নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ঈশ্বর পটল তুলছে - নীৎসে/নীশে/নিৎচা

উদাসী স্বপ্ন

রক্তের নেশা খুব খারাপ জিনিস, রক্তের পাপ ছাড়ে না কাউকে, এমনকি অনাগত শিশুর রক্তের হিসাবও দিতে হয় এক সময়। গালাগাল,থ্রেট বা রিদ্দা করতে চাইলে এখানে যোগাযোগ করতে পারেন: [email protected]

উদাসী স্বপ্ন › বিস্তারিত পোস্টঃ

হে ঈশ্বর! বিগব্যাং এর আগে কি ছিলো?

২৪ শে মার্চ, ২০১৯ ভোর ৫:৩৪

এই পোস্ট টি পড়বার জন্য আপনার এই পোস্টটি পড়া বাধ্যতামূলক। কারন একটি প্রশ্নের আবর্তে এই লেখার উৎপত্তি।

একটা ক্ষুধার্ত গাধাকে দুটো খড়ের গাদার মাঝখানে দাড় করিয়ে দেয়া হলো। গাদা দুটো যেটা দেখতে সম্পূর্ন একই রকম, প্রতিসাম্য এবং সব দিক থেকেই একটা একটার জমজ এবং দুটো গাদাই গাধা থেকে সমান দূরত্বে অবস্থিত। এখন দূর থেকে দাড়িয়ে দেখতে হবে কোন গাদা থেকে গাধাটা খড় খাবে। গাদা দুটো পরম প্রতিসাম্য হওয়াতে গাধার মানসপটে একটা দ্বন্ধের সৃষ্টি হবে কোনটা তার ক্ষুধা মেটাবে। তার চেয়ে বড় কথা দুটো সমান দূরত্বে হওয়ায় গাধাটাকে হেটে যাওয়ার ব্যাপারে দ্বন্ধে থাকবে। গাধাটা নিজের গাধামী মার্কা নির্বুদ্ধিতায় পড়ে অবশেষে না খেয়ে মারা যায়, তাই না?

লিবনিজ সাহেব যদিও মৃত্যুর ব্যাপারে জোড়ালো আপত্তি জানিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন এইটা কোনো ধাঁধাঁ হইলো? গাধাটা একটা র‌্যান্ডম গাদা থেকেই খড় খাবে। বাকিটার দিকে তাকাবে না। গাধার জন্য ধাঁধাঁ হিসেবে চিন্তা করাটাই এ্যাবসার্ড। মাঝে মাঝে শপিং এ বেগুন কিনতে গিয়ে ২ ঘন্টা পায়ে হেটে জাঙ্গিয়া কিনে আনি আমি। এবং বাসায় এসে চিন্তা করি প্যান্টের চেয়ে আমার জাইঙ্গা আর মুজার সংখ্যা বেশী হয়ে গেছে। তার মানে আমি কি এই ধাঁধাঁটার গাধা?

বিজ্ঞানী নিউটনের সাথে এই লিবনিজের সাপে নেউলে সম্পর্ক ছিলো। লিবনিজের অভিযোগ তার ক্যালকুলাসের ধারনা নিউটন নিজের নামে চালিয়ে দিয়েছে। কিন্তু নিউটন রয়েল সোসাইটির চ্যায়ারম্যান হওয়ায় তার ক্ষমতার কাছে বেশ অসহায় ছিলেন। তাই তিনি একটু অন্যভাবে এগুলেন।

বিজ্ঞানী নিউটন জড়তার সুত্রে বলা আছে বাইরে থেকে কোন বল প্রয়োগ না করলে স্থির বস্তু স্থির এবং গতিশীল বস্তু সুষম গতিতে সরল পথে চলতে থাকে। সুতরাং, কোন বস্তুর উপর নিট বলের পরিমাণ শূন্য হলে, বস্তুর ভরকেন্দ্র হয় স্থির নয়তো সমবেগে গতিশীল থাকবে। এই সুত্রানুসারে সময় ও স্থান (space, time) একটা পরমতম স্বাধীন সত্বা। এর অর্থ হলো ঈশ্বর নামক সত্বাকে অস্তিত্বশীল হতে হলে তাকে সময় ও কাল এ দুটো মাত্রার মধ্যেই অস্তিত্বশীল হতে হবে। কিন্তু লিবনিজ তাতে বাধ সাধলেন কারন ঈশ্বরের কাজ হলো অস্তিত্বশীল হওয়া এবং সৃষ্টি করা এবং তাই যদি হয় তাহলে তার সাথে সময় ও স্থানের স হঅস্তিত্বশীল হওয়া একটা দ্বন্ধের জন্ম নেয়। যেমন ধরা যাক ঈশ্বর একটা মহাবিশ্ব তৈরী করবেন এমন একটা স্থানে যেটা এর আগেই তৈরী হয়ে রয়েছে। এখন কথা হলো মহাবিশ্বটা রাখবেন কোথায়। এই মহাবিশ্বকে তো কোনো না কোনো পয়েন্টে রাখতে হবে। যেহেতু পরম স্থান আগে থেকেই অস্তিত্বশীল হয়ে আছে তাই ঈশ্বরের কাছে এই স্থানিক মাত্রার সকল পয়েন্ট একই। তাহলে সে কিভাবে এক পয়েন্ট রেখে আরেক পয়েন্টে মহাবিশ্ব সৃষ্টি করবেন অথবা যদি তিনি কোনো পয়েন্টে মহাবিশ্ব তৈরীই করেন তাহলে তার পেছনে যুক্তিটা কি? ঈশ্বর কি খামখেয়ালী করতে পারেন? তিনি তো যুক্তির পরম। তাকে তো অযৌক্তিক, খাম খেয়ালী হওয়াটা সাজে না।

সময়ের ক্ষেত্রেও একই যুক্তি দেয়া যায়। যদি ঈশ্বরের সাথে সাথে সময়ের সহঅস্তিত্ব থেকে থাকে তাহলে ঈশ্বরকে একটা সময়ের নির্দিষ্ট কোনো পয়েন্ট বেছে নিতে হবে। নিউটনের মতানুসারে ঈশ্বরকে মহাবিশ্ব সৃষ্টি করার জন্য একটা মুহুর্তকে বেছে নিতে হবে। যদি কোনো নির্দিস্ট সময়ে তাকে মহাবিশ্ব সৃষ্টিই করতে হয় তাহলে তার ৩ সেকেন্ড আগে বা এক হাজার বছর পর বা অন্য কোনো সময়ে সৃষ্টি করলে কি সমস্যা? ঈশ্বর এমন খাম খেয়ালী বা হুট করে কোনো কারন ছাড়া কাজ করতে পারেন না। যদি আমরা সৌরজগতের দিকে তাকাই তাহলে দেখবো সূর্যের কাছে আলো ও তাপ দেয়া। এবং সেই আলো ও তাপে পুরো সৌরজগত চলছে ঠিক ঠাক মতো। বিশেষ করে গ্রাভিটি। এখানে আরেকটা সূর্য্যের প্রয়োজন নেই। যদি আরেকটা সূর্য থাকতো তাহলে সেটা অতিরিক্ত এবং বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি করবে। আবার এই পৃথিবীতে "আপনি" শুধু একজনই। আপনার যে স্বতন্ত্রতা এবং বৈশিষ্ট্য তা দিয়ে কিন্তু চলে যাচ্ছে। তারজন্য আরেকটা "আপনি" পৃথিবীতে পাবেন না এবং হবেও না।

এ থেকে লিবনিজ দুটো সূত্র দিলেন। প্রথম সূত্রানুসারে ঈশ্বর পর্যাপ্ত কারন বা উদ্দেশ্য ছাড়া কিছুই করেন না। যেহেতু ঈশ্বর সবকিছুই সৃষ্টি করেছেন, তাহলে সকল সৃষ্টির নিশ্চয়ই কোনো কারন বা উদ্দেশ্য আছে। এবং এই তত্বের সবচেয়ে বড় কাহিনী হলো সময় ও স্থান যার মানে দাড়ায় যে ঈশ্বর কোনো কিছুই খাম খেয়ালী বা উদ্দেশ্যহীনভাবে কিছু করেন না এবং সবকিছুই তাদের নির্দিস্ট বৈশিস্ট্য এবং উদ্দেশ্য নিয়েই তৈরী হয়েছে। আর দ্বিতীয় সুত্রানুসারে ঈশ্বর কখনোই একটা কাজ দুবার করেন না। এবং এই দ্বিতীয় সুত্রটি হলো প্রথম সূত্রটির ফলাফল।

এখন ওপরে বর্নিত গাধার জায়গায় ক্ষুধার্ত ঈশ্বরকে বসিয়ে দেন এবং দেখতে থাকুন কোন খড়ের গাদাটা সে খায়.... ইজেন্ট ইট ফানি?

লিবনিজের প্রায় দুইশ বছর পর আইন্সটাইন তার আপেক্ষিক তত্ব দিয়ে স্থান সময়ের যে সংযোগ সেটা সুন্দরভাবে ব্যাখ্যা করেন এবং তার কয়েক দশক পর আবিস্কার হয় মহা বিস্ফোরন তত্ব বা বিগ ব্যাং। এরপর পদার্থবিজ্ঞান বহু পথ পাড়ি দিয়েছে, অনেক জানা অজানা জিনিস আবিস্কার হয়েছে, অনেক কিছু আবিস্কার হবার অপেক্ষায় কিন্তু যে প্রশ্নটা খুব বেশী সবাইকে নাড়া দেয় সেটা হলো এই বিগ ব্যাং এর আগে কি ছিলো?

একদল বলে নিশ্চয়ই ঈশ্বর ছিলো আরেক দল তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করে উড়িয়ে দেয়। কিন্তু কি ছিলো সেটা এখনো কেউ সুস্পস্টভাবে বলতে পারছে না।

দর্শন শাস্ত্র এই প্রশ্নের উত্তর নিজের মতো করে ভাবে। লিবনিজ মারা যাবার অর্ধ যুগেরও বেশী সময় পর ইমানুয়েল কান্টের আবির্ভাব এবং তিনি লিবিনিজ, হুমে, ওফের উপর ভিত্তি করে একটা বই লিখলেন বাস্তবিক বিচারবুদ্ধির সমালোচক বা ক্রিটিক অব প্রাকটিক্যাল রিজনিং। এই বইতে তিনি প্রশ্ন করেছিলেন মহাবিস্ফোরন বা এই মহাবিশ্বের শুরুতে কি ছিলো। এটার উত্তর দেবার জন্য একটা পন্থা বেছে নিলেন সেটা হলো পারস্পরিক অসঙ্গতির মাধ্যমে প্রমান। প্রথম দিকে তিনি প্রমানের চেস্টা করলেন এই মহাবিশ্বের অবশ্যই একটা সূচনা আছে। তারপর আবার দেখাতে চেস্টা করলেন এই মহাবিশ্বের কোনো সূচনা নেই। এর পেছনে উদ্দেশ্য ছিলো যে আমরা সত্যিকারভাবে এই প্রশ্নটির উত্তর দিতে অক্ষম। কেন?

যদি আপনি খ্রিস্টান হন তাহলে বিশ্বাস করবেন যে মহাবিশ্ব সৃস্টির আগের শুধু ছিলো কিছু শব্দ "লেট দেয়ার বি লাইট"। আর যদি আপনি বিজ্ঞানী হন তাহলে আপনি বিশ্বাস করবেন মহাবিস্ফোরনে। দুভাবেই ধারনা করা যায় যে কিছু একটা ঘটেছিলো এর আগে: ঈশ্বর ভাবলেন যে এখন এই কথাটা বলা যায় অথবা কোয়ান্টাম ইনফ্লেশন ঘটেছে। এখন এর আগে সত্যি কি ঘটেছিলো এটা নিয়ে ভাবতে যান তাহলে আপনি মহা বিস্ফোরন টা ভুলে যান অথবা এর আগে কি ঘটেছিলো সেটা ভুলে যান, শুধু ভাবুন শুরুর ব্যাপারটা। ভাবতে কি শুরু করেছেন? আপনি চিন্তা শুরু করার আগে কি কিছু ঘটেছিলো?

যদি উত্তর হয় "হ্যা": শুরুর আগে কি কিছু ঘটেছিলো? আপনি ভুল করছেন? আপনি শুরুটা দিয়ে শুরু করুন
যদি উত্তর হয় "না": আপনি চিন্তা শুরু করার এক সেকেন্ড আগে কি ঘটেছিলো? আপনি কিভাবে উত্তর দেবেন সেটা মূখ্য বিষয় নয়। আপনি যদি কিছু "না" ও বলেন, তাহলে আপনি স্বীকার করে নিচ্ছেন যে শুরুর আগে একটা এক সেকেন্ড ছিলো। আপনি আবারও ভুল করছেন। আপনি "শুরু" নিয়েই ভাবুন শুধু।

কান্টের পয়েন্ট ছিলো: শুরু নিয়ে ভাবনা শুরু করবার যে চিন্তা সেটা আসলে মূখ্য নয়: কারন আপনি এটা ভুল ভাবে করছেন। আপনি যে ধারনা নিয়ে ভাবছেন সেটা শুধু মাত্র নির্দিস্ট কিছু সত্বা যেমন চন্দ্র তারা সূর্য পৃথিবী থেকে সবকিছু, যেমন মহাবিশ্ব, জন্য প্রযোজ্য এবং এটা কাজ করবে না, সবসময়ই ব্যার্থ হবেন। আমরাই আমাদের জানার সীমাকে নির্ধারিত করেছি। এর বাইরে আমরা কিছু জানতে পারবো না।

একটু সোজা ভাবে বলি, আপনি যখনই বলছেন "শুরু", তাহলে তার আগে কি আছে সেটার প্রশ্ন কিভাবে করছেন? তাহলে যে "শুরু" পয়েন্টটা নিয়ে কথা বলছেন সেটা তো আর শুরু থাকলো না। তেমনি সময়ের যাত্রা বা যে বিন্দু থেকে শুরু করেছে তার আগে কি আছে সেটা নিয়ে প্রশ্ন করলে তো সেটারও একটা সময় চলে আসছে। তাহলে সময়ের যাত্রা কথাটা কিভাবে খাটছে? আপনি নিজের পয়েন্টকেই নিজে অবান্তর বানিয়ে দিচ্ছেন?

এখন দর্শন নিয়ে আপনি যতই ঘাটতে থাকেন আপনি নিজের প্রশ্নের কাছেই নিজে পরাজিত হবেন এবং মহাবিস্ফোরনের আগে কি ছিলো সেটা নিয়ে প্রশ্ন করাটাই অবান্তর হয়ে যায়।

তবে এটা ঠিক এই মহাবিশ্বে কারন ছাড়া কিছুই ঘটে না। যাকে আমরা কার্যকারন বা কজালিটি বলি। ধরা যাক একটা বাসায় আগুন ধরেছে এটা হলো ফলাফল কারন হিসেবে সে বাসায় কেউ কেরোসিন দিয়ে দেয়াশলাই জ্বালিয়ে দিয়েছে। এখন কথা হলো কেউ যদি কেরোসিন দিয়ে দেয়াশলাই না জ্বালাতো তাহলে সে বাসায় আগুন লাগতো না। তাই না? দর্শনের স্বর্নযুগের পথ শেষ করে যখন গনিতবিদ ও পদার্থবিদগন সব উঠে পড়ে লাগলেন মহাবিশ্বের সৃষ্টি রহস্য উন্মোচনের জন্য তখন দর্শনের এই যে বিগ ব্যাং এর আগে বা মহাবিশ্বের শুরু নিয়ে কথা না বলতে পারার অপারগতা সেটার জট খুলতে। আপেক্ষিক তত্বের স্থান ও কালের যে সংযোগ আমাদের সামনে ফুটে ওঠে, মিনকোওস্কি নামের একজন পদার্থবিদ ও গনিতজ্ঞ শুরু করলেন তার মতো করে স্থানিক তিন মাত্রার সাথে সময়কে মাত্রা ধরে তাদেরকে এক সাথে করতে। আমি এটা নিয়ে বিশেষ আলোচনা করবো না কারন এই আলোচনাটা স্টিফেন হকিং তার ব্রীফ হিস্টোরী অব টাইমে বেশ সুন্দর ভাবে করেছেন। আমি শুধু কয়েকটা পয়েন্ট তুলে ধরবো সেটা হলো মিনকোওস্কি স্থানিক তিন মাত্রাকে বক্রাকারে নিয়ে সময়ের মাত্রার সাথে যুক্ত করে একটা রেফারেন্স পয়েন্ট ধরেছিলেন। আইন্সটাইন সে মডেল সামনে রেখে কার্যকারনকে এভাবে সংজ্ঞায়িত করেছেন প্রতিক্রিয়া কখনো অতীতের কোনো নির্দিস্ট ঘটনার কার্যকারন ছাড়া। একইভাবে কোনো কার্যকারনের প্রতিক্রিয়া সম্ভব না তার ভবিষ্যতের ক্ষেত্র এর বাইরে। এর মানে হলো কোনো ঘটনার ফলাফল আলোর গতির চেয়ে বেশী বেগে ঘটতে পারে না অথবা সময়ের বিপরীতে হতে পারে না (এর মানে হলো ফলাফল আগে পাওয়া যাবে ঘটনার ঘটার পূর্বে)। এটা আমাদের বাস্তবিক জগতের অলঙ্ঘনীয় দর্শন হিসেবেই কাজ করে


সমস্যা দেখা দিলো যখন কোয়ান্টাম ফিজিক্সের মাধ্যমে সবাই পরমানুর ভেতরে থাকা পার্টিক্যাল গুলোকে আরো সূক্ষ্মভাবে জানার শুরু করলো। ইলেক্ট্রন কিরকম আচরন করে যেটা ব্যাখ্যা করতে গিয়ে দেখা গেলো শ্রোয়েডিঙ্গার সাহেব বিড়ালের জন্ম মৃত্যু নিয়ে একটা অদ্ভুত ধাঁধাঁ দিয়ে বসলেন। এটা অনুসারে রেডিয়েশন গান তাক করা বিড়ালটি একই সময়ে মৃত এবং জীবিত দুটো অবস্থাতেই আছে। সে হিসেবে আলো যাকে আমরা ফোটন হিসেবে চিনি তার দুটো রূপ একই সময়ে সেটা হলো সে কনিকার মতো আচরন করবে আর তরঙ্গের মত আচরন করবে। এখন আপনি দুটো গামা রশ্মির মুখোমুখি সংঘর্ষ ঘটিয়ে একটা ইলেক্ট্রন ও আরেকটি পজিট্রন তৈরী করলেন। দেখা গেলো বোরের তত্ব অনুসারে ইলেক্ট্রনের স্পিন যদি উর্ধ্বমুখী হয় তাহলে পজিট্রনের হবার কথা নিম্নমুখী। এখন আপনি যদি এই ইলেক্ট্রন আর পজিট্রনকে লক্ষ কোটি আলোকবর্ষ দূরত্বে রাখেন এবং ইলেক্ট্রনের স্পিন বা ঘূর্নন উর্ধ্বমুখীকে নিম্নমূখী করেন তাহলে সমসাময়িকভাবে পজিট্রনের নিম্নমূখী ঘূর্নন একই সময়ে পাল্টে উর্ধ্বমুখী হয়ে যাবে। সমস্যা হলো আইনস্টাইনের রিলেটিভিটি অনুসারে কোনো কিছুই, এমনকি কজালিটিও আলোর চেয়ে দ্রূতগতিতে চলতে পারেনা। যদি তাই হয় তাহলে দেখা যাবে ভবিষ্যতের কোনো ঘটনা অতীতের কোনো প্রতিক্রিয়ার ফল যেটা অসম্ভব। কিন্তু ইলেক্ট্রন পজিট্রনের ঘূর্ননের দিক পরিবর্তন সেই কজালিটির নিয়মটি ভঙ্গ করছে। এখানে আমাদের বাস্তবিক জীবনের দর্শন কাজ করছে না।

