নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ঈশ্বর পটল তুলছে - নীৎসে/নীশে/নিৎচা

উদাসী স্বপ্ন

রক্তের নেশা খুব খারাপ জিনিস, রক্তের পাপ ছাড়ে না কাউকে, এমনকি অনাগত শিশুর রক্তের হিসাবও দিতে হয় এক সময়। গালাগাল,থ্রেট বা রিদ্দা করতে চাইলে এখানে যোগাযোগ করতে পারেন: [email protected]

উদাসী স্বপ্ন › বিস্তারিত পোস্টঃ

রাস্ট্রধর্ম ইসলাম এবং বাংলাদেশ: একটু আলোচনা করা দরকার এই অস্থির সময়ের প্রেক্ষিতে

২৭ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ৩:২৬

এই পোস্ট লেখছিলাম কালকে আর আজকেই শুরু হয়ে গেছে। যেই ভয়ে লেখছিলাম এই পোস্ট, সেই ভয়ই সত্য হলো। সংখ্যালঘুদের ঘর জ্বালানো ধর্ষন, হত্যা, জমি ভিটা দখলে বাংলা মুসলমানেরা আজ সিদ্ধ হস্ত তাও আবার এই কর্ম শুরু করার আগে মসজিদের মাইকে ঘোষনা দিয়ে শুরু করেছে


আসলে ব্যাপারটা স্পর্শকাতর। স্পর্শকাতর এই জন্য যে বাংলাদেশের শিক্ষিতের হার ৭৮% হলেও এ দেশের জন গন কেতাবী সুরের চেয়ে নিজের আবেগ, নিজের অবস্থান এবং জনস্রোতের গুন্জ্ঞন শুনতেই বেশী পছন্দ করে। কিন্তু দিন বদলাচ্ছে, পারিপার্শ্বিক বিশ্বব্যাবস্থার আমূল পরিবর্তনের ধাক্কা এদেশেও লেগেছে বৈকি।

ইদানিং সুপ্রিম কোর্টের একটা রুলিং নিয়ে হৈ চৈ শুরু হয়েছে সেটা হলো বাংলাদেশের সংবিধানে রাস্ট্রধর্ম ইসলাম থাকাটা বৈধ কি না! এ নিয়ে দেশের ইসলামিক দলসমূহ, বিচার বিভাগ এবং সরকার মুখোমুখি।

যাই হোক আগে দেখি বাংলাদেশে রাস্ট্রধর্মের ইতিহাস নিয়ে:

১৯৭১ সালে ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর বাংলাদেশ নামের ছোট্ট একটা দেশের জন্ম হয় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের নেতৃত্বে। বঙ্গবন্ধু ক্ষমতা নেবার পর স্বভাবতই প্রয়োজনীয় হয়ে পড়ে একটা সংবিধান প্রনয়ন করা। ১৯৭২ সালে যে সংবিধান প্রনয়ন করা হয় তার মূলনীতি ছিলো চারটি: জাতীয়তাবাদ, সমাজতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতা ও গণতন্ত্র। মনে করা হয় এই চার নীতির ওপর ভিত্তির করেই শুরু হয় বাংলাদেশের যাত্রা। সেনা ষড়যন্ত্রে নৃশংস ভাবে বঙ্গবন্ধু নিহত হবার পর মেজর জিয়াউর রহমান রাস্ট্রপতি পদ দখল করেন এবং ১৯৭৭ সালে সিংবিধানে ৫ম সংশোধনীর মাধ্যমে সংবিধান থেকে ধর্মনিরপেক্ষতা শব্দটি বাদ দেন "বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম" যুক্ত করেন।

এরপর ক্ষমতার পালাবদলে সামরিক অভ্যুথ্থানের মাধ্যমে স্বৈরাচারী এইচএম এরশাদে রাষ্ট্রপতি পদ দখল করেন এবং ১৯৮৮ সালের ৫ জুন চতুর্থ জাতীয় সংসদে অষ্টম সংশোধনী আনেন যেখানে অনুচ্ছেদ ২-এর পর ২(ক) যুক্ত হয়। ২(ক)-তে বলা হয়, প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রধর্ম হবে ইসলাম। ১৯৮৮ সালেই রাষ্ট্রধর্মের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ওই বছরের আগস্ট মাসে ‘স্বৈরাচার ও সাম্প্রদায়িকতা প্রতিরোধ কমিটির’ পক্ষে সাবেক প্রধান বিচারপতি কামালউদ্দিন হোসেন, কবি সুফিয়া কামাল, ড. কামাল হোসেন, অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরীসহ ১৫ জন বিশিষ্ট নাগরিক হাইকোর্টে একটি রিট আবেদন করেন।এ সময়ের মধ্যে রিটকারী ১৫ বিশিষ্ট নাগরিকের মধ্যে ১০ জন মারাও গেছেন৷ তখন রিটের আবেদনকারীদের আইনজীবী ছিলেন সুব্রত চৌধুরী৷ বর্তমানেও রিটকারীদের আইনজীবী হিসেবে লড়ছেন সুপ্রিম কোর্টের সেই সিনিয়র আইনজীবী৷১৯৮৮ সালে জেনারেল এরশাদ যখন সংবিধানে আর্টিকেল ২(এ) সংযোজন করে রাষ্ট্রধর্ম নিয়ে আসেন, তখন আওয়ামী লীগ, বিএনপিসহ সকল রাজনৈতিক দল এর বিরোধিতা করেছিল৷ এমনকি তারা একদিন হরতালও ডেকেছিল৷ তারা বলেছিল, কোনোদিন যদি তারা রাষ্ট্রক্ষমতায় আসতে পারে তাহলে এরশাদের এ সব কাজকে অবৈধ ঘোষণা করা হবে এবং আর্টিকেল ২(এ)-টিও বাতিল করা হবে৷ এমনটা তখন সকলেরই অঙ্গীকার ছিল৷ তারপরও সে সময়কার ১৫ জন বুদ্ধিজীবী মিলে একটি রিট আবেদন করেন, ১৯৮৮ সালের জুন মাসে৷ তখন অষ্টম সংশোধনীতে দু'টি অংশ ছিল৷ একটা হলো, হাইকোর্টকে পাঁচটি শহরে নিয়ে যাওয়া৷ সেটার একটা রিট হয়৷ আর অন্য রিটটা হয় এই রাষ্ট্রধর্ম নিয়ে৷ তখনকার সিনিয়র আইনজীবীরা বলেছিলেন, আগে হাইকোর্টের রিটটা ধরি, তারপর রাষ্ট্রধর্ম রিটটা ধরব৷ ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকার ক্ষমতায় এসে সংবিধান সংশোধনে সংসদীয় বিশেষ কমিটি গঠন করে।এরিমধ্যে ২০১০ এর জুনের দিকে কোর্ট থেকে রায় দেয়া হয় যে বাংলাদেশের রাজনীতিতে ধর্মের ব্যাব হার কারা যাবে না।ওই কমিটি ইসলামকে রাষ্ট্রধর্ম হিসেবে বহাল রাখার সুপারিশ করে। পরবর্তীকালে ওই সুপারিশ অনুযায়ী সংবিধানে আনা হয় পঞ্চদশ সংশোধনী। ২০১১ সালের ৩০ জুন এ সংশোধনী আনা হয়। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বিলোপের পাশাপাশি অসাংবিধানিকভাবে ক্ষমতা দখলের জন্য রাষ্ট্রদ্রোহিতার অপরাধ বিবেচনায় সর্বোচ্চ দণ্ডের বিধান রাখা হয় এ সংশোধনীতে। এছাড়া এ সংশোধনীর মাধ্যমে ৭২’র সংবিধানের চার মূলনীতি জাতীয়তাবাদ, সমাজতন্ত্র, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতা ফিরিয়ে আনা হয়। ২০১১ সালে অষ্টম সংশোধনীর আর্টিকেল ২(এ) ওপর রুল ইস্যু হলো৷ প্রশ্ন উঠলো, এটা কেন বেআইনি এবং কেন এটা বাতিল ঘোষণা করা হবে না৷ এরপর পঞ্চদশ সংশোধনীতে আর্টিকেল ২(এ) আবারো সন্নিবেশিত করা হলো৷এরশাদের ওটা একটু মডিফাই করে আওয়ামী লীগ সরকার আবার এটা করল৷ এটার ওপর আবার সাপ্লিমেন্টারি রুল ইস্যু হলো৷ পঞ্চদশ সংশোধনীতে শুধু আর্টিকেল ২(এ) চ্যালেঞ্জ করা হলো৷ অর্থাৎ ১৯৮৮ সালের মামলাতে দু'টো রুল পেন্ডিং হয়ে গেল৷ এই দু'টি রুলই এ মুহূর্তে শুনানির জন্য একটি বৃহত্তর বেঞ্চে অপেক্ষাধীন আছে৷
সুত্র: ডয়েচ ভেল
এই হলো এক ঝলক ইতিহাস। বাংলাদেশের সংবিধান অনলাইনে পড়তে চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

এখন আসি বিশ্বের অন্যান্য মুসলিম দেশে কি অবস্থা:

* রাস্ট্র ধর্ম ইসলাম চালু আছে সাংবিধানিক ভাবে এখনো তার নাম গুলো দেখি: বাংলাদেশ, জিবুতি,ইরাক, পাকিস্তান, প্যালেস্টাইন, তিউনিসিয়া, আফগানিস্তান, আলজেরিয়া, ব্রুনাই, কমোরোস, মিসর, জর্ডান, লিবিয়া, মালদ্বীপ, মালয়েশিয়া, মৌরিতানিয়া, মরক্কো, পাকিস্তান, কাতার, সৌদি আরব, সোমালিয়া, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ইরান, ওমান, কুয়েত, ইয়েমেন, বাহরাইন।
* সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমানদের দেশ হওয়া সত্বেও যেসব দেশ সাংবিধানিক ভাবে ধর্মনিরপেক্ষতা গ্রহন করেছে: আলবেনিয়া, আজারবাইজান, বুর্কিনা ফাসো, চাদ, জাম্বিয়া, গিনি, কাজাখস্তান, কসোভো, কিরগিজস্তান, মালি, সেনেগাল, তাজিকিস্তানের, তুর্কমেনিয়া, তুরস্ক, উজ্বেকিস্থান।

* আমরা জানতাম পৃথিবীর একমাত্র হিন্দু দেশ নেপাল যেখানে ভারতে সবচেয়ে বেশী সংখ্যক হিন্দু ধর্মাবলম্বি লোকের অবস্থান। কিন্তু ২০০৮ সালের পর তারা সংবিধান থেকে রাস্ট্রধর্ম হিন্দু ধর্ম সরিয়ে ফেলে ধর্মনিরপেক্ষ দেশে পরিণত হয়। এজন্য তাদেরকে এখনো উগ্র হিন্দুমতাবলম্বীদের মোকাবেল করতে হয়।

* আমেরিকার সংবিধান শুরু হয়েছে In God we trust কিন্তু রাস্ট্রের কোনো ধর্ম নেই। সংবিধানে সকল ধর্মাবলম্বি লোকদের সমান সুযোগের কথা বলা হয়েছে। বলা হয়েছে ধর্ম বর্ন নিয়ে কোনোকিছু দিয়েই মানুষকে যেনো বিচার করা হয়। রাস্ট্র ঈশ্বরকে মেনে নিলেও কোনো নির্দিষ্ট ধর্মকে না মেনে তারা সকল ধর্মকে মেনে নিয়েছে।

* ১৭ টি দেশের রাস্ট্রপ্রধানকে মুসলমান হতে হবে: আফগানিস্তান, আলজেরিয়া, ব্রুনাই, ইরান, জর্ডান, মালয়েশিয়া, মালদ্বীপ, মৌরিতানিয়া, মরক্কো, ওমান, পাকিস্তান, কাতার, সৌদি আরব, সোমালিয়া, সিরিয়া, টিউনিশিয়া ও ইয়েমেন৷

*লেবাননে জনসংখ্যার প্রায় ৫৪ শতাংশ মানুষ মুসলিম৷ এর মধ্যে ২৭ শতাংশ সুন্নি ও বাকি ২৭ শতাংশ শিয়া৷ খ্রিষ্টান জনগণের সংখ্যা প্রায় সাড়ে ৪০ শতাংশ৷ এর মধ্যে ২১ শতাংশ ম্যারোনিট ক্যাথলিক ও ৮ শতাংশ গ্রিক অর্থোডক্স৷ এবার বলুন তো রাষ্ট্রপ্রধানকে কোন ধর্মের হতে হবে? সংবিধান বলছে, অবশ্যই ম্যারোনিট ক্যাথলিক৷ আর প্রধানমন্ত্রীকে হতে হবে অবশ্যই সুন্নি মুসলমান৷ রাষ্ট্রপ্রধান খ্রিষ্টান হতে হবে এমন শর্ত আছে অ্যান্ডোরাতেও৷

*যুক্তরাজ্য, ক্যানাডা, অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড সহ কমনওয়েলথভুক্ত ১৬টি দেশের রাজা অথবা রানিকে (বর্তমানে যেমন রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ) অবশ্যই নির্দিষ্ট একটি ধর্মের হতে হবে৷ রানির পদ অলংকারিক হলেও তিনি সেসব দেশের রাষ্ট্রপ্রধান৷ ডেনমার্ক, নরওয়ে ও সুইডেন এর ক্ষেত্রেও একই শর্ত প্রযোজ্য৷

*বলিভিয়া, মেক্সিকো ও এল সালভেদর সহ আটটি দেশের সংবিধান বলছে, ধর্মীয় নেতারা প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন না৷ অন্য দেশগুলো হচ্ছে মিয়ানমার, কোস্টারিকা, হন্ডুরাস, নিকারাগুয়া ও ভেনিজুয়েলা৷

সুত্র পিউ রিসার্চডয়েচ ভেল এবং উইকিপিডিয়া

এখন আসি রাস্ট্র ধর্ম আর ধর্মনিরপেক্ষতা কিছু কেতাবী কথা:

রাস্ট্রকে আমরা যদি একটা প্রতিষ্ঠান ধরি তাহলে দেখা যাবে রাস্ট্র যদি চায় তাহলে সে ধর্মনিরপেক্ষতা বা ধর্মতন্ত্র গ্রহন করতে পারে। এরকম চর্চা বহু আগে থেকেই চলে আসছে। পুরোনো রোমান সভ্যতা দেখলে বোঝা যায় তারা এক সময় তাদের রাস্ট্রকার্য্যে ক্যাথলিক চার্চের প্রভাব মেনে নেয়। আধুনিক ইংল্যান্ডের সংবিধানে এখনও এরকম একটা ব্যাপার আছে। কিন্তু ধর্মীয় অনুশাসন পালনে কোনো বাধ্য বাধকতা নাই।

কারন সংবিধানে রাস্ট্রধর্ম রাখলেও পার্লামেন্ট ইচ্ছা করলে ধর্মনিরপেক্ষ ভাবমূর্তি পালন করতে পারে। অনেকেই বলেন যে ধর্ম নিরপেক্ষ হলে তাহলে ধর্ম পালনে সমস্যার সৃস্টি হবে বা অনেকেই ভয় পান। রেফারেন্স হিসেবে তুরস্কের কামাল আতাতুর্ক বা আলবেনিয়ার কথা বলেন।

আসলে যেগুলো বলা হয়েছে সেগুলোকে অস্বীকার করার উপায় নেই। কিন্তু ধর্মনিরপেক্ষতার সংজ্ঞা তা বলে না।

