নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ঈশ্বর পটল তুলছে - নীৎসে/নীশে/নিৎচা

উদাসী স্বপ্ন

রক্তের নেশা খুব খারাপ জিনিস, রক্তের পাপ ছাড়ে না কাউকে, এমনকি অনাগত শিশুর রক্তের হিসাবও দিতে হয় এক সময়। গালাগাল,থ্রেট বা রিদ্দা করতে চাইলে এখানে যোগাযোগ করতে পারেন: [email protected]

উদাসী স্বপ্ন › বিস্তারিত পোস্টঃ

দুই টাকার বিশ্বাস

১৬ ই এপ্রিল, ২০১৯ ভোর ৫:৩৪


বিচারক আসামীকে ভর্তসনা করছেন তার অপরাধের জন্য। সাজা ঘোষনার সময় বিচারক সবাইকে চমকে দিয়ে রায় দিলেন,"তোমার ফাঁসি হবে পরবর্তী সপ্তাহের যেকোনো কর্মদিবসের দুপুরবেলা। কোনদিন হবে তা তুমি জানবে ফাঁসির কয়েক মিনিট আগে, এটা তোমার জন্য একটা সারপ্রাইজ।" এই বলেই ফাঁসীর কাগজে সই করে কলম ভেঙ্গে ফেললেন।

সবার জন্য আরো বিস্ময় অপেক্ষা করছিলো যখন দেখা গেলো আসামী রায় শুনে হাসছে। আসামী প্রায় ধরেই নিলো যে তার ফাঁসি হচ্ছে না। কেন? ধরা যাক আজকে বৃহস্পতিবার। কাল শেষ কর্মদিবস। আর তাই যদি হয়, তাহলে কাল শুক্রবার তার ফাঁসি হলে সেটা সারপ্রাইজ থাকছে না। আবার আজ যদি বুধবার হয় তাহলে কাল বৃহস্পতিবার। সেক্ষেত্রে কাল ফাঁসি হলে সেটাও সারপ্রাইজ থাকছে না কারন সে অলরেডী জেনে ফেলেছে যে কাল বৃহস্পতিবার এবং তার পরের দিন শুক্রবার, সপ্তাহের শেষ দিন। ঠিক এমনিভাবে মঙ্গলবার সোমবারও ফাঁসি হবার সম্ভাবনা নাকচ করে দেয়া যায় এবং জেল খানায় নিজের সেলে ঢুকে সে দিব্যি নাকে তেল দিয়ে ঘুমাতে লাগলো। পরবর্তী সপ্তাহের বুধবার তাকে অবাক করে দিয়ে ঠিক দুপুর বেলা ফাঁসি হয়ে গেলো। সেক্ষেত্রে বিচারকের কথা আক্ষরিকভাবেই সত্য হলো। কারন বুধবার দুপুর বেলা কর্মদিবস ছিলো এবং সেটা তার জন্য আসলেই সারপ্রাইজ ছিলো যেটা কিনা আগে থেকে সে বুঝতে পারেনি।

আসলে যুক্তিটি আসামীর ক্ষেত্রে সত্য প্রমানিত হয়নি কারন তার জ্ঞানের পরিমন্ডল নির্দিস্ট দিকে ধাবিত করার জন্য বিচারক সাহেব একটা হেয়ালী পূর্ন বাক্য তৈরী করেছেন। সেক্ষেত্রে তার ফাঁসি কবে হবে সেটা তিনি আগেই ঠিক করে রেখেছেন কিন্তু আসামীকে দ্বন্ধে ফেলার জন্য সাংঘর্ষিক বাক্যের ব্যাবহার করেছেন। যেহেতু আসামী খুব করেই চাচ্ছিলেন ফাঁসি থেকে বাচতে, তাই তার অবচেতন মন এমন একটা সিদ্ধান্তের দিকে ধাবিত করতে অনুপ্রানিত করেছে।

অবচেতন মনের কার্যপ্রক্রিয়া বড়ই আজব যার সাথে বিশ্বাস কথাটা ওতপ্রোতভাবে জড়িত। আরেকটা উদাহরন দেয়া যেতে পারে। ধরা যাক রহিম মিয়াকে একটা জানালা বিহীন সাউন্ডপ্রুফ ঘরে বসিয়ে রাখা হলো। বাইরে ঝুম বৃষ্টি শুরু হলো এবং রহিম সাহেব ঘুনাক্ষরেও টের পেলো না বাইরে বৃষ্টি হচ্ছে। এখন আপনাকে ইনজেকশন দিয়ে অজ্ঞান করে রহিম সাহেবকে ঘর থেকে বের করে আপনাকে ঘরের ভেতর রাখা হলো। আপনার জ্ঞান ফিরলে মনে হবে বাইরে তো বৃষ্টি হচ্ছে কিন্তু ঠিক যেনো বিশ্বাস হচ্ছে না। আবার রহিম সাহেব বাইরে এসে ভাবতে শুরু করলেন, বাইরে বৃষ্টি হচ্ছে কিন্তু তিনি যখন ভেতর ছিলেন তখন তিনি বিশ্বাস করেছিলেন বাইরে আদৌ বৃষ্টি হচ্ছে না, আদতে বাইরে বৃষ্টি হচ্ছে।

এখানে আপনার বিশ্বাস পুরোপুরি ভ্রান্তির ভেতর ঘুরপাক খাওয়া শুরু করেছে। মানুষের বিশ্বাসকে দ্বন্ধে ফেলা খুবই সহজ ব্যাপার যদি আপনি তার দৃষ্টিগ্রাহ্য বা ইন্দ্রিয়গত চেতনাকে দ্বন্ধে ফেলতে পারেন। এর সবচেয়ে সুন্দর উদাহরন ছোটবেলায় স্কুল থেকে বিনে পয়সায় বোর্ডের বই দেয়া হতো তখন সকল বইয়ের সাইজ একই রকম একই পৃষ্ঠার একই ছাপার অক্ষরে। আমরা একেকটা বেঞ্চে ৫ জন বসতাম। ৫ জন ৫ টা বই পেয়ে নিজেদের নাম লিখে রাখতাম। কিন্তু অনেকেই নাম লিখতো না। যারা নাম লিখতো না তাদের মধ্যে বই অদল বদল হলে ধরার উপায় নাই। সন্দেহ তখন চরমে হবে যখন সে বলবে এটা বাংলা বই কিন্তু আমার বিশ্বাস এটা তার নিজের বাংলা বই না। অথচ সকল বাংলা বই একই।

মানুষের বিশ্বাস যদি আগে থেকেই কোনো কিছুর ওপর ঝুঁকে থাকে অথবা অতি শৈশব থেকেই নির্দিষ্ট কিছু মৌলিক ধারনা শেখানো হয়, তাহলে সেই ধারনা বা ঐ ঝোঁকের ওপর নির্ভর করেই বিশ্বাসী হবার সিদ্ধান্ত নয়। সেক্ষেত্রে যুক্তি খুব বেশী প্রাধান্য পায় না এবং যুক্তিবোধ কাজে লাগানোর মতো ধৈর্য্য ও স্পৃহা থাকে না। যেহেতু যুক্তিবোধের ব্যাবহার অদক্ষ ভাবে ব্যাবহৃত হয় তাহলে ধরেই নেয়া যায় তার মস্তিস্কের ব্যাবহার ততটা বিস্তৃতি লাভ করবে না।

এক্ষেত্রেও একটা উদাহরন দেয়া যেতে পারে। ধরেন আপনি ক্রীড়া সংস্থার ৪০ লাখ টাকার লটারী কিনলেন। আপনি জানেন যে বিন্যাস সমাবেশ ও প্রোবাবিলিটির হিসাব অনুযায়ী ১০ মিলিয়ন ভাগের ১ ভাগ চান্স আছে আপনার ঐ লটারী জেতার। তার মানে এটাও সত্য যে আপনি যদি ১০ মিলিয়ন লটারী কেনেন তাহলে আপনার ভাগ্যের শিকে ছিড়তে পারে যদিও এটা খুব একটা লাভ জনক ব্যাপার হবে না। আর যেহেতু ১০ মিলিয়ন সংখ্যক লটারী বিক্রি হলে কেবল মাত্রা একজন প্রথম পুরষ্কার পাবে সেহেতু আপনি এটাও বুঝে গেছেন যে আপনার প্রতিবেশী যে লটারীটা কিনেছেন তার জেতার সম্ভাবনা ততটাই ক্ষীন। এমন করে লাইনে আপনার আগে যে ১০ জন লটারী কিনেছিলো তাদের সম্ভাবনাও আপনার মতো ক্ষীন অতএব কেউ লটারী জিতছে না। এমন করে পুরো মহল্লা যেখানে কিনা মাত্র ৩৫ হাজার লোক বাস করে তারাও কেউ এই লটারী জিতবে না। এমন করে আপনি বিশ্বাস করা শুরু করবেন যে এই লটারীর টিকেট যতজন কিনেছেন তাদের কেউ প্রথম পুরস্কার জিতবে না কারন সবার জেতার সম্ভাবনা ১০ মিলিয়ন ভাগের ১ ভাগ। এই ভেবে আপনি মনে খানিক স্বস্তি পাবেন যতক্ষন না লটারীর ড্র হচ্ছে। এবং এটাও সত্য যে লটারীর ড্র হলে অবশ্যই একজন না একজন প্রথম পুরস্কার পাবেন সেক্ষেত্রে আপনার বিশ্বাসটাও ভুল প্রমানিত হচ্ছে।

