নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

শব্দকবিতা : শব্দেই দৃশ্য, শব্দেই অনুভূতি [email protected]

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই

দুঃখের কবিতাই শ্রেষ্ঠ কবিতা। ভালোবাসা হলো দুঃখ, এক ঘরে কবিতা ও নারী।

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই › বিস্তারিত পোস্টঃ

আপনি পাগলা ঘোড়া, নাকি আপেল? পুরোনো কৈতুক :) :)

২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৫:৪১

এক রাজা একদিন দেখতে চাইলেন, তার রাজ্যবাসীদের ঘরে কার হুকুম চলে, স্বামীর, নাকি স্ত্রীর।
তিনি রাজ্যে ঘোষণা করলেন...
যে-সব স্বামীর ঘরে বউয়ের কথা মানা হয়, সে-সব ঘরের স্বামীরা রাজপ্রাসাদে এসে একটা করে আপেল নিয়ে যাবে।
আর যাদের ঘরে স্বামীর কথা চলে, তারা পাবে একটা করে ঘোড়া।
পরের দিন সমস্ত রাজ্যবাসী হাজির, সবাই একটা করে আপেল নিয়ে ঘরে চলে যেতে লাগলো...
রাজা ভাবলেন, সন্ধ্যে হয়ে গেল, এখনো কি এমন একজনকেও পাওয়া যাবে না যার ঘরে স্বামীর কথা চলে!
এমন সময় একজন এলো - লম্বা চওড়া স্বাস্থ্য, ইয়াবড়ো গোঁফ। সে এসে বললো, ‘আমার ঘরে আমারই কথা চলে।'
রাজা বেজায় খুশি হলেন। তিনি বললেন, ‘যাও, আমার ঘোড়াশাল থেকে সব থেকে ভালো ঐ কালো ঘোড়াটা তোমায় দিলাম।’
মর্দটা খুশিতে ঘোড়ায় চড়ে নাচতে নাচতে হাঁটিয়া চলিয়া গেল।
রাজা খুশি মনে বললেন, ‘যাক, অন্ততপক্ষে একজন পাওয়া গেল।’
কিন্তু কিছুক্ষণ পর দেখা গেল সেই লোকটা ঘোড়া নিয়ে ফিরে এলো এবং বললো, ‘রাজা মশাই, আমাকে ঘোড়াটা পাল্টে দিন, আমার বউ বললো যে কালো রং অশুভ, সাদা শান্তির প্রতীক, তাই সাদা ঘোড়া দিন।’
রাজা রেগে গেলেন... ‘হালার পুত বলদের বাচ্চা আবাল, তুই ঘোড়া রাইখ্যা একটা আপেল নিয়া এক্ষুণি আমার চোখের সামনে থেকে বিদায় হ।’
রাতের বেলা মন্ত্রী এলো, বললো, ‘রাজা মশাই, সবাই তো আপেলই নিল! আপেলের বদলে আপনি যদি অন্তত পাঁচ কেজি করে চাল দিতেন, তাহলে আপনার প্রজাদের কিছু সাশ্রয় হতো।’
রাজা বললেন, ‘আমিও সেটাই ভেবেছিলাম, কিন্তু বড়ো রানি বললো, আপেলই ভালো হবে।’
মন্ত্রী শুধালো, ‘রাজা মশাই, আপনাকেও কি একটা আপেল কেটে দেবো?’
রাজা লজ্জিত হয়ে বললেন, ‘সে কথা থাক, আগে বলো, তুমি রাজসভায় এই মতামত না দিয়ে এখন কেন দিতে এসেছো এই রাতের বেলায়?’
মন্ত্রীর লাজুক উত্তর, ‘আগামীকাল সকালেই বলতাম, কিন্তু আমার বউ বললো, এখনই যাও, আর রাজামশাইকে বুদ্ধিটা এখনই দিয়ে এসো যাতে করে পরের বারে চাল দেওয়ার ঘোষণা দেন উনি।’
রাজা স্বস্তির হাসি হেসে বললেন, ‘আপেলটা তুমি নিয়ে যাবে? নাকি ঘরে পাঠিয়ে দেবো?’

