নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

শব্দকবিতা : শব্দেই দৃশ্য, শব্দেই অনুভূতি [email protected]

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই

দুঃখের কবিতাই শ্রেষ্ঠ কবিতা। ভালোবাসা হলো দুঃখ, এক ঘরে কবিতা ও নারী।

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই › বিস্তারিত পোস্টঃ

আপনার অ্যাকাডেমিক ডিগ্রি কোন বিষয়ে ছিল, আর কাজ/চাকরি করছেন কোন পেশায়? লেখালেখি করছেন কোন বিষয়ে?

০৬ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:০৬

আমাদের অ্যাকাডেমিক সাবজেক্ট ও পেশা বা কর্মক্ষেত্রের সাবজেক্টের মধ্যে কতখানি মিল আছে বলে মনে হয়? আপনি অনার্স ও মাস্টার্স করেছেন ইংলিশ বা বাংলায়, এই সাবজেক্টের উপর আমাদের কী কী কর্মক্ষেত্র আছে? হ্যাঁ, শিক্ষকতা পেশাটাকে বাদ দিয়েই বলুন। তেমনি, যাদের সাবজেক্ট ছিল কেমিস্ট্রি বা বায়োলজি, তারা কি তাদের সাবজেক্ট অনুযায়ী পেশা নির্বাচন করতে পেরেছেন?

এরকম প্রায় সবগুলো সাবজেক্টের বেলায়ই এমন প্রশ্ন করা যায়, ব্যতিক্রম হিসাবে হয়ত ডাক্তার বা ইঞ্জিনিয়াররা থাকবেন।

এখন প্রশ্ন হলো, সাবজেক্ট অনুযায়ী যদি পেশা নির্বাচনের সুযোগ না থাকে, তাহলে ঐ সাবজেক্টে আমাদের ডিগ্রি অর্জন করা কতখানি প্রয়োজন?

এ প্রসঙ্গে কি এটা বলা যায় যে, কেবল সাবজেক্ট অনুযায়ীই পেশা হবে কেন? এক সাবজেক্টে ডিগ্রি নিয়ে অন্য সাবজেক্টের পেশাও নেয়া যেতে পারে, তাতে সাবজেক্ট কোনো অন্তরায় হবে না।

এবার অন্য প্রসঙ্গে আসি। আপনি একজন ডাক্তার। কবিতা লেখেন, ব্লগিং করেন। ডাক্তারি হলো আপনার পেশা। পেশা বাদ দিয়ে আপনার কি সাহিত্য রচনা, ব্লগিং করা উচিত? আপনি নিশ্চয়ই আপনার নিজ পেশায় মনোযোগী নন, কাজে ফাঁকি দিচ্ছেন। ব্যাপারটা তাই নয় কি?

তেমনিভাবে আপনি হতে পারেন একজন ইঞ্জিনিয়ার, শিক্ষক, পুলিশ, আর্মি বা অন্য কোনো সরকারি কর্মকর্তা, কিংবা কোনো সংবাদপত্রের এডিটর, সাব-এডিটর, রিপোর্টার; কোনো ব্যাংকের কর্মকর্তা, ইত্যাদি। নিজের কর্মস্থল ও পেশায় বর্তমান থেকেই (অর্থাৎ, অবসর গ্রহণ না করেই) আপনি বিভিন্ন ক্রিয়েটিভ কার্যক্রম, যেমন, লেখালেখি, সঙ্গীতচর্চা, ব্লগিং, ভ্লগিং করছেন। এটা কি আপনাদের কাছে বৈধ মনে হয়?

যদি এটা বৈধ না মনে হয়, অর্থাৎ, পেশার সাথে এসব ক্রিয়েটিভ কাজ যদি আপনার কাছে অবৈধ মনে হয়, তাহলে বলুন বাংলাদেশে লেখালেখি বা ব্লগিং-কে পেশা হিসাবে নেয়ার কোনো উপায় আছে কিনা। বাংলাদেশে কোনো পেশাদার ব্লগার নেই, আমি নিজে একজন ব্লগার হওয়ায় তা জানি, কিন্তু বাংলাদেশে বর্তমানে কতজন পেশাদার লেখক আছেন বলে মনে হয়? আনিসুল হক? তিনি প্রথম আলোতে চাকরি করেন, ওটা তার পেশা। লেখালেখি, নাটক, সিনেমা তার বাড়তি ক্রিয়েটিভ কাজ। হুমায়ূন আহমেদ শুরুতে টিচার ছিলেন। পরে শিক্ষকতা ছেড়ে দিয়ে পুরোপুরি লেখাকেই পেশা হিসাবে নিয়ে নেন। হুমায়ুন আজাদ, শিক্ষক ছিলেন। শিক্ষকতার বাইরে তিনি লেখালেখিও করতেন, অর্থাৎ শিক্ষকতা ছিল তার পেশা, লেখালেখি ছিল বাড়তি ক্রিয়েটিভ কাজ। ইমদাদুল হক মিলন? তার সম্পর্কে আমার ধারণা খুব কম। তবে, বর্তমানে তিনি দৈনিক কালের কণ্ঠে সম্পাদক হিসাবে কর্মরত আছেন। অর্থাৎ, তার পেশা হলো সম্পাদনা, লেখালেখি হলো বাড়তি কাজ।

