নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

হাজার সনেটের কবি।

ফরিদ আহমদ চৌধুরী

বিষয় যতই জটিল হোক,ভাবতে ভালো লাগে

ফরিদ আহমদ চৌধুরী › বিস্তারিত পোস্টঃ

আল্লাহর কাজের নমুনা-১

০৯ ই নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ৭:১৮



কাজের নমুনা দেখে মানুষ বলে এটা অমুকের কাজ না হয়ে পারেনা। যেমন তারা জুতা সেলাই দেখে বলে এটা অবশ্যই মুচির কাজ আর পেট সেলাই দেখে বলে এটা অবশ্যই ডাক্তারের কাজ। অনুরূপ জামা সেলাই দেখে বলে এটা অবশ্যই দর্জির কাজ। এখানে একজনের কাজকে তারা কিছুতেই অন্যের কাজ বলে দাবী করেনা। যেমন তারা কিছুতেই পেট সেলাইকে মুচির কাজ বলেনা।অনুরূপ কোন কাজ দেখে যদি বলতেই হয় যে এটা অবশ্যই আল্লাহর কাজ, এটা আল্লাহ ছাড়া অন্যকারো কাজ নয়, তবে আর আল্লাহকে অস্বীকার করা যায় কিভাবে? কারো কাজ আছে সে নেই এমনটা তো আর বলা যায়না।

আল্লাহর কাজ সম্পর্কে আল্লাহ বলেছেন, লাকাদ খালাকনাল ইনসানা ফি আহসানি তাকভীম-নিশ্চয়ই আমি মানুষকে সর্বোত্তম আকৃতিতে সৃষ্টি করেছি। সূরা ৯৫, সূরা আত-তীন, আয়াত নং-৪। এখানে আল্লাহ মানুষকে সৃষ্টিকরার দাবী করেছেন।প্রমাণ হিসেবে বলেছেন মানুষের সর্বোত্তম আকৃতি।কারণ সর্বোত্তম হতে ভুল মুক্ত হওয়ালাগে।সীমাবদ্ধ কেউ ভুল মুক্ত হতে পারেনা। কারণ কাজ যদি তার সীমা অতিক্রম করে হয় তবে ভুলতো দূরের কথা সে কাজটা করতেই পারবেনা। যেমন মুচি যদি ডাক্তারি বিদ্যা মোটেও না জানে তবে সে কিছুতেই পেট সেলাই করতে পারবেনা।আবার বিদ্যা না থাকলে রিক্সা চালকের পক্ষ্যে কিছুতেই উড়ো জাহাজ চালানো সম্ভব নয়। কোন মহাজ্ঞানীও যদি বলে এটা সম্ভব তবে এটা বিশ্বাস যোগ্য হবেনা যদি না রিক্সাওয়াণা বিমান চালানো না শিখে।অনুরূপ সসীমের পক্ষ্যে ভুলমুক্ত থাকা অসম্ভব। আবার কাজের সর্বোত্তম মাত্রায় পৌঁছানোও অসম্ভব। জ্ঞান ও বুদ্ধিগত ত্রুটির কারণে সসীমের কোন কাজকে সর্বোত্তম মনে হলেও দেখা যায় পরে এরচেয়ে উত্তম কেউ করে ফেলেছে। যে সর্বোত্তমের চেয়ে উত্তম বানানো যাবেনা তার জন্য অসীম হওয়া দরকার। অসীমে তথ্যগত ঘাটতি না থাকায় তাতে ভুল কিছুতেই স্থানলাভ করতে পারেনা।ভুলহতে গেলেও শুদ্ধতথ্যের আমদানীতে কাজটা শুদ্ধ হয়ে যায়। ভুল আর হতে পারেনা। এজন্য পদ্ধতিগতভাবেই অসীমের ভুল হতে পারেনা। অসীম একজনের বেশী হতে পারেনা। কারণ অসীমকে একাধীক করতে এর সীমা দিতে হবে। আর সীমা দিলে অসীম আর অসীম থাকেনা। সসীম হয়ে যায়। সে জন্য অসীম একাধীক হওয়া সম্ভব নয়। কাজেই দাবীকৃত সর্বোত্তম কাজটি অসীমের এবং সেটা শুধুই একজনের। তাঁর নাম আল্লাহ। অন্য কেউ অন্য কোন নাম দিলেও তিনি একজন। একজনের একাধীক নাম পার্থক্য শুধু এটা।কাজেই মানুষ আল্লাহর সৃষ্টি এটা সাব্যস্ত। এখন যার কাজ আছে তিনি নেই এটা সঠিক কথা নয়। আপনি দেখুন অথবা না দেখুন কাজ যাঁর আছে তিনি অবশ্যই আছেন।

