নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মানব মঙ্গল আমার একান্ত কাম্য

মহাজাগতিক চিন্তা

একদা সনেট কবি ছিলাম, ফরিদ আহমদ চৌধুরী ছিলাম, এখন সব হারিয়ে মহাচিন্তায় মহাজাগতিক চিন্তা হয়েছি। ভালবাসা চাই ব্লগারদের, দোয়া চাই মডুর।

মহাজাগতিক চিন্তা › বিস্তারিত পোস্টঃ

মুসলিম নেতৃত্বের ক্ষেত্রে আব্বাসীয় কুরাইশ বেশি যোগ্য

১০ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১২:২৫




সূরাঃ ২ বাকারা, ১২৪ নং আয়াতের অনুবাদ-
১২৪। আর যখন তোমার প্রতিপালক ইব্রাহীমকে কয়েকটি বাক্য (কালিমাত) দ্বারা পরীক্ষা করেছিলেন, পরে সে তা পূর্ণ করেছিল; তিনি বললেন নিশ্চয়ই আমি তোমাকে মানব জাতির ইমাম বানাব; সে বলেছিল আমার বংশধরগণ হতেও; তিনি বলেছিলেন, আমার প্রতিশ্রুতি জালেমদের প্রতি প্রযোজ্য হবে না।

* হযরত ইব্রাহীম (আ.) বংশে মানব জাতির ইমাম হয়েছেন ১। হযরত মুসা (আ.) ২। হযরত দাউদ (আ.) ৩। হযরত ঈসা (আ.) ৪। হযরত মোহাম্মদ (সা.)। এ ছাড়াও এ বংশে বাদশা ছিলেন ১। হযরত সুলায়মান (আ.) ও বাদশা তালুত।

সূরাঃ ৪ নিসা, ৫৯ নং আয়াতের অনুবাদ-
৫৯। হে মুমিনগণ! যদি তোমরা আল্লাহ ও আখিরাতে বিশ্বাস কর তবে তোমরা আনুগত্য কর আল্লাহর, আর আনুগত্য কর রাসুলের, আর যারা তোমাদের মধ্যে আমির।কোন বিষয়ে তোমাদের মধ্যে বিরোধ দেখাদিলে উহা উপস্থাপিত কর আল্লাহ ও রাসুলের নিকট। ওটা উত্তম এবং পরিনামে ভাল।

সহিহ আল বোখারী, ৩২৪৭ নং হাদিসের (আম্বিয়া কিরাম অধ্যায়) অনুবাদ-
৩২৪৭।হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) থেকে বর্ণিত। নবি করিম (সা.) বলেছেন, এ দায়িত্ব (মুসলিম নেতৃত্বের) চিরকাল কুরাইশদের হাতেই থাকবে। যতদিন তাদের দু’জন লোক অবশিষ্ট থাকবে।

সহিহ আবু দাউদ, ৪৫৭৭ নং হাদিসের (সুন্নাহ অধ্যায়) অনুবাদ-
৪৫৭৭। হযরত সাফীনা (রা.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন, নবুয়তের খেলাফতের সময়কাল হলো ত্রিশ বছর। তারপর আল্লাহ যাকে ইচ্ছা রাজত্ব বা বাদশাহী দান করবেন।

হযরত সাঈদ (র.) বলেন, সাফীনা (রা.) আমাকে বলেন, তুমি হিসাব কর। আবু বকরের (রা.) শাসনকাল দু’বছর, ওমরের (রা.) দশ বছর, ওসমানের (রা.) বার বছর, আলীর (রা.) ছ’বছর।হযরত সাঈদ (র.) বলেন, আমি সাফীনাকে (রা.) জিজ্ঞেস করি যে, বনু মারওয়ান ধারণা করে যে, আলী (রা.) খলিফাদের অন্তর্ভূক্ত নন। তিনি বলেন, বনু-মারওয়ানরা মিথ্যা বলেছে।

