নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ঈশ্বর পটল তুলছে - নীৎসে/নীশে/নিৎচা

উদাসী স্বপ্ন

রক্তের নেশা খুব খারাপ জিনিস, রক্তের পাপ ছাড়ে না কাউকে, এমনকি অনাগত শিশুর রক্তের হিসাবও দিতে হয় এক সময়। গালাগাল,থ্রেট বা রিদ্দা করতে চাইলে এখানে যোগাযোগ করতে পারেন: [email protected]

উদাসী স্বপ্ন › বিস্তারিত পোস্টঃ

দর্শন: এ পিস অব শিট

০৬ ই মার্চ, ২০১৯ ভোর ৬:০৫

১)

হিটলার অজ্ঞেয়বাদী না নাস্তিক এটা নিয়ে বিতর্ক থাকলেও ইসলামের প্রতি অনুরক্ততা বেশ চোখের পড়ার মতো ছিলো। ব্যাক্তি পর্যায়ে আরব মুসলিমদের বর্বর এবং নীচু জাতের মনে করলেও তিনি মোহাম্মদের একনিষ্ঠ ভক্ত ছিলেন এবং প্রায়ই বলতেন তুরের যুদ্ধে মুসলিমরা জিতলে জার্মানরা একটা ভালো ধর্ম পেতো যার ফলে সাত আসমান থেকে আসা রহমতের কৃপায় হয়তো একদিন পুরো বিশ্ব তাদেরই কুক্ষিগত হতো। সে হিসেবে ক্রিষ্চিয়ানিটি কুসংস্কারাচ্ছন্ন অর্থহীন ধর্মই বলা যায়। ইসলামের প্রতি তার এমন অনুরাগের কারনে তৎকালীন প্যালিস্টিনিয়ান নেতা আমির হুসেইনী সাহেব ছুটে এসেছিলেন জেরুজালেম তথা প্যালেস্টাইনকে ব্রিটিশ শাসন থেকে অবমুক্ত করতে এবং ইহুদীদেরকে হত্যা করে তাদের সম্পত্তির ওপর আরব মুসলমানদের মালিকানা প্রতিষ্ঠা করতে। তখনও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হয়নি এবং হিটলার প্রস্তুত ছিলেন না ব্রিটেনের সাথে সরাসরি বৈরী সম্পর্ক গড়ে তুলতে, যদিও মিশরের মুসলিম ব্রাদারহুড সমর্থিত আমিন আল হুসেইনি বিশ্বযুদ্ধ শুরু হবার প্রাক্কালে ঠিকই জার্মানীতা গিয়ে এসাইলাম বোগল দাবা করে হিটলারের এসএস পার্টির সদস্যপদ বাগিয়েছিলেন।

হিটলার সারা বিশ্বে ঘৃনিত নাম হলেও ততকালীন ভারত উপমহাদেশের অনেক প্রভাবশালী নেতা তার সমর্থনে ছিলেন। সেক্ষেত্রে সুভাষ চন্দ্র বোসের নাম উল্লেখ করা যায়। আমার দাদু জীবিত থাকতে বলতেন সুভাষ চন্দ্র বোস এখনোও বেচে আছেন, তিনি তার লাল বাহিনী নিয়ে ফিরে আসবেন এবং আবারও সবকিছু ঠিক করে দেবেন। দাদাজান ৯০ দশকের শেষের দিকে মারা যান। যদি সুভাষ চন্দ্র বোস ফরবুশার প্লেন ক্রাশে বেচেও যেতেন তাহলেও তার বয়স হতো তখন ১০০ এর কাছাকাছি। জানি না সুভাষ চন্দ্র বোসকে বুকে নিয়ে এখনো সেই প্রজন্মের কেউ বেচে আছে কিনা, তবে এটা ঠিক দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় হিটলার ছিলেনভারত উপমহাদেশে একজন রকস্টার। ব্রিটিশদের ভয়াবহতম ক্রুঢ়তর দুঃশাসন হিটলারকে হিরো বানাতে সাহায্য করেছিলো। হিটলারের সাথে সুভাষের খবর পত্রিকায় বেরোবার সাথে সাথে দিল্লি, পান্জ্ঞাব, কলকাতায় তার একটা কপির জন্য মারামারি পর্যন্ত হয়েছিলো। এমনকি তার পরের মাসেও সেই বিশেষ সংখ্যা পুনঃমুদ্রন করে উচ্চমূল্যে কলকাতার মোড়ে মোড়ে বিক্রি হয়েছিলো। যখন সাবমেরিনে চড়লেন তখন সবাই দিন গোনা শুরু করলো এই বুঝি ভারতবর্ষ স্বাধীনতার মুখ দেখবে, লালবাহিনী আসছে। সে সময়ের উত্তেজনা, দেশপ্রেমের যে আবেগ সেটা লিখে বোঝানো মুস্কিল।

২)

"আকাশ নীল"- এটা কি সত্য না মিথ্যা? আপনি যদি মাদাগাস্কারের ঘন জঙ্গলে গিয়ে একজন আদিবাসীকে জিজ্ঞেস করেন অথবা আমেরিকার নিউইয়র্কের মেট্রোপলিটনে বেড়ে ওঠা কোনো মেট্রো-বয়কে জিজ্ঞেস করলেও একই উত্তর পাবেন। আকাশ নীলই হয়। মেঘের রং যাই থাকুক, আকাশ নীল।

কিন্তু একজন এস্ট্রোনমার তা বলবে না বা যিনি জ্যোতির্বিজ্ঞান বা পিওর ফিজিক্সে পড়ছেন তার কাছে আকাশ কখনোই নীল নয়, বরংচ আকাশ বলতে কিছুই নাই, শুধুই শূন্যতা। পৃথিবীর সকল সত্যই আপেক্ষিক এবং সেটা ব্যাক্তি পর্যায়ে হতে পারে বা গোষ্ঠি পর্যায়ে। এবং এই আপেক্ষিকতার সাথে খুব নিবিড়ভাবে সম্পর্কিত আপনার অভিজ্ঞতালব্ধ জ্ঞান বা মনোজাগতিক দর্শন। আসুন আরেকটু ব্যাখ্যা করি:

ক) গানিতিক বিষয়ে সংখ্যাগত বিষয় নিয়ে তর্ক করার সুযোগ নেই।আপনি যখন গননা করে ফলাফল বের করতে পারেন তখন সেটা নিয়ে তর্কের সুযোগ থাকে না কারন গননাগত ব্যাপারটা সবার সামনে দৃশ্যমান। গনিতের মূল ভিত্তিই তো গননা, তাই না?

খ) বিজ্ঞান আপনার পর্যবেক্ষনলব্ধ জ্ঞানের ওপর নির্ভরশীল। পর্যবেক্ষন হতে প্রাপ্ত তথ্য সংগ্রহ করে তার ওপর একটা সিদ্ধান্ত উপনীত হওয়ার প্রক্রিয়া স্বতঃসিদ্ধ তত্ব দাড় করাতে সাহায্য করে। সেক্ষেত্রে পর্যবক্ষনলব্ধ জ্ঞানের বিপরীতে আপনার তর্ক করার সুযোগ নেই। এর বাইরে যে কিছু হতে পারে তার সম্ভাবনা ক্ষীন ও হাস্যকর।

গ) ধর্মে ঈশ্বরের অস্তিত্ব সম্পুর্নই বিশ্বাসের ওপর। এর বিশ্বাসের ওপর ভিত্তি করে যাবতীয় জাগতিক নিয়ম কানুন প্রতিষ্ঠিত এবং ঈশ্বর নিয়ে তর্ক করার সুযোগ কখনোই হবে কারন এটা একটা স্বতঃসিদ্ধ বিশ্বাসের ভীত। ঈশ্বরের অস্তিত্বকে অস্বীকার করার মানে হলো আপনি নিজের অস্তিত্বকে অবিশ্বাস করছেন যেটা হাস্যকর। কারন আপনি আমার সামনে দাড়িয়ে। তাই ধর্মগত দিক থেকে ঈশ্বরের অস্তিত্ব নিয়ে তর্ক করা অসম্ভব।

ঘ) অর্থনীতিতে পন্যের বাজারমূল্যকে পরম হিসেবে ধরা হয় যেখানে টাকাই হলো সব।

ঙ) রন্ধনশিল্পে স্বাদ জিনিসটাই সব। আমি যতকিছু ভালো জিনিস দিয়েই রাধেন না কেন স্বাদ না হলে এটা রাবিশ এবং ডাস্টবিনে ফেলে দেয়ার যোগ্য।

সত্যের এই রূপটি আমরা সার্বজনীন হিসেবে দেখতে পারি কারন আমরা যখন চেনা জানা পরিবেশে খাপ খাইয়ে নেই তখন সত্যের স্বরূপ খুজতে গিয়ে কিছু মানদন্ড বা স্বতঃসিদ্ধ ভিত্তি দাড় করাই এবং এই ভিত্তি দিয়েই জাগতিক সবকিছু বিচার করি। সত্য এভাবেই কাজ করে। সমস্যা হলো সত্যের স্বরূপ যদি এভাবেই কাজ করে তাহলে হোচট খায় কেন? বিশ্বাস হচ্ছে না? তাহলে আসুন দেখে নেই সত্যের অপর রূপটি কি।

এন্টি-সত্য) গননাকৃত ফলাফলকে গানিতিকভাবে প্রশ্নবিদ্ধ করা সম্ভব নয় কিন্তু আপনি তত্ব দিয়ে সেটার আলাদা ব্যাখ্যা দাড় করাতে পারেন। সেক্ষেত্রে গননা করার মতো সক্ষমতা আপনাকে ভুলে যেতে হবে।

এন্টি-সত্য) ধর্মে ঈশ্বরের অস্তিত্ব নিয়ে তর্ক করার সুযোগ নেই কিন্তু এটাকে খুব স হজেই বিজ্ঞেন দিয়ে ভুল প্রমান করা যায়। সেক্ষেত্রে আপনাকে বিশ্বাস আগে হারাতে হবে।

এন্টি-সত্য) আরো বাস্তবিক ভাবে ব্যাখ্যা করতে যাই সংখ্যা ও বর্নগত ব্যাপারটা কম্পিউটার প্রোগ্রামিং আরো বড় দ্বন্ধের সৃষ্টি করে। যদি আপনি ১ সংখ্যাটিকে char অথবা int দিয়ে সঠিক ভাবে কম্পাইল করতে না পারেন লো লেভেল ল্যাঙ্গুয়েজে তাহলে আপনার মেশিন সেটাকে বার বার error bug বা কম্পাইল ইরর হিসেবে দেখবে।

এন্টি-সত্য) দর্শন শাস্ত্রে আপনি যেকোনো কিছু নিয়েই তর্ক করতে পারেন। এজন্যই আপনার কাছে মনে হবে দর্শন নিয়ে লেখাপড়া করাই অর্থহীন। কিন্তু একটা কথা না বললেই নয় যে এই আদি শাস্ত্রটি থেকে যা কিছু জানার ছিলো তা ইতিমধ্যে জ্ঞানের অন্যান্য শাখায় তার কার্যকারিতাকে কাজে লাগিয়ে বহু দূর চলে গেছে।

তার মানে দেখা যাচ্ছে পরম সত্য আসলেই বিতর্ক সাপেক্ষ এবং বাস্তবে এর কোনো অস্তিত্ব নেই। অস্তিত্ব যেটা আছে সেটা হলো আপেক্ষিক সত্যের গ্রহনযোগ্যতা। আপনি যে সত্যকে গ্রহন করলেন তা কতটুকু কাজে দেবে অথবা তার ব্যাপ্তি কতটুকু। ডেখা গেলো অপর একজনের কাছে সত্যের রূপটি আরো উৎকর্ষময় কারন তার আছে সত্যকে প্রতিষ্ঠার করার ক্ষমতা, নীরিক্ষা করার উপায়, সে সত্য দিয়ে প্রভাবিত করার ক্ষমতা, অনুযোজন-বিয়োজন এবং ফলাফলের পুনরাবৃত্তি।

৩)

অনেকেই জিজ্ঞেস করেন বিগ ব্যাং এর আগে কি ছিলো। পদার্থবিজ্ঞান এখনো প্রমানিত উত্তর দিতে পারেনি তবে কিছু গানিতিকভাবে কিছু সম্ভাবনার কথা বলে মহাজাগতিক পর্যবেক্ষন ও পার্টিক্যাল ফিজিক্স অনুযায়ী। দর্শন আবার এ বিষয়ে অনেকটা পাঠকনির্ভর গভীরতম ধারনা দেয়।

গত শতাব্দীর ৩০-৪০ এর দশকে কার্ট গোডল নামের বিখ্যাত ম্যাথমেটিশিয়ান ও ফিলোসোফার অধিবিদ্যার যুক্তি দিয়ে প্রমান করে ছাড়লেন যে ঈশ্বর আছে এবং এটা সত্য।

তার ইনকমপ্লিটনেস থিওরেম অনুযায়ী "কোনো কিছুর চারপাশে বৃত্ত আঁকা হলে নিজেকে ব্যাখ্যা করার সামর্থ্য রাখে না যতক্ষন না ঐ বৃত্তের পরিধির বাইরে থাকা কোনো কিছু দিয়ে তাকে ব্যাখ্যা করা না যায়- বৃত্তের বাইরের এই একটা কিছু যা তোমাকে ধরে নিতে হবে আছে কিন্তু প্রমান করতে পারবে না"

ওপরের কথাটা হেয়ালী মনে হলেও কনসেপ্ট টা খুব সহজ। বাজার থেকে একটা বাইসাইকেল কিনে আনলেন এবং তার পাশে একটা বৃত্ত আঁকলেন। এখন এই বৃত্তের অভ্যন্তরে থাকা কোনো কিছু দিয়ে বাইসাইকেল নিজেকে ব্যাখ্যা করতে পারবে না। কারন এটিকে যেই ফ্যাক্টরী বা কোম্পানী বানিয়েছে সেটা বৃত্তের বাইরে এবং এটি আপনি কোনোদিন দেখে নাও থাকতে পারেন। এটা ছাড়া বাইসাইকেলটি নিজেকে প্রকাশ বা নিজের সামর্থ্য আপনার সামনে তুলে ধরতে পারবে না। তার মানে বাইসাইকেলটির পরিচিতি তার বৃত্তের বাইরে আছে যেটা আপনি চাক্ষুষ দেখছেন না।

আপনি যদি বিজ্ঞানের ছাত্র হয়ে থাকেন তাহলে ইউক্লিডিয়ান উপপাদ্য শুরু করবার আগে আপনাকে কিছু স্বতঃসিদ্ধ মেনে নিয়েই শুরু করতে হয়েছিলো যেগুলোর কোনো প্রমান ছিলো না কিন্তু সেগুলো স্বতঃসিদ্ধ ধরে নিয়েই আপনাকে এগুতে হয়েছে। অপ্রমানিত, যদিও শব্দটা অদ্ভুত শোনায়, স্বতঃসিদ্ধ এই ইউক্লিডিয়ান জিওম্যাট্রির জন্য একটা অসম্পূর্নতা এবং ঠিক সেভাবেই যদি এই পুরো মহাবিশ্বকে ইউক্লিডিয়ান জিওম্যাট্রি বা বাইসাইকেল দিয়ে চিন্তা করেন তাহলে এই দার্শনিক যুক্তিগত অসম্পূর্নতা বেশ প্রকোটভাবেই ধরা দেয়।


গোডল তার এই তত্ব প্রমান করবার জন্য তিন শব্দের একটা বাক্য তুলে ধরেছেন যেটিকে আমরা একটা ধাধা হিসেবে ধরতে পারি:

আমি মিথ্যা বলছি।


এই বাক্যটি একটা ধাধা এবং সেল্ফ কন্ট্রাডিক্টরী। কারন আপনার বক্তব্য সত্য হলে আপনি মিথ্যাবাদী নন কিন্তু আপনি মিথ্যা কথা বলছেন। আবার আপনার বক্তব্য মিথ্যা হলে এটা নিজের সত্যবাদীর রূপটা ধরিয়ে দিচ্ছে।

গোডল সাহেব আইনস্টাইনের খুব ভালো বন্ধু ছিলেন এবং আইনস্টাইনের আপেক্ষিকতা তত্ব যেখানে টাইম ট্রাভেল তত্বকে প্রত্যাখ্যান করে দেয় সেখানে এই গোডল সাহেব তার আপেক্ষিক তত্ব দিয়ে ক্লোজ টাইম কার্ভেচার বা সিটিসি দিয়ে অতীতে যাবার উপায় বাতলে দেন। অনেকে বলতে কালুজা ক্লেইন তত্ব দিয়েও এটা করা সম্ভব কিন্তু সেটা মাত্রাগত একটা সম্ভাবনা। গোডল সাহেবের সিটিসি এর জন্য মাত্রার কোনো দরকার হয় না। তখন আইনস্টাইন থিওরি অব এভ্রিথিং নিয়ে বেশ মাথা ঘামাচ্ছিলেন এবং তার একমাত্র হাতিয়ার ছিলো কালুজা ক্লেইন থিওরী। সেসময়েই গোডেল ঈশ্বর সম্পর্কিত অধিবিদ্যাগত যুক্তি পেশ করলেন যেটাকে বলা হয় আর্টিফিসিয়াল ইন্টালিজেন্সের প্রথম ধাপ। যদিও অনেক ট্যুরিং মেশিনের নাম বলবেন, মূলত চার্চ ট্যুরিং লজিক ছিলো গোডেলের ইনকমপ্লিট থিওরীরই একটা সিস্টেম্যাটিক প্রায়োগিক রূপ।

গোডেলের যুক্তি অনুসারে:

* কোনো কিছু ঘিরে একটা বৃত্ত আকলে এর বাইরে কিছু থাকবেই যা আমাদের ধরে নিতে হবে আছে কিন্তু প্রমান করা যাবে না।
* আমাদের মহাবিশ্বকে সসীম ধরে নিলে এর মধ্যে থাকা ম্যাটার, এনার্জী, স্পেস এমনকি ১৩.৮ বিলিয়ন বছর, এই সময়টিও সসীম।
* এই মহাবিশ্বের সবকিছু নিজেকে পরিপূর্ন ভাবে ব্যাখ্যা করতে পারছে না এবং এর পরিসীমার বািরে যাই থাকুক না কেন সেটা অসীম। তাই সংজ্ঞানুসারে তার চারপাশে বৃত্ত আকা সম্ভব না।
* যদি গোডলের তত্বানুসারে সবকিছু ঘিরে বৃত্ত আকি, তাহলে এর বাইরে থাকা সেই অসীম একটা কিছু নিশ্চয়ই কোনো ম্যাটার বা এনার্জী বা স্পেস টাইম দিয়ে তৈরী কিছু নয় কারন সকল ম্যাটার এনার্জী এবং সময় বৃত্তের মধ্যে। তার মানে সেই অসীম কিছু বস্তুহীন।
* বৃত্তের বাইরে থাকা সেই কিছু একটা নিশ্চয়ই কোনো সিস্টেম না অর্থাৎ সে কোনো যন্ত্রপাতির অংশ বা কোনো কিছু দিয়ে সৃষ্টি নয়। যদি তাই হতো তাহলে আমরা তার চারপাশ দিয়ে একটা বৃত্ত আঁকতে সমর্থ হতাম। এবং মহাবৃত্তের বাইরে থাকা সেই কিছু একটা অদৃশ্যই হবে।
* ঐ অদৃশ্য এবং অসীম জিনিস কোনো কারন ছাড়াই একটি কার্যকারন এবং যদি তাই না হতো তাহলে আমরা এর প্রভাবকে বৃত্তের অভ্যন্তরে ঢুকাতে পারতাম।
* আমরা যদি আবিষ্ট যুক্তি প্রয়োগ করি:
মহাবিশ্বের ইতিহাস ঘেটে জানা যায় ১৩.৮ বিলিয়ন বছর আগে জগতিক তথ্যের শুরু হয়েছে। এটা অনেকটা জেনেটিক কোডের মতোই যা মূলত প্রতীকি এবং অবস্তুগত। কিন্তু এই তথ্য আসলো কোথা থেকে? নিশ্চয়ই তথ্যের আবিস্টকরন বাইরে থেকে করা হইছে কারন ম্যাটার এনার্জী বা সময়ের নিজস্ব ধর্ম বা আচারে এই তথ্য ব্যাপারটি সংযুক্ত নয়।
তার মানে এই যে জেনেটিক কোডের উতপত্তী কোনো বুদ্ধি সম্পন্ন সত্বার মাধ্যমেই ডিজাইন করা।
* তার মানে এই বৃত্তের বাইরে যাই আছে সেই সত্বার বুদ্ধিমত্তা আছে।

এভাবেই ঐশ্বরিক সত্বার সংজ্ঞা অধিবিদ্যার যুক্তিতে প্রমান করেছিলেন কুর্ট গোডেল।

(আবিস্টকরন তথ্যের উদাহরন হিসেবে বলা যায় আপনাদের এলাকায় যে একমাত্র নাপিত আছেন তিনি সবার চুল কাটেন। কিন্তু তার চুল কে কাটে?)

