নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

হাজার সনেটের কবি।

ফরিদ আহমদ চৌধুরী

বিষয় যতই জটিল হোক,ভাবতে ভালো লাগে

ফরিদ আহমদ চৌধুরী › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইসলাম অমান্যতায় উন্নতি ও ইসলামের মান্যতায় অবনতি

০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:৪৩



উন্নত রাষ্ট্রের নাগরিকেরা ইসলাম মানে না। আর যেসব রাষ্ট্রের নাগরিকেরা ইসলাম মানে সে সব রাষ্ট্র অনুন্নত। তবে কি উন্নতির জন্য ইসলাম ছাড়তে হবে? কিন্তু ইসলাম মানলে পরকালে যে সব লাভ হওয়ার কথা বলা আছে ইসলাম ছাড়লে পরকালের সে সব লাভ হওয়ার কথা নয়।কাজেই পরকালের উন্নতি চাইলে ইহকালে উন্নতি না হলেও ইসলাম মানতে হবে।প্রাপ্ত সংবাদ অনুযায়ী ইহকালের সময় সামান্য আর পরকালের সময় অন্তহীন। বিশ্বের বেশীরভাগ মানুষ ইসলাম মানে না কারণ তারা এতে নগদ লাভ দেখছে না। আর ইসলাম মানায় যে বাকী লাভের সংবাদ রয়েছে সে সংবাদ তারা সঠিক বলে বিশ্বাস করে না। যতটা যাচাই করলে সে সংবাদের সঠিকতা বুঝা যেত তাদের যাচাই এর স্তর সে স্তর পর্যন্ত উঠেনি। তবে যারা ইসলাম মানে ইসলামের পরকাল সংক্রান্ত সংবাদ তারা বিশ্বাস করে। তারা এ সংবাদের সঠিকতা বুঝতে সক্ষম হয়েছে। অথবা ইসলাম না মানায় পরকালীন যে অনন্ত অবনতির সংবাদ দেওয়া আছে সে অবনতির ঝুঁকি তারা গ্রহণ করতে রাজি নয়। তারমানে পরকালিন অবনতির ভয় ইসলাম মান্যতার প্রধান কারণ।সংগত কারণে ইহকালিন উন্নতি ও অবনতি ইসলাম পরিত্যাগের মোক্ষম কারণ নয়। তবে ইসলামের সঠিকতার অকাট্য প্রমাণ সাধারণ জ্ঞান ও বিশেষ জ্ঞানে রয়েছে।অনুসন্ধান সঠিক হলে এ সংক্রান্ত জ্ঞান লাভ কঠিন কিছু নয়। কাজেই ইহকালিন উন্নতি হোক অথবা না হোক যারা ইসলামের অনুসারী তারা সঠিক পথেই আছে।যেসব রাষ্ট্রের নাগরিকেরা ইসলাম মানে সে সব রাষ্ট্র অনুন্নত এটা ইসলামের বেঠিকতার প্রমাণ নয়। পৃথিবীর বেশীরভাগ মানুষ ইসলাম মানে না এটাও ইসলামের বেঠিকতার প্রমাণ নয়। কারণ লোকদের ইসলাম মানার মূল কারণ পরকাল। কাজেই ইসলাম মানার যথেষ্ট কারণ এর সঠিকতা।অনেকে ইসলামের সঠিকতার প্রমাণ উপস্থাপন করতে না পারলেও তারা বুঝে ইসলাম সঠিক।অনেকের অভিযোগ হলো মুসলমানের সন্তান হওয়ায় অনেকে ইসলাম মানে। কিন্তু তারা ইসলামের সঠিকতা বুঝতে চেষ্টা করেনি সেটা কি করে বলা যায়? যারা সঠিক পথে আসতে চা্য় না। তাদেরকে জোর করে সঠিক পথে আনার কোন দরকার নেই। কারণ তাদের ক্ষতির দায় তারা বহন করবে। যারা সঠিক পথে আছে তাদেরকেই বেঠিক পথে নেওয়ার চেষ্টা করার দরকার নেই। কারণ অহেতুক কারো ক্ষতি করা ভাল কাজ নয়। প্রত্যেকের নিজ নিজ সীমায় অবস্থান শান্তির সহায়ক। সীমালংঘন কিছুতেই সঠিক হতে পারে না।