এখন ঘটনাটা একটু অন্যভাবে বলি। একজন বিশ্বাস করা শুরু করলেন যে অমুক ঘটনা ঘটছে এবং তমুক ঘটনা ঘটছে, তাহলে তার পক্ষে বিশ্বাস করাটা যুক্তিযুক্ত হবে অমুক ঘটনা থেকে তমুক ঘটনা ঘটছে। কথাটা অমুক তমুক হেয়ালীর মধ্যে না ফেলে সাধারন ভাবে বুঝিয়ে বলি, আপনি বিশ্বাস করা শুরু করলেন যে আপনার লটারীর টিকেটটি একটা এনভেলপে ভরেছেন (কারন আপনার স্পষ্টতই মনে আছে আপনি নিজে টিকিটটি এনভেলপে ভরেছেন) এবং যদি আপনি নিজেকে এই ভেবে আশ্বস্ত করেন যে এনভেলপটি পেপার শ্রেডারে ঢুকিয়েছেন (কারন আপনি সেটি নিজে পেপার শ্রেডারে ঢুকিয়েছেন), তাহলে আপনি এই ভেবে আশ্বস্ত হবেন যে আপনার টিকিট টিও পেপার শ্রেডারে চলে গেছে।

লটারী নিয়ে দুটো ঘটনার মধ্যে দু ধরনের বিশ্বাস কাজ করছে। প্রথম বিশ্বাসে ঘটনার একটি অংশে আপনার অংশগ্রহন বাকিটা আপনি নিজের ধারনার ওপর সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছেন। পরের বিশ্বাসের ঘটনায় আপনার অংশগ্রহন ছিলো পুরো ঘটনা জুড়ে। সেক্ষেত্রে ফলাফল দুরকম ছিলো। একটা হলো ধারনা আরেকটা আপনার বাস্তবিক উপস্থিত অথবা সামগ্রীক অংশগ্রহন। সেক্ষেত্রে আপনার বাস্তবিক কার্যকারন একটা সঠিক সিদ্ধান্তে আসতে সহায়তা করেছে।

আমি এই পোস্টে দেখিয়েছিলাম রনে দেকার্তে কিভাবে তার নিজের অস্তিত্ব দিয়ে মৌলিক এবং আদি সত্যকে খুজে পেয়েছেন এবং সেভাবে তিনি জাগতিক অন্যান্য পরম সত্য জেনেছেন। কিন্তু এই পোস্টে দেখলাম আমাদের সাবকনশাস মাইন্ড বা অবচেতন মন কিভাবে একটা ভুল ধারনায় পৌছাতে পারে ইন্দ্রিয়ের সাহায্য নিয়েও। সেক্ষেত্রে রনে দেকার্তের কগিটো এরগো সাম কথাটিও প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে যাচ্ছে। সেক্ষেত্রে তিনি নিজের অস্তিত্বের সত্যতার প্রমানের ওপর নির্ভর করে ঈশ্বরের অস্তিত্বকে পরবর্তী সত্য বলে ধরে নিলেন সেটাও নড়বড়ে হয়ে গেলো।

তাহলে আমরা দেখতে পাচ্ছি ঈশ্বরের অস্তিত্ব নিয়ে যত দার্শনিক ডিবেট হয়েছে সবগুলোতেই নেতিবাচক ধারনা অর্থাৎ বস্তুজগতে ঈশ্বরের অবস্থান বরাবরই অযৌক্তিক। কিন্তু তখন স্বভাবতই এই প্রশ্ন আসতে পারে এত বড় মহাবিশ্ব এবং এত সব নিয়ম কানুন কি এমনি এমনি সৃষ্টি হলো?



ফুড ফর থট.............................


রেফারেন্স:

১) জি ই মুর: সিলেক্টেড রাইটিং ১৯৯৩
২) ওলফ্রামের ম্যাথ সাইট
৩) লটারী প্যারাডক্স

মন্তব্য ৩৯ টি রেটিং +৮/-০

মন্তব্য (৩৯) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৯ ভোর ৫:৫৯

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
আপনার লেখা না পড়তে পেলে ভালো লাগে না।
আপনার উচিত আরো বেশী বেশী পোস্ট দেয়া।

১৬ ই এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ১০:১৭

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ

২| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ৯:২৩

রাজীব নুর বলেছেন: আসলে বিশ্বাস অনেক বড় ব্যাপার।
বর্তমান যুগ টা খুব ভয়াবহ। কাউকে বিশ্বাস করা যায় না।
বিশ্বাস করলেই ধরা খেতে হয়।
নিজের বাপ মা, আর ভাই বোন ছাড়া দুনিয়ার আর কাউকে বিশ্বাস করা ঠিক না।

১৬ ই এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ১০:১৮

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: বিশ্বাস হলো অবচেতন মনের কার্যকলাপ। এটা একটা খুবই স্বাভাবিক প্রক্রিয়া

৩| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ৯:৪৫

স্বপ্নডানা১২৩ বলেছেন: পোস্টে উল্লেখিত উদাহরণগুলো আসলেই প্যারাডক্সিক্যাল লাগে ।

১৬ ই এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ১০:১৯

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: হেয়ালীপূর্ন বলেই এসব ঘটনা ঘটলে হতবুদ্ধ হতে হয়। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ

৪| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ১১:৫৫

বাংলার মেলা বলেছেন: বিজ্ঞানের থিওরি অনুযায়ী মহাবিশ্ব সৃষ্টি হতে কোন স্রষ্টার প্রয়োজন পড়েনা। প্রয়োজন হয় প্রচন্ড শক্তিশালী একটি বিস্ফোরণের - যে বিস্ফোরণের ফলে অস্তিত্বহীন কিছু জিনিস অস্তিত্বে আসে - শূন্য মাত্রার কিছু ম্যাটার পূর্ণ মাত্রা লাভ করে। বৈজ্ঞানিক থিওরিতে বিচার করলে ঈশ্বরের অস্তিত্ব কখনোই খুঁজে পাওয়া যাবেনা।

তবে সামাজিক প্রয়োজনে, আত্মার বিশুদ্ধতার জন্য, মানুষের নিজের প্রয়োজনে মনের গহীনে বিশ্বাসে ঈশ্বরের অস্তিত্বের খুবই প্রয়োজন। একজন ঈশ্বরের অভাবে একজন মানুষ বা মানুষের একটি দল অসহায় হয়ে পড়ে। মানুষের মাঝে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা করতেও ঈশ্বরের শাসন প্রয়োজন - তার আইন প্রয়োজন, যাতে কেউ নিজের সীমার বাইরে যেতে না পারে।

১৬ ই এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ১:৫৭

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: আত্মার সংজ্ঞা কি? কোথায় কোথায় আত্মা আছে এবং কিভাবে আছে? উত্তরগুলো জানালে কৃতজ্ঞ থাকবো

৫| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৫:২৩

অজ্ঞ বালক বলেছেন: কোন কথা নাই। পোস্ট ডাইরেক্ট প্রিয়তে। জিনিস লিখসেন মিয়া একখান।

১৬ ই এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৫:৩৭

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: আমি লেখছি কইলো কেডা? আমি টাইপ করছি। লেখছে তো আমার আইপুন, কালি তার কাগজও তার। আমার তো খালি আঙ্গুল চিপাচিপি

কেমনে কি ভাইসু?

৬| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৪৬

আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: Wolfram B-))
শ্রোডিংজারের বিড়াল B-))

১৬ ই এপ্রিল, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৩৪

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: আমার মনে হয় শ্রোডিঙ্গার তার কোয়ান্টাম ফিজিক্সের প্রোবাবিলিটির ব্যাপারটা এখান থেকেই পেয়েছে। দর্শন যতই পড়ছি ততই মনে হচ্ছে তারা কোয়ান্টাম ফিজিক্সের মতো একটা ব্যাপার ধারনা করেই নিজেদেরকে তৈরী করেছে। যদিও কজালিটির কাছে মার খেয়ে গেছে।

ধন্যবাদ রেফারেন্সটা দেখার জন্য।

আপনি যে সেটার উল্লেখ করেছেন আমি তাতেই খুশী

৭| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৮:৪৭

আহমেদ জী এস বলেছেন: উদাসী স্বপ্ন,




বিশ্বাসের ধরন নিয়ে ভালোই বলেছেন। এটা ঠিক যে, বিশ্বাসকেও ধন্ধে ফেলা যায় যদি চেতনাকে দ্বন্ধে ফেলা যায়।
ঘরে লব্ধ আজন্মলালিত বিশ্বাস আর সংস্কারই নিয়ন্ত্রন করে অধিকাংশ সাধারন মানুষের জীবন ও মনন । এ থেকেই আমাদের যে জ্ঞান তৈরী হয় তা-ই চিরকালের সত্য বা ফ্যাক্ট নয় । যেমন, খাবার খেতে খেতে হঠাৎ যদি বিষম লাগে ( গলায় আটকে যাওয়া ) তখন ছোটবেলা থেকেই আমরা শুনে এসেছি - কে যেন আমাকে গালমন্দ করছে কিম্বা কেউ আমাকে স্মরণ করছে ; এই কথাটি। এটা একটা সংগৃহীত ছেলে ভোলানো বিশ্বাস, সত্য বা ফ্যাক্ট নয় । এই তথাকথিত বিশ্বাসটি কিন্তু আমি ততোদিনই লালন করবো যতোদিন না আমার চেতনাকে ( যদি চেতনা কি জিনিষ এটা বোঝার জ্ঞান আমার থাকে) নাড়া দেয়ার মতো বিষম খাওয়ার ক্রিয়াবৈগুন্যজাত ব্যাখ্যাটি কেউ আমাকে বুঝিয়ে বলবেন। আর এই ধরনের পার্থিব অকেজো বিশ্বাসগুলিকে পরীক্ষনে, নিরীক্ষনে, পর্যবেক্ষনে,সমীক্ষনে দেখিয়ে শুধরে দেয়াও হয়তো যায়।
কিন্তু ধর্মীয় বিশ্বাসগুলিকে কি কোনও ধরনের চেতনার ঘা দিয়ে সরানো সম্ভব? আমার তো মনে হয়, না। কারন ধর্ম বলতে মানুষ ঐশ্বরিক কিছুকেই বুঝে থাকে। তাদের কাছে ধর্ম একটা “ডিভাইন থিং”। এ বিষয়টিকে না যায় পর্যবেক্ষন ও সমীক্ষনের আওতায় ফেলা, না যায় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা। এসব, সম্পূর্ণ অন্ধ বিশ্বাসের উপর দাঁড়িয়ে, এখানে যুক্তি অচল।
অন্ধ ভাবে ধর্মে বিশ্বাসী একজনকে উপরের বিষম খাওয়া সংক্রান্ত ছোটবেলার বিশ্বাসটাকে ভাঙা হয়তো যায় কিন্তু “অমুককে জ্বীনে ধরেছে” এমন ঘটনাটিতে তার বিশ্বাস কিছুতেই হটানো যাবেনা কারন ধর্মে (ইসলাম) জ্বীনের উল্লেখ আছে।

