নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ঈশ্বর পটল তুলছে - নীৎসে/নীশে/নিৎচা

উদাসী স্বপ্ন

রক্তের নেশা খুব খারাপ জিনিস, রক্তের পাপ ছাড়ে না কাউকে, এমনকি অনাগত শিশুর রক্তের হিসাবও দিতে হয় এক সময়। গালাগাল,থ্রেট বা রিদ্দা করতে চাইলে এখানে যোগাযোগ করতে পারেন: [email protected]

উদাসী স্বপ্ন › বিস্তারিত পোস্টঃ

ডুকতিগ পইক্যা

২১ শে মে, ২০২০ রাত ৩:২০


১)

ইয়েল ইউনিভার্সিটির কয়েকজন গবেষক কসাই খানা থেকে ৩২টা শুয়োরের কাটা মাথা বিনে পয়সাতেই নিয়ে আসলো ল্যাবে।কসাই এগুলো ছয় ঘন্টা আগে কেটে গোস্ত ততক্ষনে বিক্রি করে ফেলেছে। মাথাগুলো ফেলেই তো দিবে, কিন্তু এত ভালো ইউনিভার্সিটির গবেষক যখন আব্দার করে তখন আর কি সে ফেলতে পারে। গবেষক সেই মাথাগুলোকে এনে তাতে অক্সিজেন ও প্লাটিলেট সমৃদ্ধ রক্ত ইনফিউজ করা শুরু করে। ব্রেনের কোষ কিছুক্ষন পরেই সতেজ হওয়া শুরু করে। কোষগুলো অক্সিজেন গ্রহন করছে এবং স্বাভাবিক ছন্দে ফিরে আসছে। যদিও কিছু অংশ তখনও নিস্তেজ ছিলো, গবেষক সাহেব এ্যানোড ক্যাথোড দিয়ে দিলো শক! লে কাদিরা! সেগুলোও কাজ করা শুরু করলো। এখন আপনারা যদি মনে করেন শুয়োরের মাথাগুলো চোখ খুলে পিট পিট করে তাকিয়ে কান দুলিয়ে গান গাওয়া শুরু করছে সেটা ভুল। তবে ব্যাসিক ফাংশন শুরু করা মানে তার সাবকনশাস মাইন্ড বা চেতনা, যেটাই বলি, সেটা চালু হয়েছিলো। এবং সর্বোমোট ৩৬ ঘন্টা সেগুলোকে সজীব রাখার পর বন্ধ করে দেয়া হয়।

২)

বৈরাগ্যবাদ অনুসারে আপনি নীতি নৈতিকতার বাইরে কিছু করবেন না। আপনি একদিন মারা যাবেন, এটা যেমন সত্য তেমনি সত্য যতদিন বেচে থাকবেন আপনার জীবনে দুঃখ হাসি কান্না থাকবেই। হ্যালেনেস্টিক সময়ের রাজা অরেলিয়াস বিশ্বাস করতেন আপনি যদি ঈশ্বর বিশ্বাসী না হয়েও সৎ এবং নীতি নৈতিকতার মধ্যে জীবন পার করে দেন, তাতেও সমস্যা নাই।

অনেক জঙ্গি হুজুর অবশ্য ওয়াজে একটা দারুন চুটকি বলে শ্রোতাদের মুগ্ধ করতে সেটা হলো আপনি যদি বিশ্বাসী হয়ে মারা যান তাহলে মৃত্যুর পর ঈশ্বর না দেখেন কোনো ক্ষতি নেই। আর যদি থাকে তাহলে নগদে জান্নাতুল ফেরদৌস সাথে বেশ কিছু গেলমান (হুরের কথা উল্লেখ করলাম কারন টাদের সনদ হাসান)। আর যদি অবিশ্বাসী অবস্থায় মৃত্যুবরন করে ঈশ্বরের সামনে গিয়ে দেখেন উনি গুংনীড় হাতে নিয়ে দাড়িয়ে আছে, তাহলেই সেরেছে। এটাকে প্যাসকেলের ধাধা বলা হয়। তবে প্যাসকেল আমাদের আলোচনার মোটিভ না। এত বিশাল প্যাক প্যাক করার ইচ্ছেও নাই। বরংচ আমি সেই পুরোনো ধ্যান ধারনার অরেলিয়াসের কথাই বলবো যাকে বলা হতো হ্যালেনিস্টিক পিরিয়ডের শ্রেষ্ঠ সম্রাট। তিনি নিজেকে এতটাই যুক্তি ও নীতিবোধে আবদ্ধ করেছিলেন যে একসময় নিজেকে উদ্দেশ্য করে আস্ত বই লেখেন। সেখানে উল্লেখ করেন আমি কিসে বিশ্বাস করি বা কোন ধর্মের অনুসারী সেটা মূখ্য নয়। আমি যদি সৎ কাজ করে মারা যাই, আমার বিশ্বাস না থাকলেও ঈশ্বর আমাকে ভালোবাসবেন। কারন ঈশ্বর এতটা নিষ্ঠুর, অবিবেচক নন। তিনি জোর দিয়েছিলেন এমন কাজ করতে যার মধ্যে আনন্দ পাওয়া যায় তাও সীমার মধ্যে, এবং সবসময় মানুষের জন্য যা ভালো হবে সেটা করা উচিত।

প্রশ্ন আসতে পারে এই যে নীতি নৈতিকতা ভালো মন্দ কে নির্ধারন করবে। ধর্ম না দর্শন? আবার ধর্ম ভেদে নীতি নৈতিকতার পার্থক্য দেখা যায়। আর নীতি নৈতিকতার উদ্ভবই বা কোথা থেকে? এর দায়বদ্ধতা কার প্রতি।

এগুলো খুব মৌলিক প্রশ্ন। দায়বদ্ধতা যদি নিজের সত্বার কাছে হয় তাহলে সেই সত্বাটা কোথায়? আমাদের দেহে? অবশ্যই। কারন আমার দেহ বিনে সত্বা যেন আলু ছাড়া সমুচা (নাহ!উদাহরন টা যুতসই হলো না, টক ছাড়া ফুচকা...ইয়াপ, এটাই যুতসই)। এবং আমাদের চিন্তা চেতনার বড় একটা অংশ বিশ্বাস দ্বারা পরিচালিত। তাহলে দেখা যাচ্ছে নীতি নৈতিকতা, সত্বা, বিশ্বাস, সত্য এগুলো বেশ নিবিড়ভাবে সম্পর্কযুক্ত।

তার আগে একটা উদাহরন দেই। দেখা গেলো রাস্তা দিয়ে এক সুন্দরী হেটে যাচ্ছে। চুলগুলো আকাশে উড়ছে। স্লিম ফিগার, কামিজের নীল সিল্কি কাপড়ে বোঝা যায় চামড়ার হলুদাভ সাদাটে রং। চোখে মুখে হাসি একবার কারো চোখে পড়লে হা হয়ে গিলতে হয় তার সৌন্দর্য। বলতে পারেন অসাম। এমন সময় বিপরীত দিক থেকে হোন্ডায় চড়ে দুজন যুবক তাকে পাশ কাটানোর সময় বোতল ভর্তি এসিড ছুড়ে মারলো এবং এসিডের বোতল পুরোটা খালি করে সেটা তার মুখেই ছুড়ে মারলো। অমনি কাচ ভেঙ্গে মেয়েটার মাথায় ঢুকে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লো। কি বিভৎস!

ঘটনার এই বর্ননা সবার কাছে একরকম হবে না। যে ভিক্টিম সে বেচে নেই আর যদি বেচেই থাকতো তার বর্ননা এরকম হতো না। হুট করে কিভাবে কিযেন এসে মুখে পড়লো আর শরীরে জ্বলুনি শুরু হলো। অমনি কিছু একটা মুখে আঘাত লাগায় জ্ঞান হারালাম।

রাস্তার পাশে দাড়িয়ে থাকা মোল্লা বলবে খুল্লাম খুল্লা বেপর্দা মেয়ে মানুষ রাস্তায় ঘুরবে, ঠিক শাস্তি হইছে। দুটো ছেলে এসে মুখে কি যেন মারলো ব্যাস রুপ যৌবন গেলো কই। দুই দিনেরই দুনিয়া।

একটি শিশুকে জিজ্ঞেস করলে বলবে একটা আপু হেটে যাচ্ছিলো অমনি দুটো ছেলে এসে পানি মারলো তারপর কাচের বোতলটা মুখে মারতেই রক্ত বেরুলো।

আবার অফিসে যাওয়া কোনো যুবকের ভাষায় হঠাৎ একটা চিৎকার শুনেই দেখি মেয়েটিকে দুটো ছেলে আক্রমন করলো। তারপর তো রক্তারক্তি।

এলাকার মুরুব্বিকে জিজ্ঞেস করলে উত্তর পাবেন এলাকাতে বখাটেদের পরিমান বেড়ে গেছে। ঐ এসিডের দোকান খোলার সময়ই বুঝতে পেরেছি এমন কিছু হবে। আমি আগে থেকেই এলাকার মেয়েদের সাবধান করতাম, কে শোনে কার কথা। হলোও তাই। এসিড মেরে শেষ করে দিলো। দেশটা রসাতলে

এখানে ঘটনার মৌলিক পরিনতি একই থাকলেও একেকজনের বর্ননা একেকরকম এবং এগুলোর মধ্যে কিছু থাকে একটু প্রভাবান্বিত, একটু ক্ষোভ, একটু ক্ষেদ, একটু বিস্ময়ের মিশেল।

পরমসত্য এদের মুখে খুজতে গেলে একটু মুস্কিল হবে। দর্শনের ভাষায় পরম সত্য হলো সেই ঘটনা বা কথন যেটা সময় কাল পাত্র ভেদে অপরিবর্তনীয়। ইউক্লিডের জ্যামিতি যদি মনে থাকে তাহলে দেখবেন শুরু করার আগে বিন্দু, রেখা ও বৃত্তের রেফারেন্স টেনে আনা হয়েছে। এমনকি একটু এগুলে ত্রিভুজের যে প্রমানটা আসে সেটাও পরমসত্য। কারন আপনি মহাবিশ্বে যেখানেই যান দুটো বিন্দুর যোগফল সরলরেখা হবে। বাকালে নিশ্চয়ই তার চূড়া থাকবে এবং সেটা আর সরলরেখা থাকবে না। বাস্তবজীবনে সেটা পাওয়া যায় না।

তাহলে মানুষ যে এতকিছু বিশ্বাস করে এটা কি? প্লেটোর বই থেকে জানতে পারি সক্রেটিস মারা গেছে তার সমর্থনযোগ্য পরম বিশ্বাসের কারনে। যদিও আমি ব্যাক্তিগতভাবে মনে করি পাগলের ঘাড়ত্যাড়ামিতে অতিষ্ঠ হইয়া তখনকার লোকজন বাটাম দিছে, ভালো হইছে।

সমর্থযোগ্য পরম বিশ্বাসটা কি?