এই কথাগুলো বললাম এ কারণে, বাংলাদেশে হাতে গোনা মাত্র কয়েকজন লেখক ছাড়া সবাই কর্মজীবনে কোনো না কোনো পেশার সাথে যুক্ত আছেন। অর্থাৎ, দু-একজন ছাড়া আমাদের কোনো লেখকই লেখাকে পেশা হিসাবে নিতে পারেন নি; আবার প্রত্যেক লেখকই নিজ নিজ পেশার সমান্তরালে লেখালেখি বা অন্যান্য ক্রিয়েটিভ কাজ চালিয়ে গেছেন।

এবার আসি পরের প্রশ্নে। আপনার পেশা কোন বিষয়ে, আর আপনি লিখছেন কোন বিষয়ের উপর? হুমায়ূন আহমেদ ছিলেন রসায়নের শিক্ষক, আর তিনি রসায়নের উপর কোনো বই লিখেছেন বলে আমার জানা নেই, বা শিক্ষকতার উপরও কোনো বই আছে বলে আমার জানা নেই। তিনি লিখেছেন গল্প, উপন্যাস, গান, তৈরি করেছেন নাটক ও সিনেমা। হুমায়ুন আজাদ বাংলার অধ্যাপক ছিলেন। তিনি বাংলা ভাষার উপর প্রচুর গবেষণা করেছেন, বই লিখেছেন। কিন্তু অধ্যাপনার উপর তার কোনো লেখালেখি নেই। একই সাথে, পেশার বাইরে গিয়ে তিনি লিখেছেন গল্প, কবিতা, উপন্যাস।

এভাবে আমরা একেকজন কবি বা লেখককে ধরে ধরে বিশ্লেষণ করতে গেলে দেখা যাবে, নিজ পেশার সাথে সম্পৃক্ত বিষয় নিয়ে লেখালেখি করেছেন এমন লেখকের সংখ্যা খুবই অপ্রতুল।

আমি ১৯৯৫/৯৬ সালের দিকে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের উপর ইংরেজিতে লেখা বই খুঁজছিলাম। অত্যন্ত হতাশ হয়ে দেখলাম, ইংরেজিতে লেখা কোনো বই নাই। খুঁজে খুঁজে যেসব বই পেলাম, সেগুলো ইন্ডিয়ান রাইটারের বই। পরবর্তীতে অবশ্য মেজর জেনারেল কে এম সফিউল্লাহ Bangladesh At War নামে একটা বই লিখেছিলেন, ইংরেজিতে।

আমাদের পেশাজীবী ব্যক্তিগণ তাদের নিজ নিজ পেশার উপর খুব কমই লেখালেখি করেছেন বলে আমার ধারণা। তার কারণ কী?

আমাদের ব্লগের দিকে তাকাই?

জানা মতে আমাদের ব্লগে কয়েকজন শিক্ষক আছেন, আরো আছেন ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, সম্ভবত বিজ্ঞানীও আছেন। সরকারি কর্মকর্তা আছেন। উদ্যোক্তা, ব্যবসায়ী, ফ্রি-লান্সারও আছেন। অ্যাডভোকেট ও সাংবাদিক আছেন।

আমাদের ব্লগে কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধাও আছেন।

আমি নিজে মুক্তিযোদ্ধা নই (আমি তখন ৫/৭ বছরের কিশোর), কিন্তু আমার চাচা একজন মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। আমি ছোটো চোখে মুক্তিযুদ্ধের বিস্ময়কর কিছু স্মৃতি ধারণ করে আছি, আকৈশোর মুক্তিযুদ্ধের চেতনা নিয়ে বড়ো হয়েছি, এখনো ছুটছি। এ ব্লগে মুক্তিযুদ্ধ্বের উপর আমার স্বল্প কয়েকটা কবিতা, পোস্ট আছে। (আমার প্রথম উপন্যাস 'স্খলন'-এ আমার দেখা মুক্তিযুদ্ধের কিছু বর্ণনা আছে।) এই 'স্বল্প' কয়েকটা মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক পোস্টও বর্তমানে সক্রিয় যে-কোনো মুক্তিযোদ্ধা ব্লগারের চাইতে বেশি। আমার প্রশ্ন : আমাদের শ্রদ্ধেয় মুক্তিযোদ্ধা ব্লগারগণ মুক্তিযুদ্ধের উপর লেখালেখি না করে অন্য বিষয়ের উপর লিখছেন কেন?