আমার তো মনে হয়, আমাদের যতো দর্শন. যতো তথ্য-উপাত্ত, যতো কিছু আপাত আবিষ্কার তার কোনটাই এ্যাবসোলিয়্যুট নয়। আমাদের যতো জিজ্ঞাসা আর তার যতো উত্তর তা সত্য কি অসত্য কিনা তার সম্ভাবনা ফিফটি ফিফটি।

১৭ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১২:০৮

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: ধন্যবাদ সুন্দর একটা প্রসঙ্গ টানার জন্য। একটা ব্যাপারে সত্য বলেছেন দর্শনে কোনোকিছুই পরম নয়। কার্ট গোডল অন্তলোজি বা রেনে দেকার্তের এপিসটোমলজি দিয়ে যতভাবেই ঈশ্বরের অস্তিত্বের পক্ষে যুক্তি দিক না কেন তা সবই দেখা যায় পরবর্তী দার্শনিকরা সেগুলোর বিপক্ষে শক্ত যুক্তি করান।

এখানে যুক্তি প্রতিযুক্তির খেলায় একটা ব্যাপার স্পস্ট যে মানুষের জানার আগ্রহ। আর তাই এক সময় লোকি, আজুরা মেহতা, জিউস, চেরনোবগেদের পৃথিবীর মানুষ অন্ধবিশ্বাসের ওপর পূজো করতো এবং তাদের সন্তুস্ট করতে নরবলী দিতো তা এক সময় ইয়াহওয়ে, জিসাস, আল্লাহ নামের নবীন ঈশ্বর এসে বাতিল করলেন এবং একটু মানবিকতার ছোয়া দিলেন। কিন্তু বর্তমান বিশ্বে "নো রিলিজিয়ন" এ বিশ্বাসীর সংখ্যা বাড়ছে। এইতো তিনদিন আগে সিএনএনের রিপোর্টে নতুন সমীক্ষায় তুলে ধরা হলো আমেরিকাতে ঈভানজেলিস্টরা শীর্ষ স্থান খুইয়েছে "নো রিলিজিয়ন" এ বিশ্বাসীদের কাছে। নো রিলিজিয়ন গ্রুপটির মধ্যে আছে এ্যাগোনিস্ট, এথিস্ট স হ নানা ধর্মহীন দলের সমাহার।

বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষ মনে করে জঙ্গি ধর্ম ইসলাম দ্রুত বর্ধনশীল কিন্তু সমীক্ষায় আমেরিকাতে দেখা গেছে যতজন লোক এই ধর্মে কনভার্ট হয় ঠিক ততজন লোক এই ধর্ম ত্যাগ করে। আর এই ধর্মে কনভার্ট হয় যারা তাদের ৯০ শতাংশ জন্মসূত্রে প্রাপ্ত। ইউরোপ স হ অন্যান্য উন্নত দেশে এই হার আরও বেশী হবে কারন ইমিগ্রান্টদের দুই তিন প্রজন্ম হলে তারা আর কেউ এই ধর্ম তো দূরে নিজের নাম পর্যন্ত পরিবর্তন করে ফেলে।

এর মূল কারন হলো যত দিন যাচ্ছে জ্ঞানে বিজ্ঞানে অভূতপূর্ব উন্নয়নের ফলে মানুষ নতুন নতুন জিনিস জানছে এবং প্রশ্ন করতে শিখছে। এবং এসব প্রশ্নের উত্তর দেবার সামর্থ্য আব্রাহামিক এবং পলিথিস্ট ধর্মগুলোর একটিরও সামর্থ্য নেই। আপনি মাদ্রাসার একটু ছাত্রকে যত সুন্দর করে চাঁদের দুভাগের মতো মিথ্যা গাল গল্প গেলাতে পারবেন একজন সুশিক্ষিত মেধাবী ছাত্রকে সেভাবে বুঝাতে পারবেন না। সেখানে অন্ধবিশ্বাস এমনিতেই চুরমার হয়ে যাচ্ছে।

দর্শন বা বিজ্ঞানের অনেক কিছুই ট্রায়াল এন্ড ইরোরের মাধ্যমে সিদ্ধান্তে আসে আর তাই এখন এসব শাখা নিখুত ও সঠিক পথে এগুচ্ছে এবং মানুষেরা জানার জন্য এসব শাখাতেই দ্বারস্থ হচ্ছে। পাকিস্থান আফগানিস্থান বাংলাদেশ ইরান সৌদী সিরিয়ার মতো জঙ্গি দেশ গুলোর মতো সবাই না। এমনকি এসব দেশে উচ্চশিক্ষিত মানুষজনও সুযোগ পেলে এসব পশ্চিমা বিশ্বে গিয়ে সেসব সমাজে মিশে যাচ্ছে। ধর্ম শুধু হয়ে যাচ্ছে তাদের পরিচয়ের একটা অংশ, এই যা। সত্যিকারার্থে কেউ ধর্ম পালনে আগ্রহী নন, নিজের কন্যসন্তানকে শিশুকামী মোহাম্মদের সুন্নত অনুসরন করে ১.৫ বছর বা ৬ বছর বয়সে বিয়ে দিতে তারা কখনোই চাইবে না।

সেক্ষেত্রে ধর্মের প্রায় শতভাগই মিথ্যা প্রমানিত হচ্ছে দিনে দিনে। এখন আপনিই বলেন আপনার মধ্যে বিজ্ঞানের সুশিক্ষা থাকলে এরকম শতভাগ মিথ্যাতে পূর্ন ধর্ম গুলো মানতেন? কখনোই না।

যদি তাও মানতেন তাহলে আপনি নিজের সাথেই নিজেকে প্রতিদিন পরাজিত করতেন এবং সেই পরাজিত হিপোক্রেসী আপনার সন্তানের কাছেই আপনাকে ছোট করতো। আপনার বিশ্বাস সুদৃঢ় কারন আপনি স হী ইসলামের পুরোটা জানেন না এবং বিজ্ঞান ও দর্শনের পুরোপুরি দিক সম্পর্কে ওয়াকিব হাল নন। একসময় আমিও এরকম ছিলাম। আমাদের দেশে প্রতিটা নাস্তিক ইসলাম বিদ্বেষী এমনকি খোদ আরজ আলী মাতব্বরও প্রচন্ড ধর্মভক্তই ছিলো।
কে কোন রাস্তায় যাবে সে স্বাধীনতা একান্তই তার।

ধন্যবাদ আবারও

৮| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৯:০৮

আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: আমি অনেক আগে থেকেই Wolfram ব্যবহার করি। ফেব্রুয়ারিতে এই আর্টিকেলটা পাইঃ
Seeking the Productive Life: Some Details of My Personal Infrastructure
চমৎকার একটা আর্টিকেল।

শ্রোডিঙ্গার, কোয়ান্টাম ফিজিক্স, Feynman Lectures.......

শুধু রেফারেন্সটাই দেখিনি আলোচনাটাও চোখে পড়েছে।

১৭ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১২:১৬

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: ওলফ্রামের এই নিয়ে দ্বিতীয় আর্টিক্যাল পড়লাম। সবচেয়ে ইন্টারেস্টিং লাগলো ট্রেডমিলে কোডিং করা। আমি ট্রেডমিলে কখনো হাটি না, সবসময়ই ফার্টলেক করি। একবার এসএমএস টাইপ করতে গিয়ে প্রায় এক্সিডেন্ট করার দশা। কিন্তু এই ভদ্রলোক কিভাবে করলেন সেটা আশ্চর্য লাগছে।

আমার এক পরিচিত আছেন তার মেয়ে যুক্তরাস্ট্রে কম্পিউটার সায়েন্সে স্কলারশীপে অনার্স করতে গিয়েছে এবং সেকেন্ড ইয়ারে ওঠার আগেই ওলফ্রামের ইনস্টিটিউটে গবেষনার সুযোগ পেয়েছে। তার একটা রিসার্চ কপি যেটা কিনা ইউএস মেলেটারীর জন্য করা, সিম্পল ম্যাটল্যাবে করেছে সেটা পড়েছিলাম। অসাধারন। এধরনের লোকগুলোকে মনে হয় প্রফেট যাদের প্রতিটা কাজ, প্রতিটা কথা আগামীতে মহীরুহ হয়ে দাড়াবে এবং মানবজাতীর বাঁক পাল্টে দেবে।

ফাইনম্যানের লেকচার আমাকে বরাবরই মুগ্ধ করে বিশেষ করে সাবএটমিক পার্টিক্যালের কলিশন মডেলগুলো।

আপনার সাথে তো দেখছি অনেক কিছুই মিলে যাচ্ছে।

দ্যাটস কুল!