একবার আমাদের সামহোয়্যারইন ব্লগেও এমন একটা আশ্চর্য মিলনমেলার আয়োজন করা হয়েছিল। বসার জায়গায় দুইটা গ্যালারি করা হয়েছিল। একটা ছিল – স্ত্রৈণ / প্রেমিকাতৈণ – যারা স্ত্রী বা প্রেমিকার আজ্ঞাবহ, তারা এই গ্যালারিতে বসিবেক। আরেকটা ছিল – বীরবাহু – যারা কক্ষণো স্ত্রী বা প্রেমিকার কথায় উঠবস করে না।

যথাদিনে যথাসময়ে সবাই মিলনমেলায় আসলো। ‘স্ত্রৈণ/প্রেমিকাতৈণ’ গ্যালারিতে বসিবার তিল ঠাঁই রহিল না। অনেকেই স্ত্রী, কেউ বা গার্লফ্রেন্ড বা প্রেমিকা নিয়া পাশাপাশি ঠাসাঠাসি করিয়া বসিল। কিন্তু আশ্চর্য, ‘বীরবাহু’ গ্যালারি একেবারে শূন্য, একটা মশা বা মাছিও সেইখানে নাই। কী লজ্জার কথা, তাই না, এই বঙ্গে একজনও বীরপুরুষ নাই, যার কিনা স্ত্রীর হুকুম অগ্রাহ্য করার মতো বুকের পাটা আছে?

হ্যাঁ, এমন সময় দেখা গেল, আমাদের বিশ্ববিখ্যাত কবিব্লগার সোনামিয়া ‘বীরবাহু’ গ্যালারিতে গিয়া আলগোছে বসিয়া পড়িলেন। উহা দেখিয়া সবারই চক্ষু গেল চড়কগাছ হইয়া। প্রথমে কানাঘুষা শুরু হইল, পরে চিল্লাচিল্লিতে গ্যালারি ফাডিয়া যাইবার উপক্রম হইল। এই অবস্থায় সকলের পক্ষ হইতে বিশ্বকবি শায়মারন্দ্র ঠাকুর সোনামিয়ার সামনে উপস্থিত হইয়া জিজ্ঞাসা করিলেন, ভাইয়ুমণি, তুমি যে ভাবীমণির কথা মতো চলো না, তাহা আমরা হগলেই জানি। কিন্তু, আমাদেরকে একটু বলবে, তোমার এই দুরন্ত দুঃসাহস কীভাবে হইল?

সোনামিয়া একটু ভ্যাবাচ্যাকা খাইল। তারপর ধীরে ধীরে নিজেকে সামলে নিয়ে বললো, আপোনি কী বলিতেছেন, তা আমার বোধগম্য হয় নাই। বুঝাইয়া বলুন।

শায়মারন্দ্র বলেন, তুমি যে হগলের সাথে ঐ গ্যালারি বসলা না, তার কারণ কী?

সোনামিয়া এইবার বুঝিল। বলিল, দেখুন, আসার সময় সুজানা আমাকে পই পই করিয়া বলিয়া দিয়াছে, আমি যেন কোনো ভিড়ের মধ্যে না যাই। ঐখানে যাইয়া কি আমি মরুম? তাই স্ত্রীর কথামতো এই ফাঁকা মাঠেই বসিয়াছি।




==

আমাদের সাচ্চু ভাইয়া আজ তার চাকরি জীবনের প্রথম স্যালারি পেয়েছে। আরো আনন্দের বিষয় হলো, আগামীকল্য ভাবীর জন্মদিন। আনন্দের উপর আনন্দ, আগামীকাল তাদের ম্যারিজ অ্যানিভার্সারিও। সে গালে হাত দিয়া ভাবতে লাগলো, এত আনন্দ কীভাবে উদ্‌যাপন করবে। প্রথমত, রাত ১০টার মধ্যেই ঘুমিয়ে পড়বে এবং রাত ১১:৫৯ মিনিটে ঘুম থেকে লাফিয়ে উঠে ভাবীকে উইশ করবে। সে বাসায় ফেরার পথে ভাবীর জন্য একটা আচ্ছা রঙের শাড়ি নিয়া যাবে।

অফিস শেষে সে ভরা বৃষ্টি মাথায় নিয়া 'আহা আজি এ বসন্তে' গাইতে গাইতে শপিং মলে ঢুকলো। শাড়ির দোকানে যাওয়ার আগে কিছু অর্নামেন্টও কিনলো। লাল রঙের দুল আর ম্যাচিং করা সিটিগোল্ড ভাবীর খুব প্রিয়। কিনলো খুব বেশি করে।

