নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

শব্দকবিতা : শব্দেই দৃশ্য, শব্দেই অনুভূতি [email protected]

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই

দুঃখের কবিতাই শ্রেষ্ঠ কবিতা। ভালোবাসা হলো দুঃখ, এক ঘরে কবিতা ও নারী।

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রবাসজীবনে আপনার কর্মদক্ষতা ও আচরণ দ্বারা বাংলাদেশের ইমেজ কতখানি উন্নত করতে পেরেছেন?

০৭ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:০৯

একজন বাংলাদেশী হিসাবে বিদেশের কোনো ফার্মে বা প্রতিষ্ঠানে উচ্চপদে, হাইলি স্কিলফুল কিংবা নরমাল স্কিলফুল কোনো অ্যাপয়েন্টমেন্টে কাজ করা সাধারণভাবেই বাংলাদেশের ইমেজ উঁচুতে তুলে ধরে বলে আমি মনে করি। সেই সাথে, আপনার কর্মদক্ষতা, আচরণ যদি খুবই উঁচুমানের হয়, তাহলে নিজেকে যতখানি উঁচুতে তুললেন, তার চাইতে অধিক উঁচুতে নিয়ে গেলেন আপনার দেশকে। আপনার নিয়োগকর্তা ও অধীনস্তরা আপনার প্রশংসা করবেন এবং জানবেন যে, আপনি বাংলাদেশের একজন গর্বিত নাগরিক।

কোনো কাজকেই ঘৃণা করা উচিত না। তবু এ কথাটা বলি, বাংলাদেশের যেসব মানুষ বিদেশে যান চাকরির উদ্দেশ্যে, বিশেষ করে মিডল ইস্টে, এমনকি ল্যাটিন অ্যামেরিকা এবং ইউরোপের কোনো কোনো দেশেও, তাদের বেশিরভাগই হলেন স্কিললেস লেবারার। অনেক শ্রমিককে খুবই নীচু লেভেলের কাজ করতেও দেখেছি। আমাদের এই শ্রমিক ভাইয়েরাই হয়ত সবচাইতে বড়ো অংকের রেমিটেন্স পাঠাচ্ছেন দেশে। কিন্তু তাদের কাজের স্টেটাস নিশ্চয়ই বাংলাদেশের ইমেজকে উঁচু লেভেলে নিয়ে যাওয়ার মতো নয় - যেমনটা হতে পারে একজন ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, কিংবা শিক্ষকের বেলায়।

এবার ধরুন, আপনি খুব উঁচু পদে চাকরি করছেন। কিন্তু আপনার আচরণ খুবই খারাপ। রাস্তায় বের হলে, শপিং মলে গেলে, সাধারণ পাবলিকের সাথে আপনার কনফ্লিক্ট হয়। তারা হয়ত জানেন না, অফিসে আপনি একজন পদস্থ কর্মকর্তা। কিন্তু আপনার আচরণে তারা বিরক্ত হয়ে আপনাকে ভর্ৎসনা করতে পারেন। যদি তারা জানেন যে, আপনি বাংলাদেশের অধিবাসী, আপনি বাংলাদেশকে অনেক নীচে নামিয়ে দিলেন। দু-একবার আপনার আচরণে কেউ রুষ্ট হলে ধরে নেয়া যায়, সেখানে আপনার দোষ ছিল না, কিন্তু সবসময়ই যদি আপনার সাথে বিদেশীদের কনফ্লিক্ট হয়, আপনাকে অবশ্যই নিজের দিকে ফিরে তাকাতে হবে। আপনি বিদেশীদের কাছে বাংলাদেশকে ডুবাচ্ছেন। আপনার আচরণ ভালো নয়। নিজেকে পরিশুদ্ধ করুন।

অন্যদিকে, আপনি যদি নিম্নস্তরের একজন শ্রমিক হয়েও নিজের কর্মদক্ষতা ও আচরণ দ্বারা সবার মন জয় করতে পারেন, আপনি হয়ত আপনার দেশকে উপরে তুলতে পারছেন না (যেহেতু আপনি নিম্নপদের স্কিললেস একজন লেবারার), তবে এতখানি নিশ্চিত থাকুন, আপনি অন্তত আপনার দেশকে ডুবাচ্ছেন না।

