নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

হাজার সনেটের কবি।

ফরিদ আহমদ চৌধুরী

বিষয় যতই জটিল হোক,ভাবতে ভালো লাগে

ফরিদ আহমদ চৌধুরী › বিস্তারিত পোস্টঃ

সফটওয়্যার ও প্রাণ এবং আল্লাহর উপাসনা

০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:৪১



আল্লাহ বলেছেন, ‘কুলির রুহু মিন আমরিল্লাহ- বল রুহ আল্লাহর আমর বা আদেশ’। আমর বা আদেশ সম্পর্কে আল্লাহ বলেছেন, ‘ ফাইযা আমরুহু ইযা আরাদা শাইয়াঁও আঁইয়াকুলা লাহু কুন ফাইয়াকুন- তাঁর আমর বা আদেশ বা কাজ হলো এমন যখন তিনি কোন কিছু করতে ইচ্ছা করেন তখন তিনি উহাকে বলেন হও অতঃপর উহা হয়ে যায়’।তারমানে হও তিনি উহাকে বলেন। তার মানে হও বলার আগে উহার সব লিমিট শেষ হয়ে উহা হওয়ার যোগ্য হওয়ার পর আল্লাহ উহাকে হও বলেন।এখানে লিমিট মোটেও অনুপস্থিত নয়। হও মানে ডান কমান্ড প্রদান করেন প্রোগ্রামার। প্রোগ্রামার সফট ওয়্যারের যাবতীয় লিমিট প্রদান করেন। তিনি উহাকে যেমন হওয়া কামনা করেন তেমন লিমিট প্রদান করেন। এর একটা নামও তিনি দিয়ে দেন। তারপর তিনি ডান বা হও কমান্ড দিলে সফটওয়্যার বা প্রোগ্রাম হয়ে যায়।মানব দেহের প্রাণ হলো এর সফটওয়্যার বা প্রোগ্রাম। হার্ডওয়্যার সচল হতে বা সচল থাকতে সফটওয়্যার লাগে।মানব দেহের যেটা রুহ সেটাও মূলত সফটওয়্যার যা এটা সচল হতে ও সচল থাকতে কাজে লাগে। যেহেতু রুহের বিভিন্ন লিমিট রয়েছে সেহেতু এটা বোধগম্য যে রুহের লিমিট সমূহ প্রদানের পর আল্লাহ একে হও বলার পর এটা হয়েছে।সংগত কারণে এতেও পদ্ধতি বা সিস্টেম বিদ্যমান এটা অদ্ভুত জাতীয় কিছু নয়। আর এখন আল্লাহর খলিফা বা রিপ্রেজেন্টিটিভ বা প্রতিনিধি হিসেবে মানুষ সফটওয়্যার তৈরী করতে পারছে। তবে তারা এখনো রুহ তৈরী করতে পারছেনা। রুহ বিভিন্ন রকম রয়েছে কোনটা সচল কারক রুহ আর কোন রুহ এর মধ্যে সচল করার গুণ নেই। এগুলো শুধুমাত্র এদের দেহকে টিকিয়ে রাখতে পারে। এ ধরনের রুহ এর মধ্যে রয়েছে পাথরের রুহ।আর সচল করার গুণসম্পন্ন রুহের মধ্যে রয়েছে মানুষের রুহ। তারমানে আল্লাহ তাঁর সব সৃষ্টির মাঝেই এটা টিকে থাকা ও এক সময় শেষ হওয়ারমত সফটওয়্যার দিয়ে রেখেছেন। এ রুহের মধ্যে কিছু আছে অভিভাজ্য আর কিছু আছে বিভাজ্য।অবিভাজ্য রুহের কিছু অংশ মূল অংশ থেকে আলাদা হলে আলাদা অংশের বিলুপ্তি ঘটে।তবে বিভাজ্য রুহ এর দেহের সব অংশে সমভাবে বিরাজ করে। কাজেই এর কোন অংশ কোন অংশ থেকে আলাদা হলেও সব অংশেই এর রুহ কার্যকর থাকে। আল্লাহর কথার ভিত্তিতে এসব আমার উপলব্ধিগত জ্ঞান। যদিও এটাকে লব্ধজ্ঞানে পরিণত করতে আমার আরো সময় লাগবে।