তার মানে দেখা যাচ্ছে কোয়ান্টাম স্কেলে দর্শন অকার্যকর। তাই কেউ যদি কোয়ান্টাম ফিজিক্সের কথা মাথায় রেখে জিজ্ঞেস করে এই মহাবিস্ফোরন বা বিগ ব্যাং এর আগে কি ছিলো তখন আপনি শুরুর শুরু বা সময়ের শুরু আগে কি ছিলো এই দার্শনিক ডাইলেমার কথা বলে তাকে রুখে দিতে পারেন না। অন্তত কোয়ান্টাম ফিজিক্স নিজে এই প্রশ্নের উত্তর এখনো প্রমানিত ভাবে না দিতে পারলেও সে সম্পর্কে আলোচনা করার পথ এখনো উন্মুক্ত রেখেছে।

স্বভাবতই আমাদের মেটা স্ট্যবল ইউনিভার্স যেভাবে সম্প্রসারিত হচ্ছে কোনো বড় রকম অঘটন ছাড়াই এর পেছনে যে প্রতিষ্ঠিত যুক্তি দাঁড় করানো গিয়েছে সেটা হলো ক্যাওয়াটিক ইনফ্লেশন যার মানে হলো আমরা যে বিগ ব্যাং বা ইনফ্লেশনের মাধ্যমে এই মহাবিশ্বকে পেয়েছি এরকম আরো ব হু ইনফ্লেশন ঘটেছে বা ঘটতে চলেছে। এই যুক্তির পেছনে বেশ কিছু পর্যবেক্ষন কাজ করে যার একটা হলো হিগস কনিকার ভর যেটা বেশ শক্ত ভাবেই আমাদের মহাবিশ্বকে মেটা স্ট্যাবল তুলে ধরে। আরেকটি হলো সিএমবি পর্যবেক্ষনে বাবল ইউনিভার্সের উপস্থিতি

(ছবি দেওয়া গেলো না, মনে হয় আমার কমেন্ট ব্যানের সাথে ছবি আপলোডও ব্যান করা হয়েছে)।

এই পর্যবেক্ষনে এটা প্রতীয়মান হয় যে আমাদের এই মহাবিশ্বের মধ্যেই আগামীর ছোট ছোট মহাবিশ্ব তৈরী হচ্ছে যেটা মূলত মাল্টিভার্স তত্বকে জোড়ালো করে তোলে।

আরেকটি তত্ব এখনো বাজারে আছে সেটা হলো আমাদের বর্তমান মহাবিশ্ব অন্য কোনো মহাবিশ্বের ভেতরে থাকা ব্লাক হোলের মাধ্যমে সৃষ্টি হয়েছে। স্বভাবতই আমরা জানি যে ব্লাক হোল সকল কিছু শুষে নিজের কেন্দ্রের দিকে নিয়ে যায়। সেক্ষেত্রে অন্য কোথাও হোয়াইট হোলের অস্তিত্ব বিদ্যমান যার মাধ্যমে ব্লাক হোল তার শুষে নিয়ে পদার্থ সমূহ নিঃসরন করে। আমাদের মহাবিশ্বর তারই পরিনতি। আর যদি সেটাই হয় তাহলে আমরা এই মহাবিশ্বের কিনারা কখনো ছুতে পারবো না কারন আমরা ব্লাক হোলের ইভেন্ট হরাইজন কখনো অতিক্রম করতে পারবো না। এই তত্ব টেস্ট করতে হলে আমাদের মহাবিশ্বকে একটা ক্লোজ সিস্টেম হতে হবে। মহাবিশ্ব সাধারনত তিন রকমের হতে পারে: বদ্ধ,উন্মুক্ত ও সমতল। বদ্ধ হলে আপনি যদি মহাবিশ্বকে কোনোভাবে চলতে শুরু করে কিনারা ছুতে চান তাহলে আপনি যেখান থেকে যাত্রা শুরু করেছেন আবার সেখানে ফিরে আসবেন। উন্মুক্ত হলে দুটো আলোর রশ্মি সমান্তরাল ভাবে নিঃসরিত হলে তারা একে অপরের কাছ থেকে দূরে সরে যাবে। সমতল হলে তারা অনন্তকাল সমান্তরাল ভাবেই চলবে।

আরেকটি মডেলে দেখা যায় মহাবিশ্ব সম্প্রসারন হতে হতে একসময় নিজের দিকে টানতে শুরু করে এমনভাবে এক বিন্দুতে মিলিত হবে যে আবারও আগের মতো বিস্ফোরন দেখা দিবে। এটাকে বিগ ক্রাঞ্চ বলে। এবং এই মডেল অনুসারে এরকম বিগ ক্রাঞ্চ অনন্তসময় ধরেই চলছে।


***এখন কথা হলো তাহলে সবকিছুর পূর্বে ঈশ্বরের অস্তিত্ব দিলে কেমন হয়। সেক্ষেত্রে গতপর্বে গোডেলের যে ঈশ্বরের প্রমানের তত্ব দিয়েছিলাম সেটার ভুল প্রমান করি।

তার লজিকের একটাই প্রধান ভুল সেটা হলো সার্কুলার রিজনিং ফ্যালাসী। এর মানে হলো সে মহাবিশ্বকে একটা ক্লোজ সিস্টেম ধরে নিয়ে নিজের অনুসিদ্ধান্ত সমূহকে নিজের অনুসিদ্ধান্ত দিয়েই প্রমান করছেন। কিন্তু তিনি তার অনুসিদ্ধান্তের নিজস্ব সঠিকতার কোনো প্রমান হাজির করেননি।

এটা অনেকটা এমন যে কোরান মহান সত্য গ্রন্থ কারন এটা কোরানেই বলা আছে। এটাই হলো সার্কুলার রিজনিং লজিক্যাল ফ্যালাসী।

*** এখন আরেকটি প্রশ্ন আসতে পারে সেটা হলো যদি আমাদের মহাবিশ্ব সৃষ্টির আগে এরকম পৌনঃপুনিক প্রগমনিক ধারার ফল হিসেবেই ধরে নেয়া হয়, তাহলে এসবের মূলে কি ছিলো?

যদিও এটা খুব জোরালোভাবে প্রতিষ্ঠিত নয়, তবে গানিতিক ভাবে বেশ কিছু ইঙ্গিত পাওয়া যায়। এটা বিস্তারিত না লিখে তার চেয়ে বরং একটা পুরোনো ভিডিও দেই যেটা আমার অনেক প্রিয় একটা ভিডিও। এখানে সে হিন্টস পেতে পারেন।




ফুড ফর থট..............

হ্যাপী ব্লগিং!

রেফারেন্স:

১) বুড়িদানের গাধার উইকি পেজ
২) ইমানুয়েল কান্টের ক্রিটিক অব পিওর রিজনিং
৩) কজালিটি ভেঙ্গের পড়ার ওপর একটা জার্নাল

মন্তব্য ৬৪ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (৬৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে মার্চ, ২০১৯ সকাল ৭:২০

রাজীব নুর বলেছেন: এটা অনেক পুরাতন প্যাচাল। কিন্তু এই প্যাচাল কেয়ামত পর্যন্ত চলতেই থাকবে।
আমি ভাই আধুনিক মানুষ। আমি বিজ্ঞানের সাথে থাকতে চাই। কুসংস্কার আমার পছন্দ না।

২৪ শে মার্চ, ২০১৯ দুপুর ১২:৩৪

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: ধন্যবাদ পোস্ট সংশ্লিষ্ট মন্তব্যের জন্য

২| ২৪ শে মার্চ, ২০১৯ সকাল ১০:৩১

স্বপ্নডানা১২৩ বলেছেন: উদাসী ভাই, আমার এই কমেন্টের জন্য আগেই ক্ষমা প্রার্থী । আপনি চাইলে আমাকে ব্যান করতে পারেন । কিন্তু এই দ্বিচারিতা সহ্য হয় না ।

উদাসী ভাইয়ের এই পোস্ট যদি ফরিদ সাহেব তার নিজের কল্পনা মিশিয়ে /তার নিজের মত করে লিখতেন, তাইলে রাজীব সাহেব বলতেন, চাচাজী আপনার এত চমতকার ধর্মীয় পোস্ট পড়ে দিন শুরু করলাম । বিয়াপক ধন্যবাদ নিবেন । প্রথম কমেন্ট আমিই করলাম (যদিও ইতিমধ্যে ঝড়ের বেগে দশ/বিশখান কমেন্ট রাজীব সাব করে ফেলেছেন ) । কেন ভাই, এই দ্বিচারিতা করে কী লাভ হয় ?

২৪ শে মার্চ, ২০১৯ দুপুর ১২:৩৬

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: উনি উনার স্বভাব বদলে পোস্ট সংশ্লিষ্ট মন্তব্য করেছেন আমি তাতেই খুশী। বাকি ব্যাপারে বলার কিছু নেই। দেশের বর্তমান ক্ষয়ীষ্ণু সমাজ ব্যাবস্থায় এ ধরনের মেরুদন্ডহীন অথবা সব দিকে হাওয়া দেয়া মানুষেরাই ভালোভাবে টিকে থাকতে পারে। উনি যদি তাই করে লাভবান হন সেখানে আমাদের কিছু বলার থাকতে পারে না

৩| ২৪ শে মার্চ, ২০১৯ সকাল ১০:৫২

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আপনার পোস্ট মানেই বিরাট কিছু। এ পোস্টে আবার আসবো। আপনার সাথে হয়ত ব্লগার নতুনই মতামত যুক্ত করতে পারবেন; আরেকজন ছিলেন- ম্যাভেরিক, তিনি বহুদিন ধরে ব্লগে নেই; থাকলে এসব আলোচনা পড়ে জ্ঞানপিপাসা নিবারণ করা যেত। ব্লগের শুরুর দিনগুলোতে অলস ছেলে, আকাশ অম্বর, প্রমুখ ব্লগারগণও সৃষ্টি রহস্য নিয়ে জ্ঞানগর্ভ পোস্ট দিতেন। এগুলো পড়ে খুব আনন্দ পাই, যদিও এ সম্পর্কে জ্ঞান নাই, তাই মতামতও দেয়াও সম্ভব না।

আমার একটা জিনিস জানতে ইচ্ছে করছে- আল্লাহ আছেন কী নাই, বিজ্ঞানীরা খামোখা এটা নিয়া এত চিন্তা করলেন কেন? আই মিন, এত গবেষণা করে প্রমাণ করার কী দরকার যে আল্লাহ নাই? আল্লাহর অস্তিত্ব ডিস্প্রুভ করার জন্য এত শ্রম ও সময় ব্যয় করার কোনো কারণ ছিল না।

বিজ্ঞ ব্লগারদের মতামত ও আলোচনা দেখার জন্য বসলাম।

আবার আসবো প্রশ্ন নিয়ে।

২৪ শে মার্চ, ২০১৯ দুপুর ১:৩৫

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: বিজ্ঞান ঈশ্বর নিয়ে চিন্তা করে এটা একটা ভ্রান্ত ধারনা ও মিথ্যা অপবাদ। বরংচ দর্শন ঈশ্বর ও ঐশ্বরিক প্রবৃত্তিগত ব্যাপার নিয়ে ভাবে বলেই নৃতত্ব ও থিওলোজি এই দুটো শাখার প্রভুত বিস্তার ঘটেছে। এবং এর মাধ্যমে আমরা বিশ্বাসকে যুক্তি দিয়ে খন্ডাতে পারার কৌশল সম্পর্কে অবগত হতে পেরেছি। এখন প্রশ্ন আসতে পারে দর্শনের কেন এটা দরকার ছিলো।

মানুষ এখন সব কিছু নিয়ন্ত্রন করতে পারছে বলেই সে বাস্তুসংস্থানের শীর্ষে অবস্থান করছে এবং শারীরিক ভাবে দূর্বল হয়েও নিজের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে পেরেছে এবং পারবে। এর জন্য তার যেটা দরকার ছিলো অজানাকে জানা এবং যুক্তি ও তথ্যের মাধ্যমে বিশ্লেষন করে কোনো কিছু সম্পর্কে প্রেডিক্ট করা। একসময় রেডিওর অভাবে লক্ষ লক্ষ লোক ঘুর্নিঝড়ের কারনে উপকূলে মানুষ মারা পড়তো। আবহাওয়ার পূর্বাভাস সম্পর্কে মানুষ তার মুন্সিয়ানা অর্জন করলো এবং রেডিওর মাধ্যমে তা ছড়িয়ে দিতে পারলো তখন এই লক্ষ লক্ষ মানুষের প্রানহানি ঠেকানো গেলো এবং এখন ঘূর্নিঝড় কখন কবে হয় সেটার খোজই নেই না কারন প্রানহানী শূন্যের কোটায় চলে এসেছে। এরকম অজস্র উদাহরন দেয়া যাবে এবং এর জন্য আমাদের মিলাদ বা নামাজ পড়ে মিথ্যা কল্পিত ঈশ্বরের কাছে হাত পেতে জামাত করে কাঁদতে হয়নি।

বিজ্ঞান কখনোই ঈশ্বরের অস্তিত্ব নিয়ে ভাবে না এবং এই ব্যাপারে কোনো একাডেমিক ডিসকোর্স সে করে না যার প্রমান এই সম্পর্কিত তার কোনো শাখা বা ফ্যাকাল্টি নেই যেটা কিনা দর্শনের আছে। যদিও বিজ্ঞান নিজেই দর্শনের অধিবিদ্য শাখার একটা প্রশাখা মাত্র। বিজ্ঞান ঈশ্বর সম্পর্কিত বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে আগ্রহী এই কারনে নয় যে ঈশ্বর কোনো ফ্রেমওয়ার্ক বা কোনো বৈজ্ঞানিক মেথোডলজিতে পড়েন না (সঙ্গতকারণেই বৈজ্ঞানিক ফ্রেমওয়ার্ক বা মেথডোলজি কি সেটার ব্যাখ্যা করছি না)। তার মানে এই নয় যে ঈশ্বর নেই। এর পেছনে ধারনা করা যেতে পারে যে বিজ্ঞান ঐশ্বরিক কনসেপ্ট নির্ভর নয় অথবা বিজ্ঞান ঐশ্বরিক ধারনা নিয়ে কাজ করতে অক্ষম। এখন কোনো বিজ্ঞানী বিজ্ঞান দিয়ে ঈশ্বর আছে কি নেই সেটা প্রমান করেন তাহলে এর সার্বিক দায় দায়িত্ব একান্ত তার ব্যাক্তিগত।

আর প্রচলিত ধর্মগুলো সত্য না মিথ্যা এটা নিয়ে তর্ক করা আর একজন পিএইচডিধারীকে আদর্শলিপি ঠিক করতে দেয়া একই কথা। অনেকে বলেন ধর্ম আমাদের শান্তি দিয়েছে এটাও একটা ডাহা মিথ্যা ও হঠকারী দাবী।আজকের প্রথম আলোতেও একটা আর্টিক্যাল ছেপেছে যেখানে নিকটাত্মীয়কে বিয়ে করলে প্রথম প্রজন্মের মধ্যেই যে স্বাস্হ্য ঝুঁকি ঘটে সেটা নিয়ে। একটা পোস্টে ব্লগার মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেনকে এটা বলেছিলাম জেনেটিক্স দিয়ে, আপনাকেও বলছি আব্রাহাম্ক ধর্মগুলো যে আদম হাওয়ার মাধ্যমে মানবজাতির উন্মেষের গল্প শোনায় এটা কত বড় ভুল ও অসম্ভব ব্যাপার। এমনকি মিথ্যা ধর্ম ইসলামের প্রবক্তা ডাকাত নবী যখন তার চাচতো ভাই এর সাথে নিজের মেয়ের বিয়ে দিলেন এবং নিজে পালকপুত্রের স্ত্রী আপন ফুফাতো বোনকে বিয়ে করলেন সেক্ষেত্রে এটা যে কত বড় ঝুকিপূর্ন সম্পর্ক সেটা বলার অপেক্ষা রাখে না। যদিও ইসহাক থেকে জানি মোহাম্মদ শেষ বয়সে ইরেকটাইল ডিসফাংশনে ভুগছিলেন বলে সে পেডোফাইল হন এবং সন্তান জন্ম দিতে অক্ষম ছিলেন, তাই কোনো দুর্ঘটনা ঘটেনি কিন্তু তার প্রচলিত ধর্মের অনুসারীরা একটা ঝুকিপূর্ন প্রথা মেনে কতটা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে সেটা এখন বুঝতে পারি। এসব আব্রাহামিক ধর্ম যদি সত্যিই হতো তাহলে কি আপনার ধারনা এসব চর্চা তাদের ঈশ্বর করতে বলতেন?

পুরোনো ব্লগার যারা ছিলেন তারা প্রচন্ড মেধাবী ছিলেন। যতদূর জানি ম্যাভেরিক প্রথম আলোর গনিত অলিম্পিয়াডের বিজয়ী বা কিছু একটা ছিলেন। সন্দেহ ছিলো উনি স্কলারশীপে নরওয়ে চলে যান। আর অন্যান্য অনেকের সাথেই আমার ইন্টারেকশন ছিলো। তখন ফরিদ বা সনেট কবি অথবা মাইনুলদের জঙ্গি পেডোফাইল অনেকেই ছিলো এবং বেশ ভালো পরিমানের ছিলো কিন্তু তারপরও আমাদের একাডেমিক ইন্টারেকশন গুলো জমতো। মনে কিছু করবেন না এখন আর সেরকম পোস্ট করি না কারন ব্লগগুলোতে সে ইন্টারেকশন পাই না।

তবে যে নেই সেটাও ভুল। আমাকে সবচে বেশী আশ্চর্য করেছে বিপ্লব০০৭ নামের ছেলেটা। শুনেছি সে আহসানউল্লাহর ছাত্র তাও আমার ডিপার্টম্যান্টের কিন্তু ইদানীং ব্লগে আসলে ওকেই খুঁজি এবং ওর কমেন্ট পড়তে আগ্রহী হই। মনে কিছু করবেন প্লিজ।

ভালো থাকবেন এবং আপনারা আছেন বলেই টুকটাক ব্লগে লেখা দেই।

২৪ শে মার্চ, ২০১৯ দুপুর ১:৪৪

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: আর ব্লগের প্রায় ১২ বছর জীবনে নতুন ভাইয়ের মতো সভ্য এবং জেন্টলম্যান আমি কখনো দেখিনি। তার অনেক কোট অনুমতি ছাড়াই মেরে দেই নিজের কমেন্ট বা পোস্টে কারন সেগুলো অনেক বানী চিরন্তন টাইপের মনে হয়। এগুলো এড়ানো বা ভুলে থাকা কোনো সুস্থ মানুষের পক্ষে সম্ভব নয়।

আমি যে ওনার সাথে ইন্টারেক্ট করি সেজন্য নিজেকে কিঞ্চিৎ ধন্য মনে করি যদিও ব্যাক্তিগত ভাবে ওনার সাথে আমার কোনো পরিচয় নেই এমনকি ওনার ফেসবুক আইডিটাও জানি না যেটা আমার জন্য একটু দুঃখজনক।

আমি আসলেই সম্মানিত অনুভব করি যখন তার সাথে একটু ব্লগিয় ভাবানুবাদ লেনদেন করি

৪| ২৪ শে মার্চ, ২০১৯ সকাল ১০:৫৯

স্বপ্নডানা১২৩ বলেছেন: বিগ ব্যাং এর আগে কি ঘটেছিল এর জবাবে হকিং " no boundary proposal:" এর দিকে ইংগিত করেন । মহাবিশ্ব দিনকে দিন বিস্তৃত হচ্ছে, একে রিমোট হিসেবে কল্পনা করে রিওয়াইন্ড করলে সংকুচিত হতে হতে একটিমাত্র কণায় পরিণত হয়ে যাবে ।

"StarTalk" TV show on the National Geographic Channel.