একটা ধর্ম নিরপেক্ষ দেশ হলো নিরপেক্ষতার সেই কনসেপ্ট যার মধ্য দিয়ে একটা রাস্ট্র ধর্মীয় যেকোনো ব্যাপারে নিরপেক্ষতার পরিচয় দেবে, তার পক্ষ সব সময় ধর্মের পক্ষে বা বিপক্ষে কোনোটাতেই না। সূত্র

আপনি যদি আরো অন্যান্য সংজ্ঞা দেখেন তাহলে সবগুলোর ভাবার্থ একই। এখন কোনো রাস্ট্র শাসক যদি এই পথ অবলম্বন না করে শক্তি প্রদর্শন করে তাহলে এই গ্যারান্টিও দেয়া যাবে না যে ইসলামী দেশ হলেও সংখ্যালঘুদের সেরকম নির্যাতন হবে না।

এখন ধর্ম তন্ত্রের অর্থ কি? ধর্ম তন্ত্র কোনো রাস্ট্র গ্রহন করলে সে রাস্ট্রের রাজা হিসেবে স্বয়ং ঈশ্বরকেই গন্য করে তার প্রেরিত পবিত্র পুস্তকের উপর নির্ভর করে দেশ চালিত হবে। সেক্ষেত্রে রাস্ট্রের অর্থ সামাজিক প্রেক্ষাপট থেকে শুরু করে আইন শৃঙ্খলা, বিধি নিষেধ, সুযোগ সুবিধা সবকিছুই ধর্ম দ্বারা রাস্ট্র নিয়ন্ত্রন করতে পারে। সংখ্যালঘু শ্রেনীকে ধর্ম প্রদত্ত যে বিধান থাকে সে অনুযায়ী স্বাধীনতা দেয়া থাকলেও আধুনিক ধর্ম নিয়ন্ত্রিত রাস্ট্র ব্যাবস্থায় আইনের ক্ষেত্রে তাদের জন্য আলাদা আইন প্রনয়ন করা হয়। তারা সেগুলো মেনে চলে। ব্যাবসা বানিজ্য, সামাজিক সুযোগ সুবিধা ধর্মের ভিত্তিতে তৈরী করা নিয়ম মেনে চলে ঠিক যেমনটা দেখি পাকিস্থান বা ইরানে।

বর্তমানে ধর্ম নিরপেক্ষ দেশগুলোর কি অবস্থা:

আমরা বিভিন্ন সময়ে শুনি ধর্ম নিরপেক্ষতার কারনে আজান বা নামাজ পড়া বন্ধ হয়ে যায় অথবা হিজাব নিষিদ্ধ করা হয়। সেগুলো নিয়ে কথা বলবো।

হিজাব: অনেকেই বলে থাকেন ফ্রান্সে নাকি হিজাব ব্যান, কিন্তু কথাটা ঠিক না। আসলে পর্দাপ্রথায় খোদ মুসলমানরাই একটু অজ্ঞতার শিকার। পর্দার করার দুটো প্রথা আছে একটা হলো হিজাব আরেকটা নেকাব। ইসলামে পর্দা প্রথা বলতে হিজাবের কথা বলা হয়েছে। ফ্রান্স ব্যানকরেছে মুখবন্ধ বা নিকাবের ওপর, হিজাব নয়। এর জন্য কারো পর্দায় বাধা দেয়া হয় নি। স্বাভাবিক ভাবে বর্তমান সন্ত্রাসী আক্রমনের পর প্রতিটি মসজিদে ট হল দারী বাড়ানো হয়েছে যার সাথে সেক্যুলারিজমের কোনো সম্পর্ক নেই। এই যেমন আমেরিকার ৯/১১ এর পর পাকিস্থান ২০০৩ সালে একটা নিয়ম পাশ করে যেখানে বলা হয়েছিলো সকল মাদ্রাসার রেজিস্ট্রেশন বাধ্যতামূলক। এছাড়া সুইডেন, ডেনমার্কে প্রতিটা কমিউনে একটা করে মসজিদ আছে। তবে আওয়াজ দেয়াটা সম্ভব না কারন মাইক লাগিয়ে উচ্চ স্বরে আজানের ধ্বনি এদের সমাজে যায় না। এটা এদেশের অধিকাংশ জন গনের মত। তুরস্ক হিজাবের ওপর ব্যান উঠে গেছে বহু আগেই।

আজান: তুরস্কের ইস্তাম্বুলে যারা গিয়েছেন তারা আজান শুনেননি এটা মানা কষ্টকর। একটা গোপন কথা বলি, ইসলামের অজনপ্রিয়তার কারনে ওখানে এখন বেশীরভাগ মসজিদে টেপে আজান দেয়। কারন তুরস্কের জন গন ঐতিহ্য গত ভাবেই সেক্যুলার। ইন্দোনেশিয়া সেক্যুলার হওয়া সত্বেও সে দেশের বেশীর ভাগ মসজিদে আজান দেয়া হয়। তেমন ভাবে ইউরোপীয়ান বেশীর ভাগ দেশে খ্রিষ্টানদের সংখ্যা বেশী হবার কারনে তাদের দেশে ঘন্টা বাজে, বেশীর ভাগ উৎসব ছুটি ছাটা খ্রিস্ট ধর্ম অনুসারে করা হয়।

সাতটি ‘নাস্তিক’ দেশের কথা

চীনে শতকরা ৯০ ভাগই ‘নাস্তিক’
৬৫টি দেশে জরিপ চালিয়েছিল ‘গ্যালাপ ইন্টারন্যাশনাল’৷ জরিপ থেকে বেরিয়ে আসা তথ্যে দেখা যাচ্ছে, বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশ চীনই বিশ্বের সবচেয়ে বেশি নাস্তিকেরও দেশ৷ সে দেশের শতকরা ৯০ ভাগ মানুষই প্রত্যক্ষ ভা পরোক্ষভাবে সৃষ্টিকর্তার অস্তিত্ব অস্বীকার করেন৷ চীনের শতকরা ৬১ ভাগ মানুষ সৃষ্টিকর্তার অস্তিত্ব সরাসরি অস্বীকার করেন, বাকি ২৯ ভাগ নিজেদের ধর্মে বিশ্বাসী নন বলে দাবি করেছেন৷

সুইডেনে ৭৬ শতাংশ
স্ক্যান্ডিনেভিয়ান দেশ সুইডেনে সরকারি হিসেব অনুযায়ী মাত্র শতকরা ৮ ভাগ মানুষ উপাসনালয়ে গিয়ে ধর্ম চর্চা করেন৷ তবে গ্যালাপ-এর জরিপ অনুযায়ী, মোট জনসংখ্যার শতকরা ৭৬ ভাগ সৃষ্টিকর্তা আছেন বলে মনে করেন না৷

চেক প্রজাতন্ত্রে সামান্য কম
‘নাস্তিক’ চেক প্রজাতন্ত্রেও খুব বেশি কম নয়৷ মোট জনসংখ্যার মাত্র ৩০ ভাগ মানুষ নিজেদের সরাসরিই ‘নাস্তিক’ বলেন৷ তবে বেশিরভাগ মানুষই নিজেদের ধর্মবিশ্বাস আছে কিনা, তা জানাতেই রাজি নন৷ মাত্র ১২ শতাংশ মানুষ জানিয়েছেন, তাঁরা গির্জায় গিয়ে প্রার্থনা করেন৷ গ্যালাপ-এর জরিপ জানাচ্ছে, সাবেক সমাজতান্ত্রিক দেশটিতে এক হিসেবে শতকরা ৭৫ ভাগ মানুষই নাস্তিক, কেননা তাঁরা ধর্ম বা সৃষ্টিকর্তার গুরুত্ব স্বীকার করেন না৷

ব্রিটেনে ৬৬ শতাংশ
জরিপে অংশ নেয়া ব্রিটেনের শতকরা ৫৩ জন মানুষ বলেছেন যে, তাঁদের কোনো ধর্মবিশ্বাস নেই৷ আর ১৩ ভাগ সরাসরিই বলেছেন, ‘আমি নাস্তিক’৷

হংকং ও জাপানে শতকরা ৬২ ভাগ
বিশ্বের ৬৫টি দেশের ৬৪ হাজার মানুষের মাঝে এই জরিপ চালিয়েছে গ্যালাপ৷ হংকংয়ের মানুষদের সম্পর্কেও একটা ধারণা পাওয়া গেছে এই জরিপ থেকে৷ দেখা গেছে, হংকংয়ের শতকরা ৪৩ ভাগ মানুষ প্রত্যক্ষভাবে নাস্তিক৷ বাকি ৫৭ ভাগের মধ্যে ১৯ ভাগকেও আস্তিক অন্তত মনে হয়নি৷ জাপানে প্রত্যক্ষ নাস্তিক শতকরা ৩১ ভাগ হলেও সৃষ্টিকর্তার অস্তিত্বের গুরুত্ব নিয়ে ভাবেন না এমন মানুষও আছে অনেক৷

জার্মানিতে ৫৯ ভাগ
জার্মানির ৫৯ ভাগ মানুষকেই নাস্তিক হিসেবে দেখিয়েছে গ্যালাপ৷ ইউরোপের অন্যান্য দেশ, যেমন স্পেন, অস্ট্রিয়া এবং ফ্রান্সের নাগরিকদেরও বড় একটা অংশই নাস্তিক৷ বিশ্বের যেসব দেশে অনেক ‘আস্তিক’, সেসব দেশ থেকে অনেক মানুষই এসব ‘নাস্তিক’ দেশে এসে উন্নত জীবনের সন্ধান পেয়েছেন, পাচ্ছেন৷ ইউরোপের বেশ কিছু দেশেই এখনো নাস্তিকরাই সংখ্যাগুরু৷ তবে সংখ্যালঘু আস্তিকদের ধর্ম চর্চায় তাতে কোনো সমস্যা হয় না৷

সুত্র: আরজেডএন/এসিবি এবং ডয়েচভেল



আমাদের দেশের কি অবস্থা:

দুঃখজনক হলেও সত্য শুধু আমাদের দেশেই না, ভারত পাকিস্থানে সংখ্যালঘু যারাই হোক তারা কস্টে আছে। ভারত ধর্মনিরপেক্ষ দেশ হওয়া সত্বেও সেখানে মুসলামনরা অনেকক্ষেত্রে নির্যাতিত। এমনও আছে চাকুরীর বড় বড় পোস্টে ধর্ম ও একটা ব্যাপার হয়ে দাড়িয়েছে সেটা আসলে পীড়াদায়ক। যদিও ভারতের রাস্ট্রপতি মুসলমান, শিখ ধর্মাবলমবী হয়েছিলো কিন্তু পাকিস্থান বা বাংলাদেশে রাস্ট্রপ্রধান হিন্দু বা সংখ্যালঘু কেউ সেটা চিন্তা করা যায় না।

সংখ্যালঘুরা যেসব দেশে সবচেয়ে হুমকির মুখে:

প্রথম: সিরিয়া
সুন্নিপ্রধান দেশ সিরিয়ায় শিয়া, বিশেষ করে আলাউইট সম্প্রদায়ের লোকজন সহ খ্রিষ্টান, কুর্দ, ফিলিস্তিনি ও রাজনৈতিক প্রতিপক্ষরা হুমকির মুখে রয়েছে৷ আইএস, হিজবুল্লাহ ছাড়াও সিরিয়ার শাসকপন্থি গ্রুপ সাবিহা এ সব হুমকির অন্যতম কারণ৷ আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা ‘মাইনোরিটি রাইটস গ্রুপ ইন্টারন্যাশনাল’ হুমকি বলতে গণহত্যা, রাজনৈতিক হত্যা ও সহিংস দমননীতি বুঝিয়েছে

দ্বিতীয়: সোমালিয়া
সরকারের সঙ্গে আল-শাবাব জঙ্গি গোষ্ঠীর সংঘাত এখনও চলছে৷ আর এর শিকার হচ্ছে বান্টু (বেশিরভাগ খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বী) ও বেনাদিরি (বেশিরভাগ ইসলাম ধর্মাবলম্বী) গোষ্ঠীর মানুষজন৷

তৃতীয়: সুদান
দেশটির দারফুর অঞ্চলে বসবাসকারী নন-আরব মুসলিম সম্প্রদায়ের উপর খার্তুম সরকারের নিপীড়নের অভিযোগে দু’টি বিদ্রোহী গোষ্ঠী ২০০৩ সালে সরকারের সঙ্গে সংঘাতে জড়িয়ে পড়ে৷ সেটি এখনও চলছে৷ ফলে দারফুরে বসবাসকারী ফুর, জাঘাওয়া, মাসালিট সহ অন্যান্য গোষ্ঠীর মানুষদের জীবন সংকটে রয়েছে৷

চতুর্থ: আফগানিস্তান
বিদেশি সৈন্য চলে যাবার পর সেখানে আবারও তালেবানের শক্তি বেড়েছে৷ ফলে হাজারা, পশতুন, তাজিক, উজবেক, তুর্কমেন, বেলুচি সহ অন্যান্য গোষ্ঠীর মানুষের উপর নির্যাতনের আশঙ্কা বাড়ছে৷

পঞ্চম: ইরাক
দেশটির মোট জনসংখ্যার প্রায় ৬৫ শতাংশ শিয়া সম্প্রদায়ের অন্তর্ভুক্ত৷ তারপরও সেখানে শিয়া গোষ্ঠীর লোকজনের জীবন বিপদমুক্ত নয়৷ সংকটে রয়েছে সুন্নি, কুর্দ, তুর্কমেন, খ্রিষ্টান, ইয়াজিদি, শাবাক, বাহাই, ফিলিস্তনি সহ অন্যান্যদের জীবনও৷

ষষ্ঠ: ডিআর কঙ্গো
স্থানীয় মায়ি-মায়ি মিলিশিয়া, উগান্ডা ও রুয়ান্ডার বিদ্রোহী এবং কাতাঙ্গান বিচ্ছিন্নতাবাদীদের কারণে মানুষের প্রাণ যাওয়া অব্যাহত আছে৷ ফলে সংকটে আছে হেমা, লেন্ডু, হুতু, লুবা, লুন্ডা, টুটসি, বাটওয়া সহ আরও কয়েকটি গোষ্ঠীর জনগণ৷

সপ্তম: পাকিস্তান
শিয়া (হাজারা সহ), আহমদি, হিন্দু, খ্রিষ্টান, মোহাজির, পশতুন, সিন্ধ সম্প্রদায়৷

অষ্টম: মিয়ানমার
বৌদ্ধ জাতীয়তাবাদীদের হামলায় সংকটে রয়েছে ইসলাম ধর্মাবলম্বী রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের লোকজন৷ এছাড়া কচিন, কারেনি, কারেন, মন, রাখাইন, শান, চিন এবং ওয়া জাতির জনগণও ভালো নেই সেখানে৷

বাংলাদেশ, ভারতের অবস্থান
‘মাইনোরিটি রাইটস গ্রুপ ইন্টারন্যাশনাল’-এর তালিকায় বাংলাদেশ ৪১তম আর ভারত ৫৪তম অবস্থানে আছে৷ বাংলাদেশে আহমদিয়া, হিন্দু সহ অন্য ধর্মাবলম্বীরা এবং পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসকারী উপজাতির লোকেদের জীবন হুমকির মুখে রয়েছে বলে জানানো হয়েছে৷ আর ভারতে আসামিজ, বোড়ো, নাগা, ত্রিপুরা সহ অন্যান্য উপজাতি এবং কাশ্মিরী, শিখ, মুসলিম ও দলিতরা হুমকির মুখে আছে৷
সুত্র এবং ডয়েচভেল

বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের যে অবস্থা:

১) বাংলাদেশের ইংরেজি জাতীয় দৈনিক ডেইলি স্টার এর একটি প্রতিবেদনের অনুবাদ ছিল এমন যা থেকে আমরা সে সময়ের বাংলাদেশের হিন্দুরা কি পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছিল তার কিছু ধারনা পেতে পারি , “1992 বাংলাদেশ বাবরি মসজিদ ধ্বংসের প্রতিবাদে ইসলামবাদীদের বাংলাদেশে অ মুসলিম সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে সহিংসতা চালান হয়। সহিংসতার ঘটনা ডিসেম্বর 1992 সালে শুরু হয় এবং মার্চ 1993 পর্যন্ত চলতে থাকে।এতে 28,000 হিন্দু ঘরবাড়ি ধ্বংস করা হয়েছে, 2,700 ব্যবসা এবং 3,600 মন্দির ও পূজার অন্যান্য স্থানে ধ্বংস করা হয়েছে। মোট ক্ষতির হিসেব 2 বিলিয়ন টাকা থেকে বেশি।
7 ডিসেম্বর, জাতীয় মন্দির ঢাকেশ্বরীতে আক্রমণ করা হয়। ঢাকায় ভোলানাথ গিরি আশ্রম আক্রমন ও লুট করা হয়। হিন্দু মালিকানাধীন গহনা দোকান পুরনো ঢাকায় লুট হয়।রায়েরবাজারে হিন্দু ঘরে আগুন দেয়া হয়েছিল।
সার্ক চার জাতির ক্রিকেট টুর্নামেন্ট দাঙ্গার কারণে আক্রান্ত হয়। 7 ডিসেম্বর, লোহার রড এবং বাঁশের লাঠি দিয়ে সশস্ত্র 5,000 মুসলমানদের বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যেকার ম্যাচ চলাকালীন সময় ঢাকা ন্যাশনাল স্টেডিয়াম মধ্যেআক্রমন করার চেষ্টা করে। পুলিশ আক্রমণকারীদের প্রতিহত করতে টিয়ার গ্যাস ও রাবার বুলেট ছোড়ে । কিন্তু ম্যাচ 8.1 ওভারে পর পরিত্যক্ত হয়। উদ্যোক্তারা 11 ডিসেম্বর ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যেকার ও ফাইনাল ম্যাচ পুন নির্ধারণ করে কিন্তু তা শেষ পর্যন্ত বাতিল করা হয়।

8 ডিসেম্বর, হিন্দু কক্সবাজার জেলার কুতুবদিয়া উপজেলার হামলা চালানো হয়। মুসলমানদের হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত 14 হিন্দু মন্দির, তাদের আট জন দগ্ধ হয় ।
চট্টগ্রাম জেলায় ফটিকছড়ি এবং মিরসরাই গ্রাম সম্পূর্ণ পুড়িয়ে দেয়া হয়। পঞ্চানন ধাম এবং তুলসী ধাম সহ পাঁচ হিন্দু মন্দির আক্রান্ত এবং ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

২) বাংলাদেশের অর্থনীতি বিদ আবুল বারাকাত যিনি গবেষণা করে দেখিয়েছেন কি ভাবে বাংলাদেশের হিন্দুদের সম্পদ মুসলিমরা রাষ্ট্রীয় ডাকাতির মাধ্যমে গ্রাস করে নিয়েছে।

“(ক) ১৯৭১-২০১৩ অবধি ৪২ বছরে বাংলাদেশে হিন্দু জনসংখ্যা কমে তাদের আগের সংখ্যার এক-চতুর্থাংশে এসে দাঁড়িয়েছে। ২৮% ভাগ থেকে ৮% শতাংশে এসে দাঁড়িয়েছে। অর্থনীতিবিদ আবুল বারকাতের গবেষণা গ্রন্থ ‘এ্যান ইনকোয়ারি ইন টু কজেস এন্ড কনসিকোয়েন্সেস অফ ডিপ্রাইভেশন অফ হিন্দু মাইনরিটিজ ইন বাংলাদেশ থ্রু দ্য ভেস্টেড প্রপার্টি এ্যাক্ট (প্রিপ ট্রাস্ট, ২০০০ সাল)’ বইয়ে দেখা যাচ্ছে ১৯৬৪ সাল থেকে অদ্যাবধি প্রতি বছর ১৯৬, ২৯৬ জন হিন্দু হারিয়ে যাচ্ছেন এদেশ থেকে। প্রতিদিন হারাচ্ছেন ৫৩৮ জন মানুষ। শত্রু (অর্পিত) সম্পত্তির আওতায় এপর্যন্ত ৯২৫,০৫০ হিন্দু পরিবার ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন। ৭৪৮,৮৫০ পরিবার হারিয়েছেন কৃষি জমি, ২৫১,০৮৫ পরিবার হারিয়েছেন বসতভিটা, ৪৮,৪৫৫ পরিবার হারিয়েছেন উদ্যান জমি, ২২,০২৫ পরিবার হারিয়েছেন বাড়ির পাশের পতিত জমি, ৭৯,২৯০ পরিবার হারিয়েছেন পুকুর, ৪,৪০৫ পরিবার হারিয়েছেন বাণিজ্যিক ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের আওতাধীন জমি এবং ১১৪,৫৩০ পরিবার হারিয়েছেন আরো নানা শ্রেণীভুক্ত জমি।

(খ)আসুন আবার দেখি আবুল বারকাত কি বলেছেন? শত্রু (অর্পিত) সম্পত্তি আইনের আওতায় এপর্যন্ত ১.৬৪ মিলিয়ন একর জমি হারিয়েছে হিন্দুরা। এটা ১৯৯৫ সালের হিসাব। এরপর পদ্মা-মেঘনায় আরো জল গড়িয়েছে। আরো অনেক সহায়-সম্বলহারা হয়েছে হিন্দুরা। এপর্যন্ত ১.৩৪ মিলিয়ন কৃষি জমি (মোট বেদখল হওয়া জমির ৮১.৭ ভাগ), ১৫৬ হাজার একর বা¯ত্তজমি (মোট বেদখল হওয়া জমির ১০% ভাগ), ২৯ হাজার একর উদ্যান জমি (মোট বেদখলকৃত জমির ১.৭৪% ভাগ), ১১ হাজার একর পতিত জমি (০.৬৮% ভাগ), ৩২৯ একর বাণিজ্যিক ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের আওতাভুক্ত জমি এবং ৫৬ হাজার একর অন্যান্য জমি (৩.৪% ভাগ)-র অর্থমূল্য ২০০০ সালের বাজারদরে গড় দামে হিসাব করলে (প্রতি ডেসিমাল ৫৭৬০ টাকা), শুধুমাত্র শত্র“ সম্পত্তি আইনের আওতায় হিন্দু পরিবারগুলো যত জমি হারিয়েছে, তার মোট আর্থিক মূল্য দাঁড়ায় ৯৪৪,৬৪০ মিলিয়ন টাকা যা বাংলাদেশের জিডিপি-র শতকরা ৫৫ ভাগ এবং ২০০০-২০০১-এ বাংলাদেশের বার্ষিক বাজেটের চেয়ে পাঁচ গুণ বেশি। আবুল বারকাত আরো বলেন নগদ আর্থিক মূল্যের বিবেচনা ছাড়াও মানসিক হতাশা ও ভেঙ্গে পড়া, পারবারিক বন্ধন হারানো (পরিবারের তিন জন ওপারে ত’ চার জন এপারে), সাম্প্রদায়িক সহিংসতা ও স্বাধীনতার অভাবের মত বিষয়গুলোর কোন আর্থিক পরিমাপই হয় না।

সুত্র ফেসবুক পোস্ট

৪) সংখ্যালঘু নির্যাতন ও জামাত শিবির: ২৮ তারিখ জামাত নেতা দেলোয়ার হোসেন সাঈদিকে ৭১ এর মানবতা বিরোধী মামলায় ফাঁসি দেয়ার পর নোয়াখালীর রাজগাঞ্জবাজার গ্রামে হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর হামলা চালানো হয়। একজন আক্রান্ত ব্যক্তি Amnesty Internation কে জানায় যে জামাত-শিবিরের হরতাল সমর্থনকারীরা তাদের বাড়িঘরে হামলা চালায়, এসময় তাড়া প্রায় ৩০টি বাড়িতে আগুন দেয় যেগুলোতে প্রায় ৬৬টি পরিবার বাস করতো। তারা সেখানে মন্দির গুলোতেও আগুন দিয়েছে। একই দিনে বাগেরহাট জেলার মোরেলগঞ্জ উপজেলায় একটি গ্রামে ও নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলায় আরও মন্দিরে ভাংচুর করে।
পুরো মার্চ মাস জুড়েই লক্ষ্মীপুর, বরিশাল, বাগেরহাট, মুন্সীগঞ্জ, নবাবগঞ্জ, গোপালগঞ্জ, চট্টগ্রাম, নাটোর, কুমিল্লা, নেত্রকোনা, বগুড়া, ভোলা, রংপুর, সিলেট, নেত্রকোনা সহ প্রায় সারা দেশেই হিন্দুসম্প্রদায়ের মানুষের উপর হামলা চালায় জামাত-শিবির। লুটপাট করে, ঘড় বাড়ি ও উপাসনালয় পুড়িয় দেয়।
এপ্রিলের ৫ তারিখ টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে তিনটি মন্দিরে আগুন দেয় এবং এ মাসে আরও জায়গায় আগুন দেয় তারা। ২০১৩ প্রায় সারা বছরটি জুড়েই জামাত শিবিরের এ তাণ্ডব চলতে থাকে। ২৫শে নভেম্বর দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষনা করবার পর থেকে ১৮ দলীয় জোটের তীব্র ক্ষোভের স্বীকার হয় এই অমুসলিম সম্প্রদায় গুলো। ডিসেম্বরের ১২ তারিখ কাদের মোল্লার ফাঁসির রায় কার্যকর করার পর হামলা চালায় হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর। কিছুদিন হ্রাস হামলা বন্ধ থাকলেও ৫ জানুয়ারি নির্বাচনের পর তা আবারও শুরু হয়।

৫) ২০০১ সাল, নির্বাচন পরবর্তী পালাক্রমে ধর্ষণ শেষে নিথর দেহ ভাসিয়ে দেয় নদীতে: ভোলার লাল মোহনে অন্নদাপ্রসাদ গ্রামের চার পাশের ধানৰেত ও জলাভূমি পরিবেষ্টিত ভেন্ডার বাড়িতে অর্ধশতাধিক মহিলারা তাদের সম্ভ্রম রৰার লৰ্যে আশ্রয় নেয়। কিন্তু সে বাড়িটিও এই নরপিচাশদের নজর এড়ায়নি। শত শত বিএনপি সন্ত্রাসীরা ৮/১০টি দলে বিভক্ত হয়ে অত্যনত্ম পরিকল্পিতভাবে ওই রাতে হামলা চালায়। মহিলারা তাদের সম্ভ্রম রৰা করতে পারেনি। সম্ভ্রম রৰায় অনেকে, প্রাণের মায়া তুচ্ছ করে অন্ধকারে ঝাঁপিয়ে পড়ে আশেপাশের ধানৰেত ও জলাশয়ে। কিন্তু তাদের শিশুদের পানিতে ফেলে দেয়ার হুমকি দিয়ে পানি থেকে ওঠে আসতে বাধ্য করায়। সেখানে ধর্ষিত হয় ৮ বছরের শিশুও। মা, মেয়ে, পুত্রবধূকে ধর্ষণ করা হয় এক সঙ্গে। ছেলের চেয়েও ছোট বয়সী সন্ত্রাসী কর্তৃক মায়ের বয়সী নারী ধর্ষিত হয়। এদের কবল থেকে রৰা পায়নি পঙ্গু, অন্ধ, প্রতিবন্ধী নারীরাও। কোন কোন ৰেত্রে ধর্ষণের পর হত্যা করে লাশ নদীতে ভাসিয়ে দেয়াসহ লোমহর্ষক অনেক ঘটনার বর্ণনা রয়েছে এতে ।

৬)পুর্নিমার রানীকে পালাক্রমে ধর্ষন: পনেরো বছর বয়সের দশম শ্রেণীর ছাত্রী পূর্ণিমা গণধর্ষণের শিকার হয়ে অনেকটা বাকরম্নদ্ধ হয়ে পড়েছিল। সিরাজগঞ্জের উলস্নাপাড়া থানার দেলুয়া গ্রামের অনিল কুমার শীলের পরিবারের ওপর ২০০১ সালের নির্বাচন পরবর্তী অক্টোবর মাসের ৮ তারিখ রাতে চালানো হয় বর্বরতম অত্যাচার-নির্যাতন-নিপীড়ন। রাতে জোরপূর্বক বাড়িতে ঢুকে অত্যাচার-নির্যাতনের এক পর্যায়ে সন্ত্রাসীরা অনিল শীলের ছোট মেয়েকে তুলে নিয়ে সম্পূর্ণ বিবস্ত্র করে পালাক্রমে ধর্ষণ করে।তদন্ত কমিশন সরেজমিন তদনত্ম করতে গেলে বাগেরহাট সার্কিট হাউসে এসে নির্মম নির্যাতনের কাহিনী বর্ণনা করে গণধর্ষণের শিকার হওয়া ছবি রানী। ধর্ষণের সময় তার বয়স ছিল ২০ বছর। ছবি রানী কমিশনের সামনে বলে, ২০০২ সালের ২১ আগস্ট বিএনপি নেতা মলিস্নক মিজানুর রহমান ওরফে মজনু ও বাশার কাজীর নির্দেশে সন্ত্রাসী মজনু রহমান (বিএনপি থানা আহ্বায়ক), আবুল বাসার, তায়েব নুর, কামাল শিকারী, কামাল ইজারাদার, বজলুর রহমান, পলাশ, মাঝে শিকদার, ইল ফরাজী, হিমু কাজী, জিন্না নুর প্রহরী, ইমদাদ, এমএ মান্নান, হারম্নন মলিস্নক, মোসত্মাফিজুর রহমান, হাফিজ উদ্দিন, আলতাফরা সন্ধ্যা আনুমানিক ৭টা থেকে সাড়ে ৭টায় তাকে বিএনপি অফিসে ডেকে নিয়ে গণর্ধষণ করে। পরে মাথার চুল কেটে দেয়। পরে নগ্ন ছবি করে যৌনাঙ্গে বালু ও কাঁচের গুঁড়া ঢুকিয়ে দেয়। পানি খেতে চাইলে প্রসাব করে তা খেতে দেয়। জবানবন্দী দেয়ার সময় তার শরীরের কয়েকটি চিহ্ন কমিশনের সদস্যদের দেখান। এ সময় ছবি রানী তদনত্ম কমিশনকে জানায়, বাগেরহাট আদালতে এ মামলা চলাকালে বিএনপির তখনকার সভাপতি ও বাগেরহাট-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এমএএইচ সেলিম তাঁর বাগেরহাটের বাড়িতে ডেকে নিয়ে জোর করে মামলা মীমাংসাপত্রে স্বাৰর করিয়ে নেয় এবং সন্ত্রাসীর হুমকির মুখে সাৰী হাজির করতে না পারায় বাধ্য হয়ে মামলাটি প্রথমে ঢাকা, পরে খুলানা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবু্যনালে স্থানানত্মর করে।