বিদেশের মাটিতে যারতার সাথে আপনার কনফ্লিক্ট হয়, ব্লগেও আপনার খারাপ আচরণের জন্য কেউ আপনাকে দেখতে পারে না - আপনি এমন কেউ হয়ে থাকলে অবশ্যই আপনার বিশ্রামে যাওয়া প্রয়োজন, আত্মশুদ্ধির জন্য যথেষ্ট সময় দিতে হবে আপনার নিজেকে।

আপনি যত ছোটো কাজই করুন না কেন বিদেশের মাটিতে, আপনি জানেন, আপনি সৎ, সবাই দেখে আপনি ঠিকমতো কাজ করেন, কোনো বিদেশীর সাথে আপনার কোনো মনোমালিন্য হয় না, ব্লগেও আপনি এমন একজন ব্যক্তি, হয়ত আপনাকে কেউ চিনেই না, কিংবা ব্লগেও আপনি অনেক অনেক ভালোবাসা পাচ্ছেন, আপনার জন্য অভিবাদন, আপনি একজন ভালো মানুষ।

আমরা নিজেদের লেখায় নিজেদের চরিত্র এঁকে যাই, নিজেদের অজান্তে।

সবাই কর্মদক্ষতা ও সদাচরণ দ্বারা বিদেশীদের কাছে বাংলাদেশের মুখ উজ্জ্বল করবেন, এই কামনা থাকলো।

সালাম ও শুভেচ্ছা মহান রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের প্রতি।

মন্তব্য ২১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২১) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:১৭

কামাল১৮ বলেছেন: উন্নত কিছুই করিনি।এই সমাজ এমনিতেই আমাদের মানের থেকে অনেক উন্নত।কিন্তু নষ্ট করিনি সামান্যতম।

০৭ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:২১

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: কিন্তু নষ্ট করিনি সামান্যতম।

উন্নত কিছু না করুন, কিছু যে নষ্ট করেন নি, এটাকেও সাফল্য বলা যায়।

২| ০৭ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:০৫

হাসান জামাল গোলাপ বলেছেন: আমি কানাডায় তেইশ বছর ধরে চাকুরী করছি, এখানে সাদাদের মাঝে চাকরি করি, তাঁদের মধ্যে কখনো কোন উন্নাসিকতা দেখিনি, দু একটা বিচ্ছিন্ন ঘটনা থাকতে পারে, তবে এরা মননে উন্নত। আমাদের দেশ সম্পর্কে তাঁরা নিউট্রাল অন্য যে কোন দেশের মতোই। তবে ইদানিং অফিসের বাইরে কিছু খারাপ মন্তব্য কানে আসছে, এর মূল কারণ বেশি immigrant, বিভিন্ন রিসোর্স আর সার্ভিসে টান পড়ছে, আদি সাদারা বিরক্ত।

২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:২৯

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: কমেন্ট ভালো লাগলো হাসান জামাল গোলাপ ভাই। নেগেটিভ ধারণার চাইতে এ দেশ সম্পর্কে নিউট্রাল ধারণাও 'পজিটিভ' ধারণারই নামান্তর। নেগেটিভ ধারণার জন্ম হয় নানা কারণে, যার একটা হলো আমাদের আচরণ ও কাজে-কর্মে অপারদর্শিতা কিংবা কম পারদর্শিতা। আপনারা অন্যান্যদের সাথে সমান্তরালে আছেন বলেই হয়ত কোনো নেগেটিভ ধারণার জন্ম হয় নি এখনো, যেটা খুব ভালো লক্ষণ।

কমেন্টের জন্য ধন্যবাদ।

৩| ০৭ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১০:০৯

ঢাবিয়ান বলেছেন: আসলে বিদেশে হোয়াইট কালার জব একজন ফরেনার হিসেবে পাওয়া খুবই কঠিন । আর আমাদের বাংলাদেশি সার্টিফিকেট দিয়েতো এক প্রকার অসম্ভব । তাই বাংলাদেশীরা মুলত বিদেশে যায় উচ্চশিক্ষার্থে। বিদেশী ইউনির সার্টিফিকেট বাগিয়ে তারপর চাকুরি , পিআর ইত্যাদি পায়। আপনি যখন বিদেশী সার্টিফিকেট নিয়ে চাকুরি করতে যান , তখন আপনার জাতিগত পরিচয়টা গৌন হয়ে যায়। একটা অফিসে বিভিন্ন রেস এর মানুষ কাজ করে। সেখানে সবাই যে দেশে বসবাস করে , সে দেশকেই প্রতিনিধিত্ব করে। কেউ জানতেও চায় না , কে কোন দেশ থেকে মাইগ্রেট করে এসেছে। অনেক সময় কলিগদের সাথে ক্য্যজুয়ালি আলাপ হয় কে কোথা থেকে এসেছে।