২৪ শে মার্চ, ২০১৯ দুপুর ১:৪০

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: এটা বিগ ক্রাঞ্চের মূল ভিত্তি। তবে সমস্যা হলো আমাদের মহাবিশ্ব অনেক লো এনট্রপির এবং হিগসীর ভর অনুযায়ী বিগ ক্রাঞ্চ অনেক প্রলম্বিত অথবা এরপর যে বিগ এক্সপানশন হবে সেটার ইঙ্গিত খুব একটা দেয় না। কোয়ান্টাম ফ্লাকচুয়েশন পুরোপুরি স্ট্রিং থিওরীর সাথে যায় সেক্ষেত্রে এক্সোটিক পার্টিক্যালস, সুপার সিম্যাট্রি পেয়ারস যতদিন না পর্যবেক্ষন না করা যাচ্ছে ততদিন হতাম ভার্সনের স্ট্রিং থিওরী তথা বিগ ক্রাঞ্চ নিয়ে কিঞ্চিৎ সন্দেহ থেকে যায়। তবে বলা যায় না আগে ভাগে কোনো কিছুই

ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য

৫| ২৪ শে মার্চ, ২০১৯ দুপুর ১২:১৬

নতুন বলেছেন: লিবনিজ সাহেব ঠিকই বলেছেন.... গাধা তো গাধাই... সে রেনডম একটা থেকেই খাবে...ওতো চিন্তা করবেনা।

যেমন ঠিক আমাদের দেশের জনগন করে... হক মাওলা বা বোম সংকর বলে কিছু বললেই জনগন সেটা মেনে নেবে। কিছু মানুষ অবশ্যই মানবে... খুব কম সংখক আছে যারা প্রশ্ন করবে এবং এটার ভুয়াত্ব প্রমানে চেস্টা করবে... কারন গাধা এক সাথে হলে গাধার পাল হয়ে যায়...এবং প্রথম একটা যেই পথে যায় বাকি গুলি তার পেছনে যায়।

আরেকটা বিষয় হলো মহাবিশ্ব এতোই বড় যেটা সৃস্টি শুধুই এই বিশ্বের মানুষের জন্য... আর তার সৃস্টকতা মিলিওন বছরের পৃথিবিতে মাত্র ২/৩ জনের সাথে সরাসরি বাতা` পাঠিয়েছে....এবং সবাই আরবীয়। <<< এইটা যে একটা বিরাট ঘাপলা সেটা অনেকেই চিন্তা করেন না।

২৪ শে মার্চ, ২০১৯ দুপুর ১:৫৮

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: আসলে গাধার যে ধাঁধা এটার উৎপত্তি ছিলো এ্যারিস্টটলের ডি কালিওতে উল্লেখিত একটা ধাঁধা থেকে। সেখানে বলা হয়েছিলো একজন মানুষ সে সমান ভাবেই ক্ষুধার্ত ও তৃষ্ণার্ত এবং তার সামনে খাবার ও ড্রিংক দুটো দিয়ে বসিয়ে দিলে সে যে গোলক ধাঁধায় পড়বে। এ্যারিস্টটলের মতাদর্শে প্রভাবিত ইমাম গাজ্জালিও প্রায় অনুরূপ ধাঁধার কথা বলেন যেখানে খাবার অর ড্রিংকের বদলে উন্নত মানের খেজুড়ের ব্যাবহার করা হয়। তাদের অনেক পড়ে ফ্রেঞ্চ ফিলোসফার বুরিডেন এই ধারাটির স্যাটায়ার ভার্সন হিসেবে গাধার ব্যাবহার করেন। এটা সত্য যে লিবনীজ তার সমাধান করেছেন কিন্তু বাস্তবতার নীরিখে মানুষের মাঝে এই ডাইলেমা অহরহই দেখা যায় যদিও এতে কেউ যে মারা গেছে সে খবর পাওয়া যায়নি।

আমি নিজে ব্যাক্তিগত ভাবে ঈশ্বর বা ঐশ্বরিক সুপ্রিমেসী বা সত্বায় বিশ্বাসী কিন্তু প্রচলিত ধর্মে না। একজন সুস্থিত মানুষ ধর্মে বিশ্বাস করা মানে গলায় তাবিজ কবজ পড়া কুসংস্কারে বিশ্বাস করার সামিল। এর ধর্মগ্রন্থের কথা গুলো এতটাই হাস্যকর ও দুর্বল ভীত ও ফ্যালাসীপূর্ন যে এগুলো সাহিত্যমূল্যও খুব একটা বেশী নেই। সস্তাদরের ঠাকুরমার ঝিলিক বইগুলোর সমকক্ষ হলেও অনেক বলা হয়ে যায়

৬| ২৪ শে মার্চ, ২০১৯ দুপুর ১২:৫৪

নতুন বলেছেন: সৃস্টিকতাকে এই রকমের অনেক খামখেয়ালীপূন কাজ করতে হয়।

কোন রুহ দুনিয়াতে আগে আসবে
কে কার পরিবারে জন্মাবে
কে ধনী গরীব হবে
কোন শিশু কোন বয়সে মারা যাবে...

অনেক কিছুই আছে যেটার কোন মানে নেই...কিন্তু সুধু সৃস্টিকতার ইচ্ছা মনে করেই সবাই মেনে নেয়।

২৪ শে মার্চ, ২০১৯ দুপুর ২:০০

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: একসময় মানুষ অসহায় ছিলো তাই মেনে নিতো কিন্তু এখন আর সেটা নেই। যদিও বাংলাদেশে জঙ্গি ধর্মের প্রভাব বাড়ছে কারন এই দেশের মানুষ কুশিয়ার ও অসুস্থ সমাজ ও রাজনৈতিক নিস্পেহনে পুরোপুরি দিশেহারা।

এর বাইরে আর কি কারন থাকতে পারে

৭| ২৪ শে মার্চ, ২০১৯ দুপুর ১:৫৮

রাকিব আর পি এম সি বলেছেন: বিজ্ঞানে পরীক্ষণ এবং পর্যবেক্ষণ এই দুটো বিষয়ের গুরুত্ব অপরিসীম। বিগ ব্যাং তত্ত্ব হোক কিংবা অাপেক্ষিকতার তত্ত্ব, এগুলো বিজ্ঞানের সূক্ষ্ম পর্যবেক্ষণের উপরই সুপ্রতিষ্ঠিত। কিন্তু অামাদের এই পর্যবেক্ষণের একটি সীমাবদ্ধতা রয়েছে। বিগ ব্যাং থেকে পরবর্তী প্রায় ৩৮০০০০ বছর পর্যন্ত মহাবিশ্বটি একটি অস্বচ্ছ প্লাজমা অবস্থায় ছিল যার কোন কিছুই টেলিস্কোপে পর্যবেক্ষণ করা সম্ভব না। এই সময়ের পূর্বের অবস্থা জানার জন্য অামাদেরকে তাত্ত্বিক পদার্থবিজ্ঞান এবং তার বিভিন্ন পরীক্ষণে প্রাপ্ত ফলাফলের উপর নির্ভর করতে হয়। কিন্তু তাত্ত্বিক পদার্থবিজ্ঞান ও তার গাণিতিক সূত্র ও সমীকরণগুলোরও একটি সীমাবদ্ধতা রয়েছে। কারন বিগ ব্যাং এ গিয়ে পদার্থবিজ্ঞানের এই সূত্রগুলো অকার্যকর হয়ে যায়। গত চার শতাব্দীর দিকে যদি অামরা লক্ষ্য করি, সপ্তদশ থেকে বিংশ শতাব্দী, এই ৪০০ বছরে পদার্থবিজ্ঞান অনেক অগ্রসর হয়েছে। ৪০০ বছর অাগে অামরা যেটা কল্পনাও করিনি, অাজকে সেই কল্পনাকে পেছনে ফেলেও অারো অনেক দূর পর্যন্ত অামরা নিজেদের কল্পনাশক্তি কে প্রসারিত করতে পারি। কোন ঘটনাকে এখন বিজ্ঞান দিয়ে প্রমাণ করা যাচ্ছে না তার মানে এই নয় যে সেই ঘটনা কখনো ঘটেইনি কিংবা তার কোন অস্তিত্বই নেই। হয়ত অাগামী ৪০০ বছরে পদার্থবিজ্ঞান অারো সমৃদ্ধ হয়ে সেই ঘটনার কোন গাণিতিক কিংবা পরীক্ষালব্ধ প্রমাণ দিতেও পারে। কাজেই বিগ ব্যাং এর পূর্বে(!!) যদি কিছু থেকে থাকে, কিংবা এই মহাবিশ্বটি যদি কোন সুবিশাল বহু মহাবিশ্ব সিরিজের একটি হয়ে থাকে, তবে সৃষ্টিকর্তারও কোন উপায়ে সৃষ্টি না হয়েও বিশ্বব্রহ্মাণ্ডে বিদ্যমান থাকার যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে।

২৪ শে মার্চ, ২০১৯ দুপুর ২:০৭

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: আমি জানি না আপনি কোথা থেকে বিগ ব্যাং পড়েছেন বা জেনেছেন কিন্তু তিন লক্ষ ৮০ হাজার বছর পর্যন্ত প্লাজমা অবস্থা এরকম ভুল বক্তব্য শুনে আপনার লজিক খন্ডাতে মন চাইছে না।

অনুরোধ পদার্থবিজ্ঞানের কোনো ভালো বই পড়ুন। এবং কমেন্ট পড়ে বুঝলাম পদার্থিবিজ্ঞানের মৌলিক ধারনা আপনার মধ্যে বেশ দুর্বল।

এখানে গিয়ে দেখতে পারেন এখানে গিয়ে একটু প্লাঙ্ক ইপোকটা সম্পর্কে জেনে আসুন। আমাদের সময় আর্থার ব্রেইজারের বইটা বেশ ভালো ছিলো বেসিক ঠিক করার জন্য। এমনকি ইন্টারের বইটাও খুব সুন্দর ভাবে কোয়ান্টা ফিজিক্সের ছিটেফোটা তথা নিউটোনিয়ান ম্যাকানিক্সের উল্লেখ ও কোয়ান্টাম ফিজিক্সের বেসিক এক্সপেরিমেন্টের ব্যাখা ছিলো। পারলে সেগুলো পড়ে নিজেকে সমৃদ্ধ করার অনুরোধ রইলো

৮| ২৪ শে মার্চ, ২০১৯ দুপুর ২:২৫

রাকিব আর পি এম সি বলেছেন: @লেখক, অামার নিজের জ্ঞানের প্রতি যথেষ্ট অাত্মবিশ্বাস অাছে এবং অামি জানি যে অামি কি লিখছি। অাপনি বরং photon decoupling সম্পর্কে পড়তে পারেন, লিংক দিয়ে দিলাম- Click This Link)

২৪ শে মার্চ, ২০১৯ দুপুর ২:৫৭

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: আপনি লিংকটা ঠিক ভাবে সংযুক্ত করতে পারেননি তবে আপনি যে ফোটন কাপলিং এর কথা বলছেন সেটা মূলত ফোটন বেরিওন ফ্লুইড। ইলেক্ট্রন আর প্রোটন মিলে হাইড্রোজেন গঠনের পূর্বে থমসন স্ক্যাটারিং অনুযায়ী মুক্ত ইলেক্ট্রন সমূহ কসমিক মাইক্রোওয়েব ব্যাকগ্রাউন্ড রেডিয়েশনের ফোটন নিঃসরন করে এবং এই ফোটন গুলো তখনকার গ্যাসীয় অবস্থায় উচ্চচাপের ফ্লুইড রূপান্তরিত হয়ে মুক্ত ইলেক্ট্রনের ওপর তীর্যক চাপ প্রয়োগ করে। ফলে ইলেক্ট্রনের চার্জ সমূহ প্রোটনগুলোকে টানতে শুরু করলে ফোটন অন্যান্য বেরিওনিক পার্টিক্যালের সাথে যে ফ্লুইড উৎপন্ন হয় তাকে বলা হয় ফোটন বেরিওনিক ফ্লুইড বা আপনার এই কাপলিং। আপনি যেটাকে প্লাজমা বলছেন সেটা পদার্থের চতুর্থ দশা বা আয়োনাইজড গ্যাস। আমাদের প্রিইন্জিনিয়ারিং কোর্সে থমসন স্ক্যাটারিং বা বিচ্ছুরনটি ছিলো। বিগ ব্যাং এর ক্ষেত্রে একে উত্তপ্ত প্লাজমা দশা বলা হয়। কিন্তু বিগ ব্যাং এ কোয়ার্ক গ্লুওন প্লাজমা ছিলো যখন ইনফ্লেশন ইপোক বিদ্যমান। তার মানে ১০^-৩৬ থেকে ১০^-২৪। এরপরই শুরু হয় হিগস বোসন, এক্সোটিক ম্যাটারের উৎপত্তি (যেটা কিনা হোয়াইট হোল স্ট্যাবিলিটির জন্য জরূরী)।

তো আপনি পদার্থের দশের সাথে বিগ ব্যাং এর একটা যুগ গুলিয়ে ফেললে একটু মুস্কিল। গরম উত্তপ্ত প্লাজমা মানে পদার্থের আয়োনাইজড গ্যাসীয় রূপ আর এবং তখন সাব এটমিক পার্টিক্যালস অলরেডি তৈরী এর সেখানে মহাবিষ্ফোরনের সত্যিকারের প্লাজমা দশা কিন্তু ঐ ইনফ্লেশন ইপোকের সময়টাতেই।

বোঝাতে পেরেছি?

৯| ২৪ শে মার্চ, ২০১৯ বিকাল ৪:২৩

মাহমুদুর রহমান বলেছেন: যেমন ধরা যাক ঈশ্বর একটা মহাবিশ্ব তৈরী করবেন এমন একটা স্থানে যেটা এর আগেই তৈরী হয়ে রয়েছে। এখন কথা হলো মহাবিশ্বটা রাখবেন কোথায়। এই মহাবিশ্বকে তো কোনো না কোনো পয়েন্টে রাখতে হবে।

কোন কিছুই নিজ থেকে তৈরি হয় না।মনে রাখতে হবে সব সৃষ্ট জিনিসের স্রষ্টা আছে।আর এক্ষেত্রে যদি একাধিক ইলাহ থাকতো তাহলে উভয়ই ধবংস হয়ে যেত।সুতরাং আপনার এই ধারনাটাই অবান্তর।

আলবার্ট আইনস্টাইন বলেছেন, ধর্ম ছাড়া বিজ্ঞান হলো পঙ্গু আর বিজ্ঞান ছাড়া ধর্ম সেটা অন্ধ।পবিত্র কোরআন কোন সাইন্সের বই নয় এতে রয়েছে সাইন আর আয়াত।এখানে ছয় হাজেরও বেশী নিদর্শন আর আয়াত বিদ্যমান যার মধ্যে এক হাজারেরো বেশী আয়াতে বিজ্ঞানের কথা বলা হয়েছে।কেউ কেউ আছে একটা আয়াত পড়ে বিশ্বাস করে কেউ দুটো কেউবা তিনটে চারটে এমনকি
কেউ কেউ আছেন দশ হাজার আয়াত দেখেও সে বিশ্বাস করবে না।

যদি একজন বিজ্ঞানীকে জিজ্ঞেস করেন এই মহাবিশ্ব সৃষ্টি হলো কি করে?
তিনি বলবেন,এটা পূর্বে ছিলো একটা বিন্দুতে তারপর একটা বিস্ফোরণ হলো আর সেখান থেকে ছায়াপথ সহ অন্যান্য গ্রহ উপগ্রহ এসব সৃষ্টি হলো।পবিত্র কোরআন সূরা আল-আম্বিয়ার ত্রিশ নম্বর আয়াতে উল্লেখ আছে,অবিশ্বাসীরা কি ভেবে দেখে না আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবী মিশেছিলো ওতোপ্রতোভাবে অতঃপর আমি উভয়কে পৃথক করে দিলাম।পবিত্র কোরআনের এই আয়াতে বিগব্যাঙ্গ এর থিউরির কথা বলা হয়েছে।আমরা এই কথাটা জেনেছি অল্প কয়েকদিন পূর্বে যা পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে ১৪০০ বছর আগে।

বিজ্ঞানী স্টিফেন হকিং বলেছেন, মহাবিশ্বের যে বিভিন্ন উপাদান আবিষ্কার করা গেছে,সেটাই হলো গত শতাব্দীর সবচেয়ে বড় আবিষ্কার আর এসবের উপর ভিত্তি করে আমরা বিগব্যাঙ্গ এর রহস্য ও সত্যতা জানতে পেরেছি।অথচ ১৪০০ বছর পূর্বে পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে,
সূরা ফসিলত : আয়াত ১১ :
"অতপর তিনি আকাশের দিকে মনোযোগ দিলেন যা ছিল ধুম্রুপুঞ্জ , অতপর তিনি তাকে ও পৃথিবীকে বললেন , তোমরা উভয়ে আসো ইচ্ছায় অথবা অনিচ্ছায় l তারা বলল আমরা আসলাম সেচ্ছায় l"

সুরা ফসিলত : আয়াত ১২ :
"অতপর তিনি আকাশমন্ডলীকে দুদিনে সপ্ত আকাশ করে দিলেন এবং প্রত্যেক আকাশে তার আদেশ প্রেরণ করলেন l আমি নিকটবর্তী আকাশ কে প্রদীপমালা দ্বারা সুশোভিত ও সংরক্ষিত করেছি l এটা পরাক্রম শালী সর্বজ্ঞ আল্লাহর ব্যবস্থা l"

২৫ শে মার্চ, ২০১৯ ভোর ৫:০০

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: কোন কিছুই নিজ থেকে তৈরি হয় না।মনে রাখতে হবে সব সৃষ্ট জিনিসের স্রষ্টা আছে।আর এক্ষেত্রে যদি একাধিক ইলাহ থাকতো তাহলে উভয়ই ধবংস হয়ে যেত।সুতরাং আপনার এই ধারনাটাই অবান্তর।

