নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ঈশ্বর পটল তুলছে - নীৎসে/নীশে/নিৎচা

উদাসী স্বপ্ন

রক্তের নেশা খুব খারাপ জিনিস, রক্তের পাপ ছাড়ে না কাউকে, এমনকি অনাগত শিশুর রক্তের হিসাবও দিতে হয় এক সময়। গালাগাল,থ্রেট বা রিদ্দা করতে চাইলে এখানে যোগাযোগ করতে পারেন: [email protected]

উদাসী স্বপ্ন › বিস্তারিত পোস্টঃ

আইএসআইএস কি সহিভাবে জিহাদ করছে? জঙ্গিদের সহী ইসলামী জিহাদ নিয়ে একটু অনুসন্ধানী পোস্ট পর্ব ১

২৪ শে এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৩:২৫

ধরেন আপনার শরীর খারাপ। নতুন এলাকার কোন ডাক্তার কেমন সেটা জানা নাই তাই ভাবলেন সব ডাক্তারের কাছে গিয়ে একটু যাচাই করবেন। তো পুরো সপ্তাহজুড়ে এ্যাপয়েন্টমেন্ট নিলেন, ডাক্তারের চেম্বারে গেলেন। সব ডাক্তার দেখানো হলে তার চক্ষু চড়কগাছ। সর্বমোট ৫০ টা টেস্ট এবং কিছু টেস্ট এইচআইভি ও যক্ষ্মার টেস্টও আছে। অথচ সপ্তাহ পর তার খারাপ লাগা আর নাই। সে সুস্থ। সবচেয়ে মজার কথা হলো ১০ জন ডাক্তারের প্রাগনোসিস ১০ রকম এবং সেখানে ১০ টা রোগের নাম উল্লেখ আছে।

আবার শবে বরাতের রাতে কত রাকাত নামাজ পড়বেন এই ভেবে এলাকার হুজুর আর মাদ্রাসার আলেমদের সাথে একটু কথা বলতে গেলেন। দেখা গেলো ১০ জনের দুজন আপনাকে মারতে তেড়ে আসলো এই বলে যে শবে বরাত পালন বেদায়াত। তিনজন বললো তাদের মাদ্রাসাতে কোরান খতম হবে সারা রাত। ১০০ টাকা হাদিয়া দিয়ে ঢুকতে হবে, মানে কোরান শরীফ শোনানো হবে টিকিট কেটে। ৪ জন বললো নফল রাকাত ১০, ২৫, ১০০ রাকাত পড়তে। বাকি একজন বললো আল্লাহর সব দিনই সমান। যেকোনো এবাদত ছোয়াবের। কিছুক্ষন পর আপনার মাথা ঘুরা শুরু করলো। দেশের ডাক্তার আর হুজুরদের মধ্যে কোনো ঐক্যমত্য নাই না কাহিনী কোথায় সেটা আপনার মাথাতে ঢুকাতে গেলে মাথা ফেটে যেতে পারে।

সেদিন শুনলাম হোলি আর্টিজান হামলা, ৫০০ বোমা হামলা, আব্দুর রহমান, বাংলা ভাই, মুফতী হান্নান সব নাকি সরকার আর ইহুদী নাছাড়াদের ষড়যন্ত্র। তারে এই লিংক দেখাতেই পারলে তেড়ে আসে। বিদেশ জীবনে এসেও দেশের নেতা, হুজুরদের এমন কঠিন ভালোবাসা দেখে মুগ্ধ হবার টাইম পেলাম না, পেছন থেকে ডেডলক দিয়ে রাস্তায় বসিয়ে দিয়ে বললাম ফের যেনো সামনে না আসে। কি যন্ত্রনা!

অনেকেই একটা কথা বলে ইসলামে কখনো জঙ্গি আক্রমন সমর্থন করে না। নীরিহ নিরস্ত্র মানুষ হত্যা এবং শিশু নারীদের ওপর নির্যাতনও সমর্থন করে না। আসলে এটা কতটুকু সত্য? যারা এই হামলা গুলো করেন তারা সবাই ইসলামিক স্কলারদের কাছ থেকে বাইয়াত নেন এবং তারা বিশ্বাসের কারনে নিজের জীবনটা পর্যন্ত তুচ্ছ করেন। কতটা আত্মবিশ্বাস এবং সাহসী হলে এই কাজটা করতে পারে সেটা আসলেই ভেবে দেখার মতো। স্বভাবতই আমি এই পোস্টে নিজের মতামত প্রদান করা থেকে বিরত থাকবো। আমি শুধু ইসলামিক দলিল উল্লেখ করে ঘটনার বর্ননা হুবহু তুলে ধরে নিজে বোঝার চেস্টা করবো আইএসআইএস, বোকো হারাম, আল কায়েদা এমনকি ১৯৭১ সালে পাকবাহিনী কর্তৃক বাঙ্গালীদের নৃশংস গনহত্যা ও ধর্ষন এগুলো সহী ইসলামের সাথে কতটুকু মেলে।

নিয়ম:

**ভুল ত্রুটি হলে অবশ্যই উল্লেখ করুন, সুন্দরভাবে বলুন। যদি আসলেই দেখি তাহলে শুধরে দেবো।
** ব্যাক্তিগত আক্রমন করলে আপনিও ব্যাক্তিগত আক্রমনের শিকার হবেন। নিজেকে কন্ট্রোল করতে না পারলে প্লিজ এই পোস্ট পড়বেন না।


নাখলার ডাকাতী

সূরা বাকারার ২১৬-২১৮ নম্বর আয়াত:

তোমাদের উপর যুদ্ধ ফরয করা হয়েছে, অথচ তা তোমাদের কাছে অপছন্দনীয়। পক্ষান্তরে তোমাদের কাছে হয়তো কোন একটা বিষয় পছন্দসই নয়, অথচ তা তোমাদের জন্য কল্যাণকর। আর হয়তোবা কোন একটি বিষয় তোমাদের কাছে পছন্দনীয় অথচ তোমাদের জন্যে অকল্যাণকর। বস্তুতঃ আল্লাহই জানেন, তোমরা জান না।সম্মানিত মাস সম্পর্কে তোমার কাছে জিজ্ঞেস করে যে, তাতে যুদ্ধ করা কেমন? বলে দাও এতে যুদ্ধ করা ভীষণ বড় পাপ। আর আল্লাহর পথে প্রতিবন্দ্বকতা সৃষ্টি করা এবং কুফরী করা, মসজিদে-হারামের পথে বাধা দেয়া এবং সেখানকার অধিবাসীদেরকে বহিস্কার করা, আল্লাহর নিকট তার চেয়েও বড় পাপ। আর ধর্মের ব্যাপারে ফেতনা সৃষ্টি করা নরহত্যা অপেক্ষাও মহা পাপ। বস্তুতঃ তারা তো সর্বদাই তোমাদের সাথে যুদ্ধ করতে থাকবে, যাতে করে তোমাদিগকে দ্বীন থেকে ফিরিয়ে দিতে পারে যদি সম্ভব হয়। তোমাদের মধ্যে যারা নিজের দ্বীন থেকে ফিরে দাঁড়াবে এবং কাফের অবস্থায় মৃত্যুবরণ করবে, দুনিয়া ও আখেরাতে তাদের যাবতীয় আমল বিনষ্ট হয়ে যাবে। আর তারাই হলো দোযখবাসী। তাতে তারা চিরকাল বাস করবে।আর এতে কোন সন্দেহের অবকাশ নেই যে, যারা ঈমান এনেছে এবং যারা হিজরত করেছে আর আল্লাহর পথে লড়াই (জেহাদ) করেছে, তারা আল্লাহর রহমতের প্রত্যাশী। আর আল্লাহ হচ্ছেন ক্ষমাকারী করুনাময়।

ক্বাথীরে এর তাফসীর দেখে নিতে পারেন। আমি একটু ঘটনাটা সংক্ষেপে বলি:

