নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

শব্দকবিতা : শব্দেই দৃশ্য, শব্দেই অনুভূতি [email protected]

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই

দুঃখের কবিতাই শ্রেষ্ঠ কবিতা। ভালোবাসা হলো দুঃখ, এক ঘরে কবিতা ও নারী।

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই › বিস্তারিত পোস্টঃ

রানি ভানুসিংহীর ব্লগ এবং একটি ধাঁধা

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:৫৯



রানি ভানুসিংহীর ব্লগে প্রথম পোস্ট করা কবিতার নাম ‘আমার ফুলবাগানের ফুলগুলিকে।’

আমার ফুলবাগানের ফুলগুলিকে বাঁধবো না আজ তোড়ায়—
রং-বেরঙের সুতোগুলো থাক্‌,
থাক পড়ে ওই জরির ঝালর।।

শুনে ঘরের লোকে বলে,
যদি না বাঁধো জড়িয়ে জড়িয়ে
ওদের ধরবো কী করে—
ফুলদানিতে সাজাবো কোন উপায়ে?’

আমি বলি,
‘আজকে ওরা ছুটি-পাওয়া নটী,
ওদের উচ্চহাসি অসংযত,
ওদের এলোমেলো হেলাদোলা
বকুলবনে অপরাহ্ণে,
চৈত্রমাসের পড়ন্ত রৌদ্রে।
আজ দেখো ওদের যেমন-তেমন খেলা,
শোনো ওদের যখন-তখন কলধ্বনি,
তাই নিয়ে খুশি থাকো।’

বন্ধু বললো,
‘এলাম তোমার ঘরে
ভরা পেয়ালার তৃষ্ণা নিয়ে।
তুমি খেপার মতো বললে,
আজকের মতো ভেঙে ফেলেছি
ছন্দের সেই পুরোনো পেয়ালাখানা!
আতিথ্যের ত্রুটি ঘটাও কেন?’
আমি বলি, ‘চলো-না ঝরনাতলায়,
ধারা সেখানে ছুটছে আপন খেয়ালে—
কোথাও মোটা, কোথাও সরু।
কোথাও পড়ছে শিখর থেকে শিখরে,
কোথাও লুকোলো গুহার মধ্যে।
তার মাঝে মাঝে মোটা পাথর
পথ ঠেকিয়ে দাঁড়িয়ে থাকে বর্বরের মতো,
মাঝে মাঝে গাছের শিকড়
কাঙালের মতো ছড়িয়েছে আঙুলগুলো—
কাকে ধরতে চায় ওই জলের ঝিকিমিকির মধ্যে!’
সভার লোকে বললো,
‘এ যে তোমার আবাঁধা বেণির বাণী—
বন্দিনী সে গেলো কোথায়?’
আমি বলি, ‘তাকে তুমি পারবে না আজ চিনতে;
তার সাতনলী হারে আজ ঝলক নেই,
চমক দিচ্ছে না চুনি-বসানো কঙ্কণে।’
ওরা বললো, ‘তবে মিছে কেন?
কী পাব ওর কাছ থেকে?’
আমি বলি, ‘যা পাওয়া যায় গাছের ফুলে
ডালে-পালায় সব মিলিয়ে।
পাতার ভিতর থেকে তার রং দেখা যায় এখানে সেখানে,
গন্ধ পাওয়া যায় হাওয়ার ঝাপটায়।
চার দিকের খোলা বাতাসে দেয় একটুখানি নেশা লাগিয়ে।
মুঠোয় করে ধরবার জন্যে সে নয়,
তার অসাজানো আটপহুরে পরিচয়কে
অনাসক্ত হয়ে মানবার জন্যে
তার আপন স্থানে।’