* নবুয়তের খলিফাগণ ছিলেন হযরত ইব্রাহীম (আ.) বংশিয় কুরাইশ।

সহিহ সুনানে ইবনে মাজাহ, ২৭৭৬ নং হাদিসের (জিহাদ অধ্যায়) অনুবাদ-
২৭৭৬। আনাস ইবনে মালেকের (রা.) খালা এবং মহানবির (সা.) দুধ খালা উম্মু হারাম বিনতে মিলহান (রা.) থেকে বর্ণিত।তিনি বলেন, একদিন রাসূলুল্লাহ (সা.) আমার ঘরে ঘুমিয়ে ছিলেন। অতঃপর তিনি হাসতে হাসতে জেগে উঠলেন। আমি বললাম, ইয়া রাসূলুল্লাহ (সা.)! কে আপনাকে হাসালো? তিনি বললেন, আমার উম্মতের কতক লোককে আমার নিকট এমন অবস্থায় পেশ করা হয়েছে যে, তারা এই সমূদ্রের উপর সওয়ার হয়েছে, যেমনভাবে বাদশাহ সিংহাসনে আরোহন করে। উম্মু হারাম বললেন, তিনি তাঁরজন্য দোয়া করলেন। এরপর পুনরায় ঘুমিয়ে পড়লেন। অতঃপর প্রথম বারের ন্যায় জাগ্রত হলেন। তারপর উম্মু হারাম (রা.) অনুরূপ বললেন, রাসূলও (সা.) প্রথমবারের অনুরূপ জবাব দিলেন। উম্মু হারাম (রা.) বললেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) তাঁকে বললেন, তুমি প্রথম দলের অন্তর্ভূক্ত থাকবে। আনাস (রা.) বলেন, অতঃপর তিনি তাঁর স্বামী উবাদা ইবনে সামিতের (রা.) সাথে বের হলেন জিহাদ করার জন্য, যখন মুসলিমগণ মু’আবিয়া ইবনে আবু সুফিয়ানের সাথে সর্ব প্রথম নৌযুদ্ধে রওয়ানা করে। অতঃপর তারা জিহাদ থেকে ফিরে এসে সিরিয়ায় অবতরণ করলেন তখন সওয়ার হওয়ার জন্য তাঁর কাছে একটা জন্তুযান আনা হলো। জন্তুযানটি তাকে ফেলে দিল। এতেই তিনি ইন্তিকাল করলেন।

* হযরত মুয়াবিয়া (রা.) প্রতিষ্ঠিত উমায়া বংশের শাসনের শাসকগণ ছিলেন হযরত ইব্রাহীম (আ.) বংশিয় বাদশা।

সহিহ তিরমিযী, ৩৭০১নং হাদিসের [রাসূলুল্লাহ (সা.) ও তাঁর সাহাবীগণের মর্যাদা অধ্যায়] অনুবাদ-
৩৭০১।হযরত ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) আলআব্বাসকে (রা.) বললেন, আগামী সোমবার আপনি আমার কাছে আসবেন এবং আপনার সন্তানদেরকেও সাথেনিয়ে আসবেন।আমি আপনার জন্য এবং আপনার সন্তানদের জন্য একটি দোয়া করব, যার দরুন আল্লাহ আপনাকেও উপকৃত করবেন এবং আপনার সন্তানদেরও।সকালে তিনি গেলেন এবং আমরাও তাঁর সাথে গেলাম।তিনি আমাদের গায়ে একখানা চাদর জড়িয়ে দিলেন, এরপর বলেন, হে আল্লাহ! আল আব্বাস ও তাঁর সন্তানদের বাহ্যিক ও অভ্যন্তরীণ উভয় দিক থেকে এমনভাবে মাফ করেদিন, যারপর তাদের আর কোন অপরাধ বাকি না থাকে।হে আল্লাহ! তাঁকে তাঁর সন্তানদের অধিকার পূরণের তৌফিক দিন।

রাযীন এবাক্যটি অতিরিক্ত বলেছেন, খেলাফত এবং রাজত্ব তার সন্তানদের মধ্যে বহাল রাখ-মেশকাত ৫৮৯৮ নং হাদিস।

* আব্বাসীয় শাসকগণ ছিলেন হযরত ইব্রাহীম (আ.) কুরাইশ খলিফা ও রাজা।

সহিহ সুনানে ইবনে মাজাহ, ৪০৮৪ নং হাদিসের (ফিতনা অধ্যায়) অনুবাদ-
৪০৮৪। হযরত সাওবান (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, তোমাদের একটি খনিজ সম্পদের নিকট তিনজন নিহত হবেন। তাদের প্রত্যেকেই হবেন খলিফার পুত্র। এরপর সেই ধনাগার তাদের কেউ পাবেন না। প্রাচ্য দেশ থেকে কালো পতাকা উড্ডীন করা হবে । তারা তোমাদের এমনভাবে হত্যা করবে, যেমনটি ইতিপূর্বে কোন জাতি করেনি। অতঃপর তিনি আরো কিছু উল্লেখ করেছিলেন, যা আমার মনে নেই। আর তিনি এও বললেন, যখন তোমরা তাঁকে দেখতে পাবে, তখন তাঁর হাতে বায়াত গ্রহণ করবে, যদিও তোমাদের বরফের উপর হামাগুড়ি দিয়ে অতিক্রম করতে হয়। কেননা তিনি আল্লাহর খলিফা মাহদী।