নবী মোহাম্মদ ৭-৮ জনের একটা দলকে বাতেনে নাখলা পাঠালেন নজরদারীর জন্য। সে চিঠিতে বলা ছিলো তাদের মধ্যে থেকে যারা এই অভিযানে অংগ্রহন করতে চায় না, তারা যেনো ফেরত না আসে! তো এক জায়গায় লেখা আছে ২ জন ফিরা গেছে আবার এই তাফসীরে বলা আছে কেউ যায় নাই। এর মধ্যে তাদের মধ্যেকার দুজন নিজেদের ঘোড়া হারায়া ফেলে। একটা উপযুক্ত স্থানে অবস্থান করলে তারা একটা মরুযাত্রীদলের দেখা পায় যারা কোরাইশদের অন্তর্ভূক্ত। এদের মধ্যে একজন মুক্ত দাসীও ছিলো। ঐ মরুযাত্রীদল যখন এই মুহাজীর সাহাবীদের দল দেখতে পায় তখন তারা ভয়ে সঙ্কিত হয়ে যায়। তখন মুহাজীর সাহাবীদের মধ্যে উকাসা বিন মিহসানের মাথা টাক দেখে কুরাইশরা শন্কামুক্ত হয় এই ভেবে যে এরা মনে হয় ওমরা হজ্জ্ব করা দল, মানে তীর্থযাত্রী।এরা কোনো ক্ষতিসাধন করবে না। উল্লেখ্য ঐ মরুযাত্রীদল শুস্ক কিশমিশ যা মক্কার আঙ্গুরের বাগানে চাষকৃত, খাদ্যদ্রব্যাদী আর বিক্রি করার জন্য জিনিসপত্র ব হন করছিলো তাদের ভারবাহন কারী গাড়ীতে।এদিকে মুহাজীররা জানতো না সেদিন কি বার ছিলো। আর তারা নিজেদের মধ্যে বলাবলি করছিলো যে আল্লাহর নামে এদের ছেড়ে দিলে এরা পবিত্র জায়গায় প্রবেশ করবে এবং তাদের থেকে পালিয়ে আশ্রয় নেবে। আর যদি মারো, তাহলে পবিত্র মাসেই মারা হবে। এরই মধ্যে ওয়াক্কিদ ইবনে তামিম একটা তীর ছুড়ে মারে এবং ঐ তীরে বিদ্ধ হয়ে কুরাইশ আমীর বি হাদামী জায়গায় মারা যায়। এটা দেখে দুজন সারেন্ডার করে আরেকজন ধস্তাধস্তি করে জায়গায় পটল তুলে। পরে ঐ দুজন সহ যাবতীয় মালামাল আর মালবহনকারী গাড়িটি মুহাজীর সাহাবীরা নবিজী সাঃ এর কাছে নিয়ে আসে এবং এই অভিযান থেকে সংগৃহিত মালামালের ৫ ভাগের এক ভাগ তাকে দিতে চাইলে নবিজী সাঃ প্রথমেই বলে, আমি তোমাদের পবিত্র মাসে যুদ্ধ করতে বলি নাই।এই কথা বলার পর সাহাবীরা কান্নায় মুশরে পড়ে এই ভেবে যে তারা ইসলাম থেকে বরখাস্ত হয়ে গেলো বুঝি। তখন নবী মোহাম্মদ সুরা বাকারার এই আয়াত সমূহ নাজিল করে। মূলত কুরাইশ যুদ্ধ বন্দিদের ধরে নিয়ে আসলে ইহুদীদের মাধ্যমে কুরাইশরা জানায় যে তোমরা চুক্তি ভঙ্গ করেছো, পবিত্র মাসে তোমরা যুদ্ধ করেছো। মূলত ঐদিন ছিলো রজবের প্রথম রাত্রী আর জামিদিউল উখরার শেষ রাত্রী। মুহাজীরগনের এই সময়টা তাদের মাথায় ছিলো না। আয়াতের সারমর্ম হলো "এই মাসগুলোতে যুদ্ধ করা হারাম বটে কিন্তু হে মুশরিকরা! তোমারাদের মন্দ কার্যাবলী মন্দ হিসেবে এর চেয়েও বেড়ে গেছে।তোমরা আমাকে অস্বীকার করছো।তোমরা আমার নবী সাঃ ও তার সহচরদেরকে আমার মসজিদ হতে প্রতিরোধ করছো।তোমরা তাদেরকে সেকান হতে ব হিস্কৃত করেছো। সুতরাং তোমরা ঐ সব কার্যাবলীর দিকে দৃষ্টিপাত করো যে সেগুলো কতটা ঘৃন্য।"

এই ঘটনা থেকে বোঝা যায় নিরস্ত্র মানুষ যাদের দ্বারা কোনো মুসলমানদের ক্ষতি হয়নি কিন্তু তারা যদি নির্যাতনকারী গোত্রের অন্তর্ভূক্ত হয় তাহলে তাদেরকে হত্যা করা নবী মোহাম্মদ সমর্থন করেছেন এবং কোরানে তার বৈধতা দিয়ে আয়াত ডাউনলোড করেছেন। যদিও নবী মোহাম্মদ পবিত্র মাসে যে যুদ্ধবিরতী চলবে সেই চুক্তি ভঙ্গ করেছিলেন।

বানু কুরায়জা:

বানু কুরায়জার গনহত্যা সংঘটিত হয় ৬২৭ খ্রিস্টাব্দে ৫ হিজরী জিলক্বাদ মাসে। কোরানের আল আহযাবের ২৬-২৭ নম্বর আয়াতে আছে:

কিতাবীদের মধ্যে যারা কাফেরদের পৃষ্টপোষকতা করেছিল, তাদেরকে তিনি তাদের দূর্গ থেকে নামিয়ে দিলেন এবং তাদের অন্তরে ভীতি নিক্ষেপ করলেন। ফলে তোমরা একদলকে হত্যা করছ এবং একদলকে বন্দী করছ।তিনি তোমাদেরকে তাদের ভূমির, ঘর-বাড়ীর, ধন-সম্পদের এবং এমন এক ভূ-খন্ডের মালিক করে দিয়েছেন, যেখানে তোমরা অভিযান করনি। আল্লাহ সর্ববিষয়োপরি সর্বশক্তিমান।


এই দুটো আয়াতের তাফসীরে ক্বাথীরে যেভাবে আছে সেটা জানতে এখানে ক্লিক করুন। আলেমরা বানু কুরায়জার গনহত্যাকে জায়েজ করতে যেটা বলে থাকেন সেটা হলো তারা নাকি নবী মোহাম্মদের সাথে চুক্তি ভঙ্গ করেছিলো এবং মুসলিমদের বিরুদ্ধে যেয়ে মক্কাবাসীদের সাথে যোগদান করেছিলো। তাদের দাবি অনুযায়ী, যেহেতু চুক্তি ভঙ্গ করা এবং মক্কাবাসীদের সহায়তা করা বিশ্বাসঘাতকতা সেহেতু পুরো বানু কুরাইজা গোত্রের পুরোপুরি ধ্বংস প্রাপ্য।

দেখি আসলে যুদ্ধের সময় বানুকুরায়জার ভূমিকা কি ছিলো: মুসনাদ আহমেদ ইবনে হানবলের ২২৮২৩ হাদিস অনুসারে আবু সুফিয়ান মোহাম্মদের ওপর আক্রমনের জন্য কুরায়জা গোত্রের সাহায্য কামনা করছিলো, তারা অসম্মতি জানায় এবং উল্টো মোহাম্মদের ডাকাতদলকে অস্ত্রশস্ত্র দিয়ে সাহায্য করে। অস্ত্রশস্ত্র কি কি দিয়েছিলো সেটা আল ওয়াকীদির সীরাতে বর্ননা আছে। যেহেতু আল ওয়াকিদীর বেশ দুর্নাম ছিলো সেসময়ে তাই সেই অস্ত্রশস্ত্রের ব্যাপারে ডিটেইলে যাচ্ছি না। তবে আবু সুফিয়ানকে ফিরিয়ে দেবার ব্যাপারটা ইসহাকের ৬৮৩ নম্বর পৃষ্ঠায় এভাবে বর্নিত আছে যে "তারপর আবু সুফিয়ান বললেন : “ওহে কুরাইশ, আমরা কোনো স্থায়ী শিবিরে নেই ; আমাদের ঘোড়া ও উট মারা যেতে চলেছে ; বানু কুরাইজা আমাদের প্রতি কথার খেলাপ করেছে এবং আমরা তাদের ব্যাপারে উদ্বেজক খবর শুনেছি। তোমরা ঝড়ের হিংস্রতা দেখতে পারো যা আমাদের জন্য না রান্নার পাত্র বাকি রাখছে, না রাখছে তাবু। আমি চলে যাচ্ছি”।"

তাহলে প্রশ্ন আসতে পারে সূরা আহযাবের ২৬-২৭ নম্বর আয়াতের ক্বাথীরের তাফসীরে প্রথমেই বর্ননাকৃত হুয়ায় বিন আখতাব বিন নাদারী যখন বানু কুরায়জার গোত্র প্রধান কা'ব বিন আসাদকে রাজী করাতে হিমশিম খাচ্ছিলো তাহলে সে কেন পরে রাজী হলো এবং এটাই বা মোহাম্মদ কখন কি করে জানলো।

তার আগে একটি হাদিস দেই সহী মুসলিমের: আমরা মসজিদে একসাথে বসেছিলাম এমন সময় মোহাম্মদ আমাদের কাছে এসে বলে: চলো ইহুদীদের কাছে যাই। সবাইমিলে তাদের কাছে গেলে মোহাম্মদ তাদেরকে ডেকে বলতে থাকলেন: হে ইহুদীদের জামায়েত, ইসলাম গ্রহন করো তাহলে তোমরা নিরাপদ থাকবে। তারা বললো, আবুল কাসেম তোমার কাছে খোদার বার্তা এসেছে। নবী বললো: আমি এটাই চাই যে খোদার বার্তা তোমাদের কাছে পৌছে দেয়া হয়েছে, ইসলাম গ্রহন করো এবং নিরাপদে থাকো। তারা বললো: আবুল কাসিম, তুমি বার্তা পৌছে দিয়েছ আমাদের। আবারও নবী মোহাম্মদ একই কথা তিনবার বললেন এবং তারাও তিনবার একই উত্তর দিলো। তারপর নবী মোহাম্মদ যোগ করলেন এই পৃথিবীর সবকিছু আল্লাহ এবং তার নবীর অধিকারে এবং আমার ইচ্ছা তোমাদের এই জমি থেকে বিতাড়িত করি। যাদের এখানে জমি আছে সব বিক্রি করে দাও অন্যথায় তোমাদের জানা উচিত এই পৃথিবীর সবকিছু আল্লাহ ও তার নবীর(তোমাদেরকে সবকিছু ছেরে যেতে হবে)।

আবার স হী মুসলিমের আরেকটা হাদিসে এসেছে: উমর ইবনে খাত্তাব বর্নিত একদা তিনি মুহাম্মদকে বলতে শুনেছেন যে আমি আরব পেনিনসুলা থেকে সকল ইহুদী ও খ্রিস্টান বিতাড়িত করবো এবং একানে মুসলিম ছাড়া কেউ থাকতে পারবে না।

এছারা বানু কুরায়জার সাথে মোহাম্মদের যে চুক্তি হয়েছিলো তার প্রেক্ষাপট আবু দাউদের এই হাদিসে পাওয়া যায়: তারা মোহাম্মদের সাথে চুক্তি করতে অস্বীকার করলো এবং মোহাম্মদ তাদের সাথে লড়লো সেদিনই। তারপরের দিন সে বানু কুরায়জার কাছে তার সৈন্য সামন্ত নিয়ে গিয়ে চুক্তি করার জন্য প্রশ্ন করলে অবস্থা বেগতিক দেখে তারা চুক্তি করে। তারপর মোহাম্মদ তার সৈন্য সামন্ত নিয়ে আবারো বানু নাদিরের কাছে ফিরে গিয়ে আবারও লুট তরাজ শুরু করে যতক্ষন না তারা আত্মসমর্পন করে এবং তারা ঐ এলাকা ছেড়ে যেতে সম্মত হয়। চুক্তির ফলে তারা তাদের উটে করে নিজেদের জিনিসপত্র এবং ঘরের দরজা ও জানালার কাঠ ব হন করে নিয়ে যায়। এরফলে বানু নাদেরের সকল খেজুর গাছ শুধুমাত্র মোহাম্মদের হস্তগত হয় এবং আল্লাহ এগুলো তাকেই দান করে।