লোকেরা যখন আমাদেরকে বিভিন্ন যুক্তি দিয়ে ইসলাম ছাড়তে বলে তখন আমাদেরকে বলতে হয় আমরা সঠিক পথেই আছি কাজেই তোমাদের ডাকে সাড়া দেওয়ার কোন প্রয়োজন আমাদের নেই। যখন তারা বলে ইসলাম কিভাবে সঠিক তখন আমাদেরকে ইসলামের সঠিকতার প্রমাণ উপস্থাপন করতে হয়। ইসলামের সঠিকতার অকাট্য প্রমাণ উপস্থাপন করলে তারা বলে তাহলে মুসলিম রাষ্ট্র সমূহ অনুন্নত কেন? এখন কেউ যদি মাসিক চুক্তিতে কাজ নিয়ে মাসের আগেই বেতন চায় তবে সেটা কেমন হয়? আল্লাহর সাথে মুসলমানের চুক্তি তাদের কাজের দাম তারা পরকালে পাবে এখন তারা যদি ইহকালেই দাম চেয়ে বসে থাকে তবে তাদেরকে সে দাম কে দেবে? কেউ যদি বলে দামের কিছু অংশ ইহকালে দেওয়া হোক। এখন আল্লাহ যদি দেখেন ইহকালে দিলে পরকালে বিপদ হবে তাহলে ইহকালে দেয় কেমন করে? যারা পরকাল চায় না তাদের সব প্রপ্য যদি ইহকালেই দেওয়া হয় তবে তাদের উন্নতি না হয়ে উপায় কি? কেউ যদি বলে তারাতো আল্লাহর কাজই করেনা তাদের আবার দাম কি? কিন্তু তারা অনেক ভাল কাজ করে আর ভাল কাজ করা আল্লাহর কাজ কাজেই তাদেরো দাম পাওয়ার বিষয় রয়েছে। আর পরিশ্রম করাও আল্লাহর কাজ সেটাও তারা করে। কাজেই আল্লাহর দপ্তরে তাদেরও পাওয়া যোগ হচ্ছে।তাদের পাওনা ইহকালে দিয়ে দিলে আর মুসলমানের পাওনা পরকালের জন্য জমা থাকলে মুসলমানের ইহকালিন অবনতি আর অন্যদের ইহকালিন উন্নতি হয়না কেমন করে? কেউ যদি বলে মুসলমানেরা অমুসলমানদের দেশে যায় কেন? এখানে কথা হলো ইহকালিন কাজ এক জিনিস আর পরকালিন কাজ অন্য জিনিস। এখন মুসলমানের ইহকালিন কাজের যোগ্যতা কম বলে কি তারা পরকালিন কাজ করবে না? আর ইহকালিন কাজের যোগ্যতা যাদের বেশী তারা তাদের পিছনে দৌড়ালে সমস্যা কি? অযোগ্যরা যোগ্যদের পিছনে দৌড়ায় এটাইতো নিয়ম। ইহকালিন বিষয়ে মুসলমানেরা যাদের পিছনে দৌড়ান দরকার মনে করছে তারা তাদের পিছনে দৌড়াচ্ছে। পরকালিন বিষয়ে কেউ মুসলমানের পিছনে দে্ৗড়ান দরকার মনে করলে মুসলমান চিরকাল তাদেরকে স্বাগত জানাচ্ছে। যদি মুসলমানে পিছনে যারা দৌড়ায় তাদেকে মুসলমানেরা তাড়িয়ে দিত তাহলে না হয় এ ক্ষেত্রে মুসলমানের দোষ ধরা যেত। কিন্তু তেমন অসৌজন্য যখন মুসলমান করছেনা তখন তাদের দৌড়ানোকে স্বাগত না জানিয়ে উল্টা তাদেরকে কেন দোষারোপ করা হয়? কেউ যদি পরকাল বিষয়ে মুসলমানের পিছনে দৌড়ান দরকার মনে না করে তাতেই বা মুসলমানের দায় কোথায়? মুসলমান যেটা দরকার মনে করে সেটা তারা করছে অন্যদের দরকারে দৌড়ানোকেও মুসলমান স্বাগত জানায়। কাজেই অহেতুক মুসলমানের ইজ্জত নিয়ে টানাটানির কোন দরকার নেই।