সহিহ তিরমিযী, ২২১৫ নং হাদিসের (কলহ ও বিপর্যয় অধ্যায়) অনুবাদ-
২২১৫। হযরত আবু হোরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন, খোরাসানের দিক থেকে কালো পতাকাবাহীগণ বের হবে (মাহদীর সমর্থনে)। অবশেষে সেগুলো ইলিয়া (বায়তুল মাকদিস) এ স্থাপিত হবে এবং কোন কিছুই তা’প্রতিহত করতে পারবে না।

# হজরত উম্মে সালামা (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী কারীম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, মাহদি আমার বংশে ফাতেমার সন্তানদের মধ্যে হবে- আবূ দাউদ-১১/৩৭৩ ।

* হযরত ফাতেমার বংশে ইব্রাহীম বংশিয় কুরাইশ খলিফা হবেন মোহাম্মদ ইবনে আব্দুল্লাহ (আ.)। যাঁর খেতাব হবে ইমাম মাহদী (আ.)।

সূরাঃ ৩ আলে-ইমরান, ২৬ নং আয়াতের অনুবাদ-
২৬। বল হে সার্বভৈৗম শক্তির (রাজত্বের) মালিক আল্লাহ! তুমি যাকে ইচ্ছা ক্ষমতা (রাজত্ব) প্রদান কর এবং যার থেকে ইচ্ছা ক্ষমতা (রাজত্ব) কেড়ে নাও। তুমি যাকে ইচ্ছা ইজ্জত দান কর, আর যাকে ইচ্ছা বেইজ্জতি কর।তোমার হাতেই মঙ্গল।নিশ্চয়ই তুমি সকল বিষয়ে সর্বশক্তিমান।

সহিহ সুনানে ইবনে মাজাহ, ৩৯৫০ নং হাদিসের (ফিতনা অধ্যায়) অনুবাদ-
৩৯৫০। আনাস ইবনে মালেক (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহকে (সা.)বলতে শুনেছি আমার উম্মত পথভ্রষ্টতার উপর একত্রিত হবে না। যখন তোমরা উম্মতের মাঝে মতপার্থক্য দেখতে পাবে, তখন সর্ববৃহৎ দলের সাথে সম্পৃক্ত থাকবে।

* হযরত ইব্রাহীম (আ.) বংশে আল্লাহ মোট সাতাত্তর জনকে রাজত্ব, খেলাফত ও বাদশাহী দিয়েছেন।তাদের সবচেয়ে বড় দল ছাপ্পান্ন জন আব্বাসীয় খলিফা।

সূরাঃ ৩৫ ফাতির, ২৮ নং আয়াতের অনুবাদ-
২৮। এভাবে রং বেরং- এর মানুষ, জন্তু ও আন’আম রয়েছে। নিশ্চয়ই আল্লাহর বান্দাদের মধ্যে আলেমরাই তাঁকে ভয় করে।নিশ্চয়্ই আল্লাহ পরাক্রমশালী ক্ষমাশীল।

সূরাঃ ২৯ আনকাবুত, ৪৩ নং আয়াতের অনুবাদ-
৪৩।এসব দৃষ্টান্ত আমি মানুষের জন্য পেশ করে থাকি, যেগুলো কেবল আলেমরাই বুঝে থাকে।

সহিহ সুনানে ইবনে মাজাহ, ৩৯৫০ নং হাদিসের (ফিতনা অধ্যায়) অনুবাদ-
৩৯৫০। আনাস ইবনে মালেক (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহকে (সা.)বলতে শুনেছি আমার উম্মত পথভ্রষ্টতার উপর একত্রিত হবে না। যখন তোমরা উম্মতের মাঝে মতপার্থক্য দেখতে পাবে, তখন সর্ববৃহৎ দলের সাথে সম্পৃক্ত থাকবে।

