নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব,ইইই প্রকৌশলী। মতিঝিল আইডিয়াল, ঢাকা কলেজ, বুয়েট এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্র।টেলিকমিউনিকেশন এক্সপার্ট। Sustainable development activist, writer of technology and infrastructural aspects of socio economy.

এক নিরুদ্দেশ পথিক

সমাজের প্রতিটি ছোট বড় সমস্যার প্রকৃতি নির্ধারণ করা, আমাদের আচার ব্যবহার, সমাজের প্রচলিত কৃষ্টি কালচার, সৃষ্টিশীলতা, চারিত্রিক উদারতা এবং বক্রতা, অপরাধ প্রবৃত্তি, অপরাধ সঙ্ঘঠনের ধাঁচ ইত্যাদির স্থানীয় জ্ঞানের আলোকে সমাজের সমস্যার সমাধান বাতলে দেয়াই অগ্রসর নাগরিকের দায়িত্ব। বাংলাদেশে দুর্নীতি রোধ, প্রাতিষ্ঠানিক শুদ্ধিকরন এবং টেকনোলজির কার্যকরীতার সাথে স্থানীয় অপরাধের জ্ঞান কে সমন্বয় ঘটিয়ে দেশের ছোট বড় সমস্যা সমাধান এর জন্য লিখা লিখি করি। আমার নির্দিষ্ট দৃষ্টিভঙ্গি আছে কিন্তু দলীয় সীমাবদ্ধতা নেই বলেই মনে করি, চোর কে চোর বলার সৎ সাহস আমার আছে বলেই বিশ্বাস করি। রাষ্ট্রের অনৈতিক কাঠামোকে এবং দুর্নীতিবাজদের সবাইকে তীক্ষ্ণ ভাবে চ্যালেঞ্জ করার চেষ্টা করি। রাষ্ট্র কে চ্যালেঞ্জ করতে চাই প্রতিটি অক্ষমতার আর অজ্ঞতার জন্য, তবে আঘাত নয়। ব্যক্তিগত ভাবে নাগরিকের জীবনমান উন্নয়ন কে দেশের ঐক্যের ভিত্তিমূল মনে করি। ডাটাবেইজ এবং টেকনোলজি বেইজড পলিসি দিয়ে সমস্যা সমাধানের প্রোপজাল দেবার চেষ্টা করি। আমি মূলত সাস্টেইন এবল ডেভেলপমেন্ট (টেকসই উন্নয়ন) এর নিরিখে- অবকাঠামো উন্নয়ন এবং ডিজাইন ত্রুটি, কৃষি শিক্ষা খাতে কারিগরি ব্যবস্থাপনা ভিত্তিক সংস্কার, জলবায়ু পরিবর্তন, মাইক্রো ইকনমিক ব্যাপার গুলো, ফিনান্সিয়াল মাইগ্রেশন এইসব ক্রিটিক্যাল ব্যাপার নিয়ে লিখার চেষ্টা করি। মাঝে মাঝে চোরকে চোর বলার জন্য দুর্নিতি নিয়ে লিখি। পেশাঃ প্রকৌশলী, টেকনিক্যাল আর্কিটেক্ট, ভোডাফোন।

এক নিরুদ্দেশ পথিক › বিস্তারিত পোস্টঃ

আদালতঃ অতল দুর্নীতির বেড়াজালে রাষ্ট্রীয় বিবেক

১৪ ই মার্চ, ২০১৪ বিকাল ৪:৫৬



মধ্যবিত্তের জন্য বাংলাদেশের আদালত একটি মূর্তিমান আতঙ্কের নাম, সহায় সম্বল হারানোর এক রাষ্ট্রীয় কলা। গরীবের জন্য আদালতে প্রবেশই সীমিত। বাংলাদেশের নিন্ম আদালতে দেওয়ানী কিংবা ফৌজদারি মামলার রায় হবার বিষয়ে কোনও সময় নির্ধারণের বা সময় ব্যাবস্থাপনার ব্যাপার জড়িত নয়। সুতরাং একটি অনির্দিষ্ট কাল ধরে মামলার আর্থিক বোঝা বইতে হয় নাগরিক কে। সবই উকিল, মোক্তার ও বিচারকের অান্ডার টেবিল সেটিং (পিয়ন, পেশকার, উমেদার এবং জিআরও সেকশনের কনস্টেবল) এর মর্জি আর অর্থ যোগের উপর নির্ভরশীল। আর সুপ্রিম কোর্ট? মামলা করা মানেই লাখ টাকার শ্রাদ্ধ।





