নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার মতে, নিজের সম্পর্কে বলা অনেক কঠিন একটা কাজ। তাই কঠিন এই কাজটা না হয় অসম্পূর্ণ থেকে থাক।।।

ফাহিম জামান ।।

।।।

ফাহিম জামান ।। › বিস্তারিত পোস্টঃ

১৫ই আগষ্টে ঘটে যাওয়া আমার জীবনের সেই ঐতিহাসিক ঘটনা।।

১৬ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ১২:৫৫



১৫ই আগষ্ট। দিনটি আসলেই স্কুল জীবনের এক ঐতিহাসিক
ঘটনা মনে পরে যায়। আমি যখন ১০ শ্রেণীতে পড়তাম সে
সময়কার ১৫ আগষ্টের একটা ঘটনা বার বার মনে হচ্ছে। ঘটনাটা
হল :
.
১৫ আগষ্টের কিছু দিন আগে আমাদের স্কুলে বঙ্গবন্ধুর সেই ৭
মার্চের ভাষণ প্রতিযোগিতা হবে। তার জন্য ক্লাসে এসে
আমাদের গণিত শিক্ষক গোফেস্বর স্যার নাম লিখে নিচ্ছে।
অনেক ফ্রেন্ডসরা তাতে অংশগ্রহন করছে। তখন আমার ক্লাসের
ফ্রেন্ডসরা মিলে আমার নামটা নিয়ে দিল,আমিও আর না
করতে পারলাম না।
.
তারপর ১৫ আগষ্টের আগে বেশ কিছু দিন টিফিনের পর
বঙ্গবন্ধুরর ঐতিহাসিক ভাষনটি প্রেকটিস হত কিন্তু আমি এক
দিনও যেতে পারতাম না কারন টিফিনের পর আমার জীবনের
অন্যতম প্রিয় শিক্ষক আজাদ স্যারের ক্লাস থাকত আর আচার্য
হলেও সত্যিইই যে, আমি তার ক্লাসে একদিনও পড়া পারতাম না।
তাই সে আমার প্রতিদিন দাড়া করিছে পড়া শিখিয়ে তারপর
বসতো আর গণিত স্যার আমাকে প্রেকটিসের জন্য ডাকলে সে
বলতো, ও তো পড়া পারে না অর যাবার দরকার নাই। ও আগে
পড়া শিখুক। তাই আমি আর একদিনো প্রেকটিস করতে পারিনি।
তো ১৪ আগষ্ট ফাইনাল। সেই দিন আমি গেলাম ভাষন দিতে।
আমার অনেক ফ্রেন্ডসরা এমনকি অনেক ছোট ভাইয়ারাও আছে
সেই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করছে। তো ওরা সবাই অনেক
বার প্রেকটিস করছে, অনেকের কাছে সীটও আছে। আমার
কাছে কিছুই নেই। আর ১৪ তারিখিই এই প্রতিযোগিতার প্রথম
নিবার্চন করা হবে আর ১৫ আগষ্টই সে আমাদের স্কুলে সবার
সামনে এই ভাষনটি দিবে।
.
যাই হক একে একে সবাই ভাষন দিল ১৪ আগষ্টে আমি সবার শেষে
গেলাম, জাতির জনক সেই ঐতিহাসিক ভাষনটি আমার হ্রদয়ে ছিল তাই প্রস্তুতি ছাড়াই ভাষন দিলাম দেওয়ার
সাথে সাথে সবাই হাততালি দিয়ে উঠল। আমি প্রতিযোগিতায়
প্রথম স্থান অধিকারি হলাম।
.
স্কুল জীবনের সেই স্মৃতি গুলো অনেক আজ অনেক মনে পড়ছে।
আর আমার সব স্কুল জীবনের ফ্রেন্ডসদের খুব মিস করছি। আর
পরিশেষে আজাদ স্যারের নামে কিছু না বললেই নয়, তিনি
আমায় সবসময় শাসন করতেন, মারতেন, আমার কোন কিছু একটু
এদিক সেদিক হতে দিতেন না। আমাকে প্রতিদিন পড়া পারতেই
হবে। প্রতিনিন পড়া ধরতেন। তখন বুঝতাম ননা আজ বুঝি তিনি
আমায় সব থেকে বেশি ভালবাসতেন। আমি যদি জীবনে
প্রতিষ্ঠিত হতে পারি তাহলে তিনিই খুব খুশি হবেন এইটা আমি