সার কথা ইসলাম একটা কাজ। এ কাজ যার পোষায় সে করবে। আর এ কাজের দাম যিনি দিবেন তিনি সেটা যখন দেন তখনই সেটা নিতে হবে।তাঁর স্বভাব বুঝে যারা তাঁর কাজে শ্রম দিবে এটা একান্তই তাদের ব্যপার। নগদ উন্নতি করার জন্য যারা কাজ করছে তাদের নগদ উন্নতি হবে এটাও নিতান্ত স্বাভাবিক। এসব ক্ষেত্রে নির্বোধের মত কথা বলা ঠিক নয়।

বিঃদ্রঃ ‘ইসলামের সঠিকতার অকাট্য প্রমাণ’ গ্রন্থের একটি অধ্যায় হিসেবে লেখাটি লেখা হয়েছে।

মন্তব্য ২৮ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (২৮) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:০২

আব্দুল্লাহ্ আল মামুন বলেছেন: ঠিক। যার কর্মফল সে নিজে ভোগ করবে। তাই কাজ কে করলো, কে করলোনা এইটা ব্যক্তিগত।

০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:১৬

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: প্রথমত তারা ইসলাম ছাড়তে বলে। তারা ইসলাম বেঠিক হওয়ার নানা কথা উপস্থাপন করে। তাদের কথা খন্ডন করে ইসলামের সঠিকতার প্রমাণ উপস্থাপন করলে তারা বলে এটা সাম্প্রদায়িকতা। তারমানে ইসলামের সঠিকতার প্রমাণ উপস্থাপন করা যাবে না। অতচ তারা যে ইসলামের বেঠিকতার কথা বলে তাতে কিন্তু কোন দোষ নেই। তাদের সব কথা খন্ডন করে দিলে বলে বেশী মানুষ ইসলাম মানে না, এসলাম যারা মানে তরা উন্নত নয়, তারা অমুসলিমদের পিছনে দৌড়ায়। তো এবার সেটাও খন্ডন করে দিলাম এখন দেখি শেষ কথা কি বলে? তবে যে যাই বলুক ইসলাম যার মর্মে প্রবেশ করে দৃঢ় আসন লাভ করেছে তাকে হাজার নির্যাতন করেও ইসলাম থেকে ফিরানো যায়নি, এমন বহু ঘটনা ঘটেছে।

২| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:১৯

কূকরা বলেছেন: +++++++

০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:২৫

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: আপনার জন্য নিরন্তর শুভেচ্ছা।

৩| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:২৮

আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: আমার মতে উন্নতির সাথে ধর্মকে না আনাই ভালো....

নিজ কর্মগুণেই উন্নতি অবনতি....

০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:৩৮

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: একদম ঠিক বলেছেন। অথচ অবনতির জন্য অনেকেই ধর্মের দোষ দেয়। ধর্মহীনরা এটাকে তাদের ধর্মকে ঘায়েল করার মোক্ষম অস্ত্র মনে করে।

৪| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:৪৯

এ আর ১৫ বলেছেন: যে ইসলাম উন্নতি অগ্রগতির জন্য প্রধান প্রতিবন্ধক , সেটা কোন দিনই প্রকৃত ইসলাম নহে । যে পর্যন্ত অপ ইসলামের হাত থেকে মুসলমানরা রেহাই না পাবে , সে পর্যন্ত মুসলমানদের কোন ভবিষ্যৎ নাই ।
শুধু মাত্র কওমী খারিজী মার্কা শিক্ষা যদি কোন জাতিকে দেওয়া হয়, আধুনিক শিক্ষাকে বাধ দিয়ে, তখন ঐ জাতির অবস্থা হয় রহিঙ্গাদের মত ।