**যদিও গোডলের এই ঈশ্বর সম্পর্কিত তত্বের একটা সূক্ষ্ম সমস্যা আছে। সেই সমস্যাটা কি? এটা পাঠকদের ওপর ছেড়ে দিলাম।


উত্তর এই পোস্টে

তার চেয়ে বড় কথা দর্শনে আপনি সবকিছু নিয়েই তর্ক করতে পারেন। পরম সত্য বলে যেমন কিছু নেই তেমনি দর্শনে পরমভাবে প্রমানিত বলে কিছু নেই।

ফুড ফর থট!!!!

হ্যাপী ব্লগিং।

রেফারেন্স:

১) Incompleteness: The Proof and Paradox of Kurt Gödel (Great Discoveries) – by Rebecca Goldstein
২) Hitler's Religion: The Twisted Beliefs that Drove the Third Reich – by Richard Weikart

মন্তব্য ৬৭ টি রেটিং +৬/-০

মন্তব্য (৬৭) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই মার্চ, ২০১৯ সকাল ৭:৩৪

রাজীব নুর বলেছেন: হিটলারকে সুভাষ সার্পোট করেন নি।
ভারতের জন্য সহযোগিতা চাইতে গিয়েছিলেন। হিটলার সহযোগিতা করেন নি।

০৬ ই মার্চ, ২০১৯ দুপুর ১২:৩২

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: ৩০ এর দিকে গৃহবন্দি থেকে পালিয়ে আফগানিস্তান হয়ে সুভাষ জার্মানীতে পৌছান তখন হিটলারের চিন্তা ভাবনা অন্যরকম ছিলো। হিটলার মনে করতেন ভারতীয়রা ইহুদী ও আফ্রিকানদের সমপর্যায়ের এবং তারা ব্রিটিশ শাসনের মধ্যেই ভালো করবে। তখন সুভাষ চন্দ্র অনেকক্ষন তার অফিসের সামনে বসে থাকতেন। অফিসের অন্যান্য কর্মীরা তার সাথে সৌহার্দ্যপূর্ন আচরন করলেও হিটলারের দেখা পেতেন না। একসময় তিনিও অভিমান করে হিটলারদর্শন এড়িয়ে চললেন। ৪০ এর দশকে যখন পরিস্থিতি পাল্টে গেলো তখন হিটলার মনে করলেন যুদ্ধাবস্থায় ভারত জার্মানের সাথে থাকলে মিত্ররক্ষের বিরুদ্ধে কিছুটা তার অবস্খান দৃঢ় হবে। যদিও হিটলার এ সুভাষের মতাদর্শে আকাশ পাতাল পার্থক্য ছিলো সুভাষের সেক্ষেত্রে নীতি ছিলো শত্রুর শত্রু আমার বন্ধু। তারপর হিটলার সহযোগিতার হাত বাড়ালেন।

কিন্তু তার কয়েকবছর পর জার্মান ট্যাংক রাশিয়ার বর্ডারে মুখ থুবড়ে পড়ে তিনি হতাশ হন। তখন তার নজর যায় জাপানের দিকে। লাল আর্মি আসছে এটা তখন থেকেই প্রচলিত হয় ভারতবর্ষে।

এখন আদতে মুসোলিনি গোবেলস হিটলারের পরীক্ষিত মিত্র ছিলো সুভাষ সেরকমটা চাননি। মতাদর্শ দিক থেকে কৌশলে হতে গিয়ে আদতে সেটাও ধরে রাখতে পারেননি কারন ব্রিটিশদের হাত থেকে ভারতবর্ষ স্বাধীনের জন্য একটা সহিংস বিদ্রোহের জন্য তিনি মারিয়া ছিলেন এবং হিটলার ও তার প্রশাসন তাদের কিছু ট্যাকটিকাল স্বাধীনতা দিয়েছিলেন বাকি এবং সেটা ৪৯ এর পর

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ

২| ০৬ ই মার্চ, ২০১৯ সকাল ৭:৫০

রাজীব নুর বলেছেন: পোষ্ট টি পড়ে ভালো লাগলো।
বেশ কিছু তথ্য পেলাম।

০৬ ই মার্চ, ২০১৯ দুপুর ১২:৩৩

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: আপনার মন্তব্যে আলোচনার সুযোগের জন্য ধন্যবাদ

৩| ০৬ ই মার্চ, ২০১৯ সকাল ৭:৫৮

স্বপ্নীল ফিরোজ বলেছেন:
পৃথিবীতে পরাজিতদের কোন স্থান নেই। হিটলার হেরে গিয়েছিলেন বলে আজ তিনি অবহেলিত। তিনি যদি জয়লাভ করতেন তাহলে আজ আমরাই তাকে বীর বলতাম।

১৯৭১ সালে বঙ্ঘবন্ধু হেরে গেলে গোলাম আজম জাতীয় বীর হয়ে যেত।

পৃথিবী বড্ড নিষ্ঠুর। সে পরাজিতদের পক্ষে থাকে না কখনোই।

০৬ ই মার্চ, ২০১৯ দুপুর ১২:৩৫

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: আপনার মন্তব্যে একটা অপ্রীতিকর তেতো সত্য তুলে ধরেছেন। এবং আমি এই ভেবে শংকিত আসলেই যদি বাংলাদেশ হেরে যেতো তাহলে উপমহাদেশের রাজনীতি তথা বাঙ্গালারের ভাগ্যললাটে কি পরিমান গ্লানি ও বঞ্চনা লেখা থাকতো সেটা ভেবে। তাই যা হয়েছে সেটাতেই সবার মঙ্গল হয়েছে সে আশা করতে পারি বলেই আজ আমরা বিশ্বে মাথা উঁচু করে আছি

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ

৪| ০৬ ই মার্চ, ২০১৯ সকাল ৮:০৩

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:

আমার একটি প্রশ্ন হচ্ছে- পৃথিবীর মোট বস্তু তো ধ্রুব। তাহলে জ্বালানী তেল পুড়ে কই যায়? এতে করে কি পৃথিবীর ওজন কমে যাচ্ছে না?


প্রতি বছর লক্ষ লক্ষ টন জ্বালানী পুড়ানো হচ্ছে। পৃথিবীর ওজন কি তাহলে দিনে দিনে কমে যাচ্ছে?

০৬ ই মার্চ, ২০১৯ দুপুর ১২:৪৯

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: আপনি পাম্প থেকে ১ লিটার পেট্রল কিনে তার সাথে একটু ক্যাটালিটিক এনহ্যান্সার দিয়ে কমবাসশন ইন্জিন মানে গাড়ি বা ট্রাক্টর বা জেনারেটরে ব্যাবহার করেন তাহলে এর ৯০ থেকে ৯৫ শতাংশ কার্বন ডাই অক্সাইড এবং কার্বন মনোক্সাইডে পরিনত হবে। এখন আপনি যদি কার্বন সিকুয়েন্সার দিয়ে তাকে চিনিতে পরিনত করতে পারতেন তাহলে সে চিনির পরিমান তা দিয়ে দুই ক্যান কোক তৈরী করা যাবে। এই কার্বন বেজড গ্যাস ছাড়াও অল্প পরিমান সালফার ডাই অক্সাইড এবং বাকি যে রেসিপিও থাকে সেটা হলো ফরমালডিহাইড/ এ্যালকালাইন জাতীয় পদার্থ।

আদতে এজন্যই আপনি এক লিটার পেট্রল পুড়ালে বাতাসে কি পরিমান বিষ যুক্ত হচ্ছে তার ধারনা পাবেন।

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ

৫| ০৬ ই মার্চ, ২০১৯ সকাল ১০:৪৬

নয়া পাঠক বলেছেন: আমরা যেভাবে বিজ্ঞানের ভিত্তি দাঁড় করাই বা প্রমাণ সাপেক্ষে কোন কিছু বিশ্বাস করি তার মূল ধর্ম পর্যবেক্ষণ এবং তা জ্ঞান-বা যুক্তি দ্বারা বিশ্লেষণ অবশেষে ফলাফল। এখন এই পর্যবেক্ষণও কিন্তু সবার ক্ষেত্রে সমান নয়, তবে আপেক্ষিক বা গড়পরতা একটা রূপ সবার চোখেই ধরা দেয়, আর ব্যাখ্যা তারও একটা সীমাবদ্ধতা রয়েছে। আবার একবার যা আমাদের কাছে ঠিক মনে হয় পরবর্তীতে তা নিয়ে আর ব্যাপকাকারে গবেষণা করলে তা ভুল বলে প্রতীয়মান হয়। তাহলে বিষয়টা কি দাঁড়ালো আমরা একটা নির্দিষ্ট সীমার বাইরে যেতে পারি না বা কল্পনা করতে পারি না।

তবে এমন একটা সময় আসবে যখন সৃষ্টিকর্তার অস্তিত্বের ব্যাপারটা আর বিশ্বাসের উপর থাকবে না প্রমাণের উপরই চলে আসবে। এখনও যা বর্তমান কিন্তু আমরা তা দেখতে পাচ্ছি না বা জ্ঞান দিয়ে অনুধাবন করতেও পারছি না। বিশ্লেষণ তো অনেক পরের কথা।

যাক আপনার ব্যাপক তথ্য ও তত্ত্ব সম্বলিত পোষ্টটি ভালো লাগলো। অনেক কিছুই জানা হলো।

০৮ ই মার্চ, ২০১৯ ভোর ৪:২৩

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: আপনার তথ্যে ভুল হয়েছে। বিজ্ঞানের মূল ভিত্তি দর্শন, ধর্ম নয়। দর্শন যখন তার জানা মেলে ধরছিলো তখন সুমেরিয়ান প্যাগান ধর্ম, জুরুস্থ্রু, গিলগামেশ, ক্যানানাইট, গ্রীক প্যাগান ধর্মের জয়জয়কার ছিলো। তদুপরি দার্শনিকরা ধর্মের নানা নীতিগত বিষয়ে প্রভাব ফেলার কারনে এসব ধর্মও বিবর্তিত হচ্ছিলো খুব দ্রুত এবং তার হাত ধরেই ইহুদী পরে খ্রিস্টান ও ইসলামের আগমন ঘটে।

ঈশ্বরের কনসেপ্ট বিতানের কোনো মেথডোলজিতেই পড়ে না কারন তখনকার দার্শনিকরাই ঈশ্বরের অস্তিত্বকে মোটামুটিভাবে খারিজ করতে পেরেছিলেন। ঈশ্বর নামক কাল্পনিক সত্বার ওপর শেষ পেরেক ঠুকেন পল সাত্রে।

আমার মনে হয় আপনি সহস্রবছর আগের সক্রেটিসের ওপর লেখা রিপাবলিক দিয়ে শুরু করতে পারেন। তাহলে আপনি আপনার ভ্রান্ত বলত থেকে বেরিয়ে আসতে পারবেন যদি আপনি তা চান।

ভালো থাকবেন

৬| ০৬ ই মার্চ, ২০১৯ সকাল ১১:৪৪

গরল বলেছেন: @সাজ্জাদ হোসেন: তেল পুড়ে সম পরিমাণ গ্যাস, ধোয়া(ছাই/কালি) ও কিছু পরিমান বাষ্প তৈরী হয় তা না হলে বায়ুমন্দললে কার্বন ডাই অক্সাইড বাড়ছে কিভাবে।

০৬ ই মার্চ, ২০১৯ দুপুর ১:১০

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ

৭| ০৬ ই মার্চ, ২০১৯ দুপুর ১:০৬

নতুন বলেছেন: জন্যই ধম` যুক্তি বাদ দিয়ে বিশ্বাসে থাকতে বলে.... একবার কোন বিষয়ে বিশ্বাস করলে তখন মনে যৌক্তিক বিষয়গুলি তার বিশ্বাসের পাল্লা ভারির কাজ করে।

০৬ ই মার্চ, ২০১৯ দুপুর ১:১৫

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: বিশ্বাসের জন্য বিশ্বাস করা একটা খেলো ব্যাপার এবং এর সাথে হিটলারের মতো ফ্যাসিস্ট বর্নবাদের মিল রয়েছে। হিটলার জার্মানদের জাত্যাভিমানকে বিশ্বাসই করতেন না, তার পূজো করতেন। বাকি সবাইকে দাস হিসেবে মনে করতেন। বিশ্বাসীদের ক্ষেত্রে এক ধর্মানুসারীরা আরেক ধর্মানুসারীদের ভুল বলে অবজ্ঞা করেন। ইসলাম অনুসারীদের মধ্যে এটা প্রকট। শিয়া সুন্নী আহমদিয়া, হালের সুন্নীদের মধ্যে কে দেওবন্দী কে ওহাবী, এমনকি তাবলীগের মধ্যে কে সাদ পন্থি কে দেওবন্দি এটা তো সার্কাসের জোকারীর পর্যায়ে চলে গেছে। এই সুযোগে প্যারাসিটামল আরিপাছাদ, ব্লগের মন্জুর, শিশুকামী ফরিদ মেরিনার ইসলামের ব্যাখ্যা, তাফসীর নিজেদের মতো করে লেখা শুরু করে খিচুড়ি এচলাম চালু করার চেস্টা করছে যেটা মোটামুটি হাস্যকর

৮| ০৬ ই মার্চ, ২০১৯ দুপুর ১:২১

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: চমৎকার বিশ্লেষণ। কিন্তু গোডলের যুক্তি বুঝতে খুব সমস্যা হচ্ছে।

১। কোনো কিছুর বাইরে বৃত্ত আঁকলে এর বাইরে কিছু থাকবেই, কিন্তু তা প্রমাণ করা যাবে না কেন? আমি বৃত্তের সেন্টারে থেকে যদি নিজেই বৃত্ত তৈরি করি, তাহলে যে ব্যাসার্ধ ধরে বৃত্তি আঁকছি, তার অবশিষ্টাংশই বলে দিচ্ছে বাইরেও কিছু আছে। আমাকে সেন্টারে রেখে অন্য কেউ বৃত্ত আঁকলে তিনি নিজেই ব্যাসার্ধের মাপ, এবং এই রেখার বর্ধিতাংশের মাপ জানেন। অন্য বস্তুর অবস্থিতিও দৃশ্যমান।

২। ২য় এবং ৩য় পয়েন্টটা সাংঘর্ষিক মনে হয়। ২য় পয়েন্টে মহাবিশ্বকে সসীম ধরা হচ্ছে, তাহলে ৩য় পয়েন্টে মহাবিশ্বের 'বাইরে' বলতে কিছু পাওয়া সম্ভব না, যাকে অসীম ধরা হচ্ছে।

৩। তেমনি সবকিছু ঘিরে যদি বৃত্ত এঁকে ফেলি, এর বাইরে তো আর কিছু থাকা সম্ভব না। আর যদি মহাবিশ্বকে অসীম মনে করি, তাহলে 'অসীম' কোনো বৃত্ত আঁকাই সম্ভব না :( হাইপোথেটিক্যালি আঁকা হলেও তাও অসীমই হবে। কারো কোনো অস্তিত্বের কথা চিন্তা করা হলে সবাই এই 'অসীম' বৃত্তের ভেতরেই আছেন।

এর বেশি আরো এগোতে পারছি না। আমার কনফিউশনের কথা বোঝাতে পেরেছি কিনা জানি না।

সব শেষে উদাস বি-জ্ঞানীর কাছে প্রশ্নঃ সময়ের স্টার্ট পয়েন্ট কোনটা? স্টার্ট পয়েন্টের আগে কী ছিল?

০৬ ই মার্চ, ২০১৯ দুপুর ১:৩৪

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: আপনার প্রথম পয়েন্টটির উত্তর বাইসাইকেল এনালজিতে দেয়া। গোপন বলতে চেয়েছি কোনো একটা সিস্টেমের ওপর আরোপিত বৈশিষ্ট্য এবং তার রূপ প্রদান সে নিজে নিজে জন্মের শুরু থেকেই করতে পারেন। তার জন্য প্রয়োজন সেই সিস্টেমের বাইরে থাকা অন্য কোনো সিস্টেম।

যেহেতু মহাবিশ্বকে একটা সসীম সিস্টেম ধরা হয়েছে সেহেতু সে নিজেও তার বৈশিষ্ট্য এবং বাহ্যিক রূপ নিজে বেছে নেবার ক্ষমতা রাখে না যদি না এই সিস্টেমের বাইরে থেকে কেউ না কেউ সেটা আরোপ করে। সে হিসেবে একটা অসিম ব্যাপ্তি সম্বলিত কোনো সিস্টেম বা সত্বার অস্তিত্ব থাকাটা মোটেও সন্দেহজনক বা অসম্ভব কিছু নয়।

আর সময় বলতে আসলে কিছু নেই। এটা অনেকটা গ্রাম, কেজি পাউন্ড, মাইল এসবের মতো একটা পরিমাপ সূচক এবং মানুষ তার হিসাবের সুবিধার্থে তৈরী করেছে। আপনি যদি পদার্থবিজ্ঞানের ভাষায় সংজ্ঞায়িত বা খুব মৌলিক দিক থেকে ধরতে চান তাহলে আপনি এনট্রপির পরিবর্তনের ধারা বা সূচক হতে পারে এর সবচে সঠিক ব্যাখ্যা। কিন্তু সাধারন মানসপটে এভাবে কোনো ব্যাখ্যা সুখকর হতে পারে না।

আর জ্বি হ্যা, বিগ ব্যাং বা বিগ ক্রাঞ্চ যদি আপনি অধিবিদ্যার যুক্তিনুসারে ভাবার চেস্টা করেন এর বাইরে চিন্তা করাটাই অমূলক যদিও পদার্থবিজ্ঞান এই খোলস থেকে বেরিয়ে আসার পথ খুঁজছে

উত্তরটা খোলাসা করছি না কারন আমি এখনো ভাবছি উত্তরটা কিভাবে খোলাসা করা যায়। আপনার চিন্তার ধরন আমাকে বরাবরের মতোই আভিভূত করেছে কারন একজন ধর্ম বিশ্বাসী হয়েও গোডল সাহেবের কোড ভাঙ্গার চেস্টা করছেন।

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ

৯| ০৬ ই মার্চ, ২০১৯ দুপুর ১:৪১

রাজীব নুর বলেছেন: আমার মন্তব্যের উত্তর দেওয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
ভালো থাকুন।

০৬ ই মার্চ, ২০১৯ দুপুর ১:৪২

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: হ্যাপি ব্লগিং

১০| ০৬ ই মার্চ, ২০১৯ বিকাল ৪:০৪

মাহমুদুর রহমান বলেছেন: পবিত্র কোরআন হচ্ছে সবচেয়ে বড় বিজ্ঞান।আর বিজ্ঞান এই পৃথিবীতে যা কিছু আবিষ্কার করেছে তা পবিত্র কোরআনের বর্ণিত আয়াত এর উপর গবেষনা করে আবিষ্কার করেছে।

বাকারাঃ خَتَمَ اللّٰهُ عَلَىٰ قُلُوۡبِهِمۡ وَعَلٰى سَمۡعِهِمۡ‌ؕ وَعَلٰٓى اَبۡصَارِهِمۡ غِشَاوَةٌ‌ۚ وَّلَهُمۡ عَذَابٌ عَظِيۡمٌ
(আয়াত ৭)


আল্লাহ তাদের হৃদয়ে ও কানে মোহর মেরে দিয়েছেন ৷ ১০ এবং তাদের চোখের ওপর আবরণ পড়ে গেছে ৷ তারা কঠিন শাস্তি পাওয়ার যোগ্য ৷

আল্লাহ মোহর মেরে দিয়েছিলেন বলেই তারা মেনে নিতে অস্বীকার করেছিল – এটা এ বক্তব্যের অর্থ নয় ৷ বরং এর অর্থ হচ্ছে, যখন তারা ওপরে বর্ণিত মৌলিক বিষয়গুলো সে প্রত্যাখ্যান করেছিল এবং নিজেদের জন্য কুরআনের উপস্থাপিত পথের পরিবর্তে অন্য পথ বেছে নিয়েছিল তখন আল্লাহ তাদের হৃদয়ে ও কানে মোহর মেরে দিয়েছিলেন ৷

আয়নার সাহায্য ছাড়া একটা মানুষ নিজের চোখ দিয়ে সে নিজেকে কখনও দেখেনি।আল্লাহকে যদি দেখতে হয় তবে পবিত্র কোরআনকে অনুসরন করতে হবে এবং কোরআনের বিধিনিষেধ মানতে হবে।কারন কোরআন হচ্ছে এমনই একটি আয়না যার মাধ্যমে আল্লাহকে দেখা যায়।