আল্লাহর সৃষ্টি রুহ ও মানুষের তৈরী সফটওয়্যারের মধ্যে প্রধান পার্থক্য হলো, রুহ চলে গেলে দেহ আর টিকে থাকেনা। তখন দেহও বিলুপ্তির পথ ধরে। কিন্তু মানুষের তৈরী সফটওয়্যার না থাকলেও হার্ডওয়ার মোটামুটি টিকে থাকে।সম্ভবত মানুষ আল্লাহর তৈরী রুহের মত কোন সফটওয়্যার তৈরী করতে সক্ষম হবে না। তবে মানুষ যা করেছে তাও কম অবাক করার মত নয়। এখন অবস্থা এমন দাঁড়িয়েছে যে মানুষ আল্লাহকে বাদ দিয়ে মানুষের উপাসনা শুরু করেছে।অথচ মানুষ আল্লাহর সৃষ্টি ছাড়া কিছুই তৈরী করতে পারে না। কাজেই মানুষের বুঝা উচিৎ তার মানুষ নয় বরং আল্লাহর উপাসনা করা উচিৎ।

মানুষ যা করেছে তা মোটেও কম কিছু করেনি। কিন্তু যিনি মানুষকে সৃষ্টি করেছেন তিনি মানুষ থেকে কম হন কেমন করে? আল্লাহ যদি মানুষ সৃষ্টি না করতেন তবে এমন অবাক করার মত কাজ কেমন করে হতো? মানুষ যখন ছিলনা সে সময়কার ইতিহাস তো মানুষ এখন বলছে।তখনতো এমন কিছু ছিলনা। মানুষের সাথে যখন অবাক করার মত কিছু ঘটল তখন মানুষের সৃষ্টিকর্তাকে ধন্যবাদ না দিয়ে পারা যায় কেমন করে? সংগত কারণে মানুষের উচিৎ মানুষ বা অন্যকারো নয় বরং তার সৃষ্টিকর্তা আল্লাহর উপাসনা করা। নতুবা সে আল্লাহর বিচারে অপরাধী সাব্যস্ত হলে আর তার পক্ষে কি বলার থাকবে? কাজেই মানুষ কি করছে সে বিষয়ে তার ভাবনা থাকা দরকার।

বিঃদ্রঃ ‘ইসলামের সঠিকতার অকাট্য প্রমাণ’ গ্রন্থের একটি অধ্যায় হিসেবে লেখাটি লেখা হয়েছে।

মন্তব্য ১৪ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:৫০

আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: চমৎকার পোস্ট....
প্রিয়তে নিলাম...

০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:১৭

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: আল্লাহ আপনার মঙ্গল করুন।

২| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:৫৪

রাজীব নুর বলেছেন: ধর্মের কথা আমার আত্মাকে শান্তি দেয়।

০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:১৮

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: আল্লাহ আপনার মঙ্গল করুন।

৩| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:৫৬

চাঁদগাজী বলেছেন:


সফটওয়ার তৈরির মতো টেকনোলোজী বের হওয়াতে আপনার জন্য "রুহের" উদাহরণ দেয়া সহজ হলো; খলীফাগণ কি দিয়ে উদাহরণ দিয়েছিলেন?

০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:২১

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: ডঃ মরিচ বুকাইলি বলেছেন, কোরআনে এমন কিছু আপগ্রেড তথ্য আছে যা সে যুগর মানুষের বোধগম্য ছিলনা। কিন্তু এখন সেটা বোধগম্য। আর কিছু তথ্য আছে যা এ যুগেও বোধগম্য নয় পরে কোন এক সময় বোধগম্য হবে। যেমন দাব্বাতুল আরদ। যা একালে বোধগম্য হওয়া কঠিন।

৪| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:০৯

নজসু বলেছেন:



আস সালামু আলাইকুম।

০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:২২

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: আল্লাহ আপনার মঙ্গল করুন।

৫| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:৪৬

আব্দুল্লাহ্ আল মামুন বলেছেন: আগে পিস টিভি দেখা হত। এখন পারিনা।
কুরআন যে বিজ্ঞান গ্রন্থ অনেক খ্রিষ্টান স্কলারই মেনে নিয়েছে। আপনি যার কথা বললেন। তার পর আমেরিকার অনেক আছে।

