নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ঈশ্বর পটল তুলছে - নীৎসে/নীশে/নিৎচা

উদাসী স্বপ্ন

রক্তের নেশা খুব খারাপ জিনিস, রক্তের পাপ ছাড়ে না কাউকে, এমনকি অনাগত শিশুর রক্তের হিসাবও দিতে হয় এক সময়। গালাগাল,থ্রেট বা রিদ্দা করতে চাইলে এখানে যোগাযোগ করতে পারেন: [email protected]

উদাসী স্বপ্ন › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাল্যবিবাহ-২: সমাজ, রাস্ট্রের ওপর এর কি প্রভাব? বিজ্ঞান কি বলে?

২০ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ৯:২৪



আমার আগের পোস্টে বাল্যবিবাহ সম্পর্কে ইসলাম কি বলে তা নিয়ে আলোচনা করার চেস্টা করেছি যে ইসলামিক স্কলাররা দু পক্ষ নিয়েই কথা বলেছেন। তবে দু পক্ষ যাই বলুক ইসলামে বিয়ের ন্যুনতম বয়স সীমা নিয়ে কোনো বিধি নিষেধ নেই তবে বিয়ে হলে কি করনীয় সেটা নিয়ে কথা বলা আছে। আবার আমরা সকলেই জানি হযরত মুহম্মদ সাঃ এর সর্বকনিষ্ঠা স্ত্রী হযরত আয়েশা রাঃ এর স হী হাদিস অনুসারে তাদের বিয়ে হয়েছিলো যখন আয়েশা রাঃ এর বয়স ছিলো মাত্র ৬ এবং স হবাস হয়েছিলো তাদের যখন তার বয়স ছিলো ৯।

তার মানে বিয়ের ব্যাপারে কোনো সর্বনিম্ন বয়স না থাকলেও স হবাসের জন্য যেহেতু তিনি তার বয়ঃসন্ধী পর্যন্ত অপেক্ষা করেছিলেন আমার মনে হয় এটা আমরা সুন্নত হিসেবে ধরতে পারি। যদি নাও ধরি, তাহলে নিজের কমনসেন্সের ওপর ছেড়ে দেই। তার মানে কাহিনী যেটাই হোক ইসলামে বাল্যবিবাহে কোনো বিধি নিষেধ নাই এবং মোটামোটি সুন্নতের কাতারে ফেলা যায়। যদিও হযরত আসমা রাঃ, যিনি কিনা হযরত আয়েশা রাঃ এর বড় বোন তার মৃত্যু সাল হিসেব করলে দেখা যায় বিবাহের সময় হযরত আয়েশা রা এর বয়স ছিলো ১৬। তাহলে হযরত আয়েশা রাঃ এর মুখ থেকে নিঃসৃত তার নিজের বয়স সম্পর্কিত হাদিসটি মিথ্যে হয়ে যায় যার ফলে তার মুখ দ্বারা নিঃসৃত প্রায় আড়াই হাজার হাদিস সন্দেহের মধ্যে পড়ে যায় যার পরিনতি আরো ভয়াবহ। আমরা সেই বিতর্কে না যাই।

এই পোস্টের মূল উদ্দেশ্য হলো বাল্যবিবাহের ফলে সমাজ রাস্ট্রের ওপর কি প্রভাব পড়ে এবং বিজ্ঞান অনুযায়ী এর প্রতিক্রিয়া কি।

এই পোস্টের সাথে ইসলামের ভালো মন্দ দোষ ত্রুটি ইত্যাদি যাই হোক, শুধু ইসলাম নয়, অন্য কোনো ধর্ম নিয়েও আমরা আলোচনা করবো। যদি করতেই চাই তাহলে আমার আগের পোস্টে করবো। যদিও আমার মনে হয় খুব ডিটেইল আলোচনায় গেলে এর ব্যাপ্তি প্রচুর বিস্তৃত হবে যা একটা ব্লগে সম্ভব না সেহেতু আমি দুটো প্রক্রিয়ার আশ্রয় নেবো:

১) গুরুত্বপূর্ন পয়েন্টে আমি লেখার মধ্যে হাইপারলিংক করে দেবো যাতে করে ওখান থেকে আপনি ঐ জার্নাল বা পাবলিকেশনের লিংক দেখে পড়ে নিতে পারেন আরো বিস্তৃতভাবে। এই লিংক গুলো নিয়ে কমেন্টে আমরা আলোচনা করতে পারি।
২) পোস্ট টি দুভাগে ভাগ করবো। প্রথম ভাগে আমরা আলোচনা করবো সমাজ রাস্ট্রের ওপর এর কি প্রভাব এবং পরের অংশ মেডিক্যাল সায়েন্স নিয়ে কিছু কথা বার্তা। রেফারেন্স গুলো লিংক আকারে লেখা তে দিয়ে দেবো যাতে করে রেফারেন্সের জন্য নীচে স্ক্রল করতে না হয়।

সমাজ, রাস্ট্র এবং বাল্যবিবাহ:

বাল্যবিবাহের নির্দেশনা অনুসারে ১৮ বছরের নীচে কোনো মেয়ের বিয়ে হলেই সেটা বাল্যবিবাহ হিসেবে পরিগনিত হবে। ছেলেদেরও একটা বয়সের ব্যাপার আছে কিন্তু ছেলেদের ব্যাপার নিয়ে আলোচনা করবো না এই পোস্টে।

বই পুস্তকের মতো পকর পকর করার আগে আসুন একটু ভিডিও দেখি আর এন্টারটেইনড হই। আগেই বলে নেই আমার এই পোস্ট ইসলাম বা মুসলমানদের উদ্দেশ্য করে নয়। বাংলাদেশের পরিপ্রেক্ষিতে বাল্যবিবাহের কি প্রভাব সেটাই নির্নয় করা। অন্য দেশের কথা আসতেই পারে তবে তা উপাত্ত সমর্থনের ক্ষেত্রে।



ভিডিওটা দেখা শেষ করেছেন বোধ হয়। তাহলে আসুন নীচে কিছু ইনফো আমরা পড়ি:

১) ইউনিসেফ অনুসারে বাল্যবিবাহের দিক থেকে বাংলাদেশ পৃথিবীতে ৩য় তম স্থান অধিকার করেছে। এর আগে আছে আফ্রিকার চাদ (৭২%), মালি (৭১%) এবং বাংলাদেশ (৬৪%)। এর বয়স সীমা ১৮ বছরের নীচে।
২) যদি আমরা বয়স সীমা ১০-১৫ ধরি তাহলে বাংলাদেশ চতুর্থ। তার আগে আছে নাইজার, চাদ এবং সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিক।
৩) বাল্যবিবাহ জনসংখ্যা বিস্ফোরনের সাথে সরাসরি সম্পর্ক যুক্ত।
৪) ১৫-১৯ বছর বয়সের সন্তান জন্ম দেবার সময় মাতৃমৃত্যুর হার ২০ বছরের উপরে মাতৃমৃত্যু হারের দ্বিগুন। আর ১৫ বছরের নীচে হইলে ৭ গুন বেশী। তার মানে বয়স যতো কমবে, সন্তান জন্ম দেবারসময় মাতৃমৃত্যুর হার তত বেশী! ১৮ বছরের নীচে শিশুর জন্ম দিতে গিয়ে দেখা যায়৩৫ থিকা ৫৫% শতাংশকম ওজনের শিশু জন্ম দেয় যা শিশুর দেহের জন্য মারাত্মক জটিলতার সৃষ্টি করে এবং জীবন ঝুকির মধ্যে ফেলে।
৫) ইউনিসেফ তাই একে মেয়েদের জন্য এক প্রকারের মৃত্যুদন্ডবলে ঘোষনা দিয়েছে।
৬) ১৮ বছরের গর্ভবতী মায়ের শিশুর অল্প ওজন এবং ৪০ সপ্তাহের জায়গায় ৩২-৩৪ সপ্তাহেই মিসক্যারেজ বা গর্ভপাত হবার প্রবনতা ১৯ বছরের চেয়ে ৩৫ থেকে ৫৫% বেশী। শিশুমৃত্যুর হার ১৮ বছরের নীচে ৬০ শতাংশ বেশী।আর যেগুলা বাইচা থাকে সেগুলা অপুষ্টি আর দুর্বল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা নিয়ে জন্মায়।
৭) বাল্যবিবাহের কারনে অতিরিক্ত জনসংখ্যা, রোগের প্রাদুর্ভাব আর এতিম হবার সাথে সরাসরি সম্পর্কযুক্ত।
৮) শিশুবিবাহের কারনে অশিক্ষিতের হার বেড়ে যায় এবং স্কুল ছাড়ার প্রবনতা সবচেয়ে বেশি।

তার মানে বাল্যবিবাহের কারনে সমাজের কোনো লাভ হয় বলে আমার মনে হয় না। দৃশ্যতঃ ভৌগলিকভাবে যেকোনো দেশের কথাই ধরি না কেন সেই দেশের শিক্ষার হার থেকে শুরু করে জনসংখ্যার দ্রুত বৃদ্ধি, মাতৃমৃত্যুকে সরাসরি প্রভাবান্বিত করে যা পরিসংখ্যান গত গবেষনায় সুনির্দিষ্টভাবে ফুটে উঠেছে। তবে ইদানিং অনেকে বলেন মেয়েদের ব্যাভিচারী রুখতে অনেকে বাল্যবিবাহ দিতে বাধ্য হোন। সেক্ষেত্রে বলা যায় একটা মেয়ে যদি ব্যাভিচার করেই থাকে তাহলে আধুনিক সমাজ ব্যাবস্থায় কি তাকে মেরে ফেলবেন? কারন বাল্যবিবাহের আরেক নাম মৃত্যুদন্ডই বলা যায় (ইউনিসেফের ভাষ্যমতে: যদিও বক্তব্যটা জেনারালাইজ কিন্তু বাংলাদেশের নিম্ন মন মানষিকতার জনমানুষ আর সমাজ ব্যাবস্থা এর দিকেই ঠেলে দেয়।)

বিরুদ্ধমত: বিরুদ্ধমত বলতে যারা বাল্যবিবাহের পক্ষে আমি তাদের কথা বলছি। তাদেরই একজন এই জার্নালের লিংক এবং জার্নালের মধ্য থেকে কিছু অংশ সুবিধামত উদ্ধৃত করে বললেন আসলে বাল্যবিবাহ স্বাস্থ্য ঝুকিতে ফেলে না। আপনারা জার্নালটি ভালো মতো যদি পড়ে দেখেন তাহলে দেখবেন এটা কোনো জার্নাল বা পাবলিকেশন না। এটা কিছু বিজ্ঞ লোকের কতগুলো জার্নাল একত্রিত করে কতগুলো রচনা লিখেছেন যা মূলত নীতি নির্ধারকদের জন্য তৈরী করা।তার মানে এগুলো কোনো গবেষনা গ্রন্থ নয়। এগুলো প্রবন্ধ।

আসুন আমরা এই রচনাগুলোর ওপর একটু আলোকপাত করি। এই লিংকের প্রায় সব রচনার টপিক হলো টিন প্রেগন্যান্সি যেখানে ১৫ থেকে ১৯ বছরের মেয়েদের ওপর যাবতীয় কিছু স্টাডী আছে। এখন আপনি একটা জার্নাল সম্পর্কে কথা বলতে গেলে দেখবেন তার মাঝখান থেকে কথা বলে আপনি নিজের মতো করে সিদ্ধান্ত নিতে পারেন না।

Several studies have found that teenage pregnancy is associated with adverse outcomes for both mother and baby. These include low birthweight, prematurity, increased perinatal and infant mortality and poorer long-term cognitive development and educational achievement for both mother and child.8,9 However, studies which have aimed to address the underlying causes of these adverse outcomes—by controlling for additional factors— have produced conflicting results. Some suggest that adverse outcomes remain even after controlling for maternal socioeconomic position and other confounding factors,8 some find that age has no effect,10–12 whereas other studies report that once maternal socioeconomic position and smoking are taken into account young age is actually associated with better outcomes.13–16

এই অংশে দেখা যায় তারা টিন প্রেগন্যান্সী নিয়ে কথা বলেছেন যার পক্ষে বিপক্ষে উভয় মতেই মত আছে। কিন্তু আপনি যদি অংশের পর আরো এগুতে থাকেন তাহলে তারা একেক সময় একেক কথা বলছে। একবার বলতেছে টিন প্রেগন্যান্সী ভালো আরেকবার বলে মন্দ কিন্তু উপসংহারে গিয়ে বলটেছে যদি অর্থনৈতিক সাপোর্ট দেয়া আর প্রথম শিশুর জন্ম যদি ৩০ এর দিকে নেয়া যায় তাহলে এই সমস্যা হবে না।

In the developed world it is increasingly common for women to delay their first birth until they are in their thirties—indeed the mean age of first birth for married women in England and Wales was 29.3 in 1999.26 Across Western Europe the age of first-time mothers is at an all time high, which demographers attribute to social and economic factors such as female and male wages and career planning on the part of women.27

কিন্তু গোলটা বাধে তখনই যখন আপনি উপসংহারে যাবেন। সেখানে টনি ব্লেয়ারের উক্তি দিয়ে লেখক সবার কাছে আর্জি জানাইছে যে টিন প্রেগন্যান্সী নিয়ে ভেবে দেখতে। তার মানে এটা কোনো জার্নাল না, এটা হলো টিন প্রেগন্যান্সীর পক্ষ নিয়ে কিছু ডাক্তারে চিঠি। এখন জার্নাল আর চিঠির মধ্যে পার্থক্য সেটা হয়তো পাঠকেরা ভালোই বুঝতে পারেন। তার চেয়ে বড় কথা হলো এই চিঠিগুলোর উপরে একটা কথা লেখা POINT–COUNTERPOINT। তার মানে দেখা যাচ্ছে এই চিঠি গুলো মূলত দুই দিক আলোচনা করে সরকারের ওপরই ছেড়ে দিয়েছেন তাদের ডিসিশনের ওপর তাও শুধু উন্নত দেশে। আর আমরা উন্নয়নশীল এবং দারিদ্র‌্যপূর্ন দেশ যেখানে খাদয় স্বাস্থ্য বাসস্থান এবং চিকিৎসা সবাইকে দেয়ার মতো ক্ষমতা আমাদের নাই। নিজের তেমন কোনো ডিসিশন দেন নি এই টপিকের ওপর। আর তাও আবার মেডিক্যাল সায়েন্স নিয়ে কোনো আলোচনাতেও যাননি।

তো আমি ঠিক বুঝলাম না বাল্যবিবাহের পক্ষে যারা কথা বলেন তারা এরকম একটা সেন্সিটিভ ইস্যুতে কতগুলো চিঠি চালাচালি নিয়ে কেন মেতে থাকেন বুঝি না যেখানে হাজার হাজার পীয়ার রিভিউড জার্নাল রেখে এমন চিঠি পত্র নিয়ে কিভাবে মজে থাকেন ঠিক বুঝতে পারলাম না।

যাই হোক, উপরের এই টপিকে আরো আলোচনা করা যেতে পারে যেখানে আমি শুধু বাল্যবিবাহের ফলে সমাজ বা রাস্ট্রে কি ভালো মন্দ প্রভাব পড়ে তার পরিসংখ্যান গত দিক তুলে ধরলাম।

বিজ্ঞানের দৃষ্টিতে বাল্যবিবাহ:

প্রিকোশিয়াস পুবার্টি: প্রিকোশিয়াস পুবার্টির অর্থ হলো অনেক সময় মেয়েদের পিরিয়ড হয় অতি অল্প বয়সে হয় তার মানে অনেকের কৈশোরে পদার্পন করার আগেই বয়োঃসন্ধি হয়ে যায়। অল্প বয়স বলতে ১০ বছরের নীচে। এর কারন অনেক তবে একে দুই ভাবে ভাগ করা যায়। যদি কারন গুলো পিটুইটারী গ্রন্থি রিলেটেড হয় তাহলে তাকে বলে কেন্দ্রিয় কারন।

কেন্দ্রীয় কারন গুলোকে এভাবে সাজানো যায়:

ক) মস্তিষ্কের নিবারকমূলক কাজ যে অংশ সম্পাদন করে তাতে সমস্যা (ট্রমা, ইনফেকশন, রেডিয়েশনের কারনে) হলে
খ) মস্তিষ্কের নিউরন সেলে যদি হাইপোথেলামিক হামারটোমা নামক নন ক্যান্সারাস টিউমার হলে
গ) চামড়ায় ল্যাঙ্গারহ্যানস সেল হিস্টিওসাইটোসিস হলে
ঘ) চামড়ায় ম্যাকিউন- অলব্রাইট সিনড্রোম দেখা দিলে

তবে উন্নয়নশীল দেশে কেন্দ্রিয় প্রিকোশিয়াস পুবার্টি হয় বেশীরভাগ সেন্ট্রাল নার্ভাস সিস্টেমে যদি ইনফেকশনের কারনে (টিউবোরকিউলোসিস)।উন্নত দেশে অনেক সময় অবেসিটি এবং অতিরিক্ত অসম্পৃক্ত চর্বি এবং ডায়েটের কারনেও এটা হতে পারে। আরও অনেক কারন আছে যেগুলো লেখলাম না।

কেন্দ্রিয় কারনের পর আরেকটা হলো পারিপার্শ্বিক। যদি অস্বাভাবিক কোনো উৎস হতে সেক্স স্টেরয়েড বেশী নিঃসরিত হয় তাইলে এইটা হইতে পারে। রক্তে কর্টিসেলের মাত্রা খুব কম থাকে আর এন্ড্রোজেনের মাত্রা থাকে।

কারন সমূহের মধ্যে:

ওভারীতে টিউমার হলে, এড্রিনালিন হরমোন গ্রন্থিতে টিউমার হইলে, ওভারীর আশেপাশে জীবানু জমে টিউমারের সৃষ্টি করলে, জীন মিউটেশনের কারনে দেহের মধ্যে থাকা এনজাইম সমূহ যদি এড্রিনালিন গ্রন্থির কারনে কোলেস্টেরল থেকে কর্টিসেলে পরিণত হয় তখন দেহে কনজেনিটাল এড্রিনাল হাইপারপ্লাশিয়া দেখা দেয় এর কারনে।

এখন কথা হলো এই প্রিকোশিয়াস পুবার্টি অনেকটা এসব রোগ আর এবনরমাল কারনে হতে পারে। আবার দেখা যায় যেসব শিশুরা ছোটবেলা থেকে নিকটাত্মিয়দের কাছে সেক্সুয়াল এবিউজের শিকার হয় তাদের সেক্স স্টেরয়েড খুব বেশী পরিমানে নিঃসরিত হয় তার ফলেও এটি ঘটে। সমস্যা হলো পুবার্টি হয়ে গেলে ওভারী, বুক, শারীরিক গঠনে এগিয়ে গেলেও তার হাড়ের গঠন বৃদ্ধি বন্ধ করে ম্যাচুরিটিতে চলে আসে। ফলে সে খর্বকায় হয়। মানসিক ভাবে অপরিপক্কতা বিরাজ করে, এবং শরীরের অন্যান্য অন্ত্র এসব পরিপক্ক গ্রন্হিদের সাথে খাপ খাওয়াতে পারে না। ফলে শরীরে প্রজননতন্ত্র গত সমস্যা লেগেই থাকে।

ফলে যেই মেয়ে এমনেই এসব জটিলটা ব হন করে তাকে যদি নিয়মিত যৌনমিলনের মাধ্যমে অন্তঃসত্বা বানিয়ে দেয়া হয়, তাহলে তার কি হতে পারে সেটা নীচে বলি!

