নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

শব্দকবিতা : শব্দেই দৃশ্য, শব্দেই অনুভূতি [email protected]

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই

দুঃখের কবিতাই শ্রেষ্ঠ কবিতা। ভালোবাসা হলো দুঃখ, এক ঘরে কবিতা ও নারী।

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই › বিস্তারিত পোস্টঃ

গল্পকণিকা : নিষ্কৃতি

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৩৬

ওদের মধ্যে রক্তের সম্পর্ক নেই, কিন্তু বোধটা রক্তসম্পর্কের। ব্যাপারটা অন্তর্যামীয়, কিংবা মনোসংক্রামক, এমনকি দুর্বোধ্যও।
ওরা একজোড়া প্রেমিক-প্রেমিকা, যাদের মধ্যে গভীর ভালোবাসা ছিল, ছিল তীব্র কামাকর্ষণ। কিন্তু কী এক কারণে ছেলেটির মনে এক অস্বস্তি দানা বেঁধে ওঠে; ছোঁয়াচে ব্যাধির মতো মেয়েটাও অনুরূপ অনানুভূতপূর্ব যন্ত্রণায় কাতর হতে থাকে।

একদিন মেয়েটি মুখ খুললো। ইতস্তত করে বললো, মনে হয় আমরা পাপ করছি।
গাঢ় চোখে একটা শুভ্র গোলাপের দিকে তাকিয়ে ছিল ছেলেটি। ফুলকে ছুঁয়ে দিতে নেই, বোঁটা ছিঁড়তে নেই, ওটা নষ্ট হয়ে মরে যায়। সে যতবার প্রেমিকার কাছ ঘেঁষে বসেছে, মনে হয়েছে এ তার প্রেমিকা নয়, একটা নির্মল, নিষ্কাম ফুল- আমৃত্যু অনাঘ্রাত থেকে পবিত্র গন্ধ ছড়ানোই যার ব্রত।
ছেলেটি সংক্রমিত; কপালে সুক্ষ্ম ভাঁজ। সে মেয়েটির দিকে তাকায়। তারপর চোখ মাটিতে নামিয়ে এনে বলে- আমিও অনেকদিন ধরে কথাটা বলতে চেয়েছি, কিন্তু মুখ আটকে গেছে।
- আমাদের ব্রেকাপ করা উচিত।
- যতবার তোকে চুমু খেয়েছি, মনে হয়েছে তুই আমার প্রেমিকা নস। আমার বোন।
- এমনটা আমারও হয়। তোর চোখের দিকে তাকালেই মনে হয় তুই আমার আদরের ছোটো ভাই।
- ভাইবোনের মতো ফিলিংস। ভাইবোনে এসব হয় না। চল, আমরা হারিয়ে যাই- যার যার পথে।

তারপর মেয়েটি উদাস চোখে চারদিকে তাকালো। চোখ ফেটে কয়েক ফোঁটা পানি বাষ্প হয়ে উড়ে গেলো।
ছেলেটাও ফ্যাল ফ্যাল করে কাঁদছে। তারপর দুহাতে মেয়েটিকে জড়িয়ে ধরে কানের কাছে মুখ এনে ফিশফিশিয়ে বললো, ভালো থাকিস বোন। আর যেন দেখা না হয়।
এরপর নিজেকে ছাড়িয়ে নিল।
এরপর দুজনে দুদিকের পথে পা বাড়ালো।
কিছুদূর যেয়ে, যেতে যেতে দুজনে ঘাড় ফিরিয়ে পেছনে তাকালো। হাত নাড়িয়ে বিদায় জানালো। ওদের বুকে অতীতের একদঙ্গল দুঃখ আর অনুশোচনা; কিন্তু তার চেয়েও অনেক গভীর স্বস্তি আর প্রশান্তি। সব দ্বিধা ছিঁড়ে-ফেরে ছুঁড়ে ফেলে ওরা আজ নিজেদের নিষ্কৃতি দিয়েছে।

রক্তসম্পর্কে সেক্স হয় না, অবৈধ এবং পাপ; এমনকি রক্তসম্পর্ক না থাকলেও সম্পর্কের বোধটা রক্তের টানের মতো হলে সম্পর্কের দাম দিতে হয়। এটাই মাহাত্ম্য।

এ দুটো ছেলেমেয়ে এদ্দিন প্রেমিক-প্রেমিকা ছিল। প্রেমিক-প্রেমিকা হিসাবে ওদের আজ ব্রেকআপ হলো।

