নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

হাজার সনেটের কবি।

ফরিদ আহমদ চৌধুরী

বিষয় যতই জটিল হোক,ভাবতে ভালো লাগে

ফরিদ আহমদ চৌধুরী › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইসলাম ও ইচ্ছার স্বাধীনতা

০৮ ই নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ৮:২০



যেমন ইচ্ছা জীবন যাপনের বিরোধী ইসলাম, এ জন্যই ইসলামের জঘণ্য বিরোধীতা।ইসলাম হলো আল্লাহর ইচ্ছার প্রতি আত্মসমর্পন। আল্লাহর ইচ্ছা অনেকের পছন্দ নয়। নারী-পুরুষের অবাধ মেলামেশা অনেকের পছন্দ। এ ক্ষেত্রে আল্লাহর রয়েছে অনেক বিধি-নিষেধ।সে জন্য তারা আল্লাহকে বলে মানিনা মানিনা। আল্লাহ আছে কিনা জানিনা জানিনা।অথচ মুছা (আঃ) ও মোহাম্মদ (সা.) আল্লাহর সাথে কথা বলেছেন।তারা বলে আমরাতো আল্লাহর সাথে কথা বলিনি। আমরা কথা বলিনি অন্য লোক কথা বলেছে, এমন অনেক লোককে আমরা অবলিলায় বিশ্বাস করি। কিন্তু আল্লাহর ক্ষেত্রে আমাদের যুক্তি বদলে যায়।আল্লাহর ইচ্ছা অনুযায়ী চলতে না চাওয়ার কারণে এমন মনভাব তৈরী হয়।

ইবলিশকে আল্লাহ আদমকে (আ.) সিজদা করতে বললেন। ইবলিশের আল্লাহর ইচ্ছা অনুযায়ী আদমকে (আ.) সিজদা করতে ইচ্ছা হলোনা।তার নিজেকে আদমের (আ.) চেয়ে উত্তম মনে হলো। সেজন্য আদমকে (আ.) সিজদা করতে তার সংকোচ দেখা দিল। সে আল্লাহকে মানিনা মানিনা এর কাতারে দাঁড়িয়ে গেল।আল্লাহ শয়তানের বিরুদ্ধে পাল্টা ব্যবস্থা নিলেন। এখানে শয়তান পক্ষের লোকদের দাবী আল্লাহর আদেশ অন্যায় ছিল, সেজন্য শয়তান সেটা মানতে পারেনি। কিন্তু আল্লাহর বিচার করবে কে? কে তাঁকে দন্ড দিবে? তবে তাঁর অন্যায় নিয়ে ভেবে আর কি লাভ? তারচে এটাই ভাল যে আল্লাহর দাবী অনুযায়ী তাঁর কোন অন্যায় নেই এটা মেনে তাঁকে মেনে চলা যদি কেউ তাঁর শাস্তি থেকে বাঁচতে চায়। আল্লাহর শাস্তি থেকে যেহেতু পালিয়ে যাওয়ার কোন রাস্তা নেই সেহেতু তাঁর ইচ্ছাই আমার ইচ্ছা হওয়া উচিত। আমি কিন্তু মোটেও বলছিনা আল্লাহ মন্দ। আমি বলছি আল্লাহকে মন্দ ভাবায় মূলত কোন লাভ নেই। এটা একটা বেদরকারী কাজ। কাজেই আল্লাহ অমুক করলেন কেন? তমুক করলেন কেন? এমন সব প্রশ্ন অবান্তর। কারণ আল্লাহ আমাদের নিকট তাঁর কাজের কৈফিয়ত দিতে বাধ্য নন। তিনি যা ইচ্ছা করবেন। আর তাঁর শাস্তি থেকে বাঁচতে হলে আমাদেরকে উল্টা আল্লাহর ইচ্ছা মত চলতে হবে। আর যদি আমরা তেমন না চলি। তবে আমাদের জন্য শাস্তির ঘোষণা দেওয়া আছে। অবকাশ সময় শেষ হলেই আমাদের পাওনা আমাদেরকে বুঝিয়ে দেওয়া হবে।

শৈশব থেকেই আমি এটা ভেবেছি যে আল্লাহ নবি (সা.) ইসলাম এসবের দোষ ভেবে আমার কিলাভ? যদি এতে কোন লাভই না থাকে তবে এ সংক্রান্ত ভাবনা বন্ধ। লাভ কিসে হয়? আল্লাহ নবি (সা.) ও ইসলামের সুনাম করলে লাভ হয়। ভাবলাম তবে তাই করি। আল্লাহ নবি (সা.) ও ইসলামের সুনাম করার মত অনেক বিষয় রয়েছে। আলোচনা চলবে সে সব বিষয়ে। আর অলাভ জনক বিধায় এসবের বদনাম সংক্রান্ত বিষয় আলোচনা বন্ধ থাকবে। অবশ্য আল্লাহ নবি (সা.) ও ইসলামের বদনাম মূলত সঠিক নয়। সেটাও আমরা প্রমাণ করতে পারি।