পেলভিক ফ্লোর

কোমড়ের হাড়ের বৃদ্ধি যথাযথ না হওয়ায় যখন বাচ্চাটাকে ব হন করে তখন তার কোমড়ে প্রচুর প্রভাব পড়ে। ফলে বয়স যখন ২৫-২৬ হবে তখন সে খুব স হজেই অস্টিরিওপোসিস মানে হাড় ক্ষয় রোগে আক্রান্ত হবে। অনেক সময় আমরা দেখি একজন স্বাস্থ্যবতী মহিলা হাটতে হাটতে হঠাৎ পড়ে গিয়ে পায়ের হাড় ভেঙ্গে ফেললো। পরে এক্সরে করে দেখা গেলো তার পায়ের হাড় গুলো ক্ষয় ক্ষয় হতে সরু হয়ে গেছে। এমনকি গ্রামে অনেকে লাঠিতে ভর করে পুরো কুজো হয়ে হাটে। কারন তাদের কোমড়ের হাড্ডি ভেঙ্গে গেছে। অনেকে ৩০ এর পরই আজীবন পঙ্গুত্ব এবং গেটোবাতে ভুগতে থাকে।

সূত্র: লাইভ সায়েন্স

ফিস্টুলা।

অল্প বয়সে (ধরা যাক ৯ বছর বয়সে, কিছু স্টাডিতে ১২-১৩ বছর বয়সেও বলা আছে) গর্ভবতী হলে যখন শিশুটির ডেলিভারীর টাইম আসে তখন ভ্যাজিনা দিয়ে বের হবার সময় ভ্যাজিনার ওয়াল আর রেকটাম বা ব্লাডারের ওয়ালের মধ্যবর্তী স্থানে একটা গর্তের সৃষ্টি করে। এমন সময় অনেক মেয়েই পিচকি জন্ম দেবার সময়ই মারা যায়। যারা বেচে যায় তখন দেখা যায় পিচকির মাথাটা যখন ঠেলা দেয়া হয় তখন গর্ত সৃষ্টি হলেও সেটা খুব বেশী বড় না হওয়ায় আটকে যায়। তখন ঠেলাঠেলির চাপের পিচকির মাথার কিছু অংশ আর মায়ের পেলভিক ফ্লোরের নরম টিস্যু ছিড়ে যায়।তখন মেয়েটির টয়লেটের জিনিস আর প্রস্রাব সেই গর্ত দিয়ে চলে যায় যা একটা ভয়ংকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করে পরে যা ভ্যাজিনা দিয়ে বের হয়ে যায় (ভাই, এই ব্যাপারটা আমার লিখতেই শরীরে গায়ের রোম খাড়া দিয়ে উঠতেছে কত ভয়াব হ একটা ব্যাপার)। এর পরেও যদি মা আর শিশু বেচে থাকে মায়েদের এই সমস্যা আর স হজে ছাড়ে না। এবং তারা মেন্টালি আর ফিজিক্যালি ধ্বংস হয়ে যায় এবং অনেকের বিয়েও ভেঙ্গে যায়।


শিশু যখন কয়েক সপ্তাহ হয় মায়ের পেটে থাকে তখন সে মায়ের খাবার ভাগ বসায়। তখন দেখা যায় মায়ের প্রেসার ৫০ শতাংশ বেড়ে যায় যা হার্টের ওপর চাপ পড়ে। পিচকি তখন মায়ের ক্যালসিয়াম আর পুস্টিতে ভাগ বসাইলে যেখানে মা নিজেই শারীরিক বৃদ্ধিতে আছে সেখানে যদি এমন একটা ভাগ বসায় তাহলে মা ও শিশু দুইটাই অপুস্টিতে ভুগে। সবচেয়ে বড় সমস্যা ফলিক এসিডে যার ফলে অল্প বয়সী মায়েদের পোলাপান একটু বেশী ভোদাই হয়। আর জাতী হিসেবে কেন আমরা গবেষনায় পিছিয়ে সেটা এই একটা মাত্র কারনে, আমাদের ব্রেন ঠিক মতো ডেভেলপ হতে পারে না! এছাড়া মেয়ের কার্ডিওভাসকুলার সিস্টেমে এমন প্রেসার পড়ে যে মেয়েটা যৌবন পার হবার আগেই হার্টের নানা সমস্যায় পতিত হয়।

এছাড়া ফেলোপিয়ান টিউব যখন এমব্রায়ো বহন করে তখন এর অপরিপক্কতার কারনে এর মধ্যে থেকে একটোপিক প্রেগনেন্সি ঘটাতে পারে। এমন সময় যদি ইনফেকশন (ক্লামিডিয়া ইত্যাদি) দেখা দেয় তখন শিশুটি পরিপূর্ন হবার আগেই সর্বনাশ হইতে পারে,। আর যদি প্রেগন্যান্ট না করে নিয়মিত শুধু সহবস করা হয় কন্ডম ছাড়া, তাইলে বলতে হয় ছোট মেয়েটার শরীরিক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকায় নিয়মিত সহবসের কারনে এসটিডিতে আক্রান্ত হবার সম্ভাবনা প্রচুর থাকে। ক্লামিডিয়া তেমনি একটা প্রানঘাতি যার ফেল ফেলোপিয়ান টিউবে ইনফেকশন খুব দ্রুত ঘটতে পারে যার ফলে দীর্ঘস্থায়ী বন্ধ্যাত্ব মেনে নেয়া ছাড়া আর কোনো উপায় থাকে না।


এরকম আরো ব হু কথা আছে যা এক ব্লগে লিখে শেষ করা যাবে না। কিন্তু আমরা যদি এগুলো নিয়ে উন্মুক্ত আলোচনা না করি তাহলে এর ভয়াল দিক সম্পর্কে কখনোই বুঝতে পারবো না। আমাদের এত ছোট একটা দেশে জনসংখ্যার পরিমান ১৬ কোটি যা পৃথিবীতে হয়তো ১ নম্বর। এখানে প্রচুর খাদ্য শস্য উৎপাদন হয় কিন্তু আমরা দু বেলা খাওয়া পাই না। একজন মানুষ খাবার না খেয়ে ৩ দিন বেচে থাকতে পারে সে হিসেবে যখন পুরো ১ টা দিন খেয়ে কেউ থাকে তখন সে বাধ্য হয় ডাস্টবিনের ময়লা খাওয়া খেতে। কিন্তু এখানে আমরা যারা বাল্যবিবাহ, ব হু বিবাহ বা জন্ম নিয়ন্ত্রন বিয়ে কথা বলি তখন কেউ এসব সমস্যা থেকে উত্তরনের কথা বলি না। এজন্যই দেশ এক পা এগুলে ১০ পা পিছায়।

মন্তব্য ৭০ টি রেটিং +১২/-০

মন্তব্য (৭০) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ৯:৩১

মহা সমন্বয় বলেছেন: গুরুত্বপুর্ণ একটা পোষ্ট এটাকে ষ্টিকি করলে অনেক ভাল হত।
আমি বাল্য বিবাহের তীব্র বিরোধী কিন্তু মানুষ আমার কথা শুনে না।

২০ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ৯:৫৪

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: বাংলাদেশের আমজনতা কখনো ভালো কথা শুনছে আমাকে একটু দেখান! দেখাইলে আমি আমার নাম পাল্টাইয়া আগের নাম রাখুম!

২| ২০ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ৯:৩৪

মহা সমন্বয় বলেছেন: ইউনিসেফ অনুসারে বাল্যবিবাহের দিক থেকে বাংলাদেশ পৃথিবীতে ৩য় তম স্থান অধিকার করেছে। এর আগে আছে আফ্রিকার চাদ (৭২%), মালি (৭১%) এবং বাংলাদেশ (৬৪%)। এর বয়স সীমা ১৮ বছরের নীচে।

আহহ পরিসংখ্যানটা দেখতে কতই না ভল লাগছে.... =p~ =p~

২০ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ৯:৫৪

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: আপনে বাংলাদেশ বিরোধী, আপনের পুশি চাই!

৩| ২০ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১০:০৩

জেন রসি বলেছেন: আপনার পোস্ট এবং যেসব লিংক দিলেন সব ভালো ভাবে পড়ে আবার আসতেছি। :)

২০ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১০:০৫

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: আপনাকে স্বাগতম জানাবো তখন আবারও!

জ্ঞানই শক্তি
জ্ঞানই মুক্তি

যতদিন জ্ঞানের আলোকে না আসবো ততদিন আমরা আধারেই থাকবো!

৪| ২০ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১০:৫৩

শায়মা বলেছেন: এত রকমের সাস্থ্য ঝুঁকি কয় জন জানে কে জানে? গ্রামে তো কিছুদিন আগেও ১২ বছর হতে না হতে মেয়েকে বিয়ে দেবার জন্য বাবা মা উঠে পড়ে লাগতো। এখন এত ছোট থাকতে বিয়ে দেবার প্রবনতা কিছুটা কমেছে।

২০ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১০:৫৭

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: কিছুটা কমলেও এখনও যে হার আছে তাতেও পৃথিবীতে ৪র্থ!

তার মানে বুঝছেন এইটা বাংলাদেশের জন্য একটা মহামারী?

৫| ২০ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১১:৩৫

শায়মা বলেছেন: মহামারী তো অবশ্যই। ভাইয়া কম বয়সে বিয়ে হওয়ায় বেশিভাগ মহিলার শরীর এত ভেঙ্গে পড়ে যে ৩২/৩৩ বছরের একজন মহিলাকে দেখলে মনে হয় ৪০/৫০। খুব তাড়াতাড়ি বার্ধক্য জনিত রোগেও ভুগে তারা। এমনই দেখেছি আমি।

২০ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১১:৫২

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: কিন্তু এই পোস্টের ৪, ৯, ১২, ১৪, ১৫, ১৬, ১৭, ১৮, ১৯, ২১, ২৩, ২৪, ২৫, ২৭ নম্বর কমেন্টগুলো পড়ে দেখেন। মানুষ উচ্চ শিক্ষিত হয়েও কতটা এমন ধারনা পোষন করে আর এই বিষয়ে এডভোকেসী করে!

বুঝি না এদের বিবেক কি দিয়ে তৈরী এবং এদের বাসার মেয়ে শিশুরা এদের থেকেই নিরাপদ কি না!

৬| ২১ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১:০১

মহা সমন্বয় বলেছেন: আসলে মানুষের বিবেককে দোষ দিয়ে লাভ নাই- দোষ যদি দিতেই হয় তাহলে দোষ দেন তার মস্তিষ্কের নিউরোনকে এই নিউরোনই যার যার ব্যাক্তিত্ব অনুসারে সিগন্যাল পাঠায় আর চিন্তা করা শিখায়। সুতারাং এটাই বিজ্ঞান সম্মত উপায়। :-P

২১ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১:৫৭

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: ভালা কথা কইছেন। আপনারে মিয়া ডাঃ আফিয়া সিদ্দিকীর মতো নিউরো সায়েন্সে নো-বেল দেয়া উচিত!

৭| ২১ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১:৩৫

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
আগে ১২ বছর হতে না হতেই মেয়েকে বিয়ে দেবার জন্য বাবা মা সবাই উঠে পড়ে লাগতো।
এখন ছোট বয়েসে বিয়ে দেবার প্রবনতা অনেকটাই কমেছে।

২১ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ২:০৮

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: প্রবনতা কমছে এটা সত্য তারপরও পুরো পৃথিবীতে বাংলাদেশ এখন ৪ এ। সার্ভের পাবলিকেশনটা প্রকাশ করা হয়েছিলো গত বছরের আগস্টে।

তা হয়তো কমেছে, আগে ৩ এ ছিলো এখন ৪ এ নামছে!

৮| ২১ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১:৪৭

নতুন বলেছেন: জনগন সচেতন না হইলে এই সব পরিবত`ন হতে অনেক সময় লাগবে।

এই লেখাটা কতজন পরবে? দেশের পাবলিকের বেশিরভাগই ফেসবুকেই সময় কাটায় ... তারা ব্লগ দিয়া ইন্টারনেট চালাইতে চায় না। :(

যাদের পড়া দরকার তাদের কাছে এইট পৌছানোর সম্ভবনা খুবই কম।

তবে এখন অনেক পরিবত`ন হয়েছে.... গ্রামেও মেয়েরা স্কুলে যায় এবং বাবারা তাদের মেয়েদের শিক্ষিত করতে চায়।

২১ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ২:৪৮

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: আসলে এর কারন কি সেটা আমাদের জানা দরকার।ইউনিসেফ বাংলাদেশ তথা দক্ষিন এশিয়ার ব্যাপারে নিম্নোক্ত পাচটা কারন উল্লেখ করেছে:

১) সীমাবদ্ধ শিক্ষার প্রতুলতা, নিম্ন মানের শিক্ষা, অপ্রতুল সুযোগ সুবিধা, যোগাযোগব্যাবস্থার কারনে অভিভাবকদের দুশ্চিন্তা করতে হয় মেয়ের স্কুলে যাওয়া আসা নিয়ে। কারন নিরাপত্তা তখন বড় একটা প্রশ্ন হয়ে দাড়ায়। তাই টেনশন বাদ দিয়ে তার বিয়ে দিয়ে দেয়াই সমাধান মনে করে।
২) যদিও বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ আইন ২০০৬ এবং সংশোধনী ২০১৩ এর ব্যাপাক প্রচারনা এবং সচেতনতা সৃষ্টি করেছে বাল্যবিবাহকে অবৈধ ঘোষনা করা নিয়ে, কিন্তু লোকজন এই আইনের থেকে নিজেদের ঐতিহ্য এবং নিয়ম কানুনকে বেশী শক্তিশালী মনে করে এবং এটা নিয়ে রিপোর্ট করে। তার ওপর যেসব কর্মকর্তা এসব নিয়ে কাজ করবেন তাদের নিজেদেরও প্রশিক্ষন, স্বদিচ্ছা আর সচেতনতার অভাব থাকে কারন তারা তো এ সমাজেরই অংশ।
৩) মেয়েরা অর্থনিতিক কাজে খুব বেশী ভূমিকা রাখার সুযোগ পায় না বলে তাদের ঘাড়ের বোঝা হিসেবে দেখা হয় এবং গৃহস্থালী কাজে বেশী নিয়োজিত করা হয়। এই কাজের কোনো দামও দেয়া হয় না। যদিও যৌতুক প্রথা ব হু আগে থেকেই নিষিদ্ধ কিন্তু এর প্রচলন অভিভাবকদের মধ্যে খুব বেশী পরিলক্ষিত করা যায় এবং এরা এটাকে বেশ স্বাভাবিক দৃষ্টিতেই দেখে। সেজন্যই যত বয়সে কম বয়সে বিয়ে দেয়া যায় যৌতুক তত কম দেয়া লাগবে এটা চিন্তা করেই বাল্যবিবাহের হিড়িক দেখা যায়।
৪) আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সীমাবদ্ধ জ্ঞান, ক্ষমতাকে কাজে লাগিয়ে এলাকার প্রভাব শালী, মোল্লারা এগুলো তেমন মূল্য দেয় না। আর আইন প্রয়োগাকারী সংস্থা গুলো নানা কারনে এসব বয়াপারে গাছাড়া ভাব দেখায়। যার ফলে শক্তিশালী আইন থাকা সত্বেও এর প্রয়োগ নাই!
৫) সামাজিক উন্নয়ন কর্মকান্ডে যেসব প্রোগ্রাম সরকার আর বেসরকারী সংস্থা চালু রেখেছে এগুলোর অর্থ সাহায্যের পরিমান এতই অপ্রতুল যে স্বাভাবিক জীবন মানে তা খুব একটা কাজে লাগে না। টাই অনেক সময় দেখা যায় এসব অর্থ অভিভাবকেরা জমিয়ে যৌতুকের সাথে মিলিয়ে তা বিয়েতে খরচা করে।

২১ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ২:৫১

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: তবে ব্লগে পড়ার সীমাবদ্ধতা নিয়ে বলার কিছু নাই। এটা পুরাটাই নির্ভর করে আমরা জাতি হিসেবে বা ব্লগের ক্ষুদ্র গোষ্ঠি হিসেবে কতটুকু পরিবর্তন আনতে চাই সেটার ওপর! আইসিআরডব্লু চারটা কারন দেখিয়েছে যেগুলো দারিদ্র‌্যতা, নিরাপত্তাহীনতা, ঐতিহ্য এবং ধর্মীয়, নিম্ন মানের শিক্ষা এবং অর্থনৈতিক চাপ।এখন কথা হলো এসব নিয়ে আলোচনা একটা কর্নার থেকে শুরু করতে হবে। আমি ফেসবুকে এই লেখার ব হুলাংশ শেয়ার করেছি। এগুলো নিয়ে আলাপ আলোচনা এখন আরো বেশী হওয়া উচিত!