* আলেমগণের সর্ববৃহৎ দল হযরত ইব্রাহীম (আ.) বংশিয় তিপ্পান্ন জন কুরাইশ খলিফাকে সঠিক সাব্যস্ত করে। সুতরাং আল্লাহ প্রদত্ব রাজত্বের সবচেয়ে বড় দল তিপ্পান্ন আব্বাসীয় খলিফার দল। সুতরাং ইমাম মাহদী (আ.) আসার আগ পর্যন্ত তারাই মুসলিম নেতৃত্বে থাকবে।

সহিহ মুসলিম, ৪৪৫৬ নং হাদিসের (কিতাবুল জিহাদ) অনুবাদ-
৪৪৫৬। হযরত ইবনে আব্বাস (রা.) কর্তৃক বর্ণিত। তিনি বলেন, যখন রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি তার আমিরের মধ্যে এমন কোন ব্যাপার দেখে, যা সে অপছন্দকরে তবে সে যেন ধৈর্য্য অবলম্বন করে। কেননা, যে লোক জামায়াত থেকে কিঞ্চিত পরিমাণ সরে গেল এবং এ অবস্থায় মৃত্যুবরণ করল সে জাহেলিয়াতের মুত্যুই বরণ করল।

* বাংলাদেশে আব্বাসীয় কুরাইশ মুসলিম নেতৃত্বের ক্ষেত্রে ড. এনায়েতুল্লাহ আব্বাসী ছাড়া আর কোন নেতার উপস্থিতি পাওয়া যাচ্ছে না। সুতরাং তাঁর কোন কোন দিক কারো কারো অপছন্দ হলেও বাংলাদেশের মুসলিমগণ তাদের নেতা হিসাবে তাঁরই অনুসারী হবে। এছাড়া অন্য কোন নেতার অনুসারী হয়ে কেউ পথভ্রষ্ট হলে তার পথভ্রষ্ট হওয়ার দায় একান্তই তার।

মন্তব্য ২৮ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১২:৩১

নতুন বলেছেন: আবু লাহাব কোন বংশের ছিলেন?

১০ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:০৬

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: আবু লাহাবও কুরাইশ বংশের ছিলো। কিন্তু সে মুসলিম ছিলো না। কুরাইশ বংশের মুসলিম নেতা মুসলিম হবে এবং সে জালেম হবে না।

২| ১০ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৭

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
এই নবাগত নবীর আবির্ভাব হইল কবে?

১০ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:০৭

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: ইনি নবি নন তবে নবির কুরাইশ বংশের আব্বাসীয় শাখার মুসলিম নেতা।

৩| ১০ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:২২

এম ডি মুসা বলেছেন: এই লোকটাকে দেখলে আমার মেজাজটা গরম হয়ে যায়। এই লোকটা যেইভাবে লাফালাফি করে, ইসলামে কোথাও এরকম নাই। আমাদের নবীর আচরণ ছিল খুবই সুন্দর, যার আচরণের ভিতর দিয়ে মানুষের মন গলে যেত। এই লোকটার আচরণ দেখলে মনে হয়, এখনই লাঠি সোডা নিয়ে মারামারি করবে। এই লোকটার ভিতরে কিভাবে নবীর আদর্শ আছে? আপনি মনগড়া উত্তর দিয়ে যাবেন না আপনি নবীর আদর্শ সঠিক আদর্শ আমাকে বুঝিয়ে দিবেন? কোন একটা ভিডিও আমি দেখেছি উনি বিতর্কতে জড়াইছেন কি ধরনের মন্তব্য করছেন কি করছেন? এগুলি কোন আদর্শই নবীর আদর্শের ভিতরে পড়ে না.... আশা করি আমি আপনাকে বুঝাতে পারছিআশা করি আমি আপনাকে বুঝাতে পারছি

১০ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:২৬

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: সূরাঃ ৮ আনফাল, ৬৭ থেকে ৬৯ নং আয়াতের অনুবাদ-
৬৭।দেশে ব্যাপকভাবে শত্রুকে পরাভূত না করা পর্যন্ত বন্দী রাখা কোন নবির উচিত নয়। তোমরা পার্থিব সম্পদ কামনা কর। আল্লাহ চান পরকালের কল্যাণ। আল্লাহ পরাক্রমশালী প্রজ্ঞাময়।
৬৮। আল্লাহর পূর্ব বিধান না থাকলে তোমরা যা গ্রহণ করেছ সেজন্য তোমরা মহাশাস্তিতে আক্রান্ত হতে।
৬৯। যুদ্ধে যা লাভ করেছ তা’ বৈধ ও উত্তম বলে ভোগ কর। আর আল্লাহকে ভয় কর, আল্লাহ ক্ষমাশীল, দয়ালু।

