নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

শব্দকবিতা : শব্দেই দৃশ্য, শব্দেই অনুভূতি [email protected]

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই

দুঃখের কবিতাই শ্রেষ্ঠ কবিতা। ভালোবাসা হলো দুঃখ, এক ঘরে কবিতা ও নারী।

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই › বিস্তারিত পোস্টঃ

মুক্তচিন্তা, মুক্ত আলোচনা, সাম্প্রদায়িকতা এবং ধর্মান্ধতা ও কট্টরপন্থি নাস্তিকতা : প্রেক্ষাপট – অভিজিৎ রায়ের হত্যা; আমাদের করণীয়

০৩ রা মার্চ, ২০১৫ সকাল ১০:৫৮

মুক্তচিন্তা বা মুক্ত আলোচনা এবং অপরের বিশ্বাস বা অনুভূতিতে আঘাত করা বা বিদ্রূপ করা দুটি ভিন্ন বিষয়- প্রথমটা প্রগতির পথ দেখায়, দ্বিতীয়টা উস্কানি সৃষ্টি করে এবং সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা বাড়ায়। আমাদের দুর্ভাগ্য যে, আমরা এ দুটোর পার্থক্য বের করতে পারি না। আরো দুর্ভাগ্য এই যে, আমরা অনেককেই মুক্তচিন্তার ধারক-বাহক হিসাবে তাঁদের নাম ইতিহাসে ক্ষোদিত করি, কিন্তু তাঁদের কীর্তিগুলো পর্যালোচনা করলে দেখা যায় যে তাঁরা খুব নিম্নরুচির ও হীনমন্য ছিলেন; মুক্ত আলোচনার বদলে ব্যক্তি আক্রমণই ছিল তাঁদের বড় হাতিয়ার। এমন কাউকে আমরা মুক্ত চিন্তার ধারক-বাহক, বুদ্ধিজীবী, ইত্যাদি অভিধায় অভিহিত করতে পারি না।



আমরা কেউ পর্যাপ্ত মাত্রায় সহনশীল নই। সহনশীলতা শুধু ধর্মান্ধদের পক্ষ থেকেই প্রত্যাশিত না, প্রগতিশীলদের কাছ থেকেও সমমাত্রার সহনশীলতা কাম্য; বরং প্রগতিশীলরা যদি নিজেদের ‘ধর্মানুসারীদের’ চেয়ে শ্রেয়তর মনে করেন, তাহলে তাঁদেরই হতে হবে সহনশীলতার আইডল। আমরা যখন রেগে যাচ্ছি, তখনই হেরে যাচ্ছি, আর তখনই ভুলগুলো সৃষ্টি হতে থাকে চেইন রি-এ্যাকশনের মতো। আমার মুক্তবুদ্ধি ও যুক্তিগুলো যদি কংক্রিট হয়, তাহলে আপনার বংশপরিচয় বিকৃত করার প্রয়োজন পড়বে না। বিকৃত বা অশ্লীল ভাষা ব্যবহার করলেই যে তর্কযুদ্ধে জয়লাভ ঘটে না, তা আমরা সবাই জানি। কিন্তু মুক্ত আলোচনার নামে আমরা এসব করে থাকি। এটা হলো রাগ বা ক্ষোভ প্রকাশের সূচনা। আমি রেগে গেলে আপনার মধ্যেও সেই রাগ সংক্রমিত হতে বাধ্য। ক্রোধ মানুষকে অমানুষে পরিণত করে। অমানুষের মধ্যে কোনো মানবিকতা থাকে না।



অন্য দিকে, ‘অন্ধত্ব’ শুধু ধর্মানুসারীদের জন্যই প্রযোজ্য নয়। ‘ধর্মান্ধ’ আস্তিক যেমন আছেন, তেমনি কট্টরপন্থি নাস্তিকও রয়েছেন। ধর্মানুসারীদের যেমন উচিত ‘ধর্মান্ধতা’ পরিহার করা, তেমনি নাস্তিকদেরও উচিত নাস্তিক্যের ‘অন্ধত্ব’ থেকে বেরিয়ে আসা। উভয় পক্ষেরই উচিত পরমত-সহিষ্ণুতা প্রদর্শন করা। অপরের কথা শোনা এবং বোঝার মানসিকতা থাকতে হবে। নিজের চোখ ও কান বন্ধ করে অনর্গল নিজের বক্তব্য পেশ করতে থাকলে কোনো পক্ষই আদতে বিপরীত পক্ষের বক্তব্য বুঝতে ও মূল্যায়ন করতে সক্ষম হবেন না। সর্বোপরি, ‘আমার বক্তব্যই সঠিক’, বা ‘আমিই সঠিক’- এই ‘অন্ধত্ব’ ও গোঁড়ামি থেকে উভয় পক্ষকে বেরিয়ে আসতে হবে।



সকল হত্যার সুষ্ঠু তদন্ত হোক। দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই। কোনো হত্যাই সমর্থনযোগ্য নয়। কিন্তু পৃথিবীতে শুধু মানুষেরই বাস না, অমানুষরাও বাস করেন। এই অমানুষরা ধর্মান্ধ কিংবা তথাকথিত মুক্তচিন্তাবিদ- দু দলেই সমভাবে বিদ্যমান। এঁদের আক্রমণাত্মক মনোভাব দূর করা না গেলে ভয়াবহ খুনাখুনি বন্ধ হবে না।



আমি এখানে আরেকটা কথা বলতে চাই ‘সাম্প্রদায়িকতা’ শব্দটা সম্পর্কে। আমার মনে হয় ‘সাম্প্রদায়িকতা’ শব্দটি শুধু ধর্মানুসারীদের নির্দেশ করলে এর ব্যবহার সঠিক প্রমাণিত হবে না। যাঁরা সংঘবদ্ধভাবে, বা একত্রে, একই মত অবলম্বনের মাধ্যমে ধর্মের বিরুদ্ধে, কিংবা আস্তিকতার বিরুদ্ধে, কিংবা অন্য কোনো সম্প্রদায়ের অন্য কোনো মতের বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণ করেন, তাঁরাও সাম্প্রদায়িক।



যুদ্ধাবসানের পর যে কোনো দেশ বা জাতি সেই যুদ্ধে জয় বা পরাজয়ের কারণগুলো আইডেন্টিফাই করে। পরাজয়ের কারণ বের করলেই যে রিওয়াইন্ড করে সময়ের পিছনে ফিরে গিয়ে সেই যুদ্ধে জয়লাভ করা যাবে, ব্যাপারটা তা না। তবে ভবিষ্যতে এরূপ পরাজয় এড়ানোর জন্য ওসব ‘Lessons learned’ খুব সহায়ক হবে। এজন্য আমরা মিলিটারি হিস্ট্রি পড়ে থাকি।



হুমায়ুন আজাদ ও রাজীবকে হত্যা করার পর সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কি এই নির্মম হত্যার কারণগুলো খুঁজে বের করেছিলেন? দোষীদের কি প্রাপ্য শাস্তি দেয়া হয়েছিল? এই কারণগুলো খুঁজে বের করার দরকার ছিল অপরাপর লেখকদের শিক্ষার জন্য, যাতে তাঁরা ভুলগুলো (যদি থেকে থাকে) শুধরে নিতে পারেন ভবিষ্যতের জন্য। দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেয়া দরকার সম্ভাব্য বা প্রকৃত খুনিদের মধ্যে ডিটারেন্স সৃষ্টি করার জন্য, যাতে পরিণতির কথা ভেবে তারা এহেন ভয়ঙ্কর কাজে উদ্যত হবার সাহস না পায়। রাজীব বা থাবা বাবার পোস্টসমূহ পর্যালোচনা করার প্রয়োজন ছিল- তাতে ধর্মানুসারীদের জন্য উস্কানি বা উত্তেজনা সৃষ্টিকারী কোনো উপাদান ছিল কিনা, বা কোনো উগ্রতা ছিল কিনা। ‘উগ্রতা’ শব্দটাও কেবল ধর্মানুসারী আস্তিকদের জন্যই প্রযোজ্য নয়, ধর্মবিরোধী নাস্তিকদের ক্ষেত্রেও সমভাবে প্রযোজ্য। তাঁর মতো আর কোনো ব্লগার এরকম উস্কানিমূলক কর্মকাণ্ডে লিপ্ত ছিলেন কিনা। তদ্রূপ, এসব বিতণ্ডায় ধর্মানুসারীদের পক্ষে কারা কারা সম্পৃক্ত ছিলেন? তাঁদের মধ্যেও উগ্রতা ছিল কিনা, এবং সেই উগ্রতার মাত্রা কতখানি ছিল? উভয় সম্প্রদায়ের পক্ষ থেকে প্রাণনাশের কোনো হুমকি ছিল কিনা। থেকে থাকলে তাঁদের খুঁজে বের করে তাঁদের বিরুদ্ধে কোনো আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের পদক্ষেপ নেয়া হয়েছিল কিনা। এসব করা হলে হয়তো অভিজিৎ রায়কে এভাবে প্রাণ দিতে হতো না।



এক নৃশংস হত্যাকাণ্ডের মধ্য দিয়ে অভিজিৎ রায়কে প্রাণ দিতে হলো। খুনিদের শাস্তি এখন যতই হোক না কেন, মৃত অভিজিৎ রায় আর কোনোদিন পৃথিবীতে ফিরে আসবেন না। অভিজিৎ রায়ের বাবা-মা, স্ত্রী, সন্তানেরা আর কোনোদিন অভিজিৎ রায়কে বুকের কাছে পাবেন না।



কিন্তু, এই মুহূর্তে আমরা কি খানিকটা চেষ্টা করে দেখতে পারি কেন ঐ উন্মত্ত নরপশুরা এভাবে নির্মম ভাবে অভিজিৎ রায়ের প্রাণ সংহার করলো?



আমি আগেই বলে নিই, আমি এর আগে অভিজিৎ রায়ের নাম শুনি নি। তাঁর মতো একজন ট্যালেন্টেড ব্লগার, লেখক ও বিজ্ঞানীর জন্ম এই সোনার বাংলাদেশে, এ তথ্য আমার জানা ছিল না বলে আমি খুব লজ্জিত, দুঃখিত ও বিব্রত। এ নিয়ে আমার খুব আফসোস হচ্ছিল। কিন্তু পরে খুব তুচ্ছ একটা কারণ খুঁজে পেলাম, যা দিয়ে নিজেকে খানিকটা হলেও সান্ত্বনা দেয়া যায়। আমিও একজন ব্লগার, লেখক ও কবি। আমারও গোটা দশেক বই বের হয়েছে। ব্লগ ও ফেইসবুক জগতে আমার পরিচিতি নেহায়েত কম নয়। কিন্তু, সংখ্যার বিচারে আমাকেই বা ক’জনে চিনেন? অতএব, অভিজিৎ রায়কে চিনতাম না বলে আফসোস না করে তাঁর সম্পর্কে একটু অনুসন্ধান করা যাক।



ফেইসবুকে আমার টাইমলাইন দেখুন। ০১ মার্চ রাত ৮-৫১-তে আমার স্টেটাসটি ছিল এরকমঃ



***



অভিজিৎ রায়সহ যে-কোনও মানুষকে হত্যার তীব্র নিন্দা করি। তদন্ত হোক, দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেয়া হোক



============================================



অভিজিৎ রায় সম্পর্কে কয়েকটি তথ্য জানতে চাই। দয়া করে কেউ জানালে বাধিত হবো।



> সামহোয়্যারইন ব্লগে অভিজিৎ রায়ের কোনো নিক ছিল কিনা। সেই নিকের নাম কী?