যাই হোক এরকম ব হু ঘটনার সাক্ষ্মী আমাদের এই দেশ।

আবার রাস্ট্রধর্ম ইসলাম রাখার পক্ষে ইসলামী দল গুলো আর অন্যান্যরা যা বলছে:

* কিছুদিন আগে সুপ্রিম কোর্টের সমুন্নত সংগ্রামী আইনজীবি পরিষদের উদ্যোগে সুপ্রিম কোর্ট বার এসোসিয়েশনের আইনজীবিরা বলেন এদেশ বিশ্বের ২য় বৃহত্তম মুসলিম দেশ। এদেশের ৯৮ ভাগ জনগোষ্ঠি মুসলমান। এদেশের মুসলমানরা স্বভাবগতভাবেই ধর্মপ্রাণ ও ধর্মভীরু। যে দেশে ১০লাখ মসজিদ রয়েছে। যেদেশে প্রতি জুমুয়ার জামাতে কোটি কোটি লোকের সমাগম হয়। সেদেশে সংখ্যাগরিষ্ট মুসলমানদের ধর্ম হিসেবে রাষ্ট্রধর্ম হবে ‘ইসলাম’ তা বলার অপেক্ষা রাখে না। কারণ বর্তমানে বিশ্বের ৬০টিরও অধিক দেশে সংখাগরিষ্টদের ধর্মকে রাষ্ট্রধর্ম করা হয়েছে। যেমন, খ্রিষ্টান অধ্যুষিত দেশগুলোর মধ্যে আর্জেন্টিনা, স্পেন, পর্তুগাল, ডেনমার্ক, নরওয়ে, ব্রিটেনসহ ২৬টি দেশে ক্যাথলিক ও প্রোটেষ্ট্যান্ট মতবাদ তাদের রাষ্ট্রধর্ম। একমাত্র গ্রীসে অর্থডক্স মতবাদ তাদের রাষ্ট্রধর্ম। আবার ভুটান, থাইল্যান্ড, শ্রীলঙ্কাসহ ৫টি দেশের রাষ্ট্রধর্ম বৌদ্ধ। কিছুদিন পূর্বেও নেপালের রাষ্ট্রধর্ম ছিল সনাতন বা হিন্দু। অন্যদিকে মুসলিম বিশ্বে ২৭টি দেশের রাষ্ট্রধর্ম হলো ইসলাম। তাই বাংলাদেশের রাষ্ট্রধর্ম ‘ইসলাম’ হওয়াও স্বাভাবিক এবং রাষ্ট্রধর্ম হিসেবে ‘ইসলাম’ বহাল থাকাও স্বাভাবিক।

* রাষ্ট্রের কোন ধর্ম নেই, ধর্ম হলো ব্যক্তির, এছাড়া রাষ্ট্রে একাধিক ধর্মাবলম্বিরা রয়েছে ফলে কোন নির্দিষ্ট ধর্মকে প্রাধান্য দেয়া যাবে না। যদি তাই হয়, তাহলে একইভাবে রাষ্ট্রেরও কোন ভাষা থাকতে পারে না। কারন রাষ্ট্র কখনো কথা বলে না। কথা বলে ব্যক্তি। অথচ এদেশে চাকমা-মারমা-সাওতাল- বিহারীসহ বহু ভাষী লোক রয়েছে। তাই রাষ্ট্র ভাষা বাংলা কি বাদ দেয়া হবে? যদি না দেয়া হয় তাহলে রাস্ট্রধর্ম হিসেবেও ‘ইসলাম’ বাদ দেয়া যেতে পারে না।

*১৯৫২ সালে ঢাকার আরমানিটোলা ময়দানে অনুষ্ঠিত গণতান্ত্রিক মহাসম্মেলনে গৃহীত খসড়া সাংবিধানিক প্রস্তাবসমূহে, ১৯৫৪ সালের প্রাদেশিক নির্বাচনে ঘোষিত ২১ দফা কর্মসূচীতে, ১৯৬৬ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের ৬ দফা কর্মসূচীতে, ১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থানের ১১ দফা কর্মসূচীতে, ১৯৭০ সালে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী মেনিফেস্টোতে, ১৯৭১ সালের ২৩ জানুয়ারি সাবেক রেসকোর্স ময়দানে অনুষ্ঠিত লাখ লাখ লোকের জনসভায় সেই সময়কার জাতীয় ও প্রাদেশিক পরিষদের নির্বাচিত সদস্যগণকে পাঠ করানো বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের শপথবাক্যে, মুজিব ইয়াহিয়া ও ভুট্টোর মধ্যে ১৯৭১ সালে ১৪ মার্চ থেকে ২১ মার্চ পর্যন্ত অনুষ্ঠিত বৈঠকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব কর্তৃক পেশকৃত পাকিস্তানের খসড়া সংবিধানে এবং ১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিল আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষিত বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রে অর্থাৎ বাংলাদেশের জাতীয় ৮টি দলিলের একটি দলিলেও সমাজতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতা এবং বাঙ্গালী জাতীয়তাবাদকে বাংলাদেশের মৌলিক রাষ্ট্রীয় কাঠামো হিসেবে ঘোষণা করা হয়নি। তারপরও বাহাত্তরের সংবিধানে সেগুলো ঢুকানোর কারণে যদি পঞ্চদশ সংশোধনীতেও সেগুলো বহাল রাখা যায় আবার সেগুলো চ্যালেঞ্জ করে মামলা না করা হয়, তাহলে ৮ম সংশোধনীতে রাষ্ট্রধর্ম ‘ইসলাম’ ঢুকানোর কারণে সেটাকে চ্যালেঞ্জ করে মামলা কেন? যদি ৮ম সংশোধনীতে রাষ্ট্রধর্ম ‘ইসলাম’ বহালের কারণে রাষ্ট্রধর্ম হিসেবে ‘ইসলাম’ বাদ দিতে হয়, তাহলে একইভাবে পঞ্চদশ সংশোধনী থেকে সমাজতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতা এবং বাঙ্গালী জাতীয়তাবাদের বিরুদ্ধে মামলাও দিতে হবে এবং বাদও দিতে হবে।

*২০১১, ২০১২ ও ২০১৩ সালে সরকার জাতীয় সংসদে অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যাপন আইন ৬ষ্ঠ বার সংশোধনীর মাধ্যমে অর্পিত সম্পত্তি আইনের ‘খ’ তফসিল বাতিল করার কারণে দেশের লাখ লাখ মুসলমান তাদের বৈধ ভূমি থেকে বঞ্চিত হবে। অর্পিত সম্পত্তি ‘খ’ তালিকায় বিনিময় সম্পত্তিও ভূমি অর্ন্তভূক্ত। কিন্তু উক্ত অর্পিত সম্পত্তি আইনে বিনিময় সম্পত্তি নিয়মিত করণ ও ভারতীয় বিনিময় দলিলের নকল কপি ঘোষনার কোন বৈধ আইন না থাকায় বিনিময়কারী মুসলমানরা এখন লাখ লাখ একর জমি থেকে বঞ্চিত হবেন। দেশের সংখ্যালঘুরা এককভাবে এসব জায়গার মালিক হতে যাচ্ছে। কারণ বাংলাদেশের প্রতিটি জেলায় হাজার হাজার বিনিময় সম্পত্তির মামলা অনিস্পত্তি অবস্থায় রহিয়াছে। তাই অর্পিত সম্পত্তি আইনের ‘খ’ তফসিল পুণর্বহাল করা জরুরী।

*অর্পিত সম্পত্তির ‘ক’ তফসিলও সংখ্যালঘুরা এককভাবে পেতে পারে না। এটাও বিবেচেনায় নিতে হবে। কারণ যুদ্ধকালীন সময়ে দেশের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়া নাগরিকরা সম্পত্তির দাবিদার হতে পারেনা। যারা দেশপ্রেম বাদ দিয়ে শত্রু দেশে আশ্রয় নেয় এবং স্বদেশের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয় তারা কিভাবে ভুমি ফেরত পেতে পারে? পাক-ভারত যুদ্ধের সময় যারা দেশ ত্যাগ ভারতের পক্ষাবলম্বন করেছিল তাদের সম্পত্তিকে ‘শত্রু সম্পত্তি’ গন্য করা হয়। তাই ‘শত্রু সম্পত্তি’ হিসেবে গণ্য সম্পত্তি, অর্পিত সম্পত্তির মোড়কে বৈধ হতে পারেনা। তা যাচাই-বাছাই করতে হবে। এটা এখন সরকারী সম্পত্তি।

*আরব-ইসরাইল যুদ্ধে ইসরাইল, মিশরের সিনাই উপত্যকা, সিরিয়ার গোলান উপত্যকা, জর্দান নদীর পশ্চিম তীর ও গাজা, ও কানিত্রা শহরটি দখল অনেক জায়গা দখল করলেও যুদ্ধ শেষে ইসরাইল কোন জায়গা ফেরত দেয়নি। বরং তা ‘শত্রু সম্পত্তি’ হিসেবে গন্য করে। ২য় বিশ্বযুদ্ধে বিবদমান পক্ষদ্বয়ও এক পক্ষ অন্য পক্ষের ফেলে যাওয়া বা দখল করা সম্পত্তিকে ‘শত্রু সম্পত্তি’ হিসেবে গন্য করে। অনুরুপ পাক-ভারত যুদ্ধের সময় যারা পূর্ব পাকিস্থান থেকে এসব সম্পত্তি ফেলে গিয়েছিল তাদের সম্পত্তিও ‘শত্রু সম্পত্তি’ হিসেবে এটা সরকারী সম্পদ। যা তারা দাবি করতে পারেনা।

* পঞ্চদশ সংবিধান সংশোধনী কমিটির কো-চেয়ারম্যান ছিল সুরঞ্জিত সেন গুপ্ত। যে সংখ্যালঘুদের নেতা ও প্রতিনিধি। তার নেতৃত্বেই সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী হয়েছে এবং পাশ হয়েছে। সেই পঞ্চদশ সংশোধনীতেও রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বহাল রয়েছে। সংখ্যালঘুদের নেতা ও প্রতিনিধি হিসেবে রাষ্ট্রধর্ম হিসেবে ‘ইসলাম’ স্বীকার করে নেয়ার পর এটা নিয়ে সংখ্যালঘুদের আর বিতর্কের কোন অবকাশ নেই। সংবিধারে পঞ্চদশ সংশোধনীতে শুধু ইসলামকেই রাষ্ট্রধর্ম করা হয়নি বরং হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান ধর্মকেও রাষ্ট্রধর্ম হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে। তাহলে রাষ্ট্রধর্ম হিসেবে শুধু ইসলাম ধর্ম বাদ দেয়ার জন্য মামলা করা আবার অন্যান্য ধর্ম নিয়ে চুপ থাকার রহস্য কি?
পঞ্চদশ সংশোধনী পাশের সময় মন্ত্রী পরিষদের বৈঠকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যেখানে দুইজন প্রভাবশালী মন্ত্রীর রাষ্ট্রধর্মের বিরোধীতাও মেনে নেননি (যারা রাষ্ট্রধর্ম প্রবর্তনের সময় তৎকালীন সরকারের মন্ত্রী ছিলেন) এবং যেটা পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে একটি মীমাংসিত বিষয় সেখানে নতুন করে রাষ্ট্রধর্ম ইস্যু তোলা কি করে গ্রহণযোগ্য হতে পারে?


সবশেষে কি করা যেতে পারে:

১৯৮৮ সালের প্রেক্ষাপট এবং বাংলাদেশের বর্তমান প্রেক্ষাপট সম্পূর্ন ভিন্ন। কারন তখন সরকার ছিলো রাস্ট্রপক্ষ ছিলো রাস্ট্রধর্ম ইসলামের পক্ষে। আর এখন যে সরকার ক্ষমতায় তারা ধর্মনিরপেক্ষতার পক্ষে। এছাড়া যদি তত্বীয় ভাবে বলতে যাই বাঙ্গালী জাতী বর্তমান ধর্মীয় দিক অস হিষ্ণু জাতিতে পরিণত হয়েছে। হয়তো মোটা দাগে অনেকেই না, কিন্তু বেশীরভাগ মানুষ সাম্প্রদায়িক মনোভাবাপন্ন। আর সেক্যুলার কনসেপ্ট বা আধুনিক রাস্ট্রের কনসেপ্ট গুলো পশ্চিমা বিশ্ব হতে আমদানী কৃত। পশ্চিমা বিশ্বের মানুষের বর্তমান সময়ের স হনীয় মন মানসিকতার পুরো বিপরীতে আমরা বসবাস করছি। এখন আমাদের কাছে সংখ্যালঘু নির্যাতন খুব বড় কোনো সমস্যা না কারন তারা আমাদের মূল জনসংখ্যার অতি সামান্য পরিমান। এটা দুঃখজনক এবং লজ্জাজনক ব্যাপার হলেও এটাই বাস্তবতা।

আর রাস্ট্রধর্ম ইসলাম চাই: এই রীটের পুরো মীমাংসা হবে আদালতে। আদালত কোনো গনতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান নয়। যদি আদালত রায় দেয় তাহলে সরকার মানতে বাধ্য আবার সংসদ একটা গনতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান। এখানে গনতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান গুলোর ধর্ম পুরোপুরি মুখোমুখি হয়ে দাড়িয়েছে ফলে এখানে আরেকটা ধর্মীয় স হিংসতা লাগারও সম্ভাবনা আছে। আর প্রতিটা ধর্মীয় স হিংসতায় হিংস্রতা বড় বীভৎস। যারা রাস্ট্রধর্ম ইসলামের পক্ষে তারা এই স হিংসতা এড়াতেও ইচ্ছুক নন যদি তাই হতেন তাহলে এই রিটের বিরুদ্ধে প্রানপন লড়ে যেতেন।

এটা অনেকটা এমন যে যদি আমরা হারি তাহলে সংখ্যালঘুদের খবর আছে আর যদি জিতি তাহলে যেসব হচ্ছে সেভাবেই চলবে। সরকারের আচরন দেখেও মনে হচ্ছে না যে তারা এই সমস্যার সুষ্ঠু কোনো সমাধান চায়। এ যেন এমন যে তারা বিচারবিভাগের কাধে বন্দুক রেখে গুলি চালাচ্ছে!

এখন যদি বাংলার আমজনতা এগিয়ে না আসে, কোর্টে যাই ঘটুক, বড় একটা স হিংসতা ঠেকানো মুশ্কিল!


আমরা কি এ বিষয়ে আলোচনা করতে পারি?

মন্তব্য ৫১ টি রেটিং +১১/-০

মন্তব্য (৫১) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে মার্চ, ২০১৬ ভোর ৪:০৮

নতুন বলেছেন: আমাদের দেশের মানুষের ভন্ডামী কি কোন জরিপে আসছে??

