নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

হাজার সনেটের কবি।

ফরিদ আহমদ চৌধুরী

বিষয় যতই জটিল হোক,ভাবতে ভালো লাগে

ফরিদ আহমদ চৌধুরী › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমার (বিডিপি) নির্বাচনী ইশতেহার

২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:১০



ইশতেহার হলো রাষ্ট্রপরিচালনার সংক্ষিপ্ত পরিকল্পনা। যাতে অতীব গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সমূহ সংযুক্ত হয়। যা নির্বাচনের সময় ভোটারদের মন আকৃষ্ট করার জন্য কোন দল বা জোটের পক্ষ থেকে উপস্থাপিত হয়। স্বতন্ত্রপ্রার্থীদের ইশতেহার প্রদান করতে আমি দেখিনি। আমি ইশতেহারের শর্ত পূরণ করে ইশতেহার প্রদানের চেষ্টা করেছি। অনেকেই ইশতেহার নয় এমন কিছুকে ইশতেহার বলে চালিয়ে দিচ্ছেন। ইশতেহার বিষয়ে আমাদের কথা হলো, আমাদের চেষ্টা প্রচেষ্টা মেধা যোগ্যতা নিয়োযিত হোক দেশ ও জাতির কল্যাণে। দুষ্টের দমন ও শিষ্টের পালন হোক আমাদের নীতি। আমাদের কাজ হোক অপরাধের শাস্তি নিশ্চিত করা। আমাদের মানসিকতা হোক সাধ্যের ষোলআনা উজাড় করে দেওয়া। আমাদের প্রতিশ্রুতি যেন প্রতারণা না হয়। জনতার আদালতে আমাদের সম্মান চির অটুট থাকুক। বাংলাদেশী পার্টির (বিডিপি) পক্ষ থেকে আমি আমার দলীয় ইশতেহার ঘোষণা করছি।

ইশতেহারঃ-

১। নির্বাচন কমিশন গঠন করবে বিচার বিভাগ। এ বিষয়ে যেকোন নাগরিক আপত্তি তুললে এর সুরাহা করবে বিচার বিভাগ।তার মানে নির্বাচন কমিশন শাসন বিভাগের প্রভাব মুক্ত থাকবে। নির্বাচন কমিশনের আর্থিক দিক বিচার বিভাগের অনুমোদন সাপেক্ষে শাসন বিভাগ প্রদান করতে বাধ্য থাকবে।নির্বাচন ব্যবস্থা প্রভাবিত করার মত কোন আইন জাতীয় সংসদ পাশ করতে পারবেনা।যদি এমন কিছু জাতীয় সংসদ করে তবে বিচার বিভাগ সরাসরি তা’বাতিল করতে পারবে।এভাবে নির্বাচন কমিশনকে নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী সবার প্রভাব মুক্ত রাখতে হবে। প্রধানমন্ত্রী ছাড়া কেউ রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণপদে থেকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবেন না।প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনে কোন প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করলে বিচারবিভাগে যে কোন নাগরিক অভিযোগ উপস্থাপন করতে পারবেন প্রধানমন্ত্রী দোষী সাব্যস্ত হলে বিচার বিভাগ তাঁকে বরখাস্ত করতে পারবে। তখন রাষ্ট্রপতি অন্যকাউকে খন্ডকালিন প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ দান করবেন।এভাবে নিরপেক্ষ নির্বাচনের ব্যবস্থা করা হবে।

২। উদ্যোক্তা বিষয়ক মন্ত্রণালয় গঠন করে। এর মাধ্যমে অধীক প্রতিষ্ঠান তৈরী করে বেকার সমস্যার সমাধান করা হবে। এর মাধ্যমে বিদেশী বিনিয়োগ বাড়ানোর প্রচেষ্টা চালানো হবে। উদ্যোক্তাদের উৎপাদিত পণ্য দেশে বিক্রি ও বিদেশে রপ্তানির সুব্যবস্থা করার মাধ্যমে তাদের প্রতিষ্ঠান সমূহকে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত করার প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান করা হবে।

৩। অনিরাপদ চালক ও গাড়ী যেন রাস্তায় নামতে না পারে সে বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থাগ্রহণ করা হবে যেন নিরাপদ যোগাযোগ ব্যবস্থা তৈরী হয়।