আল্লাহ আপনাকে সঠিক বুঝ দান করুন।

০৭ ই মার্চ, ২০১৯ রাত ৩:৪৮

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: অনেক দিন পর দাসব্যাবসায়ীর লেখা কোরানের আয়াত পড়ছি। আসুন এই আয়াতের তাফসীরটা জেনে নেই।
সাহাবী ক্বাতাবার মতে তারা যখন শয়তানকে মান্য করা শুরু করে তখন শয়তান দ্বারা চালিত হয়। তাই আল্লাহ তাদের হৃদয়, কর্নকুহর এবং চক্ষুকে সীলগালা করে দেয় এবং তারা আলোর পথের সন্ধান না পায় দেখতে বা শুনতে বা বুঝতে। ইবনে জুরায়জি বলেন মুজাহিদের ভাষায় (আল্লাহ তাদের হৃদয়ে সীলগালা করেদেন), সীলগালা এক ধরনের স্ট্যাম্প বা মোহর। এটা তখনই ঘটে যখন হৃদয়ে পাপের স্থান পায় এবং তাকে চারপাশ থেকে ঘিরে ধরে এবং পাপে ডুবে গেলে হৃদয়ে সীলমোহর হয়ে যায়, যাকে সীলগালা হিসেবে ধরে নেয়া যেতে পারে। ইবনে জুরায়জি আরো বলেন যে এই সীলটি তার হৃদয়ে এবং কর্নকুহরে লাগানো থাকে। আব্দুল্লাহ বিন কাথির উল্লেখিত মুজাহিদের ভাষায় হৃদয়ে দাগ সীল মোহরের মত এত খারাপ নয়, আবার এই যে মোহর এটা তালার মতো এতো খারাপ নয় তবে এটা সর্বোনিকৃষ্ট। আল আমেশ বর্নিত মুজাহিদ তার হাতের মুস্টি দেখিয়ে বলতে থাকেন যে তারা বলে যে হৃদয় দেখতে খোলা তালুর ন্যায়। যখন কোনো বান্দা পাপ করে, তার হৃদয়ের একটা অংশ গুটিয়ে যায় এটা বলে সে তার দিকনির্দেশিকার আঙ্গুলটি গুটিয়ে নিলেন।যখন বান্দা আরেকটি পাপ করে তখন হৃদয়ের আরেকটি অংশ গুটিয়ে যায় বলে আরেকটি আঙ্গুল গুটিয়ে নিলেন। এভাবে পাপের সংখ্যা যত বাড়ে অন্যান্য আঙ্গুল গুলো গুটিয়ে দেখাতে লাগলেন যেভাবে হৃদয় গুটিয়ে যায়। যখন হাটের সমস্ত আঙ্গুল গুটিয়ে গেলো তখন পুরো হৃদয় সীলগালা হয়ে যায়
ইবনে জারীরের বরাতে নবী মোহাম্মদের সহী হাদিস অনুসারে আবু হুরায়রা বর্নিত মোহাম্মদ বলেন যে যখন কোনো বিশ্বাসী পাপ করে তখন হৃদয়ে একটা কালো দাগ পড়ে। যখন সে অনুতপ্ত হয় তখন তার হৃদয় আবারও পুরোপুরি ঠিক হয়ে যায়। যখন সে আবারও পাপ করে, তখন কালো দাগ আবারও দৃশ্যমান হয় যতক্ষন না পুরো হৃদয় ঢেকে যায়। এই যে ক্ষত এটার বর্ননা আছে কোরানের ৮৩:১৪ নম্বর আয়াতে। ঘিশাওয়া আরবী শব্দের অর্থ হলো ঢেকে ফেলা যেটা মূলত চোখকে ঢেকে ফেলার কথা বলা হয়েছে। এই আয়াতে মুনাফেকদের সম্পর্কেও একটা ইঙ্গিত আছে। মুনাফিকের আচরন ও তাদের শাস্তি সম্পর্কে বিস্তারিত ব্যাখ্যা পাওয়া যাবে সুরা নিসা, সূরা বারা আহ ও সূরা মুনাফিকুনে।

সমস্যা হলো মানুষ পাপ করে হৃদয় অর্থাৎ হৃৎপিন্ডের মাধ্যমে না। এটা একটা ভুল ধারনা। মানুষের চিন্তাধারার সবকিছুই পরিচালিত হয় মস্তিস্কের মাধ্যমে এবং মস্তিস্ক কখনোই হাতের তালুর মতো খোলা নয়। মস্তিস্ক যে চিন্তার আধার সেটা নবী মোহাম্মদ জানতেন না। তাই তিনি ধরেই নিয়েছিলেন মানুষ চিন্তা করে হৃৎপিন্ডের মাধ্যমে যেটা আসলে একটা হাস্যকর ব্যাপার। তারপরও যদি ইনায় বিনায় ধরে নিলাম তারপরও হৃদপিন্ড যদি ধরেই নেই তাহলে কালো দাগ পড়ার সাথে পাপের কি সম্পর্ক সেটা বুঝলাম না। হৃদপিন্ডে তখনই কালো দাগ পড়ে যখন হার্ট এ্যাটাকের কারনে রক্ত জমাট বাধে। এবং কেউ যদি তিনবার হার্ট এ্যাটাক করে তারপর আর সে বেচে থাকবে না। আর আধুনিক সায়েন্সের বদৌলতে আমরা সবাই জানি হার্ট এ্যাটাক পাপের কারনে হয় না। বেশী করে চর্বি যুক্ত গরু খাসী খেলে, সারাদিন ঘরের ভেতর ভুজুর ভজুর করলে, ব্যায়াম না করলে হয়।

তার মানে আপনার দেয়া আয়াতেই প্রমান হচ্ছে কোরানে যেটা বলা সেটা পুরোপুরি বানোয়াট এবং অবাস্তব ও অবৈজ্ঞানিক। এমনিতে কোরানে ভুলের অভাব নাই। টুকলি তার ওপর ড. গ্যালনের ভ্রুনবিদ্যা মেরে দিয়েছে তারপর চাদের দ্বিখন্ডন তো আরেকটা জোক।

আমি একসময় মাদ্রাসা পড়েছিলাম , হেফজ করেছিলাম কিছুদিন, বড় হয়ে তাবলীগও করি। এখনো কোরানের তাফসীর সীরাত হাদীস নখের ডগায়। আপনি অশিক্ষিত মূর্খ বলে এসব জানেন না তাই কোরানের মতো ফালতু সস্তা মিথ্যা গ্রন্থ বিশ্বাস করেন যেটা সম্পূর্ন আপনার ব্যাপার এবং তাতে আমার কোনো সমস্যা নেই। সেখানে আমার পোস্টে এসে এভাবে বিষেদগার ছাড়তে গিয়ে অপমানিত হবার কোনো মানে দেখি না।

পোস্ট সংশ্লিস্ট আলোচনা করবার অনুরোধ রইলো

১১| ০৬ ই মার্চ, ২০১৯ বিকাল ৫:৫৪

বিপ্লব০০৭ বলেছেন: ৮ নং মন্তব্যের জবাবে : সময়ের স্টার্ট পয়েন্ট কোনটা? তার আগে কি ছিলো?

সময়ের স্টার্ট পয়েন্ট আছে- অর্থাৎ টাইম হ্যাজ আ বিগিনিং-- এইটা যদি কল্পনা করা যায় তবে টাইমের সে বিগিনিং -এর আগে কি ছিলো?- এই প্রশ্নটা অর্থহীন। কারণ সময়ের একটা "শুরু" ছিলো, এর "আগে" বলে কোন স্টেটমেন্ট আর দাঁড় করানো যাচ্ছে না, আমি যদি বলি, তার "আগে" কি ছিলো, তবে আমার প্রথম স্টেটমেন্টই মিথ্যে হয়ে যাচ্ছে।

০৭ ই মার্চ, ২০১৯ রাত ৩:৫১

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: দার্শনিক যুক্তি ধার্মিকরা মানতে চান না। তারা নানা ব্যাখ্যা হাজির করেন। এবং সময়ের ব্যাপারটা তাদের মাথায় ঢোকে না।

আর জ্বি হ্যা, বিগ ব্যাং বা বিগ ক্রাঞ্চ যদি আপনি অধিবিদ্যার যুক্তিনুসারে ভাবার চেস্টা করেন এর বাইরে চিন্তা করাটাই অমূলক যদিও পদার্থবিজ্ঞান এই খোলস থেকে বেরিয়ে আসার পথ খুঁজছে


এখানে আপনার কথাটাকেই সেভাবে লেখা তবে পদার্থবিজ্ঞান এখন দর্শন থেকে স্বাধীন। সে নিজস্ব উপায়ে চিন্তা করে বলেই ১০০ ভাগ সন্তুস্টির জন্য তারা সমাধান খুজছে। সেক্ষেত্রে দর্শনের এই লজিকের বাইরেও আরো আলোচনার সুযোগ আছে।

তবে আপনার এই গভীরতম সঠিক উত্তরের সরল প্রকাশের জন্য ধন্যবাদ

১২| ০৬ ই মার্চ, ২০১৯ রাত ৮:১১

মায়াবী ঘাতক বলেছেন: বরাবরের মতই অসাধারণ লেখা। যদিও বিজ্ঞানের "ব" ও বুঝি নাই। এই জন্য স্কুলে থাকতে কত যে মাইর খাইসি স্যারের হাতে। বিজ্ঞানের ভয়ে কমার্সে ভর্তি হইলাম কিন্তু ম্যাথের হাত থেকে নিস্তার নেই। এখনো বিজনেস ম্যাথ মাথার উপর দিয়ে যায়।

+++

০৭ ই মার্চ, ২০১৯ রাত ৩:৫২

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: আপনার কি খবর? আমি তো ফেসবুকে তিরিশ দিনের ব্লকে আছি। না পার পোস্ট করতে, কমেন্ট করতে না পারি ইনবক্সে রিপ্লাই। আজব শৃঙ্খলার মধ্যে আছি।

অনলাইনে আর বেশী দিন থাকা হবে না মনে হয়

১৩| ০৭ ই মার্চ, ২০১৯ রাত ২:১২

নতুন বলেছেন: @ মাহমুদুর রহমান <<< মাহমুদুর রহমান বলেছেন: পবিত্র কোরআন হচ্ছে সবচেয়ে বড় বিজ্ঞান।আর বিজ্ঞান এই পৃথিবীতে যা কিছু আবিষ্কার করেছে তা পবিত্র কোরআনের বর্ণিত আয়াত এর উপর গবেষনা করে আবিষ্কার করেছে।

কোরান মুসলমানের উপরে নাজিল হয়েছে আর সেটা গবেষনা করে ঈয়াহুদী, নাসারা,হিন্দু,খৃস্টানেরা সবকিছু আবিস্কার করে ফেললো??? মুসলমানেরা সব আবিস্কার হবার পরে সেইগুলি কোরানে আছে সেটা খুজে পায়? আগে কেন পায় না?

যদি্ আপনি কোরান থেকে গবেষনা করে আবিস্কৃত কিছু জিনিসের নাম বলতেন তবে খুশি হতোম।

০৭ ই মার্চ, ২০১৯ রাত ৩:৫৬

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: যে গ্রন্থ নিজেই প্লাগারিজম এবং ভুল ভ্রান্তিতে দুস্ট সেখান থেকে কিছু আবিস্কার করা সম্ভব নাকি। ফেসবুকে যদি থাকেন তাহলে দেখবেন মুমিনরা কত পদে পদে হেনস্তা হচ্ছে কোরানের মান সম্মান বাচাতে।

দিন যত চাচ্ছে মুমিনরা চলমান কৌতুকে পরিনত হচ্ছে এবং এখন আবার তার সাথে যুক্ত হয়েছে চুইঙ্গা ইউনির ইংলিশ পাশ প্যারাসিটামল আরিপাছাদ। শুনেছি তার সর্বশেষ বইটি নিয়ে খোদ আলেম সমাজেই নানা সমালোচনার শিকার হচ্ছে কারন বিভিন্ন হাদিস ও আয়াতের ব্যাখ্যায় ভ্রান্ত আকীদার প্রচার করছে।

সবাই তাই কৌতুক করে বলে ইসলামের শেষ নবী হলো আরিপাছাদ.............

১৪| ০৮ ই মার্চ, ২০১৯ রাত ১:০৫

বিপ্লব০০৭ বলেছেন: পদার্থবিজ্ঞান এখন দর্শন থেকে স্বাধীন-- আপনার এই স্টেটমেন্ট নিয়ে কিছু বলার আছে। সময় হলে কথা হবে। আছেন কেমন? আর ভালো কথা, আপনার ৫ নম্বর কমেন্টের উত্তরে দেখছি লিখেছেন যে, "সক্রেটিসের লা মিজারেবল"... লা মিজারেবল বইটা ছোটবেলায় পড়ছিলাম, ওইটাতো সক্রেটিসের নয়। ওইটার সাথে ধর্ম বা ঈশ্বরের সম্পর্ক নাই। একটু চেক করে দেইখেন। আপনি ঐ মন্তব্য প্রদানকারীকে তার ভুল ধারণা থেকে বেরিয়ে আসার জন্য সক্রেটিস কিংবা লা মিজারেবলকে কেন প্রেফার করলেন বুঝলাম না।

০৮ ই মার্চ, ২০১৯ ভোর ৪:২৮

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: ধন্যবাদ ভুলটা ধরিয়ে দেবার জন্য। আমি আসলে সক্রেটিসের ওপর লেখা রিপাবলিক বইটা পড়তে বলেছিলাম কারন ওখানে গুহাতত্বের রূপক যে পরীক্ষার কথা বলা হয়েছে সেটা বাংলাদেশের মুমিন কুসংস্কারাচ্ছন্ন সমাজের জন্য প্রযোজ্য। ভুলে ভিক্টর হুগোর বইটির নাম এসে গেছে। অবশ্য এর পেছনে কারন হলো এক স্পেনিশের সাথে সন্ধ্যায় স্পেনিশ বিদ্রোহ আর ফ্রেঞ্চ রেভুল্যুশনের যোগসুত্র খোঁজার ব্যার্থ চেস্টা করেছিলাম। তারপর থেকেই ফ্রেঞ্চ রেভুলেশনটা মাথায় গেথে ছিলো।

আর পদার্থবিজ্ঞান এখন দর্শন হতে স্বাধীন এ বিষয়ে আলোচনা আমি এর আগে বেশ কিছু পোস্টে করে বেশ সমালোচনার সম্মুখীন হয়ে ছিলাম এবং নানা ব্লগে আমাকে অবাঞ্চিত ঘোষনা করা হয়েছিলো। তারপরে আমার অবস্খান এখনো অটুট।

কেন যেনো মনে হয় আপনার সাথে তর্কটা জমবে।

আবার নিজের অনিচ্ছাকৃত ভুলের জন্য ক্ষমাপ্রার্থী। বয়স হয়েছে, বৃদ্ধ কাল চলে

১৫| ০৮ ই মার্চ, ২০১৯ ভোর ৬:১৬

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:

কোরান নিয়ে বাড়াবাড়ি করা ঠিক না।
কোরান পুস্তকআকারে নাজেল হয় নি, বছরের পর বছর একটি একটি আয়াত করে মুখে মুখে মগস্ত ভাবে নাজিল হয়েছিল।
কোরানের আয়াত সমুহ পর পর যে ভাবে নাজিল হয়েছিল , সেই ভাবে সিকোয়েন্স অনুযায়ি কোরানকে লিপিবদ্ধ করা হয় নাই
রসুল (স) বেচে থাকাকালীন আয়াতগুলো লিখে রাখাও সম্ভব হয়নি, সিকোয়েন্স অনুযায়ি কোরানের কোন লিখিত সংকলন নেই, এভাবে কোরানের কপি সংরক্ষন করা হয় নি।
পবিত্রগ্রন্থটি ওনাকে দ্বারা ভেরিফাই/প্রুফরিড করানো সম্ভব হয়নি। যুদ্ধ ও বিভিন্ন কারনে অনেক হাফেজ মারা গেছিলেন, ভাগ্যিস কয়েকজন অকুতোভয় হাফেজ মুখস্ত করে রেখেছিলেন।

রসুল (স) মৃত্যুর পরও খলিফা আবুবকরের আমলেও লিখে পুস্তকআকারে করা সম্ভব হয়নি।
ওনার (আবুবকরের) মৃত্যুর পর হজরত ওসমানে সিদ্ধান্তে কোরান লেখা শুরু হয়, কিন্তু কোন আয়াত আগে পরে হবে বা মনগড়া সম্পাদনার অভি্যোগে হজরত ওসমান প্রবল বাধার সম্মুখীন হন, পরে বিপক্ষ সাহাবিরা মিথ্যা করবৃদ্ধির অভিযোগ ইত্যাদি যোগ করে হজরত ওসমানকে কোরান লেখাবস্থায়ই কুপিয়ে হত্যা করেছিল।
এর পর যেই কোরান লিপিবদ্ধ করতে চেয়েছে সেই বিপক্ষ গোত্রের বাধার সম্মুখীন হয়েছে।
এর শত শত বছর পর বিভিন্ন জনের কাছ থেকে শুনে শুনে কোরান লিপিবদ্ধ করা সম্ভব হয়েছিল।

ইসলাম হচ্ছে বিনা প্রশ্নে বিশ্বাসের ব্যাপার।
আর বিজ্ঞান সম্পুর্ন ভিন্ন একটি বিষয়।

০৮ ই মার্চ, ২০১৯ দুপুর ১২:২৫

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: আরো কিছু সংযোজন করার দরকার:

মোহাম্মদ মরার সময় সান্তনা হিসেবে বক্কর একটা কোরানের একটা ডায়লগ দেয়। আলি ওমর উসমান মুখ চাওয়া দাওয়া করে বলতে থাকে জীবনে এটা প্রথম শুনলে এটা নাকি কোরানের আয়াত। তার কিছুক্ষন আগে আয়েশার বালিশের নীচে থাকা কিছু আয়াত ছাগলে খায় যেখানে ব্যাঙিচারের শাস্তি কি ছিলো সবিস্তারে বর্ননা ছিলো। ছাগলের ওপর শয়তান ভর করায় আল্লাহ ডিফিট খায় এবং কোরানের আয়াত শিফট ডিলিট হয়।

কোরান মুহম্মদের মুখের ভাষায় নাযিল হয় কিন্তু উসমান মিয়া এর সংকলন করে কুরাইশদের মুখের ভাষায়। উল্লেখ্য মুহাম্মদ ছিলো হাশেমী গোত্রের। এই সংকলন যখন উসমান জোর কইরা চালাইতে যায় সাহাবীর এটা নিয়ে কেউমেউ করে আর অনেকেই আয়েশার কাছে এসে তার কপির সাথে এটা মেলাতো

তুরস্কের সামারখন্দ মিউজিয়ামে উসমানের নিজের কোরানের একটা কপি আছে। অজস্র বানান ও ব্যাকরণগত ভুল প্রমান করে যে অর্ধশিক্ষিত লোকজনের লেখা।

বর্তমানে কোরানে প্রায় ১৪ টা ভার্সন বিদ্যমান যার সবগুলোতেই অনেক পার্থক্য আছে। আরবের কোরানের সাথে উপমহাদেশের কোরান মেলে না। তার ওপর কোরানের অর্থ আগে ১০০ বছর পর পর পরিবর্তন হলেও এখন প্রতিবছর পরিবর্তন হয় আর এর তাফসীর পরিবর্তন হয় মিনিটে মিনিটে। মন্জুর, ফরিদ ভাইয়ের মতো যারা কোনো দিন পুরোটা পড়ে নাই এমনকি চুইঙ্গা ইউনির ইংরেজি পাশ আরিপাছাদ ও কোরানের তাফসীর চেন্জ করে। জোকার নালায়েক ওরফে জঙ্গি জাকির নায়েক তো কোরানের নতুন ব্যাখ্যার বাপ বনে গেছে। ওদিকে ফাজালে আমল তো আছে।

তারপরও যদি বলেন কোরান এখনো অবিকৃত তাইলে তো কইতে হয় আকাশে ডেইলি ৫ টা সুর্য আর ৪ টা চান উঠে। কি কন ভাউ!!!

১৬| ০৯ ই মার্চ, ২০১৯ সকাল ১১:২৮

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আমার কিছু প্রশ্ন ছিল। প্রশ্নগুলো এ পোস্টের সাথে প্রাসঙ্গিক নাও হতে পারে। কিন্তু মনে হলো আপনার কাছ থেকেই এ প্রশ্নের জবাব পাওয়া সম্ভব। এ প্রশ্নের উত্তর পাওয়ার পর হয়ত আরো দু-একটা সম্পূরক প্রশ্ন করতে পারি।

আমি ধর্মবিশ্বাসী এবং আস্তিক। কোনোমতেই তা পরিবর্তনের সম্ভাবনা নাই। মৃত্যুর পর যদি দেখি আর কিছুই নাই, তাহলে তো এমনিতেই খুব খুশি হবো এই ভেবে যে, যাক, দোযখের আগুন থেকে বাঁচা গেলো :) আর যদি কোরানের আলোকে সবকিছু সত্যই হয়, তাহলেও জিতে যাবো, কিছুকাল দোজখ বাসের পর অনন্তকাল বেহেশতে সুখে শান্তিতে দিন গুজরান করবো। আমার কনসেপ্ট এটাই।

১। ব্ল্যাক ম্যাজিক বলে কিছু কি আছে? ব্ল্যাক ম্যাজিক অলৌকিক ক্ষমতার বলে চলে, সেই অলৌকিক ক্ষমতার উৎস কী? জাদু-টোনা-বাণ মারা কি ব্ল্যাক ম্যাজিকের সাথে সম্পর্কযুক? এগুলোই বা কোন শক্তিতে প্রয়োগ করা হয়? নাকি সবই ভূয়া?

