নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ঈশ্বর পটল তুলছে - নীৎসে/নীশে/নিৎচা

উদাসী স্বপ্ন

রক্তের নেশা খুব খারাপ জিনিস, রক্তের পাপ ছাড়ে না কাউকে, এমনকি অনাগত শিশুর রক্তের হিসাবও দিতে হয় এক সময়। গালাগাল,থ্রেট বা রিদ্দা করতে চাইলে এখানে যোগাযোগ করতে পারেন: [email protected]

উদাসী স্বপ্ন › বিস্তারিত পোস্টঃ

রিদ্দা করার সুন্নতী তরিকা!!

০৫ ই এপ্রিল, ২০১৯ ভোর ৪:১৯

এই পোস্ট টি পড়বার আগে কীয়ানু রীভস, লরেন্স ফিশবার্ন অভিনীত ম্যাট্রিক্স ট্রিয়োলজি মুভিটি দেখার অনুরোধ রইলো


শেক্সপীয়ারের হেমলেটে একটা লাইন আছে,"আমাকে দয়ালু হবার জন্যই নিষ্ঠুর হতে হবে।" পরস্পরবিরোধী অর্থপূর্ন কথা শুনলেই তখন মনে হতো অনেক হাই থটের কথা। বয়সটা কম ছিলো, অল্পতেই বিস্মিত হতাম। উত্তেজনা থাকতো তুঙ্গে। টিনেজ বয়সটা পার হবার পরও রেশটা থেকে যায়। একবার এক সুন্দরী বেজায় রাগ করলো,"চিঠি লেখ না কেন?" তার কলেজের সামনে অন্যান্য সুন্দরীদের দেখতে দেখতে বলেছিলাম,"আমি তাদেরকেই চিঠি লিখি যারা কখনো চিঠি লেখে না।" কথা সে বুঝেছিলো কিনা জানিনা তার পরের দিন প্রায় ৮৩ বার আমাকে কল করেছিলো। নিশ্চয়ই ভালোবেসে কল করেনি, লাইনটার অর্থ জানতেই।

হকিং আইনস্টাইনের আপেক্ষিকতাকে পরম সত্য বলেই মানতেন। সেটার ওপর নির্ভর করেই ৭৪ এর দিকে বলে দিলেন ব্লাক হোলে পতিত সকল তথ্যই হারিয়ে যায়। এ বিষয়টি তার এক কালের থিসিসমেট সুসকিন্ড মানতে পারেননি। যদিও তারা এর কারন বলতে পারছিলেন না, কিন্তু হকিং এর সাথে দ্বিমত পোষন করলেন। এদিকে সময় যত গড়াতে থাকে সুসকিন্ডের দলে আরও বিজ্ঞানী ভিড়তে থাকেন। সুসকিন্ড কোয়ান্টাম ফিজিক্সকে আইন্সটাইনের রিলিটিভিটি দিয়ে বিচার করতেন না। সে কোয়ান্টাম ফিজিক্সকে ম্যাকানিক্সের গানিতিক মডেলে ভাবতে চাইতেন। একসময় তিনি দেখালেন যে ইভেন্ট হরাইজনে কোনো কিছু পতিত হলে ব্লাক হোলের কেন্দ্রের দিকে যেতে থাকা বস্তুটি পুরোপুরি হারিয়ে যাবে না। তার একটা ইমেজ বা প্রতিচ্ছবি ইভেন্ট হরাইজনের বাউন্ডারীতে থেকে যাবে। আপনি ব্লাক হোলের বাইরে থেকে দেখবেন একটি বস্তু ইভেন্ট হরাইজনে খুব ধীরে পতিত হচ্ছে অথচ বাস্তবে সেটা ব্লাক হোলের গহ্বরে হারিয়ে গেছে। হকিং অবশ্য পরে নিজের ভুল স্বীকার করেন। আর্জেন্টাইন স্ট্রিং থিওরীস্ট (খুব সম্ভবত) গনিত কষে দেখালেন এটা শুধু ব্লাক হোলের ক্ষেত্রেই ঘটছে না, বরংচ আমাদের এই তিন মাত্রার মহাবিশ্বটি অদূরে থাকা আসল মহাবিশ্বের একটা প্রতিচ্ছবি মাত্র যেটা আমরা ২ মাত্রায় বসে দেখতে পাচ্ছি। খুব সহজ ভাবে বললে আপনি নিজের সবকিছু ২ মাত্রার কম্পিউটার মনিটরের সামনে দেখতে পাচ্ছেন বা ভাইস ভার্সা।

প্রশ্ন আসতে পারে তাহলে আসল কোনটা? কোনটাই বা আপনার প্রতিচ্ছবি? এটা নির্ভর করছে আপনার ওপর। আপনি এবং আপনার প্রতিচ্ছবি দুটোই সমসত্বা। পাগলের মতো শোনায় তাই না? শোনাবারই কথা। আসলে আমরা আমাদের চিন্তা চেতনার সকল কিছুই ক্লাসিক্যাল ফিজিক্স বা তিন মাত্রার বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে বড় হয়েছি। সেক্ষেত্রে কোয়ান্টাম ফিজিক্সের মতো বহু মাত্রিক এবং প্রোবাবিলিস্টিক ব্যাপারগুলো আমাদের পক্ষে অনুধাবন করা সম্ভব না এবং এটা জানতে হলে একমাত্র গনিতের সাহায্যই নিতে হবে। এবং গনিত বলে আমরা একটা হলোগ্রাফিক দুনিয়াতে বাস করছি।

ঠিক এরকম চিন্তা ভাবনা দেকার্তে করে গেছেন। দেকার্তের চিন্তার উদ্দেশ্য ছিলো ভিন্ন এবং তিনি ছিলেন চরম সংশয়বাদী। বলা হয়ে থাকে পৃথিবীতে যত সন্দেহপ্রবন মানুষ জন্ম নিয়েছেন দেকার্তের মত সন্দেহপ্রবন কেউ হবে না, কেও ছিলো না; এজন্য তাকে কার্টেসিয়ান সংশয়বাদীর জনক বলা হয়। প্লেটোর মতে আমাদের আশেপাশের বাস্তবতা পরম বাস্তবতার ছায়া মাত্র। দেকার্তে এসে তাতে নতুন একটা মাত্রা দিলেন। তার মতে ধরা যাক আপনার কাছে এক বাল্টি আপেল আছে যার মধ্যে কিছু পচে গেছে এবং এবং এই পচা আপেলগুলো অন্য ভালো আপেলগুলোকেও সংক্রমিত করবে। কিন্তু আপনি বাল্টিটা হাতে নিয়ে বুঝতে পারছেন না যে কোনটা নস্ট কোনটা ভালো। তো আপনি কি করলেন...বাল্টির যা কিছু আছে সব ফেলে দিলেন। এখন আপনি প্রত্যেকটা আপেল দেখে দেখে যেগুলো ভালো সেগুলো বাল্টিতে ভরলেন। এভাবে আপনি পুরোপুরি নিশ্চিত হলেন যে আপনার বাল্টিতে সবগুলো ভালো আপেল বিদ্যমান। এভাবে তিনি নিজের বিশ্বাস নিয়েও শংকিত হলেন এবং সেটাকে সন্দেহমুক্ত করতে প্রথম ধাপ হিসেবে সবকিছুকে অবিশ্বাস করা শুরু করলেন। তারপর আপেলের বাল্টির মতো তা ছাকুনি চালান এবং পচে যাওয়া বিশ্বাসগুলোকে পরিত্যাগ করেন। এভাবেই তিনি মাত্র সত্যের ওপর বিশ্বাস করতে শুরু করেন। এবং এর প্রথম উপায় ছিলো ইম্পিরিক্যাল বিশ্বাস অর্থাৎ আমাদের ইন্দ্রিয়। এটা এ জন্য যে আপনি নিজ চোখে যা কিছু দেখছেন বা নিজ হাতে যা স্পর্শ করছেন অথবা কান দিয়ে শোনা বা নাক দিয়ে ঘ্রান শুকে বস্তুজগত সম্পর্কে বাস্তবিক ধারনা পেতে পারেন। কিন্তু এখানে একটা সমস্যা আছে। দেকার্তে দেখলেন যে আমাদের ইন্দ্রিয়সমূহ অনেকসময় ধোঁকা দেয়। মনে করেন আপনি কাাউকে খুজছেন এবং ভীড়ের মধ্যে পেছন থেকে আপনার সেই বন্ধুটির মতোই কাউকে মনে হলো। কাছে গিয়ে ধরতেই দেখলেন অন্য কেউ।

অথবা গন্ধ শুকে বাজার থেকে যে মাছ কিনে আনলেন, কেটে এনে দেখলেন সেটা ভেতরে পঁচা অথবা হাত দিয়ে স্পর্শ করে আমটা বাইরে থেকে নরম মনে হলেও আসলে তা পোকায় খাওয়া। আবার অসুস্থ হলে আপনার প্রিয় খাবারের স্বাদও পাল্টে যায়। নিজের ইন্দ্রিয়ের এমন উল্টো আচরন দেকার্তকে আরও সন্দেহবাদী করে তুললো। বিশ্বাসের ছাকুনি ছাকতে গিয়ে তিনি আরও বেশী অবিশ্বাস শুরু করলেন। বাস্তবতা মনে করে যে ব্রীজে উঠলেন হঠাৎ ঘুম ভেঙ্গে দেখলেন আসলে কোনো ব্রীজ নেই, সেটা স্বপ্ন ছিলো। আবার এমনও হতে পারে আপনি যে জেগে উঠলেন হয়তোবা এটাও কোনো স্বপ্নের অংশ। পুরো বাস্তবতাই কি তাহলে স্বপ্ন? আবার আপনি যে আমার লেখা পড়ছেন, কে বলতে পারে হয়তোবা আমার ওপর আপনি এতটাই বিরক্ত ও রাগান্বিত যে আমার এই লেখাটিও আপনি স্বপ্নে দেখছেন। অনেকটা ম্যাট্রিক্স মুভির মতো। কিন্তু এর মধ্যে একটা জিনিস কমন সেটা হলো স্বপ্নটা আপনার মাথার মধ্যে ছিলো। এমনকি আপনি যে স্বাদ গ্রহন করলেন বা কোনো কিছু দেখছেন সবই মস্তিস্কের মধ্যে ঘটছে। ইন্দ্রিয়সমূহ আপনার মস্তিস্কে যে সিগন্যাল পাঠাচ্ছে সেটা প্রসেস করে আপনার চেতনাতে ফুটিয়ে তোলা হচ্ছে। এখন আপনি অসুস্থ থাকা অবস্থায় খাদ্যের যে স্বাদ পেয়েছেন, সুস্থ হলে তার আসল স্বাদটা পাচ্ছেন। এই যে নিজের মধ্যে থাকা সংশয় যেটা আপনি আপনার প্রাপ্ত অভিজ্ঞতা দিয়ে নিশ্চিত হতে পেরেছেন একে বলা হয় স্থানীয় সংশয়। নির্দিস্ট সময়ে সংঘটিত কোনো ঘটনা নিজে নিজে ধরতে পারাকেই এই স্থানীয় সংশয় বলা হয়। কিন্তু এমন যদি হয় প্রত্যেকের জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত যা ঘটছে সবকিছু এরকম সংশয়ে ঘেরা অনেকটা ম্যাট্রিক্স মুভির মতো: স্বপ্ন অথবা মস্তিস্কের ভেতর চলতে থাকা সিম্যুলেশন এবং তাই যদি হয় তাহলে সেটা আপনার পক্ষে অতিক্রম করা সম্ভব নয় মোটেও। এরকম সংশয়কে বলা হয় বৈশ্বিক সংশয়।

এখন বার্ট্রান্ড রাসেল বৈশ্বিক সংশয়ের ওপর ভিত্তির করে ৫ মিনিট হাইপোথিসিস প্রদান করলেন। এই ৫ মিনিট হাইপোথিসিস অনুসারে এই পুরো মহাবিশ্ব মাত্র ৫ মিনিট আগে সৃষ্টি হয়েছে এবং এই ৫ মিনিটের মধ্যে বিগ ব্যাং ব্লাক হোল গ্যালাক্সি সব সৃষ্টি হয়েছে এবং এসব কিছুই মানুষের স্মৃতিতে গেথে দিয়েছেন স্রস্টা। বার্ট্রান্ড রাসেল এই সংশয়বাদীতাকে পাত্তা না দিলেও দেকার্ত দিয়েছিলেন। দেকার্ত বললেন যদি স্রস্টা আমাদের মাথায় এসব স্মৃতি গেথেই দেন তাহলে একজন অপদেবতা আছেন যিনি কিনা আমাদের সামনে একটা মায়ার জগৎ সৃষ্টি করে আমাদের সবাইকে বোকা বানাচ্ছেন এবং প্রতারিত করছেন। ইবলিশের কাজ তো আমাদেরকে ঈশ্বরের পথ থেকে সরিয়ে প্রতারিত করা, তাই না? এবং যেহেতু আমরা সবাই অপদেবতার তৈরী মায়ার জগতেই আছি সেহেতু আমাদের এ থেকে বের হবার পথ জানা নেই। এরকম সংশয়কে বলা হয় মৌলিক সংশয় যেখানে সকল বিশ্বাসই মিথ্যা। অপদেবতার তৈরী মায়ার জগৎ আমাদের সকল ইন্দ্রিয়কে ধোঁকা দিয়ে মিথ্যে অভিজ্ঞতা ঢুকিয়ে এক ঘোরের মধ্যে আটকে রেখেছে। ঠিক এই মুহুর্তে দেকার্ত আর কোনো পথ খুজে পাচ্ছিলেন না। কিভাবে সম্ভব তাহলে এই ঘোর থেকে মুক্তির অথবা সত্যকে জানার? এমন সময় তিনি একটা ব্যাপার অনুভব করলেন: তিনি কার্যকারন অনুযায়ী সবকিছুকেই অবিশ্বাস করা শুরু করলেন শুধু মাত্র একটা জিনিস বাদে, সেটা হলো, তিনি যে সন্দেহ করছেন বা সবকিছু নিয়ে সংশয় পোষন করছেন। তিনি জানতেন যে তিনি সন্দেহ করছেন সবকিছু নিয়ে এবং এই যে সন্দেহ করার ভাবনাটা এটা এজন্যই সম্ভব হয়েছে যে তিনি বিরাজমান অথবা তার অস্তিত্বটাই একমাত্র পরম সত্য। তিনি আছেন বলেই সন্দেহ করতে পারছেন। মোদ্দাকথা সন্দেহ হচ্ছে এক ধরনের চিন্তা এবং এই চিন্তা একমাত্র চিন্তাশীল করতে পারেন এবং সেটা করতে হলে তাকে অবশ্যই সেই ব্যাক্তি হিসেবে অস্তিত্বশীল হতে হবে। দেকার্ত তখন এভাবে ভাবতে শুরু করলেন তার যে শরীর এটাও হতে পারে সেই অপদেবতার মায়া এবং হতে পারে সে তার শক্তিবলে এমন মায়াময় দেহ আমাদের মস্তিস্কের সামনে তুলে ধরেছেন যার মধ্যে আমরা ধারন করি। দেকার্তে তার লেখা মেডিটেশনস অন ফার্স্ট ফিলোসফিতে লিখলেন "কগিটো এরগো সাম" অর্থাৎ"আমি চিন্তা করি তাই আমি আছি"। ফিলোসফিতে এই লাইনটা প্রচন্ড গভীর একবাক্য। এভাবেই তিনি তার আপেলের বাল্টিতে মৌলিক বিশ্বাসটাকে রাখলেন এবং এর পর তিনি ভেবে দেখলেন যে এটার ওপর ভিত্তি করে অন্যান্য পরমতম সত্য বিশ্বাসগুলোকে বাছাই করতে পারবেন। এরপর তিনি যে বিশ্বাসটাকে বাছাই করলেন তার মূল ভিত্তি ছিলো স্বচ্ছ এবং স্বতন্ত্র ধারনা এবং তার ফলাফল ছিলো ঈশ্বর। যদিও এর মধ্যে একটু ভেজাল ছিলো সেটা নিয়ে আলোচনা করবো না এখন। বলতে পারেন এটা পাঠকের জন্য তুলে রাখলাম।

দেখা যাচ্ছে সংশয়বাদীতার মধ্যে দিয়ে সত্যকে বাছাই করার যে পদ্ধতি তার সাথে স্ট্রিং থিওরীর হলোগ্রাফিক মহাবিশ্বের মিল আছে যদিও হলোগ্রাফিক মহাবিশ্ব এখনো অনেকের কাছে ধাঁধাঁই রয়ে গেছে এবং এটাকে বিশ্বাস করেন এরকম লোকের সংখ্যা হাতে গোনা। মানুষ কখনোই ধাঁধাঁ পছন্দ করে না কারন এর মধ্যে থেকে কোনো ফলাফল পাওয়া যায় না। আমরা ত্রিমাত্রিক বিশ্বে অবস্থান করে এটা সম্পর্কেই যেসব অভিজ্ঞতা আহরন করেছি, আমাদের মস্তিস্ক চতুর্থ বা উচ্চতর মাত্রার মহাবিশ্বের মডেল বুঝতে একেবারেই অক্ষম। এজন্য গনিতের সাহায্য নেয়া অতীব জরূরী।

অনেকেই বলেন বিজ্ঞান ঈশ্বরের সন্ধান করে: এটা ডাহা মিথ্যা কথা। বিজ্ঞান কখনোই ঈশ্বর নিয়ে ভাবে না কারন ঈশ্বরের কোনো বৈশিষ্ট্য বা কোনো প্রভাব বৈজ্ঞানিক ফ্রেমওয়ার্ক বা মেথডোলজীতে পড়ে না। একাধিক ল্যাবরেটরীতে ঈশ্বর সম্পর্কিত পরীক্ষার ফলাফল একই পাওয়া যায় না অথবা অনির্নেয়। সেক্ষেত্রে বিজ্ঞান কখনোই বলে না ঈশ্বর আছে বা নেই। এটা নিয়ে যত মাথা ব্যাথা সব দর্শন শাস্ত্রের এবং এই ঈশ্বর সম্পর্কিত সবকিছু আলোচনা অধিবিদ্যা, এপিসটোমলোজি, নৃতত্ব, প্যালেওএনথ্রোলজী ইত্যাদী প্রতিষ্ঠিত শাখা বিদ্যমান।

এবং এসব শাখায় কেউ যদি বেশ সিরিয়াসলি পড়াশোনা করেন তাহলে নাস্তিক বা সন্দেহবাদী হতে বাধ্য কারন আমি গত দু পোস্টেই দেখিয়েছি দর্শনের পরম সত্য বলে কিছুই নেই এবং যেই ঈশ্বরকে পরম সত্য মনে বিশ্বাস করে আসছেন তাকে নিয়ে সন্দেহ করতে বাধ্য সেখানে দেকার্তের সমাধানও খুব বেশী কিছু করতে পারে না।

আর আপনি যদি মুসলমান হয়ে সন্দেহ বাদী বা ইসলাম ত্যাগ করেন, তাহলে তার দলিল থাকলে আপনার ওপর হ্বকদের রিদ্দা ফরজ। এখন সেটা সুন্নত মেনে করা হবে না মাজহাব মেনে করা হবে সেটা যার যার ব্যাপার।

কথা হলো আপনার মধ্যে কি সত্য বিশ্বাস খোজার মতো সে সাহস কি আছে?