দলীয় শুভাকাংখি জনাব পদাতিক চৌধুরির মতে, ১৫ বছরের উত্তীর্ণ গাড়ি গুলিকে চিহ্নিত করে বসিয়ে দেওয়া এবং নতুন গাড়ির ক্ষেত্রে প্রতি ছয় মাস অন্তর ধোয়া টেস্ট ও থার্ড পার্টির বীমা বাধ্যতামূলক করা জরুরি। চালকদের প্রতি ১৫ বছর অন্তর লাইসেন্স রিনুয়াল এর ব্যবস্থা করা ।

৪। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করা হবে এবং যারা অপরাধী নয় তাদের উপর কোন অবিচার করা হবেনা।সাকুল্যে জাতিকে ঐক্যবদ্ধ রাখার চেষ্টা করা হবে।

৫। নাগরিক চাহিদা ও জাতীয় উন্নয়নের বিবেচনায় শিক্ষাব্যবস্থা সাজিয়ে তোলা হবে এবং পাঠ্যপুস্তক প্রণয়ণে জাতীয় উন্নয়নের বিষয় বিবেচনায় রাখা। শিক্ষার সকল ক্ষেত্রে বিনামূল্যে পুস্তক সর্বরাহ এবং অতিদরিদ্র শিক্ষার্থীদেরকে বিনামূল্যে পোষাক ও শিক্ষা উপকরণ প্রদান।


দলীয় শুভাকাংখি জনাব পদাতিক চৌধুরির মতে, কারিগরি শিক্ষার প্রসারে প্রতিটি জেলা ও উপজেলায় একটি করে সরকারি মহাবিদ্যালয় গঠন করা হবে। বৃত্তি মুলক শিক্ষার প্রসারে প্রতি 10 কিমি অন্তর একটি করে উচ্চ মাধ্যমিক স্কুলকে চিহ্নিত করে শিক্ষার্থী অনুপাতে ( ৪০: ১) শিক্ষাসহায়ক পদ সৃষ্টি করে নির্দিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছে দেওয়া হবে।

শিক্ষা ব্যবস্থায় উন্নয়নে ' ন্যাশনাল কারিকুলাম ফ্রেমওয়ার্ক ' গঠন করে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষাব্যবস্থাকে ঢেলে সাজানোর ব্যবস্থা করা হবে। অষ্টম মান পর্যন্ত শিক্ষাকে সম্পূর্ণ অবৈতনিক ঘোষণা করা হবে। সঙ্গে ১৪ বছর বয়স পর্যন্ত প্রত্যেক বালক বালিকাকে এলিমেন্টারি এডুকেশন বাধ্যতামূলক করা হবে। আগামীতে ১০ ক্লাস পর্যন্ত এলিমেন্টারি এডুকেশনকে লক্ষ্য রেখে সরকার পরীক্ষামুলকভাবে অগ্রসর হবে।

৬। জঙ্গি,মাদক,ধর্ষন, নারী ও শিশু নির্যাতন সংক্রান্ত বিচার দ্রুত সম্পন্ন করার ব্যবস্থা করা হবে। এ সংক্রান্ত অপরাধ যেন না ঘটে সে সংক্রান্ত জনসচেতনতা মূলক পর্যাপ্ত কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে।

৭। শিষ্টের পালন ও দুষ্টের দমন এবং জাতীয় স্বার্থবিবেচনায় বৈদেশিক নীতি গড়ে তোলা হবে।বিশ্বের জন্য কল্যাণকর আন্তর্জাতিক ইস্যুতে সক্রিয় ভূমিকা পালন করে জাতির সম্মান বৃদ্ধিকরা

৮। পর্যটক সুবিধার উত্তরোত্তর উন্নতি সাধন করা হবে। পর্যটন স্পট সমূহকে বিশ্বমানের গড়ে তোলা।

