল সামাজিক ভাবে দিয়ে দেবার পরে পশ্চীমা মেয়েদের প্রেগনেন্ট হবার কথা, নীতি নির্ধারকরা বেমালুম ভুলে গেছে!!! এই হরমনাল এইজ বিবেচনায় আনলে আমাদের দেশের মেয়েদের এইজ অফ কনসেন্ট কত হওয়া উচিত? বা আফ্রিকান দেরই বা কত হওয়া উচিত?? নাকি বিয়েতেই যত সমস্যা?? না বিয়ে করে সেক্স করলেও সমস্যা নাই, বাচ্চাহলেও মায়ের কোন শারীরিক রিস্ক নাই???!!!


২৩ নম্বর কমেন্টে একটা চিঠিকে জার্নাল উল্লেখ্য করে (এই লিংকটা যত পড়ি তত হাসি, যে উচ্চশিক্ষিত ডাক্তার চিঠির সাথে গবেষনার জার্নাল পেপার গুলায় ফেলে তার কাছ থেকে জাতী কি আশা করে!) বলেছেন:

এমন কি টিন(১৩-১৯) প্রেগনেনসির ভেতরেও ১৫ বছর প্ররযন্ত মায়েদের মেডিক্যাললি একভাবে দেখা হয় আর ১৬ বা এর উপরে যাদের বয়স তাদের আরেক ভাবে দেখা হয়।
আরেক ব্লগার তরিকুল ইসলা১২৩ ২৪ নম্বর কমেন্টে বলেছেন:
মেয়েদের পিউবার্টি শুরু হয় কোন বয়স থেকে? স্বাস্থ্যবিজ্ঞান বলে, এটি বিভিন্ন উপাদানের নির্ভর করে বলে সব মেয়েদের একই বয়সে পিউবার্টি শুরু হয় না। ২০০৯ সালে "ন্যাশন্যাল উইমেন্স হেলথ নেটওয়ার্ক"-এ প্রকাশিত একটি প্রবন্ধে ক্যাথলিন ও'গ্র্যাডি বলেছেনঃ

"“Normal” puberty onset can range from ages 8-13 and takes, on average, 1.5-6 years to complete."

অর্থাৎ, স্বাভাবিক বয়ঃসন্ধিকাল শুরু হতে পারে ৮-১৩ বছরের মধ্যে, যা গড়ে ১.৫-৬ বছরের মধ্যে সম্পূর্ণ হয়।



এরকম আরো ব হু পোস্টে অনেক কমেন্ট পড়লে বুঝবেন বেশীর ভাগ উচ্চশিক্ষিত, অল্প শিক্ষিত, স্বশিক্ষিত ব্লগার এ ধারনা পোষন করেন। বাংলাদেশের মতো নিম্ন মধ্যম আয়ের উন্নয়নশীল দেশে হাই স্পিড ইন্টারনেটের জন্য ব্যান্ডউইডথ খরচা করে ব্লগীং করার মতো মানুষের বিশেষ শ্রেনীর শিক্ষিত এবং প্রিভিলাইজড বলবো যাদের বুদ্ধির প্রখরতা এবং যুক্তি খন্ডন ও চাল চলনের ভঙ্গী সাধারন্যের থাকা আলাদা এবং যুক্তিসঙ্গত হওয়াই উচিত। এখন তারাই যদি এমন আউট অব জার্নাল অথবা আউট অব স্টাডী টাইপ কথা চিন্তা করে তাহলে বলতে সমাজের একটা ভালো অংশ অসুস্থ!

এটা আমার ব্যাক্তিগত মতামত এবং আমি এর বশবর্তী হয়েই পোস্টে এই লাইনটা বলেছি!

মুহাম্মদ (স) যখন ফাতিমা (রা) কে বিয়ে দিয়েছিলেন তখন তাঁর বয়স পনের (মতান্তরে)

এই ব্যাপারটা নিয়ে আমি পোস্টেই আলোচনা করেছি এবং এই মতান্তর যদি সত্যি হয় তাহলে এর কনসিকুয়েন্স কি হতে পারে সেটাও বলেছি। তার আগে একটা পরিসংখ্যান দেই যদিও আমি মনে করি আপনার এই ইনফোটা জানা তবু যুক্তির খাতিরে আপনাকে এই ইনফোটা দিচ্ছি। মুহাম্মদ (সাঃ) এর মৃত্যুর পর একটা শূন্যতা আসে সেটা তার হাদিসের সংগ্রহ নিয়ে কারন কোরানে কোরান অনুসরন করার পাশি রাসুলুল্লাহ (সাঃ) এর জীবনাদর্শ অনুসরন করার জন্য বলা হয়েছে। সে হিসেবে আবু বকর রাঃ হাদিস সংগ্রহ করা শুরু করেন এবং ৫০০ এর মতো হাদিসের সংকলন করেন। কিন্তু তার বয়সের কারনেই হোক বা অন্যান্য কারনেই হোক পুড়িয়ে ফেলেন এই বলে যে যদি সামান্য ভুলও হয় তাহলে মুসলিম জাহানে কোরান রেখে হাদিস কে গুরুত্ব দিয়ে ফেৎনার সৃষ্টি করবে। এরপর হযরত ওমর রাঃ এই কাজটি শুরু করেন এবং স হস্রাধিক হাদিস সংকলন করেন। কিন্তু ঐ একই কারনে সেও পুড়িয়ে ফেলেন।

এর পর যখন হাদিস সংকলনের যুগ তাবেঈ তাবেঈনদের আমলে শুরু হয় তখন আসেন আবু হুরায়রা রাঃ যিনি মূলত নবিজী সাঃ এর সাথে সর্বমোট ৩ বছর মিশেছিলেন শুধু খাবার গ্রহনের সময় এবং উৎসবের সময়। এই আবু হুরায়রা রাঃ তার জীবদ্দশায় প্রায় ৫ স হস্রাধিক হাদিসের সংকলন দিয়ে সর্বোচ্চ হাদিস সংকলনকারী হোন কিন্তু তার দেয়া ৯০% হাদীস স হী হাদীস না, হয় আহাদিস অথবা জঈফ। এজন্য এক খলিফা চাবকে তার পিঠের ছাল উঠায় ফেলেন। এমনকি হযরত আয়েশা রাঃ ভরা মজলিশে তাকে মিথ্যুক বলে সম্বোধন করেন। এখনকার যে বর্বর শরীয়াহ আইনের যে বর্বর নিয়মগুলো চালু আছে বেশীর ভাগের জন্য এই লোকের দুর্বল হাদিস দায়ী।

এরপরই আছেন হযরত আয়েশা রাঃ যিনি মূলত আড়াইহাজার হাদিসের সংকলনদাত্রী এবং তার বেশীর ভাগ হাদীসই স হী। তার মধ্যে অন্যতম স হী হাদীস হলো বুখারী শরীফে উল্লেখিত তার হাদীসটি। এখন আপনাদের মতান্তর মূলক তথ্যে যেখানে হযরত আসমা রাঃ এর মৃত্যু সময় অথবা নবিজী সাঃ নব্যুয়তের সময় অথবা তাদের পরিবারের হিজরতের সময় ধরে যে বয়সের ধারনা করা হয় তাহলে হযরত আয়েশা রাঃ এর হাদিসটি অবশ্যই মিথ্যা হয়ে যায়। কিন্তু এই হাদিস সম্পর্কিত আরো কিছু হাদীস আছে যেমন যখন তাকে বিয়ে করার জন্য হযরত মুহাম্মদ সাঃ এর কাছে প্রস্তাব আসে তখনও কিন্তু তার শিশুকাল নিয়ে আলোচনা হয়েছিলো। তার পুতুল খেলা, আরও অনেক ছেলে মানুষীর ব্যাপারেও হাদীস আছে। তাহলে অনুমানভিত্তিক হিসাবের জন্য এতগুলো হাদিস, তাও আবার আবু হুরায়রা রাঃ এর মটো ৪২০ টাইপ হাদিস না, একেবারে খাটি স হী হাদিস, সেগুলোও জঈফে পরিণত হয় তাহলে ফিক হ, ইজমা আরো যত শাখা প্রশাখা আছে সব এক ল হমায় সন্দেহযুক্ত হবে।

বাকিটা আপনার বিবেক এবং বিশ্বাসের ওপর ছেড়ে দিলাম!

১৫| ২১ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ৯:৩৩

তার আর পর নেই… বলেছেন: হাদীস পড়তে গিয়ে আমার নিজেরও খুব খারাপ লেগেছিলো, সেটা দাস দাসীদের সাথে সম্পর্ক করা নিয়ে। তারপর থেকে আমি হাদীস এড়িয়ে যাই।
আমি ইসলামে বিশ্বাস করি, যা যা ফরজ কাজ তা মেনে চলার চেষ্টা করি। এবং ইসলামের বাইরের কাজ এড়িয়ে যাই। তাই বলে অন্ধভাবে মেনে নিই না।
যেমন, কয়েকদিন আগে একজন মহিলা বললো তার স্বামী তার গায়ে হাত তুলে। আমি তাকে বললাম দুইটা খেয়ে একটাও কি দেওয়ার সামর্থ্য রাখে না?

আপনি লিখেছেন আপনার প্রাথমিক পড়াশোনা মাদ্রাসা থেকে। সেহেতু আপনি যেরকম ব্যাখ্যা করছেন সেরকম তার উত্তর আমি করতে পারবো না।

স্বল্প জ্ঞান নিয়ে অযথা তর্কেও যাবো না। শুধু এইটুকুই বলি, সময়ের সাথে সাথে অনেককিছুই পরিবর্তন হয়। এখন যদি ইসলাম ধর্ম আসতো হয়তো পরিবর্তিত পরিস্থিতির ভিত্তিতেই আসতো।

আপনার পরের পোস্টে যে প্রশ্ন করেছিলাম সেটার উত্তর একজন দিয়েছেন দেখলাম। উন্নত বিশ্বে বাল্যবিবাহ না হলেও সমস্যা হচ্ছে। আমাদের দেশের সমস্যা অন্যরকম।

২১ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ৯:৫৮

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: তার উত্তরটা কি ছিলো একটু লিংক দেবেন! দেখি উনি কি কি সমস্যা আবিস্কার করলেন!

তবে একটা কথা বলি, হাদিস পালন করা সুন্নত যেটার ওপর কোরানে জোর দেয়া আছে। এখন আপনি যদি হাদিস অনুসরন না করেন তাহলে ইসলাম অনুসরন করা পরিপূর্ন হবে না। এমনকি আপনি যে রীতিতে নামাজ পড়েন সেটাও হাদিস নির্ভর!

তাই আপনি যদি নিজে চেষ্টাও করেন তাও আপনি পারবেন না!

যাই হোক আপনার জন্য একটা ভিডিও দিলাম। মনোযোগ দিয়ে শুনবেন কিন্তু!