ঘটনা ১:মজনু ভাত খায়
ঘটনা ২: আমি ঘটনা ১ কে বিশ্বাস করি
ঘটনা ৩: আমার নিজের ওপর আত্মবিশ্বাস আছে বলেই আমি ঘটনা ২ এর ওপর বিশ্বাস করি।

কথা হলো আমাকে যদি কাল পাগল হিসেবে ঘোষনা করা হয় বা চুরির ঘটনায় ফেসে যাই তাহলে উপরের ঘটনা ১ মিথ্যা হয়ে যাবে। কারন এই যে বিশ্বাস করার মূল চালিকাশক্তি এখানেই সমস্যা দেখা দিয়েছে।

আমি আগের পোস্টে দেখিয়েছিলাম রেনে দেকার্ত "এরগো কগিটো সামের" মাধ্যমে নিজের সত্বাকে কিভাবে প্রমান করেছেন এবং তারই ধারাবাহিকতায় তিনি প্রমান করলেন ঈশ্বর আছেন। সমস্যা হলো তার কয়েক দশক পর আইরিশ দার্শনিক হিউম প্রমান করে দিলেন আপনার যে সত্বাটা আছে সেটা কখনোই নির্ভুল নয়। তার মানে আপনি আসলে আছেন তার চেয়ে বড় কথা আপনি নিজের সম্পর্কে কতটুকু নিশ্চিত। যদি তাই হয় তাহলে এটাও প্রমান করা যায় ঈশ্বর নেই।

হিউমের এই ঘটনার পর দর্শন আবার সেই পুরোনো জায়গায় ফিরে আসলো। যদি বিশ্বাসটাকে এভাবে প্রশ্নবিদ্ধ করি তাহলে এটা কি? তখন ভ্যান ডার ওয়ালশ নামের এক গনিতবিদের ডায়াগ্রাম দিয়ে অয়েলার সহ অনেকেই একটা ব্যাখ্যা দিলেন সেটা হলো সত্য ও বিশ্বাসের পারস্পরিক মিথস্ক্রিয়ার কিছু অংশ জ্ঞান আর কিছু অংশ প্রায় পুরোপুরি অসমর্থযোগ্য পরম বিশ্বাস।



প্রায় পুরোপুরি অসমর্থযোগ্য পরম বিশ্বাস শুনতে একটু হেয়ালীপূর্ন মনে হলেও সোজা বাংলায় বলি সত্য মিথ্যার মিশেলে আপাতঃ একটা ধারনা। যদি আমরা এটা বুঝতে না পারি তাহলেও চলবে কিন্তু এতটুকু আলোচনায় আমরা এটা তো বুঝলাম যে পরম সত্যের মধ্যে যখনই বিশ্বাস জিনিসটা ঢুকে যায় তখনই সেটা আর পরমসত্য থাকে না।

তাহলে নীতি নৈতিকতা সরাসরি বিশ্বাসের সাথে সম্পর্কযুক্ত কারন কোনটা ভালো কোনটা মন্দ এটা ধারন করতে হলে আপনাকে বিশ্বাসের জায়গায় নিতে হবে। নীতি নৈতিকতার অর্থ দার্শনিক মতেও নড়েবড়ে হয়ে গেলো। এখন কি হবে? সেক্ষেত্রে নীশে একটা প্রস্তাবনা দিলেন। প্রতিটি মানুষের আত্মবিশ্বাসের মাধ্যমে নিজের জীবন অতিবাহিত করার অধিকার আছে এবং সেটার জন্য যে সুখের প্রয়োজন সেটা নির্ধারন করা যায় সে কোন কাজে সুখ/আনন্দ পান। কিন্তু সে কাজগুলো যেনো অন্যের ক্ষতির কারন না হয়। এক্ষেত্রে প্রশ্ন আসতে পারে যে কাজটা আমার জন্য ভালো সে কাজটা অন্যের ক্ষতি বয়ে আনতে পারে। তার মানে যিনি ভালো কাজ করেন তিনি খারাপ কাজটিও করছেন। সেক্ষেত্রে সমাজের বিচারপতি তারা হয়ে যাবেন সবচে ভয়ংকর কারন তারা একই সাথে ভালো আবার মন্দ এবং তারা ইচ্ছে বা অনিচ্ছে সত্বেও একটা ভয়াবহ সিদ্ধান্ত নিয়ে নেবেন। তখন আপনাকে বেছে নিতে হবে কোন কাজগুলো পরম কল্যানকর এবং যেটা আপনি আমি যেই করি সেটা সর্বক্ষেত্রে কল্যানকর হবেই। এরকম সম্মিলিত কল্যানকর কাজগুলোকে রেফারেন্স ধরে একটা গোষ্ঠির মানদন্ড/ন্যায়দন্ড নির্ধারন করা গেলে গড়ে তোলা যাবে আদর্শ একটা ব্যাবস্থা। এখন আপনার মনে আরো প্রশ্ন জাগতে পারে এই মানদন্ড বা স্কেলিং কিভাবে নির্ধারন করবো।

রেনেসার পর থেকেই বৈজ্ঞানিক ফ্রেমওয়ার্কগুলো এভাবেই তৈরী করা হয়েছে। অভিজ্ঞতালব্ধ জ্ঞানই হলো বিজ্ঞান এবং সেক্ষেত্রে যিনি বছরের পর বছর আবহাওয়া জমির মাটি এবং বাজার পরিস্থিতি দেখে ফসল ফলানোর সিদ্ধান্ত নেন এবং তার পরিচর্যা করেন সেই কৃষকও একজন বিজ্ঞানী। তাকে যদি একটা ব্যারোমিটার দিয়ে শিখিয়ে দেয়া হয় কিভাবে প্রেসার দেখে বৃষ্টির পূর্বাভাস দেয়া যায় তাহলে সে বলে দিতে পারবে আগামী দিনে কি করতে হবে। এবং আরেকটু গানিতিক জ্ঞান ও সুপার কম্পিউটারে বসিয়ে দিলে পুরাই অসাম। সে আগামি ছয় মাসের পূর্বাভাস নিয়ে নিশ্চিন্তে একটা ফ্লোচার্ট করবে। বিজ্ঞানের এই অভিজ্ঞতালব্ধ জ্ঞান দিয়ে শুধু অতিতের বর্ননা এবং ব্যাখ্যা ভিন্ন আঙ্গিকে দেখার সাথে সাথে ভবিষ্যতে কি হতে পারে সে ব্যাপারেও বেশ নিখুত একটা ধারনা পেতে পারি।

তার মানে এখানে দেখা যাচ্ছে বিশ্বাসের অবস্থানটা পরিবর্তিত হয়ে ফলাফল সমূহ সত্যের দিকে বেশী ধাবিত হচ্ছে যদিও তা পরম নয়।

সেক্ষেত্রে আমরা এটা কি বলতে পারি না বিশ্বাস নিজেও একটা মরিচিকা এবং এর ওপর ভিত্তি করে কেউ যদি অন্ধবিশ্বাসী হয় তাহলে সেটা কি পরিমান ভয়াবহ পরিনাম ডেকে আনবে?

৩.

ন্যানোটেকনোলজী যেভাবে এগুচ্ছে এবং এআই যেভাবে সব কিছু দখল করে নিচ্ছে তাহলে দেখা গেলো একদিন আমি এমন মেশিন বানালাম যে কিনা আমার মতোই ভাবতে পারে, নিজে নিজে সিদ্ধান্ত নিতে পারে এবং নিজের বংশবৃদ্ধি করতে পারে। তাহলে যন্ত্রটি নষ্ট হয়ে গেলে তার আত্মা কি ঘুরে ঘুরে বেড়াবে? কখনোই না।

বায়োলজির ভাষায় সিন্থেটিক লাইফ অথবা কগনিটিভ সেন্স প্রখর করে আমার ক্লোন রোবট বানালাম। সেটা অবিকল আমার কাজটাই করছে, আমার মতোই স্বপ্ন দেখছে, মেয়ে পটাচ্ছে। হঠাৎ কোনো কারনে রোবটটি মারা গেলো। এখন তার আত্মা কি আকাশে ঘুরে ঘুরে বেড়াবে?

অবশ্যই না, কারন সে যন্ত্রের তৈরী। আচ্ছা আমার রোবট টিকে যদি আমি সিন্থেটিক বায়োলজীর কল্যানে রক্তে মাংসে ইনভিট্রো করি তাহলে? তাহলে সে মারা গেলে তার আত্মা কি উড়ে উড়ে বেড়াবে?

৪.

পর্তুগীজ একজন দার্শনিক ছিলেন নাম ইউরিয়েল দি কস্তা। ভদ্রলোক ক্যাথোলিক হলেও দর্শনের বই পড়ে বুঝতে পারলেন আত্মা বলে কিছু নেই। এ নিয়ে বেশ কিছু প্রবন্ধ লিখলেন। তখনকার সময়ে চার্চের প্রভাব বেশী থাকায় পর্তুগাল বেশিদিন থাকতে পারলেন। পাড়ি জমালেন নেদারলয়ান্ডে এবং একটা চশমার দোকনে কাজ শুরু করলেন। তখন তিনি জানলেন ইহুদীদের রাব্বিনিক স্যাক্ট তার এই চিন্তাধারায় বিশ্বাসী। তারা মনে করে আমরা সবাই জড় পদার্থের তৈরী এবং মরে গেলে আমাদের এখানেই সমাপ্তি হবে এবং আত্বারও নাশ হবে। যদিও এই স্যাক্টের দার্শন একটু জটিল কিন্তু এর মধ্যে কিছু অসামন্জস্য থাকায় কিছুদিন পর এটিও ত্যাগ করলেন।

৫.

ওপরে চারটা প্রবন্ধের পয়েন্ট হলো পরম সত্য আমরা যদি নিজের মতো করে পর্যবেক্ষন এবং পর্যালোচনা করতে চাই তাহলে ভুল হবে। এর জন্য দরকার এমন যুক্তি যেটার মানদন্ড সুনির্দিষ্ট কিছু দ্বারা পরিমাপযোগ্য। এবং তার ফলাফল যেনো মানব সমাজের কাজে লাগে সেক্ষেত্রে বিজ্ঞান বা অভিজ্ঞতালব্ধ জ্ঞানের সমন্বয় প্রয়োজন। এখানে দার্শনিকদের ভৌগলিক অবস্থা, তাদের জীবনধারনের ইতিহাস, কই হাগলো, কই পাদলো এগুলো অমূলক। আমাদের বুঝতে হবে প্রতিটা সত্যের পেছনে লুকিয়ে থাকা অন্তর্নিহিত বানী। হাজার হাজার বছর ধরে চলে আসা বিশ্বাস প্রয়োজন নয় যে আমাদেরকে তা অনুসরন করতে হবে। আমাদের দরকার হলো পরমসত্যের ব্যাখ্যা সঠিক ভাবে তুলে ধরা, তাহলেই দ্বন্ধ থেকে দূর থাকতে পারবো।


আর তখনি আপনার মাথায় হাত বুলিয়ে বলবে,"ডুগতিগ পইক্কা" মানে বুদ্ধিমান ছোকড়া!

মন্তব্য ৫৮ টি রেটিং +৮/-০

মন্তব্য (৫৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে মে, ২০২০ ভোর ৪:০৫

সুপারডুপার বলেছেন:



উদাসী স্বপ্ন ভাই ,

দর্শন নিয়ে মনে হয় একটু বেশিই সময় দিচ্ছেন এখন। শবে কদরের রাতে পোস্টের জন্য ধন্যবাদ। হাজার মাসের সওয়াব তো কামাইয়া লইলেন। মারহাবা !!!

ম্যাক্স প্লাঙ্কের , 'Science cannot solve the ultimate mystery of nature. And that is because, in the last analysis, we ourselves are a part of the mystery that we are trying to solve' - এই কথা নিয়ে আপনি কি মনে করেন ?

নিরন্তর শুভকামনা .. ভালো থাকবেন সবসময়।

২১ শে মে, ২০২০ ভোর ৫:২২

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: দর্শন আমার সর্বাধিক অপছন্দের বিষয়। কারন এখানে আপনি কোনো সিদ্ধান্তে আসতে পারবেন না, আপনার সুনিশ্চিত ফলাফল পাবার সম্ভাবনা কমে যায়। দর্শন পড়া শুরু করেছিলো কি জন্য সুস্পস্টভাবে বলতে পারছি না তবে এটা আমার ক্রোধ সমপবরনে স হায়তা করে। সেটা কিভাবে?

