নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ঈশ্বর পটল তুলছে - নীৎসে/নীশে/নিৎচা

উদাসী স্বপ্ন

রক্তের নেশা খুব খারাপ জিনিস, রক্তের পাপ ছাড়ে না কাউকে, এমনকি অনাগত শিশুর রক্তের হিসাবও দিতে হয় এক সময়। গালাগাল,থ্রেট বা রিদ্দা করতে চাইলে এখানে যোগাযোগ করতে পারেন: [email protected]

উদাসী স্বপ্ন › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমলে মল, অতঃপর নীলুপিলু চিন্তা!!

০৪ ঠা মে, ২০২০ রাত ১০:১২



১.
স্টকহোমের আধা ভ্যাগান সুন্দরী আতকা দর্শন চপকালো,"ভ্যাজিটারিয়ানরা নিষ্ঠুরতা সহ্য করতে পারে না বলে মাংস খায় না, কিন্তু গাছেরও জীবন আছে। সেক্ষেত্রে কি?" এরকম দার্শনিক যুক্তির অনেক পাল্টা যুক্তি দেয়া যায়, যদি তাতেও না পারা যায়, তাহলে শেষ টোটকা বাংলার গর্ব,তার ওপর আমার দেশী জগদীশ কাকুর ইজ্জত ধুয়ে পানিতে ফেলে দেয়া। কিন্তু সমস্যা এখানে ছিলো না। সুন্দরীদের মন জোগানোর একটাই কৌশল: তর্ক না করা এবং শৈল্পিক উপায়ে তৈল দেয়া।

যদিও সুন্দরীর সাথে ব্রেক আপ হয় (এটা আমার স্বভাবগত দোষ), মাঝে মাঝে দার্শনিক ডাইলেমার কাছে অনেক ভালো ভালো পন্ডিতীয় যুক্তি মার খেয়ে যায়।

ধরা যাক, একদিন সকালে ঘুম ভেঙ্গেই দেখি হুলস্থুল অবস্থা। সাম্প্রতিক পেন্টাগনের ভিডিও ফুটেজের রিপোর্টে এটা হয়তো জেনে গেছেন সবাই- ইউএফও সত্য এবং তারা মাঝেমধ্যেই আমেরিকার আকাশে আসে পিকনিক করতে। কিন্তু বেরসিক আমেরিকান এয়ারফোর্সের পাপারাজ্জী স্বভাবের কারনে তারা টিকতে না পেরে চলে যায়। তো তারাই সে সকালে সদল বলে পৃথিবীতে আসলো। কয়েক মিনিটের মধ্যে পৃথিবী দখল করে ফেললো। যারা শত শত আলোকবর্ষ পাড়ি দিয়ে আমাদের এই দূষিত জানজট ওয়ালা বায়ু সম্বলিত নান্নামুন্না পৃথিবী দখল করতে আসে, স্বভাবতই তারা গুনে মানে টেকনোলজী রাজনীতিতে আমাদের থেকে শতগুন এগিয়ে।

তো তারা এসে কি করলো, কিছু মানুষকে পোষা হিসেবে বানিয়ে দৈনিক কোলাাকুলি সেল্ফি তুলে এলিয়েনোগ্রামে (ইনস্টাগ্রামের এলিয়েন আপডেট) দিতে লাগলো। কেউ কেউ আবার জিমে গিয়ে বডি বিল্ডার হবার জন্য মানুষের পায়ের হাতের মাংশ গ্রীল করে খাওয়া শুরু করলো। কেউ কেউ আবার তাদের বাপ দাদার আচার অনুষ্ঠান ঠিক রাখতে আমাদের সারা বছর খাইয়ে পড়িয়ে হৃস্টপুস্ট করিয়ে মোটাতাজা করে একদিন গন জবাই করে সুন্দর রান্না বান্না করে খাওয়া শুরু করলো। যারা নারী তাদের ধরে বুকের মধ্যে মেশিন লাগিয়ে সকল দুধ বের করে নানারকম ড্রিংক্স তৈরী করে পান করে একটু পিনিক নিলো। আবার যারা ফিট সেসব নারীদের ফার্মে ভরে ইন্জেকশনের মাধ্যমে গর্ভবতী করে ফি বছর মানুষ বানানোর ফার্ম তৈরি করে ইন্ডাস্ট্রিয়াল প্রোডাকশনে গেলো।

এখন এরকম অমানবিক কাজ দেখে আমার আর সহ্য হলো না। তেলাপোকা গবেষক হবার করনে গুহায় এতদিন দিব্যি বেচে বর্তে থাকলেও একদিন বেরিয়ে সোজা মাদার এলিয়েন শীপে ঢুকে গেলাম। ওখানে গিয়ে এলিয়েনদের প্রেসিডেন্ট বা প্রধানমন্ত্রী বা সভাপতি অথবা রাজা রানী যাই ধরেন, সেই মহাজনের সাথে দেখা করে বিচার দিলাম:

"মামো এইডা চলবার পারে না। আমরাও মানুষ। আমাদের শিশুদের ধরে গ্রীল করবা, মাইয়া মানুষ ধইরা ইন্জেকশন ধইরা পোয়াতী করবা আর আমরা যাগো গায়ের একটু গোস্ত আছে সেগুলো তাজা তাজা গ্রীল কইরা খাইবা, চেঙ্গিস খানও তো এরাম ছিলো না....। ব্লা ব্লা ব্লা"


মহাজন এলিয়েন আমার জগৎজয়ী নোবেলফেলী হৃদহৎকারী ভাষন খুব মনোযোগ দিয়া এলগুল ট্রান্সলেটর (গুগল ট্রান্সলেটরের এলিয়েন ভার্সন) কানে নিয়া ধৈর্যের গলা চিপা মেরে শুনলেন। ভাষন শেষ হইলে সে বিনয় কন্ঠে শুধাইলো,"পানি খাইবা? বক বক করলা এতক্ষন, পানি খাও। জিরায়া আবার শুরু করো।"

আমার মন আহ্লাদে গদ গদ, চোখের কোনে আশার আলো, পরানে ধ্বিকি ধ্বিকি মাইলস নিয়ে চোখ ভিজাইয়া কইলাম,"না মামো... এইটাই বক্তব্য ছিলো।!"

তখন সে ইন্টারগ্যালাকটিক সংবিধানের বই একটা হাতে ধরাইয়া শুরু করলো," এই সংবিধানের অমুক ধারার তমুক চ্যাপ্টারের সমুক চিপায় কমুক গলির চমুক উপ ধারা অনুযায়ী কম বুদ্ধি বিশিষ্ট নিচু আইকিউর ভাষাহীন শারীরিক ভাবে দুর্বল অনিয়ন্ত্রিত ও উর্বর প্রজাতিদের খাওয়া জায়েজ। এবং এইটা তুমরাও মানো। বডি বিল্ডিং এর নামে ডেইলি ৪ বেলা মুরগীর রান, সকালে বিকালে গরুর দুধের হোয়ে প্রোটিন, দুধ চীজ খাইতা তুমরা। তারপর মুরগীর ফার্মে গরু জবাই, গরূর ফার্মে শুয়োর কাটা এইডা তুমরাও করছো। মুরগী ডিম পাইড়া একটা হাগ দিতে পারে নাই, তুমরা পুচ কইরা খাইয়া কও, কুসুমে নুন কম আর বেশী ফ্রাই হই গেছে। বুঝছো?"

আমার ৩ ঘন্টার বক্তৃতার পাল্টা ১ মিনিটের কয়টা লাইনে এমন উড়ায় দিবো আগে ভাবি নাই। তবে এখন সমস্যা হইলো তেলাচুরা হইয়া গুহায় তো দিব্যি খাওয়া দাওয়া আর বুক ডন দিয়া শরীর ঠিক রাখছিলাম। এখন আমারে কি গ্রীল করবে না পোষা প্রানী বানাবে? এদিকে জন্মগতভাবে নাদুষ নুদুষ চেহারা তো আমার না, যে আমারে কোলে নিয়া হগ দিয়ে কুচিকু মারবে!

এমন আমল করলাম যে সেটা এখন এলিয়েন মলে পরিনত হতে বাকি।

২.

এ্যারিস্টটলের নাম শুনে নাই এমন ফটিকচান ব্লগে এখন থাকতে পারে, এইটা আমি নিশ্চিত। তো তারা এই পার্ট না পড়লেই পারেন। এ্যার-কাকু তখন একটা বই লিখছিলেন পলিটিকেন....বিশাল বড়। এইটা পড়তে গেলেও কেমন কেমন জানি লাগে, মাথা ঘূর্নি, ক্ষেত্রবিশেষে বমি বমি। কুনটার পর কি লেখছে পুরাই লায়লট! তো জ্ঞানী এরিস্টটলের বইয়ের কিছু চ্যাপ্টার আছে যেখানে প্রাকৃতিক দাসত্বের কথা বলা আছে। তার মতে উন্নত সমাজ ব্যাবস্থা গড়ার জন্য শ্রেনীবৈষম্যটাইপ সমাজ ব্যাবস্থার বিকল্প নাই এবং সেটাকে টিকিয়ে রাখার জন্য দাসত্ব অপরিহার্য। তার মতে একজন দাস হলো মালিকের কাছে শুধুই যন্ত্র, সম্পত্তি যার জন্মই হইছে হাত বদল করে মালিকানা বদল ও বিক্রিবাট্টার জন্য।

তার মতো প্লেটোও দাসত্বের সমর্থনে কথা বলে গেছে। এখন বলতে পারেন যে প্রাচীন মানুষ, তারা এটা করতেই পারে নাইলে জন গন ঘা মেরে তাল গাছে ঝুলাবে। কিন্তু কয়েক শতক আগে নীশে তো আরো ডেন্জারাস কথা বলছে। তার মতে এদের জন্মই হইছে দাসত্ব করা লিগা। কালো মানুষ গায়ে গতরে কাম বেশী করতে পারে। সাদা মানুষ এত কাম করবার পারে না, সহ্য করার ক্ষমতা কম। তাই সাদা মানুষের অস্তিত্ব টিকায় রাখার জন্য হইলেও এর কোনো বিকল্প নাই।


তবে প্রাচীন মানুষের সবাই যে এমন এলিয়েন টাইপ ছিলো সেটা না। খ্রিস্টাব্দ ৯ থেকে ১২ সাল পর্যন্ত চৈনিক রাজা ওয়াং ম্যাং যিনি কিনা জিং ডাইন্যাস্টির প্রথম সম্রাট তিনি পুরোপুরি ভাবে দাসত্ব প্রথা রদ করেন। তার শাসনামলে তিনি অর্থনৈতিক সংস্কার এমনভাবে করেন যার জন্য তাকে রাত দিন কঠোর পরিশ্রম করতে হয়। যদিও শেষ জীবনে মাদকাসক্ত হয়ে পড়েছিলেন। তবে তিনি সেই যিনি দাসত্বের মতো সুন্নতী প্রথা রদ করেছিলেন।

যদিও তৎকালীন ইউরোপ মধ্যপ্রাচ্য পরবর্তিতে আমেরিকা সহ পৃথিবীর প্রতিটা মহাদেশেই দাসত্বের বিভিন্ন রূপ ছিলো। এশিয়া মহাদেশে যেটা সবচেয়ে বেশী ছিলো সেটা হলো খাজনা বা দারিদ্রতার কারনে নিজেকে বা তার সন্তানদেরকে বিক্রি করে দেয়া।

তবে একটা জিনিস আমার বেশ হাসি পায় আফ্রিকাতে যারা দাস মালিক ছিলো, পরবর্তিতে তারা অথবা তাদের বংশধর মধ্যপ্রাচ্যে গিয়ে দাসে পরিনত হয়। মধ্যপ্রাচ্যে যারা একসময় দাস মালিক ছিলো তারা কালের বিবর্তনে ইউরোপের দাসে পরিনত হয়। ইউরোপে রেনেসার পর শুরু হয় হোয়াইট সুপ্রেমেসির মতো দল, বর্তমান সময়ে সোজা কথায় বিভিন্ন দেশে ডানপন্থিদের একটা বড় অংশই এই হোয়াইট সুপ্রেমেসিস্ট যারা কিনা ছলে বলে দাসত্ব, বর্নবাদের গুন গান গায়। ওদিকে আমেরিকাতে নৌকা ভর্তি করে নিয়ে যাওয়া হতো আফ্রিকা থেকে কয়েক শতক আগেও। ইউরোপীয়ানরা যখন আমেরিকাতে কলোনাইজেশন শুরু করে, ১৫১০ সালের দিকে হবে, জন মেয়ার তখন এরিস্টটলের পলিটিক বইয়ের চ্যাপ্টারের কথা উল্লেখ করে বলেন, দাসত্ব প্রাকৃতিক, এবং কিছু মানুষের জন্মই হয়েছে দাসত্বের জন্য।

৩.