১৬| ২২ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১০:২৫

Jahirul Sarker বলেছেন: আপনের পোস্ট ভালো হইছে।
http://www.somewhereinblog.net/blog/anwaralictg/30051890

১৭| ২২ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১০:২৮

Jahirul Sarker বলেছেন: একটু ঘুইরা আহেন।

২২ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১০:৫০

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: আপনার মন্তব্য পেয়ে মনে হলো চৈত্র্য মাসের বৃষ্টি পেলুম।

কথা হইলো সর্বোচ্চ হাদিস সংগ্রাহক মুয়াবিয়াকে উৎকোচ গ্রহনের দায়ে চাবুকাঘাত করে পিঠের ছাল উঠানো হইছিলো। ওমর রাঃ তাকে মিথ্যা হাদিস লিখবার অভিযোগে অভিযুক্ত করছিলো। হযরত আয়েশা রাঃ ভরা মজলিসে মিথ্যার অভিযোগে মুয়াবিয়ারে মিথ্যুক বললো। গেলো তার ৫০০০ হাদিস।

এরপর হইলো আয়েশা রাঃ ২৫০০ স হী হাদিস। কোনো কলংক নাই। কিন্তু তার মুখ থিকা নিঃসৃত সবচেয়ে স হী হাদীস নিয়া টানাটানি। তাও আবার যেই পয়েন্টগুলান কোনোটাই ১০০ ভাগ শিওর না। তাও আবার যখন দেখা গেলো বাল্যবিবাহ নিয়া টানাটানি তখন আপনেরা গো+এষনায় নামলেন।

চালায়া যান। মুয়াবিয়া আর আয়েশার হাদিস যদি জঈফ প্রমান করতে পারেন, তাইলে বাকি যে কয়টা থাকে সেগুলা দিয়া শরীয়াহ আইনের যে ভিত্তি ফিকহ, ইজমা এগুলার ওপরও পল্টি নেবে!


আর বাকী থাকে কোরান, সমস্য হইলো আমি আরবী জানি। কোরানে বয়সের কোনো ইঙ্গিত নাই। আপনেরা যেসব পক পক করেন, পড়লে একটা কথাই বলতে মন চায়, আরবী শিখা আসেন!


এখন বলেন আমারে কুন লিস্টে ফেলাইবেন এবার?

১৮| ২২ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১১:০০

Jahirul Sarker বলেছেন: হুম বুঝলাম। কিন্তু কোন লিস্টে ফালামু বলেত কী বোঝাইলেন?

২২ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১১:০৪

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: ঐযে বললেন যা আপনারই এক কমেন্টে যে এতো কিছু বলার পরেও লিস্টে পড়ে গেলেন, সাবধান হলেন না। ফেসবুকে মনে নাই?

তবে আপনার ট্যাকটিক্স ভালো। আমি ছাগু, মৌলবাদী, পেডো, রাজাকারদের পোস্টে ঢুকি না, কারন মুখ খারাপ করতে ভালো লাগে না। পরে আমাকে এক ব্লগার আপনার পোস্ট টি খুজে দিলেন। সেখানে দেখলাম আপনে আমাকে গালিও দিছেন আবার তার এক মাস পর ফেসবুকে আমার ভক্ত সেজে কি অসাধারন কমেন্ট খানাই না করেছেন! পুরাই দু মুখো সাপ!

মাশাল্লাহ! আপনাদের মতো তথাকথিত মুসলিম আছে বলেই জানতে পারছি বোকোহারাম, আইএসআইএস, জামাতে ইসলাম, হিজবুতী, জেএমবি, শফি কুকুরের দল কত বিভৎস সাক্ষাৎ শয়তান!

ধন্যবাদ মন্তব্য করার জন্য

১৯| ২২ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১১:১৪

Jahirul Sarker বলেছেন: আপনি আবার সেই একটা ভুল করতাছেন। আমি আপনার সাথে মজা করি নাই। আমার কোনও উদ্দেশ্যও নাই। গোপনভাবেই বিষয়টা জানতে পেরেছিলাম। আর আমি আপনার সব পোস্ট পড়ি সেখানে ভক্ত সাজার কোনও মানে হয় না। বললেন আমি আপনাকে গালি দিয়েছি। না। যথেষ্ট সম্মান দিয়েই কথা বলেছি। তবুও ভুল বুঝলে আমার কিছু করার নাই। শুভকামনা রইল।

২২ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১১:২৩

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: "কিছু আবাল মানুষরে উদাহরণ দেহাইয়া ইসলাম ধর্মকে যারা কটাক্ষ করে তারা যে কতটুকুই মুক্তমনা আর জ্ঞানী এটা বুঝতে পিএইচডি করার দরকার হয় না।
গত বছর সামু ব্লগের একজন অভিজ্ঞ ব্লগার উদাসী স্বপ্ন ভাই বাল্যবিবাহ নিয়া একটা পোস্ট লিখেছিলেন এবং সেখানে তিনি "কুরআনে বাল্যবিবাহ জায়েজ" এ নিয়ে বিভিন্ন কথা বলেন।
.......................................................
উদাসী স্বপ্ন ভাই বিশাল প্রস্তরে আলোচনা না করে শুধু শুধু ইসলামের আইনকে ভুল বোঝাতে চেয়েছেন। এবং অনেকেই এতে বিভ্রান্ত হয়েছে।
বিশেষ ভাবে গবেষণা পর্যালোচনা করলে দেখা যায় ইসলামের প্রতিটি আইনই যথাযথ কার্যকরী এবং সঠিক।
তাই আবালের উদাহরণ দিয়ে কেউ ইসলামকে দোষারোপ করিস না।
আসলে তোদের মাথায় কী আছে আমি বুজি না।
কম বুইঝা আজকে এইজাগায় আহিনাই। আপনে গো পিএইচডি আমার তলে দিয়ে যায় ।"



এই কথা গুলা তো ভাই আপনে লেখেন নাই, লেখছে আমার মামাশ্বশুড়।

তাও ভালো আমার নাম লিস্টে উঠছে বইলা একটা সৎ সাহস দেখাইলেন, যেটা আসলে জঙ্গিদের মধ্যে খুব একটা দেখা যায় না!

ভালো থাকবেন!

২০| ২৪ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১১:১৮

নাজমুস সাকিব অর্ক বলেছেন: ভাইয়া আমার একটা প্রশ্ন আছে, বাল্য বিয়ে বলতে আমরা কি বুঝি? শুধু মাত্র মেয়েদের কম বয়সে বিয়েকেই বলা হয় বাল্য বিয়ে, আচ্ছা একটা ছেলে যদি ১৫/১৬ বছর বয়সে বিয়ে করতে চায় তবে সে কেনো পারে না??? নারী বাদী রা খুব সহজে আমাদের মাথায় ঢুকায়ে দিছে যে বাল্য বিয়ে খারা, ফলশ্রুতিতে কি হচ্ছে??? ১৫/১৬ বছরের ছেলে মেয়ে প্রেমে জড়াচ্ছে, লিটনের ফ্ল্যাটে যাচ্ছে, চরিত্রের ১৪ টা বাঝছে, চরিত্র যায় যাক, বিয়ে করা যাবে না, যে যত পারো পতিতাদের কাছে যাও, মনের খোরাক মেটাবা? বান্ধবী খুজে নাও, তাও বিয়ের নাম তুলো না, তাহলেই সে হয়ে যায় বেয়াদব। আশা করি এই বিষয় নিয়ে কিছু বলবেন।
ধন্যবাদ ভাইয়া।

২৪ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১১:৩৩

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: বাল্য বিয়ে বলতে আমরা কি বুঝি?

আধুনিকা সমাজ ব্যাবস্থা বা আমাদের দেশের আইনানুসারে মেয়েদের ১৮ এবং ছেলেদের ২১ বছরে বিয়ে করতে পারে। তবে বাল্যবিবাহের প্রসঙ্গে নিয়ে লেখা পোস্ট টা মেয়েদের জন্য সেহেতু মেয়েদের জন্য ১৮ বছরের নীচে বিয়ে হলেই বাল্যবিবাহ।

শুধু মাত্র মেয়েদের কম বয়সে বিয়েকেই বলা হয় বাল্য বিয়ে, আচ্ছা একটা ছেলে যদি ১৫/১৬ বছর বয়সে বিয়ে করতে চায় তবে সে কেনো পারে না???

সেটা এই আলোচনার মূখ্য বিষয় নয়, কারন মেয়েদের ব্যাপারটি নিয়েই লেখা। তবু যখন জিজ্ঞেস করলেন সেহেতু বলা যায় একটি ছেলের মানসিক পরিপক্কতা এবং তার অর্থনৈতিক সক্ষমতার একটা প্রশ্ন আসে। কিন্তু আমাদের দেশে এটা করা হয়েছে ছেলেদের ক্ষেত্রে সেটা মূলত জনসংখ্যার নিয়ন্ত্রন।

নারী বাদী রা খুব সহজে আমাদের মাথায় ঢুকায়ে দিছে যে বাল্য বিয়ে খারা, ফলশ্রুতিতে কি হচ্ছে???

আপনি কি পোস্ট টা ঠিক মতো পড়েছেন? তাহলে কি মেডিক্যাল সায়েন্স ভুল বলছে? দয়া করে পোস্ট টি পড়ুন!

১৫/১৬ বছরের ছেলে মেয়ে প্রেমে জড়াচ্ছে, লিটনের ফ্ল্যাটে যাচ্ছে, চরিত্রের ১৪ টা বাঝছে, চরিত্র যায় যাক, বিয়ে করা যাবে না, যে যত পারো পতিতাদের কাছে যাও, মনের খোরাক মেটাবা?

পতিতার কাছে যাবার ব্যাপারে কোনো ইস্যু নিয়ে কথা বলার জন্য পোস্ট টি দেই নি। পোস্ট টা দিয়েছি মূলট একটা মেয়ের জন্য বাল্যবিবাহ কি পরিমান শারিরীক এবং মানসিক বিপর্যয় ডেকে আনে এবং তথা রাস্ট্র ও সমাজের ভবিষ্যত বর্তমান এবং ভবিষ্যত প্রজন্ম কতটা ঝুকির মধ্যে পড়ে সেটার ব্যাপারে কথা বলেছি।

আশা করি বাকী কথা গুলোর উত্তর আপনি সোশিওলজিওক্যাল এক্সপেক্টে কোনোদিন আলোচনা করি তাহলে তখন আলাপ করতে পারেন। তবে কিছু প্রশ্ন:

১) বিয়ে করলেই কি পতিতালয়ে যাওয়া বন্ধ হয়?
২) সৌদী মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়ার মতো গোড়া মুসলিম দেশে পতিতালয় কি নিষিদ্ধ? শুনলাম ইরানও নাকি বছর দুই আগে হালাল পতিতালয় চালু করেছে।


ভালো থাকবেন

২১| ২৪ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১১:১৯

নাজমুস সাকিব অর্ক বলেছেন: আর আমি মনে করি, ইসলাম বাল্য বিয়ে জায়েজ করেছেন, আর এতে সমাজের উপকারই রয়েছে, অপকার না।

যদি পরিপূর্ন ইসলাম মেনে চলা যায় তবে কোথাও কোনো সমস্যা থাকবে না

২৪ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১১:৩৪

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: আপনার মন্তব্যের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

তবে ওপরে পরিসংখ্যান গত গবেষনা জার্নাল এবং পীয়ার রিভিউড পেপার সাথে করে বাস্তবিক সমস্যার ওপর উপযুক্ত তথ্য দিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। আশা করি আমরা তথ্যের ভিত্তিতে আলোচনা করবো যেভাবে করা হয় একাডেমিক ভাবে!