তার মানে বানু কুরায়জা মোহাম্মদের সাথে চুক্তি করতে একরকম বাধ্য হয়ে। এবং যখন দেখে কুরাইশ ঘাতাফান সবাই মিলে মোহাম্মদকে নিশ্চিহ্ন করার জন্য এগিয়ে আসে তখনও তারা রাজী হয় নি। তবে হুয়ায়ের অতিরিক্ত জোড়াজুড়িতে গোত্রপ্রধান মৌখিক ভাবে সম্মতি দিলেও এটা বলে যে যদি কুরাইশরা মোহাম্মদকে নিশ্চিহ্ন করতে না পারে তাহলে তাকেও যেনো বানু কুরায়জার ভাগ্য বরন করে নিতে হয়, ক্বাথীরের আহযাবের ২৬-২৭ নম্বর আয়াতের তাফসীর অনুসারে। কিন্তু যুদ্ধ চলাকালীন সময় মুহাম্মদ তার এক গুপ্তচরকে কোরাইশ প্রধান আবু সুফিয়ানের কাছে পাঠালে স্পস্ট তার বয়ানে ফুটে উঠে বানু কুরায়জার অসম্মতি প্রকাশের কথা।
আহমেদ ইবনে হানবলের লেখা মুসনাদের বইয়ের ২২৮২৩ নম্বর হাদিসে পুরোপুরি তুলে দিলাম:
হুতাইফা ইবনে আল ইয়ামান বর্নিত মোহাম্মদ আমাকে বললো,"ও হুতাইফা, যাও এবং কোরাইশ বাহিনীর মধ্যে ঢুকে দেখে আসো ওরা কি করছে এবং একটা শব্দ বলবে না কাউকে যতক্ষন না ফিরে আসো"। তাই আমি ওদের সেনাবাহিনীর মধ্যে ঢুকে পড়ি যখন আল্লাহ ঠান্ডা ঝড়োবাতাস প্রবাহিত করছিলেন ফেরেশতাদের ডানার আঘাতে এবং ওদের সৈন্যরা যা করছিলো আমিও তাই করতে থাকলাম- এবং সব কিছু পরখ করতে থাকলাম তাদের আগুন সহ সবকিছু। তাই আবু সুফিয়ান বিন হার্ব যিনি কিনা প্যাগান কুরাইশদের সেনাপতি এসে দাড়ালেন এবং জিজ্ঞেস করলেন," কে তুমি?" তখন আমি বললাম,"আমি অমুকের ছেলে তমুক (আরবের এক্সপ্রেশনে যার মাধ্যমে কোনো ঘটনার সাথে সাজুজ্জ রেখে কারো ছেলে হয়ে পরিচয় দেয়া)" তখন আবু সুফিয়ান বললো," হে কুরাইশের বাসিন্দা, আল্লাহর কারনে তোমার থাকার জায়গা আর থাকার মতো নাই (অর্থাৎ পরিস্থিতি খারাপ); ঘোড়া, উট ঝড়ে মারা যাচ্ছে, বানু কুরায়জা বিশ্বাসঘাতকতা করেছে আমাদের সাথে, আমরা ওদের কাছ থেকে এমন কিছু পেয়েছি যা আমরা পছন্দ করিনি(তারা তাদের দূর্গের মধ্যে প্রবেশ করতে দেয় নি) এবং এই ঝড় আমাদেরকে খারাপ সময় দিচ্ছে। আল্লাহর কছম, আমাদের বাহিনী দাড়াতে পারছে না, আগুন ঠিকমতো জ্বলছে না এবং কোনো কাঠামোই ঠিক মতো দাড়াতে পারছে না। তাই আমি ফেরার জন্য ফিরে যাচ্ছি।"

তার মানে এই গুপ্তচরের বক্তব্যই স্পস্ট যে বানু কুরায়জা আসলেই কুরাইশদের সাথে তাদের সখ্যতা রক্ষা করেনি। ইবনে ইশহাকের সীরাতের ৬৮৩ নম্বর পৃষ্ঠাতেও একই বর্ননা পাওয়া যায়।

অনেকে আবার বলেন সাফিয়া বিনতে আব্দ আল মুত্তালিব যিনি কিনা নবী মোহাম্মদের ফুপু ছিলেন সেই ঘটনার দিকে আঙ্গুলী নির্দেশ করেন। খন্দকের যুদ্ধে সকল মুসলমান পুরুষ যুদ্ধে চলে গেলে মদিনাতে সকল নারী এবং বৃদ্ধ শিশুরা অরক্ষিত হয়ে পড়ে তখন কবি হাসান ইবনে থাবিতের ফারি দূর্গে সবাইকে রাখা হয়। কিন্তু কবি হাসান ইবনে থাবিত যোদ্ধা ছিলেন না। রাতের বেলা সাফিয়া খুটখাট আওয়াজ শুনলে থাবিতকে বলেন গিয়ে দেখতে। থাবিত ভয় পেয়ে যান। তখন সাফিয়া চরম সাহসিকতায় একটা ড্যাগার হাতে নিয়ে অন্ধকারে গিয়ে দেখেন এক ইহুদী শাল পরিহিত অবস্থায় লুকিয়ে আছে। সাফিয়া তখনই তার সাথে ধস্তাধস্তি শুরু করে এবং গলায় ড্যাগার চালিয়ে জবেহ করে হত্যা করে। ঘটনাটার বর্ননা পাওয়া যায় ইবনে ইস হাকের সীরাতে। তবে সাহাবী ইবনে সা'দের সীরাতে ঘটনাটা খন্দকের যুদ্ধের কথা বলা হয় নি, বলা হয়েছে উহুদের যুদ্ধের কথা এছাড়া এর আর কোনো রেফারেন্স নেই এবং সেই ইহুদী কোন গোত্রের ছিলো তার কোনো বর্ননা নেই। তাই স্বাভাবিক ভাবেই বিনা পরিচয়ে তাকে বানু কুরায়জা ব নাদের বা কাইনুকা গোত্রের সন্দেহ করা সমুচিত এছাড়া মোহাম্মদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার অনেক গুলো গোত্রই একতাবদ্ধ হয়েছিলো।

কিন্তু খন্দকের যুদ্ধে মীমাংসা শেষ হবার পরও সহী বুখারীর এই হাদিস অনুসারে জানতে পারি আসলে মোহাম্মদ কি চাইছিলেন জিব্রাইলের বার্তার নামে:

আয়শা বর্নিত সা'দ খন্দকের যুদ্ধে আহত হয়ে ফেরে যেখানে হিব্বান বিন আল আরাকা নামের এক কুরাইশ তাকে তীর মেরে আহত করে। হিব্বান ছিলো বানি মাঈস বিন আমির বিন লুয়াই গোত্রের যার তীরের আঘাতে হাতের প্রধান আর্টারী বিক্ষত হয়। মোহাম্মদ সাদের জন্য একটা তাবু খাটায় মসজিদে যাতে সে তার পাশে থেকে দেখা শুনা করতে পারে। যখন নবী খন্দকের যুদ্ধক্ষেত্র থেকে ফিরলো এবং তার অস্ত্র রাখলো এবং গোসল করতে গিয়ে জিব্রাইল এসে তার মাথা ঝাীয়ে ধূলা সাফ করতে লাগলো এবং বললো "তুমি তোমার অস্ত্র নামিয়ে রাখলে?" জিব্রাইল বানু কুরায়জার দিকে আঙ্গুলি দেখিয়ে বললো,"আল্লাহর নামে ওদেরকে আক্রমন করো।" তাই নবী মোহাম্মদ তাদেরকে ঘিরে ফেললো ............


এই বানু কুরায়জা অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছিলো টানা ২৫ দিন।

এর পরে কি হয়েছে সেটা আর না বলে বানু কুরায়জা কোনো উপায়ান্তর না দেখে সা'দকে বিচারকের দায়িত্ব দিতে সম্মতি হয় কারন সা'দ এক সময় তাদের গোত্রভুক্ত ছিলো।

ইবনে ইস হাকের বর্ননায়,"তখন তারা আত্মসমর্পণ করেন এবং নবীজী (সাঃ) তাদেরকে মদিনায় আল হারিসের আবাসস্থলে অবরুদ্ধ করলেন। তারপর তিনি মদিনার বাজারে গেলেন এবং সেখানে পরিখা খনন করলেন। তারপর তাদেরকে নিয়ে আসার জন্য পাঠালেন এবং তাদের মাথা কেটে ঐসব পরিখায় ফেললেন, তাদেরকে শ্রেণীবদ্ধভাবে নিয়ে আসা হয়েছিলো। তাদের মধ্যে আল্লাহ্‌র শত্রু আখতাব এবং কাব ছিলেন তাদের নেতা। তারা সংখ্যায় ৬০০ থেকে ৭০০ জন ছিলেন, আবার কারো কারো মতে ৮০০ থেকে ৯০০ জন। যাইহোক, তাদেরকে শ্রেণীবদ্ধ ভাবে আল্লাহ্‌র নবীর কাছে নিয়ে যাওয়ার সময় তারা কাবকে জিজ্ঞেস করলেন, তাদের সাথে কি করা হবে। তিনি জবাব দিলেন, তোমরা কি কখনওই বুঝবে না? তোমরা কি দেখছো না যাদের নিয়ে যাওয়া হচ্ছে তারা ফিরে আসছে না? এটা মৃত্যু! আল্লাহ্‌র নবী তাদেরকে পুরোপুরি শেষ করে দেওয়ার আগ পর্যন্ত হত্যা চলতে থাকে। হুয়ায়কে আনা হলো একটি কুসুমিত পোশাক পড়িয়ে যার প্রত্যেক অংশে তিনি আঙুলের ডগা আকৃতির ছেঁদ করেছিলেন যেন সেটা নিয়ে যাওয়া না হয়, তার হাত দুটো একটি দড়ি দ্বারা তার গর্দানের সাথে বাধা ছিলো। যখন তিনি আল্লাহ্‌র নবীকে দেখলেন তখন তিনি বললেন, ‘আপনার বিরোধিতা করার জন্য আমি নিজেকে দোষারোপ করিনা, তবে যিনি ঈশ্বরকে পরিত্যাগ করেন তিনি পরিত্যক্ত হবেন’। তারপর তিনি লোকটির কাছে গেলেন এবং বললেন, ‘আল্লাহ্‌র আদেশ যথার্থ, বনী ইসরাইলীদের বিরুদ্ধে একটি গ্রন্থ, একটি ফরমান, এবং সর্বসংহার লেখা হয়েছে। তার তিনি বসলেন এবং তার কল্লা কেটে নেওয়া হলো। "