৯| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৯:১৫

মাহমুদুর রহমান বলেছেন: যুক্তিবোধের ব্যাবহার অদক্ষ ভাবে ব্যাবহৃত হয় তাহলে ধরেই নেয়া যায় তার মস্তিস্কের ব্যাবহার ততটা বিস্তৃতি লাভ করবে না।

যেমন আপনার।

১৭ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১২:৩৮

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: আপনার সম্পর্কে আমার কিছু ধারনা অলরেডী তৈরী হয়ে গেছে।

১) আপনি একজন ডাহা মিথ্যেবাদী কারন এই পোস্টের ৯ ও ১৮ নম্বর কমেন্টে অনেকগুলো ডাহা মিথ্যে কথা বলেছেন এবং অর্ধসত্য অর্ধমিথ্যার সংমিশ্রন অর্থাৎ গুজবের আশ্রয় নিয়েছেন। এগুলো আমি হাতে নাতে ধরিয়ে দেবার পর আপনি আর ফিরে আসেননি।

২) আপনি একজন শিশুকামী। আপনি এই পোস্টে শিশুকামীতার পক্ষে ওকালতী করেছে। একজন প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষ হয়ে একটি শিশুর সাথে কিভাবে যৌনাচার করে এমন ঘৃন্য ও জঘন্য কাজ করা তো পরে, কিভাবে সাপোর্ট করে সেটা ভাবলেই তো বমি আসে। কতটা কুরুচীপূর্ন নৈতিকশিক্ষার অধিকারী এবং আপনার পরিবারে কি পরিমান জঘন্য পারিবারিক শিক্ষা ও ঐতিহ্য ব হন করে তার পরিপূর্ন ছাপ খুবই স্পষ্ট।

৩) অল্প বিদ্যা ভয়ংকরী এই প্রবাদটা আপনার জন্য প্রযোজ্য এবং আপনি একজন চরম বেয়াদব। আপনি আমার এলাকায় থাকলে পাড়ার বড় ভাইদের দৈনিক রাস্তার মোড়ে দাড় করিয়ে বন চটকানা দিয়ে আদব কায়দা শেখাতাম। এটা ধর্ম বলে কথা না, কথা হলো বেয়াদবী। বাবা মা কিছুই শেখায়নি?? আপনি এই পোস্টে ১৩ নম্বর কমেন্টে ব্লগার নতুন ও এ আরকে মূর্খ বলেছেন। আপনি কি ব্লগার নতুনের শিক্ষাগত যোগ্যতা কিছু জানেন? আপনি কোথা থেকে পাশ করেছেন? বাংলাদেশের থার্ড ক্লাশ কোনো কলেজ থেকে ন্যাশনাল ইউনির সস্তা ডিগ্রী নিয়ে এখন বেকার বসে আছেন আর সেকানে ব্লগার নতুনের মতো একজন উচ্চশিক্ষিত মুরুব্বীকে এভাবে মূর্খ বলছেন যেখানে আপনি তার কমেন্টের উত্তরে কি বলছেন সেটা নিজেই জানেন না। উম্মে ফাদলের কথা বলতে পারতেন, আয়েশার মৃত্যুকালে বয়স ছিলো ৬৭ বছর অথবা কুলসুমের মৃত্যু বা আয়েশার বোন আসমা এতগুলো সন্তান পয়দা করার পর ৮০এর মতো বেচেছিলেন সেগুলোও যুক্তিতে দিতে পারতেন। এরকম বাল্যবিবাহের পক্ষে হাজারো যুক্তি আছে যেগুলো খুব সুন্দরভাবে দেয়া আছে। অন্তত আমার বাল্যবিবাহ সংক্রান্ত পোস্টের যে রেফারেন্স দেয়া এবং তাতে এই বিয়ের পক্ষে পৃথিবীর স্বনামধন্য ডাক্তারদের চিঠিও আছে সেগুলো নিয়েও আলোচনা করতে পারতেন।তখনকার মানুষের গড়আয়ু নিয়ে কথা বলতে পারতেন। তার ধারে কাছে তো গেলেনই না, নতুন ভাইয়ের যুক্তি স হ্য করতে না পেরে মুরুব্বীকে দিলেন গালি। কারন আপনি এ সম্পর্কে পুরোপুরি জ্ঞান নিয়ে আসেননি। এছাড়া ইসলাম বিষয়ক এই পোস্টে ১৪ নম্বর কমেন্টের জুনায়েদ, ২৬ নম্বর কমেন্টের তারিক যারা কিনা পুরোপুরি গোড় আস্তিক তারা আপনাকে ভুল ও আন্দাজে কথা এবং প্রতি উত্তরে আপনার বেয়াদবী দেখে আমি সত্যি আশ্চর্য্য হয়েছি। একে তো জানেন না তার ওপর আপনার ভুল ধরিয়ে দিলে বেয়াদবী করেন। আপনার বংশে এই বুঝি শিখিয়েছে?

আপনি নিজেকে কি মনে করেন?

১০| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১:৪৮

মাহমুদুর রহমান বলেছেন: ১।
আপনি যে বিজ্ঞান অনেক জানেন সে সম্পর্কে আমার ধারনা হয়ে গিয়েছে অনেক আগেই।রেফারেন্স উল্লেখ করার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।কারন মানুষের জানা উচিৎ।

আমি বলেছি,
আলবার্ট আইনস্টাইন বলেছেন, ধর্ম ছাড়া বিজ্ঞান হলো পঙ্গু আর বিজ্ঞান ছাড়া ধর্ম সেটা অন্ধ।
আর আপনি বললেন এটা ডাহা মিথ্যা কথা।এর অর্থ দাঁড়ায় সত্যিকার অর্থেই আপনি কতটুকু বিজ্ঞানের বই পড়েছেন বিজ্ঞানীদের জীবনী পড়েছেন আর তাঁদের লজিক কতটুকু বুঝিয়াছেন।আপনাকে মূর্খ ছাড়া অন্য কিছু বলার মত ভাষা আমার নেই।

২।
আপনি বলেছেন আমি শিশু কামীতার পক্ষে কথা বলেছি, আসলেই ফ্রান্সিস বেকন একতা সত্য কথাই বলেছেন যে, যে বিজ্ঞানকে কম জানবে সে হবে নাস্তিক আর যে বিজ্ঞানকে ভালো জানবেন সে হবে আস্তিক।

আমি কি লিখেছি সেখানে কেন লিখেছি,এবং বিজ্ঞান সম্মত কি লজিক দিয়েছি সেটা একজন বিবেকবান মানুষ ঠিকই বুঝতে পারবে।আর মূর্খরা কখনওই বুঝবে না।যেমন আপনি।কারন আপনি বিজ্ঞানই বুঝেন না মিয়া।

৩।
জী।এদের সকলকেই আমি মূর্খ বলে সম্বোধন করেছি জুনায়েদ ছাড়া এবং কেন করেছি সেটা পোষ্টেই ভালো করে উল্লেখ করা আছে।আর এ আর ১৫ এই ব্যাটার ধর্ম সম্পর্কে জ্ঞান যে খুবই কম সেটা আমি তার যুক্তিতে খুঁজে পাই।

আচ্ছা আপনি নতুন সাহেবকে এতো উচ্চ শিক্ষিত বলতে পারলেন অথচ তার কাছ থেকে কোন আদব কায়দা শিখতে পারলেন না।এটা কি আপনার ব্যর্থতা নয়?আপনি যেসব স্লেং ব্যাবহার করেন তার অর্থ আপনি কত বড় মূর্খ আর কত বেয়াদব সেটা আপনার গালমন্দ যে দেখবে সে ব্যাটা আপনাকে চাইবে কানের নীচে চড় লাগাতে।

৪।আমি নিজেকে আপনার থেকেও উত্তম মনে করি।


১৭ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ২:১৬

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: ১.

বিজ্ঞান জানতে হলে বিজ্ঞানীদের জীবনী জানতে হবে এটা আমি প্রথম শুনলাম। প্রকৌশল শিক্ষার যদি কোনো বই দেখার সৌভাগ্য হয়ে থাকে অথবা প্রকৌশল বাদ দেন যদি অনার্সের ফিজিক্স বা ইন্টারের ফিজিক্সও হয়, তাহলে দেখবেন ঐখানে বাংলা বা ইতিহাসের মতো কোনো বিজ্ঞানীর চিঠি বা তার জীবনী নিয়ে কিছু লেখা থাকে না। তারপরও আপনাকে গুটকিনকে লেখা আপনার সেই চাইল্ডিশ সুপারস্টিশন পুরোটা কপি করে দিয়েছিলাম সেখানে বিজ্ঞান ধর্ম অন্ধ ব্লা ব্লা কিছুই লেখা নাই। সে চিঠিটার পুরো কপির লিংকও দিলাম। এখনো স্বীকার করছেন না দেখে আশ্চর্য্য হলাম।

২.

ফ্রান্সিস বেকন কোনো বিজ্ঞানী ছিলেন না যে তার বিজ্ঞানের সাথে ঈশ্বরের বানী মেনে নিতে হবে। আর তিনি নিজের ধার্মিক ছিলেন কিনা জানি না কারন ব্যাটা সমকামী হয়ে কিভাবে নিজেকে খ্রিস্টান দাবী করে? ক্যাথোলিক ধর্ম অনুসারে সমকামী হলে তখন মেরে ফেলার বিধান ছিলো এবং এখনো আছে যদিও ভ্যাটিকান এই আইন কার্যকর থেকে সরে এসেছে ব হু আগে। এমন একজন হিপোক্রেট, অবিজ্ঞানীর কথা এত বড় বড় বিজ্ঞানী এমনকি আইনস্টাইন নিজে এসব ধর্মকে শিশুতোষ কুসংস্কার বলে উড়িয়ে দিয়েছেন গুটকিনের চিঠিতে তাদের চেয়ে বড় হয়ে গেলো??

অল্প বিদ্যা ভয়ংকরি।

৩.

যতদূর জানি নতুন সাহেব আপনাকে কোনো গালি দেননি। এমনকি নতুন সাহেব আমার সিনিয়র হওয়ায় তাকেও গালি দেইনি। কিন্তু আপনি তাকে গালি দিয়েছেন? এর বিপক্ষে নিজের অপরাধের আর কি সাফাই দেবেন?

আমি মোহাম্মদকে গালি দেই বলে নতুন ভাইকে গালি দেয়া জায়েজ আপনার? এই বুঝি আপনার পিতা মাতা শিখিয়েছেন?

৪.