ধরুন কেউ এমন কথা বললো যেটা আসলে কোনো যুক্তির মধ্যে পড়ে না, বড্ড শিশুতোষ অর্থহীন। তখন মেজাজ সম্বরন করা মুস্কিল হয়ে যায় কারন আমি এরকম অর্থহীন কথার বিপরীতে কি বলা যেতে তা মাথায় আসতো না। দর্শন পড়ার পর এটা কমেছে। এখন কেউ যদি খেলতে চায়, তাহলে খেলো। কে খেলছে বা কে সিরিয়াস এবং লজিক্যাল ব্যাপারে আলোচনা করার সক্ষমতা সেটাতেও উন্নতি হয়েছে।

আমি এই পোস্ট টা লিখেছি ফেসবুকের একটা গ্রুপে বিশ্বাস অবিশ্বাস নিয়ে ডিসকোর্স করে পোস্ট দিয়েছিলো। আমি সেখানে শুধু প্রশ্ন রেখে আসতাম। প্রথম প্রথম মানুষ জন উত্তর না দিতে পেরে রেগে কাই হয়ে যেটো। দেখা গেলো গ্রপের অনেকে ব্যান খেলো আমাকে ঝাড়তে গিয়ে। এরপর দেখে গেলো আমি আলোচনা শুরু করলে অমনি বলে বসা শুরু করলে গরু ঘাস খেলেও আমি সেখানে বিজ্ঞান খুজি। আমি সেটা শুনে একটু ভাবলাম। বিজ্ঞান আগে খুজতাম, এখন আমি দর্শনের দৃষ্টিতেও ভাবি। এবং দুটো অনুশীলন করার ফেলে একটা জিনিস ধরতে পারি কেন দর্শনে সিদ্ধান্ত আসার সক্ষমতা কমায়। এটা ইন্টারেস্টিং লাগছে আমার কাছে।

শবে কদরেের রাতটা একটু নস্টালজিক। বাবার সাথে কথা বললাম। মনে পড়ে সারা মাস কোরানের অনেকাংশে পড়ে রাখতাম যাতে করে শবে বরাতের দিন খতম করতে পারতাম। মা সেজন্য চালের রুটি গরুর গোস্ত পায়েস কেক আর আমার প্রিয় জর্দা করতো। যদিও আমি কোরান খতম করে খেয়ে দেয়ে মসজিদ চলে যেতাম। আসতাম রাট দুটোয়। একটু ঘুম দিয়ে বাবা ডাক দিলে সেহরী করতাম। সবচে মজার ব্যাপার গ্যাস্ট্রিকের অষুধ দুজনে যখন ভাগ করে খেতাম তখন আম্মা বলতো এতো গ্যাসের ওষুধ খাওয়া ঠিক না।

ক্লাশ এইটের পর যখন ইসলাম ত্যাগ করলাম তখন কোরান পড়া ছেরে দিলেও মা প্রতি ২৭ রোজায় কিছু না কিছু করতেন। গত বছর উনি মারা যান। বছরের কিছু কিছু রাত আসলেই নস্টালজিক।

ম্যাক্সপ্লাংক প্রচন্ড ধার্মিক ছিলো। তার ব্লাক বডি রেডিয়েশনের মাধ্যমে কোয়ান্টাম ফিজিক্সের যে গোড়াপত্তন এবং প'লাংকের যে কনস্ট্যান্ট আবিষ্কার আমি বলবো এটা এখনও ওয়ান অফ মাই ফেভারিত থিওরি। একটা মানুষ কতটা প্রিসাইস হলে কোয়ান্টা স্কেলে ফ্রিকোয়েন্সির পিক কাউন্ট এবং তার এনার্জি স্ক্যাটারিং এর সাথে সম্পর্ক খুজে পান। তার এই ধ্রুবকটাই প্রমান করে যে সে মহাবিশ্বের ক্ষুদ্রাতি ক্ষুদ্রের জন্য একটা স্কেলের গোড়াপত্তন করেন। এই স্কেলের পর আর কোনো ফিজিক্স কাজ করে না। হয়তো এই কারনেই তিনি আমাদের যে সত্বা বা অস্তিত্ব তার অবস্থানের অনুমান করেছেন। কিন্তু সেটাও কর্পূরের মতো ভেঙ্গে যায় যখন আইনস্টাইন সহ তার গ্রুপের সবাই বুঝতে পারে ভাগ্য বলতে কিছু নাই। কোয়ান্টাম ফিজিক্স মানেই আনডিটারমিনিস্টিক প্রোবাবিলিটি এবং এভারেট ইন্টারপ্রিটেশন সেটা হয়তো তিনি দেখে যেতে বা কাজ করে যেটে পারেননি। আইনস্টাইন দেখে যেতে পেরেছিলো বলেই মৃত্যুপূর্বে গুটিকিনকে বলে গিয়েছিলো ইহুদী হলো কুসংকস্কার আর খ্রিস্টধর্ম হলো শিশুতোষ রূপকথা।

আপনাকেও ধন্যবাদ ও শুভকামনা

২| ২১ শে মে, ২০২০ ভোর ৪:১০

স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: "ডুগতিগ পইক্কা"
.....................................................................
হ্যাঁ হ্যাঁ , আপনি বুদ্ধিমান ছোকড়া! বটে !!!

২১ শে মে, ২০২০ ভোর ৫:২৩

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: সুইডিশ নাকি? স্টক হোম না ইয়তোবোরীর?

৩| ২১ শে মে, ২০২০ ভোর ৫:৩৫

নেওয়াজ আলি বলেছেন: ভালো লাগলো।

২১ শে মে, ২০২০ দুপুর ১:৪৭

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: আপনারেও ধনে পাতা

৪| ২১ শে মে, ২০২০ সকাল ৭:২৭

সুপারডুপার বলেছেন:


উদাসী স্বপ্ন ভাই ,

আপনার মায়ের মৃত্যুর কথা শুনে অনেক ব্যথিত হলাম। আপনার মায়ের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা। আশা করি আপনি ব্যথাগুলো সামলে উঠে মা'র কথা স্বরণ করে ইতিবাচক চিন্তাভাবনা নিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন। নস্টালজিক স্মৃতি গুলো আমাদেরকে অনেককিছু নিয়ে ভাবায়। এই ক্ষেত্রে ক্যালচারাল অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ আমি ভালোই দেখি। কারণ আমরা মানুষ, আর মানুষ সামাজিক জীব। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে গীর্জা ও সিনাগগ যেমন ভিন্ন মতের মানুষকে তাদের সাথে পার্টিসিপেট করতে দেয়, একটা মসজিদ ঠিক তা দেয় না। অন্যভাবে বললে খ্রিস্টান ইহুদিরা যেভাবে ভিন্ন মতের মানুষকে মেনে নিতে পারে, ম্যাসোলম্যানরা তা পারে না। এমনকি ১৩টি ম্যাসোলম্যানদের দেশে এর শাস্তি মৃত্যুদণ্ড। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ম্যাসোলম্যানদের দ্বারা সম্ভব না।

আপনি ফিজিক্স নিয়ে অনেক কিছু জানেন। দর্শনে চোখ বোলাচ্ছেন, এটা খুবই ভালো। মৌলিক গবেষণায় কাজ দিবে। আমিও টুকটাক আপনার কাছে থেকে কিছু বিষয় জেনে নিতে পারবো। তবে, আমার প্রশ্নের উত্তরটা এখনো পাই নি। ম্যাক্স প্লাঙ্কের এই ধরণের চিন্তাভাবনা আপনার দৃষ্টিতে কতটুকু লজিক্যাল?

আত্নার ইসলামি তরিকত (উইকি লিংক), লতিফা (উইকি লিংক) সম্পর্কে আপনি কি মনে করেন? বা এই ব্যাপারে আপনি কি কোনো পোস্ট দিয়েছিলেন?

যতটুকু জানি, আপনার ইসলামফোবিয়া আছে। আপনি সিলভা মেথড / কোয়ান্টাম মেথড টাইপের যেকোনো কোর্স করে দেখতে পারেন ফোবিয়া কেটে উঠতে পারেন কি না। কেউ যদি ইসলামফোবিয়া এনে নিজের ক্ষতি করে ফেলে, তাহলে আল্টিমেট শিশুকামী জংলি জঙ্গি জানোয়াররাই জিতে গেলো, সে হেরে গেলো। তাই সবসময় ভালো থাকবেন।

২১ শে মে, ২০২০ দুপুর ২:২২

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: চতুর্দশ বা পঞ্চদশ শতাব্দি বা তারও আগে খ্রিস্টান চার্চ এমন ছিলো না। রাস্ট্র বা রাজা না চাইলেও তাকে প্রভাবিত ও বাধ্য বা ক্ষেত্রবিশেষে সে নিজেই ফাসিতে ঝুলাতো বা কল্লা কাটতো। রেনেসাঁর কিছু আগে বিশেষ করে গ্যালিলিও ও ডাইনী আখ্যা দিয়ে গনহত্যার পর চার্চের প্রভাব কমানো শুরু হয় আর এখন তো এমন অবস্থা যে বাইবেলের নিয়মও বদলে ফেলছে যেমন সমকামীদের বিয়ে। ইহুদী ধর্ম বলতে ইসরাইল এবং অন্যান্য দেশে কিছু রাব্বী টাইপ লোক আছে তাদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ। এদের দেখলেই বুঝবেন যে এরা বাসায় বিদ্যুৎ সংযোগ নেয় না, নিলেও তাদের নারী কোনো মেকআপ করে না, আপনার সাথে কথা বলবে না এবং স্ত্রীদের গরুর মতো পেটায়। আর বাকি যারা ৯৫ শতাংশ ইহুদী তার ধর্মের চাইতে জাতীয়তাবাদে বুঁদ হয়ে আছে। এটা জাস্টিফাইড এ কারনে যে আমরা বাংলাদেশীরাও জাতীয়তাবাদে আসক্ত। মুসলিমবাদ থেকে জাতীয়তাবাদ অনেক কম ভয়ঙ্কর কিন্তু মনস্তাত্বিক ভাবে একটু ভয়ঙ্কর যেমন হোয়াইট সুপ্রেমিস্ট। এগুলোর মধ্যে ইসলামবাদ সবচে বেশী উগ্র এক্ষেত্রে আপনি ঠিক কারন একজন শিশুকামী ডাকাত এই বাদের জন্ম দেয় তাহলে সেখানে ভালো কিছু থাকবে না।

সুফিইজম একটা ইন্টারেস্টিং ফ্রেমওয়ার্ক। যখন এটা মার্কেটে আসা শুরু করলো তখন এরা চাইলেও এটা দর্শন বা বিজ্ঞানের মতো ইনস্টিটিউশনালাইজ করতে পারতো। কিন্তু তারা এটা না করে স্বতন্ত্র মাজহাব হয়ে নতুন ধারা করতে চায়। আহমদিয়াদের সাথে এদের পার্থক্য হলো ওরা বিজ্ঞান মুখী কিন্তু সুফিইজম দর্শন মুখী। যেমন একটা ব্যাপার আমার ভালো লাগে সেটা হলো হাকিকার জন্য মুর্শিদকে ঘিরে মুরিদরা মারিফা করে। এটা এজন্য যে ঈশ্বর শুধু কাবাতেই নয় সর্বক্ষেত্রে। সেদিন কে যেনো বললো আল্লাহ যে সর্বক্ষেত্রে এটা নাকি কোরানে বলা নাই। কোরানে বলা আছে আল্লাহ আছে আরশে কিন্তু তার ক্ষমতার বলয় বা রাজত্ব সর্বক্ষেত্রে। অনেকটা রাজা টাইপ।