ফুড ফর থট।

রেফারেন্স:

১) এনালাইসিস অব মাইন্ড, বার্ট্রান্ড রাসেল
২) মেডিটেশনস অব ফার্স্ট ফিলোসফি, রনে দেকার্তে।
৩) দ্যা ব্লাক হোল ওয়ার: মাই ব্যাটেল টু স্টিফেন হকিং টু মেক দ্যা ওয়ার্ল্ড সেফ ফর কোয়ান্টাম ম্যাকানিক্স, লিওনার্ড সুসকিন্ড।
৪) দ্যা ট্রাজেডি অব হেমলেট, উইলিয়াম শেক্সপীয়ার

মন্তব্য ৪৫ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (৪৫) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই এপ্রিল, ২০১৯ ভোর ৫:৩৯

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
কিছুক্ষন পড়লাম কিছুই বুঝলাম না।
আরেকবার পড়তে হবে।

০৫ ই এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ১০:২৫

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: ব্রুনাইতে বর্বর শরীয়া আইন চালু হয়েছে। সমকামীদের সাথে সাথে হরদের রিদ্দার চালু করেছে। একটা মিথ্যা ধর্ম তখনই পরাজিত হয় যখন সে ভিন্ন মতের বিরুদ্ধতা সইতে না পেরে মৃত্যুদন্ড দেয়। অথচ এই যে ডিসকোর্স এগুলোর কোনো সমাধান দিতে পারে না। আমি এই ডিসকোর্স দিয়ে বোঝানোর চেস্টা করেছি যে আমরা যাকে বাস্তব পরম সত্য মনে করি সেগুলো আসলে আপেক্ষিক এমনকি ছোট বেলা থেকে বিশ্বাস করা ঐশ্বরিক কনসেপ্টও। এটা হওয়া জরুরী নয় যে আপনার ঐশ্বরিক কনসেপ্ট পরিপূর্ন সঠিক। যুক্তি বা সত্য নির্নয়ের যে কাঠামো সেটা জানতে পারলে অনেকটা নিঃসঙ্ক হওয়া যায়। গত তিন পোস্টে আমার এটা দেখানোও একটা উদ্দেশ্য ছিলো

ধন্যবাদ

২| ০৫ ই এপ্রিল, ২০১৯ ভোর ৬:১৫

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: আরজ আলী মাতুব্বরের লেখা সত্যের সন্ধান’ (১৯৭৩) গ্রন্থটিতে রয়েছে ্অনেক প্রশ্নের উত্তর ।
বইটি যখন লিখেন তখন বলতে গেলে তিনি ছিলেন প্রাথমিক স্তরের স্বশিক্ষিত ।
সঠিক সত্য জ্ঞানের ্অভাবে মানুষ নাস্তিকে পরিনত হয় , সত্য জ্ঞান প্রাপ্তির পর ্অনেক নাস্তিক আস্তিকে পরিনত হয় ।

০৫ ই এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ১০:২৮

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: ভদ্রলোক তার পুরো বইটি দর্শনের খুব বেসিক জিনিস দিয়ে ইসলামের লুপহোলস আর মোহাম্মদের ভন্ডামী এ প্রতারনা প্রমান করেছেন। আমি অবশ্য বইটি পড়ি নাই কারন আমি বেসিক কিছু বই পড়তে চাচ্ছি। আপনি একেবারে আইইইই এর জার্নাল পড়তে পারবেন না, আপনাকে আগে ইইই এর বেসিক কোর্স শুরু করতে হবে। সেগুলো বুঝতে হবে। তারপরেই তো আপনি একটা কিছু প্রমান করে পারবেন তাই না?

৩| ০৫ ই এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ৭:২৫

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: আ‌গে ক‌য়েকবার প‌ড়ি। তারপর বুঝার চেষ্টা কর‌বো।

০৫ ই এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ১০:২৮

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য

৪| ০৫ ই এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ১১:১৮

স্বপ্নডানা১২৩ বলেছেন: আলি সাহেব, আপনার মন্তব্য পরস্পর বিরোধী মনে হচ্ছে। আপনি বলছেন সত্য জ্ঞানের অভাবে মানুষ নাস্তিক হয়। কিন্তু এও বলছেন যে আরজ আলির বইয়ে অনেক প্রস্নের উত্তর মেলে। তাহলে তো আপনি বইটার উপযোগিতা স্বীকার করছেন মতান্তরে লেখকের জ্ঞানকে স্বীকার করছেন। ঠিক বুঝলাম না। দুই নৌকার মত লাগ্লো ব্যাপারটা।

০৫ ই এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ১২:০১

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: দেখি আপনার প্রশ্নের উত্তরে কি বলেন উনি

৫| ০৫ ই এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ১১:২০

ওসেল মাহমুদ বলেছেন: বিজ্ঞানের মহারথিদের বই পড়েছেন ব্লাক হোলের তত্ব নিয়ে ভাবেন ! কল্পনার জগত কিন্ত নেশাগ্রস্ত মানুষের মূল্যায়নের মত ! আমিও আলী ভাইয়ের সাথে একমত হয়ে বলবো :সঠিক সত্য জ্ঞানের অভাবে মানুষ নাস্তিকে পরিনত হয় , সত্য জ্ঞান প্রাপ্তির পর অনেক নাস্তিক ও আস্তিকে পরিনত হয় ,সত্যকে জানতে সাধনার প্রয়োজন !


০৫ ই এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ১২:০৫

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: সত্য বলতে চাঁদের যে দুভাগা যেটা কিনা চাঁদে গিয়েও খুঁজে পায়নি, অথবা ড. গ্যালনের অসম্পুর্ন ভ্রূনোলজি টুকলি যেটা কিনা আদতে ভুলই ছিলো অথবা পাহাড় স্থির যেটা ক্লাস সিক্সের বাচ্চা ভূগোল পড়লেই বুঝতে পারে। নাকি আদ ইরাম জাতির রূপকথা বাইবেলের টুকলি.. এসব রূপকথা ও ভুল অসম্পুর্ন তথ্য অথবা মেয়েদের খতনার মতো সুন্নতে মুস্তাহাবের বর্বর বিষয় কোনো সুস্থ শিক্ষিত লোক মেনে নিতে পারে সেটা জানা ছিলো না। যদিও টুকলি মোহাম্মদ নিজেকে অশিক্ষিত দাবী করে পরে নানা কাজে নিজের কোরানের লেখাই ভুল করেছেন।

এটা হাস্যকর । তারপরও মুমিনরা যখন তা অস্বীকার করে তখন আর বলার কিছু থাকে না। বর্বরতা নিপাত যাক, জঙ্গি নির্মূল হোক

৬| ০৫ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৯:২৭

রাজীব নুর বলেছেন: মুভি দেখে পোষ্ট পড়তে হবে??
এই শর্ত আপনি দিতে পারলেন?? !!

০৬ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৩:৪৯

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: পারলাম, বলতে পারলেন আমি আমার পাঠকদের বুদ্ধি বৃত্তিক সামর্থ্যকে অবজ্ঞা করেছি। সত্য করে বলছি, যদি চান কারো দিব্যি দিতে তাও করবো, ধর্মীয়, রাজনৈতিক, বিজ্ঞান, দর্শন কোনো বিষয়েই আমি ব্লগের কারো সাথে ভালো ডিসকোর্স করতে পারি না। আমি ডিসকোর্স করার জন্য ব্লগ লিখি। প্রাত্যহিক জীবনে আমার কথা বলার প্রয়োজন হয় না। মনিটরে যা লেখা আসে সেটাই আমার হিউম্যান ইন্টারেকশন। আমি প্রাত্যহিক কাজ সেভাবেই হয়। প্রতিদিন যে দু তিনটি রেস্টুরেন্টে ঘুরে ফিরে খাই সেখানেও কোনো ওয়েটার ওয়েট্রেস নেই। মনিটর দেখে অর্ডার দেই, বিল পে করি। খাবার চলে আসে বুথে। সবকিছুই অতি স্বয়ংক্রিয়। জামা কাপড় কিনতে গেলে দোকানেও যেতে হয় না। অনলাইনে সাইজ দেখে অর্ডার দিলে বাসায় চলে আসে। এমন না যে আমি বোবা, কিন্তু কথা বলার প্রয়োজন হয় না। বাসায় ফোন দিলে এখন প্রান খুলে কথা বলতে পারি না কারন আমি কথা বলতে ভুলে গেছি।

কিন্তু আমি আলোচনা করতে চাই। কেমন আছেন কি খাইছেন কই গেছিলেন কাল রাতের ডেট কেমন ছিলো এসব ফাচুকি আলোচনা করতে অস হ্য লাগে। শুধু বাবা মা কে ফোন দিয়ে আমি তাদের সাথে ভালোমন্দ কথা বলি কিন্তু বাইরের যত মানুষ সবার সাথেই আমি আলোচনা করতে চাই। কিন্তু সেটা করার মানুষ নাই।

ব্লগে ২০১৫-১৬ এর পর সেরকম কোনো মানুষ নাই। দুদন্ড আলোচনা করতে পারে, বা আমার পোস্টে ভুল ধরে সেটা পেচাতে পারে। আমি ইচ্ছে করে ভুল করলেও কেউ ধরতে পারে না। এটা অস হ্য। পুরো পৃথিবীর মানুষ বোকা না, এরা আমার চাইতে হাজার গুন স্মার্ট। আমি কিছুই না। আমি তাদের কাছে পীপিলিকাও না, সামান্য অনু। কিন্তু ব্লগে এরা কারা? তাদের প্রিয় বিষয়গুলোতে আলোচনা করতে গেলেও দেখি তাদের সে বিষয়েও কোনো জানা শোনা নাই।

একটা পুরো ব্লগ কিভাবে এমন বোধ বুদ্ধি হীন হয়? তাই তাদেরকে মুভি দেখতে বলি। কারন হলিউডের মুভিতে যে পরিমান রিসার্চ থাকে আমাদের ইউনি গুলোতে বর্তমান সে রকম রিসার্চ করে কিনা জানি না। করে হয়তো, বুয়েটে বা অন্য কোথাও। কিন্তু তারা ব্লগে আসে না, এটা দুঃক জনক।

বুঝাতে পেরেছি?

৭| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১২:২৫

নতুন বলেছেন: পরিবত`ন আসছে ধীরে ধীরে..... মানুষ এখন অনেক বেশি জানে তাই হুট করেই কিছু বিশ্বাস করতে চায় না।

যারা চাদ, মহাকাশ, চাদের আকার, দুরত্ব, মহাকাশের সম্পকে জানে তারা কিন্তু চাদ আঙ্গুলের ইসারায় দুই টুকরা হয়ে পাহাড়ের চুড়ার দুই পাশে চলে গিয়েছিলো এবং তা আবার জোড়া লেগেছে সেটা মানতে একটু ইতস্ত করে,,,

এমনকি জাকির নায়কও কিন্তু এটা নিয়ে পিছলায়...

কারন প্রতিদিন মানুষ ফিজিক্সের ল এর প্রমান পাচ্ছে আর চাদের এই ঘটনা বিশ্বাস করতে এই সব ল না মেনে কিভাবে সম্ভব সেটা মানতে কস্ট হয়।

এমনকি ১০-২০ বছর আগেও কিন্তু অনেকে আজগুবি ঘটনা, পীরের বা ফকিরের কেরামতির ঘটনা শোনা যেত.... এখন যায় না... কারন সেই সব ভন্ডরা আগের মতন বেশি মানুষকে বোকা পারছেনা।

সময়ের সাথে মানুষের বিশ্বাসের চেয়ে যুক্তিতি নিভ`র হবে।

০৬ ই এপ্রিল, ২০১৯ ভোর ৪:২৩

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: মোটেও পরিবর্তন আসছে না। একটা উদাহরন দেই নতুন নকিব তার এক পোস্টে বললো দাস প্রথা রদে ইসলামের ভূমিকা অনেক। এটা যে কত বড় মিথ্যা এবং অজ্ঞতাপূর্ন দাবী সেটা নিয়ে কেউ প্রশ্ন করলো না।

ফাজালে আমল পড়া মূর্খ জঙ্গি এসব মিথ্যা দাবী করবে কারন তাদের শিশুকামী দাসব্যাবসায়ী ডাকাত ধর্ষক নবী সেটা করে গেছে। কিন্তু এখানে যারা শিক্ষিত সমাজ তারা কি করছেন?

দাস প্রথা প্রথম রদ করা হয় খ্রিস্টপূর্ব ৬০০ সালে এথেন্সে। সোলন সমগ্র এথেন্সে যত দাস ছিলো সবাইকে বিনা শর্তে দাসত্ব থেকে মুক্ত দেন। খ্রিস্টপূর্ব ৩২৬ সালে রোম সম্রাজ্যে লেক্স দাসদের মুক্ত করতে যে বন্ডের দরকার হতো সেটা রহিত করে দাসত্বের মুক্তিদান সহজ করে দেন। খ্রিস্টপূর্ব ৩০০ সালে রাজা অশোকা দাস ব্যাবসা র হিত করেন এবং দাসদের সাথে মালিকের ব্যাব হার ভালো করার জন্য কাজ করেন। তার সম্রাজ্য পুরো ভারতবর্ষ জুড়েই ছিলো। এরপর জিন ডাইন্যাস্টি পুরো দাস প্রথাই বন্ধ করে দেন

কিন্তু মুহাম্মদ কি করলেন? দাস মুক্ত করতে তিনটি শর্ত জুড়ে দিলেন:

১) যদি সে ইসলাম গ্রহন করে
২) যদি দাসী মুসলিম মালিককে বিয়ে করে বা তার সাথে সহবাসে সন্তান প্রসব করে
৩) যদি তাকে এমন প্রহার করে যাতে তার মৃত্যু শংকা দেখা দেয়।

বরংচ দাস ব্যাবসাকে নবী মোহাম্মদ আরও উৎসাহিত করেছেন এই হাদিস অনুসারে: যার দাস আছে তাকে জাকাত দিতে হবে না স হী বুখারী ২:২৪:৫৪২ এবং ৫৪৩
নবী মোহাম্মদ নিজে যৌনদাসী উচ্চমূল্যে বিক্রি করে তার জীবিকা চালিত করতেন স হী বুখারী ৩:৩৬:৪৮৩। তিনি তখনকার আমলে টপ দাসব্যাবসায়ী ছিলেন এবং আমৃত্যু দাস ব্যাবসা করে গেছেন জাদ আল মাদ পৃষ্ঠা ১৬০।


এরপরও মানুষ কিভাবে মিথ্যা বলে বুঝি না।

আর আপনি যেটা বললেন দেশের উন্নতি হচ্ছে মোটেও না। জেনারেল লাইনের স্কুল গুলোতে উচ্চ ডোনেশন এবং ভর্তি পরীক্ষা কঠিনতর হয়ে যাওয়ায় মাদ্রাসা গুলোতে এখন লাইন লেগেছে। আগে প্রতিটা মসজিদে এতিমখানার মতো করে ছোট পরিসরে মক্তব বা মাদ্রাসা গড়ে তুলতো। কিন্তু এখন মাদ্রাসা একটা লাভজনক ব্যবসা কারন মাদ্রাসা খুললে তিনদিন থেকে টাকা আসে। ১) ছাত্রদের বেতন ২) ওয়াহাবী পেট্রোডলার, আল হারামাইনের মতো বেশ কিছু জঙ্গি গোষ্ঠি জঙ্গি ধর্মের রেডিক্যাল এলিমেন্ট প্রমোট করার জন্য এসব টাকা দিয়ে থাকে এবং আপনি ঢাকার বাইরে গেলে দেখবেন প্রত্যেকটা জেলায় বিশাল জায়গা কিনে ব হুতল ভবন বানিয়ে মাদ্রাসা তৈরী করা হচ্ছে। ৩) এলাকার ক্ষমতাশালী প্রভাব শালী ভোট বানিজ্যের জন্য মাদ্রাসাগুলোতে দান।

এদের প্রভাব এখন এতটাই যে এরা জেনারেল লাইনের বই পর্যন্ত পরিবর্তন করার সাহস পেয়েছে এবং সরকার ক্ষমতায় অন্ধ হয়ে তাদের শিষ্ন লেহন করছে।

সেদিন ঢাকা ইউনির এক ফিজিক্সের ছাত্রের কাছে শুনলাম ক্লাসে ভূমিকম্পের সাথে টেকটোনিক প্লে নিয়ে পড়াতে গিয়ে শিক্ষক একটু থামলে এক ছাত্র বলে বসে,"এত কিছু জানার দরকার কি, সব আল্লার ইচ্ছা!"