২২| ২৫ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১২:০২

নাজমুস সাকিব অর্ক বলেছেন: আপনার কন্সেপ্ট টা অনেক ভালো তবে আমি যে কন্সেপ্ট টা নিয়ে গত কয়েকদিন ধরে ভাবছি তা হলো সমাজের অধপতন.
সে কন্সেপ্ট নিয়ে আশা করি আপনাদের মত বিজ্ঞ লোক গন লিখবেন, ধন্যবাদ ভাইয়া

২৫ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১২:০৮

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: একটা সমাজের অধ্যপতন ঘটে নানা কারনে। একসময় মনে করা হতো অতিরিক্ত জনসংখ্যার চাপে ম্যালথাসের বিপর্যয় তত্ব অনুসারে দুর্ঘটনা ঘটবে। এটা ঠেকানোর জন্য শ্রমিক রপ্তানী, জনশক্তির উন্নয়ন, বিনিয়োগের মাধ্যমে কাজের সৃষ্টি ইত্যাদির মতো পদক্ষেপ জিয়ার আমল থেকে শুরু হয়, এরশাদ সাহেব বেগবান করে। কিন্তু সুশাসনের অভাবে এসব কিছুই ভেস্তে যাচ্ছে বাংলাদেশে যা আরো তরান্বিত করছে এই জনসংখ্যার বিস্ফোরন, বাল্যবিবাহ, শিক্ষার নিম্নমান ইত্যাদিকে। সম্পদের সুষম বন্টন সম্ভব হচ্ছে না, এমনকি সবকিছুই ভেঙ্গে পড়ছে।

যাই হোক, এই বিষয়গুলো মোটামোটি সোশিওলজি এবং রাস্ট্রবিজ্ঞানের অন্তর্ভূক্ত।

আমি বিজ্ঞ নই, আমার ছুটি চলে, একা বসে কাজ নেই তাই এসব নিয়ে পড়ালেখা করি তারওপর আমার বাল্যকালের ছোট অংশ কেটেছে মাদ্রাসায়!

২৩| ২৫ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১২:১২

নাজমুস সাকিব অর্ক বলেছেন: কোন মাদ্রাসায় পড়েছিলেন আপনি???? আমিও মাদ্রাসা থেকে দাখিল দিয়েছি, একহ্ন আপনার মতই কম্পিউটার সাইন্সে

২৫ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১২:১৯

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: আমি ফরিদপুরে প্রাইমারী লেভেলে।

আমি কম্পিউটার সায়েন্সের না। আমি ইলেক্ট্রিক্যাল পরে সার্কিট ডিজাইনে (সেন্সর এন্ড ডিটেকশন) পড়া লেখা করেছি!

২৪| ২৫ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১২:২০

নাজমুস সাকিব অর্ক বলেছেন: :)

২৫| ১৪ ই মার্চ, ২০১৭ সকাল ১১:৪৫

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: ইসলাম বাল্য বিবাহ নাজায়েজ করেনি, আবার ফরজও করেনি।যেহেতু মহানবী (সঃ) বিভিন্নবয়সের বিয়ে করেছেন, সেহেতু বাল্য বিবাহ ছুন্নত নয় বরং জায়েজ। আমি এর বিপক্ষে।

১৬ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ১১:৩১

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: আপনি বিপক্ষে শুনে ভালো লাগলো কিন্তু আমরা যদি সুন্নত ও ফরজের সংজ্ঞা মেনে চলি, বা ফিক্কহও মেনে চলি তাহলে এটা সুন্নতও হয়ে যায় শর্ত সাপেক্ষে। আলেমরাও এটা মেনে চলে এবং এর উপদেশ দেয়

২৬| ১৭ ই মার্চ, ২০১৭ সকাল ১১:৪৩

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: আলেমরাতো মানুষ, ভুল তাদের হতেই পারে। চারের বেশী বিয়ে করাতো না জায়েজ আলেমরা মানেন। তো মহানবরি (সঃ) চার বিয়ে যদি আপনি রাখেন তবে তার মধ্যে আয়েশার (সঃ) বিয়ে চারে থাকেকি? যদি সেটা গননায় না থাকে তবে তা’ ছুন্নতে থাকে কেমন করে? খাদিজ (রাঃ), উম্মে সালমা(রাঃ), উম্মে হাবীবা (রাঃ) ও হাফসা (রাঃ) গননায় ধরলে বাকীরা এর বাইরে চলে যায়। কাজেই বাল্য বিবাহ জায়েজ পর্যন্ত উঠবে ছুন্নত পর্যন্ত যাবেনা।

২৯ শে মার্চ, ২০১৭ সকাল ৭:০৪

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: আলেমরা যে ভুল এই কথাটা প্রাতিষ্ঠানিক ভাবে প্রতিষ্ঠিত করার দায়িত্ব আমাদেরই ছিলো। কিন্তু দিন দিন তারা এখন এমনি শক্তিশালী হয়েছে যে তাদের চাপে সরকারও নতজানু হয়ে যায় যার ফলে এমন বিতর্কিত আইন।

আপনি যেভাবে ১১ বিয়ের নিয়মের রদের সাথে মিলিয়ে ফেলছেন, ইসলামের আইন সমূহ এভাবে চলে না। সবকিছু সম্বন্ধে নিজস্ব এবং দলিলগত মত আছে। এর বাইরে কিছু করতে গেলে সেটা সুস্পষ্ট লঙ্ঘন হয়ে যায়

২৭| ১৭ ই মার্চ, ২০১৭ দুপুর ১২:০০

এ আর ১৫ বলেছেন: ইসলামে বাল্য-বিবাহ ??
মূল ইংরেজী হাসান মাহমুদ, বঙ্গানুবাদ - এস আমিন

দেশে বাল্যবিবাহের দড়ি-টানাটানি চলছে তো চলছেই। একদিকে এর বিরুদ্ধে মানবাধিকার-কর্মীদের আন্দোলন, আইন ও তার প্রয়োগ, অন্যদিকে এর পক্ষে কিছু আলেমদের অবস্থান। তাঁদের প্রধান যুক্তি সহি বুখারীর হাদিস, নবীজি(স) আয়েশা(র)-কে বিয়ে করেছিলেন ৬ বছর বয়সে, নিজের ঘরে নিয়ে গিয়েছিলেন ৯ বছর বয়সে- বুখারী ৭ম খণ্ড-৬৪, ৫ম খণ্ড-২৩৪, ২৩৬। এর ভিত্তিতে ইসলাম-বিরোধী অনেকেই আবার নবীজি(স)কে শিশু- ধর্ষক বলে।এই "ছয় বছর-নয় বছর" দলিলের ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট দলিলগুলো দেখা দরকার যাতে জাতি সিদ্ধান্ত নিতে পারে। বলা দরকার, আয়েশা (র)-এর জন্মসাল নিয়ে বিতর্ক থাকার ফলে বিয়ে সহ বিয়ে সহ বাকি সবকিছুর সময়/সাল প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে আছে।(বদর যুদ্ধ হয়েছিল ৬২৪ সালে)।

1. “শিশু¬ ধর্ষক” মানসিক ব্যাধিতে আক্রান্ত ব্যক্তি (সাধারণত: পুরুষ) কম বয়সের বালিকাদের সাথে সংসর্গ করতে সর্বক্ষণ ব্যাকুল হয়ে থাকে। সমাজে ওটা চিরকালই ছিল, আছে এবং থাকবে।কিন্তু নবীজীর জীবন খুঁটিয়ে দেখলে আমরা সংযমের চিত্রই পাই। পঁচিশ বছরের দুরন্ত যৌবনে তাঁর প্রথম বিয়েই ছিল ৪০ বছরের বিধবা বিবি খাদিজার সাথে। মনে রাখতে হবে মানুষের ইতিহাসে সমাজ, পরিবার, অর্থনীতি, রাজনীতি, যুদ্ধনীতি এমনকি প্রতিটি মানুষের মনোজগতের ওপর এমন সার্বিক ও সর্বগ্রাসী রাজত্ব আর কেউই করেনি। যাঁর অনুসারীরা তাঁর জন্য অকাতরে প্রাণ দিয়েছেন ও নিয়েছেন, যাঁর জন্য সর্বক্ষণ নিজেদের "পিতামাতা উৎসর্গ" বলতেন, তিনি চাইলে অবশ্যই অনায়াসে শত শত নয় বরং হাজার হাজার বালিকা-সংসর্গ করতে পারতেন। অথচ তাঁর স্ত্রীদের মধ্যে একমাত্র আয়েশা (র) ছিলেন কুমারী, বাকিরা বিধবা বা তালাক-প্রাপ্তা, কেউ কেউ আবার তেমন সুন্দরীও ছিলেন না। কাজেই “শিশু¬ ধর্ষক” তত্বটা তাঁর বেলায় একেবারেই খাটেনা।

2. বয়স ১৪ থাকার জন্য ইবনে ওমরকে রাসুল (স) ওহুদ যুদ্ধে যোগ দিতে দেননি কিন্তু খন্দক যুদ্ধে যোগ দিতে দিয়েছিলেন কারণ তখন তাঁর বয়স ১৫। সহি বুখারী ও মুসলিমে আমরা দেখি বিবি আয়েশা (রাঃ) বদর যুদ্ধে যোগ দিয়েছিলেন। সে হিসেবে ৬২৪ সালে তাঁর বয়স কমপক্ষে ১৫ বছর হবার কথা।

3. কিছু সুত্রে আয়েশা (রাঃ)-এর জন্ম ৬১৩ সালে পাওয়া যায় কিন্তু ইবনে হিশাম/ইসহাক এর বিখ্যাত সিরাত কেতাব বলছে তিনি ইসলাম গ্রহণ করেন ৬১০ সালে। ধর্মান্তরিত হবার জন্য ভালোমন্দ বোঝার কিছুটা ক্ষমতা থাকবে বলেই আশা করা যায়। ৬১০ সালে যদি তাঁর বয়স তিন বছরও (খুব সম্ভব তার চাইতে বেশি) হয়ে থাকে তবে ৬২২ সালে তিনি ছিলেন অন্তত পনের বছরের।