আমি এ প্রশ্নগুলো করছি এ কারণে যে, ব্ল্যাক ম্যাজিকের অস্ত্বিত্ব থেকে থাকলে আমাদের অলৌকিক শক্তির অস্তিত্ব মেনে নিতে হয়। কোরানে অনেক মাজেযা, জাদু-টোনা-বান মারার কথা শোনা যায়। সেগুলোর সাথে মহান আল্লাহর অস্তিত্বের সম্পর্ক বিদ্যমান।

২। আল্লাহ্‌র সাথে কি কোনো নবী-রাসুল বা অন্য কারোর সরাসরি কোনো কথা হয়েছে? হযরত জিব্রাইল (আঃ )-এর মাধ্যমে রাসুল মুহম্মদ (সঃ ) ওহী প্রাপ্ত হতেন বলে জানা যায়। তিনি সরাসরি আল্লাহর কাছ থেকে কোনো ওহী লাভ করেছেন কিনা জানতে চাই। না করে থাকলে তার কারণ কী হতে পারে? আল্লাহ যদি কারো সাথে সরাসরি কথা না বলে থাকেন, তার কারণ কী? হযরত মুসা (আঃ )-এর সাথে আল্লাহর যে সওয়াল-জওয়াবের কথা জানা যায়, সেটা কি সরাসরি হতো, নাকি কোনো ফেরেশতার মাধ্যমে? রসুলগণ হলেন মানুষ, সৃষ্টির সেরা জীব। আল্লাহ তাঁর সৃষ্টির সেরা জীবের সাথে সরাসরি কথা না বলে ফেরেশতাদের মাধ্যমে কথা বলতেন- এর কারণ কী হতে পারে? হযরত ওয়ায়েছ করনীর ব্যাপারে অনেক কাহিনি জানা যায়; তিনি নবী না হলেও নবীর কাতারের মানুষ ছিলেন, তাঁর সাথে কি আল্লাহর কোনো সরাসরি যোগাযোগ ছিল?

৩। হযরত মুহম্মদ (সঃ ) নিরক্ষর ছিলেন। তার অন্য কোনো দেশে যাতায়াতের কোনো সুযোগ ছিল না, পূর্ববর্তী নবীদের উপর নাযিলকৃত কিতাব পড়ার কোনো সুযোগ ছিল না। তাহলে আগের কিতাব থেকে নকল/টুকলিফাই করা কীভাবে সম্ভব হয়েছিল বলে মনে করেন? তিনি হেরা পর্বতের গুহায় এবাদতরত অবস্থায় কী করতেন বলে মনে হয়?

৪। বিভিন্ন ধর্ম প্রচারের উদ্দেশ্য কী?

প্রশ্ন অনেকগুলো হয়ে গেলো। আপনার বিশ্লেষণী ক্ষমতায় আমি মুগ্ধ। যে-কোনো বিষয়ের উপর প্রথমে কোরান-হাদিস থেকে তথ্য-উপাত্ত উপস্থাপন করেন নিখুঁতভাবে, তার পর এর উপর বিশ্লেষণ করে ওগুলোর 'অসাড়তা' প্রমাণ করেন। যে-কোনো যুক্তি-তর্ক আসলে জ্ঞান ও বুদ্ধির খেলা। আপনার কথাকে আমি খণ্ডন করতে পারলেই আপাত মনে হয়, আমার কথাগুলোই সত্য; কিন্তু আমার কথাগুলোকে অন্য একজন যখন খণ্ডন করে তুলোধুনা করেন, তখন তারই বিজয় সূচিত হয়। এই তর্ক-বিতর্কের কোনো শেষ আছে বলে মনে হয় না। এজন্য আমার 'বিশ্বাস'টাকে এভাবেই মনের ভেতর গেঁথে নিয়েছি।


১০ ই মার্চ, ২০১৯ রাত ৩:০৭

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: আসলে আপনাদের সাথে আমার একটাই পার্থক্য সেটা হলো আপনারা বিশ্বাসের জন্য বিশ্বাস করেন আর আমি যুক্তি দিয়ে বিশ্বাস করি। বিশ্বাসের জন্য বিশ্বাস বহু আগে থেকে যেমন প্রচলিত ছিলো তেমনি যুক্তি দিয়ে বিশ্বাসী মানুষের সংখ্যা দিনকে দিন বাড়ছে।

১) ব্লাক ম্যাজিক বলতে কিছু নেই। সবকিছুই নির্ভর করে যিনি ম্যাজিশিয়ান তার কগনিটিভ বায়াস করার ক্ষমতা কতখানি। বেশীর ভাগ ব্লাক ম্যাজিসিয়ান আবার কবিরাজ হয় ফলে অসহায় ভীতু দুর্বল মানুষ যেকোনো শারীরিক সমস্যাতে পড়লেই তাদের কাছে যান এবং ম্যাজিসিয়ান ১০% কবিরাজীর সাথে ৯০ % যাদু দেখিয়ে নিজের কেরামতির পরিচয় দেন। বাজারে অনেক সহজ যুক্তি প্রচলিত আছে যেমন ব্লাক ম্যাজিক বলে যদি সত্যি থাকতো তাহলে ভারত পাকিস্তান সবার আগে ধ্বংস হতো। তারা পারমানবিক অস্ত্র যুদ্ধাস্ত্রে টাকা খরচা না করে এসবেই খরচা করতো। আদতে পাকিস্তান ৮০ এর গোড়ার দিকে জীন থেকে শক্তি আহরনের জন্য ৩০০ কোটি ডলার খরচ করে। সেখানে কোরান একটা বাক্সে রেখে চার ওপর বিশাল কইয়েন কামান লাগিয়ে হুলস্থুল কান্ড করে বসে। পরে এই টাকা দুর্নীতি নিয়ে অনেক হৈচৈ হয়।

সত্যি কথা বলতে ম্যাজিক হলো সায়েন্স এবং হাতের কৌশল যার মাধ্যমে মানুষজনকে ধাপ্পা দেয়া হয়। এখানে কোনো অলৌকিক বা আধ্যাত্মিকতা নেই। কোনো মৃত ব্যাক্তি ফিরে আসেনি। যারা এসেছে তাদেরটা ল্যাজারাস সিন্ড্রোম। যাদু টোনা বান কিছুই কাজ করে না তবে এটা ঠিক ভিকটিমকে বিষ খাইয়ে পরে জাদু টোনা করা হইছে এটা বলা হয় কারন এর মাধ্যমে অপরাধী নিজের অপরাধ লুকোবার চেস্টা করে। আর কোরানে কোনো মাজেযা নেই। বরংচ সমাজের নানা অপসৃস্টির কারন এই ভুলে ভরা কোরান। আগেকার সময় সামান্য কলেরা ঠেকাতে কোরানের আয়াত দিয়ে মাদুলী পানি পড় জুতা পড়া ব্যাব হার করা হতো কিন্তু কিছুই কাজ করেনি। গ্রামের পর গ্রাম বর্ষাকাল আসবার আগ পর্যন্ত শুধু সাবাড় হয়েছে। নবী মোহাম্মদ নিজের বিষক্রিয়া এমনকি নিজের দুই পুত্র সন্তানকেও বাঁচাতে পারেননি। তাই কোরানে কোনো মাজেযা নাই।

২)তৌরাত অনুযায়ী মুসা দেখা করবার জন্য গো ধরেছিলেন কিন্তু সে সামনা সামনি দেখতে পারেননি। যা দেখেছেন ঈশ্বরের পেছনের অংশ। তার মানবচক্ষু তথা দেহের যেনো কোনো ক্ষতি না হয় সেজন্য তিনি তার চোখ দুটো হাত দিয়ে আড়াল করে জিতেছিলেন। সমস্যা হলো মুসা একটা মিথিক্যাল ক্যারেক্টার এবং খুব সম্ভবত মিশরের রাজা আখেনাটেন চরিত্রটির ওপর ভিত্তি করে এই চরিত্রটির সৃস্টি। মুসার কোনো কবর বা মাজারের অস্তিত্বও নাই। এটা নৃতত্ব অনুযায়ী প্রমানিত একটা ব্যাপার

মোহাম্মদ ছিলেন বেশ বড় একজন প্রতারক। যেখানে সকল নবী রাসুল তাদের ওহী গ্রহন করেছিলেন স্বয়ং ঈশ্বর হতে তখন সে গল্প ফেদেছিলো জিব্রাইলের তার সবচে বড় প্রমান শাটানিক ভার্স যেখানে তার ডেসপারেশন ফুটে ওঠে কুরাইশদেরকে তার নেতৃত্বে আনার ব্যাপারে। এই ফ্রডকে নিয়ে বলার কিছু নাই।

আর আপনি মনে হয় খিদিরের কথা জানতে চাইছেন। ইনোক অনুসারে ওনাকে অমর বলা হলেও কোরানে সে দাবী থেকে সরে এসেছে। সূরা আল কাহফের ৬৫-৮২ পর্যন্ত তার গায়েবী জ্ঞান সম্পর্কে একটা ধারনা দেন। তবে আশ্চর্য্যের ব্যাপার কি এই খিদির চরিত্রটি জুরুস্থ্রু ধর্মের পানির দেবী আনাহিতা, ক্যানান্নাইটের দেবতা কোথার ওয়া খাসিস এবং প্রাচীন মেসোপটেমিয়ার উতনাপিশ্টিমের কপি পেস্ট।

আর যতদূর জানি ওয়ায়েস করনী হাসান হুসেনের সেনাপতি ছিলেন এবং তার পিতা একজন সাহাবী ছিলেন। সে হিসেবে তিনি একজন তাবেঈন। হাসন হুসেন যখন মারা যান তখন সে যুদ্ধে তিনিও মারা যান এবং শিয়ারা তাকে খুব মানে। কুটিকালে ফরিদপুরে ওয়ায়েস কুরনী মিসটিজম বা সুফী তত্বের অনুসারী ছিলো আমার পরিচিত কিছু মুরুব্বী। এজন্য তার ব্যাপারটা একটু জানি

৩) সে মোটেও নিরক্ষর ছিলেন না এটা নিয়ে আমি নান্নামুন্না ফটিকচানের একটা সিরিজে দালালির প্রমান দিয়েছিলাম। সেটা পড়ে আসতে পারেন। আর কাবা ব্যাবসার প্রানকেন্দ্র ছিলো বলেই সেখানে নানা জাতের মানুষ আসতো ফলে সেখান থেকে তিনি অনেক কিছু জেনেছেন। একসময় নওফেল ছিলো তার জ্ঞানের উৎস। সে মারা গেলে সরাসরি বাইবেল তৌরাত থেকে কপি করা শুরু করা। নানা প্রচলিত মিথ দিয়ে কোরান সমৃদ্ধ করার চেস্টা করে যেগুলো আসলে ভুয়া। তবে কোরানে নিজেকে অশিক্ষিত দাবী করা মোহাম্মদ শিশু বিয়ের লোভে নিজের কাবিন নিজে লিখেছিলো অথবা পার্শ্ববর্তী শাসকদের নিজ হাতে চিঠি লিখে পাঠাতেন যেগুলো সীরাত ও হাদিসেই সুস্পস্ট বর্ননা আছে।

৪) যতটুকু বুঝি অত্যাচারী শাসকের বিরুদ্ধে অথবা প্রজা শাসনের হাতিয়ার হলো ধর্ম। যত শাসকই বলেন সব মাইয়াবাজ ছিলো এবং নিজে কখনো ধার্মিক ছিলো না কিন্তু ধর্মের আইন প্রতিষ্ঠায় খুব মনোযোগী ছিলেন। ধর্ম দিয়ে জনগনকে শুধু বশেই আনা গেছে এবং ছোট ছোট যুদ্ধ থামিয়ে দীর্ঘমেয়াদী বড় বিশৃঙ্খলা ও অন্যায়ের মূল ছিলো ধর্ম। ধর্মকে ডিপ্লোম্যাসীতে ব্যাবহার করার নজির খুব কম। ইহুদী ধর্মের সৃষ্টি হয়েছিলো বর্বর মিশরীয় প্যাগান শাসকদের বিরুদ্ধে একটা বিদ্রোহ হিসেবে। খ্রিস্টান ধর্ম রোমান শাসকদের প্রতিপক্ষ হিসেবে তৈরী হয়েছিলো। ইসলাম তৈরী হয়েছিলো পুরো আরব একত্র করে রোমান ও পারসিয় জুরুস্ত্রূদের ক্রুঢ় প্রভাব থেকে মুক্তি পেতে।

এখন দেখেন বর্বর ইসলামী শাসন থেকে মুক্তি পাবার জন্য কতকিছুর সৃষ্টি হচ্ছে।

ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য

১৭| ০৯ ই মার্চ, ২০১৯ দুপুর ১:৫৩

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: বিপ্লব০০৭ বলেছেন: ৮ নং মন্তব্যের জবাবে : সময়ের স্টার্ট পয়েন্ট কোনটা? তার আগে কি ছিলো?

সময়কে একটা আলাদা ডাইমেনশন বা মাত্রা হিসাবে কল্পনা করলে এর আগে-পরের সাথে কোনো সম্পর্ক বের করা যায় কিনা, সেটা জানতে চাই। সময়কে 'ফিক্সড' কল্পনা করে মহাবিশ্বের প্রকৃতি বা বৈশিষ্ট্য কি বর্ণনা করা যায়?

আচ্ছা, পৃথিবীবাসী যদি একদিন জেনে যায় যে 'আল্লাহ' বা 'সৃষ্টিকর্তা' বলে কিছু নেই, ধর্ম-কর্ম-ধর্মগ্রন্থের কথা আমরা যা বলেছি এতকাল, সবই মিথ্যা, তাহলে পৃথিবীবাসীর কী কী সুবিধা বা লাভ হতে পারে? কোনো ক্ষতির কি আশঙ্কা আছে? একটা অচলাবস্থার সৃষ্টি হতে পারে কিনা, সেটার কথা বলছি।

মানুষের বয়স বাড়ানোর চেষ্টা করছেন বিজ্ঞানীরা। হয়ত সফল হবেন। অতীতে মানুষের বয়স হাজার পর্যন্ত ছিল বলে জানা যায় (সঠিক নাকি?)। অন্তত অতীতের সমান বয়স অর্জন করা হয়ত সম্ভব হবে। আরেকটা সম্ভাবনার কথা ভাবছি। আমি জানি না কোনো বিজ্ঞানী এ অ্যাটেম্পট নিয়েছেন কিনা, সম্ভাবনাটা হলো, বিজ্ঞানীরা হয়ত কোনো মৃত মানুষকে জীবিত করার অ্যাটেম্পট নিতে পারেন। বাই চান্স যদি এটা সম্ভব হয়ে যায়, তাহলে কিন্তু অনেক প্রশ্নের সমাধান হয়ে যাবে :) কোনো এক নবী মৃত মানুষকে জীবিত করতে পারতেন শুনি। এ ব্যাপারে আপনার মতামত কী?

অনেকগুলো আবোল তাবোল প্রশ্ন হয়ে গেলো। এগুলো ভুলে যাওয়ার আগে আপনার দরবারে পেশ করে গেলাম :)

১৮| ০৯ ই মার্চ, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:০০

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ১৭ নম্বরের রিপ্লাই লিখতে লিখতে আরেকটা প্রশ্ন করে ফেলি।

বাইবেল, তৌরাত ইত্যাদি ধর্মগ্রন্থ রাসুল গণের উপর আল্লাহর তরফ থেকে নাযিল হওয়ার ব্যাপারে আপনার মতামত কী? অর্থাৎ, এগুলো আল্লাহ্‌র বাণী কিনা। অন্যান্য নবী রাসুলগণের ব্যাপারে আপনার সাধারণ কমেন্ট কী? অর্থাৎ তারা কি সত্যিকারের মানবতাবাদী মহামানব ছিলেন, নাকি অন্য কিছু? ১০ কমান্ডমেন্টস যারা লিখেছেন, তারা কী সাহাবী পর্যায়ের ছিলেন, নাকি স্রেফ লেখক?

শুধুই জানার ইচ্ছে।

আপনার উত্তরগুলো ভালো লাগছে।

১০ ই মার্চ, ২০১৯ রাত ৩:৪৭

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: বাইবেল, তৌরাত ইত্যাদি ধর্মগ্রন্থ রাসুল গণের উপর আল্লাহর তরফ থেকে নাযিল হওয়ার ব্যাপারে আপনার মতামত কী?

উত্তর: আপনাকে একটা প্রশ্ন করি, কখনো কি নিজেকে এই প্রশ্নটি করেছেন যে বাইবেল বা তোরাহতে কাবা ঘরের কোনো নাম আছে? একটু খোজ নেন। ইসলামের গাজা সম্পর্কে আমার প্রথম সন্দেহ শুরু দুটো জিনিস নিয়ে, এক হলো চাদের দ্বিখন্ডনের দাগ আরেকটা হলো কাবার ইতিহাস। আপনি বাইবেল তোরাহ ঘেটে কোথাও কাবার নাম পাবেন না। আরও একটা ব্যাপার হলো নবী মরার তিনশ বছর পর যখন ওল্ড টেস্টামেন্ট আরবী অনুবাদ করা হলো তখন বাক্কা ও পারান শব্দ দুটি জোর করে ঢুকানো হলো। অনেকে বাক্কা কে মক্কা বলে পরিচয় দিতে না চাইলেও আইডেন্টিটি ক্রাইসিসে ভোগা ততকালীন মুসলিম স্কলার শিয়া এবং সুন্নী অনেকটা নিজের লোটা কম্বল বাচানোর জন্য বাক্কাকে মক্কা হিসেবেই ধরে নেন।

সমস্যা হলো তাতেই সমস্যার সমাধান হয় না। তোরাহ বাইবেলে জমজমের পানির নহরের কথা থাকলেও সেখানে উপাসনার যে ঘর তৈরী করেছিলো ইব্রাহিম সেটা নেই। বরংচ এটা বলা যে তারা তাদের তাবুর মধ্যেই সে উপাসনা করতো।এই ছবিটা দেখেন।


এখন আপনি যদি আসেন নৃতত্ব এবং আর্কিওলজিক্যাল প্রমান ঘাটাঘাটি করতে, খুজে দেখবেন কাবার খুব জোরালো কোনো উল্লেখই নাই কোনো বইতে। টলেমীর বইতে যাও আছে সেটা ঐ কাবার স্থান থেকে ব হু দূরে। এছাড়া ততকালীন দার্শনিক স্কলার কারো বইতে কাবা ঘরের কোনো উল্লেখ পাওয়া যায় না। ক্বাবা ঘরের ব্যাপারে যতটুকু খোজ নিয়ে জানা গেছে খ্রিস্টপূর্ব ৫০-৬০ বছর আগে সেখানে হাট বসতো এবং ততকালীন মুসাফির, বেদুইন, বনিকেরা যাতে রাতের তারা দেখে তাদের পথ চিনে নিতে পারে সে হিসাব করে সেখানে একটা স্তম্ভ বসায়। পরে ব্যাবসা বানিজ্যের বাইরে এই গুরুত্ব বাড়তে থাকে এবং প্রায় ২০০-২৫০ বছর পর অর্থাৎ মোহাম্মদের জন্মের ৪০০ বছর আগে ততকালীন রাজা কাবার ভেতর হুবালের মূর্তি বসায়। হুবাল ছিলো তখন সন্তানের উর্বরার তথা বেশ ক্ষমতাশালী দেবতা। এই কাবাকে ঘিরে বেদুঈনরা তাদের ঝগড়া বিবাদ মিটমাট করতো এবং সবচেয়ে আশ্চর্য্যের ব্যাপার হলো হুবালের মূর্তির চেহারা জার্মানীতে ৪০০০০ বছর আগে গুহার ভেতর পাওয়া উপাসনার ফিগারিন এবং অস্ট্রেলিয়াতে পাওয়া ৩৫০০০ বছর আগের ফিগারিনের সাথে অদ্ভূত মিল আছে।

মোহাম্মদ যখন মক্কা দখল করেন তখন কাবার ভেতর ৩৬০ টা মূর্তির সাথে ঈসা ও মরিয়মের একটা ছবি ছিলো। মোহাম্মদ প্রায় সব কিছুই বের করে ভেঙ্গে ফেলেন। যদিও এখনো কাবার ভেতর প্যাগানদের সাদৃশ্যসম কিছু জিনিসপত্র ঝুলানো আছে। মোহাম্মদ সেগুলো সরাননি। এছাড়া সুমেরিয়ান, গিলগামেশের গ্রন্থে কাবার কোনো মেনশন না থাকলেও ১০০০ শতকের দিকে আরবের লোকজন যখন সেগুলোর অনুবাদের সংকলন করে তখন সেখানে কাবা ঢুকিয়ে দেয়। আর এই যে এত লক্ষ লক্ষ নবী রাসূল, কখনো একটু নিজে গুনে দেখেছেন সীরাত, কোরান হাদিসে কয়টা নবীর নাম আছে এবং তাদের অবস্থান কোথায়? মোহাম্মদের দরকার ছিলো লেজিটিম্যাসী এবং এমন একটা হাইব্রীড কিছু যেখানে খ্রিস্টান ইহুদী এবং মূর্তিপূজক প্যাগান কোরাইশরা এক ছাদের নীচে থাকতে পারেন। অবশ্য মোহাম্মদ এই ধারনা পেয়েছিলেন নওফেলের কাছ থেকে। কিন্তু নওফেল আর খাদিজা মারা যাবার পর তার মধ্যে সম্রাজ্যবাদী নেশা চেপে বসে।

আপনি নিজে একটু পরখ করে পড়ালেখা করে দেখুন। যদি ভিন্ন কোনো তথ্য পান জানাতে পারেন।


তারা কি সত্যিকারের মানবতাবাদী মহামানব ছিলেন, নাকি অন্য কিছু?