না, আজ কোনো ধর্ম বিরোধী কথা লিখবো না। আমি দাসত্ব নিয়ে লিখবো। পৃথিবীর সকল মানুষের গা থেকেই রক্ত বেরোয়। সবারই দুঃখ কষ্ট হাসি কান্না আছে। তবুও দাসত্বের নামে তাকে বিক্রি করা, ভোগ্যপন্য বানিয়ে ধর্ষনের বৈধতা দেয়া অথবা তাকে যন্ত্র হিসেবে ব্যাবহার করা কোনো দর্শন বা জ্ঞান বা ধর্ম এর সবই অস্বীকার করি! এবং আমৃত্যু এসব অনাচার সংশ্লিষ্ট যত মতবাদ, মিথ্যা বর্বর ধর্ম বা জ্ঞানী আছেন, তাদেরকে সম্মান জানাতে মনুষত্বে বাধে। এটাই আমার নিয়ম, এটাই আমি।নীলুপিলু কথা আমার সাথে চলবে না

হ্যাপী কোয়ারেন্টিন

মন্তব্য ৪৪ টি রেটিং +৭/-০

মন্তব্য (৪৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা মে, ২০২০ রাত ১০:২৫

রাজীব নুর বলেছেন: এরিস্টটল বিজ্ঞানী ও দার্শনিক তা জানি।

০৪ ঠা মে, ২০২০ রাত ১১:০৩

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: চাঁদগাজীর পোস্টে দেখলাম কুন ছাগলে বলে দূরত্বের একক বর্গ বানাইছে। তারে ছাগল বলতেছি এই জন্য না যে সে দূরত্বের একক বর্গ বলছে। এই ব্যাসিক কনসেপ্ট অনেকেই জানে না এবং তাতে দোষের কিছু নাই। সমস্যা হইলো উক্ত ছাগলে নাকি সৌরজগৎ নিয়ে পোস্ট দিছে। কত বড় ছাগল হইলে ব্লগে ফুটানি মারার জন্য সৌরজগৎ নিয়া পোস্ট নিছে। তাকে এই ভুল ধরায় দিবার পরও তার পরবর্তি পোস্টে পদ্মা সেতুর দৈর্ঘ্যতেও বর্গ লাগাইছে। একে তো ছাগল টার ওপর ঘাড়ত্যাড়া। ব্লগে এমন আইটেম আছে বলেই একন বিশ্বাস করি আইন্সটাইন এ্যারিস্ট টল আর্কিমিডিস পীথাগোরাস এদের নাম জীবনেও শুনে নাই এমন গন্ডমূর্খ জঙ্গি ব্লগা বেশ ভালোভাবেই দাপিয়ে বেড়াচ্ছে।

আর মানুষের অজ্ঞতা আমাকে স্যাডিস্টিক আনন্দ দেয়। অজ্ঞতা আমার কাছে শুধু অপরাধ না, দন্ডনীয় কিছু একটা।

এ্যারিস্টটলরে বিজ্ঞানী বলতে পারেন কারন বিজ্ঞানের ফ্রেমওয়ার্কের আদিরূপ নিয়ে তিনি লেখাজোকা করছেন। এছাড়া হ্যালিনিস্টিক সময়ে শুয়োর স হ বিভিন্ন প্রানীদের প্রস্থচ্ছেদ করে তাদের বর্ননা তিনি বেশ ভালোভাবেি দিয়েছেন।যদিও সে সময় কোনো মানুষের পোস্ট মর্টেম করা ধর্ম বিরোধি ব্লাক ময়াজিকের পর্যায়ে পড়তো এবং থিওক্রাটরা তাদের মেরে ঝুলাইয়া রাখতো।
একটা গান শুনেন রোজা রমজানের দিন:

২| ০৪ ঠা মে, ২০২০ রাত ১০:৪৫

দজিয়েব বলেছেন: আপনার বক্তব্য সমর্থন না করে পারলাম না। এরিস্টটলকে সমালোচনা না করে দর্শনের ইতিহাস লেখা মানে সেটাকে একপ্রকার বিকৃত করা বলেই আমি ধরে নি। প্লেটো মহাশয়কে কিন্তু আমি খারাপ বলবনা; ভদ্রলোক যে সময়ে বাস করতেন সেদিকদিয়ে বিবেচনা করলে প্লেটো তাঁর যুগের থেকে অনেক বেশি প্রগতিশীল কথা বলেছেন। দাস ব্যবস্থা নিয়ে তাঁর বক্তব্য তাই উপেক্ষা করা যায় বলে আমি মনে করি। সম্ভবত এরি দাদুর (মানে এরিস্টটল আরকি!) পলিটিক্স গ্রন্থের অনুবাদের ভূমিকাতেই (অথবা অন্য কোনো অনুবাদ বইয়ের ভূমিকায়) সরদার ফজলুল করিম মোটামুটি এরকম একটা মন্তব্য করেছেন যে, এরি দাদু প্লেটোর বিরোধিতা করে যে নানান কথা বলেছেন তার মধ্যে যতোটা না জ্ঞানীয় স্পৃহা আছে তার চেয়ে বেশি আছে হিংসা মানে গুরুর থেকে ভিন্ন কথা না বললে তাকে কেউ মনে রাখবেনা এজন্য আরকি!

সেযাহোক, ভেজ-ননভেজ টাইপের যে ডিবেট তাতে আমি নন-ভেজের বিরোধিতা অন্ততঃ করিনা। এখন যদি এরম ঘটনা ঘটে যে আমাদের চেয়ে মহাশক্তিধর এলিয়েন বাবাজীরা পৃথিবী দখল করে আমাদের খাওয়া শুরু করলো, যুক্তির দিক দিয়ে আমি সেটারও বিরোধিতা করতে পারিনা। পরিবেশ দর্শনের প্রবর্তক হিসেবে এলডো লিয়োপল্ড কে চিহ্নিত করা হয়ে থাকে। এদিক দিয়ে আমি লিয়োপল্ডের সমর্থক। ভদ্রলোক তাঁর ল্যান্ড এথিকে যে বক্তব্য দিয়েছেন তার কোনো যৌক্তিক খন্ডন আমি খুঁজে পাইনা। ভদ্রলোকের মূল বক্তব্য ছিলো, বেঁচে থাকার তাগিদে জীবজগতের সদস্যরা একে-অপরকে ব্যবহার করতে বাধ্য, এছাড়া আমাদের উপায় নেই। কিন্তু আমরা যা করতে পারি তা হচ্ছে সকল সদস্য তথা উদ্ভিদ থেকে শুরু করে বাঘভালু সবার প্রতি সম্মান রাখতে পারি। সম্মান রাখতে গেলে অবশ্যই আমি অপ্রয়োজনীয়ভাবে কোনো জীব হত্যা করতে পারিনা! এবং তারাও তাদের প্রয়োজনে আমাদেরকে ব্যবহার করবে এটাই স্বাভাবিক! (আপনি এগুলো জানেন বলেই ধারণা করছি, তবু নিজে বলার লোভ সামলাতে পারলাম না!) আপনার লেখাটি ভাল্লাগলো ভাই।

০৪ ঠা মে, ২০২০ রাত ১১:১০

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: আপনে আপনার মতামত দিছেন। শিশুকামী, দাসব্যাবসায়ী জঙ্গি ডাকাতের পক্ষে কথা বলে তার অপরাধের সাফাই দেননি।

বরংচ আপনার মন্তব্যে ল্যান্ড এঠিক সম্পর্কে জানতে পারলাম। আরো জানতে পারলাম এই যে ইগালিটারিয়েন সমাজ ব্যাবস্থার কঠা বলা হয় এইটার ডেরিভেশন এখান থেকে হইছে। তবে ল্যান্ড এথিকের প্রভাবটা পাল্টে গেছে যখন এখানে সুনির্দিষ্ট করে সংখ্যা বা কি পরিমান বা এর লিমিট বা থ্রেশোল্ড পয়েন্ট নিয়ে আলোচনা করা হয়নি। এই সুযোগে ক্যাপিটালিস্টরা কুক্ষিগত করে রক্ষার নামে, সোশালিস্টরা অধিকার থেকে বঞ্চিত করে সমবন্টনের নামে, ইত্যাদি।

তবে একটা কথা সত্যি আমরা অপচয় করি। ঢের পরিমান অপচয় করি। যা দিয়ে পুরো ১০০০ কোটি মানুষকে খাওয়ানো যাবে তিন বেলা সেই পরিমান খাবার থাকা সত্বেও কয়েকশ কোটি মানুষ অর্ধাহারে অনাহারে থাকে।

আপনাদের মতো মানুষের সাথে আলোচনা করার সুযোগ পাওয়া ভাগ্যের ব্যাপার

আপনারেও একটা গান দিলাম:

৩| ০৪ ঠা মে, ২০২০ রাত ১০:৫৮

সুপারডুপার বলেছেন: আপনি তো দেখি জেনারেল থেকে সেফ হয়েছেন। মিলাদ টিলাদ তো দিলেন না !
আপনাকে সেফ করার জন্য ব্লগ কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ।

০৪ ঠা মে, ২০২০ রাত ১১:১৫

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: ভালাই কইছেন। যেইখানে মডু তক্কে তক্কে থাকে আমার ব্লগ ডিলিট করার, তার দুস্তরা যাটে নাখোশ না হয়.... সেইখানে এই সেফ হইলো লাস্ট কোপের আগের ধাপ।

ব্লগে জামাতী নীলুপিলু পোস্ট দেয়, বই ছাপায় আর তার ফেক আইডি গুলো ম্যাৎকার থ্রেট এমনকি ব্লগারদের নামে কূৎসা মাইরা কথা কয়, যেইখানে লাদেনের পক্ষে মানুষ কথা কয়, সেইখানে আমি হইলাম ডেন্জার এলিমেন্ট। আমারে রাকার চাইতে পুরা ডিলিট করা উত্তম। মনে করতে পারেন, এইটা এখন মালিকদের সময়ের ব্যাপার, স্থগিত করা

আপনের কি খবর ম্যান? দিনদারীর কি খবর?

গান লন একটা::

৪| ০৪ ঠা মে, ২০২০ রাত ১১:১১

সোনালি কাবিন বলেছেন: আজ ধর্মবিরোধী কথা লিখেন নাই দেখে কিছু মানুষ কমেন্ট করতে স্বস্তি ফিল করবে :-P :P

০৪ ঠা মে, ২০২০ রাত ১১:১৯

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: কি আর করতাম!