০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:৫৩

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: ইহকালিন উন্নতি করতে হলে ইহকালিন উন্নতি করার মত কাজ না করে উপায় নেই।

৫| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:৫৪

পবিত্র হোসাইন বলেছেন: "যতদিন পশ্চিম দিক থেকে সূর্য উদিত হবেনা ততদিন কিয়ামত হবেনা | যখন পশ্চিম দিক থেকে সূর্য উদিত হবে এবং মানুষ তা দেখতে পাবে তখন সকলেই ঈমান আনবে | তখন এমন ব্যাক্তির ঈমান কোন উপকারে আসবেনা যে পূর্ব থেকে বিশ্বাস স্থাপন করেনি কিংবা স্বীয় বিশ্বাস অনুযায়ী কোন সৎ কাজ করেনি"

০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:৫৬

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: খুব সুন্দর তথ্য উপস্থাপনের জন্য আপনাকে নিরন্তর শুভেচ্ছা।

৬| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:০৬

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: প্রিয় সনেট কবি ভাই-
বিনয়ের সাথে দ্বিমত করছি।

কেবলই পরকালই যদি গন্তব্য হতো তবে আল্লাহ আমাদের এই দোয়া শেখাতেন না-
রাব্বানা আতিনা ফিদ্দুনিয়া হাসানাও, ওয়াফিল আখিরাতি হাসানাতাও, ওয়াকিনা আজাবান্নার!

প্রথমেই দুনিয়া সুন্দর সফল করার প্রার্থনা, তারপর আখিরাত সুন্দর ও সফল এবং সবশেষে জাহান্নাম থেকে মুক্তি।

কিন্তু অধিকাংশ সাধারন কুথিত মুসলমান আপনার পয়েন্ট অব ভিউতে থেকেই ভাবছে এবং নিত্য ক্রম অবনতিতে ডুবছে।
অথচ এমনটা হবার কথা নয়। ছিল না। নবীর ইতিহাস তা বলেনা।
বরং ১৪০০ বছর আগে ভোগবাদে আকন্ঠ নিমজ্জিত একটা জাতিকে সুস্থু সুন্দর সৎ জীবনে এনে তাকে সামাজিক সামগ্রিকতায় সবার জন্য সমভাবে বিকশিত করার ইতিহাসই কিন্তু ইসলামের।
প্রকৃত ইসলাম চর্চায় সকলেই উত্তোরত্তর ধনী এবং সফল হবারই কথা। প্রার্থনানুসারে।
নিজে সফল হয়ে আরেক ভাইকে টেনে তোলার যে ইসলামের বেসিক যার সন্ধান পাই সুরা মাউনে তার চর্চা আমরা ছেড়ে দিয়েছি। তারও আগে ইসলামের মৌলিক বিশ্বাস (ঈমান) বাক্য থেকে আমরা বহুদূরে।
যার জন্য আমরা অনুভবের বদলে অনুসরনের ধর্মে মত্ত। আর চেইন রিএকশনে আমরা ক্রমাবনতিতে নিম্নমূখি।

