নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ঈশ্বর পটল তুলছে - নীৎসে/নীশে/নিৎচা

উদাসী স্বপ্ন

রক্তের নেশা খুব খারাপ জিনিস, রক্তের পাপ ছাড়ে না কাউকে, এমনকি অনাগত শিশুর রক্তের হিসাবও দিতে হয় এক সময়। গালাগাল,থ্রেট বা রিদ্দা করতে চাইলে এখানে যোগাযোগ করতে পারেন: [email protected]

উদাসী স্বপ্ন › বিস্তারিত পোস্টঃ

নতুন কনিকা টেট্রাকোয়ার্ক: নতুন যুগের সূচনা?

২৬ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১২:৫০

প্রথমেই সবাইকে স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা!


যাদের পার্টিক্যাল ফিজিক্স সম্পর্কে খুব বেশী ধারনা নাই বা যাদের প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষায় বিজ্ঞান তেমন ছিলো না তারা আগে এই পোস্ট টা পড়লে বুঝতে পারবেন বাকি পোস্ট।

ফেব্রুয়ারী ২২, ২০১৬ তে ফার্মিল্যাবের ডিজিরো প্রজেক্ট থেকে ঘোষনা দিলো যে তারা একটা নতুন কনিকারসন্ধান পেয়েছে যদিও তারা হিগস বোসনের মতো এতটা শিওর না। তবে ভাবেসাবে মনে হচ্ছে এই কনিকা থাকার সম্ভাবনা খারাপ না। কনিকাটার নাম আপাতত দেয়া হইছে X (5568)। এখন হয়তো জিজ্ঞেস করতে পারেন এ আবার কেমন নাম। আসলে কনিকাটার ভর পাওয়া গেছে ৫৫৬৮ মেগা ইলেক্ট্রন ভোল্ট।

আপনারা হয়তো জেনে থাকবেন মুসলমানদের কোরান শরীফের মতো পার্টিক্যাল ফিজিক্সেরও তেমন একটা ব্যাপার আছে যেটার নাম স্ট্যান্ডার্ড মডেল। যারা ছোটবেলা রসায়ন পড়েছেন তারা জানবেন সমগ্র মহাবিশ্বের যত জিনিস আছে সব গুলো যেসব মৌলিক পদার্থ দিয়ে তৈরী তাদের একটা চার্ট আছে যার নাম পর্যায় স্মরনী। ধরা যাক মহাবিশ্বের সকল কিছু ভেঙ্গে ক্ষুদ্রাতি ক্ষুদ্র করলে আমরা পাবো সেই অনু তারপর পরমানু তারপর আরও ভাংলে পাবো একটা নিউক্লিয়াস যার চারপাশে কিছু সংখ্যক ইলেক্ট্রন মৌমাছির মতো আজীবন ঘুরেই যাচ্ছে। তো এগুলো ভাংলে আরও ছোট করলে আমরা যেই কনিকা গুলো পাবো তাদেরও একটা চার্ট আছে সেটাই স্ট্যান্ডার্ড মডেল। তবে রসায়নের পর্যায় স্মরনীর সাথে এর পার্থক্য হলো পর্যায় স্মরনীতে আপনি আরও মৌলিক পদার্থ যোগ করতে পারবেন কিন্তু স্ট্যান্ডার্ড মডেল বলে দিতে পারবে কি কি কনিকা আপনি পাবেন আর কি কি সম্ভাব্য কনিকা থাকতে পারে, তাদের ভর কত হবে, কি হবে তাদের ধর্ম সবকিছু। এর বাইরে আর কোনো কিছু পাওয়ার সম্ভাবনা নেই। তো এখনও পর্যন্ত যত কনিকা পাওয়া গেছে তা মোটামোটি এই মডেলের ভবিষ্যতবানীর সাথে বেশ ভালোভাবেই মিলে গেছে। এমনকি হিগস বোসন কনিকা যে থাকতে হবে কনিকাসমূহের ভরের জন্য সেটাও এই স্ট্যান্ডার্ড মডেলে ৭০ দশকে গনিত কষে ভবিষ্যদ্বানী করে গেছে।