আগামীতে আরো রিসার্জ হোক। এই কামনা রইলো

১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ৭:০১

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: কোরআন অর্থ পড়া উচিৎ। আর বিভিন্ন বিষয় নিয়ে চিন্তা গবেষণা করতেও আল্লাহ বলেছেন।

৬| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ৭:৫৭

ভিন্নচিন্তা ভিন্নমত ভিন্নপথ বলেছেন: @ ফরিদ আহমদ চৌধুরী - জনাব , আপনার বৈজ্ঞানিক তাফসীর পড়ালাম । আল্লাহ্ এবং ধর্মের বিজ্ঞান ছাড়া দেখি ঊপায় নেই ! এই বৈজ্ঞানিক তাফসীর শুধু ব্লগ লিখলে চলবে ? মাঝে মাঝে আলেম-উলেমাদেরকে পড়তে দিবেন । দেখবেন, কেমন প্রতিক্রিয়া হয় ।

এতদিনেও একশত আশি কোটি মুসলিমরদের জন্য খালি অমুসলিম মরিস বুকাইলিকে ( ডঃ নয় ....ডাঃ-, বিজ্ঞানী নয় চিকিৎসক বাহে ! ) ছাড়া আর নতুন কোন ডাক্টর খোঁজ পেলেন না ? আফসোস !

চৌদ্দশ বছর ধরে কোরআন শরীফ পড়ছেন , হেফজ করছেন, তাফসীর করছেন ...তো চিন্তা গবেষণা করে আবিষ্কার করলেনটা কি ? বসে বসে খালি বিধর্মীদের আবিষ্কৃত হার্ডওয়্যার , সফটওয়্যারের সুবিধা ভোগ কর ছাড়া ?

@ আবদুল্লাহ আল মামুন -আপনারা কোরআনকে ভালো করে রিসার্জ করেন ! রিসার্চ-টিসার্চ করার ভার ইহুদি-নাসারাদের উপর ছেড়ে দিন ।

১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:১১

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: আপনি জনাব ডঃ এম এ আলীর মন্তব্য থেকে জ্ঞান হাসিল করতে পারেন।

৭| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ৮:৪৫

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: আত্মার উন্মেষ ও মানব দেহে তার অবস্থান ও কার্যকারীতা এখনো সাধারন মানব কুলের বোধগম্যের অনেক বাইরে । এর বিশালতা, ক্ষমতা ও কার্যকারীতা মানবসৃষ্ট কোন বিষয় বা উপমা দিয়ে তুলনা করা বলতে গেলে এখনো প্রায় অসম্ভব । যাহোক, আল্লাহর সৃস্টি নিয়ে তাঁর তাওহিদের মধ্যে থেকে গবেষনায় অনেক পু্ণ্য নিহীত আছে ।

আত্মা নিয়ে সব ধর্মাবলম্বীদেরই কিছু না কিছু ধারনা , বিশ্বাস ও মতবাদ আছে । যেমন ইহুদীমতে পবিত্র আত্মা বলতে স্বর্গীয় ভাববাণী এবং জ্ঞানকে বুঝায়। জগতের সকল সৃষ্টির উপর সর্বশক্তিমান সৃষ্টিকর্তার শ্রেষ্ঠত্বকে বুঝাতে পবিত্র আত্মা শব্দটি ব্যবহৃত হয়।সুত্র : Alan Unterman and Rivka Horowitz,Ruah ha-Kodesh, Encyclopedia Judaica (CD-ROM Edition, Jerusalem: Judaica Multimedia/Keter, 1997).

অধিকাংশ খ্রীস্টধর্মালম্বীদের মতে, পবিত্র আত্মা ত্রৈত্বতার তৃতীয় স্বর্গীয় স্বত্তা। স্বত্তা তিনটি হল, পিতা, পুত্র এবং পবিত্র আত্মা। পবিত্র স্বত্তার তিনটি দৃষ্টিভঙ্গিই ঈশ্বর হিসাবে উদ্ভাসিত ( সুত্র : Grudem, Wayne A. (1994). Systematic Theology: An Introduction to Biblical Doctrine. Leicester, England: Inter-Varsity Press; Grand Rapids, MI: Zondervan. p. 226.)