> ইসলাম ধর্ম, হিন্দু ধর্ম, খ্রিষ্টধর্ম বা অন্য কোনো ধর্ম সম্পর্কে তাঁর এমন কোনো কমেন্ট ছিল কি যা থেকে ইসলাম, হিন্দু, খ্রিষ্টান বা অন্যান্য ধর্মের মৌলবাদীরা তাঁর উপর ক্ষুব্ধ হয়ে থাকতে পারেন?



> হযরত মুহম্মদ (সঃ) সম্পর্কে কি তিনি কখনো কোনো বিরূপ মন্তব্য বা কটাক্ষ করেছেন? অন্য কোনো ধর্মের অবতারদের সম্পর্কে কি তাঁর কোনো আপত্তিকর মন্তব্য ছিল?



> যে-সব আর্টিকেল পড়ে ধর্মভীরু মানুষগণ আহত বা ক্ষুব্ধ হয়ে থাকতে পারেন তাঁর এমন কিছু আর্টিকেল পড়তে আগ্রহী। দয়া করে কেউ লিংক দিলে খুশি হবো।



আমি দুঃখিত যে, অভিজিৎ রায়ের নাম আমি আগে শুনি নি, যদিও 'মুক্তমনা' নামে একটা ব্লগ আছে তা জানতাম। এই বুদ্ধিজীবী ব্লগারের অস্বাভাবিক-অকালপ্রয়াণে শোক প্রকাশ করছি। তাঁর স্ত্রীর দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি। অভিজিৎ স্বর্গবাসী হোন- এই কামনা।



***



ধরুন, আপনার সাথে আমি ‘সনেট’ নিয়ে মুক্ত আলোচনায় বসলাম। ধরুন, আমি সনেট পছন্দ করি না, সনেট লিখিও না। পক্ষান্তরে, আপনি ভালো সনেট লিখেন, সনেট ভালোও বাসেন, মাইকেল মধুসূদনকে সনেটের পথিকৃৎ বিবেচনা করেন। আমার উচিত হবে বুদ্ধিমত্তার সাথে আপনাকে বুঝিয়ে দেয়া যে, সনেট আসলে কোনো প্রকৃত কবিতার স্বাদ দেয় না; এটা একটা জটিল বিষয়ও। আপনি আমার মতামত মেনে নিবেন কী নিবেন না তা আপনার ব্যক্তিগত ব্যাপার। আর আপনার মেনে নেয়ার অনেকখানিই নির্ভর করবে সনেট সম্পর্কে কতখানি বস্তুনিষ্ঠ বক্তব্য পেশ করছি আমি, আমার বক্তব্যে সনেটের উপর প্রকৃত মূল্যায়ন পরিস্ফুট হচ্ছে কিনা, কতখানি বোধগম্য ভাষায় আপনার কাছে আমার বক্তব্য বিধৃত করছি- এসবের উপর। কিন্তু তাই বলে আপনাকে আমি গালমন্দ করতে পারি না; অসৎ উদ্দেশ্যে মিথ্যে তথ্য দিয়ে আপনার ব্যক্তিগত জীবনকে কালিমায় ভরে দিতে পারি না। আপনার নাম, মধুসূদনের নাম, আরো যাঁরা সনেট লিখেন, তাঁদের সবার নাম বিকৃত করে অত্যন্ত কুৎসিত ভাষায় আক্রোশ প্রকাশ করতে পারি না। আপনি আপনার মা/বাবা/ভাই/বোনদের সাথে নিয়মিত ‘ইনসেস্ট সেক্স’ করেন- এসব কুৎসা দ্বারা আপনাকে ঘায়েল করার পথ বেছে নিতে পারি না। সনেট আলোচনায় এসব আসে না। মানুষ ফেরেশ্‌তা নয়- অতি সস্তা একটা কথা আমরা প্রায়শ বলে থাকি। কিন্তু কথাটা ভুল না মনে হয়। এজন্য এসব অপ্রাসংগিক বিষয়ের অবতারণায় আপনার মনে ক্রোধ ও ক্ষোভের সঞ্চার হওয়া খুব স্বাভাবিক হবে।



আমি মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বুকে ধারণ করে বড় হচ্ছি। বেঁচে থাকি। কিন্তু হুমায়ুন আজাদের ‘পাক সার জমিন সাদ বাদ’ পরে আমার মনে তীব্র বিবমিষার উদ্রেক হয়েছিল। একজন মননশীল লেখক কীভাবে এ ভাষা ব্যবহার করেন? যাঁদের বিশ্বাস ঠুনকো, তাঁরা এ বই পড়ে ফুঁসে উঠবে- স্বাধীনতার পক্ষে-বিপক্ষে নির্বিশেষে।



রাজীবকেও ভালো করে চিনেছিলাম তাঁর মৃত্যুর পর। ব্লগে তাঁর লেখা কোনোদিন আমার পড়া হয় নি, তবে, আমার কোনো কোনো পোস্টে হঠাৎ হঠাৎ তাঁর ছোটখাটো কমেন্ট দেখতাম বলে ভাষা ভাষা মনে পড়ে, কিন্তু আমি নিশ্চিত নই। রাজীবের মৃত্যুর পর ফেইসবুকে তাঁর কিছু নোট আমি পড়েছিলাম। তিনি হযরত মুহম্মদ (সঃ)-কে ডাকতেন মোহাম্মক (মোহাম্মদ + আহাম্মক)। এরপর যেসব কদাকার ও আপত্তিকর ভাষায় রাসুল (সঃ)-কে গালিগালাজ করেছেন, ইসলামকে নিয়ে ব্যঙ্গ-বিদ্রূপ-কটাক্ষ করেছেন, তাকে কোনোভাবেই মুক্তচিন্তা বা মুক্ত আলোচনা বলা যায় না, তা ছিল নিছক ব্যক্তি আক্রমণ ও ইসলাম বিদ্বেষ। এ থেকে মানবজাতি কী শিক্ষা গ্রহণ করতে পারে?



মানুষ খুন করা ইসলামের বিধানে নেই। যাঁরা রাজীবকে কুপিয়ে হত্যা করেছিল তাঁরা কখনো মুসলমান হতে পারে না। কিন্তু এই খুন থেকে ব্লগার বা কবিলেখকগণ কি কোনো শিক্ষা গ্রহণ করেছেন?



‘The 100: A Ranking of the Most Influential Persons in History’ বইয়ের লেখক মাইকেল হার্ট রাসুল (সঃ) সম্পর্কে বলেছেনঃ ‘My choice of Muhammad to lead the list of the world’s most influential persons may surprise some readers and may be questioned by others, but he was the only man in history who was supremely successful on both the religious and secular level.’ আমরা হয়তো মাইকেল হার্টের বুদ্ধিমত্তার স্কেল নিয়ে প্রশ্ন তুলতে পারি। সে ক্ষেত্রে তাঁর নির্বাচিত বাকি ৯৯ জন মনীষীও কিন্তু তুচ্ছ হয়ে যান। আমরা কি তাহলে বলতে পারি, আমাদের থাবা বাবা বা রাজীব মাইকেল হার্টের চেয়েও অধিক জ্ঞানবান ছিলেন?



অভিজিৎ রায়কেও কোনো মুসলমান খুন করে নি। মুসলমানরা ধর্মের নামে খুন করতে পারে না। খুনের বিধান ইসলামে নেই। আল্লাহ্‌র বিধান মতে খুন হলো কবিরা গুনাহ্‌, দেশের আইন অনুযায়ী খুন হলো একটা গর্হিত অপরাধ, যাঁর শাস্তি মৃত্যুদণ্ড।



কিন্তু অভিজিৎ রায়ের কি কোনো ভুল ছিল?



আমার স্টেটাস প্রকাশ পাবার পর কয়েকটা লিংক উঠে আসে। তাতে আমি পাই, হজরত মুহম্মদ (সঃ)-কে অভিজিৎ রায় ডাকছেন- হজরত মহাউন্মাদ। তাঁর অন্যান্য লিংক পড়ে তাঁকে জ্ঞানবান বা বুদ্ধিমান মনে হয় নি। তিনি রাসুল (সঃ) ও তাঁর বংশধরদের এবং ইসলাম-অনুসারীদের অত্যন্ত আপত্তিকর ভাষায় আক্রমণ করেছেন। ঠিক এটাই হলো অভিজিৎ রায়ের ‘সাম্প্রদায়িক’ উস্কানি। তাঁর লিখিত/প্রকাশিত গ্রন্থের ভাষা নিশ্চয়ই এরূপ হতে পারে না বলেই আমার বিশ্বাস। তাহলে ব্লগ বা ফেইসবুকে তিনি এভাবে লিখেছেন কেন? এসব করে কি তিনি নিজেকে অতি তুচ্ছ মানুষ ও ‘সাম্প্রদায়িক’ নাস্তিকে পরিণত করেন নি? তাঁর এসব ব্লগিং থেকে মুক্তচিন্তার কোনো খোরাক পাওয়া যায় বলে মনে করি না।



অভিজিৎ সত্যিই আর কোনোদিন ফিরে আসবেন না। তাঁর হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করি। একই সাথে, ধর্মানুসারী এবং ধর্মবিদ্বেষী সকল সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীকে সাম্প্রাদায়িক উত্তেজনা সৃষ্টির জন্য ধিক্কার জানাচ্ছি।



To be kind to others, be cruel to the criminals. থাবা বাবা ওরফে রাজিবের ব্লগ বা স্টেটাস-সমগ্র এবং অভিজিৎ রায়ের ‘মুক্তমনা’ ব্লগ বর্তমানে বন্ধ রয়েছে। এ বন্ধ করা থেকে নানা প্রশ্ন বা সন্দেহ সৃষ্টি হওয়া অস্বাভাবিক নয়। এ ধরনের খুনাখুনির ঘটনা যাতে পুনারবৃত্ত না হয় সেজন্য ‘মুক্ত’ চিন্তার লেখকদের জন্য করণীয় হলোঃ



ক. লেখায় প্রকৃত মুক্তচিন্তা বা উন্মুক্ত আলোচনার ছাপ থাকতে হবে, যেখানে কোনো ব্যক্তি আক্রমণ, গালিগালাজ, কোনো সম্প্রদায় বা গোষ্ঠীর প্রতি ব্যঙ্গবিদ্রূপাত্মক মনোবৃত্তি প্রকাশ না পায়। আলোচনার ভাষা মার্জিত ও ভদ্রোচিত হতে হবে।