আপনি যদি ঢাকা শহরের মতো মেট্রোপলিটন শহরে রাস্তায় নামেন বেশীরভাগ মেয়ে বোরখা পড়ে এবং এর কুপ্রভাবে তারা এ্যাজমা অবেসিটি স হ নানা শারীরিক সমস্যায় ভুগলেও শুধু মাত্র মিথ্যা ধর্মের ওপর অন্ধবিশ্বাস এবং থার্ড ক্লাস দেশে ফোর্থ ক্লাশ এডুকেশনের কারনে তা তারা মানছে।

তারপরও কিভাবে বলেন দেশ উন্নতি হচ্ছে? আমি তো মনে করি বর্তমান ইরান আফগানিস্থান পরিনত হবার আগে ঠিক এরকম অবস্থাই হয়েছিলো। ইতিহাস তাই বলে!

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ

০৭ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৩:৫১

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: আপনাকে এই ছবিটা দিতে ভুলে গিয়েছিলাম। কেবল ধরতে পারলাম ছবি কিভাবে দিতে হয়।

৮| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৯ ভোর ৫:৩৯

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: উপরের ৪ নং মন্তব্যরে প্রতিউত্তরে প্রেক্ষিতে
আরজ আলী মাতুব্বরের বিষয়ে শুধু এটুকুই বলব যে আশির দশকে তাঁর সাথে আমার বেশ উঠা বসা ছিল । বরিশাল ব্রজমোহন সরকারী কলেজের বিশালাকার পুকুর পারে বসে আরজ আলী মবতুব্বর ও কলেজের দর্শন বিভাগের প্রধান আধ্যাপক গোলাম কাদের স্যারের এর মধ্যে জগত, সংসার, ধর্ম, কর্ম, নবী, রাসুল , ঘর বাড়ী, প্রকৃতি ,অতি প্রকৃতি , ভাববাদ , জড়বাদ , ইশ্বরবাদ , একশ্বের বাদ , আস্তিক, নাস্তিক, ফিতনা ফিকর , সে সাথে আরজ আলী মাতুব্বরের প্রথম প্রকাশিত আমার যত কেনর জবাব বইটির বিষয়াবলী নিয়ে ঘন্টার পর ঘন্টা আলোচনার সময় এ অধমও থাকার সুযোগ পেত ( উল্লেখ্যে কলেজের পুকুরে বর্শী দিয়ে মাছ ধরার মৌসুমে এ অধমও বিবিধ মওকায় উপস্থিত থাকার সুযোগ পেত ) । তাই আরজ আলী মাতুব্বরের বিষয়ে আমার তেমন কিছু বলার নাই , মানুষ তাঁকে তার লেখনীর বিচারে যা মনে করে আমি ব্যাক্তিগতভাবে তাঁকে জানি আরো গভীর ভাবে , তাঁতে তার প্রতি শ্রদ্বা বাড়ে বই কমেনা । যাহোক, ইহকালে ধর্ম কর্ম নবী রাসুল ও তাঁদের প্রচারিত ধর্ম পালন করে ও তাঁদের চরিত্রের উত্তম দিক গুলিকে অনুসরণ করলে ইহকালে যাই ফল আসুক না কেন পরকালে ( যদি সত্যিই তা থেকে থাকে , তবে এটা অনেকটা নিচ্ছিতই যে পরকাল বলে একটা কিছু আছে ) সত্যিই যদি ( যেহেতু অনেকেই তাতে সন্দেহ করে ) বেহেস্ত দোযক থাকে তাহলে কমপক্ষে দোযকের আয়াব হতেতো রক্ষা পাওয়া যাবে , আর যদি কিছু নাই থাকে তবে তো ল্যঠা চুকেই গেল , থাকলে মহা বিপদ । তাই জগতের সৃষ্টিকর্তা , ধর্ম কর্ম নবী রাসুল নিয়ে আহেতুক বাক বিতন্ডা না করে তাদেরকে মেনে চললে ক্ষতিটা কি ? শধুমাত্র ধর্মের লেবাসে স্বার্থবাদি কোন বানিজ্য তথা অকল্যানমুলক কাজ না করলেই হয় । তাই নীজের ইহকাল ও পরকালের ভালমন্দ বুঝার জন্য মনে হয় বিশাল দার্শনিক জ্ঞানের প্রয়োজন নেই শুধু মাত্র নীজের যতার্থ অনুভবই যথেষ্ট । স্বয়ং আল্লাই যেখানে আস্তিক নাস্তিক নিয়ে জগত সংসার পরিচালনা করছেন সেখানে আমাদেরকেওতো চলতে হবে তাদেরকে নিয়েই ,তবে মাঝখানে মতাদর্শের সুক্ষ দেয়ালতো একটা থাকবেই ।

০৬ ই এপ্রিল, ২০১৯ ভোর ৫:৫০

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: ব্যাক্তিগত ভাবে আমি নিজে ঈশ্বরে বিশ্বাসী এবং নবী মোহাম্মদের মধ্যে আমি কোনো গুন দেখি না। গুন বলতে ভালো গুন বুঝিয়েছি। নিজের শারীরিকঅসমর্থ্যতা এবং আলসেমীর কারনে চাচা মুত্তালিব তাকে ব্যবসায় ঢুকায়নি। তার বাবার ডাকাতের সাথীরা তাকে ডাকাতী করতেও নিতো না। খাদিজা নিরুপায় না হয়ে তাকে চান্স না দিলে সারাজীবন রাখাল হয়েই মরতে হতো।

যে আব্বাসীয় জাতী তাদের সাদরে গ্রহন করলো, ১৩ বছর পর তাদের ঘাড়েই ছড়ি ঘুরালো। নব্যুয়ত পাবার পর তার পেশা হলো ধর্ম বেচে খাওয়া, দাসদাসী বিক্রি করা আর লুটতরাজ করা। ভুল বললে শুধরে দিন।

তার কোরানে সবই ভুল নাহলে টুকলি। এমনকি যে নামাজ মুসলমানরা পড়ে তার অর্ধেক ইহুদীদের নকল বাকি অর্ধেক খ্রিস্টানদের নকল। বিশ্বাস হয় না?




আর কোরানের ভুল? এখন আর এগুলো জানতে আমার ব্লগে কেউ আসতে আর সাহস করে না। এটা একটা জোক।

সে ধর্ম অনুসারে পরকাল কিভাবে থাকবে? তাহলে তো ছোটবেলায় পড়া ঠাকুরমার ঝুলিকেও সত্য মানতে হবে।

এটা কি সম্ভব?

নিজেকে অজ্ঞানতার চাদরে না রেখে সত্য জানলেই তো ল্যাঠা চুকে যায়

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ

৯| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৯ ভোর ৬:৫১

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: সত্যের সন্ধানে মাঠে আছি
আর আমার মত ্অনেকেই আছেন,
পরকালের জ্ঞান ইহকালে পাওয়ার তালাশে আছি,
ছাপার ্অক্ষরে ও মানুষের মুখে যা শুনছি তার
বাইরে আরো কিছু আছে কিনা তার খুঁজে আছি ।
যে সকল সুত্র হতে তত্ব জ্ঞান পাচ্ছি তার বিশুদ্ধতা
নিরোপনের উপায় খুঁজছি । আল্লাহ বলেছেন
যে চেষ্টা করে তাকে তিনি সহায়তা করেন
সেটা্ও মাথায় রাখছি ও বিশ্বাস করছি ।
প্রিয় নবিজী ( সঃ) বিষয়ে মুল্যায়ন
সঠিক হচ্ছেনা । কিছু কিছু হাদিস
গ্রন্থে থাকা তথ্যকে সুযোগ সন্ধানীরা
নীজেদের মত করে প্রয়োগ করছে
সহি নামে হাদিছগুলি কতটুকু সহি
তা নিয়েও এখন বহুবিদ প্রশ্ন উঠছে
যাহোক, সকল মিথ্যা দুর হয়ে
সত্য বিরাজ করুক এ কামনাই
এ পরযায়ে রইল ।

০৬ ই এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ১১:১৬

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: ও আচ্ছা, এখন হাদিস ভুল। তাহলে তাফসীর, সীরাত সেগুলো? ইসহাক পড়েছেন? তাবারী? নাম কি শুনেছেন? জানেন তো এদের সীরাত তাফসীর কখন লেখা হয়েছিলো? সেগুলোও বাদ দেন উসমান যে কোরান সংকলন কোরাইশ ভাষায় করছে এবং তার নিজের কোরান যেটা কিনা সামারখন্দ মিউজিয়ামে সুরক্ষিত সেটা জানেন? তাতে যে আরবী বানান ও ব্যাকরণগত অজস্র ভুল?

এসব ভুল অসঙ্গতি মিথ্যাচার তথ্যবিভ্রাট প্লাগারিজম ধরতে মাঠে ঘাটে থাকার দরকার নেই। চেয়ার টেবিলে বসে একটু সময় নিয়ে পড়া উচিত। সহী ইসলাম জানলে দুটো রাস্তা খোলা থাকে হয় আপনি জঙ্গি হবেন নতুবা হবেন ইসলাম বিদ্বেষী।


ভালো থাকবেন!

১০| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ১২:১১

নতুন বলেছেন: দেশে এখন বোরকা পড়ার হার বেড়ে গেছে... এটা ইভটিজিং বাড়ার জন্য এবং কিছু মানুষ হঠাত ধমীয় ভাবনায় বেশি কট্টর হচ্ছে।

আর দেশের মানুষ একটা ট্রানজিসনের ভেতর দিয়ে যাচ্ছে.... ঘুষ , সুদ খাচ্ছে কিন্তু নামাজ ঠিকই পড়ছে... কপালে দাগ বানাচ্ছে...

মনে মনে জানে ধমে`র ভয় কম কিন্তু ছাড়তে পাচ্ছেনা... কারন নতুন ভালো আইডিয়া সামনে নেই...

এক সময়ে মানবতা হয়তো ধমের এই স্হানে আসবে....

০৬ ই এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ১২:২৮

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: ব্রুনাইয়ের রাজা শরীয়া আইন চালু করলেন। কয়েক বছর আগে স্বার্বভৌম বন্ডের ১৫ বিলিয়ন ডলার উনি আত্মসাত করেন। তেলে ডুবে থাকা ছোট্ট দ্বীপরাস্ট্রটির মালিক এই প্রিন্সের নিজের একটা হেরেম শরীফ আছে যেখানে ৪০ জন যৌনদাসী বিদ্যমান। যদিও নবী মোহাম্মদের হেরেমে ছিলো মাত্র ২ জন যৌন দাসী আর তার দৌহিত্র হাসানের প্রায় ২০০ জন। ব্রুনাইয়ের রাজার একটা সুপার প্রমোদতরী আছে যার নাম টিটস এবং তার একটা অংশের নাম নিপল ১ আরেকটা অংশের নাম নিপল ২। এখানে তার ৪০ জন যৌনদাসী নিয়ে একটু ইসলামিক সুন্নতী কাজ করেন। যদিও তার তিন বিবি ও১৭ টা সন্তান আছে। সব আর্টিক্যালেই পাবেন।

ধর্মের ভয় কারো কমে নাই। ৪ বছর আগে কোনো মেয়েকে যদি বলতাম খতনা তাদের জন্য মুস্তাহাব চমকে যেতো। মুখের ওপর অস্বীকার করতো বা বলতো এ হতে পারে না। এখন কি বলে জানেন? বলে এটা শরীরের ভালের জন্যই। কারন নবী মোহাম্মদ বলেছেন।

চিত্র গুলো মিলিয়ে দেখুন।

ভালো থাকবেন

১১| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ১২:৩৪

নতুন বলেছেন: গত ভ্যাকেসনে পাশের বাসার ডা: আন্টি সরসতি পুজার দিনে খিচুড়ি পাঠালে বাসায় আমার ভাই খেতে চাইলো না... বলে হিন্দুদের পুজার জন্য রান্না খাবার খাওয়া ঠিক না... । তার কিন্তু ব্যাংকে ফিক্সড ডিপোজেটের সুদে সমস্যা নাই।...

আসলেই দেশের পাবলিকের চিন্তা ভাবনা দিন দিন কেমন জানি হচ্ছে...

০৬ ই এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ১২:৫৬

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: আরেকটা উদাহরন দেই। কিডনির ডায়ালাইসিস করতে গিয়ে রক্তের প্রয়োজন হলে ফেসবুকে একজন সাড়া দেন। পরের দিন যে সময়ে ব্লাড নেবার কথা সেসময় তাকে পাওয়া গেলো না। বিকেলে গ্রুপে কমেন্ট আসলো, ভাইয়া আপনার সাথে কথা বলার পর জানতে পারি আরেকজন রোগীর রক্তের প্রয়োজন এবং তিনি হাজী সাহেব। তাই ভাবলাম হিন্দুকে রক্ত দেবার চাইতে মুসলমানের রক্ত দেয়া আল্লাহ অধিক পছন্দ করবেন। নো হার্ড ফিলিংস ব্রো

আপনার ভাইদের মতো মানুষদেরকে জান্নাত পাইয়ে দেবার জন্য দেশে প্রায় সকল ব্যাংকই ইসলামী সঞ্চয় স্কিম চালু করেছে যার লভ্যাংশের পরিমান সুদী ব্যাংকের কাছাকাছি। যেহেতু দেশে ইসলামী ব্যাংক সবই বেশ লাভ জনক তাই এর জনপ্রিয়তা এখনো আকাশচুম্বি।

১২| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৫:৫১

স্বপ্নডানা১২৩ বলেছেন: ব্রো উদাসী, আমিও আপনার মত হতাশ। আগের পোস্টেই দেখুন না, একজন বললেন যে আপনার যুক্তিতে উনি মুগ্ধ বাট উনি উনার বিশ্বাস বদলাবেন না। উনি আপনার যুক্তিতে মুগ্ধ হতে হতে হঠাৎ তার এক পক্ষের ভাই বিশ্বাসের পক্ষে কুযুক্তি ও অপবিজ্ঞান হাজির করলেন, তখন উক্ত আপনার গুণ মুগ্ধ ভাই বিশাল ধন্যবাদ দিলেন। বিশ্বাসের পক্ষে কুযুক্তি গ্রহণ করবেন উনারা, বিপক্ষের ধারালো যুক্তি উনারা মোটেও পাত্তা দেবেন না

০৬ ই এপ্রিল, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৩২

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: মানুষের দ্বিচারীতা শঠতা আমাকে ব্যাথিত করে। ফারজান আকা সোনাবীজ ভাইকে অনেক আগে থেকেই চিনি এবং তাকে শ্রদ্ধা করতাম। কিন্তু সেদিনকার এমন দ্বিচারিতা এবং সেকেন্ডের মধ্যে পল্টি খাওয়া সত্যি ব্যাথিত করেছে। তার সাথে যদি অতটুকু রূঢ় সত্যগুলো না বলতাম তাহলে নিজের কাছেই নিজেকে মাফ করতে পারতাম না। কারন নিজের নীতিতে স্বজনপ্রীতির জন্য আপোষ করা সারা জীবন ব্যাথিত করবে। সজ্ঞানে তা হতে দিতে পারি না। বাংলাদেশের বর্তমান মাৎস্যন্যায় ম্যালথাসীয় বিপর্যয়ের টেস্টবুক ইমপ্লিমেন্টেশন। ইরান আফগানিস্তান সিরিয়া এভাবেই ধ্বংস হয়েছে ইসলামিক বা শরীয়া যুগে ঢুকে।