৯| ২১ শে মার্চ, ২০১৬ ভোর ৫:০৮

দিয়া আলম বলেছেন: অবশ্যই খুব প্রয়োজনীয় পোস্ট কিন্তু ভাইয়া যারা বাল্য বিবাহ করে কিংবা দেয় আপনি কি মনে করেন তারা অনলাইন এর সংস্পর্শে আসতে পেরেছে?
আমার মনে হয়না ব্লগ ,ফেইস বুক অথবা তথ্য-প্রযুক্তির ছোঁয়া তাদের গায়ে লেগেছে যারা এমন বোকামি বা নোংরামি কাজ গুলো করে।

অনেক অজানা জানতে পেরেছি পোস্ট থেকে
পোস্টের জন্য ধন্যবাদ

২১ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ৮:৩৭

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: না আমি মনে করি না যে তারা করবে। একসময় কন্ডোম ব্যাবহার করা কবীরা গুনাহ মনে করা হতো। এখন করছে। একসময় মনে করা হতো মরনোত্তর অঙ্গদান ইসলাম বিরোধী, হিল্লা বিবাহ জায়েজ। তখন ব্লগ ছিলো না। কিন্তু পেপার পত্রিকায় লেখালেখি করে সেটাকে ঠেকানো গেছে। একটা সময় বাদ এখনো গ্রামে গন্জ্ঞে গ্রাম্য সালিশির নামে উদ্ভট শাস্তির নামে দোররা বা পাথর ছুড়ে মারতো। কয়েক বছর আগে যখন কোর্টে রায় দিলো পত্র পত্রিকায় লেখা লেখির কারনে যেখানে বলা হয়েছিলো এসব সালিশ সরাসরি আদালতের সাথে প্রতিযোগী হয়ে ছায়া আদালতের তৈরী করছে, তখন আদালত আমলে নেয়। তখন গ্রাম্য সালিশকে ব হাল রাখলে ফতোয়া দেয়ার বিরুদ্ধে রায় দেয়া হয়।

পরিবর্তন আসবে। দুঃখজনক হলো ব্লগে লিখে পরিবর্তন এখন পাবেন না, পাবেন কয়েক বছর পর। মনে পরে আজ হতে প্রায় ৮ বছর আগে ব্লগীং করি তখন ব্লগে ছাগুবিরোধী পোস্ট দিতাম, রাত জেগে ব্লগ সাফ করে ছাগুমুক্ত করতাম। ফলাফল হলো শাহবাগ আন্দোলন। যদিও সে আন্দোলন আজ কলংকিত কিন্তু আমার জীবদ্দশায় যে রাজাকারদের দড়িতে ঝুলতে দেখতেছি এটার জন্য আল্লার কাছে লাখো কোটি শুকরিয়া!

ভালো থাকবেন!

১০| ২১ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১:৩০

হাসান নাঈম বলেছেন: গুরুত্বপুর্ণ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা - নি:সন্দেহে প্রয়োজনীয়।

আমি দুটি বিষয়ে দৃস্টি আকর্ষণ করতে চাই। প্রথমত, বাল্যবিবাহ বিষয়টি বিবেচনায় এসেছে মুলত জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রনের ধারনা থেকে। যতদিন জনসংখ্যাকে সমস্যা হিসেবে দেখা হয় নাই, ততদিন বাল্য বিবাহ নিয়েও কার মাথা ব্যাথা ছিল না। আপনি নিজেও বলেছেন বাল্য বিবাহের সাথে জনসংখ্যা বিষ্ফোরণের সরাসরি সংযোগ আছে। তাহলে আমাদের আগে ভাবতে হবে - আমরা জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রন করতে চাই কী না। মানুষ হয়ে মানুষকে সমস্যা ভেবে পৃথিবীতে তার আগমন ঠেকানোর কোন নৈতিক ভিত্তি থাকতে পারে কী না। আরো পরিষ্কার করে বলা যায় - নিজেরা সম্পদশালী বা সচ্ছল হওয়ার জন্য বা দারিদ্র থেকে বাঁচার জন্য অন্য মানুষকে পৃথিবীতে আসতে না দেয়ারমত চরম স্বার্থপরতাকে যদি মেনে নেই - কেবলমাত্র তখনই বাল্যবিবাহ বিবেচনার বিষয় হয়ে ওঠে এবং জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রনের জন্যই বাল্যবিবাহ ঠেকানোর প্রয়োজন দেখা দেয়। তখনই এর সব খারাপ দিক গুলি সামনে চলে আসে।

দ্বিতীয়ত, প্রাকৃতিক বা জৈবিক ভাবে একজন নারীর ঋতুবতি হওয়ার অর্থ কি? এটাই কি তার মাতৃত্বের যোগ্যতা নির্দেশ করে না? তাহলে প্রকৃতির এই স্বীকৃতির পরও আমরা কীভাবে বলি যে এখনও সে মাতৃত্বের উপযুক্ত হয় নি - তাকে বিয়ে দেয়া যাবে না?

২১ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ৯:২৫

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: বাল্যবিবাহ বিষয়টি বিবেচনায় এসেছে মুলত জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রনের ধারনা থেকে।

আমার মনে হয় না। বিংশ শতাব্দী থেকেই এই মুভমেন্ট চালু হয়েছে মূলত পশ্চিম ইউরোপের দেশ গুলো থেকে যেখানে তারা দেখেছে বাল্যবিবাহের ফলে নারীর শারীরিক ক্ষতিসমূহ এবং সামাজিক উন্নয়নের অবমূল্যায়ন তথা একটি দেশের অর্থনীতি এবং সামাজিক ব্যাবস্থাকে কি পরিমান ক্ষতিগ্রস্থ করে তার ভয়াব হতা দেখে। জনসংখ্যা বিস্ফোরন নিয়ে চিন্তা শুরু হয়েছিলো ৫০ এর দশকের পর যা পরে ম্যালথাসের তত্ব স হ নানা গবেষকের বাতলে দেয়া বিভিন্ন পথে সমাধানের চেষ্টা চলছে। তবে এটা সত্য যে বাল্যবিবাহের ফলে জনসংখ্যার বিস্ফোরন খুবই ওতোপ্রোতোভাবে সম্পর্কযুক্ত সেটা নিঃসন্দেহে অনেকগুলো সত্যের মধ্যে একটা সত্য। আর তাই জনসংখ্যা কমানোর জন্য ৫০ এর দশকের আগে আগে যতগুলো ক্যাম্পেইন ছিলো কোনোটাতেই বাল্যবিবাহ নিয়ে কথা বলা হয় নাই! দুটো আলাদা ক্যাম্পেইন ছিলো।

আমরা জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রন করতে চাই কী না। মানুষ হয়ে মানুষকে সমস্যা ভেবে পৃথিবীতে তার আগমন ঠেকানোর কোন নৈতিক ভিত্তি থাকতে পারে কী না। আরো পরিষ্কার করে বলা যায় - নিজেরা সম্পদশালী বা সচ্ছল হওয়ার জন্য বা দারিদ্র থেকে বাঁচার জন্য অন্য মানুষকে পৃথিবীতে আসতে না দেয়ারমত চরম স্বার্থপরতাকে যদি মেনে নেই - কেবলমাত্র তখনই বাল্যবিবাহ বিবেচনার বিষয় হয়ে ওঠে এবং জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রনের জন্যই বাল্যবিবাহ ঠেকানোর প্রয়োজন দেখা দেয়। তখনই এর সব খারাপ দিক গুলি সামনে চলে আসে।

খুবই সুন্দর একটা কথা বলেছেন। দিন যতযাচ্ছে আমরা ততই প্রাকৃতিক জিনিসের দিকে ঝুকছি। এই যেমন সবকিছুতেই অর্গানিক খুজি। কিন্তু সমস্যা হলো গরু, শুয়োর প্রাকৃতিক হওয়া সত্বেও ধর্ম আমাদের খেতে বারন করেছে। আবার ধরেন বয়ঃসন্ধি হবার অবাধ যৌনচর্চা না করতে বলা হয়েছে। এজন্যই আমাদের প্রায় প্রত্যেকের বয়ঃসন্ধিতে একটা কমন ডায়লগ দেই, গন্ধব দিছো কিন্তু খাইবারও মানা করছো। তার মানে ধর্ম আমাদের বিয়ে বহির্ভূত অবাধ যৌনাচার করতে মানা করছে, প্রাকৃতিক কোনো কারন বা জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রন বা অন্য কিছু না। পয়েন্ট টা হলো নীতি নৈতিকতা বোধ।

আপনি বলেছেন একটা প্রাকৃতিক ব্যাপার বয়ঃসন্ধি তাহলে বাচ্চা ফুটাইলে কি সমস্যা? তাহলে আসেন আমরা আপনার আরেকটা পয়েন্টে যাই যৌনতা তো আরো প্রাকৃতিক ব্যাপার, কিন্তু বিয়ের বিধান কেন? আবার সমকামিতাকেও অনেকেই প্রাকৃতিক বলে, তাহলে তা নিয়া পিছু লাগে কেন?

সমস্যাটা হলো মেয়েদের শারীরিক ক্ষতি তারপর মেয়েদের মানসিক আর সামাজিক ক্ষতি। আর যখন একটা ঔষুধ বাজারে ছাড়বেন তখন আপনি চিন্তা করবেন না যে দুয়েকজন উপকার পাবে। চিন্তা করবেন যাতে এই ঔষুধ ১০ হাজার মানুষের মধ্যে প্রায় ১ থেকে দু জন মানুষের সমস্যা হবে তাও সে সমস্যাগুলো অবশ্যই চিকিৎসাযোগ্য এবং পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াগুলো জীবনহানিকর না হয়!

বুঝাতে পেরেছি ভাইয়া?

প্রাকৃতিক বা জৈবিক ভাবে একজন নারীর ঋতুবতি হওয়ার অর্থ কি? এটাই কি তার মাতৃত্বের যোগ্যতা নির্দেশ করে না? তাহলে প্রকৃতির এই স্বীকৃতির পরও আমরা কীভাবে বলি যে এখনও সে মাতৃত্বের উপযুক্ত হয় নি - তাকে বিয়ে দেয়া যাবে না?

আম গাছে যখন আমের ফুল হয় তার মানে সে আম দেবে। এখন যখন ফুল ঝরে যে ছোট আমটি দেখা গেলো সেটা আপনি পেড়ে খাওয়া শুরু করলেন। বাকিটা আপনার বিবেচনা!

উল্লেখ্য মেয়ে মানুষ আম না, আর বয়ঃসন্ধী হলে যদি বিয়ে দিয়ে বাচ্চা পয়দা করেন তাহলে পোস্টের শেষের দিকে কিছু রোগের নাম দেয়া আছে, কিছু অঙ্গ প্রত্যঙ্গের স হনশীলতা নিয়ে আলোচনা করেছে, হাইপারলিংক করা আছে কিছু মেডিক্যাল জার্নাল (পীয়ার রিভিউড)। সেগুলো পড়ে দেখবেন। আশা করি বুঝতে পারবেন একটা বাচ্চা পয়দা করা প্রাকৃতিক নরমাল কোনো ব্যাপার না। ওর যত পেইন আছে তার মাত্র ১০ ভাগ পেইন যদি আপনাকে দেয়া হয়, খোদা না করুক, আপনি নাও বাচতে পারেন। আর ৯ বছরের মেয়েকে যদি ঐ পেইন দেয়া হয়, ............।

ভালো থাকবেন এবং আল্লাহ আপনার হেদায়েত করুন!

১১| ২১ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ২:০৮

তার আর পর নেই… বলেছেন: সমস্যাটা হচ্ছে বাচ্চা জন্ম দান নিয়ে। সন্তান নেওয়া এবং জন্ম দান কোনটার জন্যই এই সময়ে একটা মেয়ে শারীরিক ভাবে পরিপক্ক হয় না।

আপনি তো বাইরে থাকেন, উন্নত দেশ বলতে যা বোঝায়। সেখানে মেয়েরা ঠিক কত বছর থেকে যৌন মেলামেশা শুরু করে? আমি যতটুকু শুনেছি বারো থেকেই তারা আস্তে আস্তে এগুলোতে অভ্যস্ত হয়ে যায়। (জানার জন্য)

আমাদের দেশে একটা ব্যাপার ভয়ঙ্কর, অল্প বয়সী মেয়ের সাথে আধ বুড়ো লোকের বিয়ে।

২১ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ৯:৩৭

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: খুব সুন্দর একটা পয়েন্ট নিয়ে কথা বলেছেন। আপনার মেইন পয়েন্ট এর উত্তর দেবার আগে আপনার অন্যান্য গৌণ প্রশ্নের উত্তর দেই। সুইডেনে ১৪ বছর হলো এজ অব কনসেন্ট। প্রথম যখন শুনেছিলাম তখন মনে হয়েছিলো খুব মজার। কারন এসব টিন মেয়েরা একেকটা সাক্ষাৎ পরী। বাংলাদেশের সবচেয়ে সুন্দরী মডেল বা মেয়ে এদেশের একটা সাধারন মেয়ের কাছে কিছুই না। এখন আপনি চাইলেই যৌন সম্পর্ক লিপ্ত হতে পারবেন এটা ভাবা ভুল।
কিছু ব্যাপার আছে: এরা যৌন সম্পর্ক করতে পারবে সমবয়সী দের সাথে এবং তদুর্ধ্ব হলেও ১৮ এর এক দিন ওপরে যাবে না।

এখন আপনি যদি বলেন যদি করে তাহলে জানার তো উপায় নাই। ভাই এরকম করে দেইখেন, তারপর বাবা মা এর আগে পুলিশ আসবে, আপনাকে ফাটাফাটি জেলে রাখবে যেকানে তিন বেলা খাবার এবং হাই স্পিড ইন্টারনেট+ জীম। কিন্তু আপনার সেলটা হবে সমকামীদের সাথে যেখানে সবাই জানবে আপনি একটা শিশুকে ধর্ষন করছেন মানে পেডো। সুইডিশরা আর যাই হোক, পেডো আর ধর্ষন কারী দেখতে পারে না। আপনার ২ বছরের জেলে আপনি কতবার সুইসাইড করার চেষ্টা করবেন তার ইয়েত্তা নাই। শুধু ভাববেন এর ড্রাগস বা মার্ডার করলাম না কেন! বাকীটুকু আর বললাম না!

এখন আসি আপনার মেইন পয়েন্ট: আপনি বাল্যবিবাহ সাপোর্ট করেন কিন্তু সন্তান পরে নিলেই হয়!

গুড পয়েন্ট। কিন্তু আপনার পয়েন্ট সমাজ মানে না।বাল্যবিবাহের ফলে ৯০% শতাংশ মেয়ে গর্ভবতী হয়ে যায় অপরিপক্ক বয়সে।এটা পুরো বিশ্বের হিসেব যেখানে আমেরিকাকে বেশী প্রাধান্য দিছে।নেপালের অবস্থা আরো ভয়াবহ। আর বাংলাদেশের কথা বলতে ইচ্ছে করছে না।

আপনি যেভাবেই বলেন না কেন, বাল্যবিবাহের পক্ষে কোনো তথ্য উপাত্ত নাই যে এটাকে কোনো প্রকারের সমর্থন করতে পারে বিশেষ করে আমাদের মতো ফকিন্নী কুসংস্কারাচ্ছন্ন ইসলামী ধর্মীয় মৌলবাদে মত্ত দেশে!

ভালো থাকবেন

১২| ২১ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ২:৩৫

জেন রসি বলেছেন: একটা সময় মানুষের গড় আয়ু কম ছিল। উৎপাদন ব্যবস্থার জন্যই সন্তানের প্রয়োজন হত। ছেলে সন্তানকে প্রয়োজনীয় মনে করা হত। মেয়ে সন্তানকে পরিবারের জন্য বারডেন মনে করা হতো। তাদের অর্থনৈতিক এবং সামাজিক নিরাপত্তার কথা ভেবে খুব দ্রুত বিয়ে দিয়ে দেওয়া হতো। এখন ভেবে দেখতে হবে কোন ধর্মীয় মতবাদই সমকালীন সামাজিক প্রথা থেকে খুব একটা বের হয়ে আসতে পারেনি। কিন্তু মানুষের জ্ঞান সভ্যতার বিকাশের সাথে অনেক ভাবেই বিকশিত হয়েছে। আগে মানুষ যা জানত না, সেসব জানার সুযোগ আমরা পেয়েছি। আমরা এখন জানি বাল্য বিবাহ মা এবং শিশুর জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। কেন ঝুঁকিপূর্ণ তা একটু ঘাটাঘাটি করে বুঝার চেষ্টা করলে যে কেউ বুঝে ফেলতে পারবে। যেখানে বয়ঃসন্ধিকালে একটা সামাজিক নিরাপত্তা এবং বিশ্বাস মানসিক কাঠামো গঠনে খুব বেশী প্রয়োজনীয়, সেখানে যদি একটা মেয়েকে সেই বয়সে বিয়ে দিয়ে দেওয়া হয় তাহলে কি হবে? শুধুই কি দৈহিক ক্ষতি? সাথে সাথে কিন্তু তার মানসিক বিকাশও বন্ধ হয়ে যাবে। যে মেয়েটা ঠিক মত কিছু বুঝেই উঠল না তাকে এমন একজন পুরুষের সাথে যদি পাঠানো হয় যার যৌনবিজ্ঞান নিয়ে কোন জ্ঞানই নাই তবে বলতেই হবে মেয়েটিকে আসলে মৃত্যুর দিকেই ঠেলে দেওয়া হচ্ছে। সে হয়তো দৈহিক ভাবে সারভাইভ করে যাবে। কিন্তু তার স্বাভাবিক মানসিক কাঠামোটাই নষ্ট হয়ে যাবে। এখন অনেকেই বলতে পারেন আমাদের পূর্বপুরুষরা কিভাবে তাহলে শক্ত হাতে পরিবার সামলিয়েছেন। কিন্তু এই যুগে এসে সেসবকে আমরা কেন মানদণ্ড হিসাবে ধরব যখন আমাদের হাতে আরো উত্তম উপা আছে। আমাদের পূর্বপুরুষ জন্মের পর প্রতিষেধক না নিয়েই বেঁচে সারভাইভ করেছে। তাই বলে আমরা কি বলব আমরা আমাদের সন্তানদের প্রতিষেধক দেব না? বলবনা। তবে বাল্য বিবাহকে না বলতে সমস্যা কোথায়?