খ. লেখকদের সহনশীল হতে হবে। অন্যের মতের সাথে আপনি একমত নাও হতে পারেন, কিন্তু অন্যের মতকে সমুন্নত রাখতে আপনার আন্তরিকতার যেন কোনো ঘাটতি না থাকে।



গ. আলোচনার উদ্দেশ্য যাতে মহত্তর কোনো সৃষ্টি বা আবিষ্কারের দিকে চালিত হয়, আলোচকদের লক্ষ্য সেটি হতে হবে।



যথাযথ কর্তৃপক্ষের উচিত হবে এসব ‘বাহাস’ মনিটর করা এবং প্রাণনাশের হুমকি, ইত্যাদি দৃষ্টিগোচর হওয়ামাত্র প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা। ‘মুক্তমনা’য় যাঁরা ভার্চুয়াল বাকবিতণ্ডায় লিপ্ত ছিলেন, প্রাণনাশের হুমকি ছিল- উভয় সম্প্রদায় থেকেই তাঁদের খুঁজে বের করে বিচারের আওতায় আনা হোক। আর কোনো খুন চাই না।



সকল সাম্প্রদায়িকতা বন্ধ হোক। এভাবে আর যেন একটি খুনের ঘটনাও না ঘটে। আমাদের মুক্ত আলোচনা থেকে যেন দেশ ও জাতির জন্য কল্যাণকর কিছু উঠে আসে। আমরা যেন অন্ধকার থেকে বেরিয়ে আলোর দিকে ধাবিত হই। কামনা ও প্রত্যাশা এটুকুই।





পুনশ্চ



বিভিন্ন ব্লগেও মনিটরিঙের ব্যবস্থা থাকা জরুরি হয়ে পড়ছে। এরকম খুন-হত্যার ভয়ভীতি, উত্তেজনা ও আতঙ্ক সৃষ্টিকারী ব্লগপোস্টগুলোর লেখককে ব্লগ কর্তৃপক্ষ কর্তৃক সতর্কীকরণের ব্যবস্থা থাকা উচিত। আলোচনা মাত্রা অতিক্রম করামাত্র ব্লগপোস্ট ডিলিট করা উচিত হবে। এখানেই শেষ নয়; সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উচিত হবে এসব তথ্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কাছে হস্তান্তর করা। যেসব বিষয় সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা সৃষ্টি করে, সেসব ব্লগপোস্ট নিষিদ্ধ করাই সমীচীন হবে। আর কোনো ব্লগ যদি এসব উত্তেজনা সৃষ্টির উদ্দেশ্যেই পরিচালনা করা হয়ে থাকে, তাহলে সরকারের উচিত হবে তা অনতিবিলম্বে বন্ধ করে দেয়া।



ফেইসবুকে এরূপ মনিট্রিঙের ব্যবস্থা বর্তমানে বিদ্যমান আছে বলে আমি জানি। যেসব ফ্যানপেইজ ও গ্রুপ এসব উত্তেজনা উস্কে দেয়, সেগুলো বন্ধ করে দেয়া উচিত হবে। আবারো মনে করিয়ে দিচ্ছি- শুধু ধর্মানুসারীদের ব্লগপোস্ট বা ফেইসবুক গ্রুপই নয়, উত্তেজনা সৃষ্টিকারী নাস্তিক বা অন্য যে-কোনো সম্প্রদায়ের পোস্ট বা ব্লগই বন্ধ বা ব্যান করে দেয়া উত্তম হবে।



মন্তব্য ৮৫ টি রেটিং +২১/-১

মন্তব্য (৮৫) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা মার্চ, ২০১৫ সকাল ১১:০৬

ঢাকাবাসী বলেছেন: বেশ কিছু আদর্শ (আইডিয়াল) পরিস্হিতি আর আপনার নিজস্ব মতামত দিয়েছেন যা অনেকের মত নাও হতে পারে। এদেশের মত ৯০% অশিক্ষিতের দেশে অনেক কিছুই হয় না।

০৩ রা মার্চ, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:২৩

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ ঢাকাবাসী।

০৪ ঠা মার্চ, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৪৮

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন:

নিচে ৩১ নং কমেন্টে শাহ আজিজ ভাইয়ের অনুরোধ থেকেই এ পোস্টের কমেন্টদাতাদের প্রতি বিনীত আহবান রাখছিঃ

দয়া করে গঠনমূলক আলোচনা করুন। ক্ষোভ বা আক্রোশ পরিহার করে আপনাদের সুচিন্তিত মতামত কামনা করছি। খুনের মতো ভয়াবহ পরিণতি এবং তদ্‌পরবর্তী জটিল পরিস্থিতি এড়ানোর জন্য আমাদের ব্লগার বা লেখকদের করণীয় কী, ব্লগ কর্তৃপক্ষেরই বা কী কী করণীয় হতে পারে, বিশদ পর্যালোচনার শেষে সেসব সুপারিশই আপনাদের কমেন্টের মূল উপজীব্য হওয়া উচিত বলে মনে করছি।

২| ০৩ রা মার্চ, ২০১৫ সকাল ১১:৫৫

গরল বলেছেন: ভালো লিখেছেন, সবাইকে সহনশীল হতে হবে। ধর্ম নিয়ে আপত্তি থাকলে মার্জিত ভাষায় বিশ্লষণ মূলক লেখা লিখতে পারে কিন্তু অমার্জিত কিছু লেখা উচিৎ না। আর মৌলবাদী খুনীদের ব্যাপারে কিছু বলার রুচি নাই।

০৩ রা মার্চ, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:২৪

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: সকল পক্ষের কাছ থেকেই পর্যাপ্ত মাত্রায় সহনশীলতা কাম্য। ধন্যবাদ গড়ল।

৩| ০৩ রা মার্চ, ২০১৫ সকাল ১১:৫৯

সোহানী বলেছেন: অসাধারন লিখেছেন... সহমত আপনার সাথে।

০৩ রা মার্চ, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:২৫

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ সোহানী।

৪| ০৩ রা মার্চ, ২০১৫ দুপুর ১২:৩৯

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: ছিদ্রান্বেষণে এত ব্যস্ত থাকে মানুষ যে নিজের দিকে তাকানোর সুযোগ পায় না ।

পজিটিভ এপ্রোস আয়ত্ত করা দরকার সব চেয়ে আগে। স্পর্শকাতর বিষয়ে কোন আদর্শে বা গোষ্ঠীমনে চরম আঘাত করলে পরিণতি ভয়াবহ হতে পারে ।

বাক স্বাধীনতার মানে যা ইচ্ছে তাই বলার স্বাধীনতা নয় ।

সবার মানবিকতা সহমর্মিতা ব্যাপার গুলো আয়ত্ত করা দরকার।

দারুন কিছু কথা বলেছেন। সব বিষয়ে আমি একমত নই। তবে বেশিরভাগ ব্যাপারে সহমত পোষণ করছি ।

সুন্দর পোস্ট +

০৩ রা মার্চ, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:২৬

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: সুন্দর কমেন্টের জন্য ধন্যবাদ প্রিয় কবি সেলিম আনোয়ার ভাই। বক্তব্যের যে অংশের সাথে আপনার দ্বিমত রয়েছে, তার প্রতি আমার শ্রদ্ধা থাকলো।

৫| ০৩ রা মার্চ, ২০১৫ দুপুর ১২:৫১

ট্রপিকানা বলেছেন: অভিজিৎ এর নির্মম পরিনতির জন্যে অভিজিৎই দায়ী। যে ঘৃনার বীজ উনারা বপন করেছিল সেই ঘৃনাই উনাদের শেষ করেছে।

০৩ রা মার্চ, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:২৭

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আর কোনো খুন চাই না। সকল খুনির দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।

ধন্যবাদ ট্রপিকানা।

৬| ০৩ রা মার্চ, ২০১৫ দুপুর ১:০৫

কুষ্টিয়ারশুভ বলেছেন: ১. আমার স্টেটাস প্রকাশ পাবার পর কয়েকটা লিংক উঠে আসে। তাতে আমি পাই, হজরত মুহম্মদ (সঃ)-কে অভিজিৎ রায় ডাকছেন- হজরত মহা...

২. রাজীবের মৃত্যুর পর ফেইসবুকে তাঁর কিছু নোট আমি পড়েছিলাম। তিনি হযরত মুহম্মদ (সঃ)-কে ডাকতেন ...


এরা কি পেইড ব্লগার ছিল?
যাদের দ্বারা পেইড ও নিয়ন্ত্রিত হতো তাদের উদ্দেশ্য সাধন হয়ে গিয়েছিল?
এরপর ১. প্রমাণ মুছে ফেলতে, ২. বিশাল প্রচারণার জন্যে তারাই এদেরকে হত্যা করে? ( যেমন শার্লি হেবদো সাধারণত: ছাপা হতো ৫০-৬০ হাজার, আর সন্ত্রাসী হামলার পরের সংখ্যা ছাপা হলো ৩০ লক্ষ)

০৩ রা মার্চ, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৩১

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: সকল প্রকার উগ্রপন্থিদের নিয়ন্ত্রণ করার জন্য সংশ্লিষ্ট ব্লগ কর্তৃপক্ষসহ সরকারেরও যথাযথ ব্যবস্থা ক্রিয়াশীল থাকা বাঞ্ছনীয়।

ধন্যবাদ শুভ ভাই।

৭| ০৩ রা মার্চ, ২০১৫ দুপুর ১:১৫

এস এম ইসমাঈল বলেছেন: যারা মেধাহীন, রুচিহীন, কুটিল, তারা সব সময় হয় ষড়যন্ত্র করে, নয়ত ষড়যন্ত্রকারীদের সহায়তা করে। সোজা পথে না গিয়ে চোরা গলিতে গিয়ে বাসা বাঁধে আর ষড়যন্ত্রের ফাঁদ পাতে। যুক্তি-তর্কে হেরে গিয়ে এরা পেশী শক্তি ব্যবহার করে। সোজা ও সরল পথে না গিয়ে এরা অস্ত্রের ভাষায় কথা বলে। মুক্ত মনা নিরীহ নিরস্ত্র মানুষদের অযথা হত্যা করে এরা পৈশাচিক আনন্দে মাতে। সংস্কৃতিমনা রুচিবান মানুষেদের এরা সব সময় ঘৃণা করে আর সু্যোগ পেলে আক্রমন করে বসে। আর কিছু না পারলেও অন্তত তাঁদের ইমেল বা ফেসবুক আইডি হ্যাক করে নিজেদের বিকৃ্ত রূচি ও নিচু মনের পরিচয় জাহির করে।এসব বিকৃত রুচির নরাধমদের ঘৃণা করতেও আমার রুচিতে বাধে।। ধিক শত ধিক ঐ নোংরা মনের পশুদের।।