সমস্যা হলো গত বছর ডিসেম্বর মাসে আর এ বছরের মার্চ মাসে এলএইচসিতে ডিজিরো প্রজেক্টের মতো একই রকম কনিকার আভাস দেয়, এই উদ্ভট কনিকার নাম টেট্রাকোয়ার্ক বা X (5568) । কারন এই কনিকার সৃষ্টিও চারটি কোয়ার্ক দিয়ে। আশ্চর্য্যের ব্যাপার এই চারটি কোয়ার্কের দুটি কোয়ার্ক আর দুটি এন্টি কোয়ার্ক। এই কনিকাটা উচ্চ শক্তিস্তরে নির্দিস্ট সময়ে স্ট্যাবল থাকে, এরপর ক্ষয় হয়ে Bs এবং পাই মেসন কনিকায় রুপান্তরিত হয়। এর অভ্যন্তরীন গঠন সম্পর্কে এখনও সন্দেহ থাকলেও এর ক্ষয়ীষ্ণু চ্যানেলে লক্ষ্য করলে বোঝা যাবে যাবে এর দুটো সম্ভাব্য গঠন থাকতে পারে।নীচের ছবিতে এই গঠন দুটি দেয়া হলো।



উপরের চিত্রানুসারে বায়ের দিকের মলিকুলার মডেল অনুযায়ী X (5568) কনিকাটির চারটি কোয়ার্ক একক বন্ধন দশায় থাকবে। চারটি কোয়ার্ক হচ্ছে এন্টি স্ট্রেন্জ, আপ, এন্টি ডাউন আর বটম কোয়ার্ক। ডান পাশের ডাই কোয়ার্ক মডেল অনুযায়ী দুই জোড়া মেসন একে অপরকে ঘিরে কিভাবে ঘুরছে সেটা বোঝানো হয়েছে।

আরো বিস্তারিত বলার আগে একটু ইতিহাস নিয়ে কথা বলি। কোয়ান্টাম ক্রোমোডাইনামিক্স অনুসারে একসময় বাঘা বাঘা পদার্থবিদেরা মনে করতেন যে তিন কোয়ার্ক দিয়ে গঠিত কনিকা পাওয়াটা সম্ভব কিন্তু এর চেয়ে বেশী সংখ্যক কোয়ার্ক দিয়ে কোনো কনিকা পাওয়া সম্ভব না। সমস্যা হলো:

*২০০৩ সালে জাপানের বেল্লে ল্যাবে X (3872) কনিকার হদিসপাওয়া গেলো যেটা মূলত চারটি কোয়ার্কের (m_u-m_d)) সমন্বয়ে গঠিত। প্রকাশিত জার্নালে এটাও প্রমান করে দেখালো যে কোয়ান্টাম ক্রোমোডাইনামিক্সে আসলে ৪টা বা ৫ টা যতগুলাই হোক, কনিকা গঠন সম্ভব।
*২০০৪ সালে ফার্মি ল্যাবে পাওয়া গেলো DsJ(2632)।
* ২০০৭ সালে বেল্লে ল্যাব আরও দুটো কনিকার হদিসেরকথা বললো Z(4430) এবং Y(4660) যেগুলোর মধ্যে চারটি কোয়ার্কের দশা থাকতে পারে।
* ২০০৯ সালে ফার্মিল্যাবে Y(4140) নামের একটা অস্থায়ী কনিকার অস্তিত্বের কথা জানান দিলো।
* ২০১০ সালে জার্মানীর একটা সিঙ্কট্রোন আর পাকিস্তানের কায়েদ ই আজম ইউনিভার্সিটির এক পদার্থবিদ ϒ(5S) নামের এক কনিকার ঘোষনা দেয়া হলো যার মধ্যে কোয়ার্কের সংখ্যা ৫ টি বলে ধারনা করা হলো। নাম দেয়া হলো বটমোনিয়াম।
* ২০১৩ সালে চীন আর জাপানের বেল্লে মিলে Zc(3900) কনিকার অস্তিত্বের কথা জানান দিলো যার মধ্যে চারটি কোয়ার্ক থাকার সম্ভাবনা দেখা গেলো।
* ২০১৪ সালে এলএইচসিবি জানালো Z(4430) নামের আরেকটি কনিকা থাকার সম্ভাবনার কথা।
* ২০১৬ সালে ডিজিরো এক্সপেরিম্যান্ট এই X (5568) কনিকাটার খবর জানালো।


এখন কথা হলো এই কনিকা লইয়া আমরা কি করিবো? এটা নিয়ে পোস্ট লেখার কি দরকার ছিলো?