সমাজের ৯০% ভন্ড তাই মুখে ধম` ধম` করলেও কাজ কিন্তু দূনিতি

তাই সবাই মিলে দেশটাকে দূনিতিতে ১ নং বানিয়েছি আমরা।

২৭ শে মার্চ, ২০১৬ ভোর ৪:৪৫

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: নারে ভাই কোনো জরিপে আসে নাই।

সব যদি জরীপে আসতো তাইলে আমাগো বিদেশ থিকা ভাগতে হইতো। গরীব মানুষের এমনেই মান সম্মান নাই, তার ওপর যদি এরকম জরিপে চার ছক্কা মারতে থাকি তাইলে হইছে কাম

২| ২৭ শে মার্চ, ২০১৬ ভোর ৪:২৬

কালীদাস বলেছেন: পোস্টটা ফলো করার চেষ্টা করব ডুব দেয়ার আগ পর্যন্ত ;) এই টাইপের একটা সংকলন পোস্ট দরকার ছিল; এখনকার লোকজন তো আবার সংকলন বলতে অন্য জিনিষ বুঝে :(

আমার চিন্তাটা এই টপিকে একটু অন্য লাইনে। আমি রাষ্ট্রধর্ম চেন্জ করার কারণটা ধরার চেষ্টা করছি। যে যাই বলুক, রাষ্ট্রধর্মের ব্যাপারটা ইন্টারন্যাশনাল পলিটিকস ছাড়া কিছু না। বঙ্গবন্ধুর আমলে আমাদের দেশ ইসলামি দেশ না হওয়াতে মিডল ইস্টের রিকগনিশন পেতে অনেক সময় লেগেছে। বঙ্গবন্ধুকে খুন করার পর মুশতাক এক আবেগঘন ভাষণ দেয়, যেটাতে প্রায় সব কয়টা মুসলিম দেশ বিভ্রান্ত হয়ে যায় যে বাংলাদেশ ইসলামি প্রজাতন্ত্র হয়ে গেছে। পরে মুশতাকের ফরেন মিনিস্টার সেটাকে ক্লারিফাই করার পর কনফিউশন কাটে এবং মুশতাক নিজেও বাংলাদেশের ধর্মনিরপেক্ষ চেহারাটা বদলানোর পক্ষে ছিল না (মাসকারেনহাস, লিগ্যাসি অফ ব্লাড)। আমি দুই চোখে দেখতে পারিনা মিডল ইস্টের কিছু হিপোক্রেট দেশকে কিন্তু আমাদের ফরেন রেমিট্যান্সের একটা বড় অংশ আসে মিডল ইস্ট থেকে, এই পলিসি ফরমেশন কতটা এফেক্ট করে সেটাই এখন চিন্তার বিষয়। আর তাছাড়া দুর্বল ফরেন পলিসির কারণে, অনেক দেশেই হিউম্যান ক্যাপিটাল এক্সপোর্ট বন্ধ হয়ে গেছে, এই ডিসিশন কাকে খুশি করার জন্য, সেটাও ভেবে দেখা দরকার।

অনেক পোস্টে দেখলাম ক্লিয়ারলি বলা হচ্ছে, এটা কেবল শুরু এরপর আস্তে আস্তে ইসলাম দেশ থেকে খেদানোর সব রাস্তা উন্মুক্ত হবে। হে হে। আমি যতদূর জানি, আমাদের সাবেক বর্তমান দুই প্রধানমন্ত্রীই ধার্মিক। এধরণের জিনিষ হবে কিনা আমার যথেষ্ট সন্দেহ আছে। দড়ি দেখে সাপ বলার অভ্যাস গেল না আমাদের। আরেকটা জিনিষ ইন্টারেস্টিং বেশ কয়েকজন ইন্ডিকেট করছে মসজিদে মন্দির বানানো হবে, দেশটা হিন্দুদের হয়ে যাবে। এরকম আজব মেন্টালিটি মানুষের ৪৫ বছর পরেও থাকে কিভাবে বুঝি না।

ইন্টারন্যাশনাল ভিউ। ইউরোপের বেশিরভাগ লোকই এখন আর ধর্মের ব্যাপারে খুব একটা কেয়ার করেনা। চেক রিপাবলিকের লোকজনকে দেখেছি ঘটা করে ক্রিসমাস উদযাপন করতে, কিন্তু নিজেরাই স্বীকার করে যে ওদের কোন ফেইথ নেই। এশিয়ার মধ্যে সেইম জিনিষ দেখেছি চীন, কোরিয়া আর ভিয়েতনামে (এই দেশটায় অবশ্য যাইনি, কিন্তু সবকয়টা সোর্স সেইম জিনিষ বলেছে)।

বাইদ্যাওয়ে, রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম থাকলে আমি খুশি হব। কিন্তু হাস্যকর, ফাউল, জামাইত্যা লজিক দিয়ে ইসলামের নামে আরও উল্টাপাল্টা কালার ছড়ানোটা বা সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষ ছড়ানোটা মানতে রাজি না।

২৭ শে মার্চ, ২০১৬ ভোর ৪:৫১

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: সমস্যা তো এইখানে না। সমস্যা হইলো বিচার বিভাগে যেভাবে কেস চলতেছে তাতে ইসলাম না থাকার সম্ভাবনা বেশী। হেফাজতকে সরকার পুষতেছে বলে ঢাকায় তারা কিছু করতে পারবে না। কিন্তু ঢাকার বাইরে যে সংখ্যালঘু আছে, বিশেষ করে পাহাড়ী এলাকার লোকেরা, তাদের অবস্থা হবে ভয়াবহ।

এতদিন দেশে হিন্দুদের সংখ্যা বেশী ছিলো বলে খালি সেনাবাহিনী পাহাড়ীদের দিতো, এখন হিন্দু মোটামোটি কমে যাওয়ায়, সেনাবাহিনীর সাথে কাধে কাধ মিলিয়ে পাহাড়ী সাইজ করতে এরা ব্যাস্ত।

এখন এই পরিস্থিতি মোকাবেলায় সরকারের তো কোনো প্রস্তুতি নাই, ঐদিকে আমাদের হুজুরের দল মোছে তা দিতেছে !

ভয়টা এখানেই।

আর আমাদের রাস্ট্রধর্ম পরিবর্তন হইলেও যেমন আগের অবস্থায় থাকবো না হইলেও থাকবো! এতে কারো কোনো অবস্থার পরিবর্তন হবে না! আর দেশের মানুষ এখন টিভি ওয়াজ শুইনা ইসলামের আলেম, অথচ জায়গা মতো চিপা মারলে গালাগালি ছাড়া কিছুই বলবে না

৩| ২৭ শে মার্চ, ২০১৬ ভোর ৬:৪৪

আকদেনিজ বলেছেন: বাংলাদেশ সংবিধানে ধর্মনিরপেক্ষতাবাদ যে কতটা অমূলক, জানতে হলে পড়ুন--http://www.somewhereinblog.net/blog/akdeniz/30120779

২৭ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ১০:১৪

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: আপনার পোস্টের আলোচ্য বিষয় ছিলো সংবিধানে ধর্মনিরপেক্ষতার অসারতা। এখানে আপনি চারটি পয়েন্টে কথা বলেছেন কিন্তু কথা গুলোর সাথে পয়েন্ট গুলোর অসাড়তার যোগসূত্র খুঁজে পাচ্ছি না এবং অনেক জায়গায় ঘটনার পরিবর্তে আপনি মিথ্যার আশ্রয় নিয়েছেন

জাতীয়তাবাদের ক্ষেত্রে আপনি প্রধান কারন দেখালেন যে বাঙ্গালী জাতীয়তাবাদ আছে বলেই পাহাড়ীরা তাদের নিজস্ব জাতীয়তাবাদের জন্য লড়াই করছে। কিন্তু কথা হলে স্বাধীনতাপরবর্তী বাঙ্গালী সেটলার আর সেনাবাহিনীর অব্যাহত গনহত্যা আর নির্য়াতন রুখতেই তাদের এই আন্দোলন। মৌলিক যে বিষয়গুলো নিয়ে যে দন্দ্ব ছিলো তা পার্বত্য চুক্তি হবার পর সেগুলো নিয়া আর কোনো উচ্চবাচ্য হয় নি
সমাজতন্ত্র রাশিয়া মার খেয়েছে বলে কেউ এর প্রয়োগ করবে না এটা ডাহা মিথ্যা কথা। পশ্চিমা ইউরোপের এমন অনেক কল্যাণমূলক রাস্ট্র গঠিত (সুইডেন, ডেনমার্ক ইত্যাদি) হয়েছে যারা সংবিধানে গনতন্ত্র দ্বারা চালিত হলেও শাসনতন্ত্কের বিভিন্ন জায়গায় সমাজতন্ত্র আর পুঁজিবাদের অভূতপূর্ব সমন্বয় ঘটাইছে। চীন এর সবচেয়ে বড় উদাহরন। আর যদি ব্যার্থতায় কথাই আসে তাহলে তেন সমৃদ্ধ বর্বর মিডল ঈস্টের দেশ সহ পৃথিবীর অনেক মুসলিম দেশ যেমন পাকিস্তান, আফগানিস্তান ইত্যাদি শরীয়াহ আইন দিয়ে শান্তি সমৃদ্ধি আনার চেস্টাতেও ব্যার্থ হয়েছে বহু আগেই

গনতন্ত্র আর সমাজতন্ত্র সেকশনের বড় ভুল হলো পৃথিবীর কেন সংবিধানই জনগন লেখে নাই। জাতীর বিবেক যারা তাঁরাই সংবিধান লিখেছেন। আমেরিকা থেকে শুরু করে বিশ্বের প্রতিটা দেশের সংবিধান রাস্ট্রের স্বর্ন সন্তান লিখে গেছেন। প্রয়োজনীয় নয় যে নির্বাচিত ব্যাক্তি হতে হবে তাকে। আর এই কথা পড়ার পর মনে হলো পোস্টের আসল পঁযেন্টগুলো অজ্ঞতা দ্বারা পরিপূর্ন

ভালো থাকবেন এবং একটু পড়াশোনা করবেন

৪| ২৭ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ৮:০৪

বিজন রয় বলেছেন: অনেক ভাল পোস্ট দিয়েছেন। অনেক আলোচনা হবে।

২৭ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ১০:১৪

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: আলোচনার জন্যই এই পোস্ট লেখা

৫| ২৭ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ৮:৩২

রিফাত হোসেন বলেছেন: ৯৯% ভাল লাগল, ১% একমত না , একমত না কোন সব বিষয়ে তা বুঝিয়ে বলতে পারব না । তবে , পোষ্ট টি ইতিবাচক হিসেবে স্টিকি করার আর্জি জানাচ্ছি

২৭ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ১০:১৬

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: একমত না হবার জন্য ধন্যবাদ

এজন্যই আলোচনা যদি একমত হয়ে যাই তাহলে তো আলোচনার দরকার হয় না। আর আলোচনা করা হয় যখন উভয় পক্ষ একটা মতানৈক্যে আসতে চায়

৬| ২৭ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ১০:২১

বিজন রয় বলেছেন: আমি চাই বাংলাদেশে ইসলাম রাষ্ট্রধর্ম হোক, যদি তারা একটু সুখি হতে পারে।

তারা ইসলামকে সঠিক ব্যবহার করে যদি শান্তিতে থাকতে পারে তো, অন্য ধর্মের লোকদেরও ভাল হবে। যদিও আরো ১০/১৫ বছর পরে এদেশে অন্য ধর্মের লোক আরো কমে আসবে।

এমনিতেই সারা মুসলিম বিশ্ব নানা সমস্যায় জর্জরিত, বাংলাদেশও এ বাইরে নয়।

২৭ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ১০:৩১

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: সমস্যার কথা হলো পৃথিবীর কোনো মুসলিম দেশেই ইসলাম সঠিক ব্যাবহার হয়নি। মালয়েশিয়ার ভুমিপুত্র আইন, পাকিস্তান আরবের হুদুদ, সংখ্যা লঘু গনহত্যা, বৈষম্যবাদ ইত্যাদি অত্যন্ত প্রকট এবং সেনাবাহিনী জড়িত থাকায় মিডিয়া এ নিয়ে খুব একটা লেখালেখিও করে না। তার ওপর আবার জিজিয়া করের মতো অনৈতিক চাঁদা

৭| ২৭ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ১০:৪০

বিজন রয় বলেছেন: সমস্যার কথা হলো পৃথিবীর কোনো মুসলিম দেশেই ইসলাম সঠিক ব্যবহার হয়নি।

ধর্মের সঠিক ব্যবহার হলেই কি সবসময় সুখ আসে, আসবে? হতে পারে কিছুটা।

যে কোন একটি পরিবার বা ব্যক্তিকে চিন্তা করুন যার বা যাদের জীবনে ধর্ম ছাড়া আর কিছুই নেই, তারা কি সব সমস্যা উর্ধ্বে?

যারা ধর্ম পালনের অনেক কাছকাছি তাকে তাদের জীবনে সমস্যা নেই?

যদি বলেন পরকাল, তো আর কিছু বলার নেই।

২৭ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ১০:৫০

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: আসলে আল্টিমেট সুখের গ্যারান্টি কেউ দিতে পারে না তার ওপর সুখ ব্যাপারটি যদি হয় আপেক্ষিক। আমি সমস্যার কথা বলছি মৌলিক পাঁচটি জিনিসের ওপর শিক্ষা, স্বাস্থ্য, অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান। উন্নত দেশে এই পাঁচটি বিষয় বেশ ভালো ভাবেই কভার করে এবং তার জন্য ধর্ম থাকাটা মোটেও জরুরী নয় সেটা বহু আগে থেকেই প্রমানিত সত্য। তবু যদি একটি রাস্ট্র চায় তারা ধর্মীয় আলোকে রাস্ট্র পরিচালনা করতে তাহলে করতে পারবে। থিওক্রেটিক বা ধর্ম তান্ত্রিক রাস্ট্র ব্যাবস্থা বহু আগে থেকেই প্রচলন ছিলো


আমাদের দেশের স্বল্প বা অশিক্ষিত মানুষরা মনে করে আইন বা সংবিধান তারা ইচ্ছে করলেই পরিবর্তন করতে পারে গণতান্ত্রিক অধিকারের মতো। কিন্তু তারা জানে না রাস্ট্রের মৌলিক দর্শন যদি জন গনের মতে পরিবর্তিত হয় তাহলে সে রাস্ট্র তার চরিত্র হারিয়ে গোষ্ঠিগত জনগোষ্ঠিকে প্রাধান্য দেবে। যা দীর্ঘমেয়াদে ভয়ংকর এবং অস্থিতিশীল পরিস্থিতির সৃস্টি করবে। তাই সংবিধান লেখা হয় রাস্ট্র দর্শন এবং প্রাজ্ঞ সমাজের নীতি নির্ধারকরা দ্বারাই, জনগনের দ্বারা নন!