২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:১৩

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আপনার কমেন্টটাও ভালো লাগলো, খুব বাস্তব কথা লিখেছেন।

একসাথে কাজ করলে নিজের ওয়ার্ক-স্কিল ছাড়াও বস, কলিগ ও বাইরের মানুষদের সাথে আচরণগত কিছু সমস্যা মাঝে মাঝে ঘটতে পারে। কারো সমস্যা প্রকট আকার ধারণ করলে তখন জাত-পাত-দেশের নাম উঠে আসতে পারে।

বিদেশের মাটিতে নিজের কর্মদক্ষতা ও আচরণ দিয়ে নিজের সম্পর্কে ও নিজের দেশ সম্পর্কে একটা পজিটিভ ইম্প্রেশন গড়ে তোলা যায়। এর উল্টোটা ঘটলে নিজের দুর্নামের চাইতে দেশের দুর্নামটাই বড়ো হয়ে ওঠে। বিদেশীদের কাছে একটা দেশ ও দেশের মানুষ সম্পর্কে ইমেজ তৈরি হয় ঐ দেশে কর্মরত এ দেশের মানুষের সামগ্রিক কর্মকাণ্ডের উপর ভিত্তি করেই। ভালো কিছু না হোক, অন্তত দেশের নামে যাতে কোনো দুর্নাম না হয়, সবারই সেদিকে খেয়াল রাখা উচিত।

কমেন্টের জন্য ধন্যবাদ ঢাবিয়ান ভাই।

৪| ০৭ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:০০

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:


আপনি প্রবাসে চাকুরী করেছিলেন?

২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:২২

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধরুন, এক ব্যক্তি বিদেশে চাকরি করেন। কলিগদের সাথে তার বনাবনি হয় না। বাঙালিপাড়ায় তাকে কেউ পছন্দ করে না। বাইরে বের হলেই বাইরের মানুষদের সাথে কনফ্লিক্ট হয়, তার আচরণে মানুষ ক্ষিপ্ত হয়। একবার-দুবার এটা মানা যায়। যদি প্রায়শ এমন ঘটতে থাকে, আপনি নিশ্চিত হোন, সমস্যা এ লোকটাকে নিয়াই। বিদেশের মাটিতে তিনি নিজেকে ডুবাচ্ছেন না, ডুবাচ্ছেন নিজের দেশকে। আবার ব্লগে যদি এসব নিয়ে পোস্টও লেখেন, নিজের অজান্তে তিনি নিজের খাসলত সবাইকে জানিয়ে দিলেন আর কী। এমন লোকের ৫/৭টা নিক ব্যান হয়ে যেতে পারে, তাতে অবাক হবার কিছু থাকবে না।

৫| ০৭ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:১১

ডার্ক ম্যান বলেছেন: ৬ মাস প্রবাসে ছিলাম কিন্তু কোনো চাকরি যোগাড় করতে পারি নি। তাই দেশে চলে আসলাম। দেশেও একই অবস্থা।

২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:২৩

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আপনার জন্য সমবেদনা প্রকাশ করছি সৈকত ভাই। আপনি তো প্রকাশনায় নেমেছিলেন, চাকরির আর কী দরকার?