লার্জ হেড্রন কোলাইডারে এখনও পর্যন্ত সুপার সিমেট্রির কোনো কনিকা পাওয়া যায়নি। যার ফলে অনেকেই সন্দিহান সুপার সিমেট্রি আসলেই সঠিক তত্ব কিনা। তার ওপর


এমন চার পাচ কোয়ার্কের অদ্ভুত সব কনিকার খোজ খবর নিয়ে সবাই একটু হতবাক। সবচেয়ে আশ্চর্য্যের কথা হলো এই কনিকার খবর জানানো হয় গতবছরের ডিসেম্বর মাসে আর এই পর্যন্ত এই কনিকা কি হতে পারে আর তার ধর্ম কি সেটা নিয়ে প্রায় ২০০ জার্নাল লেখা হয়ে গেছে।

এখন বুলেট পয়েন্টে এই কনিকার ব্যাপারে গুরুত্বপূর্ন কথা বলে ফেলি:

১) গত বছরে যখন কলিশন ঘটানো হয়এলএইচসিতে তখন ৭৫০ GeV এর দিকে একটা স্পাইক দেখতে পাওয়া যায় ২২ MeV ব্যান্ডউইডথের মধ্যে। এলএইচসির সিম্যুলেশন এমনভাবে করা যে যখনই কোনো কনিকা গঠিত হয় কোনো সংঘর্ষ থেকে তখনই একটা স্পাইক দেখতে পাওয়া যায় গ্রাফে। তো এই ৭৫০ GeV এর স্পাইক নির্দেশ করে যে কনিকা পাওয়া গেলো তার শক্তিস্তর প্রোটনের চেয়ে প্রায় ৬ গুন বেশী।



উপরের গ্রাফে x অক্ষের ৭৫০ GeV বরাবর উপরের দিকে লাল লাইনের ওপরে যে তিনটি ফোটা দেখানো হইছে এইটাই সেই সিম্যুলেশনের ছবি।

২) ডিজিরো প্রজেক্টের এই এক্সপেরিম্যান্ট টা গতবছর এলএইচসি করে যেখানে এই কনিকার সিগন্যালটা খুব বেশী শক্তিশালী ছিলো না। এর ডাটা তারা মরিয়ন্ড কনফারেন্সে উপস্থাপন করে।


উপরের টেবিল থেকে বোঝা যায় যে গতবছর ১৫ ডিসেম্বর আর এই বছর ১৭ মার্চ এটলাস আর সিএমএস স্বতন্ত্র ভাবে তাদের কলিশন চালায় এগুলো দুইটা হাইপোথিসিসের উপর ভিত্তি করে সম্পন্ন করা হয়। প্রথম হাইপোথিসিস অনুসারে নতুন এই কনিকাটি হিগস কনিকার কোনো সুপার সিমেট্রি জোড় কিনা অথবা তার কোনো প্রতি কনিকা কিনা। এটা দেখার জন্য স্পিন ০ তে এই কনিকা পাওয়ার সম্ভাবনা কতটুকু তা নির্নয় করা আর দ্বিতীয় টেস্টে স্পিন ২ হলে এই কনিকা পাবার সম্ভাবনা কতটুকু আর সেই কনিকাটা গ্রাভিটন কিনা। গ্রাভিট্রন সম্পর্কে সাধারন ধারনার জন্য এই পোস্টে যান আর যদি ডিটেইলে জানতে চান তাহলে এখানে যান

টেবিলের লোকাল মানে হলো একটা নির্দিষ্ট এনার্জী ক্ষয়ের রেন্জে (৭৫০ থেকে ৭৬০ GeV) এই টেট্রাকোয়ার্ক কনিকার সিগনাল কতটা শক্তিশালী আর গ্লোবাল মানে হচ্ছে স্বল্প পরিসরে প্রচন্ড ভারী কোনো কনিকার ভরের দেখা পাবার সম্ভাবনা কতটুকু! পদার্থবিজ্ঞানে এরকম পরিংখ্যানে গড়মিল হরহামেশাই হয়। আর তাই গ্লোবাল এর দিক থেকে সাধারনত যদি সম্ভাবনার মান ৩ সিগমা না পাওয়া যায় তাহলে কেউ গুনায় ধরে না সেখানে পাওয়া গেছে মাত্র ২ সিগমা। ৫ সিগমা হলে সম্পুর্ন নিশ্চিত যে পাওয়া গেছে।তবে মে এর দিকে এই এক্সপেরিম্যান্টের দ্বিতীয় ধাপ শুরু হবে তখন আমরা জানতে পারবো আসলে কনিকাটার কাহিনী কি। সিগমা সম্বন্ধে ধারনা পেতে এই পোস্ট পড়ুন।