আমার কাছে মনে হয় কোরান লেখার সময় মোহাম্মদের ধারনা ছিলো পৃথিবী সমতল তাই আরশের বসাইছে কাবার ওপর আর তার দিকে মুখ করে নামাজ পড়তে বলছে। কাহিনী হলো গোলাকার জিনিস যেদিকেই মুখ করেন সেখানে সব দিকেই কাবা। তার ওপর দুনিয়া ঘোরে তাইলে আল্লাহর আরশ তো ঘুরনের কথা। সুফিরা হয়তো তখন জানতো।

তবে সুফিবাদে ভুল আছে যে ভুলটা ইসলামও করেছে সেটা হলো কলব রূহ ব্যাক্তিত্ব হাসি আনন্দ সব কিছুই মানুষের বুকে। লতিফার বিভিন্ন সাব ক্লাস এটাই নির্দেশ করে। কিন্তু মানুষের এসব কিছুর নিয়ন্ত্রন তার সাবকনশাস মাইন্ড যেটা কিনা ব্রেন আর মেরুদন্ডের কিছু নার্ভ সালে। এখানে দুইটাই ফেল মারছে।
আরেকটা হাস্যকর ব্যাপার হলো লিনিয়েজ ও বাইয়াত প্রদান। তারা প্রায় সবাই আলীর ব্লাড লাইন দেখে। একজন মনে হয় দেখে বক্করের পুলা মুহাম্মদের ব্লা লাইন। চুইটকা ফুইটকা উসমান-সাফিয়া আর তদপরবর্তী অন্যান্য খলিফা। এখন কথা হইলো আলেমের পোলা জালেম হইতে পারে তাইলে আপনে কেমনে তারে মুর্শিদ বানান! আবার এসব মু্রিশদ বানানোর কাহিনীতেও দুর্নীতির চান্স থাকে কারন সাক্ষী থাকা জরুরী না।

গান বাজনা তাদের সুফি চর্চার অন্যতম অনুষঙ্গ। সেটা যাই হোক তাদের ফ্রেমওয়ার্কের মধ্যে ইশরাক দর্শন বেশ শক্তিশালী ছিলো। এই যে মাসলম্যানদের এত ফেড়কা, কুত্তার মতো কামড়াকামড়ি এগুলো বন্ধ করার জন্য দুটো ফ্রেমওয়ার্ক কাজ করতে পারতো তার দুটো হলো সুফি-ইশরাক আরেকটা আহমদিয়া। কিন্তু লেকিন বাট...... এসব ভুল জিনিস নিয়া ফ্যাদলা অন্য কোনো দিন পারবানি

আমি ইসলামোফোব হিসেবে গর্বিত। মেডিটেশনে আমার বিশ্বাস হয় না। কারন আমার ব্রেন বা অঙ্গের কোনো অসুখ নাই যা আছে সেটা হলো আচরন গত। যেমন আপনি জীমে গেলেন। বলা হলো স্কোয়াড মারতে। এখন আপনি জীবনে কখনো স্কোয়াড মারেননি। আপনার কাজ সারাদিন বসে থাকা বা দাঁড়িয়ে থাকে। তো প্রথম প্রথম শিরদাড়া বাকাবে যেটা ডেন্জারাস। তার ওপর হাটু আগাবে ফলে ব্যাথা পাবেন এমন পায়ের কনুইতেও ব্যাথা পাবেন। তা ঠিক করতে আপনাকে থেরাপী নিতে হবে যেটা মূলত স্ট্রেচিং। তার মানে অনুশীলনগত সমস্যার উত্তর অন্য অনুশীলন ও রেস্ট। দৈনিক ৮ ঘন্টা ঘুমের চাইতে বড় রেস্ট আর ঔষধ নাই। যেহেতু এটা একটা যুক্তিগত ব্যাপার সেহেতু এটা যদি সমস্যা হয় তাহলে এর সমাধান যুক্তি দিয়েই খুঁজতে হবে।

আমি প্রধান ধর্মগুলোকেই ঘৃনা করি কারন এই সবগুলোই বিভিন্ন ধরনের বর্বর অপরাধ করতে বাধ্য করে এবং এসব অপরাধ করে আপনাকে আরো ভালো ফিল করানোর কথা বলা হয়েছে। তার মানে আপনাকে একটা পারফেক্ট ছুপা অপরাধী বানাতে প্রভাবকের কাজ করে। ইহুদী খ্রিস্টান আগেই বললাম এগুলো এখন বিনাইনে পরিনত হয়েছে এবং তাদেরকে তাদের অনুসারীরাই শুধরে ফেলছে। সেক্ষেত্রে ইসলাম হলো ভয়ঙ্কর রকমের ধর্ম। এর অনুসারীরা বর্বর। ইসলাম ঠিক করার জন্য অনেক ফ্রেমওয়ার্ক ছিলো কিন্তু আপনি জানেন তাদের কি হাল। কালও দেখলাম এক বাউল গান গাইবার অপরাধে পুরো ভিটেমাটি সব জ্বালায় দিছে জঙ্গিরা। বিদ্যানন্দের কিশোর দাসের সাথে মুসলমানরা ধিম্মিদের সাথে যে আচরন করতো কসাই ওমরের সময়ে তার থেকে অনেক ভদ্রোচিত আচরন করেছে এবং তাতেই সবাই শিউড়ে উঠেছে। সেক্ষেত্রে আমাদের সবার দায়িত্ব হওয়া উচিত এই কযান্সার টাইপ মতবাদের প্রতি সচেতন হওয়া।

তবে সেক্ষেত্রে ভাবছি আমি এখন নীশের পথ অবলম্বন করবো।

মেডিটেশন আমার কাছে ইন্টারেস্টিং মনে হয় কিন্তু আমার এত সময় নাই। তার ওপর চুপ চাপ ধ্যান করলে বা কোনোকিছু মনে না রেখে যে বসে থাকা রিল্যাক্স করা এটা সম্ভব না এ কারনে যে সবসময় যেকোনো কিছু নিয়ে ভাবা আমার নেশা।

ধন্যবাদ

৫| ২১ শে মে, ২০২০ সকাল ৮:৫৫

আমি সাজিদ বলেছেন: আপনি যেকোন বিষয় অনেক সহজভাবে প্রেজেন্ট করতে পারেন। বেশ চিন্তায় পড়লাম লেখাটা পড়ে!

২১ শে মে, ২০২০ বিকাল ৪:২৯

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে

৬| ২১ শে মে, ২০২০ সকাল ১১:৩৮

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
আবারও পড়তে হবে।

২১ শে মে, ২০২০ বিকাল ৪:২৯

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: কেমন আছেন?

৭| ২১ শে মে, ২০২০ সকাল ১১:৪৭

শায়মা বলেছেন: ডুগতিগ পইক্কা কোন দেশী ভাষা? সুইডিশ নাকি? স্টক হোম না ইয়তোবোরীর?
ভাইয়া তুমি তো পুরাই Gen Z .......

পরম সত্য বলিয়া কিছুই নাই। নিজের মত ভাবনা...... যা আমরা অনেকেই ভাবতেই শিখি না ......

২১ শে মে, ২০২০ রাত ১০:৫০

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: হ্যা এটা সুইডিশ ভাষা। ডুকতিগ মানে ভালো পোলা। তো সেইটারে আমি বলি বুদ্ধিমান ছোকড়া। আপনে হয়তো জানেন আমার সবকিছুতেই একটু নিজের মতো করে বলার অভ্যাস।

ইয়োতোবোরি হলো গুটেনবার্গ শহর। উচ্চারন গত কারনে এর নাম ইয়তোবোরি। এখন বাংলাদেশি অনেক প্রফেশনাল একাডেমিক দক্ষিনের শহরগুলোতে থাকছে এবং উত্তরের ইন্ডাস্ট্রিলাইজেশন অপেক্ষাকৃত কম। তবে লুলিয়া সুন্ডসভ্যাল ব্যাতিক্রম।
স্বপ্নের শঙ্খচিল যেভাবে জিজ্ঞেস করলো মনে হলো উনি সুইডিশ আর তার লেখা পড়ে মনে হয় না ওখানকার ফকিন্নী বাঙ্গালী ডায়াস্পরাতে বিলং করে। ওখানকার স্থানীয় বাঙ্গালীদের সম্পর্কে আমি একটু এলার্জীতে ভুগি কারন বেশীর ভাগই মানসিক রোগী এবং ছুপা ক্রিমিনাল ও অশিক্ষিত ছোটলোক ও জঙ্গি, এবং এটা ফ্যাক্ট। ছাত্র এবং বিভিন্ন প্রফেশনের বাংলাদেশি প্রফেশনের লোকজনের সাথে ইন্টারেক্ট করে তাদের ভবিষ্যত জেনারেশন জাতে উঠছে কিন্তু এর কারনে পারিবারিক যে ভিত্তি সেটা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে এবং এটা হবারই কথা ছিলো। সেম জিনিসটা হচ্ছে ইংল্যান্ডে সিলোটি ডায়াস্পরার ক্ষেত্রে। তারচে বড় অপমানজনক ব্যাপার সুইডেনের বিভিন্ন ইউনির সোশিওলজির জার্নাল পেপারে সেটা উঠেও আসছে।

যাই হোক অনেক কথা বলে ফেললাম।

কেমন আছেন? অনেক দিন আপনার সাথে কথা হয় না। ঠিক কত বছর হবে ভুলেই গেছি

৮| ২১ শে মে, ২০২০ দুপুর ১২:২১

কালো যাদুকর বলেছেন: আমি দর্শন মোটেই বুঝি না। তবে আপনার লিখাটা পরে হালকা পাতলা বুঝলাম।

তো পরম সত্য কি ? এটা তো বললেন না। "জীবনের" পরম সত্য কি বিন্দু, বা সরলরেখার মত ডিফাইন করা সম্ভব? হয়ত না।

লিখাটা চিন্তার খোরাক দিল। ধন্যবাদ।

২১ শে মে, ২০২০ বিকাল ৪:৪৭

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: পরম সত্য হলো স্থান কাল পাত্র ভেদে যার পরিবর্তন হবে না। যেমন দুনিয়া সুর্য্যের পাশে ঘুর ঘুর করে। এখন আপনি যদি প্লুটো তে যান বা প্রক্সিমা সেন্টুরাইতে যান অথবা আজ হতে ১ লক্ষ বছর আগেও যান। ঘটনা এটাই।

আমার পোস্টের উদ্দেশ্য হলো যখনই আপনি পরম সত্যের মধ্যে সামান্য বিশ্বাস ঢোকাবেন তখনই বলা শুরু করবেন নারে ভাই দুনিয়া সমতল বা সুর্য না দুনিয়া ঘুরে পৃথিবীর চারপাশে।

একটা ঘটনা বলি মক্কার স্বনামধন্য জঙ্গি খতিব বাজ সাহেব বিশ্বাস করতেন দুনিয়া সমতল এবং পৃথিবীর চারপাশে সূর্য ঘোরে। তার ব হু কথা বার্তা এবং তাফসীর দিয়ে যত বর্ননা করছেন সবাখনে এটাই জাস্টিফাইড এবং ইসলামও সেটাই বলে।যখন সৌদীর রাজপরিবার নাসার পুরো একটা মিশনের টাকা দিয়ে নিজেদের প্রিন্স সুলতান বিন সালমান আল সাউদ রকেটে উঠে প্রথম সৌদি এস্ট্রোনাট হিসেবে মহাশূন্যে ঘুরে আসলেন, তখন সেটা নিয়ে সৌদি পরিবার জঙ্গী খতিব বাযের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয় এবং উনি দেশে ফিরে যখন বাযকে বুঝালেন যে সুর্য না পৃথিবী ঘোরে টার পাশে এবন পৃথিবী আসলেই গোল তখন বায এ বিষয়ে আর কথা বলেননি।