4. অতীতে অনেক দেশে এবং অনেক সম্প্রদায়ের লোকেদের মধ্যে (এমনকি বর্তমানেও কিছু কিছু অনুন্নত এলাকায়), সময় এবং বয়স মনে রাখার কোনো বৈজ্ঞানিক প্রথা চালু ছিল না। তখন তারা কোনো বিশেষ ঘটনার সাহায্যে, যেমন যুদ্ধ, খরা, অথবা অন্য কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ, বয়স অথবা সময় মনে রাখত। এমনকি ইতিহাসের পাতায় সভ্যতার শীর্ষে যে রোমান জাতি, তাদের মাঝেও এই প্রথা চালু ছিল। নবী(সাঃ)-এর জন্মের বছরে আবরাহা তার হাতির বহর নিয়ে মক্কা আক্রমন করে। তাই সেই বছরকে বোঝাতে মক্কার লোকেরা "হস্তীর বৎসর” উল্লেখ করত। এই প্রথা স্মৃতির ওপরে নির্ভরশীল, তাই বয়সের এবং সময়ের হিসেবে অনিচ্ছাকৃত ভুল ইতিহাসে ধরা পড়ে।

5. ১৪০০ বছর আগে নয় বছরের বালিকার বিয়ে স্বাভাবিকই ধরা হত। বাইবেলেও এর ইঙ্গিত আমরা পাই। ইসলামের শত্রুপক্ষের লোকেরা রাসুল (সাঃ)এর অনেক সমালোচনা করেছে কিনতু এ বিষয়ে কখনো কোনো কটু মন্তব্য অথবা আলোচনা করেনি। তখনকার সামাজিক ব্যবস্থা, জীবন যাপন প্রণালী, প্রাকৃতিক অবস্থা এবং রূঢ় আবহাওয়া এর কারণ হতে পারে।

6. ৬১৫ সালে হজরত আবু বকর (রাঃ) মুত'আম এর পুত্রের সাথে আয়েশার (রাঃ) বিবাহের চিন্তা করেছিলেন। মুত'আম তার পুত্রের এই বিবাহে রাজি হয়নি কারণ তখন হজরত আবু বকর (রাঃ) ইসলাম গ্রহণ করেছিলেন। তখন অবশ্যই বিবি আয়েশার (রাঃ) দুই এর বেশি ছিল । সেই হিসেবে ৬২২ সালে তাঁর বয়স অবশ্যই নয়ের অধিক ছিল।

7. হজরত আবু বকর (রাঃ) এর চারজন সন্তানেরই জন্ম হয়েছিল আইয়ামে জাহেলিয়ার যুগে, যখন ইসলাম প্রচার শুরু হয়নি। এই যুগের পরিসমাপ্তি হয় ৬১০ সালে। সেই সূত্রে, ৬২২ সিইতে বিবি আয়েশার (রাঃ) বয়স ন্যুনতম বারো বৎসর ছিল।

8. বিবি ফাতেমা (রাঃ) বিবি আয়েশার (রাঃ) পাঁচ বছরের বড় ছিলেন। মুহাম্মদ (সাঃ) এর বয়স যখন পয়ত্রিশ বৎসর তখন ফাতেমা (রাঃ) এর জন্ম হয়। সেই হিসেব অনুযায়ী বিবি আয়েশা (রাঃ) রাসুলাল্লার (সাঃ) চাইতে চল্লিশ বছরের ছোট ছিলেন অর্থাৎ বিয়ের সময় তাঁর বয়স ছিল বারো।

9. বিবি আয়েশার বড় বোন, বিবি আসমা ছিলেন তাঁর চেয়ে দশ বছরের বড়। যে রাসুলুল্লাহ (সাঃ) এর মদিনায় হিজরতের তিহাত্তরতম বছরে বিবি আসমার মৃত্যু হয় আনুমানিক একশ’ বছর বয়সে। খুব সম্ভবত, হিজরতের বছর বিবি আসমার বয়স ছিল ছাব্বিশ/সাতাশ এবং বিবি আয়েশার (রাঃ) ষোলো-সতের। ইবনে সা'দ এর তাবাকাত এবং আনসাব আল-আশরাফে কিছু কিছু বর্ণনায় আমরা পাই, হিজরতের দুই থেকে তিন বছর পরে বিবি আয়েশার (রাঃ) সাথে রাহুলুল্লাহ (সাঃ) এর বিবাহ সম্পন্ন হয়েছিল। সুতরাং সেই হিসেবে বিবাহ কালে তাঁর বয়স ছিল আঠার-উনিশ বছর।

10. বিখ্যাত ইমাম ড: সাব্বির আলী, ইমাম শেখ ইমরান হোসেন, শেখ ইয়াসির আল হাবিব সহ অজস্র ইসলামী বিশেষজ্ঞ এটা বলেন, অনেক সূত্র পাবে এখানে:- https://www.google.ca/…

11. পৃথিবীর বৃহত্তম মুসলিম দেশ ইন্দোনেশিয়াতে নারীরদের ১৯ বছরের আগে বিয়ে বেআইনী - ভিডিও - ড: জাকির নায়েক। মুসলিম প্রধান দেশ মরক্কো আলজিরিয়া তো আছেই, ওখানকার মাওলানারা নিশ্চয় কোরান হাদিস কম জানেন না ! তাঁরা তো বাল্য বিবাহ বাতিল করেছেন!
12. দলিল আরো অনেক আছে, কখনো পরস্পর বিরোধী, তাই তা থেকে সিদ্ধান্ত নেয়া কঠিন। তবে এবারে কোরান। সুরা নিসা আয়াত ৬:-“এতীমদের প্রতি বিশেষ নজর রাখবে যে পর্যন্ত না তারা বিয়ের বয়সে পৌঁছে। যদি তাদের মধ্যে বুদ্ধি-বিবেচনার উন্মেষ আঁচ করতে পার, তবে তাদের সম্পদ তাদের হাতে অর্পন করতে পার”।

কি মনে হয়?

"যে পর্যন্ত না তারা বিয়ের বয়সে পৌঁছে......তাদের মধ্যে বুদ্ধি-বিবেচনার উন্মেষ আঁচ করতে পার" - এর অর্থ বিয়ের বয়স তখনি হবে যখন তাদের মধ্যে বুদ্ধি-বিবেচনার উন্মেষ হবে। কথাটা নাবালিকাদের ক্ষেত্রে খাটে? না, খাটে না। বাল্য-বিবাহ ওখানেই সুস্পষ্ট ভাষায় নাকচ করেছে কোরান !!

এবারে বাস্তবতা। যাঁরা বাল্যবিবাহ সমর্থন করেন, তাঁরা কি ওই কচি মেয়েটার মুখের দিকে তাকিয়েছেন একবার? বিশ-পঁচিশ বছরের তরুণের দেহে দুর্দান্ত প্রচণ্ড যৌবন খেলা করে, আর ওদিকে ওই বাচ্চা মেয়েটার না শরীর তৈরী, না মন। সেখানে প্রতিদিন ওই বাচ্চাটাকে কি দোজখের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়, তার শরীরের ওপর কি মর্মান্তিক অত্যাচার হয় তা কি বাল্যবিবাহ সমর্থনকারীরা ভেবেছেন একবারও? ইসলাম-পালনের, নবীজীকে "অনুসরণ" করার উদগ্র বাসনা এভাবেই জীবন ধ্বংস করে, ইসলামের বদনাম হয়। এর ওপরে আছে ওই কচি শরীরে সময়ের আগেই মাতৃত্বের চাপ।

আরো বলতে হবে?
**************************
Sheikh Imran Hosein
https://www.youtube.com/watch?v=Mw05XUx0CrM

মওলানা মুহম্মদ আলী'র বিস্তারিত গবেষণা-
http://www.muslim.org/islam/aisha-age.htm#_ftn3

২৯ শে মার্চ, ২০১৭ সকাল ৭:২৭

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: 1. “শিশু¬ ধর্ষক” মানসিক ব্যাধিতে আক্রান্ত ব্যক্তি (সাধারণত: পুরুষ) কম বয়সের বালিকাদের সাথে সংসর্গ করতে সর্বক্ষণ ব্যাকুল হয়ে থাকে। সমাজে ওটা চিরকালই ছিল, আছে এবং থাকবে।কিন্তু নবীজীর জীবন খুঁটিয়ে দেখলে আমরা সংযমের চিত্রই পাই। পঁচিশ বছরের দুরন্ত যৌবনে তাঁর প্রথম বিয়েই ছিল ৪০ বছরের বিধবা বিবি খাদিজার সাথে। মনে রাখতে হবে মানুষের ইতিহাসে সমাজ, পরিবার, অর্থনীতি, রাজনীতি, যুদ্ধনীতি এমনকি প্রতিটি মানুষের মনোজগতের ওপর এমন সার্বিক ও সর্বগ্রাসী রাজত্ব আর কেউই করেনি। যাঁর অনুসারীরা তাঁর জন্য অকাতরে প্রাণ দিয়েছেন ও নিয়েছেন, যাঁর জন্য সর্বক্ষণ নিজেদের "পিতামাতা উৎসর্গ" বলতেন, তিনি চাইলে অবশ্যই অনায়াসে শত শত নয় বরং হাজার হাজার বালিকা-সংসর্গ করতে পারতেন। অথচ তাঁর স্ত্রীদের মধ্যে একমাত্র আয়েশা (র) ছিলেন কুমারী, বাকিরা বিধবা বা তালাক-প্রাপ্তা, কেউ কেউ আবার তেমন সুন্দরীও ছিলেন না। কাজেই “শিশু¬ ধর্ষক” তত্বটা তাঁর বেলায় একেবারেই খাটেনা

উত্তর: আসলে এপোলজিস্ট এবং ইসলামের সমালোচকরা মহানবী সাঃ কখনো শিশু ধর্ষক কখনো নারী লোভী বলে আখ্যায়িত করে। তাদের যুক্তি গুলো অনেকটা সরল রেখার মতো। এখন তাদের যুক্তি গুলো শুনে আমরা স হজেই টেম্পার হারিয়ে ফেলি এবং নবী সাঃ কে ডিফেন্ড করতে গিয়ে আরো দুর্বল যুক্তি দেই। আপনার যুক্তির পিঠে আরো ভয়াব হ যুক্তি দিয়ে মহানবী সাঃ এর চরিত্র আরো কলুষিত করা যায়। আমার মনে হয় এর চেয়েও আরও শক্ত যুক্তি ছিলো আয়েশা রাঃ কে বিয়ে করার পেছনে।

আপনার পরবর্তী পয়েন্টগুলো নিয়ে এখন আলোচনা করা যাক। বিভিন্ন হিসাব নিকাশ থেকে আমরা কখনো আয়েশার বয়স ১৫, কখনো ১২ কখনো ৯ কখনো ১৮ ও পাই। যদি আসমা রাঃ এর মৃতউ বয়স হিসাব করি তখন সে ১৮ যদি ওহুদের যুদ্ধ হিসাব করি তখন পাই ১৫। এবং এসব বয়সের সংখ্যা যেসব ইতিহাস বিদ বিশ্লেষন করেছেন তারা কেউ ৭০০ খ্রিস্টাব্দে কেউ ১৪০০ অথবা কেউ ১০০-২০০ বছর (মোহাম্মদ আলি) আগে জীবিত ছিলেন। তাই এসব ইতিহাসবিদের সাথে আলোচনা বা তাদের সোর্সের অথেনটিকেশন নিয়েও যদি আলোচনা করি তাহলে দেখা যাচ্ছে প্রধান কন্ট্রাডিকশন লাগছে আয়েশা রাঃ এর জন্ম এবং ইবনে হিশামের বৃদ্ধ কালে ইরাকে গমনের পর।

