নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

শব্দকবিতা : শব্দেই দৃশ্য, শব্দেই অনুভূতি [email protected]

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই

দুঃখের কবিতাই শ্রেষ্ঠ কবিতা। ভালোবাসা হলো দুঃখ, এক ঘরে কবিতা ও নারী।

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমাদের পাখিগুলো

১০ ই জুন, ২০১৭ রাত ১০:৩৭

২০০৫ সালের আগস্ট বা সেপ্টেম্বর মাস। আমরা বগুড়ায়।
একদিন বগুড়া শহরে ঢুকবার মুখেই পাখির দোকান দেখে পাইলট আর ঐশী বায়না ধরলো, ওদের অনেকগুলো পাখি চাই, ওরা পুষবে।
ওদের জন্য কয়েকটা পাখি ও পাখিদেরর জন্য একটা খাঁচা কিনলাম। পাইলট আর ঐশী খুশিতে আটখানা। আমি আর আমার স্ত্রীও ওদের সাথে পাখিদের নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়লাম।
কিন্তু খাঁচাটা খুব ছোট্ট। আমরা ছোট্ট খাঁচা ছেড়ে ঘরের একটা বারান্দাকেই খাঁচা বানিয়ে ফেললাম। মুনিয়া, লাভ বার্ড, ইত্যাদি বেশ ক’টা পাখি। আমি, ঐশী আর পাইলটকে নিয়ে পাখিদের পরিচর্যা করি। আমার পরিচর্যা এমন পর্যায়ে পৌঁছুলো যে, মনে হতে লাগলো, ঐশী বা পাইলটের জন্য নয়, আমার জন্যই পাখিগুলো শখ করে কিনেছি।
কিন্তু পাখিগুলো দিনে দিনে শুকিয়ে যাচ্ছিল, কারণ, ওরা কোনো খাবার খাচ্ছিল না। পাখিদের দোকান থেকে সব ধরনের খাবার আনলাম, কিন্তু কিছুতেই কিছু হলো না।
একদিন সকালে দেখি একটা পাখি মরে মাটিতে পড়ে আছে। আমার চোখ বেয়ে পানি গড়িয়ে পড়লো। পাইলট আর ঐশীর চেহারাও কাঁদো-কাঁদো। পাখিগুলোকে বাঁচিয়ে রাখতে আমি অস্থির হয়ে পড়ি। কিন্তু হায়, তার পরের দিন আরো একটা পাখি মারা যায়। আমি কালবিলম্ব না করে পাখিগুলো বাইরে নিয়ে আকাশে উড়িয়ে দিই— ওরা দুর্বল ডানায় ভর করে খুব কষ্টে গাছের ডালে গিয়ে বসে। ওদের দিকে আমি চেয়ে থাকি— আমার বুক ছিঁড়ে যেতে থাকে। আমি বেশ কিছুক্ষণ ওদের চোখে চোখে রাখি। ভয় হচ্ছিল, যদি কোনো পাখি উড়তে না পেরে মাটিতে পড়ে যায়! এভাবে অনেকক্ষণ বসে থেকে আমি ঘরে ফিরে যাই— পাখিগুলো তখনো আশপাশের গাছগুলোতে বসে ছিল।
কেন যেন আমার মনে একটা সূক্ষ্ম আসা উঁকি দিচ্ছিল। পোষা প্রাণীরা মনিবের কাছে বার বার ফিরে আসে। বিড়ালের বেলায় এসব ঘটে থাকে। কুকুরের বেলায় ঘটে। অনেককে চিল, ঘুঘুপাখি পুষতে দেখি— ওরা মনিবের মাথায়, হাতে ভর করে মনিবের সাথে সাথে ঘুরতে থাকে। গাছে উড়ে যায়, আবার মনিবের কোলে ফিরে আসে। হাঁসমুরগিরা সকালে কুলায় ছেড়ে বের হয়, সন্ধ্যায় গৃহিনীর নীড়ে আপনাআপনিই ফিরে আসে। আমাদের পাখিগুলোও হয়ত, হয়ত-বা দিনশেষে ঘরে ফিরে আসলেও আসতে পারে। বারান্দার নেটের কাছে এসে ভিতরে ঢুকবার জন্য ওরা ডানা ঝাপটাবে— আমরা অধীর উল্লাসে ছুটে গিয়ে ওদেরকে বরণ করে নিয়ে আসবো।
ঘণ্টাখানেক পর ঘরের বাইরে এসে পাখিগুলোকে খুঁজি। ওরা নেই। ওরা সন্ধ্যায় আমাদের বারান্দায় ফিরে এসে ডানা ঝাপটালো না। ওরা চিরতরে ওদের রাজ্যে হারিয়ে গেছে।
পাখিগুলোকে এত যত্ন দিলাম, ওরা কীভাবে আমাকে ছেড়ে হারিয়ে যেতে পারলো? আমার হাত থেকে ছাড়া পেয়ে যখন ওরা উড়ে যাচ্ছিল, ‘হে বন্ধু, বিদায়’ স্বরূপ একবারও ওরা আমার দিকে ফিরে তাকালো না! হায় নিষ্ঠুর পাখি! হায় নিষ্ঠুর মুনিয়া!