এই যে এত ছোট ছোট আন্দোলন যেকোনো একটা ছড়িয়ে পড়লে দেশ সোজা ইসলামিস্টদের হাতে চলে যাবে। এবং এই যে সরকার তাদের এত সুযোগ সুবিধা দিচ্ছে এরাই এই সরকারের সবাইকে দড়িতে ঝুলাবে। সরকার এটা ভালো করেই জানে। শুধুমাত্র ক্ষমতার লোভে তারা এটা করছে এবং ছোটোখাটো আন্দোলন নির্দয়ভাবে দমন করছে।

কিছু উজবুক আবার গনত্ন্ত্রকে গালি দেয়। এর মধ্যে আবার কিছু উচ্চবিত্ত জ্ঞানপাপী বামও আছে, কিছু মড্রেট ও আছে। অথচ আপনি ইতিহাস পলিটিক্যাল সায়েন্স এবং যেকোনো বিষয় দিয়ে চুলচেরা বিশ্লেষন করেন গনতন্ত্র ছাড়া কেউ আগাতে পারে নি পারবে না এবং ইসলামী শাসনতন্ত্র হলো পৃথিবীর সর্বোনিকৃস্ট ফ্যাসিবাদী স্বৈরতন্ত্র।

অথচ এসব জ্ঞানপাপীদের কে বোঝাবে। বোঝাতে গেলে মা বাপ তুলে গালি শুনতে হবে বা ট্যাগিং এর শিকার হতে হবে।

ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য

১৩| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:২৭

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: Direct action , আল্লার সাথে সালাতের মাধ্যমে সরাসরি যোগাযোগ করে সব সহি কথা জানা যাবে তবে তা কাওকে বলা যাবেনা , বলার এখতিয়ার শুধু নবীগনের আছে । আল্লা সকলকে হেদায়েত করুন । ইশ্বরে বিশ্বাসী কেও কাওকে দুষারোপ করতে পারেনা ।
ইশ্বর সর্বজান্তা , ভাল মন্দের মিমাংসা তিনিই করবেন । আমরা তাঁর সৃষ্ট মানব হিসাবে সর্বাবস্থায় তাঁর শোকর গুজার করব ।

০৬ ই এপ্রিল, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৩৫

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: আপনার ব্যাক্তিগত বিশ্বাস নিয়ে আমার বলার কিছু নেই। আপনি যদি জানতে চান এসব সম্পর্কে আমার অভিমত এবং জানার পরিধি সে ক্ষেত্রে আমি বলতে পারি।

আপনি যদি আপনার ব্যাক্তিগত বিশ্বাস আমার ব্লগে এসে দাওয়াতের মতো প্রকাশ না করেন আমি তাহলে খুশি হবো। মিথ্যা প্রতারক ডাকাতের বানানো ধর্মে একটু এলার্জী আছে আমার

ধন্যবাদ

১৪| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৯:৩৫

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: তথাস্তু

০৬ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৯:৪০

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: ধন্যবাদ

আমি একাডেমিক ডিসকোর্স করার জন্য পোস্ট লিখি। এবং ডিসকোর্স বাউন্ডারী কন্ডিশন হলো শিশুকামী জঙ্গিবাদ জামাত শিবির। এসব এলিমেন্টের আমি আজন্ম শত্রু।

কপাল গুনে নবী মোহাম্মদ এসব গুন অর্জন করেছেন

১৫| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১০:৫৩

স্বপ্নডানা১২৩ বলেছেন: আপনি যদি এই ব্লগে প্রস্ন করেন, চাঁদ খন্ডিত হবার আয়াত কোন সুরায় আছে, অনেকেই বলতে পারবে না। এরা নিজের ধর্ম গ্রন্থই ভালোভাবে পড়ে না। সেদিন এক বোন আপনাকে ধর্মীয় বিষয় লিখতে না বললেন, কিন্তু তিনিই আবার মিরাজ সনক্রান্ত ইস্লামি পোস্টে সোনা বা অমূল্য রতন পোস্ট - এইরকম প্রশংসা করলেন। আবার যখন দেখি মিরাজ বুঝাতে গিয়ে কেউ আলোর গতির কথা টেনে আনেন তখন কিংকর্তব্যবিমুঢ় হওয়া ছাড়া পথ থাকে না।

প্রতিবাদ করে না দেখে আপনি হতাশ। কেন করবে? যারা বিপক্ষে লিখত, নিকট অতীতে তাদের অবস্থা তো আপনি জানেন নিশ্চয়।

০৭ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১২:৪৯

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: এজন্যই রাজীব নূরের কমেন্টের প্রতি উত্তরে সরাসরি বললাম। সময় খুব বেশী দূরে নেই বাংলাদেশ ধ্বংস হবে। সেটা লীগের পতনের সাথে সাথেই। আফগানিস্তান সুদান উগান্ডা আমাদের চেয়ে এগিয়ে যাবে আর আমরা জঙ্গি ধর্মের শরীয়া নিয়ে কান্নাকাটি করবো এবং অপেক্ষা করবো কেউ এসে আমাদের হত্যা করে এসব জঙ্গি শাসনামল থেকে মুক্ত করুক। ইরান আফগানিস্তান সিরিয়া বর্তমানে লিবিয়াতে তা হতে চলেছে।

তখন এসব লেখা গুলো মানুষ পড়বে আর আফসোস করব
আপনারে শবে মেরাজ নিয়ে সুন্দর একটা স্যাটায়ার শেয়ার করি। নেটে সুষপ্ত পাঠক শেয়ার দিছিলো। অসাম স্যাটায়ার ছিলো:

————-

-ধন্যবাদ উম্মে হানি, আজকে মিরাজের দিনে আমাকে সময় দেয়ার জন্য।

-আপনাকেও ধন্যবাদ সুপা। কি জানতে চান বলুন?

-প্রথমেই বলতে চাই মিরাজের ঘটনায় আপনার নামটি চলে না আসলে ইসলামের ইতিহাসে উম্মে হানি হতো বিস্মৃত একটি নাম। কিন্তু মিরাজের কারণে আপনার নামটি বহুল পরিচিত। বলতে কি বিতর্কিত…

-বিতর্কিত বলছেন কেন?

-আসলে কি ঘটেছিল সেদিন একটু বলবেন আমাদের?

-কেন সে ঘটনা তো সবাই জানে। আমার ঘর থেকেই রসূল্লাহ মিরাজ গমন করেছিলেন। সেরাতে নবীজি আমার ঘরেই ঘুমিয়ে ছিলেন। এশার নামাজ আদায় করে তিনি ঘুমিয়ে পড়েছিলেন। তারপর ভোরে ফজরের নামাজের একটু আগে আমাদের ডেকে তোলেন এবং আমরা একসঙ্গে ফজরের সালাত আদায় করি…

-উম্মে হানি আপনাকে একটু থামাই, মিরাজ গমণ করার আগে এশার নামাজ ফজর নামাজ কি করে আসছে? মিরাজ থেকেই তো ৫ ওয়াক্ত নামাজের নির্দেশ নিয়ে আসা হয়। তবু যাই হোক, ধরে নিলাম নবীজি নামাজ পড়ছিলেন কিন্তু আপনিও নামাজ পড়ছেন এমনটা কি করে হতে পারে? আপনি তো মক্কা বিজয়ের আগে ইসলাম গ্রহণ করেনি!

-(মুখে দুষ্টু হাসি নিয়ে) তা এসব আমাকে জিজ্ঞেস করছেন কেন, ইবনে হিশামকে গিয়ে জিজ্ঞেস করুন…।

-ইবনে কাথির সুরা আহযাবের তাফসির করতে গিয়ে লিখেছেন আপনি মক্কা বিজয়ের আগে ইসলাম গ্রহণ করেননি। নবীজি তো আপনাকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিলেন তাই না?

-হ্যাঁ। এটা মিরাজের ঘটনার পরের ঘটনা। মিরাজের ঘটনার এক বছরের মধ্যে নবীজি মদিনায় হিযরত করেছিলেন। তখন তিনি আমাকে বিয়ের প্রস্তব দিয়েছিলেন।

-সুরা আহযাবের ৫০ নম্বর আয়াত আপনার প্রত্যাখ্যানের পরিপ্রেক্ষিতে নাযিল হয়েছিল।

-হ্যাঁ তাই। আমি হিযরতকারীদের মধ্যে ছিলাম না, এ কারণেই সুরা আহযাবে বলা আছে, যে সব কাজিন আপনার সাথে হিযরত করেছে তাদের বিয়ে করা হালাল। আমি নবীজিকে বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানালে সুরা আহযাবের ৫০ নম্বর আয়াত নাযিল হয়। এ বিষয়ে ইবনে কাথির পরিস্কার করে তার তাফসিরে লিখেছেন। কষ্ট করে একটু পড়ে দেখবেন।

-ঠিক আছে। চলুন আবার মিরাজের প্রসঙ্গে যাই। হাসান বসরী বলেছেন, নবীজি কাবার হিজরের মাঝ ঘুমিয়ে ছিলেন। এমন সময় জিব্রাইল এসে নবীজিকে চিমটি কেটে ঘুম ভাঙ্গিয়ে তাকে মিরাজে নিয়ে যান। এই ঘটনা ধরলে নবীজি মিরাজ গমণ শুরু কাবাঘরের সামনে থেকে। কিন্তু আপনি দাবী করেছেন সেরাতে নবীজি আপনার ঘরেই ঘুমিয়ে ছিলেন এবং আপনার ঘর থেকেই তিনি সপ্ত আকাশে ভ্রমণে বের হোন।

-এতে আপনাদের নাস্তিকদের সমস্যাটা কি? মুসলমানদের তো কোন সমস্যা হচ্ছে না? কই তারা তো কোন প্রশ্ন তুলছে না? আজ পর্যন্ত এমন কোন ইসলামী পন্ডিতকে পেয়েছেন যিনি আমার ঘর থেকে মিরাজ যাওয়াকে অস্বীকার করেছেন?

-আমার ঠিক জানা নেই। তবে আমাদের ফেইসবুক মোল্লাদের আপনি চেনে না। তারা ঠিকই তালগাছ বগলে নিয়ে এই বিষয়ে তর্ক জুড়ে দিবে! আচ্ছা উম্মে হানি, মিরাজের কথা যখন নবীজি প্রকাশ করলেন তখন সবাই বিশ্বাস করে নিয়েছিল?

-পাগল আপনি! আমি তো ভয়ে কাঁপছি তখন! নবীজি আমাকে স্বাক্ষি রেখে বলছেন, দেখো আমি তোমাদের সঙ্গে ঘুমিয়ে ছিলাম তারপর আল্লাহ নির্দেশে আল্লার আরশে ঘুরে এসেছি। এদিকে কাবাঘরে সামনে নবীজিকে না পেয়ে তার সাথীরা খুঁজতে খুঁজতে আমার ঘরে এসে উপস্থিত। নবীজি তখন সবাইকে বলছিলেন তিনি এই জগতে ছিলেন না। এক রাতের মধ্যে ২৭ বছর পার করে এসেছিলেন আল্লার সাথে সাক্ষৎ করতে গিয়ে।

-তারপর?

-নবীজি আমার ঘর থেকে বেরিয়ে মক্কার সামনে সবাইকে এই ঘটনা বর্ণনা করে শুনাচ্ছিলেন। এসব শুনে বহু নওমুসলিম ইসলাম ত্যাগ করে ফেলেছিল। তারা নবীজিকে মিথ্যাবাদী বলতে লাগল।

-নিন্দুকরা আপনার বাড়িতে নবীজিকে পাওয়া নিয়ে সন্দেহ করেছিল। আপনার স্বামী তখন বাড়িতে ছিল না…।

-… আমি সব মিলিয়ে ভীষণ ভয় পাচ্ছিলাম তাকে নিয়ে। ঘরে আমাদের যে হাবশি দাসটি ছিল, তাকে বললাম, শীগগির তুমি নবীজির কাছে চলে যাও। গিয়ে দেখো লোকজন তার সঙ্গে কেমন আচরণ করছে…।

-ইবনে হিশাম এমনটাই লিখেছেন আপনার বর্ণনা উল্লেখ করে। আচ্ছা হিশাম তো সহি হাদিসকে ভিত্তি করেই নবীজির জীবনীটা লিখেছেন তাই না? আচ্ছা যাই হোক, আবু বকর তো সে সময় বিরাট একটা ভূমিকা রেখেছিল মিরাজ ঘটনায়?

-হ্যাঁ তিনিই প্রথম মিরাজকে খুবই স্বাভাবিক একটি ঘটনা এমনভাবেই প্রচার শুরু করেন। লোকজন যখন তাকে গিয়ে বলছিল তোমার বন্ধু দাবী করছে সে কাল রাতে সাত আকাশ ভ্রমণ করে এসেছে তখন প্রথমটায় আবু বকর নিজেই কথাটা বিশ্বাস করেনি। পরে যখন তিনি শুনলেন নবীজি সত্যিই এমন দাবী করছেন তখন সে একটা চরম কথা বলল। সে বলল, দেখো আমি তো জানি নবীজির সাথে রাতদিন আল্লার ম্যাসেজ চালাচালি চলে, সেখানে এই মিরাজ তো খুবই সাধারণ একটি ঘটনা।

-আবু বকর তো নবীজির বর্ণনা করা বাইতুল মোক্কাদেসের প্রতিটি অংশকে সঠিক বলে রায় দিয়েছিলেন তাই না?

-হ্যাঁ, নবীজি যখন দাবী করেছিলেন তিনি এক রাতের মধ্যে মক্কা থেকে জেরুযালেম গিয়ে নামাজ পড়ে এসেছেন তখন লোকজন সেখানটার আল আকসা মসজিদের বর্ণনা শুনতে চাইছিলো। আবু বকর দাবী করেছিল সে জেরুযালেম গিয়ে সেটা আগে দেখে এসেছে। তাই নবীজি বর্ণনা করাতে তিনি সাক্ষি দিতে লাগলেন নবীজি সঠিক বলছেন।

-কিন্তু সেখানে তো কোন মসজিদ সেসময় ছিল না! সলোমনের মন্দির বলতে সেখানে যেটা ছিল, সেটাও রোমানরা ভেঙ্গে দিয়েছিল। অর্থ্যাৎ, ইহুদীদের নবী সলোমনের একটা মন্দির সেখানে ছিল ৯৫০ খ্রিস্টপূর্বাব্দে। পরে রোমানরা সেটা ৭০ খ্রিস্টাব্দে আক্রমন করে ভেঙ্গে ফেলে। সেটা তখন ভঙ্গুর অবস্থায় পড়েছিল। নবীজি তাহলে কি করে সেখানে বাইতুল মোকাদ্দেস মসিজদটা দেখতে পেলো আবার আবু বকর নিজে দেখে এসে সেই বর্ণনাকে সঠিক বলেও রায় দিচ্ছেন! সে যুগে ঘোড়ায় চড়ে মক্কা থেকে জেরুজালেম যেতে দুই মাসের বেশি পথ পাড়ি দিতে হতো। মক্কার লোকজন ইহুদীদের তীর্থভূমি জেরুজালেম এবং সলোমনের মন্দিরের কথা জানতেই পারে। কিন্তু নিজের চোখে দেখে আসার মত খুব কম লোকই সেখানে ছিল। এসব ইতিহাস সেসময় খুব বেশি মানুষের জানার কথা না। কাজেই নবীজি কি বলছেন সেটা প্রমাণ করার কেউ নেই এক আবু বকর ছাড়া!

-এত কঠিন কথা আমি বুঝি না। শুধু এটুকু জানি, তিনি আল্লাহর নবী। তিনি চাইলে সবই হতে পারে।

-আয়েশা তো বলেছেন মিরাজ ঘটেছে স্বপ্নের মাধ্যমে। নবীজি সশরীরের কোথাও যাননি। সাহাবী মুয়াবিয়াও একই দাবী করেছেন। এরকম মনে করার আসলে কারণ কি? মিরাজ গমণকে স্বাভাবিকভাবে নিতে না পারা?

-আপনি ইবনে হিশাম পড়েছেন সুপা? তিনি কি লিখেছেন শেষতক? ‘আল্লাহতালাই সব থেকে ভাল জানেন মিরাজ কেমন করে ঘটেছিল’। এটাই হচ্ছে খাঁটি বিশ্বাসের কথা।

-ঠিক বলেছেন। আচ্ছা, নবীজি নাকি এক রাতের মধ্যে ২৭ বছর আল্লাহ’র কাছে কাটিয়ে এসেছিলেন? কিন্তু পৃথিবীতে এসে দেখেন উনার অজুর পানি তখনো গড়িয়ে যাচ্ছে…।

-হ্যাঁ ঠিকই শুনেছেন।

-তাহলে নবীজি মিরাজ থেকে ফিরে এসে কি দেখেছেন আপনি বৃদ্ধ হয়ে গেছেন?