এখন যেটা সমস্যা, সেটা হচ্ছে অর্থনৈতিক এবং সামাজিক। শিক্ষিত পরিবারে এখন এ দেশে কেউ বাল্য বিবাহ দেয়না। প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর মধ্যে বাল্যবিবাহের হার বেশী। যারা বেঁচে থাকার জন্য প্রয়োজনীয় অর্থনৈতিক নিরাপত্তাই পায়না তাদের কাছে শিক্ষা অনেক বিলাসবহুল ব্যাপার হবে এটাই স্বাভাবিক। তাই বাল্যবিবাহ এখন বিচ্ছিন্ন কোন সমস্যা না। আর্থসামাজিক প্রেক্ষাপটের সাথে এই সমস্যা জড়িত। সমাধানের কথা চিন্তা করলে সেভাবেই করতে হবে এবং পদক্ষেপ নিতে হবে।

২১ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ৯:৪৩

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: আপনার প্রায় প্রতিটি কথার সাথেই একমত। সোজা কথা, চরম দারিদ্রতা যেটা আবুল মাল মুহিতের চোখে ধরা পড়ে না, নিরাপত্তা হীনতা যেটা বর্তমান সরকার মানতে চান না, ধর্মীয় ঠুনকো মূল্যবোধ যেটা আমাদের মডারেট মুসলিমরা মানতে চান না, নিম্ন মানের বস্তা পচা শিক্ষা যেটা নাহিদ সাহেব চোখেও দেখেন না আর সুশাসনের অভাবই এর জন্য দায়ী।

সমস্যা হলো এসব সমস্যা দূর করার স্বদিচ্ছা আমাদের দেশের কোনো সরকারেরই ছিলো না আর তাই আমরা কাজ শেষ করে এন্টারটেইনমেন্টের জন্য এই জিনিসটাতেই মজে থাকি!

অনেকের রসালো ডায়লগ থাকে: লক লকিয়ে গাছটা যখন বড় হবে তখন তার মধ্যে থেকে বিভিন্ন বয়সের স্বাদ পাবি।

ভালগার হলেও অনেক শিক্ষিত বাঙ্গালির অবসেশন এটাই!

১৩| ২১ শে মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৪:৩১

মশার কয়েল বলেছেন: আপনার পুরো লেখা এবং লিংক গুলো পড়তে গিয়ে আমার ১২টা বেজে গেছে ৷ তারপরেও ভাল লাগছে এতো সুন্দর একটা লেখা পড়লাম ভেবে ৷ তবে আমার কিছু প্রশ্ন আছে,মেয়েরা বয়ঃসন্ধিতে উপনীত হয় সাধারণত ৯-১২ বছরের মধ্যে ৷ তবে এই বয়সে সন্তান ধারণ খুবই ক্ষতিকর ৷ শুধু তাই নয় ২০ বছরের নীচে মেয়েদের সন্তান ধারণ তাদের শারিরীক ক্ষতির কারণ হতে পারে এমনকি অতি অল্প বয়সে গর্ভধারণ মৃত্যুরও কারণ হতে পারে ৷ কোথায় যেন পড়েছিলাম, মেয়েদের সন্তান ধারণের উপযুক্ত বয়স ২৩-৩০ ৷ যাইহোক,আমার প্রশ্নটা গর্ভধারণ নিয়ে নয় ৷ প্রশ্নটা যৌনমিলন নিয়ে ৷ অল্প বয়সে যৌনতায় জড়িয়ে পড়া ক্ষতিকর ৷ তবে আমি যেটা মনে করি,মেয়েদের ১৩ বছর বয়স হলে যৌন মিলনের ফলে তার কোন ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা কম ৷ এই বয়সটার পর থেকে অনেকেই ব্যাভীচারে জড়িয়ে পরে ৷ আপনি বাল্য বিবাহের কারণ হিসেবে ব্যভীচারকেও দায়ী করেছেন ৷ বিষয়টা সত্য ৷ বাল্যবিবাহ যেহেতু নারীকে মৃত্যুদন্ড দেওয়ার সমান,সেহেতু কেউ ব্যভীচারী হলে বা হওয়ার সম্ভাবনা থাকলে বিবাহ দেওয়া যাবে না ৷ আপনি এটাই বলেছেন ৷ আমি এখানে দ্বীমত ৷ এক্ষেত্রে বিবাহই শ্রেয় ৷ তবে একটা বিষয় খেয়াল রাখতে হবে ৷ সন্তান নিতে হবে পরিপূর্ণ বয়স হলেই,তার আগে নয় ৷ এখানে প্রশ্ন থাকতে পারে,সন্তান নেওয়ার জন্য যদি তার স্বামী বা তার শ্বশুরবাড়ি থেকে চাপ দেয় তাহলে কী উপায়?এক্ষেত্রে বিয়ে না হওয়াটাইতো উত্তম ৷ এখানে আমার সমাধান হচ্ছে সচেতনতা ৷ মানুষকে এক্ষেত্রে সচেতন হতে হবে ৷ যতদিন না এই সচেতনতা মানুষের মনে আসবে,ততদিন নারী মৃত্যু এবং শিশুমৃত্যু হবেই ৷ উন্নত দেশের সাথে আমাদের তুলনা করলে হবে না ৷ তাদের সামাজিকতা এবং ধর্ম আমাদের সম্পূর্ণ বিপরীত ৷ তাদের কাছে ব্যাভীচার গ্রহণযোগ্য হলেও আমাদের কাছে নয় ৷ আমি মনে করি, বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ করা জরুরী ৷ কিন্তু কোন কারণে বাল্যবিবাহ যদি দিতেই হয়,সেক্ষেত্রে সন্তান ধারণের বিষয়টা নিয়েও সচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে ৷ শুধু পশ্চিমাদের অনুকরণে অল্পবয়সে গর্ভধারণের অপকারীতা বলে বাল্যবিবাহকে দোষ দিয়ে খুব একটা সামাজিকতার উন্নতি হবে না ৷ বাল্যবিবাহ নিয়ে সচেতনতার পাশাপাশি এটাও মানুষকে বুঝাতে হবে,বাল্যবিবাহ যদি কোন কারণে দিতেই হয় তবে সন্তান ধারণ পরিপূর্ণ বয়স হবার আগে নয় ৷ এখন প্রশ্ন হতে পারে,বিয়ে হয়েছে কিন্তু সন্তান নিতেলহবে দেরীতে,এইটা মানুষ বুঝবে না ৷ যারা বুঝবে না তাদের বাল্যবিবাহ সম্পর্কেও বুঝাতে পারবেন না ৷

২১ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ৯:৪৫

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: আপনার মন্তব্যের সাথে দ্বিমত হবার সুযোগ নাই। তার ওপর আপনি কি এতই বিশ্বাস করবেন যে বিয়ের আগে যে কথা বলেছে বিয়ের পর সে কথাটা রাখবে? কারন সে ছেলে পক্ষ! দরকার হলে ডিভোর্স দিয়ে আরেকটা গরীব মেয়ে করে পেট বাধাবে। তার দরকার একটা সন্তান! বৌ দরকার নাই কারন ভাগ্যবানের বৌ মরে!

হে হে হে হে


আপনার নিকটা কিন্তু হেভী!

১৪| ২১ শে মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৪:৫০

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: লেখাটা পড়েছি। কিন্তু যা বলতে চাচ্ছি সেটা গোছানো হয়নি। আবার পরে আসবো।

২১ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ৯:৪৬

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: আপনাকে তখনও লালগালিচা দিয়ে স্বাগতম জানাবো বলে আশা রাখি!

১৫| ২১ শে মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৫:০৫

শায়মা বলেছেন: বাল্যবিবাহের কুফলগুলো নিয়ে আমার আরও মনে হয়েছে----

১। সাস্থ্য ঝুঁকি সেটা নিয়ে আর বলার কিছু নেই
২। এ বয়সে মানষিক অপরিপক্কতার কারণে নানা রকম মানষিক সমস্যা বা জীবনে ঝামেলার সৃষ্টি হওয়া
৩। বিশেষ করে মেয়েদের পড়ালেখা বন্ধ হয়ে যাবার সম্ভাবনা
৪। সংসারের চাপে পড়ে অল্প বয়সে নানা রকম (বিশেষ করে মানষিক) ঝামেলার সৃষ্টি হওয়া

এমন আরও অনেক কিছুই।

২১ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ৯:৪৭

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: ভাই, পড়া লেখা করে বাংলাদেশে কেউ কোনো দিন বড় হতে পারে নাই।বাংলাদেশের শীর্ষ ধনকুবের বা মডেল বা চিত্রনায়িকা বা নেত্রীদের দেখেন একটু!

১৬| ২১ শে মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৫১

আবু শাকিল বলেছেন: আপ্নের ভাঙা হাত এখনো জোড়া লাগে নাই?
পেটের ধান্ধা বাদ দিয়া বাল্য বিবাহের পিছনে ছুটলেন ক্যালা-
দেশ খালি কইরা দিল।টেকা নাই।
টেকা ছাড়া বিয়া করমু কেম্নে!!

২১ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ৯:৫০

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: হাত ভাংলো এত বড় অলুক্ষনে কথা কে বললো ভাই? ফ্রাকচার হইছে। এখন ঠিক কিন্তু লেকিন বাট বা হাতে এখনো ওয়েট নিতে গেলে হাত ফ্রীজ হয়ে যায়। ২০ কেজী চলে কিন্তু ৩০..৪০ এ গেলে বা বেন্ঞ্চ প্রেসে যখন ৮০ নেই তখন বা হাতটা অবশ হয়ে যায়!

পেটের ধান্ধা করি তো ভাই, কিন্তু সমস্য হলো ছুটির দিন গুলাতে বেকার থাকি আমি। কোনো কাম কাজ নাই। কেউ কাজ দেয় না ছুটির দিনে। আর যখন অফিস থেকে আসি তখন তো কেউ ঘুইরাও তাকায় না! তাই সমাজ বদলাইতেছি!

টেকা ছাড়া বিয়া করনের একটাই রাস্তা: প্লেবয় হইয়া যান!

১৭| ২১ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ৯:৪৬

তার আর পর নেই… বলেছেন: আমি বলি নাই, আমি সমর্থন করি। এবং সেটা আমি ভাবতেও পারি না। একটা বাচ্চা মেয়ে সংসার করছে এইটা তো চিন্তা করাও কষ্টকর।

আমি আপনার পোস্ট আর একটা উন্নত দেশের প্রেক্ষাপটে জানতে চেয়েছি।

২১ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ৯:৫২

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: শুনে খুশি হলাম যে সমর্থন করেন না। আর উন্নত দেশের আইনের ফাক ফোকড় গুলো হয়তো কিছুটা ধারনা পেলেন। আপনাকে ডিটেইলে বললে বুঝবেন যে যৌনতা এই বয়সে তাদের জন্য জাস্ট একটা স্বর্গীয় অভিজ্ঞতা হিসেবেই তুলে ধরা হয় এবং একটা নির্দিস্ট বয়সে সেটা শিখিয়ে দেয়। একেই বলে যৌনজ্ঞান।

আমরা অশিক্ষিত মোল্লারা যেভাবে এদেশগুলোর নিয়ম কানুন সমাজ ব্যাবস্থা চিত্রিত করি সেগুলো সব ডাহা মিথ্যা!

১৮| ২১ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ৯:৪৯

শায়মা বলেছেন: লেখক বলেছেন: ভাই, পড়া লেখা করে বাংলাদেশে কেউ কোনো দিন বড় হতে পারে নাই।বাংলাদেশের শীর্ষ ধনকুবের বা মডেল বা চিত্রনায়িকা বা নেত্রীদের দেখেন একটু!

তাদের কি সবার বাল্য বিবাহ হয়েছিলো ভাইয়া!:(

২১ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ৯:৫৩

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: তা না, কিন্তু পড়া লেখা কইরা কেউ উপ্রে যায় নাই। ফালু, প্রিন্স মুসা আরো অনেকে।

দেশের মানুষ তো তাই বুঝে!

১৯| ২১ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১০:০৫

গুলশান কিবরীয়া বলেছেন: বাল্যবিবাহ নিঃসন্দেহে খারাপ সামাজিক ভাবে , শারীরিক ভাবে এবং মানসিক ভাবে - এটা বৈজ্ঞানিক ভাবে প্রমাণিত । কিন্তু ভুলে গেলে চলবে না যে বিজ্ঞান কিন্তু একটা অনগোয়িং প্রসেস , যে কোন সময় এটা ডিস্প্রুভ হবার সম্ভাবনা থাকে । আর সামাজিক অবস্তাই মানসিক অবস্তাকে নিয়ন্ত্রণ করে বা প্রভাবিত করে । ১৪০০ বছর আগের মানুষের সামাজিক বা মানসিক অবস্থা আর এই আধুনিক যুগের অবস্থা এক নয় । এমনকি তখনকার যুগের মানুষের শারীরিক অবস্থার সাথে এখনকার যুগের মানুষের শারীরিক অবস্থার পার্থক্য থাকলেও থাকতে পারে who knows ?

আবার ভাববেন না আমি বাল্যবিবাহকে সাপোর্ট করি , তা কিন্তু নয় । বাল্যবিবাহ দন্ডনিয় অপরাধ আমার কাছে । আমার কাছে মনে হয় ধর্মের একটা বিশেষ এবং মহৎ উদ্দেশ্য রয়েছে যেটা মানুষের জীবন আলোকিত করে , মানুষকে সামাজিক ভাবে এবং মানসিক ভাবে স্থিতিশীলতা এনে দেয় , so it is really wrong to disprove this social-science, it might be chaotic । সেখানে যদি কোন কিছু ভুল মনেও হয় আপাতদৃষ্টিতে , সেটারও নিশ্চয়ই কোন সুযোগ্য কারন রয়েছে , যেটা হয়তো আমাদের এই সীমাবদ্ধ মস্তিষ্ক দ্বারা খণ্ডন করা এতো সহজ নয় ।

পরে আবার আসবো , ভালো থাকবেন । :)



২১ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১০:২৩

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য। আপনি খুব সম্ভবত সোশ্যাল সায়েন্সের ছাত্রী। যদি হয়ে থাকেন তাহলে একটা প্রশ্ন আপনাদের এই ফ্যাকাল্টির একটা সাবজেক্ট আছে জেন্ডার স্টাডিজ, এটা যে কতটা বিশাল কিন্তু বাংলাদেশে এটার প্রসপেক্ট এত কম কেন?

শুধু নিজের জানার জন্য এই প্রশ্নটা করা। এখন আসি আপনার মন্তব্যটাকে একটু ডাইসেকশন করি। ইদানিং আমার সবকিছু নিয়ে আলোচনা করার ভূতে পাইছে। নামাতে পারছি না।

"ভুলে গেলে চলবে না যে বিজ্ঞান কিন্তু একটা অনগোয়িং প্রসেস , যে কোন সময় এটা ডিস্প্রুভ হবার সম্ভাবনা থাকে "

এটা খুবই সত্য কথা কিন্তু ভুলে গেলে চলবে না যে মেডিক্যাল সায়েন্স এমন এক ধরনের বিজ্ঞান যেখানে অনুমানের কোনো সুযোগ নাই। যদি কোনো কিছু অনুমান বা অর্ধ পরীক্ষিত বা অর্ধ আবিস্কৃত অবস্থায় বাজারে ছাড়া হয় এর ফলাফল হাতে নাতে পাই। এই যেমন কিছুদিন আগে ফ্রান্সে যে ঔষুধের ট্রায়ালে বেশ কিছু মানুষ মারা গেলো, ফলাফল কোম্পানী বন্ধ। এখন এই যেসব রোগ, জটিলতা এগুলো আমরা বছরের পর বছর দেখছি। আর বাল্যবিবাহের ফলে যে কুপ্রভাব শরীরে পড়ে এর প্রতিক্রিয়া বুঝতে আপনাকে বছরের পর বছর অপেক্ষা করার দরকার নাই। মানসিক প্রতিক্রিয়া সপ্তাহান্তেই দেখতে পাওয়া যায়, শারীরিক জটিলতা একটা বাচ্চা নেবার সময়ই দেখা যায়, ৩০ পার হলে আমাদের অধিকাংশ মায়েরা অস্টিরিওপ্রোসিস, ডায়াবেটির, লীভার ফল, প্রেসার, এনিমিয়া ইত্যাদি মারাত্মক রোগে ভুগে বাকিটা জীবন কাটিয়ে দেয় এগুলো আমাদের চোখের সামনেই ঘটছে। তো আমার মনে হয় জেনেটিক্যালি আমরা যদি পরিবর্তিত না হই বিবর্তনের মাধ্যমে তাহলে সায়েন্সের ওপর বিশ্বাস না রাখাটা খুব বুদ্ধিমানের কাজ হবে না বোধ হয়।

"তখনকার যুগের মানুষের শারীরিক অবস্থার সাথে এখনকার যুগের মানুষের শারীরিক অবস্থার পার্থক্য থাকলেও থাকতে পারে"

এটার চান্স কম। কারন বর্তমানের মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা এবং গড় আয়ু পৃথিবীর মানব বিকাশের ইতিহাসের অতীতের যেকোনো সময়ের চাইতে বেশী। রেফারেন্স দেবার মনে হয় কোনো প্রয়োজন নেই, আর মেয়েদের ক্ষেত্রে আমি দেখতে পারেন মাতৃমৃত্যুর হার নবজাতক জন্মদেবার সময়! বাংলাদেশে তো এখন এটা সর্বনিম্ন পর্যায়ে যা পুরো পৃথিবীর জন্যও একটা রেকর্ড!

" so it is really wrong to disprove this social-science, it might be chaotic"


ধর্ম সোশ্যাল সায়েন্স না, এনথ্রোপলজী মানে নৃতত্ববিজ্ঞান। আমাদের ব্লগের সাবেক শরৎবাবু এ বিষয়ে পিএইচডি করছেন। তার বন্ধু মানস ভাই এই ব্লগেও লিখতেন এবং জাহাঙ্গীর নগরে এই বিষয়ের শিক্ষক। এই দুজনের সাথে অনেক আগে এক রিক্সায় ঘুরেছিলাম! ওল্ড মেমোরিজ!

"সেখানে যদি কোন কিছু ভুল মনেও হয় আপাতদৃষ্টিতে , সেটারও নিশ্চয়ই কোন সুযোগ্য কারন রয়েছে , যেটা হয়তো আমাদের এই সীমাবদ্ধ মস্তিষ্ক দ্বারা খণ্ডন করা এতো সহজ নয় ।"

ধর্মের দৃষ্টিকোন থেকে আমি এই পোস্টে একটু আলোচনা করার চেষ্টা করেছি। এই পোস্ট টাও দেখতে পারেন তবে আলোচনাটা এখানে বেশউগ্র পর্যায়ে চলে গেছে!