৯। প্রচার মাধ্যমকে নৈতিক রুচিশীল ও শালিনতার মানদন্ডে গড়ে তোলা এবং সাহিত্য ও সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে এ সংক্রান্ত মেধাবীদের মেধা বিকাশে যথেষ্ট ব্যবস্থা গ্রহণ করা। যেন জাতির এ সংক্রান্ত পরিচয় বিশ্বে সর্বসেরা হয়।সেরা বাংলাব্লগ হিসেবে প্রতিদিন সামুর সেরা তিন লেখাকে পুরস্কার প্রদান করে উৎসাহিত করা।আর সামু ব্লগকে সরকারী অনুদান প্রদান করা।

মত প্রকাশের স্বাধিনতার নামে মিথ্যা প্রচারের সুযোগকে আশ্রয় ও প্রশ্রয় দেওয়া হবে না। পরের ভাল মতের অহেতুক বিরোধীতা না করে তা’ বাস্তবায়ন করা। ভালমত অনেকের থাকে কিন্তু ভালমত বাস্তবায়নের সুযোগ সবার থাকে না। সে সুযোগ আমরা পেলে আমরা অবশ্যই অন্যের ভালমত বাস্তবায়নের চেষ্টা করব। এ উপলক্ষ্যে উপস্থাপিত সকল ইশতাহেরর ভাল বিষয়গুলো বাস্তবায়ন করা হবে।

১০। দলীয় শুভাকাংখি জনাব পদাতিক চৌধুরির মতে, বন্যাকবলিত এলাকায় গুলিকে চিহ্নিত করে একটা এডুকেশনাল হার্ব গঠন করা হবে ,যাতে বন্যার সময় পঠন পাঠন সচল রাখা যায়। পাশাপাশি এই ধরনের হার্ব গুলির গ্রাউন্ডফ্লোর পাকাপাকিভাবে বন্যা কবলিত মানুষদের আশ্রয় স্থল হিসেবে ব্যবহৃত হবে।

১১। কোন ধর্ম বা মতের অমানবিক বিধি জনগণের উপর জোর পূর্বক চাপিয়ে দেওয়া হবে না বরং এসব বিষয় ঐচ্ছিক পর্যায়ে রাখা হবে। তবে সে ইচ্ছাকে প্রশ্রয় দেওয়া হবে না যা বিশৃঙ্খলা তৈরী করে।তবে নিয়ম মাফিক ধর্ম বা মতের প্রচারের সুযোগ থাকবে। সকল নাগরিকের রাষ্ট্রিয় সুবিধা সমান থাকবে।যেন কোন নাগরিক নিজ দেশকে পরদেশ না ভাবেন।

১২। দলীয় শুভাকাংখি জনাব পদাতিক চৌধুরির মতে, প্রতি বছর ১ হাজার কিঃমিঃ কাচাঁ রাস্তাকে পিচ রাস্তা করার লক্ষ্যমাত্রা রাখা হবে।

১৩। দুই মেয়াদের বেশী কোন ব্যক্তির বা কোন পরিবারের সদস্যদের প্রধানমন্ত্রী না থাকার বিধান প্রণয়ন। বিগত সরকারের উন্নয়নকর্মকান্ড অব্যাহত রাখা এবং কোন নাম পরিবর্তন না করা যদি পরিবর্তন গণদাবী না হয়।


১৪। সকল ক্ষেত্রে অপচয় রোধ করা যেন তা’ অসহায়দের কষ্টের কারণ না হয়। দূর্গত ও অসহায়দের পাশে দাঁড়াতে অসহায় ভাতা চালুকরা ও ভিক্ষুকমুক্ত দেশ গঠন এবং হত-দরিদ্রদের জন্য স্বল্প খরচে আবাসন সুবিধা প্রদান।

১৫। দলীয় শুভাকাংখি জনাব পদাতিক চৌধুরির মতে, প্রতিবছর ১০ হাজার কিমি নতুন এলাকায় বৈদ্যুতিককরণের লক্ষ্যমাত্রা রাখা হবে। প্রতিবছর এক হাজার কিমি নদী পার ঢালাই এর লক্ষ্যমাত্রা রাখা হবে।


১৬। চাকুরী ক্ষেত্রে প্রতিবন্দ্বী, উপজাতি ও অসহায়কে অগ্রাধিকার প্রদান করা।তবে এক্ষেত্রে মেধাবিবেচনা থাকতে হবে। অগ্রাধীকারের নামে কোন মেধাহীনের বোঝা জাতির ঘাড়ে না চাপানো বরং এক্ষেত্রে তাদেরকে অন্যভাবে সাহায্য করা।