পাখিদের জন্য আমার মন আজও কাঁদে।


কিছুদিন ধরে প্রায় প্রতি সকালেই আমার ঘুম ভাঙে ঘুঘুপাখি অথবা শালিকের ডাকে। বেডরুমের উত্তর দিকে তাকালেই বেশ কটি গাছ। গাছের ছায়া জানালায় এসে পড়ে। কাচখোলা জানালার কার্নিশে বসে শালিকগুলো দাপাদাপি করে, পরস্পর ঝগড়া করে, আবার প্রাণ খুলে ডাকাডাকি করে। ওদের দেখে আমাদের ছোটো ছেলে লাবিব খুব উত্তেজিত— জানালা খুলে সে শালিক ধরবে। তার মাকে বলে, আমাকে বলে, এক থাবায় শালিক ধরে এনে তার হাতে তুলে দিতে। আমরা লাবিবের কথায় হাসি। লাবিব জানে না যে এভাবে পাখি ধরা যায় না।
আজ যখন বাইরে বেরোবো, সকাল ১১টার দিকে, জানালার কার্নিশে দেখি একটা ঘুঘু ডেকে ডেকে খুন হয়ে যাচ্ছে। এমন সময় স্ত্রী ঘরে ঢুকে বলে, ‘দেখো দেখো, কত কিউট না ঘুঘুটা!’ আমি পোশাক পরতে পরতে ঘুঘুর দিকে তাকাই। ওর ডাকে একটা সুললিত সুর বা ছন্দ আছে। আমাকে মোহিত করে সেই সুর। অনেকক্ষণ ধরে ওর ডাক শুনতে ইচ্ছে হচ্ছিল। কিন্তু আমার দেরি হয়ে যাচ্ছিল। স্ত্রী বললো, ‘চলো, ওখানে একটা বাসা বানিয়ে দিই।’ আমি ঘুঘুর জন্য বাসা বানানোর কথা ভাবতে ভাবতে বাইরে চলে যাই।
বাসায় ফিরতে সন্ধ্যা হলো। ঘরে আসতেই স্ত্রী জানালা দেখিয়ে বলে, ‘দেখো, ঘুঘুটার জন্য বাসা বানিয়ে ফেলেছি।’ ঘুঘুর হয়ত এখন ডিম পাড়ার সময়। শালিকেরও ডিম পাড়ার সময় হয়ে থাকবে হয়ত। শালিক ও ঘুঘুরা নিজেদের বাসা নিজেরাই তৈরি করতে পারে। ছোটোবেলায় শালিকের বাসায় ছোঁ মেরেছি, চড়ুই ও বাবুইয়ের বাসা, ঘুঘুর বাসা, বকের বাসা, ডাহুকের বাসায় হানা দিয়েছি। আরো কত জানা-অজানা পাখির পেছনে ছুটে বেড়িয়েছি। বড়ো হবার পর পাইলট আর ঐশীর জন্য সেই যে একবার লোহার খাঁচায় পাখি পুষেছিলাম, দুটো পাখি মরে গিয়েছিল, বাকিদের আকাশে ছেড়ে দিয়েছিলাম— এরপর পাখিদের দুঃখ আমাদের মনের গভীরে ক্ষতের মতো রয়ে গেলো। পাখিরা কি গাছ ভালোবাসে, নাকি মানুষের কাছাকাছি থাকতেই বেশি পছন্দ করে? মানুষের গন্ধ কি ওদের খুবই প্রিয়? ওরা বার বার জানালার পাশে এসে এভাবে ডাকে কেন? ওদের কি গাছ নেই? গাছ কি ওদের জন্য নিরাপদ নয়? কোনো নিষ্ঠুর ব্যাধ কি ওদের পিছু নিয়েছে?
একটা প্লাস্টিক ওয়াটার বোটলের ঘাড় কেটে ফেলে কাত করে রেখে দিয়েছে জানালার শিকের গা ঘেঁষে। ওটাই পাখির বাসা— আমার স্ত্রীর বানানো। ওখানে পাখিরা আসবে, ঘুমোবে, কিচিরমিচির করবে, ডিম পাড়বে, ডিমে তা দিয়ে বাচ্চা ফুটাবে। কিন্তু বাসাটা দেখে আমি হেসে দিলাম। এত্ত ছোটো বাসা! ওখানে পাখিরা ঢুকবে কী করে? কিন্তু স্ত্রীর আন্তরিকতায় আমি মুগ্ধ হলাম।
একদিন খড়কুটো ও বাঁশের কঞ্চি দিয়ে চমৎকার একটা বাসা বানিয়ে জানালার কার্নিশে বসিয়ে দিলাম। পাখিদের জন্য নিরাপদ ও আরামপ্রদ বাসা এরচেয়ে দ্বিতীয়টি আর হয় না।
কিন্তু ঘুঘু বা শালিকেরা কেউ এলো না তার পরের দিন সকালে। তার পরের দিন সকালেও না। এভাবে কিছুদিন কেটে গেলো। আমার মন খারাপ হলো। পাখিরা আমাদের মনে মায়া সৃষ্টি করে চলে যায়, আর ফিরে আসে না।
একদিন সকালে পাখির ডাকাডাকিতে আমার ঘুম ভাঙলো। আমি অবাক হয়ে তাকিয়ে দেখি— এটি সেই ঘুঘু, বা সেই ঘুঘুটার মতো অন্য একটা। পর্দার ফাঁক দিয়ে আমার দিকে তাকিয়ে একটু হয়ত চমকালো, বা অবাক হলো, অথবা আমাকে শুভেচ্ছা জানালো। হঠাৎ ডাকাডাকি বন্ধ করে নীরব থাকলো কিছুক্ষণ। এরপর উল্লাসে ঘুঘুটা নেচে ওঠে। উড়াল দিয়ে গাছের ডালে গিয়ে বসে, লেজ নাচিয়ে আনন্দ প্রকাশ করে। আবার আমার বানানো বাসায় উড়ে এসে বসে। ওর দাপাদাপির শব্দ আমাকে অদ্ভুত আনন্দ দিতে থাকে।
‘খুব কিউট না!’ আমার স্ত্রীও ঘুম থেকে উঠে আমার শরীরের উপর দিয়ে দৃষ্টি বাড়িয়ে পাখিটার দিকে তাকিয়ে অস্ফুট স্বরে বললো। তার কণ্ঠে আনন্দমিশ্রিত বিস্ময়।
পাখিটা আমার বানানো বাসাটাকে আপন করে নিল। ওখানে বসে, খুটখুট করে চারদিকে তাকিয়ে বাসাটা দেখে— হয়ত অবাক হয়, এত সুন্দর বাসাটি তার জন্য কে বানালো? এমনও হতে পারে, পাখিটি পরিযায়ী, কোনো এক দূরদেশ থেকে আসা সে আমাদের অতিথি। জানালার কার্নিশে সে বসে। ভিতরের দিকে তাকায়— আমরা তখন হাত উঁচু করে ওকে শুভেচ্ছা জানাই। সে আনন্দে কয়েকপাক ঘুরে ডেকে ওঠে, উড়ে গিয়ে ডালে বসে পাখা ঝাপটায়, পুচ্ছ দোলায়, নাচে, আবার বাসায় ফিরে এসে আমাদের দিকে তাকিয়ে জানান দেয়— হ্যালো! নিজ্‌ঝুম দুপুরে সুর করে ডাকতে থাকে— ঘুঘুস্‌সই— ঘ্রুঘ্রুর্‌রই।
আমার স্ত্রী জানালা খুলে কিছু চালের গুঁড়া বাসায় ছিটিয়ে দিল। ঘুঘুটা তখন খাবার বা সাথির খোঁজে বনে বনে উড়ছিল।
পরদিন আমাদের চোখ উজ্জ্বল হয়ে উঠলো। একজোড়া পাখি। ওরা খুটখুট শব্দ করে; বাসার ভিতর বসে ডানা ঝাপটায়; মৈথুন করে। আমরা সারাবেলা, যখন-তখন, ঘুঘুদের দেখি। ওরাও আমাদের দেখে। শুভেচ্ছা জানায়।