৩) X (5568) কনিকা কলিশনের পর পর যখন উৎপন্ন হয় উচ্চ এনার্জী স্তরে, এর কিছুক্ষন পরেই শক্তিশালী মিথস্ক্রিয়ার মাধ্যমে ক্ষয় হয়ে Bs মেসন আর পাই মেসনে রূপ নেয়। এই কনিকা গুলোর গঠনের দিকে তাকালে আমরা বুঝতে পারি যে X (5568) এ মোট চারটি কোয়ার্কের সমন্বয়ে এন্টি স্ট্রেন্জ, আপ, এন্টি ডাউন আর বটম কোয়ার্ক।



এই চিত্রে দেখা যাচ্ছে যে সংঘর্ষের পর গঠিত হওয়া X কনিকাটি কিভাবে নির্দিষ্ট সময় পর ক্ষয় হয়ে রূপ নিচ্ছে Bs মেসন আর পাই মেসনে।

৪) স্পিন ০ হাইপোথিসিস অনুসারে হিগস কনিকার যেসব রূপ নেবার সম্ভাবনা আছে তার মধ্যে হলো হিগসিনো। আরো যেসব কনিকার দিকে অনুমানটা যাচ্ছে সেগুলো হলো এস লেপ্টন, এস কোয়ার্কের দিকে। এই সবগুলো কনিকা সম্পর্কে ভবিষ্যতদ্বানী করেছে সুপার সিমেট্রি তত্বে। এসব কনিকার জায়গায় স্ট্যান্ডার্ড মডেলে না থাকলেও যদি আমরা সুপার সিমেট্রি তত্ব আমলে নেই তাহলে এর অস্তিত্ব সেখানে পাওয়া যায়। সুপার সিমেট্রি সম্পর্কে জানতে এই পোস্ট পড়ুন। সুপার সিমেট্রি নিয়ে এই পোস্টে আরো গভীরে আলাপ করা হয়েছে।

৫) এখন সম্ভাব্য প্রশ্ন আসে অনেক মেজোরামা পার্টিক্যালে দেখা যায় তারা নিজেরাই নিজেদের এন্টি। আবার এসব সাবএটমিক পার্টিক্যাল গুলো নিজেদের সাথে সংঘবদ্ধ হয়ে আরেকটি পার্টিক্যাল গঠন করে। তার মানে আমাদের মৌলিক ৪ টি বল ছাড়াও এমন একটা বলের সম্ভাবনা আছে যেটা এই বন্ধ শক্তির জন্ম দিচ্ছে। এই মৌলিক অতিশক্তির মূল ভিত্তি এই টেট্রাকোয়ার্ক পার্টিক্যালটি হতে পারে। ধারনা করা হয় মাত্রাহীন এই বন্ধন শক্তি তড়িৎ চৌম্বকীয় বল আর দুর্বল নিউক্লিয় বল থেকে অনেক বেশী শক্তিশালী। আর যখন উচ্চ শক্তিস্তরে সব বল মুখোমুখি হয় তখন একত্রিত হয়ে যায়।

মন্তব্য ৩০ টি রেটিং +৭/-০

মন্তব্য (৩০) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১:০৯

শায়মা বলেছেন: হিমড়ি কথাটা কি ভিমরী হবে ভাইয়া।

আর আমিও পোস্ট পড়তে পড়তে ভাবছিলাম কি হবে এসব কনিকা দিয়ে আর তুমি তার উত্তর দেবার পরেও ভাবছি এই কনিকাগুলো কি করবে।:(

২৬ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১:৩৬

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: ঠিক কইরা দিছি।

এই কনিকা গুলো কিছুই করবে। তবে এই কনিকার মাধ্যমে বিভিন্ন টেকনোলজির আবিস্কার হবে যা দিয়ে ক্যান্সারের চিকিৎসা, ইলেক্ট্রনিক্স, এনার্জী ক্রাইসিস সব কিছুর মধ্যে একটা পরিবর্তন আসবে!

২| ২৬ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১:৪৪

শায়মা বলেছেন: খুব ভালো হবে ভাইয়া। এই কনিকাগুলোর যথার্থ ব্যবহার হোক।

২৬ শে মার্চ, ২০১৬ ভোর ৪:৫৮

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: বিজ্ঞান এগিয়ে যাক! জয় হোক!