তবে কুরানে ত্রৈত্ব স্বত্তাকে অস্বীকার করা হয়েছে। ইসলামে রুহুল কুদুসকে আল্লাহ্-র সমতুল্য মনে করা বিশেষভাবে নিষিদ্ধ।এছাড়া শুধুমাত্র আত্মা (الروح আল-রূহ, ‘পবিত্র’ বা ‘গৌরবান্বিত’ বিশেষণটি ছাড়া রুহ শব্দটি ইসলামে ভিন্ন অর্থে ব্যবহার করা হয়েছে। যেমন, প্রথম মানব আদম (আ:) কে সৃষ্টি করার পর আল্লাহ তার মধ্যে আত্মা প্রবেশ করিয়ে জীবন দান করেন বলে সকল মুসলমানরা বিশ্বাস করেন। আত্মা সম্পর্কে কুরআনে বলা হয়েছে : "...বলো, ‘রূহ আমার রবের আদেশ থেকে, আর তোমাদেরকে জ্ঞান থেকে অতি সামান্যই দেয়া হয়েছে’ কুরআন ১৭ঃ৮৫) ।তাই রুহ মুলত আলালার একটি কমান্ড । এর কর্মফল অআমরা অনুভব করতে পারি কিন্তু এটা কিভাবে কোন প্রক্রিয়ায় কাজ করে তা অআমরা জানিনা , জানা মনে হয় সম্ভবও না, কারণ অআল্লাহ এ প্রসঙ্গে নীজেই যে অআত্মার বিষয়ে মানুষকে সামান্যই জ্ঞান দেয়া হয়েছে । তাই এটা কিভাবে কাজ করে তা নিয়ে বিষদ চিন্তা না করে বরং পবিত্র কোরানে বর্নিত আল্লার আদেশ নিষেধ ও রাসুলের সুন্নত অনুসরন করে আত্মাকে সুদ্ধ রেখে পরমাত্মার সাথে মিলনের আকাঙ্খা পোষন ও সে অনুযায়ী আমল করা সকলের জন্য অধিক মঙ্গল বয়ে আনবে বলে মনে করি ।

যাহোক, ইসলামী চিন্তাবিদ ও দার্শনিকদের পাশাপাশি আত্মা নিয়ে বিজ্ঞানীদেরও গবেশনার কোন অন্ত নেই । এমনকি ১৯০৭ সনে ডানকান মেকডোনাল্ড নামের আমিরিকার মেসাসিসুটের একজন চিকিৎসক গবেষনাগারে পরীক্ষা করে দেখিয়েছেন যে আত্মার ওজন আছে । তিনি তার নার্সিং হোমের ৬ জন রোগীর মৃত্যুর সামান্য পুর্বের ও মৃত্যুর সাথে সাথেই ওজন নিয়ে দেখেছেন যে তাদের ওজন গড়ে ২১ গ্রামের মত কমে গেছে, তার মানে তিনি প্রমান করেছেন আত্মার ওজন আছে এবং তা প্রায় ২১গ্রামের কাছাকাছি ( সুত্র Click This Link )। অবশ্য তার এই আবিস্কারের অনেক সমালোচনা হয়েছে , কারণ এটা মাত্র ৬ জন লোকের মৃত্যু পুর্ব ও পরবর্তী সময়ের ওজন নিয়ে করা হয়েছে, যার থেকে কোন ইউনিভার্সেল সিদ্ধান্তে আসা সঠিক নয় ও গ্রহনযোগ্যও নয় ।

যাহোক, আত্মা নিয়ে গবেষনা চলতে থাকুক , মানুষ নীজ আত্মা ও পরমাত্মা সস্পর্কে সত্যিকার জ্ঞান লাভ করুক এ কামনা রইল ।
ধন্যবাদ মুল্যবান পোষ্ট দিয়ে আলোচনার সুত্রপাত করার জন্য ।

নিত্য শুভেচ্ছা রইল ।

১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:১৪

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: অজ্ঞদের জন্য সুন্দর মন্তব্য করেছেন। আল্লাহ আপনার মঙ্গল করুন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.