০৩ রা মার্চ, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৩২

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আপনার সাথে সহমত পোষণ করছি। ধন্যবাদ ইসমাঈল ভাই।

৮| ০৩ রা মার্চ, ২০১৫ বিকাল ৩:৫৪

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
//সহনশীলতা শুধু ধর্মান্ধদের পক্ষ থেকেই প্রত্যাশিত না, প্রগতিশীলদের কাছ থেকেও সমমাত্রার সহনশীলতা কাম্য; বরং প্রগতিশীলরা যদি নিজেদের ‘ধর্মানুসারীদের’ চেয়ে শ্রেয়তর মনে করেন, তাহলে তাঁদেরই হতে হবে সহনশীলতার আইডল।//


জ্ঞান বাড়ানো খুবই ভালো, প্রগতিশীল হলে আরও ভালো, কিন্তু জ্ঞান লাভের ফলশ্রুতিতে যে বিনয় - তার চেয়ে উত্তম আর কিছুই নেই। অল্পজ্ঞানেই চিল্লাবিল্লা বেশি হয়।



পুনশ্চ'র বিষয়েও একাত্ম রইলাম। শুভেচ্ছা জানবেন, কবি খলিল মাহমুদ ভাই :)

০৩ রা মার্চ, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৩৩

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন:

জ্ঞান বাড়ানো খুবই ভালো, প্রগতিশীল হলে আরও ভালো, কিন্তু জ্ঞান লাভের ফলশ্রুতিতে যে বিনয় - তার চেয়ে উত্তম আর কিছুই নেই। অল্পজ্ঞানেই চিল্লাবিল্লা বেশি হয়।

অনেক সুন্দর কথা বলেছেন প্রিয় মইনুল ভাই। শুভেচ্ছা থাকলো।

৯| ০৩ রা মার্চ, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৩৩

ওয়ালী আশরাফ বলেছেন: অনেক সুন্দর লিখেছেন। ১০০% সহমত

০৩ রা মার্চ, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৩৪

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ ওয়ালী ভাই।

১০| ০৩ রা মার্চ, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:১৩

গাঁও গেরামের মানুষ বলেছেন: শুধু আপনার সাথে সহমত পোষণ করার জন্যই লগ ইন করলাম।

ব্লগগুলোতে সাম্প্রদায়িকতার যে ধারা চালু হয়েছে, তা'তে এইসব ইসলামবিদ্বেষী তথাকথিত মুক্তমনাদের দায় বিচার করা জরুরী হয়ে পড়েছে।

০৩ রা মার্চ, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৩৫

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ গাঁও গেরামের মানুষ।

১১| ০৩ রা মার্চ, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৩৯

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: আজকে দুপুরে তার ব্লগে ঢুকলাম । তাকে সোজা ভাষায় থাপড়ানো উচিৎ। ব্যক্ত্বিত্বহীন ওয়েটলেস স্টুপিড ছিলেন এ্ই অভিজিৎ।

০৩ রা মার্চ, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৪৬

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: অভিজিৎ রায়ের কিছু ব্লগ পড়তে ইচ্ছে হচ্ছে। পারলে আমাকে লিংক দিন। ধন্যবাদ সেলিম ভাই।

১২| ০৩ রা মার্চ, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৪০

ক্ষতিগ্রস্থ বলেছেন: মুক্তচিন্তার ধারক-বাহক হিসাবে তাঁদের নাম ইতিহাসে ক্ষোদিত করি, কিন্তু তাঁদের কীর্তিগুলো পর্যালোচনা করলে দেখা যায় যে তাঁরা খুব নিম্নরুচির ও হীনমন্য ছিলেন; মুক্ত আলোচনার বদলে ব্যক্তি আক্রমণই ছিল তাঁদের বড় হাতিয়ার। এমন কাউকে আমরা মুক্ত চিন্তার ধারক-বাহক, বুদ্ধিজীবী, ইত্যাদি অভিধায় অভিহিত করতে পারি না।

যথাযথ পর্যবেক্ষণ - একমত.

০৩ রা মার্চ, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৪৭

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ ক্ষতিগ্রস্থ।

১৩| ০৩ রা মার্চ, ২০১৫ রাত ৮:০১

আহেমদ ইউসুফ বলেছেন: চমৎকার লিখেছেন। আপনার মত এমন সাম্যবাদী কথা অনেকেই বলতে পারেন না। সবারই কোন না কোন দিকে পক্ষপাতিত্ব থাকে। যাই হোক মুক্তচিন্তার নামে এমন উস্কানিমূলক লেখা যেমন উচিত নয় তেমনি ধর্মীয় অনুভূতির নামে উগ্রপন্থা কাম্য নয়।

০৩ রা মার্চ, ২০১৫ রাত ১১:৪২

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আহমেদ ইউসুফ ভাই।

১৪| ০৩ রা মার্চ, ২০১৫ রাত ৮:২২

বিদ্রোহী বাঙালি বলেছেন: মুক্তমনা, সাম্প্রদায়িকতা, আস্তিক, নাস্তিক এই শব্দগুলোকে ইদানীং আমরা নিজেদের স্বার্থে নিজেদের মতো করে সংজ্ঞায়িত করে নিচ্ছি। ফলে এদের স্বরূপ নিয়ে আমাদের মধ্যে ক্রমেই ধোঁয়াশা সৃষ্টি হচ্ছে। আর ধোঁয়াশাচ্ছন্ন সমাজে আলো সহজে ছড়াতে পারে না। আর যেখানে পর্যাপ্ত আলোর অভাব থাকে সেখানে পাশাপাশি অবস্থান করা মানুষে মানুষে ঠোক্কর লাগাই স্বাভাবিক।
সমাজে ধোঁয়াশা কেটে বিতর্কিত বিষয়গুলো মানুষের কাছে পরিষ্কার হয়ে উঠলে অন্তত মুক্তমনা, সাম্প্রদায়িকতা, আস্তিক, নাস্তিক নিয়ে কোন প্রশ্ন উঠতো না। কারণ তখন ব্যাপারগুলো স্বচ্ছ স্ফটিকের মতো মানুষের মননে স্থান পেতো এবং পাশাপাশি সহাবস্থানেও কোন ঠোক্কর লাগার কোন সুযোগ সৃষ্টি হতো না।
বৈষম্যমূলক আচরণের জন্য আমাদের দেশে পর্যাপ্ত আইন আছে কিনা জানি না। আর থেকে থাকলেও তার প্রায়োগিক ব্যাপারটা কতটা কার্যকর সেটা খতিয়ে দেখা উচিৎ নূতন করে। বিশেষ করে ধর্ম, বর্ণ, লিঙ্গ এই স্পর্শকাতর বিষয়গুলো নিয়ে কড়াকড়ি আইন থাকা বাঞ্ছনীয়, যাতে কেউ কারো ধর্ম, বর্ণ ও লিঙ্গ নিয়ে কটাক্ষ করতে না পারে। এটা করতে পারলে অনেক অঘটন এবং অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা থেকেই আমরা রক্ষা পাবো।
অভিজিৎ কী ছিল সেটা আমার কাছে মুখ্য নয় এখন, যেহেতু সে মৃত। কিন্তু তাকে অন্যায় ভাবে খুন করা হয়েছে এটা কোন অবস্থাতেই মানুষ হয়ে মেনে নিতে পারি না। সে ইসলাম ধর্ম নিয়ে কটাক্ষ করেছে কিনা জানি না। কারণ তার কোন পোস্ট বা ফেবু স্ট্যাটাস আমি কোন দিন পড়ি নাই। এমন কী তাকে আগে আমি চিনতামই না। তবে সে যদি করে থাকে, তবে কেন তার বিরুদ্ধে কোন আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হয় নাই? যাদের চোখে তার এই সব কটাক্ষ পড়েছে, তারা কেন তার বিচার চেয়ে কোন ধরণের মামলা করে নাই? এই বিষয়গুলোও আমাদের ভেবে দেখা দরকার। ধর্ম নিয়ে আমরা এতোই উন্মাদ যে, তাকে খুন করার প্লান করতে পারি অথচ তার নামে মামলা করে বিচার চাইতে পারি না। এরাই আসলে চরমপন্থি। আর এদের কারণেই ইসলাম ধর্মের দিকে দিন দিন সারা বিশ্ব আঙুল তুলতে সাহস পাচ্ছে।
আপনি যথেষ্ট সুন্দর বিশ্লেষণ করেছেন নামকরণের বিষয়বস্তুগুলোর উপর। সবশেষে বলবো, আমি অভিজিতের মতো মুক্তমনাকে সমর্থন করি না (যদি সে আসলেই ধর্মকে কটাক্ষ করে থাকে) আবার ধর্মান্ধ ঐ সব চরমপন্থিদেরও সমর্থন করি না যারা অভিজিৎকে খুন করেছে। অভিজিৎ এখন বিচারের ঊর্ধ্বে। কিন্তু খুনিদের বিচার এখনো সম্ভব। আশা করছি ন্যায্য বিচার হবে। অনেক ধন্যবাদ সোনাবীজ ভাই।

০৪ ঠা মার্চ, ২০১৫ রাত ১২:০৮

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আতিকুল ভাই, আপনার এই বিশদ কমেন্টের জন্য আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। এই পোস্টের ঔজ্জ্বল্য এবং মাহাত্ম্য বাড়িয়ে দিয়েছে আপনার অসাধারণ কমেন্টটি।

অনেক ভালো লাগলো।

১৫| ০৩ রা মার্চ, ২০১৫ রাত ৮:৫৪

সুমন কর বলেছেন: প্রতিটি পয়েন্ট গ্রহণযোগ্য তাই অালাদা করে কোট করছি না।

চমৎকার লিখেছেন এবং এমন একটি লেখা অাপনার মতো একজন লেখকই পারে এতো সুন্দর ও যুক্তি দিয়ে সহজ ভাষায় লিখতে বা উপস্থাপন করতে পারে। একদম পূর্ণ সহমত।

১০ম ভাল লাগা রইলো।

০৪ ঠা মার্চ, ২০১৫ রাত ১২:১০

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ প্রিয় সুমন ভাই। শুভেচ্ছা জানবেন।

১৬| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৫ রাত ১২:০৭

সুমাইয়া আলো বলেছেন: বাস্তবধর্মি লিখা লিখায় ভাল লাগা। :), ১১ তম লাইক

০৪ ঠা মার্চ, ২০১৫ রাত ১২:১২

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: সুন্দর কমেন্টের জন্য ধন্যবাদ আপু। ভালো থাকবেন।

১৭| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৫ রাত ১২:০৯

আরজু পনি বলেছেন:

অসাধারণ লিখেছেন ।

পোস্টটি স্টিকি হলে অনেক বেশি পাঠকের চোখে পড়তো ।

নিজের শোকেসে নিয়ে গেলাম ।

০৪ ঠা মার্চ, ২০১৫ রাত ১২:২০

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ আপুন, এবং শোকেসে নেয়ার জন্য বিশেষ ধন্যবাদ।