৩| ২৬ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১:৫২

কালীদাস বলেছেন: এইটা কতটুকু স্ট্যাবল? নিউক্লিয়াসের ভর কতটুকুর হিসাব এখন পর্যন্ত পাওয়া বাকি কইতে পারেন? প্রায় ডিকেড হইল এই ফিল্ডের আপডেট নেওয়া হয়না।

২৬ শে মার্চ, ২০১৬ ভোর ৫:৩৪

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: এইটা কতটুকু স্ট্যাবল?


এই ছবিতে দেখেন কলিশনের কেন্দ্র থেকে লাল ডট ডট পথ বরাবর এটি ডিরেকশন থাকে....এই জার্নাল অনুসারে ফার্মিল্যাবে প্রোটন এন্টি প্রোটন ১.৯৬ টেরা ইলেক্ট্রন ভোল্টের কলিশনে যখন এনার্জি স্তর ৭৫০ গিগা ইলেক্ট্রন ভোল্টে নেমে আসে তখন এই কনিকার স্পাইক পাওয়া যায়। ২২ মেগা ইলেক্ট্রনভোল্টের মতো এনার্জী স্তর যখন কমে আসে তখন এটির ক্ষয় শুরু হয়। উপরের ছবির লাল ডট ডট লাইন হলো ঐ কনিকার স্থায়িত্বের সময়। এখন যখন আপনি কলিশনের পাওয়ার আরো বাড়াবেন তখন এই কনিকার স্থায়িত্বের পরিমান বাড়বে।

নিউক্লিয়াসের ভর কতটুকুর হিসাব এখন পর্যন্ত পাওয়া বাকি কইতে পারেন?

নিউক্লিয়াসের ভর নিয়া তো সমস্যা নাই। আসল সমস্যা হলো হাইয়ারার্কি সমস্যা। যেমন নন জিরো হিগস ফিল্ডের মান ২৫০ GeV/c^2 যেখানে W এবং Z এর ভরের মান ১০০ GeV/c^2।সেক্ষেত্রে W এবং Z এর মান এত কম কেন? এই ধাধাকে বলা হয় হাইয়ারার্কি প্রবলেম।(ধরেন ১০^১৬ কেজি একটা বস্তা যার মধ্যে আছে সর্বোপরী ২০০*১০^৬ কেজি ওজনের চাল= তাহলে বস্তার এতো ওজন এত হলো কিভাবে)

এখানে ভর বা এনার্জী নিয়ে সমস্যা নাই। সমস্যা হলো যখন কনিকা গুলো ক্ষয় হয়ে আরো স্ট্যাবল কনিকা রূপান্তরিত হয় অথবা আরো নতুন সংঘর্ষে পুনঃ পুনঃ একই সাবএটমিক পার্টিক্যালের সৃষ্টি হয় তখন তাদের এনার্জী স্তরের তারতম্য দেখা দেয় যেগুলো অপ্রতিসাম্যের লক্ষ্মন। এখন ট্রিলিয়ন ট্রিলিয়ন সংঘর্ষের মধ্যে এত ক্ষয়িষ্ঞু চ্যানেলে কনিকা খুজে বের করে তাদের কারন খোজা খুবই কষ্টের তার ওপর পদার্থবিজ্ঞান মৌলিক সমস্যা এই যেমন ডার্ক ম্যাটার, সুপার সিমেট্রি পার্টিক্যালের পার্টনার গুলো, এন্টি ম্যাটার কই যায়, গ্রাভিটির কারন কি, আন্তঃ মাত্রার পার্টিক্যাল যদি থেকে থাকে, অপ্রতিসাম্যের কারন, টেকিওনিক পার্টিক্যাল, মায়াবী নিউট্রিনো, মেজোরানা পার্টিক্যাল ইত্যাদি গুলো আরো বন্ধুর পথের সৃষ্টি করে রেখেছে!