জন্মের ব্যাপারটা হলো আল তাবারী অনুসারে আয়েশার জন্ম হবার কথা ৬১০ এ। সে হিসেবে কিন্তু মহানবী সাঃ এর সাথে যখন তিনি থেকেছিলেন তখন তার বয়স হবে ১৪। আবার আমরা যখন আল নাসাঈ অনুসরন করবো তখন হজরত আয়েশা রাঃ যখন ১৮ বছর বয়স তখন মহানবী সাঃ বিষক্রিয়ার কারনে মৃত্যুবরন করেন। সে হিসেবে দেখা যায় তার জন্ম কাল ৬১৩/৬১৪। সে হিসেবে বিয়ের সময় তার বয়স ছিলো ৬। এদিকে হযরত আয়েশা রাঃ মুখ হতে নিঃসৃত স হী হাদিস যেটা বিখ্যাত তফসীর ইবনে হিসাম বর্ননা করেন সেটাও তার ৬ বছরের দিকে ইঙ্গিত করে। আর সমস্যাটা এখানেই। হিসামের বয়স ছিলো ৭১ তখন উনার স্মৃতি বিভ্রম শুরু হয়ে গিয়েছিলো। তখন তার ছাত্রের বয়ানীতে এমন ছিলো যে হিসাম যখন উচ্চারন করছিলেন তখন শুধু টিস্যার (বাংলায় ৯) কথা বলছিলেন কিন্ত হবার কথা ছিলো টিস্যা আসারা (বাংলায় ১৯)। এখন এটা কি অতি বার্ধক্যের ফল নাকি তার ইচ্ছাকৃত ভুল কেউ বলতে পারে না। এবং তার এই টিস্সা শব্দটির সাথে তার কিছু বিখ্যাত ছাত্রও একমত নন।

কিন্তু আমরা যদি আয়েশার বয়স বা যুদ্ধের হিসাবও রাখি তাহলেও দেখা যাচ্ছে আমাদের নবীজি সাঃ বাল্যবিবাহই করেছিলেন। বিজ্ঞানের অগ্রসরতা এবং পারিপার্শ্বিকতার বিচারে আমরা দেখতে পাই ১৮ এর নীচে বিয়ে দেয়াটা একটা মেয়ের জন্য নিরাপদ না বিশেষ করে যেসব অঞ্চলে মেয়েরা পুস্টির অভাবে ভোগে তাদের তো নাই ই না। কিন্তু আমাডের নবিজী সাঃ এর প্রেক্ষাপট ভিন্ন। তিনি যেহেতু বিয়েই করেছেন সেটা ছিলো একটা পলিটিক্যাল ব্যাপার যেটা আমরা পরে দেখতে পাই যে নবী সাঃ এর ওফাতের পরেই আলী রাঃ এর সাথে আয়েশা রাঃ এবং আবু বকর রাঃ এর কামরাকামড়ি এবং খলিফাদের মধ্যে ক্ষমতা নিয়ে নোংরা চালাচালি। যদি এটাও না করতো তাহলে হয়তো ইসলাম এখন যতভাগে আছে এর চেয়ে বেশী ভাগ হয়ে আরো আগেই হারিয়ে যেতো অথবা জঙ্গিবাদ গ্রাস করে ফেলতো। তো বৃহত্তর স্বার্থে এটা মেনে নিতেই হবে।

ভালো থাকবেন আশা করি

২৮| ১৭ ই মার্চ, ২০১৭ দুপুর ১২:১৩

টারজান০০০০৭ বলেছেন: প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যতীত সাধারণ মানুষের ধর্মের উপর লেখাগুলো অধিকাংশই মুশিকের পর্বত প্রসব হইয়া থাকে !

২৯ শে মার্চ, ২০১৭ সকাল ৭:২৭

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: রেফারেন্স বিহীন যেকোনো কথাই আপনার নিজস্ব মতামত বলে ধরে নেয়া হলো

২৯| ২৯ শে মার্চ, ২০১৭ সকাল ৭:৪০

ওসেল মাহমুদ বলেছেন: "যে পর্যন্ত না তারা বিয়ের বয়সে পৌঁছে......তাদের মধ্যে বুদ্ধি-বিবেচনার উন্মেষ আঁচ করতে পার" - এর অর্থ বিয়ের বয়স তখনি হবে যখন তাদের মধ্যে বুদ্ধি-বিবেচনার উন্মেষ হবে। কথাটা নাবালিকাদের ক্ষেত্রে খাটে? না, খাটে না। বাল্য-বিবাহ ওখানেই সুস্পষ্ট ভাষায় নাকচ করেছে কোরান !! যদি আক্কেল থাকে তবে বুঝবেন আর যদি ইচ্ছে করে না বুঝতে চান , তাহলে তো ইসলাম আপনার বোধগম্য হয়নি !

২৯ শে মার্চ, ২০১৭ সকাল ৭:৪৩

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: ১) সূরা আল আহযাব (মদীনায় অবতীর্ণ), আয়াত ৪৯

"মুমিনগণ! তোমরা যখন মুমিন নারীদেরকে বিবাহ কর, অতঃপর তাদেরকে স্পর্শ করার পূর্বে তালাক দিয়ে দাও, তখন তাদেরকে ইদ্দত পালনে বাধ্য করার অধিকার তোমাদের নাই। অতঃপর তোমরা তাদেরকে কিছু দেবে এবং উত্তম পন্থায় বিদায় দেবে। "



২) সূরা আত্ব-ত্বালাক্ব (মদীনায় অবতীর্ণ), আয়াত ৪

"তোমাদের স্ত্রীদের মধ্যে যাদের ঋতুবর্তী হওয়ার আশা নেই, তাদের ব্যাপারে সন্দেহ হলে তাদের ইদ্দত হবে তিন মাস। আর যারা এখনও ঋতুর বয়সে পৌঁছেনি, তাদেরও অনুরূপ ইদ্দতকাল হবে। গর্ভবর্তী নারীদের ইদ্দতকাল সন্তানপ্রসব পর্যন্ত। যে আল্লাহকে ভয় করে, আল্লাহ তার কাজ সহজ করে দেন।"

এই দুটো আয়াত সম্পর্কে একটু বুঝিয়ে দিন হুজুর। তবে এটা দেখে ভালো লাগলো যে আপনি বাল্যবিবাহের বিপক্ষে। আমার সেটা হলেই চলবে।

৩০| ২৯ শে মার্চ, ২০১৭ সকাল ৭:৪৪

ওসেল মাহমুদ বলেছেন: হিজরতের বছর বিবি আসমার বয়স ছিল ছাব্বিশ/সাতাশ এবং বিবি আয়েশার (রাঃ) ষোলো-সতের। ইবনে সা'দ এর তাবাকাত এবং আনসাব আল-আশরাফে কিছু কিছু বর্ণনায় আমরা পাই, হিজরতের দুই থেকে তিন বছর পরে বিবি আয়েশার (রাঃ) সাথে রাহুলুল্লাহ (সাঃ) এর বিবাহ সম্পন্ন হয়েছিল। সুতরাং সেই হিসেবে বিবাহ কালে তাঁর বয়স ছিল আঠার-উনিশ বছর।

কোথায় পেলেন ৬ বছর !!?? নবুয়তের সময় মা আয়শার বয়স ছিল ৬ বছর !

২৯ শে মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৩:২৮

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: আপনাকে আপনার আগের মন্তব্যে একটা প্রশ্ন করেছিলাম ঐ আয়াত দুটি সম্পর্কে, আপনি এর উত্তর না দিয়ে আরেকটি প্রশ্ন করলেন। আয়াত দুটি কি জানতেন না নাকি এর উত্তর আপনার মতের সাথে মিল নেই? আপনার কমেন্টের উত্তরতো ঠিকই দিলাম। এখন ভদ্রতাস্বরুপ কি আপনার উত্তর দেয়াটা ঠিক কি না?

তার পরও আপনার এই প্রশ্নেরও জবাব দিলাম... পড়ে নিন। নেক্সট কমেন্টে আমি আপনার কাছে উত্তর আশা করছি

জানি না আপনি কোন মাযহাব ফলো করেন অথবা হাদিস কতটুকু পড়েছেন। আপনাকে রেফারেন্স সহ কিছু সহী হাদিস দিচ্ছি:

Sahih Muslim : In-book reference / Book 16, Hadith 81

'A'isha (Allah be pleased with her) reported:

Allah's Messenger (ﷺ) married me when I was six years old, and I was admitted to his house at the age of nine. She further said: We went to Medina and I had an attack of fever for a month, and my hair had come down to the earlobes. Umm Ruman (my mother) came to me and I was at that time on a swing along with my playmates. She called me loudly and I went to her and I did not know what she had wanted of me. She took hold of my hand and took me to the door, and I was saying: Ha, ha (as if I was gasping), until the agitation of my heart was over. She took me to a house, where had gathered the women of the Ansar. They all blessed me and wished me good luck and said: May you have share in good. She (my mother) entrusted me to them. They washed my head and embellished me and nothing frightened me. Allah's Messenger (, may peace be upon him) came there in the morning, and I was entrusted to him.



Sahih Bukhari : In-book reference / Book 52, Hadith 1
Narrated `Urwa bin Al-Musaiyab Alqama bin Waqqas and Ubaidullah bin `Abdullah:

About the story of `Aisha and their narrations were similar attesting each other, when the liars said what they invented about `Aisha, and the Divine Inspiration was delayed, Allah's Messenger (ﷺ) sent for `Ali and Usama to consult them in divorcing his wife (i.e. `Aisha). Usama said, "Keep your wife, as we know nothing about her except good." Buraira said, "I cannot accuse her of any defect except that she is still a young girl who sleeps, neglecting her family's dough which the domestic goats come to eat (i.e. she was too simpleminded to deceive her husband)." Allah's Messenger (ﷺ) said, "Who can help me to take revenge over the man who has harmed me by defaming the reputation of my family? By Allah, I have not known about my family-anything except good, and they mentioned (i.e. accused) a man about whom I did not know anything except good."