১৮| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৫ ভোর ৬:১৮

আলাপচারী বলেছেন: ভালো বলেছেন।

০৪ ঠা মার্চ, ২০১৫ বিকাল ৩:০৪

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ আলাপচারী। শুভেচ্ছা।

১৯| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৫ সকাল ৯:৪৭

জুন বলেছেন: আমার মনের কথাগুলোই লিখেছেন দেশী ভাই । অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে তার জন্য ।
সুন্দর করে বিশ্লেষন করেছেন প্রেক্ষাপটকে,
+

০৪ ঠা মার্চ, ২০১৫ বিকাল ৩:০৬

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ দেশি আপু। অনেকদিন আপনার বাসায় যাওয়া হয় না। একটু ব্যস্ত ছিলাম সেজন্য। যাব খুব শীঘ্রই।

ভালো থাকবেন।

২০| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৫ সকাল ১০:০১

জাফরুল মবীন বলেছেন: চমৎকার লিখেছেন।

প্রকৃত মুক্তচিন্তার ফসল যুক্তিনির্ভর এ লেখাটি সবার নজরে আনার জন্য স্টিকি করা যায় তা বিবেচনা করতে সম্মানিত মডারেশন প্যানেলকে অনুরোধ করছি।

অভিনন্দন ও ধন্যবাদ আপনাকে।

০৪ ঠা মার্চ, ২০১৫ বিকাল ৩:০৬

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ জামরুল মবীন ভাই। শুভেচ্ছা জানবেন।

২১| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৫ সকাল ১১:০৯

রাফা বলেছেন: মূল কথা যদি আমার ভুল না হয়ে থাকে।আমি আপনাকে কিংবা আপনার সবচাইতে দুর্বল এবং স্পর্শকাতর যায়গায় খোচা দিতে চাই এবং দেই তাহোলে কি আপনি আমাকে খুন করবেন?
মনে করুন আমি সীমা লংঙ্গন করেই সব কিছু করলাম।তারপর যদি আপনি আমাকে খুন করলেন ,সেটা কি আপনি আমার চাইতে নিচের স্তরে নেমে গেলেন কিনা ?

সবচাইতে বড় কথা ধর্ম এবং তার রসুলের সন্মান রক্ষার দায়িত্ব স্বয়ং আল্লাহ গ্রহণ করেছেন।আমরা সেটার বরখেলাপ করছি।জানিনা আমি বুঝতে পারলাম কিনা আপনার লেখা আর আমার কথাই আপনাকে বউঝাতে পারলাম কিনা।

ধন্যবাদ,লেখক।

০৪ ঠা মার্চ, ২০১৫ বিকাল ৩:৩২

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: কোনো খুন বা হত্যাই সমর্থযোগ্য নয়। সেটা তাহলে নিজের হাতে আইন তুলে নেয়ার শামিল হলো। আপনি সম্পূর্ণ মর্মার্থই আমাকে বোঝাতে পেরেছেন। আর আপনার জ্ঞাতার্থে পোস্ট থেকেই উদ্ধৃত করছিঃ

সকল হত্যার সুষ্ঠু তদন্ত হোক। দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই। কোনো হত্যাই সমর্থনযোগ্য নয়। কিন্তু পৃথিবীতে শুধু মানুষেরই বাস না, অমানুষরাও বাস করেন। এই অমানুষরা ধর্মান্ধ কিংবা তথাকথিত মুক্তচিন্তাবিদ- দু দলেই সমভাবে বিদ্যমান। এঁদের আক্রমণাত্মক মনোভাব দূর করা না গেলে ভয়াবহ খুনাখুনি বন্ধ হবে না।

আপনার কথাকে কথা দিয়েই আমাকে খণ্ডন করতে হবে। আপনি যত নিকৃষ্ট ভাষায়ই আমাকে আক্রমণ করুন না কেন, আমার দায়িত্ব হবে মাথা ঠাণ্ডা রেখে তার জবাব দেয়া। এ প্রেক্ষিতে আপনার দায়িত্বও কিন্তু সমরূপ। আপনি যখন নিকৃষ্ট ভাষা ব্যবহার করছেন তখন কিন্তু আপনি আর মানুষ নেই। আপনিও তখন মাথা ঠাণ্ডা রাখতে না পেরে নিজেই অমানুষ হয়ে গেছেন। তখন দুজন অমানুষ বা দু'দল অমানুষের মধ্যে পারস্পরিক আক্রমণ শুরু হয়ে যায়।

নিচে দেখুন, জুলিয়ান সিদ্দিকী এ ব্যাপারে চমৎকার কমেন্ট করেছেন। আমি অকারণে কেন আপনার স্পর্শকাতর স্থানে আক্রমণ করবো? আমি যদি নিজেকে যুক্তিবান বা মুক্তমনা মনে করি, আমার আচরণেও তার ছাপ থাকতে হবে। ভদ্র ও মার্জিত ভাষায়ও আপনার যুক্তিকে খণ্ডন করা সম্ভব। কিন্তু সমস্যা হয় তখনই, যখন আপনাকে বোঝাতে ব্যর্থ হবো।

স্পর্শকাতর পয়েন্টে আক্রমণ করলেই খুন করা জায়েজ হয়ে যায় না। মানুষকে খুন করার অধিকার কোনো দেশে কোনো নাগরিককে দেয়া হয় নি। এটা আইন-আদালতের কাজ। কিন্তু প্রতিদিন দেশে কত খুন হচ্ছে তা দেখছেন তো? যারা খুন করছে তারা কেউ মানুষ নয়, হিংস্র জানোয়ার। তদ্রূপ যারা অকারণে বা উদ্দেশ্যমূলকভাবে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা সৃষ্টির লক্ষ্যে মানুষের অনুভূতিতে তীব্র আঘাত হানে, তারাও অমানুষ। অমানুষ বা জানোয়ারদের পক্ষ অবলম্বন করা মানুষের কাজ নয়।


ধন্যবাদ রাফা ভাই। শুভেচ্ছা।

২২| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৫ সকাল ১১:১৬

মাঘের নীল আকাশ বলেছেন: চমৎকার লেখা!

০৪ ঠা মার্চ, ২০১৫ বিকাল ৩:৩৪

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ মাঘের নীল আকাশ।

২৩| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৫ সকাল ১১:৫৮

মেহেরুন বলেছেন: অনেক সুন্দর ভাবে আপনার মত উপস্থাপন করেছেন ভাইয়া।

কেমন আছেন??

লেখায় ভালো লাগা রইলো।

০৪ ঠা মার্চ, ২০১৫ বিকাল ৩:৩৫

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ আপু।

অনেকদিন পর আপনাকে দেখছি। আশা করি ভালো আছেন।

শুভেচ্ছা জানবেন।

২৪| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৫ দুপুর ১২:৫৩

নিখিল নওশাদ বলেছেন: ব্যালেন্স রক্ষা করে যা বলতে চেয়েছেন সে ঠিক আছে! তবে অভিজিৎ এর বইগুলো পড়ুন। না হলে আলাপচারিতায় ভুল থেকে যায়।

০৪ ঠা মার্চ, ২০১৫ বিকাল ৩:৪৬

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: অভিজিৎ রায়ের বইগুলো পড়ার ইচ্ছে আমার আছে। আমার বিশ্বাস, তাঁর বইয়ে মানবকল্যাণকর বিষয়বস্তু লিপিবদ্ধ আছে। কিন্তু আপাতত আমি তাঁর ব্লগম্যাটারিয়াল নিয়ে কিছু বলতে চাই। পোস্টে এ ব্যাপারে হাইলাইট করা হয়েছে। ইদানীং ইন্টারনেটে তাঁর ব্লগের বিভিন্ন উদ্ধৃতি দেখা যাচ্ছে। সেসব থেকে তাঁকে কোনো সৎ গুণাবলি সম্পন্ন মানুষ মনে হয় নি আমার কাছে। তাঁর যেসব নোট চোখের সামনে পাচ্ছি তাতে তাঁকে তীব্র সাম্প্রদায়িক মনে হয়েছে। আমার ফেইসবুকের টাইমলাইনে যে-ক'টা লিংক দেয়া আছে, ওগুলো পড়লে আপনি বলতে বাধ্য হবেন যে, অভিজিৎ রায় খুব নিকৃষ্ট মনের মানুষ ছিলেন। দুর্জন বিদ্বান হলেও পরিত্যাজ্য এই কারণে যে, দুর্জনের কাছ থেকে পৃথিবীর মানুষ ধ্বংস ছাড়া কল্যাণকর কোনো কিছু পায় না।

কিন্তু তাই বলে তাঁকে খুন করতে হবে? আমাদের বক্তব্য এটাই। কোনো অপরাধেই একজন মানুষকে খুন করা যায় না।

ধন্যবাদ নিখিল নওশাদ। সুভেচ্ছা।

২৫| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৫ দুপুর ১:০৩

বাংলার আকাশ বলেছেন: অভিজিৎ এর বাবার উচিত হবে কাউকে দোশ না দিয়ে সুস্ত তদন্তের ফলোআপ করা। নিজ পুত্র আর গাত্র দাহ এক না।

০৪ ঠা মার্চ, ২০১৫ বিকাল ৪:২২

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: সুস্থ তদন্ত হোক। অপরাধী ও খুনিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হোক।

ধন্যবাদ বাংলার আকাশ।

২৬| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৫ দুপুর ১:৩৬

নিখিল নওশাদ বলেছেন: কেউ ভিন্নমত প্রকাশ করলে ধর্মীয় অনুভুতি জাগ্রত হয়। কিন্তু "বিসমিল্লাহ্" নাম নিয়ে যখন কেউ কোটি কোটি টাকা লুট করে অনুভুতি তখন ভোতা হয়ে যায়। তাহলে এই অনুভুতি ওয়ালারা কি অন্যায়ের বিপক্ষে নাকি মুক্তচিন্তার বিপক্ষে? আসলে লুটেরারাই এই অনুভুতির সংস্কৃতির পৃষ্ঠপোষক লুঠপাটের সংস্কৃতি বহাল রাখতে।

০৪ ঠা মার্চ, ২০১৫ বিকাল ৪:৫৫

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আপনি ঠিকই বলেছেন, লুটপাট, ঘুষবাণিজ্য, টেন্ডারবাণিজ্য, মাদকব্যবসা, চোরাচালান, নারী পাচার, সর্বোপরি সন্ত্রাস, ইভটিজিং ইত্যাদি সামাজিক ব্যাধিগুলো নির্মূল করার জন্য আমাদের যতখানি সোচ্চার হওয়া দরকার, কার্যক্ষেত্রে আমরা ততখানি ভূমিকা রাখতে পারছি না। কিন্তু সচেতন মানুষ হিসাবে আপনি নিশ্চয়ই অবগত আছেন যে, দেশে যত সন্ত্রাস ও ক্ষমতার লড়াই হচ্ছে, তার মূলে রয়েছে টেন্ডার ভাগাভাগি নিয়ে দ্বন্দ্ব, মাদকব্যবসা, চোরাচালান, নারী পাচার, ইভটিজিং ইত্যাদি। আপনি অবশ্যই স্বীকার করবেন যে, দেশে যত হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হচ্ছে, তা ঐসব বিষয়ের জের হিসাবেই হচ্ছে। অবশ্য, রাজনীতিও এর পেছনে সমান দায়ী।

আমাদের অনুভূতি কি সত্যি ভোতা হয়ে গেছে? প্রতিদিন কত লোক মারা যাচ্ছে, সেই মৃত্যুর জন্য কোনো মিছিল দেখেন? অভিজিৎ রায়ের মৃত্যুর পর কিন্তু বাংলাদেশসহ পৃথিবীর অনেক মিডিয়াতে বিষয়টা চলে এসেছে। অনুভূতি ভোতা হয়ে গেলে রি-এ্যাকশন এমন হতো না। এবার আপনি বলুন, এই রি-এ্যাকশনের অনুভূতিওয়ালারা কি মুক্তচিন্তার পক্ষে, নাকি বিপক্ষে? তাঁরা যদি মুক্তচিন্তার পক্ষেই হয়ে থাকেন, তাহলে প্রতিদিন এতো লোক মারা যাচ্ছে, এতো ঘুষবাণিজ্য হচ্ছে, ইভটিজিংসহ নানা অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে, তখনো কি তাঁদের সমভাবে রি-এ্যাক্ট করা উচিত নয়?

