নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

হাজার সনেটের কবি।

ফরিদ আহমদ চৌধুরী

বিষয় যতই জটিল হোক,ভাবতে ভালো লাগে

ফরিদ আহমদ চৌধুরী › বিস্তারিত পোস্টঃ

উপাস্য ও মোনাফেক

০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ৮:০৮



অনেকের উপাস্য ঈশ্বর। তাঁর আবার স্ত্রী ও সন্তান আছে। তবে এদের দৃষ্টিতে ঈশ্বর সবচেয়ে বড়। অনেকের উপাস্য দেব-দেবী যারা সংখ্যায় অনেক।এদের মধ্যে বড়-ছোট আছে। এদের কাজ আবার আলাদা। যে কাজে যাকে প্রয়োজন সে কাজে তার কাছে মিনতি সহকারে আরজি পেশ করে তার আরাধনা করা হয়। অনেকের উপাস্য দেব-দেবী ও ভগবান। এদের দেব-দেবী ও ভগবানও সংখ্যায় অনেক।অনেকের উপাস্য শুধুই আল্লাহ। যার স্ত্রী ও সন্তান নেই। আর সব কাজ শুধু একজন আল্লাহ করে থাকেন।অনেকের উপাস্য বিজ্ঞান এরা ঈশ্বর দেব-দেবী ভগবান ও আল্লাহকে কাল্পনিক বলে এবং শুধুমাত্র বিজ্ঞানকে যথাযথ বলে।এদের কেউ কেউ নিজমত সঠিক বলে তার মত যে সঠিক বলে না তার সাথে সংঘাতে জড়িয়ে পড়ে পরিবেশ পরিস্থিতি জটিল করে তোলে। অনেকে বলে সবার মত সঠিক যা কোনভাবেই সম্ভব নয়।তাহলে এখন উপায়? উপায় হলো কার মত কিভাবে সঠিক সে বলুক। যারা মত যার ভাল লাগে সে তার মত গ্রহণ করুক কিন্তু সবাই মিলেমিশে শান্তিতে থাকুক।

বাণী সূরা মন্ত্র ও সূত্র নিয়ে আলাদা কাজ-বাজ চলছে। অনেকে আবার সবটা একত্রে করে জগাখিচুড়ি পাকায়। তারা আবার এটা বুঝেনা যে অন্যের মত গ্রহণ করলে তার নিজের মত বজায় থাকেনা। সেজন্য অনেকে বলে যার মতে সে থাকুক তবে নিষ্ঠার সাথে থাকুক। নতুবা আম ও ছালা দু’টোই হারাতে হবে। কেউ তাকে নিজমতের লোক হিসেবে গ্রহণ করবেনা।অবশ্য জগা খিচুড়ি একদল হলে এরাও একটা দল পাবে।

কিন্তু যে মতের উপকার কেউ কামনা করে সে ঐ মতে না থাকলে সে ঐ মতের উপকার পায় কেমন করে? এজন্য স্বকীয়তার দরকার আছে। যেমন কেউ বলে সে মুসলমান অথচ সে কোরআনের কথা বিশ্বাস না করে বিজ্ঞানের কথা বিশ্বাস করে তাহলে সে বিজ্ঞানবাদী হলো না মুসলমান রইলো? আর সে মুসলমানই যদি না থাকে তবে তার ক্ষেত্রে ইসলামী তরিকা কিভাবে পালন করা যাবে? সে ইসলামী কথা মানবে না কিন্তু তার ক্ষেত্রে ইসলামী তরিকা মানতে হবে এটা কেমন কথা? এক কমরেডকে দেখলাম যে জীবনে নামাজ পড়েনি তার মরনে লোকেরা জানাজা নামাজের জন্য অস্থির হয়ে গেল। তো যার জীবনে নামাজ প্রয়োজন হয়নি তার মরনে নামাজ কেন প্রয়োজন হবে?