৮| ২৭ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ১০:৫৪

বিজন রয় বলেছেন: আসলে আল্টিমেট সুখের গ্যারান্টি কেউ দিতে পারে না তার ওপর সুখ ব্যাপারটি যদি হয় আপেক্ষিক। আমি সমস্যার কথা বলছি মৌলিক পাঁচটি জিনিসের ওপর শিক্ষা, স্বাস্থ্য, অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান। উন্নত দেশে এই পাঁচটি বিষয় বেশ ভালো ভাবেই কভার করে এবং তার জন্য ধর্ম থাকাটা মোটেও জরুরী নয় সেটা বহু আগে থেকেই প্রমানিত সত্য।

এটিই আসল কথা। আসল সুখ।

২৭ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ১০:৫৮

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: এগুলো আসলে সুখও না

অধিকার

৯| ২৭ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ১০:৫৯

বিজন রয় বলেছেন: যদি শুধু একটি সম্প্রদায়ই তাদের ধর্মের অধিকার প্রতিষ্ঠা করল, তাদের নিয়ম কানুন গুছিয়ে নিল, আর অন্য সব জাহান্নামে গেল, তাহলে শান্তি আসবে কিভাবে? তাহলে তো সেই প্রাচীন অসভ্য জগত ভাল ছিল।

আসলে হাসি পায়, এখানে অনেকে সৃষ্টিকর্তার চেয়ে তারা নিজেকে জ্ঞানী মনে করে।
এই জন্য তারা কোনদিন সুখি হতে পারে না।

২৭ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ১১:০৭

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: আসলে যারা মৌলবাদ চর্চা করেন তারা অনেকটা দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত যার কোনো চিকিৎসা নেই। এদেরকে আপনি যুক্তি দিয়ে কখনোই বুঝাতে পারবেন না, কেউ পারেও নাই।আইএসআইএসের দিকে তাকান। তাদের কাজ যে ঘৃন্যতর এটা তারাও জানে কিন্তু তারা মনে করে তারা এসব করছে পরলৌকিক সুখের জন্য। আর এগুলো নিয়ে এসব মোল্লাশ্রেনীর কোনো উচ্চবাচ্য নেই, উচ্চবাচ্য নেই এদেশের সংখ্যালঘু নির্যাতনের বিরুদ্ধে

১০| ২৭ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১:৩৫

হাসান নাঈম বলেছেন: বাংলাদেশের জন্য পরিহাসের ব্যাপার হল যারা মুখে যা বলে তারাই তার বিপরিত বেশী করে।

বর্তমান ক্ষমতাসীনরা নিজেদের অসাম্প্রদায়িক হিসেবে পরিচয় দিতে খুব গর্ব বোধ করে - কিন্তু সাম্প্রদায়িকতার এমন কোন দিক ও বিভাগ নাই যেখানে তাদের পদচারনা নাই।

আর সাম্প্রদায়িকতাকেও অনেকেই শুধুমাত্র ধর্মের সাথে মিলিয়ে চিন্তা করেন। ধর্মের ভিত্তিতে বিভাজন এবং ভিন্ন ধর্মের মানুষের প্রতি অন্যায় জুলুম যদি 'ধর্মীয় সাম্প্রদায়িকতা' হয় তাহলে ধর্মনিরপেক্ষতার ভিত্তিতে জাতিকে বিভক্ত করে শুধুমাত্র নিজের পক্ষের লোকদের সকল সুযোগ সুবিধা দিয়ে প্রতিপক্ষকে যেকোন উপায়ে ধ্বংসের চেস্টাকে কী বলা হবে? এটা কি 'ধর্মনিরপেক্ষ সাম্প্রদায়ীকতা' নয়?

বর্তমান সময়ে পুরো দেশ যখন এ'রকম এক হিপোক্রেটের হাতে বন্দী তখন সেই সরকারের ইঙ্গীতেই যখন সংখ্যাগরিষ্ঠ সাধারণ মানুষের অতি স্পর্শকাতর বিষয়ে আঘাত করার উদ্যোগ দেখা যায় তখন আসলেই শংকা জাগে - তারা আসলে কী করতে চাচ্ছে? তারা কি বিশ্বকে দেখাতে চাইছে যে এ'দেশের ধর্মীয় গোষ্ঠিকে দমিয়ে রাখার ঠিকাদারিটা তারাই ভালভাবে পালন করতে পারবে? বিশেষ করে সেন্ট্রাল ব্যাংকের টাকা চুরির ঘটনা নিয়ে সরকার যখন দেশ - বিদেশে বিব্রতকর অবস্থায় আছে তখন এই ইসুটি তুলে আনা আরো বেশী আশংকা জনক। একটা অনির্বাচিত জনভিত্তিহীন সরকার ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য কতটা হিংস্র হতে পারে - আমরা হয়ত সেটাই দেখতে চলেছি।

আল্লাহ আমাদের রক্ষা করুন - আমীন।

২৭ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ৮:১৬

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: এজন্যই বললাম সরকার এবং ইসলামিক দলগুলো দু পক্ষই এই রায় থেকে সুবিধা লুট করতে ব্যাস্ত। আমি ব্যাক্তিগত ভাবে রাস্ট্রধর্ম নিয়ে খুব বেশী মাথা ব্যাথা নেই। কারন কাল যদি আমাদের রাস্ট্রধর্ম পরিবর্তিত হয়ে ধর্ম নিরপেক্ষ হয় আপনার আমার বেতন বা চাকুরির সুযোগ এতটুকু বাড়বে না, ভবিষ্যতে বাংলাদেশ উন্নত বা সহনশীল দেশ হিসেবে পরিণত হবার সম্ভাবনা কারন বর্তমানকার রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট।

এখন যদি সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা লাগে তখন দেখা যাবে সরকার বলবে আমরা তো করি নাই, ইসলামিক দল গুলা করছে। আবার ইসলামিক দল গুলোর নেতারা তাদের রাজনৈতিক আর দখলদারিত্বের রাজ্য কায়েম করবে।

আবার যদি না হয়ে যায় তাহলে পোস্টেই দেখবেন শত্রু সম্পত্তি বা সংখ্যালঘুদের জমি জবরদখল সম্পর্কিত একটা ক্যাচাল লাগবে যেখানে অনেক মসজিদ মাদ্রাসা যেগুলো অবৈধ ভাবে গড়ে তোলা হইছে হিন্দুদের জায়গা জমি দখল করে বা অনেক পীর মাশায়েখ বা ইসলামী ব্যাক্তিত্ব (৪৭ এর গোলাম সারোয়ারের মতো) তাদের প্রতিপত্তি বংশপরম্পরায় বাড়াইছে তারাও ভয় পাচ্ছে হয়তোবা সরকার সেদিকে ছুটে আসবে।


একানে ইসলাম বা আল্লাহর প্রতি ভালোবাসা হলো ভূয়া কথা, সব হলো ভানূমতীর খেল। মাঝখানে কিছু হিন্দু মেয়েকে আবারো গ্যাংর‌্যাপ করে সেটা ইসলামী উপায়ে হালাল করবে এই আর কি!

আমার ভয়টা এখানেই। আমরা যদি একতাবদ্ধ না হই এই দাঙ্গা আমার আদৌ ঠেকাতে পারবো না

১১| ২৭ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১:৩৬

মুসাফির নামা বলেছেন: সংবিধানে কি থাকল তারচেয়ে গুরত্বপূর্ণ মানুষ কতটুকু পালন করল।আর সঠিকভাবে ধর্ম পালন করলে তারা অন্যায়ভাবে অন্যের উপর আঘাত আনতে পারেনা। আমাদের প্বার্শবর্তী রাষ্ট্রেতো ধর্ম নিরপেক্ষ, কিন্তু এই অঞ্চলে সবচেয়ে বেশী সংখ্যালঘু নির্যাতন হয় ঐ দেশে। ঐ দেশে মুসলমানদের আর্থ-সামাজিক অবস্থা সবার নিচে।আর আবুল বারাকাতের পরিসংখ্যান বরাবরই একটা তামাশা।সে নিজে ব্যাংক লুটতরাজ।আমাদের দেশের সংখ্যালঘুদেরকেতো কাউকে গালি দিয়ে দেশপ্রেম প্রমাণ করতে হয়না,কিস্তু ভারতে কি অবস্থা?এদেশের বেশীরভাগ হিন্দুতো জমা হওয়া সব টাকা ভারকে পাটিয়ে দেয়,তখন আপনাদের পরিসংখ্যান কই থাকে।সংখ্যা লঘুদের কথা বলছেন, আর যাদের মৌলবাদী বলছেন তারাতো তার চেয়ে বেশী আক্রান্ত হচ্ছে, তখনতো খুব ভাল লাগে।শুধু নামাজ-কালাম, দাঁড়ি রাখার অপরাধে কতজনকে গুম করা হয়েছে।আর দায়েশের কথা বলছেন,সেটাতো আপনাদের পছন্দের পশ্চিমাদের, আপনাদের মতো মুখোশদারীদের সৃষ্টি। আলেমরা বরাবরই ওদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে।কিন্তু টনের পর টন নিয়ে বোম ফেলে লাক্ষ লাক্ষ মানুষ পশ্চিমা হত্যা করে ,তা খুবই যোক্তিক।যদি সত্যি সত্যানুসন্ধানী হোন, তবে অন্তর্দৃষ্টিটাও খোলা রাখুন। কষ্ট পেয়ে থাকলে ক্ষমা প্রার্থী।

২৭ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ৮:২৬

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: আমাদের প্বার্শবর্তী রাষ্ট্রেতো ধর্ম নিরপেক্ষ, কিন্তু এই অঞ্চলে সবচেয়ে বেশী সংখ্যালঘু নির্যাতন হয় ঐ দেশে।

তার মানে ভারত করে বলে আমাদের করাটা জায়েজ তাই না? আর এই জন্যই বোধ হয় ৪৭ এ গোলাম সারোয়ারের মতো ইসলামী ব্যাক্তিত্ব হিন্দুদের ওপরে হত্যাযজ্ঞ করার কারনে তিনি এই এলাকার দামী ব্যাক্তিত্ব? ইসলামে কি এটা বলা আছে যে এক দেশে মুসলমানদের মারলে নিজের দেশের নিরস্ত্র সংখ্যালঘুদের মারতে হবে? আমাকে একটু দেখান ইসলামে এমন কোনো নজির আছে কিনা!

এদেশের বেশীরভাগ হিন্দুতো জমা হওয়া সব টাকা ভারকে পাটিয়ে দেয়,তখন আপনাদের পরিসংখ্যান কই থাকে।

বাহ কি সুন্দর যুক্তি! এরা পাঠায় কেন? ৪৭ আর ৭১ এর পর কতগুলো দাঙ্গা হইছে মনে আছে? বাবরী মসজিদ ভাঙ্গার পর হিন্দুদের কতগুলো মন্দির আর কত মেয়েকে ধর্ষন করছেন মনে আছে-? আবুল বারাকাত ধরে নিলাম তামাশা, ইউএন রিপোর্টও কি তামাশা? তাহলে জানতে মন চায় কার রিপোর্ট তামাশা না? আল ইহসান নামের হিজবুতি পত্রিকার রিপোর্ট? শুধু একটু একটু বলেন আল ইহসানের রিপোর্ট তখন আমি বলবো রিপোর্ট কিভাবে করে সেরকম শিক্ষাগত যোগ্যতা কয়জন মোল্লার আছে। পূর্নিমা রানীর গ্যাংর‌্যাপের যে বিচারে যাদের সাজা হইছে সেটা কি মিথ্যা? যদি চান তো পুরো আইনি কার্যক্রমের নথি যেকানে স্পষ্টতঃই বলা আছে ইসলামী মোল্লা আর জামাত আর বিএনপির নেতারা কিভাবে একটা কিশোরী কে গনধর্ষন করে তার মায়ের সামনে.....যদি দেখতে চান এগুলো নিয়ে আমি দিনের পর দিন লিখবো যা আপনাদের চলমান আন্দোলনের জন্যও কিন্তু শুভ হবে না

শুধু নামাজ-কালাম, দাঁড়ি রাখার অপরাধে কতজনকে গুম করা হয়েছে।আর দায়েশের কথা বলছেন,সেটাতো আপনাদের পছন্দের পশ্চিমাদের, আপনাদের মতো মুখোশদারীদের সৃষ্টি। আলেমরা বরাবরই ওদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে

তার মানে বাংলাদেশ সরকার এই জুলুম নির্যাতন করছে বলে আপনাদের এখন অধিকার হয়ে দাড়িয়েছে সংখ্যালঘুদের পিটানোর। তাদের মানবাধিকার বলে কিছু নাই। কি সুন্দর যুক্তি! ইসলামে কি জালেম সরকারের বিরুদ্ধে জিহাদের জন্য সংখ্যালঘু হত্যা খুনকে জায়েজ করা হইছে? কোরানে নাই আমি শিওর, পারলে ফ্রড, মিথ্যুক মুয়াবিয়ার একটা জাল হাদিস দেন, তাই পড়ি!


ভালো থাকবেন। আসুন হিংসার পথ পরিহার করি। সংবিধান নানা ভাবেই পাল্টানো যায়, এই কেস নানাভাবেই লড়া যায়। আসুন রক্ত হাতে নিয়ে অফিসিয়াল প্রসেসে আগাই। যদি না পারি, তাহলে সিস্টেম পরিবর্তন করি, এর জন্য জনমত সৃষ্টি করি। তবু হত্যা খুন রাহাজানী ধর্ষন নয়!

ভালো থাকবেন আর শুভ বুদ্ধির উদয় হোক।

১২| ২৭ শে মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:০৫

অেসন বলেছেন: আলোচনার জন্য ভাল পোস্ট। আমরা বলি বাংলাদেশ অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র। উদার মুসলিম দেশ। সাম্প্রদায়িক সহিষ্ণুতা র উজ্জল দৃষ্টান্ত। কিন্তু এরকম একটি রাষ্ট্রে কেন মাত্র ১০% সংখ্যালঘু জনগণকে ধর্মীয় সমধিকার দিতে কেন এত কুণ্ঠা ? ১৯৭১ সালের যুদ্ধে কোন সংখ্যালঘু কি জীবন দেই নি ? দিলে কি তারা একটি ইস্লামিক রাষ্ট্রের জন্য জীবন দিয়েছিল ?
কেউ কেউ গণভোট চায়। আমিও চাই, তাতে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের চেহারা পরিস্কার হবে।

২৭ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ৮:২৯

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: প্রথম কথা আমাদের এমন কোনো রাজনৈতিক সংকট হয়নি যে সংবিধান পরিবর্তনের জন্য গনভোট চাইতে হবে।

দ্বিতীয় কথা, সবার দাবীই থাকতেই পারে যৌক্তিক হোক বা অযৌক্তিক এবং তার জন্য একটা সিস্টেম আছে।
সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা বা উসকে দেয়া কোনো মতেই সমর্থন করে না। আর কেসটা যখন চলতেছিলো তারা কেন আইনজীবি নিয়োগ করে সর্বশক্তি দিয়ে কেস লড়েনি? হেলিকপ্টারে চড়ার টাকা পায়, ৫ লাখ মাদ্রাসা ছাত্র ঢাকায় এনে লুটপাত আর ডাকাতী করানোর ক্ষমতা আছে কিন্তু উকিল নিয়োগের ক্ষমতা নাই, আইনি প্রক্রিয়ায় যাবার ক্ষমতা নাই, এটা একটু অবিশ্বাস্য!

১৩| ২৭ শে মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:১২

মনসুর-উল-হাকিম বলেছেন: মাশাআল্লাহ, সুন্দর লিখেছেন। আলহামদুলিল্লাহ, জাজাকাল্লাহু খাইরান। শুভেচ্ছান্তে ধন্যবাদ।

বাংলাদেশ মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ট দেশ, সুতরাং এই দেশে ইসলাম ধর্ম করবে প্রসার লাভ করবে আর ইসলাম ধর্ম প্রাধান্য পাবে, এটা হবে গণতান্ত্রিক সাম্যতা। আর দেশের অমুসলমানরা শান্তিতে বাস করবে এটা হবে ইসলামী সাম্যতা। এই সাম্যতা ভেংগে গেলে অশুভ-অশান্তি ছাড়া আর কিছুই জয়ী হবে না।

মহান আল্লাহ আমাদর সবাইকে হেদায়েত দিয়ে দুনিয়া ও আখেরাতে নেক কামিয়াবী দান করুন, আমীন।

২৭ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ৮:৩০

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: আপনাকে আল্লাহ হেদায়েত দান করুন এবং আখেরাত নেক কামিয়াবী দিক।

এবং আমরাও যাতে চেষ্টা করি ডিসিশন যাই হোক, সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার দিকে না যাই!