সেদিন বিকেলে কী হলো জানি না। ঘুঘু, টিয়ে, শালিক, বউ-কথা-কও, বাবুই, চড়ুই— শত শত পাখি পাশের গাছটায় এসে জড়ো হলো। ওদের শোরগোলে আমাদের বাসাটা ভরে গেলো। ঝাঁকে ঝাঁকে পাখি আসছে; ওড়াউড়ি করছে। জানালার কার্নিশে ঠাঁই নেই। আমাদের দিকে পুঁটিপুঁটি করে তাকায়। হঠাৎ হেসে দিয়ে আবার ডালে গিয়ে বসে। আমার ঘোর কাটে না— এ কি সত্যি, যা দেখছি! এ যে রাজ্যের পাখি আমার জানালায়! পাখিদের সমাবর্তন। আমি জানালার পাশে গিয়ে দাঁড়াই, পর্দা সরিয়ে আমি আরো অবাক হয়ে যাই— শুধু পাশের গাছটাতেই নয়, আশপাশের গাছগুলোতেও পাখিদের তিল ধারণের ঠাঁই নেই। এতদিন কোথায় ছিল এই পাখিরা? হঠাৎ করে এখানেই বা ওরা এলো কেন? আমার বিস্ময়ের ঘোর কাটে না। আমাকে কে যেন ডাকলো। দরজায় কলিং বেল। দরজা খুলে দেখি কেউ নেই। উপরের তলার কাজের মেয়েটা মাঝে মাঝে দুষ্টুমি করে কলিংবেলে চাপ দিয়েই দৌড়ে পালায়। কিন্তু কে যেন আমাকে নীচতলা থেকে নাম ধরে ডাকলো। আমি দোতলার সিঁড়ি বেয়ে নীচে নেমে আত্মহারা হয়ে যাই— গাছের পর গাছ পাখিতে ছেয়ে গেছে। আকাশে মৌমাছির মতো উড়ছে পাখিরা। অমন সময় একটা আশ্চর্য ঘটনা ঘটলো— একটা পাখি বিমান অবতরণের মতো ধীরে ধীরে নেমে এসে আমার কাঁধ জুড়ে বসলো। আমি অবাক হয়ে যাই। এবং ওর দেখাদেখি আরো একটা পাখি, না দুটো, না তিনটা, দেখতে দেখতে ৭টা পাখি উড়ে এসে আমার মাথায়, দুই কাঁধে, ঘাড়ে এসে বসলো। আমি বিস্মিত— আমার ঘোর কাটে না। আমি ওদের দিকে তাকাই। ওরা আমার দিকে তাকিয়ে হাসছে। ওদের চোখ ঝলমল করছে হাসিতে। ওরা হাসছে। হাসছে। না, ওদের চোখে পানি। ওরা কাঁদছে। ওরা ডুকরে কাঁদছে। এরপর ঘটলো সবচেয়ে আশ্চর্য ঘটনাটি— ওরা কথা বলে উঠলো। ‘তোমার মতো আমাদের মনেও দুঃখ। আমাদের দুটো বোন তুমি মেরে ফেলেছিলে। মনে পড়ে?’ আমার ঘোর কাটে। এইতো, পাখিদের চিনতে পেরেছি আমি। ওরা আর কেউ নয়, আমার হারিয়ে যাওয়া মুনিয়া, লাভ বার্ড। যে দুটো মুনিয়া মারা গিয়েছিল, ওরা এদের বোন ছিল। চেহারায় কী অদ্ভুত মিল! কিন্তু ওদের কথায় আমি কষ্ট পেলাম। দুটো মুনিয়া মরে গেলে আমি কত কষ্ট পেয়েছিলাম ওরা কি তা জানে না? ধীরে ধীরে ওরা শান্ত হয়ে ওঠে। ওদের চোখ আনন্দে ভরে যায়। একটা পাখি বলে, ‘আর দুঃখ করো না। তোমার কষ্টও আমরা বুঝি। তোমার বুকের নীরব কান্না আমাদের বুকেও এতদিন ধরে বাজতো। তাই তোমাকে দেখতে সাধ হলো।’ এ কথা বলে ডান কাঁধে বসা একটা মুনিয়া পাখা দুলিয়ে আমার চোখের পানি মুছে দিল।
‘তোমরা এতদিন বেঁচে থাকো?’ আমি আশ্চর্য হয়ে পাখিদের জিজ্ঞাসা করি।
‘আমরা মরি না। তোমাদের কান্না ও ভালোবাসায় আমরা অনন্তকাল বেঁচে থাকি।’
তারপর পাখিদের সাথে আমার অনেক কথা হলো। আমাকে ছেড়ে যেতে ওদেরও খুব কষ্ট হচ্ছিল। কিন্তু ওরা ওদের মা, বাবা, অন্যান্য ভাইবোনদের জন্য খুব কাঁদতো; তাদের দেখতে না পেয়ে ওরা মরে যাচ্ছিল। ওরা আজও ওদের হারিয়ে যাওয়া মা-বাবা-ভাইবোনদের খুঁজছে— তারা কোথায়, কোন রাজ্যে কাদের সাথে মিশে গেছে, ওরা জানে না। মা-বাবা-ভাইবোনদের জন্য কষ্টে ওদের বুক জমে যায়। কথা বলতে বলতে ওদের কাঁধে নিয়ে আমি অনেক পথ ঘুরে বেড়ালাম। ঘুরে বেড়ানো শেষে ওরা বললো, ‘আর কী? এবার বিদয়া দাও।’
‘ঠিক আছে, যাও। আবার এসো।’
ওরা ‘হে বন্ধু, বিদায়’ বলে ডানা ঝাপটে উড়ে গেলো। উড়ে যেতে যেতে ঘাড় ঘুরিয়ে পেছনে তাকিয়ে বললো, ‘প্রতি বসন্তে আমরা আসবো, তোমাকে দেখতে। তুমি ভালো থেকো।’
বলতে বলতে পাখিরা উড়ে গেলো; ধীরে ধীরে সবগুলো পাখি বিকেলের রঙিন আলোর সাথে পশ্চিমাকাশে মিলিয়ে গেলো।