-তা দেখবেন কেন? আমাদের সময়ে তো সেটা মাত্র এক রাতের ব্যাপার।

-আসলে কি জানেন, আমাদের একজন বড় বিজ্ঞানী আছেন আইনস্টাইন। তিনি আপেক্ষিক তত্ত্ব নামের একটা জিনিস আবিস্কার করে বিখ্যাত হয়ে গেছেন। তার সেই আবিস্কার বলে, কোন বস্তু যদি আলোর গতির সমান ছুটতে পারে তাহলে তার সময় স্থীর হয়ে যাবে। তার মানে আমাদের নবীজি যদি দাবী করে থাকেন তিনি ২৭ বছর পার করে এসেছেন এর মানে দাঁড়াচ্ছে আল্লার আরশ পৃথিবী থেকে আসতে যেতে ২৭ আলোকবর্ষ দূরে। আলোর গতিতে বুরাকে চেপে তিনি মহাশূন্য ভ্রমণ করে আসলে তার সময় ধীর হতে হতে সেটা বড়জোর কয়েক ঘন্টা বা এক রাত্রী সমান হলেও পৃথিবীতে ঠিকই ২৭ বছর পার হয়ে যাবার কথা! তাহলে তিনি কি করে এসে দেখলেন আপনি তখনো ঘরে বসে আছেন? পৃথিবী একই রকম থেকে গেছে? বৈজ্ঞানিকভাবে তো এটা যাচ্ছে না?

-সুপা আপনি পাগল নাকি বলেন তো? আল্লাহ চাইলে কি না হয় বলেন তো?

-তা অবশ্য লাখ কথার এক কথা বলেছেন। তাহলে এইসব যুক্তিটুক্তির কথা আর চলে না। আচ্ছা ম্যাডাম, আমাদের ইন্টারভিউ প্রায় শেষ হয়ে এসেছে। লাস্ট প্রশ্ন, আপনি মিরাজ বিশ্বাস করেছিলেন?

-তিনি আল্লার নবী, তিনি কি না পারেন!

-তবু আপনি ইসলাম গ্রহণ করেননি কেন? অন্তত ইবনে কাথিরের তথ্য অনুযায়ী মক্কা বিজয়ের আগে আপনি ইসলাম গ্রহণ করেননি…

-(মুচকি হেসে) আল্লাহ হিদায়েত নসিব না করলে আমার কি স্বাধ্য বলেন তো!

-থ্যাঙ্কংস উম্মে হানি আমাকে সময় দেয়ার জন্য আবারো। মিরাজ নিয়ে কিছু গন্ডগোল থেকেই গেলো অবশ্য…

-আপনাকেও ধন্যবাদ সুপা।… আর হ্যাঁ, আপনাকে একটা কথা বলি, গাধার মত একটা পশু যার মানুষের মত মুখ। এরকম একটা জন্তুর পিঠে চড়ে মহাকাশ ভ্রমণের ঘটনা বিশ্বাস করতে হলে অন্ধ আত্মসমর্পন লাগে। আপনার সেটা নেই। মিরাজ বিশ্বাস করতে তাই যুক্তি লাগে না। ভাল থাকবেন…।

১৬| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১১:০০

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:



বছর খানেক ধরে এসব ইলামেন্ট আমার আশেপাশেও তেমন আর আসেনা ।
বুঝাই যাচ্ছে ব্লগে মনে হয় একটি মেরুকরন হয়ে গেছে । যাহোক
ধর্ম চর্চাকে আমার নীজের মত করেই বুঝি আন্য কারো মতে নয় ।
Debated issues in Quran and about Quran নামে আমার লেখা একটি বই আছে
সেটার বাংলা করে কোন এক কালে এখানে সিরিজ আকারে দেয়ার ইচ্ছা আছে ।

আরজ আলী মবতুব্বর সহ অনেকের মত আমার মনেও রয়েছে আনেক কেনর প্রশ্ন ।
বর্তমানে কালীর অক্ষরে বাজারে থাকা মাধ্যমসহ অনলাইনে বা মানুষের ভাষনে যা পাওয়া যায় তার বিশুদ্ধতা নিয়ে
আমার যথেস্ট সন্দেহ রয়েছে । ইসলামের জন্মের ২/৩শত বছর পরে কোন রেকর্ডেট সুত্র ব্যতিত
কোন তথ্যের সন্নিবেশ সহি হয় কি করে তা আমার মাথায় ডুকেনা।
তথ্য যদি সহিই হবে তবে তার সাথে সহি কথা লাগাতে হবে কেন ।
সংস্লিষ্ট তথ্য নিজেই কথা বলবে সে সহি কিনা,
এক কথা তিন কান হলে তিন রকম হয়ে যায়
এটা বুজতে খুব বেশী জ্ঞান লাগেনা ।

ইত্যাদি বিবিধ কারনে এবার Direct action , কোনরূপ মাধ্যম ছাড়া
সরাসরি খোদার সাথে যোগাযোগে ব্রতি হয়েছি , সালাতকে বলা হয়
মুমেনের মিরাজ । আশা করি সালাত কায়েমের মাধ্যমে দিব্য সত্য
প্রাপ্ত হবো ও মনের কোনে জমে থাকা অনেক প্রশ্নেরই উত্তর পাব।
দেখি কোনটি সত্য আর কোনটি মিথ্যা তাঁর কাছ হতে জানতে পারি কিনা ।
দোয়া করেন খোদা যেন সে তৌফিক দেন ।
তৌফিক না দিলেও ক্ষতি নাই , বিশ্বাসী হলেও মরব না হলেও একদিন মরব
তাই ইশ্বর বিশ্বাসী হয়ে মরাটাই শ্রেয় বলে মনে করি ।
আমি কোন দাওয়াতে নাই , আমার বিশ্বাস নিয়ে আমি আছি
আপনার বিশ্বাস নিয়ে আপনি থাকুন । লা কুম ধিনু কুম ওয়ালেধিন ।

০৭ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১২:৩৫

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: আপনার কমেন্ট পড়ে একটা জোক মনে পড়লো। কাবিখার জন্য গ্রামে কয়েক ম্যাট্রিকটন চাল আর গমের বরাদ্দ আসলো, কাজ হলো বাধ নির্মান। গ্রামের দরিদ্র জনগন ধুমাইয়া কাজ করলো। দিন যায় সপ্তাহ যায় কিন্তু গম চাল কিছুই পায় না। কথা ছিলো দৈনিককার কাজ দৈনিক গম চাল পাবে। একদিন সবাই সরকারী আড়চোখে খবর নিলো দম তাল নাকি চেয়ারমযান কাজ শুরু হবার প্রথম সপ্তাহেই উঠায় নিছে। এদিকে চেয়ারমজান বলে গম নাই এই সমস্যা ভূগোল বুঝায়। জনগন কাম কাজ ফেলাইয়া মহাসড়ক অবরোধ করে। অবস্থা বেগতিক দেখে থানার ওসি আসে। সবাইকে শান্ত করে বলে কাল জুমাবাদ এর বিচার করবেন। ওদিকে গ্রামের মাঠে বিশাল প্যান্ডেল টানাইলো। পুলিশ দারোগা সবরেডি। জনগনও বড় আশা নিয়ে আসলো। উত্তেজনায় মসজিদের ইমামও তাড়াহুড়া করে জামাত খুতবা মোনাজাত শেষ করলো। ওদিকে ওসি অনেকক্ষন পর গাড়ি নিয়ে আসলো। গাড়ি থেকে চ্যায়ারম্যানও আসলো। দুজন একসাথে মঞ্চে উঠলো। মাইকে উঠে বললো,”ভাইসব, গম চাল চুরি হইছে না আসে নাই এ বিষয়ে খতিয়ে দেখবো। চ্যায়ারম্যান সাহেবের সহায়তায় আমাদের পুলিশ অফিসার গন তদন্ত করে বের করবে এত গম চাল কই যাবো। ইনশাল্লাহ অতিশীঘ্র এই ব্যাপারে আপডেট দিতে পারবো।

গেরামের মানুষ দেখলো চোরকে তদন্ত কমিটি প্রধান করে তদন্ত করবে: এটা দেখেই চারিদিক কান্নার রোল পড়ে গেলো।

আসলে নতুন নতুন সুফি চর্চা করতেছেন একটা কথা বলি। নবী মোহাম্মদের পটল তোলার পর যত যুদ্ধে মুসলমানদের হত্যা করা হয়েছিলো কারা মেরেছিলো জানেন? রিদ্দা, সিফকিত, জঙ্গে জামাল, খাওয়াজিরি সহ বেশীর ভাগ যুদ্ধ যেখানে প্রচুর মুসলমান সাহাবী তাবেঈন মারা যায়। মেরেছিলো মুসলমানরাই। বিধর্ম আর নাস্তিকরা তেমন মারে নাই। আমাদের দেশের বাঙ্গালী মুসলমানদের ওপর গনহত্যা চালিয়েছিলো মুসলমানরাই। এই যে মাঝে মধ্যে সুফি পীর দরবেশ ও লালন বাউল পার্টিরে ধোলাই দেয় পাকিস্তানে বাংলাদেশে, কারা দেয়? নাস্তিক বা হিন্দুর পিটায় না। সংখ্যালঘু কাদিয়ানী বা শিয়াদের কারা হত্যা করে বোমা মেরে? নাস্তিকরা না। বরংচ বাউল সুফি সাধকদের পিডা দিলে সবার আগে মুক্তমনারাই চিৎকার করে।

জানি না কোন বিষয়ে পড়ালেখা করেছেন, কতদূর কি পড়ালেখা করেছেন, আপনাদের এসব কথা পারলে কোনো কওমী মাদ্রাসার মক্তবে বলে আসেন। ফল হাতে নাতে পাবেন। সহী ইসলাম কি সেটা আপনাকে সুন্দর করে ইসলামী কায়দায় বুঝিয়ে দেবে

কি বুঝলেন?? ;)

১৭| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১১:১৩

স্বপ্নডানা১২৩ বলেছেন: আমার এক বস আছিল ফাইন ফাইন সব আয়াত মুখস্থ করত আর খাতায় টুকে রাখত আর আমাদের শুনাত। আমি দেখতাম যে সবগুলো প্রায় একই ধাচের। আমি স্যারকে বললাম যে, স্যার আপনি কি বেছে বেছে আয়াত মুখস্থ করেন? কইল যে তা নয়। আমি কইলাম, স্যার আপনি তাইলে পুরা সুরা আহযাব জানেন, পরে আমি আপনার সাথে আলোচনা করব। এরও কিছুদিন পর্যন্ত বসের আয়াতের খাতাডা আছিলো, কিন্তু এরপর মেলাদিন হইল খাতা আর দেখি না। আমি একবার আমার ইচ্ছার কথা মনে করায় দিসিলাম, কিন্তু আজো উনার থেকে সাড়া পাইনাই।

কুরানের আয়াত কয়ডা - এই ব্যাপারে মতভেদ আছে। এইটা শুনে একজন চ্যালেঞ্জ নিল, সে নাকি গুনে জানাবে। এরপর অনেকদিন হইল, লেকিন.........। মাঝে দুই একবার মনে করায় দিসিলাম। লেকিন......

০৭ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১২:৪১

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: কোরানের দুয়েকটা ভালো আয়াত মোহাম্মদ মদিনা থাকতে বলেছিলো। যদিও উসমান সংকলনের সময় খানিক অদল বদল করে। সর্বশেষ সুরা তওবাতে যা বলে গেছে সেগুলোর তাফসীর পড়লে খুব সহজেই জঙ্গি ধর্মের আসল কাহিনী বেরিয়ে যায়।

ব্লগে এসে কোনো মাকে লাল একটু ডিটেলস জিজ্ঞেস করতো তাহলে পুরো দলিল সহ একটা পোস্ট দিতাম। এ টা নিয়ে পোস্ট দেয়াটা খুব জরুরী।

এটলিস্ট একটা সাক্ষ্মী হয়ে থাকতো

১৮| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৮:২০

আহমেদ জী এস বলেছেন: উদাসী স্বপ্ন,



একটি প্রতি মন্তব্যে দেখলুম, খুব সৎ সাহসের সাথেই বলেছেন - আপনি আপনার পাঠকদের বুদ্ধি বৃত্তিক সামর্থ্যকে অবজ্ঞা করছেন বা করেছেন। কোনো বিষয়েই আপনি ব্লগের কারো সাথে ভালো ডিসকোর্স করতে পারেন না। আপনি ডিসকোর্স করার জন্য ব্লগ লেখেন ও আলোচনা করতে চান ।
ভালো চাওয়া এবং এই চাওয়া একেবারেই সঙ্গত। ব্লগিং এ এটাই হওয়া উচিৎ। ডিসকোর্স।

আপনার পোস্টের বিষয়বস্তু এবং তাতে সন্নিবেশিত তথ্য ও তত্ত্বের সমাহারে বোঝা যায় যথেষ্ট পড়া শোনা আছে আপনার। আমি আপনার এই পড়াশোনার গুনটিকে প্রশংসা করছি একান্তভাবেই, দু’হাত খুলে।
আবার এও বলেছেন - ব্লগে কয়েকবছর ধরে সেরকম কোনো মানুষ নেই। যারা দুদন্ড আলোচনা করতে পারে, বা আপনার পোস্টে ভুল ধরে সেটা পেঁচাতে পারে। আপনার ইচ্ছেকৃত ভুলও কেউ ধরতে পারে না।
তাহলে বলতে হয়- শেখা, জানা ও বোঝা হলো জ্ঞানের তিনটি স্তর । পাঠশালায়, উচ্চতর বিদ্যালয়ে আমরা পড়ি বা শিখি বা এক কথায় বিবিধ অক্ষর জ্ঞান লাভ করি । লাভ করি, কি করে এগুলো সাজিয়ে বাক্য তৈরী করতে হয় তার জ্ঞান । এ পড়া বা শেখাটাই কিন্তু প্রকৃত জ্ঞান নয় । আপনি নিশ্চয়ই জানেন- শেখা,জানা ও বোঝা সমার্থক নয় । যা শেখা হয় তা-ই শিক্ষা । যা জানা হয়েছে তা-ই বিদ্যা বা জ্ঞান । আর এই শেখা ও জানা থেকে যা বোঝা গিয়েছে তা-ই বোধ । এই বোধ থেকেই আপনি আপনার চারধারে ঘটে যাওয়া বিষয়াবলী উপলব্ধি করে অভিজ্ঞতালব্ধ হন আর এটাই হলো পূর্ণ জ্ঞান যা প্রজ্ঞায় পরিনত হয় । জ্ঞান তাৎপর্যমন্ডিত হয়ে প্রজ্ঞায় রূপান্তর না পেলে বন্ধ্যাই থেকে যায় । উপলব্ধির স্তরে উন্নীত না হলে জ্ঞান মাত্রই বন্ধ্যা ।