উত্তর: কোনো কিছু নিজে থেকে তৈরী হয় না এটা যে কোয়ান্টাম ফিজিক্সের ক্ষেত্রে সত্য নয় সেটা নিয়েই আমার এই লেখা। যদি লেখাটাতে কজালিটি ব্রেক ডাউন দিয়ে বুঝিয়েছি আমাদের চেনা জানা জগতের যে দর্শন (একটা গাড়ী কখনো নিজে থেকে তৈরী হয়নি, তার একজন ম্যাকানিক বা ইন্জিনিয়ার আছে যদিও সেই ম্যাকানিক বা ইন্জিনিয়ারকেও জন্ম হতে হয়েছে তার মায়ের গর্ভে এবং সেটার জন্য শুক্রানু ও ডিম্বানুর প্রয়োজন ছিলো ইত্যাদি) সেটা কোয়ান্টাম ফিজিক্সে থাকে না। যদি আপনার ফিজিক্স বোঝার ক্ষমতা থাকে তাহলে এই এক্সপেরিমেন্টের ওপর লেখা ব্লগ পড়তে পারেন। বর্তমান বিশ্বে বিভিন্ন ইউনিভার্সিটির মডেল কোলাইডারে শোয়েঙ্কার প্রসেসে অহ রহই এই এক্সপেরিমেন্ট করা হচ্ছে যার ফলে কোয়ান্টাম ফিজিক্স এখন প্রতিষ্ঠিত। আপনার এই স্রস্টা বিষয়ক লজিককে কালাম কসমোলজিক্যাল আর্গুমেন্ট বলে এবং দুঃখের বিষয় হলো ইসলামিস্টদের এই আরগুমেন্ট বাইবেলের ওপর ভিত্তি করে তৈরী করা এবং অনুসরন করা হয়েছে এ্যারিস্ট টলের দর্শনের ওপর ভিত্তি করে।

এই আর্গুমেন্টের ভিত্তি হলো: ১) যা কিছুই অস্তিত্ব লাভ করে তার পেছনে কারন থাকে। ২) মহাবিশ্বেও অস্তিত্ব লাভ করেছে। ৩) তাই মহাবিশ্ব সৃষ্টি পেছনে একটা কারন আছে।
এখন এই কারনটা হলো ঈশ্বর।

সমস্যা হলো কোয়ান্টাম ফিজিক্স কোনো ডিটারমিনিজমের মাধ্যমে ব্যাখ্যা করা যায় না, এটাকে ব্যাখ্যা করা হয় প্রোবাবিলিটি দিয়ে। আপনি যখনই এটাকে পর্যবেক্ষনে নেবেন তখনই এটা কনার বৈশিষ্ট্য প্রাপ্ত হবে, আর যখনই পর্যবেক্ষনের বাইরে তখনই এটা তরঙ্গ আকার ধারন করবে যাকে আমরা ওয়েব পার্টক্যল ডুয়ালিটি বলি (সমাধান কোপেনহ্যাগেন ইন্টারপ্রিটেশন)। যেহেতু আমাদের মহাবিশ্ব কোয়ান্টাম ফ্লাকচুয়েশনের মাধ্যমে সৃষ্টি এবং এটা একটি প্রতিষ্ঠিত মডেল সেহেতু আপনার এই কনসেপ্ট খাটছে না।

আলবার্ট আইনস্টাইন বলেছেন, ধর্ম ছাড়া বিজ্ঞান হলো পঙ্গু আর বিজ্ঞান ছাড়া ধর্ম সেটা অন্ধ।

এটা একটা ডাহা মিথ্যা কথা। আইন্সটাইন কখনোই এটা বলেনি বরং আইনস্টাইন যা বলে গেছেন তার পুরোটাই এর বিপরীত কিন্তু হায়! জঙ্গি ধার্মিকরা তা বুঝতে নিতান্তই অক্ষম।তারপরও এটার ওপর বিষদ আলোচনাটা তুলে ধরলাম এবং এর ব্যাকগ্রাউন্ড জানতে চাইলে এখানে ক্লিক করুন। জানি আপনাদের মতো লোকজন কখনো সত্য স্বীকার করবে না নইলে নিজেদের মিথ্যা ধর্মের মুখোশ খসে পড়বে।

কেউ কেউ আছেন দশ হাজার আয়াত দেখেও সে বিশ্বাস করবে না।


তার আগে চাদের যে দুভাগা হইছে তার প্রমান দেন। রেড সী তে ফেরাউনের দল বল স হ ডুবে মরছে তার প্রমান দেন। কোরানের মতো ভুলে ভরা টুকলি গ্রন্থের সঠিকতা কোন মুখে দাবী করেন পাবলিক প্লেসে এটা দেখলেই হাসি আসে আমার।

এটা পূর্বে ছিলো একটা বিন্দুতে তারপর একটা বিস্ফোরণ হলো আর সেখান থেকে ছায়াপথ সহ অন্যান্য গ্রহ উপগ্রহ এসব সৃষ্টি হলো

বিগ ব্যাং একটা বিন্দু থেকে হইছে এটা কোন বিজ্ঞানী বলছে তার প্রমান দেন। বই এবং বইয়ের পাতা। মুসলমানরা মিথ্যা কথা কি বংশগত ভাবে শেখে নাকি মোহাম্মদের লেখা কোরান থেকে শেখে একটু জানা দরকার। প্রমান দেন বিন্দু কোন বইতে বলছে।

অবিশ্বাসীরা কি ভেবে দেখে না আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবী মিশেছিলো ওতোপ্রতোভাবে অতঃপর আমি উভয়কে পৃথক করে দিলাম।পবিত্র কোরআনের এই আয়াতে বিগব্যাঙ্গ এর থিউরির কথা বলা হয়েছে।আমরা এই কথাটা জেনেছি অল্প কয়েকদিন পূর্বে যা পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে ১৪০০ বছর আগে।

ঠিক বুঝলাম না পৃথিবীর জন্ম হইছে ৪.৫ বিলিয়ন বছর আগে এবং বিগ ব্যাং হইছে ১৩বিলিয়ন বছর আগে। আর পৃথিবী যখন সৃষ্টি হইছে তখন তার কোনো বায়ুমন্ডল ছিলো না, আকাশ ভূমি অনেক পড়ে প্রায় প্রায় ৪৫৫০ এমএ আগে। আর পৃথিবীর আগে আরও লক্ষ কোটি নিযুত গ্রহ সূর্য তৈরী হইছে ধ্বংস হইছে। সেইখানে বিগ ব্যাং এ কোন আকাশ পাতাল এক ছিলো? ওহ ভুলে গেছি এটা ছিলো বাইবেলের টুকলি। বাইবেল টুকলি করছে তৌরাত থেকে। তৌরাত কপি করছে জুরুস্থ্রু আর গ্রীক মাইথোলজী থেকে কপি যেইখানে জিউস আর আজুরা মেজদা আজাইড়া বইসা বোর হইতো আর দেব দেবীদের সাথে কুকাম করতো পরে। সেটা নিয়ে গ্যান্জাম করতো। পরে একসময় হও বললে সব কিছু চাদরের মতো খলখলাইয়া তৈরী হয়। ভাই সিরিয়াসলি? ফিজিক্স ক্যামস্ট্রি বাদ, কমন সেন্সেই তো ধরে বিগ ব্যাং এর সাথে এর কোনো মিল নাই। অবশ্য ক্বাথীরেকিন্তু আসল ভান্ডা ফাঁস করছে। তাফসীরে রাই অর্থাৎ কাথীর থেকে জানা যায় ভন্ড নবী বলেন যে ৬ দিনে সে স্বর্গ আর পৃথিবী তৈরী করে যেটা কিনা বাইবেলের টুকলী। সে সবার আগে পৃথিবী তৈরী করে তারপর তার জন্য চান তারা সূর্য বানায়। সিরিয়াসলি? আর আকাশ বানানোর আগে তার ফাউন্ডেশন বানাইছে তার পর আকাশ ছাদ হিসেবে সেই ফাউন্ডেশনের ওপর বসাইছে। মেয়াদোত্তীর্ন গান্জা ছিলো মনে হয়। এই মেয়াদোত্তির্ন গান্জাখোরের কথা সূরা বাকারা ২৯ নম্বর আয়াতে লিখে দিছে। তার ওপর ৭৯ সূরায় ২৭-৩৩ নম্বর আয়াতে লেখছে পাহাড় গুলো নাকি স্থির। এত বড় মহাবিশ্ব বানাইলো আর সে কিনা নিজে জানে না যে পৃথিবীর উপরিভাগ পুরোটাই টেকটোনিক প্লেটের ওপর বসায় রাখছে যার কোনো কিছুই ফিক্সড না। আর কি প্রমান লাগবে যে ডাকাতের লেখা কোরানটা ভুল?

এমন রূপ কথা স্লাভিক গড চেরনোবগের কাহিনীতেও ছিলো না। কেমনে কি?

১০| ২৪ শে মার্চ, ২০১৯ বিকাল ৪:৩৩

মোগল সম্রাট বলেছেন: উদা ভাই কেমনে এতো কিছু লেখেন মাথায় ধরেনা!!!

২৫ শে মার্চ, ২০১৯ ভোর ৫:০১

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: নতুন কিছু তো লিখি নাই। খালি দর্শন গুলান নতুন পড়তেছি কিন্তু ফিজিক্সের এই কাহিনীতো ইন্টারে থাকতেই পড়ছিলাম।

১১| ২৪ শে মার্চ, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:২৫

আহমেদ জী এস বলেছেন: উদাসী স্বপ্ন,




আপনার জানার ও পড়াশোনার পরিধি দেখে বাহবা জানাতেই হয়। ( ইয়ার্কি ভাববেন না, সত্যিকার ভাবেই বলছি)

আমার একটি প্রিয় বিষয় নিয়ে লিখেছেন। সৃষ্টি সংক্রান্ত এতো এতো থিসিস আর আইপোথিসিস রয়েছে যে, যখন যেটা নিয়ে ঘাটি তখন মনে হয়ে সেটাই ঠিক। সাধারণ বুদ্ধির মানুষ বলে এমনটা হওয়াই স্বাভাবিক। তবে শেষ কথা হলো, মানুষের জ্ঞানের পরিধি এখনও সব কিছু ঠিকঠাক বুঝে ওঠার মতো চৌকস হয়ে ওঠেনি। মানুষের জ্ঞান যতো বাড়বে বিজ্ঞানের থিওরীগুলোও ততো জটিল আকার ধারন করবে।
যাকগে, আমি আপনার পোস্টের বিষয় নিয়ে আলোচনায় যাচ্ছিনে। শুধু আপনার পোস্টের শিরোনাম নিয়ে কিছু বলতে চাচ্ছি তার ভেতরের অর্থটুকু বুঝতে।
বিগব্যাং এর আগে কি ছিলো? এ্টা আপনার শিরোনামের প্রধান অংশ। উত্তরটি মনে হয় বিভিন্ন ধরনের হতে পারে- ত্বাত্তিক ও তাথ্যিক ভাবেই বিগব্যাং এর আগে অনেক কিছুই থাকতে পারে। কিন্তু যদি শিরোনামটি এমন হতো- ব্রহ্মান্ডের শুরুর আগে কি ছিলো? তাহলে পোস্টের ভেতরে আপনার লেখার মতোই ( কপি করা যায়না বলে উল্লেখ করা গেলোনা) বলতে হয় "শুরু" তো শুরুই, শুরুর আগে তো কিছু থাকার কথা নয়!
আপনার কাছে জানতে চাচ্ছি, ঠিক কোন অর্থে আপনার দেয়া শিরোনামটিকে ধরবো! "বিগব্যাং এর আগে কি ছিলো?" নাকি "ব্রহ্মান্ডের শুরুর আগে কি ছিলো?" এটা বোঝাতে চেয়েছেন এবং লিখেছেন।

সন্দেহ রয়েই গেলো, ঠিক বোঝাতে পারলুম কিনা!

শুভেচ্ছান্তে।

২৫ শে মার্চ, ২০১৯ ভোর ৫:০৫

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: অনেক দিন পর ব্লগে আসলেন। কেমন আছেন?

আসলে টাইটেলটা দিয়েছি অনেকটা খাম খেয়ালীর বশে। একটু ভালো করে দেখবেন ঈশ্বরের অস্তিত্ববিরোধী এই লেখার শিরোনামে অনেকটা অস হায় হয়ে তার কাছেই প্রশ্ন রেখেছি এর মানে হলো টাইটেলটা পড়ে আমার সম্পর্কে সবাই একটা অস হায় অনুভূতির দ্বারা আবিষ্ট হয়। এমনেই ব্লগে আমার ইসলোমোফোব ইমেজের কারনে খুবই ধিকৃত জঙ্গি মুসলমানদের মধ্যে। বলতে পারেন তারা এই পোস্টের শিরোনাম পড়ে এমন একটা অনুভূতি পায় যে হারামীটা হঠাৎ এমন হাহাকার করতেছে কেন? নিশ্চয়ই বাটে পড়ছে। পড়ে দেখি বাটে পড়ছে কেমনে! যখন তারা পড়বে তখন তারা বুঝবে সবই যুক্তির আবর্তে ঘোরা সত্য কোজার প্রয়াস।

বলতে পারেন এটা একটা ক্লিকবেইট জঙ্গি মুসলমানদের জন্য

ভালো থাকবেন

১২| ২৪ শে মার্চ, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৩২

সাহসী সন্তান বলেছেন: পোস্ট এবং মন্তব্য সবগুলাই পড়লাম। যদিও আমার ক্ষুদ্র মস্তিস্কে এত কিছু ধরে না! তারপরেও নতুন'দার কইশ্চেনটা এলাকার এক মৌলুবিরে করছিলাম- "হুজুর, কথায় আছে সৌদির মানুষ যদি জান্নাতে যায় তাইলে আমগো দেশের কুত্তাও নাকি জান্নাতে যাওয়ার যোগ্যতা রাখে। সৌদির মানুষ এত্ত খারাপ...

তারপরেও আল্লার এত ভালোবাসা সেই সৌদিগো লাইগা ক্যান (?) যে দুনিয়ায় পাঠানো অধিকাংশ নবী রাসুলই সৌদিতে নাজিল করছেন? তাছাড়া বেশিরভাগ প্রাকৃতিক সুযোগ সুবিধাও তাদের লাইগা প্রস্তুত রাখছেন!'

কইশ্চেন শুইনা তো হুজুর বিষম-টিষম খাইয়া আমারে ইন্ডিরেক্টলি প্রায় নাস্তিক ফাস্তিক ট্যাগাইয়া একাকার কইরা ফ্যালে। পরে কইলাম- 'শোনেন হুজুর, আমার মুসলমানিত্ব যখন আপনার কাছ থেকে পাই নাই। তখন আমি কাফের না নাস্তিক সেই ট্যাগ লাগানোরও কোন অধিকার আপনার নাই!'

যাহোক, আমি মোটামুটি ধার্মিক! নামাজ কালামও করি! তবে কথা হইলো, মনের সংশয় দূর করার জন্য মস্তিস্কে উদয় হওয়া কইশ্চেন প্রকাশ করলেই কি মানুষ নাস্তিক হয়ে যাবে? ধর্ম এতটাই ঠুনকো?

নিমাই ভট্টাচার্যের "সূর্যদয়" নামে একটা বই পড়ছিলাম। যেখানে বাঙালি পুরুষ ইংরেজ সাহেবকে খুশি করানোর জন্য ঘরের মা বোনকেও তাদের খিদমতে পাঠাইতে বিন্দুমাত্র কুণ্ঠাবোধ করতো না! আমার ধারনা এই সমস্থ মৌলুবিরাও ঠিক একই কাতারের। সৌদির শেখরা তাদের স্ত্রী/কন্যাকে ধর্ষন করে যদি গর্ভবতী করে দেশে পাঠিয়ে দেয় (যেমন দিচ্ছে), তারপরেও তারা এ্যাবর্শান না করিয়ে বলবে; "শ্যাখরা পূত ও পবিত্র! তাগো বাইচ্চা প্যাটে ধারন করাটাও বড় পূন্নের কথারে পাগলী!"

পোস্টে ভালোলাগা! শুভ কামনা জানবেন!

২৫ শে মার্চ, ২০১৯ ভোর ৫:০৭

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: সুন্দর একটা বই এর নাম বলেছেন। খুজে দেখি পাই কিনা। নেক্সট উইকেন্ডে অবশ্যই পড়বো। যদিও সাহিত্য চর্চায় মন বসে না। দর্শনটাই অনেক কষ্ট করে যা একটু পড়ছি। তারপরও ভাবছি আমার পরবর্তি টার্গেট ফাইন আর্টস

ধন্যবাদ সুন্দর একটা বইয়ের নাম দেবার জন্য

১৩| ২৪ শে মার্চ, ২০১৯ রাত ১১:২০

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আমি নিজে ব্যাক্তিগত ভাবে ঈশ্বর বা ঐশ্বরিক সুপ্রিমেসী বা সত্বায় বিশ্বাসী কিন্তু প্রচলিত ধর্মে না। আপনার এই বিশ্বাসের ভিত্তি বা উৎস কী? ইশ্বরের সত্তা তো শুধু ধর্মগুলোই বলে আসছে, ধর্মে বিশ্বাস না করে ইশ্বরের সত্তায় বিশ্বাস স্থাপন কীভাবে সম্ভব? অর্থাৎ, কোন কোনো উপাত্ত বা তত্ত্ব বা বৈজ্ঞানিক সূত্র থেকে আপনি এ বিশ্বাস অর্জন করলেন?