৩১| ২৯ শে মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৪:১৫

এ আর ১৫ বলেছেন: ও আপনি এখানে উত্তর দিয়েছেন সেটা উল্লেখ না করে বেয়ারা মন্তব্য করে তো নিজেকে ছোট কোরলেন , আমি কমেন্ট করেছি ১৭ তারিখে তার পর যখন ব্লগে ঢুকেছি এসে দেখে গেছি কোন উত্তর আছে কিনা এবং উত্তর নেই কিন্তু আজকে আবার নতুন পোষ্টিং দেখে আবার সেই কমেন্ট করেছি ..
কিন্তু আমরা যদি আয়েশার বয়স বা যুদ্ধের হিসাবও রাখি তাহলেও দেখা যাচ্ছে আমাদের নবীজি সাঃ বাল্যবিবাহই করেছিলেন। বিজ্ঞানের অগ্রসরতা এবং পারিপার্শ্বিকতার বিচারে আমরা দেখতে পাই ১৮ এর নীচে বিয়ে দেয়াটা একটা মেয়ের জন্য নিরাপদ না বিশেষ করে যেসব অঞ্চলে মেয়েরা পুস্টির অভাবে ভোগে তাদের তো নাই ই না। কি
আপনা যে সুত্র ব্যবহার করেছেন সেখানে যদি ৬ বৎসর বয়স হয় অন্যান সুত্রে বা বেশির ভাগ সুত্র বোলছে ১২ উপরে বয়স ছিল । বাল্য বয়স বোলতে যদি ১৮ নিচের বয়স বোঝান তাহোলে বোলতে হবে ১৪০০ বৎসর আগে আপনি যেই গবেষনা নিয়ে এসেছেন সেটা কেউ জানতো না এবং আপনার নিকট আমার প্রশ্ন =====
১ ) ১৮ আগে বিয়ে করা যদি মেয়েদের জন্য ক্ষতিকর হয় ----
তাহোলে পশ্চিমা বিশ্ব সহ অনেক তৃতিয় বিশ্বের দেশে যে সব দেশে ওপেন সেক্স এলাউড সেখানে ১০ বা ১১ বৎসর বয়সে মেয়েরা কুমারিত্ব হারিয়ে ফেলে এবং নিয়মিত বিভিন্ন ছেলে বন্ধুর সাথে ডেটিং স্লিপিং করে এবং ১৮ বৎসর হওয়ার আগে অন্তত ১০০ পুরুষের সাথে তাদের স্লিপিং হয়ে যায় ১১ থেকে ১৮ বৎসর বয়সের মধ্য অনেকের ১০০০ বেশি স্লিপিং হয়ে যায় যা অনেকটা বিবাহিত জীবনের মতই । তারা তো দিব্বি আছে । যদি বিবি আয়েশা [রা:] বয়স বিয়ের সময় ১২ বা ১৪ বা ১৬ হয় তাহোলে সমস্যা কোথায় ।
আপনার এই সব গবেষনা তে ধরে নিয়েছেন বিবি আয়েশা [রা:] বয়স বিয়ের সময় ৬ ছিল ধরে নিয়ে । এই হাদিস তো কয়েক শ বৎসর আগে ভুল প্রমাণীত হয়েছে কিন্তু এই হাদিস হাদিসের পুস্তক থেকে বাদ এখনো দেওয়া হয় নি ।

২৯ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ১১:০৫

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: আপনা যে সুত্র ব্যবহার করেছেন সেখানে যদি ৬ বৎসর বয়স হয় অন্যান সুত্রে বা বেশির ভাগ সুত্র বোলছে ১২ উপরে বয়স ছিল ।

উত্তর: সিরিয়াসলি? এই বুঝছেন? ড্যুড, তখন আয়েশার বয়স যদি ১৫ ও হয়। আপনি কি দুয়েক জন ঐতিহাসিক আর আপনাদের আহমদীয়া গোষ্ঠির মোহাম্মদ আলি ছাড়া আর কারো টা পড়েন নাই? ওর কাজিন দের বয়স, ফাতেমার ছেলের জন্মের বয়সের হিসাব করলে অন্য বয়স পাওয়া যায়, এগুলা কি পড়ছেন?

তারা তো দিব্বি আছে । যদি বিবি আয়েশা [রা:] বয়স বিয়ের সময় ১২ বা ১৪ বা ১৬ হয় তাহোলে সমস্যা কোথায় ।

উত্তর: ইউ আর সাচ আ পিস। আমি জানি না আপনি কোন ভাষায় কথা বলেন কিসে পারদর্শী বাট আপনার ব্যাড জাজমেন্ট আমাকে এমিউজ করার পরিবর্তে সিম্পলি ইরিটেট করতেছে। আমি এসব বিশেষন ব্যাব হার করতে বাধ্য হলাম কারন আপনার কমেন্টের টোন...একেতো ব্লগের রুল ভাগছেন স্প্যামিং করেন, আল্লাহর কাছে শুকরিয়া করেন আপনাকে রিপোর্ট করে আপনার কমেন্ট ব্যান করাই নাই, তার ওপর বড় গলা। ড্যুড ইউ আর সাচ আ জোক এন্ডরিয়েলি পিসিং মি অফ!

পোস্ট টা আবার পড়েন...আমি ইউরোপ, আমেরিকা সুইডেন নিয়া পোস্ট লিখি নাই। আমার সকল পোস্ট বাংলাদেশ নিয়া, নট ইভেন ইসলাম নিয়েও না। ইসলাম, ইউএন এসব আসছে প্রাসঙ্গিকতার ছলে। আর আমি কোথায় বলছি বা ইউএন বা মেডিকয়াল সায়েন্সের কোন রিপোর্টে বলা আছে যে টিন প্রেগন্যান্সি অর চাইল্ড ম্যারেজ বাংলাদেশের জন্য সমস্যা? আপনি কি দেখছেন আমি যেসব লিংক দিছি চাইল্ড ম্যারেজের ওপর সেখানে কোন কোন দেশের কথা উল্লেখ করা আছে? এবং তাও ওদের সেসব সমস্যা ঠেকানো গেছে কিন্তু কিভাবে ওরা ঠেকাইছে এবং ওদের কি মূল্য দিতে হয় সেটাও কি লেখে নাই? জার্নাল লিংক গুলা কি ফাও দিছি?। বলতে পারেন সেগুলো নিয়ে আলোচনা করি নাই, কেন করি নাই? ড্যুড, আমেরিকা সুইডেন, পশ্চিমা দেশ যাক ভাড় মে, আমি বাংলাদেশ নিয়ে চিন্তা করতেছি। আরও ডাইরেক্টলি কি বলা লাগবে?

আপনার এই সব গবেষনা তে ধরে নিয়েছেন বিবি আয়েশা [রা:] বয়স বিয়ের সময় ৬ ছিল ধরে নিয়ে । এই হাদিস তো কয়েক শ বৎসর আগে ভুল প্রমাণীত হয়েছে কিন্তু এই হাদিস হাদিসের পুস্তক থেকে বাদ এখনো দেওয়া হয় নি ।


উত্তর: ড্যুড, এই ব্লগ আমার গবেষনা না। এটা আমি জীম থেকে এসে হেভী প্রোটিন ডায়েট নিয়ে তারপর যখন ঘুম আসে না তখন এক বসায় লেখি নিজের দায় বদ্ধতা। আর আয়েশা রাঃ এর হাদিস ভুল প্রমানিত হয় নাই। কারন ইবনে হিসামই শুধু না, আরো বেশ কিছু তফসীর কারক আলাদাভাবে এই হাদিস সংগ্রহ করেছে। এই হাদিস এই জন্য ভুল বা বাদ কোনোটাই দেয়া হবে না এই কারনে যে তাহললে আয়েশা রাঃ কর্তৃক প্রদান কৃত বাকী ২২২৪ টি হাদিসও বাতিল খাতায় চলে যাবে। তাই এই হাদিস উক্ত তিন তাফসীর ও আদি হাদিস সংগ্রহকারক কিভাবে আলাদা আলাদা সংগ্রহ করেও পুংখানুপুংখ সেম বয়সটাই পেলো এটার উত্তর কোথাও নেই।

আর এটা বাল্যবিবাহ এই কারনেই যে ১৮ এর নীচে। আর আপনি হয়তো এটাও জানেন না যে আবু বকর রাঃ নবী সাঃ নব্যয়ত প্রাপ্তি আগে কতটা গরীব ছিলো এবং তাদের সন্তানকে খেয়ে না খেয়ে বড় করছে। ইউ হ্যাভ নো আইডিয়া। আর সেই কারনে এদের পুবার্টি কখন এবং কিভাবে এবং গ্রোথ কিভাবে ক্ষতিগ্রস্থও হইছে তা আপনি অপরাপর নবীজি সাঃ এর মেয়ে অথবা তার মা এর প্রেগন্যান্সি অথবা অন্যান্য মহিলাদে জন্মদানের বয়সের হিসাব বের করলেই বুঝতে পারবেন। যদিও আমি শিওর না এখনো কেউ এভাবে খুটায় খুটায় ক্যালকুলেটর নিয়া হাদিস তফসীর পড়ে কিনা।

বেস্ট অব লাক

৩২| ২৯ শে মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৫:৪৫

জাহিদ হাসান বলেছেন: বাংলাদেশে বাল্যবিয়ের কারন কিছুটা আর্থিক আর কিছুটা সামাজিক।
সামাজিক নিরাপত্তা ও দারিদ্রতার কারনে বাল্য বিয়ের ঘটনা ঘটছে।
ধর্মীয় কারনে খুব কম।

২৯ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ১১:০৮

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: ধর্মীয় কারনটা এখানে প্রভাবক হিসাবে কাজ করে। এই যেমন ধরেন সরকারী অফিসে ঘুষ। নতুন কেউ জয়েন করলে অনেককেই দেখছি প্রচন্ড সৎ থাকতে কিন্তু একটা সময় সে আর পারে না। তখন যদি সে স্বীকারও করে বললবে সবাই খায় আমি খাইলেই দোষ? আমাদের সমাজের প্রধান ভিত্তি হলো ধর্মীয় কুসংস্কার আর কুশিক্ষা। দারিদ্র‌্য পশ্চিমা বিশ্বেও আছে কিন্তু তারা এসব করে খুব কম। যেসব দেশের মূল ভিত্তিটাই এসবের ওপর সেসব দেশে এটা মহামারী আকার ধারন করছে