তবে এই ফিল্ডে যতই পড়ালেখা করবেন ততই বেশী রোমান্ঞ্চ ছড়িয়ে আছে

৪| ২৬ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ২:০৬

গেম চেঞ্জার বলেছেন: এ পর্যন্ত যত মৌলিক পদার্থ পাওয়া গেছে কেবল পৃথিবীতে আমার তো মনে হয় আরো কিছু সংখ্যক বাকি মহাবিশ্বে পাওয়ার সম্ভাবনা আছে। যেগুলো আমাদের কাছে নেই।

সার্নের জেনেভাস্থ এলএইচসি টানেল আসলে মানব জাতিকে এগিয়ে নিতে অসাধারণ একটি প্রজেক্ট। আমাদের তো সেই পরিমাণ টাকা পয়সা নাই আর আমাদের সেই চিন্তাধারই বা কই? যাকগে, টেট্রাকোয়ার্ক মানে চার-কোয়ার্ক। প্রোটন/নিউট্রন তো বেরিয়ন ক্লাসিফায়েড। ওরা ৩-কোয়ার্কে। এ পর্যন্তই জানতাম। আপনার কারণে অনেক দিন পরে পার্টিকল নিয়া ভাবলাম।
ফিজিক্স নিয়া আসলে ভাবার সময় পাই কম। যাকগে, ভালই হৈছে এখন। আরো কাজ করে হিউম্যান সিভিলাইজেশনে ওরা কন্ট্রিবিউট করুক। ধীরে ধীরে আমরাও কাজ করব। :)

২৬ শে মার্চ, ২০১৬ ভোর ৫:৪৩

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: এ পর্যন্ত যত মৌলিক পদার্থ পাওয়া গেছে কেবল পৃথিবীতে আমার তো মনে হয় আরো কিছু সংখ্যক বাকি মহাবিশ্বে পাওয়ার সম্ভাবনা আছে। যেগুলো আমাদের কাছে নেই


আসলে ক্যামিস্ট্রি নিয়ে এখন খুব বেশী পড়ালেখা করা নাই তবে যতদূর জানি ভারী মৌলিক পদার্থ সমূহ আর প্রাকৃতিক ভাবে পাওয়ার সম্ভাবনা কম। এগুলো বেশীর ভাগ ল্যাবে তৈরী করে নিতে হবে এবং এদের স্থায়িত্ব খুব কম। ভারী পদার্থ শুরু হবার আগে কতগুলো ঘর রেখে গেছেন ম্যান্ডেলিফ যেগুলো পাওয়া যেতে পারে কিন্তু এখনো পাওয়া যায় নি (এটা আমি শিওর না)। তাই আমি যেগ্রুপের কথাই ধরি না কেন, মৌলিক পদার্থ পাওয়া এখনো কিছু বাকি আছে তবে এগুলোর চাহিদা এখন খুব বেশী নাই কারন এর চেয়ে মৌলিক সাবএটমিক পার্টিক্যালে আরো বেশী সম্ভাবনা লুকিয়ে আছে।

আমাদের তো সেই পরিমাণ টাকা পয়সা নাই আর আমাদের সেই চিন্তাধারই বা কই?

সবকিছু টাকা দিয়ে চিন্তা করলে হয় না। পাকিস্থানের নিজস্ব একটা পার্টিক্যাল কোলাইডার আছে। তাদের বেশ কিছু পদার্থবিদ আছে যারা এলএইচসির এসোসিয়েট বিজ্ঞানী লেভেলের আর পাকিস্থান এসোসিয়েট সদস্য। তার মানে যেকোনো কলিশনের ডাটা ক্যালকুলশনে টারা সরাসরি অবদান রাখবে। এবং তার ফলাফল দেখেন পোস্টেই বলে দিছি এই পর্যন্ত খুজে পাওয়া শুধু একটা পেন্টাকোয়ার্ক খুজে পাইছে কায়েদ ই আজম ইউনির এক পদার্থবিদ আসলাম সাহেব। ভারত তো এলএইচসি বেশ কয়েকটা ডিটেক্টরের ডিজাইনের সাথে তাদের আই আইটির বিজ্ঞানী আর ন্যাশনাল হাই এনার্জী রিসার্চ সেন্টারের বিজ্ঞানীরা জড়িত ছিলো।

আর আমাদের সবেধন পরমানু কমিশনের পরিচালক হয় কোনো পদার্থবিজ্ঞানী না, একজন ডাক্তার। লক্ষ কোটি টাকা জাতীয় সংগীত হাবিজাবী তাংফাং খেলা আয়োজনে যায় অথচ ১০ লাখ টাকা দিলে উন্নত মানের একটা আইসি ল্যাব কোনো পাবলিক ভার্সিটি বাদ প্রাইভেট ইউনি যাদের এত টাকা তারাই খুলে না। এই যে ৮০০ কোটি টাকা চুরি হলো এর অর্ধেক টাকা দিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রামে একটা ছোটখাটো পার্টিক্যাল কোলাইডার খোলা যেতে পারে। তাই টাকার দোহাই দিয়ে লাভ নাই ভাই!