শাড়ির দোকানে যেতেই দোকানওয়ালা একগাঁদা শাড়ি বিছাইয়া দিল। প্রতিটা শাড়ি নিজের শরীরে জড়াইয়া গদগদ হয়ে বলতে লাগলো, স্যার, ভাবীর গায়ের রঙ নিশ্চয়ই দুধে-আলতা? এই শাড়িটা পরলে তাকে পরীর মতো লাগবে। ধইরা রাখবেন, যাতে উইড়া না যায়। সাচ্চু ভাই লজ্জা পায়। আসলেই ভাবী অসম্ভব সুন্দরী। ১০টা পরীমনিও তার সামনে কিছু না। কিন্তু শাড়িটার দাম ভয়াবহ। তার পুরো বেতনের সমান। যাই হোক, স্ত্রীর ভালোবাসার কাছে এই টাকা খুবই তুচ্ছ। সে বড়ো অঙ্কের টাকা দিয়াই শাড়ি কিনতে মনস্থ করলো।

'দিন। প্যাকেট কইরা দিন।' বলে সাচ্চু ভাই পকেট থেকে মানিব্যাগ বের করে টাকা দিতে বের করতে যেয়েই দেখে, মানিব্যাগে মাত্র ৫০ টাকার ১টা নোট, আর খুচরা কিছু পুটিপাটি মাছের নোট শুধু। সে অবাক হয়। কীভাবে এরকম হলো?

বেশ কিছুক্ষণ চিন্তা করার পর তার মনে পড়ে, ওহ, আজ তো সে বেতনই পায় নাই।

সে অগত্যা স্যরি বলে মুখটা কালো করে শাড়ি রেখে বেরিয়ে যায়। বাসায় ফিরতে একটু লেট হচ্ছে। বাসায় ফোন করে ভাবীকে বলার জন্য পকেট থেকে মোবাইল বের করতে যেয়েই দেখে পকেটে মোবাইল নাই। একি!! মোবাইল কই!! ওহহো, সে যে অফিসে মোবাইলটা ফেলে এসেছে!!

সে আবার রিকশা করে অফিসে রওনা দেয় মোবাইল আনার জন্য। কিন্তু সে অফিস আর খুঁজে পাচ্ছে না। পাচ্ছে না তো পাচ্ছে না। ঢাকা শহর তন্ন তন্ন করে খোঁজার পর তার মনে হলো, শালার অফিস পাবে কোথায়, সে তো চাকরিই করে না।

ক্লান্ত অবসন্ন হয়ে সে বাসায় ফিরে। মেজাজটা তার তিরিক্ষি। জুতা না খুলেই খাটের উপর শুইয়া পড়লো। ভাবী এসে তার জুতা খুলবে, শার্টটাও খুলে দিবে, তার মনের একান্ত ইচ্ছা। তারপর খেতে বসবে। খাওয়া দাওয়া সেরে একটু ঘুরতে যাবে। আজ জোসনা রাত। সারা শহর ভাবীকে নিয়ে ঘুরবে।

কিন্তু ভাবী আসছে না। অভিমান তীব্র হচ্ছে। একসময় অভিমান রাগে রূপান্তরিত হলো। সে হঠাৎ বিস্ফোরিত হলো - আরে ঐ ফলনার মা, আমি যে বাসায় আসছি তা দেখো নাই? নাকি আন্ধা হইয়া গেছো!

কিন্তু ভাবীর কোনো সাড়াশব্দ নাই। সে এবার আরো জোরে গলা ফাডাইয়া চিল্লাইতে চিল্লাইতে যখন ড্যাম টায়ার্ড হইয়া গেলো, তখন তার মনে পড়লো - আব্বে হালা, আমি তো বিয়াই করি নাইক্যা, বউ আইব্বো কই থনে?


২৯ জুন ২০২২

মন্তব্য ২১ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (২১) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:২১

নীলসাধু বলেছেন: হা হা

সোনাবীজ ভাই রকিং

বড় দিনের শুভেচ্ছা।
পোষ্টে আবার আসা হবে তখন আরো কথা হবে।
আপাতত হাসতে হাসতে আমি শ্যাষ!!



