নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

হাজার সনেটের কবি।

ফরিদ আহমদ চৌধুরী

বিষয় যতই জটিল হোক,ভাবতে ভালো লাগে

ফরিদ আহমদ চৌধুরী › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রশ্নের পিঠে প্রশ্ন - মুসলিম কেন এত দল?

১৯ শে নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ৮:১০



মুসলিম কেন এত দল? তারা সঠিক হলে তারা এক দল নয় কেন? মানুষ কেন এত দল? তারা সঠিক হলে তারা এক দল নয় কেন? মুসলিম না হয়ে আপনি অমুসলিম না হয় হলেন কিন্তু মানুষ না হয়ে আপনি কি হবেন? আকৃতিতো বদলাতে পারবেন না! কাজেই মুসলিম বহুদল হওয়ার কারণে মুসলীম না হওয়া বা মুসলিম না থাকার সিদ্ধান্ত সঠিক হতে পারেনা।

মুসলিমের কোন দলে যোগ দেব অথবা কোন দলে থাকব? মানুষের কোন দলে যোগ দেবেন অথবা কোন দলে থাকবেন? মানুষের যে দল ভাল লাগে আপনি মানুষের সে দলে যোগ দিবেন অথবা মানুষের সে দলে আপনি থাকবেন? তাহলে মুসলিমের যে দল আপনার ভাল লাগে সে দলে আপনি যোগ দিবেন অথবা সে দলে আপনি থাকবেন। যে দল ভাল লাগে সে দল বেঠিক হলেও কি তাতে যোগ দিতে হবে অথবা সে দল বেঠিক হলেও কি তাতে থেকে যেতে হবে? মানুষের যে দল ভাল লাগে সে দল বেঠিক হলেও কি তাতে যোগ দিতে হবে অথবা সে দল বেঠিক হলেও কি তাতে থেকে যেতে হবে? মুসলিমের কোন দল সঠিক? মানুষের কোন দল সঠিক? পরখ করে নির্ণয় করতে হবে মানুষের কোন দল সঠিক। পরখ করে নির্ণয় করতে হবে মুসলমানের কোন দল সঠিক। সবাইতো নিজ দল সঠিক বলে। তো তারা কি আপনার দল সঠিক বলবে? তো আমি এখন কি করব? সেটাতো আপনি বলবেন যে আপনি এখন কি করবেন? আপনি আমাকে কি করতে বলেন? তার আগে বলুন আপনি আমাকে কি করতে বলেন। আসুন আপনি আমার দলে আসুন দু’জন এক সাথে এক দলে থাকি। আমিও বলি আপনি আমার দলে আসুন দু’জন এক সাথে এক দলে থাকি। ধুর বাসায় যাই ভেবে চিন্তে ঠিক করতে হবে কোন দলে যোগ দিতে হবে অথবা কোন দলে থেকে যেতে হবে। আমারো সেই এক কথা ভেবে চিন্তে ঠিক করতে হবে কোন দলে যোগ দিতে হবে অথবা কোন দলে থেকে যেতে হবে।তখন অন্তত বলা যাবে সঠিক দলে যোগ দেওয়ার বা সঠিক দলে থাকার চেষ্টাতো করেছি। এ বিষয়ে আপনার সাথে আমারো সহমত।

অনেক ভেবে চিন্তে অবশেষে তিনি বললেন, আমার মত আমি সঠিক বলি কেমন করে? আসলে সবার মত সঠিক। কাজেই যার যে মত ইচ্ছা সে মত সে অবলম্বন করুক। সবার মত সঠিক? এক জন বলল সৃষ্টিকর্তা বলে কিছুই নেই। অন্য জন বলল সৃষ্টিকর্তা আছে। আছে অথবা নেই এ দু’টো কি এক সঙ্গে সঠিক? তবতো দেখি আরো ভাবতে হবে। ভাবুন আরো ভাবুন ভেবে চিন্তে সঠিক কথা বলুন। কারণ বেঠিক কথা কেউ গ্রহণ করতে চায়না।

আপনি কি জানতে পেরেছেন, মুসলিম কেন এত দল? আপনি কি জানতে পেরেছেন, মানুষ কেন এত দল? মানুষ যে মত যে পছন্দ করে সে মত সে পোষন করে এভাবে মানুষ বহু দল হয়ে যায়। মুসলমান যে মত যে পছন্দ করে সে মত সে পোষন করে এভাবে মুসলমান বহু দল হয়ে যায়।