আপনি কি মনে করেন তাতে কিছু যায় আসে না। আপনাকে বেয়াদব বলে আপনার মতো ইসলামিস্টরাই সম্বোধন করেছে, তারা আপনাকে মূর্খও বলছে।

এর চেয়ে বড় লজ্জার আর তো কিছু দেখি না

১১| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ২:২৩

মাহমুদুর রহমান বলেছেন: ১|
চাইল্ডিশ সুপারস্টিশন আপনি খুব নিখুত ভাবে পড়েছেন বিধায় আপনি আলবার্ট আইনস্টাইনের উক্তিটি সেখানে পান নি।হ্যা আমিও জানি এই কথাটা সেখানে নেই।আর এমন কথা তিনি সেখানে লিখেনও নি।আর এই কারনেই আপনার যুক্তি সেটা মিথ্যা বানাওয়াট।চাইল্ডিশ সুপারস্টিশন চিঠির মাধ্যমে আপনি বিচার করছেন, Einstein, "science without religion is lame, religion without science is blind."এ কথাটা অযৌক্তিক।এখন আপনি প্রশ্ন করবেন আমি কেন তাহলে চাইল্ডিশ সুপারস্টেশনের উদ্ধৃতি দিয়ে কথাটা বললাম?আমি উদ্ধৃতিতা দিয়েছি এই জন্যই যে,আপনি আজকের আইনের সাথে তুলনা করে বলেছিলেন, হযরত মুহ'ম্মদ (সঃ) মা আয়েশার সাত কিংবা ছয় বয়সে উনাকে বিবাহ করেন এবং নয় বছর থেকে সংসার শুরু করেন। যা আজকের আইন বলছে সেটা বাল্যবিবাহ।আর এই কথাটা আমার কাছেও অযৌক্তিক।

আচ্ছা আপনি কি জানেন অ্যামেরিকান টেক্সাস শহরের আইন মেয়েদের জন্য ১২ বছর আর ছেলেদের বিয়ের বয়স ১৪ বছর? আপনি জানেন না।কিন্তু এই আইন যদি আমাদের দেশে আমরা প্রয়োগ করতে যাই তাহলে কি হবে?অবশ্যই সেটা বে আইনি কারন সেটা বাল্যবিবাহের মধ্যে পড়ে যায়।কেন জানেন?

আজ বিজ্ঞান বলছে,মানুষের দেহের শারিরীক পরিবর্তন আবহাওয়ার উপর নির্ভর করে,নির্ভর করে তাপমাত্রা এছাড়াও খাদ্যভাসের উপরও।

সুতরাং টেক্সাসের একটা মেয়ের পরিপক্বতা আসতে যদি ১২ বছর বয়স লাগে তবে আমাদের দেশের কেন ১৮ বছর বয়স লাগে?এই ব্যাপারটা কি কখনও চিন্তা করেছিলেন?ভালো করে গবেষনা করেছিলেন?কখনওই না।

ঠিক চাইল্ডিশ সুপারটিশনে আপনি আইনস্টাইনের ঐ কথাটা খুঁজে পাওয়ার জন্য সেটা খুবই নিখুতভাবে পড়েছিলেন কিন্তু পান নি।আবার আইন্সটাইনের ধর্মীয় বিশ্বাস থেকে সেই কথাটা র লজিক খুঁজে পান নি।ঠিক এই চিন্তাটা যদি আধুনিক বিজ্ঞান দিয়ে আপনি ভাবতেন তাহলে নবীজি(সঃ) আয়েশার ৬৭ বছর বয়সে বিবাহে আবদ্ধ হওয়া এবং নয় বছর থেকে সংসার শুরু করাটা কেন যৌক্তিক হতে পারে না সেটা আপনি কখনওই ভেবে দেখেন নি।কেবল মনগড়া কথা দিয়েই এসব কথা মানুষের মাঝে বলে বেড়ানোর কারনে আপনার মতো বুদ্ধিজীবীদের ধরে থাপড়ানো উচিৎ।

আবার এখন আবার কি করলেন আমার বিজ্ঞান সম্মত যুক্তি না বুঝেই আপনি আমাকে শিশুকামী বলে একটা গালি দিলেন।যা মানুষের কাছে প্রমান করে আপনি মানুষটা একটা মূর্খ।

২।
ফ্রান্সিস বেকন ঐ আপনার মতোই লোক ছিলেন।কিন্তু সত্যটাকে ঠিকই উপলব্ধি করতে পেরেছেন কিন্তু দুর্ভাগ্য আপনার আপনি সত্যটা আজও উপলব্ধি করতে পারেন নি শুধুমাত্র নিজের হীন চিন্তার কারনে।

৩।
আমি নতুন সাহেবের কর্মকান্ডের প্রেক্ষিতে উনাকে মূর্খ বলেছি।এবং কেন বলিয়াছি সেটা উনিই ভালো করেই জানেন।

হ্যা আপনি তাকে গালি দিয়েছেন সেটা তো আমি বলি নাই।আচ্ছা বুঝলাম আপনি নতুন সাহেবকে গালি দেন নি কারন তার সাথে আপনার চিন্তাভাবনার মিল রয়েছে আর এই ব্যাপারটা যখন অন্যদের ক্ষেত্রে পার্থক্য সৃষ্টি করে তখনই আপনি একটা ধর্ম ধর্মের মানুষ সহ সকলকে গালমন্দ করেন।তাহলে বোঝাই যায় আপনি কতটা গবেট।

৪।
আমি নিজেকে কেমন মনে করি তাতে যদি আপনার কিছু না আসে যায় তবে আমাকে বেহুদা প্রশ্নটা করলেন কেন?কারন আপনি ভেবেছেন আপনি মূর্খ বলে বাকীরাও আপনার মতো হবে আর কেউ যদি এর বিপরীত হয় তার সাথে তর্ক বিতর্ক করবেন কিংবা গালাগাল করবেন এবং গত পোষ্টগুলোই তার উৎকৃষ্ট উদাহরন।এসব মানসিকতা পরিবর্তন করেন।

১৮ ই এপ্রিল, ২০১৯ ভোর ৪:২৬

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: চাইল্ডিশ সুপারস্টিশন চিঠির মাধ্যমে আপনি বিচার করছেন, Einstein, "science without religion is lame, religion without science is blind."এ কথাটা অযৌক্তিক।

অযৌক্তিক কেনো বলবো? যে কথাটা ঐ চিঠিতে নাই সে কথাটার যোক্তিকতা অযৌক্তিকতার প্রশ্নই আসে না। আপনি তাহলে আমাকে মিসগাইডেড করছেন মিথ্যা তথ্য দিয়ে কারন আপনিই বললেন,"হ্যা আমিও জানি এই কথাটা সেখানে নেই।" তার মানে আপনি সজ্ঞানে মিথ্যা কথা বলেছেন।

আমি উদ্ধৃতিতা দিয়েছি এই জন্যই যে,আপনি আজকের আইনের সাথে তুলনা করে বলেছিলেন, হযরত মুহ'ম্মদ (সঃ) মা আয়েশার সাত কিংবা ছয় বয়সে উনাকে বিবাহ করেন এবং নয় বছর থেকে সংসার শুরু করেন। যা আজকের আইন বলছে সেটা বাল্যবিবাহ।আর এই কথাটা আমার কাছেও অযৌক্তিক।

একটা চিঠিতে যে লাইন নেই সেই লাইন নিয়ে একেবারে বানোয়াট মিথ্যা বললেন এখন সেটা প্রমান করতে চাচ্ছেন অযৌক্তিক আর যৌক্তিকতা? ভাই আপনি কেমন অজুহাত দিচ্ছেন ? এতো দেখি জোর করে অজুহাত দেয়া। আর দাসব্যাবসায়ী শিশুকামী প্রতারক মোহাম্মদ একটা অপরাধ করেছে সে অপরাধ সিদ্ধ করতে মিথ্যা কথা বলবেন? আপনার বানোয়াট মিথ্যা জঙ্গি ইসলাম আপনাকে মিথ্যা কথা বলতে শেখায়? একটু নতুন ভাবে ইসলাম শিখতে চাই। যদি সাহস থাকে দলিল সহ পেশ করুন নিজের গা বাঁচাতে মিথ্যা কথা বলা যায়।

সুতরাং টেক্সাসের একটা মেয়ের পরিপক্বতা আসতে যদি ১২ বছর বয়স লাগে তবে আমাদের দেশের কেন ১৮ বছর বয়স লাগে?এই ব্যাপারটা কি কখনও চিন্তা করেছিলেন?ভালো করে গবেষনা করেছিলেন?কখনওই না।

এটা গবেষনা করার কিছু নাই, আমার যুক্তি হলো যে প্রাকটিস একটা মেয়ের জন্য মৃত্যুদন্ড স্বরূপ সেটা কিভাবে একটা তথাকথিত হুবালের বাচ্চা আল্লাহ তার উম্মতের ওপর চাপিয়ে দেয়? সেখানে ক্যাথলিক অর্থাৎ আরেক বর্বর মিথ্যা আব্রাহামিক ধর্ম খ্রিস্ট ধর্মের কিছু কাল্পনিক তথাকথিত নবী বলে খ্যাত শিশুকামী মানুষকে অনুসরন করে সে নিয়ম করেছিলো। সমস্যা হলো আমি আমার কোনো লেখায় টেক্সাস বা অন্যান্য উন্নত বিশ্বের শিশুকামী বিয়ের কথা উল্লেখ করিনি কারন দুটো। প্রথম আমি বাংলাদেশে চাই একটা বাজে নিয়ম বন্ধ হোক যেহেতু আমি নিজেকে এখনো এদেশের মনে করি দ্বিতীয়ত এসব দেশে এখন তুমুল বিতর্ক চলছে এসব বন্ধ করার এবং আপনার অর্ধেক রিসার্চ পুরো করে দিচ্ছি টেক্সাস স হ অনেক দেশে এখন এগুলো ব্যান করে বাল্যবিবাহ রদ করা হচ্ছে। আমি বলবো না যে খ্রিস্টান বা ঈভানজেলিস্ট অধ্যুষিত রাজ্যে এটা পুরোপুরি সম্ভব কিন্তু এটা কেবল শুরু।টেক্সাসের এই ১২ বছরের বিয়ের প্রথা ২০১৭ সালে রদ করা হয়েছে। তাই আমাকে গবেষনা করতে না বলে নিজে গবেষনা করুন পুরো কারন অল্প বিদ্যা আসলেই ভয়ঙ্করী।