বিগ ব্যাং এর আগে কী ছিল? বা স্টার্ট পয়েন্ট অব টাইম কোনটা? এবং তার আগে কী ছিল? প্রশ্নটা খুব ইনোসেন্ট বা ননসেন্স কোয়েশ্চনও বলতে পারেন, যা নিয়ে আগের পোস্টেই সুবিস্তারে ব্যাখ্যা করেছেন আপনি ও ব্লগার নতুন। এই প্রশ্নগুলো বিগ ব্যাং থিওরি'র কঙ্ক্রিটনেসকে অ্যাটাক করে সময়কে 'অনাদি' ও 'অনন্ত' হওয়ার দিকে ধাবিত করে। যেমন, মহাবিশ্বকে আমরা কখনো সসীম ভাবতে পারি না। যদি মহাবিশ্ব সসীম হয়, তার অর্থ হবে মহাবিশ্বটি বিশালকায় এক আবরণী বা ছাওনির ভেতর আছে। কিন্তু তাহলে ছাওনিসহ পুরো মহাবিশ্বকে কোথায়, কীভাবে রাখা হয়েছে প্রশ্ন চলে আসে- তখন উত্তর এটাই হয় - এর বাইরেও কিছু একটা আছে যাতে মহাবিশ্বকে একটা ডিমের মতো বসিয়ে রাখা হয়েছে। এটাও চূড়ান্তভাবে মহাবিশ্বের অসীমত্বকে নির্দেশ করে। তেমনি, স্টার্ট পয়েন্ট অব টাইম নির্ণয় করা সম্ভব না। সময় অনাদি। সময়ের শেষও হবে না, সময় অনন্ত। আমরা যে বলছি মহাবিশ্ব ক্রমশ সম্প্রসারণশীল, সেটাও সম্ভব না। কারণ, তাহলে ধরে নিতে হয় বর্তমানে মহাবিশ্বের একটা নির্দিষ্ট আয়তন আছে। নির্দিষ্ট আয়তন থাকলে তা অসীম হতে পারে না।

আচ্ছা, একটা সৌরজগতে একটা সূর্যই তো আছে, আরেকটা সূর্য এলে বিশৃঙ্খলা হতো কেন, ওটা আলাদা আরেকটা সৌরজগত সৃষ্টি করে ফেলতো। মহাসবিশ্বে কি এরূপ আর কোনো সৌরজগতের সন্ধান আছে, যেখানে একাধিক সূর্য বিদ্যমান এবং সেখানে অনেক প্রাকৃতিক বিপর্যয় ঘটছে? ঘটে থাকলেও, আমার মনে হয় সেখান থেকেই নতুন আরেকটা (বা একাধিক) সৌরজগতের সূচনা হবে।

লিবনিজের গাধার ধাঁধাটা আমার কাছে মনঃপূত হয় নি। সমান বলের দুটো ম্যাগনেটের মাঝখানে একটা মেটাল রাখলে সেটা স্থির থাকবে, কিন্তু গাধাটা স্থির থাকবে না। ও যেহেতু ক্ষুধার্ত, জোরসে এক দৌড় দেবে, কোনো কিছু না ভেবেই এবং নিশ্চিত একটা গাদায় গিয়ে ধাক্কা খাবে। ওর ভাববার সময় নাই অতো, কারণ, ও হলো মূর্খ, খিদে নিবারণই তার আশু প্রয়োজন।

আরেকজন ব্লগারের কথা বলতে ভুলে গেছি- নাফিস ইফতেখার। দাউদ ফারহানও এই দলেরই।

এগুলো আমার সরল প্রশ্ন। আপনার উত্তরগুলো হৃদয়গ্রাহী হয়, এবং আপনার জ্ঞানের পরিধি ও মেধা ব্যাপক বলেই মনে হয়- উত্তর আপনার কাছ থেকে পাওয়া সম্ভব।

শুভেচ্ছা।


২৫ শে মার্চ, ২০১৯ ভোর ৫:২৬

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: **আমার বিশ্বাসের মূল কারন এখানে আলোচনা করেছি যদিও বর্তমানে আমার অনেক ধারনা পরিবর্তিত হয়েছে। কারন জানার কোনো শেষ নাই। যত জানছি তত নিত্য নতুন শিখছি। তবে আমার এই বিশ্বাস ততদিন থাকবে যতদিন না ল্যাবে কিছু এক্সপেরিমেন্ট সফলতার রূপ পায়। এটা নিয়ে এর আগে বেশ কয়েকটি পোস্ট লিখেছি। আরেকটা পোস্ট এখনো লিখছি, শেষ করতে পারিনি।
**মহাবিশ্ব আমাদের সাপেক্ষে সসীম নয়। মহাবিশ্ব এখন আলোর গতিতে সম্প্রসারনশীল হওয়ায় আমাদের জন্য এটা অসীম হয়ে গেছে। আইনস্টাইনের আপেক্ষিক তত্ব অনুযায়ী আলোর গতি আমাদের জন্য সর্বোচ্চ এবং আমরা আলোর গতিতে পৌছাতে পারবো না কারন ভর। সে হিসেবে আমরা যদি আলোর গতি প্রাপ্ত কোনো স্পেসশীপ বানিয়ে ছোটা শুরু করি তাহলেও মহাবিশ্বের কিনারার নাগাল পাবো না কারন আমরা যেই মুহুর্তে নির্দিস্ট দূরত্ব অতিক্রম করবো সেই মুহুর্তে আলোর গতিতে মহাবিশ্বের বাউন্ডারী আরও বেড়ে চলেছে। তাই মহাবিশ্ব আমাদের সাপেক্ষে অসীম। আর সেহিসেবে মহাবিশ্বের নির্দিস্ট আয়তন থাকলেও সেটা সম্প্রসারনশীল সব দিক দিয়েই তাই এটা আমাদের পক্ষে আপাতত সম্ভব নয় যতক্ষন না আমরা টাইম বেরিয়ার ক্রস না করছি।
** আরেকটা ম্যাসিভ সূর্য যদি সৌরজগতের কোথাও অবস্থান করে তাহলে সবচেয়ে বড় সমস্যা হবে প্রচন্ড তাপে পৃথিবী শুক্র গ্রহের মতো উত্তপ্ত হবে যদি হুট করে এসে পড়ে, সংঘর্ষও ঘটতে পারে বৈকি। কক্ষপথ পরিবর্তিত হবে এবং প্লুটোর মতো দূরতম গ্রহও গরম হয়ে যাবে। এরকম বাইনারী সিস্টেম ব হু পাওয়া গেছে। বাইনারী সিস্টেমের গ্রহ গুলোর কক্ষপথ বেশ স্ট্যাবল। আর যেহেতু একটা সূর্য আগে থেকেই আছে সেহেতু লিবনিজ ধরে নিয়েছেন যে ঈশ্বর আছেন এবং এই সৌরজগৎ স্ট্যাবল। তাই আরেকটা সূর্যের আমদানী হবে না এবং বাইনারী সিস্টেম হুট করে হবার কোনো সম্ভাবনা নাই।
** বুড়িদানের ধাঁধা আসলেই কোনো প্রতিষ্ঠিত আয়রন ক্লাড ধাঁধাঁ নয় এবং লিবনিজ আপনার কথাটাই বলে গেছেন।
**নাফিস ইফতেখার তখন রকস্টার ছিলেন। সে এসে ব্লগের সকল কিছুতেই পুরোপুরি রহস্য উন্মোচন করে সবার সাথে সখ্যতা বজায় রেখেছিলেন। তবে এখন মনে হয় ছেলেটা বিয়ে শাদী করে পুরোপুরি স্থির জীবন যাপন করছে বলে ব্লগে নেই। তার কাছ থেকে মোটামোটি ব্লগের যে প্রেজেন্টেশন এটা সবাই শিখেছে।

ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য। আপনি নিজেও কিছু সাহিত্য চর্চায় অনেক এগিয়ে এবং আলাদা

১৪| ২৫ শে মার্চ, ২০১৯ রাত ৩:৫৬

চাঁদগাজী বলেছেন:


আপনি লেখার পর (কাট+পেষ্ট) এটা পড়তে আপনার ইচ্ছে হয়? পড়ার পর, নিজকে কি বেকুব মনে হয়?

২৫ শে মার্চ, ২০১৯ ভোর ৪:০৪

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: কাট পেস্ট বুঝি নাই। বুঝায়া বলেন

১৫| ২৫ শে মার্চ, ২০১৯ ভোর ৪:০৪

বলেছেন: পৃথিবীর শুরু ও শেষ কি?

প্রতিটি প্রাণীকে কেন মৃত্যুর স্বাদ গ্রহন করতে হবে....?

২৫ শে মার্চ, ২০১৯ ভোর ৫:২৮

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: পৃথিবীর শুরু ও শেষ এবং মৃত্যু এটা অনাদী কাল থেকেই ছিলো। এটা এখনো শ্বাশত সত্য। তবে হ্যা, ভবিষ্যতে বিজ্ঞানের অভূতপূর্ব উন্নতিতে মানুষ অমরত্ব পাবে এবং এটা শুধু সময়ের ব্যাপার।

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ

১৬| ২৫ শে মার্চ, ২০১৯ সকাল ১১:২৩

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আপনার জ্ঞানের ব্যাপকতায় আমি মুগ্ধ। যাই হোক, আরো কিছু প্রশ্ন রেখে যাচ্ছি, যেগুলো এ টপিকের সাথে প্রাসঙ্গিক হতেও পারে, প্রসঙ্গের বাইরের বিষয়ও হতে পারে।

১। আপনার কথা অনুযায়ী, কোরান অন্য ধর্মগ্রন্থ থেকে কপি করা হয়েছে। কোন কোন ধর্মগ্রন্থ থেকে কপি করা হয়েছে, নাম লিখুন। সেই ধর্মগ্রন্থগুলো কোথা থেকে এসেছিল? অর্থাৎ, সেগুলো কি আল্লাহর বাণী, নাকি মানুষের লেখা প্রবন্ধ? আগের পোস্টেও এই প্রশ্নটি করেছিলাম। যেখানে আল্লাহর অস্তিত্বই সংকটাপন্ন (নাস্তিক্যবাদীদের মতে), সেখানে কোরানের ভুলভ্রান্তি নিয়ে আলোচনা বা সমালোচনা করার কোনো সার্থকতা আছে কি?

২। কোরান যে-সব ধর্মগ্রন্থ থেকে কপি করা হয়েছে বলে বলছেন, ধর্মগ্রন্থের নাম, চ্যাপ্টার, প্যারা, সুরা, আয়াতসহ কিছু উদ্ধৃতি দেখতে চাই।

৩। সাধারণ অবস্থায় আমরা কেবলামুখী হয়ে নামাজ পড়ি। চাঁদে বা মঙ্গলে গেলে কোন দিকে নামাজ পড়বো? ইসলাম ধর্মে সিজদা দেয়াটা কীভাবে এলো? অন্য কোন কোন ধর্মে সিজদা আছে? প্রধান কয়েকটি ধর্মের কথা বললেই হবে। তাদের সিজদার পটভূমিকা কীরকম? তাদের সাথে ইসলামের সিজদার কোনো সামঞ্জস্য আছে কি?

৪। মহাবিশ্বের অনেক কিছু এখন বিজ্ঞানের কাছে স্বচ্ছ। পৃথিবী সেখানে সূক্ষ্ম বালুকণার চাইতেও সূক্ষ্মতর। বারমুডা ট্রায়াঙ্গালের রহস্যটা আমাদের বিজ্ঞানীরা কি ভেদ করতে পেরেছেন? নাকি এটাও আদতে কোনো রহস্য না, মানুষই ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে রহস্যময় করে তুলছে? ওখানে এই যে এতকিছু গায়েব হয়ে যাচ্ছে, এ নিয়ে ধার্মিকদের কোনো ব্যাখ্যা পাওয়া গেছে কি?

২৫ শে মার্চ, ২০১৯ দুপুর ১২:১১

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: ১) এটা তো থিওলোজিয়ান, প্যালেওনথ্রোপলোজিস্টদের মতো প্রশ্ন হয়ে গেলো। তারপরও উদাহরন হিসেবে বলা যায় কোরানের গরু রচনা তথা বাকারার একজন মানুষকে যে হত্যা করলো সে মানবজাতীকে যেন হত্যা করলো এটা পুরোটাই তৌরাতের টুকলি। স্বর্গ দুনিয়া ৬ দিনে বানাইছে বাইবেল, ইরামের কাহিনী এক্সোডাস। এগুলো বিভিন্ন কমেন্টে বিভিন্ন সময় রেফারেন্স সহ লিখেছিলাম যেগুলো খুঁজতে সময় লাগবে।

২) ইসলামের হজ্ব পৌত্তলিকদের অনুসরনে। আর নামাজ ইহুদীদের অনুসরনে। সেজদা ইহুদীদের নকল। আরও অনেকেই দেয় কিন্তু সেটা এত গভীর ভাবে খুজিনি কারন কোরানের অসঙ্গতি ভুল ভ্রান্তি মোহাম্মদের প্রতারনা পীরালী প্রমান করার জন্য যথেস্ট। ইউটিউবে ইহুদীদের প্রার্থনা লিখে সার্চ দিলেই পাবেন

৩) বারমুডা, ইলুমিনাতি, নিউ ওয়ার্ল্ড অর্ডার এগুলো সবই কন্সপিরেসী থিওরী। আর যদি তাই হতো কযারিবীয় দ্বীপগুলোরই কিছু দিন আগেও ওদের আইপিএল সাকিবরা খেলে আসলো। ওরা অনেক উন্নত। যদি এভাবে সব কিছু হতো তাহলে তো ওরা জঙ্গলে থাকতো আজও। যে দেশের মানুষ চাঁদে সাঈদী দেখে, মিথ্যা ধর্ম ইসলাম বিশ্বাস করে, আইএসআইএস ইহুদীর এজেন্ট, কোরানে বিজ্ঞান খুঁজে তারা বারমুডা ট্রায়াঙ্গল বিশ্বাস করবে এটার মধ্যে অবাক হবার কিছু নাই

ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য

১৭| ২৫ শে মার্চ, ২০১৯ দুপুর ১:১৩

স্বপ্নডানা১২৩ বলেছেন: @ সোনাবীজ, আছে । স্বার্থকতা আছে ।


যদি ভুল ভ্রান্তি নিয়ে লজিক সহকারে পোস্ট না আসত , তাহলে অনেক অন্ধবিশ্বাসী আছে , তারা সঠিক বিষয়টা কি সেটা বিচার করার বা চিন্তা করার সুযোগ বা প্রেক্ষাপটই পেত না ।

আমি নিজেই মুক্তমনা, সামু , ইস্টিশনে অনেক ব্লগ পড়ে দেখেছি তাদের অনেক যুক্তিই অকাট্য ।

রবীন্দ্রনাথের একটা কথা আছে না ঃ

দ্বার রুদ্ধ করে দিয়ে ভ্রমটাকে রুখি
সত্য বলে, আমি তবে কোথা দিয়ে ঢুকি?

(ড্র্যাগ করে এনেছি আপনারই এক পোস্ট থেকে -একটি ভাব সম্প্রসারণ, যার অর্থ আমি আজও বুঝি না - :P :P )

আমাদের অনেকেই বিরুদ্ধ মতামতকে সত্যাসত্যের বা যুক্তির নিরিখে যাচাই না করেই বাতিল করে দেই, বিশেষ করে ধর্মীয় বিষয়াদিতে - এটা আমাদের কমন প্রবণতা । আপনি দেখবেন একদল লোক আছে যারা যুক্তি খন্ডাইতে না পারলেই হাউকাউ শুরু করে দেয় ।

২৫ শে মার্চ, ২০১৯ দুপুর ২:১৫

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: আমার লক্ষ্য কাউকে কনভার্ট করা না। কাউকে কনভার্ট করে আমার দু পয়সার লাভ নাই। আমার উদ্দেশ্য মানুষ যুক্তি দিয়ে সত্য মিথ্যা ভাবুক, তাকে বিচার করতে শিখুক। বাপ দাদার বিশ্বাসকে ত্যাগ করতে বুকের পাটা লাগে। মোহাম্মদের সে বুকের পাটা ছিলো, আর তাই পেটের তাড়না বা ক্ষমতার লোভেই হোক বাপ দাদার অর্ধ লক্ষ বছরের প্যাগান ধর্ম সে ঘোষনা দিয়ে ত্যাগ করে। সমস্যা হলো ক্ষমতার গন্ধ পেয়ে হিটলারের চেয়েও নিকৃষ্ট ভুতের আছর পরে তার ওপর। যেটা আসলেই নিন্দনীয়। বঙ্গবন্ধুকে সবাই ভালোবাসে, যতটুকু ঘৃনা করে সেটা হলো ক্ষমতার গন্ধ পেয়ে তার অবনমন ও স্বৈরতান্ত্রিক মুডে চলে যাওয়াটা।

যাইহোক, মানুষ যদি যুক্তি দিয়ে বিচার করে তাহলে ধর্মের কোনো প্রয়োজন নেই। পৃথিবীর অনেক সভ্যতা কল্পিত বেগেশতের থেকেও সুন্দরভাবে বিকাশমান সেখানে ধর্মের প্রয়োজন পড়েনি।

এটা যুক্তি নয়, এটা একটা ফ্যাক্ট

১৮| ২৬ শে মার্চ, ২০১৯ রাত ১:৫৫

মাহমুদুর রহমান বলেছেন: দুঃখের বিষয় হলো ইসলামিস্টদের এই আরগুমেন্ট বাইবেলের ওপর ভিত্তি করে তৈরী করা এবং অনুসরন করা হয়েছে এ্যারিস্ট টলের দর্শনের ওপর ভিত্তি করে।

হযরত মুহ'ম্মদ (সঃ) কে আল্লাহ তা'আলা নিরক্ষর করে দুনিয়াতে প্রেরন করেছিলেন আপনি হয়তো জানেন না।সূরা আরাফের ১৫৭ নম্বর আয়াতে উল্লেখ করা হয়েছে,যারা অনুসরণ করে রাসূলের, যে নিরক্ষর নবী; যার গুণাবলী তারা নিজদের কাছে তাওরাত ও ইঞ্জিলে লিখিত পায়।

বুক অভ আইজাহ ১২২৯
অনুচ্ছেদে উল্লেখ আছে,আসমানি কিতাব দেয়া হবে সেই নবীকে যে পড়তে জানে না।
আজ থেকে ১৪০০ বছর আগে কোন আরবী বাইবেল ছিলো না। যিনি ওল্ড টেস্টামেন্ট প্রথম আরবীতে লিখেছেন তার নাম,
আর সাদিয়াস গাঁও - ৯০০ কমন ইরা। অর্থাৎ মহানবী (সঃ) এর মৃত্যুর ২০০ বছরেরও পরে। ইরপেনিয়াস ১৬১৬ সালে নিউ টেস্টামেন্ট প্রথম আরবীতে লিখাছেন যা নবীজি মারা যাওয়ার প্রায় হাজার বছর পর।কোরআন ও বাইবেলে অনেক মিল আছে কিন্তু তার মানে এই না যে পরের জন আগের জনকে কপি করেছে।ব্যাপারটা এমন হতে পারে উভয়েই অন্যকোন উৎস থেকে পেয়েছেন।আল্লাহ তা'আলার সকল আসমানী কিতাবে কমন কথা কেবল একটাই 'একেশ্বরের কথা"।এছাড়াও কিছু ব্যাপারে মিল আছে।আর আগে যে সকল আসমানী কিতাব নাজিল হয়েছিল সেসব একটা নির্দিষ্ট সময়ে একটা নির্দিষ্ট গোত্রের জন্য।আর সে সব কিতাবগুলোর কথা মানুষ বিকৃত করেছে।কিন্তু কোরআনের কথা আজব্দি বিকৃত হয় নি হবে ও না কারন এর হেফাজতকারী একমাত্র আল্লাহ।

এরিস্টটলের কথা বললেন তো যিনি বলেছেন, “ অনুমান বা ধারনা থেকেই সত্যের উৎপত্তি ”।আচ্ছা আমি যদি ধারনা করি আপনি একটা পাগল।তার মানেই কি আপনি পাগল?উত্তর হবে না।সুতরাং এমন কারও কথা বলবেন না যার বানীগুলো অনর্থক।

আলবার্ট আইনস্টাইন বলেছেন, ধর্ম ছাড়া বিজ্ঞান হলো পঙ্গু আর বিজ্ঞান ছাড়া ধর্ম সেটা অন্ধ।
এটা একটা ডাহা মিথ্যা কথা। আইন্সটাইন কখনোই এটা বলেনি বরং আইনস্টাইন যা বলে গেছেন তার পুরোটাই এর বিপরীত কিন্তু হায়! জঙ্গি ধার্মিকরা তা বুঝতে নিতান্তই অক্ষম।তারপরও এটার ওপর বিষদ আলোচনাটা তুলে ধরলাম এবং এর ব্যাকগ্রাউন্ড জানতে চাইলে এখানে ক্লিক করুন। জানি আপনাদের মতো লোকজন কখনো সত্য স্বীকার করবে না নইলে নিজেদের মিথ্যা ধর্মের মুখোশ খসে পড়বে।


আপনি তো দেখছি আইনস্টাইনের ব্যাপারে তাহলে কিছুই জানেন না।" Childish Superstitions" পড়ে দেখবেন সেখানে তিনি বলেছেন, Science without religion is lame, religion without science is blind।আপনি মূর্খতা বা অজ্ঞতা যাকে বলে সেখান থেকে বেরিয়ে আসুন।আপনার জ্ঞান অনেক অনেক অনেক কম।

বিগ ব্যাং একটা বিন্দু থেকে হইছে এটা কোন বিজ্ঞানী বলছে তার প্রমান দেন। বই এবং বইয়ের পাতা। মুসলমানরা মিথ্যা কথা কি বংশগত ভাবে শেখে নাকি মোহাম্মদের লেখা কোরান থেকে শেখে একটু জানা দরকার। প্রমান দেন বিন্দু কোন বইতে বলছে।