ইসলামে নিজের ইচ্ছাকে জলাঞ্জলি দিতে হয় এটাই অনেকের অসহ্য। নিজের ইচ্ছা জলাঞ্জলি দিয়ে কোথাকার কোন আল্লাহ আছে না নাই যার নাই কোন ঠিক ঠিকানা, কোথাকার কোন আরব নেতা মোহাম্মদ (সা.) ঠিক বলেছে না বেঠিক বলেছে যার নাই সনাক্ত তাদের কথামত চলা মহা কষ্টকর। তারা এটা পারেনা, কিছুতেই পারেনা। যারা তাদের কথা মানতে বলে তারা তাদের মাথা চিবিয়ে খেতে চায়।যদিও আল্লাহ তাঁর নবি (সা.) ও ইসলামের সঠিকতার অকাট্য প্রমাণ রয়েছে। যারা এর তালাশ করেনা তারা এটা পায় কেমন করে? সার কথা হলো ইসলাম বিষয়ে জাহেলিয়াত বা অজ্ঞতার কারণে নিজের ইচ্ছার বিপরিতে ইসলাম মানায় যাদের ঘোর আপত্তি তারাই ইসলামের চরম বিরোধী। আর এটাই তাদের ইসলাম বিরোধীতার যথাযথ কারণ।

বিঃদ্রঃ ‘ইসলামের সঠিকতার অকাট্য প্রমাণ’ গ্রন্থের একটি অধ্যায় হিসেবে লেখাটি লেখা হয়েছে।

মন্তব্য ১৮ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১৮) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ৮:৩৫

কালো_পালকের_কলম বলেছেন: সুন্দর উপস্থাপন

০৮ ই নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:০৪

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: নিরন্তর শুভেচ্ছা জানবেন।

২| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ৮:৪৭

রাজীব নুর বলেছেন: শুভ সকাল চাচাজ্বী।
আসসালামুয়ালাইকুম।
খুব সুন্দর লিখেছেন।

০৮ ই নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:০৫

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

৩| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:৩৭

হাবিব বলেছেন: প্রিয় সনেট কবি........
আসসালামুআলাইকুম.....

০৮ ই নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:০৬

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: ওয়ালাইকুম সালাম স্যার। আল্লাহর নাম গুলো নিয়ে আপনার সনেট আশা করছি।

৪| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:২১

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: "ইসলামের সঠিকতার অকাট্য প্রমাণ" গ্রন্থের একটি অধ্যায় হিসেবে লেখাটি পড়ে মনে হয়েছে, আপ্নার যুক্তি এখানে তত জোড়ালো নয়। আপনি মাছের তেল দিয়ে মাছ ভাঁজতে চেষ্টা করছেন। "ইসলামের সঠিকতার অকাট্য প্রমাণ" গ্রন্থটিতে নিশ্চয়ই পাঠক যুক্তিযুক্ত আলোচনা, যথাযথ রেফারেন্স, তথ্যের সঠিকতা, যথা সম্ভব বিজ্ঞান ভিত্তিক আশা করেন। আপনার দুটি পোষ্ট পড়ে মনে হলো, এগুলো অবিশ্বাসীদের জন্য যথেষ্ট চ্যালেঞ্জ জানাতে সক্ষম হবেনা। আপনি উদ্দেশ্য যদি বিশ্বাসীদের জন্য হয় তাহলে মোটামুটি ঠিক আছে। এতে তাদের বিশ্বাস হয়ত একটু রাইজিং হবে।

তবে আপনাকে সাধুবাদ এই ধরণের প্রচেষ্টার জন্য। শুভ কামনা থাকল।

০৮ ই নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:০৩

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: ইসলামের সঠিকতার অকাট্য প্রমাণ দিতে গেলে আগে ইসলাম আসলে কি সেটা খোলাসা করতে হবে। প্রমাণ ক্রমাম্বয়ে আসবে। এখানে বুঝানো হয়েছে ইসলাম ইচ্ছার স্বাধীনতা স্বীকার করেনা।

৫| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:০৭

বলেছেন: নিষিদ্ধ কাঁটা ক্ষেতে ঘুরাফিরা করতে গিয়ে যাদের লেজ কেটে গিয়েছে, স্বভাবতই তারা অন্যদের কাছ থেকে চাইবেঃ
- লেজ থাকলে যে আসলেই কুৎসিত দেখায়, সেটা প্রমাণ করা। যাতে অন্যেরা সেই লেজ কেটে ফেলে, অথবা
- যারা লেজ রাখতে চায়, তাদেরকে নিষিদ্ধ কাঁটাক্ষেতে যেতে প্রলুব্ধ করা।