এ কালে রমণীগণের মধ্যে সাহিত্যচর্চাকারিণীর সংখ্যা একান্তই অপ্রতুল। এটা সকলেই জানেন যে সাহিত্য ও কলা শিক্ষিতা নারীকে যতটা না আকর্ষণীয় করে তোলে, তার চেয়ে বেশি করে লোভনীয়, এবং তারও চেয়ে বড়ো তাৎপর্য এই যে এ গুণগুলো তাকে করে তোলে অনন্যসাধারণা; এটা রানি ভানুসিংহী ভালো করেই জানেন। আরো জানেন, এজন্যই তাঁর বাগানের ফুলগুলিকে নিয়ে লেখা কবিতায় বর্তমানের কবিকুল বিশেষ দৃষ্টি দেবেন।
কবিতাটি ব্লগে প্রকাশিত হবার সঙ্গে সঙ্গে সচরাচর প্রমীলা ব্লগারদের ক্ষেত্রে যা হয়, ঠিক তাই ঘটলো। তামাম ব্লগার, কবিতা বোঝুন আর না-ই বোঝুন, ঝাঁকে ঝাঁকে এসে মুহূর্তে শ-খানেক কমেন্টে প্রশংসার বন্যা বইয়ে দিল। এ দেখে দেমাকি এবং আঁতেল গোত্রীয় ব্লগারগণ বরাবরই ঈর্ষায় জ্বলেপুড়ে মরেন, কারণ তাদের ‘ক্লাসিক কবিতাপোস্টে’ কোনো কমেন্ট নেই— মরুভভুমির মতো তা খাঁ-খাঁ করে।

প্রমথ চৌধুরী কবিতাটা বার কয়েক মনোযোগ দিয়ে পড়েও কিছু উদ্ধার করতে না পেরে লিখলেন: বাঃ! জটিল হো গিয়া!

পূর্ণেন্দু পত্রী কবিতাটা পড়ে হাসলেন। তারপর লিখলেন: কবিতা খুব সহজলভ্য বস্তু নয় মহাশয়া। আমরা তো আপনাদের জন্য কবিতা লিখছি, তা থেকে কিছু কিছু পড়তে হবে তো, নইলে কবিতা আসবে কেন?

বুদ্ধদেব বসু ঘুম থেকে উঠেই পিসি অন করে ব্লগে ঢুকলেন চোখ ডলতে ডলতে। তিনি খুব বিরক্ত হলেন। লিখলেন: কী লিখেছেন? মাথামুণ্ডু কিছু হয়েছে বলে মনে হয় আপনার? আমাদেরকে নিষ্কৃতি দিন, দয়া করে ব্লগে এসব ছাইপাশ পোস্ট করবেন না। আমি কবিতার বিপ্লব ঘটাতে যাচ্ছি। রবীন্দ্রনাথকে ঢেকে ফেলবো।

সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় বেজার হলেন না। লিখলেন: বাক্যগুলো আরো প্রাঞ্জল করে লিখুন। আপনার দ্বারা হলেও হতে পারে।

শক্তি চট্টোপাধ্যায় : রমণীরা যুগে যুগে সাহিত্য রচনা করেছেন। কিন্তু তাঁদের লেখায় কোনো সাহিত্যমূল্য নেই। তথাপি তাঁরা এত নাম কুড়ালেন, তাঁর কারণ কিছু লুলকবি তাঁদেরকে ‘বাহবা’ দিতে দিতে গাছের আগায় উঠিয়ে দিয়েছেন। কবিতা লিখা আপনার দ্বারা অসম্ভব। তবে পরামর্শ দিই আপনাকে, রবীন্দ্রনাথ আর কাজী নজরুলের লেখাগুলো বেশি করে পড়ুন।

এমন সময় জীবনানন্দের প্রবেশ: কবিতা না বুঝলেই তাকে আবর্জনা বলার পক্ষপাতী আমি নই। রবীন্দ্রনাথের জীবদ্দশায় তাঁকেও লোকেরা অনেক খোঁচা দিত। আপনারা তো আমার কবিতাকে কবিতাই বলতে চান না। তবে, রানি ভানুসিংহীর এই কবিতাটা আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে। অভিনন্দন মহাশয়া।

হুমায়ুন আজাদ: ব্লগে ‘কবিতা লিখবার সহজ উপায়’ শীর্ষক সিরিজ লিখতে যাচ্ছি শীঘ্রই। আপনাদের কথা মাথায় রেখেই এ কাজটা করতে যাচ্ছি যাতে আপনারা উপকৃত হতে পারেন। আর আপনার এ কবিতাটি সম্পর্কে কিছু বলছি না এ মুহূর্তে— তবে এক কথায় বলতে গেলে এটাই বলবো, আপনার হাত বড্ড কাঁচা।