সমাজের নানা অসঙ্গতি নিয়া লেখলেই দেখি ইসলামে সেটার বৈধতা দিয়া রাখছে আর আমাদের পলানপিয় নবীজি যিনি কিনা দুনিয়ার সর্বকালের স্রবশ্রেষ্ঠ পুরুষ (আজকে কে জানি বললো, শুইনা মনে হইলো এর আগে মনে হয় দুনিয়াতে আর কোনো পুরুষ আসে নাই, এর পরে আমরা যারা পুরুষ, তারা পুরুষ না, অন্য কিছু আর কি) সে এইসব কইরা গেছে। একন সলুক সন্ধানে এবং উৎস বা কারন লিখতে গেলে আইসা পড়লে মুই কি করতাম!!

লন আপনেও একটা গান লন:

৫| ০৫ ই মে, ২০২০ রাত ১২:০২

সুপারডুপার বলেছেন: অলরেডি থ্রেট মারা শুরু হইছে যে ফেইসবুকে পাকি তাওহিদী জনতা কে কল করবে। নীলুপিলুরা আছে চাঁদগাজী সাহেবকে খেদানোর মিশনে। মিশন সাকসেসফুল হলে ব্লগে সহি জামাতিদের পথের সব কাঁটা মুক্ত। আপনে থাকলেতো মৌলবাদীরা ধর্ম গেলো ধর্ম গেলো বলে হ্যায় হ্যায় শুরু করবে ... কিছু ছাগু ডেইলি পোস্ট মারবে সামুর এক ধর্মবিরোধী তাদের সব ধর্ম খেয়ে দিল ... কিছু উগ্রবাদীরা গালাগালির সাথে আপনার মৃত্যু কামনা করে উল্লাস করবে ... আর অসুস্থ শিশুকামীরা কিছু না করতে পেরে পর্নগ্রাফি এট্যাক করবে । তবে এরা ভালোই গোষ্ঠীবদ্ধ। মোটামুটি একসাথেই কাঁঠাল পাতা খায়।

আমার খবর ভালো। দিনদারী ভালোই চলতেছে। গানটির জন্য ধন্যবাদ।

০৫ ই মে, ২০২০ রাত ১২:৩০

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: চাদগাজির সমস্যা আছে। অবশ্য ষাটোর্ধ্ব বয়সী (যদি সত্যি তার এই বয়স হয়) এরকম ভুল করবে সেটাও কি খুব দোষের?

একটা সহজ হিসাব দেই ধরেন আমার দাদাভাই যদি বেঁচে থাকতেন তাহলে তার কি হতো। ছোটবেলাতে একবার তাকে প্রশ্ন করেছিলাম যে ঐ ছেলেটা নাকি মোকাম শুরু করছে। ছেলেটা আগে আমাদের বাসায় কর্মচারী ছিলো। দাদা আমার মুখে সেটা শুনে রেগে যান বলে বসেন আমাকে পড়ালেখা করানোই উচিত না। ছেলেটা ঐ দোকানের সাধারন কর্মচারী ছিলো কিন্তু আমি বলে বসেছি যে সে নিজের ব্যাবসা চালু করছে।

এখন দাদা জান যা বলেন তা যে সবসময় ঠিক হবে এমন কোনো কথা নাই। এখন তার এসব ভুল বকার জন্য যদি তার পেছনে লাগি তাহলে কেমন! এখন দাদা আমাকে আদরও করতেন বকাও দিতেন। তার আদর যদি নেই তাহলে বকাও নিতে হবে কারন তিনি মুরুব্বী। এখন দাদার জায়গায় এলাকার কোনো মুরুব্বী বসান। সে এখন বসে বসে উল্টা পাল্টা কথা বলবে তাকে আপনি কি করবেন? জুতো পেটা করবেন? তা করবেন না। আবার তার কথার আমলে নেবার কিছু নাই।

সেক্ষেত্রে আমরা নুরুর কথা বলতে পারি। যদিও জানি না তার বয়স ষাট পার করছে কিনা। কিন্তু তর্কের খাতিরে ধরে নিলাম পার করছেন। এর আগে জারনো নিকে ভয়াবহ ফ্লাডিং করতেন। আরো কিছু আকামও করছেন। ফ্লাডিং আসলে সেরকম অপরাধ না। গতকাল তিনি যেমন লাদেনের পক্ষে কথা বললেন এটা সমস্যা। কারন এটা প্রাণঘাতী।

এখন চাদগাজির কথাতে কারো জীবনহরন যাচ্ছে না। তিনি তার ভুলের জন্য ক্ষমাও চাইছেন। কিন্তু নুরু যেটা করলো সে কি ক্ষমা চাইছে?

ব্লগে আরো একজন মুরব্বী ছিলো সনেট কবি। তিনি কবিতা লিখতেন, ধর্ম নিয়ে পোস্ট দিতেন ঠিক আছে। কিন্তু ধর্মের পাল্লায় পড়ে শিশুকামীতা ও বাল্যবিবাহের পক্ষে কথা বলবেন এটা প্রানঘাতি। এটা আসলেই কতটা ক্ষতিকর সেটার বলার বাইরে।

আমাদেরকে বোঝা উচিত আসলে এই যে যারা বয়োবৃদ্ধ তারা আসলে এমন কিছু বলছে কিনা যা সমাজের পক্ষে ক্ষতি বয়ে আনবে কিনা। এখন সে ধর্মবিরোধী কথা বললে নিদেনপক্ষে তার ধর্মানুভূতি আঘাত প্রাপ্ত হবে।

ধর্মানুভূতিতে আঘাত করা, মুহাম্মদকে লেংটা করে তার ইজ্জত হাটে উঠানো ফ্রান্স আমেরিকা ইংল্যান্ড সহ নানা দেশে জায়েজ। তবে আপনি কাউকে বযাক্তি আক্রমণ করতে পারবেন না। এর বাইরে তার ধর্ম বিশ্বাস ছুলে ফেলেন কোনো সমস্যা নাই। বর্নবাদ হেটস্পিচ না দিলেই হলো। চাদগাজি যে দেশের নাগরিক সে সেদেশের আইনানুযায়ী কথা বলছেন। এখন ব্লগ যদি বাংলাদেশী হয়, তাহলে সে অনুসারে ব্যাবস্থা নেবার অধিকার আছে। তবে আমাদের দেশে এখন জঙ্গি ও ডিজিএফআই প্রধান মাফিয়া। এরা যা বলবে তাই সই।

সেক্ষেত্রে পুরো দায়িত্বটা পড়ে ব্লগ ম্যানেজমেন্ট যে তাদের বিবেক কি বলে। যদি তারা মনে করে ধর্মে বিরুদ্ধে কথা বললে দেশের ক্ষতি হবে, অথচ লাদেনের সমর্থন, বা জঙ্গিদের শিশুকামী ফ্যাটিশ মোহাম্মদের বানী দিয়ে হালাল করা অথবা জঙ্গিবাদ সুন্নতী আমাদিয়া ইশতিশাদী ইনঘিমাস মনে করে সমাজের উপকার করবে! তাহলে কিছু করার নাই।

সেক্ষেত্রে জামাতী নীলুপিলু, জঙ্গি নুরু বা শিশুকামী টারজান বা সনেট কবি এখানে মূখ্য না। তাদেরকে এভাবেই তাদের পরিবার পরিবেশ বড় করেছে। তারা শত শত বছর ধরে চলে আসা জঘন্য মতবাদের তৈরী ঘৃনিত ফসল।

চাদগাজি আমাকেও অনেক গালি দিছে। তার সাথে কোমড়ে কাপড় বেধে ঝগড়া করছিলাম। পরে কেন জানি তার কথা গুলো পড়লে আমার দাদার কথা মনে পড়ে। আমার দাদা ঘোর আস্তিক ছিলেন এবং আমাদের পারিবারিক মাদ্রাসা হেফজ মৌলানা বানানো তারই স্বপ্ন ছিলো। কিন্তু তিনি ঠোটকাটা ছিলেন।

কিন্তু তার সাথে জঙ্গি গুলো যা করছে দুঃখজনক। আর তাকে নিয়ে আশাও করি না। কারন মডুরা বযাক্তিগত এবং পেশাগত ভাবেও এদের সাথে সখ্যতা রাখে। তাই এক্ষেত্রে নিরপেক্ষ কিছু আশা করাটা অন্যায়

কি আর বলবো বলেন!!

৬| ০৫ ই মে, ২০২০ রাত ১২:৪৩

নতুন বলেছেন: দাসত্ব আগের মতন নাই কিন্তু আমরা সবাই কামলা হইয়াই জীবন শেষ করি।

এখন আর গোয়ালা গরু কিনে না বরং এলাকার সবার কাছ থেকে দুধ,মাখন,পনির কিনে খায়।

একটু বুইঝা শুইনা লেখলে কিন্তু ঝামেলা কম হয়। কি দরকার আজুইড়া গালাগালী করে নিজের সময় প্রেসার বাড়ানো।

কিছু মানুষ থাকবেই যারা বিন লাদেনের ভক্ত কিন্তু সরাসরি কইতে না পাইরা ইনাইয়া বিনাইয়া জিকির করবে।

ইদানিং শুরু হইছে ম্যেশিন ম্যানের মুক্তি চাওয়ার আবদার। ফেসবুকে আসছে সেটা ব্লগেও আসবে মনে হয়।

০৫ ই মে, ২০২০ রাত ১২:৫২

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: কে বলছে নাই!! এটা দেখছেন?

যেসব থিওক্র্যাটিক দেশ ধর্ম দিয়ে চলে এবং যেসব ধর্মের প্রবক্তা খোদ এসব করে জীবিকা চালাতো তারা কিভাবে এই দাস পেশা বন্ধ করবে একটু বুঝান আমারে

৭| ০৫ ই মে, ২০২০ রাত ১:০৫

নতুন বলেছেন: কোন অমানুষই দাসপ্রথা বদ্ধ করতে চাইবেনা।

সেক্সট্রাফিকিং বন্ধ করা আসলেই কস্টকর। কারন অমানুষদের কাছে এর একটা চাহিদা আছে। চাহিদা থাকলে জাগান থাকবেই।

আরবদের সভ্য হইতে আরো ১০০ বছর লাগবো। এদের টাকা আছে কিন্তু শিক্ষা নাই। দশ`ন, সাহিত্য, বিজ্ঞান শিক্ষা ছাড়া মন মনন কিভাবে পাল্টাবে?