মানুষের আকৃতি কি আসলেই সর্বোত্তম? তাহলে কাগজে-কলমে এর অঙ্গসজ্জা একটু পরিবর্তন করে দেখুন না এর চেয়ে উত্তম হয় কিনা। অথবা মাটি দিয়ে ব্যতিক্রম মুর্তি গড়েও দেখতে পারেন যে মানুষ আপনি দেখছেন তারচেয়ে উত্তম আকৃতি হয় কিনা।যদি না হয় তবেতো এটাই সর্বোত্তম আকৃতি।যেমন ধরুন মানুষের নাক থাকলো পিঠে। মুখ থাকলো মাথার পিছনে। চোখ যথাস্থানে থাকলো। তো মানুষটা কেমন দেখতে হলো? আর তার সুবিধা কি হবে? ডাল মাখা ভাত প্রথমে পিঠে নিয়ে শোঁকাও সেটা পঁচা কি না। তারপর অন্য দিকে দেখাও ময়লা আছে কিনা। এরপর মুখে তুলতেই সব গায়ে পড়ে একাকার। আর এখন কত সুবিধা। সব আছে এক জায়গায় সামনে খাবার আসলেই চোখ দেখে তাতে ময়লা আছে কি না। মুখের কাছে খাবার তুলতেই নাক বলে সেটা পঁচা কি না। এরপর বিনা দিধায় মুখে পুরো। কত সুবিধা। কাজেই সাব্যস্ত হলো মানুষের বিদ্যমান আকৃতি সর্বোত্তম। এরচেয়ে উত্তম আকৃতি সম্ভব নয়।সংগত কারণে এটা আল্লাহর কাজ। আর কাজ দ্বারাই আল্লাহ সাব্যস্ত। সুতরাং তাঁকে অস্বীকারের কোন পথ নেই। তাঁকে অস্বীকারকরতে বেকুব হওয়া জরুরী।আল্লাহ নিজেও কোরআনের স্থানে স্থানে বলেছেন।জ্ঞানবানদের জন্য তাঁর নিদর্শন রয়েছে।

এবার প্রত্যেকে নিজেকে জিজ্ঞেস করুন, মানুষকে আল্লাহ ছাড়া অন্য কেউ বানানো সম্ভব কি না। অথবা মানুষ নিজে নিজে হতে পারে কি না। তথাপি যদি আপনি আল্লাহকে স্বীকার করতে না পারেন। তবে শেষ বিচারে জাহান্নামে নিক্ষেপ হওয়ার পর হয়ত স্বীকার করতে পারবেন। আর তখনও অস্বীকার করলে ক্ষতি নেই। কারণ তখন আপনার অস্বীকারে পাপের শাস্তি আপনি পেতে থাকবেন। আর তখন অস্বীকার করলে আরো ভাল। কারণ আপনার কষ্টের দায় আর আপনি আল্লাহর উপর চাপাবেন না। আপনি তখন বলবেন প্রকৃতিগত ভাবেই আপনি এখানে এসে পড়েছেন। আর প্রকৃতিগত ভাবেই আপনি কষ্ট পাচ্ছেন। কাজেই কারো প্রতি আপনার কোন অভিযোগ থাকবেনা। আর যদি অভিযোগ করেনও তবে আল্লাহ বলবেন আরে না না তোমার বিশ্বাস অনুযায়ী তুমিতো এমনি এমনি শাস্তি পাচ্ছ। তোমাকে আবার শাস্তি দেয় কে? আর মুক্তিইবা তোমাকে কে দেবে? অনুরূপ যারা দেব-দেবীতে বিশ্বাস করেছে আল্লাহ তাদেরকে বলবেন, তোমাদের দেব-দেবীদেরকে ডাক। তারা তোমাদেরকে উদ্ধর করুক। আমার কাছে তোমাদের আরজি পেশের কোন সুযোগ নেই। কাজেই সময় থাকতে আল্লাহকে বুঝে তাঁর কাছ থেকে ভাল কিছু পাওয়ার চেষ্টা করা সংগত। বিগত সময় চলে গেলে আর পাওয়া যায় না।

বিঃদ্রঃ ‘ইসলামের সঠিকতার অকাট্য প্রমাণ’ গ্রন্থের একটি অধ্যায় হিসেবে লেখাটি লেখা হয়েছে।