১৭। দূতাবাসের মাধ্যমে প্রবাসীদের প্রয়োজনীয় সেবার বিষয়ে অধিকতর তদারকী চালু করা। দেশের নাগরিকেরা বিদেশে যেন আরো ভালভাবে অবস্থান করতে পারে সে বিষয়ে খেয়াল করা।

১৮। দলীয় শুভাকাংখি জনাব পদাতিক চৌধুরির মতে, প্রতি চারটি স্বাস্থ্যকেন্দ্রকে সামনে রেখে তাদের মধ্যে একটিকে পূর্ণাঙ্গ হসপিটালে উন্নীত করা হবে। জেলা হসপিটাল গুলোর শয্যা সংখ্যা প্রতিবছর অল্প অল্প করে বাড়িয়ে পাঁচ বছরে ৫০০ বাড়ানোর লক্ষ্যমাত্রা রাখা হবে। একই সঙ্গে বেসরকারি হসপিটাল বা নার্সিংহোমগুলোতে ২০ শতাংশ শয্যা বাৎসরিক ৪০ হাজার টাকা কম আয়ের মানুষদের জন্য চিকিৎসা পরিষেবা বাধ্যতামূলক করা হবে।

১৯। প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ে জনগণের পত্র প্রেরণ করার ব্যবস্থা করা যেন অধীক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা যায় এবং স্থানীয় সরকার সমূহের সেবারমান আরো উন্নত করে তাদের মাধ্যমে পরিচ্ছন্ন ও সুখীদেশ গড়ার প্রচেষ্টা চালানো। মিথ্যা প্রতিশ্রুতির মাধ্যমে যারা ভোট আদায় করে স্থানীয় ও জাতীয় সরকার নির্বাাচিত হয়েছে মেয়াদ শেষে প্রতিশ্রুতি ভঙ্গের দায়ে তাদেরকে কিচারের মুখোমুখি দাঁড় করানো।

২০। আলাদা গবেষণা মন্ত্রণালয় স্থাপন করা। যারা সারাদেশ থেকে উদীয়মান প্রতিভা সংগ্রহকরে গবেষণা কার্যক্রমে তাদেরকে সার্বিক সহায়তা প্রদান করবে যেন বিভিন্ন ক্ষেত্রে দেশে পর্যাপ্ত বিজ্ঞানী তৈরী হয়।


বিডিপির সংক্ষিপ্ত পরিচয়

দলের নামঃ বাংলাদেশী পার্টি বা বিডিপি।

মার্কাঃ কলম।

# আমাদের মার্কা কলম দিয়ে আমরা বাংলাদেশের ইতিহাস নতুন করে লিখতে চাই। যে ইতিহাস হবে সমৃদ্ধির। যে ইতিহাস হবে উন্নতির। যে ইতিহাস নিয়ে আমরা বিশ্ব দরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে চাই।

মূলনীতিঃ সব নাগরিকের কল্যাণ ও অন্যদেশের সাথে আন্তরিক সম্পর্ক।

# মূলনীতি বিষয়ে দলীয় সদস্যরা দলীয় ফোরামে যে কোন মূলনীতির প্রস্তাব করতে পারবে।সংখ্যা গরিষ্ঠ সদস্যের ভোটে প্রস্তাবিত মূলনীতি দলীয় মূলনীতি হিসেবে গৃহিত হবে। তারমানে দলীয় মূলনীতি সংস্কারযোগ্য হিসেবে বিদ্যমান থাকবে।