তখন রবীন্দ্রনাথের আত্মা ব্লগে ঘুরে বেড়াচ্ছিল। হঠাৎ তাঁর চোখ পড়ে ‘আমার বাগানের ফুলগুলিকে’ নামক একটা কবিতার উপর। তিনি দেখেন ‘রানি ভানুসিংহী’ নামক জনৈকা ব্লগার এ কবিতাটাকে তাঁর নিজের ব্লগে স্বনামে পোস্ট করেছেন। তিনি হাসবেন, নাকি কাঁদবেন, এ কথা ভাবতে ভাবতে যখন হাটে হাঁড়ি ভাঙার উদ্দেশ্যে লগিন করে একটা কমেন্ট লিখে ‘সাবমিট’ করলেন, অমনি ব্লগে ‘চিরাচরিত’ ‘বাগ-বিষয়ক’ ম্যালফাংশান শুরু হয়ে গেলো। তিনি যতবার কমেন্ট সাবমিট করলেন, কেবলই ‘৫০২’সমেত ‘সার্ভার বিজি’ লিখা উঠে আসতে লাগলো। অবশেষে ত্যক্ত-বিরক্ত হয়ে নিজের সুবিশাল সাহিত্যভাণ্ডার থেকে ‘একটামাত্র কবিতা খোয়া গেলে কোনো বিরাট ক্ষতি হয় না’ মর্মে নিজেকে সান্ত্বনা দিয়ে রবীন্দ্রনাথ ব্লগ ছেড়ে চিরতরে হারিয়ে গেলেন।

২৯ আগস্ট ২০১৩





ধাঁধা

আন্দাজ করুন তো, কে এই রানি ভানুসিংহী! এই গল্পে আর কোনো রহস্য আছে কি? এ পর্যন্ত কেউ সেই রহস্যের ধারেকাছেও যান নি, বলা যেতে পারে, যেতে পারেন নি :(

মন্তব্য ৩৮ টি রেটিং +৯/-০

মন্তব্য (৩৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:২১

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:



‘এ যে তোমার আবাঁধা বেণির বাণী—
বন্দিনী সে গেলো কোথায়?’
আমি বলি, ‘তাকে তুমি পারবে না আজ চিনতে;
তার সাতনলী হারে আজ ঝলক নেই
,


ধাধার উত্তর প্রমীলা দেবী....


আচ্ছা কবি সাতনরী হার চিনি কিন্তু সাতনলী হার কি? আমি হয়ত জানিনা....



কাব্য প্লাস রম্যে দারুন মজা পেলাম সাথে আপনার রসবোধের প্রচণ্ডতাও অনুভব করলাম....

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১:৫৭

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধাঁধার উত্তর দিয়ে তো আমাকেই ধাঁধায় ফেলে দিলেন :) এই প্রমীলা দেবী কোন প্রমীলা দেবী?

সাতনরী হলো সাত প্যাঁচঅলা। সাতনলী বা সাতনলা হলো সাত নলঅলা।

শেষ লাইনে খুব আপ্লুত হলাম। অনেক ধন্যবাদ ভ্রমরের ডানা। শুভেচ্ছা।

২| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:১০

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: মজা পেলাম ধাঁধা র ধারের কাছেও যেতে আগ্রহী ন ই । রং পুর ক্রস করে ছিল। ঢাকা পৌঁছতে কয়টা বাজবে জানিনা। সুন্দর পোস্ট ।+

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ দুপুর ২:০৯

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: মজা পেয়েছেন জেনে ভালো লাগলো :) বাসায় পৌঁছতে পেরেছেন? কখন?

ধন্যবাদ প্রিয় কবি সেলিম আনোয়ার ভাই।

৩| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:৫৬

সনেট কবি বলেছেন:





কবি সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাঁই এর
‘রানি ভানুসিংহীর ব্লগ এবং একটি ধাঁধা’ পোষ্টে মন্তব্য-

গোলক ধাঁধাঁর গল্পে কাব্য যোগের এ
দারুন কারুর সাথে কারসাজি মিলে
একাকার মানুষের মনভাব কত
মোহনায় প্রবাহিত হিসেব করিনি।
কবিতায় ডুবে ডুবে আবার ভেসেই
ভেবেছি গল্পের মাঝে এ গভীরতায়
ঠাঁই পেতে আর কত উচ্চতায় উঠে
নিজেকে কল্পনা রাজ্যে হারাব অজান্তে।

এখানে আলো আঁধারে লুকো চুরি খেলা
শেষে মেঘেরা হারিয়ে মেঘে খোঁজে রোদ্র
ঝলক জ্বালতে কোন দীপ শিখা আজ।
কিন্তু সকাল ও সাঁজে থেকে নানা কাজে
মাথাটা ঘুরালে আর ধাঁধার উত্তর
ছেড়েছুড়ে ভাবে মন তারচে চা খাই।


বিঃদ্রঃ আমি আসলে কি বলতে চেয়েছি?