মন্তব্য ২৮ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (২৮) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:০৭

সাত সাগরের মাঝি ২ বলেছেন: মানুষের আকৃতিই সর্বোত্তম। অবশ্যই।

০৯ ই নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:৩৬

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: সামান্য পরিবর্তন করলেও এটা আর সর্বোত্তম থাকেনা। এটা বিস্ময়কর।

২| ০৯ ই নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:১২

সাইয়িদ রফিকুল হক বলেছেন: প্রতিটি মানুষের বিনাবাক্যব্যয়ে আস্তিক তথা স্রষ্টায় বিশ্বাসী হওয়া উচিত।

তাঁর অবস্থান সর্বত্র।

০৯ ই নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:৩৭

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: জাহেল বা অজ্ঞরাই আল্লাহকে অস্বীকার করে।

৩| ০৯ ই নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:৫২

আব্দুল্লাহ্ আল মামুন বলেছেন: সুন্দর। ভালো বুঝিয়ে বুঝিয়ে লিখেছেন। যে কেউ বুঝতে বাধ্য।।। ভালো

০৯ ই নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:৩৯

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: কেউ আল্লাহকে বুঝার চেষ্টা করলে আল্লাহও তাকে সাহায্য করেন। কিন্তু কেউ আল্লাহকে বুঝার চেষ্টাই যদি না করে তবে তাকে বুঝানোর কোন দায় আল্লাহর নেই।

৪| ০৯ ই নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:৫৬

আব্দুল্লাহ্ আল মামুন বলেছেন: একটা নিক নেইম শায়মাস কিচেন। সে কিসব নোংড়া ছবি মন্তব্যে দিচ্ছে। সামু দেখেনা? আমার প্রতিটা লেখাতে মন্তব্য করা। কয়টা ডিলেট করবো. বুঝিনা

০৯ ই নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:৪২

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: এ ধরনের অভিজ্ঞতা অনেকেরই আছে। সামু অবশ্য ব্যবস্থা গ্রহণ করে।

৫| ০৯ ই নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:২৪

রাজীব নুর বলেছেন: মাঝে মাঝে মনে হয়- জীবনেরও যদি কোনো প্রুফ রিডার থাকত ! আ- কার, ই-কার, বর্ণ, বাক্য সব কিছু ঠিক করে আমরা যেমন প্রতিটি উপন্যাস আর গল্পকে শুদ্ধ করে সাজাই, তেমন করে কেউ যদি আমাদের জীবনের ভুল গুলোকে ঠিক করে একটা শুদ্ধ জীবন গড়িয়ে দিত, একটা সুন্দর জীবন সাজিয়ে দিত !

০৯ ই নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:৪৩

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: ভাল কিছুর জন্য নিজের চেষ্টাই বেশী নির্ভর যোগ্য।

৬| ০৯ ই নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:২৯

নতুন বলেছেন: দুনিয়ার অনেক প্রানীই আছে যাদের ভেতরে এমন কিছু জিনিস আছে সেটাকে ইন্টেলিজেন্ট ডিজাইন বলা যায় না। কারন প্রানীর আকার আকৃতি গুলি মিলিওন বছরের এভুলোসনের ফলে হয়েছে।

যদি ডিভাইন ডিজাইন হতো তবে এতো সমস্যা থাকতো না।

কত মানুষ আছে যারা বিকলাঙ্গ? যাদের আঙ্গুল বেশি, কম আছে? চেহারায় সমস্যা আছে.... সেই গুলি কেন সেই রকমের হয়?

সেই গুলি কেন সৃস্টিকতার মহিমায় নিখুদ হয় না?

কেন কয়েক দিনের শিশু মারা যায়? কারন পেটে থাকার সময় তার ঠিক মতন গঠন হয় নাই?

বলতে পারেন এটা পরিক্ষা পিতামাতার জন্য..... সেটা অন্যায়... এবং ভুল কথা কারন বাবা অপরাধে সন্তানকে সাজা দেওয়া ঠিক না।

সৃস্টির দিকে তাকালে দেখতে পারবেন যে এখনো ফাইনটুইন হচ্ছে.... ইন্টেলিজেন্ট ডিজাইনে ফাইনটুইন করতে হবার কথা না... সেটা পারফেক্ট হবার কথা।

