নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
■ তারা "বুদ্ধিভিত্তিক ইসলাম প্র্যাকটিস” না করে যদি "জ্ঞানভিত্তিক ইসলাম প্র্যাকটিস” করতেন; অনেক উত্তর পেয়ে যেতেন। তারা বিভ্রান্ত হতেন না, লোকদেরও ভ্রষ্ট করতেন না। আজ থেকে প্রায় ৬০০ বছর আগে ইবনে খালদুন কী বলেছিলেন, এটা যদি পড়তেন!!
●সহীহ নিয়তে মুকাদ্দিমাহ’র অংশটুকু পড়ুনঃ
"বর্তমানে সমস্ত শহরে শুধু এ চার মাযহাবেরই অনুসরণ করা হয় এবং এর অনুসারীগণ অন্যদেরকে এ মাযহাবের মাসআলা- মাসাইল শিক্ষা দিয়ে থাকেন। আর মানুষ এ ব্যাপারে মতানক্যের দ্বার রুদ্ধ করে দিয়েছে। এর কারণ হল, বিভিন্ন বিষয়ের জ্ঞানের শাখা- প্রশাখায় নিত্য-নতুন পরিভাষা সৃষ্টি। আর যখন মানুষ "ইজতিহাদ"এর স্তরে উন্নীত হওয়া থেকে অধম হয়ে পড়ল এবং ইজতিহাদের বিষয়ে অযোগ্য ও দ্বীনের ব্যাপারে আস্থাহীন লোকদের হস্তক্ষেপের ভয় করল, তখন তারা নিরুপায় হয়ে মানুষকে এ চার মাযহাবের কোন একটিকে অনুসরণের নির্দেশ দিল।
এবং এ চার মাযহাব এর ক্ষেত্রে রদবদল বা "তাখলিফ" করা থেকে মানুষকে সতর্ক করল। কেননা এটি দ্বীন নিয়ে খেল-তামাশা করারই নামান্তর। সুতরাং এ যুগে কেবল এ চার মাযহাবের মাসআলা-মাসাইল চর্চা করা হয়। এ যুগে কারও "মুজতাহিদ" হওয়ার দাবী সম্পূর্ণ প্রত্যাখাত হয়, আর এধরনের দাবীদারের অনুসরণও নিষিদ্ধ হয়ে যায়। বর্তমান সময়ের মুসলিমগণ এ চার মাযহাবের উপরই একমত হয়েছেন"।(আল মুক্বাদ্দিমাহ, খন্ড ১, পৃষ্ঠা-৫৬৩)
☆ভ্রাতার-ভগিনীগণ! ইবনে খালদুনের জন্ম দেওবন্দ মাদরাসার কয়েক শতাব্দী পূর্বে। অতএব, তাঁকে দেওবন্দি বেদ'আতী বলে গালি দিয়েন না।
১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:১২
ফাহিম বদরুল হাসান বলেছেন: ধন্যবাদ। এবিষয়ে বিস্তারিত আসবে, ইন শা আল্লাহ।
২| ১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:০৯
চাঁদগাজী বলেছেন:
শিয়া, সুন্নী, কুর্দী, ওয়াহাবী ও আমহমেদিয়াদের যুদ্ধের কি অবস্হা?
১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৪৩
ফাহিম বদরুল হাসান বলেছেন: যদি ভুল না বুঝে থাকি, এ প্রশ্নের মাধ্যমে আপনি চার মাজহাবের ভিন্নতাকে মুসলিমদের তথাকথিত গুষ্টিভিত্তিক হানাহানির সাথে গুলিয়ে মাজহাবের অসারতা এবং ব্যর্থতাকে ইঙ্গিত করছেন।
অনেকেই এই কয়েক যুগ ধরে এরকম মাজহাব পরিত্যাগ করে "মুসলিম ইউনিটি''র কথা বলছেন। কথা হচ্ছে, কেন বিগত বার শ' বছর কেউ মাজহাব ছেড়ে ঐক্যমতের কথা বলেন নি? হাজার বছরেও কি এরকম বিজ্ঞ কারো জন্ম হয়নি? এই প্রশ্নগুলোর সঠিক উত্তর পেয়ে গেলে আর মাজহাব ছেড়ে ইউনিটির কথা কেউ বলবে না। আর কেউ যদি এসব জেনেও ইউনিটির কথা বলে, তাহলে ইটা স্পষ্ট যে, ইউনিটির নাম আরেক গ্রুপ তৈরী হবে। ধন্যবাদ।
৩| ১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:১৮
মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: আরো বিস্তারিত লিখবেন। অনেক মূল্যবান কথা ছিল।
১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৪৪
ফাহিম বদরুল হাসান বলেছেন: জী, চেষ্টা করব।
৪| ১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:০৬
কেউ নেই বলে নয় বলেছেন: চারটা মাজহাবই ঠিক কিভাবে হয়?
১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৪১
ফাহিম বদরুল হাসান বলেছেন: চারটি মাজহাব সঠিক হয় কীভাবে, খুবই কমন প্রশ্ন। ধরুন, একজন শিখল ৩+৩ এর যোগফল ৬। এখন সে বলতে লাগলো- এটাই সঠিক, এছাড়া আর কোনো সংখ্যায় যোগফল ৬ হতে পারে না। তাহলে যারা অংক করতে জানে তারা বলবে লোকটা অজ্ঞ। সে জানে না, ২+৪=৬ আবার ১+৫=৬ এগুলোও সঠিক। ঠিক তদ্রুপই শরীয়তের বিষয়াবলী। এরকম অনেক রাসূলের কথা ও কর্ম রয়েছে, যা একটা আরেকটার সাথে সাংঘর্ষিক। একজন ইমাম নিয়েছেন এক হাদিস আবার অন্যজন নিয়েছেন অন্য হাদিস। যেহেতু তাদের এই মাসআলা উদঘাটনে মূলনীতি হিসেবে নেয়া হাদিস সহিহ ছিল, তাই কোনটাকেই ভুল বলা হয় নি।
আরেকটা কথা জেনে রাখা ভালো যে, যখন হাদিস বিশারদগণ মাস'আলা বের করছিলেন, তখন এই চার শুধু এই চার মাজহাবই ছিল না। আরো অনেক উলামার মত বা মাজহাব ছিল, যেগুলো ইজমায়ে উম্মতের মাধ্যমে বিলুপ্ত হয়েছে। ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১| ১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:০৩
কল্লোল পথিক বলেছেন: ভাল লিখেছেন আরও বিস্তারিত চাই