আদালত ও দুর্নীতিঃ আমাদের বিচার ব্যবস্থার করুন চিত্র



১ আমাদের আদালতের মানঃ সুনাম বিশ্বব্যাপী বিস্তৃতি লাভ করেছে

ওয়াশিংটনভিত্তিক ওয়ার্ল্ড জাস্টিস প্রজেক্ট প্রকাশিত আইনের শাসনের সূচক-২০১৪ তে ৯৯টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ৯২। ৮টি সূচকের মধ্যে সিভিল (দেওয়ানী) ও ক্রিমিনাল (ফৌজদারি) বিচার ব্যবস্থায় সবচেয়ে নাজুক বাংলাদেশ। বিস্তারিত দেখুন-

Click This Link





২ নিন্ম আদালতের বিচারকি কর্মকাণ্ডঃ বিস্ময়ের মাঝেই লুকিয়ে আছে দুর্নীতির বীজ

ঢাকা জেলা জজ, মহানগর দায়রা জজ, সিএমএম ও চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের প্রায় সব মামলার ক্ষেত্রে আদেশ লিখেন সংশ্লিষ্ট আদালতের পিয়ন, পেশকার, উমেদার, জিআর সেকশনের কনস্টেবল এবং জিআরও। পরে সেসব লিখিত আদেশের নীচে বিচারক কেবল স্বাক্ষর করেন। কোনো কোনো মামলার ক্ষেত্রে শুনানির পূর্বে বিচারকের জন্য শুধু আদেশই লিখে রাখেন না পরবর্তী তারিখও ধার্য করে দেন ওইসব পিয়ন, পেশকার, উমেদার এবং জিআরও সেকশনের কনস্টেবলরা। সংশ্লিষ্ট মামলার অভিযোগে বা আরজিতে কোথায় কী আইনগত ফাঁক আছে, আইনজীবী শুনানিতে কী বলবেন এবং বিচারক ওই বিষয়ে কী আদেশ দিবেন তা কীভাবে ওইসব পিয়ন, পেশকার ও কস্টেবলরা আগে থেকেই জানেন তা রীতিমতো বিস্ময়ের ব্যাপার। বিস্ময়ের মাঝেই লুকিয়ে আছে দুর্নীতির বীজ। বিস্তারিত দেখুন-

http://theholytimes.com/front/viewnews/2870

Click This Link

http://arthosuchak.com/archives/16986



৩ আদালতের ইটও ঘুষ খায়ঃ

সুপ্রিমকোর্টের বিচারপ্রার্থীদের ভোগান্তির শেষ নেই। ফাইল জমা দিতে, শুনানিতে মামলা কার্যতালিকায় নিতে, আদেশের কপি পেতে এমনিভাবে বিভিন্ন হয়রানির শিকার হতে হয়। তেমনি নিন্ম আদালতে প্রচলন আছে যে, কোর্টের ইটও না-কি টাকার জন্য হা করে থাকে।

বিস্তারিত দেখুন-

Click This Link



৪ আদালতের চাকরিঃ ছুটি আর ছুটি। লাট বাহাদুরি।

উচ্চ আদালতে তথাকথিত ঐতিহ্যগতভাবে দীর্ঘ ছুটির রেওয়াজ রয়েছে। শুক্র ও শনিবার আদালতের কোন কার্যক্রম চলে না। সরকারি ছুটির দিনেও আদালতের কার্যক্রম বন্ধ থাকে। প্রতিবছর সুপ্রীম কোর্ট তার নিজের ছুটির তালিকা একটি ক্যালেন্ডারের মাধ্যমে জানিয়ে দেয়। সাধারণত পাঁচ দফায় দীর্ঘ ছুটি হয়:

মার্চের শেষ সপ্তাহ ও এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহ

জুনের শেষ সপ্তাহ ও জুলাই-এর প্রথম সপ্তাহ

আগস্টের শেষ সপ্তাহ ও পুরো সেপ্টেম্বর

অক্টোবরের শেষ দুই সপ্তাহ

ডিসেম্বরের শেষ দুই সপ্তাহ



একদিকে অবকাশ কালীন ছুটি অন্যদিকে অন্তহীন মামলা জট। এর অন্তরালে চলে শুনানি পেছানো আর আইনজীবীর অর্থ যোগের রমরমা ব্যবসা। এটাও কথিত আছে, উকিলের হাতে মক্কেল কম থাকলে বা মামলা কম থাকলে সেই উকিল মামলা শেষ করে না। আমাদের আদালতের এমনই গুনে ভরা সিস্টেম।