১৪| ২৭ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ৮:৫৯

মুসাফির নামা বলেছেন: সংবিধানে কি থাকল, তারচেয়ে গুরত্বপূর্ণ মানুষ কতটুকু পালন করল।আর সঠিকভাবে ধর্ম পালন করলে তারা অন্যায়ভাবে অন্যের উপর আঘাত আনতে পারেনা।

খুব ভাল লাগল আপনি আমার সাথে একমত হয়েছেন।ইসলামে এগুলো করার জন্য বলে নাই। যারা নাম ভাঙ্গিয়ে বা যেভাবে হোক অপরাধ করে তাদের শাস্তি দিন।তাহলে এটা নিয়ে এত টানা হেচড়া কেন?

আপনি আমার বেশ কয়েকটা বক্তব্যের ভুল ব্যাখ্যা করেছেন।আমি কখনও বলি নাই ভারত করছে বলে আমাদের করা উচিৎ,আমি তাদের রেফারেন্স দিয়েছি শুধু এটা বুঝানোর জন্য যে,তাদের ধর্ম নিরপেক্ষতা বাস্তবে কতটুকু আছে।

২৭ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ৯:০৭

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: আমি কখনও বলি নাই ভারত করছে বলে আমাদের করা উচিৎ,আমি তাদের রেফারেন্স দিয়েছি শুধু এটা বুঝানোর জন্য যে,তাদের ধর্ম নিরপেক্ষতা বাস্তবে কতটুকু আছে।

তাহলে ধর্মনিরপেক্ষতার উদাহরনে ভারত কেন? তুরস্ক, ইন্দোনেশিয়া বা সুইডেন, ডেনমার্ক, ফ্রান্সের মতো আদর্শ উদাহরন নয় কেন? আমি কি পোস্টেই বলি নাই যে পুরো উপ মহাদেশে হয় রাস্ট্রধর্ম থাকুক অথবা ধর্ম নিরপেক্ষ থাকুক কোনো কিছুই যায় আসে না। এগুলো পুরোটাই নির্ভর করে রাস্ট্রিয় ক্ষমতা যাদের হাতে আছে তাদের মন মানসিকতা আর জন গনের নৈতিকতা বোধের ওপর। উদাহরন যখন দেবেন তখন আমার মনে হয় আদর্শ জিনিসটাকেই উদাহরন হিসেবেই দেয়া উচিত!

ইসলামে এগুলো করার জন্য বলে নাই। যারা নাম ভাঙ্গিয়ে বা যেভাবে হোক অপরাধ করে তাদের শাস্তি দিন।তাহলে এটা নিয়ে এত টানা হেচড়া কেন?

এটা আমি পোস্টেই বলেছি যে ১৫ জন বিশিষ্ট নাগরিক এ ব্যাপারে মামলা করে ছিলেন তাদের উদ্দেশ্য কি ছিলো এবং তৎকালীন রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে খালেদা জিয়া আর শেখ হাসিনা কি অবস্থানে ছিলেন!

দয়া করে পোস্ট টি পড়ুন,

ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য

১৫| ২৭ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১১:০৫

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: আমি রাষ্ট্রের কোন ধর্ম থাকার কোন যৌক্তিকতা দেখি না। বিশ্বাস করি, ধর্মহীনতায়।
আবার ধর্ম নিয়ে মাথাব্যাথাও নেই। রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম থাকলেও বাংলাদেশ যেমন থাকবে, ধর্মনিরপেক্ষ হলেও তেমনই থাকবে। কোন পরিবর্তন হবে বলে মনে হয় না। আসলে বাংলাদেশের ৭০% এর বেশি মানুষ অশিক্ষিত। (শিক্ষার আসল সংজ্ঞায়)। এখানে যতদিন না শিক্ষার হার বাড়বে ততদিন নির্যাতন, নিপীড়ন চলবে, রাষ্ট্র ধর্মনিরপেক্ষ হলেও।
যাই হোক, পোস্টটা বেশ গোছানো। এমন পোস্ট কমই চোখে পড়ে।

২৮ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১২:০২

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য

১৬| ২৮ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১:০৬

যোগী বলেছেন:
পোষ্টা পড়া শুরু করছি তার আগে বলে নেই জাপানে আমি এমন কাওকে পাইনি যে গডে বিলিভ করে। এমন কী এখানে কোন রকম কোন ধর্মীয় ছুটিও নাই। গডে একটুও বিলিভ করলে হয়তো বছরে একটা দিন অন্তত ধর্মীয় ছুটি থাকতো।

২৮ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১:২৫

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: বোচইন্যা জাপানী আর হংকং এর কথা লেখছি তো, তয় মাত্র ৬২ ভাগ। আন্তর্জাতিক গো+এষনা প্রতিস্ঠানে কইছে!

আপনার না দেখনের কথা, যেই ৩৮ ভাগ আছে ঐগুলা বুড়া হইয়া পেনশনে গিয়া সোশাল খাইতেছে!

১৭| ২৮ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১:৫৯

তাজ উদ্দীন বাবুল বলেছেন: বাংলাদেশের জাতীয় ৮টি দলিলের কোথাও ধর্মনিরপেক্ষতা ছিল না। এখন আপনি যদি নতুন করে ইতিহাস লিখা শুরু করেন তাহলে কিছু বলার নাই। ৭১ এর মুক্তিযুদ্ধের মূল পটভূমি ছিলো ৭০ এর নির্বাচন। আর সেই ৭০ এর নির্বাচনের সময় বঙ্গবন্ধু যে শাসনতন্ত্র (সংবিধান) প্রণয়ন করেছিলেন, সেটার মৌলিক বৈশিষ্ট্যের দ্বিতীয় অনুচ্ছেদের নামই ছিলো ‘ইসলাম’।
যেখানে স্পষ্ট লেখা ছিলো-
“জনসংখ্যার বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশের প্রিয় ধর্ম হলো ইসলাম। আওয়ামীলীগ এই মর্মে সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে শাসনতন্ত্রে সুস্পষ্ট গ্যারান্টি থাকবে যে পবিত্র কোরান ও সুন্নায় সন্নিবেশিত ইসলামের নির্দেশাবলীর পরিপন্থী কোন আইন পাকিস্তানে প্রণয়ন বা বলবৎ করা চলবে না। শাসনতন্ত্রে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান সমূহের পবিত্রতা রক্ষার গ্যারান্টি সন্নিবেশিত হবে। সর্বস্তরে ধর্মীয় শিক্ষা সম্প্রসারণের জন্য পর্যাপ্ত বিধিব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ( সূত্র: মুজিবের রচনা সংগ্রহ, শেখ মুজিবুর রহমান; বাংলাদেশ কালচারাল ফোরাম পৃষ্ঠা: ১৬২)

২৮ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ২:১১

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: ওরে মর জ্বালা, আমি কোথায় নতুন ইতিহাস লিখলাম? আমি কি তো স্বাধীনতার পরের গল্প করছি। আর আপনার ই পাকি শাসনতন্ত্রের ব্যাপারে একটাই কথা, যদি পাকি শাসনতন্ত্রই কপিপেস্ট কইরাই দিতো তাইলে স্বাধীন হবার কি দরকার ছিলো? আর দ্বিতীয় কথা জন গন যদি ইসলাম ধর্ম দেইখা যু্দ্ধে গেছিলো তখন যশোরে যখন অস্থায়ী সরকার গঠন করলো যেইখানে ইসলামের নাম গন্ধ ছিলো না, তখন বাঙ্গালী যুদ্ধ থামাইয়া পাকি ভাইদের সাথে গলায় গলা লাগাইলো না কেন?

ওহ হো, আমি তো ভুলেই গেছিলাম, কিছু লোক লাগাইছিলো গলায় গলা যাদের নাম জামাতি ইসলাম আর তাদের এখন ধরে ধরে ফাঁসিতে ঝুলাইতেছি আমরা। ইসস! এমন হলে কেমন হতো এসব জামাতী ভাইদের স্বপরিবারে হত্যা করলে যেমনটা করেছিলো ৭১ আমাদের পূর্বপুরুষদের?

ভালো থাকবেন!

১৮| ২৮ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ৩:১৫

দুর্বার মামুন বলেছেন: অনেক কিছু জানতে পারলাম সুবিন্যস্ত পোষ্টটি পড়ে।
আমার দেশ যদি ইসলামের পবিত্র পরসে আরো উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত হতো তবে অতিমাত্রায় পুলকিত হতাম।তবে ইসলামের সংজ্ঞা বুঝেন এমন ব্যক্তির সংখ্যা এই দেশে হাতে গোনার মত।ইসলাম রাষ্ট্রধর্ম থাকলেই যে আমরা দেশকে উন্নতির শিখরে নিয়ে যেতে পারব এমনটি নয়।

২৮ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ৩:২০

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: কোনো দেশই পারে নাই

কিন্তু কথা হইলো এই আন্দোলনের নামে কত লোকের ঘর বাড়ি বসতভিটা পুড়বে!

অলরেডী শুরু হয়ে গেছে মাইকে ঘোষনা দিয়ে

১৯| ২৮ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ৩:৫৩

মোহাম্মদ গোলাম কাওছার বলেছেন: ভোট চাই । নিরপেক্ষ । সংখ্যাগরিষ্ঠ রায় ইসলামের পক্ষে গেলে থাকবে নতুবা হবে ধর্মনিরপেক্ষ বাংলাদেশ । এর বিপরীত হলে অশান্তি হবে । সাবধান ,অতি চালাকের গলায় দড়ি ।

২৮ শে মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৫:১৬

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: সত্যি বলেছেন ভাই, জাতী এই সব জঙ্গী মাদ্রাসার পোলাপান আর পেডোফাইল হুজুরদের কাছে কৃতজ্ঞ যে তাদের হাতে নীরিহ নিরস্ত্র সংখ্যালঘুরা ধর্ষিত, খুন এবং বসতভিটা ছেড়ে নিঃস্ব হয় নি। এইসব জঙ্গিদের কাছে আরো কৃতজ্ঞ যে ইসলাম প্রতিষ্ঠার নামে লাহোরে যেমন নিরীহ মানুষের ওপর আত্মঘাতী বোমা হামলা করে নিস্পাপ শিশু আর নারী, বৃদ্ধদের শরীর ছিন্ন বিচ্ছিন্ন করে নাই।

জাতি আসলেই এসব জঙ্গিদের কাছে কৃতজ্ঞ!

২০| ২৮ শে মার্চ, ২০১৬ ভোর ৪:১০

রাফা বলেছেন: অনুগ্রহ করে নিচের মহা সমন্বয়ের করা মন্তব্যটা মুছে দিন।কারো মাথায় যদি মগজের পরিবর্তে কোরআন থাকে তাহলে তার চাইতে আদর্শ মানুষ আর কেউ হোতে পারেনা।আল-কোরানের শিক্ষা যার থাকবে সে কখনই রাস্ট্রের কোন ধর্ম চাইতে পারেনা।

যদি তাই হতো তাহোলে আমাদের শেষ নবী নির্দিদ্বায় মক্কা বিজয়ের পর রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম ঘোষণা করতেন।এবং তার বীপরিতে মনে হয়না কোন প্রতিবাদ হইতো।

বাংলাদেশ কোন ইসলামিক প্রজাতন্ত্র নয় যে এর রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম হবে।বাংলা সরকারি ভাষা হিসেবে ব্যাবহ্রিত হবে এটাই মূল কথা।(এই উদাহারন যৌক্তিক নয়-রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম করার পক্ষে)

আপনি এবং কেউ কেউ বলছেন সংবিধান থেকে রাষ্ট্রধর্ম বাতিল বা থাকলে কোন পার্থক্য নেই।আমি এর বিপরিত অবস্থানে অবশ্যই অনেক বিরাট পার্থক্য নির্ণয় করে সংবিধানে থাকা না থাকা।একটি ধর্মকে রাষ্ট্রিয় ধর্ম ঘোষণা করার অর্থই অন্য ধর্মের অবমাননা।রাষ্ট্র সেটা করতে পারেনা-রাষ্ট্রের কাছে এই দেশের সকল নাগরিক সমান।রাষ্ট্রধর্ম সংবিধানে সংযোজিত থাকার অর্থই হোচ্ছে অন্য ধর্মালম্বিরা ২য় /৩য় শ্রনির নাগরিক।সংবিধানে রাষ্ট্রধর্ম থাকলে এর অপব্যাবহার হবেনা এর কি কোন গ্যারান্টি আপনি দিতে পারবেন?

২৮ শে মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৫:২৪

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: রাস্ট্র ধর্মের সাথে রাস্ট্রভাষার তুলনা হলো আপনে কি সকালে কি চিন্তা করছেন তার সাথে আপনে অফিসে লুঙ্গি পইড়া গেছেন না প্যান্টু পইড়া গেছেন সেইটার সম্পর্ক।

আসলে মাদ্রাসার শিক্ষা ব্যাবস্থা নিয়ে বলার কিছু নাই আর তাদের হুজুর শিক্ষকরা বেশীরভাগ পায়ুকামী পেডোফাইল। দেশে অনেক সমস্যা থাকতে তারা এমন সমস্যা নিয়ে কথা বলে যা দিয়ে দেশের জনগনের মানের কোনো উন্নতি হয় না এবং দুঃখ জনক ব্যাপার হলো বাংলাদেশের সরকার তাদেরকে লাই দিচ্ছে শুধু এই জন্য লাগাতার অপশাসন আর দুঃশাসনের জন্য বিখ্যাত শেখ পরিবারের স্বৈরাচারী অপশাসনের অজনপ্রিয়তা রুখার জন্য এই জঙ্গি গোস্ঠীকে।

যাই হোক, এসব চোর ডাকাত দুর্নীতিবাজ আর জঙ্গী রাজাকার দিয়েই আমাদের গা বাচায়া চলতে হবে

২১| ২৮ শে মার্চ, ২০১৬ ভোর ৪:১৫

ত্রিমাত্রিক বলেছেন: রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম থাকলেও ধর্মের কোন লাভ নাই, না থাকলেও ধর্মের কোন ক্ষতি নাই। আজাইরা হুদাই লাফাইতাছে কিছু পাবলিক।
যারা লাফাইতাছেন তারা কি জানেন পৃথিবীর ১৫টা দেশে রাষ্ট্রীয় ভাবে পতিতাবৃত্তি স্বীকৃত যার মধ্যে বাংলাদেশ একটা?