২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৪৭

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: :)


বড়ো দিনের শুভেচ্ছা আপনাকেও নীলসাধু ভাই।

ইয়ে, আবার আসলে আপনিও কিছু কৈতুক নিয়া আইসেন :) কৈতুকের পোস্ট দিলুম অনেকদিন পর :)

২| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:২৪

বিজন রয় বলেছেন: হা হা হা ........ অনেকগুলো কৈতুক!!

শান্তির প্রতীক সাদ, কিন্তু সাদা ঘোড়া হইল কেমতে!! শুনেছি শান্তির প্রতীক কইতর।

এত নোক থাকিতে সোনামিয়াকে ধরলেন!! হেই ব্যাটা আবার কবিতা লিখিল কপে!
আর শায়মারন্দ্র!!!! হা হা হা................

সন্ধ্যাটা কৈতুকে ভরিয়া উঠিল!!

২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৫২

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ঐ তো হেতির স্ত্রীর পয়েন্ট ছিল ঐ বীরপুরুষের :) যুক্তি খণ্ডাইতে পারে নাই আর কী :)

এত নোক থাকিতে সোনামিয়াকে ধরলেন!! হেই ব্যাটা আবার কবিতা লিখিল কপে!
আর শায়মারন্দ্র!!!! হা হা হা................


আপনার চোখ তো দেখি জায়গামতোই গেছে :)

সন্ধ্যাটা কৈতুকে ভরিয়া উঠিল!! কৈতুকি মারলাম অনেকদিন পর :) কৈতুক হইল আমার প্রিয় বিষয়, এর থেকে দূরে থাকতে পারি না বেশিদিন :)

৩| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:২৪

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
আফসোস

২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:০১

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন:

:)

৪| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৩২

কার্জন বাবু বলেছেন: বেশ মজার একটি পোস্ট। সবটা পড়ে খুব ভাল লাগলো। ধন্যবাদ।

২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৫৪

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ কার্জন বাবু কৈতুক পড়ার জন্য। এগুলো পুরোনো কৈতুক, তবে আমি একটু রিরাইট করেছি :)

৫| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৫০

গেঁয়ো ভূত বলেছেন: প্রথমটা পুরাতন, এইজন্য মজা একটু কম পাইছি মনে হয়।

মাগার, আব্বে হালা, আমি তো বিয়াই করি নাইক্যা, বউ আইব্বো কই থনে? একদম ফাটাফাটি!!!!!!!

এইবার আফনেরে "নো বেল" না দিলে কিন্তু খুবই অবিচার করা হবে এই আমি বলে দিলাম।

২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৫৬

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: দুইটাই পুরাতন :) তবে, প্রচলিত কৈতুকের উপর ঘষামাজা করছি আর কী :)

হ্যাঁ, একটা নো বেল যদি না দ্যান, তাইলে কেমনে বাঁচুম? :) এই অন্যায়ের তেব্র নিন্দা গেপন করিতেছি :)

৬| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ৯:৪২

কামাল১৮ বলেছেন: অনেক মজার হয়েছে।যখনই গান শুনি,গানের আগে দেয়া মিউজিকটা মনে পড়ে।সুরটা খুব সুন্দর।

২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ১০:০৪

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন:


:)


৭| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ১০:২৮

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
- প্রথমটা মজাক হইছে। :-B

২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ১০:৪১

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আপনাকে মজাক দিতে পারিয়া আমি ধন্য :)

৮| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:১৩

শেরজা তপন বলেছেন: দু নম্বরটা যে কতভাবে শুনিলাম!! আপনারটা নতুন ভার্সান :)
মুজতবা আলীর একটা চাইনিজ ও ব্রিটিশ ভার্সান আছে। চাইনিজটা সেরা!

শেষেরটা ইউনিক :) তবে এই লাইনটা মনে হয় বাদ দিলে ভাল হয় 'শাড়ির দোকানে যাওয়ার আগে কিছু অর্নামেন্টও কিনলো।
' কেননা অর্নামেন্ট কেনার সময়ইতো তাঁর মানিব্যাগের অবস্থা জানার কথা।
সব মিলিয়ে মজা পাইলাম।

২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:২৩

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ' কেননা অর্নামেন্ট কেনার সময়ইতো তাঁর মানিব্যাগের অবস্থা জানার কথা।


what an attentive and talented reader! simply impressed!