৫ হাইকোর্টে আইনজীবি তালিকাভুক্তিঃ নিখাদ দলীয় করন ও ঘুষ বাণিজ্য

অন্তত দুই বছর বাংলাদেশের কোন জেলা জজ আদালতে মামলা পরিচালনা করেছেন এবং জ্যেষ্ঠ আইনজীবির তত্ত্বাবধানে কাজ করেছেন এমন আইনজীবি হাইকোর্টে তালিকাভুক্তির আবেদন করতে পারেন। আইনজীবিদের নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা বার কাউন্সিল লিখিত এবং মৌখিক পরীক্ষার মাধ্যমে তালিকাভুক্তির জন্য বাছাই করে। একটি এনরোলমেন্ট কমিটি মৌখিক পরীক্ষা নেয়। এখানে সদস্য হিসেবে হাইকোর্টের দু’জন বিচারকও থাকেন।



৬ আইনজীবীকে মামলার দায়িত্ব দেয়া: অন্তহীন মহাজনী ব্যাবসা

ওকলাতনামা বা একটি চুক্তিপত্রে সাক্ষরের মাধ্যমে আইনজীবিকে আনুষ্ঠানিকভাবে মামলার দায়িত্ব দিতে হয়। একবার আইনজীবিকে দায়িত্ব দেবার পর তার লিখিত সম্মতি ছাড়া অন্য কোন আইনজীবির মাধ্যমে মামলা পরিচালনার সুযোগ থাকে না।



৭ আগাম জামিনঃ শুধুই বিশিষ্ট জনের (নেতা ও টাকা ওয়ালা দের,মানে চোর, বাটপার দের)। গরিবের ভাত নাই

যদি কোন মামলায় নিম্ন আদালত জামিন দিতে অস্বীকৃতি জানায়, তবে উচ্চ আদালত জামিন আবেদন বিবেচনা করে জামিনের নির্দেশ দিতে পারে। এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট মামলাটি নিম্ন আদালতে চলতে থাকে, যদিও অভিযুক্ত ব্যক্তি জামিনে বেরিয়ে আসার সুযোগ পান। সাধারণত বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ আগাম জামিনের সুবিধা পান। যদি কেউ আশংকা করে যে তার বিরুদ্ধে হয়রানিমূলক মামলা হতে পারে, তবে তিনি আগেভাগেই হাইকোর্টে আগাম জামিনের আবেদন করতে পারেন। হাইকোর্ট গুরুত্ব বুঝে আগাম জামিনের নির্দেশ দিতে পারেন। এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা করা গেলেও ঐ মামলায় তাকে গ্রেফতার করা যায় না।



(এই গুরুত্ব রাজনৈতিক, মাঝে মাঝে আদালত ও গুরুত্ব বুঝে না, তাই সরকারের মন্ত্রী, এম্পি আর সরকার দলীয় চামচা রা এটা বুঝাতে আদালত কে সাহায্য করেন)



৮ আদালত অবমাননাঃ নাগরিক অধিকার হরনের রাষ্ট্রীয় ও অপরাজনৈতিক হাতিয়ার



আমাদের আদালত সকল সমালোচনার উরধে। কথায় কথায় নাগরিকের টুঁটি চেপে ধরা নিত্য নৈমত্তিক ব্যাপার হয়ে দাড়িয়েছে। যে কোন সময়ের বিরোধী মত নিধন উপযুক্ত কৌশল। আদালতের ঘাড়ে চড়ে সরকারে গুলি চালাতে ভালবাসে।



৯ দুদকের মামলাঃ রাজনৈতিক বিবেচনায় অতি সামান্য কিছু দুর্নীতির মামলা হলেও কেউ চোর সাব্যস্ত হয় না, সাজাও পায় না



Click This Link



৯ কোর্মাট ফিঃ মামলা সুরাহার নিশ্চয়তা নাই, কিন্তু ফির বাজারে আগুন



Click This Link

যে দেশে ৬০ ভাগ মানুষের মাথা পিছু আয় ১০ ডুলারের নিচে, যেখানে নুন্যতম মজুরি বলে কোন রাষ্ট্রীয় ধর্তব্য নাই, সেখানে আদালতের ফি এত বেশি হবে কেন। একজন শ্রমিক যে টাকা ২-৩ মাসে আয় করতে পারে না, সেই পরিমান টাকা কেন সুপ্রিম কোর্টের একটি মাত্র রিট এর ফি হবে। এইসব নির্ধারণের মাপকাঠি কি?