৯ সেপ্টেম্বর ২০১৫

******

ফুটনোট

ব্লগে আমার 'নাট্যশালা : সুখের লাগিয়া এ ঘর বাঁধিনু' গল্পটা পড়ে ইমন ভাই/সোমহেপি বললেন, 'ধ্যাত পুরান।' কারণ গল্পটি ২০০৫ সালে লেখা। কেবল তাঁর উদ্দেশে অনেকদিন ধরে মাথায় ঘুরপাক খাওয়া এই কনসেপ্টটা ইনস্ট্যান্টলি ব্লগেই লিখে ফেললাম। ইমন ভাইয়ের প্রতি ঋণ ও কৃতজ্ঞতা।

ইমন তোফাজ্জল

মন্তব্য ৪০ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (৪০) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:০৯

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: গল্পের ভাষাটা সত্যিই সুন্দর| যদিও মর্মার্থ মাথার উপর দিয়ে গেল

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:০৩

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আমার এ ক্ষুদ্র গল্পটার মধ্যে অনেক পরীরক্ষা-নিরীক্ষা, এবং তার চেয়েও বেশি পরিমাণে পরিমার্জন ও পরিবর্ধন হয়ে গেছে। খাজনার চাইতে বাজনা বেশি হয়ে গেছে আর কী ;) তবে, এটিতে যে এতো এডিটের দরকার হবে তা আমার দাদাও জানতেন না।

গল্পটার আদিরূপ দেখুন।

***

দুর্বোধ্য

মেয়েটি ইতস্তত করে বললো, আচ্ছা শোন, আমার মনে হয় আমি পাপ করছি।
প্রেমিকের কপালে ভাঁজ পড়ে। চোখ কুঁচকে মেয়েটির দিকে তাকায়। তারপর চোখ মাটিতে নামিয়ে এনে বলে, আমারও তাই মনে হচ্ছিল। অনেকদিন ধরেই আমিও কথাটা বলতে চেয়েছি, কিন্তু মুখ আটকে গেছে।
- আমাদের ব্রেকাপ করা উচিত।
- যতবার তোকে চুমু খেয়েছি, মনে হয়েছে তুই আমার প্রেমিকা নস। আমার বোন।
- ভাইবোনে এসব হয় না। চল, আমরা হারিয়ে যাই- যার যার পথে।

তারপর মেয়েটি উদাস চোখে চারদিকে তাকালো। চোখ ফেটে কয়েক ফোঁটা পানি বাষ্প হয়ে উড়ে গেলো।
ছেলেটাও ফ্যাল ফ্যাল করে কাঁদছে। তারপর দুহাতে মেয়েটিকে জড়িয়ে ধরে কানের কাছে মুখ এনে ফিশফিশিয়ে বললো, ভালো থাকিস বোন। আর যেন দেখা না হয়।
এরপর নিজেকে ছাড়িয়ে নিল।
এরপর দুজনে দুদিকের পথে পা বাড়ালো।
কিছুদূর যেয়ে, যেতে যেতে দুজনে ঘাড় ফিরিয়ে পেছনে তাকালো। হাত নাড়িয়ে বিদায় জানালো।

এ দুটো ছেলেমেয়ে এদ্দিন প্রেমিক-প্রেমিকা ছিল। প্রেমিক-প্রেমিকা হিসাবে ওদের আজ ব্রেকআপ হলো।

৯ সেপ্টেম্বর ২০১৫


***

ফেইসবুকে ঠিক আদিরূপটাই শেয়ার করে বিপদে পড়ে গেলাম। বুঝলাম যে, গল্পটা পড়ে অনেকেই ভুল বুঝছেন, কিংবা বিভ্রান্ত হচ্ছেন। নেগেটিভ ইমপ্রেশন নেয়াও অসম্ভব কিছু নয়। আদতে, আমি যা বলতে চেয়েছিলাম গল্পে, পাঠকের কাছে পৌঁছে গেছে ঠিক এর উলটোটা। অল্প কয়েক লাইনের গল্পটা ক্লিয়ার করতে করতে এখন এতো বড় হয়ে গেছে।

পাঠকদের জন্য প্রথম কমেন্টের ঘরেই ব্যাপারটা ব্যাখ্যা করে দিলাম।

২| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:২৪

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: ফেবু ভার্সনটার চেয়ে এটা নিঃসন্দেহে অনেক ভাল

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৩২

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ আরণ্যক রাখাল। শুভেচ্ছা।

৩| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৫০

জুন বলেছেন: চমৎকার কিছু শব্দের খেলা ছাই ভাই । ভালোলাগলো অনেক অনেক ।

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৩২

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপু। ভালো লাগলো কমেন্ট। শুভেচ্ছা।

৪| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:১৫

শায়মা বলেছেন: হায় হায় !!!!!