২৮ শে মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৫:২৯

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: আসলে রাস্ট্রধর্ম ব্যাপারটা পুরোটাই একটা রাজনৈতিক ইস্যু। এটার সাথে জন গনের জীবনমানের উন্নতির সম্পর্ক নাই আধুনিক বিশ্বে, তবে পুরো জাতী বিকলাঙ্গ হবার সম্ভাবনা প্রবল।

শুধু পতিতাবৃত্তি নয়, দেশের অনেক সমস্যা আছে যেখানে এসব মোল্লাগোষ্ঠি ইচ্ছে করলেই তাদের ক্ষমতা ব্যাব হার করে সরকারকে চাপে ফেলে এই দাবী আদায় করতে পারে। কিন্তু তাদের কাছে এসব সমস্যা কোনো সমস্যাই না। তার ওপর সরকারের নেতাদের সাথে তাদের যে দ হরম মহরম তাতে মনে হয় না এই গোষ্ঠি দেশের ভালোর জন্য কিছু করে।

তাই এসব বলে দুঃখ বাড়িয়ে লাভ নাই তবে সুখের কথা এটাই কোনো বড় ধরনের সাম্প্রদায়িক স হিংসতা থেকে সংখ্যালঘুরা বেচে গেছে

২২| ২৮ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ১১:৫৬

বঙ্গভূমির রঙ্গমেলায় বলেছেন:
ধর্ম নিরপেক্ষ রাষ্ট্র হলে কি হবে আমরাতো আর অমুসলমান হয়ে যাচ্ছি না।

অমুসলিম রাষ্ট্রে কি মুসলমান বাস করে না? তারা কি অমুসলিম হয়ে গেছে। দেশের ৯৮% লোক মুসলমান সো ধর্ম নিরপেক্ষ রাষ্ট্র হলে আমি কোন সমস্যা দেখি না।

কিন্তু আমাদের বেশিরভাগ রেমিটেন্স আসে মধ্যপ্রাচ্য থেকে যদি ধর্ম নিরপেক্ষতার কারনে মধ্যপ্রাচ্যের রেমিটেন্স এর উপর কোন এফেক্ট করে ?

অনেক ধন্যবাদ প্রিয় ব্লগার উদাসী সুন্দরভাবে গোছানো একটি পোস্ট দেয়ার জন্য।

২৮ শে মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৫:৩৫

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: রেমিট্যান্সের ব্যাপারে বলা যায় সৌদী অর্থনীতি পতনের দিকে। তাই বলা যায় না আগামী তিন বছর মধ্যপ্রাচ্য বাংলাদেশের অদক্ষ শ্রমিক পাঠানোর জন্য বড় বাজার হয়ে থাকতে পারবে। যার সবচেয়ে বড় উদাহরন মালয়েশিয়া যাদের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি আগামী ১০ বছরে উঠার কোনো সম্ভাবনা নাই এবং এর ফলশ্রুতিতে ১৫ লাখ শ্রমিক আমদানীর ভূয়া চুক্তি স্বাক্ষর করে তার পরের দিনই তা স্থগিত করা হয় আর এখন শ্রমিক নেয়াও বন্ধ যেখানে পশ্চিমা বিশ্বের অধিকাংশ অর্থনৈতিক মন্দায় ডুবা দেশও এখন উঠতে শুরু করেছে (পর্তুগাল, স্পেন, ইতালী ইত্যাদি)

ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য

২৩| ২৮ শে মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৫:৪১

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: বঙ্গবন্ধুর ৭২ এ সংবিধান প্রণয়ন করে " ধর্ম নিরপেক্ষতা" অথবা স্বৈরাচারী এইচএম এরশাদে রাষ্ট্রপতি পদ দখল করে অষ্টম সংশোধনী আনয়নে "প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রধর্ম হবে ইসলাম" --- এতে কি তফাত আসছে আমি জানি না। [ আগেই বলি আমার ধর্ম, রাষ্ট্র, গণতন্ত্র ( !!! ) ইত্যাদি নিয়া ধারণা কম। ]

গতকাল ফেসবুকের অনেকের স্ট্যাটাসে দেখলাম " রাষ্ট্রধর্ম " নিয়ে অনেকে লিখতেছে। তাই আজ ব্লগে আগে কিছু লেখা পড়ে দেখলাম। মাথায় কিছুই না ঢুকার রিজন ঘুইরা ফিরা ত্যানা প্যাচানি কথা।

আমার কাছে বর্তমান সরকারের চালচলন খুবই " অস্পষ্ট"। বুঝ হবার আগে থেকেই দেখতেছি আমার বাবা-চাচা কট্টর লীগ পন্থী। বাবার বন্ধুর ( উনি আবার বি এন পি পন্থী ) সাথে রোজ ঝগড়া এবং মারামারির পর্যায়ে চলে যেতো রাজনৈতিক বিষয়ে। চাচা মাথায় ঢুকাইছিল মুজিব দেশ স্বাধিনের নেতৃত্ব দিছে তাই সবসময় লীগ সাপোর্ট করবি। তাই বড় হইয়া ভোট সেখানেই দিছিলাম। এনিওয়ে এখন তো আর ভোট দিলেই কি আর না দিলেই কি!

হেফাজত কে বা ইসলামি দলকে কেন সরকার গুঁটি হিসেবে ইউজ করতেছে সংক্ষেপে বলতে পারবেন? বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষই " ধর্মভীরু " তাই ইসলামি দলগুলিকে হাতিয়ার বানানের বিষয়টা মাথায় ঢুকতেছে না। আর ইসলামি তরিকায় দেশ শাসনের ব্যাপারটা নিয়েও অনেকে ইঙ্গিত দিচ্ছে আর সেই সাথে ইসলামি তরিকায় নারীর ক্ষমতায়ন বা দেশ শাসন নিয়েও। তারচেয়েও বড় কথা এইটা হঠাৎ করে এত " ইস্যু" হয়ে দাঁড়ালো কেন?

বাংলাদেশের রাষ্ট্র ধর্ম ইসলাম হইলেও কি আর না হইলেও কি? উগ্রবাদী, চাপাতি দিয়া কল্লা ফালানি, দুর্নীতি, বাটপারি, সম্ভ্রমহানী, খুন ইত্যা ইত্যাদি কি আগেও বন্ধ ছিল নাকি এখন বন্ধ হইয়া যাবে ? এই প্রশ্নেরও উত্তর আছে। এই দেখেন ৮ নাম্বার কমেন্টের উত্তর

২৮ শে মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:১৫

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: অনেক প্রো লীগার আশা করেছিলেন হাসিনার শাসনামল হবে আদর্শ এবং সমৃদ্ধির উদাহরন। কিন্তু সে আশায় গুড়ে বালি।

হেফাজত তাদের সর্বোচ্চ শক্তি প্রদর্শন করে মতিঝিলে ৫ লক্ষ লোকের সমাবেশ করে। তখন বুঝতে পারে যে নৈতিকতার তাড়নার যে শাহবাগ আন্দোলন যাকে এতো নিরাপত্তা এবং এত নৈতিক সমর্থন দিয়েও কোথাকার কোন হেফাজত এত লোকের সমাবেশ করতে পারে তাহলে তাদের শক্তি কত বিশাল এবং উচ্চশিক্ষিত ও ব্লগ সমাজ তাদের কাছে কত ন গন্য শক্তি। সরকার তখন থেকেই শাহবাগকে একটা গ্লাস ভাংলে যতগুলো টুকরো হয় ততগুলো করে, কলংকিত করে, তার আখের গুছিয়ে ঢাকা শহর ঠান্ডা রাখে। আর বাংলাদেশে একটা কথা প্রচলিত আছে,"ঢাকা ঠান্ডা তো সব ঠান্ডা!"

সরকার তখন থেকেই হেফাজতকে নিজের আপন সন্তান বানিয়ে ফেলে এবং যখন রেলওয়ের ৩৩ কোটি টাকার খাস জমি শফি কুকুরের হাট হাজারীর মাদ্রাসাকে দান করে তখন ব্যাপারটা একটা ওপেন সিক্রেট হয়ে দাড়ায়। আ.লীগ সরকারের কোনো জনপ্রিয়তা নেই এমনকি যেই গ্রুপটা শাহবাগ আন্দোলন করেছিলো তারাও লীগকে সমর্থন করে না। সরকার পুরোপুরি সেনাবাহিনী, পুলিশ এবং সরকারী আমলা নির্ভর। তাই ধর্ষন, খুন করেও সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে কোনো লেখা লেখি করার সাহস পায় না। প্রথম আলো ডেইলি স্টার লিখতো, তাদের সকল বিজ্ঞাপন বন্ধ করে দিয়ে পুরো প্রতিষ্ঠান পথে বসার যোগাড় তাই দেখেন ডিজিএফআই এর এক থ্রেটে তাদের পত্রিকা আর সাংবাদিকতার কি বেহাল অবস্থা। যখন বলা হলো মাহফুজ আনামকে যে সব স্বীকার করে নিলে তার ব্যাবসা আগের মতো ঠিক হয়ে যাবে তখন স্বীকার করে আরো বেহাল অবস্থায় পড়লেন। দেখা গেলো যে পক্ষ এই কথা বলেছিলো তারা মিথ্যা কথাই বলেছিলো আর মিথ্যা কথা এবং আশ্বাসের এই অভ্যাস বঙ্গবন্ধুর শাসনামল থেকেই চালু হয়েছিলো, দুঃখ জনক হলেও সত্য।

এখন কথা হলো হেফাজতের কি লাভ?

পোস্টে এক জায়গায় লিখেছি যে যদি ধর্ম নিরপেক্ষ দেশ হয় তাহলে আইন গত কিছু সমস্যার সৃষ্টি হবে:

*২০১১, ২০১২ ও ২০১৩ সালে সরকার জাতীয় সংসদে অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যাপন আইন ৬ষ্ঠ বার সংশোধনীর মাধ্যমে অর্পিত সম্পত্তি আইনের ‘খ’ তফসিল বাতিল করার কারণে দেশের লাখ লাখ মুসলমান তাদের বৈধ ভূমি থেকে বঞ্চিত হবে। অর্পিত সম্পত্তি ‘খ’ তালিকায় বিনিময় সম্পত্তিও ভূমি অর্ন্তভূক্ত। কিন্তু উক্ত অর্পিত সম্পত্তি আইনে বিনিময় সম্পত্তি নিয়মিত করণ ও ভারতীয় বিনিময় দলিলের নকল কপি ঘোষনার কোন বৈধ আইন না থাকায় বিনিময়কারী মুসলমানরা এখন লাখ লাখ একর জমি থেকে বঞ্চিত হবেন। দেশের সংখ্যালঘুরা এককভাবে এসব জায়গার মালিক হতে যাচ্ছে। কারণ বাংলাদেশের প্রতিটি জেলায় হাজার হাজার বিনিময় সম্পত্তির মামলা অনিস্পত্তি অবস্থায় রহিয়াছে। তাই অর্পিত সম্পত্তি আইনের ‘খ’ তফসিল পুণর্বহাল করা জরুরী।

*অর্পিত সম্পত্তির ‘ক’ তফসিলও সংখ্যালঘুরা এককভাবে পেতে পারে না। এটাও বিবেচেনায় নিতে হবে। কারণ যুদ্ধকালীন সময়ে দেশের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়া নাগরিকরা সম্পত্তির দাবিদার হতে পারেনা। যারা দেশপ্রেম বাদ দিয়ে শত্রু দেশে আশ্রয় নেয় এবং স্বদেশের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয় তারা কিভাবে ভুমি ফেরত পেতে পারে? পাক-ভারত যুদ্ধের সময় যারা দেশ ত্যাগ ভারতের পক্ষাবলম্বন করেছিল তাদের সম্পত্তিকে ‘শত্রু সম্পত্তি’ গন্য করা হয়। তাই ‘শত্রু সম্পত্তি’ হিসেবে গণ্য সম্পত্তি, অর্পিত সম্পত্তির মোড়কে বৈধ হতে পারেনা। তা যাচাই-বাছাই করতে হবে। এটা এখন সরকারী সম্পত্তি।


মূল ফান্ডাটা এখানেই। একটু ক্লিয়ার করি। বাংলাদেশে ব হু পুরোনো একটা অনুশীলন চালু আছে আপনি ইচ্ছা করলে সরকারী বা খাস জমি বা অন্যকোনো সম্পত্তি জবর দখল করতে পারেন যদি আপনি তাতে তাড়াতাড়ি মসজিদ আর মাদ্রাসা বা পীরের মাজার চালু করে দেন। এরশাদের পতনের পর পীরের মাজার খুব একটা লাভ জনক না হলেও (তবু চট্রগ্রামে গেলে নিউমার্কেট যাবার সময় বাসস্ট্যান্ডের সামনে দেখবেন রাস্তার মাঝখানে আইল্যান্ডের ওপর একটা মাজার) মসজিদ মাদ্রাসা নির্মান করে খোদ ঢাকা শহরের খাস জমি দখল করা শুরু করে। আর যখনই মসজিদ দাড়িয়ে যাবে তখন প্রশাসন পুলিশ বাদ সরকারও ১০ বার চিন্তা করবে কারন তারা মসজিদ ভাংতেছে। ঠিক তেমনি ভাবে বেশীর ভাগ সংখ্যালঘু যারা দেশ ছেড়েছেন তাদের জমি সম্পত্তি এমনকি ঢাকার শহরের অনেক বড় বড় টাওয়ার (উদাহরন হিসেবে কল্যানপুরের মদিনা টাওয়ার যেটা একটা রাস্তার ভিক্ষুক কল্যানপুরের খাল ভরাট করে দখল করে মসজিদ বানিয়ে এখন টাওয়ার বানিয়ে ফেলছে এবং ফ্ল্যাট বিক্রি করে কোটিপতি) পর্যন্ত এই সমস্যায় পড়তে পারে। এটা সবচেয়ে বড় কারন।

এছাড়া আরও কারন হলো যেসব মুসলিম দেশ ধর্ম নিরপেক্ষতা গ্রহন সে দেশে ইসলাম পালনে সমস্যা না থাকলেও মুক্তচিন্তার অবাধ অনুশীলনে ইসলাম অজনপ্রিয় হয়ে পড়ে এবং দেশের অধিকাংশ মানুষ সেক্যুলারিজমে ঢুকে যায় (তুরষ্ক ইত্যাদি)। তখন ইসলাম এবং ধর্ম নিয়ে এতো বড় বিশাল ব্যাবসা (ইসলামী ব্যাংক এই সরকারের সময়ও পরপর দু বছর সর্বোচ্চ মুনাফাকারী ব্যাংক হিসেবে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে পুরস্কার পায়) পথে মারা যাবে। তার ওপর জঙ্গিবাদের প্রভাব এবং বর্তমানে তাদের নজর পড়েছে পার্বত্য চট্টগ্রামের ওপর কারন এখানে তারা বেশ ভালোভাবেই তাদের যেকোনো পরিকল্পনা সফল করতে পারে।

এইসব নানা কারনে এরকম অল্প পুজির আন্দোলন খারাপ না এবং কাজও হয়েছে। আর এদের ব্লগ গুলো পড়লেই বুঝবেন ব্লগের এত গুলো আইডি সবার এক পোস্ট এবং সবার প্রায় একরকম ত্যানা প্যাচানো উত্তর বা এড়িয়ে যাওয়া তখন বুঝতে হবে এইগুলা তাদের এই পরিকল্পনার অংশ। সরকারও তাদের সাথে স হ বাসে রাজি!

ভালো থাকুন!

২৪| ২৯ শে মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৫:৫৬

জুবায়ের ২০১৬ বলেছেন: দারুন লিখেছেন।

২৯ শে মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৩২

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: ধন্যবাদ

২৫| ৩০ শে মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৩:০২

শায়মা বলেছেন: রাষ্ট্রধর্ম যাই হোক, জাঁত পাত ধর্ম নির্বিশেষে সবাই মিলে শান্তিতে থাকতে চাই।

৩১ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১২:২৬

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: যখন সরকারী লোকজনই সংখ্যালঘু নির্যাতনে মেতে ওঠে তখন মনে হয় শান্তি জিনিসটা এখন সুদুর পরাহত!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.