আমাদের ব্লগে যে ক'জন শিক্ষক, ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, ব্যাংকার, ব্যবসায়ী আছেন, তারা তাদের নিজ নিজ পেশার উপর না লিখে অন্য বিষয়ে লেখালেখি করছেন কেন? যিনি প্রবাসে আছেন, তার কর্মক্ষেত্র নিয়ে সবিস্তারে, ধারাবাহিকভাবে লিখছেন না কেন? যার অ্যাকাডেমিক সাবজেক্ট ধর্ম বা তুলনামূলক ধর্ম ছিল না, তিনি কেন ধর্ম নিয়ে লিখছেন? যার সাবজেক্ট ইতিহাস ছিল না, তিনি কেন ইতিহাস নিয়ে লিখছেন? তবে, একটু প্রশংসা করতেই হয়, অ্যাডভোকেট তরিকউল্লাহ ও গোফরান ভাই ব্যতিক্রম, যারা ক্রমাগত তাদের নিজ পেশার উপরই লেখালেখি করে যাচ্ছেন, পাশাপাশি অন্যান্য বিষয়েও অবশ্য লিখছেন। আরো দু-একজন ব্লগার নিজ নিজ কর্মক্ষেত্রকে উপজীব্য করে লিখছেন, কিন্তু তা সংখ্যায় স্বল্প, তাদের বেশির ভাগ পোস্ট অন্যান্য বিষয়ে।

আমরা অবশ্যই আশা করতে পারি যে, আমাদের ইঞ্জিনিয়ার ব্লগারগণ তাদের ইঞ্জিনিয়ারিং-এর কলাকৌশল নিয়ে লিখবেন, ডাক্তারগণ লিখবেন তাদের ডাক্তারি পেশা, উন্নত চিকিৎসা ব্যবস্থা, ইত্যাদি নিয়ে। আমাদের মুক্তিযোদ্ধা ব্লগারগণ মুক্তিযুদ্ধের উপর পোস্ট লিখতে থাকবেন। শিক্ষকগণ লিখবেন আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে। প্রবাসী ব্লগারগণ লিখবেন প্রবাস-জীবন নিয়ে। ইত্যাদি, ইত্যাদি এবং ইত্যাদি।

আসলে, আমাদের দেশে অ্যাকাডেমিক সাবজেক্ট অনুযায়ী পেশা নির্বাচন প্রায়ই সম্ভব হয় না। এজন্য দায়ী আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা, সেই সাথে দায়ী কর্ম-কাঠামো, যার সাথে শিক্ষাব্যবস্থার সঠিক সামঞ্জস্য দরকার।

একই সাথে, পেশা বা অ্যাকাডেমিক সাবজেক্ট অনুযায়ী আপনার লেখালেখির সাবজেক্ট মেলানোও দুষ্কর। লেখালেখি হলো একটা সৃজনশীল কাজ, যা আপনার মন থেকে উদ্‌গত হয়। আপনার মন যা চাইবে, আপনি তাই লিখবেন। আপনি ডাক্তার বা ইঞ্জিনিয়ার বলে আপনাকে ডাক্তারি বা ইঞ্জিনিয়ারিঙের উপরই লিখতে হবে, এ ব্যাপারটাও এমন না। আপনার মনই বলে দেবে আপনি কোন বিষয়ে লিখতে যাচ্ছেন। এজন্য দেখা যায়, পেশাজীবনে আপনি একজন কম্পিউটার ইন্সট্রাক্টর, কিন্তু লেখালেখি করছেন ধর্মের উপর, গল্প লিখছেন, কবিতা লিখছেন। এতে আমি কোনো অন্যায় দেখি না, অন্যায় হলো ওটা - আপনি যদি আপনার কর্মস্থলে ফাঁকি দেন, এবং দুর্নীতি করেন।


০৬ এপ্রিল ২০২৪


ফুটনোট :