সঠিক তবে কোন দল? সেইটাই আমাদেরকে খুঁজে বের করতে হবে। কিন্তু এক দলকে সঠিক আরেক দলকে বেঠিক বললেইতো মারামারি ধরাধরি শূরু হবে। তারচে বরং আপনার দল বিভাবে সঠিক সেটা খুঁজে বের করুন। নিজের দলকে সঠিক না পেলে কোন দল সঠিক সেটা খুঁজে বের করুন। এরপর সঠিক দলে থাকুন অথবা বেঠিক দল ছেড়ে সঠিক দলে যোগদান করুন। কোন্দল কিছুতেই করবেন না।
সংগত কারণে সঠিক দলে যোগ দিতে হলে অথবা সঠিক দলে থাকতে হলে পরখ করে জেনে নিতে হবে কোন দল সঠিক। তথাপি যদি ভুল হয়? যতটুকু সাধ্য ততটুকু চেষ্টা করতে হবে। সাধ্যের বাইরে কারো কোন কিছু করার নেই।

বিঃদ্রঃ ‘ইসলামের সঠিকতার অকাট্য প্রমাণ’ গ্রন্থের একটি অধ্যায় হিসেবে লেখাটি লেখা হয়েছে।

মন্তব্য ২০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২০) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ৮:১৩

রাজীব নুর বলেছেন: মুসলিমদের মধ্যে ভিবেদ বেশি। মুসলিমদের মধ্যে লোভ বেশি।
খাঁটি মুসলিম আজ আর নাই।

১৯ শে নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ৮:২৫

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: বেশী দল হওয়ার পিছনে বোকামীটাই বেশী দায়ী। একটু মাথা খাটলে সঠিক দল চিনে নেওয়া যায়।

২| ১৯ শে নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ৮:২১

নজসু বলেছেন:


মুসলিমে মুসলিমে বিভক্ততার কারণে ইসলাম এগিয়ে যেতে পারছেনা।

১৯ শে নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ৮:২৮

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: সঠিক পথে তারা বিভক্তি দূর করার প্রচেষ্টাও শুরু করেনি। মুসলমানদের ক্ষমতাসীনদের এ সংক্রান্ত গরজ নেই। সাধারণের এ সংক্রান্ত সক্ষমতা নেই।

৩| ১৯ শে নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ৮:৫১

আব্দুল্লাহ্ আল মামুন বলেছেন: বিভেদ টা কোন সমস্যা নাই। এইটা সেই যুগেও ছিল। দেখুন একজন শিক্ষকের সব ছাত্র একই মতাদর্শ মানলেও সবাই একই ভাবে মানে না ।।। এক হুজুর বললেন, তেমনি রাসূলের সব সাহাবীও নাকি এক সিস্টেমে নামাজ এর বর্ণনা দেন নি। যেমন

ধরুন এক লোক রাসুলের কাছে ছিল ৫০বয়স পর্যন্ত সে যা শিক্ষা নেয়ার নিয়ে দূরে চলে গেছে। পরে অনেক নিয়ম সংযোগ হলেও তার বর্ণনাতে নাই। কারন সে পরে আর আসে নাই।


সে সময় ই :অনেকে জিহাদ কে বেশি প্রাধান্য দিতেন। কেউ শুধু ক্ষমাকে। এবং কি চার খলিফার মাঝে উমর ছিল রাগী।আর উসমান ছিল কম। আরো কথা আছে আলীর অনুসারী রা এক রকম ছিল। তারা জিহাদি ই থাকবে। কারন আছে অনেক।


আরো কথা আছে। অন্য তিন মাজহাবি রা নামাজ কায়েম করে এক ভাবে হানাফিরা এক ভাবে। এটা সব ভাবেই আছে। কেউ ভুল না।

এসব নানান কারনে এই দল। তাই বলে কেউ ভুল নয়। সমস্যা হল বুঝতে ভুল। শিয়াদের কে তখনি আলী হুশিয়ার করেছিল। তোমরা বাড়াবাড়ি করোনা। না তারা শুনেনি