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ দুপুর ২:১৩

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আপনি বলতে চেয়েছেন যে, মানুষের মন কতকিছু যে ভাবে তার ইয়ত্তা নেই। আলো আঁধারীর লুকোচুরি খেলায় মেঘেরা রৌদ্র খোঁজে। কিন্তু আপনি উদয়াস্ত নানান কাজে ও সনেট লেখায় ব্যস্ত থাকেন, এমন সময় সামনে ধাঁধা দেখতে পেয়ে মাথা না ঘামিয়ে বরং এক কাপ কফি পান করাই বুদ্ধিমানের কম্ম :)

৪| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ২:০৫

জাহিদ অনিক বলেছেন: এই ভানুমতীর খেলা আমি বুঝতে পারছি না। ধরতে পারছি না। অবাক লাগছে এত বছর ধরে কেউ এই ধাধা সমাধান করতে পারছে না!

স্যাটায়ার বেশ ভাল লেগেছে।

হুমায়ূন আজাদের টুকু অসাধারণ লিখেছেন।

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ দুপুর ২:১৫

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন:
অবাক লাগছে এত বছর ধরে কেউ এই ধাধা সমাধান করতে পারছে না! শতাব্দী পেরিয়ে গেলো যে!!!! মাঝে মাঝে আমি ভাবি, নিজেই ক্লু-টা দিয়ে দিই, পরে মনে হয়- থাক, এভাবেই থাক :)

ধন্যবাদ কবি জাহিদ অনিক।

৫| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:২৬

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: গাড়ীতে বসে ব্লগিং করেছি ।বেশ ভাল লাগছিল। কমেন্টে টাইপো আছে । আজ সকার সাড়ে ৯টায় ঢাকা পৌঁছেছি ।

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:৩৪

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: যাক, ঢাকায় পৌঁছেছেন এটাই স্বস্তি। টাইপো কোনো সমস্যা নয় প্রিয় কবি সেলিম আনোয়ার ভাই।

৬| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৩৬

সোহানী বলেছেন: শতাব্দী পেরিয়ে গেলে ও যখন কেউ সঠিক উত্তর দিতে পারে নাই তাই আমার মতো তেলাপোকা এ বিষয়ে নাক না গলানোই ভালো..................... প্রশ্ন, প্রশ্ন হয়েই থাকা.... ধাঁধাঁর উত্তর অজানাই থাক..................

দারুন লাগলো সকল কবিকূলের চিন্তাধারা................

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:১৭

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: হাহাহা। গল্পের চেয়ে তো দেখি ধাঁধা বা রহস্যটাই এখন অধিক ক্লাসিক হয়ে উঠছে :)

ধন্যবাদ আপু পড়ার জন্য। শুভেচ্ছা।

৭| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:১১

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: আপনার ধাঁধার উত্তর দিতে পারছি না। দুঃখিত। আর যে রহস্যের কথা বলেছেন, তা' ভেদ করা এই নাদানের পক্ষে অসম্ভব।

যাই হোক, হিউমারসমৃদ্ধ কল্পকাহিনীটি ভালো লাগলো। ধন্যবাদ।

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:২১

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধাঁধার উত্তরের আর দরকার নাই আশরাফুল ভাই :) আমি নিজেই এখন ধাঁধায় পড়ে গেছি :(

কাহিনিটি আপনার ভালো লেগেছে জেনে আমারও খুব ভালো লাগছে।

ধন্যবাদ প্রিয় আশরাফুল ভাই। শুভেচ্ছা।

৮| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:২৬

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ভানু সিংহ তো গুরুদেবেরই ছদ্ম নাম সবাই জানে।
ডানা ভাইয়ের প্রমীলা দেবীতেও আবার প্রশ্ন কোন প্রমীলা দেবী!!!!!!!!! সারছে আমি নাই.......;)

নিজের সুবিশাল সাহিত্যভাণ্ডার থেকে ‘একটামাত্র কবিতা খোয়া গেলে কোনো বিরাট ক্ষতি হয় না’ মর্মে নিজেকে সান্ত্বনা দিয়ে রবীন্দ্রনাথ ব্লগ ছেড়ে চিরতরে হারিয়ে গেলেন। :)

রানী ভানু সিংহীর ক্লুটা তবে আপনিই ক্লিয়ার করে জাতিকে জ্ঞানদান করুন। :)