আগে আরবরা ঊট চড়াইতো আর খেজুর খাইতো। এখন টাকা হইছে, বিএমডাব্লু তে চড়ে উটটা পাশে নিয়ে বসে চালায় আর খেজুর খায়। এই টুকুই উন্নতি হইছে। :)

০৫ ই মে, ২০২০ রাত ১:১৯

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: সমস্যা হলো পেট্রলের চেয়েও এখানে দামী ধর্ম। পেট্রল বেঁচে এরা যত কামায় শুধু হজ্ব বিক্রি করে তার চেয়ে কয়েকগুন বেশী কামায়। আপনি যদি ৬০০ থেকে ১৩০০ সাল পর্যন্ত দেখেন তখনকার বেশীর মুসলিম নামধারী স্কলার প্রকাশ্যে বা গোপনে ধর্মের বিরুদ্ধে কাজ করেছে। এবং তার জন্য প্রচুর মূল্য দিতে হইছে। এমনকি এই যে বুখারী, গাজ্জালীর গুনগান গান এরাও শেষ জীবনে ভালোই ঠুয়া খাইছে।

দুঃখের বিষয় সেক্স ট্রাফিকিং বন্ধ করা এতো সোজা হবে না যতক্ষননা পিতৃতান্ত্রিক সমাজব্যাবস্থার প্রচলন করা যাচ্ছে। এবং পিতৃতান্ত্রিক সমাজ ব্যাবস্থা এমনভাবে আমাদের মধ্যে সেটে আছে যেমনটা পানিতে আছে অক্সিজেনের অনু।

কিছু মডেল কার্যকর যেমন স্ক্যান্ডিনেভিয়ান মডেল যেখানে যৌনতা হবে স্পেশাল পেশা যার ফলে কোনো মধ্যসত্বভোগী নেই। যেহেতু মধ্যসত্বভোগী নেই সেহেতু এক্সপ্লয়টেশন হবে না। তাই সেক্স ট্রাফিকিং এর পথ রুদ্ধ। অনেকেই এই মডেলটা গ্রহন করলেও থিওক্রেটিক রাস্ট্র সেটা গ্রহন করতে অনিচ্ছুক।

এটা কি জানেন ইরানে পিতা তার পালিত কন্যাকে বিয়ে করতে পারে??

অদ্ভুত, তাই না?

৮| ০৫ ই মে, ২০২০ রাত ১:২৮

নতুন বলেছেন: যারা একজন সেক্সওয়াকারের জীবন সম্পকে আইডিয়া আছে তারা এটাকে স্পেশাল পেশা হিসেবে স্বকৃতি দিতে বাধা দেবে না।

আমাদের দেশের পতিতাদের ৯৫% ই জোর করে এই পেশায় নিয়ে আছে পুরুষেরা তারপরে তারা আর বের হয়ে সমাজে যেতে পারেনা।

পরিবত`ন হচ্ছে কিন্তু সেটা অনেক ধীরে।

আগের প্রজন্মের মতন অন্ধবিশ্বাস এখনার প্রজন্মের মাঝে নেই। অনেকটাই কমে এসেছে আরো কমে যাবে।

০৫ ই মে, ২০২০ রাত ১:৪৫

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: ইরান তুর্কিতে ইসলামের প্রভাব কমছে সেটা বোঝা যায়।


ইনস্টাতে একটু একটিভ তাই একটু জানি সেটা হলো ব্রিটেনে অনেক মেয়েই আছে ১৮ এর পর বাসা থেকে চলে গিয়ে নিজের জীবন শুরু করে। কিন্তু প্রথম ধাক্কায় কস্টকর কাজগুলো করতে চায় না। সেক্ষেত্রে অনলিফ্রেন্ডস না কি রকম কিছু সাইট আছে একটু কম পোশাকে ছবি তুলে উঠায় দাও তাতেই ভালো ইনকাম। এবং এক সময় দেখা যায় তাদের ইনস্টা স্নাপচ্যাটের ফলোয়াড় এত বেড়ে যায় যে মডেলিং এবং বিভিন্ন পন্যের দুতিয়ালি থেকে শুরু করে নিজের একটা ব্রান্ড তৈরী করে। এবং তাদের এই পেশার কামাইতে সরকারকে নিয়মিত ট্যাক্স দিচ্ছে যা পরে অবসরের জন্য কাউন্ট হবে।

যদি সেক্স ব্যাপারটা আমাদের সমাজে ট্যাবু.... সমস্যা হলো আমরা যে এত বড় বড় কথা বলি আসলে আমাদের আছে কি! যখন কেউ বলে আমাদের সংস্কৃতি ধর্ম তখন আমার হাসি পায়। মানুষ এখন মারা গেলে তাকে জঙ্গলে রেখে আসে, কবর দেয়ার পরিবর্তে। মাকে ফেলে আসে রেলস্টেশনে। আপনি বলতে পারেন দু একজন কখনো উদাহারন হতে পারে না।

তাইলে বাংলাদেশে ৪ বার চ্যাম্পিয়ন দুর্নীতিতে। দেশের ৯০ শতাংশ মানুষ দুর্নীতির সাথে জড়িত। বাল্যবিবাহ কেন হয় কারন নিজের সন্তান নাকি বোঝা এবং ধর্মে এটা সুন্নত ও বেশী বেশী বাচ্চা পয়দা করার হাদিস আছে। সারা বিশ্বে গত বছর ৪র্থ। ৫৮ না ৫২ শতাংশ মেয়ের নাকি বাল্যবিবাহ হয়।

এটাই হলো আমাদের সংস্কৃতি। তো সেখানে ব্রিটেনের একটা বিম্বো নিজের জীবন গুছাচ্ছে সেখানে বাংলাদেশে কি হচ্ছে? ক্ষুধার তাড়নায় মিডলঈস্টে সরকারী তত্বাবধানে বিক্রি হচ্ছে। অথচ এই বিক্রির টাকাটাও তারা পায় না।

সরকার নিজের গদি টিকিয়ে রাখার জন্য কোরোনার আপদকালীন সময়ে বাংলাদেশের বিভিন্ন মসজিদের ইমামকে ৮১ কোটি টাকা এবং মাদ্রাসা গুলোতে ৮৭০ কোটি প্রদান করেছে। অথচ ডাক্তারদের পিপিই নাই, আমার এক পরিচিত পপুলারে ঢুকছে সে নিজে মাস্ক কিনে ২৫০০ টাকা দিয়া। সেই মাইয়া রাতে বাসায় আসে রিক্সা করে।

কিছুই কমে নাই দেশে সেটা ব্লগে দেখে বোঝার কথা। মৌলবাদীদের সাথা গলায় গলা মেলাচ্ছে সবাই। কজন আপনারা বিরোধিতা করেন? হাতে গোনা ৬ জন।

তার ওপর মডু একটু আগে চাদগাজির থ্রেট দিয়ে আইডি খেলে হবেন ৫ জন।

হিসাব আছে??

৯| ০৫ ই মে, ২০২০ রাত ১:৫৬

নতুন বলেছেন: দেশে ধামিকনা আছে ভন্ড।

সাচ্চা মুসলমানের দেশে ঘুষ, দূনিতি,ভ্যাজাল,ড্রাগ,চান্দাবাজী,টেন্ডারবাজী বাদ দিলে কতজন ভালো মানুষ আছে?

ভন্ডরা মুখে ধমের কথা বলে ধামিক সাজে কিন্তু কতজন আসলে ধম` মেনে চলে?

ব্লগের যেই অবস্হা চলছে তাতে মনে হচ্ছে না ব্লগ বেশিদন চলবে। সব দিক দিয়েই ভালো লাগছেনা।

০৫ ই মে, ২০২০ রাত ২:০৬

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: ব্লগ যে চালায় সে যদি ভালো থাকে তাহলে ব্লগ থাকবে। যতদূর কথা বলে জেনেছি উনি ভালো আছেন নিরাপদে আছেন।

তবে দেশের অবস্থা ভালো না। আখেনাটেনের শেষ পোস্টে সেটা নিয়েই আলাপ করলাম। উনাকে জিজ্ঞেস করলাম কোয়ান্টেটিভলি ভাবলে যদি কয়েক কোটি মানুষ মারা যায় তাহলে ক্ষতিটা কি!!!

উনি ইনিয়ে বিনিয়ে বললেন ঠিক কথা পরে আবার সেই কোয়ালিটেটিভে চলে গেলেন। এটা অবশ্য তার দোষের কিছু না। ভদ্রলোক মানবিক, সৎ.... তাই উনি বলে ফেললেন। কিন্তু প্রশাসন গুলো সেরকম না।

তারা এটাও জানে মধ্যপ্রাচ্য থেকে যারা ফিরে আসবে এরা আরো ভয়ানক। কাতারে ১৪০০ শ্রমিককে স্রেফ মরুভূমির মধ্যে খোলা মাঠে ফালায় রাখছে। তারপরও প্রধান মন্ত্রী বলছে একেবারে না হইলে ফিরে আইসেন না।

মানুষ টপাটপ মরতেছে কিন্তু তার মধ্যেও গার্মেন্টস খুলে দিছে।

যেখানে জানে ক্লোরোকুইনে কাজ হবে না, ভারতের কাছ থেকে ক্রেডিটে ১ লাখ আনছে। অথচ রেমডেসিভির বাংলাদেশের বেক্সিমকো বিমকা সহ অনেকেই বানায় কিন্তু তার প্রোডাকশন ভ্যালু প্লাস সরাসরি সিরিন্জে প্রবেশ করানোর উপযোগী করে গড়ে তুলতে কি পরিমান খরচ পড়বে সেটা চিন্তার বাইরে।

তবে আমি চাই মসজিদ গুলো খুলে দিক। জঙ্গি জানোয়ার কিছু কমুক। কারন এসব গোড়া ধার্মিকরাই প্রায় সব দেশে ভাইরাসের ছড়ানোতে প্রভাবক হিসেবে কাজ করছে।

তবে এর জন্য অনেক মানুষকে প্রচুর স্যাক্রিফাইস করতে হবে।

কোরোনা আমাদের জন্য কোনো দুঃসময় নয়। দুঃসময় হলো সামনে যে দুর্ভিক্ষ ধেয়ে আসছে।

ম্যালথাসের বিপর্যয় হয়তো এতদিন ভেবেছিলাম আমাদের ওপর কাজ করবে না, কিন্তু আমি সন্দিহান এখন

১০| ০৫ ই মে, ২০২০ রাত ৩:০৪

সুপারডুপার বলেছেন:



আপনি নতুন ভাইয়ের মন্তব্যে অনেক আশংকার কথা বললেন। হতাশার কথা বললেন। আশংকার কী আছে ! সারভাইভাল অব দ্যা ফিটেস্ট-এ যে টিকবে তো টিকবে, যে মরবে তো মরবে। লেট্ ইট বি


টাইম ফ্রেম দেখছেন : আমি চাঁদগাজী সাহেবকে সতর্ক করলাম ০৪ ঠা মে, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:২০
আপনার এখানে মন্তব্য করলাম ০৫ ই মে, ২০২০ রাত ১২:০২
আপনি মন্তব্য করলেন ০৫ ই মে, ২০২০ রাত ১২:৩০
কাভা ভাই মন্তব্য করলেন ০৫ ই মে, ২০২০ রাত ১২:৫৩.