৬| ০৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:০৫

ঢাবিয়ান বলেছেন: সরি টাইপো - হোয়াইট কলার জব (White-collar jobs )

২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:২৫

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: :)

আপনি হোয়াইট কলারে যা বোঝাতে চান, হোয়াইট কালার দিয়া আমি সেটাই বুঝেছি :)

৭| ০৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:০০

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: মিডল ইস্টে ছিলাম প্রায় ১০ বছর। হোয়াইট কলার না হলেও মাল্টি ন্যাশনালদের সাথে ওয়ার্ড/এক্সেল ওয়ালা অফিসিয়াল জব করেছি। নিজ দেশকে কখনো ছোট তো করিইনি বরং স্বজাতিদের 'দেশী কার্ড', মুসলিমদের 'মুসলিম কার্ড' দেখিয়ে ফেভার নেয়ার সুযোগ দেইনি। ইন্ডিয়ান, পাকিদের মুখে 'বাংগালি', 'বন্ধু' শুনে মৃদু প্রতিবাদ করেছি। বুঝিয়ে দিয়েছি এসব শব্দ আমার জন্য অবমাননাকর। অনেকেই বলেছে, এভাবে কেউ তাদের বোঝায়নি...
আর আরবদের কথা কী বলব? তারা তো ফিলিপিনো ছাড়া আর কাউরে (যত বড় শিক্ষিতই হোক না কেন) তেমন গুনেনা (ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা)...

২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:২৬

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: বাস্তব অভিজ্ঞতা অনেক ভালো লাগলো। ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।

৮| ০৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৩২

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:



বিদেশে অবস্থানরত প্রতিটি বাংলাদেশীই বাংলাদেশের অলিখিত রাষ্ট্রদূত। তাদের আচার-আচরণ দ্বারা দেশের সুনাম হ্রাস-বৃদ্ধি পাবে।
অতএব সাধু সাবধান!

২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:২৭

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: অনেক সুন্দর একটা কথা বলেছেন সাজ্জাদ ভাই। বিদেশের মাটিতে আমাদের সবারই এ বাণীটি মনে রাখা উচিত।

৯| ০৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:০৯

নতুন বলেছেন: দেশের বাইরে কর্মজীবন শুরু এবং বর্তমানে ১৬ বছর চলছে...

বাংলাদেশি হিসেবে পরিচয় দেই, গাড়ীর পেছনেও দেশের পতাকার স্টিকার লাগিয়ে রেখেছি।

আমাদের প্রতিস্ঠানে প্রায় ১০৩ দেশের ৬০০০+ মানুষ কাজ করে।

২০০৯-২০১০ এর দিকে ২ বছর আমাদের বিজয় দিবষ উপলক্ষে অনুস্ঠানের আয়োজন করেছি, সবাইকে আমন্ত্রন জানিয়েছি, দেশী খাবারের আয়োজন ছিলো, যারা দেখতে এসেছিলো তাদের আমাদের দেশের খাবার, বিজয় দিবশ সম্পর্কে জানিয়েছি। তখন প্রায় ৩০০+ বাংলাদেশী ছিলাম আমরা।

বাংলাদেশী হিসেবে পরিচয় দিতে তেমন গর্ববোধ করেনা। এমন কয়েকজন বাংলাদেশীও দেখেছি।

২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:১৪

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন:
বাংলাদেশী হিসেবে পরিচয় দিতে তেমন গর্ববোধ করেনা। এমন কয়েকজন বাংলাদেশীও দেখেছি।

আপনার এ কথাটা, প্লাস নীচে রায়হান ভাইয়ের কমেন্টে উল্লেখিত সবচেয়ে বড় আপসুসের বিষয় হলো, যখন দেখি আমাদের দেশর মানুষ গুলো, এরাবিয়ান দের কাছে নিজেদের দেশের বদনাম করে, শুধু এরাবিয়ান নয়, এরা সবার কাছে ই হাঁটিহাঁটি নিজেদের দেশের বদনাম করতে থাকে। কথাটি আমাদের জন্য অনেক কষ্টদায়ক ও লজ্জাজনক। আমার নিজেরও এরকম অল্পবিস্তর দেখার অভিজ্ঞতা আছে। এরাই হলো আসল রাজাকার ও মীরজাফর, নিজের দেশ নিয়ে যাদের অন্তরে কোনো ভালোবাসা ও আবেগ নেই।