"আল্লাহ্‌র নবী বানু কুরাইজার কিছু বন্দিনী নারীদের বিন আব্দুল আশহালের ভাই সা’দ বিন জায়েদ আল আনসারির সাথে নজদে পাঠান এবং তিনি তাদেরকে ঘোড়া ও অস্ত্রশস্ত্রের বিনিময়ে বিক্রি করে দেন।"

আল্লাহ্‌র নবী তাকে তাদের কাছে পাঠালেন, এবং যখন তারা তাকে দেখলেন তারা তার সাথে সাক্ষাৎ করতে প্রস্তুত হলেন। নারী ও বাচ্চাকাচ্চারা কান্নাকাটি করতে করতে তার কাছে গেলেন, এবং তিনি তাদের জন্য দুঃখ অনুভব করলেন। তারা বললেন, ওহে আবু লুবাবা, তুমি কি মনে করো আমাদের মোহাম্মদের ফয়সালার ওপর বশ্যতাস্বীকার করা উচিৎ? তিনি বললেন হ্যা, এবং তার হাত দিয়ে তার গলা দেখিয়ে হত্যার ইংগিত দিলেন।তারপর তিনি তাদেরকে ছেড়ে চলে গেলেন এবং আল্লাহ্‌র নবীর কাছে ফিরে গেলেন না, তবে নিজেকে মসজিদের একটি স্তম্ভের সাথে আবদ্ধ করে রাখলেন এবং বলতে লাগলেন, যতক্ষণ পর্যন্ত আল্লাহ্‌ আমার কৃতকর্মের জন্য আমাকে মাফ করে না দিচ্ছে ততক্ষণ পর্যন্ত আমি এই জায়গা ছেড়ে যাবো না এবং তিনি আল্লাহ্‌র কাছে প্রতিশ্রুতি রাখলেন যে তিনি কখনওই বানু কুরাইজা গোত্রের কাছে যাবেন না এবং কখনওই সেই এলাকায় যাবেন না যেখানে তিনি আল্লাহ্‌ ও তার নবীর সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন।
ইবনে ইসহাক : ৬৮৬

ক্বাথীরের তাফসীরে,"তারপর আল্লাহ্‌র নবী (সাঃ) তাদেরকে ভূমিতে পুতে ফেলার জন্য পরিখা খনন করতে আদেশ করলেন। তারপর তাদেরকে নিয়ে আসা হলো এবং শিরচ্ছেদ করা হলো। তাদের সংখ্যা ৭০০ থেকে ৮০০ জনের মধ্যে ছিলো। তাদের নাবালক সন্তান এবং মা বোনদেরকে বন্দী করা হয় এবং তাদের ধনদৌলত জব্দ করা হয়।

মুহাম্মদ হুসায়েক হাইকালের বর্ননায়,"নবী বানু কুরাইজা গোত্রের ধনদৌলত, নারী ও সন্তানসন্ততিদের মুসলিমদের মধ্যে ভাগ করে দিলেন জনসাধারণের উদ্দেশ্যে এক পঞ্চমাংশ ভাগ করে দেবার পর। অশ্বারোহী সৈন্যদের প্রত্যেকে দুটি করে ভাগ পেলো, একটি তার নিজের জন্য এবং অপরটি তার ঘোড়ার জন্য। সেইদিন মুসলিম বাহিনীর অধীনে ৩৬ জন অশ্বারোহী সৈনিক ছিলো। সা’দ ইবনে জায়েদ আল আনসারি মুসলিমদের সামরিক বল বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে কিছু সংখ্যক বানু কুরাইজা বন্দি বন্দিনী নজদে পাঠান যেখানে তিনি তাদেরকে ঘোড়া এবং অস্ত্রশস্ত্রের বিনিময়ে বদল করেন।"

আল তাবারীর ভলিউম ৮ এবং পৃষ্ঠা ৩৮ অনুসারে, আল্লাহ্‌র নবী তাদের সকলকে হত্যা করতে আদেশ করলেন যারা বয়ঃসন্ধিকালে পৌঁছেছে।

যুদ্ধে শিশু হত্যার ব্যাপারে:

স হী বুখারী বর্নিত"নবীজী (সঃ) আল-আবওয়া অথবা ওয়াদ্দান নামক স্থানে আমার পাশ দিয়ে গেলেন এবং তাঁকে জিজ্ঞেস করা হল যে যেখানে নারী এবং শিশুদের বিপদে পড়ার সম্ভাবনা আছে সেখানে পৌত্তলিক যোদ্ধাদের আক্রমণ করা ন্যায়সঙ্গত হবে কিনা । নবীজী (সঃ) উত্তরে বললেন, " তারা (অর্থাৎ নারী এবং শিশুরা ) তাদের (অর্থাৎ পৌত্তলিকদের) থেকেই আগত । "

স হী মুসলিমে বর্নিত: সা'দ বিন জাসসামা বর্ণনা করেছেন যে, তিনি নবজি(সঃ) কে বললেন," আল্লাহর রাসুল, আমরা রাতের আক্রমণগুলোতে মুশরিকদের শিশুদের হত্যা করি ।" তিনি বললেন ," তারা তাদের থেকেই আগত ।"

কোরানের অহিংস বার্তা নিয়ে আসল তথ্য:

আমরা অনেকেই কোরানের মায়িদাহর ৩২ নম্বর আয়াতের উল্লেখ এভাবে করি: একজনকে হত্যা করে সে যেন সব মানুষকেই হত্যা করে। এবং যে কারও জীবন রক্ষা করে, সে যেন সবার জীবন রক্ষা করে।

কিন্তু পুরো আয়াতটা হলো: এ কারণেই আমি বনী-ইসলাঈলের প্রতি লিখে দিয়েছি যে, যে কেউ প্রাণের বিনিময়ে প্রাণ অথবাপৃথিবীতে অনর্থ সৃষ্টি করা ছাড়া কাউকে হত্যা করে সে যেন সব মানুষকেই হত্যা করে। এবং যে কারও জীবন রক্ষা করে, সে যেন সবার জীবন রক্ষা করে। তাদের কাছে আমার পয়গম্বরগণ প্রকাশ্য নিদর্শনাবলী নিয়ে এসেছেন। বস্তুতঃ এরপরও তাদের অনেক লোক পৃথিবীতে সীমাতিক্রম করে।

যদিও ইহুদীদের এক্সোডাস ২১:২৪ এ স্পস্ট বলা আছে An eye-for-eye and tooth-for-tooth would lead to a world of the blind and toothless.

এখন দেখি কোরানের মায়ীদাহর এই আয়াতের শানে নযুলে ক্বাথীরে কি বলা আছে The Ayah states, whoever kills a soul without justification -- such as in retaliation for murder or for causing mischief on earth -- will be as if he has killed all mankind, because there is no difference between one life and another.
অর্থ দাড়ায় আপনি কোনো কারন ছাড়া বিশৃঙ্খলার উদ্দেশ্যে হত্যা করলে সেটা অপরাধ বলে গন্য হবে। এখন কথা হলো সেই "কারনটা " কি। একটু নীচে গেলে পাবেন সা'দ ইবনে জুবাইর বলেছেন," যে একজন মুসলমানের রক্তক্ষরনে সমর্থন করে, সে যেনো পুরো মানবজাতীর রক্তক্ষরনে সমর্থন দিলো। যে একজন মুসলিমের রক্তক্ষরন বন্ধ করবে সে যেনো পুরো মানবজাতীর রক্তক্ষরন বন্ধে কাজ করলো।"

তার মানে এই কথাটা শুধু মুসলমানদের জন্যই প্রযোজ্য কারন নবী মোহাম্মদ এই উদ্দেশ্যেই আয়াত ডাউনলোড করছেন।

আপাতত এতটুকুই .....আলোচনার প্রয়োজনে ধর্ষন, গনহত্যা নিয়ে আরো আলোচনা করা যাবে যেখানে ইসলামপন্থীদের বক্তব্য তুলে ধরার চেস্টা করবো। পোস্ট বড় হয়ে গেছে

চলবে..................

মন্তব্য ৩২ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (৩২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৯ ভোর ৬:৩১

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
কঠিন। কঠিন লিখেছেন।

২৪ শে এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ৭:৩৬

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: মুসলমানদের শ্রীলংকা আক্রমণের পর ইহুদী নাছাড়াদের পা ঝাড়া ষড়যন্ত্রপাতীর কথা শুনতেছি। মনে হইতেছে পিচকি পুলাপান আকাম করে বলতেছে আমি করি নাই, অমুকে করছে।

তাই ভাবলাম একটা সহী জিনিস নিয়া শান্তিপূর্ণ লেখা দেই। প্রথম পর্বে খুব বেশী কিছু লিখতে পারি নাই। পরবর্তী পর্বে ভাবছি জিনিসটা আরেকটু খোলাসা করবো শান্তির ধর্ম আসলে কাকে বলে!! কেন বিশ্বময় শান্তির ধর্মের লোকজন এত শান্তিময় কুকর্ম করে!!

২| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ৯:০৩

অগ্নিবেশ বলেছেন: এই সব মারদাঙ্গা আয়াত মায়াত বাদ দিয়ে কি কিতাবটারে সংস্কার করা যায় না?