# আয়াতের শানে নজুল-
মুসনাদে আহমদে রয়েছে যে, বদরের বন্দীদের ব্যাপারে রাসূলুল্লাহ (সা.) তাঁর সাহাবীদের সঙ্গে পরামর্শ করেন। তিনি তাদের বলেন, আল্লাহ তা’আলা এ বন্দীদেরকে তোমাদের অধিকারে দিয়েছেন। বল তোমাদের ইচ্ছা কি? ওমর ইবনে খাত্তাব দাঁড়িয়ে বললেন, হে আল্লাহর রাসূর তাদেরকে হত্যা করা হোক। রাসূলুল্লাহ (সা.) তাঁর দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নিলেন। পুনরায় রাসূলুল্লাহ (সা.) বললেন, আল্লাহ তা’আলা এদেরকে তোমাদের অধীন করে দিয়েছেন, এরা কাল পর্যন্তও তোমাদের ভাইই ছিল। এবারও ওমর (রা.) দাঁড়িয়ে একই উত্তর দিলেন, হে আল্লাহর রাসূল তাদের ঘাড় থেকে মাথা বিচ্ছিন্ন করা হোক।রাসূলুল্লাহ এবারও মুখ ফিরিয়ে নিলেন এবং পূণরায় ঐ একই কথা বললেন।এবার আবু বকর সিদ্দিক (রা.) দাঁড়িয়ে গিয়ে আরয করলেন, হে আল্লাহর রাসূল (সা.) আমার মত এই যে, আপনি তাদেরকে ক্ষমা করে দিন এবং তাদের থেকে মুক্তিপণ আদায় করুন। এ কথা শুনে রাসূলুল্লাহর (সা.) চেহারা থেকে চিন্তার ছাফ দূর হয়। তিনি সাধারন ক্ষমা ঘোষণা করেন এবং মুক্তিপন নিয়ে সবাইকে মুক্ত করে দেন। তখন মহিমাম্বিত আল্লাহ এ আয়াত নাযিল করেন। -তাফসিরে ইবনে কাছির।

* রাসূলের (সা) একটি কাজ উচিত হয়নি সেটা বলেছেন আল্লাহ। আব্বাসীর কোন কাজ আপনার উচিত মনে নাও হতে পারে। নেতৃত্বের ক্ষেত্রে কার কি উচত মনে হয় অথবা হয় না এসব শেষ কথা নয়। তবে সব দিক বিবেচনায় বাংলাদেশে এখন মুসলিমদের নেতৃত্বের ক্ষেত্রে তাঁর থেকে বেশী যোগ্য কেউ আছে বলে আমার মনে হয় না।

৪| ১০ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:৪৩

এম ডি মুসা বলেছেন: আমি যেটার উত্তর চাইছি সেটার উত্তর দেন, তার ব্যক্তি আচরণের সাথে নবীর আচরণ কতটুকু মিল আছে?

১০ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৬

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: আব্বাসীয় কুরাইশদের মধ্যে তাঁর চেয়ে বেশী যোগ্য কেউ আছে কি? যদি না থাকে তবে আর মিলামিলি দিয়ে কি করব?

৫| ১০ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৫:৪৪

কামাল১৮ বলেছেন: বাংলাদেশে কোরায়েশী আব্বাসীতে ভরা।চৌদ্দশ বছরের বংশধারা কারো নাই।বেশির ভাগ মানুষ দাদার বাপের নাম জানে না।
উন্নত দেশে বাপের নাম কোন কাজে আসে না।কোথাও বাপের নাম নিখতে হয় না।নিজের নামেই সে সব যায়গায় পরিচিত।বাপের নামের বদলে তারা ব্যবহার করে জন্ম তারিখ।ডিএনয়ে টেষ্ট না করে সঠিক বাপের নাম জানা সম্ভব না।

১০ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৫:৪৯

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: আপনি তো আর ধর্ম-কর্ম করেন না, সুতরাং আপনার এ বিষয়ে মাথা না ঘামালেও চলে।