০৯ ই নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:৪৫

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: মানুষের যে আকৃতি এর চেয়ে উত্তম আকৃতি থাকা সম্ভব কি? যদি সেটা সম্ভব না হয় তবে এটাই মানুষের সেরা আকৃতি যে আকৃতিতে মানুষ সাধারণত বিদ্যমান। এমন আকৃতি ভুল থাকতে পারে এমন কারো দ্বারা গঠন করা সম্ভব নয়। আর নিজে নিজে শুধু একজন হয়, সেটা অবশ্যই মানুষ নয়। কারণ মানুষ একজন নয়। মানব আকৃতি ভুলমুক্ত কারো দ্বারা গঠন সম্ভব। আর ভুল মুক্ত শুধুই একজন। তিনি আল্লাহ। কাজেই মানুষ আল্লাহর সৃষ্টি। আর আল্লাহর কাজ যেহেতু আছে কাজেই তিনি নেই এটা বলা সম্ভব নয়। কাজ দেখে আল্লাহকে বুঝার বিষয়টি পোষ্টে উপস্থাপন করা হয়েছে। যা অনেকে থুব সহজে বুঝতে পারলেও সম্ভবত আপনি বুঝতে পারেননি। আর এটাও অস্বাভাবিক নয়। কারণ সবাই সব কথা সবাই বুঝতে পারবেনা। তা’ বুঝতে পারলে সবাই এক পথের পথিক হতো। সব কথা সবাই বুঝতে না পারার কারণেই ভিন্ন ভিন্ন মত ও ভিন্ন ভিন্ন পথ। তবে প্রত্যেবে অবশেষে নিজ কর্মফল ভোগ করবে।

৭| ০৯ ই নভেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫৯

নজসু বলেছেন:



আল্লাহ আমাদের সবার প্রতি রহম করুন।

১০ ই নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:৩২

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: আল্লাহ আপনার দোয়া কবুল ও মঞ্জুর করুন।

৮| ০৯ ই নভেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:০৯

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: সুন্দর আলোচনা...

১০ ই নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:৩২

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: আল্লাহ আপনার মঙ্গল করুন।

৯| ১০ ই নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:৫৪

স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: এবার প্রত্যেকে নিজেকে জিজ্ঞেস করুন,
মানুষকে আল্লাহ ছাড়া অন্য কেউ বানানো সম্ভব কি না।

..............................................................................
অনেক বিজ্ঞানী আছেন যিনি এসব মানেন না ।
পার্শবর্তী দেশ ভারতে বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা দেওয়া হয়, কিভাবে মানুষ রুপান্তর হয়েছে ।

১০ ই নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ৮:৩৬

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: রূপান্তর করা হয়নি কি করে বলা যায়?

১০| ১০ ই নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১:২৪

নতুন বলেছেন: লেখক বলেছেন: মানুষের যে আকৃতি এর চেয়ে উত্তম আকৃতি থাকা সম্ভব কি?

মানুষের অনেক লিমিটেসন আছে এবং মানুষ পৃথিবির অনেক প্রানীর চেয়েই দূবল....

মানুষের অনেক কিছুই থাকতে পারতো.... পেছনে দেখার ক্ষমতা, পানির নিচে শ্বাস নেবার ক্ষমতা, অন্ধকারে দেখার ক্ষমতা, উন্নত ঘ্রান এবং কান , আরো জোরে দৌড়ানো, আরো দ্রুত সাতরানো...

এই রকমের অনেক কিছুই মানুষে আরো ক্ষমতাশালী করতে যোগ করা সম্ভব....

যদি মানুষের উপরের সব গুনাবলী থাকতো তবেও আপনি বলতেন সে এটাই সবচেয়ে ভালো মানুষের ডিজাইন....

এটা একটা সমিকরনের উত্তর দেখে মনে করা এটাই একমাত্র সমাধান....

আরো অনেক কিছুই আছে.... অনেক কিছুই সম্ভব। বাক্সের বাইরে তাকান তবে দেখতে পাবেন।

১০ ই নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:২৩

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: মানুষ অবশ্যই লিমিটেড। আন লিমিটেড হলে মানুষ আর মানুষ থাকবেনা। আর মানুষের লিমিটেশনই তার জন্য অধীক উত্তম। এর জন্যই সে সেরা প্রাণী। কথায় বলে অতি ভাল ভাল নয়।

আপনি বিকল্প ডিজাইন উপস্থাপন করুন। এরপর না হয় মানুষ বুঝার চেষ্টা করুক তা’ মানুষের বিদ্যমান আকৃতি থেকে উত্তম হয় কিনা। আমারতো মনে হয় দু’দিকে চোখ হলে মানুষ অসুন্দর হতো। আপনি কি মনে করেন?