৩৩| ৩০ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ১:০৯

এ আর ১৫ বলেছেন: এই আর্টিকেলের হেডিং ইসলামে সত্যি কি বাল্য বিবাহ জায়েজ এবং ভিতরে কোরান হাদিসের রেফারেন্স দিয়ে আলোচনা করা হয়েছে যার পরিপেক্ষিতে আমি ২৭ নাম্বার কমেন্টটা করি এবং সেই কমেন্টের প্রক্ষিতে বহুদিন পরে যে উত্তর আপনি করেছেন সেটার একটা অংশ হাইলাইট করে ( ৩১ নং কমেন্ট) সেই হাইলাইট অংশের জবাব আমি দিয়েছি ।
এখানে বাংলাদেশ প্রসঙ্গ কি করে আসলো এবং এই আর্টিকেলে যে সমস্ত লিংক দিয়েছেন সব ই তো ইসলামিক দলিলের , এই আর্টকেলে কোন জার্নালের লিংক দিয়েছেন ।
আমার ৩১ নং কমেন্টে আপনার কমেন্টের অংশকে হাইলাইট করে তার উত্তর দেওয়া হয়েছে , আপনি বলেছেন রসুল [সা:] বাল্য বিবাহ করেছেন যেহেতু সব সুত্রই প্রমাণ করে বিবি আয়েশা [রা:] বয়স ১৮ নিচে ছিল , তার উত্তরে আমি বলি ১৪০০ বৎসর আগে মানুষ বাল্য বিবাহের ভয়াভয়তা নিয়ে সচেতন ছিল না এবং তেমন গবেষনা হয় নি এবং তার প্রেক্ষিতে আমি প্রশ্ন করেছি যে সমস্ত দেশে ওপেন সেক্স কালচার আছে ঐ সমস্ত দেশের মেয়েরা ১১ বৎসর থেকে ১৮ বৎসর বয়সের মধ্য ১০০০ উপর বার সেক্স করে বিবাহ ছাড়াই এবং তাতে তাদের শারিরিক কোন ক্ষতি হয় না ইত্যাদি
আপনি দাবি করেছেন এই আর্টিকেল শুধু বাংলাদেশ নিয়ে অতচ সব রেফারেন্স কোরানের এবং টাইটেল ইসলামে বাল্য বিবাহ সত্যি কি জায়েজ ??? তাহোলে আমার ২৭ তম কমেন্টের ভুল কোথায় ? আমি তো ইসলামের বাল্য বিবাহ সংক্রান্ত আলোচনা পোষ্ট করেছি এবং আপনি তার যে উত্তর দিয়েছে তার একটা অংশকে হাইলাইট করে একটা প্রশ্ন সহ উত্তর দিয়েছি ।

আপনি এই আর্টিকেলে ৮ টা লিংক রেফারেন্স দিয়েছেন সব ইসলামিক লিংক এবার দেখান এখানে বাংলাদেশ বিষয়ে কো্থায় আলোচনা করেছেন এবং সেই সব সায়েন্স জার্নালের লিংক কোথায় ?

আমার ২৭ নং কমেন্টের উত্তরে যা বলেছেন তার একটা অংশকে হাইলাইট করে আমার ৩১ নং কমেন্ট ।
আপনি যেহেতু একই বিষয়ের উপর অনেক পোষ্টিং করেছেন এবং ইসলামিক বিষয় সহ তাহোলে আমার ২৭ নং পোষ্টিং এর দোষ কোথায় ??? আমি কি কারনে একই কমেন্ট পুন পোষ্ট করেছি তার ব্যাখা আমি করেছি ।
এবার দেখান এই আর্টিকেলে বাংলাদেশ বিষয়ে কি লিখেছেন এবং কোথায় জার্নাল রেফারেন্স গুলো ? কেন এই আর্টকেলের টাইটেল ইসলামে সত্য কি বাল্য বিবাহ জায়েজ এবং কেন যে আটটা লিংক দিয়েছেন সব গুলো ইসলামিক বিষয়ে ???

৩০ শে মার্চ, ২০১৭ ভোর ৪:৫৬

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: আমি ঠিক বুঝতে পারতেছি না আপনি পুরো পোস্ট টা পড়ছেন কিনা। প্রথম প্যারা দ্বিতীয় প্যারা তে এখন যা বলছি তাই একটু বেশী শব্দ দিয়ে ব্যাখ্যা করে তৃতীয় প্যরা থেকেই বাংলাদেশের ব্যাপারটা এনেছি। আর এটা বাংলাদেশের প্রেক্ষিতে এজন্যই লেখা যে বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষ আসলেই দ্বিধায় থাকে ইসলামে এটা জায়েজ না নাজায়েজ। সেটাকে ক্লিয়ার করার জন্য।

আচ্ছা আমি ধরেই নিলাম আপনি ঠিক ইসলামে বাল্যবিবাহ জায়েজ না। তাহলে আমি আপনাকে ইয়েমেনের রেফারেন্স দেই তাদের বিবাহ আইন সম্পর্কে। সেখানে ৯ বছর হতে মেয়েদের বিয়ের যোগ্য হিসেবে বিবেচনা করা হয় শুধু মাত্র আয়েশা রাঃ এর বিয়ের বয়স মাথায় রাখে। শুধু ইয়েমেন না, সৌদী আরবের বিয়ের বয়সও নীচের দিকে কোনো সীমারেখা নাই। এরকম শরীয়া আইন যে কটা আছে প্রায় সব দেশেই মেয়েদের বিয়ের বয়স নির্দিষ্ট সীমার নীচে। সুন্নীদের মধ্যে এই ধারনাটাই প্রতিষ্ঠিত কারন নিও মুসলিম দের আয়েশা রাঃ এর বয়স উপরের দিকে কত সেটা নিয়ে শুধু বিতর্কের জন্ম দিছে যেটাার কারন আমি আপনাকে বলেছি। আপনি যদি আসমা রাঃ এর মৃত্যু বয়স চিন্তা করেন তকন তার বয়স একরকম হয়, তার কাজিনদের বয়স নিয়ে চিন্তা করেন তাহলে এক বয়স হয়, শুধু মাত্র আলি নিসাঈ আর আল তাবারীর হিসাবটা একই দেখা যায় যেটা ৬। এখন আপনি যদি মাদ্রাসাতে পরেন এসব ক্ষেত্রে বিশ্বাস যোগ্য সোর্স সমূহের কতটা মিল সেটাকেই প্রাধান্য দেয়া হয়। তখন ঐ আসমা মৃত্যুবয়স, তার কাজিন অথবা ফাতিমার গর্ভপাতের সময়কার হিসাব করার কারো ইচ্ছা থাকে না। তারপরও আপনি যদি মানতে চান তাহলে আমার পক্ষ থেকে তো কোনো সমস্যা নাই। হুদাই এটা নিয়া ত্যানা পেচাইতেছেন কেন? আর আমি নবিজী সাঃ এর চরিত্র নিয়া কোনো ক্যাচাল তো করতেছি না।

দ্বিতীয় কথা হলো তখন জানতো না অল্প বয়সে বিয়া দিলে সমস্যা এখন জানে এই সমস্যা হয়...তো তাতে হইছে কি? আমি কি মহানবী সাঃ পেডোফাইল বা ইসলাম ধর্ম মিথ্যা (নাউজুবিল্লাহ) বইলা গালি দিছি? আমি খালি দেখাতে চাইছি ইসলামে মেয়েদের সর্বনিম্ম কত বছর বয়সে বিয়া দেয়াটা জায়েজ এবং তখন বিয়ে দেয়ার সময় কি কি দেখা হয়। এইখানে আমাকে খোচানোর কোনো প্রয়োজন দেখি না। যদি কোনো আয়াত বা তার অর্থ বা ইন্টারপ্রিটেশন অথবা তার তাফসীর অথবা কোনো হাদিসকে বিকৃতকরন করে থাকি সেটা নিয়ে কথা বলেন। এখানে হয়তো বলতে পারেন আমি আয়েশা রাঃ এর বয়স নিয়ে কেন বিষদ আলোচনা করিনাই। করিনাই কারন এগুলো কোনো একটা সুনির্দিস্ট বয়স উল্লেখ করে না। আর একজন নিয়মিত কোরান ও হাদিস চর্চা কারী হিসেবে এটা আমার পক্ষে সম্ভব না যে একটা টালমাটাল বিষয়কে মেনে নেয়া। আপনি যদি একটু পড়ালেখা করেন তাহলে চার মাযহাবের চার ইমাম কিভাবে হাদিস সংগ্রহ করে তার ক্লাসিফিকেশন করছে। যেখানে খোদ কোরানের আয়াত আল্লাহ নিজে রদ করতে পারেন সেখানে তারা হাদিসের ক্লাসিফিকেশন করতে পারেন বৈকি!

আমি আগেও বলছি এখনো বলছি বালল্যবিবাহ সব দেশের সকল মেয়েদের জন্যই খারাপ কিন্তু আমার কনসার্ন শুধু বাংলাদেশ নিয়ে আর ধর্ম নিয়ে যে কনফিউশন আছে সেটা দূর করা এবং সেটা মেনে নেয়া এখন সেটা কারো ভালো লাগলে লাগুল বা নাই লাগুক। সত্য মেনে নিতে আমি কোনো সমস্যা দেখি না!

ভালো থাকবেন!

৩৪| ৩০ শে মার্চ, ২০১৭ সকাল ১১:৩৯

এ আর ১৫ বলেছেন: শুনুন কথা ঘুরাবার চেষ্টা করেন না , আমার ২৭ নং কমেন্টের উত্তরে আপনি যা বলেছেন সেটার উত্তর আমি যা লিখেছি ৩১ নং কমেন্টে তারপর যে উত্তর দিয়েছেন আগে সেটা আলোচনা করি ====
তখন আয়েশার বয়স যদি ১৫ ও হয়। আপনি কি দুয়েক জন ঐতিহাসিক আর আপনাদের আহমদীয়া গোষ্ঠির মোহাম্মদ আলি ছাড়া আর কারো টা পড়েন নাই?
----- আপনাদের আহমদীয়া গোষ্ঠির ????? এই লিংকে গিয়ে আমার কমেন্ট ৩টা পড়ে আসুন --- অ-আহমদীদের কাছে আমার প্রশ্ন
ওর কাজিন দের বয়স, ফাতেমার ছেলের জন্মের বয়সের হিসাব করলে অন্য বয়স পাওয়া যায়, এগুলা কি পড়ছেন?
না পড়িনি এবং পড়ার কোন প্রয়োজন নেই !!!! আমি তার বয়স যে ছয় ছিলনা তার সপক্ষে ৮ টা সুত্র দিয়েছি এবার আপনি তার বয়স ৬ ছিল এর পক্ষে যে কটা সুত্র আছে নিয়ে আসেন তাতে কিছুই আসা যায় না কারন সেটাকে অগ্রাহ্য করার জন্য আমি কোরানের আশ্রয় নিবো ---
12. দলিল আরো অনেক আছে, কখনো পরস্পর বিরোধী, তাই তা থেকে সিদ্ধান্ত নেয়া কঠিন। তবে এবারে কোরান। সুরা নিসা আয়াত ৬:-“এতীমদের প্রতি বিশেষ নজর রাখবে যে পর্যন্ত না তারা বিয়ের বয়সে পৌঁছে। যদি তাদের মধ্যে বুদ্ধি-বিবেচনার উন্মেষ আঁচ করতে পার, তবে তাদের সম্পদ তাদের হাতে অর্পন করতে পার”।

কি মনে হয়?

"যে পর্যন্ত না তারা বিয়ের বয়সে পৌঁছে......তাদের মধ্যে বুদ্ধি-বিবেচনার উন্মেষ আঁচ করতে পার" - এর অর্থ বিয়ের বয়স তখনি হবে যখন তাদের মধ্যে বুদ্ধি-বিবেচনার উন্মেষ হবে। কথাটা নাবালিকাদের ক্ষেত্রে খাটে? না, খাটে না। বাল্য-বিবাহ ওখানেই সুস্পষ্ট ভাষায় নাকচ করেছে কোরান !!