২০| ২১ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১০:৪৯

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: ধর্মীয় ব্যাপারে কিছু কমু না! নবী সাব নাকি উম্মত বাড়াইতে কইছেন । হের লাইগা হুজুরেরা জন্মনিয়ন্ত্রণে বাধা দেয়! এই কথা কইলাম এই কারণে যে বাল্যবিবাহের লগে দ্রুত গর্ভধারণের ব্যাপারটাও জড়িত । অাপনে ভালা লেহেন । অাগেও একখান পোস্ট পড়ছিলাম, মাগার মন্তব্য করি নাই । অাইজকা অাইয়া পড়লাম মেলাদিন পর । যাউকগা, কথা সেইডা না কথা হইলো, বাল্যবিবাহের মেইন কারণ হিসাবে ধরা হয় সচেতনতার অভাব । কথা সত্য! এছাড়াও কিন্তু মেলা কারণ অাছে । যেমুন, যে মাইয়া গো কম বয়সে বিয়া অয়, হেরা বেশিরভাগই গরিব । বাপ-মার পয়সা থাকেনা মাইয়ারে ভাত-কাপড় দেওনের । বিয়া দিয়া ভার মুক্ত হয় (অামি কই পালতে পারবিনা, জন্ম দেছ ক্যারে?)! অারও একটা কারণ হইছে, ইভটিজিং কিংবা পুরুষ লোকের কুনজর! এর লাইগা মা-বাপ মেলা টেনশনে থাহেন । তারা মাইয়ারে বিয়া দিয়া হাঁপ ছাইড়া বাঁচেন । অারও একখান কারণ হইলো, এই দেশে ছেলে-মেয়ের অবাধ মেলামেশাকে খারাপ চক্ষে দেখা হয় । কোন মাইয়া সম্পর্কে জড়াইলে ভাবা হয় নষ্ট হইয়া গেছে । মাইয়ার মতিগতি তারা বুঝতারেন না! এই ব্যাপারগুলার সদ্গতি না হইলে বাল্যবিবাহ কমতনা! বাল্যবিবাহ বিষয়ডা খুব খারাপ! যহন দেহি ১২ বছরের একটা মাইয়ার বুইড়া বেডার লগে বিয়া অয়, তহন সুইসাইড খাইতে মন চায় । বাপেরা প্রতিষ্ঠিত পাত্র পাইলে পাত্রের বেশি বয়সকেও তোয়াক্কা করেনা!

২১ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১০:৫৫

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: কথা গুলো অক্ষরে অক্ষরে সত্য। নিরাপত্তার ব্যাপারটা এখন এমনই একটা ইস্যু যে প্রতিষ্ঠিত বা বাইরের পাত্র দেখলেই মেয়ে বিয়ে দিয়ে পার করে দেয়া হয়।

ব্যাপারগুলো দুঃখ জনক

২১| ২২ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১২:০৬

গুলশান কিবরীয়া বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে তড়িৎ প্রতিউত্তরের জন্য । আপনি ঠিকি বলেছেন আমি সোশ্যাল সায়েন্স এর ছাত্রী । বাংলাদেশ থেকে ইংরেজি সাহিত্য পড়ে এসেছি আর এখন আইন নিয়ে পড়ছি । কিন্তু মজার ব্যপার হলো আমার জেন্ডার স্টাডিজ নিয়ে কোন আগ্রহই নেই । আমার আগ্রহ থেওরিটিকাল ফিসিক্সে , কসমোলজি , হিউম্যান অ্যানাটমি এবং জেনেটিক্স এ - মানে মোটামুটি বিজ্ঞান সম্পর্কে একটা ধারনা রাখার চেষ্টা করি ।
এখানে পড়লে একটু ধারনা পেতে পারেন যে কেউ কেউ সোশ্যাল সাইন্সই ভাবে ধর্মকে । এজন্যই বলছিলাম । আর আমি কি ভাবী সেটা গুরুত্বপূর্ণ কিছু নয় , ওটা একান্তই আমার ব্যাক্তিগত ।

মেডিক্যাল সায়েন্স অনেক সময় অনেক গুলো কেইস অবজাভেশন করেও একটা সিদ্ধান্তে এসে চিকিৎসা করে এবং সেটা অনেক সময় কালের বিবর্তনে ভুল চিকিৎসা হয়েছে বলেও প্রমাণ হয় । যে কোন রোগের কারন অতিতে যা ভাবা হয়েছিলো , আজকে আর সেটাকে কারন ভাবা হয় না । এরকম ঘটনা নিশ্চয়ই পড়েছেন ।

আগের দিনে মানুষের রিপ্রডিউসিং কেপাসিটি বেশী ছিল , কারন মানুষ ন্যচারালি ইমিউন্ড হতো । হয়তো মৃত্যুর হাড় বেশী ছিল । কারন শুধুমাত্র ফিজিকালি ফিট যে থাকত সেই সারভাইভ করতো । আগে ন্যচারাল প্রসেসে দুনিয়া কন্ট্রোল হতো , আর এখন মানুষ অনেকটা আয়ত্তে নিয়ে এসেছে আর্টিফিশিয়াল ইমিউনিটি ব্যবহার করে । এখন কথা হোল এই আর্টিফিশিয়াল প্রসেস কতোটুকু ভালো এই হিউম্যান এক্সিস্টেন্সের জন্য no one knows । আমরা মানুষেরা শুধুমাত্র পরীক্ষা নিরীক্ষা চালিয়ে যাচ্ছি । এই অবস্থায় কোন কিছুই কিন্তু নিশ্চিত করে বলা যায় না যে এটা ঠিক না ওটা ঠিক । তাই আমি ব্যক্তিগত ভাবে নিশ্চিত একটি ধারনা দিতে পছন্দ করি না । কারন মানুষ হিসেবে আমাদের অনেক লিমিটেশন । তাই তো বলেছি আজকের সত্য কাল মিথ্যাও হতে পারে ।

আপনাকে অনেক ধন্যবাদ । আপনার সাথে কথা বলে বেশ মজা পাচ্ছি । ভবিষ্যতে আর কথা হবে । :)

২২ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১২:৩৭

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: শুনে ভালো লাগলো আপনি সোশাল সায়েন্সের ছাত্রী। আমার এক্সও সোশাল সায়েন্সের ছাত্রী ছিলেন। তার ওপর যখন আমি ছাত্রাবস্থায় বেশ টাকা পয়শার টানাটানিতে ছিলাম তখন সোশাল সায়েন্সের মাস্টার্সের দুটো থিসিস লিখে দিয়েছিলাম একটা সুইডেনের আরেকটা কানাডার ইউনির ছাত্রের। আপনার লিংকটা পড়লাম। যদিও অনেক কথা লেখা কিন্তু একাডেমিক লেখা পড়া থেকে যতটুকু জানি ধর্মকে সোশাল সায়েন্স বানানোর যে কন্ডিশন গুলো থাকা দরকার ধর্মগুলো সেই কন্ডিশন ফুলফিল করে না।

একটু আলোচনা করি....কাম কাইজ নাই, একলা রুমে ভ্যাট ভ্যাট করতে ভালো লাগে।

সোশাল সায়েন্সের সংজ্ঞানুসারে যেটা বুঝি বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে মানবুক সমাজের যে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এবং আচার সেগুলো নিয়ে কাজ করা এবং মানব সমাজকে কিভাবে আরো উন্নততর করা যায় সেটা নিয়ে গবেষনা করাই এর লক্ষ্য।

কিন্তু ধর্মটা পড়ে হিউম্যানিটিজ সেকশনে। কারন আপনি হয়তো বুঝে থাকবেন যে ঈশ্বরের যে কনসেপ্ট এটাকে বর্তমান প্রচলিত বেসিক বৈজ্ঞানিক মডেলে কোনো প্রকারে খাপ খাওয়া যায় না। বর্তমান কার বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি বিশ্লেষনের মডেল বা ফ্রেমওয়ার্ক বা পদ্ধতিসমূহ সবই ষোড়শ শতাব্দীর আগে একজন ধারনা দিয়ে গেছেন, নামটা মনে আসতেছে না।

সে হিসেবে পৃথিবীতে যতগুলো ধর্ম আছে তার বেশীর ভাগের আচার এবং পদ্ধতিসমূহ কালের পরিবর্তে কুসংস্কারে পরিণত হয়েছে। যদিও এর ধর্মের বেসিকগুলো দর্শনের সাথে ওতোপ্রোতোভাবে জড়িত কিন্তু এর পর থেকে যা শুরু হয়েছে তার বেশীর মানুষ্য মনে ও তার মূলের তত্ব নিয়ে বেশী করে কথা বলার চেষ্টা করা হয়েছে।

একঈশ্বরবাদী ধর্মসমূহ যেগুলো বিশ্বে ব হুল ভাবে সমাদৃত তাতে দেখা যায় সোশাল সায়েন্সের যেসব প্রতিবিধান তা নিয়ে অনেক আগেই লিখে গেলেও কালের বিবর্তনে সেগুলো এখন হুব হু কেউ পালন করতে পারে না। যে জাতী পালন করে দেখা যায় তাদেরকেও অনেক নিয়ম পরিবর্তন করতে হয় এবং ঘুরে ফিরে পরিবর্তন টা কোন ধারায় আসবে সেটার নির্ভরশীলতা সোশাল সায়েন্সের বিভিন্ন শাখায় পতিত হয়।

সে হিসেবে বলতে পারেন পরিপূর্ন ধর্ম সমূহ যেগুলো অনুশীলন ব্যাপক ভাবে বিস্তৃত সেগুলো একটা সময় সোশাল সায়েন্সের সাথে মিশে গেলেও আক্ষরিক ভাবে সেগুলো নৃতত্বের মধ্যেই পড়ে। কারন যখন এই ধর্ম নামের বিষয় নিয়ে সোশাল সায়েন্সে খাপ খাওয়াতে যাবেন তখন অনেক দ্বন্ধের সৃষ্টি হবে যা সোশাল সায়েন্সের বেসিকে আঘাত করে।

এছাড়া ধর্মের প্রতিবিধান কখনো কোয়ানটিটিভ রিসার্চ বা কোয়ালিটেটিভ রিসার্চে খাপ খাওয়ানো যাবে না যার সবচেয়ে বড় উদাহরন হলো সমাকামীতা। এই এক সমকামীতা এখন একেক দেশে একেক রকম। আশ্চর্য্যের ব্যাপার হলো সমকামীতার ব্যাপারে ১৭ টি মুসলিম দেশ কঠোর শাস্তি দিলেও তুর্কী ইন্দোনেশিয়ার কাতারের মতো দেশ একে বৈধ ঘোষনা করেছে। ৫ টি দেশে মৃত্যুদন্ড দেয়।

এখন আপনার ঐ লিংকের একটা পয়েন্ট হলো ধর্মে ইমাজিনেশনের সুযোগ আছে, তার প্রয়োগ আছে। কিন্তু সোশাল সায়েন্সে স্বপ্নের চেয়ে সমাজিক স্টাবিলিটির ওপর জোর দিয়ে সেটার ওপর পুংখানুপুংখ কাজ করার সুযোগ দেয়।

আর আপনার প্রোডাকটিভ এবিলিটির পয়েন্ট টা ভালো লাগছে। যদিও আমি বিবর্তনবাদ বা মেডিক্যাল সায়েন্সের ওপর খুব বেশী পড়াশোনা করিনি, তবে আমার মনে হয় এটা সত্য হতে পারে। এটা ঠিক যে আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তখন প্রকৃতি প্রদত্ত ছিলো। এই যেমন এখন সবচেয়ে ভয়ানক রোগ ধরা হয় টিউবারকোলোসিস মানে যক্ষ্মা। ধারনা করা হয় আমাদের যে এন্টি বায়োটিক পদ্ধতির মাধ্যমে রোগ নিরাময় করা, এটা আর কিছুদিন পর কাজ করবে না। শরীরের বিবর্তিত ইমিউনসিস্টেম আর এটাকে নিজের সাথে খাপ খাওয়াতে পারবে না। তাই অদূর ভবিষ্যতে সামান্য যক্ষ্মায় ব হু মানুষ মারা যেতে পারে।

যদিও ২-৩ মাস আগে নতুন একটা পদ্ধতি আবিষ্কার হয়েছে যেখানে খোদ যক্ষ্মার জীবানুকে ধ্বংস করার জন্য নতুন এক ধরনের এন্টি বায়োটিক পদ্ধতি আবিস্কার করছে। সামনে আসছে ন্যানোবটের যুগ, বলা হয় পাওয়ার সোর্সের সমস্যা মেটানো গেলে এই ন্যানোবট দিয়ে ক্যান্সার, ডায়াবেটিস, এইডস নির্মূল করা কয়েক মিনিটের কাজ।

তবে বিজ্ঞানের একটা ব্যাপার আছে ভিত্তিটা কখনো পরিবর্তিত হবে না। এই যে রিলেটিভিটি বা আইনস্টাইনের কসমিক ধ্রুবক। যেগুলো খোদ ঐ ব্যাটাই সন্দিহান ছিলো। আমরা ব হু চেষ্টা করেও ভুল তো প্রামন করতে পারিই নি বরংচ এগুলো একেকটা ধ্রুব সত্য হয়ে দাড়িয়েছে। এখন যারা কথায় কথায় স্ট্রিং থিওরী বা সুপার স্ট্রিং এর বংশউদ্ধার করে গালি দিয়ে, হয়তো এগুলোই আগামীর পদার্থবিজ্ঞান হয়ে যাবে!

আমি আশাবাদী। কারন মানুষ যতদিন মেধার লালন করবে ইনশাল্লাহ মানব জাতীকে পেছনে ফিরে তাকাতে হবে না!

ভালো থাকুন সব সময়!

২২| ২২ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ১১:৫৬

হাসান নাঈম বলেছেন: ধন্যবাদ বিস্তারিত উত্তর দেয়ার জন্য।

আসলে পুরো ব্যাপারটাই আপেক্ষিক। যে কোন গবেষণা যখন কোন একটা পুর্ব সিদ্ধান্তকে সামনে রেখে করা হয় তখন তার ফলাফল সেই দিকে যেতে বাধ্য। বাল্য বিবাহ সম্পর্কিত গবেষনাগুলি শুরুই হয়েছে মুলত একটা লক্ষকে সামনে রেখে - জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রনে রেখে মানুষের অর্থনৈতিক স্বাচ্ছন্দ নিশ্চিত করা। তাছাড়া সুখ সাচ্ছন্দ আনন্দ বিনোদন - ইত্যাদি জীবনকে উপভোগ করার যত বিষয় আছে সেগুলিকেই যদি টার্গেট করা হয় তাহলে বাল্য বিবাহ নি:সন্দেহে একটা বড় সমস্যা। তো সেই সমস্যা সমাধানের জন্য সহজ উপায় হল বাল্য বিবাহ বন্ধ করে দেয়া - মাথা ব্যাথার জন্য মাথা কেটে ফেলা আর কি।

আপনি নিজেও বলেছেন বাল্য বিবাহের সাথে জনসংখ্যা বৃদ্ধির সম্পর্ক নিবিড়। আজ থেকে একশ বছর আগে চিকিৎসা বিজ্ঞানের সেই পশ্চাৎপদ সময়ে যখন বিশ্বের অধিকাংশ এলাকায় বাল্য বিবাহ প্রচলিত ছিল তখনও জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার অনেক বেশী ছিল। আমাদের আগের প্রজন্মের দাদী নানী চাচী মামীরা ১২ - ১৪ বছরে বিয়ে হয়ে নর্মাল ডেলিভারীতে ৬-৭টা বাচ্চার জন্ম দিয়েও ৭০-৮০ বছর সুস্থ জীবন যাপন করে গেছেন। অথচ আজকের অতি আধুনিক মেয়েরা ২৫ এর পরে বিয়ে করেও একটা দুইটা বাচ্চার জন্মও নরমাল ডেলিভারিতে দিতে পারে না - সিজারিয়ান লাগে। আর তারপর হয়ে যায় সারা জীবনের রুগী।

বাল্য বিবাহ যদি মাতৃমৃত্যুর প্রধান কারণ হয়ে থাকে, আর যদি শুধুমাত্র মায়ের জীবন ও স্বাস্থের কথা বিবেচনা করে এটার বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়া হয়ে থাকে তাহলে বাল্য বিবাহ কমার সাথে সাথে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার বাড়ার কথা। বয়স্ক মায়েরা সন্তান জন্ম দিতে আরো বেশী সক্ষম হবেন ফলে আরো বেশী সন্তান জন্ম দেবেন - উন্নত চিকিৎসার মাধ্যমে মা ও সন্তান উভয়ে সুস্থ ভাবে বেঁচে থাকবে - এটাই ছিল স্বাভাবিক। কিন্তু বাস্তবে আমরা দেখি বাল্য বিবাহ কমার সাথে সাথে জনসংখ্যাও কমছে - কেন?

আসলে সমস্যাটা হয়েছে এখানে যে, আমরা কী চাই? আমরা চাই যারা দুনিয়ায় এসেছি তারাই দুনিয়ার সব সম্পদ ভোগ করব সুখে শান্তিতে থাকব - বেশী মানুষ এসে যাতে আমাদের এই সুখে ভাগ বসাতে না পারে - সেজন্যই আমাদের এইসব চেস্টা। এই আত্মকেন্দ্রিকতা বা স্বার্থপরতার চশমা চোখে দিয়ে আমরা যাই দেখি তার ভাল-মন্দ বিবেচনা সেইভাবে বদলে যায়।

আপনার যুক্তিগুলি দারুণ! দেখি কিছু জবাব দিতে পারি কী না -

প্রাকৃতিক ভাবে তৈরী বিভিন্ন প্রাণী যেমন শুয়োর, সাপ, ব্যাং ইত্যাদী নিশিদ্ধ করা হয়েছে মানুষের কল্যানের জন্য - আর আপনারা সেই মানুষকেই নিশিদ্ধ করে দিচ্ছেন - কার কল্যানের জন্য? সম্পদ সুখ ক্ষমতা আধুনিকতা সাচ্ছন্দের জন্য?