# দলীয় সংগঠন হবে গণতান্ত্রিক। কেন্দ্র থেকে গ্রাম পর্যন্ত প্রথমে আহবায়ক কমিটি সঠিত হবে।কেন্দ্রীয় কমিটিতে প্রতি জেলা থেকে একজন সদস্য থাকবেন। আহবায়ক সেই একজন সদস্য বেছে নেবেন, যিনি হবেন জেলা কমিটির আহবায়ক। জেলা কমিটির আহবায়ক প্রতি উপজেলা থেকে পাঁচজন করে সদস্য নিয়ে জেলা কমিটি গঠন করবেন।জেলা কমিটির আহবায়ক প্রতি উপজেলা কমিটির জন্য একজন করে আহবায়ক ঠিক করে দিবেন। যিনি প্রত্যক ইউনিয়ন খেকে দু’জন করে সদস্য নিয়ে উপজেলা কমিটি গঠন করবেন।উপজেলা কমিটির আহবায়ক প্রত্যেক ইউনয়নে একজন করে আহবায়ক ঠিক করে দিবেন যারা প্রত্যেক গ্রাম ও পাড়া থেকে দু’জন করে সদস্য নিয়ে ইউনিয়ন কমিটি গঠন করবেন। ইউনিয়ন কমিটির আহবায়ক প্রত্যেক গ্রাম ও পাড়ায় একজন করে আহবায়ক ঠিককরে দিবেন যার নেতৃত্বে গ্রাম কমিটি গঠিত হবে। যে কোন নাগরিকের গ্রাম কমিটির সদস্য হওয়ার সুযোগ থাকবে।আহবায়ক কমিটি দু’বছর দায়িত্ব পালন করবেন।দু’বছর পর সকল কমিটির সকল পদ নির্বাচনের মাধ্যমে নির্ধারিত হবে। ইউনিয়ন কমিটি আহবায়ক গ্রাম কমিটির নির্বাচন কমিশনার ঠিক করে দিবেন। তবে গ্রাম কমিটির সদস্যগণ আপত্তি করলে তাদের পছন্দ মত নির্বাচন কমিশানার ঠিক করে দিতে হবে।এভাবে প্রত্যেক উপরস্থ কমিটির আহবায়ক অধঃস্তন কমিটির নির্বাচিত কমিটির ব্যবস্থা করে দিবেন। কেন্দ্রীয় কমিটির আহবায়ক কেন্দ্রীয় সদস্যদের সমর্থন সাপেক্ষে একজন নির্বাচন কমিশনার ঠিক করে দিবেন। যিনি কেন্দ্রীয় কমিটির নির্বাচন পরিচলনা করবেন।যোগ্যতা সাপেক্ষে প্রত্যেক অধঃস্তন কমিটির সদস্য উপরস্ত কমিটিতে প্রমোশন পাবেন। অধীক যোগ্যতা সাপেক্ষ্যে প্রাথমিক সদস্য থেকে যে কোন কমিটিতে কমিটির সদস্যদের সম্মতি সাপেক্ষে স্থান পাওয়ার সুযোগ থাকবে। দলীয় গণতান্ত্রিকতায় যেকোন সদস্যের মতামত বিবেচনার জন্য গৃহিত হবে এবং সংখ্যাগরিষ্ঠের সমর্থনে তা’দলীয় বিধিতে পরিণত হবে।

বি.দ্র. আমাদের দল যেহেতু এ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেনি। সেহেতু স্বতন্ত্রপ্রার্থীরা যদি সরকার গঠন করার মত আসন পায় তখন আমরা তাদেরকে আমরা আমাদের ইশতেহার গ্রহণের আমন্ত্রণ জানাব।তাদের ইচ্ছার ভিত্তিতে তখন আমাদের ইশতেহার বাস্তবায়িত হবে।এ বিষয়ে কেউ কোন নেতিবাচক মত পোষন করলে এর দায় আমাদের নয়।

মন্তব্য ২৬ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (২৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:১৮

আরোগ্য বলেছেন: ভালো লিখেছেন কবি।

২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:২৮

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: ইশতেহার বাস্তবায়নে আমরা আপনার দোয়া ও সার্বিক সহায়তা কামনা করছি। লাইকের জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

২| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:৩০

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: বাহ সনেট কবির ইশতেহার!

আরকেটু জনবান্ধব করা যায় কিনা দেখুনতো!
মৌলিক বিষয়গুলোর অবকাঠামোগত বিষয় নিয়ে ভাবা যেতে পারে।

২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:৩৪

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: এটা বাংলাদেশীদের দল। আপনিও ইশতেহারে ধারা যোগের প্রস্তাব করতে পারেন। আপনার পস্তাবিত ধারা আপনার নামেই ইশতেহারে যোগ করা হবে। প্রিয় কবি আমরা সিরিয়াসলি আপনার সহায়তা কামনা করছি। কথায় বলে দশেমিলি করি কাজ হারিজিতি নাহি লাজ। এখান থেকেই আমাদের গণসম্পৃক্ততা তৈরী হোক।

৩| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:৪৮

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: Excellent manifesto.