:(


এটা আসলেও দূর্বোধ্য গল্প ভাইয়া!

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:৫৯

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ঠিক দুর্বোধ্য না, মনে হয় জটিল বা বিভ্রান্তিকর হয়ে থাকতে পারে।

ধন্যবাদ আপু।

৫| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:০৩

সুমন কর বলেছেন: এবার কিন্তু ঠিক হয়েছে। ফেবুতে একটু সমস্যা ছিল, যা ফেবুতেই বলেছিলাম।

ভালো লাগা রইলো।

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১:০০

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: হ্যাঁ ফেইসবুকেই বলেছিলেন। যাক, বিভ্রান্তি দূর করতে পেরেছি কিছুটা মনে হয় ;)

ধন্যবাদ সুমন ভাই।

৬| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:৩১

আবু শাকিল বলেছেন: ভাল লাগল :)

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১:০১

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ আবু শাকিল ভাই। শুভেচ্ছা।

৭| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৩৭

কথাকথিকেথিকথন বলেছেন: ভাল লেগেছে গল্পকণিকায় ।

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১:০২

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ কথাকথিকেথিকথন। নামটায় বৈচিত্র্য আছে তো!

শুভেচ্ছা।

৮| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৩৪

আরজু পনি বলেছেন:
এমন ফিলিংস হয়...ভাই-বোন, মা-ছেলে, বাবা-মেয়ে ।

ভালোইতো একদিক থেকে ...সম্পর্কের জটিলতায় পড়তে হয় না :D

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১:০৬

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: একটা প্লেইন গল্পের পাশাপাশি আরেকটা স্লোগান আছে এই গল্পে। আমি আশা করছি, কোনো একদিন কেউ না কেউ সেই স্লোগানটায় একটু হলেও আলোকপাত করবেন।

ধন্যবাদ আপু।

৯| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:১৭

রেজওয়ান তানিম বলেছেন: ভাললাগে নাই। ডেভেলপ হয় নাই চরিত্র ও কাহিনী, কেমন আরোপিত লাগল

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১:১২

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ২০০৮/২০০৯ সালের দিকে ব্লগে গল্পকণিকা নামক ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র কিছু গল্প লিখেছিলাম। অল্প ২/১টা পোস্ট। ২০১৩/২০১৪ থেকে বেশ জোরে সোরেই নতুন করে গল্পকণিকা লিখতে শুরু করি। এর আগে কাউকে এ ধরনের গল্প লিখতে দেখি নি, তাই আমিই এগুলোর প্রবর্তক বা স্রষ্টা হিসাবে গর্ব করছি ;)

গল্পকণিকা মূলত সাংকেতিক গল্প। কখনো গল্প, কখনো কবিতা আর গল্পের ব্লেন্ড; কিন্তু কেউ এটাকে কবিতা বললেও বলতে পারেন। এটা মহৎ কোনো কিছু না। নিজের আনন্দে লিখি। যারা এদ্দিন আমার গল্পকণিকা পড়েছেন তাদের ভালোমন্দ অনুভূতি নিয়েই আমি গল্পকণিকা লিখে যাচ্ছি।

ধন্যবাদ তানিম ভাই। শুভেচ্ছা।

১০| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:৪৯

আমি তুমি আমরা বলেছেন: অনোনুভূতপূর্ব-মানে কি?

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১:১৬

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: এই যে এতদিনে আপনাকে পাওয়া গেছে। আমার যদ্দূর মনে পড়ে, এর আগেও আপনি আমার কোনো এক পোস্টে একটা শব্দের মানে জানতে চেয়েছিলেন। দেখি কি, শব্দটা ভুল বানানে লিখেছি ;) এবারও তাই হয়েছে।

অনানুভূতপূর্ব= অন্‌ (নঞ্‌) + অনুভূতপূর্ব= যা আগে অনুভূত হয় নি।

আপনার চোখের পাওয়ারের তারিফ না করে পারছি না ভাই ;)

ধন্যবাদ এবং শুভেচ্ছা।

১১| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১:২৪

আমি তুমি আমরা বলেছেন: :)

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১:২৭

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: পুনরাগমনের জন্য পুনরায় ধন্যবাদ জনাব।

১২| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ২:৪৮

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই নামটা দেখে ঢুকলাম ।
এত রাতে কমেন্টের ঘরে আপনার নামটা দেখে খুব ভালো লাগ ল।