তার মানে দেখা যাচ্ছে পরম সত্যের সাথে সামান্য বিশ্বাস মিশলে সেটা কলূষিত হয়। অনেকটা দুধের মধ্যে একটুসখানি চনা।

এখন আমরা পরম সত্য ধরতে অক্ষম কারন বিশ্বাসি হয়ে বড় হয়ে ওঠা আমাদের জেনেটিক্যাল ব্যাপার। যদিও আমি এতে একটা পার্ট বাদ দিয়েছি সেটা হলো বিবর্তনের ধারায় নিয়েনডারথাল থেকে যখন মানুষে বিবর্তিত হই তখন আমরা একটু কম ক্ষিপ্রতর ও শক্তিশালী হয়ে যাই এবং সাথে মস্তিস্কে একটা অংশ পাই যার কারনে আমরা বিশ্বাসর হয়ে যাই ছোটবেলা থেকে। তাই আমাদের পক্ষে পরম সত্য বের করা খুব কঠিন কিন্তু অসম্ভব না। সম্ভব করতে হলে সেখানে আশ্রয় দিতে হবে অভিজ্ঞতালব্ধ জ্ঞান এবং নীশের মতো কোনোকিছু।

কেন যেনো মনে হচ্ছে আমার এই পোস্ট টা অসম্পূর্ন। শিট

৯| ২১ শে মে, ২০২০ দুপুর ১:০৬

বিপ্লব০০৭ বলেছেন: আমি কি পোস্ট দিবো না মন্তব্য লিখবো তা নিয়ে একটু হেজিটেশনে ভুগছি। এর মধ্যে রাজীব নূর সাহেব একটা দুর্লভ তথ্য দিয়েছেন, যে 'মহাবিশ্বের কোন জায়গা হাঁটা শুরু করলে 'অনন্ত' কাল হাঁটার পরে আবার আপনি আগের জায়গাতে ফিরে আসবেন।

২১ শে মে, ২০২০ বিকাল ৪:৫১

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: ব্যাক্তিগত ভাবে ওনাকে পছন্দ করি কারন উনি বাংলাদেশের আমজনতার প্রতিনিধিত্ব। যারা বিশ্বাস করতে চান সত্যকে কিন্তু সামাজিক রাজনৈতিক অনিরাপত্তা এবং ঝুত ঝামেলার কারনে পেরে উঠেন না। তারা সুখী হতে চান, একটু শান্তিতে জীবন অতিবাহিত করতে চান। দোষ গুন এদেরও আছে কিন্তু দিন শেষে চায়ের দোকানে আড্ডা দেবেন তখন তারা এটা দেখবেন না যিনি চা বানাচ্ছেন সে হিন্দু না মুসলিম, যার সাথে গল্প করছেন যিনি লীগ না বিএনপি না জঙ্গি।

এরা নিজের পরিবার নিয়ে ভাবতে ভাবতে নিজেকে হারিয়ে ফেলেন এবং এটা তারা নিজেরাও জানে এবং সেটা নিয়ে তাদের আক্ষেপ আছে।

আমি বলবো এরাই প্রকৃত বাংলাদেশী। দোষ গুন ভালো মন্দ মিলিয়ে একজন আপামর আমজনতা যিনি সারা দিন কামলা দিয়ে দিন শেষে একটু আয়েশ করতে চান, আড্ডা দিতে চান

১০| ২১ শে মে, ২০২০ দুপুর ১:৩৬

বিপ্লব০০৭ বলেছেন: আপনার এই পোস্টে পাচ্ছি যে, দেকার্তে প্রমাণ করেছেন- 'ঈশ্বর' আছেন। আবার হিউম এসে সেইটাকে খারিজ করে দিয়েছেন। বাট আপনার আমলে মল - এই পোস্টে আমার করা মন্তব্যের [১৬ নং কমেন্ট] জবাবে আপনার রিপ্লাই ছিলো, "দেকার্ত আবার পঞ্চ ইন্দ্রীয় ধইরা সেই ঈশ্বর খুঁজলেও পরম বাস্তবতার সংজ্ঞা হারায় আর সেখান থেকে রক্ষা করতে আসেন হিউম কাকু।" ঘটনা বুঝলাম না। আপনার কোন বক্তব্য সঠিক? দেকার্তে পরম বাস্তবতা বা ঈশ্বরকে পাননি এবং হিউম ঈশ্বরকে খুঁজে পেয়ে দেকার্তে-কে উদ্ধার করেছে নাকি দেকার্তে ঈশ্বরকে প্রমাণ করেছেন আর হিউম এসে তাকে খারিজ করে দিয়েছেন?

২১ শে মে, ২০২০ বিকাল ৫:০২

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: বলতে হবে আমার এক্সপ্রেশনে সমস্যা.
একটু বুঝিয়ে বলি আসলেই ঘটনাটা কি। রেনে দেকার্তে সিলেক্টিভিজম এবং স্কেপটিজম দিয়ে সব ছেকে প্রমান করলেন আমিই সত্য। এখন আমি কিভাবে সত্য হলাম, কারন আমি চিন্তা করছি অনুভব করছি মানে পঞ্চইন্দ্রিয় আছে। সেখানে আমি আছি এবং এই আমি শুধু আমার মস্তিস্ক না, বাইরের জগতের সাথে আমার আমিত্বের ইন্টারফেস অর্থাৎ পঞ্চইন্দ্রিয় সেসব নিয়েই এই আমি।

তারপরের কথাটা ছিলো যেহেতু আমি আছি এবং পৃথিবীর সবকিছুর মধ্যে আছি এবং আমার সৃষ্টি হয়েছে অন্য কারো থাকে সেহেতু মহাবিশ্বের সবকিছু সৃষ্টি হয়েছে এই কোনো কিছু থেকে তাহলে ঈশ্বর হলেন সেই সত্বা যিনি সৃষ্টি করেছেন। যদিও আমি যত শজে বললাম এর পেছনে অনেক অনেক বই আছে। এরকম করে উনি ১০ জিনিস প্রমান করলেন যেটা হলো পরম সত্যের ভিত্তি।

রেনে দেকার্তের এই লজিকের পর আরেকজন দার্শনিক আসলেন (তার নামটা মনে নাই এখন) তিনি বললেন পঞ্চইন্দ্রিয়ের সবকিছুই সঠিকভাবে অনুধাবন করতে পারে না। কেন পারেনা তার যাবতীয় যুক্তি দিয়েই প্রমান করলেন। এরপর হিউম এসে বলে বসলেন যদি পঞ্চ ইন্দ্রিয় এই আকাম করে তাহলে আমি যে আছি সেটাও একটা দ্বন্ধে পড়ে যায়। আর যদি টাই হয় তাহলে এই ঐশ্বরিক সৃষ্টির এত কথা সবই বায়াসড। পোস্টে দেখবেন প্লেটোর বিশ্বাসের তিনটা লজিকাল পয়েন্ট আছে সে অনুসারে বলা যায় ঈশ্বর আছে কি নাই এটা প্রশ্নবিদ্ধ।

এখন এ কথাটাই বিভিন্ন সময় শর্টে বলা। কারন দর্শনের এত বড় বড় উদাহরন লজিক এগুলো শ্রিংক করা আমার চিন্তাশক্তির সীমাবদ্ধতাকে অতিক্রম করে এবং তখন এসব ভুল হয়। যদি দর্শনের একাডেমিক হতাম তাহলে হয়তো শব্দ চয়নে আরো বেশি প্রিসাইস হতে পারতাম।

এটা আমার বোঝানোর অক্ষমতা।

ক্ষমাপ্রার্থী

আরেকটা অনুরোধ আপনি একটা পোস্ট দিন। কারন কমেন্টে আপনি নিজেকে মেলে ধরতে পারবেন। অনেক প্রশ্ন উত্তর পর্ব কিন্তু একটা পোস্ট পরিপূর্ন মেলে ধরা যায় এবং সেকানে আমি অনেক কিছু নতুন করে বুঝতে পারবো। আলোচনার ক্ষেত্র তৈরী হবে।

অনুরোধটা থাকলো কিন্তু

১১| ২১ শে মে, ২০২০ দুপুর ১:৫১

রাজীব নুর বলেছেন: Specalest...

২১ শে মে, ২০২০ বিকাল ৫:০২

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে

১২| ২১ শে মে, ২০২০ রাত ৯:১৭

মীর আবুল আল হাসিব বলেছেন: ইহা আমি কি পড়িলাম??? :P :P :P

প্রচণ্ড ইচ্ছা থাকা সত্বেও রবীন্দনাথ ঠাকুর আর শরৎ সাহেবের লেখা পড়া হয়না শুধুমাত্র তাদের কঠিন কঠিন ভাষা ব্যাবহারের কারনে। আপনি তো দেখি একাবিংশ শতাব্দির শরৎ বাবু।

২১ শে মে, ২০২০ রাত ১০:৫২

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: এটার কারন হতে পারে সেটা হলো আমি বাংলাতে তেমন পারদর্শী নই এবং খুব ভালো লিখিয়ে নই। বাংলাদেশে যদিও অনেক লেখক জন্মেছে যারা খুবই ভালো লেখেন। উচিত ছিলো তাদের লেখা গুলো পড়ে একটু অভিজ্ঞতাগ্রহন করা। কিন্তু লিস্টে থাকা বই এবং কাজের ডেডলাইন পাকড়াও করার প্রেসারে আমার অবস্থা লেজেগোবরে।

তবে এটা ঠিক আরো স হজ এবং সাবলিল ভাবে লেখা যেতো। বেশ কয়েকটা প্রয়োজনীয় পয়েন্ট মিস করেছি বিধায় একটা অতৃপ্তি রয়ে গেছে লেখাটা নিয়ে

ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য

১৩| ২১ শে মে, ২০২০ রাত ৯:৫৭

আহমেদ জী এস বলেছেন: উদাসী স্বপ্ন,




দর্শন নিয়ে "দর্শনীয়" লেখা, নাকি "ঈর্ষনীয়" পড়া!
পরম সত্য নিয়ে বলেছেন। কিন্তু " পরম" বলতে কিছু কি আছে ? আপেক্ষিকতাবাদীরা তো বলেই থাকেন - দেয়ার আর এ্যাবসোলিউটলি নো এ্যাবসোলিউটস। একই কথা মনে হয় " পরম সত্য" এর বেলাতেও। যে পদ্ধতির মধ্যে থেকে তারই অনুসৃত যুক্তি দিয়ে আপনি এটাকে ( সত্যাসত্য বা পরমত্ব) পরিমাপ করবেন, সে পদ্ধতি আপনি যে মূহুর্তে ছেড়ে যাবেন তখনই তা আর ভ্যালিড থাকবেনা।
আপনি হয়তো এমনটাই বলতে চেয়েছেন। সর্বত্রই লাগবে " জ্ঞান" আর " অভিজ্ঞতা"।

নীশে বা নিৎসে বা নীটশে আপনাতে ভর করেছে বোঝা গেলো। তাঁর মতোই তাহলে বলতে হয় , " মানুষ একটি কলুষিত স্রোত,
তাকে হতে হবে এমন মহাসমুদ্র যে সমুদ্র ধরবে কলুষিত নদীকে, কিন্তু নিজে হবেনা কলুষিত ।"
সক্রেটিসও মনে হয় এমনটাই বলতে চেয়েছেন - "যে সবচেয়ে সুখী মানুষ এবং শ্রেষ্ঠ গন্তব্যে পৌছেছে সে-ই হলো একজন , যে সাধারন নাগরিক হিসাবে কর্ষন করেছে ভালোত্বের ভূমি যাকে বলা হয় আত্ম-নিয়ন্ত্রন এবং চারিত্রিক সরলতা যা অর্জিত হয় অভ্যাস ও অনুশীলনের দ্বারা এবং নীতিশাস্ত্র ও কোনও কারনের সাহায্য ছাড়াই ।"