২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:৫৭

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: একজন বাংলাদেশী হিসেবে আপনিও ইশতেহারে কিছু যোগ করতে পারেন। একটা উন্নত রাষ্ট্র গড়ায় আমার বিবেচনায় আরো কিছু বিষয় রয়েছে। সেগুলোর পরখ চলছে। ইশতেহারের যোগকরার মত বিবেচিত হলে যোগ করে দেব।সকল নাগরিকের আমাদের ইশতেহারে অংশগ্রহণ উম্মুক্ত থাকল। কারণ আমরা মনে করি আমাদের চেতনায় হয়ত এমন কিছু নেই যা অন্য কারো চেতনায় রয়েছে। কাজেই জাতির জন্য কল্যাণকর সব কিছুর পথ খুঁজে পাওয়ার সুযোগ থাকা দরকার। কারো ব্যক্তিগত ইচ্ছা জনতার ঘাড়ে চাপানোর মনভাব সবাইকে ত্যাগ করতে হবে।

৪| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:০৯

রাকু হাসান বলেছেন:


সুন্দর হয়েছে ইশতেহার কবি । :)

২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:১২

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: সেই সাথে আপনার প্রস্তাবনা কামনা করছি প্রিয় কবি। একটু সহায়তা কী আমি পেতে পারিনা ও কবি?

৫| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:২৮

রাকু হাসান বলেছেন:

লজ্জা দিলেন আমায় কবি বলে , :(( । আমি তো কবিতাই লিখি না , :( তবু !েএত বড় ট্যাগ আমার সাথে বড্ড বেমানান কবি ।
আপনার ইশতেহারে খুব ভালো লাগছে । বেশ কিছু বিষয় উঠে এসেছে । রাজনীতি বিষয়ে অজ্ঞ আমি বলতে গেলে । বেকারদের জন্য কি করবেন তেমন কিছু েএকটা আসতে পারে ।

২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:৩৩

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: আপনি কবিতা লিখেন না এটা সঠিক নয়। হয়ত মুড়ি মুড়কির মত কবিতা লিখেন না। তবে অল্প সংখ্যক মান সম্পন্ন কবিতা লেখেন। আর বেকার সমস্যার সমাধানের কথা ২ নং পয়েন্টে আলোচনা করা হয়েছে।

৬| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ২:৫৩

মাহমুদুর রহমান বলেছেন: ভালো।

২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ৭:১৯

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

৭| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৩:০৮

চাঁদগাজী বলেছেন:


দেশ পরিচালনার মুল প্রিনসিপলগুলো দলের গঠনতন্ত্রে থাকে।

ইশতেহার থাকে সমকালীন দরকারী বিষয়গুলোর সমাধান, যা প্রথম ৩/৪ মাসের মাঝে করার চেষ্টা করা হয়।

২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ৭:২০

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: ক্ষমতার পূর্ণমেয়াদের জন্য ইশতেহার প্রদানেও ক্ষতি নেই। এটা একটা মেজর প্লান হয়ে থাকলো।

৮| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:০১

আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: সুন্দর :)
বিশেষ করে উদ্যোগক্তা আর গবেষণার বিষয়টা ভালো লেগেছে....

২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:৩৮

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: পাঠ ও মন্তব্যে অনেক ধন্যবাদ।

৯| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:৩৬

রাজীব নুর বলেছেন: চাচা একটা পদ দিয়েন সুযোগ থাকলে।

২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:৪০

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: কেন্দ্রীয় ব্লগ বিষয়ক সম্পাদকের পদটি আপনাকে দেওয়া যেতে পারে।

১০| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:৫৫

ব্লগার_প্রান্ত বলেছেন: আমাকেও একটা পদ দিয়েন কবি !
ইশতেহারে লাইক
ভালো লিখেছেন

২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:০২

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: আপনার ইশতেহার ভাল হয়েছে। দলীয় সদস্যদের সাথে আলোচনা সাপেক্ষে আপনাকে বড়কোন পদ দেওয়া যেতে পারে।