১১| ১০ ই নভেম্বর, ২০১৮ ভোর ৬:৪৫

ফেইরি টেলার বলেছেন: " নিশ্চই আমি মানুষকে সর্বোত্তম আকৃিতিতে সৃষ্টি করেছি " - সুরা ৯৫, আয়াত ৪
আয়াতটির মানে আল্লাহ মানুষকে অন্যান্য সৃষ্টি ( পশু পাখি কীট পতংগ ) অপেক্ষা উত্তম আকৃতিতিতে তৈরী করেছেন । ফরিদ আহমেদ ভাই খুব সুন্দর আলোচনা করেছেন । আপনারাই ইসলামের আদর্শ সৈনিক

১০ ই নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:২৭

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: অন্যান্য প্রাণী থেকে মানুষের আকৃতি যেমন উত্তম। তেমনি মানুষের যে আকৃতি আছে এটাকে পরিবর্তন করলে এর চেয়ে উত্তম হয়না। যদি হয় তবে আপনি উদাহরণ দিয়ে পারলে বুঝান যে মানুষের এ অঙ্গ এ স্থানে না হয়ে ও স্থানে হলে বেশী উত্তম হতো?

মানুষের বিদ্যমান আকৃতির চেয়ে উত্তম আকৃতি যদি থেকে থাকে তবে সেটা কার জন্য তোলা আছে? মানুষের চেয়ে সেরা সৃষ্টি কি আল্লাহর আর কেউ আছে?

১২| ১০ ই নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:২৭

ফেইরি টেলার বলেছেন: আমি আপনার সাথে একমত ফরিদ আহমেদ ভাই , আপনার আলোচনাকে আগেই সুন্দর আলোচনা বলেছি । সাথে একটু যোগ করেছি মাত্র । হয়ত আমার উপস্থাপনা পরিষ্কার ছিল না, এজন্য আমাকে ক্ষমা করবেন

পোস্ট প্রিয় তালিকায় যোগ করছি

১০ ই নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:৩০

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: পরিস্কার করে বলার জন্য নিরন্তর শুভেচ্ছা। আল্লাহ আপনার মঙ্গল করুন।

১৩| ১০ ই নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:৩৪

ফেইরি টেলার বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই । সবসময় পাশে আছি , আল্লাহ আপনাকেও উত্তম প্রতিদান দিন

১০ ই নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:৩৯

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: আল্লাহ আপনার দোয়া কবুল ও মঞ্জুর করুন।

১৪| ১০ ই নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:২৩

এস এম ইসমাঈল বলেছেন: মহান আল্লাহ পাক জানেন, কিছু অসভ্য মানুষ হবে যারা আল্লাহকে মানবে না। সেজন্য তিনি ভাল মানুষ আর মন্দ মানুষের পরিচয় চিহ্ন উল্লেখ করেছেন। যারা মহান মহান আল্লাহ পাককে অস্বীকার করবে তাদের লক্ষ্য করে তিনি বলেন, নিশ্চয় আসমান জমীন সৃষ্টি আর দিবারাত্রির আবর্তনের মধ্যে দৃষ্টিবান মানুষের জন্য নিদর্শন রয়েছে। মানুষকে আল্লাহ্‌ খুব অল্প পরিমান জ্ঞান দিয়েছেন। খুব কম সংখ্যক মানুষই কৃ্তজ্ঞতা প্রকাশ করে থাকে। মানুষকে দুর্বল ও বোকা বলা হয়েছে।আবার কিছু মানুষকে একবার পশুর ন্যায়, আবার পরবর্তী শব্দেই তাদেরকে পশুর চেয়েও নীচু স্তরের জীব বলা হয়েছে। আল্লাহ্‌ পাক আরও এরশাদ ফরমান, আমি কোন কিছুকেই অযথা সৃষ্টি করি নাই। যুক্তি বিদ্যায় মানুষরূপে গণ্য হবার জন্য দুটি অত্যাবশ্যক গুণের কথা বলা হয়েছে। এর মধ্যে একটি হল জীবন আর আপরটা হল বিবেক। Animality + Rationality.পশুদের মাঝে জীবন বা animality থাকলেও বুদ্ধিমত্তা বা Rationlality গুণটা অনুপস্থিত। তাই মানবতাবোধ বা বিবেক বর্জিত মানুষকে সমাজে পশু বা জানোয়ার এর সাথে তুলনা করা হয়। দৈহিক শক্তি নয়, মানুষকে তার বুদ্ধিমত্তার জন্য অন্য সব জীব জন্তুর উপরে শ্রেষ্টত্ব দেয়া হয়েছে।