যখন একটা বিষয়ের মোটামুটি ফোরকাস্ট জানা থাকে ও আগাম প্রস্তুতি নেওয়া থাকে; তখন ঘটনাও যদি ঐ দিকেই ঘটে, আপসেটের কিছু নাই। লেট্ ইট বি

আমি কি চাই। এটা স্বচ্ছ পরিষ্কার থাকলেই হলো।

০৫ ই মে, ২০২০ রাত ৩:২৩

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: শুনেন, আমিও মানুষ। যতই গালি দেই গন্ডমূর্খ বলি, যখন নীরিহ মানুষ মারা যাবে, লাশের পাহাড় জমবে তখন মাথা ঠিক থাকবে না। প্রকৃতির প্রতিশোধ নিষ্ঠুর।

তাম্রযুগের সমাপ্তি হইছিলো কিসের জন্য প্রতিষ্ঠিত ধারনা হইলো সাগরের মানুষের কারনেই তাম্র যুগের সমাপ্তি। প্রশ্ন আসতে পারে সাগরের মধ্যে মানুষ কি আর তারা কিভাবে একটা যুগের সমাপ্তি ঘটায়। সাগরের মানুষরা ছিলো মিশরের আঁশে পাশে মেডিটেরিয়ান সাগরের পাশে থাকা সাত রাজ্যের মানুষ। তখন তামার ভেতর টিন ভরে তলোয়ার সহ বিভিন্ন জিনিস বানাতো তার রুট আফগানিস্তান থেকে শুরু করে রোম এমনকি ভাইকিংদের ওখানে পর্যন্ত গেছিলো। একটা স্ট্যাবল রুট। তখন তারা রূপা ছিলো প্রচুর দামী। কিন্তু শুরু হইলো ভূমিকম্প। তারপর হইলো খরা, খরার পর মহামারী। সবাই তখন খাবারের জন্য চিৎকার করতে ছিলো। যেখানেই যাইতে সেখানেই দুর্ভিক্ষ মহামারী যাইতো। তখন মিশর অনেক ভালো ছিলো কারন তারা স্বর্নের বাজার একচেটিয়া ধরে রাখছিলো। যখন আ সাত রাজ্যের বানিজ্যের রূট ধ্বংস হয় তখন বিদ্রোহ শুরু হয়। তার আগে একবার মিশর আক্রমণ করে সেটা প্রতিহত করে। ত্রিশ বছর পর আবারও আক্রমণ করে কিন্তু সেটাও প্রতিহত করে। কিন্তু এরপর আর শক্তি ছিলো না। তখন পঙ্গপালের মতো মানুষ ছুটলো মিশরের দিকে। তাদের কাছে ছিলো খাদ্যের পুটলি আর কাপড়। অনেকের পুটলিতে ছিলো পাথর। যাতে নৌকায় জায়গা পায়। যখন ধরা পড়ে যাবে নিজেকে দাস বানিয়ে বিক্রি করবে। তারপরও তাদেরকে মিশর যেতে হবে।

এরকম পঙ্গপালের মতো মানুষ যখন ছুটলো তখন আর শেষ রক্ষা হলো না।

এটা খ্রিস্টপূর্ব দেড় হাজার বছরের দিকের কাহিনী।

২০২০ সালটাও এর থেকে কোনো পার্থক্য নাই। এখন সাগরের মানুষ নাই, কিন্তু সিরিয়ার মানুষ পঙ্গপালের মতো ভীড় করছে। আমরা অলরেডি রোহিঙ্গা নিয়ে আছি। এর আগের মন্দা অনেক কস্টে ঠেকানো গেলেও সেটার কারনে শুরু দীর্ঘস্থায়ী যুদ্ধ মধ্যপ্রাচ্যে। শুধু ভূমিকম্পটা নেই।

তবে আশার কথা হলো প্রকৃতির অনেক কিছুই এখন নখদর্পনে। কোরোনার ঔষধ অনেক আগে থেকেই ছিলো শুধু পরীক্ষা নীরিক্ষার বাকি ছিল। সেটাও হয়ে গেলো।

সমস্যা হলো এত ওষুধ বানানো এবং সেটা এফোর্ড করার মতো এবিলিটি কটা দেশের আছে।

আমরা হয়তো সরকারের কাছে রেজিস্ট্রি করে আছি তাই হয়তো বিনামূল্য ভ্যাক্সিন পাবো কিন্তু আমাদের দেশে যদি জাতিসংঘ বা হু যদি সাহায্য না করে তাহলে এই ভ্যাক্সিন বা ওষুধ কিভাবে পাবো? সালমান এফ রহমান কি নলে বিক্রি করবে?? সরকার??

আবার হতে পারে আমি মিথ্যা। ২০০৯-২০১৪ এর মহানন্দার মতো এটাও কেটে যাবে।

হতে পারে না??

১১| ০৫ ই মে, ২০২০ ভোর ৪:৩৫

সুপারডুপার বলেছেন: সাধারণ মানুষ মারা গিয়ে লাশের পাহাড় জমলেও যার মাথা ঠিক থাকে জানি না সে কি মানুষ না শকুন !

এখন বলেন, যে সমাজে গালি দিয়ে গন্ডমূর্খ বলে বোল্ড আউট হওয়ার সম্ভবনা কিন্তু মানুষের মৃত্যুতে প্রকাশ্য উল্লাস করে নিরবচ্ছিন্ন ব্যাটিং করে যাওয়ার সম্ভবনা সেই সমাজের কি রূপ সবার চোখের সামনে ভাসে ?

০৫ ই মে, ২০২০ বিকাল ৪:১৭

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: আগে থেকেই বলতেছি আমাদের দেশ আফগানিস্তান ইরান হতে কয়েক কদম পিছে। ৮০ এর আগে দুটো দেশেই মেয়েরা একসময় স্কার্ট পড়ে ঘুরতো, মাইক্রোবায়োলজি, পদার্থবিজ্ঞানে মেয়েরা উচ্চশিক্ষা নিতো। এখন স্কুলে যাইতে চাইলে মেয়েরা মাথায় গুলি খায়। ডাকাত মোহাম্মদ আয়েশার জামা পড়ে নিজের ফ্যাটিশ নিবার্চন করতো, ছোট শিশুদের যৌনাঙ্গ নিয়ে নিজের কাম লালসা মেটাতো তার মতো সেখানে চলে বাচ্চাবাজী। একসময় বাংলাদেশে ঘেটুপুত্র ছিলো। সমসাময়িক মোঘল বাদশা, অটোমান রাজারা বিচি ছাড়া পোলাপানের পাগল ছিলো। এসব আফগানিস্তানে আপগ্রেড হয়ে বাচ্চাবাজী নামে চলে। আরও অনেক কিছু চলে, অথচ মেয়েদের স্কুলে যেতে দেয়া হয় না। ইরানে ২০১২ সাল থেকে মেয়েদের ৯০ টি বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি বন্ধ। তারা শুধু জঙ্গি ইসলাম স্টাডিজ, ধর্মীয় ও গার্হস্থ্য শিক্ষা পড়বে। ৮০ এর আগে যে সরকার বা প্রশাসন ছিলো তারা ও বর্তমান লীগ সরকারের মতো বেশ দুর্নীতি পরায়ন ছিলো। যদিও তারা পরাশক্তি আমেরিকা রাশিয়ার পদলেহন করতো আমরা করি ভারতের যেটা বলতেও লজ্জা লাগে।

ফলাফল এক বিদ্রোহেই সব শেষ। সিরিয়া দেখেন কয়েক দশক আগেও তারা উন্নত ছিলো কিন্তু দুর্নীতিপরায়ন শুয়োর আসাদকে সরাতে গিয়ে এখন সেটা পুরাই ধ্বংসস্তুপ। আমাদেরকে বাঁচাতে যেহেতু ইউরোপ আমেরিকা আসবে না, সেহেতু ইরান আফগান সিরিয়া হবে আমাদের ভবিষ্যত। যদিও সেটা হলে ভারতেরই ক্ষতি। দেখা যাক ভারত কতদূর কি করতে পারে।

সেক্ষেত্রে বলা যায় অদূরদর্শী নেতাদের জন্য বাংলাদেশের অবস্থা এখন সেই বিচিছাড়া ঘেটুপুত্রদের মতোই। যেটা হতাশার

১২| ০৫ ই মে, ২০২০ ভোর ৬:১৪

নিমো বলেছেন: সুপারডুপার এই ব্লগে যেভাবে Urban legendকে সত্য বলে প্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে তাতে এই ব্লগ BFNN বা The Onion এর কাতারে যেতে বেশি সময় নেবে না।

০৫ ই মে, ২০২০ বিকাল ৪:১৮

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: রোজা রমজানের মধ্যে এসব বিদায়াতি কথা বললে গুনাহ হবে। কারন হুবালের বাচ্চা ঘারানিক সত্য। তার ক্ষমতার কাছে কোরোনা এইডস কিছুই না

১৩| ০৫ ই মে, ২০২০ দুপুর ১২:৩২

আহমেদ জী এস বলেছেন: উদাসী স্বপ্ন,




বেড়ে লিখেছেন! নীলুপিলু চিন্তার কথা বলে ঘিলুর চিন্তা বাড়িয়ে দিয়েছেন। বুঝতে পারছিনে, তাতে ঘিলুর ব্যবহারে অপচয় হবে কিনা।
হলে হোক! আমিও একটু "ইলুমিলু" চিন্তার কথা বলি---

এক অর্থে আমরা মনে হয় দাসপ্রথা থেকে খুব একটা ভালো অবস্থানে নেই। আসলে অন্যভাবে দেখলে আমরা প্রানীকূল এই দাসীয় ঘেরাটোপ থেকে বোধহয় বেরুতে পারিনি। ঘুরে ফিরে আসলে কোনও না কোনও দাসত্বেরই দাসত্ব করছি। যেমন কেউ শ্রমের , কেউ স্বভাবের, কেউ সমাজের, কেউ রাষ্ট্রের, কেউ রাজনীতির, কেউ ধর্মের ইত্যাদি। শ্রমের আবার ভাগও আছে - শারীরিক আর বুদ্ধিবৃত্তিক। এটাকে আপনি অর্থনৈতিক দাসত্বও বলতে পারেন। এই দাসত্বের অদৃশ্য শেকলে আমরা সকলেই কম বেশী বাঁধা বেঁচে থাকার প্রয়োজনে। আমরা সবাই-ই উৎপাদনের এক একটা হাতিয়ার মাত্র। সমাজবিদ থেকে, রাজনীতিবিদ, রাষ্ট্রবিদ, ধর্মবিদ, অর্থনীতিবিদ এমন সকল “বিদ”য়েরাই কোনও না কোনও উৎপাদনের সাথে জড়িত। যে উৎপাদন তার নিজের ক্ষমতা, প্রভুত্ব আর ব্যক্তিস্বার্থকে সুরক্ষা দেবে। এসব উৎপাদন চোখে দেখা না গেলেও এর ভয়াবহ ফলাফল আমরা প্রতিনিয়তই প্রত্যক্ষ করছি। যারা যারা ঐসব উৎপাদনের হাতিয়ার তারা তারাই ঐসব “বিদ”দের একপ্রকার সেবাদাস-ই। এখানে লোহার শেকল নেই বটে, স্বার্থের শেকলটা আছে ষোলআনাই, উভয়পক্ষের।

এই পৃথিবীটাও এক অর্থে সূর্য্যের দাস। সূর্য্যও মহাকর্ষীয় শেকলে বেঁধে পৃথিবীকে ঘোরাচ্ছে। সূর্য্যও পাড়ি দিচ্ছে মহকাশ সেই মহাকর্ষীয় বলের দাসত্বে। অর্থাৎ বিশ্বব্রহ্মান্ড জুড়েই দাসত্ব- দাসত্ব খেলা অর্থাৎ সবাই শেকলে বাঁধা।

ধর্মীয় মতে, সেই যে কাবিলের (কেইন ) হাবিলকে (এবেল) মেরে ফেলার ঘটনা, যদিও তা মেয়ে ঘটিত; তাও তো একরকম শ্রেষ্টত্ব অর্জনের কাহিনী। অন্যভাবে দেখলে এটা দাসত্ব অবস্থা থেকে উত্তরণেরও একটি কাহিনী। অর্থাৎ ঘটনাটি ঘটেছে দু’জনের কেউই কারো স্বার্থ ছাড় না দিয়ে থাকার মানসে একক প্রভুত্ব অর্জনের লড়াই থেকে, ক্ষমতার লড়াই থেকে।
এভাবেই তো মানব ইতিহাসের শুরু (ধর্মীয় মতে) থেকেই প্রভু (অনুগ্রাহী) আর দাসের (অনুগ্রহিত বা কৃপাকৃত) জন্ম। স্বার্থের কারনেই এই চক্র থেকে বেরুনো সহজ নয়। জন মেয়ারের মতোই বলতে হয় - দাসত্ব প্রাকৃতিক।