গবেষণাবিহীন, সাদামাটা পোস্ট

মন্তব্য ২৬ টি রেটিং +৬/-০

মন্তব্য (২৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:০৪

শায়মা বলেছেন: আমি জীবনেও আমার কর্মস্থল মানে স্কুল থেকে ব্লগে লগ ইন করি না। :)
কাজে ফাকি দেই না এবং ওভার ওয়ার্কলোড নিয়ে ফেলি এবং আনন্দে থাকি।

আর যখন যা ইচ্ছা হয় সেই তাই নিয়ে লিখি ব্লগে।

০৭ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১২:২৫

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন:

আমি জীবনেও আমার কর্মস্থল মানে স্কুল থেকে ব্লগে লগ ইন করি না। :)
কাজে ফাকি দেই না এবং ওভার ওয়ার্কলোড নিয়ে ফেলি এবং আনন্দে থাকি।


এটাই করা উচিত। নিজের সিনসিয়ারিটি ও অনেস্টি দিয়ে কর্মস্থলের কাজ সম্পন্ন করার পর নিজস্ব টাইমে আপনি কী নিয়ে কী লিখলেন, তা কারো হেডেক হওয়া উচিত না। তুমি ইঞ্জিনিয়ার, তুমি কবিতা লিখবা কেন? তুমি ডাক্তার, তুমি ব্লগিং করবা কেন? এসব অবান্তর প্রশ্ন করাও ঠিক না।

২| ০৭ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১২:৩৫

ডার্ক ম্যান বলেছেন: ব্লগার ডি মুন একজন পেশাদার ব্লগার। তিনি মিডিয়াম ব্লগে লেখালেখি করে জীবন যাপন করছেন।

আপনার লেখক পরিচয়ে আছে আপনার জন্ম ১৯৬৮ সালে। সে হিসেবে মুক্তিযুদ্ধের সময় আপনার বয়স ৩ বছর। যদি আমার ভুল না হয়ে থাকে।
যেকোন পেশার মানুষ লেখালেখি করতে পারবেন। তবে লেখক হিসেবে স্বীকৃতি না পেতেই পারেন।

০৭ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:২১

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন:

ব্লগার ডি মুন একজন পেশাদার ব্লগার। তিনি মিডিয়াম ব্লগে লেখালেখি করে জীবন যাপন করছেন।

ওয়াও, বলেন কী? দারুণ খবর তো! অবশ্য, অনেক কন্টেন্ট ক্রিয়েটর আছেন, যারা অনলাইনে কাজ করে মোটামুটি ভালো ইনকাম করেন। সেটা কিন্তু ব্লগিং না। আপনি কি নিশ্চিত, ডি মুন ভাই ওরকম কন্টেন্ট ক্রিয়েটর নন?


আপনার লেখক পরিচয়ে আছে আপনার জন্ম ১৯৬৮ সালে। সে হিসেবে মুক্তিযুদ্ধের সময় আপনার বয়স ৩ বছর। যদি আমার ভুল না হয়ে থাকে।

আমার ব্যক্তিগত অনেক তথ্যই আপনার জানা। সেজন্য ধন্যবাদ।

আমার জন্মদিন নিয়া তো আপনি একটা পোস্ট দিয়েছিলেন। নিশ্চয়ই আমার জন্মদিনের রহস্যটা আপনার জানা আছে! পুরোটা পড়ার সুযোগ না থাকলে এ পোস্টের ৩য় প্যারা পড়ুন। ১৯৭১ - অস্পষ্ট স্মৃতি থেকে

নীচের গুলোও পড়তে পারেন। জন্মদিন নিয়া আমি বেশ কয়েকটা পোস্ট লিখেছি ব্লগে। প্রতিটা পোস্টেই উল্লেখ করেছি, আমার সঠিক জন্মতারিখ জানা নেই, কেবল দাপ্তরিক কাজের জন্য একটা জন্মদিনের প্রয়োজন, সেজন্য এটা দেয়া, তাও এটা দিয়েছিলেন প্রাইমারি স্কুলের হেডমাস্টার, যখন ক্লাস ফাইভ পাশ করার পর স্কুল থেকে সার্টিফিকেট আনতে যাই। তিনি বয়স অনেক কমিয়ে লিখেছিলেন, এটা মনে আছে। ঐ সময়ে এমনটাই চল ছিল। খুব অল্প কিছু পরিবারেই ছেলেমেয়েদের জন্মতারিখ লিখে রাখার অভ্যাস ছিল। তা সত্ত্বেও, এস এস সি'র ফর্ম-ফিল আপারে সময় জন্ম তারিখ হিসাব করে বসানো হতো। এজন্য এখনো দেখবেন, বাংলাদেশের বেশিরভাগ ছাত্র-ছাত্রীর জন্মতারিখ ০১ জুলাই, কিংবা ০১ জানুয়ারি। এরকম প্যাটার্ন দেখলেই বোঝা যাবে, এটা সঠিক জন্মতারিখ নয়, কাগুজে বা অফিশিয়াল জন্মতারিখ। যে কথাগুলো আমি লিখলাম, এগুলোও ব্লগ বা ফেইসবুকে কোনো কোনো জায়গায় উল্লেখ করেছি।