২৭| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৫ দুপুর ২:৩৫

জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: আমাদের ধর্মবিশ্বাস বা অন্য কোনো বিশ্বাস যা ছোটবেলা থেকে গড়ে ওঠে খুব সহজে আমরা সে বিশ্বাস বোধ থেকে বের হয়ে আসতে পারি না, যে কারণে আমাদের বিশ্বাসে আঘাত লাগলে আমরা মর্মাহত হই। বিশেষ করে সব ধর্মেই ধর্মান্ধ আছে। কোনো একটি বিশেষ ধর্মের মানুষই ধর্মান্ধ হবে এমন কোনো কথা নেই।

সত্য-মিথ্যা নিয়ে যুক্তিযুক্ত আলোচনাটাই শ্রেয়। ইচ্ছাকৃত ভাবে হেয় করা বা মানতে বাধ্য করার মাঝে সাফল্য নাই, তা আস্তিক-নাস্তিক যেই হোক সবার জন্যেই প্রযোজ্য। ধর্মের ত্রুটি নিয়ে কথা বলা যেতেই পারে, তাই বলে গালাগালি বা হেয় করবার উদ্দেশ্যে বিরূপ শব্দের ব্যবহার অনুচিত মনে করি।

আমার মতে মুক্ত চিন্তার মানুষ হলেই ধর্মের বিরোধীতা করতে হবে এমন নয়। আমার মুক্ত-চিন্তাকে যদি ধর্মকেন্দ্রিক রাখি তাহলে তা একপেশে বলে মনে করি। মুক্ত-চিন্তার প্রকাশ ঘটাতে গিয়ে সরাসরি কারো ধর্মীয় বিশ্বাসকে আঘাত করতে চাই না। ইতিবাচক থেকেও অনেক নেতিবাচক বিষয় উপস্থাপন সম্ভব।

০৪ ঠা মার্চ, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:২৭

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: চমৎকার কথা বলেছেন জুলিয়ান সিদ্দিকী ভাই।


'মুক্তচিন্তা' বা 'মুক্তমনা' কথা দ্বারা আমরা কী বুঝি তা আমাদের কাছে পরিষ্কার না। আমরা মনে হয় এই মনে করি যে, ধর্মানুসারী হলেই 'মুক্তচিন্তা' বা 'মুক্ত আলোচনা'র পথে অন্তরায় সৃষ্টি হয়ে গেলো, এবং ধর্ম থেকে বের না হতে পারলে মুক্ত চিন্তা সম্ভব নয়। আরো মনে করি যে, ধর্মানুসারীরা প্রগতিশীল নন। যুক্তিতর্ক সহকারে যে-কোনো বিষয়ের উপরই উন্মুক্ত আলোচনা সম্ভব। কিন্তু আলোচনা করতে গিয়ে ব্যঙ্গবিদ্রূপ, ব্যক্তি আক্রমণ, ইত্যাদি দ্বারা প্রতিপক্ষকে হেয় প্রতিপন্ন করার উদ্যোগ থাকলে তা মুক্ত আলোচনার গণ্ডির ভিতরে থাকে না।

চমৎকার কমেন্টের জন্য অনেক ধন্যবাদ জুলিয়ান সিদ্দিকী ভাই। শুভেচ্ছা।

২৮| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৫ বিকাল ৩:১০

এহসান সাবির বলেছেন: ব্লগে মনিটরিঙের ব্যবস্থা নিয়ে ভাবা উচিত। একমত।

০৪ ঠা মার্চ, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৫৭

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: প্রতিটা ব্লগে যে নীতিমালা বিদ্যমান আছে, ব্লগার ও ব্লগ কর্তৃপক্ষ স্রেফ সেগুলো মেনে চললেই সব ধরনের উত্তেজনা এড়িয়ে চলা সম্ভব। তবে ব্লগ কর্তৃপক্ষ নিজেরাই যদি সেই নীতিমালা ভঙ্গ করেন, কিংবা ব্লগ পাব্লিসিটির উদ্দেশ্য উত্তেজনা, বিশেষ করে আস্তিক-নাস্তিক ইস্যু প্রোমোট করেন, তখনই আসে বাইরে থেকে ব্লগ মনিটরিঙের প্রশ্ন। আমার মনে হয়, এই মনিটরিঙের দায়িত্ব ব্যক্তিব্লগারদের উপরেও বর্তায়। আপত্তিকর কোনো ইস্যুকে লাগামহীন ভাবে আলোচনার সামনে নিয়ে এসে উত্তেজনা সৃষ্টির চেষ্টা করলে একজন নাগরিক হিসাবে আপনিও আদালতের আশ্রয় নিতে পারেন, অথবা পুলিশের কাছে রিপোর্ট পেশ করতে পারেন।

ধন্যবাদ এহসান সাবির ভাই।

২৯| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৫ বিকাল ৪:৩৩

ইস্কান্দার মীর্যা বলেছেন: বিতর্কিত বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করার জন্য মেচিউর্ড লোকজন দরকার, বিশেষত ধর্মীয় বিতর্কগুলোতে । আমাদের মডারেটরগনতো এসবের কোন তোয়াক্কাই করেননা ! যা খুশি তাই লিখে পোস্ট করে দেয়া যায়!!

ব্লগার রাজীব হায়দার হত্যাকান্ডের পুর্বমুহুর্ত পর্যন্ত ধর্ম নিয়ে লেখালেখি কারীদের শিশুসুলভতা এমন পর্যায়ে গিয়ে ঠেকেছিল, যার পরিনতি হলো অত্যন্ত করুন আর কুপমন্ডুকতাপূর্ন । অভিজিতের ক্ষেত্রেও তাই হলো।

০৪ ঠা মার্চ, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:২০

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: গুরুত্বপূর্ণ কথা বলেছেন। আমার মনে হয় ব্লগ ব্যবহারের নীতিমালা রিভিউ করা প্রয়োজন প্রত্যেকটা ব্লগেই। ব্লগ মনিটরিঙের ব্যাপারে ঠিক উপরের কমেন্টেই খানিকটা আলোকপাত করা হয়েছে। বিতর্কিত বিষয় হ্যান্ডেল করার জন্য যোগ্য মডারেটরের দরকার। ব্লগ কর্তৃপক্ষকে এ বিষয়টা ভাবতে হবে এখন।

ধন্যবাদ মির্যা ভাই।

৩০| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৫ বিকাল ৫:৩১

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অসাধারন পোষ্টে +++++++++++++++++++++

প্রিয়তে।

০৪ ঠা মার্চ, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:২১

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ প্রিয় বিদ্রোহী। শুভেচ্ছা।

৩১| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:১২

শাহ আজিজ বলেছেন: প্রগতিশীল নয়, ওটা এখন দুর্গতিশীল । বাংলাদেশ রাষ্ট্রটাকে বারো বাজিয়ে ছেড়েছে এই দুর্গতির দল। আর ধর্মান্ধ? রাষ্ট্রের লালন পালনে সে এখন যৌবনে উপনীত । অভিজিত রায় মার্কিন নাগরিক এবং আমি তাকে চিনিনা বা তার উৎকৃষ্ট লেখা কখনো পড়িনি। কাল দেখেছি কলকাতায় মিছিল করছে সেখানের নাগরিকেরা, রামেন্দু মজুমদার একটি সভায় হুশিয়ারিও দিয়েছেন একটি মারাত্বক পরিনতির কথা বলে, আমার বন্ধু পল্লব কলকাতা থেকে আজ ফেসবুকে স্তব্দ হয়ে যাওয়ার কথা লিখেছে। সব কেমন জানি একই সুতোয় বাধা। অভিজিত যা লিখত তার নমুনা পড়েছি ও লজ্জা পেয়েছি এই ভেবে একজন পি এইচ ডি করা মানুষ এসব কেন লিখবেন !! অভিযুক্ত ফারাবি তার ফেবু বন্ধুও ছিলেন । ব্যাপারটি বেশ জটিল হয়ে উঠবে। মুক্তমনা নামের ব্লগটি অভিজিত খুন হওয়ার দু ঘণ্টা আগে বন্ধ করা হয়েছিল। পুলিশ রাস্তায় দাড়িয়ে যেন হিন্দি ছবি দেখছিল।
খুন একটি প্রাইম ক্রাইম । তার উপযুক্ত শাস্তি হওয়া উচিত কিন্তু ভরসা পাইনা ফারাবির পূর্ব জামিনের নমুনা দেখে।

আমার খুব আশ্চর্য লাগলো এক শতের উপর মানুষ আগুনে পুড়ে মারা গেল তাদের জন্য এতো আবেগ কেউ ছড়ায়নি , অভিজিত সৌভাগ্যবান ।

আহত লোককে সাহায্য করতে মেডিকালে নিয়ে অনেক মানুষ শেষমেশ জেল খেটেছে কাজেই এইসব ভেবে লোকেরা কেউই সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসেনি, টিভিতে কিছু লোক তাই বলল। আমি একদফা ছুরিকাহত একজনকে নিয়ে বিপদে পড়েছিলাম, স্কাউট ও সমাজসেবক বলে সে যাত্রায় রক্ষা পেয়েছিলাম। আমরা না হয় ভীষণ অপরাধি কিন্তু পুলিশ ওখানে দাড়িয়ে থেকেছে কেন এর কোন জবাব নেই।হুমায়ুন আজাদকে পুলিশ ওই রক্তাক্ত ও আহত অবস্থায় চার হাতপা ধরে চ্যাংদোলা করে গাড়ির ভেতর ছুড়ে মারল, প্রচণ্ড আহত বোধ করেছিলাম, ঠিক তেমনি অভিজিতের আহত স্ত্রী রক্তাক্ত শরীরে হাত তুলে সাহায্য চাইছেন , দুর্ভাগ্য কেউই সাড়া দেয়নি।