মহাবিস্ফোরণ শব্দটি স্থূল অর্থে প্রাচীনতম একটি বিন্দুর অতি শক্তিশালী বিস্ফোরণকে বোঝায় যার মাধ্যমে মহাবিশ্বের সৃষ্টি হয়েছিল, আবার অন্যদিকে এই বিস্ফোরণকে কেন্দ্র করে মহাবিশ্বের উৎপত্তি ও গঠন নিয়ে বিশ্বতত্ত্বে যে মতবাদের সৃষ্টি হয়েছে তাকেও বোঝায়। এর মাধ্যমেই মহাবিশ্বের প্রাচীনতম বস্তুসমূহের গঠন সম্পর্কে ব্যাখ্যা পাওয়া যায়, যার জন্য মহাবিস্ফোরণ মতবাদের পরই আলফার-বেটে-গ্যামফ তত্ত্ব প্রণীত হয়েছে। মহাবিস্ফোরণের একটি উল্লেখযোগ্য ফলাফল হল, বর্তমানে মহাবিশ্বের অবস্থা অতীত এবং ভবিষ্যতের অবস্থা থেকে সম্পূর্ণ পৃথক। এই তত্ত্বের মাধ্যমেই ১৯৪৮ সালে জর্জ গ্যামফ অনুমান করতে পেরেছিলেন যে, মহাজাগতিক অণুতরঙ্গ পটভূমি বিকিরণের অস্তিত্ব রয়েছে। ১৯৬০-এর দশকে এটি আবিষ্কৃত হয় এবং স্থির অবস্থা তত্ত্বকে অনেকটাই বাতিল করে মহাবিস্ফোরণ তত্ত্বকে প্রমাণ করতে সমর্থ হয়।

মহাজাগতিক অণুতরঙ্গ পটভূমি বা সিএমবি আবিষ্কারের জন্য পেনজিয়াস ও উইলসন নোবেল পুরস্কার পান ১৯৭৮ সালে- গ্যামোর মৃত্যুর দশ বছর পরে। লেমিত্রিও মারা গিয়েছেন ততদিনে। মরণোত্তর নোবেল পুরস্কার প্রদানের কোন রীতি নেই, থাকলে গ্যামোকে চোখ বন্ধ করে বোধ হয় তখন নির্বাচিত করা হত, যিনি প্রায় একক প্রচেষ্টায় বিগ-ব্যাং’র ধারণাকে বিজ্ঞানের জগতে প্রতিষ্ঠা করেছেন। বোধ হয় কিছু বৈজ্ঞানিক অবদান সব সময় থেকে যাবে যা নোবেল প্রাইজের চেয়েও বেশি দামী আর গুরুত্বপূর্ণ।

হায়রে বাঙ্গালী কি এতো রিসার্চ করেন যে, বিগ ব্যাঙ্গ এর ব্যাপারেই জানেন না?
আপনার সাথে কথা বলতেই আমার লজ্জা লাগছে।

তার আগে চাদের যে দুভাগা হইছে তার প্রমান দেন। রেড সী তে ফেরাউনের দল বল স হ ডুবে মরছে তার প্রমান দেন। কোরানের মতো ভুলে ভরা টুকলি গ্রন্থের সঠিকতা কোন মুখে দাবী করেন পাবলিক প্লেসে এটা দেখলেই হাসি আসে আমার।

আপনি ধর্মকেই বিশ্বাস করেন না,ধর্মকে ব্যাঙ্গ করে কথা বলেন আপনাকে যদি প্রমানও দেয়া হয় আপনার মত মানুষ ধর্মের প্রতি ঈমান আনবে আমি বিশ্বাস করি না।

ফিজিক্স ক্যামস্ট্রি বাদ, কমন সেন্সেই তো ধরে বিগ ব্যাং এর সাথে এর কোনো মিল নাই। অবশ্য ক্বাথীরেকিন্তু আসল ভান্ডা ফাঁস করছে। তাফসীরে রাই অর্থাৎ কাথীর থেকে জানা যায় ভন্ড নবী বলেন যে ৬ দিনে সে স্বর্গ আর পৃথিবী তৈরী করে যেটা কিনা বাইবেলের টুকলী। সে সবার আগে পৃথিবী তৈরী করে তারপর তার জন্য চান তারা সূর্য বানায়। সিরিয়াসলি? আর আকাশ বানানোর আগে তার ফাউন্ডেশন বানাইছে তার পর আকাশ ছাদ হিসেবে সেই ফাউন্ডেশনের ওপর বসাইছে। মেয়াদোত্তীর্ন গান্জা ছিলো মনে হয়। এই মেয়াদোত্তির্ন গান্জাখোরের কথা সূরা বাকারা ২৯ নম্বর আয়াতে লিখে দিছে। তার ওপর ৭৯ সূরায় ২৭-৩৩ নম্বর আয়াতে লেখছে পাহাড় গুলো নাকি স্থির। এত বড় মহাবিশ্ব বানাইলো আর সে কিনা নিজে জানে না যে পৃথিবীর উপরিভাগ পুরোটাই টেকটোনিক প্লেটের ওপর বসায় রাখছে যার কোনো কিছুই ফিক্সড না। আর কি প্রমান লাগবে যে ডাকাতের লেখা কোরানটা ভুল?

সূরা বাকারঃ ২৯। তিনিই জমিনে যা আছে সব তোমাদের জন্য সৃষ্টি করেছেন। অতঃপর আসমানের প্রতি মনোযোগী হলেন এবং সাত দিনে আসমানকে সুবিন্যস্ত করলেন। আর সব কিছু সম্পর্কে তিনি সম্যক জ্ঞাত।

আপনার কথার সাথে আয়াতটা মিলিয়ে নিবেন।

সূরা আন নাযিয়াতের আয়াত ২৭ থেকে ৩৩ এ উল্লেখ আছে
তোমাদেরকে সৃষ্টি করা অধিক কঠিন, না আসমান সৃষ্টি? তিনি তা বানিয়েছেন। তিনি এর ছাদকে উচ্চ করেছেন এবং তাকে সুসম্পন্ন করেছেন। আর তিনি এর রাতকে অন্ধকারাচ্ছন্ন করেছেন এবং এর দিবালোক প্রকাশ করেছেন।এরপর তিনি যমীনকে বিস্তীর্ণ করেছেন।তিনি তার ভিতর থেকে বের করেছেন তার পানি ও তার তৃণভূমি। আর পর্বতগুলোকে তিনি দৃঢ়ভাবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন।তোমাদের ও তোমাদের চতুষ্পদ জন্তুগুলোর জীবনোপকরণস্বরূপ।

উদাসী স্বপ্ন আপনি আজ আমার কাছে একজন অশিক্ষিত মানুষ বনে গেলেন এবং সকল ব্লগারদের কাছেও।আমার কথাগুলো কোরআনের কথাগুলো, আপনার কথাগুলোর সাথে মিলিয়ে দেখুন।পরবর্তীতে কোন বিষয়ে লিখার আগে নেশাদ্রব্য পরিহার করে তারপর লিখবেন।আপনি একটা অশিক্ষিত মূর্খ মানুষ।যা আপনার কথা কাজ ও যুক্তিতে আমি প্রমান পেয়েছি।

২৮ শে মার্চ, ২০১৯ ভোর ৪:০০

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন:
হযরত মুহ'ম্মদ (সঃ) কে আল্লাহ তা'আলা নিরক্ষর করে দুনিয়াতে প্রেরন করেছিলেন আপনি হয়তো জানেন না।সূরা আরাফের ১৫৭ নম্বর আয়াতে উল্লেখ করা হয়েছে,যারা অনুসরণ করে রাসূলের, যে নিরক্ষর নবী; যার গুণাবলী তারা নিজদের কাছে তাওরাত ও ইঞ্জিলে লিখিত পায়।


দাসব্যাবসায়ী শিশুকামী মোহাম্মদের নিরক্ষরতা নিয়ে তার লেখা বই কোরানে মিথ্যাচার নিয়ে একটা বিশাল পোস্ট লিখেছিলাম। মনে হয় পড়েননি। দলিল সহই লিখেছিলাম। পারলে ওটা পড়ে মিথ্যাবাদী প্রতারকের পক্ষে কিছু যুক্তি দিন। একটু বিনোদিত হতে চাই। কাজের প্রচন্ড প্রেসারে একটু দিগ্বিদিকশূন্য আছি।

বুক অভ আইজাহ ১২২৯
অনুচ্ছেদে উল্লেখ আছে,আসমানি কিতাব দেয়া হবে সেই নবীকে যে পড়তে জানে না।


ভাই বানান তো শুদ্ধ করে লিখবেন! নেট থেকে জঙ্গিরা যা লেখছে তাই তুলে দেবেন কেমনে কি! তোরাহ এর এলিজাহকে জঙ্গি ধর্মের লোক ইলিয়াস বলে ডাকে। এখন আমি উপ্রের লিংকেই দিছি ভন্ডটা অশিক্ষিত ছিলো না। বাচ্চা পোলাপান বিয়া করনের সময় নাচতে নাচতে নিজ হাতে কাবিন নামা লেখছে। তাইলে সেই অনুসারে ভন্ডের শেষ নবীর দাবী ভুয়া। আরেকটা কথাতেও ভূয়া প্রমান করা যায় যে জঙ্গিরা বলে বেড়ায় তৌরাত ইন্জ্ঞিল নাকি বিকৃত। এগুলো পড়তে মানা করছে। খোদ মোহাম্মদ বিভিন্ন হাদিসে বলে গেছে। তাইলে এই কথাটা যে বিকৃত না তার গ্যারান্টি কি? ভন্ড তো নিজের কথাতেই নিজে ফাঁসলো। নাকি বিএনপির মতো ভোটে জিতলে সুষ্ঠু নিরপেক্ষ আর হারলে জালিয়াতী! বাটপারী দেখি ভালোই চলে।

আজ থেকে ১৪০০ বছর আগে কোন আরবী বাইবেল ছিলো না। যিনি ওল্ড টেস্টামেন্ট প্রথম আরবীতে লিখেছেন তার নাম,
আর সাদিয়াস গাঁও - ৯০০ কমন ইরা। অর্থাৎ মহানবী (সঃ) এর মৃত্যুর ২০০ বছরেরও পরে। ইরপেনিয়াস ১৬১৬ সালে নিউ টেস্টামেন্ট প্রথম আরবীতে লিখাছেন যা নবীজি মারা যাওয়ার প্রায় হাজার বছর পর।


ভাইজান তো দেখি সীরাত ফিরাত কিছুই পড়েন নাই। নিজের মাসলম্যান দাবী করেন কেমনে? একটু লজ্জা থাকা উচিত। আর ভন্ড নবীর টুকলী বিষয়ে তো এর আগে একটা পোস্টে সুবিস্তারিত আলোচনা করছি যে ভন্ডটা কেমনে নওফেলের কাছ ইবিওনাইট ধর্মের বেসিক মারছে আর নওফেল তারে কেমনে বাইবেল তোরাহর শিক্ষা দিছে। এখন আবার জিগায়েন না নওফেল কিডা আর সে কি কি ভাষা জানতো।

আল্লাহ তা'আলার সকল আসমানী কিতাবে কমন কথা কেবল একটাই 'একেশ্বরের কথা"।


ভাইজান আমার পোস্টে এমন হাকাও কথা বললেন হবে? আব্রাহামিক ধর্মের এই যে একেশ্বরবাদ এগুলার ব্যুৎপত্তি নিয়া মেলা আগেই যে পোস্ট দিছি সেটা এড়াইয়া গেলে কি আমার দোষ? আর আপনে হয়তো জানেন না যে জঙ্গিদের মত আমি মিথ্যা ও হাকাও দাবী করি না। দলিল সাক্ষী সাবুদ স হই লিখি এবং যেসব দলিল দেই সেগুলা বট তলার জঙ্গি বা শিশুকামী হুজুরদের হাতে লেখা বই না। যারা এসব বিষয়ে এক্সপার্ট এবং জ্ঞানী তাদেরটাই দেই। বিশ্বাস না হইলে লিংকে চিপা মাইরা একটু জ্ঞানার্জন করেন।


এরিস্টটলের কথা বললেন তো যিনি বলেছেন, “ অনুমান বা ধারনা থেকেই সত্যের উৎপত্তি ”।আচ্ছা আমি যদি ধারনা করি আপনি একটা পাগল।তার মানেই কি আপনি পাগল?উত্তর হবে না।সুতরাং এমন কারও কথা বলবেন না যার বানীগুলো অনর্থক।


এরিস্ট টল মামু কুন বইতে কুন লাইনে এটা বলছে দলিল দেন। আমি জঙ্গিদের বিশ্বাস করি না। আর আপনার ক্ষেত্রে আমি চোরকে আমার মানিব্যাগ দিয়ে যতটা না অবিশ্বাস করবো আপনার মতো লোকদের তার চেয়ে হাজার গুন করবো। তো মামা, দলিল দেন কই বলছে। আর এ্যারিস্ট টলের টুকলি করছে ইমাম গাজ্জালি, ইবনে সিনা, আল ফারাবি, ইসলাম ত্যাগী আভিরুশ এরা সবাই। পুরা ইসলামিক দর্শনটাই এরিস্ট টলের টুকলি। কথা হইলো গরু যদি কোনো ভাষা না জানে তাইলে কি দুনিয়াতে কোনো ভাষার অস্তিত্ব নাই? এ কেমন যুক্তি মামো? কই থিকা পাশ দিছেন?


আপনি তো দেখছি আইনস্টাইনের ব্যাপারে তাহলে কিছুই জানেন না।" Childish Superstitions" পড়ে দেখবেন সেখানে তিনি বলেছেন, Science without religion is lame, religion without science is blind।

না, আমি কিছুই জানি না। আমি নিজেরে কখনোই জ্ঞানী দাবী করি না। সমস্যা হইলো একজন প্রকৌশলী হিসেবে আমার ধ্যান জ্ঞান থাকে কাজ নিয়া, কাজের তত্ব, ইমপ্লিমেন্টেশন নিয়া। কে বানাইছে, তার হাগু করনের সময় কোন ব্রান্ডের টয়লেট পেপার, প্রেমিকার কাছে কোন কলম দিয়া চিঠি লেখছে, তা নিয়া কত রকমের এসবে আমার কোনো ইন্টারেস্ট নাই। আমার ইন্টারেস্ট তার জার্নাল এবং ফিজিক্স নিয়া কি কাজ। কিন্তু তারপরও আপনার ভাষ্যমতে আমি চিঠিটা খুইজা পাইলাম। ১৯৫৫ সালে আইন্সটাইন মারা যান। ১৯৫৪ সালে গুটকিন সাহেবকে চিঠিটা লেখেন। চিঠিটা পুরো কপি করে দিলাম যাতে বাটপারিটা খুব সুন্দর ভাবে সবার সামনে তুলে ধরতে পারি।

Princeton, 3. 1. 1954

Dear Mr Gutkind,

Inspired by Brouwer's repeated suggestion, I have read a great deal in your book in the last few days: thank you very much for sending it to me. What struck me particularly was this. We are largely alike as regards our factual attitude to life and to the human community: an ideal that goes beyond self-interest, with the striving for release from ego-oriented desires, the striving for the improvement and refinement of existence, with an emphasis on the purely human element, by which inanimate things are to be perceived purely as a means, to which no dominant function is to be attributed. (It is especially this attitude that unites us as an authentically "un-American attitude"1).

Nevertheless, without Brouwer's encouragement I would never have brought myself to engage at all closely with your book because it is written in a language which is inaccessible to me. The word God is for me nothing but the expression and product of human weaknesses, the Bible a collection of venerable but still rather primitive legends. No interpretation, no matter how subtle, can (for me) change anything about this. These refined interpretations are naturally very diverse, and have virtually nothing to do with the original text. For me the unadulterated Jewish religion is, like all other religions, an incarnation of primitive superstition. And the Jewish people to whom I gladly belong, and in whose mentality I feel profoundly anchored, still for me does not have any different kind of dignity from all other peoples. As far as my experience goes, they are in fact no better than other human groups, even if they are protected from the worst excesses by a lack of power. Otherwise I cannot perceive anything "chosen" about them.

In general, it pains me that you claim a privileged position and try to defend it by two walls of pride, an external one as a human being and an internal one as a Jew. As a human being you claim to a certain extent a dispensation from the causality which you otherwise accept, as a Jew a privileged status for monotheism. But a limited causality is no longer a causality at all, as indeed our wonderful Spinoza originally recognized with absolute clarity. And the animistic conception of natural religions is in principle not cancelled out by monopolization. With such walls we can only attain a certain self-deception; but our moral efforts are not furthered by them. Quite the opposite.

Now that I have expressed our differences in intellectual convictions completely openly, it is still clear to me that we are very close to each other in the essentials, that is, in our evaluations of human behavior. What divides us is only intellectual padding or the "rationalization" in Freudian language. So I think that we would understand each other very well if we conversed about concrete things.

With friendly thanks and best wishes,

Yours,

A. Einstein

চিঠিতে স্পস্টভাষাতে ইহুদী ধর্মকে শিশুতোষ কুসংস্কার এবং খ্রিস্ট ধর্মকে রূপকথার সাথে তুলনা করছে। তবে তিনি কসমিক রিলিজিয়নের দিকে একটু হালকার ওপর ঝাপসা কথা বলচেন কিন্তু আপনের যেই লাইন বিজ্ঞান ছাড়া ধর্ম লেইম আর ধর্ম ছাড়া বিজ্ঞা আন্ধা এইটা পাইলাম না। মামু, কুন ব্রান্ড গিলছিলেন? নাকি মোহাম্মদের প্রিয় ড্রিংক উস্ট্রমুত্র?

এই তত্ত্বের মাধ্যমেই ১৯৪৮ সালে জর্জ গ্যামফ অনুমান করতে পেরেছিলেন যে, মহাজাগতিক অণুতরঙ্গ পটভূমি বিকিরণের অস্তিত্ব রয়েছে। ১৯৬০-এর দশকে এটি আবিষ্কৃত হয় এবং স্থির অবস্থা তত্ত্বকে অনেকটাই বাতিল করে মহাবিস্ফোরণ তত্ত্বকে প্রমাণ করতে সমর্থ হয়।


জঙ্গিরা আমাকে বেশ বিনোদন দেয় ইদানিং। বিগ ব্যাং থিওরীর প্রবক্তা ছিলেন জর্জ লেমেতার যিনি কিনা একজন ক্যাথলিক পাদ্রী ছিলেন। লিংক দিলাম পড়ে অশেষ জ্ঞান অর্জন করেন। আর যে জর্জ গ্যামোর কথা বললেন তিনি হলেন একজন গোপাল ভাঁড়। আসলে অল্প বিদ্যা যে ভয়ংকরী তা জঙ্গিদের দেখলে বোঝা যায়। এ নিয়ে ভারী ভারী ইংলিশ রেফারেন্স দিয়ে আপনাকে বিব্রত করবো না তবে একজন ব্লগার এই গোপাল ভাঁড় কে নিয়ে সুন্দর লেখা লিখেছেন। পড়ে আসতে পারেন। তারপরও এই ক্লাউন বা ফ্রডটাকে নিয়ে আরো আবোল তাবোল কথা বলতে চাইলে বিজ্ঞানী মহলে এই জোচ্চরের আসল চেহারা সুন্দর ভাবে দলিল স হকারে দেয়া যাবে।


আপনি ধর্মকেই বিশ্বাস করেন না,ধর্মকে ব্যাঙ্গ করে কথা বলেন আপনাকে যদি প্রমানও দেয়া হয় আপনার মত মানুষ ধর্মের প্রতি ঈমান আনবে আমি বিশ্বাস করি না।


শিশুকামী ভন্ড দাসব্যাবসায়ীর লেখা কোরানের ওপর প্রথম সন্দেহ জাগে চাঁদের দুভাগা খুজতে গিয়ে। তারপরও আমি বলেই তো দিছি কেউ যদি আমাকে ভাগাটা মিলায় দিতে পারেন আমি বিশ্বাস আনতে রাজী। ভয় পান কেন মামো?