রক্তসম্পর্কে সেক্স হয় না, অবৈধ এবং পাপ; এমনকি রক্তসম্পর্ক না থাকলেও সম্পর্কের বোধটা রক্তের টানের মতো হলে সম্পর্কের দাম দিতে হয়। এটাই মাহাত্ম্য। আপনি হয়ত এটা বুঝাতে চেয়েছেন ।
তবে আমার মনে হয় এভাবে স্পষ্ট না করলে ভাল হত । হয়ত পাঠক মিস রিড করতে পারে আশংকায় এভাবে লিখেছেন ।
সাংকেতিক গল্প হিসেবে কিছুটা বাড়তি লাইন লিখে ফেলেছেন মনে হচ্ছে । যেমন শেষ লাইন টা না দিলেও চলে মনে হচ্ছে ।
ব্রেকআপ তা ত বুঝাই যাচ্ছে ।

আরেকটা বিষয় খেয়াল করতে পারেন ছাই ভাই , নিজে দেখুন ত কোন পার্ট পর্যন্ত কেমন লাগে ?

১) এরপর দুজনে দুদিকের পথে পা বাড়ালো। গল্প এখানে শেষ ।

২) কিছুদূর যেয়ে, যেতে যেতে দুজনে ঘাড় ফিরিয়ে পেছনে তাকালো। হাত নাড়িয়ে বিদায় জানালো । গল্প এখানে শেষ
৩) সব দ্বিধা ছিঁড়ে-ফেরে ছুঁড়ে ফেলে ওরা আজ নিজেদের নিষ্কৃতি দিয়েছে। গল্প এখানে শেষ
৪) এমনকি রক্তসম্পর্ক না থাকলেও সম্পর্কের বোধটা রক্তের টানের মতো হলে সম্পর্কের দাম দিতে হয়। এটাই মাহাত্ম্য। গল্প এখানে শেষ ।
কোনটায় কিরকম লাগছে আশা করি তা শেয়ার করবেন ছাই ভাই ।

আপনার কিছু গল্পকনিকা আগেঅ পড়েছি।/ ওগুলার তুলনায় এই গল্পটা আমার কাছে দুর্বল লাগছে ।

শুভেচ্ছা প্রিয় ছাই ভাই ।










১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:০৫

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আপনিই ঠিকই অভীষ্ট লাইনটি ধরে ফেলেছেন। এই একটা লাইনই আমার গল্প বা সংকেত বা গল্পের সারাংশ। এটাকে বলার জন্যই বাকি কথাগুলোর সংযোজন।

এটাও ঠিক, পাঠক মিসরিড করছিল বলেই ধীরে ধীরে এতোখানি অ্যামপ্লিফাই করতে হয়েছে। শুরুতে কিছুটা জটিল ছিল, তাই গল্পের নামও ছিল ‘দুর্বোধ্য’।

আপনি যেহেতু বললেন অন্য গল্পকণিকার তুলনায় এটা দুর্বল হয়েছে, তাহলে এটা মানতে আমি অবশ্যই বাধ্য।

সমাপ্তির ব্যাপারে যা বললেন, এখন তো দেখছি সবগুলোতে সমাপ্তি টানা যায় ;) মুশকিল হয়ে গেলো দেখি!

বিস্তৃত কমেন্টের জন্য অনেক ধন্যবাদ প্রিয় মাহমুদ ভাই।

১৩| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:০৩

এহসান সাবির বলেছেন: গল্প ভালো হইছে কি মন্দ হইছে বুঝতে পারছি না.... :|

শুভেচ্ছা ভাই।

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:২৭

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ এহসান ভাই ক্ষুদ্র গল্পটা পড়ার জন্য। শুভেচ্ছা।

১৪| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:০৭

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: ''এমনকি রক্তসম্পর্ক না থাকলেও সম্পর্কের বোধটা রক্তের টানের মতো হলে সম্পর্কের দাম দিতে হয়''

এই লাইনটি বেশি ভাল লেগেছে ।

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:২৭

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: উপরে মাহমুদ ভাইয়েরও এ লাইনটার উপর চোখ পড়েছে। আমি ঠিক এ থিমটাই গল্পের মধ্যে বলতে চেয়েছিলাম। কিন্তু পাঠকপ্রতিক্রিয়া থেকে নিজের ব্যর্থতা বুঝতে পারলাম, যা বলতে চেয়েছি পাঠকের কাছে তা পৌঁছে নি।