২নং মন্তব্যে দজিয়েব “লিয়োপল্ড” এর এই যে কথা -“বেঁচে থাকার তাগিদে জীবজগতের সদস্যরা একে-অপরকে ব্যবহার করতে বাধ্য, এছাড়া আমাদের উপায় নেই”। বলেছেন আমিও তার মতোই বলতে চেয়েছি যে, তীব্র প্রতিযোগিতামূলক এ বিশ্বে বেঁচে থাকার স্বার্থেই প্রানীকে কুক্ষিগত করতে হয় উৎপাদনের সব হাতিয়ার। আর সেখান থেকেই জন্ম নেয় অদৃশ্য “প্রভু” আর “দাস”।
আজ হয়তো আমাদের পায়ে শেকল পড়ানো থাকেনা, পিঠে চাবুকের দাগ পড়েনা কিন্তু জীবিকার প্রয়োজনে, স্বার্থের প্রয়োজনে আমরা যে অর্থনৈতিক, সামাজিক, রাজনৈতিক, রাষ্ট্রিক, ধর্মীয় শেকলের অদৃশ্য বন্ধনে নিজেদেরই বেঁধে ফেলে এক একজন প্রভু হয়ে ওঠার কসরত করে যাচ্ছি ! শুধু কেউ কেউ পিঠে নয় অন্তরে প্রতারনা, ছলনা, বৈষম্যের ঘা’য়ের দাগ নিয়েও বেঁচে থাকার চেষ্টায় নিরত।

৭নং প্রতিমন্তব্যে আপনার লেখা -“দুঃখের বিষয় সেক্স ট্রাফিকিং বন্ধ করা এতো সোজা হবে না যতক্ষননা পিতৃতান্ত্রিক সমাজব্যাবস্থার প্রচলন করা যাচ্ছে।” পড়ে খটকা লাগলো। আসলে এটা কি এমন হবে -“ দুঃখের বিষয় সেক্স ট্রাফিকিং বন্ধ করা এতো সোজা হবে না যতক্ষননা পিতৃতান্ত্রিক সমাজব্যাবস্থার প্রচলন বন্ধ করা যাচ্ছে।” ?

ভালো থাকুন, নিরাপদে থাকুন।

০৫ ই মে, ২০২০ বিকাল ৪:২৩

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: জ্বি বানান ভুল।

আপনারে প্রতিমন্তব্য বা যুক্তি না দেয়ার চাইতে বরংচ একটা গান দেই। আমার অনেক পছন্দের



সুইডিশ ডুম মেটাল ব্যান্ড। এন্টি গড এন্টি ক্রাইস্ট লুসিফার এদের মূল থিম। ২০১৬ সালে এরা গ্রামী। বিশেষ করে এদের স্টেজ এক্ট আর গানের মধ্যে যে শর্ট ক্যাচি রীফ নেশা ধরায় দেয়। মাস্টডন, সাবাটন, ইন ফ্লেমস টাইপ বাদ দিয়ে দুই বছর ধরে এদেরকেই শুনি জীমে

১৪| ০৫ ই মে, ২০২০ বিকাল ৩:১৯

বিপ্লব০০৭ বলেছেন: সনেট কবি এক ভয়ঙ্কর ভাববাদী। তার সাথে তর্ক করতে গিয়ে আমাকে বেশ বেগ পেতে হয়েছিলো। পানির স্মৃতি আছে নামক একটা তত্ত্ব উদ্ভাবন করেছিলো সে, সম্ভবত নিজে ভাববাদী হওয়ায় হ্যানিম্যানের হোমিওর তথাকথিত অলঙ্গঘনীয় সূত্র পানির স্মৃতি নামক থিওরিটি সে নিজের বলে চালিয়ে দিতে চেয়েছিলো। এগুলো ছাড়াও তার আরো অনেক তত্ত্ব ছিলো, যেমন : মাটির স্মৃতি আছে, আলোর স্মৃতি আছে, মাটি আগুন থেকে 'শক্তিশালী', আলো এক ধরনের প্রোগ্রাম, আলো থেকে মাটির 'গতি(!)' কম। আমার অনেক সময় গেছে তার সাথে এসব বিষয় নিয়ে বাদানুবাদ করতে। আপনি যাদের কথা বলছেন তাদের থেকে মনে হয় সনেটের মতন ভাববাদীরা আরো ভয়ঙ্কর। তার সাথে তর্ক করতে গেলে উদ্ভট সব উপায়ে সে নিজের বক্তব্য প্রতিষ্ঠা করে। ইদানিং তাকে আর দেখা যায় না।

০৫ ই মে, ২০২০ বিকাল ৪:২৯

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: উনি শেষে একটা বই লেখার চেস্টা করেছিলেন যেটার স্পন্সর গাজী ট্যাংক না কাদের যেনো হবার কথা ছিলো। পরে ব্লগ লকডাউনে হারালেন খুব সম্ভবত সেই বই শেষ করে ছাপানোর চেস্টা করলে আমার মনে হয় সেটা হয়নি। তবে উনি খুব সম্ভবত সুফি লাইনের মাইজভান্ডারী।

ব্লগে যেসব সুফী মাইজভান্ডারী আছে এগুলোকে আমার গন্ডমূর্খ ফাস্ট ক্লাস ভুদাই মনে হয়। এদের কারো লেখায় আমি মুহাম্মদের ধর্ষিতা বৌ সাফিয়ার লেখা পাই নাই অথচ এই ইহুদী নারী সুফি লাইনের ব্যাসিক ইলিমেন্ট তৈরী করনের জন্য বিশেষ ভূমিকা রাখে। আপনি এদের সাথে সুফী, ইশরাক নিয়ে দর্শনের দুইদন্ড আলাপ করতে পারবেন। সেখানে স্পিরিচুয়ালের যে সান্নিধ্যের যে এনাটমি এটা নিয়ে কথা বলতে গেলে বাইং মাছের মতো পিছলাইয়া আবোলতাবোল পাগলামী শুরু করবে। সময় নস্ট।

এসব খোদার খাসী সুফির ব্যাসিক বইটা পড়ছে কিনা সন্দেহ, পড়লেও কয় লাইন বুঝছে.... হলি কাউ।

সেইখানে এইসব ছিঁচকে চুরি করে যাতে তারা বাজারী কথা বলে আসর মাতাইতে পারে।

এদের সাথে কাজী ইব্রাহীমের বাজারী ওয়াজীর কোনো পার্থক্য নাই।

১৫| ০৫ ই মে, ২০২০ বিকাল ৩:৪০

রাজীব নুর বলেছেন: কে কি ্মন্তব্য করেছে তা চুপ করে দেখে গেলাম।

০৫ ই মে, ২০২০ বিকাল ৪:৩১

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: আপনার জন্য আরেকটা গান দিলাম


১৬| ০৫ ই মে, ২০২০ বিকাল ৪:২৩

বিপ্লব০০৭ বলেছেন: আমলে মলের ঘটনাটা ফিজিক্সে আর ফিলোসফি দিয়ে কি কিছুটা বোঝা যায়? যেমন ধরা যাক বাস্তবতার কোন অ্যাবসুলুট রূপ নেই, সবই একে অপরের সাথে লিঙ্কড হয়ে আপেক্ষিক রিয়েলিটি সৃষ্টি করে। গোল্ডফিশ তার জারের ভিতর থেকে যে রিয়েলিটি দেখে সেইটাও একটা বাস্তবতা আবার মানুষের চোখের রেটিনায় যে বাস্তবতা প্রতিফলিত হয় সেইটাও আরেক রকম রিয়েলিটি, বাট কোনটাই মিথ্যা না। কনভার্সনের সূত্র জানা থাকলে এক রিয়েলিটি থেকে আরেক রিয়েলিটির ইমেজ ইজিলি পাওয়া যাবে। কারো বাস্তবতা অন্যের বাস্তবতার চেয়ে অধিক সঠিক-- এই ধরনের কোন স্টেটমেন্ট আমরা দিতে পারি না, আমরা শুধু বলতে পারি বাস্তবতার কোন ফর্মটা আমরা এই মুহূর্তে দেখছি। বাস্তবতা পরিবর্তনশীল, তাই যেই আমলই করা হোক না কেন, যেহেতু বাস্তবতার পরিবর্তন/বিবর্তন চলছে, তাই বাস্তবতার উপর করা আমল ভবিষ্যতের পরিবর্তিত বাস্তবতায় মল হওয়া ছাড়া কোন গতি নেই।

পৃথিবী একসময় সমতল চাদরের মতনই ছিলো, পৃথিবী একসময় স্থির-ই ছিলো এইটা তখনকার আমল; পরে তা মলে পরিণত হয়েছে। আমরা এই মুহূর্তে যে বাস্তবতা দেখতে পাচ্ছি বা যে বাস্তবতায় বসবাস করি তা বহু বছর পরে মলে পরিণত হবে না তাই-বা কে বলতে পারে? আমি এই ডিসিশন টানছি ফিলোসফি থেকে।

আফ্রিকা থেকে শেকল পরিয়ে কালোদেরকে দাস নাম দিয়ে জানোয়ারের মতন আমেরিকায় আনাটা অমানবিক-- এই উপলব্ধি বা আমল করে আসতে মানুষকে ইতিহাসের একটা পর্যায় পাড়ি দিতে হয়েছে, ঐ সময়ের প্রেক্ষাপটে তাদেরকে তাদের কর্মের জন্য দোষারোপ করাটাই অস্বাভাবিক। সব আমলই মলে পরিণত হয়, কোনকিছুই চিরস্থায়ী নয়।

আপনি যে প্রবলেমের কথা বলছেন, এইটার সমাধান প্রকৃতিবিজ্ঞানে নেই, এইটা প্রকৃতি বিজ্ঞানের লিমিট। বাট আমার মনে হয়, দর্শনে এর সমাধান না থাকলেও একটা প্রচেষ্টা আছে সমাধান খোঁজার। তাই দর্শনকে পিস অব শিট বললে, নাজিদের কর্মকান্ডকেও ঘৃণার চোখে দেখার কোন কারণ নাই।

মানুষের সভ্যতার একটা দিককে করোনা নগ্নভাবে দেখিয়ে দিয়েছে, সেটা হল সবাই বাঁচতে চায়। যেকোন প্রকারে হোক সে বেঁচে থাকতে চায়। তেলাপোকার মতন হলেও, কিন্তু শুধু কোনরকমে বেঁচে থাকাটাই কি মানুষের একমাত্র উদ্দেশ্য? কি আর হবে বেঁচে থেকে? এইসব প্রশ্নের উত্তর খোঁজার জন্য ফিলোসফি অনবদ্য।

প্রাণ অন্য প্রাণকে হত্যা করে সারভাইভ করতে হয়, একমাত্র মানুষের মধ্যে চিন্তা নামক জিনিসটা থাকার কারণে পশু-পাখিদের মতন দর্শনবিহীন জীবন সে যাপন করতে পারে না। দর্শন ইজ নট আ শিট, এ কারণেইতো সে টের পায় পৃথিবীতে তার অস্তিত্ব আসলে কন্ট্রাডিকটরি। নিজের এই দ্বিচারিতা থেকে বাঁচার জন্য এজন্য সে আবার হাজির করে নতুন নতুন সব দর্শন। সবই আসলে নিজের কর্মকান্ডকে সহীহ করার জন্য।