সূরা আন নাযিয়াতের আয়াত ২৭ থেকে ৩৩ এ উল্লেখ আছে
তোমাদেরকে সৃষ্টি করা অধিক কঠিন, না আসমান সৃষ্টি? তিনি তা বানিয়েছেন। তিনি এর ছাদকে উচ্চ করেছেন এবং তাকে সুসম্পন্ন করেছেন। আর তিনি এর রাতকে অন্ধকারাচ্ছন্ন করেছেন এবং এর দিবালোক প্রকাশ করেছেন।এরপর তিনি যমীনকে বিস্তীর্ণ করেছেন।তিনি তার ভিতর থেকে বের করেছেন তার পানি ও তার তৃণভূমি। আর পর্বতগুলোকে তিনি দৃঢ়ভাবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন।তোমাদের ও তোমাদের চতুষ্পদ জন্তুগুলোর জীবনোপকরণস্বরূপ।


তা মামো, টেকটোনিক প্লেট সম্বলিত পৃথিবীতে পাহাড় কেমনে স্থির থাকে? মোহাম্মদের কল্পিত মিথ্যা ঈশ্বর আল্লাহ ক্লাস সিক্সে ভূগোলে কি ফেল করছিলো?

পরবর্তীতে কোন বিষয়ে লিখার আগে নেশাদ্রব্য পরিহার করে তারপর লিখবেন।

এই ব্লগের যা মালিক, জানাপা থেকে শুরু করে নেট জগতের যারা আমাকে ব্যাক্তিগত ভাবে চেনে তারা সবাই জানে আমি জীবনে কোনো দিন সিগারেট টানি নাই। মদাসক্ত ছিলাম তাও খুব অল্প সময়ের জন্য। তার ওপর আমি ফিটন্যাস এনথুসিয়াস্ট প্লাস মিক্সড মার্শাল আর্ট শিখতেছি শিনোবীতে। পারলে খবর নেন যারা বডি বিল্ডিং এবং ক্রাভ মাগার ছাত্র তারা কিভাবে নেশাপানি করে।

তবে হ্যা, নিজের জ্ঞানের ব্যাপারে বলবো আমি কিছুই জানি না।

তা মামো, কোরানে যে দুটো ভুল দেখাইলাম, চাদের দু ভাগা আর ড. গ্যালেন ও হিপোক্রিটাসের শুয়োরের ভ্রূনবিদ্যা মানুষের বলে চালিয়ে দেয়া এই দুটোর পক্ষে কি প্রমান দিতে পারলেন? আর পাহাড় যে স্থির? আসল কথা তো দেখি ঠিকই এড়ায় গেলেন ?

২৮ শে মার্চ, ২০১৯ ভোর ৫:২৩

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: এই তত্ত্বের মাধ্যমেই ১৯৪৮ সালে জর্জ গ্যামফ অনুমান করতে পেরেছিলেন যে, মহাজাগতিক অণুতরঙ্গ পটভূমি বিকিরণের অস্তিত্ব রয়েছে।

লিংক বা কুন জার্নালে এই গোপাল ভাড় তার প্রমান করছে সেটা দেন। এই গোপাল ভাড় জীবনে একটা জার্নালও লেখছে তাও তার পিছের গল্প ব্লগার জাহিদ অনিক বেশ সুন্দর ভাবেই লেখছে। আর সিএমবি কে আবিস্কার করছে এটা জানতে এখানে ক্লিক করেন। বুঝলাম না এভাবে কেমনে মিথ্যা কথা বলেন?

২৩ শে এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ২:৫৫

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: সমকামী ফ্রান্সিস বেকনের শিষ্য আজ পর্যন্ত উত্তর দিলো না। এজন্য জঙ্গি ধর্মের পেডো সমাকামীরা ফ্রান্সিস বেকনের মতো দার্শনিকরে বিজ্ঞানী ভেবে পেয়ার করে। কথায় আছে রতনে রতন চেনে, হোমো চেনে ছেলেদের পুটু ;)

১৯| ২৬ শে মার্চ, ২০১৯ সকাল ৯:৪৬

সোহানী বলেছেন: উদাসী ভাই, আপনার আগের পোস্টেও প্রায় একই কমেন্ট মনে হয় করি। আর সেটা হলো যেভাবে থাকতে চায় তাকে সেভাবে থাকতে দেয়া উচিত। কেউ যদি ইশ্বরে বিস্বাস করে সেটা তার ব্যাপার আর কারো যদি সে বিশ্বাস না থাকে সেটাও তার ব্যাক্তিগত পছন্দ। এটা নিয়ে যুক্তি তর্ক বা ইর্ন্টাফেয়ার আমি কোনভাবেই করতে রাজি নয়। আর বিজ্ঞান বা ধর্ম নিয়ে কোনভাবেই তুলনা চলে না। একটি বিশ্বাস অন্যটি প্রমানিত সত্য। একটির সাথে আরেকটির তুলনা বা প্রমান কোনভাবেই সম্ভব নয় বলেই বিশ্বাস করি।

আপনার জ্ঞানকে আমি বরাবরেই স্যালুট করি। আর সে কারনেই বলি প্লিজ যে ভাষা আপনি ব্যবহার করছেন সেটা অত্যন্ত আপত্তিকর ধর্মের জন্য বা ধর্মে বিশ্বাসী একজন মানুষের জন্য। আপনি অনেক বুদ্ধিমান, আশা করছি কি বলতে চাচ্ছি বোঝাতে পেরেছি।

সামহোয়ার ব্লগ একটা স্ট্রাগলিং সময় পার করছে এ সময়ে আমরা কোন বিতর্কিত বিষয় নিয়ে কথা নাই বা বল্লাম.....। কাকুর মাথা ঠান্ডা হলে আবার তর্কবিতর্কে ঝাপিঁয়ে পড়বো...... কি বলেন!!!

অনেক ভালো থাকেন।

২৮ শে মার্চ, ২০১৯ ভোর ৪:৪০

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: সত্যিকথা বলবে সামুর ওপর সরকারী ব্যান এই নাস্তিকতা চর্চা বা পর্নের জন্য বন্ধ করেনি। যদি তাই হতো সুশান্তের আমার ব্লগ আগে ব্যান করতো। এমনকি সেটা ২০১৩ বা ১৪ এর দিকে বিটিআরসি কয়েকমাসের জন্য বন্ধ করেছিলো তাও অন্য একটা কারনে। তারপর সুশান্তের লবিং এ খুলে দেয়। সামুর ব্যাপারটা অন্যরকম। স্টিভ জব্বারের অন্য রকম ক্ষোভ তার চেয়ে বেশী সে এখন বিজয় ক্যাশ করবে। তার বিজয়ের প্লাটফর্ম দিয়ে এমন মনোপলী করতে চায় যেটা শুধু বাংলাদেশে না পুরো দুনিয়াতে। এবং সেটার জন্য ফেসবুকে বেশ আলোচনাও করেছে এবং ফলপ্রসু না হওয়ায় সেটা বাংলাদেশে বন্ধ করার থ্রেট ও দেয়।

এমন মুহুর্তে সামুর মতো এন্টি স্টিভ জব্বার প্লাটফর্ম থেকে ব্যান উঠিয়ে দিলে একটু রিস্ক। তাছাড়া সুশান্তের ব্লগ, সচলায়তনে যেসব ব্লগার আছে তারা নেট কম্যানিটিতে একটিভ এবং বেশ ভালো প্রভাব রাখে। সামুতে বর্তমান যারা পুরোনো এবং নতুন ব্লগার তারা কেউ প্রভাবশালী নয়। তারা কোনো ইস্যু তৈরী করলে তা হালে পানি পাবে না। সেই সামর্থ্যও নাই। আর যারা প্রভাব রাখতে পারেন, আস্তিক নাস্তিক বা বাম সকল ব্লকই সামুর ওপর অভিমান করে আছে। তারা এখন আর সামু নিয়ে কথা পর্যন্ত বলতে রাজী নয়। সুইডেন জার্মানীর বেশ কিছু ব্লগার সাংবাদিককে নক দিছিলাম। তারা কথাই বলতে চায় না। অথচ নেটে তাদের যা নাম হইছে সবই সামু থেকে। কিন্তু কেউ এটা নিয়ে আলোচনা করতে চায় না

তবে এটা আমি ভালো হিসেবে দেখি। কারন বাংলাদেশের অধিকাংশ নবীন যারা এখানে আসেন তাদের কোয়ালিটি খুবই নিম্ন মানের বেশীরভাগ। কবিতা গল্প কিছু ভালো লেখেন এবং সামুর লস এখানেই লোকাল কিছু ভালো সাহিত্যিক হারালো। কিন্তু আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে যারা ছাত্র গবেষক এবং নানা পেশায় জড়িত তাদের মেলবন্ধন হতে পারে। এটা সামুর জন্য সুযোগ।

আর বাকি থাকে আমার ভাষা, এখন আমি একটা নর্মাল বা অন্য বিষয়ে পোস্ট লেখলেও পোলাপানের খুচানী থামে না। আমি কি করতাম? আমিও তো মানুষ।

ধন্যবাদ কমেন্টের জন্য

২০| ২৬ শে মার্চ, ২০১৯ বিকাল ৩:২৭

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: 'আপনার মতের সাথে আমি একমত নাও হতে পারি, তবে আপনার মতামতকে আমি সম্মান করি'- এরকম একটা মহৎ বাণী আছে, কার বাণী সেটা মনে নেই।

মাহমুদুর রহমান-এর দীর্ঘ মন্তব্য আমার ভালো লেগেছে। জানি না, ঐ কমেন্টের উত্তরে আপনি কী লিখবেন। তবে, তার কথাগুলো আমার কাছে যুক্তিসঙ্গত মনে হচ্ছে। এবং এগুলোই এতকাল জেনে আসছি।

আপনি লিখেছেন- যে দেশের মানুষ চাঁদে সাঈদী দেখে, মিথ্যা ধর্ম ইসলাম বিশ্বাস করে...। আমি যেহেতু আল্লাহতে বিশ্বাসী, কাজেই মনে করি ধর্মটাও আল্লাহর আদেশেই সৃজিত। আর ইসলাম আল্লাহ মনোনীতই একটা ধর্ম।

আপনার কথা এটা - বর্তমানে আমার অনেক ধারনা পরিবর্তিত হয়েছে। কারন জানার কোনো শেষ নাই। যত জানছি তত নিত্য নতুন শিখছি। তবে আমার এই বিশ্বাস ততদিন থাকবে যতদিন না ল্যাবে কিছু এক্সপেরিমেন্ট সফলতার রূপ পায়। এ কথাটা ভালো লাগছে। শেখার চূড়ান্ত ধাপে পৌঁছানো কারো পক্ষে সম্ভব না; অর্থাৎ কেউ কখনো দাবি করতে পারবেন না, আমার সব জানা হয়ে গেছে। আবার, সবার মেধা সমান নয়, জানার ব্যাপ্তিও সমান নয়। জনাব দবির উদ্দিন জ্ঞানের যেই ধাপে পৌঁছে বলছেন আল্লাহ নামে কেউ নাই, জনাব ছবির উদ্দিন সেই ধাপ পেরিয়ে আরো কয়েক ধাপ উপরে গিয়ে দেখেন- কেবল হযরত মুহম্মদ (সঃ )-কে সৃষ্টি করার জন্যেই আল্লাহ তা'য়ালা এই বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ড সৃষ্টি করেছিলেন। এটা শুধু উদাহরণ হিসাবে বললাম। আমাদের মতো সাধারণ গোবেচারা, যাদের এত ব্যাপক অধ্যয়ন নাই, গবেষণার ল্যাব নাই- তারা এই দু দলের দিকে তাকাবে। নিজের বুদ্ধি খাটিয়ে তার যেখানে সুবিধা সেখানেই যাবে। আল্লাহ আছে, অথবা নাই- মার্জিন হলো এটুকুই। আমি আল্লাহতে বিশ্বাসী। তাই হযরত মুহম্মদ {সঃ}-কে সব শেষ রাসূল মানি। কোরানকে মানি আল্লাহর বাণী। কোরানে যেহেতু তৌরাত, যুবরের কথা বলা আছে, কাজেই ওগুলোর বাণীও কোরানে থাকা সম্ভব; এবং তা আল্লাহর বাণী হিসাবেও কোরানে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।

Shopnodana123-এর ১৭ নম্বর কমেন্টের উত্তরে লিখেছেনঃ মোহাম্মদের সে বুকের পাটা ছিলো, আর তাই পেটের তাড়না বা ক্ষমতার লোভেই হোক বাপ দাদার অর্ধ লক্ষ বছরের প্যাগান ধর্ম সে ঘোষনা দিয়ে ত্যাগ করে। সমস্যা হলো ক্ষমতার গন্ধ পেয়ে হিটলারের চেয়েও নিকৃষ্ট ভুতের আছর পরে তার ওপর। পৃথিবীর মহৎ মানুষেরা হযরত মুহম্মদ (সঃ )-এর চরিত্রে কোনো ত্রুটি পেয়েছেন বলে আমার জানা নেই। Michael H. Hart-এর অ্যানালাইসিসেও ১০০ জন মহৎ মানুষের তালিকায় হযরত (সঃ )-এর নাম সবার শীর্ষে, যদিও হিটলারের নামও সেখানে আছে ৩৯ নম্বরে। আমার প্রশ্নঃ হযরত মুহম্মদ (সঃ ) কীভাবে হিটলারের চেয়েও নিকৃষ্ট হলেন? এটা কি শুধু আপনার মতামত, নাকি পৃথিবীর অন্য কোনো প্রসিদ্ধ ব্যক্তিরাও এই মতামত দিয়েছেন?

আল্লাহ বলে একজন আছেন- এটা আমার বিশ্বাস; আল্লাহ নামে কেউ নেই- তেমনি এটাও একটা বিশ্বাস হতে পারে কারো কারো। শুধু এই বিশ্বাসের পার্থক্যের কারণে নির্দোষ ব্যক্তিকে দোষী সাব্যস্ত করা ঠিক হয় না।

একটা গল্প লিখেছি অনেকদিন পর- 'মশার জীবন'।

ভালো থাকবেন।

২৮ শে মার্চ, ২০১৯ ভোর ৫:১০

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: জঙ্গিরা ঠেকায় পড়লে মাইকেল এইচ হার্টের মতো হোয়াইট সুপ্রেমিস্টের রেফারেন্স দেয়। এই সন্ত্রাসী আমেরিকাকে চার ভাগে ভাগ করতে চায় যার একভাগ থাকবে সাদারা, আরেকভাগে হিস্পানিক আরেকভাগে ইহুদী আরেকভাগ কালো। যেখানে ব্রেন্ডন ট্যারান্টের মতো শুয়োর মানুষ হত্যা ও ইহুদী নির্যাতন করলে মানবতা মানবতা বলে কাইগুই করবেন আবার অন্যদিকে মানিকে মানিক চেনে, শুয়োরে চেনে কচু হিসেবে মোহাম্মদরে এক নম্বর কইলে সেইটা শুইনা অর্গাজমে ভুগবেন কেমনে কি! জানেন তো দুনিয়ার এক নম্বর খুনী হিটলারও মোহাম্মদের ভক্ত ছিলো।

তারপরও অনেক সুস্থ মহা মানব নেতা মোহাম্মদের নামে ভালো কথা বলছে কারন মানুষ চেনে। সবাই মরিস বুকাইলির মতো চালাকী করে সেটা হলো সৌদী বাদশার কাছ থেকে যতরকমের সুযোগ সুবিধা এবং বিভিন্ন সংগঠনের প্রধানের দায়িত্ব থেকে পকেট ভারী করে এবং বাদশা মরলে পরে ফ্রান্সে ফিরে এসে আয়েশী জীবন যাপন করা....তা এক বিনোদন। যদিও তার লেখা গ্রন্থে একাডেমিক ভাবে যেসব ভুল ধরা হইছে সেগুলো নিয়ে কেউ কথা বলে না। জঙ্গিদের এরকম কান্নাকাটি হিপোক্রেসী আমাকে বিনোদন দেয়।


আপনি আমার মতামতকে সম্মান করেন এটা জেনে আমার ভালো লাগলেও আপনার মতামতকে আমি শ্রদ্ধা করতে পারছি না। কারন আপনার মতামতকে শ্রদ্ধা করতে চাইলে আমাকে এক শিশুকামীর (১.৫ বছরের উম্মে ফাদল ইবনে ইসহাক পৃষ্ঠা ৩১১,আয়েশা ), জঙ্গি ও সন্ত্রাস বাদ, গনহত্যা ও দাসী ধর্ষন, নারীদের চূড়ান্ত অবমাননে এবং বর্বরতম খতনা ও খুলার নিয়ম, ব হুগামীতা ও পরকিয়া, অবৈধ দৈহিক সম্পর্ক, প্রতারনা ও নিমক হারামীকে মেনে নিতে হবে যেগুলো একটা সভ্য সমাজে অবশ্যই অপরাধ। আমি দোষ ত্রুটিতে ভরা মানুষ যে বিবেক দ্বারা তাড়িত হয়ে শুদ্ধভাবে জীবনযাপনের চেস্টা করছি সেখানে শিশুকামী, ধর্ষনের মত ঘৃন্যতম মতবাদকে শ্রদ্ধা দেখানো আমার পক্ষে সম্ভব না।

এখন বলেন আপনি নিজেকে অজ্ঞানতা থেকে বের করে এসব জানার পর নিজেকে আয়নায় দেখতে এতটুকু লজ্জা করবে না??

যদি নির্লজ্জ থাকেন তাহলে জানাবেন, কারন আমি বরাবরই শিশুকামী শুয়োর জঙ্গিদের ঘৃনা করার মতো সময়ও নেই। মনে করি এরা মানুষ না, এর মানুষ নামের কলঙ্ক, এদের হত্যা ভিন্ন অন্য কোনো উপায় নেই।

পারলে জানাবেন সব কিছু জানার পর আপনার নিজের অবস্থান?

২১| ২৭ শে মার্চ, ২০১৯ রাত ১০:০৯

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
আগে আরাম আয়েশ করে সময় নিয়ে পড়তে হবে । তারপর মন্তব্য।

বিধাতা আসমানী গ্রন্থে নামাজ পড়ার কথা বলেছেন ৮২ বার ( নাকি আরো বেশী)।
কিন্তু নামাজ কি ভাবে পড়তে হবে তা কোথাও বলেননি।
শিখবো কি করে?

২৮ শে মার্চ, ২০১৯ ভোর ৫:১২

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: ব্লগের শিশুকামী ফরিদভাই প্রথমে বলেছিলেন কোরান ভিন্ন অন্যকিছু মানেন না। তাকে জিজ্ঞেস করেছিলাম কোরানে নামাক যাকাত হজ্বের কথা বলা হলেও কিভাবে কি করবেন সেটা বলা নাই। তাহলে আপনি কি নামাজ শুধু সেজদা দিয়ে ছাড়বেন?