কেউ একমতের কাজ করে অন্য মতের পরিচয় প্রদান করাকে প্রতারণা না বলে উপায় কি? ইসলামে এসব লোককে মোনাফেক বলে।আর এ প্রতারক ও মোনাফেকরা সবচেয়ে বিপদ জনক। কারণ একমতের লোকেরা তার মতের লোক মনে করে এদের সাথে মিশার পর এরা পিছন থেকে ছুরি মারে। আর এতেকরে লোকেরা ধোকায় পড়ে ক্ষতিগ্রস্থ্য হয়। সে জন্য বলি যে যার মতে থাক তবে নিষ্ঠার সাথে থাক। এক মতে থেকে অন্যমতের ভেস ধরা জঘণ্য। রাজনীতির ক্ষেত্রেও এ ধরনের মোনাফেক থাকে। যাদের দ্বারা লোকেরা প্রতারিত হয়। এরা স্বার্থের কারণে যে কোন সময় যে কোন মত গ্রহণ করে তার এত দিনের সাথীর পিঠে ছুরি মারতে পারে। তা’ছাড়া এসব ক্ষেত্রে মানুষ বন্ধুরূপি শত্রু দেখে দিশেহারা হয়ে পড়ে।

আমারমতে সঠিক মত খুঁজে সেটা মেনে চল। যে মত মানবে সেটা নিষ্ঠার সাথে মানবে। মোনাফেকি বা প্রতারণা করবে না। এবার সেটা ধর্মনীতি বা রাজনীতি বা যে নীতি হোক।আর সব মানুষ মিলেমিশে সুখে শান্তিতে থাক। অশান্তি সৃষ্টির কোন দরকার নেই। যার মত তার কাছে ঠিক সেটা মেনে নিজ মতে চল। নিজ মত ও অপরের মতের সাথে খিচুড়ি পাকাবার দরকার নেই। কারণ এতে লোকেরা প্রতারিত হয়। আর ইসলামে মোনাফেক সবচেয়ে ঘৃণিত আর বাস্তবেও এর চেয়ে জঘণ্য কেউ নেই। কারণ এরা ছদ্মভেসী শয়তান।

বিঃদ্রঃ ‘ইসলামের সঠিকতার অকাট্য প্রমাণ’ গ্রন্থের একটি অধ্যায় হিসেবে লেখাটি লেখা হয়েছে।

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:০০

আব্দুল্লাহ্ আল মামুন বলেছেন: আজব দুনিয়া আমাদের।।। যে মরলো সে জীবিত থাকতে নাস্তিক থাকলেও মরলে আত্মীয় সজন কবর ই দেয়। জানাজাও পড়ে।

আবার মিলে মিশে থাকে না।

মারামারি করে, গালাগালি করে।।

০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:০৬

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: মানুষ সত্য ও সঠিকতার চর্চা করলে ঝামেলা অনেকটা কমে যায়।

২| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:০৭

ভিন্নচিন্তা ভিন্নমত ভিন্নপথ বলেছেন: @ ফরিদ আহমদ চৌধুরী - জনাব, আপনি কিভাবে মুসলিম হয়েছেন ?

জন্মসূত্রে ?

নাকি স্বজ্ঞানে কোরআন-হাদিস জেনে বুঝে পড়ে, অন্যান্য ধর্মগ্রন্থগুলির সাথে তুলনামূলক যাচাইয়ের পর, ইসলামের সত্যতা বুঝতে পেরে তারপর মুসলিম হয়েছেন। ?

আপনার জন্ম যদি কোন হিন্দু/ বৌদ্ধ/ খৃস্টান পরিবারে হতো তাহলে কোন ধর্ম পালন করতেন ?

সঠিক পথ খুঁজে পাওয়ার উপায় কি ?

আমার পথ যে সঠিক সেটা কে বলবে ?