ভালো থাকবেন!

৫| ২৬ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ৭:১৬

রিপি বলেছেন:
এবার বুঝলাম কেন অন্যের পোস্ট পুরোটা্ই না পড়ে পোস্ট করেন। এত গবেষনামুলক লেখা লিখলে সময় না থাকারি কথা। এক কথায় চমৎকার শিক্ষনীয় একটা পোস্ট। অনেক কিছুই জানা হলো ভাইয়া আপনার এই পোস্ট টা পড়ে। রসায়নের পর্যায় স্মরনীর মৌলিক পদার্থ গুলো মুখস্ত করতে করতেই জীবন ত্যানা ত্যানা হয়ে গিয়েছিল। যাইহোক এইসব কনিকার অস্তিত্ব আসলেই অবাক করার মতো। আশা করছি এইসব কনিকা গুলোর যথার্থ ব্যবহার হোক আর মানব জাতি কে এগিয়ে নিয়ে যাক আরো অনেকদূর ।

২৬ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ৮:১৯

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: আসলে পোস্ট এখন পুরাই পড়ি কিন্তু আপনের মতো যারা খুব আবেগ ঘন পোস্ট লেখে বা যেসব পোস্ট আমার জীবনের সাথে প্রায় মিলে যায় সেগুলো পড়া হয় না। আমার জীবনে এখন একটা ট্রানজিশন চলতাছে বাট আই নিড মাই হেড আপ এন্ড স্টেপ ফরওয়ার্ড বিং ব্রেভ!
ভালো থাকবেন, মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ!

৬| ২৬ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ৮:৫৩

রিপি বলেছেন:
সব আবেগ শেষ হয়ে গেছে আমারও। B-)
অতঃপর শিখিলাম মৃত্যুটাই সত্য বাকি সব কিছুই মিথ্যা, ক্ষনিকের মায়াজাল। সবাই সবার হিসেব ঠিকি বুঝে।
যার জন্য আবেগ দেখাবেন সে আরেকজনরে এখন আবেগ দেখাতে ব্যস্ত। আহা আবেগ, আহা জীবন, আহা প্রেম। :||


আপনার অনেক লেখা পড়ার আমার বাকি আছে। লেখা গুলো অনেক বড়। সময় করে পড়ার ইচ্ছে আছে। আপনার মনের আশা পুরন হোক। আর লিখতে থাকুন । ভালো থাকুন আপনিও অনেক অনেক। :)

২৬ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ৯:২০

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: আমার লেখা পড়তে চাইছেন এইটাই অনেক। নিজের এই ছাইপাশ নিজেই পড়ি না!

আপনিও ভালো থাকবেন!

৭| ২৬ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ৯:২১

কালীদাস বলেছেন: অফটপিকে কমেন্ট করতাছি!!
ঘোস্টের গান কেমুন লাগে? ডুম মেটাল আমার পছন্দের জাঁনর না, ঘোস্টের সাউন্ড ভালই লাগতাছে এখন পর্যন্ত। এইবছর দেখলাম মেটালে গ্রামিও পাইছে :)

২৬ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ৯:২৮

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: মিস হইয়া গেছে ভাই। তয় শুরু করছি!

৮| ২৭ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১:৪১

কালীদাস বলেছেন: আবার অফটপিকে বলতাছি।
পার্কওয়ে ড্রাইভ ভাল লাগছে আমার। সাউন্ড যদিও বড় বেশি নিউওয়েভের, কিন্তু মেটালকোরের মধ্যে বাটপারি আমার ভাল লাগছে।
অল দ্যাট রিমেইনসের কোন আপডেট আছে?

২৭ শে মার্চ, ২০১৬ ভোর ৪:৩৯

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: গতবছর সেপ্টেম্বরে স্পটিফাইতে শুনছিলাম। আগের এলবাম গুলার মতো অতটা পলিশড মনে হইলো না। দুয়েকটা মেটাল কোর ভালো হইলেও বাকিগুলা চলে। শুনছিলাম ব্যান্ডে নাকি ভাঙ্গন লাগছিলো।

তবে যাই হোউক ব্যান্ডের, এদের সুনাম আছে নিয়মিত এলবাম বাইর করনের। এরা গানের জন্য ডেডিটকেটেড একটা ব্যান্ড!