১১| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:১৪

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: শ্রদ্ধেয় কবি ভাই/ ইশতেহার রচয়িতা,

আলোচনা করতে গেলে আপনার কুড়িটি আইটেম ধরে বিস্তর আলোচনা করার সুযোগ আছে। তবে আমি সব গুলোকে না টাচ করে বেশ কয়েকটি স্থানে আলোচনা করার চেষ্টা করছি।

৩- অনিরাপদ গাড়ি ও চালক না বলে, 15 বছরের উত্তীর্ণ গাড়ি গুলিকে চিহ্নিত করে বসিয়ে দেওয়া এবং নতুন গাড়ির ক্ষেত্রে প্রতি ছয় মাস অন্তর ধোয়া টেস্ট ও থার্ড পার্টির বীমা বাধ্যতামূলক করা জরুরি। চালকদের প্রতি 15 বছর অন্তর লাইসেন্স রিনুয়াল এর ব্যবস্থা করাটা কাম্য ।

৫- শিক্ষা ব্যবস্থায় উন্নয়নে ' ন্যাশনাল কারিকুলাম ফ্রেমওয়ার্ক ' গঠন করে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষাব্যবস্থাকে ঢেলে সাজানোর ব্যবস্থা করা হবে। অষ্টম মান পর্যন্ত শিক্ষাকে সম্পূর্ণ অবৈতনিক ঘোষণা করা হবে। সঙ্গে 14 বছর বয়স পর্যন্ত প্রত্যেক বালক বালিকাকে এলিমেন্টারি এডুকেশন বাধ্যতামূলক করা হবে। আগামীতে 10 ক্লাস পর্যন্ত এলিমেন্টারি এডুকেশনকে লক্ষ্য রেখে সরকার পরীক্ষামুলকভাবে অগ্রসর হবে। ( ১৮ নম্বর সিরিয়ালটি এর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত হলো)

নতুন-১ বন্যাকবলিত এলাকায় গুলিকে চিহ্নিত করে একটা এডুকেশনাল হার্ব গঠন করা হবে ,যাতে বন্যার সময় পঠন পাঠন সচল রাখা যায়। পাশাপাশি এই ধরনের হার্ব গুলির গ্রাউন্ডফ্লোর পাকাপাকিভাবে বন্যা কবলিত মানুষদের আশ্রয় স্থল হিসেবে ব্যবহৃত হবে।
নতুন টু- কারিগরি শিক্ষার প্রসারে প্রতিটি জেলা ও উপজেলায় একটি করে সরকারি মহাবিদ্যালয় গঠন করা হবে। বৃত্তি মুলক শিক্ষার প্রসারে প্রতি 10 কিমি অন্তর একটি করে উচ্চ মাধ্যমিক স্কুলকে চিহ্নিত করে শিক্ষার্থী অনুপাতে ( ৪০: ১) শিক্ষাসহায়ক পদ সৃষ্টি করে নির্দিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছে দেওয়া হবে।
নতুন থ্রি- প্রতি বছর 1 হাজার কিঃমিঃ কাচাঁ রাস্তাকে পিচ রাস্তা করার লক্ষ্যমাত্রা রাখা হবে।
নতুন ফোর- প্রতিবছর 10 হাজার কিমি নতুন এলাকায় বৈদ্যুতিককরণের লক্ষ্যমাত্রা রাখা হবে
নতুন ফাইভ- প্রতিবছর এক হাজার কিমি নদী পার ঢালাই এর লক্ষ্যমাত্রা রাখা হবে।
নতুন সিক্স - প্রতি চারটি স্বাস্থ্যকেন্দ্রকে সামনে রেখে তাদের মধ্যে একটিকে পূর্ণাঙ্গ হসপিটালে উন্নীত করা হবে। জেলা হসপিটাল গুলোর শয্যা সংখ্যা প্রতিবছর অল্প অল্প করে বাড়িয়ে পাঁচ বছরে 500 বাড়ানোর লক্ষ্যমাত্রা রাখা হবে। একই সঙ্গে বেসরকারি হসপিটাল বা নার্সিংহোমগুলোতে ২০ শতাংশ শয্যা বাৎসরিক 40 হাজার টাকা কম আয়ের মানুষদের জন্য চিকিৎসা পরিষেবা বাধ্যতামূলক করা হবে।