একটা ছেলে একটা মেয়েকে খুব গভীরভাবে ভালোবাসে। মেয়েটাও। দুজনেই জানে ওরা পরস্পরের প্রেমে পড়েছে।

কিন্তু কোনো এক দুর্বোধ্য কারণে ছেলেটার হঠাৎ মনে হতে থাকে, মেয়েটি তার প্রেমিকা হতে পারে না। একজন প্রেমিকার প্রতি যে ধরনের অনুভূতি হয়, এ মেয়ের সামনে দাঁড়ালে তা উবে যায়।

ঘটনাটা অন্তর্যামীয়, বা মনোসংক্রামক। মেয়েটার কাছেও মনে হতে থাকে, ছেলেটা তার প্রেমিক না, খুব কাছের, স্নেহের ছোটো ভাই।

ওদের পারস্পরিক কামাকর্ষণ ছুটে যায়। ওরা ভাইবোন হয়ে যায়। কিন্তু ভাইবোনের মধুর স্মৃতি নিয়েই ওরা পরস্পর থেকে আলাদা হয়ে যায়।

১৫| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৫৪

রাবেয়া রব্বানি বলেছেন: ভালো প্লট

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:২৩

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ আপু। অনেকদিন পর দেখা হলো। আশা করি ভালো আছেন। শুভেচ্ছা।

১৬| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৪২

ঢাকাবাসী বলেছেন: এই লাগলো আর কি। মানে বোঝা গেসে?

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:২৩

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: জি ভাই, মানে বোঝা গেছে। ধন্যবাদ পড়ার জন্য। শুভেচ্ছা।

১৭| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:৫২

বিদ্রোহী সিপাহী বলেছেন: সরল লেখায় বোধের দুর্বোধ্যতা তুলে ধরলেন ভাই।
বিচিত্র পৃথিবীতে আরও বিচিত্র মানুষের মন।
চালিয়ে যান...
আপনার লেখার অপেক্ষায় আছি

১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১:০৯

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ বিদ্রোহী সিপাহী।

১৮| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:১০

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: সম্পর্কের বোধটাই সম্পর্কের প্রাণ!

এই জটিল রসায়ন উদ্ভুত হলো কোন বিশেষ কারণে কি ;)

তবে সাধারনত এই বোধটা রেয়ার! আবার অনেক পরিবারে বোধের জটিলতায় সম্পর্ক কেবলই আনুষ্ঠানিক- এইটা সচরাচর!

++++

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:১২

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: মাথায় কত প্লট লাফালাফি করে, তার ঠিক আছে? এটাও তেমনই একটা প্লট।

ধন্যবাদ বিদ্রোহী ভৃগু।

১৯| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৫৮

কলমের কালি শেষ বলেছেন: ভাল লেগেছে সোনাবীজ ভাই ।

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:১২

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ কলমের কালি। শুভেচ্ছা।

২০| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:০০

ডি মুন বলেছেন:
- যতবার তোকে চুমু খেয়েছি, মনে হয়েছে তুই আমার প্রেমিকা নস। আমার বোন।
- এমনটা আমারও হয়। তোর চোখের দিকে তাকালেই মনে হয় তুই আমার আদরের ছোটো ভাই।


কারো চোখের দিকে তাকালে যদি তাকে ছোট ভাই মনে হয়, তাহলে তার সাথে এমন প্রেমের সম্পর্ক চুমু পর্যন্ত গড়ায় কিনা , ভাববার বিষয়। গল্পে মন বসে নি। আপনি এর চেয়ে শতগুণে ভালো লেখেন।

অফটপিক ---- অবশ্য গল্পটা পড়তে গিয়ে আদিযুগের কথা মনে পড়ল। এই ধরুণ আদম হাওয়া। তারপর তার ছেলে-মেয়েদের মধ্যে বিবাহ। একসময় তারা চুমু খেতে গিয়ে আবিষ্কার করে বড্ডো ভাইবোন ভাইবোন লাগছে , ইত্যাদি । হা হা হা।

শুভকামনা সোনাবীজ ভাই।

২১| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:১৮

জেন রসি বলেছেন: শুদ্ধ সম্পর্ক এবং অশুদ্ধ সম্পর্কের একটা বোধ মানুষের মনোজগতে দ্বান্দিক ভাবেই অবস্থান করে।আদিম সমাজ থেকে এই আধুনিক সভ্যতা পর্যন্ত সামাজিক বিবর্তনের সাথে মানুষের চিন্তাজগতও বিবর্তিত হয়েছে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.