উত্তর: এর চেয়ে বড় কথা হলো তারা বাস্তবে সত্যি সত্যি এক্সিস্ট করতো কিনা। হ্যা, কেউ কেউ ছিলেন ভালো শাসক। অনেকেই ভালো কিছু কাজ করেছেন যেগুলো মানবিক। কিন্তু প্রশ্ন আসতে পারে আপনি কোন গ্রন্থের সাপেক্ষে সেগুলো বিচার করবেন। কোরানের সাপেক্ষে যার পুরোটাই ভুল ও টুকলী তথ্যে ভরা। বাইবেলে সৃষ্টির ঘটনা লিখতে গিয়ে ভেজাল করে বসেছে। তোরাহ তো পুরাই গিলগামেশ সুমেরিয়ান আর জুরুস্থ্রু মিক্সড। এমনকি আল্লাহ নামের প্রচলন শুরু হইছিলো নবীর জন্মের ৩০০ বছর আগে যখন কিনা ইহুদীরা ইসরায়েল ছেড়ে আরবের বিভিন্ন জায়গায় বসতী স্থাপন করতে থাকে এবং মরূভূমির বুকে ফসল উৎপাদন শুরু করে। তখন চন্দ্র দেবতা ঘারানিক, লুতের বাপ আল্লাহ কে বসানো হয় একটা স হ দেবতা হিসেবে। যদিও অনেকে এটা বলতে চান ইয়াওয়ের আরবী রূপ আল্লাহ কিন্তু সেটা নবী মৃত্যুর অনেক পর বইগুলো লেখা হইছে। তার মানে এসব গ্রন্থে যা লেখা আছে তা যদি শুধু সাহিত্যকর্ম হিসেবে ধরেন এটা আপনাকে মজা দেবে, অনেক কিছু শিখতে পারবেন কিন্তু ইতিহাস বা কংক্রিট কোনো তথ্য চাইলে আশাহত হবেন। এগুলো সবই শুধু মিথ। যতটুকু সত্য আছে তা পরিবর্তিত পরিবর্ধিত হতে হতে বহুলাংশে পরিবর্তিত হয়েছে।
আর ১০ কমান্ডমেন্টস লেখা হইছে হিট্টি ও মেসোপটেমিয়ার নিয়মকে পরিবর্ধিত পরিশোধিত রুপে। আর যেখানে ঈসার কোনো অস্তিত্বের প্রমান পাওয়া যায় না সেখানে তারা সাহাবী হবেন কি করে। সত্য কথা হলো বাইবেল কোরান ছাড়া অন্য কোনো দলিল বা পান্ডুলিপি বা রেকর্ড বই তে ঈসার কোনো উল্লেখ নাই। তবে এটা উল্লেখ আছে তখন রোমান শালারা সামান্য ছলছুতোয় লোকজন ক্রুশবিদ্ধ করতো। এবং সেসময় বেশ কিছু বিপ্লবী ও বিদ্রোহী নেতা ছিলো যাদেরকে শালারা নির্মমভাবে হত্যা করেছিলো। তাদেরই কোনো প্রতিকী রূপ হবে এই ঈসা। সে হিসেবে মোহাম্মদের অস্তিত্ব বাস্তব।

ধন্যবাদ ফিরতি মন্তব্যের জন্য

১৯| ১২ ই মার্চ, ২০১৯ রাত ১:০৩

রাতুল_শাহ বলেছেন: আরবের কোরানের সাথে উপমহাদেশের কোরান মেলে না।

ভাই আরব আর উপমহাদেশের কোরআনের পার্থক্য হওয়ার কি কোন কারণ থাকতে পারে?

১২ ই মার্চ, ২০১৯ সকাল ১১:৫৪

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: উসমান সাহেব কোরান সংকলন করবার আগে বিভিন্ন সাহাবী এমনকি কোরান লেখক বাজারে পাইরেটেড কোরানের কপি ছাড়ে। পরে উসমান সরকারিভাবে কোরান সংকলিত করে চারিদিকে তার কোরান গ্রহন করবার জন্য চাপ প্রয়োগ করতে থাকে তখন কেউ কেউ চার ওপর ক্ষ্যাপা থাকার কারনে তার চাপের কাছে থোড়াই মাথা নত করছে। এখন তার ওপর কেউ কেউ ক্ষ্যাপা ছিলো না কেন সেইটাও একটা ইতিহাস।

এখন তাদের কামড়া কামড়ির সাইড এফেক্ট হইলো বর্তমানের ১৪ পদের কোরান। যাকে আমরা অবিকৃত ভেবে ধর্মীয় অর্গাজমে ভুগতে পছন্দ করি।

২০| ১৪ ই মার্চ, ২০১৯ ভোর ৫:৪৯

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
স্যার, আ‌মে‌রিকার বিশ্ব‌বিদ্যালয়গু‌লোর ছাত্রসংসদ নির্বাচন নি‌য়ে এক‌টি পোস্ট দিন। জীব‌নে হয়‌তো ওই দে‌শে যে‌তে পার‌বো না। আপনার মাধ্য‌মে জানার প্রয়াস ।

১৪ ই মার্চ, ২০১৯ দুপুর ১:১৯

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: এই সেরেছে! বড্ড কঠিন প্রশ্ন করেছেন। ইউনি যাই না কত বছর হলো। আমেরিকার ইউনি চোখে দেখার সুযোগ হয়নি। সবচে ভালো হয় আমেরিকান ইউনির বায়োলজির প্রভাষক হাসান কালবৈশাখীরে নক দেন। এছাড়া এসব ছাত্র ইউনিয়ন নিয়ে আমার কখনো উৎসাহ বা এতে কোনো সম্পৃক্ততা ছিলো না

২১| ১৪ ই মার্চ, ২০১৯ বিকাল ৫:৩৭

স্বপ্নডানা১২৩ বলেছেন: @ মাহমুদুর রহমান , যদি আয়াতের রেফারেন্স সহ কয়ডা আবিস্কারের কথা স্পেসিফিক্যালি উল্লেখ করতেন তাইলে জাতি আপ্নেরে ধইন্যা দিতাম পারত । #:-S #:-S

১৪ ই মার্চ, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:০৭

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: নিশ্চিন্ত থাকুন সে তর্ক করার সাহস ও মুরোদ ওনাদের নেই। পারবে শুধু খিস্তি খেউড় ভয় দেখানো মিথ্যা অভিশাপ আর হিংসায় জ্বলা কিছু আবোলতাবোল মারফতি বিদ্বেষপূর্ন কথা বলা।

এদের থেকে সমাজ জাতি কখনোই উপকৃত হয় না।

২২| ১৬ ই মার্চ, ২০১৯ রাত ১২:২৯

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: বিস্তারিত উত্তরের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। আমার কিছু প্রশ্নের উত্তর এখনো ঠিক বুঝি নি বা স্পষ্ট হয় নি। প্লাস নতুন আরো কিছু প্রশ্ন।

১। বাইবেল, তাওরাত, ইত্যাদি গ্রন্থের বাণীগুলো কি আল্লাহ পাঠিয়েছেন কোনো অহীর মাধ্যমে, নাকি মানুষের লেখা? জানা না থাকলে মতামত দিন।

২। মক্কা ব্যবসা কেন্দ্র হওয়ায় সেখানে অনেক লোকের সমাগম হতো। ঠিক এটা থেকেই কি বাইবেল আর তাওরাতের কাহিনি কোরানে ঢুকে পড়া সম্ভব? কোরানে কি আগের ধর্মগ্রন্থ থেকে নতুন কিছু নেই?

৩। আপনি বলেছেন কোরানের ১২টি ভার্সন রয়েছে। এগুলোর কি কোনো প্রিন্টেড স্যাম্পল আপনার কাছে আছে, যা থেকে ভাষ্যগুলো পরিষ্কারভাবে পার্থক্য করা যায়? পুরো কোরান দিলে বের করতে পারবো না। যদি নির্দিষ্টি কিছু পাতা, যা ছাপানো হচ্ছে এ দেশ সহ বিভিন্ন দেশে, তার লাল দাগ করা ইমেজ দিলে বুঝতে সুবিধা হতো। ইমেজ তো এখন দেয়া যায় না, অন্য কোনো স্থানের লিংক বা ডাউনলোড লিংকও দিতে পারেন।

শুভেচ্ছা রইল।

১৬ ই মার্চ, ২০১৯ রাত ১১:২৯

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: আপনার জানার আগ্রহ প্রশংসাযোগ্য কিন্তু প্রশ্ন হলো একজন বিশ্বাসী মুসলিম হয়ে এসব জেনে লাভ কি! বরংচ আপনি যদি নিজের মধ্যে যুক্তি দিয়ে বিশ্লেষনী চিন্তা ভাবনা মাথায় ঢোকান এবং কখনো যদি এসব নিয়ে সত্যি একটু পড়ালেখা করেন তখন শেষ বয়সে ঈমান হারাতে হবে। এসব যুক্তি দিয়ে বিশ্লেষন করার স্পৃহা অনেকটা এডিকটিভ এবং এজন্যই যারা মেধাবী এবং গবেষক তারা সুস্থ প্রকৃতির হতে পারেন না বা মানসিক দিক থেকে অন্যান্য ব্যাপারে উদাসীন হয় কারন সে যুক্তির নেশায় আসক্ত।

তাই একবার নিজেকে প্রশ্ন করুন আপনি আপনার বিশ্বাস নিয়ে যুক্তির খেলায় খেলতে সাহসী কিনা।

ধন্যবাদ

২৩| ১৬ ই মার্চ, ২০১৯ রাত ১১:৫৬

নতুন বলেছেন: @ সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই দুনিয়াটা কিন্তু খুবই সাভাবিক একটা নিয়মে চলে....

সেটা হইলো ১+১=২ যখন দেখবেন কেউ ৩,৪,৫ বোঝানের চেস্টা করতেছে তখন সেখানে ঘাপলা আছে।

কালোজাদু বলে কিছই নাই... অলোকিক বলে কিছু নাই... কিছু জিনিস মানুষ ব্যক্ষা করতে পারেনা তাই সেটা অলৌকিক বলে মেনে নেয়...

কেরামতি বলে কিছু নাই... বত`মানের অনেকের ক্যরামতি জেমস রেন্ডী নামক এক জাদুকর ফাস করেছেন.... তার সম্পকে একটু গুগুলে খুজে দেখুন বুঝতে পারবেন পীর ফকিরা কিভাবে কেরামতি করে...

আর আপনার প্রশ্নের উত্তরে উদাশি ভাই যেই তথ্য দিছে তার সাথে সহমত...

১৭ ই মার্চ, ২০১৯ রাত ১২:২৭

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: কি খবর? একটা কথা বলার ছিলো, মাহমুদুর রহমানের একটা পোস্টে সর্বশেষ কমেন্ট দেখলাম। বলতে পারেন সেরা একটা কমেন্ট করেছেন। আপনাকে ধন্যবাদ দেবার যোগ্য

২৪| ১৭ ই মার্চ, ২০১৯ রাত ১:০৬

নতুন বলেছেন: চলতেছে ভাই.... জীবন তো... যতদিন জীবিত আছে চলতেই তো হবে... :)

১৭ ই মার্চ, ২০১৯ ভোর ৪:১৪

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: খাঁটি কথা বলেছেন। ছোটবেলা কতকিছু ভাবতাম, এটা করবো সেটা করবো। এখন মনে হয় এসব করার পরও একটা বোরিংনেস চলে আসছে। মনে হয় জীবনের লক্ষ্যগুলো খুব সহজ ছিলো।

এমন লক্ষ্য ধ্যান জ্ঞান করা দরকার ছিলো যেটা অসম্ভব সেরকম কিছু। বড্ড একঘেয়ে লাগে ইদানীং। তবে পুরোনোদের মধ্যে আপনাদের কয়েকজনকে একটিভ দেখে ভালো লাগে

কিপ ইট আপ বস

২৫| ১৭ ই মার্চ, ২০১৯ রাত ১০:৩৫

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: বলতে পারেন আমি জাদুর পোকা। তার মানে এই না যে আমি জাদুকর :) জাদুর প্রতি আমার এক অদম্য উৎসাহ আছে। যে-কোনো যাদু দেখলেই আমি খুঁটতে থাকি এটা কীভাবে হয়েছে? এখন তো ইউটিউবে প্রতিটা যাদুর সিক্রেটস পাওয়া যায়। Magic's Biggest Secrets Finally Revealed সিরিজ যদিও বেশিরভাগ নিম্ন মানের ম্যাজিক রিভিল করেছে, কিন্তু অনেক জটিল কিছু ম্যাজিকের ক্লু-ও এতে পাওয়া গেছে। কপারফিল্ডের অনেক ম্যাজিকের রহস্য ভেদ করতে পারছিলাম না, এবং শেষ পর্যন্ত সেগুলোও ক্লিয়ার হয়েছে (অল্প দু-এক্টা বাদ থাকতে পারে)। আমি ব্ল্যাক ম্যাজিক বলে সত্যিই কিছু আছে কিনা সেটা জানার চেষ্টা করছি। ম্যাজিকের মাধ্যমে অন্যের ক্ষতি করাকে যে 'ব্ল্যাক ম্যাজিক' বলেন অনেকে, আমি এর বাইরে অলৌকিক 'ব্ল্যাক ম্যাজিকে'র কথা বলছি। ব্ল্যাক ম্যাজিকের অস্তিত্ব পাওয়া গেলে অনেক প্রশ্নের উত্তর মিলে যেত। আমি নিজে দুটি 'অলৌকিক ঘটনা'র সাক্ষী, যার সুরাহা আমি নিরন্তর খুঁজে যাচ্ছি। ঘটনাটা কীভাবে ঘটলো, তার ব্যাখ্যা মানুষের কাছে খুঁজতে খুঁজতে শেষ পর্যন্ত একজন জানিয়েছিলেন (ঘটনার দীর্ঘ প্রায় ৩০-৩২ বছর পর) যে আয়াতুল কুরসী উলটা করে পড়ে 'ব্ল্যাক ম্যাজিক'-এর দ্বারা ওটা করা হয়েছিল। উলটা করে পড়া আমার পক্ষে সম্ভব না। আর, আমি ভীতু না। আমি গভীর অন্ধকারে একা নির্জন রাস্তায় হেঁটে চলা পাবলিক। গভীর রাতে কবরস্থানের পাশ দিয়ে নির্বিকারে হেঁটে যেতে আমার কখনো ভয় হয় নি। আমি ভূত বা প্রেতে নিকুচি করি। কিন্তু আমার নিজ জীবনে ঘটে যাওয়া দুটো ঘটনার সুরাহা না মেলা পর্যন্ত আমার শান্তি হতে সময় লাগবে। ঘটনাটা আমি বুঝিয়ে বলতে পারবো না। অলৌকিক ঘটনা নিয়ে আমার দীর্ঘ একটা সিরিজও আছে। এই লিংকের উপর থেকে পুরোটাই গল্প। কিন্তু 'আড়িয়াল বিলের হাঁটুপানি পার হয়ে দীর্ঘ ৮ মাইল পথ পায়ে' অংশের পর থেকে নীচের অংশ বাস্তব। এটা ছাড়া আরো একটা ঘটনা ঘটেছিল, আমার চোখের সামনে আমার মায়ের উপর। সেটা ব্যাখ্যা করে বোঝাতে পারবো না বলে বলছি না। অলৌকিক বলে কিছু নেই। কিন্তু এই 'লৌকিক' ঘটনার ব্যাখ্যা আমি পাচ্ছি না। ওটা কোনো হাতের কারসাজি, ভেলকিবাজি হওয়ার সম্ভাবনা একেবারেই নাই।

আমার উপরের কমেন্টে যেগুলো জানতে চেয়েছি, আপনার কাছে ওগুলো থাকলে দিতে পারেন। আমার 'বিশ্বাস' পরিবর্তনের সম্ভাবনা মোটেও নাই। শুধু জানার ইচ্ছা। আমি উপরে একটা কথা বলেছি, হয়ত খেয়াল করেন নি- "যে-কোনো যুক্তি-তর্ক আসলে জ্ঞান ও বুদ্ধির খেলা। আপনার কথাকে আমি খণ্ডন করতে পারলেই আপাত মনে হয়, আমার কথাগুলোই সত্য; কিন্তু আমার কথাগুলোকে অন্য একজন যখন খণ্ডন করে তুলোধুনা করেন, তখন তারই বিজয় সূচিত হয়।" কিন্তু তিনিও পরাজিত হবেন, যখন অন্য কেউ এসে তাকে বোল্ড আউট করে দেবেন। কাজেই, এসব তর্কের শেষ নাই- এটা ধরে নিয়েই আমি 'বিশ্বাসে'ই আস্থা রেখে দিয়েছি।

আমি এসব জানতে চাইছি এজন্য যে, এগুলোর বিপরীতে কোনো উত্তর আছে কিনা, তার সন্ধান পাওয়ার আশায়।

ভালো থাকবেন।

১৯ শে মার্চ, ২০১৯ সকাল ১১:১২

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: আয়াতুল কুরসী উল্টো করে লিখলাম

মজীআ লয়্যুলিআ লয়াহুয়ালও মাহুজুফহি হুদুউ য়াই লায়াও দ্ রআ লয়াও তিয়াও মাছা সহুউই সিরকু য়াসিয়াও আসা মাবি ল্লাই হিমি ল্ই নমি ম্ই ইশাবি নাতুহি উই লায়াও মহুফা লখ মায়াও মহিদিইআ নাইবা মা মুলা য়াই হিনিজই বি ল্লাই হুদা নই য়ুফা সয়াই যাল্লাসী নমা। দ্ রআ লফি মায়াও তিয়াও মাছাছফি মা হুলা। মউনা লায়াও ত্যুনাসি হুজুখ’তা লা ময়্যুইক্ব লয়্যুইহা লয়াহু ল্লাই হালাই লা হুল্লাআ।
তারপর চাইলাম আমার মায়ের কিডনি দুটো ঠিক হয়ে যাক। তার একদিন পর মাকে ফোন দিলাম! ওয়ালা! মায়ের কিডনি দুটোই সেরে গেছে। বিশ্বাস করবেন? কোরানের কোন দোয়া বা সুরা উল্টো করে পড়তে বলেন আমাকে শুধু একবার মেনশন দেন, আমি ব্লগে লিখে তা পড়ে শোনাব সবাইকে, তারপর আমি শুধু একটা জিনিসই চাইবে আমার মায়ের কিডনি ঠিক হয়ে যাক।

কি বলবেন? আমার মনে বিশ্বাস ছিলো না? আচ্ছা যান ২০ রাকাত নামাজ বিশ্বাস দিয়ে পড়বো। যদি বলেন বিশ্বাস নিয়ে হজ্বটাও করে আসবো। আমার এখান থেকে আমি যেকোনো সময় হজ্ব করার ক্ষমতা রাখি। তারপর বলেন যে কাজ হবে? আপনি নিজে কি বিশ্বাস করেন?