নতুন সেভেন- বিশুদ্ধ পানীয় জলের ব্যবস্থা টাও একটা আইটেম হিসেবে আপনাকে দেখাতে হবে।
নতুন এইট- কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে প্রতিটি জেলা-উপজেলায় কর্মসংস্থান দপ্তরেগুলির মাধ্যমে বিদেশি কোম্পানিকে শিক্ষা কারিগরি সহ বিভিন্ন সংস্থায় অধিক সংখ্যক কর্ম বিনিয়োগের ব্যবস্থা রাখা হবে।

বিনম্র শ্রদ্ধা ও শুভকামনা প্রিয় কবিভাইকে।


২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:৩১

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: চৌধুরী ভাই আপনার সকল প্রস্তাবনা ইশতেহারে যোগ করা হয়েছে। একটু দেখে নিবেন।

১২| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:০৭

অক্পটে বলেছেন: দেশে এখন চরম স্বৈরতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এর অবসানে আমাদের সকলকে কাজ করতে হবে। এমনভাবে কাজ করতে হবে যেন স্বৈরতন্ত্র পুনরায় এই দেশে তার শিকড় গাড়তে না পারে।

২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:৪০

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: কিন্তু সমস্যা হলো জনগণকে এমন লক্ষ্যে পরিচালিক করার মত নেতা ও কর্মীর দারুণ অভাব রয়েছে। এ ক্ষেত্রে এমন নেতা দরকার যাঁর কথায় জনগণ প্রাণ দিতে প্রস্থুত থাকবে। নতুবা বিদ্যমান সমস্যার সমাধান হবে না।

১৩| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:২৫

খায়রুল আহসান বলেছেন: প্রথম পয়েন্টটি একটি নতুন আইডিয়া। পরীক্ষা করে দেখা যেতে পারে।
উদ্যোক্তা বিষয়ক মন্ত্রণালয় নামে নতুন কোন মন্ত্রণালয় গঠনের প্রয়োজন নেই বলে মনে কারি। বিদ্যমান কাঠামোতেই কোন এক মন্ত্রণালয় বা বিভাগকে এ দায়িত্ব দেয়া যেতে পারে। নতুন মন্ত্রণালয় মানেই নতুন সরকারী ব্যয়, সরকারী জনবল বৃদ্ধি, অহেতুক মাথাভারী প্রশাসন।
৩ নং পয়েন্টের প্রয়োজন নেই। বিদ্যমান আইন কঠোরভাবে প্রয়োগ করলেই যথেষ্ট হবে।
৯ নং পয়েন্টের সাথেও একমত নই। সামু'র ব্লগারকে পুরস্কার প্রদানের বিষয়টি একটি জাতীয় নির্বাচনের ইশতিহারে আসতে পারেনা। আর অন্য বিষয়টি প্রসঙ্গে এভাবে বলা যায় যে সত্যকে প্রতিষ্ঠা ও সমর্থনের এবং মিথ্যাকে পরিত্যাগ ও ঘৃণা করার মৌলিক শিক্ষাকে প্রাথমিক থেকে শুরু করে মাধ্যমিক শিক্ষার পাঠ্যসূচীতে অন্তর্ভুক্ত রাখতে হবে।
১৭ নং পয়েন্টটি বিশেষ প্রয়োজন। এটা ইশতিহারে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য ধন্যবাদ।


২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:৫৫

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: সামু গঠিত হয়েছে জাতীয় উন্নয়নের কথা মাথায় রেখে কাজেই আমি মনে করি সামু রাষ্ট্রীয় বিবেচনায় থাকা উচিৎ। সামুর পিছনে রয়েছে স্বদেশী রত্ন। স্বদেশী রত্ন বলে কি সামু অবমূল্যায়নের স্বীকার হবে? বরং স্বদেশীয় সব কিছুকে ভালবেশে ধন্য হওয়া দরকার বলে আমি মনে করি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.