২৪ শে এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ১১:২৫

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: পাগলরে যদি বলেন সাঁকো না নাড়াইতে তাইলে তো হইছে কাম। আমেরিকা থিকা প্রতি বছর ২০০ মিলিয়ন সাহায্য ( যদিও ২০১৭ এর পর এটি বন্ধ করে দেয়া হইছে) নেয়ার পরও ফিলিস্তিনীদের ওপর নির্যাতনের জন্য আমেরিকার দোষ দিয়ে বিশ্ব মুসলিম দিন রাইত আমেরিকার গালি দেয় এবং টোফেল আইএলটিএস দিয়া ভিসা লাগানির স্বপ্ন দেখে। অনেকে গিয়া ফিলিস্তিনের দুঃখ সহ্য করতে না পাইরা আত্মঘাতীও হয়।

এখন কিতাবের সংস্কার চাইয়া খালি পোস্ট বা ফেসবুক স্ট্যাটাস দেন, দেখেন দাবড়ি কুন দিক দিয়া খান! আর অন্যরা যদি বলে তাইলে দেখেন জিহাদের কেমন হিড়িক পড়ে যায় খোদ শরীয়া নিয়ন্ত্রিত মুসলিম দেশে

৩| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ৯:০৭

রাজীব নুর বলেছেন: সমস্ত ধরনের জঙ্গি আছে ভুল পথে।
এরা এই আধুনিক যুগেও কেন ভুল পথে আছে তা বিরাট চিন্তার বিষয়।

২৪ শে এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ১১:২৬

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: সহী ইসলাম পরিপূর্ন জানলে আপনার সামনে দুটো রাস্তা খোলা। হয় আপনি জঙ্গি হবেন নইলে আপনি ইসলাম বিদ্বেষ হবেন।

৪| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ১০:০৫

মোগল সম্রাট বলেছেন: উদা ভাই, টোটাল ওয়ার্ল্ড পপুলেশানের মাত্র ২৪% মুসলিম, আর বাকী ৭২% কি দুধের ধোয়া তুলশীপাতা খাইতেছে? আপনার হয়তো ইসলাম ধর্মের বিষয়গুলা নিয়া বেশি বেশি লেখতে ভালো লাগে তাই ম্যারাথন ম্যারাথন পোস্ট লিখেন, ভালো কথা। কিন্তু অন্য ধর্মগুলা নিয়া লেখেন না ক্যা? জানতে মুঞ্চায়? চুলকাইতে আরাম কি শুধু একখানেই লাগে ?

২৪ শে এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ১১:৩৬

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: ২৪% কি মুসলমান কি সত্য আছে? শিয়ারা বলে সুন্নী নিমকহারাম, সুন্নী বলে শিয়ারা কাফের, আহমদিয়া ভ্রান্ত আকীদা, সুফীরা কুফফার, ইসমাঈলীরা পথভ্রষ্ট, অন্যদের নামাজই হয় না। তো সহী মুসলমান কারা? শয়তানের পুজো করে বলে কুর্দীরা তো মুসলমানের খাতাতেই নেই, আহলে হাদিস শুধু কোরান মানে, হাদিস মানে না। ভাই মুসলমান জিনিসটা কি?

তবে সত্য কথা হল বাইবেল তোরাহতে যে বর্বরতা সন্ত্রাসবাদ জঙ্গিবিদ্বেষ আছে তার মাত্র ১০% কোরানে বিদ্যমান। ঐ গ্রন্থগুলো হলো এসব বর্বরতার বৈয়াম। তাই ভ্যাটিকান এবং খোদ ইসরাইলিয়েটরা তাদের ধর্মের সংস্কার করছে। ইসরাইলীরা যত কুকাম করে ধর্ম টিকিয়ে রাখারজন্য নয়, তীব্র জাতীয়তাবোধ থেকে। ভ্যাটিকান খোদ খ্রিস্টধর্ম সংস্কার শুরু করছে শ খানেক বছর আগে তাই এসব ধর্মের বর্বরতার প্রভাব খুব বেশী নেই।

আরেকটা কথা বাইবেল তোরাহ আমার পড়া থাকলেও সেসব বিষয়ে জ্ঞান সম্পূর্ণ না। কিন্তু মাদ্রাসা ও দীর্ঘদিন ইসলামে সময় দেখায় ইসলামের বেসিক বইগুলো পড়া শেষ। তাই এখন সহজেই ধরতে পারি সহী ইসলাম আর মড্রেট ইসলাম কি!

যে বিষয়ে ভালো জানি সে বিষয়েই তো লেখা উচিত তাই না? তবে খ্রিস্ট বা ইহুদী যদি পুরো জানতে পারি হয়তো তাদের নিয়েও লিখবো। এবং অলরেডি তাদের নিয়ে কিছু লিখেছিও.।

৫| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ১:৩৫

স্বপ্নডানা১২৩ বলেছেন: @ মোগল সম্রাট

Q: 3:85

And whoever desires other than Islam as religion - never will it be accepted from him, and he, in the Hereafter, will be among the losers.

Q: 3:85 - Translation: Sahih International

যেখানে অন্য ধর্ম গোনার টাইম নাই, সেখানে উদাসী সাহেব অন্য কিছু নিয়া আলোচনা করে ফায়দাটা কি ?

২৪ শে এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ১:৪৬

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: এসব গুরুত্বপূর্ণ জংলী মোহাম্মদের সন্ত্রাসী লাইন পরের পোস্টে ঘটনার ফাকে ফাকে বর্ননা করার খায়েশ ছিলো। তবে যেহেতু আপনি দিলেন সেহেতু এসব লাই। আর কস্ট করে টাইপ করতে হবে না। কপি পেস্ট মারবো।

ধনে পাতা হে স্বপ্নের পাংখা ভাই!!

৬| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৪:২১

নতুন বলেছেন: যেই সব মুসলমানেরা জনগন হত্যা সমথ`ন করেনা....তাদের বেশিরভাগ এখন শ্রীলংকায় হামলা সমথ`ন করেনা....

তাদের মাঝে অনেকেই কিন্তু বানুকুরাইজার হত্যাকে জাস্টিফাইড মনে করেন.....

যেখানে বানুকুরাইরা কাউকে হত্যাকরোই তারা চুক্তিভঙ্গ করেছিলো...ষড়যন্ত করেছিলো... তার জন্য তাদের সবাইকে হত্যা করা হয়েছিলো।

আরো একটা জিনিস দেখলাম সেটা হইলো শেখ হাছিনার চাচাতো ভাইয়ের নাতী মারা গেছে সেখানেও অনেক মানুষ কমেন্ট তাদের মনের ভাব প্রকাশ করেছে....

কিছু রাজনিতিক অন্ধতা প্রকাশ করেছে.... কিন্তু আনন্দ প্রকাশ করেছে...

যারা বাচ্চা মারা গেলে কস্ট পায়না তারা আবার কিভাবে মানুষ হয়????

২৪ শে এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৮:৩৪

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: বাল্যবিবাহ যৌনদাসীর ব্যাবসা এসব কিন্তু বাদ গেছে। আর মেলা কিছু আছে যেগুলো ধরনে কোনো মাকে লাল জঙ্গি মুসলমান খালি গালি দিবে কিন্তু ভিতরে ভিতরে তারা এটার জাস্টিফাই করবে।

বোঝেন কি একটা ধর্ম যেটা বিশ্বাস করলে মানুষ শিশুকাম ধর্ষন এমনকি গনহত্যাকেও সহী মনে করে!!

৭| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৫৪

কামালপা বলেছেন: আপনি একটা কথা ভুলে যাচ্ছেন কোরাইশরা নবীকে নানান ভাবে অত্যাচার করে শেষ পর্যন্ত খুন করতে এসেছিল, যে কারণে নবীকে মক্কা ছেড়ে মদীনা চলে গিয়ে প্রাণরক্ষা করতে হয়। যারা নবীকে খুন করতে গিয়েছিল তাদের কি নবী জামাই আদর করবে?

২৪ শে এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৮:৩৬

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: তৎপর মানে আপনে স্বীকার গেলেন যা লেখছি তা সত্য


এইবার আপনের পালা। নান্নামুন্না দাসব্যাবসায়ী শিশুকাম ডাকাত নবীরে কারা কোথায় কখন মারতে আসছিলো! আপনে একটু আপনার ইতিহাস পাতিহাস রোস্ট কইরা শিখায়া দেন। একটু ইসলামের আলোয় সানবাথ করি

৮| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৯:০৯

কামালপা বলেছেন: ওইখানেই ভুল করলেন। চৌদ্দশ বছর আগে অনেক কম বয়সে মেয়েদের বিয়ে হত। ওটা শিশুকাম নয়। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বালিকা বয়সী মৃণালিনীকে বিয়ে করেছিলেন। তাতে কি তিনি শিশুকামী হয়ে গেলেন? একশ বছর আগেও বার-তের বছরেই মেয়েদের বিয়ে হয়ে যেত। সে আমলের জন্য সেটাই ছিল স্বাভাবিক। রবীন্দ্রনাথের বিয়ে সংক্রান্ত লিংক: এখানে
এখানে[link||view this link]

আর নবীকে অত্যাচারের কথা সবাই জানে। কোরাইশরা তাকে যে রাতে হত্যা করতে গিয়েছিল সে রাতেই তিনি হযরত আলীকে ঘরে বসিয়ে হিজরত করে মদীনায় চলে যান। এগুলো প্রতিষ্ঠিত ইতিহাস ছোটবেলা থেকেই সবাই জেনে আসছে। আপনি কি নতুন করে ইতিহাস লিখছেন নাকি?