উল্টো করে কুফরী কালাম করলে নাকি সব মেলে। ক্লাস এইটা যখন আসগর আলীর বিগ ব্যাং থিওরী পড়ে অবিশ্বাসী হই তখন সবার সুরা ইউনুস আর সুরা জ্বিনের ওপর সেই এক্সপেরিমেন্ট চালাই। ফলাফল কি হতে পারে ভেবে দেখেন।

আপনার গল্পটার একটা কারন হতে পারে সেটা হলো একটা নির্দিষ্ট এঙ্গেলে একটা চেহারা সবার সাথেই মেলে কিন্তু আপনার গল্পে সে যেটা করছে সেটা হলো পুরোনো কার্ড ট্রিক। ট্রিকটা হলো আপনাকে তিনটা কার্ড দেখানো হলো তিন রঙ্গের। পরে সে শাফল করে হঠাৎ করে আপনাকে যে কার্ড তিনটা দেখানো হলো সেটা একই। কিন্তু তার দানার কথা না কারন আপনি র্যান্ডম তিনটা চয়েজ করেছেন। সমস্যা হলো সে েকই কার্ড দেখায়নি। দেখিয়েছে একই কালার কিন্তু অনেকটা একই কার্ড। ট্রিক্সটা ছিলো তার ছবিতে।

আসলে অলৌকিক বলতে কিছু নাই। রাতের আঁধারে অনেকেই হাটে, রাস্তাঘাটে বনে বাদারে অন্ধকারে দেখবেন দুস্থ মানুষরা শুয়ে থাকে। কিন্তু হঠাৎ করে দূর থেকে অজানা কিছু শুনলে তারাও ভয় পেয়ে যাবে। ভয় পাওয়া মানুষের মস্তিস্কের বায়োলজিক্যাল ব্যাপার যেমনটা ঈশ্বর বিশ্বাস আপনার মস্তিস্কে একটা নির্দিষ্ট অংশই আছে। আপনি চাইলেও এটা এড়াতে পারবেন না। কারন এটা জন্মগতভাবেই আপনার মস্তিস্কে সেটে দেয়া। কিন্তু আমাদের পূর্ব পুরুষ নিয়েন্ডারথালেদের মাথায় এটা ছিলো না কিন্তু তারা আত্মায় বিশ্বাস করতো। কিন্তু তাই বলে সত্যি আত্মা আছে এটা ভুল। তেমনি ভুল অলৌকিক বা ব্লাক ম্যাজিক।

একটা হাস্যকর জিনিস মনে হয় মানুষ কোয়ান্টাম ফিজিক্স বিশ্বাস করে না, কিন্তু স্মার্ট ফোন চালিয়ে ঠিকই ব্লাক ম্যাজিকে তার জীবনের মূল্যবান সময় ব্যায় করে। এই লাইনটা যদি আপনার মনে কখনো নাড়া দেয় হয়তো আপনি আপনার ইউটোপিয়া থেকে বেরুতে পারবেন। আপনি মেধাবী, সে যোগ্যতা আপনার আছে

হ্যাপি ব্লগিং

২৬| ১৯ শে মার্চ, ২০১৯ দুপুর ২:৪৬

নতুন বলেছেন: ভাই কিডনির জন্য স্টেমসেল চিকিতসা নিয়ে পড়েছিলাম.... সেই বিষয়ে একটু খোজ নেন.... এটা মনে হয় বেশ কাজের হবার কথা।

এটার প্রচারনা কম কারন লাভ কম....

১৯ শে মার্চ, ২০১৯ দুপুর ২:৫৯

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: স্টেমসেল এখনো এফডিএ পারমিশন দেয়নি। অস্ট্রেলিয়াতে একটা মেয়ে যেকিনা ইএসআরডি প্যাশেন্ট ছিলো তার ক্ষেত্রে সফলতা পেলেও বাকিদের ক্ষেত্রে পাওয়া যায়নি কারন কিডনি একটা জটিল অঙ্গ। এর মধ্যে কয়েকপ্রকারের কোষ আছে যাদের রিজেনারেশন গঠন প্রক্রিয়া একটু আলাদা বিশেষ করে নেফ্রন টাইপের সেল গুলো। বিজ্ঞানীরা এসব সেলের স্টেম কালচার আর তার প্রয়োগ নিয়ে এখনো সুনিশ্চিত ফল পাননি। তবে এক্ষেত্রে আর্টিফিসিয়াল কিডনি যেটা কিনা শুভরয়ের প্যাটেন্ট সেটার হিউম্যান ট্রায়াল শুরু হবে ২০২০ এ। এটা শুরু হবার কথা ছিলো ২০১৮ তে কিন্তু সরকারী গ্রান্ড দেরীতে এসেছে তাও মাত্র ৬ মিল।

আর দেশের বাড্ডার দিকে যে বিশাল বিল্ডিং সেখানে একটা কিশোরের স্টেমসেল দিয়ে চিকিত্সা নিয়েছিলো। কথা ছিলো ২-৩ মাস পর ডায়ালাইসিসের সংখ্যা কমে আসবে। তিন মাস পর দেখা গেলো স্টেমসেল যা দিয়েছে তা অকার্যকর। এটা অনেকটা অসহায় ডেসপারেট মানুষের কাঁঠাল ভেঙ্গে খাওয়া আর কি। বঙ্গবন্ধু হাসপাতালে এটা নিয়ে গবেষনা হচ্ছে এবং তারা নিজেরাও জানে না এমন অপরিপক্ক টেক কিভাবে এমন প্রকাশ্যে চালাতে পারে। সমস্যা হলো এটা সোনার বাংলা হীরক রাজার দেশ।

ধন্যবাদ ভাই

২৭| ২৪ শে মার্চ, ২০১৯ সকাল ১০:২১

স্বপ্নডানা১২৩ বলেছেন: একটা হাস্যকর জিনিস মনে হয় মানুষ কোয়ান্টাম ফিজিক্স বিশ্বাস করে না, কিন্তু স্মার্ট ফোন চালিয়ে ঠিকই ব্লাক ম্যাজিকে তার জীবনের মূল্যবান সময় ব্যায় করে।


=== কাল রাতে মোবাইলে কমেন্টখানা পড়েছিলুম । পুরো কমেন্টই অতীব সুস্বাদু আর এই কথাটা বিশেষভাবে ।

২৪ শে মার্চ, ২০১৯ দুপুর ২:০৯

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: কি খবর আপনার? বাংলাদেশ থেকে কি সত্যি ব্লগ দেখা যায় না এখন?

২৮| ২৪ শে মার্চ, ২০১৯ দুপুর ২:২৭

স্বপ্নডানা১২৩ বলেছেন: হুম অনেক আইএসপি থেকেই সামু দেখা যাচ্ছে না । অসুবিধে হচ্ছে না , ল্যাপ্পিতে অপেরা ভিপিএন আর মোবাইলে অপেরা বেটার ভিপিএন দিয়ে কাজ চলছে ।

আরেক পোসটে আপনি ছবির কথা বলেছিলেন, ছবির আপলোড সামুই সম্ভবত বন্ধ রেখেছে ।

আপনাকে কমেন্ট ব্যান করার সুবিধা হল - এতে করে ফরিদ বিজ্ঞানীরা দুইলাইন শান্তিতে লিখতে পারে :P :P

২৪ শে মার্চ, ২০১৯ বিকাল ৩:০০

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: কিন্তু নতুন নকিবের মরিস বুকাইলির পোস্ট সহ অনেকের পোস্টেই তো ছবি দেখছি। সেটা কিভাবে সম্ভব? আমি কি আপলোডের পদ্ধতি ঠিকভাবে অনুসরন করছি না?

২৯| ২৪ শে মার্চ, ২০১৯ বিকাল ৩:৩৫

মাহমুদুর রহমান বলেছেন: সমস্যা হলো মানুষ পাপ করে হৃদয় অর্থাৎ হৃৎপিন্ডের মাধ্যমে না। এটা একটা ভুল ধারনা। মানুষের চিন্তাধারার সবকিছুই পরিচালিত হয় মস্তিস্কের মাধ্যমে এবং মস্তিস্ক কখনোই হাতের তালুর মতো খোলা নয়। মস্তিস্ক যে চিন্তার আধার সেটা নবী মোহাম্মদ জানতেন না। তাই তিনি ধরেই নিয়েছিলেন মানুষ চিন্তা করে হৃৎপিন্ডের মাধ্যমে যেটা আসলে একটা হাস্যকর ব্যাপার। তারপরও যদি ইনায় বিনায় ধরে নিলাম তারপরও হৃদপিন্ড যদি ধরেই নেই তাহলে কালো দাগ পড়ার সাথে পাপের কি সম্পর্ক সেটা বুঝলাম না। হৃদপিন্ডে তখনই কালো দাগ পড়ে যখন হার্ট এ্যাটাকের কারনে রক্ত জমাট বাধে। এবং কেউ যদি তিনবার হার্ট এ্যাটাক করে তারপর আর সে বেচে থাকবে না। আর আধুনিক সায়েন্সের বদৌলতে আমরা সবাই জানি হার্ট এ্যাটাক পাপের কারনে হয় না। বেশী করে চর্বি যুক্ত গরু খাসী খেলে, সারাদিন ঘরের ভেতর ভুজুর ভজুর করলে, ব্যায়াম না করলে হয়।

হৃদয় বা মন হচ্ছ ভাবগত একটা ব্যাপার।আমরা যখন বলি, পড়ায় মন দাও তখন মানুষ মস্তিষ্ক খাটিয়ে ভাবতে শুরু করে।এই জিনিসটা একটি গুনবাচক শব্ধ কিন্তু এর অর্থ এই নয় যে মনের স্থান মস্তিষ্কে। আশা করি বুঝতে পেরেছেন এটা ভিন্ন কিছু।
সুতরাং আপনি যে কথাটা বললেন, সাহাবী ক্বাতাবার মতে তারা যখন শয়তানকে মান্য করা শুরু করে তখন শয়তান দ্বারা চালিত হয়।এটা মিথ্যে নয়।

তার মানে আপনার দেয়া আয়াতেই প্রমান হচ্ছে কোরানে যেটা বলা সেটা পুরোপুরি বানোয়াট এবং অবাস্তব ও অবৈজ্ঞানিক। এমনিতে কোরানে ভুলের অভাব নাই। টুকলি তার ওপর ড. গ্যালনের ভ্রুনবিদ্যা মেরে দিয়েছে তারপর চাদের দ্বিখন্ডন তো আরেকটা জোক।

এ সব তো আপনার মন গড়ানো কথা। আচ্ছা কোরআনে একটা ভুল বলেন তো দেখি।

আমি একসময় মাদ্রাসা পড়েছিলাম , হেফজ করেছিলাম কিছুদিন, বড় হয়ে তাবলীগও করি। এখনো কোরানের তাফসীর সীরাত হাদীস নখের ডগায়। আপনি অশিক্ষিত মূর্খ বলে এসব জানেন না তাই কোরানের মতো ফালতু সস্তা মিথ্যা গ্রন্থ বিশ্বাস করেন যেটা সম্পূর্ন আপনার ব্যাপার এবং তাতে আমার কোনো সমস্যা নেই। সেখানে আমার পোস্টে এসে এভাবে বিষেদগার ছাড়তে গিয়ে অপমানিত হবার কোনো মানে দেখি না।

আমাকে বলুন,এটা আপনার কাছে মিথ্যা মনে হয় কেন?কয়টা ভুল বলুন আমি দেখি সেগুলো খন্ডন করতে পারি কি না।

২৫ শে মার্চ, ২০১৯ রাত ৩:৫৯

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: ধন্যবাদ সাহস করে ফিরে আসার জন্য। মিথ্যা ধর্ম আর ভন্ড মোহাম্মদের ভোজবাজী নিয়ে আলোচনা করতে মজা পাই। মনে হয় আমি যেনো গোপাল ভাঁড় পড়ছি।

হৃদয় বা মন হচ্ছ ভাবগত একটা ব্যাপার।আমরা যখন বলি, পড়ায় মন দাও তখন মানুষ মস্তিষ্ক খাটিয়ে ভাবতে শুরু করে।এই জিনিসটা একটি গুনবাচক শব্ধ কিন্তু এর অর্থ এই নয় যে মনের স্থান মস্তিষ্কে। আশা করি বুঝতে পেরেছেন এটা ভিন্ন কিছু।

আপনাকে একটা স হী হাদিস দিচ্ছি যেখানে কোরানের আয়াত স হ তার সুন্দর ব্যাখ্যা আছে। সমস্যা হলো বাংলাদেশের জঙ্গি মুসলমানরা কোরান হাদিস না জেনে বুঝেই মুসলমান। এবং তারা অনেকটা না জেনে বুঝে ইসলামকে বাঁচাতে আসে যেটা একটু হাস্যকর কিন্তু তারা নির্লজ্জ বিধায় তাদের আত্মসম্মানে লাগে না। হাদিসটি ইংলিশে: এই হাদিসে ভন্ড নবী হালাল কাজ করলে হৃদয় কিভাবে চলবে এবং হারাম কাজ করলে কিভাবে মোহর পড়বে সেটা বলা আছে এবং বলা আছে যেটাতে মোহর পড়বে সেটা একটা মাংসপিন্ড এবং সেটা হার্ট বা হৃদয়। এখন আমরা যতদূর জানি মস্তিস্ক কোনো মাংসপিন্ড দিয়ে তৈরী নয়, নিউরন নামের কোষ দিয়ে গঠিত যার কোষের একটা বড় অংশ ফ্যাট তাও আনস্যচুরেটেড। এবং বায়োলজী সম্পর্কে ন্যুনতম ধারনা যদি থাকে তাহলে আপনি জানবেন আনস্যাচুরেটেপ ফ্যাট কিটিনে পরিনত হয় না বিধায় এটা মাংসপিন্ডের গঠনেও সাহায্য করে না। আপনার (যেহেতু আপনি অজ্ঞ) কথা মতে মস্তিস্ক তো মাংসপিন্ড হবার কথা, কিন্তু নবী মোহাম্মদ সেটা না বলে বলেছেন হার্ট। এখন আপনি আমার ব্যাখ্যা বিশ্বাস করেন না ? তাহলে লিংকের নীচে গিয়ে তাফসীরটা পড়ুন এবং বিশেষ করে সা''দ আল দারা'ই অংশটি।

টুকলি ভন্ড ডাকাত দাসব্যাবসায়ী শিশুকামী মোহাম্মদ তার আরও অনেক হাদিসে হার্ট নিয়ে তার ভ্রান্ত ধারনার প্রকাশ ঘটিয়েছেন যেগুলো ক্লাস ৫-৬ এর পোলাপান যেকিনা একটু সায়েন্স টায়েন্স বায়োলজী পড়তেছে তারাও ধরতে পারবে। সেরকম সহী, খাটি রেয়াত ও স হী সনদ সমৃদ্ধ যদি চান আমি দিতে পারবো ব্লগ ভরে এবং ট্রাস্ট মি, আমি আপনাকে ইসলাম থেকে বের করতে চাই না, আমি চাই যুক্তি সম্পন্ন সকল মানুষ ইসলাম ঘৃনা করুন এবং ইসলামোফোব হোক। তার আগে ডাকাতের লেখা কোরানের একটা আয়াত দেই ৩৯:২২ - আল্লাহ যার বক্ষ ইসলামের জন্যে উম্মুক্ত করে দিয়েছেন, অতঃপর সে তার পালনকর্তার পক্ষ থেকে আগত আলোর মাঝে রয়েছে। (সে কি তার সমান, যে এরূপ নয়) যাদের অন্তর আল্লাহ স্মরণের ব্যাপারে কঠোর, তাদের জন্যে দূর্ভোগ। তারা সুস্পষ্ঠ গোমরাহীতে রয়েছে।

আবার স হী মুসলিমের এই হাদিসে ভন্ডটা নিজের হার্ট হাত দিয়া দেখাইছে। মানুষ বলে বিশ্বাস হার্ট মানে হৃৎপিন্ড থিকা করে, মাথা থিকা না! কই যাই। আরো লাগলে বইলেন। ভন্ড ডাকাতের গোমরফাকে মজা আমার সারা দিন।

আচ্ছা কোরআনে একটা ভুল বলেন তো দেখি।

১) সূরা ক্বামারের প্রথম দুই আয়াতে ভন্ড ডাকাতব্যাবসায়ী নবী চাঁদ দ্বিখন্ডন করছে কিন্তু নাসা পর্যন্ত এই দাবীকে মিথ্যা বলছে। এখন জঙ্গি মুসলমানরা বলে যে নাসা নাকি মিথ্যা ও ধোকা বাজী করতেছে আমজনতার সাথে। তাইলে গুগলের টেলিস্কোপ দিয়া দিলাম। রিয়াল টাইম চাদের হাই রেজুলেশন ফটো দেখে আমার চাদের দুইভাগার ছবি দেন। নিজে দেখেন নিজে দেন। এরা থ্রিডিতেও চাঁদ দেখায়। বড় ওএলইডি যদি থ্রিডি সাপোর্ট করে তাইলে সেইটাতে বইসা দেখেন।

২) ভ্রূনবিদ্যা নিয়া ডাকাত মোহাম্মদ তার লেখা কোরানে ভ্যাজাল বাধাইছে। একে তো টুকলি নবী তার জন্মের চারশ বছর আগে শুয়োরের ডাক্তার হিপোক্রিটাস ও তার ছাত্র ড. গ্যালনের গবেষনা পুরাপুরি মাইরা মানুষের খাতায় ঢুকায় দিছে। কোরানে ৯৬:২ এ সৃষ্টি করেছেন মানুষকে জমাট রক্ত থেকে (ʿalaqin
a clinging substance অর্থাৎ নিজের আকার আকৃতি অনুযায়ী কোনো কিছুর সাথে লেগে থাকা। ক্বাথীরের তাফসীর অনুসারে These Ayat inform of the beginning of man's creation from a dangling clot অর্থাৎ জমাটবাধা রক্ত।) বৈজ্ঞানিকভাবে মানবভ্রুন জমাটবাধা রক্ত হতে পারেনা, কারন এটা জমাটবাঁধে তখনই যখন প্রসূতিমায়ের মিসক্যারেজ হয়। তার মানে আয়াতটিতে ভুল তথ্য দেয়া। এন আলাক্বার অর্থ আপনি পিকথাল, ইউসুফ আলি, মাওলানা মোহাম্মদ আলি কোনটা দেখাবেন দেখাতে পারেন। জোকের কথা বললে ইউসুফ আলির সরাসরি অনুবাদ ছিলো জোকের মতো জমাটবাধা। এটা ভুল, বৈজ্ঞানিক যুক্তি নয়, একটা ফ্যাক্ট।
২৫:৫৪ তে তিনিই পানি থেকে সৃষ্টি করেছেন মানবকে اسم مجرور অর্থ পানি থেকেইউনিভার্সিটি অব লীডসের এই পেজ। আর ক্বাথীরে আছে দুর্বল নুতফা মানে ফ্লুইড বা বীর্য থেকে। ডিম্বানু ছাড়া খালি শুক্রানু দিয়া মানুষ গঠন এরকম সুইডোসায়েন্স ডাকাতের লোকমুখে শুনে কোরানে ঢোকানোর কথাই প্রমান করে।
২৪:৪৫ এ আল্লাহ প্রত্যেক চলন্ত জীবকে পানি দ্বারা সৃষ্টি করেছেন। ক্বাথীর অনুসারে সকল প্রানীকে এক পানি দিয়েই বানাইছে। সিরিয়াসলি?
১৫:২৬ এ আমি মানবকে পচা কর্দম থেকে তৈরী বিশুস্ক ঠনঠনে মাটি দ্বারা সৃষ্টি করেছি।ক্বাথীরে আছে Ibn `Abbas, Mujahid and Qatadah said that Salsal means dry mud তার মানে শুষ্ক মাটি। লীডস ইউনির পেজ থেকে দেখিاسم مجرور শুস্ক মাটি যেটা কিনা اسم مجرور কালো কাঁদা থেকে তৈরী। আপনার কাদামাটির পানি তো উবে গেলো। শুস্ক মাটিতে পানির পরিমান কত বলবেন? ৬০ শতাংস এখনো দাবী করবেন?
মনে করবেন না যে ডাকাত মানুষের মুখে মুখে শুনে বিনোদন এখানেই খতম করেনি। ৪০:৬৭ তে তিনি তো তোমাদের সৃষ্টি করেছেন মাটির দ্বারা, অতঃপর শুক্রবিন্দু দ্বারা, অতঃপর জমাট রক্ত দ্বারা, ক্বাথীর অনুসারে(It is He, Who has created you from dust, then from a Nutfah then from a clot (a piece of coagulated blood), এই লাইনটা এ্যারিস্টটলের শিষ্য ড: গ্যালেনের একটা চিঠি যেটা কিনা পরে আলেক্সান্দ্রিয়া লুট হলে ইহুদী স হ অনেকের কাছেই এসব হস্তগত হয়, তা মুখে মুখে শুনে মোহাম্মদ কোরানে ঢুকাইছে। সমস্যা হলো আমরা জানি শুধু মাত্র শুক্রানু দিয়ে ভ্রুন নিষিক্ত হয় না আর ভ্রুন নিষিক্ত হলে তা জমাট তখনই বাধবে যখন মিসক্যারেজ হবে। একে তো টুকলি তার ওপর ভুল। ডাকাত যে আসলে মানুষের সাথে ধোকাবাজী করছে এই আয়াতগুলো তার প্রমান রাখে।

আপাতত এ দুটোই রাখেন। আরও মেলা ভুল আছে। এ দুটো খন্ডাতে পারলে নেক্সট ভুলগুলো নিয়ে বাতচিত করবো। আপনি যত বাতচিত করবেন তত বেশী সত্য প্রতিষ্ঠিত হবে এবং ইসলামের অসাড়তা ভুল প্রমানিত হবে।

লাগবা বাজি?