যেকোন পেশার মানুষ লেখালেখি করতে পারবেন।


খাঁটি কথা। কিছু মানুষের চরম অ্যালার্জি আছে - কোনো ডাক্তার বা ইঞ্জিনিয়ারকে কবিতা লিখতে দেখলে বা ব্লগিং করতে দেখলে পায়ে পাড়া দিয়ে ঝগড়া করেন - আপনি এটা, সেটা, আপনি কবিতা লিখবেন কেন? আপনি কি মাদ্রাসা থেকে ডাক্তারি পড়েছেন, ইত্যাদি? এগুলো হলো চরম ধৃষ্ঠতা ও বেয়াদবি।

কমেন্টের জন্য ধন্যবাদ সৈকত ভাই।

০৭ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:২৩

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: এই লিংকগুলো বাদ পড়ে গেছে।

সবার জন্য ভালোবাসা - ৩১ জুলাই ২০১৭

আজ সারাদিন পাইলট, ঐশী আর লাবিবের বাবার অফিশিয়াল জন্মদিন ছিল - ৩১ জুলাই ২০১১

Happy Birthday to Me - 31 July 2010

৩| ০৭ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১২:৪৪

অপু তানভীর বলেছেন: বাংলাদেশে একমাত্র হুয়ামূন আহমেদই ছিলেন যে কিনা একেবারে পুরোদস্ত লেখক ছিলেন । বর্তমানে যত পরিচিত লেখকই আছেন না কেন আমার জানা মতে তাদের কারোই প্রধান পেশা লেখালেখি না ।

আমার পড়াশোনার বিষয় অর্থনীতি । আমি এক সময়ে প্রচুর একাডেমিক লেখা লিখে দিয়েছি । এটা আমার আয়ের একটা মাধ্যম ছিল । করোনার পরে আর ঐদিকে যাওয়া হয় নি।

লেখা লেখির জন্য একাডেমিক ডিগ্রির দরকার খুব একটা আছে বলে মনে হয় না তবে টেকনিক্যাল ব্যাপার এর বাইরে রাখতে হবে ! এমন অনেক টেকনিক্যাল ব্যাপার আছে যা কেবল আর্টিকেল পড়ে লেখা যায় না কোন ভাবে । সে জন্য ব্যকগ্রাউন্ড পড়াশোনা থাকতেই হয়।

ব্লগে আগে কেবল আমি গল্পই লিখতাম । তবে নিজের ওয়েবসাইট চালুর করার পরে গল্প সেই সাইটেই কেবল প্রকাশ করি । এখানে আর পোস্ট করা হয় না ।

০৭ ই এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৫:০৯

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন:
বাংলাদেশে একমাত্র হুয়ামূন আহমেদই ছিলেন যে কিনা একেবারে পুরোদস্ত লেখক ছিলেন । বর্তমানে যত পরিচিত লেখকই আছেন না কেন আমার জানা মতে তাদের কারোই প্রধান পেশা লেখালেখি না ।


আমারও তাই ধারণা। এ বঙ্গে লেখালেখিকে পেশা হিসাবে নেয়ার মতো পরিস্থিতি এখন আর নাই, ভবিষ্যতে সম্ভব কিনা তা একমাত্র ভবিষ্যতই জানে। বই হয়ে যাচ্ছে অনলাইন; প্রকাশের মাধ্যম সহজ হয়ে যাওয়ায় লেখকের সংখ্যাও বাড়ছে প্রচুর, সেই হিসাবে পাঠকের সংখ্যা বাড়ছে না, যারা হার্ডকপি বই কিনে লেখককে আরো বেশি করে লেখার জন্য চাপে ফেলবেন।

লেখা লেখির জন্য একাডেমিক ডিগ্রির দরকার খুব একটা আছে বলে মনে হয় না। হ্যাঁ, লেখালেখির জন্য অ্যাকাডেমিক ডিগ্রির তেমন প্রয়োজন নাই, তা সর্বজনবিদিত। বড়ো উদাহরণ তো হাতের কাছেই - নজরুলের তো কোনো ডিগ্রিই ছিল না। স্কুলে বা মক্তবে পড়েছে ক্লাস নাইন বা টেন পর্যন্ত। তার মতো অনেক স্বভাব কবি আছেন, যাদের শিক্ষাগত যোগ্যতা ছিল নীচের দিকে।

কোনো নির্দিষ্ট পেশার জন্য কোনো নির্দিষ্ট অ্যাকাডেমিক ব্যাকগ্রাউন্ড কতখানি জরুরি, আমি সেটাও জানতে চেয়েছি। ধরুন, আপনি একজন ইউএনও, ডিসি। এসপি। সেনাবাহিনীর পদাতিক কোরের ক্যাপ্টেন। আপনার অ্যাকাডেমিক সাবজেক্ট কোনটি হওয়া বাধ্যতামূলক?