ভাল করে যানি।
.
যাই হক, সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। ভাল থাকবেন।
আসসালামু আলাইকুম।।।
১৫ আগষ্ট। দিনটি আসলেই স্কুল জীবনের এক ঐতিহাসিক
ঘটনা আজ মনে পরে যায়। আমি যখন ১০ শ্রেণীতে পড়তাম সে
সময়কার ১৫ আগষ্টের একটা ঘটনা বার বার মনে হচ্ছে। ঘটনাটা
হল :
.
১৫ আগষ্টের কিছু দিন আগে আমাদের স্কুলে বঙ্গবন্ধুর সেই ৭
মার্চের ভাষণ প্রতিযোগিতা হবে। তার জন্য ক্লাসে এসে
আমাদের গণিত শিক্ষক গোফেস্বর স্যার নাম লিখে নিচ্ছে।
অনেক ফ্রেন্ডসরা তাতে অংশগ্রহন করছে। তখন আমার ক্লাসের
ফ্রেন্ডসরা মিলে আমার নামটা নিয়ে দিল,আমিও আর না
করতে পারলাম না।
.
তারপর ১৫ আগষ্টের আগে বেশ কিছু দিন টিফিনের পর
বঙ্গবন্ধুরর ঐতিহাসিক ভাষনটি প্রেকটিস হত কিন্তু আমি এক
দিনও যেতে পারতাম না কারন টিফিনের পর আমার জীবনের
অন্যতম প্রিয় শিক্ষক আজাদ স্যারের ক্লাস থাকত আর আচার্য
হলেও সত্যিইই যে, আমি তার ক্লাসে একদিনও পড়া পারতাম না।
তাই সে আমার প্রতিদিন দাড়া করিছে পড়া শিখিয়ে তারপর
বসতো আর গণিত স্যার আমাকে প্রেকটিসের জন্য ডাকলে সে
বলতো, ও তো পড়া পারে না অর যাবার দরকার নাই। ও আগে
পড়া শিখুক। তাই আমি আর একদিনো প্রেকটিস করতে পারিনি।
তো ১৪ আগষ্ট ফাইনাল। সেই দিন আমি গেলাম ভাষন দিতে।
আমার অনেক ফ্রেন্ডসরা এমনকি অনেক ছোট ভাইয়ারাও আছে
সেই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করছে। তো ওরা সবাই অনেক
বার প্রেকটিস করছে, অনেকের কাছে সীটও আছে। আমার
কাছে কিছুই নেই। আর ১৪ তারিখিই এই প্রতিযোগিতার প্রথম
নিবার্চন করা হবে আর ১৫ আগষ্টই সে আমাদের স্কুলে সবার
সামনে এই ভাষনটি দিবে।
.
যাই হক একে একে সবাই ভাষন দিল ১৪ আগষ্টে আমি সবার শেষে
গেলাম, জাতির জনক সেই ঐতিহাসিক ভাষনটি আমার হ্রদয়ে ছিল তাই প্রস্তুতি ছাড়াই ভাষন দিলাম দেওয়ার
সাথে সাথে সবাই হাততালি দিয়ে উঠল। আমি প্রতিযোগিতায়
প্রথম স্থান অধিকারি হলাম।
.
স্কুল জীবনের সেই স্মৃতি গুলো অনেক আজ অনেক মনে পড়ছে।
আর আমার সব স্কুল জীবনের ফ্রেন্ডসদের খুব মিস করছি। আর
পরিশেষে আজাদ স্যারের নামে কিছু না বললেই নয়, তিনি
আমায় সবসময় শাসন করতেন, মারতেন, আমার কোন কিছু একটু
এদিক সেদিক হতে দিতেন না। আমাকে প্রতিদিন পড়া পারতেই
হবে। প্রতিনিন পড়া ধরতেন। তখন বুঝতাম ননা আজ বুঝি তিনি
আমায় সব থেকে বেশি ভালবাসতেন। আমি যদি জীবনে
প্রতিষ্ঠিত হতে পারি তাহলে তিনিই খুব খুশি হবেন এইটা আমি
ভাল করে যানি।
.
যাই হক, সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। ভাল থাকবেন।
আসসালামু আলাইকুম।।।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.