৩০| ২৪ শে মার্চ, ২০১৯ বিকাল ৩:৫২

স্বপ্নডানা১২৩ বলেছেন: হ্যা নতুন নকিব আর নুরু সাহেব ঐদিন কীভাবে যেন পেরেছিলেন এবং সেটা অন্য পোস্টে উল্লেখও করেছিলেন সম্ভবত । কিন্তু ইদানীং মানে এইতো সেদিন জুন আপুও তার ভ্রমণ ব্লগে ছবি আপলোড করতে ব্যর্থ হবার কথা বলেছেন ।

২৫ শে মার্চ, ২০১৯ ভোর ৪:০৩

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: সব স্টিভ জব্বার কাকুর আশীর্বাদ। কি আর করা। তারপরও যদি সিস্টেমটা মনে পড়ে জানান দিয়েন। কৃতজ্ঞ থাকবো।

https://cdn2-thevladarcompany.netdna-ssl.com/wp-content/uploads/2018/02/phil-heath-on-diet-prep-for-olympia-header-1068x566.jpg

৩১| ০৫ ই মে, ২০২০ রাত ১০:৪১

দজিয়েব বলেছেন: ভাই, আমার ব্যক্তিগত মতামত হচ্ছে ঈশ্বর সংক্রান্ত সমস্ত আধিবিদ্যক আলোচনা অর্থহীন। অধিবিদ্যায় আপনি ঈশ্বরের পক্ষে যতগুলো যুক্তি দেবেন, ঈশ্বরের বিপক্ষে ততোগুলো যুক্তি দেয়া যাবে। আর্গুমেন্ট আর কাউন্টার আর্গুমেন্টের এখানে কোনো শেষ নেই। এইজন্য আমি অঅজ্ঞেয়বাদীদের মতো করে বলি, The existence of God can neither be proved or disproved. আপনি যদি ঈশ্বরে বিশ্বাস করতে চান তো করেন, কিন্তু সেটাকে যুক্তি দিয়ে প্রতিষ্ঠিত করতে যাবেন না। কারণ এটা এমন এক বিশ্বাস যার ভিত্তি কোনোভাবেই যুক্তি না। আর যেসব দার্শনিকরা বা দর্শনচর্চাকারীরা ঈশ্বর সম্পর্কিত আধিবিদ্যক আলোচনা নিয়ে মেতে আছে তাদের উদ্দেশ্যে আমি বলি, এনাফ অফ দিস শিট হ্যাজ অলরেডি হ্যাপেন্ড। এই আলোচনা ছাড়াও আরো অনেকে আলোচনা দর্শনে করা যায় যেগুলো আমাদের বাস্তব জীবনে কোনো উপকারে আসবে, আসেন সেগুলো নিয়ে আলোচনা করি। এনভায়রনমেন্টাল ফিলোসোফি নিয়ে কথা বলি, ফেমিনিস্ট ফিলোসোফি নিয়ে কথা বলি, বিজনেস এথিকস নিয়ে কথা বলি- এগুলো আপনি ব্যক্তিগতভাবে পালন করেন না করেন এইসব আলোচনা অন্তত মানুষের জন্য উপকারী হবে এরম আইনের ভিত্তি গড়ে দিতে পারে। এপিস্টেমোলজি নিয়ে কথা বলা যেতে পারে, লজিক নিয়ে কথা বলা যেতে পারে- দেস উইল প্রোভাইড ইউ উইদ স্ট্রং গ্রাউন্ড ফর ফারদার সায়েন্টিফিক এন্ড ম্যাথমেটিকাল পারসুট। আপনি মানেন না মানেন ফিলোসোফি অফ সাইন্সকে আমি বিজ্ঞানের ছাত্রদের জন্য অন্ততঃ অবশ্যপাঠ্য করার দাবি জানাই। অনেকে সাইন্সের টপিকে পিএইচডি করে ফেলে কিন্তু সাইন্সের স্পিরিটটা গুলিউয়ে ফেলে, সাধারণ শিক্ষার্থীদের কথা বাদই দিলাম। আমাদের ছেলেমেয়েদের বিজ্ঞানের প্রতী আগ্রহী করাতে ফিলোসোফি অফ সাইন্স পড়ানোর কোনো বিকল্প নাই।

এখন উপসংহারে আসি, আপনি যদি গডের আলোচনায় সময় ব্যয় করেন, দেন ফিলোসোফি ইজ নাথিং বাট এ পিস অফ শিট। অন্ধকার ঘরে কালো বিড়াল খোঁজা ছাড়া এটা আর কিছুইনা। কিন্তু আপনি যদি দর্শনের অন্যান্য শাখাগুলোর দিকে মনোযোগ দেন, দর্শন এক অমূল্য সম্পদ হয়ে দাঁড়াবে। উই শ্যুড বি ডান উইদ দিস টিপিক্যাল ডিসকাশন অফ মেটাফিজিক্স রিলেটেড উইদ গড, এন্ড লুক ফরওয়ার্ড টু দ্য আদার ব্রাঞ্চেস অফ ফিলোসোফি

০৬ ই মে, ২০২০ বিকাল ৪:৪১

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: দর্শনের যৌক্তিক পৌনঃপুনিকতার এ জন্য দরকার যে হ্যালেনিস্টিক সময়ে এ্যারিস্টটল তার স্কুলে এক ধরনের শিক্ষা দিতেন সেটা হলো হেটে হেটে কথার ছলে। এতে করে ছাত্ররা তার সাথে সরাসরি কথা বলতো, পাল্টাযুক্তি দিতো। এর ফলে নিত্য নতুন ব্যাপার উঠে আসতো। পরে রোম সম্রাজ্যের পতন এবং খ্রিস্ট ও তদপরবর্তী ইসলামের উত্থানে সে পথ রুদ্ধ হয়। কারন এরা উভয়েই এসব আলোচনাকে ভয় পেত। সক্রেটিসকে মুক্তমনা দাবী করলেও খুব সম্ভবত এ্যাগোনিস্ট ছিলেন এবং পরবর্তীতে তার ছাত্ররা এটার ওপরই প্রভাবিত ছিলেন । কিন্তু তারা ঈশ্বর বা ঐশ্বরিক ব্যাপারটা ডিসকার্ড করেনি। যখন মনে হবে ঈশ্বর ধারনার ওপর তারা আঘাত হানেন তখনই আত্মা নিয়ে কথা বলছেন বা সেরকম সুপ্রিম পাওয়ার। এটা ছিলো কনফিউজিং। ইসলামী দর্শন এ্যারিস্টটলকে ফলো করলেও তাদের মূল রেফারেন্স ছিলো আত্মা ও ঈশ্বর। জাবির/ হাইওয়ান ইসলামী বিশ্বাস থেকে বেরুতে পারলেও আত্মা নিয়ে সময় নস্ট করেছে বলে এখনকার সময়ে এগুলো আরো কনফিউশনের জন্ম দেয়। সবচে মোহমুক্ত যুক্তি দিতে পেরেছিলো ইবনে রুশদ কিন্তু তার মৃত্যুর পর ইসলামী দর্শনের সেখানেই মৃত্যু ঘটে এবং মানব জাতী এই জঘন্য ধর্ম থেকে হাফ ছেড়ে বাঁচলেও ওদিকে খ্রিস্টানদের জল্লাদগুলো ঠিকই ছড়ি ঘোড়াচ্ছিলো। রেনেসাঁর কিছু আগে থেকেই খর্ব হওয়া চার্চ গুলো রেনেসাঁর পর পরিবর্তন হতে বাধ্য হয় কিন্তু সে প্রভাব যে দার্শনিকদের ওপর পড়ে নাই এটাও বলা যাবে না। তার ফলই তো এই রেনে দেকার্তের মতো কিছু পন্ডিত। আধুনিক দর্শন যখন বিজ্ঞানের সাথে পাল্টাতে অস্বীকার করে কোয়ান্টাম ম্যাকানিক্সকে বদলাতে চাইলো(এক্ষেত্রে আইনস্টাইনের ইপিআর প্যারাডক্স জার্নালে এন্টেঙ্গলম্যান্টের জন্য ভ্যাকুয়াম এনার্জির কথা বললেন সেটা ছিলো শ্রোয়েডিঙ্গারের ভাগ্য বলতে যে কিছু নাই বা আনসারটেইনটি সেটার বিপক্ষে বলার জন্য... প্রথম দিকে কোয়ান্টাম প্রোবাবিলিটির ইমপ্রোবাবিলিটি এটির ঘোর বিরোধী ছিলেন)। কিন্তু যখন সেটাও সম্ভব হলো না তখন সে জর্জ গ্যামো/গোডেলের কাছে গিয়ে পুরোপুরি ডিরেইল হলো। এরপর সাত্রে ফুকোর সময়ে সেই পুরোনো দর্শনের গন্ধে কিছুটা পরিবর্তন আনলেও এখনো এই কোয়ান্টাম মডেলের ক্ষেত্রে এটা কোনো উত্তর দিতে পারেনা।

সমস্যা হলো মানব সমাজ পলিটিক্স এখন দর্শন কম, গানিতিক পরিসংখ্যান ধরে কাজ করছে। যেখানে দর্শন আনে ভ্রান্তি কিন্তু গানিতিক মডেল আনে নিশ্চয়তা। কোরোনা থেকে শুরু করে অর্থনৈতিক প্রেজিকশন সবকিছুতেই। যে আইন বা মোরালিটি সেকশন নিয়ে দর্শন গর্ব করতো সেখানেও গানিতিক পরিসংখযানের ওপর ভিত্তি করে আইন বানিয়ে মৃত্যুদন্ড রদ করা হচ্ছে। জেলখানা হচ্ছে সংশোধনাগার। একসময় নীশে হেগেলের মতো লোক মৃত্যুদন্ড শাস্তির পক্ষে কথা বলে গেছিলো সেটাও পাল্টে যাচ্ছে।

আমার তো মনে হয় বর্তমানে আর্টস সেকশন বিলুপ্ত করে সেখানে পাইথন ও গানিতিক মডেল দিয়ে কিভাবে মরালিটি বা কগনিটিভ সায়েন্স ও সাইকোলজি ঢুকানো উচিত। এবং এদের মধ্য থেকেই উকিল আমলা তৈরী হবে সেরকম নিয়ম রাখা উচিত

তারপরও আপনার মতামতে ভাবনার অবকাশ তো আছেই

৩২| ০৬ ই মে, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:১২

দজিয়েব বলেছেন: ভাই যেখানে ভুলটা করছেন তা হচ্ছে দর্শন আর বিজ্ঞানকে এক করে দেখছেন। এদুটো অনেকক্ষেত্রে ওভারল্যাপ করে বটে, বাট দে আর টু ডিফারেন্ট থিংস। আপনি বলছেন আধুনিক দর্শন বিজ্ঞানের সাথে পাল্টাতে অস্বীকার করলো। কিন্তু এদুটো আলাদা, দর্শন নিজের গতিতে পাল্টাচ্ছে, বিজ্ঞানও তার নিজের গতিতে পাল্টাচ্ছে। উনবিংশ শতকের দর্শন আর বিজ্ঞান একবিংশ শতকের দর্শন আর বিজ্ঞান থেকে অনেক ভিন্ন। আর এইযে কোয়ান্টাম ফিজিক্স ইত্যাদির প্রসঙ্গ আনছেন এগুলো দর্শনের একটা শাখার সাথেই অভারল্যাপ করে- মেটাফিজিক্স। আমি বারবার বলি, মেটাফিজিক্স তার প্রয়োজনীয়তা হারিয়েছে। মেটাফিজিক্স আর ফিজিক্স মিলে নিজেরাই একটা স্বতন্ত্র বিজ্ঞান হয়ে গেছে। আলাদা করে মেটাফিজিক্স এর পুরোনো চাল টেনে আনলে আর ভাতে বাড়বেনা বরং লেবু বেশি কচলালে তেতো হওয়ার অবস্থা হবে।

আপনি দর্শনের স্পিরিটটা বুঝতে ভুল করছেন। দর্শনে প্রচলিত একটা কথা হচ্ছে, বিজ্ঞান যেখানে থেমে যায় দর্শন সেখানে শুরু হয়। আর তা হয় থিয়োরিটিক্যাল গ্রাউন্ড সরবারহ করে। আর সংশোধনাগারে যে জেলখানা রূপান্তরিত হয়েছে তার পিছনেও থিয়োরিটক্যাল গ্রাউন্ড দরকার ছিল, আর এই গ্রাউন্ড এসেছে কারণ ফিলোসোফি বদলেছে। ফিলোসোফিকে আপনি ভ্রান্তি এনে দেয় বলে দাবি করছেন। কিন্তু এই বাক্যটা মিসলিডিং। বিজ্ঞানের সাথে দর্শনের মৌলিক আরেকটা পার্থক্য হচ্ছে দর্শনে একসময়ে অনেকগুলো প্যারাডাইম বিদ্যমান থাকে কিন্তু বিজ্ঞানে একসময়ে একটিমাত্র প্যারাডাইম বিদ্যমান থাকে। কিন্তু উভয়ক্ষেত্রে প্যারাডাউম শিফট হয়, অর্থাৎ উভয়ক্ষেত্রে তথ্য বদলায়; এদিকদিয়ে বিজ্ঞান আর দর্শন উভয়ই বিভ্রান্তিকর। তথ্য বদলানোর সুযোগ নেই ধর্মে, আর এখানেই বিজ্ঞান আর দর্শনের সাথে ধর্মের পার্থক্যটি বিদ্যমান। বিজ্ঞানের বিদ্যমান অনেক সুত্রই কিন্তু দার্শনিক তত্ত্বের হাত ধরে হাটতে শিখেছে এবং এখনো শিখছে।

আর যে গণিতের কথা আপনি বলছেন, সেটার ভিত্তিও কিন্তু দর্শন সাপ্লাই করে। আধুনিক দর্শনের জনক দেকার্তে বিখ্যাত গণিতবীদ। মডার্ন সিম্বলিক লজিক আর ম্যাথমেটিকস এর মধ্যে কতোটা মিল আছে তা সিম্বলিক লজিক করতে গেলে বুঝবেন। আইসিটি বইতে যাদের সূত্রাবলী এখনো পড়ানো হয়, মোস্ট অফ দেম আরা লজিশিয়ানস।

আর মৃত্যুদন্ডের বিপক্ষে কথা বলা হচ্ছে, সেরম আইন পাশ করা হচ্ছে; কিন্তু মৃত্যুদণ্ড দেয়াটা উচিৎ না এই নিয়ে কথাগুলো বলা শুরু হয়েছে কিন্তু প্রায়োগিক দার্শনিকদের হাত ধরে। তাঁরা যুক্তিতর্ক করে যে থিয়োরিটিক্যাল গ্রাউন্ড দিচ্ছেন সেটার উপর বেজ করেই মোরালিটি বদলাচ্ছে, মানুষের ধারণা বদলাচ্ছে ফলাফল হিসেবে আইন বদলাচ্ছে। যে সাইকোলজির কথা আপনি বলছেন, সেটা সরাসরি ফিলোসোফির সন্তান। বাপের কাছ থেকে সে এখনো জ্ঞান ভাগ করছে।

আর্টস সেকশন বিলুপ্ত করলে কি হবে জানেন? মানুষের যে আবেগীয় মূল্যটা আছে সেটা সবাই ভুলতে বসবে। ফলাফল হিসেবে যুদ্ধ বাড়বে, এটম বোমা পড়বে আবার। স্থপতি এফ আর খানের একটা বিখ্যাত উক্তি দিয়ে শেষ করছি, "একটা জাতি যতোই উন্নত হোক, সাহিত্য আর দর্শনচর্চা বন্ধ হয়ে গেলে সে জাতি ধ্বংস হয়ে যাবে।"

০৬ ই মে, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৪৪

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: হ্যা আপনি ঠিক বলছেন মেটাফিজিক্স দিয়ে বিজ্ঞানের তৈরী করছে দর্শন। কিন্তু এ্যারিকাকু কি এই মেটাফিজিক্সরেই উইসডম (মানেটা মাথায় আসতেছে না) বা প্রথম দর্শন এবং এইটা নিয়া সে বিশাল একটা বই লিখছে। আর সমস্যাটা হলো পদার্থবিজ্ঞানের এই যে পার্টিক্যাল ফিজিক্স এর পুরোটার ব্রেইন চাইল্ড ছিলো পারমেনিদাসের অনুসারী লিউপাসের ছাত্র ডেমোক্রিটাস। আমার ক্রোধ এখানে যে সক্রাটিসেরও আগে ডেমোক্রিটাস এই এটোমিজমের ধারনা দিছে। নীশে হিউমের কাছে সুযোগ ছিলো মেটাফিজিক্সের অন্তলজি আর এপিস্টোমোলজিরে একটা সঠিক দিক নির্দেশনা দেয়া। সেটা না করে হিউম বিজি ছিলো রেনে দেকার্তরে বাশ দিয়া নিজের দর্শন ডেভেলপ করতে ও মেটাফিজিক্সের সমালোচনা করতে, নীশেও তাই করছে।

তবে আমার দর্শন বিলু্তির আইডিয়া আসছে নীশের মোরালিটি থিকা। সে বলছে কিছু ব্যাসিক রেফারেন্সিং ধইরা কোয়ান্টেটিভ ভ্যালুর দিকে যাওয়া। হেগেল যেহেতু পড়ি নাই এবং আধুনিক দর্শনে শুধু গ্যামো ও কার্ক গোডেল পড়া এবং সাত্রে টাচ করা(যদিও সাত্রে এই লাইনের না, বলার জন্য বলা) তারপরও একটা ধারনা শেয়ার না করে পারছি না সোশিওলজির সার্ভে তে যে কোয়ান্টেটিভ এনালাইসিস এর কিছু অংশে নীশের এই কনসেপ্ট মেলে।

তবে আপনার কথা ফেলার মতো না, এবং শক্তিশালী পাল্টা যুক্তি এজন্য দেখাতে পারবো না যে এ্যারিস্ট টলের মেটাফিজিক্স বইটা কয়েকপাতা পড়ে আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছিলাম তখন। কিন্তু মেটাফিজিক্সের তৈরীই করেছিলেন এই যে এখন যেমন বিজ্ঞান নিরপেক্ষ ভাবে গবেষনা করে একটা সিদ্ধান্ত ও পথ দেখাতে পারে সেটার কথা ভেবে।

হ্যা প্যারাডাইম শিফট খানিকটা বুঝি কিন্তু সেটা মেলাতে না পারার ব্যার্থতা কার? বিজ্ঞানীদের না দর্শনের* দর্শনের এমন কোনো এফোর্ট আছে? আপনি বলচেন প্রয়োজন নাই দর্শনের এবং সেই প্রয়োজন নাই বলেই আমি বলতাছি শিট, দর্শনে চান্স পেয়ে বিসিএস গাইড নিয়ে পোলাপান দৌড়ায়, এর র‌্যাডিক্যাল কোনো চেন্জ বা বড় কোনো প্রভাব রাখতে পারছে না। ফুকো-সাত্রের মতো এই জামানায় তেমন কি কেউ আছে?

সামনে আরো বিলীন হবে যখন আমাদের নির্ভরতা সব ন্যানোস্কেলে যাবে আর তাতে হয়তো ২০৪০(তখন আইএলসি ফুল ফেজে যাবে) এর আগ পর্যন্ত এটাই শুনতে হবে ম্যাক্রো ওয়ার্ল্ডের নিয়ম মাইক্রো ওয়ার্ল্ডে খাটছে না

৩৩| ০৬ ই মে, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৫৪

ভ্রমরের ডানা বলেছেন: পাই এর মান নিয়ে দর্শন শাস্ত্র কি বলে? পরম মান তো পাই!