০৮ ই নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:০৬

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: ভাল।

৬| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:১১

স্বপ্নীল ফিরোজ বলেছেন: আপনার বইটির পিডিএফ কপি পোস্ট করলে পাঠক পড়তে পারত।

০৮ ই নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:০৯

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: আমার বইয়ের সফট কপি আপাতত আমার কাছে নেই। হার্ড কপি আছে। রকমারিতে পাওয়া যায় ওরা যতটুকু দিয়েছে তত টুকু। রকমারিতে আল্লাহর অকাট্য প্রমাণ লিখে সার্চ দিলে আমার বই পাওয়া যায়।

৭| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:৩১

ভিন্নচিন্তা ভিন্নমত ভিন্নপথ বলেছেন: @ ফরিদ আহমদ চৌধুরী - জনাব, আপনার বক্তব্য,যুক্তি উপস্থাপন গ্রাম্য পান চিবানো ওয়াজী মোল্লাদের মতো। হাট-বাজারে অনুষ্ঠিত মাহফিলের উপযুক্ত। কিন্তু ব্লগে এইসব যুক্তি দেখিয়ে অন্তত ধর্মহীন/সংশয়বাদীদের impress করতে পারবেন না।

আধুনিক দুনিয়া সম্পর্কেও আপনার ধারনা স্বল্প। নারী পুরুষের অবাধ মেলামেশা সামাজিক বাস্তবতা। পাশ্চাত্যের সবদেশ, উত্তর আমেরিকা, মেক্সিকো, দক্ষিণ আমেরিকার সবদেশ, এশিয়ার চীন,জাপান কোরিয়া ফিলিপাইন, ক্যারিবিয়ান দেশসমূহ নারী পুরুষের অবাধ মেলামেশায় অভ্যস্ত। বেশিরভাগ দেশে খৃস্টান অথবা বৌদ্ধ। তার মানে কি তারা কি সবাই উচ্ছেন্নে গেছে ? অধিকাংশ দেশেই উন্নত বিশ্বের । আপনাদের আফগানিস্তান, ইয়েমেন, লিবিয়া, ইরাক, সিরিয়া নাইজেরিয়া ,পাকিস্তান থেকে হাজার গুণ ভালো আছে ।

সর্বশেষ প্রশ্ন, নারী পুরুষের অবাধ মেলামেশার দেশ ইউরোপে, আমেরিকায় অথবা ব্রিটেনে যাওয়ার জন্য মুসলিমরা এত পাগল কেন ?

০৮ ই নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:৩৬

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: কি ভাল আর কি মন্দ সেটা এখানে আলচ্য বিষয় নয়। অন্যদের সাথে ইসলামের দূরত্ব এখানে মূল প্রতিপাদ্য। আপনি সম্ভবত আমার বক্তব্য ঠিক বুঝতে পারেননি। সে জন্য আপনার বিষয়টা সে রকম মনে হয়েছে।

৮| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:০১

এস এম ইসমাঈল বলেছেন: মা'শা, আল্লাহ! যুক্তিগুলো আরও শানিত ও প্রমান/রেফারেন্সসহ দিতে পারলে আরো লেখাটা আরও বেশী প্রামাণ্য ও গ্রহনযোগ্য হতে পারতো। একটা ভাল উদ্যোগের জন্য মুবারাকবাদ।

০৯ ই নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ৭:২৮

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: এক অধ্যায়েতো সব উপস্থাপন করা যাবেনা। সে গুলো আশাকরি ভিন্ন ভিন্ন অধ্যায়ে ভিন্ন ভিন্ন ভাবে আসবে-ইনশাআল্লাহ।

৯| ০৯ ই নভেম্বর, ২০১৮ ভোর ৬:৫৫

এস এম ইসমাঈল বলেছেন: আপনার ৪ নং প্রতি মন্তব্যের সাথে একমত হতে পারছিনা বলে দুঃখিত। ইসলাম মানুষকে ইচ্ছার স্বাধীনতা দিয়েছে শুধু এই দুনিয়ার জীবনের জন্য। এই করমের স্বাধীনতা আছে বলেই মানুষকে হাশরের মাঠে জবাবদিহি করতে হবে। পশু-পাখিদের কোন রকম হিসাব কিতাব নেয়া হবে না। আশা করি বিষয়টা পরিস্কার করতে পেরেছি।আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।

০৯ ই নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ৭:২৬

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: ইচ্ছামত চলতে দিয়েছে বলেই ইচ্ছেমত চলা কোন ভাল কাজ নয়। বরং আল্লাহর ইচ্ছামত চলাতেই তাঁর শাস্তি থেকে মুক্তি মিলবে। আমি এটাই বুঝাতে চেষ্টা করেছি। যা আপনি বুঝতে পারেননি বলে আমার সাথে একমত হতে পারেননি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.