আমের গোটা আসে আম হওয়ার জন্য কিন্তু সেটা খাওয়ার উপযোগী হতে বা পাকতে কিছুটা সময় লাগে। আম পেকেছে কী না সেটাও প্রাকৃতিক ভাবেই বোঝা যায় - তারপরও না পারলে ঝরে যায়। একই ভাবে নারী জন্মের অন্যতম প্রধান লক্ষ মাতৃত্ব। আর সে উপযু্ক্ত হয় ঋতুবতি হওয়ার মাধ্যমে।

যৌনতা সন্তান উৎপাদনের মাধ্যম - বিয়ের মাধ্যমে সেই ব্যাবস্থাটাকে সামাজিক স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে মাত্র - সন্তান জন্মে বাধা দেয়া হয় নাই - বরং বয়প্রাপ্তির পর দ্রুততম সময়ে বিয়ের ব্যাবস্থা করতে বলা হয়েছে - বাল্য বিবাহ রোধের নামে সন্তানের আগমনই প্রতিহত করা হয়েছে।

প্রাকৃতিক ভাবে যাকে যে দ্বায়িত্ব দেয়া হয়েছে তাকে সেটা সহ্য করার সক্ষমতাও দেয়া হয়েছে। তাই মাতৃত্বের যন্ত্রনা পুরুষকে দেয়ার যুক্তি না দেখানই ভাল।

যাই হোক - কথা যতই বলি বিতর্কের শেষ হবে না। কারণ আপনি যে অবস্থান থেকে বিষয়টা দেখছেন, আমি দেখছি তার চেয়ে ভিন্ন দৃস্টি ভঙ্গিতে। গ্লাসের অর্ধেক পুর্ণ এটা যদি সত্যি হয় তাহলে গ্লাসের অর্ধেক খালি এটাওতো সত্য। শুধু এতটুকু বলব - আধুনিকতার নামে আমরা যা কিছু চর্চা করছি তাকেই চুড়ান্ত সত্য হিসেবে বিশ্বাস করে তা বাস্তবায়নের জন্য পুর্ণ নিবেদিত না হওয়ার জন্য। এই আধুনিকতার মধ্যেও যে সমস্যা আছে, আর তার বাইরেও যে কিছু বক্তব্য আছে সেটা গ্রহন করারমত মুক্ত মন থাকলে সেটা আরো কল্যানকর হবে বলে আশা করা যায়।

২২ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ২:২৯

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ

আপনার কমেন্ট টা বারংবার পড়লাম পড়ে মনে হলো হয় আপনি আমার পোস্ট পড়েননি বা বুঝেননি অথবা আপনি আমার সাথে একমত নন। কারন আপনার কমেন্টের প্রায় ৮০% উত্তর পোস্টে রেফারেন্স সহ দেয়া আছে কিন্তু আপনি রেফারেন্স ছাড়াই সে বিষয়গুলোর ব্যাপারে ভিন্ন মত বা নিজের মতো করে মত দিয়েছেন। বাকি ২০% উত্তর দিতাম তার আগে জানা দরকার আপনার কমেন্ট কি আপনার অজ্ঞতা নাকি গোয়ার্তুমি নাকি আমার অজ্ঞতা?

আমার অজ্ঞতা হলে দয়া করে রেফারেন্স নিয়ে আসুন সেগুলো খন্ডন করবোক্ষন


হ্যাপী ব্লগিং

২৩| ২২ শে মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৪:০২

হাসান নাঈম বলেছেন: একমত যে নই তাতো স্পস্ট করেই বলেছি।

কারণও বলেছি - আপনি যে আধুনিকতা ও গবেষণার ভিত্তিতে চিন্তা করছেন, আমিতো সেটাই সমর্থন করি না।

এই আধুনিকতার অন্যতম মুল বিষয়ই হল - দুনিয়া উপভোগ করা। যে যত ভাল ভাবে দুনিয়া উপভোগ করতে পারে সে তত সফল। এই অবস্থান থেকে আপনি যত চিন্তা গবেষণাই করবেন তার ফলাফল একটাই হবে - ১৮ বছরের কমে বিয়ে খুবই খারাপ। সন্তান ধারণের ফলে যত সমস্যা হয় তার সবই শুধুমাত্র কম বয়সের কারনে - সেখানে অন্যকোন কারণ খুঁজে পাওয়া যাবে না।

আর আপনি যদি আমার অবস্থানে আসতে পারেন - তাহলে জীবনকে দেখতে হবে দ্বায়িত্ব হিসেবে। নারী জীবনের অন্যতম প্রধান দ্বায়িত্ব মাতৃত্ব - আর তার সুচনা হয় ঋতুবতি হওয়া থেকে। এবং একজন নারি যত বেশী সন্তান জন্ম দিতে ও লালন পালন করতে পারবেন তার জীবন তত সার্থক। হাজার বছর ধরে এটাই পৃথিবীর নিয়ম ছিল - আর তখন জনসংখ্যা বৃদ্ধির হারও ছিল অনেক বেশী।

আপনার আজকের আধুনিক বিজ্ঞান এসে এখানে সমস্যা খুজে পেল - ঠিক আছে, সমস্যা থাকলে তার সমাধান খোঁজা উচিত ছিল যাতে মায়েরা আরো সহজে বেশি সংখ্যায় সুস্থ সন্তান জন্ম দিতে পারে - কিন্তু তারা করল উল্টো, তারা বল্ল ১৮ বছরের আগে সন্তান জন্ম দেয়াই যাবে না!

আমি যখন তথাকথিত আধুনিক দৃস্টিভঙ্গীকে মানদন্ড মানছি না - তখন আপনার রেফারেন্সগুলি গুরুত্বহীন হয়ে যাচ্ছে। আর আমি যা বলছি তা খুবই সাধারণ কথা - এর জন্য রেফারেন্সের প্রয়োজন দেখি না। আপনি নিজেই বলেছেন বাল্য বিবাহের সাথে জনসংখ্যা বৃদ্ধির সরাসরি সম্পর্ক আছে। আমি সেটাই চাইছি - জনসংখ্যা স্বাধীন ভাবে বৃদ্ধি পাক, আর আমাদের সকল প্রচেস্টা হোক সেই বর্ধিত জনগোষ্ঠির প্রয়োজনীয় রুজির ব্যাবস্থা করা - তাই চাইছি নারী ঋতুবতি হওয়া মাত্রই বিয়ে হোক। এতে যদি স্বাস্থগত কোন সমস্যা থাকে - আধুনিক বিজ্ঞান সেগুলি সমাধানের উপায় নিয়ে গবেষণা করুক, চিকিৎসা পদ্ধতি উদ্ভাবন করুক - সরাসরি ১৮ বছরের নিচে বিয়ে নিশিদ্ধ করার কোনই প্রয়োজন নাই।

আপনার জ্ঞানের প্রতি আমার যথেস্ট আস্থা আছে, বরং দৃস্টিভঙ্গির ব্যাপারে আমি ভিন্নমত পোষণ করছি। আশা করি আমার অবস্থান পরিষ্কার করতে পেরেছি।

২২ শে মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:০৮

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: আপনি বাল্যবিবাহ সমর্থন করেন এটাকে পাবলিকলি ব্লগে জানানোর জন্য আপনার সাহসের প্রশংসা করি। জিপি তে থাকার সময় আমাদের টিমে এক রাজাকার পুত্র জয়েন করেন। তিনি জয়েন করার দু একদিন আগে আমাদের কলিগ যে কিনা তার ভালো বন্ধু ছিলো এক সময় বলেছিলেন আমরা যেনো তার নাম জিজ্ঞেস না করি বিশেষ করে আমাকে ভালো করে বলছিলো। তো সে জয়েন করার ১ দিনের পর আমি আমার উত্তেজনা চাপায়া না রাখতে পেরে তার নাম পুরা নাম জিজ্ঞেস না করে তার বাবার নাম জিজ্ঞেস করি। সে এড়ায় যায়। অন্যান্য কথা বলে।

যাই হোক, আপনি নিজের মতামত বোল্ডলি দিলেন তো মনে হয় না আপনাকে জবাব দেয়ার জন্য কেনো রেফারেন্সের প্রয়োজন আছে আর এটাও বুঝা যায় আপনার পড়া লেখা ডিগ্রী পর্যন্ত গেলেও আপনি নির্দিষ্ট পুস্তিকা ছাড়া বেশী কিছু পড়েন না বা পড়লেও বুঝেন না। জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রন না করলে যেটা হতে পারে তার খুব সুন্দর বর্ননা পাবেন ম্যালথাসের থিওরীতে। ম্যালথাসের বিপর্যয় থিওরী ঠেকানোর জন্য অনেকগুলো পথা দেখানো হইছে তবে তার একটা থ্রেশহোল্ড পয়েন্ট আছে। তার ওপর সর্বশেষ প্রকৃতি নিজে একটা ব্যালেন্স করে। ফসিল আর আইসকিউব গবেষনায় দেখা গেছে গ্রীন হাউস এফেক্ট, গ্লোবাল ওয়ার্মিং পৃথিবীতে ১০০০০ বছর পর পর হয় যেটা অনেকটা পৃথিবী আর সূর্য্যের চারপাশে থাকা ম্যাগনেটিক ফিল্ডের পরিবর্তনের কারনে হয়ে থাকে। সবচেয়ে নিকটতম পরিবর্তনটা হয়েছে খুব সম্ভবত ৫০০০ বছর আগে। ষোড়শ শতাব্দীর দইকে বিশাল এক সৌর ঝড়ে পৃথিবীর ম্যাগনেটিক ফিল্ড চেন্জ্ঞ হলেও এরপর আর ততটা দেখা যায় নি। কিন্তু গ্লোবাল ওয়ার্মিং, এলনিনো ভয়াব হ পর্যায়ে।

আর আপনারা যারা জনসংখ্যা বৃদ্ধি তত্ব আর রিজিক তত্বে বিশ্বাস করেন তারা মাঝে মাঝে এসব প্রশ্নের উত্তর দিতে ভুলে যান যে রাস্তার পাশে লক্ষ লক্ষ টোকাই ময়লার ভাগাড় থেকে খাবার সংগ্রহ করে না খেয়ে থাকে অথচ বাংলাদেশ পৃথিবীর শীর্ষস্থানীয় চাল এবং খাদ্য শস্য উতপাদনের দেশ হয়েও রপ্তানী না করে ব হু মানুষকে অভুক্ত রাখতে হয়। যদিও বলেন পশ্চিমারা অনেক খাবার নষ্ট করে, তাই আমরা না খেয়ে থাকি। কিন্তু দেখা যায় পশ্চিমা দেশগুলো ব হুলাংশে কৃষি উৎপাদন শীল দেশ না আর সবচেয়ে বড় কথা পশ্চিমা বিশ্বে আমাদের খাদ্য রপ্তানী করা ব্যান করছে খোদ বাংলাদেশের সরকারই কারন এত নিম্ন মানে পেস্টিসাইড হাবি জাবি কোয়ালিটি কন্ট্রোল!

আর মেয়েদের শরীরে কি প্রভাব পড়ে সেটাও এড়িয়ে গেলেন। মানসিক কি কু প্রভাব পড়ে সেটাও এড়িয়ে গেলেন। আর আপনি বললেন বিজ্ঞান কি করবে? যদি আপনি সিন্থেটিক ঔষুধ দিয়ে পয়দা হবার পরই স্টেরয়েড বা জেনেটিক্স দিয়ে সন্তান প্রোডাকশন করার মেশিন বানিয়ে ফেলেন, কিন্তু সন্তান জন্ম দানের ব্যাপারে প্রকৃতির কথা বললেন: কেমন যেনো হিপোক্রেট বা ডাবল স্ট্যান্ডার্ড হয়ে গেলো না?

ভালো থাকবেন....আপনি আপনার মত নিয়ে থাকেন.....কারন আপনার মতের দৃষ্টিভঙ্গি স হন করার মতো আমার ক্ষমতা নেই!

আল্লাহ হাফেজ!

২৪| ২২ শে মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৪:৫০

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: পিরিয়ড হয়ে গেলে বা ডাগর ডুগুর হয়ে গেলে মাইয়ার বিয়া দিতে সমস্যা কি?
---- এই ডায়ালগ শুনেছি আশেপাশের স্বজনদের মধ্যেই।
মাইয়ার শইল স্বাস্থ্য ভালো। বয়স কম ( ১৩-১৫) সমস্যা কি? জামাইয়ের লগে থাকলে এম্নেই বাত্তি হইয়া যাইব
-- এইটাও কমন ডায়ালগ হিসেবে শুনেছি আশেপাশের স্বজনদের কাছে
একটা দুইটা পোলাপাইন হইলে এমনেই সংসার বুইঝ্যালাইবো
-- এইটাও কমন ডায়ালগ।

নট অনলি গ্রাম-শহর ভিত্তিক, শিক্ষিত- অশিক্ষিততে তফাত নাই এই কথা বলার সময়।

একটা লেখায় পড়েছিলাম সবচেয়ে কম বয়সী মায়ের বয়স পাঁচ বছর যে কিনা বাবা দ্বারা গর্ভধারণ করেছিলো।
একটা পিচ্চি মেয়ে সংসার করতেছে বা ১৭-১৮ বছর বয়সী একজন মা বাচ্চা কোলে হিমশিম খাচ্ছে ব্যাপারটা ভাবতেই গায়ে কাঁটা দেয়।

১৩ নাম্বার কমেন্টের ক্ষেত্রে বলছি - ১৩ বছর বয়সে যৌনমিলনে ক্ষতি নেই কিন্তু সঙ্গীর বয়স কত হবে?

আপনার এক কমেন্টের উত্তরে ১৪ বছর বয়সে যৌনজ্ঞান লাভ বা সমসবয়ীদের সাথে সম্পর্ক --- এটা একবার নিজেরে দিয়ে ভাবলাম। ঐ বয়সে আমার চোখ কান বন্ধ ছিল মনে হয়। হাল্কা একটা প্রেম প্রেম সম্পর্কে জড়াইছিলাম কিন্তু প্লেটোনিক ভাবেই মনে হয় সময়টা চোখের পলকে শেষ হইছে। হাত ধরাধরি দূরের কথা কল্পনাতেও আনতে পারতাম না। ইনফ্যাক্ট চিন্তায় আসতো না। যুদ বদলাইছে, শিক্ষার ধরণ বদলাইছে। আগে ক্লাস সিক্স সেভেনে যা পড়ি না এখন আমার ছেলে সেটা পড়তেছে এবং শারীরিক শিক্ষা স্বাস্থ্য বইতে পিরিয়ড, স্বপ্নদোষ, বীর্যপাত ইত্যাদি নিয়ে আমাকে প্রশ্নও করেছে। তো সে হিসেবে বলতে পারি যে ব্যাপার ( শারীরিক) গুলো আমার বাবা মা বা শিক্ষক হাইড করে গেছে এখন সেসব ক্লাসেই শেখানো হয়। কিন্তু এই কোয়েশ্চেন গুলোর সঠিক উত্তর সন্তানকে বা শিক্ষার্থীকে জানানো হয় কিনা আমার সন্দেহ আছে। তখন আমি ক্লাস সিক্সে পড়ি, হুমায়ূন আহমেদের বই নতুন পড়ি। রাতে খেতে বসে আব্বাকে জিজ্ঞেস করলাম -

লাইগেশন কি ?
আব্বা একটু কাশলো ভাত খাওয়া থামিয়ে। আর মা দিলো ধমক - বেশি পাকছস? আউট বই পড়া শিখছস?
পরে আব্বা আমাকে উত্তরটা দিয়েছে, সঠিকটাই।

যা জিজ্ঞেস করতে চাইছিলাম সেটা থেকে দূরে চলে গেছি। ১১-১৩ বছর বয়সে মানসিক গ্রোথ হবার আগে শারীরিক গ্রোথ মানে অনুভূতির ফিলিংস যৌন অনুভূতি কি আসে? আমি আমার ছেলেকে খুব খেয়াল করি, ওর রিয়েকশন, ওর বডি ল্যাংগুয়েজ কিন্তু বুঝে উঠতে পারি না!

সবশেষে এটাই বলতে চেয়ে টিন প্রেগন্যান্সী আর্থিক স্বচ্ছলতা থাকলেও কাম্য নয়। একজন মানুষের মানে একজন নারীর মানসিক পূর্ণতা আসার আগে বাচ্চার মা হওয়া কাম্য না। ন্যূনতম বিয়ের বয়স ১৮ না হয়ে সেটা ২৪-২৫ হলে মনে হয় ভালো হতো। যৌনতা, ভালোবাসা শিখার আগেই মা হওয়া বা যারা মা হতে বাধ্য হচ্ছে সেটা হরিবল লাগে। আমি মা হইছি ২২ বছর বয়সে। মা হবার পর বাচ্চার প্রতি মা মা ফিলিংস আসছে আমার অনেক দেরীতে আর কেন ফিলিংস দেরীতে আসছে সে নিয়ে কম কথা শুনতে হয়নি। টপিক, সাব টপিক নিয়ে সবকথা এখনো শেয়ার করতে পারলাম না।

২২ শে মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১২

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: শান্ত হোন। মনে করেন যা হয়েছে ভালোর জন্য হয়েছে। ফেসবুকে দেখলাম একটা কিউট সন্তান আছে, তাকে মানুষ করুন।


আর এরকম আবেগে ঠাসা ব্যাপার গুলো লিখুন, যাতে ২৩ নম্বর কমেন্টকারী হাসান নাঈম এর মতো মানুষেরা বুঝতে পারে মেয়েরা শুধু পুরুষের যৌনতা আর সন্তান পালনের জন্যই জন্ম নেয় নি। একজন পুরুষ যতটুকু মানুষ, একজন মেয়েও ঠিক ততটুকু মানুষ, এই পৃথিবীতে আল্লাহর রহমতের ওপর হক দু জনেরই সমান!

ভালো থাকুন এবং একজন মা হয়ে সমাজের আগামীর সন্তানদের পথ দেখান!

২২ শে মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৩০

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: আপনি বোধ হয় একটা প্রশ্ন করেছিলেন যার উত্তর দিতে ভুলে গেছি।

"যা জিজ্ঞেস করতে চাইছিলাম সেটা থেকে দূরে চলে গেছি। ১১-১৩ বছর বয়সে মানসিক গ্রোথ হবার আগে শারীরিক গ্রোথ মানে অনুভূতির ফিলিংস যৌন অনুভূতি কি আসে?"