সে আর উত্তর দেয় নাই। তার প্রায় কয়েকমাস পরতিনি পোস্ট দেন হানাফী সাহেব নাকি কোরানের সাথে সংঘর্ষ হয় এমন হাদিস পরিত্যাজ্য। সমস্যা হলো কোরানে আছেটা কি? নামাজের প্রায় ৬ টা সিস্টেম বাজারে আছে এবং প্রত্যেকেই অন্যান্যকে বলে তাদেরটা স হী নয়।

প্রশ্ন হইলো আপনে যে পদ্ধতিতে নামাজ পড়েন সেটা কি অন্যরা স হী বলে? পারলে মার্কেটে একটা জরীপ করেন

২২| ২৮ শে মার্চ, ২০১৯ সকাল ৯:১০

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: পারলে জানাবেন সব কিছু জানার পর আপনার নিজের অবস্থান? সবকিছু জানা সম্ভব না। সবাই এই অ্যাটেম্পট নিতে পারবেও না। আপনি পারছেন তার কারণ আপনি পরিশ্রমী, মেধাবী। তবে, আমি আমার সিদ্ধান্তে অটল। আমি আরামে এবং সুখে-শান্তিতে আছি। এভাবেই মরতে চাই। আমার মতো আল্লাহতে বিশ্বাসী নিরীহ মানুষদের সুবিধা অনেকঃ (১) শান্তিতে জীবন পার (২) মরলে বেহেশত লাভ। আল্লাহতে বিশ্বাস হারালে ক্ষতির সম্ভাবনাই বেশিঃ (১) পৃথিবীতে থাকতেই মানসিক শক্তি নষ্ট, পরিবার, সমাজ, সবার কাছ থেকে গঞ্জনা ও বিড়ম্বনা সইতে হবে (২) আর মরার পর কিছু না থাকলে তো মরার সাথে সাথেই সব শেষ, আর কিছু থেকে থাকলে দোজখের যন্ত্রণার ভাগ কে নেবে? :)

ইসলামপন্থীদের যে একগড়া জঙ্গি বলছেন, এটা অন্যায়। জঙ্গি সবাই না। আর জঙ্গি সব ধর্মেই আছে। ধর্মের কারণে আর কতগুলো লোক মারা গেছে? পৃথিবীতে যত যুদ্ধ হয়েছে তাতে মুসলিমরা কয়টা যুদ্ধ করেছে? কোটি কোটি মানুষ বিভিন্ন যুদ্ধে মারা গেছে, সেখানে ধর্মযুদ্ধে মৃত মানুষের সংখ্যা অত্যন্ত অপ্রতুল। বিশ্বযুদ্ধসহ মডার্ন যুদ্ধে মুসলমানদের সংশ্লিষ্টতা খুব কম।

মুহম্মদ (সঃ )-কে বিভিন্ন অপবাদ দিয়েছেন তার বিরুদ্ধপক্ষরাই। এই মিথ্যা কথাগুলো প্রোপাগেট হয় এভাবে, যেভাবে আপনি ব্লগার ফরিদকে 'শিশুকামী ফরিদভাই' বলছেন। তিনি যে শিশুকামী, এর প্রমাণ আপনার কাছেও নেই, তিনি শিশুকামী ননও, অথচ এ দুর্নামটা সহজেই ছড়িয়ে যেতে পারে।

আমি আপনার মতামতকে সম্মান করার কথা বলেছি এ কারণে যে, আপনি যাতে মনে না করেন আপনার মতামতকে আমি তুচ্ছ জ্ঞান করছি। আমি অবশ্যই এটা প্রত্যাশা করি নি যে আপনিও আমার মতামতকে সম্মান করুন। আশা করি ব্যাপারটা ধরতে পেরেছেন :)

তো, মনে হচ্ছে কোনো কারণে উত্তেজিত আছেন। ব্যাপার কী উদাসী ভাই? :) এগুলো তো শুধু মত-বিনিময়, এত সিরিয়াস হওয়ার কারণ দেখি না। কুল ডাউন। উত্তেজিত অবস্থায় মানুষ সঠিকভাবে কিছু বলতে পারে না।

আপনার মতামতটা একটু জানান- কুমারী ম্যারির গর্ভে পুরুষের ঔরস ছাড়া যীশুর ভ্রূণ কোথা থেকে কীভাবে এলো? বৈজ্ঞানিকভাবে কি এটা সম্ভব?

শুভেচ্ছা রইল।

২৮ শে মার্চ, ২০১৯ সকাল ১০:৪৯

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: সনেট কবির শিশুকামীতার প্রমান এই পোস্টের ২৬ নম্বর কমেন্টের প্রতিউত্তরে পাবেন আর আপনি কি মনে করেছেন একজন শিশুকামী হনহত্যাকারী ধর্ষকের জীবনাদর্শ নিয়ে ঘাটাঘাটি করলে কেউ মাথা ঠিক রাখতে পারে? এই মানুষটা তো সাদ্দামের কুর্দী গনহত্যা, পাকিদের বাঙ্গালী গনহতযা, মওদুদীর আহমদিয়া হনহতযা, সৌদীদের ইয়েমেনী গনহত্যার মতো নৃশংসতায়ের হার মানায়।

আপনি মনে শান্তি পান এটা আপনার ব্যাপার। কিন্তু এই গনহত্যাকারী শিশুকামী শয়তানের বলি তার মৃত্যুর পর রিদ্দার যুদ্ধ, জামালের যুদ্ধ সিফকিতের যুদ্ধ তথা হাজার বছর ধরে সংখ্যালঘুদের নৃশংস অত্যাচার আর পুরো পৃথিবীতে এই জঙ্গি ধর্মের ঘোষিত যুদ্ধের দুঃসহ ক্ষত বহন করতে হচ্ছে সেটা কাউকে শান্তি দিচ্ছে না। তাই আপনার ব্যাক্তিগত শিশুকামী মতবাদ আমার ব্লগে না আওড়ালে খুশী হবো।

ভালো থাকবেন

২৩| ২৮ শে মার্চ, ২০১৯ সকাল ১১:৫৬

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: মাথা ঘুরায়।

২৮ শে মার্চ, ২০১৯ দুপুর ২:২১

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: কপাল ভালো খালি মাথাটাই ঘুরাইছে, বমির লক্ষ্মন হইতেছে না। তা নাইলে ক্যালেঙ্কারীর ঘটনায় শাবানার সংসার আর জসিমের গান হইয়া যাইতো সব

২৪| ২৮ শে মার্চ, ২০১৯ দুপুর ২:৩১

স্বপ্নডানা১২৩ বলেছেন: কিছু কিছু লোককে হাজার যুক্তি দেখালেও সে তার অন্ধবিশ্বাসকে আঁকড়ে থাকবে তার পেছনের কারণ " লোভ"। কেউ নাস্তিক হলে তার জন্য কোন স্বর্গীয় পুরস্কার নেই, বা কোন স্বীকৃত ঈশ্বর এখন পর্যন্ত ঘোষণা করেন নাই। সুতরাং নাস্তিক হইলে ওইপারে লাভের আশা বেকার । কিন্তু যদি লাইগ্যা যায় থিওরিতে অন্ধভাবে বিশ্বাস কইরা গেলে সেই প্রতিশ্রুত স্বর্গ পাওয়া গেলেও তো যেতে পারে । সেকারণেই কিছু লোক বলবে , 'আপনার যুক্তি দুর্দান্ত এবং অকাট্য হতে পারে কিন্তু আমি আমার বিশ্বাস নিয়েই থাকতে চাই । '

২৮ শে মার্চ, ২০১৯ দুপুর ২:৩৯

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: এজন্যই লটারী জুয়াখেলা নির্ঘাত লোকসান জেনেও মানুষ নেশার মতো খেলে। ধর্মীয় বিশ্বাসকে তাই আফিম বলেগেছে। আর কুশিক্ষা কুসংস্কারের বসবাস যেখানেই রয়েছে সেখানেই এই বর্বর মিথ্যা শিশুকামী জঙ্গি ধর্ম গুলো রাজত্ব করছে। ওপরে যে কজন ধার্মিক তার ধর্মকে ডিফেন্ড করছেন তারা হয় মিথ্যা বলছেন নতুবা সত্যকে বিকৃত করছেন। তাদের মধ্যে একটা জিনিস কমন সেটা হলো অজ্ঞতা। কেউ স্বেচ্ছায় অজ্ঞ থেকে তা নির্লজ্জভাবে বড়াই করছে কেউবা নিজের অজ্ঞতা ঢাকতে নির্লজ্জভাবে সবাইকে মূর্খ বলছে অথচ তাদের পোস্টে তাদের স্বগোত্রিয়দের কমেন্ট গুলো পড়েন, সবাই বলছে আরেকটু পড়াশোনা করে বিকৃত তথ্য দেয়া থেকে বিরত থাকতে।

হাস্যকার তাই না?

২৫| ২৮ শে মার্চ, ২০১৯ বিকাল ৩:১০

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আপনার ব্যাক্তিগত শিশুকামী মতবাদ আমার ব্লগে না আওড়ালে খুশী হবো। কথাটা একটু কঠিন হইয়া গেলো না উদাসী ভাই? আপনার সাথে তো সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার মতো কিছু বলি নাই, তর্কও করি নাই, আমি শুধু জানতে চেয়েছি।

যাই হোক, উদ্ধৃত লাইনটা দেখে কোনোদিন আপনি লজ্জিত বা মর্মাহত হবেন কিনা তাই ভাবছি।

আল্লাহ আপনার মঙ্গল করুন।

২৮ শে মার্চ, ২০১৯ বিকাল ৩:১৭

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: শিশুকামী, জঙ্গিবাদ, জামাত শিবির এসব ব্যাপারে আমি জিরো টলারেন্স। যেখানে আমি নিজের সম্পর্কগুলোতেও এই বিষয়ে ন্যুনতম ছাড় দেই নি আজীবন, সেহেতু এ বিষয়ে লজ্জা পাবার প্রশ্ন আসে না।

শুভ বুদ্ধির উদয় হোক

ভালো থাকুন।

২৬| ২৮ শে মার্চ, ২০১৯ বিকাল ৩:৩৪

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: মুসলমান হওয়া মানেই জঙ্গি এবং জামাত শিবির না, তাহলে এদেশে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি কে? আমার চাচা একজন মুক্তিযোদ্ধা। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা নিয়া বড়ো হচ্ছি। আমার অনেক লেখালেখি আছে এ নিয়ে।

মতের সাথে না মিললেই জামাত শিবির ট্যাগ দেয়া কিন্তু ঠিক না।

আল্লাহ আপনাকে অবশ্যই আপনার বুদ্ধিকে কাজে লাগাতে সাহায্য করবেন।

২৮ শে মার্চ, ২০১৯ বিকাল ৩:৩৮

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: আপনাকে জামাত শিবির ট্যাগ দেইনি তবে এক প্রতিষ্ঠিত ধর্ষক শিশুকামীকে সমর্থন দিচ্ছেন প্রচ্ছন্ন ভাবে। আপনি এটাকে কিভাবে ডিফেন্ড করবেন?

তবে আমি শিশুকামী জঙ্গি জামাত শিবির সব এক কাতারেই ফেলি। তারা সবাই মানবতা জাতীয়তাবাদের চরম শত্রু

২৭| ২৮ শে মার্চ, ২০১৯ বিকাল ৩:৩৮

স্বপ্নডানা১২৩ বলেছেন: @ আসলে সোনাবীজ ভাই , যুক্তি তর্কে হতাশা আসতেই পারে যখন মানুষ চোখে আংগুল দেখিয়ে দিলেও মানতে চায় না । যেমন আমি একজন বিশ্বাসীকে জিজ্ঞেস করলাম , আপনার বিশ্বাস করা স্ক্রিপ্টে মানুষের বংশ বিস্তার সম্বন্ধে কী লেখা আছে ? উনি বল্লেন, বিধাতা একজন পুরুষ আর একজন মহিলা পাঠায়সেন , তারপর থেকে মানবজাতি আউগায় গেছে । আমি বল্লাম যে , এইভাবে মানবজাতির বিস্তার লাভ করতে গেলে ইন্সেস্ট সেক্স বা পারিবারিক অজাচার ছাড়া কোন পথ ছিল না এইটা বোঝেন ? তো যে বিধাতা সবকিছু এত্ত এত্ত তৈরি করতে পারে, পুরুষ ও মহিলা বেশি বেশি পাঠাইলেই তো এক ফ্যামিলির ছেলে মেয়ের সাথে অন্য ফ্যামিলির ছেলে মেয়ের বিয়া দিতে পারত । ওই হারাম ইন্সেস্ট সেক্স করা লাগত না । এর বাইরেও অনেক কিছু নিয়ে আলাপ হইসে উনার সাথে ।

তারপর কোন কিছুতেই সুবিধা না করতে পেরে উনি শেষমেশ বল্লেন দূর ভাই আপ্নে আপনার মতামত নিয়া থাকেন, আমি আমারটা । তো হতাশা আসবে না ? আপনি যদি কিছু বিশ্বাস করতে চান, সেটা করতেই পারেন । কিন্তু সেইটা নিয়া ২+ ৩ = চার হইলেও হইতে পারে কোনদিন , এইরাম আশাবাদ প্রকাশ করলে হতাশ লাগবেই ।

২৮ শে মার্চ, ২০১৯ বিকাল ৩:৪৭

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: তার চে বড় কথা রক্তের সম্পর্কে এমন বিয়ে দিলে পাঁচ ছয় প্রজন্ম পরেই নপুংষক পয়দা হবে। এটা প্রমানিত বিজ্ঞান। কল্পিত ঈশ্বর হুবালের বাচ্চা আল্লাহ জেনেটিক্সের এই বিষয়টা জানতেন না। তারে ঢাকা ইউনিতে ভর্তি পরীক্ষা দেওয়ানো হোক

২৮| ২৮ শে মার্চ, ২০১৯ বিকাল ৩:৪৬

স্বপ্নডানা১২৩ বলেছেন: @ সোনাবীজ ভাই, কিছু সীমাবদ্ধতার কারণে আমি আরো অনেক কিছু আপনার সাথে আলাপ করতে পারব না । আপনার যদি জানার আগ্রহ থাকে তাহলে সাইন্টিফিক/ হিস্টরিক্যাল/ম্যাথমেটিক্যাল এরর ইন .।.।.।.।.।.।.।.। (বসায়া নিয়েন) দিয়ে সার্চ দিতে পড়তে পারেন ।

২৮ শে মার্চ, ২০১৯ বিকাল ৩:৫৪

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: ওনারা তবুও অজ্ঞানতা পুষে রাখবেন। ইসলাম জানতে খুব বেশি বইয়ের প্রয়োজন নেই। টাকারও দরকার নাই। নেটে সার্চ দিলে অর্থসহ কোরান পাওয়া যায়। ক্বাথীর সাদ তাবারী মওদুদীর তাফসীর দিয়ে সুন্দর সাইট আছে। হাদিসগুলো বিভিন্ন ওয়েবসাইটে রেয়াত তাফসীর সহ দেয়া। জ্বালাইলান, শাইমিয়া জাব আল মাল সহ অসংখ্য বইয়ের অনুবাদ বিভিন্ন ইউনির সাইটে এফটিপিতে দেয়া। শুধু দরকার একটু সময়। একটু সময় নিয়ে বসলে এই বইগুলো পড়তে মোটেও টাইম লাগে না।

ইস হাক (হিশাম) তাবারীর লেখা অথেনটিক সীরাত পড়লে আর কি লাগে! তারা ছিলো তাবেঈন লেভেলের লোক, থিওলোজিয়ান স্কলার। ইবনে সিনার বইও পাবেন। মাত্র এই কটা বই!!

বুঝি না তারপরও এদের অজুহাতের শেষ নেই। পরে কিনা ভুলে ভরা ফাজালে আমল।

এসব অপরাধ সমতুল্য।

২৯| ২৮ শে মার্চ, ২০১৯ বিকাল ৫:০৭

স্বপ্নডানা১২৩ বলেছেন: সোহানী বলেছেন: উদাসী ভাই, আপনার আগের পোস্টেও প্রায় একই কমেন্ট মনে হয় করি। আর সেটা হলো যেভাবে থাকতে চায় তাকে সেভাবে থাকতে দেয়া উচিত। কেউ যদি ইশ্বরে বিস্বাস করে সেটা তার ব্যাপার আর কারো যদি সে বিশ্বাস না থাকে সেটাও তার ব্যাক্তিগত পছন্দ। এটা নিয়ে যুক্তি তর্ক বা ইর্ন্টাফেয়ার আমি কোনভাবেই করতে রাজি নয়।


## আপার কাছে আমার কৌতূহলমূলক প্রশ্ন, আগে ব্লগে যারা নিজের ধর্মের গুনগাণ গেয়েছিল বা বলেছিল তার মতবাদ শ্রেষ্ঠ, তখন কি তাদের মানা করেছিলেন, থাক ভাই এত প্রচার কইরেন না । সব মন্তব্য দেখা পসিবল না, তবে আমি যত টুক দেখেছি আপনার এইরূপ কোন মন্তব্য চোখে পড়েনাই । আর যদি ওদের নাই বলে থাকেন, তাইলে উদাসীর বিরুদ্ধমত না প্রকাশের বাসনা কেন ?

আমার নিজের মত হল ধর্মের পক্ষে বিপক্ষে যাই লেখা আসুক তা হোক যুক্তির আলোকে , গাজোয়ারি নয় ।

তাছাড়া ইদানীং যারা জানে উদাসীর বর্তমান পথ ও মত, তারা এখানে এসে সেধে আহত না হলেই হয় । যেমন একসময় আসত পা । প্র। কিন্তু যুক্তি না খন্ডায়া ঘ্যান ঘ্যান । এখন সে আর আসে না । তারে জোর করার কোন সিস্টেম আছে কিনা জানা নাই ।

আর ব্লগ বন্ধ হয়ে যাবে ? যুক্তির খেলাই যদি না খেলা যায়, সুতর্কে যদি চায়ের কাপটাই না উলটে যায় তাহলে হোক বন্ধ, আমার অন্তত আফসোস নাই ।

৩১ শে মার্চ, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৫৬

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: দুশ্চিন্তার কারন নেই। মড্রেটরা এসব প্রশ্ন দেখলেই লেশগুটিয়ে পালাবে। এরা কোনো কিছু না পড়েই ডাক্তার ইন্জিনিয়ার আলেম। যখনই ছাই দিয়ে ধরবেন তখনই বলবে আপনি জানেন না বা আপনার হিকমা নাই। অথচ এরা কি জানে বা কতটুকু বিশ্বাস রেখে তা পালন করে বাস্তব জীবনে দেখলে হাসি আসবে।

এরা জঙ্গিবাদের উৎস বলা যায়

৩০| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৩:৩৮

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: একটা খবর শেয়ার করি। ঈমানদার মুসলমানের এক অভূতপূর্ব কাজ যা আপনাকে বিস্মিত করবেই

৩১| ০৫ ই এপ্রিল, ২০১৯ ভোর ৪:০৩

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: আমার এখানে এখন রাত গভীর ।
লেখাটিকে প্রিয়তে নিয়ে গেলাম ।
পরে সময় করে পড়ব ।
আমার ্অবস্থা হলো
নট ফুড ফর থট
বরং থট ফর ফুড
আমার মনে হয় এটা জগতের সকলেরই চিন্তা ।
বিগ ব্যং বুঝার জন্য আমি এর সৃষ্টি কর্তার সাথে বিলীন হতে চাই
যখন বুঝব তখন যেন সেখানেই মিশে যাই ।
শুভেচ্ছা রইল

০৫ ই এপ্রিল, ২০১৯ ভোর ৪:৩৩

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: থট ফর ফুট???

গাঁও গেরামের চেয়ারম্যানগুলো গম বিক্রি করে দুটো পয়সা কামাতো তাতেও বাগড়া দিলেন বুঝি? এটা কি ঠিক? ইলেকশন করতে যে টাকা খরচ গেছে তা উঠবে কিভাবে??

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.