কিন্তু আপনি প্রজ্ঞাবান কিনা সে প্রশ্ন রইলো। শ্রোয়েডিংগারের বেড়ালের মতো আপনিও যেন একই সময়ে প্রজ্ঞাবান ও অপ্রজ্ঞাবান অর্থাৎ সর্বৈব জ্ঞানহীন। কারন যে সকল তথ্য ও তত্ত্বের উল্লেখ করে আপনি আলোচনা চালিয়ে যান সে সব তথ্য ও তত্ত্বের বিপক্ষে ( এবং পক্ষেও) আরও হাযার হাযার লেখা রয়েছে নেটে। এবং সব ভার ভারিক্কি জ্ঞানের কিছু বলে শেষে একটুখানি প্যাঁচ লাগিয়ে যেতেও ভোলেননা।
বিজ্ঞানীদের মধ্যেও জোট আছে, আছে প্রচন্ড মতভেদ। একই কথা দার্শনিক কিম্বা সমাজবিদ বা রাজনীতিবিদদের বেলাও প্রযোজ্য হবে। যেমন আপনিই বৈশ্বিক সংশয়ের ব্যাপারে দেকার্ত ও রাসেল এর পরষ্পরকে পাত্তা দেয়া আর না দেয়ার কথা উল্লেখ করেছেন। আপনার পাড়াতে ফেরিওয়ালাদের সবারই পণ্য বিপননের তড়িকাও কিন্তু এক নয়। অনেকেই “হালিম” বানান কিন্তু সবারটা “মামা হালিম” হয়না, রেসিপিতে পার্থক্য থাকেই। কিন্তু সবই হালিম। এখন কোনটি সঠিক তা কে নির্দ্ধারণ করবেন?
হকিন্সও একসময় কৃষ্ণগহ্বর নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছিলেন কিন্তু এখন তিনিই কৃষ্ণগহ্বর নিয়ে যুগান্তকরী সব থিওরীর প্রবক্তা। বিজ্ঞানের জগতে এমনটাই হয়, নিয়ত নতুন নতুন আবিষ্কার যোগ হয়, হয় নতুন নতুন থিওরীর উদ্ভাবন। তাতে পুরোনোকে হটে যেতে হয় কিম্বা তার গায়ে নতুন পলেস্তারা লাগে। কখনও নতুনটাকে ঝেড়ে ফেলে আবার পুরোনোর কাছে ফিরে যেতে হয়।
যেমন সাম্প্রতিক -“কসমোলজিক্যাল কনস্ট্যান্ট”। আজ থেকে ১০০ বছর আগে আইনস্টাইন বুঝেছিলেন, এই ব্রহ্মাণ্ডের মূল চালিকাশক্তির কোনও বিনাশ নেই। সেই শক্তি অবিনাশী! ব্রহ্মাণ্ড কালে কালে যুগে যুগে দিনে দিনে যতই ফুলে-ফেঁপে উঠুক না কেন, হইহই করে চার পাশে ছড়িয়ে পড়ুক না কেন সেই আদি, অনন্ত চালিকাশক্তির ঘনত্ব আগেও যা ছিল, এখনও তাই আছে। কোটি কোটি বছর পরেও ব্রহ্মাণ্ডের সেই চালিকাশক্তির ঘনত্ব একই থাকবে। এটাকেই তিনি নাম দিয়েছিলেন “কসমোলজিক্যাল কনস্ট্যান্ট”।তখনকার লব্ধ হিসেব নিকেশের জ্ঞান দিয়ে তা প্রমান করা যায়নি। তাই একসময় আইনস্টাইন নিজেই ভেবেছিলেন ‘ঈশ্বরের মন’ বুঝতে তিনি ভুল করেছেন। তাই নিজের আবিষ্কার করা কসমোলজিক্যাল কনস্ট্যান্টকে “ভুল, বিলকুল ভুল”’ বলে একবার খারিজও করে দিয়েছিলেন তিনি। অথচ এই সেদিন “ডার্ক এনার্জি সার্ভে ইয়ার ওয়ান রেজাল্ট: কসমোলজিক্যাল কন্সট্রেইন্টস্ ফ্রম গ্যালাক্সি ক্লাস্টারিং অ্যান্ড উইক লেন্সিং” আমেরিকার ফের্মিল্যাব-এর করা ডার্ক এনার্জি সার্ভের গবেষনা রিপোর্ট জানিয়ে গেল -১০০ বছর আগে আইনষ্টাইন ঠিক কথাটিই বলেছিলেন।
আপনি তো নিজেও জানেন এই বিশ্বে কোনও কিছুই পরম সত্য নয়। আপেক্ষিক। তাই আপনার- আমার বলা কথাগুলোই যে সত্য হবে এমন গ্যারান্টি আছে কি? নেই। হতেও পারে আবার নাও পারে। সময় ফয়সালা করে দেবে তার একদিন।
এখন একজন ব্লগার যিনি আপনার কথা মতো বুদ্ধি বৃত্তিক সামর্থ্য রাখেন তিনিও হয়তো ভাবতে পারেন, আপনি ভুল বলছেন, সঠিক পথে চলছেন না। হয়তো বা তারা হেসে উঠে ভাবতেও পারেন , এসব বালখিল্য লেখার জবাব হয়না । তর্কই করা যাবে শুধু কারন ঊদাসীকে বোঝায় কার সাধ্যি, সে তো একপেশে ও একচোখা, বোঝালেও বুঝতে চাইবেনা । তারা এরকমটা ভাবতে পারেন কিনা? পারেন তো বটেই। এই যেমন আপনি আপনার মন মতো কথা বলে গেছেন ভেবে ভেবে তাও কোথাও কোথাও অত্যন্ত আপত্তিকর ভাষায় যা আপনার কাছে হয়তো স্বাভাবিক মনে হয়েছে । তেমন ব্লগাররা তো আবার আপনার উল্টোটাই ভাবতে পারেন! (এবং আপনাকে পরিতাজ্য মনে করতেও পারেন।) ঠিক যেমন কেউ ভাবেন মহাবিশ্ব সম্প্রসারণশীল, কেউ ভাবেন-না মহাবিশ্ব সংকোচনশীল ইত্যাদি। কেউ ফ্লাট য়্যুনিভার্স কেউ হলোগ্রাফিক য়্যুনিভার্সের পক্ষে। অথবা এমনও তো হতে পারে তেমন ব্লগারদের সময় খুব একটা নেই ব্লগকে দেয়ার! তাদেরকে খেটে খেতে হয়। ব্লগিংয়ে মনের ক্ষুধা মেটে বটে পেটের ক্ষুধা কিন্তু মেটেনা।
হয়তো আপনি বলবেন, আপনিও তো খেটে খান আবার ব্লগে বিশাল পোস্ট লেখারও সময় বের করেন। ঠিক। কিন্তু তাদের পরিবেশ পরিস্থিতি তো আপনার মতোন নয়। আবারও আপনার দেকার্তে আর রাসেলের উদাহরন টেনে বলি তাই তাদের দেখা পাননা। চাঁদের একপিঠ আমরা দেখিনে তাই বলে কি চাঁদের আরেক পিঠ নেই ? অবান্তর ভাবনা তাইনা ?

আসলে জ্ঞানের শেকড়ের খোঁজে সাধারন মানুষ তেমন একটা আগ্রহী নয় কারন তা খুঁজতে গেলে যে হাতিয়ার দরকার, তার নাম হলো – জ্ঞান এবং বিশ্লেষনী ক্ষমতা । এগুলো যোগাড় করা সবার জন্যে সহজ নয় । এর জন্যে থাকতে হবে যুক্তির ধার, অংকে পারদর্শীতা (যে ম্যাথের কথা আপনিও বলেছেন), গভীর চিন্তাশীলতা, পরমত সহিষ্ণুতা এবং গ্রহনের মানসিকতা, বিচার করার বিচক্ষনতা, ধৈর্য্যের গভীরতা এবং সবার উপরে দাগহীন নিমোর্ক একটি হৃদয়, লাইক অ্যা ক্লিন শ্লেট ।
আপনার মাঝে এর বেশ কিছুর অসম্পূর্ণ দেখা মিললেও একটা কথা শুরুতেই বলে রাখি – যুক্তি বা লজিক অনেক রকমের । সুযুক্তি – কুযুক্তি – অযুক্তি । যুক্তির খাতিরে এই বিভাজন আপনাকে মানতেই হবে । বিশ্বাস করি, আপনার সেই সৎ-সাহস আছে । উদাহরন দিতে গেলুম না, অনেক লিখতে হবে তাই । কিন্তু ‘সমঝ্দার আদমীকো ঈশারা-ই কাফী হোঁতা হ্যাঁয়’।
আপনার লেখার গূঢ় এবং বিদগ্ধ তথ্য ও তত্ত্ব সম্পর্কে আমার কোনই আপত্তি (দ্বিমত নয় কিন্তু) নেই বরং সুখপাঠ্য কিন্তু আপনি একটি বিশেষ ধর্মের এবং তার প্রবক্তার প্রতি বীতরাগ-অনাস্থা-বিবমিষা সহকারে অনেক কিছুই বলে থাকেন আপনার বিভিন্ন লেখায় ও মন্তব্য-প্রতিমন্তব্যে যা আপনার জ্ঞানের গভীরতা কিম্বা প্রাজ্ঞতা প্রমান করেনা। সম্ভবত আপনার ঈশ্বরেও বিশ্বাস নেই খুব একটা। আবার আপনার বিভিন্ন লেখা পড়লে সে সম্ভাবনাও পরিষ্কার নয়। ধন্ধে পড়ে যাই,যখন ধর্ম নিয়েও আলোচনা করেন। কারন নীতিগত ভাবে যে ঈশ্বরের অস্তিত্বে আপনার সম্ভবত বিশ্বাসই নেই তার অস্তিত্ব আছে কি নেই এমোন কথার অবতারনা স্ববিরোধীতা হয়ে যায় কিনা এই আশংকা থেকেই গেল । যার অস্তিত্ব নেই বলে মনে হয় আবার পাশাপাশি দেখাতেও চান- তা আছে কি নেই,এটি আপনার মনের দোদুল্যমানতা যাকে স্থানিক সংশয় বলা যেতে পারে। এটা যেন অনেকটা ভুত নেই বিশ্বাস করেও রাস্তায় অন্ধকারে হঠাৎ নিজের ছায়া দেখে আৎকে ওঠার মতো। অথবা বাবা-মা-ভাই-বোনকে অস্বীকার করে, গালাগালি করে নিজেকে আবার সেই পরিবারের ছেলে ভাবার মতোই অনেকটা নইলে সেই পরিবারের নামও তো মুখে আনার কথা নয়! তাইনা ?

আর ধর্ম কি শুধু একটাই আছে? পৃথিবীতে শত শত ধর্ম ছিলো এবং আছেও। কিন্তু আপনার বিরাগ শুধু একটি বিশেষ ধর্ম এবং তার ধর্মগ্রন্থে স্থিত কেন? প্রধান প্রধান ধর্মগ্রন্থ - ইন্জিল (বর্তমানের বাইবেল) বা তাওরীৎ (বর্তমানের তোরাহ্) এবং যবুর (সম্ভবত বিলুপ্ত) এই ধর্মগ্রন্থগুলো সম্পর্কে আপনার এলার্জী সম্ভবত নেই। কেন? হিন্দুদের বেদ এবং ধর্মগ্রন্থের আসনে বসানো রামায়ন কিম্বা মহাভারত নিয়ে খেদোক্তি করেননা কেন? ( অন্তত আমার চোখে পড়েনি)
কেবল মাত্র ‘কোরআন’ এবং তার বাহককে প্রশ্নবিদ্ধ করলেন কেন ? তাহলে কি বুঝতে হবে আপনি ইচ্ছেকৃত ভাবেই ভুলে ভরা এমন বিষয়ের অবতারণা করেন যাতে একটি বিশেষ ধর্মাবলম্বীদের প্যাঁচানো যায়( আপনার প্রতিমন্তব্যটি স্মরণ করুন)?
আর করছেন এমন ভাষায় যা আপনার পান্ডিত্যকে খুব নীচু পর্যায়ে টেনে নামিয়েছে। একজন জ্ঞানী আর প্রাজ্ঞ কেউ চরিত্রগত ভাবেই (সত্যিকারের জ্ঞান যে চরিত্র গঠন করে দেয়) অন্যের প্রতি অশালীন আর অশোভন ভাষা ব্যবহারে সংযত থাকেন। কারন সত্যিকারের জ্ঞানীরা ফল ভারাক্রান্ত আমগাছের মতো নুয়ে থাকেন, আর মূর্খরা কিন্তু স্বল্প ফল নিয়ে তালগাছের মতো মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে থাকে। এমনটা যখোন করেই ফেলেন তখোন আপনার অবস্থানকে লক্ষকোটি প্রশ্নবোধক চিহ্নের সামনে দাঁড় করিয়ে দিচ্ছেন নিজেই । বোঝা গেল আপনি পক্ষপাতদুষ্ট বা একটি বিশেষ ধর্মের প্রতি ক্ষোভাক্রান্ত । আর পক্ষপাতদুষ্ট কিছুর পেছনে থাকে সৎ কিম্বা অসৎ উদ্দেশ্যের যে কোনও একটি । কোনটি,একমাত্র আপনিই তা ভালো বলতে পারবেন ।
কারন আপনি “হোমো স্যাপিয়েন্স” গোত্রের প্রানী । আপনার মগজের নিউরোনে নিউরোনে যে লক্ষকোটি খেলা চলে তা অন্য কোনও প্রাণীর বেলায় তেমন খেলে যায় না । তাই আপনি “সৃষ্টির শ্রেষ্ট” ।
শুধু বই-নিবন্ধ-প্রবন্ধ পড়ে জ্ঞান আহরণ কিম্বা একাডেমিক বিদ্যা এই শ্রেষ্ঠত্বকে পরিশীলিত করে মাত্র উপলব্ধি তৈরী করে দিতে পারে না । যেমন বই-রচনা-গবেষনাপত্র পড়ে এবং একাডেমিক শিক্ষায় আপনি হয়তো জানেন – কী দুর্বিসহ বস্তিবাসীর জীবন । এই জানাটুকু আপনার পূর্ণাঙ্গ জ্ঞান নয় । আপনি যতক্ষন না চোখ-কান খোলা রেখে, নিজস্ব বিদ্যা-বুদ্ধির সহযোগে একটি বস্তির সম্পূর্ণ চিত্র স্বশরীরে প্রত্যক্ষ করবেন তার আগে বস্তিবাসীর দুর্বিসহ জীবন কি জিনিষ তার আসল স্বাদ পাবেন না । স্বশরীরে এই যে দেখা ও বোঝা তা আপনার মন ও মননে যে অনুরনন তুলবে তা-ই আপনার অনুধাবন বা বোধ । এই বোধ থেকেই সৃষ্টি হবে আপনার উপলব্ধির । অন্যের রচিত বিদ্যায় যেটুকু আপনি জেনেছেন এবার পরীক্ষনে, নিরীক্ষনে, পর্যবেক্ষনে, সে জানা পূর্ণতার পথে । আর বস্তিবাসীর এই দুর্বিসহ জীবনের নেপথ্য কারন, কারনের কার্যকরন যদি আপনি বুঝে থাকেন এবং বস্তিবাসীর এই দুর্বিসহ অবস্থা থেকে তাদের পরিত্রানে আপনার অভিজ্ঞতার আলোকে যদি কোনও পথ বাৎলে দিতে পারেন তবেই আপনার জ্ঞান পূর্ণতা পাবে আর তখনই আপনাকে সত্যিকার অর্থে জ্ঞানী বলা যাবে । আর যদি এনজিও গুলোর মতো এই লব্ধ জ্ঞান থেকে ফায়দা লুটতে চান তবে কি আপনাকে জ্ঞানী বলা যাবে ? তখন হয়তো আপনাকে জ্ঞানপাপী বললে খুব একটা ভুল হবেনা বোধহয় ।

আপনার জানাশোনার পরিধির উপর আস্থা রেখে বলতে চাই, আপনি আপনার মত প্রকাশে সম্পূর্ণ স্বাধীন। এই স্বাধীনতা তুলে ধরবে, কেমন মানুষ আপনি তার চিত্র। কাদা তো সবাই-ই ছুঁড়তে জানে এবং পারেও কিন্তু সে ছুঁড়তে পারার ভেতরও একটা আর্ট থাকা চাই, একটা ষ্টাইল থাকা চাই, একটা শুদ্ধতার ছায়াও থাকা চাই যা আপনার কাদা ছোঁড়াকে বাহবা দেবে।

কথাগুলো ভেবে দেখবেন। আমি আপনার লেখাগুলো মনযোগ দিয়েই পড়ি কারন অনেক কিছু জানার আছে আপনার লেখা থেকে। নিজের ধারনাগুলোকে অন্য ধারনার সাথে মিলিয়ে দেখতেও তা সাহায্য করে। কারন, জানার কোন শেষ নেই...........................

শুভেচ্ছান্তে।

( এই মন্তব্যটি করতে গিয়ে দেখি আপনি ঈশ্বরে বিশ্বাসী। অনেক মন্তব্যেও আবার ইসলামকে নিয়ে আপনার মতামত দিয়েছেন। যা উপস্থাপনার জন্যে আপত্তিকর মনে হয়েছে। হকিন্সও কিন্তু তার লেখা বই বা বক্তৃতায় "ঈশ্বর" শব্দটি ব্যবহার করেছেন নানা প্রসঙ্গে। তাতে কিন্তু অশালীন কিছু ছিলোনা। লোকে তাকে নাস্তিক বললেও হকিন্স নিজেকে কিন্তু তেমনটা ভাবতেন না বলে মনে হয়। নইলে তিনি বলতেন না- "দুনিয়া বিজ্ঞানের নিয়ম মেনেই চলে। এমন হতে পারে নিয়মগুলো ঈশ্বরই সৃষ্টি করেছেন কিন্তু তিনি নিয়মের ব্যত্যয় ঘটানোর জন্যে কখনও হস্তক্ষেপ করেন না।" )

০৮ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৩:৫০

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: কি খুব আতে লেগেছে বুঝি এইবার? তাই এতবড় বিশ্লেষনাত্মক কমেন্ট বেরুলো। তা নাহলে বোমা মারলেও পোস্ট কমেন্ট করতো না।

পয়েন্ট ১: বিগত ৬ টি পোস্ট ইসলাম সংশ্লিস্ট পোস্ট ছিলো না। তারপরও কিছু ব্লগার পোস্টের সংশ্লিস্ট আলোচনা না করে ব্যাক্তি উদাসীকে আক্রমন করতে ব্যাস্ত। এবং এই আক্রমনের মূল অস্ত্র ছিলো ইসলাম সত্য। এর পিছে তারা অনেক যুক্তি তথ্য হাজির করেছে এবং তাদের প্রতিটা বক্তব্যের পর ব্যাক্তি আক্রমন জুড়ে দিয়েছিলো। এখন কথা হলো আমি কোনো মহাপুরুষ নই, আমার ওপর ওহীও নাজিল হয় নাই। ছোটবেলা থেকেই আমার ঘাড়ের রগ ত্যাড়া, আমার আচরন বখাটেদের মতো। ভার্সিটিতে থাকতে র‌্যাগিং মারামারি কোনো কিছুই বাদ দেই নি। এখন আমাকে আক্রমন করবেন আমি ছেড়ে দেবো তা কেন ভাবলেন? তারপরও আমি সবার বক্তব্য দলিল স হকারে খন্ডন করেছি। এমন নয় যে দলিল দেই নি। একপেশে তখনই হতো যদি আমি আমার দলিল আকড়ে বসে থাকতাম। আমি সেটাও করিনি। আমি প্রতিটা পোস্টে বলেছি ভুল হলে খন্ডন করবেন, যুক্তি দেবেন। যদি রেফারেন্স না থাকে, তাহলে সারাংশ বলেন, আমি খুজে নেবো। ব্লগার মাহমুদুর রহমান গত পোস্টে হাতে নাতে কতগুলো মিথ্যা কথা বললো। ইসলামে নিয়ে তার ব হু পোস্টে ভ্রান্ত আকীদার ছড়াছড়ি। তখন আপনাদের গায়ে লাগে না বুঝি? আমি কোথাও কি ইসলাম বিকৃতি করেছি? কোথাও ইসলামের নামে মিথ্যাচার করেছি? নবী মোহাম্মদের যে কটা বিশেষন আমি দেই: শিশুকামী, দাস ব্যাবসায়ী, ডাকাত, যৌনদাসীর কারবারী, ধর্ষক, প্রতারক, মিথ্যাবাদী: প্রতিটা বিশেষনের ইসলামী দলিল সহকারেই আমি আমার বক্তব্য স্থাপন করেছি। চ্যালেন্জ সবাইকে আগেই দেয়া যদি ইসলামের নামে সামান্য মিথ্যাচার বা বিকৃতি ঘটিয়ে থাকি তাহলে বলুন পোস্ট মুছে জনসমক্ষে ক্ষমা চেয়ে ৫ ওয়াক্ত নামাজ তোয়াক্কেলের স হিত আদায় করবো। আপনাকেও সেই চ্যালেন্জ দিলাম ভুল কোথায় বলেছি এবং আমি যে একপেশে দলিল দিচ্ছি তার সমান্তরালে এবং বিপরীতে আপনি দলিল পেশ করুন। অন্তত নিজে যে অভিযোগ করেছেন সেটার ওপর তো শক্ত হয়ে থাকুন! এতটুকু ব্যাক্তিত্বের পরিচয় আপনার কাছ থেকে আশা করতে পারি, নাকি?