রম্যে দারুন ভাললাগা।

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:০৬

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আমার এ নিকের আদি নাম ছিল ফারিহান মাহ্‌মুদ (আমার ছোটো ছেলের নামানুসারে)। অনেক ব্লগারই আমাকে 'আপু' ভাবতেন :) এরপর এ নামটি ধারণ করি, কিন্তু এটাকেও কেউ কেউ 'আপু' ভাবতে থাকলেন। এ শিক্ষা থেকে নিজের সামান্য পরিচিতি দিয়ে রেখেছি ব্লগে :)

একজন ব্লগার আপুর নিকনেইম সালমাহ্যাপী, আরেকজন ব্লগার ভাই (কবি ইমন তোফাজ্জল)-এর নিকনেইম সোমহেপি। তো, সোমহেপি ভাইকেও অনেকে 'আপু'ই ডাকতেন :) ভ্রমরের ডানাকে আমি কেন যেন 'আপু' ভাবতাম, এবং আমার ভুল না হয়ে থাকলে তাঁকে 'আপু' সম্বোধন করতেও দেখেছি কোনো কোনো ব্লগারকে।

তো, ডানা ভাই প্রমীলা ম্যাডামের উল্লেখ করে তো আমাকে ধন্দের মধ্যে ফেলে দিলেন। ঐ ধাক্কা এখনো কাটিয়ে উঠতে পারছি নাহ :(

রম্য দারুণ লেগেছে জেনে খুব ভালো লাগছে প্রিয় বিদ্রোহী। শুভেচ্ছা।

৯| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:৩১

মনিরা সুলতানা বলেছেন: লেখা পড়লাম মন্তব্য ও দেখলাম কিন্তু কোন কূলকিনারা পেলাম না ;

সবার মন্তব্যে বেশ মজা পেয়েছি !

শুভ কামনা ভাইয়া !

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:০৯

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: সবার মন্তব্যে মজা পাওয়ায় আমি খুব আনন্দিত আপু। ভালো থাকবেন। শুভেচ্ছা।

১০| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:২৬

কথাকথিকেথিকথন বলেছেন:



হা হা । লেজেন্ডারী ব্লগীয় রম্য ! রবি ঠাকুর বেচারা !! এই সুবাদে তিনি মন্তব্যগুলো থেকে কিন্তু বের করতে পারেন তাঁর লেখা কতটা কাঁচা ছিলো !! এজন্য ভানুসিংহীকে তিনি স্পেশাল একটা ধন্যবাদ দিতেই পারেন । হা হা ।

খুব ভাল লেগেছে ।

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:৫১

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: খুব ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগলো। আরো ভালো লাগছে আপনাকে নিয়মিত হতে দেখে।

আপনাকে একটা কথা বলতে চাইছিলাম। আচ্ছা থাক, পরে একসময় বলা যাবে নে :)

ধন্যবাদ পোস্ট পড়ার জন্য।

১১| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:২৩

ইমন তোফাজ্জল বলেছেন: কেউ কি এটা নিজের নামে চালিয়েছে নাকি ?

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:৫৭

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: সোমহেপি আপু'র ব্যাপারে কিছু আগে (উপরে) আলাপ হচ্ছিল :) বাঁচবেন অনেক দিন।

১২| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৩৭

সনেট কবি বলেছেন:

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাঁই এর ‘রানি ভানুসিংহীর ব্লগ
এবং একটি ধাঁধা’ গল্পের সার সংক্ষেপ-

ফুলের শোভায় মিশে ছুটে চলে ফুলে
মনের আনা গোনার করুণ মিনতি,
জড়াও আমায় প্রিয় তোমাদের মাঝে
জমানো শিশিরে আমি হাসব অরুণে।
মনের সে আশ্রয়ের আশ্রম বানালে
ফুলদানিতে তাহলে মনেরা কোথায়
হারাবে নিজের চির চেনা অস্তিত্বের
রম্যরূপ আবেগ আর উচ্ছাস অনিন্দ?