কিছু মন্তব্য আর তাতে আপনার দীর্ঘ প্রতিমন্তব্য জ্ঞানের দিব্যদৃষ্টি খুলে দিতে পারে অনেকের। যদিও দর্শন কোনও পরিশুদ্ধ বিজ্ঞান নয় তবুও তার পরিমাপেই বলি - সত্য কদর্যময় হওয়ার জন্যে জ্ঞানীর কোনও বেদনা বোধ জাগে কি ? সত্য যেখানে অগভীর সেখানে জ্ঞানী প্রবেশ করেন ক্ষুন্ন মনে।

লেখাটি রূপকের ভারে ভারাক্রান্ত মনে হয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ কথাগুলোও যেন ভাবে সপ্তমীতে বলেছেন । আরো বিশদ ভাবে লিখলে জানার ও বোঝার পরিধি বাড়তো বলে মনে হচ্ছে।
নিঃসন্দেহে ভালো লেখা। প্রিয়তে।




২১ শে মে, ২০২০ রাত ১০:৫৫

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: দর্শন প্রথম শুরু করেছিলাম সাত্রে দিয়ে এবং তা পড়ে কিছুই বুঝিনি পরে তার লেখা উপন্যাস পড়লাম সাথে কামু ও ব্যাক টু ব্যাক শেষ করলাম। তখন থেকেই একটা জিনিস সেটে গেছে সবকিছু বোঝার জন্য উদাহরন বা রেফারেন্স সামনে রাখলে সেটা খুব স হজ হয়ে যায়। আমি একাডেমিক নই বলেই এ পন্থায় অভ্যস্ত এবং এ বৃত্তেই আটকে আছি।

আবারও সিরিয়াসলি দর্শন পড়া শুরু করলে (পরবর্তিতে হেগেল, কান্ট শুরু করতে হবে লিস্টানুসারে) তখন হয়তো এই বৃত্ত থেকে মুক্তি পাবো,

ধন্যবাদ বিষয়টা তুলে আনার জন্য

১৪| ২১ শে মে, ২০২০ রাত ১০:৫৮

নতুন বলেছেন: আমাদের দরকার হলো পরমসত্যের ব্যাখ্যা সঠিক ভাবে তুলে ধরা, তাহলেই দ্বন্ধ থেকে দূর থাকতে পারবো।

আমাদের সমাজে অজ্ঞতার অন্ধকারে ঘেরা এখানে যারা যৌক্তিক ভাবনার কথা বলে তাকেই তো থামিয়ে দেবার চেস্টা চলে।

২১ শে মে, ২০২০ রাত ১১:০৪

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: সাজিদের বাটাম কেমন লাগলো? হাজার হোক পরাইভটের শিক্ষক।

এইটা আরেক মাহমুদুল.....

মাহমুদুলের কথা মনে আছে মনে হয়। আপনারে আগেই সতর্ক করছিলাম। পরে তো দেখলেন সার্কাস কি দেখাইলো!!

১৫| ২১ শে মে, ২০২০ রাত ১১:০৫

শায়মা বলেছেন: তোমার মেমোরীতো অসাধারণ মনে হয় ভাইয়া! ভুলে গেলে কেমনে!! B:-)

২১ শে মে, ২০২০ রাত ১১:০৮

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: কে কইলো ভালো!!! যৌবনকালে সর্বদা সফলতার সাথে ব্যাকবেঞ্চে ছিলাম। এখন তো পুরাই বৃদ্ধকাল। আমিও তো মানুষ!!

১৬| ২১ শে মে, ২০২০ রাত ১১:১০

শায়মা বলেছেন: বৃদ্ধকালে স্কুলের বেঞ্চ থাকলে তো মনে হয় টিচারের পাশেই বসতে। :P

২১ শে মে, ২০২০ রাত ১১:১২

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: কেন যে দীনহীন কে লজ্জায় ফেলেন!

যদিও লজ্জা নারীর ভূষন... কিন্তু লেকিন বাট.......

১৭| ২১ শে মে, ২০২০ রাত ১১:১৩

শায়মা বলেছেন: হা হা হা :P

২১ শে মে, ২০২০ রাত ১১:২০

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: কেমন আছেন এটা বললেন না? দেশের অবস্থা তো ভয়াবহ।

১৮| ২১ শে মে, ২০২০ রাত ১১:১৯

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



চমৎকার দর্শন। এসব যুক্তি আর গভীর ভাবনা বুঝতে যে ঘিলু তিলতিল করে নিজের মধ্যে তৈরী করতে হয় সে মশলা এ বঙ্গে খুবই অল্প। আপনার মনে যখন কোন যৌক্তিক ভাবনা আসবে তখন তা প্রকাশ করাই উত্তম। এতে সমাজে বিষয়টি নিয়ে আলোচনার সূত্রপাত হয়। বুদ্ধিভিত্তিক সমাজ গঠনে তা খুবই উপযোগী। জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত প্রতিটা মানুষের জীবন বিজ্ঞান ভিত্তিক। আর বিজ্ঞান হলো যৌক্তিক ভাবনা যা শতশত রিসার্চের মাধ্যমে প্রমাণ করা হয়েছে এবং এর সুফল আমরা হাতে নাতে ভোগ করছি। অথচ, আপনি ধর্মকে বিনা কুয়েশ্চনে মেনে নিতে হবে, এতে কোন বিষয় চরম অযৌক্তিক হলেও! কোন বিষয়ে সন্দেহ হলে কুয়েশ্চন করা যাবে না!! জানতে চাইলে যুক্তি আর বাস্তব দর্শন নয় জুটবে চাপাতির কোপ। এটা হচ্ছে একুশ শতকের সবচেয়ে অন্ধকার দিক।

২১ শে মে, ২০২০ রাত ১১:৩৭

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: একটা ভুল হয়ে গেছে। আমি মনে করেছিলাম আপনি আহমদ জিএস ভাই।

হলি কাউ ম্যান

ক্ষমা করবেন।

প্রায় ৮ ঘন্টা এক জায়গায় বসে কাজ করলাম। মাথাটা বন বন করছে । ক্ষুধায় পেট চো চো করছে।

সত্যি দুঃখিত

হলি ফ্রিকিং শিট

১৯| ২১ শে মে, ২০২০ রাত ১১:২৩

আহমেদ জী এস বলেছেন: উদাসী স্বপ্ন,





না...না... ঠিক আছে, বোঝানোর সুবিধের জন্যে উদাহরণ তো লাগবেই। তবে আমি শুধু "উদাহরণ" না বলে "সামঞ্জস্যপূর্ণ ও তুলনামূলক উদাহরণ" বলতে চাই।
আপনার বেলাতে হয়েছে কি, কিছু কিছু জায়গাতে খুব অল্পতে, ভাঙা ভাঙা তাও আবার রম্য বা ব্যঙ্গ সহকারে উদাহরণ দিয়েছেন বলে বুঝতে খানিকটা হোচট খেতে হয়েছে। এমন সুন্দর একটি লেখায় হোচট খেলে কার ভালো লাগে ? তার উপরে দর্শন আলোচনা, খুবই জটিল। মাথাটাকে ঠান্ডা রেখে বিচার বিশ্লেষণ করে তবেই এর বক্তব্য তলিয়ে দেখতে হয়। তাই না ?
সে কারনেই আপনাকে বলা, আপনার মনক্ষুন্ন হবার কারন নেই।
শুভেচ্ছান্তে।

২১ শে মে, ২০২০ রাত ১১:৩৩

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ তবে আপনাদের কাছে সুফীসাধক বাউলিয়ানাদের এমন আক্রমণ যে হচ্ছে সে বিষয়ে একটা লেখা দাবী করছি। খুব সম্ভবত আপনাদের একটা অংশ সরকারের শরীকে! শরিকে থেকে আপনার চুপ করে থাকবেন কি করে হয়।

২০| ২১ শে মে, ২০২০ রাত ১১:২৬

শায়মা বলেছেন: ভালো আছি। নিজের মত করে ভালো আছি! এই দূর্দিনে কি ভয়ে মরে গেলে চলবে? তাই যেভাবেই আছি ভালো থাকার চেষ্টা করছি। অনলাইন ক্লাস নিয়ে, গান নিয়ে, রাধা বাড়া ঘরবাড়ি সাজিয়ে গুছিয়ে..... :)

এই যে গান গাই

২১ শে মে, ২০২০ রাত ১১:৩১

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: হলি কাউ। সুন্দর গাইছেন। স্কেল টোন সুন্দর যদিও রবীন্দ্র সঙ্গিতের এই টোনে এখন কেও হাত না। বাংলাদেশে রেজওয়ানা বন্যার মতো যারা গাইতো তাদের ভাত মেরে দিছে ক্যালকেশিয়ানরা। এই টোনটা আসলেই মিস করতাম। নাহলে এতদিন তো বুঝতামই না রবীন্দ্র নাথ গাইছে না মডার্ন স্কেলে গাইছে।

খুবই সুন্দর । সাবস্ক্রাইব করলাম

২১| ২২ শে মে, ২০২০ রাত ১২:১৩

আহমেদ জী এস বলেছেন: উদাসী স্বপ্ন,




হাসালেন ..............
বলেছেন - "খুব সম্ভবত আপনাদের একটা অংশ সরকারের শরীকে!" আপনার বলা এই "আপনাদের" মধ্যে কোনখানেই আমি নেই, জন্ম থেকেই কখনও ছিলুম না। আমি কোনও " আপনার" অংশের নই। কেন আপনার এমন মনে হোল জানিনে!

তবে সুফি বা বাউল সহ সকল মানুষ, ইতর-ভদ্র, উঁচু-নীচু, আস্তিক-নাস্তিক, মুসলিম-হিন্দু-বৌদ্ধ-খৃষ্টান নির্বিশেষে কারো উপরে ধর্মীয় আগ্রাসন, নিপীড়নকে ঘৃনা করি। যারা করে তারা অজ্ঞ - অনক্ষর - অশিক্ষিত - অন্ধ ।

ধর্মীয় ব্যাপারে আমি সর্বংসহা। কারো ধর্মীয় বিশ্বাস-অবিশ্বাস নিয়ে আমি মাথা ঘামাইনে। ওটা যার যার বোঝার, অনুভবের, মনে-মগজের-মননের-মনীষার ক্ষমতা বা অক্ষমতা। ওখানে আমার কোনও হাত নেই, বলারও কিছু নেই।
আশা করি বোঝাতে পেরেছি!

২২ শে মে, ২০২০ রাত ১২:৩৭

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: আপনার বেশ কিছু কমেন্ট এমন ছিলো যে সত্যের খোজে মাঠে আছেন আবার কমেন্টের স্টাইল পুরাই বিদ্রোহী ভৃগুর মতো। বিদ্রোহী ভৃগু যদিও পুরাই বিএনপি কিন্তু তারেও আমার সুফী ভাবধারার লোক মনে হয়। আমি ভাবছিলাম আপনিও সেই গোছের।

এদের সাথে তর্কে গেলে মজা পাই না। সুফী পার্টি বাউল পার্টির সাথে তাই কখনো তর্কে যাই না, আহমেদিয়াদের সাথে যাই না কারন ইন্টারে আমার এক জিএফ ছিলো আহমদিয়া। তারে দেখে বুঝেছিলাম এই গোষ্ঠি আসলে কত কস্টে আছে। মেয়েটা এত স্ট্রেস নিতে না পেরে এডিক্টেড হয়ে যায়। আর খবর নিতে পারিনি।

আমাদের দেশের মানুষদের বিশেষ করে যারা সুন্নী মুসলিম এজন্য এদেরকে মনে প্রানে ঘৃনা করি। এদের হিংসাত্মক মনোবোধ খুব কাছ থেকে দেখছি। মুখে যত ভালো কথাই বলুক সমাজে যত ভালো কাজই করুক তার অপরাধ গত ফ্যাটিশ একটা না একটা আছেই। এটা ছাড়া কোনো সুন্নী বা শিয়া মুসলিম কখনো চিন্তা করা যায় না। এবং এই অন্ধকার দিকগুলো যে কত ভয়াবহ!