পরিশিষ্ট

পাখির বাসায় চাল বা খুদ ছিটিয়ে রাখি। ঘুঘু আসে, শালিক আসে। ওরা আনন্দ করতে করতে চালখুদ কুড়িয়ে খায়। মাঝে মাঝে ওদের বাসায় মেহমান আসে। কিছুদিন বাদে হয়ত দু-একটা চড়ুই পাখিও আসবে। ওদের দেখে খুব ভালো লাগে। ওরা পাখি, কিন্তু পাখি নয়; ওরা আমাদের পরিবারের সদস্য।

১৫ মার্চ ২০১৪

কৃতজ্ঞতা

সামহোয়্যারইন ব্লগে আমার ধুলোপড়া চিঠি শীর্ষক কবিতা পোস্টে প্রিয় ব্লগার মাঈনউদ্দিন মইনুল প্রেম বিষয়ক একটা সুন্দর প্রশ্ন করেছিলেন। সেই প্রশ্নের উত্তরে আমি যা লিখেছিলাম, এ লেখার প্রথম অংশটুকু তার সম্প্রসারিত রূপ। এ কাহিনিটি আমার বুকে একটা ক্ষত সৃষ্টি করেছে। আমার আত্মীয়স্বজন, বন্ধুবান্ধব, কলিগদের সাথে এটা অনেক শেয়ার করেছি। ফেইসবুক বা ব্লগেও বিভিন্ন জায়গায় আমি এ ঘটনাটা বিধৃত করেছি। মূলত মাঈনউদ্দিন মইনুলের জন্যই আমাদের জীবনে ঘটে যাওয়া কাহিনিটি একটা লিখিত রূপ প্রকাশ করা সম্ভব হলো। প্রিয় ব্লগার মাঈনুদ্দিন মইনুলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।

সামহোয়্যারইন ব্লগে আমার পাখি ও জীবন শীর্ষক একটি পোস্টে প্রিয় কবিব্লগার স্বপ্নবাজ অভি তাঁর নানু বাড়িতে পোষা টিকু নামক এক টিয়ে পাখির উল্লেখ করেন, যেটি খাঁচা থেকে ছেড়ে দেয়ার দু মাস পরে ফিরে এসেছিল। আমি তাঁর ঐ কমেন্ট থেকে এ লেখার সিকোয়েল-২ গল্পটি লিখতে উদ্‌বুদ্ধ হয়েছি। প্রিয় ব্লগার স্বপ্নবাজ অভির প্রতি আমার কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।


*
'কালের চিহ্ন', প্রকাশকাল একুশে বইমেলা ২০১৬-এর অন্তর্ভুক্ত


মন্তব্য ৪৪ টি রেটিং +১২/-০

মন্তব্য (৪৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই জুন, ২০১৭ রাত ১০:৫৪

এডওয়ার্ড মায়া বলেছেন: অনেক দোয়া খলিল ভাই।
আল্লাহ যেন আপনাকে সুস্থ্যতা দান করেন।

১০ ই জুন, ২০১৭ রাত ১০:৫৯

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ মায়া ভাই। ভালো থাকবেন।

২| ১০ ই জুন, ২০১৭ রাত ১১:০১

ঢাকাবাসী বলেছেন: অন্তর ছুঁয়ে গেল, ভারি ভাল লাগল।

১০ ই জুন, ২০১৭ রাত ১১:০৫

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ঢাকাবাসী। শুভেচ্ছা।

৩| ১১ ই জুন, ২০১৭ ভোর ৫:২২

সোহানী বলেছেন: যেদিন আমার পোষা টিয়াটাকে পাশের বাসার দিদিমার বিড়ালটা মেরে ফেললো সেদিন থেকে আর কখনই বিড়ালমুখো হয়নি......। টিয়াটার জন্য এখনো মনটা হুহু করে।