আপনার কাজকর্মগুলো আমার কাছে খুবই ভালো লাগলো নতুন ভাই। বিদেশের মাটিতে নিজের দেশকে যতখানি পজিটিভলি প্রেজেন্ট করা যায়, দেশের জন্য ততই মঙ্গল। একটা দেশ সম্পর্কে টোটাল ইম্প্রেশন ডেভেলপ করতে সময় লাগে। আমাদের সবারই উচ্চিত নিজ নিজ অবস্থান থেকে সেই ইম্প্রেশন গড়ে তোলার জন্য অবদান রাখা। নিজের দেশের বদনাম করা, বাংলাদেশী না বলে পাকিস্তানী বা ইন্ডিয়ান বলা কোনোদিনই কাম্য হতে পারে না। যারা এটা করে, সত্যিই তাদের জন্মের নির্ণয় ন জানি।

কমেন্টে অনেক ভালোলাগা।

১০| ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:৫৪

রায়হান চৌঃ বলেছেন: দেশের রিপ্রেজেন্টেটিভ হিসেবে দেশের জন্য কত টুকু করতে পেরেছি তা বলা খুব ই মুসকিল। তবে এ টুকু বলতে পারি, আমি যে ডিপার্টমেন্টে কাজ করি, সেখানে আমার আগে কেউ ই ৬ মাসের বেশি কাজ করতে পারার রেকর্ড নেই (না ইন্ডিয়ান, না পাকিস্থানি, না ফিলিপিনো, না অন্য কোন জাতীর) , সত্যিই নেই। আমার ঠিক আগে যে ইন্ডিয়ান ছেলে টা ছিল সে তো রিতিমত চুরির মামলায় জেল এবং ফাইনাল এক্সিট হতে হয়েছিল।

আলহামদুলিল্লাহ… গত ১১ বছর ধরে কাজ করছি, সন্মানের সহিত। এমন কি ছুটিতে যাওয়ার সময় আমার এবসেন্স এ কোনো রিপ্লেসমেন্ট ও নেয়া হয় না.... ডিরেক্টলি বলা হয় ওর এবসেন্সে ওর কাজ গুলো আমরা ই করে নিব।

তবে সবচেয়ে বড় আপসুসের বিষয় হলো, যখন দেখি আমাদের দেশর মানুষ গুলো, এরাবিয়ান দের কাছে নিজেদের দেশের বদনাম করে, শুধু এরাবিয়ান নয়, এরা সবার কাছে ই হাঁটিহাঁটি নিজেদের দেশের বদনাম করতে থাকে। এ নিয়ে কত মানুষের সাথে মোটামোটি জগড়া করেছি তার কোন ইয়ত্বা নেই।

পরিশেষে একটা কথাই বলব, আমার ৮৫% আয় বাংলাদেশে গিয়েছে ব্যংকিং চ্যনেলে, এ বিষয় টা আমাকে সুখ দিলেও, দেশের জন্য কিছু করতে না পারার অতৃপ্ততায় ভুগতে থাকি সবসময়।

মনের অজান্তে একটা শব্দ বেরিয়ে আসে সবসময় "ভালো থাকুক আমার বাংলাদেশ" ভালো থাকুক আমার পরিবার পরিজন।

ভালো থাকবেন ভাই........

২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:১৯

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আপনার কমেন্টটাও অনেক অনেক ভালো লাগলো রায়হান ভাই। আপনার কমেন্টের একটা অংশ উপরে নতুন ভাইয়ের কমেন্টের উত্তরে উল্লেখ করলাম। যারা এটা করেন, তারা কোনোদিনই ভালো মানুষ হতে পারেন না।

মনেপ্রাণে আপনার সাফল্য কামনা করছি। ছোটো ছোটো ভালো কাজের মাধ্যমেই একটা দেশ সম্পর্কে বিদেশীদের কাছে ইম্প্রেশন গড়ে ওঠে। সময়ের বিচারে এ দেশের বয়স এখনো খুব বেশি না। আশা করি ভবিষ্যতে এ দেশের নাম, ভাবমূর্তি বিদেশীদের কাছে আরো অনেক অনেক উজ্জ্বল হতে থাকবে এবং তা সম্ভব হবে এ দেশের মানুষের দ্বারাই।

চমৎকার কমেন্টটির জন্য ধন্যবাদ রায়হান ভাই।

১১| ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:১৭

অ্যালেকজান্ডার ফ্লেমিং বলেছেন: শেখ হাসিনা, চোরা তারেক ও জামায়াত ইসলামী একই সাথে বিশ্বের কাছে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করেছে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.