কলেমা বা বাক্য। কেন ভলি? কি বলি? তার দায় কি? কর্তব্য কি? যখন স্বচ্ছ হয়ে যায় সে আপনাতেই বদলে যায়।
তাও শুধু একটি নয় কিন্তু পাঁচটি স্তর বা পর্যায় রয়েছে। এতো গেল বিশ্বাসের কথা।
বিশ্বাস পূর্ন হলে আসে কর্ম এবং জীবনের চলমানতার পথের কথা। সেখানে যতটা সহজ এবং সুন্দর কোরআনে বর্ণিত প্রাকটিস লইফে ততটাই বিপরীতমূখি এবং উল্টো!
জীবনের সকল কর্মই ইবাদত যেখানে সেখানে আমরা বানিয়ে নিয়েছি লোক দেখানো ওয়াক্তিয়া কর্মকে। আবার সেই কর্মের যে মূলমন্ত্র -ইন্নাস সালাতা তানহা ওঅনিল ফাহসায়ে ওয়াল মুনকার - সকল ফাহেসা এবং মন্দ কর্ম থেকে বিরত রাখা তার প্রভাব না আছে ব্যক্তি জীবনে না সমাজ জীবনে।
এই ফাঁকিবাজিটা এল কোথা থেকে? ঐ যে কথিত হুজুরদের স্বার্থবাদী মধ্যমপন্থী সুবিধাবদাী বয়ান। ঘুষ খেয়ে এসে এসি দান করলে তারা দল বেধে দাতাকে বেহেশতের পাঠিয়ে দিচ্ছে। আর প্রকৃত সৎ লোকটা সামনের কাতারেই যেতে পারছে না- এর জ্যমিতিক প্রতিক্রিয়ায়। সত্যের জন্য যে শক্ত দৃঢ় অবস্থান কথিত ইমামদের নেয়ার কথা তার বদলে তারা সুবিধাবাদী চাকুরী বাচানো ফর্মূলায় চলছেন। ফলে ইসলাম হারিয়ে ফেলছে তার আসল রুপ।
যেখানে ঘুষখোরের মসজিদে প্রবেশেই আত্মা কেঁপে ওঠার কথা - সেখানে সে ইমামকে ডমিনেট করছে। অন্যায় দূর্ণীত এভাবেই বিষের মতো ছড়িয়ে পড়ছে সমাজে। আর প্রকৃত মুসলিমের যে কাজ - সুরা মাউনের কথাই শুধূ বলি- যে সামাজিক দায় প্রতিবেশীর দায় সবকিছুকে অস্বীকার করার পরও যাদের সামর্থ্য আছে তাদের বাঁচিয়ে দিচ্ছে সেই কথিত আলেম সমাজ। ফলে সুস্ঠু ইসলামিক অর্থনীতির বিকাশের বদলে ঘুষখোর, দুর্ণীতবাদ তথা প্রচলিত পূজিবাদী অর্থনীতির বিকাশ ঘটছে। ধনি আরো ধনি হচ্ছে দরিদ্র আরো দরিদ্র হচ্ছে মাঝখানে ইসলাম ট্যাগড হচ্ছে ব্যাকডেটেড, অন্যায়ের সাথে আপোষকামী, দূর্নতিবাজদের লালনকারী ধর্ম হিসেবে।

তাই কেবল পরকালের প্রত্যাশায় দরিদ্র থাকার তত্ব সঠিক নয় বলেই মনে করি।
বরং প্রকৃত ইসলামের চর্চার অভাই তার কারণ।


০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:১৭

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: ইসলামকে সঠিক ভাবে পালন করলে অবশ্যই ইহকালেও উন্নতি হয়। কিন্তু ইহকালে উন্নতির জন্য আপনাকে এ সংক্রান্ত কাজ অবশ্যই করতে হবে। কাজ না করে দাম আশা করা যাবে না। আর ইহকালিন উন্নতি ইসলাম না মানলেও হয়। সেজন্য আমি এটাকে ইসলামের মান্যতায় আলাদাভাবে যুক্ত করিনি। যারা স্বরসতীর কাছে বিদ্যা চায় তারাও বিদ্যা পা্য়। যারা আল্লাহর কাছে বিদ্যা চায় তারাও বিদ্যা পায়। যারা কারো কাছে বিদ্যা না চেয়ে পড়ালেখা করে তারাও বিদ্যা পায়। কাজেই ইহকাল পাওয়ার ক্ষেত্রে ইসলামের আলাদা বৈশিষ্ট কোথায়? এখন কম পরিশ্রম করে আল্লাহর নিকট চাইলে যদি অধিক পাওয়া যায় সে টা যে পায় সে বুঝে সেটা সবাই বুঝেনা। দেখা যায় অনেক সময় বিনা পরিশ্রমেও লোকে কিছু কিছু সুখ সুবিধা পেয়ে থাকে। সেটাও মুসলমান একা পায় নাঅ সবাই পায়। এসব বিষয়ের ব্যখ্যা দাঁড় করার চেষ্টা করছি । সফল হলে হয়ত উপস্থাপন করব।