আর যখনই পত্র পত্রিকারে এসব খবর পড়ি তখন সেই পুরোনো ঘৃনা ট্রিগার করে।

কোরান মুখস্থ দিন ভর ওজু করা মানুষ যখন একটা পোলারে ধর্ষন করে এবং নির্দ্ধিধায় সে সমাজে হেটে বেড়ায় অথচ ছেলেটা আর কখনো সুস্থ হতে পারেনি। তার দুই বোনের বিয়ে দিতে সমস্যা তাই তারা এলাকা ছাড়ে। অথচ ছেলেটা ভালো একটা স্কুলে ভর্তি পরীক্ষা দিয়ে চান্স পাইছিলো। আমাদের মতো ডাক্তার ইন্জিনিয়ার হতে পারতো । অথচ তাকে পুরো নস্ট করে দেয়। আর এই সমাজের লোক জন এত ভালো একটা মাদ্রাসা বন্ধ হয়ে যাবে বলে কিছুই বলে না বরংচ স্কুল বিল্ডিং আরো বড় করার জন্য টাকা দেয়।

শিট ম্যান। আই রিয়েলি হেট দিস শিট।

২২| ২২ শে মে, ২০২০ রাত ২:২৩

রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে

ভালো থাকুন। সুস্থ থাকুন।

২২ শে মে, ২০২০ দুপুর ১:৫৬

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ

২৩| ২২ শে মে, ২০২০ ভোর ৫:৫৮

পরিবেশবাদী ঈগলপাখি বলেছেন: ব্লগের এই দিনে দর্শন উপলব্ধি করা বা বুঝবার মত এনাফ অডিয়েন্স পাবেন কিনা এইটা চিন্তার ব্যাপার ।

সাইড নোট, আমার নিজের ইচ্ছা ফিলোসফির কিছু দিক নীয়ে বিশেষ ভাবে আরো জানা, পরমদর্শন নীয়ে । ছোটখাট টুলসেও মেশিন লার্নিং আর এ-আই এর যত এপ্লিকেশন বাড়ছে, একবার ফ্যান্টাসি হয়েছিল টুরিং টেস্ট মার্কা ফিলসিফিকাল একটা টেস্ট দাড়া করাতে, পরমদর্শন নীয়ে মানুষের প্রসেসিং আর এ-আই এর প্রসেসিং এর পার্থ্যক করতে পারবে এমন কিছু। (যেটা নীয়ে আপাতত চান্স নাই করার)

২২ শে মে, ২০২০ দুপুর ১:৫৮

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: এআই মেশিন লার্নিং হলো বর্তমান ট্রেন্ড এবং আগামীর বিশ্ব এটাতেই চলবে। হাতে কিছু কাজ জমে আছে। ওগুলো শেষ হলে ভাবছি এগুলো নিয়ে বসবো। অসাম জিনিস গুলো।

তা কি খবর??

২৪| ২৪ শে মে, ২০২০ ভোর ৪:৫৩

সুপারডুপার বলেছেন: অফটপিকঃ রক্সেরতো ট্যাংকি মেরে লাইন মারার ট্রাই-এ মুখ থেকে টপটপ করে লালা পড়ছে। হ্যা'র চরিত্রও কী ফুলের মত পবিত্র??? জিগাইলাম এই জন্য যে আপনি হ্যারে চেনেন।

২৪ শে মে, ২০২০ সকাল ১১:৫২

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: চিনি বললে ভুল হবে, ফোন নম্বর যোগাড় করে কথা বলেছিলাম। পুরো কথা জুড়েই তার বিস্ময় আমি ফোন নম্বর পেলাম কই কিন্তু সে যে নিজেই নিজের নামে পেজ বানিয়ে ফোন নম্বর দিয়ে রাখছে সেটা ভুল গেছে। কথা বলে চূড়ান্ত লেম মনে হইছে। তার সাথে আমার লাগছিলো কারন সে যখন এখানে লেখালেখি শুরু করে কোমড়ে দড়ি বেধে গালাগাল করছিলো। আমার পোস্টে গালাগাল না করলেও অন্যান্য পোস্টে গালি দিতো। আমি দেখলেই রিপোর্ট করা শুরু করি এবং তার পিছনে লাগি। এর মধ্যে সে কয়েকবার ব্যান খায়। কিন্তু মৌলবাদীদের পা চাটার কারনে পাঠকের প্রতিক্রিয়া ওরফে নিজু মন্ডলের মতো সস্তা ব্লগার তার ব্যান উঠিয়ে নেবার মতো কাইগুই করে।

এ লোকটা এরকম লেম কমেন্ট ও সরাসরি বযাক্তি আক্রমণ করার সুযোগ পায় কারন মৌলবাদীদের স্নেহধন্য। আর ব্যাক্তিগত জীবন নিয়ে কিছু বলতে চাই না।

২৫| ২৪ শে মে, ২০২০ ভোর ৬:১০

নিমো বলেছেন: উদাসী স্বপ্ন'র limboতে প্রবেশাধিকার দেয়ার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ ও অভিনন্দন গ্রহন করুন।

বিপ্লব০০৭ বলেছেন: রাজীব নূর সাহেব একটা দুর্লভ তথ্য দিয়েছেন, যে 'মহাবিশ্বের কোন জায়গা হাঁটা শুরু করলে 'অনন্ত' কাল হাঁটার পরে আবার আপনি আগের জায়গাতে ফিরে আসবেন।
এটা কোন দুর্লভ তথ্য নয়।
Could You Travel In A Straight Line In Space And Return To Earth?
আগ্রহ থাকলে পড়ে দেখতে পারেন Steven Weinberg এর The First Three Minutes: A Modern View of the Origin of the Universe।

২৪ শে মে, ২০২০ দুপুর ১২:১৩

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: হোমোটোপির ওপর আস্থা নাই। যে ভদ্রলোকের আর্টিক্যাল দিলেন তাতে নিজেও আস্থা রাখেননি শুধু হিসাব মেলাবার জন্য বলা। পয়েন্টকেয়ার কনজেকচারের জ্যামিতিক প্রয়োগ বলা যেতে পারে। যদিও পয়েন্টকেয়ার কনজেকচার গ্রহ নক্ষত্রের ওপর ভালো কাজ করে কারন এগুলো ক্লোজড সিস্টেম কিন্তু মহাবিশ্ব ক্লোজড সিস্টেম কিনা সেটা নিয়ে ডিবেট আছে।

মহাবিশ্বের স্থানিক প্রসারন ঘটছে আলোর চেয়ে দ্রুত গতিতে আর আমাদের যে আপেক্ষিক সর্বোচ্চ গতি সেটার সীমা ১৮৬০০০ মাইল। কিন্তু সেটাও সম্ভব হবে না কারন তখন আমাদের ভর হবে অসীম যেটা অবাস্তব। পদার্থবিদরা অবাস্তব ও অসীম ব্যাপারটা পছন্দ করেন না। তাই তারা নানা সল্যুশন দেন। এই যেমন ব্লাক হোল হোয়াইট হোল, গডলের সিটিসি ইত্যাদি। তবে এটা যদি হোমোটপিও হয় তাহলে এটাও কি বলা যায় না প্রতিটা বিন্দুই একই স্থানিক অক্ষ অনুসরন করছে।

তার চেয়ে সবচে লজিক্যাল হয় ধরেই নিলাম আপনি আলোর গতির চে দ্রুত গতিতে চলছেন। সেক্ষেত্রে চার মাত্রার মহাবিশ্ব গোলাকার নয়, এটা ফ্লাট। এজন্য সমতল যে এর প্রসারন শুধুই এক দিকে এবং বর্তমান সময়ে ইহা প্রসারমান। আপনি তখনি ফিরে আসতে শুরু করবেন যখন ক্রাঞ্চ বা সংকোচন হবে। হিগসের ভর অনুসারে আমাদের মহাবিশ্ব মেটা স্ট্যাবল তার মানে সংকোচন অবশ্যম্ভাবি সেক্ষেত্রে আপনার যেহেতু আলোর গতি বেশী সেহেতু সম্ভাবনা হলো এই মহাবিশ্ব ত্যাগ করবেন। তখন হয় ভিন্ন ফিজিক্স দ্বারা তৈরী অন্য প্যারালাল বা মাল্টিভার্স অনুযায়ী প্রতিবেশী বা আদি মহাবিশ্বে যাবেন। আরেকটা সম্ভাবনা হলো যেকোনো কারনেই হোক সিটিসি তৈরী করে অতীতে ফিরে আসা। কিন্তু সেটা আপনি সময়ের মাত্রাতে ফিরে আসলেন। স্থানের না।

এক্ষেত্রে আপনার কাছে প্রশ্ন আসতে পারে আপনি একই পয়েন্টে ফিরে আসতে চান সেটা কি স্থান না সময়?

আমি আইনস্টাইনের আপেক্ষিকতা পছন্দ করি না কারন এটা আপনাকে ধাঁধার মধ্যে ফেলে হাত পা বেধে রেখেছে। কিন্তু স্ট্যান্ডার্ড মডেলের বাইরেও যে কনিকা থাকতে পারে এলএইচসির টেট্রাকোয়ার্ক তার প্রমান। আরো অনেক প্রমানই আছে। কিন্তু আপনাকে এখনো কোনো কিছু যদি বলতেই হয় বাস্তবতার নীরিখে সেখানে আপনার প্রতিষ্ঠিত তত্বের সহায়তা নেয়া প্রয়োজন এই যেমন আইনস্টাইনের স্পেশাল রিলেটিভিটি। কারন পৃথিবীর উদাহরনটি একটা বাস্তব ও প্রতিষ্ঠিত উদাহারন, প্রতিদিন হাজার হাজার প্লেন স্যাটেলাইট এটা প্রমান করছে।

তবে রাজিবনূরের এই ভাবনা আসার কারন দার্শনিক কারন আপনি যখন ভাববাদের এনালজী দিয়ে চিন্তা করবেন আদতেই তা হওয়া উচিত কিন্তু মহাবিশ্ব নিয়ে চিন্তা করার সর্বাপেক্ষা নির্ভুল উপায় হচ্ছে পিওর ম্যাথ আর অবজার্ভেশন ও পার্টিক্যাল ফিজিক্স। ধন্যবাদ এমন সুন্দর বিষয় নিয়ে আলোচনার সুযোগ করে দেয়ার জন্য

২৬| ২৫ শে মে, ২০২০ বিকাল ৫:৪৯

সুপারডুপার বলেছেন:



মৌলবাদীদের স্নেহধন্য থেকে ব্লগের নিরপেক্ষতা অনেক প্রশ্নবিদ্ধ। এই বিষয়ে আপনি আমার ব্লগেও বিস্তারিত বলেছেন। এই ব্লগ সমন্ধে আপনার কাছে থেকে অনেক কিছু জানতে পারছি। আপনিতো অনেক ভালো পোস্ট লিখতে পারেন। আপনি পাশাপাশি নিজের প্লাটফর্মে লিখলে, আপনার গুরুত্বপূর্ণ লেখাগুলো হারানোর ভয় কম।