২৫ শে এপ্রিল, ২০১৯ রাত ২:৩১

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: ১৪০০ বছর আগে কম বয়সে বিয়ে হতো কারন তারা জানতো না কমবয়সে মেয়েদের বিয়ে দিলে বাচ্চা ধারন করা মানেই তাদের সাক্ষাৎ মৃত্যু এবং বাচ্চার জন্য ঝুকিপূর্ন। তাই সে সময় সবার গড় আয়ু হতো ৩০, ৪০ এর মতো। জন্মাবস্থা থেকেই অপুস্টি তার ওপর প্রেম্যাচিউর বাচ্চা। আর জন্মদাত্রী মা, ফিস্টুলা , জরায়ুর ক্যান্সার স হ নানা শারীরিক ও মানসিক রোগে ভোগে অল্প বয়সেই পটল তুলতো। ডাকাত ধর্ষক মোহাম্মদের মেয়ে রুকাইয়া এজন্য মাত্র ২৩ বছর বয়সে কোঁত করে সাউন্ড দিয়ে মারা যায়। যদিও জঙ্গি মোল্লাদের কিয়দংশ বলে উসমান নাকি রুকাইয়ারে এমন ডলা দিছে যে ডলা খাইয়া গইলা গেছে। এছাড়া ঐ সময়কার বেশীর ডাকাতের বৌ বাচ্চা বেশীরভাগ এমনেই মরছিলো। কিন্তু ভন্ড মোহাম্মদ সেটা জানতে পারে নাই কারন তার কাল্পনিক আল্লাহ মেডিক্যাল সায়েন্স জানে না। তাই ১৪০০ বছর আগে সবাই করতো দেইখা নবী করবে, তাইলে উটের লগে গরুর মুত্র খাইলেও তো সমস্যা হইতো না। এসব যুক্তি আমারে দিয়া আপনার ভন্ড নবী বা হুবালের বাচ্চা লাত উজ্জা জারজ বাপ আল্লাহকে বাচাইতে পারবেন না। বাল্যবিবাহ নিয়া এই পোস্ট পড়ে আসেন, একটু জ্ঞানার্জন করার অনুরোধ রইলো।

রবীন্দ্রনাথ কোনো ধর্মের অবতার ছিলো না বা নিজেকে যুক্তিবাদী বা ন্যায়নিষ্ঠতার যুথিষ্ঠির দাবী করে নাই। তার ভাবসাব প্লেবয় ছিলো এবং জমিদারের পোলা হইয়া বাপের হোটেলে কবিতা লিখতো। আর আমি পরীক্ষা পাশের জন্য কয়েকটা কবিতা পড়ছিলাম এছাড়া আমি তার বই ছুইয়াও দেখি নাই তবে তারে শ্রদ্ধা করি কারন সে তার মেধা দিয়া নোবেল জয় করছে, এটুকুই। এছাড়া একজন প্রকৌশলী হিসেবে তাকে অনুকরম করার কোনো কারন দেখি না। আর রবী কাকু পেডোফাইল ছিলো বলে নবী মোহাম্মদের শিশুকামীতা, ধর্ষন, হত্যা খুন সব হালাল কেমনে কি? রবী কাকু কি নবী মোহাম্মদের লেভেলের লোক নাকি? একজন প্লেবয় কবি আরেকজন ভন্ড ডাকাত শিশুকামী নবী! তয় একটা জিনিস দুইটার ভালো মিল আছে, একটা ছিলো প্লেবয় আরেকটা নিজের বৌরে মিছা কথা কইয়া বাপের বাড়ি পাঠাইয়া রুকাইয়া মারিয়া কিবতিরে লাগাইতো। যুদ্ধে গেলে গনিমতের মাল ধইরা ধইরা তাবুতে নিয়ে রাইত ভইরা টেস্ট করতো। পুরাই ড্যান বালজেরিয়ান ফেল....

ছোটবেলা খুব ভালো করেই পড়ছি। আমাদের সময় মাদ্রাসা বোর্ডে আমিনী ও তরিকুল ইসলামের পীরপার্টি গুলানের প্রভাব থাকায় হাল্কা সুফি মিক্সড ইসলাম ধর্ম বই পাইছিলাম যেগুলো বড় হইয়া যখন হাদিস কোরানের তাফসীর সীরাত নিয়া বসলাম দেখলাম বেশীরভাগ ভুল পড়াইছে। তখন কুকুর শফির বেফাক এতটা শক্তিশালী ছিলো না। যাই হোউক, নবী মোহাম্মদরে ঠোয়া মারনের কারন আছে। তবে এই জিনিসটা নবী যখন করছে রিদ্দার নামে তখন বুঝি এইডা ভালো লাগছে?


আসল ঘটনা হইলো পীরালির গল্প ফাদনের পর মক্কায় হুবালের পূজার সময় শালায় বাগড়া বাজাইয়া বলতো এসব মিথ্যা, ভূয়া। তারে আবার বেকাপ দিতো বক্কর, এক দাস বেলাল আরেকজন সাহাবী। এখন স্বভাবতই আপনের মসজিদে কেউ যদি যাইয়া বলে মোহাম্মদের ধর্ম মিথ্যা, আল্লাহ হুবালের বাচ্চা, আপনে তো আমার কল্লা তো পরে, দাফন করার লাশও রাখবেন না। তারপরও ছ্যাচড়াটারে মক্কায় রাখছে কারন তার বংশ হাশেমী গোত্রে পাওয়ার ফুল ছিলো এবং চাচা জান তারে প্রটেকশন দিতো। চাচাজান পটল তুললে লাহাব যখন প্রধান হয় (যাই লাহাব মোহাম্মদের জন্মের সময় আনন্দে আতশবাজী ফুটাইছিলো, তারে সবার সামনে গালি দিতো পীরালির ঢং শুরু করনের পর), তখন গোত্রের লোকজন অতিষ্ট হলে তার ওপর থেকে প্রটেকশন উঠায় নেয় কারন কোরানে যখন লাহাব নিয়া সূরা লেখে (কত বড় বেঈমান যেই চাচার টা খায় পড়ে, তার মৃত্যু নিয়া বিশ্রী অভিশাপ দেয় অথচ নিজের হুবালের বাচ্চা আল্লাহর কোনো স হী প্রমান বা বিশ্বাসযোগ্য কিছুই দেখাইতে পারে নাই, পুরাই গান্জা মিথ্যা ধর্ম, কোরানের পড়তে পড়তে টুকলি আর ভুল), তখন সে বড্ড ব্যাথিত হয় এবং প্রটেকশন তুলে নেয়। আর তখনই জানতে পারে মদিনায় নাকি সব এ্যাসাইলাম নিতেছে। সে রাতে শেষ করলে মদিনা ধ্বংস হতো না। মদিনা তখন ছিলো সমৃদ্ধ ন গরী। বানু কাইনুকা, বানু নাদের বানু কুরায়জার কৃষি অস্ত্র এবং ওয়াইন মদের চাষে প্রাচুর্য পূর্ন করেছিলো, মোহাম্মদ সেখানে গিয়ে থিওক্রেসী চালু করলে পুরো অর্থনীতি ধ্বংস হয়ে যায়, সবাইকে বেচে থাকতে হয় লুট তরাজ করে।

এই যে মুসলমানরা এ্যাসাইলাম করছিলাম তাদের এ্যাসাইলামের পক্ষে কারা মত দিছিলো জানেন? মোহাম্মদের প্রটেকশন তখন কারা দিছিলো জানেন ? এই বানু কাইনুকা আর বানু কুরায়জা। অথচ মিথ্যা চুক্তি ভঙ্গের গুজবে বানু কুরায়াজারে খাইয়া দেয় আর বানু কাইনুকারে সামান্য একটা দুর্ঘটনার জন্য পুরো গোত্রকে বাস্তুুচ্যুত করে। ওরে মক্কায় মেরে ফেললেই ভালো হইতো।

তারপরও আপনার লজিকে আসি, মোহাম্মদকে কুরাইশরা মারতে চাইছিলো যেখানে হিন্দের জামাই স হ, সুফিয়ান আরও কয়েকজন ছিলো।

এখন নাখলায় যাদের মারলো তারা কেউ এসব ঘটনার সাথে সম্পর্কিত ছিলো না তারা সাধারন বনিক ছিলো। তাদের মারা হলে মোহাম্মদ কোরানে আয়াত ডাউনলোড করে যুক্তি দেখায় এটা হলো প্রতিশোধ।

এটা এমন যে আমি শ্যাওড়াপাড়ায় থাকি আর টেরর কবিরের পোলাপান আমারে একদিন পিটাইলো। একটু প্রতিবাদ করলে প্রায় আধামরা করলো। পরে আমি সুস্থ হইলাম, শক্তি সঞ্চয় করলাম তারপর কবিরের দেশের বাড়ি বরিশাল গিয়া দুই তিনজন পোলাপান হত্যা করলাম। হত্যা কইরা বললাম ঢাকায় কবির পিডাইছিলো আর সেই হত্যার প্রতিশোধ বরিশাল গিয়া নিলাম। উল্লেখ্য নাখলা থিকা মক্কার দূরত্ব ঢাকা থিকা বরিশালের দূরত্বের সমান। এখন আপনে আমার পাগল কইবেন না এই যুক্তি শুনলে?

আপনি কি বুঝতেছেন কেমন যুক্তি দিলেন?