উমমম....আমি তাহলে নিজের অভিজ্ঞতার কথা শেয়ার করি। যদিও অনেকটা খোলামেলা কিন্তু ধরে নিলাম সবাই আমরা এখানে প্রাপ্ত বয়স্ক। আমারটা হয় ক্লাস সিক্সের দিকে মনে হয় তখন ১২ বছর ছিলাম। মনে পড়ে রাতের বেলা কিছু একটা হয়েছিলো। কিন্তু ঘুমের ঘোরে টের পাই নাই। কিন্তু তার কয়েক মাস আগে থেকেই লক্ষ করতাম যে সকাল বেলা বাদ, পাড়ার আপু দের ওড়না আলগা হলে বা হিন্দি ছবির বিশেষ দৃশ্যের সময় আমার বসে থাকতে হয়। তখন অত কিছু বুঝতাম না, আর ক্লাসে আমরা সবকিছু নিয়ে আলাপ করলেও ওগুলো নিয়ে আলাপ করতাম না। যাই হোক, সকালে উঠে হঠাৎ মনে হলো দু পায়ের মাঝখানে ঠান্ডা। তো আমি সকালের খাবার খেয়ে স্কুলে যাবার জন্য গোসল করলাম। হঠাৎ যে প্যান্ট পড়ে ঘুমাইছিলাম ওখানে হাত দিয়ে দেখি কেমন যেনো হয়ে আছে। একটু ভয় হলো এই ভেবে যে আমি মনে রাতে হিস্যু করে দিছি।

যাই হোক এরপর মাসে দেখা গেলো কয়েকবারই এমন হতো। হঠাৎ আমাদের ক্লাসের শাহীন দেখলাম টিফিন টাইমে খেলা বাদ দিয়ে কি একটা পড়তেছে আর সবাই তারে ঘিরা আছে। শাহীন ছিলো ভালো স্ট্রাইকার ফুটবলের। আমিও গেলাম। দেইখা তো মাথা নষ্ট। পরে আমি চটিতে আসক্ত হলাম, মাস্টারবেশন শিখলাম ক্লাস ৮ এ গিয়া, এর মাঝে দু বছর একটা কাহিনী হয় যেখানে আমি একটু ধারনা পাই। কাহিনীটা বললাম না,কারন এই কাহিনীটা অনেক খারাপ কিছুর জন্ম দেয় এবং যেভাবেই হোক সেটা চাপা দেয়া হয়। ক্লাশ নাইনে গিয়ে একটা মেয়ের প্রতি টান অনুভব করি, কিন্তু তাকে নিয়া স্বপ্নে বা হস্ত মৈথুনের সময় তেমন কিছু ভাবতাম না কারন মেয়েটাকে ভালো লাগতো আমার। এর মধ্যে ক্লাশের কয়েকজন ফরিদপুরের মাছপট্টিতে যেতো হঠাৎ হঠাৎ এবং সে বিষয়ে বর্ননা দিতো, যদিও বিশ্বাস হতো না খুব একটা। ক্লাস এইটে থাকতে স্কুলে চটপটি বেচনে ওয়ালা হান্নান আর মোরশেদ ব্যাবসা শুরু করলো এবং হান্নান মেয়েদের জন্য ছেলেপেলেকে সুবিধা প্রদান করতো।

এসব ঘটনা ৯০ থেকে ৯৬ পর্যন্ত। তারমানে একটা ছেলের জন্য অনেক সুবিধা আছে এসব ব্যাপারে।

কিন্তু একটা মেয়ের ব্যাপারে সেই সুবিধা নাই। ধরা যাক আমি যে অপকর্মটা করছি ক্লাস ৭ এর দিকে সেটা যদি একটা ছোট মেয়ে হতো তাহলে মেয়েটা ফিলিংস পাইতো না কিন্তু শরীর থেকে সেক্স স্টেরয়েড আগে থেকেই বের হয়ে তার প্রিকোশিয়াস পুবার্টি হয়ে যেতো। এই পুবার্টিটা হতো শুধু মাত্র হরমোনের কারনে। তার প্রজননতন্ত্র বিকশিত হোক বা না হোক। যেটা আমি পোস্টে বলেছি রেফারেন্স সহ। তাই দেখা যায় একটা ছোট মেয়েকে যদি এই অবস্থায় বিয়ে দেয়া হয় তাহলে যৌনতা তার জন্য উপভোগ্য হবে না, যেটা হবে সেটা হলো তার যৌনাঙ্গে একটা শক্ত কাঠ দিয়ে খুচানো আর কি। বারবার রক্তাক্ত হবে, যন্ত্রনা হবে, এবং সারাজীবন যৌনতাটাকে একটা ব্যাথাপ্রবন দুর্বিষহ অভিজ্ঞতা। আর সেক্ষেত্রে তাকে গর্ভবতী করে বাচ্চা প্রসব করানো হয়, এই বাচ্চা মেয়েটা যে পেইন অনুভব করবে সেটার কথা বলার ভাষা নাই!

ধন্যবাদ!

২৫| ২৩ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ১০:৫৩

হাসান নাঈম বলেছেন: মানুষের একটা খুব মৌলিক বৈশিষ্ট হল সে তার নিজের গন্ডির বাইরে চিন্তা করতে পারে না।

আমি আশা করেছিলাম আপনি হয়ত তার ব্যাতিক্রম হবেন - কিন্তু দু:খিত, সম্পুর্ণ অপ্রাসঙ্গকি বিষয়ের অবতারনা করে আপনি প্রমান করলেন কী নিদারুন সংকীর্ণ মানসিকতা লালন করছেন!! নিজের মতের বিরোধীতা করলেই সেটা রাজাকার সংশ্লিস্ট বিষয় দিয়ে প্রতিহত করার মানসিকতা এ'দেশের কিছু মানসিক বিকারগ্রস্থ চেতনাবাজের মধ্যে দেখা যায় - আমি এখনও আশা করি আপনি সেই চক্র থেকে নিজেকে মুক্ত রাখতে পারবেন।

হ্যা, আমি স্বীকার করি কয়েক প্রজন্ম ধরে আধুনিকতা আর বিজ্ঞানের নামে সারা বিশ্ব ব্যপি চালান ব্যাপক প্রচার প্রচারনার প্রভাব থেকে মুক্ত হওয়া খুবই কঠীন। সবার পক্ষে সেটা সম্ভবও না। সেজন্যই আগের কমেন্টে বলেছিলাম - আমার মতে আসার দরকার নাই, শুধু যেন আপনার মতের ব্যাপারে চরমপন্থী না হন। আপনি যা কিছু জানেন বোঝেন তার বাইরেও যে বহু বিষয় জানর/উপলব্ধির আছে সেটা মানতে না পারলে মানসিক বিকলাঙ্গতার আশংকা থেকেই যায়।

"জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রন না করলে যেটা হতে পারে তার খুব সুন্দর বর্ননা পাবেন ম্যালথাসের থিওরীতে।" - বিজ্ঞানের নামে থিওরীতে 'বিশ্বাস' আর ধর্মের নামে মুর্তি পুজার মধ্যে খুব এটা পার্থক্য নাই - যদি কোন দিন বুঝতে পারেন, ভাল। না বুঝলে আর কী করা - কার বিশ্বাসে আঘাত করা উচিত নয়। সুতরাং আপনি যা খুশি বিশ্বাস করতেই পারেন।

নারী প্রাকৃতি নিয়মে ঋতুবতি হওয়ার পরও তাকে মাতৃত্বের অধিকার/সুযোগ থেকে বঞ্চিত করার যত প্রচেস্টা বিশ্বব্যপী চলছে তা নিতান্তই একটা জুলুম - এবং এই জুলুমটা করা হচ্ছে সম্পদ সংরক্ষনের জন্য, সচ্ছলতার জন্য। জনসংখ্যার কারণে বা উৎপাদনের স্বল্পতার কারণে পৃথিবীতে কখনই খাদ্যাভাব বা দুর্ভিক্ষ হয় নাই - নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত সেন এটা প্রমান করেছেন। সমস্যাটা যারা তৈরী করেছেন সেই পুঁজিবাদী ভোগবাদী নীতির প্রবর্তক প্রচারকরাই আধুনিকতা, নারীর ক্ষমতায়ন, জীবন উপভোগ করা ইত্যাদির নামে নারীর উপর এই জুলুমটাও করছে। এর পরিনতি কখনই ভাল হওয়ার নয় - পুরো বিশ্ব যে প্রচার প্রচারনার আবরনে আচ্ছন্ন হয়ে আছে - সেটা কেটে গেলে হয়ত আপনাদের বোধদয় হবে মানুষ হয়ে মানুষ হত্যা (ভ্রুন হত্যা, জন্ম নিয়ন্ত্রন, বিলম্বিত বিয়ে) করে কী অপরাধটা করেছেন।

যাই হোক, এটা আপনার ব্লগ, আপনি যা খুশি লিখবেন - তাতে কার কী!
ভাল থাকুন - আরো গভীর ভাবে চিন্তা করুন, নিজের চিন্তার গন্ডি পেরিয়ে যাওয়ার চেস্টা করুন।
আল্লাহ আপনাকে সঠিক উপলব্ধি দিন - আমীন।

২৩ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ২:০৩

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: আপনাদের মতো মানুষের যারা বিজ্ঞানকে সবসময় সন্দেহের চোখে দেখেন এই কথাটা প্রচার করার জন্য যখন ব্লগ ফেসবুক বেছে নেন তখন বেশ হাসি লাগে এমন হিপোক্রেসী দেখে। ৯০ এর শেষের দিকে এমন হিপোক্রেসী দেখা যেতো গ্রামের কাঠমোল্লাদের মধ্যে যখন তাদের পানি পড়া ঝাড় ফুকের বাজার পড়তির দিকে ছিলো। তারা মাইকে সমানে ওয়াজে বিজ্ঞান হেন বিজ্ঞান তেন। তো এক ভরা ওয়াজ মহফিলে কিছু লোক উইঠা চিল্লায়া বললো ,"মাইকটা কি আপনের মাদ্রাসা বানায় দিছে?"

যতদূর জানি মীরজাফর, গোলাম আজমও মুসলমান ছিলেন আর নিমক হারামী তাই বোধ হয় তার বংশধরদের রন্ধ্রে রন্ধ্রে


মানুষ হোন, আপনার সুস্থতা কামনা করি

২৬| ২৩ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ২:২৪

বিজন রয় বলেছেন: এই পোস্ট দেওয়ার আগে আপনি আমাকে বলেছিলেন আপনার এই পোস্ট দারুন জমবে। সত্যিই তাই!! আমি আপনাকে বলেছিলাম আপনি একজন জিনিয়াস, কিন্তু ব্লগাররা তো বুঝলেন না, কিন্তু এখন আস্তে আস্তে বুঝতে পারছেন সবাই।

আপনি বুড়ো ব্লগার, আর আমি খুবই নবীন। আমি অতশত বুঝি না।

বাল্য বিবাহ খারাপ না ভাল তা মানুষ, সমাজ, রাষ্ট্র নিজেদের প্রয়োজনে অলরেডী ঠিক করে নিয়েছে। আগে বিযে হতো ৭/১০ বছরে, আর এখন বিয়ে হয় ১৬-২৫ বছরে। সামনেও মানুষ তার প্রয়োজনে ঠিক করে নিবে।

এরজন্য কোন বিজ্ঞান বা ধর্মের প্রয়োজন নেই।
তবে উপকার বা অপকারিতা বিজ্ঞান বের করেছে, এটা ঠিক।

অসাম পোস্ট, অসাম আলোচনা।

২৩ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ২:৫৯

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: কমন সেন্সের ওপর বড় কিছু নাই

ধন্যবাদ

২৭| ২৩ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ২:৪৩

হাসান নাঈম বলেছেন: যাক আপনি অন্তত আমার অসুস্থতার বিষয়টা বুঝতে পেরেছেন!
তার মানে কি এই যে আপনি এখনও সুস্থ আছেন?
এর অর্থ কিন্তু ভিন্নও হতে পারে - এক বাড়ি থেকে বিদ্ভুটে গন্ধ আসছিল। কেউ বুঝতে পারছিল না গন্ধটা কিসের। একজন বল্ল এটা গাঁজার গন্ধ। সে কিভাবে চিনল? কারণ সে ছিল গাঁজা খোর!
আরো ভেঙ্গে বল্লে বলা যায় : সব পাগলই ভাবে সে ছাড়া বাকি সবাই পাগল।

তাই বলে ভাববেন না আমি আপনাকে পাগল বলছি। আমি আসলে আপনার সংকীর্ণমনতা দেখে বিস্মিত হচ্ছি। সারা জীবন বিজ্ঞান আর মুক্ত চিন্তার কথা বলেও মানুষ কিভাবে এত চরমপন্থী হয়, বিজ্ঞানের নামে কিভাবে অন্ধ বিশ্বাস মানুষকে আচ্ছন্ন করে সেটাই চরম বিস্ময়কর। আপনি বিশ্বাস করেন পৃথিবিতে মানুষ বেশী হলে তা ভয়াবহ বিপর্যয় ডেকে আনবে - তাই জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রন করা খুবই জরুরী। অথচ এই আপনাকেই যদি বলা হয় - এত সমস্যা তৈরী করে যে মানুষ তাদেরকে হত্যা করে সংখ্যা কমালে কেমন হয়? নি:সন্দেহে আপনি তার প্রতিবাদ করবেন, বলবেন এটাতো পরিষ্কার খুন। যে জন্ম নিয়েছে তাকে হত্যা করা আপনার কাছে বিরাট অপরাধ বা খুন। অথচ মানুষকে জন্মাতে না দেয়াটা খুবই ভাল উত্তম উপকারী প্রয়োজনীয় - কি বিস্ময়কর বৈপরিত্ব!!

আপনি বা আপনারমতের সমর্থক অধিকাংশ বাংলাদেশী এখনও এই মানে আছে যে তারা মানুষের জন্মকে প্রতিহত করতে চাইলেও খুনকে সমর্থন করে না। কিন্তু আপনাদের গুরু - যাদের আপনারা অন্ধ অনুসারী তারা গর্ভপাতের মাধ্যমে ভ্রুন হত্যাকে ইতিমধ্যেই বৈধতা দিয়েছে এবং গত শতাব্দিতে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে বহু নৃতাত্মিক জনগোষ্ঠিকে শ্রেফ মেরে শেষ করে দিয়েছে - কেন? কারণ মানুষ বেশী হলে সমস্যা।

দোয়া করি আপনাদের অবস্থার অতটা অবনতী যেন না হয়। আশা করি তার আগেই তথাকথিত আধুনিকতা আর বিজ্ঞানের নামে প্রচলিত অন্ধ বিশ্বাসের বলয় থেকে বেরিয়ে আসতে পারবেন।

২৩ শে মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৩:০১

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: ও আচ্ছা, তো দাসীদের সাথে সহবাস করবার সময় যে পুল আউটের হাদিস আছে সেটাও বোধ হয় ভুল তাই না? এখন আবার রেফারেন্স চাহিয়া লজ্জা দিবেন না। আপনে তো বিশাল আলেম আর আমি তো কোথাকার কোন অন্ধবিশ্বাসী!

২৮| ২৩ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ২:৫০

হাসান নাঈম বলেছেন: সাম্প্রদায়িকতা বা সংকীর্ণতার একটা বড় বিষয় হচ্ছে এভাবে চিন্তা করা - যে আমার দলের বা আমার সম্প্রদায়ের তার কোন দোষ ধরা যাবে না। সে যত অন্যায়ই করুক যেহেতু সে আমার পক্ষের বা যেহেতু আমি দার দ্বারা উপকৃত হয়েছি তাই তার সব দোষ ত্রুটি অন্যায় অবিচার মেনে নিতে হবে।

মাইক আর ওয়াজের উদাহরণটা পড়ে বুঝাগেল আপনি বিশ্বাস করেন মাইক, ব্লগ, কম্পিউটার, ফেইবুক - এ'সব যেহেতু বিজ্ঞানের অবদান তাই এ'গুলিতে বিজ্ঞানের নামে প্রচলিত ভুল ক্ষতিকর বিষয়ে কিছু বলা হিপোক্রেসী! অর্থাৎ বিজ্ঞান দ্বারা উপকৃত হলে, বিজ্ঞানের সম্প্রদায়ে সংযুক্ত হলে - বিজ্ঞানের নামে যা কিছু বলা হবে সব বিনা দ্বিধায় মেনে নিতে হবে। অথচ যদি ঠিক এই কথাটাই ধর্মের নামে বলা হয় - আপনি সেটাকে ধর্মান্ধতা সাম্প্রদায়িকতা বলে গালি দেবেন।

সত্যিই বড় বিচিত্র মানুষের চিন্তা ধারা!

২৩ শে মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৩:০৫

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: তা ঠিক, বাচ্চা জন্ম দিতে গিয়ে একজন মায়ের মৃত্যু হলেও অল্প বয়সী শিশুকে প্রেগন্যান্ট বানিয়ে হলেও বাচ্চা চাই। আসলে যারা শিশুকামী তাদেরকে কখনো যুক্তি দিয়ে বোঝানো যাবে না। আর যদি সে হয় মুসলমান পেডোফাইল তাহলে তো আর বলার কিছু নাই।

ভাবতে অবাক লাগে যে লোক একটা শিশুকে বিয়ে করে সহবাস করতে চায় তাদের মনমানসিকতা কতটা বিকৃত। আর আপনার সাকা বিষয়ক পোস্ট পরে বুঝেছি আপনি কি মাল!

২৯| ২৩ শে মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৩:৪২

হাসান নাঈম বলেছেন: আপনিতো দেখছি যুক্তি বাদ দিয়ে ব্যাক্তিগত আক্রমন শুরু করলেন!
আর অপ্রাসঙ্গিক বিষয় এনে কথা ঘুরাতে চাচ্ছেন! এটাতো ভাল ব্লগারের বৈশিস্ট হওয়া উচিত না।

আচ্ছা ১৮ বছর বয়স না হলে যে একজন নারী শিশু থাকে - এটা কে বলেছে? আপনার আধুনিক বিজ্ঞান, তাই তো?
অথচ দেখুন সেই আধুনিক বিশ্বের শতকরা ৯০% ভাগ মেয়ে কৌমার্য হারায় ১৪ বছরের আসেপাসে। তাহলে তাদের দেশের সবাই কি শিশুগামী?

বাচ্চা জন্ম দিতে গিয়ে মায়ের মৃত্যু হয় - এটা নি:সন্দেহে দু:খ জনক। কিন্তু এর জন্য শুধুমাত্র বয়সকেই দ্বায়ি করার যুক্তি কি? যদি কার শারিরিক সমস্যা থাকে তার জন্য চিকিৎসার ব্যাবস্থা করেন - ঢালাও ভাবে ১৮ বছরের নিচে বিয়ে দেয়া যাবে না - এটা সবার উপর চাপিয়ে দিচ্ছেন কেন? অধিকাংশ মেয়ে যারা ১৫-১৬ বছরেই মাতৃত্বের যোগ্যতা অর্জন করে - তাদেরকে জোর করে বিরত রাখার অধিকার আপনাদের কে দিল??

গাড়ি চালাতে গিয়ে, খনিতে বা মিল কারখানায় কাজ করতে গিয়েও বহু মানুষ মারা যায় - তাহলে কি সেগুলিও বন্ধ করে দেবেন? তাহলে শুধুমাত্র মানুষের জন্মের প্রতি আপাদের এত ক্ষোভ কেন? মানুষই কি আপনাদের শত্রু? মানুষ বেশী হলে সম্পদে ভাগ বসাবে - আপনারা জীবনকে উপভোগ করতে পারবেন না - এই স্বার্থ সংঘাত থেকেই কি বিশ্ব ব্যাপী মানুষের জন্মের বিরুদ্ধে এই প্রচার প্রচারণা??