নিরন্তর শুভকামনায় ভালো থাকবেন সবসময়, ঈদ মোবারক্স :-

২৫ শে মে, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:০৩

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: নিজের জন্য তো বানানোই যায়। জ্যাংগো দিয়ে কত কিছুই তো বানাই। সমস্যা হলো নিজের জন্য বানাতে হবে বা এসব জিনিস অর্গানাইজ করা এটাতে আলসেমী লাগে অথবা মন টানে না। মাঝে মাঝে মনে হয় হারিয়ে গেলে কি হবে! তখন আবার ভাবি আমার ফেসবুক আইডি যে দুটো ছিলো সেখানেও তো কতকিছু ছিলো। এমনও বন্ধু বান্ধব ছিলো যাদের আমি মাদ্রাসাতে হারায়ছিলাম, স্কুলে হারায়ছিলাম। কত মানুষের ফোন নম্বর ছিলো, কত লেখা। সব শেষ।

তাতে কি হইছে! একটু কস্ট লাগে আবার লাগে না। মাঝে মাঝে মনে হয় এগুলো সম্পদ আবার মাঝে মাঝে মনে হয় এগুলো কিছুই না। অর্থহীন।

উদাসীনতা, এগুলো সিম্পলি উদাসীনতা।

ধন্যবাদ।

ঈদের শুভেচ্ছা

২৭| ২৭ শে মে, ২০২০ রাত ১২:৫৫

সুপারডুপার বলেছেন: রক্স'স পোস্ট রিপোর্টেড। দেখা যাক সম্মানিত ব্লগ কর্তৃপক্ষের নিরপেক্ষতা আছে কিনা।

২৭ শে মে, ২০২০ রাত ১:০৫

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: ভাইরে কেন যে রিপোর্ট করেন বুঝি না। আমার বিরুদ্ধে কেউ পোস্ট দিলে আমি এনজয় করি। আমি যদি অযৌক্তিক কিছু বলে থাকি তাহলে বলবো আমি সেটা ডিজার্ভ করি। আমার সমালোচনা হওয়া উচিত। আমও মানুষ, ভুল আমার হবেই।

আর যদি আমার যৌক্তিক কিছুর বিরোধীতা করা হয়, তাহলে আমি তো সেই পোস্ট আরো রাখতে বলি। কারন আমার যৌক্তিক পোস্ট বা কমেন্টের বিরুদ্ধে নিশ্চয়ই তারা সত্য মিথ্যা বা যেকোনো যুক্তিই দাড় করাবে। মানুষ তখন মিলিয়ে দেখবে কে আসলে কতটা ঠিক বলছে এবং এখানেই আমার জয়। কারন সত্য ও যুক্তির নীরিখে যাই বলা হোউক, সুস্থ এবং শিক্ষিত মানুষ তা গ্রহন করবেই। তার বিরুদ্ধে যতই প্রতিবাদ করা হোউক আল্টমেটলি তারা আমার কথারই প্রচার করবে। আমরা বই পত্রে আসলে যাদের নাম পড়ে আইডল ভেবে বড় হই, আদতে তাদের সত্যিকার জীবনের অন্ধকার দিক গুলো যে কত বিভৎস, সেটাও আমাদের বোঝা উচিত। এরকম হিপোক্রেসী সম্পন্ন মানুষ আমাদের কখনোই আইডল ভাবা ঠিক নয় এই বোধ হয় হবার জন্যই এসব সত্যের প্রসার জরুরী।

আর অনলের সবকিছুই আমি এনজয় করি। একজন মানুষ এই বয়সে কতটা অস হায় হলে এমন করে সেটা ভাবলেই তার প্রতি আমার অনেক করুনা হয়। এটলিস্ট তিনি এখনো যু্দ্ধ করছেন এবং নিজের আত্মবিশ্বাস টিকিয়ে রেখে যাই হোউক কিছু করে খাচ্ছেন। ব্লগটা হয়তো তার সান্তনার জায়গা। পাক এতটুকু সান্তনা, খারাপ কি! আমাকে গালি দিলে যদি তার ভালো লাগে, নিজেকে একটু ভালো ফিল করে, তাহলে তাই সই!

২৮| ২৯ শে মে, ২০২০ বিকাল ৪:৩৪

সুপারডুপার বলেছেন: প্রাইভেট ভার্সিটিতেও কেন জঙ্গিদের আখড়া হয়, তা ব্লগে প্রাইভেট ভার্সিটির শিক্ষকের ভাষা দেখে বুঝলাম।

২৯ শে মে, ২০২০ বিকাল ৫:৪৫

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: মনে আছে কি না জানি না যেকজন হোলি আর্টিজানে মোহাম্মদ নির্দেশিত আমাদিয়া ইশতিশাদী ইনঘিমাসের জন্য ফিদায়ী অভিযানে নেমেছিলো সুরা তওবার তাফসীর এবং মৃত্যু পূর্বে মোহাম্মদ নির্দেশমত তিনটা আদেশের জন্য, তাদের মধ্যে মাত্র একজন মাদ্রাসার ছাত্র ছিলো বাকিদের মধ্যে বেশীরভাগ প্রাইভেট ইউনির। এমনকি অপারেশনের সময় নর্থ সাউথের এক শিক্ষকের দিকেও আঙ্গুল তোলা হয়েছিলো কিন্তু আমাদের নেভিসীল খ্যাত বাংলাদেশ পুলিশের ইনভেস্টিগেশনে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়। তার কিছু দিন পর নর্থ সাউথের উপাধাক্ষ্য(খুব সম্ভবত) জঙ্গিদের সহযোগিতা করার অপরাধে পুলিশ উঠিয়ে নেয়। তখন বেরিয়ে আসে বাংলাদেশের এলিট সমাজে জঙ্গি ধর্মের ইনঘিমাস কিভাবে এবং কত গভিরে প্রোথিত।

প্রাইভেট শিক্ষাব্যাবস্থার অবদান তো আছেই। জিপিতে আমার বেশ কিছু কলিগ প্রাইভেটের ছাত্র ছিলো। কি বলবো তাদের জিনিয়াস [link|https://www.haaretz.com/middle-east-news/iran/father-s-beheading-of-14-year-old-daughter-sparks-outcry-in-iran-over-honor-killings-1.8877518|] বললেও কম বলা হয়। কিন্তু একটা নিকৃস্টতম মতবাদ সুশিক্ষিত মানুষকে কিভাবে পশুতে পরিনত করে এটা সামান্য উদাহারন। একটা লিংক দেইএক পিতা তার ১৪ বছরের মেয়েকে অনার কিলিং এর নামে জবেহ করে। আপনি হয়তো বলবেন এটা একটা দুটো উদাহারন। তাহলে এটাও নিউজ ব্রুনাইতে মেয়েদের মুসলমানী করানো সরকারী ভাবে বৈধ। স্বামী সুখ পাবে তাই বিয়ের আগে তার খতনা করাও। হাদিসটা এমন ছিলো। শুধু মুসলমানরাই না একসময় ইহুদীরা করতো যা এখন বন্ধ। খ্রিস্টানরা আফ্রিকাতে এখনো করে। এটা একটা মহামারী। নিজের মেয়েকে শুধু ধর্মের নামে এসব করে।

শুধু কি তাই? বাল্যবিবাহ আব্রাহামিক ধর্ম, সান্তনা ধর্মে আছে। সতীদাহ প্রথা আছে। আছে দাসী ধর্ষন। বিদ্যানন্দের কিশোর দাস বা মসজিদে মাইকিং করে হিন্দুদের মন্দির ভাংগা এটার সাথে মেলানো যায় যুল খুলাসার মন্দির যা কিনা মোহাম্মদের জন্মের আগেই তৈরী। ভারতে মুসলমানদের চাপকে পিঠের ছাল তুলে ফেলছে।

ধর্ম আমাদের কি দিয়েছে? আমি বলবো বর্বরতা, কুসংস্কার

অথচ আপনারা মানতে চাইবেন না। বলবেন ইহা সহী নহে

আমি কোরান হাদিস বাইবেল বেদ তোরাহ খুলে দেখাবো।

আপনার বলবেন আমি টুইস্ট করছি

আমি প্রতিটা রেফারেন্স মুখে তুলে খাইয়ে দেবো

বলবেন আমার বিদ্বেষ আমাকে অন্ধ করছে।

হ্যা আমি বিদ্বেষী, কারন অপরাধকে ঘৃনা করাই আমি আজন্ম শিক্ষা পেয়েছি।

ধন্য বাদ

২৯| ০৪ ঠা জুন, ২০২০ রাত ১০:১৭

সুপারডুপার বলেছেন:



আপনি অনেক কিছু জানেন ও লজিক্যালি চিন্তা করতে পারেন। আপনার দ্বারায় সম্ভব হতে পারে ভ্রান্ত বিশ্বাসীদের ঝেটিয়ে বিদায় করা। হয়তোবা মেডিটেশন আপনাকে জীবন সম্পর্কে নতুন ভাবে রিয়ালাইজেশন দিতে পারে। পরিণতিতে, অসম্ভবকে সম্ভব করে পৃথিবীতে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে অবদান রেখে যেতে পারেন।

মেডিটেশন করতে আপনার কোনো ধর্মের অনুসারী হতে হবে না, আপনাকে শুধু ফাঙ্কশনিং মস্তিষ্কের মানুষ হতে হবে। নিচে ABC Science এর The Science of Meditation ভিডিওটি দেখতে পারেন।



ভালো থাকবেন। অনেক অনেক শুভ কামনা :-

০৫ ই জুন, ২০২০ দুপুর ১২:৩৫

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: মেডিটেশন মানুষ করে হতাশা দুঃখ থাকলে। আমার তো জীবন নিয়ে হতাশা নেই। সম্পূর্ন নতুন একটা বিষয়ে গতবছর পুরো সময় দিয়ে নিজে শিখে এখন সেটার ওপর জব করছি। সামনে নিজস্ব কিছু প্রজেক্ট আছে। যেখানে ক্যারিয়ার আমার সামনে এগুচ্ছে সেখানে কি নিয়ে হতাশা। পার্সোনাল লাইফে হতাশা একটা আছে সেটা হলো মা মারা গেছেন গত বছর। এখন আপন জন মারা গেলে যে ট্রমা কাজ করে সেটা কি স্বাভাবিক নয়? এটার জন্য আমার সময়ের প্রয়োজন।

আর কি নিয়ে হতাশ হবো? আমি জানি না মানুষ আমাকে নিয়ে এরকম হতাশা নীরিখে ভাবে কেন? একজন অপরাধীর অপরাধ নিয়ে আলোচনা করাটা যদি হতাশার লক্ষ্মন হয় তাহলে তো বলতে হয় আদালতের সবাই হতাশাগ্রস্থ, এবং এটা হাস্যকর।

ইভেন এই প্যানডেমিকের লকডাউন কতগুলো কাজ করলাম।

আমার ইনস্টা দেখেও কি হতাশ মনে হয়?

ঠিক বুঝতে পারছি না। এই বয়সে দেশের এমন কাউকে দেখাবেন যার ডায়বেটিস প্রেসার অন্যান্য অসুখ নাই? আমি প্যানডেমিকের আগে রেগুলার চেক করতাম, সিক্স প্যাক আর মাসল বানানোর সপ্তাহে ছয়দিন জীমে যেতাম। এখন যেতে পারছি না কারন প্যানডেমিকের কারনে দেউলিয়া হইছে কয়েকটা যেটা খোলা সেটাতে এ্যাপয়েন্টমেন্ট দিতে হয়।

আর আমি তো বরাবরই বোহেমিয়ান, বাউন্ডুলে। আর্থিক বা সঞ্চয় ব্যাপারগুলো টানে না। আবারও বেশ কিছু টাকা জমলে নতুন একটা দেশে স্যাটেল্ড বা এআই মেশিন লার্নিং টা শিখবো। প্রকৌশলী যেহেতু নিত্য নতুন টেক শেখাই তো আমার কাজ!

ভালো থাকবেন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.