২০ শে নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ৭:৪৬

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: মতভেদ সব খানেই আছে। এটা কোন বৃহৎ দলের অশুদ্ধতার প্রমাণ নয়।

৪| ১৯ শে নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ৮:৫৪

আব্দুল্লাহ্ আল মামুন বলেছেন: আর একটা কথা বলেছিলেন। ফেকরা করা সয়তানের কাজ। (ফেকরা মানে দল করা, বিভক্তি করা। কোন সংঘবদ্ধ দলকে ভাগ করে দেয়া)

২০ শে নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ৭:৪৭

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: ঐক্যবদ্ধ থাকা বাঞ্চনীয়। এটা নিয়ে সবাই আলোচনা করে ঐক্যের পথ বের করার জন্য কাজ করতে হবে।

৫| ১৯ শে নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:৩৯

কানিজ রিনা বলেছেন: হযরত মোহাঃ সাঃ জীবদ্দশায় মুসলিম কয়
দল ছিল সেটাই প্রতিটি মুসলমানের চিন্তায়
চেতনায় থাকা জরুরী। ইসলাম মোহাঃ সাঃ
ধর্ম পৃথিবীর সকল মানুষের জন্য ইসলাম
এসেছিল আল্লাহর তরফ থেকে। মোহঃ সাঃ
তার প্রতিনিধি। পূরন্তি যত ধর্ম থেকে মানুষ
ইসলামের ছায়াতলে আশ্রয় নিয়েছেন এত
আর কোন ধর্মে তা ঘটে নাই।
আমি যদি বলি আম তার নানান জাত আছে
কিন্ত নামে একই আম। হযরত মোহাঃ সাঃ
ওফাতের পর সাহাবা খলিফাতুন মুমিনিন গন
দলে বিভক্ত হন। তারা সবাই সবার প্রতি শ্রদ্ধা
নিবেদনে কার্পন্য করেন নাই। মুসলিম উম্মাহ
যাকে পছন্দ তার হাত ধরে ছলেছেন। যদিও
তাদের ভিতরে কিছু মতবিরোধ ছিল তথাপি
কেউ কারো শ্রদ্ধা থেকে বিরত থাকেন নাই।


সারা পৃথিবী ব্যাপি যখন ফলিফা সাহাবারা
ছড়িয়ে পড়েন ইসলাম প্রচারে শত শত বছর
ধরে সেই মত বিরোধ আস্তে আস্তে বাড়তে
থাকে হাজার বছর ধরে তা আরও বেড়েছে।
কিন্তু বেশী বেড়েছে তিন দশক আগে থেকে
ওহাবীজমের কারনে। তারা ইহুদী খৃষ্টান মিশনের সাথে হাত মিলিয়ে ইসলামকে টুকরো
টুকরো করার পায়তারায় লিপ্ত। তাই জ্ঞানী
বিবেগবানরা জ্ঞান দিয়েই ইসলামের জ্ঞান
অর্জন করবেন এবং সঠিক পথে থাকবেন।
হযরত মোহাঃ সাঃ বার বার সাবধান করেছেন
তোমরা দলে বিভক্ত হইও না তাহলে তোমাদের
উপর লানত নেমে আসবে। হয়ত তাই, তবে
মোহাঃ সাঃ কোরআন ও ইসলাম রক্ষার
দায়ীত্বে আছেন একমাত্র আল্লাহ্। পৃথিবীর
ইমানদার মুসলিমদের রক্ষা করবেন আল্লাহ্
যখন একজন মুসমানও ইমান থাকবে না
তখন পৃথিবী ধ্বংস হবে। অসংখ্য ধন্যবাদ
আল্লাহ্ আপনার ইমানের বলিষ্ঠ পদক্ষেপে
সহায় হোন।

২০ শে নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ৭:৪৮

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: পৃথিবীর টিকে থাকার জন্য অবশ্যই ইসলাম প্রয়োজন।

৬| ১৯ শে নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:৩৭

saif sakib বলেছেন: যারা বলে মুসলমানদের মধ্যে বিভক্তি বেশি তারা হয়ত ইসলাম বিদ্বেষী নয়ত অন্য ধর্ম সম্পর্কে বিশেষ অজ্ঞ। হিন্দুদের মধ্যে কত বিভক্তি আছে খ্রিষ্টানদের মধ্যে কতগুলো দল আছে সেটা জানার চেষ্টা করুন।