ধর্মগ্রন্থে বেশ কিছু বিতর্কিত অধ্যায় আছে আছে নবীদের নানা কাহিনীই। এসব এতটাই সেন্সেতিভ যে আমরা নিতান্ত ওদিকে ঘেঁষি না বিশেষ করে আইসিস এর ক্রমাগত উত্থানে আমরা শঙ্কিত। সাম্প্রদায়িকতার চড়া মুল্য দেশ দিচ্ছে এবং দিতে হবে আরও অনেক বেশী পরিমানে। হিন্দু মুসলিম এখন পরিস্কার দুটি শিবিরে বিভক্ত হয়ে গেল অভিজিতকে ঘিরে।

এই পোষ্টে যারা পজিটিভ আলাপ করেছেন প্লিজ, ধর্মীয় আলাপ করুন কিন্তু যা সাংঘর্ষিক তা এড়িয়ে চলুন । আলাপের কোটি বিষয় রয়েছে। এখানে মডারেটররা কিছু সাহায্য করতে পারেন গোলমেলে বিষয়কে হয় মুছে দেয়া নাহয় বিতর্কিত শব্দ বাদ দেওয়া।

সোনাবীজ ওরফে খলিলকে ধন্যবাদ একটি উপযুক্ত পোস্ট দেয়ার জন্য ।

০৫ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ৮:১৭

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: শাহ আজিজ ভাই,

শুরুতেই আপনাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি কমেন্টের শেষে কিছু উপদেশ দেয়ার জন্য। আপনার কমেন্ট থেকে বেশ কিছু অজানা তথ্য পাওয়া গেলো। যুক্তিগুলোও খুব শাণিত। সর্বোপরি, আপনার কমেন্টটিও এ পোস্টের জন্য একটি বাড়তি পাওনা হিসাবে পাঠকের কাছে বিবেচিত হবে বলে মনে করছি।

অনেক ধন্যবাদ প্রিয় শাহ আজিজ ভাই। শুভেচ্ছা।

৩২| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৫২

কলমের কালি শেষ বলেছেন: খুব সুন্দর এবং পরিমার্জিত কথা বলেছেন । অনেক ভালো লাগলো পক্ষ-বিপক্ষ যুক্তিগুলো ।

০৫ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ৮:২৫

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ প্রিয় কলমের কালি। শুভেচ্ছা।

৩৩| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৫ রাত ১০:০৫

নুসরাতসুলতানা বলেছেন: এ পোষ্টের প্রতিটি লাইনের সাথে সহমত। আপনার এ লেখাটা পড়ার পর আর কিছু লিখা বাহুল্য । পোষ্টটা স্টিকি করা জরুরী , কেননা এ বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হওয়া উচিত এখনি ।

০৫ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ৮:৩১

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: সহমত জানানোর জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু। ভালো থাকবেন।

৩৪| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৫ রাত ১০:৩৯

আমার বাংলাদেশ স্বাধীন বলেছেন: বিতর্কের বিপক্ষে পাল্টা যুক্তি পোস্টটিকে সমৃদ্ধ করেছে.................।

অভিজিৎ ঝানু পাবলিক। কিন্তু তিনি বাস্তবতা আর চিরন্তন প্রতিষ্ঠিত সত্যকে টপকিয়ে ভার্চুয়ালে মত্ত ছিলেন।

আপাদত তার কোন লেখা ব্লগে পাওয়া যাচ্ছে না। কারণ কে বা কারা বা বিটিআরসি সেটাকে হারপিক দিয়ে ধুয়ে কথিত মুক্তমনাকে......কলংকমুক্ত করার ব্যর্থ চেষ্টা করেছে.............।

আপনি চাইলে তার অবিশ্বাসের দর্শন নামক বইটি পড়তে পারেন। জাগৃতি প্রকাশনী.। মূল্য সম্ভবত...৩৬০/-
দূর্জন বিদ্যান হলেও ঘৃণাভরে পরিত্যাজ্য :D

০৫ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ৮:৫৪

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ আমার বাংলাদেশ স্বাধীন।

লেখাগুলো কেন মুছে ফেলা হয় তার কারণ এই হতে পারে যে, লেখাগুলো অনেক বেশি আপত্তিকর, যা পাঠে পাবলিক রি-এ্যাকশন ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারে। কিন্তু তবুও এটা অভিজিৎ রায়ের বিপক্ষেই যায়। তবে আমি মনে করি, সুষ্ঠু তদন্তের জন্য এই ব্লগপোস্টগুলো যথাযথ কর্তৃপক্ষ কর্তৃক সংরক্ষণ করা উচিত।

শুভেচ্ছা।

৩৫| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৫ রাত ১০:৪৫

এম এম হোসাইন বলেছেন: আল্লাহ ও তার রাসুল (স) কে যে যত গালি দিতে পারবে সে তত বেশি মুক্তমনা, অসাম্প্রদায়িক, বিজ্ঞানমনস্ক!!!??

ভাব দেখে মনে হয় মুক্তমন ও বিজ্ঞানের ঠিকাদারি দেয়া হয়েছে তাদেরকে।

আপনি নাস্তিক হন, সমস্যা নাই, কিন্তু মানুষকে ভালবাসতে শিখুন, মানুষের প্রতি নুন্যতম শ্রদ্ধাবোধ যেন আপনার মধ্যে থাকে। তা না হলে সাময়িক উত্তেজনা সৃস্টি করতে পারবেন হয়তো, কিছু লোককে নিজেদের দলেও পেয়ে যাবেন, কিন্তু মানুষের ভালবাসা পাবেন না।

নবী রাসুলগন ভালবাসার মাধ্যমেই মানুষের মন জয় করেছেন। তাই যুগ যুগ ধরে লক্ষকোটি মানুষ রাতের অন্ধকারে নবীর নামে দরুদ পড়ে চোখের জলে বুক ভাষায়। আপনি তাদের সাথে একমত না হতে পারেন, কিন্তু তাদেরকে দিনের পর দিন কটুকথা শোনানোর দরকার কি আপনার?

মনটাকে একটু বড় করুন। একটু সময়ের জন্য সত্যিকারের মুক্তমনা হোন, সব চিন্তা ঝেড়ে ফেলে একবার সেই বৃদ্ধলোকটির (হয়ত সে আপনার বাবা কিংবা দাদা) দিকে তাকান, তাকে অপমান করতে আপনার কি একটুকুও খারাপ লাগবেনা? আমার তো মনে হয় অবশ্যই আপনার খারাপ লাগবে যদি আপনি সত্যি সত্যি মানুষ হয়ে থাকেন। আমার
বাবাকে আমি যতটা ভালবাসি আমার নবীকে আমি তার চেয়েও বেশি ভালবাসি। এটা বুঝার ক্ষমতা যদি আপনার নাই থাকে তাহলে আপনি নিজেকে মুক্তমনা দাবি করতে পারেন কি?

০৫ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ৮:৫৬

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ এম এম হোসাইন ভাই। শুভেচ্ছা।

৩৬| ০৫ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ২:৩৩

সোমহেপি বলেছেন: দেখেন আমাদের অনেকেই অনেক সময় লাইমলাইটে আসতে গিয়ে বাঁকা পথ ধরি । হিটের লোভ । নাহলে গুমায়ুন আজাদকে কেনো থার্ড ক্লাশ একটা বই লিখতে হবে ? এ বিষয়ে আমি অনেকের সাখেই কথা বলেছি,আমাকে একজন এমন বলেছে যে , যে লেখায় মোল্লারা যত বেশি ক্ষেপে সেটা তত বেশি শক্তিশালী । তো সেই শক্তিটা কি নিজের জন্য বুমেরাং হয়ে গেল না ? আর সবচেয়ে বড় যে জিনিস সেটা হল মানুষ হয়ে অপর মানুষের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ । সেটার অভাবেই উগ্রতা তৈরী হয় । মত না মিল্লেই একে অপরকে দু আনার মূল্যও দেয় না । নাস্তিকতা কিংবা আস্তিকতা কাদের জন্য? মানুষের জন্য নয় কি ? তাদের কল্যাণের জন্য? আমিতো এমন দাম্বিক নাস্তিকও দেখেছি সে বেছে বেছে মানুষের সাথে কথা বলত । সবাই নাকি তার সাথে কথা বলার যোগ্য না। আরেক জনকে দেখেছি বাবার জানাজা পড়ছে লোকজন, ছেলে হয়ে পেছনে দাঁড়িয়ে হাসি তামসা করতে।

উগ্রতা উগ্রতারই জন্ম দেয়। ভালো কিছু দেয় না ।

০৫ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ৯:০১

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: কমেন্টে বেশ কিছু নতুন দিক উঠে এসেছে। হুমায়ুন আজাদের মতো একজন লেখক কেন এরকম নিকৃষ্ট রুচির বই লিখবেন সেটা সত্যিই মিলিয়ন ডলার প্রশ্ন।

ধন্যবাদ ইমন তোফাজ্জল ভাই।

৩৭| ১০ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ১০:৪০

তাহসিনুল ইসলাম বলেছেন: চমৎকারভাবে তুলে ধরেছেন ব্যাপারটা।
সবেচেয়ে বড় কথা এটাই--- সবাইকে পরমতসহিষ্ণু হতে হবে।
অন্যের মত বা আদর্শের প্রতি যারা শ্রদ্ধা রাখে না তাদের আর যাই বলি মুক্তচিন্তক বলা যায় না।

১৪ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ১১:২২

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ তাহসিনুল ভাই।

৩৮| ১০ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ১১:৪৩

মাহাদি হাসান বলেছেন: [img|http://s3.amazonaws.com/somewherein/pictures/Mahadihasan/03-2015/Mahadihasan_102925974554ff2719bf35e4.81010433_tiny.jpg