আপনার পেশা যাই হোক না কেন, আপনার লেখালেখির সাবজেক্ট তা দ্বারা নির্ণিত হবে না। এজন্য আপনি অর্থনীতির ছাত্র হয়েও গল্প লিখছেন, নানান বিষয়ে প্রবন্ধ লিখছেন। তবে, আপনি কেন 'অর্থনীতি'র উপর লিখছেন না, এ নিয়ে কেউ যদি আপনাকে প্রশ্ন করেন, ভর্ৎসনা করেন, সেটা শুধু অন্যায়ই না, অপরাধও।


৪| ০৭ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:০০

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: হুমায়ুন আহমেদ পেশাদার লেখক ছিলেন অনেকেই জানে, ঠিক তেমনি শুনেছিলাম সৈয়দ আবুল মকসুদ ছিলেন পেশাদার কলামিস্ট, যিনি কলাম লেখাতে সময় দেয়ার জন্য চাকুরি ছেড়েছিলেন সম্ভবত...
আমি ছোট খাটো চাকুরি করি। সেখানে আমি কাজের ফাঁকে ফাঁকে ব্লগিং করে থাকি। প্রতিষ্ঠান বা দায়িত্বে অবহেলা করে নয়। আর আমাদের মত মধ্যবিত্তের জন্য বাসায় গিয়ে নিজের জন্য আলাদা সময় বের করা খুব কঠিন, সেই পরিবেশও পাওয়া যায় না..

০৭ ই এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৫:৩৭

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: সৈয়দ আবুল মকসুদ সম্পর্কে তেমন ধারণা নাই, মাঝে মাঝে টিভিতে বিভিন্ন সেমিনার, সিম্পোজিয়মে তাকে দেখি, হয়ত কখনোবা কলামও পড়েছি, কিন্তু মনে নেই। যাই হোক, তিনি তাহলে একজন পেশাজীবী কলামলেখক, যা থেকে আয় করে তিনি জীবিকা নির্বাহ করেন। এমন হয়ত আরো কেউ কেউ থাকবেন, যাদের ব্যাপারে আমাদের তেমন জানাশুনা নেই।

৫| ০৭ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:০২

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: আর হ্যাঁ। আমি বিএসসি (পাস) করে এখন চাকুরি করছি একাউন্টেন্ট হিসেবে! কোন কালেই বিষয় হিসেবে আমার হিসাব বিজ্ঞান ছিল না...

০৭ ই এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৫:৪০

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন:

আমি বিএসসি (পাস) করে এখন চাকুরি করছি একাউন্টেন্ট হিসেবে! কোন কালেই বিষয় হিসেবে আমার হিসাব বিজ্ঞান ছিল না...

আমি এ বিষয়টাও বলার চেষ্টা করেছি যে, আমাদের চাকরি, কর্ম-সংস্থানের জায়গাগুলোতে বিষয়ভিত্তিক শিক্ষাগত যোগ্যতা খুব কম ক্ষেত্রেই প্রয়োজন, কারণ, আমাদের শিক্ষা-ব্যবস্থা ও কর্ম-কাঠামোর মধ্যে ব্যবধান অনেক বেশি। উন্নত দেশগুলোতে নিশ্চয়ই এত অসামঞ্জস্য নেই।

কমেন্টের জন্য ধন্যবাদ তালগাছ।

৬| ০৭ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:০৪

ঢাবিয়ান বলেছেন: ব্লগে লিখি বলা যায় অবসর সময়ে বাংলায় কিছুটা সময় কাটানোর উদ্দেশ্যে। এখানে ছদ্মনামে লেখার অর্থই হচ্ছে যে, অনেকেই পারসোনাল ইনফরমেশন ব্লগে দিতে আগ্রহী না। আমিও তাদের একজন। অজানা অচেনা মানুষের সাথে ব্লগিং মিথস্ক্রিয়া বেশ উপভোগ করি। সবাই সবাইকে চিনলে ব্লগও ফেসবুক হয়ে যাবে , তখন আর ব্লগিং এর স্বতঃস্ফুর্ততা থাকবে না। :#)