২০ শে নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ৭:৫০

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: বিভক্তি আছে এবং থাকবে। তবে ঐক্যের প্রচেষ্টাও চালিয়ে যেতে হবে।

৭| ১৯ শে নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:১৯

পলাশবাবা বলেছেন: মন্তব্যগুলো পড়ে মনে হল সবাই শিরোনাম দেখেই মন্তব্য করেছেন। ভিতরে পড়ার সময় পান নাই। আর বিশেষ দ্রষ্টব্য টাও চোখে পরে নাই। একটা অধ্যায়ের শিরোনাম আসলে পুরো বইয়ের বিষয়বস্তুর প্রতিনিধিত্ব করে না।

তবে আমার পর্যবেক্ষন হল ইসলামে বিভিন্ন মাজহাবে সুন্নত পালনের ক্ষেত্রে মতভেদ আছে । কিন্তু ফরজ পালনের ক্ষেত্রে কোন মতভেদ নাই । নামাযে বুকে না নাভির নীচে হাত বাঁধবে বা হাত বাধার সময় কব্জিতে ধরবে না কনুইতে ধরবে তা নিয়ে বা তারাবির নামায ৮ রাকাআত না ২০ রাকাআত বা তারাবির নামায একা পরবে না জামাতে পরবে বা শবে বারাআত এর নফল নামায আছে কিনা বা "মতভেদ" থাকতে পারে কিন্তু কেউই কালেমা, ফরজ নামায, রোজা , হজ , যাকাত কে অস্বীকার করে না। মূল ভিত্তি সবার ই এক।

তাই ধর্মীয় বিষয়গুলোতে শব্দ টা আসলে বিভক্তি হবে না। হবে মতভেদ।

আর রাজনৈতিক বিষয়ে বিভক্তি থাকতেই পারে। একটা রাষ্ট্রের সাথে অন্য রাষ্ট্রের যুদ্ধ হতেই পারে। এটা ধর্মীয় বিভক্তি না।

জীবন চালানোর জন্য ম্যানুয়াল দেয়া আছে । সাথে সহায়ক বই হিসাবে বিশুদ্ধ হাদিস আছে। আরো প্রয়োজন হলে প্রসিদ্ধ তাফসির আছে , পড়ে নেন । ইন্টারনেটের যুগে সমস্যা হবার কথা না।

সমস্যা হল কেউ পড়বে না। শুধু অমুক হুজুর বলেছেন , তমুক পীর বলেছেন। নিজে না পড়লে ঠকে যাবার সম্ভাবনা থাকে।

জানতে হলে পড়তে হবে।

২০ শে নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ৭:৫১

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: জানতে হলে অবশ্যই পড়তে হবে।

৮| ১৯ শে নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:২০

রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: বেশী দল হওয়ার পিছনে বোকামীটাই বেশী দায়ী। একটু মাথা খাটলে সঠিক দল চিনে নেওয়া যায়।

মাথা খাটালে নাস্তিক হয়ে যাওয়ার সম্ভবনা আছে।

২০ শে নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ৭:৫৩

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: আল্লাহ যেহেতু চিন্তা ভাবনার কথা বলেছেন কাজেই মাথা খাটালে নাস্তিক হতে হবে কথাটা ঠিক নয়। কারণ নাস্তিক্যবাদ দূর্বল মতবাদ। এটা কখনো বিশ্বে সংখ্যা গরিষ্ঠতা লাভ করেনি।

৯| ১৯ শে নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:৪৪

কূকরা বলেছেন: ইবলিছ শয়তানরে দেখা যায় না কেন?

২০ শে নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ৭:৫৪

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: অসুবিধে দেখলে ইবলিশ পালিয়ে বেড়ায়, দেখবেন কেমন করে?

১০| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:২৩

ফারিহা হোসেন প্রভা বলেছেন: কয়জন আছে এখন খাটি মুসলিম! :( তবে মানুষের হৃদয়ে প্রতিটি সুরে আছে মহান আল্লাহ্‌ তায়ালার নাম....

২০ শে নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ৭:৫৫

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: খাঁটি মুসলমান হতে হবে নিজের প্রয়োজনে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.