মুক্তমন, ধর্মান্ধতা এধরনের বর্গের সংজ্ঞায়নটা অতীব জরুরী বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। পাশ্চাত্যেও এধরনের বিষয়গুলো নিয়েই ব্যাপক তর্কের সূচনা হয়েছে বহুদিন ধরেই। কিছু পূর্বানুমান বা অনুমান এবং নির্দিষ্ট সামাজিক রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে মুক্তমন, ধর্মনিরপেক্ষতা, সাম্প্রদায়িকতা, ধর্মান্ধতা এই শব্দগুলোর মানে ভিন্ন ভিন্ন হতে পারে।
বাংলাদেশে শব্দগুলোর ব্যবহার নির্দিষ্ট মত দমন বা নির্মূলের হাতিয়ার হিসেবে বারবার আমাদের সামনে আসছে কিন্তু সত্যিকার অর্থে এগুলোকে নিয়ে আলোচনার ক্ষেত্র প্রস্তুত করবার আকাঙ্খা কমে যাচ্ছে।
বাংলাদেশের নির্দিষ্ট সামাজিক রাজনৈতিক কাল বিবেচনায় চার্লি হেবদো আমাদের সামনে মুক্তমনের ইশারা কিনা এটা নিয়ে অনুমান নির্ভরতা আমাদেরকে আরো বিপদেই ফেলবে। পাশ্চাত্যের সব দর্শনই বাছবিচার ছাড়া গ্রহনের কোন মানে নেই। তা্তে পাশ্চাত্যের কলোনিয়াল প্রজেক্টগুলোকে বুঝতে ভুল করব আমরা। কলোনিয়ালিজম অব মাইন্ডের যুগে পাশ্চাত্যের কাছে মন বিবেক সবকিছু বন্ধক রেখে দেশের জনগনের সাথে আমাদের বিচ্ছিন্নতা বাড়তে পারে।
ইসলামকে কিভাবে দেখতে হবে এটা নির্দিষ্ট করে দেবার ডিসিপ্লিন হিসেবে সেক্যুলার ভাবার্দশ পৃথিবীতে ব্যাপক প্রশ্নের সম্মুখীন হচ্ছে। তাছাড়া সাম্রাজ্যবাদিরা যেভাবে পাশ্চাত্য সমাজের বয়ান দাড় করাতে চাইছে সেই একই আদলে ভাবতে গিয়ে মুক্তমনধারীরা এখন নিজেদেরকেই বিচ্ছিন্ন করে ফেলবে।
তারপরও যা দরকার তাহল তর্কের ক্ষেত্র প্রস্তুত করা, সমাজে আলোচনার পর্যালোচনার ক্ষেত্র প্রস্তত করা। যে মর্তাদর্শেরই হন না কেন ইতিহাসকে ট্রানসেন্ড(transcend) করে গেছেন ভাবার মত নির্বুদ্ধিতা না থাকাই ভাল। সেক্যুলার হোক অথবা ধার্মিক হোক আগে দরকার আলোচনা, একে অপরের মর্তাদর্শকে ঘরে ভেতরে বিষয় দাবী করার কিছু নাই। আর করলেই তা ঘরের বিষয়ই থাকবে এ ধরনের পূর্বানুমান ভুলে যাবার দরকার।

রাতের আধারে হত্যাকান্ডের মধ্যে দিয়ে যে কোন সফলতা আসবে না তা নিশ্চিতভাবে প্রমানিত হয়ে যাবার কথা, বাংলাদেশের বিবাদপক্ষগুলো একে অপরকে নির্মূল করতে চায়, একে অপরের বিরুদ্ধে অনন্ত যুদ্ধে লিপ্ত হতে চায়, তাই ধ্যানধারনা প্রায় প্রত্যেকেই মিলিট্যান্ট অবস্থান নেবার কথা শুরু করেছে এর মধ্যে কাঙ্খিত আলোচনা পর্যালোচনা ক্ষেত্র প্রস্তুতি গুরুত্বপূর্ন কর্তব্য হলেও এখন হয়ত শুনলে বেহুদা আইডিয়ালিজম মনে হবে। তবে রাজনৈতিক অপরকে বোঝার ইচ্ছা থেকে খারাপ আউটকাম আসবে বলে মনে হয় না।

১৪ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ১১:২৩

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। ছবিটি আসে নি।

৩৯| ১০ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ১১:৫৪

মাহাদি হাসান বলেছেন: [img|http://s3.amazonaws.com/somewherein/pictures/Mahadihasan/03-2015/Mahadihasan_102925974554ff2719bf35e4.81010433_tiny.jpg


ছবির বামপাশের অংশটুকু মিশরে সামরিক শাসকদের গনহত্যা চালানোর সময় চার্লি হেবদো প্রকাশ করে, বাস্তবতার নিষ্ঠুরতায় সেই একই ছবির একই পরিনতি ফিরে আসে তাদের নিজেদেরও জীবনে।

৪০| ১৫ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ১২:৩৮

স্বপ্নচারী গ্রানমা বলেছেন:
খুনোখুনি বন্ধ হোক,
মানবতার জয় হোক,

সময়োপযোগী দারুণ পোস্ট। ++
সহমত আর ভালোলাগা জানাই।

১৮ ই মার্চ, ২০১৫ সকাল ১০:১৬

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ স্বপ্নচারী গ্রানমা। শুভেচ্ছা।

৪১| ১৫ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ১:৩৭

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: বর্তমানে ধর্মান্ধ বলতে শুধুমাত্র মুসলিমদেরই বোঝায়,আইএস,বোকো হারাম বা নিকট অতীতের আল কায়েদাদের কারনে।। কিন্তু বর্তমান ইরাক এবং সিরিয়ায় যে পশ্চিমা দেশগুলির সাবেক সেনাসদস্য সহ সেচ্ছাসেবকদের একটা বিরাট অংশ যুদ্ধ করছে ইরাকী এবং কুর্দী বাহিনীর সাথে,তাদের কি বলা হবে??
ব্লগসমুহের প্রধানরাই ব্লগের নীতিমালা তৈরী করে দেন বলে জানি।। সেখানে ব্লগারদের উষ্কানীমূলক লেখা যখন প্রকাশিত হয়,তখন স্বাভাবিক ভাবেই ধরে নিতে পারি তাদের সমর্থনের কথা।। এক্ষেত্রে সরকারের দৃষ্টি প্রয়োজন।। তাই বলে এটাও বলছি না যে,শুধু সরকার বিরোধীদের লেখাই মনটরিং করা হোক।। এক্ষেত্রে আমাদের পাঠকদেরও দায়িত্ব থাকবে যে কোন উষ্কানীমূলক লেখাই যথাযথ কর্তৃপক্ষের নজরে আনা।।
আরেকটা ব্যাপার না বলে পরছি না যে,শুধু বাংলাদেশেই নয় বিভিন্ন মুসলিম দেশগুলিতে মুক্তচিন্তা আর বাকস্বাধীনতার নামে উল্টো-পাল্টো লেখার মানেই আলোচনায় এসে পশ্চিমাদেশের ভিসা নিশ্চিত।।
দুটি বিশ্বযুদ্ধে কিন্তু কোন মুসলম দেশ জড়িত ছিল না।। তবুও যুদ্ধের বাহিরে নিহতদের খতিয়ান কি বলে?? মধ্যপ্রাচ্যের বর্তমান প্রানহানীর পিছনে ষড়যন্ত্র কাদের এবং কি জন্য??
মন্তব্যটা বড় হয়ে গেল,দুঃখিত।। আরো কিছু বলার ছিল। ছিল ভারতের একটি প্রদেশে গরু জবাইতো দুরের কথা মাংস পেলেও ৫বছর জেলের কথা।। তখন কিন্তু তথাকথত মুক্তমনা আর বাকস্বাধীনতার প্রবক্তরা মাঠে থাকেন না।। সবশেষে লেখাটি যুক্তির কারনেই ভাল লাগা।। ধন্যবাদ।।

১৮ ই মার্চ, ২০১৫ সকাল ১০:২২

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: অনেক সুন্দর এবং তথ্যসমৃদ্ধ একটা কমেন্ট। অনেকগুলো দিকের প্রতি আলোকপাত করেছেন। ভালো লাগলো।

ব্লগসমুহের প্রধানরাই ব্লগের নীতিমালা তৈরী করে দেন বলে জানি।। সেখানে ব্লগারদের উষ্কানীমূলক লেখা যখন প্রকাশিত হয়,তখন স্বাভাবিক ভাবেই ধরে নিতে পারি তাদের সমর্থনের কথা।। এক্ষেত্রে সরকারের দৃষ্টি প্রয়োজন।। তাই বলে এটাও বলছি না যে,শুধু সরকার বিরোধীদের লেখাই মনটরিং করা হোক।। এক্ষেত্রে আমাদের পাঠকদেরও দায়িত্ব থাকবে যে কোন উষ্কানীমূলক লেখাই যথাযথ কর্তৃপক্ষের নজরে আনা।।----- এ কথার সাথে একমত না হয়ে পারছি না।


ধন্যবাদ আপনাকে।

৪২| ১৮ ই মার্চ, ২০১৫ সকাল ১০:৩৪

মাসূদ রানা বলেছেন: @সোনাবীজ;অথবা ধুলোবালিছাই

আপনাকে ধন্যবাদ সুন্দর একটি পোস্ট লেখার জন্য .......... শুধু অভিজিৎই নয় , সকলেরই অধিকার রয়েছে তার মুক্ত চিন্তা মুক্তভাবে করার, প্রকাশ করার .............. কিন্তু বৈজ্ঞানিক চিন্তার মোড়কে একটা বিশেষ ধর্মকে নিয়ে মিথ্যা বানোয়াট তথ্য অপপ্রচার করা অনভিপ্রেত ........... যদিও হত্যাকান্ড তার সলিউশন নয় ......... কিন্তু কিছু মানুষ যদি তার আবেগে আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে আবেগের বশবর্তী হয়ে কিছু করে থাকে, তাহলে কিই বা করার আছে ?

ভালো থাকুন :)

২০ শে মার্চ, ২০১৫ দুপুর ২:৩৭

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ মাসূদ ভাই। শুভেচ্ছা।

৪৩| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১০:৩৮

বিদেশ পাগলা বলেছেন: বলেছেন: আপনার সৎ সাহসী সময়োপযোগী লেখাকে আন্তরিক ভাবে সাধুবাদ জানাই । বিবেক ,মনুষ্যত্ব ও মানবতা যার মধ্যে নেই --- সে আকারে আকৃতিতে মানুষ হলেও প্রকৃত পক্ষে ইতর পশু । মানুষ বিশ্বের সর্ব শ্রেষ্ট জীব আবার সর্ব নিকৃষ্ট জীবও ! যে কোন ধর্ম, বিশ্বাস, আস্তা ও মৌলিক অধিকারের প্রতি সম্মান জানানো উচিত । নৈতিক অবক্ষয় থেকে সমাজ কে সচেতন ও সতর্ক করার জন্য যথেষ্ট প্রমান উপস্থাপন করেছেন । বিশ্ব শান্তি ও নিরাপত্তার মারাত্মক হুমকি সাম্রাজ্যবাদী আন্তর্জাতিক মহা সন্ত্রাসী যুক্তরাষ্ট্র ,যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্স এবং তাদের সমর্থক দালাল গুন্ডা বাহিনী থেকে সাবধান ! ষড়যন্ত্র থেকে---- -পবিত্র পরিবার (বিয়ে) প্রথা চিরজীবি হোক এবং নিকৃষ্ট পশুরও ঘৃনা-রুচি বিরোধী প্রথা “ সমকামিতা ” বন্ধ হোক । ধন্যবাদ

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.