এখানে আমার দখিনা বেলকনি, সারাদিন কবুতর খেলা করে। বন্ধের দিন সকাল হলেই মা মেয়ে খাবার দিতে বসি। আর খুব কাছেই লেক তাই গাংচিলগুলো পার্কিং লটে খেলে বেড়ায়......... যদিও খাবার দেয়া মানা তারপর ও মাঝে মাঝে লুকিয়ে মা মেয়ে খাবার দেই।

আপনার গল্পগুলো মনে করিয়ে দিল আবার।

১১ ই জুন, ২০১৭ সকাল ১১:৩৮

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ আপু। শুভেচ্ছা।

৪| ১১ ই জুন, ২০১৭ সকাল ৮:২৭

জুন বলেছেন: ছাই ভাই আমার সালাম নিবেন , মহান আল্লাহ রাব্বুল আল আমীন আপনাকে শীঘ্রই সুস্থ করে দিন এই দোয়া করি । আমি জানি না আপনি কোথায় কি অবস্থায় আছেন । তবে মন্তব্যের মাঝ থেকে বুঝতে পারি আপনি বিদেশে চিকিৎসায় আছেন ।
খুব আন্তরিক ভাষায় লেখা আপনার পাখির গল্প পড়ে আমার দেশের না পোষা মুক্ত স্বাধীন পাখিগুলোর কথা মনে পরছে । আমরা দুজনাই ঘুরে ফিরে চিন্তা করি ওরা না জানি কেমন আছে ।
ভোর সকালে আসা টিয়াগুলো দানাদার শস্য খেতে পছন্দ করে সাথে কলা পেপের মত ফলমুল । আর বুলবুলিরতো ফল ছাড়া কিছুই মুখেও রোচে না । তাই তাদের জন্য বাসা বাড়ির লোকদের তোলপাড় করে কলা কেনা হতো । বাটিতে খাবার না থাকলে ওরা বারান্দার গ্রিলে বসে ডাকাডাকি করতো । জানি না আমাদের না দেখে ওদের কি অবস্থা ।
জানেন দেশি ভাই আমাদের বাসার কাছে এক বুড়ো কলা বিক্রি করে। আমি দাড়াতেই এক ছড়া ভালো কলা বেছে হাতে দিল । বললাম আমার চাই নরম পাকা কলা । বুড়ো প্রশ্ন করলো 'কেনো গো মা আপনি নরম কলা চাইছেন কেনো '! বললাম আমার না পোষা স্বাধীন পাখিদের কথা । বুড়ো হেসে ৬টা কলা আমার হাতে দিয়ে দশ টাকা চাইলো যা সে ২৫ টাকায় বিক্রি করে। আমার বিস্মিত প্রশ্নের জবাবে উত্তর 'নাও মা,আমিও পাখি ভালোবাসি, আমিও প্রতিদিন আমার না-পোষা পাখিগুলিরে কলা খাইতে দেই । তুমি নাও পাখিরে খাওয়াইবা যখন' । আমি আভিভুত হোলাম সেই বৃদ্ধের কথা শুনে।
এখানে কিছু ঘুঘু পাশের বিশাল অশথ গাছে বাস করে করে । ওরা এখন আমার অতিথি । চুপিচুপি চাল খেতে দেই ।
শুভকামনা রইলো আপনার জন্য । আমাদের জন্যও দোয়া করবেন । আপনার দেশি আপু।

১১ ই জুন, ২০১৭ সকাল ১১:৪২

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: দেশি আপু, আপনিও আমার সালাম ও শুভেচ্ছা নিন। আপনি ঠিকই বলেছেন আপু। আপনাকে ফেইসবুকে দেখি না, তাই হয়ত আমার কোনো আপডেট আপনার জানা নেই। দোয়া চাই। আমার জন্য দোয়া করবেন আপু।

আপনার অসাধারণ পাখি-আন্তরিকতা আমি উপলব্ধি করছি। অভিজ্ঞতা শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ।

ভালো থাকবেন সব সময়।

৫| ১১ ই জুন, ২০১৭ সকাল ৮:৫৮

মনিরা সুলতানা বলেছেন: অনেকদিন পর আপনার মমতা ভরা লেখা পড়লাম ; মন ছুঁয়ে গেল !
আমার দলছুট ঘুঘু র কথা মনে পরল ।
অনেক অনেক শুভকামনা ভাইয়া ; আমাদের জন্য ও দোয়া করবেন ।

১১ ই জুন, ২০১৭ সকাল ১১:৪৩

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপু। ভালো থাকবেন। অবশ্যই দোয়া থাকলো। আর আমার জন্যও দোয়া করবেন।

৬| ১১ ই জুন, ২০১৭ সকাল ৯:০৫

জুন বলেছেন: দেশি ভাই আপনার জন্য আমার বাসার নিত্য অতিথিদের ছবি । আরো বহু রকম পাখি আসে । সেদিন অবাক করে এক কাঠঠোকরা এসে হাজির । তার ছবি তুলতে পারি নি :(

১১ ই জুন, ২০১৭ সকাল ১১:৪৪

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আপনার বাসাটি পাখ-পাখালিতে সবসময় সরগরম। পাখিরা মানুষ চিনে, তাই আপনার বাসায় নিত্যদিন অতিথি হয়ে আসে।

সুন্দর ছবির জন্য ধন্যবাদ আপু।

৭| ১১ ই জুন, ২০১৭ সকাল ৯:৩৮

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: পড়তে ভাল লাগল। পড়তে পড়তে মন খারাপ হল।
পাখি আমিও খুব পছন্দ করি।

১১ ই জুন, ২০১৭ সকাল ১১:৪৫

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ মোস্তফা সোহেল ভাই। শুভেচ্ছা।

৮| ১১ ই জুন, ২০১৭ সকাল ১১:৪৮

বিজন রয় বলেছেন: গতকালই বলে গিয়েছিলাম নতুন পোস্ট দিতে, আজই পেলাম!!
ধন্যবাদ সেজন্য।

আপনারা লেখক, তাই বিরতি দিলে চলবে কেন?