০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:১৫

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: আমি মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেছি। আমার আপুর বান্ধবী আলোদীর কারণে আমি শৈশবেই ভিন্নতা দেখেছি। আলাদী ছিলেন হিন্দু। আমার মনে এ প্রশ্ন দেখা দিয়েছে কোনটা সঠিক? নাকি কোনটাই সঠিক নয় তৃতীয় কোনটা সঠিক? আমি একটা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম যে আমার মত বেঠিক এ বিষয়ে নিশিচত না হওয়া পর্যন্ত আমার মত আমি পরিত্যাগ করব না। আমার জানার বিষয়ে প্রশ্ন করে আমি সন্তোষ জনক উত্তর পেতাম না। মা বিভিন্নভাবে আমাদের মতের সঠিকতা বিশ্বাসযোগ্য করতে পেরেছেন। আমাদের রীতি পালনে মোটামুটি নিষ্ঠা ছিল। কোরআনের অর্থ শুনেছি শৈশবেই। মা কোরআনের অর্থ আমি ও আব্বাকে পড়ে শুনাতেন। আব্বাও বিভিন্ন ভাবে ইসলামের সঠিকতা আমাদেরকে বুঝাতে সক্ষম হয়ে ছিলেন। এখন আমিও আমার সন্তানদেরকে ইসলামের সঠিকতা বুঝাতে চেষ্টা করি। ভিন্নমতের মানুষেরাও তাদের মতে আমাদেরকে নেওয়ার চেষ্টা করেছে। বিশেষত যারা কমিউনিষ্ট তারা ধর্মের অসারতা বুঝাতে চেষ্টা করেছে। কিন্তু আমি নিজে যতটা অনুসন্ধান করেছি তাতে আমার মতের বেঠিকতা আমি খুঁজে পাইনি। আল্লাহ আছেন কি নেই। এ বিষয়ে আমার অনুসন্ধান রিপোর্ট আল্লাহর থাকার পক্ষে। আল্লাহর স্ত্রী ও সন্তান আছে কি নেই এ বিষয়ে আমার অনুসন্ধান রিপোর্ট আল্লাহর স্ত্রী ও সন্তান না থাকার পক্ষে। আল্লাহ এক না অনেক এ বিষয়েও আমার অনুসন্ধান রিপোর্ট আল্লাহর এক হওয়ার পক্ষে। আল্লাহ অসীম না সসীম এ বিষয়েও আমার অনুসন্ধান রিপোর্ট আল্লাহর অসীম হওয়ার পক্ষে। আল্লাহর আকার আছে কি নেই, এ বিষয়েও আমার অনুসন্ধান রিপোর্ট আল্লাহর নিরাকার থাকার পক্ষে। আর আমার মত আমার অনুসন্ধান রিপোর্টের আলোকে গড়ে উঠছে। এখন কেউ যদি যথাসাধ্য সত্য বুঝার চেষ্টা করেও সত্য বুঝতে সক্ষম না হয় তখন সে নিজেকে অন্তত বুঝাতে পারবে যে সে সাধ্যমত চেষ্টা করেছে। কেউ যদি অন্যের ঘাড়ে সত্য বুঝার দায় চাপিয়ে নিজেও তারমত চলে তবে তাদের উভয়ের অবস্থা একই হবে। সে সত্যগামী হলে এও সত্যগামী হবে আর সে মিথ্যার অনুসারী হলে এও মিথ্যার অনুসারী হবে। আর আল্লাহ দেখবেন যথাযথ যোক্তিক প্রচেষ্টা।

০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:৫৯

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: ভিন্নধর্ম বা মতের পরিবারে জন্মগ্রহণ করেও অনেকে ইসলাম গ্রহণ করে, আমিও হয়ত তেমন কিছু করতাম। আমাদের নবিও (সাঃ) মুসলিম পরিবারে জন্ম গুহণ করেননি। আর তাঁর সাহাবায়ে কেরামগণও (রাঃ) মুসলিম পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেননি। আর মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেও অনেকে মুসলিম থাকেনি। কাজেই কে কোথায় জন্মগ্রহণ করলো সেটা মুখ্য বিষয় নয়। মুখ্য বিষয় হলো কে কিভাবে সত্য অনুসন্ধান করলো, কে কিভাবে সত্য খুঁজে পেল এবং কে কিভাবে সত্য গ্রহণ করলো। সত্য খোঁজার সহজ পথ হলো অযোক্তিকে প্রশ্রয় দেওয়া চলবে না এবং অনুমানের উপর ভিত্তি করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা চলবে না। তারমানে আপনি যা করবেন তার পিছনে যুক্তি ও সত্য থাকতে হবে। আর এভাবেই সত্য প্রকাশ হতে থাকে।

৩| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:১২

হাবিব বলেছেন: আমরা ঈমানদার কিন্তু মুসলমান নই..........

০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:১৯

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: আমরা যতটা আল্লাহর ইচ্ছেমত চলি আমরা মুসলমানও ঠিক ততটুকু।

৪| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:২২

রাজীব নুর বলেছেন: চাচাজ্বী ভালো লিখেছেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.