পয়েন্ট ২: আপনি যখন বলছেন আপনার অনুভূতিকে আঘাত করছি, এই একপেশে কথার বিপরীতে আমি ব হুবার বলেছি আপনারা মুমিনেরা দিন রাত ব্লগে এমন সব পোস্ট দিয়েছেন যাতে আমার অনুভূতি আরও বেশী আঘাত প্রাপ্ত হয়েছে। বেশ কিছু দিন হায়াটাসে থাকার পর যখন ব্লগ লেখা শুরু করলাম তা ছিলো নিতান্ত নির্মল আনন্দের একটি পোস্ট। কমেন্ট করতে গিয়ে প্রথমে ফরিদ সাহেব আকা শিশুকামী সনেট কবি আমাকে ব্যাক্তি আক্রমন করলেন। তারপরই আমি একেশ্বরবাদ, তার ব্যুৎপত্তী ও তার বিবর্তন নিয়ে ডিটেইলে পোস্ট দিলাম। যুক্তি তো খন্ডাতে পারলোই না, মিথ্যাচার, ব্যাক্তি আক্রমন, গালি কি বাকি ছিলো না। আপনি যখন আমার অনুভূতিকে সম্মান জানাবেন না, তখন আপনার অনুভূতিকে সম্মান জানানোর কি ঠেকা পড়েছে? তারপরও মাঝে ইসলাম স হ অন্যান্য ধর্মের কূপমন্ডুকতা নিয়ে পোস্ট দেয়া বাদ দিয়েছিলাম। কিন্তু আপনারা কেউ থামেননি। এমনকি আমার পরিচিত কেউ তাদের থামতেও বলেনি। আমি কি হিজড়া না কাপুরুষ? কোনোটাই না। আঘাত করলে আঘাত পাবেন। সমস্যা হলো আমার পোস্টে আপনাদের কথা বলার সুযোগ কম। মিথ্যাচার আমার তো ধরতে পারেন না, তার ওপর ভুল তো ব হু দূর কি বাত! উল্টো আপনাদের মিথ্যাচার হাতে নাতে ধরিয়ে দেই, তখন আপনাদের আর দেখা পাই না। ব্লগার স্বপ্নডানা তো আপনাদের খোজে ঠায় হয়ে বসে থাকে। এটা দেখে আমার স্যাডিস্টিক আনন্দ হয়। নতুন নকিবের দাস ব্যাবসা নিয়ে যে মিথ্যাচার করেছিলো ব্লগে তার দলিল স হ প্রমান ব্লগার নতুনের প্রতি মন্তব্যে দিয়েছি। ভুল করে থাকলে বলুন। আমি মুছে দিচ্ছি।
আমি কখনোই নিজেকে ভদ্রলোক দাবী করি না। আমি অতিরূক্ষ এবং বখাটে টাইপের ছেলে ছিলাম। এখন সভ্য জগতে এসে নিজের রাগকে সম্বরন করি এই যা।

পয়েন্ট ৩: আমি কখনোই নিজেকে জ্ঞানী বা প্রজ্ঞাবান দাবী করিনি, হবার ইচ্ছে নাই। ইদানিং কাজের পর অফুরন্ত সময় থাকে তাই প্রচুর বই পড়ে সময়টাকে কাজে লাগাই এবং সেসবের ওপর ভিত্তি করে ব্লগ ও অন্যান্য সাহিত্য পাতায় লেখা পাঠাই। এটা আমার শখ। আপনি একটা কমেন্ট করুন, পয়েন্ট মতো লিখুন। ব্যাক্তি আক্রমন না করে সাবলীল ভাষায় লিখে যান দেখেন আমি কিভাবে উত্তর দেই। লিসানী, ম্যাভেরিক স হ ব হু ধার্মিক, আস্তিক মানুষের সাথে তাদের ব্লগিং এর শেষ দিন পর্যন্ত সখ্যতা ছিলো এমনকি তাদের ফেসবুকেও বিদ্যমান। পুরোনো আইডিতে এমনকি মুফতি হুজুর পর্যন্ত ছিলো। তারা কেউ ব্যাক্তি আক্রমন করেননি, আমিও করিনি। আপনি কে আমার কাছে? শুধু একটা ব্লগীয় নাম। এমন না যে আপনি আমার জমির ওপর ভাগ বসাইছেন বা বাড়া ভাতে ছাই দিছেন? আপনার সাথে আমার সমস্যা হবে কেন? আপনি আমাকে গালি দিবেন কেন? আমার সমস্যা নির্দিস্ট মতাদর্শের কারনে সংঘটিত জঙ্গিবাদ, বাল্যবিবাহ, শিশুকাম স হ মানবতার বিরুদ্ধে ঘৃন্য কাজের প্রতিবাদ হিসেবে লেখা। তাতে আপনার সমস্যা হতেই পারে। আপনি মনে করতেই পারেন ঐ নির্দিষ্ট মতাদর্শে এসব নেই। যদি না থাকে তাহলে নিশ্চয়ই আপনার একটা বক্তব্য থাকবে। তাহলে আপনি সেই বক্তব্য দিতে গিয়ে বা না দিয়ে আমাকে উল্টো ব্যাক্তি আক্রমন করবেন তাহলে প্রতি উত্তরে কি পাবেন? এমন না যে আপনাদের কমেন্টের কোনো উত্তর দেই না অথবা তেড়ে আসি। আমার সাথে মতপার্থক্য হাসান কালবৈশাখীর হয়। আমি এন্টি লীগ, হাসান কাল বৈশাখী পাড় আওয়ামী লীগ। অতীতে তার সাথে ব হু বার এটা নিয়ে ঝগড়া হয়েছে কিন্তু ব্যাক্তি আক্রমন তাকে বা সে আমাকে করেননি। নতুন ভাইয়ের সাথে এই পোস্টেই মতপার্থক্য হলো, ভালো করে পড়ে দেখুন। সে তার বক্তব্য দিয়েছেন আমি তার বক্তব্য দিয়েছি এবং শালীনতা বজায় রেখেছি। এখন আপনি আমাকে যা দেবেন, আপনি সেটা ফেরত পাবেন না তা কিভাবে হয়?

পয়েন্ট ৪: আমি যেসকল তথ্যের ভিত্তিতে আলোচনা করি, তার বিরুদ্ধে অবশ্যই হাজার হাজার আলোচনা থাকতে পারে। তাহলে সেগুলো নিয়েই বা কেউ শুরু করছে না কেন? কাউকে তো বেধে রাখছি না। নাকি আপনি মনে করেন সেগুলো আমি পড়িনি? আমি যখনই কোনো তথ্যের ভিত্তিতে একটা পোস্ট লিখে নিজের মতামত দেবার চেস্টা করি, সর্বপ্রথম তার বিরুদ্ধ মতগুলো পড়ে নেই এবং যখন দেখি বিরুদ্ধ মতগুলো আরো বেশী শক্তিশালী, পারতপক্ষে সেসব তথ্যের ভিত্তিতে পোস্ট লেখাটাই এড়িয়ে চলি। কারন যদি বিরুদ্ধ শক্তিশালী এবং সত্য মত গুলো চেপে গিয়ে পোস্ট দেই, তাহলে সেটা হবে প্রতারনা। এবং দীর্ঘ প্রায় ১২ বছর অনলাইনে যেসব লিখছি, আপনি মনে করেন এসব লিখে পার পেতে পারতাম? কখনোই না। এরকম ধরা খেয়ে ব হু ব্লগার (এস এম রায়হান সাহেব যাকে আমরা তালগাছবাদী বলে ডাকতাম, উনি এর সবচেয়ে উৎকৃস্ট উদাহরন হতে পারে) ব্লগ লেখা বন্ধ করে দিয়েছে। ব্লগার দাসত্বের মতো শক্তিশালী ব্লগার, ধর্ষিতা হেনার বিরুদ্ধে শিশুকামী লেখা লিখে তার অনলাইন একটিভিজমের ইতি টেনেছেন কয়েক রাতের ব্যাবধানে। তাকে আমরা ফেসবুকেও তাড়া করতে ছাড়িনি পরবর্তী দুটো বছর। এখন তার ঐ আইডি একটা মৃত ফসিল। আমিও যদি তাদের মতো হতাম, তাহলে আমার মতো একজন এন্টি আওয়ামী লীগার, এন্টি বঙ্গবন্ধু, এন্টি জামাত, এন্টি বিএনপি, ইসলামোফোবকে কি কেউ ছেড়ে দিতো? তারপরও আমি মনে করি আমার পোস্টে যেসব যুক্তি থাকে তার অনেক বিরুদ্ধ যুক্তিও আছে, থাকতে পারে। তাহলে দিন সেসব যুক্তি। আলোচনা করি। নিরেট ভাষায় লিখলে আমি নিরেট ভাষায় উত্তর দেই নি এমন কি কখনো হয়েছিলো? জানাবেন।

পয়েন্ট ৫: হকিংস কখনোই ব্লাক হোল নিয়ে সন্দেহ পোষন করেননি। তার সন্দেহ ছিলো ব্লাক হোলে পতিত হওয়া বস্তুর তথ্য হারিয়ে যায় এটা নিয়ে। তেমনি আইনস্টাইনের কসমোলজিক্যাল কনস্ট্যান্টের ব্যাপারে যেটা বললেন আসলে ঘটনা সেটা না। আইনস্টাইন স্থির মহাবিশ্বে বিশ্বাসী ছিলেন। তিনি তার ফিল্ড ইকোয়েশনে এই কসমোলজিক্যাল কনস্ট্যান্ট আনেন এই জন্য যে মহাবিশ্ব যাতে নিজের গ্রাভিটির কারনে সংকুচিত না হয়ে যায়। যখন তিনি কসমোলজিক্যাল কন্সট্যান্ট বসান তখনও এডউইন হাবল তার পর্যবেক্ষন তুলে ধরেননি এবং সবাই ধারনা করতেন যে মহাবিশ্ব স্থিতিবস্থায় বিদ্যমান। মহাবিশ্বকে তারা কখনো ফ্লাট বা সমতল ভাবেননি, প্রশ্নই আসেনা। এডউইন হাবল যখন ত্রিশের দশকে তার পর্যবেক্ষনে উল্লেখ করলেন স্থানিক মাত্রায় মহাবিশ্বের প্রসারন ত্বরনায়িত হচ্ছে তখন আইনস্টাইনের স্থির মহাবিশ্ব সম্পর্কিত ধারনাটি ভুল প্রমানিত হয় এবং রেড শিফটের প্রসারনতাই এই স্থানিক প্রসারনের দিক নির্দেশ করে। ফলে আইনস্টাইন এই ভুলের কারনে কসমোলজিক্যাল কনস্ট্যান্টের ধারনা ত্যাগ করেন। কিন্তু গত শতাব্দীর ৮০ এর দিকে এ্যালান গুথ স হ বেশ কয়েক জন পদার্থ বিজ্ঞানী কসমিক ইনফ্লেশন ও ক্যাওয়াটিক ইনফ্লেশন নিয়ে যে কাজ করেছেন এবং পরবর্তীতে কসমিক ব্যাকগ্রাউন্ড রেডিয়েশনের যে হিসাব পাওয়া গেলো তখন ডার্ক এনার্জী তথা কসমোলজিক্যাল কনস্ট্যান্টের ধারনা আরও পাকাপোক্ত হলো। গত দশকে সম্ভাব্য ৫ম মৌলিক বল নিয়ে আরও একবার কথা উঠলো তখন সবাই শিওর হলেন যে আইনস্টাইন আদতে ঠিকই ছিলেন। তিনি ভুল করে ভুল প্রমানিত হতে পারেননি। এবং টেকনোলজিক্যাল সীমাবদ্ধতার কারনেই বলা যায় তিনি সে ধারনা ত্যাগ করেছিলেন। এখানে বিজ্ঞানের পরিবর্তনশীলতার মতো বোকা ঠাকুরের যুক্তি আসলেই হাস্যকর। বিজ্ঞান মানেই হলো ট্রায়াল এন্ড ইরোর। কোনো প্রতিষ্ঠিত বৈজ্ঞানিক তত্ব আপনি কখনোই ভুল প্রমান করতে পারবেন না তবে হাইপোথিসিস ট্রায়াল এন্ড এরোরের মাধ্যমে তত্ব হিসেবে একদিন প্র‌তিষ্ঠিত হয় অথবা হারিয়ে যায়। ধর্ম বিশেষ করে ইসলাম ধর্ম বেচে আছে এখন নিজের আরবী অনুবাদ পরিবর্তন করে। ১৮ শতকের অর্থের সাথে ১৯ শতকের অর্থের কোনো মিল নেই, আবার গত শতাব্দীর আশির দশকে অর্থলোভী মরিস বুকাইলি ও কিথ মুরকে দিয়ে আরো এক দফা অর্থ পরিবর্তিত করা হয়েছে। এখন চারিদিকে সন্ত্রাসবাদের চাপে প্রতিটা দেশ এমনকি বাংলাদেশেও হাদিসের সংস্কার এবং কোরানের অর্থ ও তাফসীর নতুন করে লেখা শুরু করে বাজার জাত শুরু হয়েছে যা নিয়ে মাদ্রাসা বোর্ডের নানা গ্রুপের মধ্যে অসন্তোষ বিরাজ করছে। আমি তো দেখছি ধর্মটা আদেকলার মতো নিজেকে পরিবর্তন করে কোনো মতে বেচে বর্তে আছে।

পয়েন্ট ৬: আমি যেহেতু মাদ্রাসা দিয়ে আমার শিক্ষাজীবন শুরু করেছি সেহেতু আমি ইসলাম সম্পর্কেই বেশী জানবো। তাই আমি যখন কোনো ধর্ম নিয়ে কথা বলতে যাবো স্বভাবতই সেটা ইসলাম হবে। এখন খ্রিস্টান বা ইহুদী আমার ধর্ম নয়, সুতরাং অসম্পূর্ন জ্ঞান নিয়ে সেসব ধর্মের বিরুদ্ধে কথা বলাই বোকামী। তাই বলে আমার ওল্ড টেস্টামেন্ট নিউ টেস্টামেন্ট, তোরাহ বেশ ভালো ভাবেই পড়া আছে। এবং আমাকে যখন জিজ্ঞেস করা হয় কোন ধর্ম সত্য তখন আমি তাকে এই ব্লগটা পড়তে অনুরোধ করি। আপনি যদি পড়েন তাহলে অন্যান্য আব্রাহামিক ধর্ম সম্পর্কে আমার অবস্থান পরিস্কার হবে।

পয়েন্ট ৭: আমি ঈশ্বরে বিশ্বাসী এবং মনে করি যে ঈশ্বর এত বড় মহাবিশ্ব সামান্য স্ট্রিং থেকে শুরু করে সাব এ্যাটোমিক পার্টক্যাল এক্সোটিক ম্যাটার দিয়ে পরমানু অনু এবং তা দিয়ে এত বড় মহাবিশ্ব মাল্টিভার্স সৃষ্টি করেছেন, তিনি তার বানী পৌছে দেবার জন্য দাস ব্যাবসায়ী শিশুকামী প্রতারক, মিথ্যাবাদী ধর্ষকের আশ্রয় নেবেন না। অথবা তিনি তার সৃষ্টি জগতের কল্যানের জন্য মেয়েদেরকে যৌনদাসী বা সামান্য যৌনাঙ্গে হাত লাগলে হাত কাটার আদেশ দেবেন না (তোরাহ) অথবা মাত্র কয়েকজনের জন্য পুরো জনপদের অজস্র নীরিহ মানুষ শিশুর প্রান সংহার করবেন না। এগুলো সব বানানো কথা। এবং বানানো এজন্য বলবো যে বাল্যবিবাহ একটি মেয়ের জন্য মৃত্যুদন্ড এবং সব আব্রাহামিক ধর্মেই এটা চালু রেখেছে, চাদের দাগ নেই, পাহাড় স্থির নয়, মানুষ জন্মানোর জন্য শুক্রানুর পাশাপাশি ডিম্বানুরও দরকার এরকম ছোটোখাটো ভুল তিনি করবেন না। বরংচ আয়েশার সতীত্ব বা নবীর ঘরের বিবাদ মেটানো বা চাচাতো বোনকে যাতে বিয়ে করতে পারে ঘরে ৪-৫ টা বৌ জীবিত থাকা সত্বেও সেজন্য তিনি তার লেখা বইতে আয়াত নাযিল করবেন না। এটা একটা সুস্থ মস্তিস্কের মানুষ খুব স হজেই বোঝে। এবং আজ পর্যন্ত আপনি নেট খুজে বা তাফসীর সীরাত ঘেটে এর পক্ষে সন্তোষজনক কোনো উত্তরও পাবেন না। বরংচ তাফসীর ও হাদিসগুলোতে যেসব বক্তব্য দেয়া আছে সেগুলো ভালো করে পড়লে মনে হবে আফ্রিকার জুলুরাও এত নিরক্ষর ও জঙ্গি ছিলো না। তাই আমার মতো আব্রাহামিক ধর্ম গুলো কখনোই সত্য ছিলো না। আর নৃতত্ব, আর্কিওলজিক্যাল প্রুফ, সায়েন্টিফিক প্রুফ, ইতিহাসগত প্রমান কোনো কিছুই আব্রাহামিক ধর্মগুলোর ভ্যালিডিটি দেয় না। দর্শন যদি ভালো করে বুঝে থাকেন তাহলে দর্শন এখন পর্যন্ত যতদূর ডিসকোর্স হয়েছে তাতে ঈশ্বরের কনসেপ্টই হালে পানি পায় না। এবং দর্শন শাস্ত্র মতে কাছাকাছি যেতে পেরেছে গৌতম বুদ্ধের বুদ্ধ ধর্ম যদিও এটা একটা আশ্চর্য ধর্ম কারন এটা একটা নাস্তিক্য ধর্ম। কখনো কি এভাবে ভেবেছেন´?