পাখি নিয়ে আমারও অনেক স্মৃতি-বিস্মৃতি আছে।

আপনার সাবলিল লেখা, কবিতা হোক আর অন্য কিছু হোক সবসময় মন ভরে দেয়।
শুভকামনা রইল।

১১ ই জুন, ২০১৭ সকাল ১১:৫৪

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: কী কাকতালীয় ঘটনা ঘটে গেলো! আমি আপনার পোস্টে গেলাম, আর আপনি আমার পোস্টে! খুব মজার।

অনেক ধন্যবাদ আপনার আন্তরিকতার জন্য। কয়েকদিন ধরেই পোস্ট দিব দিব করছিলাম। কিন্তু মন ও শরীর দুটোই সহায়ক না থাকায় দেয়া হয়ে ওঠে নি। তবে, গতকাল আপনার কমেন্টে উজ্জীবিত হয়ে নতুন পোস্ট দিয়ে দিলাম :)

ভালো থাকবেন।

৯| ১১ ই জুন, ২০১৭ দুপুর ১২:১০

আলোরিকা বলেছেন: ভাল লাগা আর মন খারাপের গল্প ------অনেকদিন ঘুঘু পাখির মিষ্টি গান শুনি না :)

১১ ই জুন, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:০২

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন:
ভাল লাগা আর মন খারাপের গল্প।

ধন্যবাদ সুন্দর কথাটির জন্য। শুভেচ্ছা।

১০| ১১ ই জুন, ২০১৭ দুপুর ১২:৫০

জাহিদ অনিক বলেছেন: কাল রাতে আমি বিরহ নিয়ে ভাবছিলাম। পরপরেই আপনার এই পোষ্ট টা পেলাম। এটা পড়তে পড়তে ঘুমিয়ে গিয়েছিলাম। মনে মনে কি যেন একটা মন্তব্য ঠিক করে রেখেছিলাম আপনার এই পাখিদের জন্য।
সকালে ঘুম থেকে উঠে সেটা আর মনে পড়ে নি, একটু আগে যখন আপনি আমার কবিতায় মন্তব্য করলেন তখন মনে পড়ল আপনার এই পোষ্টের কথা যেটা পড়তে পড়তে আমি ঘুমিয়ে গিয়েছিলাম !

যাইহোক এখন আর কোন মন্তব্য মাথায় আসছে না। আপনার সেই আগের পাখিরা আর ফিরে আসবে না, ওরা ফিরে আসে না।
তবুও আপনি নতুন করে পাখিদের জন্য বাসা বেঁধে দিয়েছেন। আশা করেই ছিলেন হয়ত যদি আসে ।

একটা দীর্ঘশ্বাস !
এই লম্বা নিঃশ্বাসে কোন উষ্ণ বাতাস ছিল না
ছিল কেবল উর্ধ্বপানে তাকিয়ে থাকার স্থিরতা ।

১১ ই জুন, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:০৪

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: বিরহ নিয়ে আপনার অনবদ্য কবিতাটি পড়েছি। আপনি বিরহ নিয়ে ভাবছেন খুব বেশি, এর কারণ কী? আপনার কমেন্টের লাস্ট ৩ লাইনে এক ধরনের অস্থিরতা টের পাওয়া যাচ্ছে। আমার ভুলও হতে পারে।

ভালো থাকুন। সুন্দর কবিতায় জ্বলে উঠুন, এই কামনা করছি।

১১| ১১ ই জুন, ২০১৭ বিকাল ৪:২৪

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন:



কবি সোনাবীজ অথবা ধুলোবালিছাই

সোনবীজ অথবা হে ধুলোবালি ছাই
অবশেষে এলেনতো উঁকি দিয়ে যেতে!
কবিতার পাঠ শেষে কিছু কথা বলে
বুঝালেন কত কথা মুগ্ধ মনে পড়ি।
কি সৌরভ সে কথার বহে প্রাণ মনে,
দৃষ্টান্তের ফুল কত ঝরে পড়ে হেথা
অঞ্জলীতে সে ফুলের শোভা চেয়ে দেখি,
অজানার কথাগুলো চন্দ্র স্নাত যেন।

আপনার আগমন হেথা বৃষ্টি রোদ
সিক্ত করে দীপ্ত করে কষ্ট করে দূর।
সে সকল হৃদয়েতে ফুর ফুরে বায়
উড়ে চলে অহর্নিশ সুখ সেতো বটে!
নায়ে চড়ে যেন বধু পিতৃ গৃহে যায়
আনন্দেতে ঢল ঢল টলটল মন।

-প্রিয় কবি আপনাকে নিয়েই প্রথম অমিত্রাক্ষরের ট্রায়াল করলাম। আপনার মন্তব্য সহ পোষ্ট করতে চাই বলে, আশা করি সেটা সিগ্র পাব। তারপর আপনার অনুমতি সাপেক্ষে পোষ্ট করব।

১১ ই জুন, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:১৭

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: এ আপনি কী করেছেন ফরিদ ভাই? আমাকে নিয়েও সনেট লিখে ফেললেন! আমার জন্য এ এক দারুণ চমক।

আমার সনেটের উপর পোস্টটাতে নিয়ম ভাঙার কথা বলেছিলাম বেশ জোরে-সোরে। আপনি সেই নিয়ম ভাঙার খেলায়ও এক দারুণ চমক দেখালেন।

