নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সত্যের আত্মা

ফারগুসন

ফারগুসন › বিস্তারিত পোস্টঃ

বহু বছর পর আব্রাহাম লিংকন বা অন্য কারও পক্ষ থেকে যে গনতন্ত্রের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে তা আবুজেহেলদের প্রস্তাবনা হতে ধার করা

১১ ই জুন, ২০১৪ রাত ১:৫১

হে নবী  আপনি বলুন তোমাদের জন্য তোমাদের ধর্ম আর আমার জন্য আমার ধর্ম।--সূরা কাফিরুন

পন্ডিতবর্গ এ আয়াতের অর্থ করে থাকেন এমন

তোমরা স্বাধিন ভাবে তোমাদের দ্বীন মেনে চলো আর আমাকে স্বাধিনভাবে আমার দ্বীন মানতে দাও।

এ আয়াত থেকে এধরনের সুক্ষ প্রমান বের করার দক্ষতাই প্রমান করে তাদের জ্ঞানের বহর কোন সাগরের তলদেশে অবস্থিত !

ধরুন একদিন সন্ধায় আপনার একজন বন্ধু আপনাকে আবদার করে বলল

- চলো এখন গহরহাটির মেলা থেকে ঘুরে আসি।

আপনি ভাবলেন গহরহাটি বহুদুর, তাছাড়া গয়েষ পুরের মোড় পার হওয়ার পর থেকে আর কোন জনবসতি নেই। জিন ভুত যদি ছেড়েও দেয় চোর ডাকাত যে আক্রমন করতে পারে তার সম্ভবনা প্রকট। দু একদিন অন্তর অন্তর সেধরনের খবরও আপনার কানে আসে। আপনি নিতান্ত মমতা মাখা কন্ঠে বন্ধুকে সব ঘটনা খুলে বললেন কিন্তু সে নাছোড়বান্দা। বন্ধুর অসহনীয় পিড়াপিড়িতে বিরক্ত ও রাগান্বিত হয়ে আপনি চিৎকার করে বললেন

- তোর কাজ তুই কর আমার কাজ আমি করি।

আপনার এই কথা শুনে যদি আপনার বন্ধু মনে করে আপনি তাকে গহরহাটির মেলা দেখতে যাওয়ার জন্য উদ্বুদ্ধ করছেন তবে আপনার বন্ধুর মস্তিষ্কগত বিকৃতি কোন পর্যায়ের বলে আপনি মনে করেন ?

এসকল পন্ডিতরাও অনুরুপ বা ততধিক বিকৃতির স্বীকার। রসুলুল্লাহ  নবুওয়াত পাওয়ার পর থেকে সমস্ত কাফিরদের প্রকাশ্য বা গোপনে একই কথা বলে আসছেন। বাব-দাদার শিরক কুফুরের ধর্ম পরিত্যাগ করে এক আল্লাহর ইবাদত করার স্পষ্ট ও বিকল্পহীন দাওয়াতে প্রতিটি মুহর্ত ব্যয় করছেন। কিন্তু আবু জেহেল আবু লাহাবরা তার কথাই কর্নপাত না করে স্বীয় উপাস্যদিগকে নাছোড়বান্দার মত আকড়িয়ে পড়ে রয়েছে। এসংক্রান্ত বিবাদের কারনে মক্কার তথাকথিত শান্তি, অশান্তির দাবানলে পরিনত হয়েছে। বাবা-ছেলে স্বামী-স্ত্রী পরষ্পরের সহিত বিষম দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়েছে। কোন ভাবেই এই আগুন নির্বাপিত হওয়ার সম্ভবনা তিরোহিত। না রসুলুল্লাহ  রব্বুল আলামিনের পক্ষ থেকে প্রাপ্ত দায়িত্বে অবহেলা করে শিরক কুফরের বিরুদ্ধে প্রচার অভিযানে সামান্যতমও গাফেলতী করতে পারেন আর না মক্কার অহংকারী প্রভাব প্রতিপত্তিশীল নেতারা বিভ্রান্তির পচা ডোবা থেকে নিজেদের পরিষ্কার করার জন্য প্রস্তুত হতে পারে। এই অশান্তির নিরসনকল্পে মক্কার মুশরিকরা একটি অতিব চমৎকার সামাধান আবিষ্কার করে ফেলে। তারা পুরোমাত্রায় গনতান্ত্রিক মুল্যবোধে বিশ্বাসী ছিল। রসুলুল্লহ  এর আবির্ভাবের পর হতেই তারা তার সহিত গনতন্ত্র সম্মত আচরন করার সাধ্যমত চেষ্টা করেছিল। এক্ষেত্রেও তাদের প্রস্তাবটি গনতান্ত্রিক মুল্যবোধের সাথে পুরোপুরি সামঞ্জস্যশীল ছিল।মুশরিকরা বলল আমরা একবছর আল্লাহর ইবাদত করব আর আপনি এক বছর আমাদের ইলাহসমুহের ইবাদত করবেন। ( )

একটু ভাল করে চিন্তা করে দেখুন তো বহু বছর পর আব্রাহাম লিংকন বা অন্য কারও পক্ষ থেকে যে গনতন্ত্রের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে তা আবুজেহেলদের এই প্রস্তাবনা হতে ধার করা নই তো ? যাই হক আল্লাহ কিন্তু এধরনের গনতন্ত্রসম্মত আচরন পছন্দ করলেন না নিজের জমির মালিক কে হবে তা নিয়ে ভোট ভোটি ভাগা ভাগি কেই বা পছন্দ করে ? শুধু মালিক নই যিনি এই মহা বিশ্বের প্রতি ইঞ্চি মাটির সৃষ্টি কর্তা তার জমিনে তাকে ইবাদত করা হবে এটা অনস্বীকার্য বিষয়। এখানে কোনরুপ আপোস বা তোশামদের সুযোগ নেই তার দাবি করাও বাতুলতা বৈ নই। তাই কাফিরদের এই দাবির জবাবে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা সুরা কাফিরুন নাযিল করেন এবং বলে দেন তোমাদের দীন তোমাদের আর আমার দীন আমার। অর্থাৎ তোমরা শিরক ও কুফরের মধ্যে জীবনপাত করে জাহান্নামী হও আর আমাকে এক আল্লাহর ইবাদত করে জান্নাতী হতে দাও। যদি কেউ বলে এই আয়াতে শিরক কুফরকে মেনে নেওয়া হয়েছে তবে তার চেয়ে বড় জালিম আর কে আছে! অথচ আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা বলেন

أَيَأْمُرُكُمْ بِالْكُفْرِ بَعْدَ إِذْ أَنْتُمْ مُسْلِمُونَ [آل عمران/৮০]

(নবীরা) কি তোমাদের মুসলিম হওয়ার পর কুফরির আদেশ করবেন ?

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই জুন, ২০১৪ বিকাল ৪:৩৭

আহসানের ব্লগ বলেছেন: সামহোয়ার ইন ব্লগে আপনাকে স্বাগতম ।
ব্লগে লিখুন , পড়ুন আর মন্তব্য করে অন্যদের উত্‍সাহিত করুন ।
সর্বোপরী আপনার সর্বাঙ্গিন মঙ্গল কামনা করছি । ;)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.