০৯ ই মে, ২০২০ বিকাল ৩:১০

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: সত্য কথা হইলো পাই নিয়া দর্শনের লোকজন এত আধ্যাত্মিক কথা বার্তা বলে কোন সেটা আমি বুঝি না। দর্শন আমার ব্যাসিক সাবজেক্ট না, শখ করে পড়া এজন্যই বুঝতে পারি না। পদার্থবিদরা এটা নিয়ে মাতামাতি করে কারন স্ফেরিক্যাল কো অর্ডিনেটকে সামনে রেখে মহাজাগতিক যত্ন গুরুত্বপূর্ণ তত্ব সেগুলোর পেছনে পাই এর গুরুত্ব অপরিসীম।

পাই এর দশমিকের পর কোনো পৌনঃপুনিক বা রিপিটেশন নাই কিন্তু তারপরও অসীম এটা একটা ইন্টারেস্টিং ব্যাপার।

ব্লগের সনেট কবির একটা কোট দিয়ে মনে হয় দর্শনের ডাইলেমা বা পাই বিষয়ক ফ্যাসিনেশন বুঝি সেটা হলো সসীমের মাঝে অসীমের অবস্থান। এটা একটা কারন হতে পারে। কিন্তু পদার্থবিজ্ঞানীরা অসীম ব্যাপারটা পছন্দ করেন না। ইনডেফিনিট কোনো টার্ম ডিপাইভেশনে আসা মানেই আপনার কাজ আটকে গেলো। এখন এটাকে যখনই বাইপাস করবেন তখনই নতুন পদার্থবিজ্ঞানের উদ্ভব হবে।

তবে পাই সম্পর্কে দার্শনিকদের কেন এত ফ্যাসিনেশন সেটা আমি বুঝি না বা বুঝলে অনুভব করতে পারি না। সে হিসেবে আপনার প্রশ্নের উত্তর কিভাবে দেবো দর্শনের নীরিখে সেটা আমি জানি না। দুঃখিত

৩৪| ০৬ ই মে, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:১৬

দজিয়েব বলেছেন: ভাই, দর্শন যে শিট হিসেবে উপস্থাপিত হচ্ছে এই দোষ আপনার না, এই দোষ আমাদের দর্শনের শিক্ষকদের আর দর্শন পড়ে বিসিএসের গাইড মুখস্থ করা মানুষগুলোরই। পাশ্চাত্যের বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শনের শিক্ষকেরা এটাকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে আর আমাদের মহান গাধাগুলো পিছিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। এখন অবস্থা এমন দাঁড়িয়েছে যে, এদেশে দর্শন টিকে থাকার লড়াই করবে না এগিয়ে যাওয়ার লড়াই করবে তা নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে নিতেই কাজ সারা!
আর দর্শন নিয়ে আপনার যে বক্তব্য তা বুঝতে পারছি মেটাফিজিক্স নিয়ে সীমাবদ্ধ। কিন্তু আমি বারবার বলার চেষ্টা করছি, ফিলোসোফি ইজ এ পিস অফ শিট ইফ উই ডিসকাস মেটাফিজিক্স। ফিলোসোফি ইজ এ হিউজ ট্রি, এর শাখাপ্রশাখার অভাব নেই। মেটাফিজিক্সকে ছুড়ে ফেলা দেয়া প্রয়োজন বলে আমি মনে করি। এই বৃদ্ধ শাখা এই বিশাল গাছের জন্য একটা বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে। উই শ্যুড গেট রিড অফ দ্যাট।
অন্যান্য শাখার এডভান্সড লেভেলের পড়াশোনা করে দেখেন, এটার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করবেন আরো। দর্শনের একমাত্র কাজ থিয়োরিটিক্যাল গ্রাউন্ড প্রভাইড করা, এ যদি এই কাজ কোনোকারণে বন্ধ করে দেয়; আমি হলফ করে বলব রাষ্ট্রব্যবস্থা ভেঙে পড়বে, আইন ভেঙে পড়বে, সামাজিক মূল্যবোধ বলে কিছু থাকবেনা, পুঁজিবাদ বলে কিছু থাকবেনা, সাম্যবাদ বলে কিছু থাকবেনা; এমনকি বিজ্ঞানও খেই হারিয়ে ফেলবে। বিজ্ঞান আর দর্শন জ্ঞান নামক মাতার আইডেন্টিটিকাল টুইন, একটির কিছু হলে আরেকটির উপরেও চরম প্রভাব পড়বে। প্রায়োগিক দর্শনে আপনি দেখতে পারবেন বিজ্ঞানের ত্রুটিগুলোও উঠে আসছে। আমরা বিজ্ঞানকে যতোটা ত্রুটিহীন ভাবি, নিউট্রাল ভাবি, অবজেক্টিব ভাবি; বিজ্ঞান অতোটা না। বিজ্ঞান এতোপরিমাণ পার্টিকুলার সাইন্স তৈরি করে ফেলেছে যে 'বিজ্ঞান'কে সামগ্রিকভাবে দেখে এর ভুলত্রুটি গুলো শোধরাতে হলে ঈগলের চোখে এটাকে দেখা লাগবে। আর এই ঈগলের চোখটাই দর্শন। শুধু প্রাকৃতিক বিজ্ঞান না, আইনশাস্ত্র, সামাজিক বিজ্ঞানের সব শাখা, মানবিকের সব শাখা- সবকিছুকে দর্শন ঈগলের চোখে দেখে। আর ঈগলের চোখে দেখে বলেই হাজারটা প্যারাডাইম আসে। বিজ্ঞান আর দর্শনের পার্থক্য করতে গিয়ে আমি সবসময় শেষ লাইন হিসেবে বলি, While science tries to know more and more about the less and less, philosophy tries to know less and less about the more and more.

০৯ ই মে, ২০২০ দুপুর ২:৪৭

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: ১)
একসময় মনে করা হতো অথোরেটেরিয়ান সরকার ব্যাবস্থা অবশ্য ভেঙ্গের পড়বে কারন সরকারের নিজস্ব ব্যাবস্থাপনার অস্থিরতা তাকে ভঙ্গুরতার দিকে টেনে নিয়ে যাবে। ৫০,৬০ এর দশকে প্যান আরাবিজম আইডিওলোজীর কারনে নিত্য নতুন ডিক্টেটরদের নবান্নের উৎসব চলে তখন পাশ্চাত্য দার্শনিকরা মনে করেছিলেন এটার ধ্বসে পড়ার সম্ভাবনা প্রকট এবং ধ্বসে যদি নাও পড়ে তাহলে এই আরব ঐক্যের ডাক এটা পুরো রাস্ট্রব্যাবস্থাকে ধ্বংস করবে। যেকোনো কারনেই হোক তারা এক্ষেত্রে ঠিক থাকলেও পরবর্তিতে একই অথোরেটেরিয়ান ফিরে এসেছে এবং ক্ষেত্রে বিশেষে সরকারগুলো টোটালিটারিয়ান বা এবসল্যুট ওলিগার্কিতে প্রবেশ করেছে। এই অথোরেটিরয়ানের পৌনঃপুনিকতা শুধু আরবেই নয়, চীনেও চলছে কিন্তু চীন অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক উৎকর্ষে পৌছেছে যদিও চীনে আমাদের থেকেও বেশী দারিদ্র‌্যতা বিরাজমান (এই আলোচনা পরে একদিন করা যাবে)। মালয়েশিয়া বা সিঙ্গাপুরের উন্নতির ক্ষেত্রেও একই ব্যাপার দেখা যাবে। এখনো বাংলাদেশের প্যানইসলামিক স্বপ্নে বিভোর বুদ্ধিজীবিগন ৫০-৬০ এর দশকে আরবদের এমন পতনের পক্ষে নিজস্ত মতবাদ বা সরকার ব্যাবস্থাকে দায়ী করেন না, দায়ী করেন সিআইএ কে। আপনি যদি নিরপেক্ষ ভাবে তর্ক করতে যান তাহলে একটা মিক্সড রেজাল্ট পাবেন। কেন পাবেন?
২) জাপানে এটম বোমা ফেলার পেছনে ওপেনহ্যাইমারের দর্শন ছিলো তারা এমন একটি বোমা বানাবে যেটা সকল যুদ্ধকে শেষ করে দিবে। বোমার ফেলার কয়েক বছরের মধ্যেই জাতিসংঘের সৃষ্টি হয় এবং তার নিজস্ব বাহিনী ন্যাটো গঠন করে। তারপর কয়েক দশক চলে যায় দেখা গেলো যেকোনো কারনেই হোক বিশ্বযুদ্ধ না হলেও ছোট ছোট যুদ্ধ ও প্রক্সি যুদ্ধে বিভিন্ন দেশ অঞ্চল দীর্ঘস্থায়ী কোন্দলে জড়িয়ে একটা চিরস্থায়ী বিবাদে পরিনত করছে। এর সাথে সবার নতুন রাজনৈতিক বিতর্ক শুরু হয়েছে কে এটম বোমা বানাবে আর কে বানাবে না। দেখা গেলো যুক্তরাস্ট্র নিজে বানিয়ে এখন সে নিজেই টেনশনে পড়েছে অন্য রা কঊ বানাচ্ছে কিনা। রাজনৈতিক তর্কের চিপায় পড়ে এখন আপনি কোনো উপসংহারে নিরপেক্ষ বক্তব্য দিতে পারবেন না যে একই পৃথিবীতে একই মানবজাতী হয়ে কেন সবার কাছেই এটম বোমা থাকতে হবে। কারন সবার এটম বোমা যদি ফুটানো শুরু করে তাহলে সে নিজে তো মরবেই পুরো পৃথিবী মহাশূন্যে একটা প্রানহীন পাথর খন্ডে পরিনত হবে। কেন আপনি সঠিক সিদ্ধান্তে আসতে পারবেন না?

ওপরের দুটো প্রশ্নের ডিটেইলে যাবার আগে আপনাকে ধন্যবাদ জানাই ব্লগে অনেক দিন পর একজনকে পেলাম যে আমাকে ভাবতে বাধ্য করেছিলো আমি ভুল ছিলাম। হতাশা উপভোগের সময় ছিল না কারন আমি একটু ব্যাস্ত ছিলাম। তারপরও পুরোনো লেখায় ফিরে যাই যদি আমি ভুল হয়ে থাকি তাহলে আমার কতগুলো লেখা পরিবর্তন করতে হবে। কিন্তু তখনই মাথায় একটা কথা আসলো, দর্শনে আসল পরমসত্য বলে কিছু নাই। সেখানে বিজ্ঞান আমাদেরকে নিরপেক্ষ সত্যের কাছে নিয়ে যেতে পারে কারন গনিত। পরম নিরপেক্ষ সত্যের ছোয়া কেন দিতে পারেনি, উত্তর দর্শন।

পারমেনিদাস, ডেমোক্রিটাস নিয়ে এরিস্ট টলের লেখা এবং নিজের লজিক পড়ে যেটা আমি বুঝি সেটা হলো এ্যারিস্ট টল আসল ঘটনা জানার জন্য একটা কমন ফ্রেমওয়ার্ক চান। যদিও তিনি নিজেই রাস্ট্রিয় সমাজ ব্যাবস্থা নিয়ে লেজে গোবরে করে ফেলেছেন অনেক ভ্রান্ত ও অমানবিক ব্যাপারে নিজের অবস্থান জানিয়ে। কিন্তু তার লেখা পুরো বইতে নিজে অবস্থান নিয়ে যৌক্তিক আলোচনা সেরেছেন বেশ দার্শনিক উপায়ে। তবে প্রধান সমস্যা যেটা ছিলো তিনি নিজেও সুপ্রাচীন ভারতীয় দর্শন পরম সত্য এবং ইহ জগত ও পরজগতের সেতুবন্ধনের জন্য আত্মার মুক্তি ব্লা ব্লা ব্লা তে চরম ভাবে মোহাবিষ্ট ছিলেন। অন্যান্যরাও এসব বিবলিক্যাল, বা সনাতনী ফিলোসফি নিয়েই দীর্ঘ ১ স হস্রাব্দ ধুনফুন করে গেছেন। বিবর্তনের ব্যাপারটা জেনো বুঝতে পারলেও ন্যাচারাল সিলেকশনের মতো ডিটেইল গবেষনার জন্য আমাদেরকে অপেক্ষা করতে হয়েছে প্রায় ১৮০০ বছর। এবং এমনকি এই যে ঈশ্বরের ব্যাপারে যে দার্শনিক অবস্থান এটা নিয়েও দর্শনকে রেনে দেকার্ত-গডল বনাম হিউম-সাত্রে প্রমুখের দ্বন্ধ এখনো চলমান। দর্শনের মাধ্যমে বিবর্তিত উপশাখার মধ্যে একমাত্র সোশিওলজি আমাদেরকে একটা এবসলিউট ধারনা দিতে পারে সেটার পেছনে কারন হলো কোয়ান্টেটিভ এনালাইসিসে রিগ্রেশন এলগরিদম (এবং আগামীতে হয়তো এআই বা বায়েসিয়ান এলগরিদম ব্যাবহার) এর সঠিক প্রয়োগ। পলিটিক্যাল সায়েন্সেও এর ব্যাব হার শুরু হয়েছে যার একটা বড় প্রয়োগ দেখি ভোটের আগে যে সার্ভেগুলো করে ফোরকাস্ট করা হয়। যদিও সেগুলোতে সফলতার হার কম কিন্তু তা দিয়ে আপনি যে ধারনা পাবেন কোয়ালিটেটিভ বা দার্শনিক তত্ব দিয়ে কনফিউজিং রেজাল্ট পাবেন। গনিত ও বৈজ্ঞানিক যুক্তির অপূর্ব সমন্বয় এটা পসিবল করেছে।

এখন আমরা বিশ্বযুদ্ধে যাচ্ছি না কারন গত দশকের মহামন্দা চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়েছে যে এর ফলে শুধু প্রানহানীই ঘটে না, অর্থনীতিও ধ্বংস হয় এবং এর ফল সুদুর প্রসারী। তারপরও যুদ্ধ চলছে, কাদা ছুড়াছুড়ি চলছে কারন ঐ যে দর্শনের দুস্ট সন্তান রাজনীতি যার আলোচনার মূল ফ্রেমওয়ার্কই হলো পৌনঃপুনিক দার্শনিক আলোচনা যার সাথে বাস্তবতার কোনো মিল নেই।

আরবে এটা চলে কারন প্যানইসলামিক ইউটোপিয়ান দর্শনে বুদ হয়ে আছে (যদিও দর্শনের অনেক দিক আছে যেগুলো এই ধর্মভিত্তিক দর্শন বা থিওক্রেসীর সরাসরি বিরোধিতা করে ) আবার উন্নত বিশ্বে নিজের ব্যাবসায়িক, রাজনৈতিক স্বার্থ রক্ষার জন্য সেই দর্শনকে উপজীব্য করে কারন দর্শন সেই অস্ত্র তাদের হাতে তুলে দিয়েছে।

বিজ্ঞান সেটা করে না বা করতে চেস্টা করে না। বিজ্ঞানের কাজটা মৌলিক প্রশ্নে বাইনারী। যেমন ক্লোরোকুইন, এটা কি কাজ করবে কোরোনার বিরুদ্ধে না করবে না। উত্তর করবে না। প্রশ্ন আসতে পারে কেন করবে না। হয়তো জিংক ডেফিসিয়েন্সি ঠিক করলে সুফল হতে পারে অথবা এ্যাজিপ্রোন সাথে প্রয়োগ করলে কিছুটা সফল দেখায় সেটার উত্তর দিয়ে দেয়া যেতে পারে। কিন্তু আপনি এই প্রশ্নের সমাধানের জন্য একটা ভালো ট্রায়াল এবং তার ওপর সুনির্দিস্ট প্রয়োগ করতে হবে। বলতে পারেন এই যে ট্রায়াল এটার পেছনেও তো দর্শন কাজ করে। আমি বলবো হ্যা আবার না। কারন এর পেছনে যে যুক্তিগুলো কাজ করছে তার পেছনেও সামগ্রীক সমীক্ষা করা হয়েছে। আপনি মনে করবেন না যে ফ্রান্সিস বেকনের দ্বারা যে ফ্রেমওয়ার্ক বা ল্যাপ্লাসের যে হাইপোথিসিস সেটা তারা বলেছে এবং তার ওপর দার্শনিক আলোচনা হয়েছে বলেই সেটা প্রতিষ্ঠিত। না তাও না। ল্যাপ্লাসকে তার হাইপোথিসিস দাড়া করানোর জন্য বিভিন্ন গ্রহ নক্ষত্রের অবস্থান গতিবিধির হিসাব করেই তাকে তার হাইপো প্রমান করতে হয়েছে। ফ্রান্সিসের মৃত্যুর আগেই রয়াল সোসাইটি অব সায়েন্স বেশ কিছু মহামারী ও দু্র্যোগে সেটার সফল প্রয়োগ করে সেটাকে মেনে নেয়ার তাগিদ নিতে হয়েছে।

আপনি হয়তো বলতে পারেন এর মূলে ছিলো নৈতিক মূল্যবোধ। কিন্তু সেখানেও একটা বড় "কিন্তু" আছে। নৈতিক মূল্যবোধের অনেক রূপ আছে। যেমন ইসলামিক মূল্যবোধে আপনি দাসী ধর্ষন, স্ত্রী ধর্ষন বাল্যবিবাহ, মেয়েদের খতনা এবং শিশুদের সাথে যৌনখেলা খেলতে পারেন। খ্রিস্টানদের মতে দ্বিতীয় বিয়ে করা ব্যাভিচারিতের সামিল, সেকানেও দাস প্রথা আছে, সমকামী শুনলেই তার মৃত্যুদন্ড নিশ্চিত। ইহুদীদের মধ্যে কোনো নারী ধর্ষিতা হলে তাকে নস্টা বলে ধরে নেয়, স্ত্রী যদি স্বামীর এতটুকু ক্ষতি করে নিজের অজান্তে হলেও তার হাত পা কেটে ফেলার মতো বিধান রেখেছে। আবার আমাদের দেশে নাস্তিক মানেই হত্যা, নিজের কন্যা বা ছেলে সন্তান পালতে না পরলে বেচে দেয়া, বাল্যবিবাহ, চুরি দুর্নীতি, মতে সাথে না মিললে আইন করে বা মিছিল করে তাকে হত্যা করা অবশ্য কর্তব্য। আর দর্শনের নৈতিক মূল্যবোধ হলো দাস ব্যাবসা সমাজ ব্যাবস্থা টিকিয়ে রাখার জন্য অতীব প্রয়োজন, শ্রেনী বৈষম্য আছে বলেই সবাই বেচে থাকবে স হ আরো অবান্তর কথা বার্তা। আর সেজন্যই কি গত কয়েক স হস্রাব্দ বিভিন্ন জাতী ধ্বংস হয়নি? তখনতো বিজ্ঞান ছিলো না। এমন অনেক যুগ ছিলো যাদের স্থায়িত্ব ছিলো মাত্র কয়েক শতাব্দি। এই যে শুধু ধর্মগুলো দিয়ে কতগুলো জাতীর শেষ রক্ত পর্যন্ত নিঃশেষ হয়েছিলো সেটাতো কোরান হাদিস পড়ে বানু কুরায়জা, বানু নাদেরা, মুস্তালিকের গনহত্যা তার প্রমান কি দেয় না? এই যে সমকামী যারা তাদের নিশ্চহ্ন করার হুমকি সে কি দেয় না? অথচ বিজ্ঞান বলে তারা প্রকৃতির একটা বৈচিত্র্য মাত্র। যদিও দর্শন সমকামীদের বিয়ের ব্যাপারে প্লেটোর সময় থেকেই উৎসাহিত করে।

তবে এটা বলবো যে বিজ্ঞানের অনেক কিছুই দর্শন দ্বারা পরিচালিত। যেমন সৃষ্টি রহস্য সম্পর্কে দর্শন আটোমিজমে আটকালেও বিজ্ঞান অনু পরমানু কোয়ান্টামের সাথে পরিচয় করিয়ে দিয়ছে। যখন শ্রোয়েডিঙ্গার পলি কোয়ান্টাম ফিজিক্সের ভীত রচনা করে তখন খোদ আইনস্টাইন দর্শন নিয়ে কঈগুই শুরু করে ইপিআর প্যারাডক্সের জার্নাল লিখলেন। আমি বলবো না যে ভুল ছিলো কিন্তু তার ১২ বছর পর ঠিকই মেনে নিয়ে কালুজা ক্লেইনের জার্নাল নিয়ে শুরু করলেন গ্রান্ড ইউনিফাইড থিওরেম। তার মধ্যে দর্শনের আরেকটা প্রশ্ন বেশ জনপ্রিয় ছিলো স্ট্রিং দিয়েই যদি সব সৃষ্টি তাহলে ভর আসলো কোথা থেকে? এদের তো ভর নেই। সেটার উত্তর যখন দেয়া গেলো তখন অনেক গুলো সম্ভাবনার দ্বার খুললো যার প্রথমটি হলো এইযে এত এন্টিম্যাটার সেগুলো কই, ডার্ক ম্যাটার, ডার্ক এনার্জী এমনকি ব্লাক হোলের যে চিত্র সেটতে বিজ্ঞান যেটা বুঝেছে দর্শনের চাইতে তাকে গনিত বেশী সাহায্য করবে। কারন কোয়ান্টাম ফিজিক্স দর্শন জানে না, সে জানে গনিত। পিরিয়ড

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.