এটাকে অমিত্রাক্ষর বলা যেতে পারে, তবে অমিত্রাক্ষর ছন্দের আরো প্রধান বৈশিষ্ট্য এখানে অনুপস্থিত রয়েছে, যেমন, বাক্যের প্রবহমানতা। এটা খাঁটি মাত্রাবৃত্ত হয়েছে, যাতে প্রতি পঙ্‌ক্তিতে ৮ ও ৬ মাত্রার দুটি পর্ব রয়েছে।

আপনার প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকুক। সনেট আজকাল তেমন কাউকে লিখতে দেখা যায় না। আমার জানা ও দেখা মতে নির্ঝর নৈঃশব্দ্য নিয়মিত সনেট লিখছেন, এবং এবারের বইমেলায় তাঁর সনেটগুচ্ছ বই আকারে বের হয়েছে। এ ছাড়া ফেইসবুকে কালেভদ্রে দু-একজনকে লিখতে দেখা যায়। আজকাল যেখানে অন্ত্যমিলকে ঝাঁটিয়ে তাড়িয়ে দেয়া হচ্ছে, সেখানে সনেট লিখে অন্ত্যমিলকে ফিরিয়ে আনতে অনেকেই হয়ত পছন্দ করছেন না, তা ছাড়া সনেট লিখা একটা জটিল কাজই আমার কাছে মনে হয়। কতসব নিয়ম শৃঙ্খল!! তবে আপনার সনেট লিখা পড়লে মনে হয় এ কাজ আপনার পক্ষে নিতান্ত অনায়াসলব্ধ।

ভালো থাকুন। আমি রিক্ত। কিন্তু আমার নামে সনেট লিখায় আমি সত্যিই সিক্ত এবং আনন্দিত প্রিয় ফরিদ ভাই।

অনেক ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন সব সময়।

১২| ১১ ই জুন, ২০১৭ বিকাল ৫:২৪

শায়মা বলেছেন: পাখি, মাছ বা পোষা পশু যাই হোক না কেনো অনেক অনেক প্রিয় হয়ে যায়। আপনার চেয়ে আপন যেন।

ভাইয়া পাখিদের জন্য তোমার জানালায় বানানো বাসার ছবি মনে হচ্ছে ফেসবুক বা এই ব্লগেই কোথাও দেখেছিলাম আগে।

অনেক অনেক ভালো থেকো ভাইয়ামনি!

১১ ই জুন, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২১

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ফেইসবুকে সেই ছবি দিয়েছিলাম, এবং আপনি ঠিকই তা দেখেছিলেন। মনে রাখার জন্য ধন্যবাদ আপু। ভালো থাকবেন। শুভেচ্ছা।

১৩| ১১ ই জুন, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:০৭

জাহিদ অনিক বলেছেন: না আপনার ধারনা ভুল নয়। আমি সত্যিই কিছুটা মানসিকভাবে বিপর্যস্ত।

ভাল থাকার চেষ্টা করে যাচ্ছি। আপনিও ভাল থাকুন। সুস্থ্য থাকুন ।

১১ ই জুন, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২৬

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: উঠে দাঁড়ান, এবং ঘুরে দাঁড়ান। ক্রিকেট হচ্ছে জমজমাট। দেখুন। আমিও মানসিকভাবে খুব দুর্বল। কিন্তু নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশের অবিশ্বাস্য জয় ও সেমি-ফাইনালে ওঠা, আমার মনকে চাঙ্গা করেছে। আমি এখন ফুরফুরে মেজাজে যেন আসমানে উড়ছি।

যাতে আপনার আনন্দ হয়, এমন কাজ করুন। টিভি দেখুন। সিনেমা দেখুন। গলা ছেড়ে গান গাইতে থাকুন। স্পোর্টস পোশাক পরে বাইরে বেরোন, খেলে আসুন, অথবা পাক্কা ঘণ্টা দৌড়াদৌড়ি করে আসুন। মন ভালো হয়ে যাবে।

তবে, বসে বসে কোনো বই পড়তে যাবেন না যেন। একটা করুণ রসের বই আপনার মন আরো বিমর্ষ করে দিবে।

শীঘ্রই মন ভালো হয়ে যাবে।

১৪| ১১ ই জুন, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৩২

জাহিদ অনিক বলেছেন: অনেকগুলো পরামর্শ দিয়েছেন ভাইয়া ।

অনেক কিছুই করলাম। ছাত্র পড়ালাম , পত্রিকা পরেছি, কয়েকটা কবিতা আবৃত্তি করে রেকর্ড করেছি। অবশ্য সময় চলে যাচ্ছি।
গ্রোসারি বাজার করেছি। এই যে এখন ব্লগিং করছি ।

ওহ, গানও গেয়েছি গলা ছেড়ে এবং গান গাইতে গিয়ে বন্ধুদের বকা খেয়েছি । হ হা হা ।

অনেক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা, পাশে দাড়িয়েছেন মন খারাপের সময়ে, ক'জন দাঁড়ায় !