৬| ১০ ই মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫৫

রানার ব্লগ বলেছেন: আপনি এই লোকের তাবেদারী কেনো করছেন? এই লোকের মুখের ভাষায় সমস্যা আছে। এই লোক যে কুরাইশ বংশের এর প্রমান কি? এমন অনেকেই নিজেকে নবীর বংশ ঘোষনা দিয়েছে। ফকা সাকা গিকা এদের মধ্যে অন্যতম। অহেতুক অন্যের তাবেদারি করা থেকে বিরত থাকুন। আর এই লোক যদি আপনাকে এই সব লিখতে উতসাহিত করে আপনি বিশাল ঘোরের মধ্যে আছেন। বেরিয়ে আসুন।

১০ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:৩৬

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: আমি যখন দাখিল পরিক্ষার্থী। তখন আমাদের এলাকায় আব্বাসীদের বংশের একজন আলেম আমাদের এলাকায় আসেন। আমার আব্বা তাঁর দোয়া নিতে আমাকে তাঁর নিকট নিয়ে যান। আমি তখন এদের প্রতি আকৃষ্ট ছিলাম না। কিন্তু হুজুর আমার মাথা নোয়ায়ে আমার মাথায় এবটা ফু দেন। সেরাতে যখন ঘুমাতে গেলাম তখন আমার মনে হলো আমি সমগ্র জগতের যিকির শুনছি। জগতের প্রতি মনোযোগ দিলে আমি এখনো জগতের যিকির শুনি। তারপর থেকে আমি স্বপ্নে আল্লাহ ও রাসূলের (সা।) দিদার পেতে থাকি। এ যাবৎ আল্লাহর দিদার পেয়েছি চার বার এবং রাসূলের (সা) দিদার পেয়েছি পাঁচ বার। তখন থেকে আমি ইসলামের কোন বিষয়ে লিখতে গেলেই লিখতে পারছি। দু’হাজার ষোল শাল থেকে আমি ফেসবুকে লিখছি। একটা বড় গ্রুপ আমাকে তাদের মডারেটর বানিয়েছে। অনেক বড় গ্রুপে আমার পোষ্ট অটো এপ্রুভ হয়। অনেক গুলো গ্রুপে আমি আবার এডমিন। এ যাবৎ আমি হাজার হাজার পোষ্ট দিয়েছি। কিন্তু ফেসবুকে কেউ আমার বিরোধীতা করে না। কালে ভ্রদ্রে কেউ কেউ বিরোধীতা করতে আসলেও তারা অল্পতে থেমে যায়। সুতরাং আমি এমন কিছু বুঝতে পারছি যা হয়ত আপনি বুঝতে পারছেন না।

৭| ১০ ই মে, ২০২৪ রাত ৮:৪১

পুরানমানব বলেছেন: আপনি আউলায়ইয়া যাইতেছেন মহাশয়। আপনার এত এত গবেষণার ফল যে অবশেষে এই আব্বাসির নিকট ধরা খাইলো ইহা হাস্যকর। আপনিতো মশায় লাইনচুত্য হইয়াছেন। কয়েকদিন সনেট লিখিয়া মন জুরায়ে লন। এরপর একখানা ভাল মনের অভিজ্ঞতা সম্পন্ন আলেমের সাথে বসিয়া আলোচনা করুন। উপকার পাইবেন। আবার যেন তাহেরির কাছে যাইয়েন না

১০ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:৩৭

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: আনার পরিচিত দু’ একজন বড় আলেমের নাম বলুন।

৮| ১১ ই মে, ২০২৪ সকাল ৮:০১

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: আছা তাহেরী হুজুরকে আমাদের নেতা বনালে কেমন হয়? লোকটা মাহফিল বেশ গরম করতে পারে, আব্বাসীর চাইতে তার ভক্তও অনেক বেশি।

১১ ই মে, ২০২৪ সকাল ৯:৫২

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: তিনি হযরত ইব্রাহীম (আ) বংশিয় কুরাইশ নন। আনসার সাহাবায়ে কেরামও (রা) কুরাইশ না হওয়ায় মুসলিমদের নেতা হতে পারেন নাই।

৯| ১১ ই মে, ২০২৪ সকাল ৮:০৪

পুরানমানব বলেছেন: আপাতত উনার থেকে শুরু করিতে পারেন।

১১ ই মে, ২০২৪ সকাল ৯:৫১

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: তিনি হযরত ইব্রাহীম (আ) বংশিয় কুরাইশ নন। আনসার সাহাবায়ে কেরামও (রা) কুরাইশ না হওয়ায় মুসলিমদের নেতা হতে পারেন নাই।