২৩ শে মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৩:৫৮

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: অথচ দেখুন সেই আধুনিক বিশ্বের শতকরা ৯০% ভাগ মেয়ে কৌমার্য হারায় ১৪ বছরের আসেপাসে। তাহলে তাদের দেশের সবাই কি শিশুগামী?

এটার উত্তর কমেন্টে দেয়া হইছে।

যদি কার শারিরিক সমস্যা থাকে তার জন্য চিকিৎসার ব্যাবস্থা করেন - ঢালাও ভাবে ১৮ বছরের নিচে বিয়ে দেয়া যাবে না - এটা সবার উপর চাপিয়ে দিচ্ছেন কেন? অধিকাংশ মেয়ে যারা ১৫-১৬ বছরেই মাতৃত্বের যোগ্যতা অর্জন করে - তাদেরকে জোর করে বিরত রাখার অধিকার আপনাদের কে দিল??

কন্ট্রাডিকটরি....এখানে সুত্রগত কোনো ভিত্তি নেই।

গাড়ি চালাতে গিয়ে, খনিতে বা মিল কারখানায় কাজ করতে গিয়েও বহু মানুষ মারা যায় - তাহলে কি সেগুলিও বন্ধ করে দেবেন?

গাড়ি চালানো খনি বা মিল প্রাকৃতিক কোনো কাজ না, কিন্তু সন্তান জন্ম দেয়া প্রাকৃতিক: এটা আপনিই বলেছেন।

মানুষই কি আপনাদের শত্রু? মানুষ বেশী হলে সম্পদে ভাগ বসাবে - আপনারা জীবনকে উপভোগ করতে পারবেন না - এই স্বার্থ সংঘাত থেকেই কি বিশ্ব ব্যাপী মানুষের জন্মের বিরুদ্ধে এই প্রচার প্রচারণা??

এটা সম্পদের সুষম বন্টন হয় না এবং গরীব বা প্রজাদের হক আদায় করা যায় না যার ফলে প্রাকৃতিক বিপর্যয়....যার উত্তর কমেন্টে দেয়া আছে।

আপনিতো দেখছি যুক্তি বাদ দিয়ে ব্যাক্তিগত আক্রমন শুরু করলেন!
আর অপ্রাসঙ্গিক বিষয় এনে কথা ঘুরাতে চাচ্ছেন!


আপনিই বলেছেন বাল্যবিবাহ সমর্থন করেন। যদি ইসলামী মতে ব হুবিবাহও সমর্থন করেন তাহলে বলতে হয় এটা শিশুকামকে বৈধ করা ছাড়া কিছুই নয়।

৩০| ২৩ শে মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৪:২১

হাসান নাঈম বলেছেন: "গাড়ি চালানো খনি বা মিল প্রাকৃতিক কোনো কাজ না, কিন্তু সন্তান জন্ম দেয়া প্রাকৃতিক:" - এইটা কি বল্লেন বুঝলাম না। প্রাকৃতিক কাজ বলে সেটা বাদ দেয়া যাবে আর প্রাকৃতিক কাজ না হলে সেটা চালিয়ে যেতে হবে তাতে যত মানুষই মরুক?

আসল কথা হল কাজ প্রাকৃতিক হোক আর না হোক সকল কাজেই কিছু না কিছু ঝুকি থাকে। আমাদের কাজ ঝুকি মোকাবেলা করা - আসল কাজটাই বাদ না দেয়া।

"এটার উত্তর কমেন্টে দেয়া হইছে।" - দু:খিত, কোন কমেন্টে দিয়েছেন দেখি নাই। আর একবার একটু বলবেন কি? প্রশ্নটা পরিষ্কার করে বলি - ১৮ বছরের আগে নারীরা শিশু থাকে এই মান দন্ড কিসের ভিত্তিতে তৈরী করা হয়েছে। যখন আমরা দেখছি পশ্চিমা সমাজের নারীরা ১৩-১৪ বছরেই কৌমার্য হারাচ্ছে। পার্থক্য একটাই ওরা বিয়ে না করে লিভ টুগেদার করছে, আর আমি বলছি বিয়ে দেয়ার কথা।

"কন্ট্রাডিকটরি....এখানে সুত্রগত কোনো ভিত্তি নেই।" - কথাটা মনে হয় বুঝাতে পারি নাই। আরো পরিষ্কার করে বলি - প্রাকৃতিক ভাবে ঋতুবতি হওয়াই একজন নারীর সন্তান জন্মদানে সক্ষমতার নিদর্শন। হতে পারে কিছু মেয়ের শারিরিক অন্যকোন সমস্যার কারনে তার জন্য সন্তান জন্ম দেয়ে ঝুকিপুর্ণ - সেক্ষেত্রে তার চিকিৎসা করা উচিত। কিন্তু যেসব মেয়ে ১৫-১৬ বছরেই মাতৃত্বের যোগ্যতা অর্জন করে তাদের কে বিয়ে দেয়াই যাবে না - এই আইন আপনি কিভাবে চাপিয়ে দিচ্ছেন? আপনি কি বলতে পারবেন ১৮ বছরের নিচে কোন মেয়েই মাতৃত্বের যোগ্য হয় না?

আর বাল্য বিবাহ বলতে আপনি যখন ১৮ বছরের নিচে যে কোন বিয়েকেই বোঝাতে চাইছেন - তখনই কিন্তু আমি বিরোধীতা করছি। এই ১৮ বছর বিষয়টা চাপিয়ে দেয়া - প্রাকৃতিক ভাবে মাতৃত্বের যোগ্যতার নিদর্শন হচ্ছে ঋতুবতি হওয়া। তথাকথিত আধুনিকতা এই প্রাকৃতিক বিধান অস্বীকার করছে - এখানেই আমার আপত্তি।

২৩ শে মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৪:৩৬

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: থাকে। আমাদের কাজ ঝুকি মোকাবেলা করা - আসল কাজটাই বাদ না দেয়া।
......

আপনার মন্তব্য থেকেই কন্ট্রাডিক্টরী স্টেটম্যান্ট, যেটার সংশোধনী হিসেবে বলছেন আরও গবেষনা। কিন্তু ততদিন কোলেটারাল ড্যামেজ এছাড়া এনার্জী ক্রাইসিস আর সন্তান ধারন দুটো ভিন্ন ইস্যু হলেও এদের উপযোগীতা আলাদা তাই সমর্থন যোগ্য নয় সংশোধনী

......
যেসব মেয়ে ১৫-১৬ বছরেই মাতৃত্বের যোগ্যতা অর্জন করে তাদের কে বিয়ে দেয়াই যাবে না - এই আইন আপনি কিভাবে চাপিয়ে দিচ্ছেন? আপনি কি বলতে পারবেন ১৮ বছরের নিচে কোন মেয়েই মাতৃত্বের যোগ্য হয় না?
.....
ওপরে পোস্টে আর কমেন্ট এর উত্তর রেফারেন্স সহ দেয়া হইছে। যদি উপযুক্ত তথ্যের সুত্রের ব্যাতিরেকে নতুন কিছু না বলেন তাহলে আর বলার কিছু নাই
......
আর বাল্য বিবাহ বলতে আপনি যখন ১৮ বছরের নিচে যে কোন বিয়েকেই বোঝাতে চাইছেন - তখনই কিন্তু আমি বিরোধীতা করছি। এই ১৮ বছর বিষয়টা চাপিয়ে দেয়া - প্রাকৃতিক ভাবে মাতৃত্বের যোগ্যতার নিদর্শন হচ্ছে ঋতুবতি হওয়া। তথাকথিত আধুনিকতা এই প্রাকৃতিক বিধান অস্বীকার করছে - এখানেই আমার আপত্তি....
একবার বললেন বয়ঃসন্ধি হলেই প্রাকৃতিকভাবে বিয়ে আর সন্তানধারনের যোগ্য আবার বলছেন ১৮ বছর। কি বোঝাতে চান ঠিক করে বলুন

৩১| ২৩ শে মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৫:৪৮

গুলশান কিবরীয়া বলেছেন: আলোচনা গুলো পড়লাম , বেশ উষ্ণ তপ্ত আলোচনা উঠে এসেছে । অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি টপিকস নিয়ে আপনি লিখেছেন এবং জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের জন্য যে কথা গুলো বলেছেন সবই গুরুত্বপূর্ণ এবং অর্থবহ । আর এই জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ অতি আবশ্যক এই আধুনিক যুগে , কিন্তু কেন আআবশ্যক ?
আবশ্যক এই কারনে যে পৃথিবী বৈজ্ঞানিক ভাবে অনেক এগিয়ে গেছে , মানুষ জীবনকে নিয়ন্ত্রণ করতে শিখে গেছে , যার ফলে মৃত্যুর হাড় কমে গেছে । মানুষ এখন অমরত্বের স্বপ্ন দেখে এবং সেটা হয়তো সফলও হবে । এখন এই সাফল্যমণ্ডিত আধুনিক বিজ্ঞানের যুগে জন্ম নিয়ন্ত্রণ যদি আমরা না করি তবে জনসংখ্যার বিস্ফোরণ ঘটবে , তখন প্রকৃতি ভয়াল আকার ধারণ করে প্রতিশোধ নেবে নানান প্রকারের প্রাকৃতিক দুর্যোগের মাধ্যমে । এটা আমার কথা নয় সার ডেভিড এটেনবারার কথা ,

“We are a plague on the Earth. It’s coming home to roost over the next 50 years or so. It’s not just climate change; it’s sheer space, places to grow food for this enormous horde. Either we limit our population growth or the natural world will do it for us, and the natural world is doing it for us right now,”

তার মতে আমরা এই পৃথিবীর প্লেগ , সহজ কথায় এই সুন্দর পৃথিবীতে আমরা মানুষেরা একপ্রকার জঞ্জজাল , যারা প্রতিনিয়ত ধ্বংস করে চলেছি এই সুন্দর প্রকৃতিকে আধুকিকতার নামে ।

আগের দিনে জন্ম মৃত্যুর হাড় একটা ব্যলেন্সের মধ্যে ছিল , যেটা দিয়ে প্রকৃতি তার ভারসম্য রক্ষা করতো প্রাকৃতিক উপায়ে । আর এখন যেহেতু সবকিছু আধুনিকায়ন হয়ে গেছে তাই আধুনিক উপায়েই করতে হবে - এছাড়া আমাদের আর কোন পথ খোলা নেই , কারন আমরা আলরেডি অনেক দূর এগিয়ে গেছি , পিছনের দিকে হাঁটাটা বুদ্ধিমানের কাজ হবে না । জনসংখ্যা আগে প্রকৃতি নিয়ন্ত্রণ করতো আর এখন মানুষ করবে সেটা অথবা করে - এতে কোন সমস্যা থাকা উচিৎ নয় ।

হাসান নাঈম সাহেব বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ কথা বলেছেন । তার কথা গুলোও ভেবে দেখার মত । আমি চাই না বাল্যবিবাহ , এবং মানুষ আধুনিক জীবন পরিহার করে পিছনে চলে যাক সেটাও চাই না তবে ভিন্ন মত শুনতেও আমার কোন আপত্তি নেই । কারন আমি একজন মুক্তচিন্তক , যে কোন বিষয়ে মৌলিক চিন্তার ধারক এবং বাহক নোই ।

আপনার এই পোস্টের প্রধান উদ্দেশ্য যদি জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ হয় , তবে আপনার সাথে সহমত পোষণ করছি আর যদি অন্যের বিশ্বাসকে ভুল প্রমাণের নিমিত্তে হয় , তাহলে আপনার ঐ উদ্দেশের সাথে দ্বিমত পোষণ করছি । প্রত্যেক মত ও বিশ্বাসেকে আমি পূর্ণ সম্মান দিতে পছন্দ করি এবং বিনয়ের সাথেই দ্বিমত পোষণ করি । দয়া করে ভুল বুঝবেন না আমাকে , আমি সবসময় সত্যের পথে চলতে পছন্দ করি এবং কোনভাবেই পক্ষপাতিত্ব করতে পছন্দ করি না , তা যতই কঠিন হোক ।

অনেক শুভকামনা রইল , ভালো থাকবেন ।

২৩ শে মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:০১

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: আপনার কাছে কোনটা গুরুত্বপূর্ণ

জনসংখ্যার সম্প্রসারণ না বাল্যবিবাহ পরবর্তী একটা ছোট মেয়ের দৈহিক আর মানসিক জটিলতাসমূহ ও বিপর্যয় ?

৩২| ২৩ শে মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১০

গুলশান কিবরীয়া বলেছেন: My darling , I told that with clear voice - you should find the answer from the saying । :)
let me see what u can interpret ...

Im waiting ...

২৩ শে মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৩৫

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: যদি অন্যের বিশ্বাসকে ভুল প্রমাণের নিমিত্তে হয় , তাহলে আপনার ঐ উদ্দেশের সাথে দ্বিমত পোষণ করছি ।

আমি এটা বুঝেছি কিন্তু উপরের যিনি ভিন্ন মত পোষন করছেন তার কাছেও আমার এই প্রশ্ন ছিলো।সমস্যা হলো তিনি বিজ্ঞান বিশ্বাস করেন না। কিন্তু কি বিশ্বাস করেন সেটার রেফারেন্সও দিচ্ছেন না। ভদ্রলোক আমাকে প্রোভোক করছেন। ব্লগিং লাইফে এই টেকনিক ব হু পুরোনো। তার প্রোভোকিং এ টেম্পার হারিয়ে ফেললে তিনি জিতে যাবেন আবার সে কোনো যুক্তিযুক্ত আর্গুমেন্টে যাবেন না যতক্ষন না তাকে আমি যুক্তিকে এতোটুকু ছাড় দেই। আর এসব সেন্সিটিভ ইস্যু নিয়ে ছাড় দিয়ে কথা বলা আমার ধাতে নাই।

ভিন্ন মত অবশ্যই আলোচনা করবেন। রেফারেন্স দেবেন তা সে যে কোনো জায়গারই হোক। আমরা সেই রেফারেন্স নিয়ে কথা বলবো। তার ইমপ্লিমেন্টেশন বা আমার রেফারেন্সের ভ্যালিডিটি তার আলোকে নেয়া সিদ্ধান্ত খুটিনাটি নিয়ে কথা বলবো। এটাই তো লজিক্যাল আলোচনা নাকি? একাডেমিক পর্যায়ে এভাবেই তো আমরা কোনো কিছু আলোচনা করি নাকি?

আমার এই পোস্টের উদ্দেশ্য হলো বাল্যবিবাহ পরবর্তী একটা বাচ্চা মেয়ের শরীর আর মনের ওপর কত বড় স্টিম রোলার যায় সেটা আলোচনা করা। এর সাথে এই যে জনসংখ্যা বিস্ফোরন, বিকলাঙ্গ জাতী হাবিজাবি প্রাসঙ্গিকতা এবং পরিসংখ্যান গত দিক থেকে আমার আলোচনাকে আরও শক্ত করার জন্য উল্লেখ করেছি।

আমি ভিন্ন মতকে অবশ্যই শ্রদ্ধা করি তবে তার একটা সিলভার লাইনিং আছে যেমন:

জামাত শিবির, মৌলবাদ, পেডোফাইল, ইসলামী জঙ্গীদের বিনা বিচারে হত্যা করার পক্ষপাতী (কারন এসব নিরাময়যোগ্য নয়, কেন নয় সেটার স্বপক্ষে ব হু আলোচনা করেছিলাম রেফারেন্স স হ ব হু ব্লগে প্রথম দিকে)।

তবে হ্যা, রিসেন্টলি আমি চেষ্টা করছি এর গোড়ায় যেসব কারন গুলো এসব কম্যুনিটির সৃষ্টি করছে সেসব কারনের আদর্শিক মোকাবেলা। কিন্তু তাই বলে আমার সিলভার লাইনিং এর ব্যাপারে নমনীয় হবো না।

বলতে পারেন আমি উগ্র, ঘাড়ত্যাড়া.....আমি বলবো আমি কোনো নবীরাসূল বা ঐশ্বরিক মানবিকতা নিয়ে পয়দা হই নাই আর গান্ধীর আদর্শও আমাকে টানে না!

ভালো থাকবেন!

৩৩| ২৩ শে মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৪৩

গুলশান কিবরীয়া বলেছেন: অশেষ ধন্যবাদ আপনাকে অত্যন্ত সুন্দর উত্তরের জন্য । ভালো লেগেছে আপনার ৩২ নম্বরের প্রতিউত্তর ।
আর আপনাকে স্পষ্ট ভাবে আবারো বলি , আমি বাল্যবিবাহের ঘোর বিরোধী ।

অনেক অনেক ভালো থাকবেন । :)

২৩ শে মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৪৯

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: আপনিও ভালো থাকবেন।

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ!

৩৪| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৮:০৫

কলাবাগান১ বলেছেন: "আমি আশাবাদী। কারন মানুষ যতদিন মেধার লালন করবে ইনশাল্লাহ মানব জাতীকে পেছনে ফিরে তাকাতে হবে না!"

কিন্তু আপনার পয়সার জন্য অন্যের থিসিস লিখে দেওয়া টাকে কোন ভাবেই সমর্থন করতে পারছি না.......আপনি নিজেই তো মেধার লালন করলেন না..কুমেধা কে লালন করলেন।

২৭ শে এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১১:৩৪

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: এইটা করছিলাম তিনটা কারনে। প্রথম কারন কিছু ফরেন রেমিট্যান্স কামাই দ্বিতীয় ফ্রিতে নতুন নতুন বিষয়ে বিষদ ও সুগভীর জ্ঞানার্জন আর তৃতীয় হলো জিনিসটা কুল লাগছিলো।

বলতে দ্বীধা করবো না যে তখন একটু টাকার প্রয়োজন হইছিলো, কিন্তু আসলেই এটা অপরাধ ছিলো আর আমি নিজেকে কখনোই মহাপুরুষ দাবী করি নাই। একটা সময় প্রচুর ভুল করছি, হেন কুকাম নাই যে করি নাই, কিন্তু সেগুলো একজন অতীত এবং তার জন্য অনুতপ্ত ও সেসব করবো না বলে নিজের কাছে সংকল্পবদ্ধ আছি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.