০৭ ই এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৫:৫০

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আমরা কেউ পেশাজীবী ব্লগার বা লেখক নই, অবসর সময়ে কিছু বিনোদনের জন্যই মূলত ব্লগে আসা। মানুষের সহজাত প্রবৃত্তি হলো নিজেকে প্রকাশ করা, অন্যের কাছে নিজের 'বিশেষত্ব' তুলে ধরা। লেখালেখি বা ব্লগিং হলো সেই প্রয়াস।

আজকের দিনে নিজের পার্সোনাল ইনফরমেশন যত কম প্রকাশ করা যায়, নিজের নিরাপত্তার জন্য ততই ভালো। হ্যাকিং, লাইফ থ্রেটেনিং - সবকিছু থেকে নিজেকে সেইভ করতে পারে উত্তম প্রাইভেসি সেটিং।

কমেন্টের জন্য ধন্যবাদ ঢাবিয়ান ভাই।

৭| ০৭ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:১৮

নতুন বলেছেন: ব্লগে আশা বাংলায় সময় কাটানোর জন্য। যেমনটা ঢাবিয়ান ভাই বলেছেন।

তবে যারা খুব বেশি সিরিয়াস এবং ইগোইস্টিক তারাই সম্ভবত মতামত দাতার একাডেমিক ব্যাকগ্রাউন্ড খোজে।

আলোচনার যে কোন বিষয়ে যে কেউই মতামত দিতে পারে। তারজন্য সবাইকে এক্সপার্ট হতে হবেনা।

০৭ ই এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৫:৫৭

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন:
যারা খুব বেশি সিরিয়াস এবং ইগোইস্টিক তারাই সম্ভবত মতামত দাতার একাডেমিক ব্যাকগ্রাউন্ড খোজে।

যারা এটা করেন, তারা কাজটি ঠিক করেন না। Tactics and Literature are nobody's babies. আপনি আর্মি পার্সোনেল, আপনাকে এ কথা বলার অধিকার নাই যে, আপনি ব্লগিং না করে ব্যাটল ফিল্ডে যান। কিংবা, আপনি ফটোগ্রাফি না করে সেনাবাহিনীর উপর লিখুন। আপনি কোন বিষয়ে লিখবেন, সেটা আপনার নিজস্ব ইন্টারেস্ট এবং চয়েসের ব্যাপার।

কমেন্টের জন্য ধন্যবাদ নতুন ভাই।

৮| ০৭ ই এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৪৬

নাহল তরকারি বলেছেন: আমি রাষ্ট্রবিজ্ঞানের ছাত্র। যে কোন বিষয় নিয়ে লেখার অধিকার আমার আছে।

০৭ ই এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৫:৫৮

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: অবশ্যই, আপনি যে-কোনো বিষয়েই লিখতে পারেন, এটা আপনার মৌলিক অধিকার।

৯| ০৭ ই এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৪৬

হাসান জামাল গোলাপ বলেছেন: আমি পড়তে চেয়েছিলাম জার্নালিজম, কিন্ত হয়েছি প্রকৌশলী। কলেজ জীবনে টুকটাক লিখতাম, কিন্তু সামাজিক কারণে আমার আগ্রহের বিষয়ে পড়া হয়নি। খোদ উত্তর আমেরিকায় এখন লেখালেখি করে জীবন চালানো দায়, অনলাইন কন্টেন্টের কারণে বহু লেখক, সাংবাদিক চাকরিহীন। শিল্প চর্চা আত্মার শুদ্ধিকরণ পর্যায়ের বিষয়, পেশার সাথে সম্পর্ক নেই।

২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:২৮

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন:
শিল্প চর্চা আত্মার শুদ্ধিকরণ পর্যায়ের বিষয়, পেশার সাথে সম্পর্ক নেই।

আমি মনে হয় ঠিক এমনই একটা কথা খুঁজছিলাম। লেখালেখি, ব্লগিং, গান গাওয়া, ছবি আঁকা - এগুলো হলো শিল্পচর্চা, পেশার সাথে সম্পর্ক যেমন নেই, আবার অ্যাকাডেমিক ব্যাকগ্রাউন্ডের সাথেও কোনো সম্পর্ক নেই। তাই, আপনি ইঞ্জিনিয়ার হয়ে লেখালেখি করছেন কেন, ডাক্তার হয়ে গান গাইছেন কেন, এসব কথা বলা আহাম্মকি বা নির্বুদ্ধিতা ছাড়া আর কিছুই না।

সুন্দর কমেন্টটির জন্য ধন্যবাদ হাসান জামাল গোলাপ ভাই।

১০| ০৭ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:৩৮

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: ইচ্চা নেই।

২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:২৯

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন:






.