১০| ১১ ই মে, ২০২৪ সকাল ৯:৪৮

অপু তানভীর বলেছেন: কিন্তু হুজুর আমার মাথা নোয়ায়ে আমার মাথায় এবটা ফু দেন। সেরাতে যখন ঘুমাতে গেলাম তখন আমার মনে হলো আমি সমগ্র জগতের যিকির শুনছি। জগতের প্রতি মনোযোগ দিলে আমি এখনো জগতের যিকির শুনি। তারপর থেকে আমি স্বপ্নে আল্লাহ ও রাসূলের (সা।) দিদার পেতে থাকি

হুজুরের ফু তে দেখছি অনেক পাওয়ার ! হুজুরকে দিয়ে একটা গন ফু দেওয়ার ব্যবস্থা করানো যেতে পারে। আপনার কী মত?

১১ ই মে, ২০২৪ সকাল ৯:৫৩

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: আমিই হুজুরের নিকট যেতে চাইনি। আব্বা জোর করে নিয়ে ছিলেন। গণ ফু এর ব্যবস্থা কেমন করে করা যাবে?

১১| ১১ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:২৪

ধুলো মেঘ বলেছেন: এই হুজুর কথাত কথায় ফতোয়া জারি করে। সূরা কাহাফের ১১০ নং আয়াত অস্বীকার করে দুর্বল হাদীসের রেফেরেন্সে। রাসূলের (স) নাকি ছায়া পড়তো না, মল মূত্র কিছুই মাটিতে পড়তো না - এইরকম উদ্ভট সব কথা বলে মাহফিল গরম করে। যখন তখন যার তার বিরুদ্ধে অবরোধ আরোপ করে। এই লোক যদি নিজেকে আব্বাসীয় দাবি করে - আমি বলবো, লোকটা মিথ্যাবাদী।

১১ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:৪৮

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: সূরাঃ ১০১ কারিয়া, ৬ নং ও ৭ নং আয়াতের অনুবাদ-
৬। তখন যার (নেকের)পাল্লা ভারী হবে
৭। সেতো লাভ করবে সন্তোষ জনক জীবন।

* ভালোর পাল্লা ভারী হলেই কোন লোককে ভালো বলা যায়। আর দোষহীন কোন লোক পাওয়া যাবে না। আপনার তাঁকে মিথ্যাবাদী মনে হলেও আমার তেমনটা মনে হয় না।

১২| ১১ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:২৫

অপু তানভীর বলেছেন: গন ফু এর ঘটনা বলি । আমি যখন স্কুলে পড়ি আমাদের পাশের জেলাতে একজন হুজুরের আবির্ভাব হয়েছিলো । তার ফু দেওয়া পানিতে নাকি ক্যান্সারও ভাল হয় । তিনি কিভাবে ফু দিতেন জানেন? দুই সারি করে মানুষ মুখোমুখো দাড়াত। তাদের হাতে থাকতো পানির বোতল, বোতলের মুখ খোলা। আর হুজুর সাহেব মাঝ দিয়ে দৌড়াতেন ফু দিতে দিতে । এই রকম কিছু ব্যবস্থা করা যায় কিনা দেখেন !

১১ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:৫১

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: জনগণ ফু নিতে না গেলে গণ ফু এর ব্যবস্থা করা যাবে না।

১৩| ১১ ই মে, ২০২৪ সকাল ১১:৩১

অপু তানভীর বলেছেন: আপনিও তো ফু নিতে চান নি । কিন্তু দেখেন আপনি আলোর পথে চলে এসেছেন । এই ভাবে সবাইকে আলোর পথে আনতে হবে । বিশেষ অগ্নিবেশ আর নতুন ভাইকে সবার আগে ফু দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে ! :D

১১ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৩:৫১

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: তারা ফু নিতে যাবে না।

১৪| ১১ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১২:০৬

প্রামানিক বলেছেন: আব্দুর রাজ্জাক বিন ইউসুফও তো কম না

১১ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৩:৫৪

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: আব্দুর রাজ্জাক বিন ইউসুফ হযরত ইব্রাহীম (আ) বংশিয় কুরাইশ না। মুসলিমদের ক্ষেত্রে তার নেতৃত্ব গ্রহণযোগ্য নয়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.