একটু চিন্তা করেন........... যুক্তিবিদ্যার জামাইরে চাচা শ্বশুড় করে দইলেন ভাউ

৯| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৯:৫৭

মাহমুদুর রহমান বলেছেন: এই জন্যই হুজুররা বলেন কোরআন সবাইকে দিয়ে ব্যাখ্যা করা যায় না।

সূরা মায়েদা আয়াত ৩২ঃ
হত্যা করা কিংবা যমীনে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করা ছাড়া যে কোন ব্যাক্তিকে হত্যা করল, সে যেন পুরো মানবজাতিকে হত্যা করল। আর যে একজন নিরপরাধ ব্যাক্তিকে বাঁচাল, সে যেন পুরো মানবজাতিকেই বাঁচাল।

অর্থাৎ পবিত্র কোরআন এখানে কোন দলের পক্ষ নিয়ে কথা বলে নি কোরআন কথা বলেছে পুরো মানব জাতির পক্ষ হয়ে।

সূরা মায়েদায় যা বলা হয়েছে তা সঠিকভাবে দিলাম।আর আপনি সা'দ ইবনে জুবায়েরকে পেলেন কোথায়?আর এই কথা সে বললো এটা পেলেন কোথায়?আপনি তো একটা মিথ্যা ডায়লগ বানালেন ।এটা ইসলামে বলা হয় নি।যা বলা হয়েছে তা উপরে স্পষ্ট করে দিয়েছি।

কোরআন জিহাদ নিয়ে কি বলছে এখানে ভালো করে পড়ে নেন।

কুর’আনে জিহাদ বিষয়ক আয়াতসমূহ
১. মদিনায় হিজরতের পর কিতাল (সশস্ত্র জিহাদ) ফরজ করা হয়েছে। আল্লাহর বাণী-

"তোমাদের উপর কিতাল (সশস্ত্র জিহাদ) ফরজ করা হয়েছে, অথচ তোমাদের কাছে তা অপছন্দনীয়” (সূরা বাকারাহ: ২১৬)

আলোচ্য আয়াতে জিহাদ ফরজ হওয়ার কারণ জানতে গেলে মক্কায় নাযিলকৃত (তবে মাদানী জীবনে এর উপর আমল শুরু হয়) সূরা হজ্জ এর ৩৯ নং আয়াত দেখতে হবে ।

আল্লাহ বলেন-

"যুদ্ধে অনুমতি দেওয়া হল তাদেরকে যাদের সাথে কাফেররা যুদ্ধ করে; কারণ তাদের প্রতি অত্যাচার করা হয়েছে । আল্লাহ তাদেরকে সাহায্য করতে অবশ্যই সক্ষম।"

আলোচ্য আয়াত পরিষ্কারভাবে বলা হয়েছে নির্যাতিত হওয়ার পরে যুদ্ধ করার কথা। সুতরাং জিহাদের নির্দেশ আক্রমণের জন্য নয়; প্রতিরক্ষার জন্য।

২. সুরা বাকারার ২১৭ নং আয়াতে বলা হচ্ছে –

"সম্মানিত মাস সম্পর্কে তারা আপনাকে জিজ্ঞেস করে যে, তখন যুদ্ধ করা কেমন? বলে দাও এতে যুদ্ধ করা ভীষণ বড় পাপ। আর আল্লাহর পথে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা এবং কুফরী করা, মসজিদে হারামের পথে বাধা দেয়া এবং সেখানকার অধিবাসীদেরকে বহিষ্কার করা, আল্লাহর নিকট তার চেয়েও বড় পাপ। আর ধর্মের ব্যাপারে ফেতনা সৃষ্টি করা নরহত্যা অপেক্ষাও মহাপাপ।"


৩. তোমরা কি সেই দলের সাথে যুদ্ধ করবে না; যারা ভঙ্গ করেছে নিজেদের শপথ এবং সংকল্প নিয়েছে রাসুলকে বহিষ্কারের? আর এরাই প্রথম তোমাদের সাথে বিবাদের সূত্রপাত করেছে। তোমরা কি তাদের ভয় কর? অথচ তোমাদের ভয়ের অধিকতর যোগ্য হলেন আল্লাহ, যদি তোমরা মুমিন হও ।


৪. ধর্মের ব্যাপারে যারা তোমাদের বিরুদ্ধে লড়াই করেনি এবং তোমাদেরকে দেশ থেকে বহিষ্কৃত করেনি, তাদের প্রতি সদাচরণ ও ইনসাফ করতে আল্লাহ তোমাদেরকে নিষেধ করেন না ।


৫. অনেক সময় কুরআনের জিহাদ বিষয়ক আয়াতসমূহ অপ্রাসঙ্গিকভাবে বলা হয়। যেমন সূরা তাওবার ৫নং আয়াত-

"অতঃপর নিষিদ্ধ মাস অতিবাহিত হলে মুশরিকদের হত্যা কর যেখানে তাদের পাও, তাদের বন্দী কর এবং অবরোধ কর । আর প্রত্যেক ঘাটিতে তাদের সন্ধানে ওৎ পেতে বসে থাক।"

আলোচ্য আয়াতের শানে নুযুল সম্পর্কে প্রায় সকল তাফসীরকারক একমত যে, কাফেররা যখন তাদের অঙ্গীকার পূরণ করেনি; বরং মুসলমানদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে তখনি তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধের তাগিদ দেওয়া হয়েছে। স্বপ্রণোদিত হয়ে জিহাদের আদেশ এখানে দেওয়া হয়নি। প্রকৃত অর্থে কুরআনের প্রতিটি আয়াত নাযিল হওয়ার সুনির্দিষ্ট প্রেক্ষাপট রয়েছে, রয়েছে একটি আয়াতের সাথে আরেকটি আয়াতের সামঞ্জস্যতা।

রাসূলের যুগে বিভিন্ন যুদ্ধসমূহ:
রাসূল (সা.) দ্বীন রক্ষার জন্য এবং নিজেদের উপর কাফিরদের আক্রমণ প্রতিহত করার জন্য বিভিন্ন যুদ্ধ করেছেন। কেউ কেউ ইসলামের প্রথম যুদ্ধ বদর যুদ্ধের উদাহরণ টেনে বলতে চান মুসলমানরা প্রথমে কাফিরদের উপর আক্রমণ করেছিলেন। পুরো ঘটনাটি সবিস্তারে বর্ণনা করলে বিষয়টি পরিষ্কার হয়ে যাবে। রাসূল (সা.) যখন খবর পেলেন যে, আবু সুফিয়ানের নেতৃত্বে প্রচুর ধন-সম্পদ সমেত একদল কাফেলা সিরিয়া থেকে মক্কার উদ্দেশ্যে রওয়ানা করছে। এই কাফেলায় আক্রমণের জন্য মুহাম্মদ (সা.) নির্দেশ দিলেন। কারণ কাফেররা হিজরতের পূর্বে মুসলমানদের ধন-সম্পদ ছিনিয়ে নিয়েছে। তাই নিজেদের সম্পদ ফিরিয়ে আনার জন্য সাহাবীরা প্রস্তুতি নেন। অপরদিকে আবু সুফিয়ান ভাবছিল মুসলমানরা হামলার জন্য আসছে; তাই সে মক্কায় আবু জেহেলের সাহায্য চায়। আবু জেহেল কাল বিলম্ব না করে ১০০০ সৈন্য নিয়ে মুসলমানদের উপর হামলার প্রস্ততি নেয়। এমতাবস্থায় নিজেদেরকে রক্ষার জন্য রাসূল (সা.) এর নেতৃত্বে সাহাবীরা হামলা প্রতিহত করার চেষ্টা করেন। উহুদ যুদ্ধের ক্ষেত্রেও দেখা যায় কাফিররা প্রথমে হামলা করেছিল। এমনিভাবে বিস্তারিত পর্যালোচনা করলে এটা প্রতীয়মান হয় যে, ইসলামের প্রতিটি যুদ্ধ আত্মরক্ষামূলক ছিল; আক্রমণাত্মক নয়।

ইসলামের নামে আইএস, আল কায়েদার জঙ্গিবাদ:
বর্তমান দুনিয়ায় আইএস আল কায়েদা আতঙ্কের নাম। ইসলামী হুকুমত প্রতিষ্ঠার নামে সারা পৃথিবীতে অনৈসলামিক কাজ-কর্ম করে বেড়াচ্ছে তথাকথিত আইএস, আল কায়েদা। নিরীহ মানুষকে হত্যা করে ইসলাম প্রতিষ্ঠা রাসূলের মূলমন্ত্র নয়। ইসলাম প্রতিষ্ঠিত দয়া ও মহানুভবতার উপর, সহিংসতার উপর নয়। ইসলামের শ্রেষ্ঠ সময়নায়ক মহানবী (সা.) যুদ্ধক্ষেত্রে যোদ্ধাদেরকে বলতেন-

"কোন শিশু, মহিলা, বৃদ্ধ, নিরীহ মানুষকে হত্যা করবে না। গির্জা, সিনাগগসহ অন্য ধর্মাবলম্বীদের উপাসনালয় ধ্বংস করবে না, ফলবান বৃক্ষ ধ্বংস করবে না।"

এই ছিল যার যুদ্ধনীতি তিনি কেমন করে আক্রমণাত্মক হতে পারেন? আইএস আল কায়েদা যারা প্রতিনিয়ত হাজার হাজার নিরীহ মানুষ, শিশু, নারীদেরকে হত্যা করছে, কেমন করে তাদের কর্মকাণ্ড ইসলামসম্মত হতে পারে?কখনওই না।

সুতরাং উপরিউক্ত আলোচনার প্রেক্ষিতে দীপ্ত কণ্ঠে বলা যায় ইসলাম শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য আর অশান্তি দূরীভূত করার লক্ষে নির্দেশ দেয়। বর্তমান আইএস ইসলামের নামে নিজেদের স্বার্থ হাসিলে লিপ্ত। তাদের কর্মকাণ্ডে ইসলামের কোন গন্ধ পাওয়া যায় না। আইএসের অবস্থান ইসলামী মূলনীতি ঠিক বিপরীতে।

জনাব উদাসী আপনার ব্যাখ্যায় অনেক গলদ আছে।হয়তো ইচ্ছা কৃতভাবে একাজ করার সম্ভাবনা ৮০ ভাগ রয়েছে যেহেতু আপনি একজন ইসলাম বিদ্বেষী লোক।যাই হোক, এক কথায় বুঝিয়ে দিলাম আপনাকে এবং অন্যান্যদের

২৫ শে এপ্রিল, ২০১৯ রাত ২:৪৩

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: বুঝেছি পোস্ট বড় দেখে আপনার চোখে পড়ে নাই নাহলে ক্বাথীরের তাফসীরের লিংক আমি দিয়ে দিয়েছি। পোস্টে লিংক কিভাবে দিতে হয় জানেন তো ভাই?

আরেকটা কথা তাফসীরটা ইংলিশে। বাংলা লাগলে জানায়েন। আর সূরা তওবার ৫ নম্বরের আয়াতের তাফসীর পড়তে এখানে ক্লিক করুন। এখানে বলা ৪ মাস যুদ্ধ করা হারাম আর মসজিদুল হারামে কেউ আশ্রয় নিলে সেখানে তাকে কিছু না করতে। এই তাফসীরের দোহাই দিয়া বক্কর রিদ্দার যুদ্ধ শুরু করে এবং যারা আলির বাইয়াত নিছিলো তাদের সে কচু কাটা করে। রিদ্দা যুদ্ধ থেকেই শুরু হয় সাহাবী হত্যা। মোহাম্মদের মরার পর যত মুসলিম সাহাবী মারা গেছে বেশীর ভাগ মুসলমান খলিফা আর জল্লাদদের হাতেই।

ভাইজান তাফসীর পড়ছেন বললেন কিন্তু পুরাই মিথ্যাচার করলেন। আপনি এর আগেও আমার পোস্টে ব হুবার মিথ্যাচার করছেন, আমি হাতে নাতে লিংক দিয়া আপনের মিথ্যাচার আর কত ধরাবো?