আর শিশুকামী ডাকাত শুধু আয়েশাকেই বিয়ে করে ক্ষান্ত দেয়নি, বিষের যন্ত্রনায় কুকুরের মতো দাপড়াইতেছিলো তখন সে বাড়ীর উঠোনে ১.৫ বছরের উম্মে ফাদলকে অর্ধ ন গ্ন অবস্থায় খেলতে থাকে। কামাতুর শুয়োর তাকে দেখে কামভাব জাগে এবং তাকেও বিয়ে করবে সুস্থ হলে সবাইকে জানায়। কিন্তু শিশুকামী বদমাইস তার ১ বছরের মাথায় কুকুরের মতো মারা যায় এবং তার লাশ ওখানেই পঁচে দুর্গন্ধ পুরো এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। কেউ কবর দেয় নাই তিন দিন পর্যন্ত। পাপের ফল হাতে নাতে। পরে তো সাকীফা, আলীর গলায় দড়ি, ফাতেমার পেটে লাথী, মৃত্যু, উমর কর্তৃক কুলসুমের ধর্ষন, বিয়ে ....আহ! কি লারেলাপ্পা ধর্ম! ডাকাতের আত্মীয় স্বজনই ডাকাতের বংশ নির্বংশ করে। কি আমার প্রেম!একটা জানোয়ারের এর চেয়ে বেশী কি সাজা হতে পারে!

ফ্রান্সিস বেকন ঐ আপনার মতোই লোক ছিলেন

বোঝা যায় পরিবারে বেদম প্রহার করে কুকুরের মতো বড় করেছে তাই চোখে মুখে মিথ্যা কথা, বেয়াদবী। মনে হয় এলাকার পুলাপান বন চটকানা অনেক মারছে। তা না হলে ফ্রান্সিস বেকনের মতো রাজ পরিবারের বেতনপ্রাপ্ত দার্শনিক আমার মতো প্রকৌশলী ও ইসলামবিদ্বেষী কিভাবে হবে বুঝলাম না। আর আপনি কি বলতে চাচ্ছেন আমি সমকামী? খালি বলেন আমি সমকামী....... ব্লগের লোকজন একটু হাসুক।

হ্যা আপনি তাকে গালি দিয়েছেন সেটা তো আমি বলি নাই।

বাংলাটাও ভালো করে পড়ে বুঝেন না আবার আসছেন কোরান বিজ্ঞান পড়ে সেটার ব্যাখ্যা দিতে। তার ওপর আপনে ন্যাশনাল ইউনির বস্তাপঁচা ডিগ্রী পাশ! ওয়াক! ড্যুড, আমি বলছি আমি মোহাম্মদকে গালি দেই বলে আপনার ব্লগার নতুনকে গালি দেয়া জায়েজ ? বাংলা বুঝেন না তর্ক করেন কেন? এজন্যই মনে হয় এলাকায় বন চটকানা খাওয়ার রেকর্ড আছে।

আপনি একটা ধর্ম ধর্মের মানুষ সহ সকলকে গালমন্দ করেন।তাহলে বোঝাই যায় আপনি কতটা গবেট।

ইসলাম একটি প্রতিষ্ঠিত জঙ্গি ধর্ম এ নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই। কোরান স্পেনের পার্লামেন্ট নিষিদ্ধ করেছে। এ্যাঙ্গোলায় আপনি মসজিদ বানাতে পারবেন না কারন ইসলামের কোনো স্বীকৃতি নাই। চীনে মুসলিম ঘরে থাকেন ঠিক আছে বাইরে পালন করবেন সোজা কনসেন্ট্রেশন ক্যাম্প। সম্প্রতি ইসলামিস্টদের কনসেন্ট্রেশন ক্যাম্পে নিয়ে সিধা করার আইন ইনডেমনিটি সব হইছে। স্লোভাকিয়াতে আইন করে মসজিদ বানানো বন্ধ করে রাখছে। পোল্যান্ডে ইসলাম ব্যান করার বিল খুব শীঘ্রই ওদের পার্লামেন্টে ওঠাবে। তাই আমি বেশ দৃঢ় ভাবে বলতে পারি এটা সময়ের ব্যাপার যখন পুরো বিশ্ব ইসলামকে নিষিদ্ধ ঘোষনা করবে এবং সৌদী সেক্যুলার রাস্ট্রে পরিনত হবে। এখানে আমি বলা না বলার কিছু নাই। আর আপনি আগে নিজেরটা দেখেন। সবাইকে গবেট মূর্খ বলার আগে নিজের ব্লগ গুলোর কমেন্টে যে গালি গুলো দিয়ে যাচ্ছে সেগুলো আগে চোখ বুলান। বন্ধু বান্ধবের কাছে যখন ঐসব ব্লগ খুলে দেখাবেন পারলে কমেন্ট গুলো ডিলিট করে নিয়েন নতুবা হাসবে সবাই

আর আমি মূর্খ না কি সেটা আপনার মতো বেয়াদব বেকার বস্তা পঁচা কলেজ পাশ মূর্খ বন চটকানা খাওয়া পোলাপানের কাছে শুনতে হবে না।

কত বড় নির্লজ্জ, নিজের মিথ্যা কথা ধরা খেয়েও আদেকলার মতো ফ্যাদলা পেরে যাচ্ছে! হাস্যকর বেহায়া দেখি!

১২| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ২:৩৪

এ আর ১৫ বলেছেন: মাহমুদুর রহমান বলেছেন: আর এ আর ১৫ এই ব্যাটার ধর্ম সম্পর্কে জ্ঞান যে খুবই কম সেটা আমি তার যুক্তিতে খুঁজে পাই
সম্ভবত এই লোক নরাধমের মাল্টি নিক । আমি নিজেকে কোন দিন মহা জ্ঞানী দাবি করিনি , তবে মাহমুদুর রহমানের ইসলামি জ্ঞানের বহর পাবেন , এই লিংকে তার কমেন্টের উত্তরে , কমেন্ট নং -- ১১ এবং তার উত্তর ।

Please click here to open .

১৯ শে এপ্রিল, ২০১৯ ভোর ৪:০৫

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: না, নরাধমের নিক না। নরাধমকে ব্লগীং করা দেখি অনেক আগে থেকে, প্রায় শুরুর সময়। উনি ধার্মিক হলেও বাল্যবিবাহ সম্বন্ধে উনার অবস্থান বিপরীত। তবে ওনার সাথে আমার মতপার্থক্য থাকলেও ফেসবুক স হ নানা জায়গায় ইন্টারেকশন ছিলো এবং পারতপক্ষে যেটা সম্পর্কে গভীর ধারনা নেই সেখানে হাত দিতেন না তবে তাই বলে ধর্ম সম্পর্কে তার জ্ঞান গভীর তবে তার মত করে। আপনার সাথে তার ফেকড়া হয়েছিলো জানি, হয়তো দেখেছিলাম ব হু আগে যেটা আমার কাছে সম্পূর্ন ফেড়কাগত পার্থক্য। যদিও আপনাদের দুজনের জ্ঞানকে আমি শ্রদ্ধা করি সেহেতু এই বিষয়ে আমি মন্তব্য করতে চাচ্ছি না। তবে এই ছিচকে বেয়াদবী নরাধম ভাইয়ের মতো লোকজন কখনোই করবে না সেই বিশ্বাস আমার আছে।

আর এই মাহমুদ একজন চরম মিথ্যাবাদী এবং ছ্যাচড়া প্রকৃতির। উপরোক্ত মিথ্যাচার ছাড়াও এই পোস্টের ১৮ নম্বর কমেন্টে বলেছে "এই তত্ত্বের মাধ্যমেই ১৯৪৮ সালে জর্জ গ্যামফ অনুমান করতে পেরেছিলেন যে, মহাজাগতিক অণুতরঙ্গ পটভূমি বিকিরণের অস্তিত্ব রয়েছে। " অথচ সিএমবি রেডিয়েশনের আবিস্কারটা হয়েছিলো দুর্ঘটনা বশত তাও গত শতাব্দীর ৭০ এর দশকের গোড়ার দিকে। ঐ দুই গবেষকের হার্ভার্ড ইউনির পেপারটা লিংকে দিয়ে দিলাম। এই পেপারে গ্যামোর নাম গন্ধ নাই। বরংচ উনি গ্যামোর যে পেপারের কথা বলছেন সেটা নিয়ে হাস্যকর গল্প আছে বিজ্ঞানী মহলে। সে গল্পে আর না গেলাম বরংচ গ্যামো সাহেব আদি মহাবিশ্বের তাপমাত্রা ৫০কে নির্নয় করেছিলেন যেকানে সিএমবির নাম গন্ধ ছিলো না এবং সেটা সিএমবি ক্যালকুলেশন বের করার ৬ বছর পর। তবে হ্যা, বিজ্ঞানে তার অবদান আছে কিন্তু এই জায়গায় না।

তারপর এই পোস্টের ২৯ নম্বর কমেন্ট করে পালালেন। এবং এমন কথা বললেন সেগুলো কোরানে তাফসীরের সাথে মেলে না। ইদানিং এসব পুলাপানের নতুন ঢং হইছে কোরান মানি কিন্তু হাদিস মানি না। আবার হাদিস মানি কিন্তু ঐ হাদিস মানি না। ছাই দিয়া ধরলে পালায়। আজব পুলাপান।

আর মুখের ভাষা আর শুয়োরের পশ্চাদ দুইটাই সমান নোংরা। এসব বেয়াদ্দব পোলাপান কোথা থেকে ব্লগে আসছে বুঝি না। না জানলে চুপ থাক, তা না। উল্টা মুখ খারাপ করে বসবে। আর মুখ খারাপ করে যখন পাল্টা কথা শুনবে তখন তো আদেকলা ছ্যাচ্চরের মতো আচরন করবে।

ভাই, আপনাদের সাথে আমার আকাশ জমিন মতপার্থক্য, কিন্তু কখনো এমন মুখ খারাপ করছি বলে মনে হয় না। একটা সম্মানের জায়গা থেকেই কথা বলি এবং মনে যদি কিছু থাকে সেটা সরাসরিই বলি।

কিছু বলার নাই এদের নিয়ে। জানি না পরিবার থেকেই এসব আচরন শিখেছে কিনা!