নিজের সৃজন নৈপূণ্যের কথা উল্লেখ করে আল্লাহ্‌ রাব্বুল ইজ্জত ঘোষণা করেন তুমি আমার সৃষ্টির দিকে গভীর দৃষ্টিতে তাকিয়ে দেখো, তোমার দৃষ্টি বার বার ব্যর্থ হয়েই ফিরে আসবে, কিন্তু তোমরা তাতে কোন খুঁত খুঁজে পাবে না।আল্লাহ্‌তায়ালা বার বার করে বলেছেন, তোমরা কী দেখতে পাও না, তোমরা কী বুজতে পার না? তোমাদের মাঝে কেউ কি আছ উপদেশ গ্রহণকারী? নাস্তিকদের উদ্দেশ্যে আল্লাহ্‌ সূরা আর রাহমানে বলেছেন, হে মানব ও জীন সম্প্রদায়! তোমাদের যদি সাধ্য থাকে তবে আমার গড়া জগত থেকে বেরিয়ে অন্যত্র চলে যাও। কিন্তু তোমরা তা করতে অক্ষম, যেখানেই তোমরা যাও না কেন, সেখানেই পাবে আমার রাজত্ব।

প্রত্যেকে তার তিল পরিমান ভাল কাজের পুরস্কার পাবে, ঠিক একই ভাবে প্রত্যেক এর তিল পরিমান মন্দ কাজের ফল তাকে বুঝিয়ে দেয়া হবে। সেদিন কারো প্রতি বিন্দু পরিমাণ অন্যায় বা অবিচার করা হবে না। মহান আল্লাহ্‌ পাক অতি সুক্ষ্ণ বিচারক।
মানুষকে বলা হয়েছে যে, তোমরা আল্লাহ্‌ পাক দেখতে কেমন? তিনি কী কী উপাদানে তৈরী? এসব বিষয় নিয়ে একদম চিন্তা ভাবনা করবে না। কারন এ বিষয়ে তোমাদের সম্যক জ্ঞান না থাকার কারনে তোমরা খুব সহজেই বিভ্রান্তির শিকার হয়ে পড়বে। তার চেয়ে তোমরা বরং তাঁর বিভিন্ন গুণ বাচক নাম আর তাঁর অসামান্য সৃষ্টি কৌশল বিবেচনায় এনে তাঁর বড়ত্ব ও মহত্ত্ব অনুধাবন করার চেষ্টা করো।
এবার আসুন সৃষ্টির খুঁত নিয়ে আলোচনা করা যাক। আল্লাহ্‌ পাক প্রতিটা জিনিষকে জোড়ায় জোড়ায় তৈরী করেছেন। যেমন মানুষের চোখ, কাং, হাত, পা কিডনি ইত্যাদি। এতে একটা অঙ্গে কোন সমস্যা দেখা দিলে, তার সঙ্গের অন্য অঙ্গটা দিয়ে কাজ চালাতে পারে। বোধ হয়, স্কুল জীবনে একটা কথা পড়েছিলাম। অমঙ্গলকে উড়াইয়া দিবার চেষ্টা করিও না, মঙ্গল সমেত উড়িয়া যাইবে। খুঁত আছে বলেই কিন্তু নিখুঁত জিনিষের এত দাম ও কদর। কালো আছে বলেই আলোর এতটা মূল্যায়ন করা হচ্ছে। আল্লাহ্‌ পাক চান আমরা যারা সুস্থ্য ও সবল ব্যক্তি আছি তারা যেন সমাজে যারা অসুস্থ্য, বিকলাঙ্গ বা প্রতিবন্ধী লোক আছেন তাঁদের দেখে শোকর করতে শিখি, মানবতাবোধে উজ্জবীত হয়ে তাঁদের প্রতি সহানুভতিশীল হতে পারি। পোকা-মাকড়, কীট পতঙ্গ এসব কিছু সৃষ্টি করা হয়েছে প্রকৃ্তির ভারসাম্য বজায় রাখার জন্য। মানুষ যাতে নিরবছিন্ন সুখের কবলে নিজেদেরকে নিবেদন করে আল্লাহ্‌র রহমত ও স্মরণ থেকে বিমূখ হয়ে না যায়, সেজন্য।

১৫| ১০ ই নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:৪২

:):):)(:(:(:হাসু মামা বলেছেন: খুব ভালো লাগলো আলোচনা মামা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.