০৫ ই মে, ২০২০ বিকাল ৪:৫৬

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: আপনার প্রথম প্যারার ব্যাখ্যা দিতে পারি এ্যারি কাকু দুই ধাপের অস্তিত্ববাদী ক্যাটাগরী দিয়া যার প্রথমটা হইলো কোয়ালিটি কোয়ান্টিটির মিশেল দ্বিতীয়টা হইলো বস্তুবাদী। যদিও মাচুলমান গাজ্জালী সেখানে ঈশ্বর সত্য ধইরা বাতচিত করতে চাইছে কিন্তু ইবনে রুশদ সেই পাশা উল্টায়। দেকার্ত আবার পঞ্চ ইন্দ্রীয় ধইরা সেই ঈশ্বর খুঁজলেও পরম বাস্তবতার সংজ্ঞা হারায় আর সেখান থেকে রক্ষা করতে আসেন হিউম কাকু। তার মোরাল রিলেটিভিজম আর ভ্রমের দেয়াল আমাদেরকে শেখায় ঘটনার মোরাল আর নিজের ভ্যালুর মোরালিটি। আর যেকোনো ঘটনাই বাছ বিচার করবেন পরেরটা দিয়া। তবে তার কিছু ইউনিভার্সাল প্যারামিটার আছে যেটা হবে আপনার ব্যাসিক রেফারেন্স যেকোনো কিছু বিচারের ক্ষেত্রে।

ভারতীয় দর্শন শিক্ষা দেয় আসলে সত্য হলো আপেক্ষিক। একজন যা দেখবে সেটার ব্যাসিক মোরালিটির মাধ্যমে দেখবে। সেখানে সে কোন কালচারে বড় হইছে সেটা মূখ্য। এটার থেকে রাহুমুক্তি হিউম কাকু না দিবার পারলে সেখানে নীশে অনেক এগিয়ে নিয়ে যায়। যদিও আমি হেগেল শুরু করায় নীশের সব শেষ করতে পারি নাই তবে যতটুকু পাইছি তার ক্ষেত্রে যেহেতু সত্য ও মিথ্যা সবই রিলেটিভ সেহেতু প্রশাসন দ্বারা নিয়োগকৃত যারা এসব মানদন্ড তৈরী করেন তারা হলো সবচে বিপজ্জনক কারন তারা হলো একই সাথে ভালো ও মন্দ। কিন্তু সেটাও আপনি এ্যাভয়েড করতে পারেন যদি আপনি আপনার নিজস্ব চিন্তা চেতনার মানদন্ডকে কিভাবে মূল্যায়ন করবেন! আসলেই তা আপনার জন্য ভালো কিছু বয়ে আনবে? তাতে লাভ কি? কিভাবে উপকৃত হবেন বা করবেন?

তিনি প্লেটোর আবার সমালোচক ছিলেন। সেটা অন্য বিষয় কিন্তু আপনি যে ডাইলেমায় আছেন সেটার জন্য আপনি এ্যারিস্টটল থেকে শুরু রেনে দেকার্ত হিউম নীশে পর্যন্ত যেতে পারেন। সেটা দিয়েও বিচার করতে পারেন আসলেই নাজিরা কতটা নিকৃস্ট। সেখানে গাজ্জালী সহ অন্যান্য মুসলমানদের বাদ দিতে পারেন কারন এগুলো কনফিউশন তৈরী করে কারন চোরারা সবকিছুই হুবালের বাচ্চা ঘারানিকরে (আপনে বুঝতে পারছেন মনে হয় ঘারানিক কিডা) দিয়া বিচার করে এবং সেল্ফ কন্ট্রাডিক্টোরী ভুলে ভরা কোরানের ফুট লাগাইতে ও খসাইতে বিজি, যেটা বিরক্তিকর কনফিউজিং মোদ্দ কথা সময় নস্ট।

দর্শন পিস অব শিট আমি মূলত এটার জন্য বলি না, কোয়ান্টাম ওয়ার্ল্ডে এটা ব্যাখ্যা করতে অক্ষম এবং এর জন্য কোনো ফ্রেমওয়ার্ক তারা তৈরী করতে ব্যার্থ হয়েছে যেখানে পিওর ম্যাথ আমাদেরকে দ্বীধাহীন পথ দেখায়।

সে হিসেবে এটা পিস অব শিট আমার কাছে। কারন সামনের সময়গুলো পুরোটাই ন্যানোট্যাক, কোয়ান্টাম কম্পিউটিং, ন্যানোস্কেল

১৭| ০৫ ই মে, ২০২০ বিকাল ৪:৩৮

বিপ্লব০০৭ বলেছেন: “বেঁচে থাকার তাগিদে জীবজগতের সদস্যরা একে-অপরকে ব্যবহার করতে বাধ্য, এছাড়া আমাদের উপায় নেই"- এই যে লিয়োপল্ড এই কথাটা বললেন, এটাও আসলে প্রাণ হিসেবে মানুষের নিজের অস্তিত্বকে জায়েজেরই একটা দর্শন। অথচ আসলে ক্রাইসিসটা হল চিন্তা বা মানুষের মানবিক রিয়েলাইজেশন। মানুষের মধ্যে চিন্তাশীলতা বা রিয়েলাইজেশন আছে দেখেই সে এই সমস্যাটা টের পেয়েছে। চিন্তা নামক জিনিসটা বা মানবিক উপলব্ধি না থাকলে তার এই সমস্যার মুখোমুখি হওয়া বা এর সমাধান খোঁজারই কোন দরকার ছিলো না।

০৫ ই মে, ২০২০ বিকাল ৫:০২

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: সত্যি কথা বলতে বর্তমান সময় এবং লিওপোল্ডের মতো আধুনিক দার্শনিকদের কিছু দর্শন পড়ছিলাম কেন যেন মনে হয় নীশে হেগেল এর মতো এরা এত বেশী নিরপেক্ষ বা পরম না। যদিও শেষ করতে পারি নাই সব, কিন্তু আগ্রহ হারাইছিলাম যখন পয়টার ধরছিলাম

১৮| ০৫ ই মে, ২০২০ বিকাল ৪:৪৮

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:

আমার যাদেরকে রেমিট্যান্স যোদ্ধা না কি যে বলে থাকি সেই সব প্রবাসী শ্রমিক যারা মধ্যপ্রাচ্য আর মালয়েশিয়াতে কাজ করতে যান তারাও কিন্তু এক প্রকার দাসই। এদেরকে আধুনিক শ্রম দাস বলা যাতে পারে। অনেক ধনী ব্যাক্তিরা এদের বিক্রির সাথে জড়িত।

এক জন লোক চাকরি ( কাজ ) করতে যাবেন। তার তো পাসপোর্ট করা আর বিমান ভাড়ার টাকা ছাড়া অন্য খরচ তেমন লাগার কথা না। অথচ দেখুন মালয়েশিয়া যে বাড়ির কাছে সেখানে যেতে এক জন শ্রম দাসের খরচ হয় ৩/৪ লাখ টাকা।

০৫ ই মে, ২০২০ বিকাল ৫:০৮

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: মধ্যপ্রাচ্যের যে আকামা সিস্টেম এটার পুরোটাই দাস ব্যাবস্থা নামান্তর। একজন মানুষ সে তার শ্রম ও মেধা দেবে এবং তার বিনিময়ে সে মজুরী ও অন্যান্য ইনসেন্টিভ পাবে। নির্দিষ্ট সময় কাজ করার পর তারপর সে স্বাধীন। সে যদি ঐ কাজ ছেড়ে অন্য কাজ করতে চায় সেক্ষেত্রেও তার স্বাধীনতা থাকা উচিত যেটা বাংলাদেশেও আছে। বাংলাদেশে যারা কাজ করেন তারা ইচ্ছা করলে সেটা করতে পারেন। অন্তত গত দশকে আমি যত জব করেছি সেখানে এটা ছিলো।

আমি ঠিক বুঝি না আইএলও এর রিপোর্ট থাকা সত্বেও শুধুমাত্র আমেরিকার কারনেই জাতিসংঘ সেখানে কিছু করতে অসহায়। অথচ এসব প্রথার জন্য এদের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয়া উচিত ছিলো।

এটা আসলেই দুঃখজনক

১৯| ০৫ ই মে, ২০২০ বিকাল ৫:১৯

বিপ্লব০০৭ বলেছেন: অ্যারিস্টটল আর নীৎশে- এই দু' কাকুকে নিয়ে আমার প্রবলেম হয়। এদের দু'জনই আমার কাছে দুর্বোধ্য মনে হয়। অ্যারিস্টটলের বই পড়ার টাইম নাই, বাট সময় হলে অ্যারি কাকুর বইয়েও দাঁত বসাবার ইচ্ছে আছে। আমি শুরু করছিলাম প্লেটোর রিপাবলিক দিয়ে, তারপর বিচ্ছিন্নভাবে অন্যদের (হিউম, দেকার্ত, কান্ট, লক, স্পিনোজা, হবস, ম্যাকিয়াভেলী...) বই পড়েছি, বাট নিরবচ্ছিন্ন বা ধারাবাহিক ছিলাম না কোনকালেই। আমি আঁটকা পড়েছি হেগেলে এসে। ভাববাদী হেগেলের ভাষা আমার কাছে দুর্বোধ্য মনে হয়, একই সমস্যা মার্কসেও। এদের দু'জনের কাউকেই আমি এখনো পুরোপুরি বুঝেছি- বলবো না।

এরমধ্যে আবার ভারতীয় দর্শন। গোদের উপর বিষফোঁড়া। দর্শন, এথিক্স, ইসলাম, টেকনোলজি, ন্যানোস্কেল-- এসব নিয়ে আমি কোন ডাইলেমায় নাই। আমি ডাইলেমায় আছি মেইনলি ডেমোক্রিটাসের হাত ধরে গ্যালিলিও-কোপার্নিকাস হয়ে প্রকৃতিকে ব্যাখ্যা করার যে বিজ্ঞান ইউরোপের ইতিহাসে শুরু হয়েছিলো সেইটা নিয়া।

০৫ ই মে, ২০২০ বিকাল ৫:৪০

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: কিন্তু দর্শনের অন্তলোজী এপিস্টোমোলজি সেখানেই আটকে আছে। এবং বিজ্ঞান অধিকতর ভাবে গনিমতের মূখাপেক্ষী হয়ে গেছে। দর্শনের শুধু মেথডোলজিটাই তারা রেখেছে যেটাকে আমার কাছে শুধু টেস্টিং ফেজ মনে হয়

২০| ০৬ ই মে, ২০২০ রাত ৮:৫৪

সোনালি কাবিন বলেছেন: @ উদাসী স্বপ্ন, ব্লগার সাজিদ উল হক আবির নিজেই এক পোস্টে লিখেছে সে প্রাক্টিসিং বিশ্বাসী ধার্মিক। আপ্নি যতই যুক্তি দেন সে ইনায় বিনায় তার ধর্মরেই গ্লোরিফাই করব।

০৭ ই মে, ২০২০ দুপুর ১২:৫৫

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: ধরেন আপনি ইলেক্ট্রিক্যাল থেকে পাশ করেছেন এবং আপনাকে একটা বিষয়ে প্রবন্ধ লিখতে দেয়া হলো। ওখানে আপনি স্বভাবতই আপনি যে বিষয়ে অধ্যায়ন করেছেন তা থেকে একটা এনালজি মার্কা উদাহারন ধরিয়ে সেটা দিয়ে কিছু একটা ব্যাখ্যা করবেন। তা থেকে পাঠক বুঝতে পারবে আপনার ব্যাকগ্রাউন্ড এবং সেখান থেকে কি শিক্ষা গ্রহন করেছেন। প্রতিষ্ঠান কখনো আপনাকে চাকরী দেবার জন্য পড়ালেখা করাবে না। কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের এটা প্রধান দায়িত্ব নয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান দায়িত্ব তারা মৌলিক জ্ঞানের চর্চা করবে। এখন আপনি সেই জ্ঞান কতটুকু কাজে লাগালেন কিভাবে কাজে লাগালেন তার দায়িত্ব শুধু আপনার ওপর বর্তায়।

এখন আপনার সাথে কথা বলতে গিয়ে যদি বলে বসি থ্রি ফেজ ডিসি কারেন্ট.. তখন আপনি অবশ্যই বলবেন ডিসি কারেন্টের ফেজ কেমনে হয় যে থ্রি ফেজ বানাইলাম! তখন রেগে মেগে আপনি একটা কিছু বলে বসলেন.....