১৩| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ২:৩৭

বাংলার মেলা বলেছেন: বিজ্ঞান এর মতে, জীবন আর মৃত্যুর মাঝে পার্থক্য হচ্ছে মস্তিস্কের কার্যক্ষমতা। যতক্ষন আমাদের মস্তিস্ক সঠিক ভাবে কার্যক্ষম থাকে ততক্ষন আমরা আমাদের অস্তিত্বকে অনুভব করতে পারি বা অন্য কথায় নিজেদের জীবিতবোধ করি। একজন মানুষের প্রতিটি অংগ সুস্থ থাকলেও যদি তার মস্তিস্ক ফাংশনাল না হয় তাহলে সে মৃত। আবার একজন মানুষের সম্পূর্ন শরীর প্যারালাইজড থাকলেও যদি তার মস্তিস্ক মোটামোটিভাবে ক্রিয়াশীল থাকে তাহলে সে তার অস্তিত্ব বুঝতে পারবে।

এবার আপনার প্রশ্নের উত্তরে আসি। আসলে আমরা আত্না বলতে যে, স্পিরিচুয়াল স্বত্তার বা শক্তির কথা চিন্তা করি, বিজ্ঞানে তার কোন অস্তিত্ব নেই। দৈহিক কার্যক্রম ও মস্তিস্কের সমন্বয়ের ফলে, আমরা আমদের মাঝে অস্তিত্ব অনুভব করি এবং একটি জীবনীশক্তিবোধ করি। এই পুরো ব্যাপারটিই মস্তিস্কপ্রসূত। আত্না নামক কোন পৃথক স্বত্তা বা শক্তির কোন অস্তিত্ব এখনো বিজ্ঞান খুঁজে পায়নি।

“তারা আপনাকে রূহ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করে। বলে দিনঃ রূহ আমার পালনকর্তার আদেশ ঘটিত। এ বিষয়ে তোমাদেরকে সামান্য জ্ঞানই দান করা হয়েছে।” — (সুরা বনী ইসরাঈল, ৮৫)

‘রূহু’ অর্থাৎ হেদায়েতের আলো যা দ্বারা অন্তরকে অন্ধকার মুক্ত করে উদ্ভাসিত করা হয় [ বাকারাহ :৮৭ ]

১৯ শে এপ্রিল, ২০১৯ ভোর ৪:৩১

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: আপনার কমেন্টের উত্তর দেবার আগে ৩ দিন আগের এই পেপারটা শেয়ার করার লোভ ছাড়তে পারছি না। বিভিন্ন কসাইখানা থেকে শুয়োরের ৩২টা কাটা মাথা যোগাড় করে ইউনিভার্সিটির ল্যাবে সোফিস্টিকেটেড ব্লাড সার্কুলেশন পাম্পিং এর মধ্যে লাগিয়ে দিয়ে মস্তিস্কের বেশ কিছু অংশপুনরুজ্জীবিত করা গেছে। ব্রেন একটা অন্যরকম অঙ্গ। জেনে থাকবেন যে ব্রেনে কখনো ভাইরাস দ্বারা সংক্রমিত হতে পারে না কারন এর ভেতর থাকা ব্লাড ভেসেল এত পুরু যে রক্তে থাকা কোনো ভাইরাস বা জীবানু ব্রেনে সংক্রমন করতে অক্ষম। তবে ব্রেনের সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো জেনেটিক্যাল এনোমালী ও ট্রমা। এনাফ্লিকটিক শকের কারনে যে ট্রমা হয় তাতে ব্রেন সেল অতিদ্রূত মারা যায় যার ফলে সাবকনশাস মাইন্ড কমায় চলে যায় এবং তাকে দ্রুত শক না দিলে ফেরানো মুস্কিল। ব্রেনের আরেকটা সমস্যা ছিলো যখন আর ফেরানো যায় না তখন তার নিউরন সেলগুলো খুব দ্রুত মারা যায় বা কার্যক্ষমতা হারায় ফলে রিভাইভ করা সম্ভব না। এর ফলে সে ব্রেন ডেড বলে গন্য হয়। কিন্তু এই এক্সপেরিমেন্ট মৃত্যুর সংজ্ঞাকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে এই কারনে যে ব্রেন সেল রিভাইভ করা সম্ভব। যদিও ব্রেনের পুরা অংশ রিভাইভ করা যায় নাই যার ফলে আমরা বলতে পারি যে শুয়োরের আদি সত্বা বা চেতনা ফিরে এসেছে তবে এই গবেষনা অনেকগুলো সম্ভাবনার দ্বার খুলে দিয়েছে।

এখন আসি ইসলাম নিয়ে। ইসলামে অন্তর বা সত্বা বা রুহের অবস্থান মানুষের হৎপিন্ডে। এ নিয়ে বেশ কিছু সহী হাদিস ও তাফসীর আছে। যার কিছু আমি এখানে উল্লেখ করছি।

The hadith in full: Al-Bukhari, Volume 1, Book 2, Number 49: Narrated An-Nu'man ibn Bashir: I heard Allah's Apostle saying, "Both legal and illegal things are evident but in between them there are doubtful (suspicious) things and most of the people have no knowledge about them. So whoever saves himself from these suspicious things saves his religion and his honor. And whoever indulges in these suspicious things is like a shepherd who grazes (his animals) near the Hima (private pasture) of someone else and at any moment he is liable to get in it. (O people!) Beware! Every king has a Hima and the Hima of Allah on the earth is His illegal (forbidden) things. Beware! There is a piece of flesh in the body if it becomes good (reformed) the whole body becomes good but if it gets spoilt the whole body gets spoilt and that is the heart."

এখানে দেখবেন আত্মা কলুষিত হলে তা হৃৎপিন্ডের ডান বামের কথা বলা আছে। কিন্তু আমরা জানি মানুষের হৃৎপিন্ডের চারটা অলিন্দ বা চ্যাম্বার আছে। এখানে দুটো ভুল সেটা হলো মানুষের আত্মা বা জীবন যদি থেকেই থাকে সেটার মূল কেন্দ্র হওয়ার কথা মানুষের মাথার কনশাস বা সাবকনশাস মাইন্ড যেটা কিনা প্রাইমারী করটেক্সে প্রসেসিং হয় এসবের পুরো অংশ জুড়ে। তার মানে মানুষ যদি ভালো বা খারাপ কাজ করে তার এফেক্ট পড়া উচিত মাথায়। হার্টে কেন? আর এখানে হার্ট বলতে মাথা কখনোই বোঝায় নাই কারন নিউরন সেল মাংশাসী কোনো কোষ নয়, এটা ফ্যাট জাতীয় কোষ।

আবার ডাকাত শিশুকামী নবীর আরেক বয়ান আছে তাকওয়া থাকে হৃদয়ে। আবার এই হৃদয়ে নাকি ঈমানও থাকে।

"Call on Allah being certain that your prayer will be answered, but know at the same time that Allah will not answer the prayer of a heart which is negligent."

আবার কোরানের এই আয়াত "Allah has revealed (from time to time) the most beautiful Message in the form of a Book, consistent with itself, yet repeating (its teaching in various aspects): the skins of those who fear their Lord tremble threat; then their skins and hearts do soften to the remembrance of Allah." 39:23 তাফসীর দেখলে আরো হাসি আসে।

তার মানে মিথ্যা ধর্ম কোরানে হার্টের অন্তর হাবিজাবি এগুলোর সাথে বিজ্ঞান গুলানোর কোনো মানে নাই। অজস্র ভুলে ভরা মিথ্যা ও রূপকথার বেসাতী এখন এই যুগে শুধু ধ্বংস আর অপকর্মই ডেকে আনবে আর তাই তো দুনিয়াতে স হী মুসলিম কে সেটা বলতে পারে না। এক দলের চোখে আরেক দল ভ্রান্ত আকীদা, কাফের। কেমনে কি?

ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য

১৪| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১৯ ভোর ৬:৫৮

স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: শান্ত হন ভাই সাব | রেগে গেলেন তো হেরে গেলেন | আপনি উত্তেজিত না হয়ে পড়লে আপনার লেখাগুলো যথেষ্ট যুক্তিপূর্ণ থাকে | কিন্তু কাউকে গালাগালি করে কোনো যুক্তিকে প্রতিষ্ঠিত করা যায় না কখনোই |

১৯ শে এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ১২:১১

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: মিথ্য্ জঙ্গি মতাদর্শের মানুষের মিথ্যাচার ও জঙ্গিসুলভ আচরন দেখলে মেজাজ ঠিক রাখাই দায়

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ

১৫| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৯:৫১

আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: আমার সর্বশেষ পোস্টটা সম্পর্কে আপনার মতামত চাই। এখানেই কমেন্টের প্রতিউত্তর করলেই হবে :)

২৫ শে এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১০:৫৪

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: প্রথম প্রশ্নের উত্তর আপনার পরীক্ষা দুনিয়া্তে করা হয়নি। এটা করা হইছে প্লুটোর ব্যাসার্ধের কিছু এমন কোনো গ্রহে এখন ভাল্লুকের রং কালো হবে কারন দুনিয়ার যেকোনো ভাল্লুক শেভ করলে তার চামড়া কালা। পশম সাদা কালো মেলানিনের অভাবে। জীববিজ্ঞান এতটুকুই জানি ডিএনএ না মেলানিন পশমের জন্য দায়ী