কৈতুক পড়তে আমার কখনো ক্লান্তি আসে না :) ব্লগে কৈতুক পোস্ট এলেই পড়ি :)

চাইনিজ ও ব্রিটিশ ভার্সনটা হাতের কাছে থাকলে শেয়ার দিন :)


৯| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ দুপুর ২:১১

শেরজা তপন বলেছেন: কমপ্লিমেন্টটা খুব বেশী হয়ে গেল!

ব্রিটিশটা মনে নেই তবে চাইনিজটা আবছা মনে আছে;
বিশাল এক অডিটেরিয়ামে স্ত্রীকুলের দ্বারা নির্যাতিত চৈনিক পুরুষদের রুদ্ধদার বৈঠক চলছে। পুরো অডিটেরিয়ামে তিল ধারনের জায়গা নেই- সমাজের সব শ্রেণীর সব বয়েসী বিবাহিত পুরুষেরা সেখানে জড়ো হয়েছে। আর্মির জেনারেল থেকে শুরু করে কলেজের প্রফেসার, কুলি মজুর ব্যাবসায়ী জোতদার থেকে সবাই আছে সেই মিটিং এ। সে বৈঠকের সভাপতি এলাকার সবচেয়ে বয়স্ক ও সম্মানিত রাশভারি সৌম্য চেহারার একজন ব্যাক্তি। মঞ্চে এসে একেকজন পুরুষ এসে কেউবা জ্বালাময়ী কন্ঠে কেউবা কান্নাজড়িত কন্ঠে তাদের নির্যাতিত হবার গল্প বয়ান করছে আর তিনি চুপচাপ চোখ বন্ধ করে শুনছেন আর মাঝে মাঝে মিটিমিটি হাসছেন।
আচমকা অডিটেরিয়ামের কেয়ারটেকার হন্তদন্ত হয়ে এসে খবর দিল স্যারেরা আপনাদের গিন্নীরা সবাই লাঠি ঝ্যাটা নিয়ে মিছিল করে এদিকে আসছে!!!
সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয়ে গেল তুমুল হট্টগোল! কোথায় মিটিং কোথায় কি - জানালা দরজা প্রায় ভেঙ্গে যে দিকে পারছে ছুটে পালাচ্ছে!
মুহুর্তেই পুরো অডিটেরিয়াম ফাঁকা।
কিন্তু সভাপতি মশাই তখন চোখ বন্ধ করে নিশ্চল ভঙ্গীতে ওভাবেই বসে আছেন- তাঁর কোন কিছুতেই ভ্রুক্ষেপ নেই।
কেয়ারটেকার এবার দৌড়ে তাঁর কাছে গিয়ে বলল, একি আপনি এখনো বসে আছেন কেন স্যার- আপনার মিসেস তো ওদের নেতৃত্ব দিয়ে সবার আগে আগে আসছে।
সভাপতি সাহেবের কোন বিকার নেই। তিনি ওভাবেই বসে আছেন।
কেয়ারটেকার ভাবল; তিনি মনে হয় তাঁর কথা ভাল করে শোনেননি-তাই একেবারে কাছে গিয়ে আলতো করে গায়ে হাত দিতেই বুঝল সর্বনাশ হয়ে গেছে!!
সভাপতি সাহেব ইন্তেকাল ফরমাইয়াছেন।

২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৩:৫১

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আহারে, সভাপতি সাহেবের প্রতি সহানুভূতি জানাব, নাকি তাকে রেস্ট ইন পিস বলবো, বুঝতে আরছি না। স্ত্রীদের ভয়ে তিনি ইন্তেকালই ফরমাইলেন! তা থেকেই স্ত্রীদের হাতে স্বামীদের অত্যাচারের নিড়মম ও নিষটুর চিতড় পাওয়া গেল :)

কমপ্লিমেট একেবারেই ঠিক আছে।

১০| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৪:৫৭

রাজীব নুর বলেছেন: আজকাল কোনোকিছুতেই আমার হাসি পায় না।

১১| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ৯:০৫

কামাল১৮ বলেছেন: আমার প্রিয় শিল্পীর কন্ঠে নজরুল গীতি শুনানোর জন্য ধন্যবাদ।

২৭ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১২:০৫

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আমার মিউজিক ভিডিওগুলোর ইন্ট্রো নেয়া হয়েছে ঐ গানটা থেকে। যেহেতু আপনার ভালো লাগে, তাই শেয়ার করেছিলাম পুরো গানটা। গানটা শোনার জন্য ধন্যবাদ কামাল ভাই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.