৭| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:১৯

অগ্নিবেশ বলেছেন: গুহামানবদের জন্য গুহাই পারফেক্ট।

০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:২৫

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: গুহায় থাকে সিংহ। এরা গুহা থেকে বেরিয়ে অন্যদের ঘাড়ও মটকায়। আপনি গুহামানব বলে তবে কি তাদেরকে সিংহের সাথে তুলনা করলেন নাকি? আর তারা গুহা থেকে বের হয়ে আপনার ঘাড় মটকাবে এমন ভয় করছেন নাকি? সিংহের জন্য অবশ্য গুহা পারফেক্ট।

৮| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:৩৩

অগ্নিবেশ বলেছেন: ঘাড় মটকায় না ঘড়ে চাপাতির কোপ দেয়। আমার ঘাড়ে মাথা একটাই, তাই ভয় ত হওয়ারই কথা, কি বলেন? সিংহ টিংহ পোষেন নাকি আবার? তাইলে ক্ষমা চাই। আপনি যাহাই বলেন তাহাই সঠিক।

০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:৩৮

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: যারা চাপাতির কোপ দেয় তারা গুহার বাইরে থাকে। গুহায় যারা থাকে তারা নিরিবিলি বসে মানুষের মঙ্গলের জন্য কাজ করে। যারা মানব মঙ্গলের জন্য কাজ করবে পোষন-তোষন তাদের বেলায় হবে। যারা চাপাতি নিয়ে ছুটাছুটি করবে তাদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দেওয়া কখনও সঠিক হতে পারে না।

৯| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:৫৩

অগ্নিবেশ বলেছেন: একবার বলেন- "গুহায় থাকে সিংহ। এরা গুহা থেকে বেরিয়ে অন্যদের ঘাড়ও মটকায়।" -------- আবার বলেন "গুহায় যারা থাকে তারা নিরিবিলি বসে মানুষের মঙ্গলের জন্য কাজ করে।" কখন কি কন চাচায়।

০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:০১

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: গুহা আসলে অনেকেরই পছন্দ। এ পছন্দের কারণ নিরিবিলি স্থান। কাজেই মন্দ অর্থে গুহার চিন্তা করা ঠিক না। অনেকেই গুহাকে নেতি বাচক অর্থে ব্যবহার করতে চায়। যা মূলত তাদের ভুল ধারণা।

১০| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:০২

হাবিব বলেছেন:



কেবলই পরকালই যদি গন্তব্য হতো তবে আল্লাহ আমাদের এই দোয়া শেখাতেন না-
রাব্বানা আতিনা ফিদ্দুনিয়া হাসানাও, ওয়াফিল আখিরাতি হাসানাতাও, ওয়াকিনা আজাবান্নার!