২ নম্বরে ১৭ মিটারের কিছু বেশী। এক্সাক্ট হবে ৫*৩.৪৫। লোকটির উচ্চতা দেড় মিটার ধরেছি।

তৃতীয়টার উত্তরের ক্লু। এখন ডিপেন্ড করে আপনার হারমোনিক প্রগমনিক ধারা কিভাবে সিলেক্ট করছেন

১৬| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১১:০৪

আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: প্রথম প্রশ্নের একদম কারেক্ট উত্তর ! মেলানিনই সাদা বা কালোর জন্য দায়ী। তবে মেইন জিনিস ঐ DNA ই। এক্ষেত্রে অন্য কোনো গ্রহে ভালুক নেই ধরলেই উত্তরটা হয় রংহীন। g এর ভ্যালু চাঁদ এর g এর থেকেও কম।

২ নং ও ১ নং এর h এর সূত্র দিয়ে করে t বের করে......... এটাও হয়েছে।

৩ নংটার ক্লুর জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। এটা মনে ছিলো না।
যেমন x! এর ডেরিভেটিভ d/dx(x!) = Γ(x + 1) polygamma(0, x + 1) ।

আমার পোস্টটা পড়ার এবং সুন্দর করে উত্তর দেওয়ার জন্য অশেষ কৃতজ্ঞতা :)

২৫ শে এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১১:১১

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: একটা কাজ গর্হিত মনে হয়েছে সেটা হলো ওমন গ্রহে ভালুকটি বাচবে না। এরকম হত্যা অমানবিক ও অপরাধ।

তেব্র ধিক্কার


(জোকিং) কমেন্টের জন্য ধন্যবাদ

১৭| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১২:১৮

আখেনাটেন বলেছেন: চমৎকার পোস্ট।

আমি একবার দিল্লীতে আশীষ নন্দী (নন-বিলিভার এবং ফরেন পলেসি ম্যাগাজিনের মতে টপ ১০০ থিংকারে উনার নাম উঠেছিল) নামের একজন ভদ্রলোকের একটি সেমিনারে অংশগ্রহণ করেছিলাম। সেমিনারের বিষয়টা এমন ছিল যে, কেন উপমহাদেশের মানুষ এত বেশি সাম্প্রদায়ীক মানসিকতার; কেন আমরা বিশ্বাস-অবিশ্বাসের দোলাচালে দোদুল্যমান হয়ে একে অপরের প্রতি জীঘাংসামূলক...?

আমাদের সামাজিক বাস্তবতার আলোকে উনি অতি চমৎকার করে ব্যাখ্যা করেছিলেন বিষয়টা। উনার মতে পরিবার ও সমাজ থেকে যদি ভ্রান্ত-ধ্বংসাত্মক বিশ্বাসের শিকড় গেঁথে যায় সেখান থেকে বের হওয়া আর সহজ হয় না।


*একটি প্রতিমন্তব্যে আপনি লিখেছেন "জেনে থাকবেন যে ব্রেনে কখনো ভাইরাস দ্বারা সংক্রমিত হতে পারে না কারন এর ভেতর থাকা ব্লাড ভেসেল এত পুরু যে রক্তে থাকা কোনো ভাইরাস বা জীবানু ব্রেনে সংক্রমন করতে অক্ষম"। -- আসলে এটি ঠিক নয়। ব্রেনও নানারকম প্যাথোজেন দ্বারা আক্রান্ত হতে পারে। যেমন, একটি উদাহরণ দেওয়া যেতে পারে, সেরেব্রাল ম্যালারিয়া।
সেন্ট্রাল নার্ভাস সিস্টেমকে অকেজো করতে পারে এরূপ অনেক প্যাথোজেন রয়েছে। এমনকি সাদাসিধা অ্যামিবাও ব্রেনকে আক্রান্ত করতে পারে নাক দিয়ে কোনো মতে সেখানে পৌঁছুতে পারলে। তাই বিশ্বাসীদের ওযু করার সময় নাকে পচা পুকুরের পানি দেওয়াতে সাবধান থাকা জরূরী।

*আর চুলের রংয়ের জন্য মেলানোকরটিন ওয়ান রিসেপটর জীন (ডিএনএ'র অংশ) দায়ী। মেলানোসাইট সেল থেকে উদ্ভূত নানারকমের মেলানিন পিগমেন্টের জন্য চুলের রংও পরিবর্তিত হয়। আর মেলানিন না থাকলে সাদা হয়।


২৬ শে এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৩:৪৪

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: ব্রেনের ব্যাপারটা দেখলাম CD8+ T সেলের জন্য এই আকামটা হয় অথচ ব্রেনের মোটা ধমনীর দেয়াল কিছুই করতে পারে না। এছাড়া ম্যাডকাউ, জিকার কথা তো ভুলেই গেছি। আসলে বায়োলজি নিয়ে জ্ঞান যে এত স্বল্প এবং নিয়মিত চর্চা না থাকায় এরকম ভুল হলো ভাবতেই লজ্জা পাচ্ছি।

খুব উপকার হয় যদি পোস্টটা একটু দেখিয়ে দেন। খুঁজে পাচ্ছি না। সংশোধন করবো।

আর আশীষ নন্দীর উইকি প্রোফাইল পড়লাম। এতো দেখি সেরকম স্কলার। মাথা নস্ট। এজন্য একটা ধন্যবাদ প্রাপ্যত আপনার।

ভাল্লুকের কুইজের ব্যাপারে সেটা ইস্যু না। অংকটা আপনাকে করতে হবেই এই জন্য যে আপনাকে দেখতে হবে সেটা কোন গ্রহে। যদি পৃথিবীর অভিকর্ষীয় ত্বরনের সাথে মেলে তাহলে সেটা কালো বলা যায় আর যদি সেটা এমন এলিয়েন প্লানেট হয় এবং সে প্লানেটের মধ্যাকর্ষন এত কম হলে তার বায়ুমন্ডল থাকবে না এবং ঠান্ডা হবে প্রচন্ড তার ঘনত্বের জন্য। সেক্ষেত্রে ভাল্লুক ওখানে নেবার আগেই জমে হিম বা স্যুট ও পড়ান তাহলে তার পশমের রং বিবর্ন হবে। কিন্তু পশম এখানে ইস্যু না, ভাল্লুকের চামড়া সবই কালো হয় এটাই রক্ষে। তবে মেলানিনের ডিটেইলস জেনে ভালো লাগলো।

ডাক্তার বুঝি??

১৮| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১:৩০

নতুন বলেছেন: মানুষ যত কম জানে তত বেশি বিশ্বাস করে.....

জ্ঞানের পরিধি বাড়লে যৌক্তিক ভাবনা বাড়ে তাই আর বিশ্বাসের পরিমান কমতে থাকে। এবং বিশ্বাস করতে যেই বিষয় গুলির উপরে নিভ`র করে সেটাও যৌক্তিক ভাবে বেছে নেয়।

এই জন্য জ্ঞানী মানুষের বিশ্বাস করে ঠকে না... বা তাদের বিশ্বসে ভুল কম হয়।

২৬ শে এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৩:৫৩

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: কিন্তু মাহমুদুরের মতো লোক যে আপনাদের অবলীলায় মিথ্যা বলছে তার কি হবে?

বানু কুরায়জা যে চুক্তি ভাঙ্গেন বরংচ হুয়ায়ের অনুরোধে ঢেকি গিলেছে কিন্তু বাস্তবে যে তারা কোরাইশদের পক্ষে কোনো একটিভিটি দেখায় নি সেটা তো আমি আমার লাস্ট পোস্টে দলিল সহ দেখালাম, সেখানে আপনারা চুক্তি ভঙ্গের কথা বার বার বলছেন কেন ?

আর আপনার এতবড় অজ্ঞতার সুযোগ নিয়ে সে একটা ডাহা মিথ্যা কথা বলেছে

*কুরাইজা এসময় কুরাইশদের সাথে যোগ দিয়ে মুসলমানদের সাথে চুক্তি লঙ্ঘন করে। তারা ভিন্ন দিক থেকে মুসলিমদের উপর হামলার পরিকল্পনা করেছিল।কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা ব্যর্থ হয়।
*খন্দকের যুদ্ধের প্রাক্কালে প্রথম সুযোগ পাওয়া মাত্রই তারা এই সন্ধিপত্র ছিঁড়ে ফেলে শত্রুদলে যোগদান করে।

*আই এসের প্রধান কে?সে ইহুদীর সন্তান।যাকে প্রশিক্ষন দিয়েছে মোসাদ।

এই যে তিনটা ডাহা মিথ্যা ও গুজব বললো এগুলো কি একটু যাচাই করেছেন? একটু রেফারেন্স চেয়েও দেখতেন ডাহা মিথ্যাবাদী কিভাবে কন্ডমের ফাটা বেলুনের মতো চুপসে যেত!!

করেন কি ভাই!!

১৯| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ১০:৩৭

নতুন বলেছেন: লেখক বলেছেন: কিন্তু মাহমুদুরের মতো লোক যে আপনাদের অবলীলায় মিথ্যা বলছে তার কি হবে?

তার এই মিথ্যা গুলি সামনে আসলে আস্তে আস্তে চুপে যাবে....

২৬ শে এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ১১:৩৪

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: জঙ্গিরা কখনো চুপ থাকছে?এই লিংকে দেখেন। এদের বিশ্বাস কতটা উগ্র ও পশুতে পরিনত করে তার সিম্পল একটা উদাহরন। শ্রীলংকাটা তছনছ করে দিছে নিমকহারাম গুলো। এসব মিথ্যা কথা নিমকহারাম নৃশংসতা সবই ঐ মোহাম্মদের বই থেকে শিশুকাল থেকেই শিখে বিশ্বাস করে বড় হয়ে জানোয়ারে পরিনত হইছে

২০| ১৫ ই জুলাই, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:২৮

নতুন বলেছেন: এই মূখ` চরম বেয়াদবী করেছে... এটাকে শিক্ষা দিতে হবে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.