প্রকৃতির সুন্দর্যের বিনাশ সাধনে
গৃহের শোভার হীন স্বার্থপরতায়
ভানুসিংহীর দৈন্যতা পরস্ব হরন।
যে পুস্প বৃক্ষ পত্রের শোভায়
দারুণ, চুরুনী তাকে শ্রীহীন করেছে
মালির আক্ষেপ সেথা আহত অক্ষম।

১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সকাল ৭:৫১

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: বাহ, সনেটের মধ্য দিয়ে গল্পের সার সংক্ষেপ দারুণ ভাবে তুলে ধরেছেন। অভিনন্দন ফরিদ ভাই।

১৩| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:২৯

মাহবুবুল আজাদ বলেছেন: কিছুই তো উদ্ধার হলনা, আফসোস, যাক ভাল লাগা জানিয়ে গেলাম।।

১৩ ই অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ১১:১২

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ভালো লাগা জানানোর জন্য ধন্যবাদ মাহবুবুল ভাই।

১৪| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫২

সোহানী বলেছেন: আমার কমেন্ট কিন্তু উপরে অঅছে... তার পরও আবার পড়লাম ও নতুন কমেন্ট!!

মহিলা কবিকূল ব্যাপক ব্যাপক মাইন্ড করেছেন কারন শুধুমাত্র লুল কবিরা তাহাদের লিখা পড়ার চেস্টা করে........... ;) আর রবীবাবুর হাটে হাড়ি ভাংতে হবে না কারন সবাই কিন্তু জানে হু ইজ ভানুসিংহী!!! ভানুসিংহ এর পদাবলীর কথা সবাই জানে বৈকি!! :P

১৭ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ৮:১২

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: হাহাহাহাহা।

যাক, আপনি যে জিনিয়াস, প্রমাণ দিলেন বরাবরের মতো এবারও।

১৫| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ৮:১৬

সোহানী বলেছেন: হাহাহাহাহাহাহা.............. জিনিয়াস হলেতো দেশেই থাকতাম। সব কূল মেইনটেইন করে। জিনিয়াস না বলেই মেজাজ খারাপ করে দেশ ছেড়ে চলে গেছি।

১৭ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ৮:২৩

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: প্রথমত জিনিয়াসরাই বিদেশে যাই। এভাবেই দেশের মেধা পাচার হইয়া যায় :(

১৬| ২৮ শে এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৫:৩৭

রাজীব নুর বলেছেন: একজন মেয়ে রাস্তায় পা মচকে ব্যাথায় কাতরাচ্ছিলাম,তখন কেউ তাকে সাহায্য করলনা বরং পাশের একজন বলে এত্ত ভারি শরীর হইলে ত পরবই।।।

২৮ শে এপ্রিল, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৩০

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: বেদনাদায়ক।

১৭| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১২:২২

সোহানী বলেছেন: ওওও……… আমার অনেকগুলা কমেন্টসইতো আছে ;)

২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৫:২২

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আপনি সেই জিনিয়াসদের একজন :)

১৮| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১:৪৬

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:



আমার ফুল বাগানের ফুল গুলিকে
কোথাও খুঁজে পেলাম নাক
সেগুলি হারিয়েই বুজি গেছে
তবে মনে হয় সেগুলি কবির
বাড়ীতেই এখন আছে।
বৃথাই খুঁজলাম তাকে ।

শুভেচ্ছা রইল

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৪:০২

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: হাহাহাহাহা। আলী ভাই, আপনার সূক্ষ্ম ও প্রখর রসবোধের স্বাক্ষর কবিতাকারে লেখা এ ক'টি লাইন। এ সামান্য জিনিস খুঁজতে আপনি এখানে এসেছেন দেখে যারপরনাই লজ্জিতও হলাম। তারপরও, এসেছেন, ধন্যবাদ সেজন্য এবং কৃতজ্ঞতা।

১৯| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ ভোর ৬:৪৬

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




ভাই গোল্ডসীড,
ইউনিফর্ম না থাকলেও পেনশন বইটাতো আছে। ক্রাইম ধরতে বেশী সময় লাগে না। তিনি এখনো দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন। এর বেশী কিছু বলতে চাচ্ছি না। তারপরও জানতে চাচ্ছি তার নিক কয়টি জানেন কি?


২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৪:১৮

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: গোল্ডফিশ!! কয়েকবার চোখ পিটপিট করে চশমার ফাঁক দিয়ে আবার তাকালাম - গোল্ডফিশ না, ইহা গোল্ডসীড!!! ফার্স্ট টাইম এটাও ধরতে পারি নি হোয়াট ইজ গোল্ডসীড। নিজের ইংলিশ নাম দেখে গর্বের সাথে একচোট হেসে নিয়েছি কিন্তু :)

শুভেচ্ছা রইল ঠাকুর মাহমুদ ভাই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.