০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:১৯

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: মুমিন আল্লাহর কাছে দোয়া করবে তা’ঠিক আছে। তবে দু’নিয়ার মঙ্গলের জন্য আল্লাহর কাছে যারা প্রার্থনা করে না, তাদেরও মঙ্গল হয়। কাজেই দুনিয়ার মঙ্গলের জন্য আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করা না হলেই নয় এমন জাতীয় কিছু নয়। দুনিয়ার জন্য কাজ করলেই দুনিয়া পাওয়া যায়। তবে পার্থনা করতে হবে ইবাদতের অংশ হিসেবে। কারণ আল্লাহ তেমন করতে বলেছেন। আল্লাহর নিকট না চাইলে এ সংক্রান্ত নেক হাসিল হবে না। তারমানে এটা করবেন নেকের জন্য, দেওয়া না দেওয়া আল্লাহর মর্জি। প্রার্থনা করলেই কাজ না করে শুধুমাত্র পার্থনা দিয়ে দুনিয়া হাসিল হবে বলে মনে হয় না। সেটা হলে মুসলমান এত পিছিয়ে থাকতোনা। কারণ তারা যথেষ্ট প্রার্থনা করে, যদিও তারা উপযুক্ত কাজ করে না। নিজেরা মারামারি করলে তারা পিছিয়ে পড়বে এটা তারা বুঝেই না। আর নিজেদের মধ্যে কি করে মিমাংসা করে নিতে হয় সেটাও তারা জানে না। এ কাজে সাহাবায়ে কেরামও (রাঃ) যথেষ্ট অদক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন। কাজেই মুসলমানদের মাঝে যে সমস্যাগুলো রয়েছে সেগুলো স্বীকার না করে উপায় নেই। কাজেই দোয়া করুন সেই সাথে কাজও করুন।

১১| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:২৪

ভিন্নচিন্তা ভিন্নমত ভিন্নপথ বলেছেন: @ ফরিদ আহমদ চৌধুরী - জনাব, ইসলাম/মুসলিমদের মূল লক্ষ্য যদি পরকালীন জীবনে সাফল্য হয়

তবে খেলাফত/খলিফা/ইসলামী রাষ্ট্র গড়ে উঠেছিল কেন ?

সত্তরের বেশী ইসলামী দল বাংলাদেশে ইসলামী শাসন ব্যবস্থা /শারিয়া আইন /আল্লাহ্-র আইন জমিনে প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করছে কেন ?
জিহাদ ও কিতালের এত ফজিলত কেন ? এত আহবান কেন ?

০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:৫৯

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: এসব হলো পরকালের পাথেয় যোগাড়ের উপকরণ। এসবের মাধ্যমে যদি আপনি ন্যায় প্রতিষ্ঠিত করেন আর অন্যায় প্রতিরোধ করেন তার জন্য আপনার নেকি হাসিল হবে। ইসলামে ইহকাল, পরকাল ও ইহকালের জন্য। কিন্তু অনেকের ইহকাল শুধু ইহকালের জন্য। ইসলামে আপনি যদি ইহকাল না পান তবে আপনার মনে সান্তনা থাকে আপনার প্রাপ্য আপনি পরকালে পাবেন। কিন্তু অনেকের ইহকাল শেষতো তার সব শেষ। সে জন্য তার সব কিছুর বিনিময়ে সে তার ইহকাল গড়ার চেষ্টা করে। এ জন্য এরা মুসলমানের চেয়ে ইহকালিন উন্নতিতে এগিয়ে যেতে পারে।

১২| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:৩১

ভুয়া মফিজ বলেছেন: আজকের মুসলমানরা ইসলাম সঠিকভাবে মানে না বলেই এই অবনতি। এর জন্য দায়ী নামকাওয়াস্তে মুসলমানরা।
বিদ্রোহী ভৃগুর সাথে একমত, আলোচনাটাকে আরেকটু ডাইভার্সিফাই করতে পারতেন।

তবুও স্বল্প-পরিসরে আলোচনা ভালো হয়েছে।

০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:০০

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: অনেকের মন্তব্যের আলোকে আমারও মনে হচ্ছে এ নিবন্ধ আবারো লিখতে হবে।

১৩| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:৩৯

রাজীব নুর বলেছেন: সুন্দর লেখা।

০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:০১

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: মন্তব্যের জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

১৪| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:১৩

নজসু বলেছেন:



পোষ্ট এবং মন্তব্যগুলো গুরুত্বসহকারে পাঠ করছি।

১৫| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:২০

ফারিহা হোসেন প্রভা বলেছেন: অসাধারণ লিখেছেন স্যার। আপনার জন্য শুভ কামনা রইলো।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.