১১| ০৭ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১০:৫১

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:


আপনি প্রবাসে চাকুরী করেছিলেন?

২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:৩০

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: .

১২| ০৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৫৪

শেরজা তপন বলেছেন: আমি যে সকল বিষয়ে ব্লগিং করি তাঁর কোন বিষয়েই আমি বিশেষজ্ঞ নই- এটা একটা গর্হিত অপরাধ বটে!
তবে যেহেতু আমি ব্যাবসা করি সেহেতু কাউকে ফাঁকি দেই না।

২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:৩৮

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: যে-কোনো মানুষেরই লেখালেখি করার অধিকার আছে। একজন লেখকের যে-কোনো বিষয়েই লেখার অধিকার আছে। লেখালেখির বিষয়ের সাথে তার পেশা বা অ্যাকাডেমিক ব্যাকগ্রাউন্ডের কোনো সম্পর্ক নেই।

তবে, কোনো কোনো মানুষের কিছু খারাপ অভ্যাস আছে। সে তার নিজের পেশা ও অ্যাকাডেমিক বিষয়ে লিখবে না, কিন্তু অন্যদেরকে ভর্ৎসনা করবে নিজ পেশার উপর লেখালেখি না করার জন্য। এই 'খচ্চর' স্বভাবের মানুষগুলোকে দেখলে আমার চরম রাগ হয়।

১৩| ১০ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৩৪

রিয়াদ( শেষ রাতের আঁধার ) বলেছেন: আমি বুটেক্স থেকে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং পাস করে, দুই বছর চাকরি করেছি। এরপর মানসিক প্রেসার ভালো না লাগা, মাঝে মাঝেই হুটহাট বে-আইনিভাবে বেতন, বোনাস আটকে দেয়ায়, রাগ করে চাকরি ছেড়ে দিয়েছি। এখন ফার্মগেটে নিজের প্রতিষ্ঠানে ছেলে পেলেদের কেমিস্ট্রি পড়াই। আমি ঝামেলাহীন ও নিশ্চিন্ত এখন। কোনো মানসিক প্রেসারে নেই।
যেহেতু প্রতিষ্ঠান নিজের, তাই ফাঁকি-ঝুঁকির বিষয় নেই এখানে। তাছাড়া ক্লাসে পাঠদানকালে তো ব্লগের লেখা পড়া বা ব্লগে কিছু লেখা সম্ভব না। তাই আমি আমার দায়িত্ব পুরোটাই পালন করছি।

লেখালেখির শুরু তো সেই কিশোর বয়স হতেই, পড়তে পড়তে, প্রথমে কবিতা এরপর গল্প, উপন্যাস। যদিও এখন কবিতা লিখি না। তাই পেশাগত জীবনে যাবার আগেই যেহেতু লেখা শুরু করেছি, তাই পেশাগত বা ডিগ্রিগত বিষয়ের প্রভাব লেখায় নাই বললেই চলে।

আমি চাইলে, রসায়ন ও টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং দুটো বিষয় নিয়েই লিখতে পারি। গল্প লেখার ক্ষেত্রে মানসিক প্রশান্তিটা বেশি গুরুত্ব পায়, কেউ পড়ল কি পড়ল না, তা নিয়ে এত ভাবি না। তবে রসায়ন বা টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং এর বিষয় নিয়ে লিখলে, এখানে পড়বে কে? গল্পটা তো স্বতঃস্ফূর্ত কিন্তু এসবে গবেষণার বিষয় আছে, পরিশ্রমে লেখা জিনিস যদি কারও উপকারেই না আসে, তবে আর লিখে কী?

আমার ফ্রেন্ডলিস্টে অনীশ দাস অপু আছেন, রহস্য-হরর লেখক ও অনুবাদক, আমার জানামতে তিনি শুধু লেখালেখি করেই জীবন যাপন করছেন। তিনি এটা স্ট্যাটাস দিয়েও বলেন যে হুমায়ূন আহমেদের পর তিনিই একমাত্র লেখক যিনি শুধু লেখালেখি করে উপার্জন করেন।

আরেকজন লেখক আছেন আমার লিস্টে, তার লেখার মান নিয়ে আমার যথেষ্ট অভিযোগ আছে, তিনি প্রতি বছর ১০ টা করে বই বের করেন মিনিমাম। তিনিও লেখালেখি নিয়ে আছেন, সাথে অন্যান্য নানা মিডিয়া সম্পর্কিত কাজে যুক্ত।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.