উত্তর: ইউ আর সাচ আ পিস। আমি জানি না আপনি কোন ভাষায় কথা বলেন কিসে পারদর্শী বাট আপনার ব্যাড জাজমেন্ট আমাকে এমিউজ করার পরিবর্তে সিম্পলি ইরিটেট করতেছে। আমি এসব বিশেষন ব্যাব হার করতে বাধ্য হলাম কারন আপনার কমেন্টের টোন
আমি এই কমেন্টটা করে ছিলাম (তারা তো দিব্বি আছে । যদি বিবি আয়েশা [রা:] বয়স বিয়ের সময় ১২ বা ১৪ বা ১৬ হয় তাহোলে সমস্যা কোথায় ।)
আপনার এই কমেন্টের প্রক্ষিতে {কিন্তু আমরা যদি আয়েশার বয়স বা যুদ্ধের হিসাবও রাখি তাহলেও দেখা যাচ্ছে আমাদের নবীজি সাঃ বাল্যবিবাহই করেছিলেন} ---- এবং এর কনশেকোয়ানস হিসাবে এই প্রশ্ন করেছি তারপর শুরু হোল আপনার হেদায়েতি লেকচার ==========
পোস্ট টা আবার পড়েন...আমি ইউরোপ, আমেরিকা সুইডেন নিয়া পোস্ট লিখি নাই। আমার সকল পোস্ট বাংলাদেশ নিয়া, নট ইভেন ইসলাম নিয়েও না।
তাই নাকি তাহোলে পোষ্টার টাইটেল এইটা কেন --- বাল্যবিবাহ -১: ইসলামে কি সত্যি বাল্যবিবাহ জায়েজ? একটা উন্মুক্ত আলোচনা ----- আর বাংলাদেশ সম্পর্কে লিখা হয়েছে এই টুকু ((((( বাংলাদেশ ক্ষুদ্র দেশ হলেই জনসংখ্যার ঘনত্বের দিক থেকে বিশ্বের প্রথম সারিতেই। স্বাধীনতা যুদ্ধের পর বাংলাদেশের জনসংখ্যা প্রায় ৭ কোটি হলেও ৪৫ বছর পর তা এখন বেড়ে দাড়িয়েছে ১৬ কোটিতে। আমরা জনসংখ্যা বৃদ্ধির হারে লাগাম ধরতে পারলেও জনসংখ্যার বিস্ফোরন ঠেকাতে পারিনি। বলা হয় কুসংস্কার, বাল্যবিবাহ (যার ফলে অধিক সন্তান গর্ভ ধারন), শিক্ষার অভাব ইত্যাদি এজন্য দায়ী। তবে এটা ঠিক দক্ষিন এশিয়ায় সর্বোচ্চ বাল্যবিবাহের হার বাংলাদেশেই। সরকারের নানা প্রচেষ্টা সত্বেও বাল্যবিবাহ ঠেকানো যাচ্ছে না।))))))
আর বাকি সব কোরান হাদিস থেকে আলোচনা
আর আমি কোথায় বলছি বা ইউএন বা মেডিকয়াল সায়েন্সের কোন রিপোর্টে বলা আছে যে টিন প্রেগন্যান্সি অর চাইল্ড ম্যারেজ বাংলাদেশের জন্য সমস্যা? আপনি কি দেখছেন আমি যেসব লিংক দিছি চাইল্ড ম্যারেজের ওপর সেখানে কোন কোন দেশের কথা উল্লেখ করা আছে? এবং তাও ওদের সেসব সমস্যা ঠেকানো গেছে কিন্তু কিভাবে ওরা ঠেকাইছে এবং ওদের কি মূল্য দিতে হয় সেটাও কি লেখে নাই? জার্নাল লিংক গুলা কি ফাও দিছি?
কোথায় মেডিকেল সায়েন্স রিপোর্ট কোথায় ফাও জার্নাল রিপোর্ট --- আট টা লিংক দেওয়া হয়েছে ইসলাম বিষয়ক !!!!!!!

আর আয়েশা রাঃ এর হাদিস ভুল প্রমানিত হয় নাই। কারন ইবনে হিসামই শুধু না, আরো বেশ কিছু তফসীর কারক আলাদাভাবে এই হাদিস সংগ্রহ করেছে।
তাতে কি সব কিছু ভন্ডুল হয়ে যাবে । ৮ টা সুত্র দিয়ে এই হাদিসকে ভুল বলা যায় এবং সুরা নিসার আয়াত ৬ দিয়ে বাতিল করা যায়

এই হাদিস এই জন্য ভুল বা বাদ কোনোটাই দেয়া হবে না এই কারনে যে তাহললে আয়েশা রাঃ কর্তৃক প্রদান কৃত বাকী ২২২৪ টি হাদিসও বাতিল খাতায় চলে যাবে।
মনে হচ্ছে হাদিস গুলো ভাতের মত , ভাত রান্না করার সময় ভাত হয়েছে কিনা বোঝার জন্য একটা ভাত টিপলে যেমন বোঝা যায় সব ভাত হয়েছে কি হয়নি ঠিক তেমনি বিবি আয়েশার একটা হাদিসে গড় মিল থাকলে তার ২২২৪ টা হাদিসেও গরমিল আছে প্রমাণ হয়ে যাবে !!!!! হাদিসে যে গরমিল আছে সেটা তো ওপেন সিক্রেট কারন এগুলো ৩০০ বৎসর পর লিখা হয়েছিল ।

তাই এই হাদিস উক্ত তিন তাফসীর ও আদি হাদিস সংগ্রহকারক কিভাবে আলাদা আলাদা সংগ্রহ করেও পুংখানুপুংখ সেম বয়সটাই পেলো এটার উত্তর কোথাও নেই।
উত্তর থাকলে ও কিছু কি আসে যায় ???? যেখানে কোরানের আয়াত আছে

দেখুন আমার ২৭ নং কমেন্টে বাল্য বিবাহ ইসলাম বিরুধী বলে মত প্রকাশ করা হয়েছে এবং লেখকের নাম হাসান মাহমুদ , একজন শরিয়া আইনের এক্সপার্ট । ইয়েমেনে আরবে বা অন্য কোন মুসলিম দেশে বাল্য বিবাহ জায়েজ থাকলে তা হবে কোরান লংঘন সেই বক্তব্য বেরিয়ে আসে জনাব হাসান মাহমুদের লিখা থেকে ।

আমার একটা ব্যক্তিগত প্রশ্ন আপনার কাছে ---- আপনার সমস্যাটা আসলে কি ???? কেউ যদি আপনার মতের বিপরীতে যায় তাকে বাশ দিতে চান, কেউ যদি আপনার মতের পক্ষে থাকে তাকে ও বাশ দিতে চান -- ব্যপারটা ঠিক বুঝে আসছে না । আপনি যেমন বাল্য বিবাহ বিরুধী আমি তেমন বাল্য বিবাহ বিরুধী তাহোলে তো আপনার সাথে আমার শত্রুতা হওয়ার কথা না কিন্তু আপনার আচরন তো অবিশ্বাষ্য , কেউ যদি আপনার প্রসংশা করে তাকে ও বাশ দেন । জিনিসটাকে অদ্ভুত মনে হচ্ছে ।
কিছু দিন আগে আপনার একটা লিখা ( সৌদী আরবের ধর্ষন পরিসংখ্যান এবং শরীয়া আইনের নামে নারী অধিকারের তামাশা) অনেকের দৃষ্ঠি আকর্ষন করে এবং জনাব হাসান মাহমুদ ও আপনার খুব প্রসংশা করেন কিন্তু পরে দেখা গেল আপনি তার সম্পর্কে উল্টা পাল্টা কথা বলা শুরু করেছেন !!!!!!! আপনি বাল্য বিবাহের বিপক্ষে এবং আমি ও বিপক্ষে কিন্তু আপনি তো রিতীমত শত্রুর মত আচরন কোরছেন । আমি যখন প্রমাণ করতে যাই বিবি আয়েশা [রা:} বয়স ১২ উপরে ছিল তখন আপনি বলেন না না ৬ ছিল , আমি যখন বোলতে যাই বাল্য বিবাহ কোরান বিরুধী তখন আপনার টোন উল্টো এবং হাদিস নিয়ে আসেন ইসলাম সম্মত প্রমাণ করার জন্য ।

০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৮:৪৮

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: আপনাদের আহমদীয়া গোষ্ঠির ????? এই লিংকে গিয়ে আমার কমেন্ট ৩টা পড়ে আসুন --- অ-আহমদীদের কাছে আমার প্রশ্ন


: আপনার পোস্ট পড়েছি কিন্তু আলোচনা করার সময় নাই। তবে আমি একজন মুসলমান হিসেবে (এপার্ট ফ্রম অল দ্যা মাযহাবস), আপনি যদি বেসিক জিনিস বিশ্বাস করেন সেহেতু আমার কোনো সমস্যা নাই...তবে নয়া মাসীয়া এবং তদসংলগ্ন আর্টিক্যল নিয়া আমার চুলকানী আছে এবং যেহেতু আমি ইসলাম সম্পর্কে সর্বজ্ঞ নই সেহেতু এই সব আনপ্রেডিক্টেবল, লেস ডিফিনিট এবং নীয়ারলি লেসার ইম্পর্ট্যান্ট নিয়ে কথা বলার প্রয়োজন অনুভব করতেছি না। শুধুমাত্র এতটুকু ব্যাবধানের কারনে আপনাকে আহমদীয়া বলে সম্বোধন করেছি এবং আমার কাছে আপনার ব্যাক্তি স্বাধীনতা ততক্ষন গুরুত্বপূর্ন যতক্ষন না আপনি আপনার বিশ্বাস দিয়া আমাকে বিরক্ত করতেছেন এবং এটা শুধু আপনার ক্ষেত্রেই নয়, সমভাবে শিয়া, সুন্নী, বাহাই, হিন্দু, বৌদ্ধ, নাস্তিক ইত্যাদী এর ওপর সমানভাবে প্রযোজ্য। কারন এরা সবাই আমার কাছে সমান।

না পড়িনি এবং পড়ার কোন প্রয়োজন নেই !!!!

: ড্যুড, আমার মনে হয় আপনার সাথে আর আলোচনা করার প্রশ্নই আসে না। ক্ষমা করেন। বিদায়।

৩৫| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১:২৩

সাগর কর্মকার বলেছেন: কি যে বলব ধার্মিক রা যে কেন এগুলো করলো :)

০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৮:৪৯

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: আসলে আমাদের মধ্যে অস্থিরতম নৈতিক অবক্ষয় হচ্ছে আর আপনি যা দেখছেন এগুলো তারই ভগ্নাংশ মাত্র

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.