আসলে আমরা অনেক আগে থেকেই ঢাকা ইউনিভার্সিটিতে কিছু ঠোঁট কাটা শিক্ষক ছিলেন যেমন হুমায়ুন আজাদ, হুমায়ুন আহমেদ, আহমেদ সহ বেশ কিছু যারা সবাইকেই নিরপেক্ষভাবে প্রখর যুক্তি দিয়ে যুঝতেন। আবার নির্মলেন্দুর মতো পদলেহিও কিছু ছিলেন যাদের কাছে আমরা শিখতে কিভাবে পা চাটতে হয়। আমি এটা বলবো না যে চামচাগুলো কিছু জানে না, কিন্তু দলদাস বা বায়াসড হবার কারনে তারা বুদ্ধিবৃত্তিক চর্চা হারিয়ে ফেলেন। ফলে এখন আমাদের দেশে বুদ্ধিবৃত্তিক নিরপেক্ষ মানুষ খুঁজলে পাওয়া মুস্কিল।

যখন কোনো দর্শনের ছাত্র তার লেখায় পাসকেলের বাজি বা বা আর্গুমেন্টাম বা গ্যামেবলিং ফ্যালাসীপূর্ন কথা বলবে তখন আলোচনা আর কিভাবে এগুতে পারে। তৈল মারা সম্ভব না। আপনি যদি আমার মতের লোক ও হন এবং সেটাতে আপনিও ভুল করেন তাহলে আমি বলবো।

এই যে দোজিয়েব নামের ব্লগার সে একটা কমেন্ট করছে। দুইদিন ধরে ভাবছি। এখনো যেভাবেই ভাবি না কেন সবক্ষেত্রেই আমার পরাজয় হচ্ছে। যদি আর দু একদিনের মধ্যে না পারি এটা ক্রাক করতে তাহলে আমি স্বীকার করে পোস্ট গুলো এডিট করবো। এতে দোষের কিছু নাই।

আমিও মানুষ আপনিও মানুষ। ভুল হবেই। কিন্তু ভুল অস্বীকার না করে কোমড় বেধে ঝগড়া করাটা... ওয়েল ঝগড়া আমিও করতে পারি কিন্তু হাতে খুব সময় নেই। এই কোয়ারেন্টিন সময়েও প্রচুর কাজ।

আরেকটা প্রশ্ন যিনি নিয়মিত পাঁচ বেলা নামাজ পড়েন রোজা রাখেন, সেটা নিয়ে কখনো কি কাউকে বলতে শুনেছেন? কারন তার কাছে এটা সাধারন হয়ে যাবার কথা

ফুড ফর থট

২১| ০৭ ই মে, ২০২০ বিকাল ৫:৩৩

সোনালি কাবিন বলেছেন: আপ্নি অনেক ব্যস্ত তাও ফিরে আস্লাম। ফিরে আস্লাম কৌতূহল চেপে না রাখতে পেরে। আপ্নি ব্লগার সাজিদের যেই পোস্টে আরবরা টাকা নেয় কেন টাইপ মন্তব্য করেছেন, সেটা কি রিসেন্টলি দেখেছেন? ব্লগার সাজিদ তার অলোকসামান্য প্রতিভা দিয়ে বের করেছে যে আপ্নি অমুসল্মান এবং আপ্নি কুরানে দশ লাইন পর পর কি ফ্রেইজ আছে জানেন না।

শিক্ষিত ব্লগার দের এরূপ হাস্যকর লজিক দেখে মাথায় রক্ত উঠে গেল দেখে আপ্নার পোস্টে আবারো মন্তব্য করলাম। আপ্নাকে বিরক্ত করার জন্য দুঃক্ষিত।

০৭ ই মে, ২০২০ রাত ৮:৫৮

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: কাজের ফাকে দেখেছি। আসলে সম্প্রতি ফুলস্টেকে কাজ শুরু করার পর এত কিছু যে জানার আর করার আছে যে মাথা নস্ট। আমার ব্যাকগ্রাউন্ড ইইই। নেহায়েত শখের বশে পাইথন শুরু করেছিলাম এবং রিএ্যাক্টে একটু হাত পাকিয়ে ক্যারিয়ার চেন্জ করেছি। হাবুডুবু খাচ্ছি বলা যায়, তারপরও মজা লাগছে।

ওনার কমেন্ট পড়েছি। একটা সাধারন প্রশ্ন একাডেমিক ডিবেট নিশ্চয়ই দেখেছেন। সেখানে কোনো প্রশ্ন করা হলে তার উত্তর পাওয়া যায়। পুরো পোস্টের কমেন্টে উপসংহার টেনেছিলেন এই যুক্তিতে যে যেহেতু তারা আমাদের ওপর রাজত্ব করেছে সেহেতু আমাদের সাজে সেসব দেশে যাওয়া এবং তাদের জিনিসপত্র ইউজ করে। আমি বুঝতে পারছি এখানে জেতার কি আছে! পয়েন্ট থাকতে পারে যে তারা আমাদের অনেক দিন প্রায় রক্ত চোষার মতো চুষেছে তাই আমরা পারিনি এগুতে কিন্তু সেই বাক্যের আগে পড়ে লিখেছেন চড়াদামে। তার মানে আল্টিমেট লস আমাদেরই। তাহলে এটাকে কেমন যুক্তি বলবো?

তারপরও ধরে নিলাম ওনার যুক্তি অনুসারে যে যেহেতু আমাদের ওপর রাজত্ব করেছে তাই আমরা এখন তোমাদের দেশে গিয়ে তোমাদের ওপর রাজত্ব করবো(দ্যাটস ফানি, কারন ব্রিটেনে যেকজন ইন্ডিয়ান মিনিস্টার আছে তারা আমার মনে হয় ভারতের নাম দিয়ে ওদের মন্ত্রনালয় সামলাচ্ছেন না। তবে এটা দেখতে আমাদের ভালো লাগে। কিন্তু তারা কি ঈস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানীর মতো কিছু করতে পারছে?)

সেক্ষেত্রে আরবদের সংস্কৃতি আমরা পেয়েছে মোঘল রাজা ও তাদের ডাকাত মারসেনারিজের মাধ্যমে। উল্টো টাকা দিয়ে আসছি হজ্বের নামে, সেক্ষেত্রে আমরা তারা আমরা কি করছি? প্রশ্নটা ছিলো এটা। এখানে কোনোকিছুকে কটাক্ষ করা হয়নি।

এরপর শুরু হলো ওনার থ্রেট আর সন্দেহ মার্কা গীবত।

তাতেও ঠিক আছে কিন্তু একটা জিনিস ভুল করলেন কোরানে সবচে বহুল প্রচলিত শব্দ মান তারপর আল্লাহ তারপর লা। এটা মনে আছে কারন যখন আমি দ্বিতীয় শ্রেনীতে উঠি তখন এটা পরীক্ষার এসেছিলো। রহমান যতদূর জানি খুব বেশী ব্যাবহার হয়নি। গুগল করে দেখলাম এই শব্দটার কাউন্টের কথা এমন সব ডকুমেন্টে যেখানে ১৯ সংখ্যার অলৌকিক কাহিনী যার ওপর ভিত্তি করে নাকি কোরান রচিত। ভাই, এটা হিন্দুরাও জানে যে ১৯ সংখ্যার অলৌকিকত্বের কাহিনী টা একজন সিরিয়ানের বাটপারী।

যে মানুষ এত বই পড়েন বলে দাবী করেন এত নামাজ পড়েন সে জিজ্ঞেস করতে পারতো ছবক, পারা ছবক, আমোখতার, হালাকাতের বিষয়ে। কারন হেফজ করতে গেলে এই প্রসেসগুলো খুব ভালো করে ফলো করা হয় এখনো। যদিও আমি নিজ এখন ২০ টার বেশী সুরা মুখস্থ বলতে পারবো না কারন সেভাবে চর্চা করিনা। কিন্তু একটা ভুল ধারনার ওপর প্রশ্ন করে সম্পূর্ন অপ্রাসঙ্গিক একটা বিষয নিয়ে প্রশ্ন করা কেমন একাডেমিকের পরিচয় সেটা বুঝে আসছে না।

আর সে যে থ্রেট দিচ্ছে.... ভাই, আমি গত বছরও ঘুরে আসলাম দেশ থেকে। আর এসব কোর্ট কাচারীর দিন চলে গেছে। আর যদি সে নিজে কেস করতে চায়। করুক। এটা কি আমার কাছে নতুন??

এসব থ্রেট দিয়ে উনি কি মনে করছে আমার কিছু হবে? জার্মানির এসাইলামের কথাটাও যে কথ খেলো, শিশুতোষ এখন....

আর এই যে এত কথা অথচ আমার যে ছোট প্রশ্ন আরবরা কি করেছে যা তাদের ধর্ম আমরা এনেছি এবং তাদের দেশে গিয়ে টাকা দিয়ে আসি? সিম্পল কোয়েশ্চেন। এত কথা থ্রেট কি অর্থহীন নয়?

আপনাকে অনুরোধ করছি তাকে আস জ্বালাইয়েন না কারন ভ্দ্রলোক হিতাহিত জ্ঞান হারিয়েছেন।

২২| ৩১ শে মে, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৩৯

সুপারডুপার বলেছেন:



জেনারেল থেকে সেফ হয়ে এই পোস্ট লিখেছিলেন। মাত্র ১ মাসের মধ্যেই আপনাকে আবার জেনারেল করে, যুক্তিকে এই ভাবে গলা টিপে ধরাতে খুবই ব্যাথিত হলাম। তিতা সত্যকে সত্যিই ধর্মকানা ও দলকানারা ভয় পায়।

যুক্তিকে গলা টিপে ধরার মানে কী ! আপনি দীর্ঘদিন ব্লগে একটিভ আছেন, আপনি আমার চেয়ে বেশি ভালো জানেন।

৩১ শে মে, ২০২০ রাত ১১:১০

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: দেশের মানুষ ফলাফল তো হাতে নাতে পাচ্ছে। তাই না?? যদিও মনে পড়ছে কমেন্টে এমন কি লিখেছিলাম। মেটালক্সাইডকে বুয়েটের শিবির বলেছিলাম কি এই কমেন্টে? মনে তো হয় না। পোস্ট লেখকের সাথে কথা হয়েছিলো ইসলামের সম্রাজ্যবাদ আমেরিকান সম্রাজ্যবাদের থেকেও ভয়ঙ্কর রকম খারাপ আর ডলার দিয়ে আমেরিকারে যে ঘায়েল করার চিন্তা সেটা যে আসলে শিশুতোষ সেটা নিয়ে।

ঠিক মনে করতে পারছি না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.