১২ ই জুন, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫৪

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: অনেক ভালো লাগলো আপনার কথা শুনে। ভালো থাকুন সব সময়, আনন্দে থাকুন। শুভ কামনা।

১৫| ১১ ই জুন, ২০১৭ রাত ৯:৪৬

আহমেদ জী এস বলেছেন: সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই ,




হায় নিষ্ঠুর পাখি !
আপনার এই লেখায় কিছু দুঃখবোধ পাখির ডানা ঝাপটানোর মতোই ঝাপটা মেরে গেলো । পড়ে পড়তে একটা হারানোর দুঃখবোধ নীচের গানটির মতো আমার মনেও ঝাপটা মেরে গেলো ---------

ভালোবাসার এই কিরে খাজনা
দিয়ে ফাঁকি ওরে পাখি
যতোই ডাকি আর ফেরেনা ।।

মায়ার ও খড়কুটা দিয়া
যে বাসা বাধিলি
আকাশের ডাক শুনে কি
তারে ভুলে গেলি !
সেই শুণ্য ঘরে বাজেরে শোন
বিসর্জনের বাজনা...........
ভালোবাসার এই কিরে খাজনা ।।

তবে কেন আপন আপন
করে মিছে মরি
ছায়ারে বাঁধিতে চাই
দুবাহু আড় করি !
ফাঁকি দিয়ে পালায় ছায়া
রেখে যায় কান্না...............
ভালোবাসার এই কিরে খাজনা ।।


অঃটঃ উপরে সহব্লগার "জুন" এর মন্তব্যে মনে হলো আপনি অসুস্থ্য । প্রার্থনা , ভাগ্যবিধাতা আপনার ভাগ্যে সুস্থ্যতা নিশ্চিত করে তুলুন ।
আর আপনার 'কালের চিহ্ন' বইটি আমার সংগ্রহে আছে ।

১২ ই জুন, ২০১৭ রাত ৮:২০

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: মান্না দে আর আশা ভোস্‌লে'র কণ্ঠে গানটা শুনলাম। সুন্দর গান। মনে হলো ছবিটাও দেখেছি এই কিছুদিন আগে। এখানে ছবি দেখার একটা ভালো সুযোগ আছে। টিভি দেখতে দেখতে ক্লান্ত হয়ে গেছি। দুঃখিত যে বাংলাদেশের কোনো চ্যানেল দেখতে পাচ্ছি না।

'কালের চিহ্ন' বইটি আপনার সংগ্রহে আছে জানতে পেরে খুব আনন্দ হচ্ছে। আপনি গুণী ব্লগার। আমি ও আমার বইটি ধন্য।

সুন্দর মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ প্রিয় আহমেদ জী এস ভাই।

আমার জন্য দোয়া করবেন। ভালো থাকবেন সব সময়।

১৬| ১১ ই জুন, ২০১৭ রাত ১০:২১

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: কবি আপনাকে নিয়ে লেখা সনেট পোষ্ট করেছি, একপাক দেখে আসলে খুশী হব।

১২ ই জুন, ২০১৭ রাত ১০:১৭

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: প্রিয় ফরিদ ভাই, আমি পোস্টটা দেখেছি। কিন্তু কমেন্ট করা হয় নি। আমাকে খুব ঋণী করে ফেললেন। কৃতজ্ঞতার ভাষা নেই।

ফেইসবুকে অ্যাক্টিভ থাকলে Khalil Mahmud (প্রোপিকে মুখের ছবি, চোখে চশমা। আরেকটিতে আমার ছোটো ছেলের ছবি। দুটোই অ্যাড করতে পারেন) লিখে রিকোয়েস্ট পাঠালে খুব খুশি হবো। আমার নাম খলিল মাহ্‌মুদ (নাম জানতে চেয়েছিলেন)।

আমি অবশ্য আপনার নাম খুঁজে পেয়েছি এবং অ্যাড রিকোয়েস্ট পাঠিয়েও দিয়েছি :)

১৭| ১২ ই জুন, ২০১৭ দুপুর ১:২৩

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: প্রিয় কবি আপনাকে নিয়ে লেখা পোষ্টে আপনার একটা মন্তব্য না হলে কেমন যেন দেখায়।

১৩ ই জুন, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪৩

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: প্রিয় ফরিদ ভাই, আশা করি আমার পরবর্তী কমেন্টগুলো এতক্ষণে দেখেছেন। ভালো থাকুন। :)

১৮| ১২ ই জুন, ২০১৭ রাত ৮:০২

শায়মা বলেছেন: আমি ঠিকই মনে রেখেছি যেমন মনে রেখেছি তোমার সেই বিছানার উপরে ছোট লেখার টেবল আর চানাচুর মুড়ি মুড়কীর কৌটাগুলো! :)

১৩ ই জুন, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪৫

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ব্রিলিয়ান্টদের স্মৃতি এমন তীক্ষ্ণই তো হবে।

১৯| ১২ ই জুন, ২০১৭ রাত ৮:৪৫

তারছেড়া লিমন বলেছেন: অনেকদিন পর পেলাম ভাই............... কেমন আছেন?

১৩ ই জুন, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪৭

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ভালো আছি ভাই। দোয়া করবেন। শুভেচ্ছা রইল।

২০| ১৩ ই জুন, ২০১৭ রাত ১২:০৩

জেন রসি বলেছেন: পাখি পোষার ইচ্ছে হয়নি কখনো।

১৩ ই জুন, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪৮

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: সেটাই ভালো। পাখি পুষলে খুব কষ্ট পাওয়া যায় কোনো একদিন।

২১| ০৭ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ৯:০৭

মিরোরডডল বলেছেন:


এই লেখাটা আমি আগে পড়েছি কিন্তু অন্যসময় পোষ্ট করা সেটা ।

০৭ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ৯:২০

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: এটা আরো দুই জায়গায় আছে। এটার দ্বিতীয় অংশ খুঁজে পেলাম না

২২| ০৭ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ৯:২৪

মিরোরডডল বলেছেন:


এ দুটো ছাড়া লাস্ট ইয়ার অথবা ইয়ার বিফোর আরেকটা আছে যেখানে আমি আমার কাকাতুয়া দিয়েছিলাম ।
ইটস ওকে খুঁজতে হবে না , আমি অন্য একটা কিছু এক্সপ্লোর করছি ।

০৭ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ৯:২৭

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আরেকটা পার্ট আছে, যেটা খুঁজে পাই নি, সেখানে থাকতে পারে

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.