৯| ২৭ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ২:৩৭

মহা সমন্বয় বলেছেন: এতো খুবই আশা জাগনিয়া খবর B-))
মানুষ মৃত্যুকে জয় করতে পারবে কবে আমি সেই আশায় বসে আছি?

এই কনিকার নাম টেট্রাকোয়ার্ক বা X (5568) বাহ খুব সুন্দর মনোরোম নাম। :P

২৭ শে মার্চ, ২০১৬ ভোর ৪:৪২

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: মানুষ মৃত্যুকে জয় করতে পারবে এটা শিওর কিন্তু গতকাল শুনলাম ক্রেগ ভেন্টারআবারো সিন্থেটিক লাইফ তৈরীতে এক ধাপ আগাইছে। আগের মতোই তবে জীবনের বৈশিষ্ট্য অক্ষুন্ন রাখার জন্য ন্যুনতম যতগুলা জ্বীন দরকার ঠিক ততগুলা জ্বীন নিজের নামে সিকোয়েন্স কইরা ঐ কোষে ভরছে।

তয় এই কনিকার নামে মনোরম কি পাইলেন?

১০| ২৭ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ২:৩৯

নতুন বলেছেন: হুম বেশি জটিল বিষয়... এই বিষয়ে তেমন জানি না।

২৭ শে মার্চ, ২০১৬ ভোর ৪:৪২

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: বিষয়গুলান এখন আরো জটিলতর হইতেছে। তবে পদার্থবিজ্ঞানের মৌলিক প্রশ্ন গুলার উত্তরের খুব কাছাকাছি

১১| ২৭ শে মার্চ, ২০১৬ ভোর ৪:০১

দ্যা আহমেদ মামুন বলেছেন: গুম হয়ে যেতে পারি তাই সব ভুলেগেছি। শুধু মনে আছে আমি কিছু দেখি নাই।



যাক এই কঠিন বাস্তবতার মাঝে চমতকার একটা লেখায় জন্য স্যালর।

২৭ শে মার্চ, ২০১৬ ভোর ৪:৪৩

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: গুম হইবেন কেন? কি করছেন?

১২| ২৮ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১১:৪০

গুলশান কিবরীয়া বলেছেন: আপনি কি physicist ? এ বিষয়ে আমার সামান্য ধারনা আছে , যদিও সম্পূর্ণটাই আমার নিজের আগ্রহ থেকে জানা । আজব ব্যপার আমার ফিজিক্স খুব ভালো লাগে । আমি শুনেছি এরকম নতুন নতুন পারটিকেল আবিষ্কার হতেই থাকবে । টেকনোলজির উত্তর উত্তর উন্নয়নে গায়েব হয়ে যাওয়া পারটিকেল গুলো সম্পর্কে মানুষ আর বেশী করে জানবে । একবার মিচিও কাকুর একটা প্রোগ্রামে দেখেছিলাম - সে বলছিল যে নোবেল দেয়া হবে তাকে যে কনফার্ম করবে যে আর কোন নতুন পারটিকেল নেই ।
ভীষণ আশ্চর্যজনক লাগে এই বিষয়গুলো । যদিও এ বিষয়ে পরিষ্কার ধারনা নেই - তাও অনেক ভালো লাগে ।

২৯ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১২:২৩

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: নারে ভাই

আমি একটা কামলা

১৩| ২৯ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১:২৫

গুলশান কিবরীয়া বলেছেন: কাজ যে করে সেই তো কামলা । আপনাকে ফেইসবুকে হাই জানালাম । জানি না ওটাই আপনার আইডি কিনা ... কনফিউসড :(

২৯ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ২:২৪

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: হুমম

উহাই আমি

১৪| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ১০:২৩

রাজসোহান বলেছেন: ২০১০ সালের লেখা থেকে এই লেখাটা পড়তে সহজবোধ্য লেগেছে।

১১ ই এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ১১:০৪

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: ২০১০ এ কি লিখছিলাম?

১৫| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ১১:১৪

রাজসোহান বলেছেন: পার্টিক্যাল ফিজিক্সের কিছু এপেন্ডিক্স

১১ ই এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৪:৫৪

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: আমি তো মনে করতাম এইটাই আমার জীবনের সবচেয়ে স হজ লেখা! কও কি ম্যান?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.