পয়েন্ট ৭: "দুনিয়া বিজ্ঞানের নিয়ম মেনেই চলে। এমন হতে পারে নিয়মগুলো ঈশ্বরই সৃষ্টি করেছেন কিন্তু তিনি নিয়মের ব্যত্যয় ঘটানোর জন্যে কখনও হস্তক্ষেপ করেন না।" এটার রেফারেন্স দেন। রেফারেন্স দিলে আপনার জন্য আমি আলাদা পোস্ট দিবো। সময় করে আসবেন অনেক আলোচনা হবে। রেফারেন্সটা দিন প্লিজ

সুযুক্তি কুযুক্তি বলে কিছু নেই। আছে যুক্তি অথবা ফ্যালাসী অথবা গোয়াড়তুমী। কুযক্তি যদি কিছু থেকে থাকে তাহলে সেটা হবে ফ্যালাসী। ফ্যালাসী নিয়েও আমি বেশ কিছু পোস্ট লিখেছি। সেখানে বেশ কিছু বই ও জার্নাল লিংক আছে। আপনি বাজারে গেলেও অনেক বই পাবেন, নেটে ফ্রিতে বিভিন্ন ইউনির দর্শনের ফ্যাকাল্টি ফ্যালাসীর ওপর সুন্দর ম্যাটেরিয়াল আপ করে রেখেছে। আপনি সেগুলো পড়ে আসুন। আপনার সাথে আলোচনা অবশ্যই জমবে।

নিজের বিশ্বাসের জন্য এতটুকু সময় দেবেন না, তাহলে কিভাবে দাবী করেন আপনি বিশ্বাসী?

১৯| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৮:৪৯

আহমেদ জী এস বলেছেন: উদাসী স্বপ্ন,



প্রতিমন্তব্যের জন্যে ধন্যবাদ।
না.... আমার আঁতে লাগেনি মোটেও কারন আমি ঐ জাতীয় ঠুনকো সেন্টিমেন্টের বাইরে।
পাশাপাশি বলে নিই-ধর্ম সম্পর্কে আমি একেবারেই নিস্পৃহ। খেয়াল করলে দেখবেন, ব্লগের ধর্মীয় বিষয় নিয়ে লেখাগুলোতে আমার পদচারণার ছাপ নেই মানে মন্তব্য করিনে কারন তাতে বিভ্রান্তি বাড়ে, কলহ ছড়ায় যা আমার মোটেও কাম্য নয়।
যুক্তিবিহীন অন্ধ বিশ্বাস মানুষকে অনমনীয় আর হিংস্র করে তোলে। বিশ্বাস হলো একচোখা হরিণের মতো। তাতে বুদ্ধিবৃত্তিক কিছুর স্থান নেই। তাই এই আমি অন্ধবিশ্বাসের পক্ষপাতী নই মোটেও। আর ধর্ম তো দাঁড়িয়ে থাকে অন্ধ বিশ্বাসেরই উপর যেখানে কোনও যুক্তি ও জ্ঞানের প্রবেশাধিকার নেই।
আর রেফারেন্স প্রসঙ্গে একটু ভূমিকা দিয়ে নেই -- সময়ের টানাটানির ফাঁকে ফাঁকে নেটে আমি বিভিন্ন বিষয়ের উপরে লেখা পড়ে সময় কাটাই। তারপরে ঘরে ফিরে নিজের ব্যক্তিগত কাজের ফাঁকে ফাঁকে ব্লগের লেখা পড়া ও প্রাসঙ্গিক মন্তব্য করতে গিয়ে বাকী সময়টুকু সময় খরচ হয়ে যায়। যা পড়ি তা অন্যকারো সাথে আলোচনা করার সুযোগ আমার নেই। কারন জ্ঞান বিষয়ক আলোচনা কেউ শুনতেও চায়না আর আলোচনাও চায়না। ফলে একা একা যা পড়ি তা ঝালাই করে নেয়ার অভাবে অল্পেতেই ভুলে যাই। শুধু পছন্দনীয় কোনও বিশেষ বাক্য বা তথ্য মনে থাকে বেশ কিছুদিন। কিন্তু কিছু কিছু সময় মনে রাখতে পারিনে কোন সাইট থেকে আমি তা আহরন করেছি। পড়ার সময় মনে হয় রেফারেন্স রেখে লাভ কি ? নেটেই তো আবার পাওয়া যাবে ভেবে সিংহ ভাগেরই রেফারেন্স রাখা হয়না। অবশ্য পরে খুজে আর সে বিষয়টি নাগালে পাইনে। বিষয়ের ভীড়ে সময়কালে আসল সাইটটি আর খুঁজে পাইনে।
তাই আপনার চাওয়া রেফারেন্সগুলো দিতে কষ্ট হবে কারনটা আগেই বলেছি। আর ব্লাক হোলের ব্যাপারে স্মৃতি বিভ্রাট এর কারনে হকিন্সের কথা লিখেছি। ওখানে “আইনষ্টাইনের” নামটি হবে।
কিছু সূত্র -
SPACE
ব্লাকহোল
Stephen Hawking: "There Are No Black Holes"
The notion of an "event horizon," from which nothing can escape, is incompatible with quantum theory, Hawking says।
হকিন্স আসলে বলতে চেয়েছেন " ব্লাকহোল" আসলে সেই হোল নয় যা সবকিছু শুষে নেয়। সে সব সময় কিছু ছড়ায়ও যা রেডিয়েশন।

ঈশ্বরের মন’ পড়তে পেরেছিলেন আইনস্টাইন!

এবারে আপনার মন্তব্যের প্রথম লাইনটি সম্পর্কে বলি- এতবড় বিশ্লেষনাত্মক কমেন্ট বেরিয়েছে আপনার প্রতি আস্থা থেকে । আপনার জানা-শোনার পরিধির ব্যাপ্তিতে আপনাকে আমি বাহবা দিয়েছি সম্ভবত কয়েকবার। কিন্তু আপনার পোস্টে ক্যাচাল (যেমনটা আপনি বলেছেন মন্তব্যে)দেখে আপনার প্রতি আমার একটা সহানুভূতি কাজ করে সবসময়।যেখানে আপনার প্রশংসা পাওয়া উচিৎ সেখানে আপনাকে ব্যক্তিগত আক্রমন করাটা আমাকে ভাবায়। জ্ঞানের প্রতি একটা নিরন্তর ভালোবাসা আছে বলেই আপনাকে আমি সতর্ক করে এই এতবড় বিশ্লেষনাত্মক মন্তব্য করেছি। সেটা কখনই আঁতে ঘা লেগেছে বলে নয়। বোঝার মন নিয়ে পড়লে আপনি তা বুঝতে পারতেন আমার বাক্য প্রক্ষেপন থেকে এবং আশা করি পারবেনও। ঘা লাগাই যদি হতো তবে আমার মন্তব্যের শেষে “শুভেচ্ছান্তে” শব্দটি আমার লেখার কথা নয়। বোমা মারলেও এই শব্দটা ব্যবহার করতুম না।এটা অনেকটা কবির ভাষায় “ আধ মরাদের ঘা মেরে তুই বাঁচা” আঙ্গিকে আপনাকে সতর্ক করে পরিমিতি বোধ,সংযম,সহনশীলতার পরিচয় দিতে অনুরোধ করেছি মাত্র। যাতে আপনার তথ্য বহুল বিশ্লেষণযুক্ত লেখাগুলো সব মহলে সমাদৃত হয়, যা আপনার প্রাপ্য।
আপনাকে অযাচিত ভাবে এমন অনুরোধ বা বলতে পারেন উপদেশ দেয়াটা হয়তো আমার ভুল! তবে তেমন ভুলের কারনে যদি একজন সত্যিকারের জ্ঞান-যৌক্তিকতা-বিশ্লেষনী গুন সমৃদ্ধ কেউ তার যোগ্য স্থানটি পান তবে তেমন ভুল আমি বারে বারে করতে চাই বিশেষ করে সামু ব্লগের এই ক্রান্তিকালের দিকে তাকিয়ে।

নিজের প্রতি বিশ্বাস থেকেই আশা করি আমাকে ভুল বুঝবেন না।
শুভেচ্ছান্তে।

০৮ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১০:২৫

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: ক্যালকেশিয়ানরাই পারে পদার্থবিজ্ঞানরে পুরা নির্জলা সাহিত্য বানাতে। পুরা বাকরুদ্ধ হয়ে গেলাম। মনে হলো উপন্যাস পড়তেছি। লিখেছেন এমন ভাবে টেকনিকাল খুঁটিনাটি সুন্দর ভাবে এড়িয়ে গেছে যাতে বিতর্ক না ঘটে। কি বলবো বুঝতে পারছি না। লেখাটা পড়ে কিছুক্ষন থ মেরে বসেছিলাম।

যাই হোক আপনার কমেন্ট পড়ে কেবল ক্লিয়ার হলো। মানুষ জনের কমেন্ট পড়তে পড়তে মেজাজ ঠিক থাকে না। নিজের যত সংযত করার চেস্টা করি মানুষের নির্বুদ্ধিতা ও বযাক্তি আক্রমন দেখলে ধৈর্যের বাধ ভাঙ্গে।

বুঝিয়ে বলার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। মতের অমিল হোক, তারপরও আলোচনা চলুক। আলোচনা যদি স্বয়ং ইংলিশও করে সংযত ও যুক্তিপূর্ন ভাবে আমি তাতেও খুশি।

আমায় ক্ষমা করবেন প্লিজ

২০| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ১০:৪৪

স্বপ্নডানা১২৩ বলেছেন: আহমেদ জী এস এবং উদাসী স্বপ্ন - দুই ভাইকেই টুপি খোলা সালাম । এভাবেই আলোচনার মাধ্যমে ভুল বোঝাবুঝি দূর হয় ।

০৯ ই এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ১২:১৯

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য

২১| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৯ রাত ৮:৩০

সাকিবুল ইসলাম সাজ্জাদ বলেছেন: আমি জানি না আপনার ব্যান উঠে গেছে কিনা? গেলে খুব ভাল লাগত। রাজীব নুর ভাইয়ের ৬ নং কমেন্টের প্রতিউত্তরে সাথে আমি একমত। ১৫ নং কমেন্টে আপনি সুষুপ্ত পাঠকের যেই ফেইসবুক পোস্ট টা দিয়েছেন সেইখানে একটা বিজ্ঞানের ভুল আছে। যদিও ভুলটা খুবই সূক্ষ্ম
আসলে কি জানেন, আমাদের একজন বড় বিজ্ঞানী আছেন আইনস্টাইন। তিনি আপেক্ষিক তত্ত্ব নামের একটা জিনিস আবিস্কার করে বিখ্যাত হয়ে গেছেন। তার সেই আবিস্কার বলে, কোন বস্তু যদি আলোর গতির সমান ছুটতে পারে তাহলে তার সময় স্থীর হয়ে যাবে। তার মানে আমাদের নবীজি যদি দাবী করে থাকেন তিনি ২৭ বছর পার করে এসেছেন এর মানে দাঁড়াচ্ছে আল্লার আরশ পৃথিবী থেকে আসতে যেতে ২৭ আলোকবর্ষ দূরে। আলোর গতিতে বুরাকে চেপে তিনি মহাশূন্য ভ্রমণ করে আসলে তার সময় ধীর হতে হতে সেটা বড়জোর কয়েক ঘন্টা বা এক রাত্রী সমান হলেও পৃথিবীতে ঠিকই ২৭ বছর পার হয়ে যাবার কথা! তাহলে তিনি কি করে এসে দেখলেন আপনি তখনো ঘরে বসে আছেন? পৃথিবী একই রকম থেকে গেছে? বৈজ্ঞানিকভাবে তো এটা যাচ্ছে না?
২৭ বছর পার করে আসলে যে ২৭ আলোকবর্ষ দূরে হবে সেইটা মোটেও ঠিক না। কারণ লরেনয ট্রান্সফরমেশন অনুযায়ী যদি আলোর বেগেও যায় সময় অসীম। আর দুরুত্ব কেমনে বের করবেন? আর দুরুত্ব কেও যদি লরেনয ট্রান্সফরমেশন দিয়ে হিসেব করতে যান তাহলে তো দুরুত্ব কমে যাওয়ার কথা, কারণ লরেনয ট্রান্সফরমেশন টা দুরুত্বের সাথে গুন হয় আর সময়ের সাথে ভাগ হয়।
আমি থিওরি অফ রিলেটিভিটি শিখেছি খোদ আইনস্টাইনের ১৯০৫ সালে প্রকাশিত On the Electrodynamics of moving bodies. আমরা রিলেটিভিটি ব্যাখ্যা করার সময় কমন যে ভুল টা করি সেইটা হচ্ছে রেফারেন্সে ফ্রেম পৃথিবী ধরি। রিলেটিভিটি অনুযায়ী আলোর বেগ হচ্ছে রেফারেন্সে, সব হিসাব হবে আলোর বেগ দিয়ে। এখন একটা বস্তু যদি স্পেসে আলোর কাছাকাছি বেগে চলে সে দেখবে সব ঠিক আসে কারণ এইখানে তার রেফারেন্স আলোর বেগ কিন্তু যে পৃথিবীতে বসে স্পেসের বস্তুটাকে দেখছে সে দেখবে স্পেসে অনেক সময় নিয়ে একটা ঘটনা ঘটছে কারণ তার রেফারেন্স আলোর বেগ না, সে পৃথিবীতে বসে আলোর বেগের বস্তু দেখছে।
আমি সুষুপ্ত পাঠকের বাকি যুক্তিগুলোর সাথে একমত। মোল্লারা তো বলবে আল্লাহর নবী আলোর চেয়ে বেশি বেগে গেছে, আর বিজ্ঞান বলে সর্বচ্চ বেগ আলোর বেগ। এদের তো বুঝানো সম্ভব না ফোটন কণার ভর স্থির অবস্থায় শুন্য বলেই আলোর বেগে চলে, তখন আপেক্ষিক ভর অসীম হয়ে যায়। যদিও এই কথাও সত্য না, ফোটন কণার ব্যাখ্যা অন্যরকম। ।

২৫ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১১:০৮

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: তা আপনি লেখা বন্ধ করলেন কেন? ভালোই তো লিখছিলেন। যেখানেই থাকেন, যত ব্যাস্তই থাকুন আসবেন দয়া করে। পড়াশোনা জানা লোকের সাথে আলোচনা করে মজা পাই। অনেক কিছু জানতে পারি। জানার যে ক্ষুধা এটা এক্টা নেশার মতো

২২| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১২:৩৬

ঘুটুরি বলেছেন: আপনার পোস্টটি একই সাথে অসাধারন এবং জটিল, কিন্তু আপনার উপস্থাপন এত সহজ সরল যে এইরকম একটি জটিল বিষয় নিয়ে লেখা পড়বার আগ্রহ বারবার জাগে। পুরো পোষ্টটি এক নিঃশ্বাসে পড়েছি। পোস্টে কমেন্ট সেকশানে আপনার প্রতিউত্তর গুলি পড়ে আরো বোঝার চেষ্টা করছি।

২৫ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১১:০৯

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য। প্রশ্ন থাকলে করতে পারেন। আলোচনা শুরু করতে পারেন, এভাবে আমারও অনেক কিছু জানা হবে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.