আসলেই.....আপনার সমকামী জানেমান ফ্রান্সিস বেকনের মান সম্মান ডুবাইছেন

১০| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১:৩৮

নতুন বলেছেন: যুদ্ধে শিশু হত্যার ব্যাপারে:

স হী বুখারী বর্নিত"নবীজী (সঃ) আল-আবওয়া অথবা ওয়াদ্দান নামক স্থানে আমার পাশ দিয়ে গেলেন এবং তাঁকে জিজ্ঞেস করা হল যে যেখানে নারী এবং শিশুদের বিপদে পড়ার সম্ভাবনা আছে সেখানে পৌত্তলিক যোদ্ধাদের আক্রমণ করা ন্যায়সঙ্গত হবে কিনা । নবীজী (সঃ) উত্তরে বললেন, " তারা (অর্থাৎ নারী এবং শিশুরা ) তাদের (অর্থাৎ পৌত্তলিকদের) থেকেই আগত । "

স হী মুসলিমে বর্নিত: সা'দ বিন জাসসামা বর্ণনা করেছেন যে, তিনি নবজি(সঃ) কে বললেন," আল্লাহর রাসুল, আমরা রাতের আক্রমণগুলোতে মুশরিকদের শিশুদের হত্যা করি ।" তিনি বললেন ," তারা তাদের থেকেই আগত ।"


Reference : Sahih al-Bukhari 3012
In-book reference : Book 56, Hadith 221
USC-MSA web (English) reference : Vol. 4, Book 52, Hadith 256
(deprecated numbering scheme)


@ মাহমুদুর রহমান ভাই<<<< যদি আপনি এই দুইটি হাদিস যে শিশু হত্যার বিষয়টা কিভাবে জায়েজ হয়েছে একটু আমাদের বোঝাতেন তবে খুশি হইতাম...

২৫ শে এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৩:৩৭

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: আমি বুঝলাম না উনি কি পোস্ট পড়ে নাই না পোস্ট পড়ে বুঝে নাই? পোস্টের ভাষা কি খুব কঠিন হইছে?

১১| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ১২:০৯

কামালপা বলেছেন: আপনার মন্তব্যের ভাষা ভয়ংকর, ঘৃণা বিদ্বেষা পরিপূর্ণ। এইভাবে কথা বলে কাউকে কিছু বোঝাতে পারবেন না, শুধু তর্ক হবে, ঝগড়া হবে মাত্র। আমার বক্তব্য একটাই অতীতকালে মানুষ কম জানত তাই বাল্যবিবাহ প্রচলিত ছিল। এর সাথে সামাজিক সাংস্কৃতিক কারণও ছিল। দুশ বছর আগেও নয় দশ বছরে মেয়েদের বিয়ে হয়ে যেত সারা দুনিয়াতে। হয়ত আপনার পরদাদা তার পরদাদা পরদাদীদেরও ওই বয়সে বিয়ে হয়েছ। তাই বলে অতীতকালের সমস্ত পুরুষদেরকেই আপনি পেডোফাইল বলবেন? আপনার যুক্তি কেমন হাস্যকর দিকে যাচ্ছে সেটা বুঝতে পারছেন?
চৌদ্দশ বছর আগে নবী প্রচলিত সামাজিক সংস্কৃতি মেনে বিয়ে করেছেন। যেকোন ঘটনা সেই সময়ের পরিপ্রেক্ষিত অনুসারে বিচার করতে হয়।

২৫ শে এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ১২:৫২

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: শিশুকামিতা এক ধরনের ধর্ষন ও মানসিক বিকৃতি। এর ফলে একটা শিশুকে মানসিকভাবে হত্যা ও শারীরিক ভাবে বিকলাঙ্গ করা হয়। আমার পরদাদারা করেছে কারন শিশুকামী মোহাম্মদ বেশী বেশী বাচ্চা পয়দা ও তাদের সাথে খেলে মজা লুটাকে সুন্নতে মুস্তাহাব বানায় গেছে। মোহাম্মদ বেঁচে থাকলে ১.৫ বছরের শিশু উম্মে ফাদলকে বিয়ে করার প্রথাকে সুন্নত বানিয়ে ছাড়তেন। এত বড় অপরাধীকে গালি না দিয়ে যদি তাকে সম্মান করি তাহলে সেটা হবে মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ। এবং সে সুত্রে আমার পরদাদাও অপরাধী এবং আমি তার অপরাধেরও বিচার চাইবো।

আর যদি তখনকার প্যাগান বর্বর সমাজে ঘৃন্য প্রথা থেকে, আর তথাকথিত দাবীকৃত সত্য ধর্মের জনক হয়েও সে ঘৃন্য প্রথা অনুসরন করে তাহলে ইসলাম তার নিজের বৈধতা ও নিজের স্বকীয়তা দাবী করে কেমনে? চোরের সাথে থেকে চুরি করে তার সাফাই দিলে তাহলে অবশ্যই আপনি চোর।

বাল্যবিবাহের মতো শিশুকামী ধর্ষন একমাত্র এই নবীর উম্মতের মতো মানসিক বিকলাঙ্গরাই সাপোর্ট করে এটা দেখে আমার সত্যি ভালো লাগছে।

১২| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ১২:১৮

কামালপা বলেছেন: আর আপনার বরিশালের যুক্তিটা ঠিক হয়নি। তখন ছিল গোত্রপ্রথা। এক গোত্রের সবাই মিলে মুসলমানদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করত। তাই হয়ত উত্তেজনাবশে আক্রমণ চালিয়েছে। যুদ্ধকালীন অবস্থায় অত বিচার-আচার চলে না।

২৫ শে এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ১২:৫৬

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: নাখলার ওটা যুদ্ধ ছিলো সেটা তো কোরানে তাফসীর বা হাদিসও বলে নাই। মোহাম্মদ অনাহারী ফটকাবাজ ছিলো। কোনো কায়িক পরিশ্রমের কাজ অলস মোহাম্মদ করতো না আর তাই তার দরকার ছিলো ইজি মানি এবং নিরস্ত্র মানুষদের লুট করাই ছিলো তার জীবিকা। প্রমান দেন যে কাফেলার কেউ নবীর গুপ্তচরদের প্রথমে এ্যাটাক করছে। সীরাত তাফসীর হাদিসের রেফারেন্স দেন যে নাখলার লুটে ব্যাবসায়ীর দল যুদ্ধের জন্য উস্কানী দিছিলো।

তারপর আসতেছি যুদ্ধের আচরনের বাছ বিচার

১৩| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ১:২৬

কামালপা বলেছেন: না জেনে কিছু ধরে নেওয়া ঠিক নয়। আমি বাল্যবিবাহের পক্ষে নই। আমি এটাকে অতীতের ব্যাপার বলে মনে করি। সময়ের সাথে মানুষের চিন্তা ভাবনা পাল্টায়, সমাজের বিবর্তন ঘটে। তাই বলে অতীতকে ঘৃণা করার কোন যুক্তি নেই। আর হ্যাঁ, বাল্যবিবাহ মুসলমানদের একচেটিয়া কোন বিষয় নয়, মধ্যযুগের ইউরোপেও এর কিছু কিছু প্রচলন ছিল।

২৫ শে এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৩:১৩

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: তাহলে সত্য ধর্মের সাথে ইসলামের পার্থক্য থাকলো কই? আর নবী মোহাম্মদ কোরানেও এটার মেনশন করছে আর সুন্নতে মুস্তাহাব ঘোষনা করছে। তাহলে তো বলতে হয় শিশুকামী মোহাম্মদের কল্পিত আল্লাহ মেডিক্যাল সায়েন্স জানতো না। এমনকি মরার আগে ১.৫ বছরের শিশু উম্মে ফাদলকে বিয়ে করতে চাইছিলো এতগুলো যৌনদাসী ও বৌ ঘরে থাকা সত্বেও। আর ইসলামের সুন্নতে মুস্তাহাব তো এখনো আছে, এটা রদ কোথায় করছে? দলিল দেন

তবে আপনি বালযবিবাহের পক্ষে নন, এটা শুনে ভালো লাগলো

১৪| ২৭ শে এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১০:৫৯

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
স্যার, পড়তে শুরু করেছিলাম। এখন রাত ১ টা বাজে। কাল সকালে পড়তে হবে। এই লেখা ১ বার পড়লে বুঝা যাবে না। বার বার পড়তে হবে।

২৭ শে এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১১:২৭

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: অক্কা বস। যেভাবে সুবিধা

১৫| ১২ ই মে, ২০১৯ রাত ১০:২০

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: আপনার লেখা মানে ই অসাধারণ কিছু। আপনার লেখা খুব মনোযোগ সহকারে পাঠ করলে ভালো লাগে। ভাবনা শক্তি বাড়ে। আপনার লেখনি অব্যাহত থাকুক। শুভকামনা সবসময়।

১৬| ১৬ ই জুলাই, ২০১৯ রাত ৮:১০

অদ্ভুত ভালবাসা বলেছেন: এই আমি কি দেখলাম!!!
ভাল নি উদু?

১৭| ১৬ ই জুলাই, ২০১৯ রাত ৯:১২

স্বপ্নডানা১২৩ বলেছেন: উদা ভাই সম্ভবত ব্যান আছেন

১৮| ১৬ ই জুলাই, ২০১৯ রাত ৯:৪৫

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: কেমন আছেন ?
হত্যা আর হত্যার বাণীতে কিছুই প্রতিষ্ঠিত হবেনা। ব্যান হয়ে যাবে পৃথিবীর সকল ইমিগ্রেশনে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.