১১ নৈতিক স্খলন আর রাজনৈতিক দুরব্রিত্তায়িত আদালত



(ক) টাকা ওয়ালা, ঋণ খেলাপী আর ক্ষমতাশীল দের বিচারের সাহস আদালতের নাই

http://www.priyo.com/2014/03/10/57862.html



সালমানের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির এক ঘণ্টার মধ্যে স্থগিত

১৯৯৬ সালের কৃত্রিমভাবে শেয়ারের দাম বাড়িয়ে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে শত শত কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছিল সালমান এফ রহমানের বেক্সিমকো গ্রুপ। ওই ঘটনায় ১৫টি প্রতিষ্ঠান ও ৩৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছিল। ১৯৯৭ সালে মামলা করার পরের দিনই প্রতিষ্ঠান দু'টির ভাইস চেয়ারম্যান সালমান এফ রহমান উচ্চ আদালত থেকে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন পান। উচ্চ আদালত থেকে তাদের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ গঠন করা যাবে না বলে জানানো হয়।



(খেয়াল করবেন, এটা ১৯৯৬ সালের মামালা, বিগত শেয়ার কেলেঙ্কারির মামলাই হয় নাই বোধ হয়। হলেও বা কি? আমাদের কি লাভ এতে?)



(খ) রাজনৈতিক বিচারের রায় লিখে দিতে পারে আইন মন্ত্রণালয়

Click This Link



নিন্ম আদালতের রায় পরিবর্তনে সরকার আইন পরিবর্তন করে রায় পালটে দিতে পারে! (বিশ্বের বিচার ব্যাবস্থায় এটি অবিশ্বরনীয় ২০১৩, মামলার প্রেক্ষাপট এখানে আলোচ্য নয়, আদালতের প্রতিকৃতি নির্ণয় করতে এটা বুঝা দরকার )



(গ) বিরোধী দমনে সব আমলেই সরকার বিরোধী দের রিমান্ড প্রবনতা বাড়ে। ২০১৩ তে তা সকল রেকর্ড অতিক্রম করেছে।

Click This Link



(ঘ) বিরোধী দের জামিন সরকারের নীতি নির্ধারকরা ঠিক করে দেন,আদালত আজ্ঞা বহ চাকর শুধু।



জামিন ও বিরোধী আন্দোলন পরস্পর সম্পর্কিত।



Click This Link

Click This Link



নাগরিক আন্দোলনে ও নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে আদালত। বুয়েটে আর জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়য়ে (সম্ভভত) দেখেছি। এতেও সরকারের ইচ্ছা প্রতিফলন ঘটেছে। ঠিক যেমন হয়েছে অসহিস্নু , অবিশ্বাস আর লুটপাটের রাজনীতির দেশে নির্বাচন কালীন সরকার কে বাতিল ঘোষণা বিষয়ক অতি উৎসাহী আদেশ। একটি রায় দেশকে রাজনৈতিক রক্ত,কৃষক ও গরিবের হাহাকার আর ব্যবসায়ির আর্তনাদ উপহার দিয়েছে। সামনে আরো দেবার অপেক্ষায় আছে।





(ঙ) মিনিটে একটি আগাম জামিন কীভাবে?



'যে প্রতিকার সমক্ষমতাসম্পন্ন পাঁচটি বেঞ্চ দিতে পারেন, তা আইনজীবীরা কেন একটি বিশেষ আদালতের কাছ থেকে নিতে ছোটেন? এর উত্তর আমরা কার কাছ থেকে পাব?'

Click This Link



(চ) মন্ত্রী নির্ধারণ করে দিতে পারেন কোন মামালার শুনানি হবে



Click This Link



""অপ্রত্যাশিত ভাবে বেঞ্চের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি বলে ওঠেন, একজন মন্ত্রী ফোন করেছিলেন এ মামলায়। এ অবস্থায় এ মামলাটির শুনানি গ্রহণে ইচ্ছুক নই আমরা।""



(ছ) মামলার নথি গায়েবঃ নৈমিত্তিক ব্যপার



মামলার নথি গায়েব নৈমিত্তিক ব্যপার হয়ে দাড়িয়েছে। নথি খুঁজে না পাওয়ায় অনেকে নারাজী দাখিল কিংবা রিভিশন বা রিভিউ আবেদন করতে পারেন না। একপক্ষের কাছ থেকে টাকা নিয়ে অন্যপক্ষকে ঘায়েল করার জন্যই এসব করা হয়ে থাকে। সর্বোচ্চ আঠারো মাস পর্যন্ত ঢাকার সিএমএম আদালতে নথি লুকিয়ে রাখার মতো ঘটনারও প্রমাণ আছে। পরে বাধ্য হয়ে ঢাকার সিএমএম’র সাহায্য নিয়ে নথি বের করতে হয়েছে সংশ্লিষ্ট মামলার আইনজীবীকে।

http://theholytimes.com/front/viewnews/2870



১১ মাসদার হোসেন মামলার রায়ঃ নিন্ম আদালতের স্বাধীনতা



নিন্ম আদালতের অর্জিত স্বাধীনতার প্রায়োগিক দিক কি আজ পরিলক্ষিত হয়েছে? একটি বিষয়েও কি দেখা গেসে যে আদালত নির্বাহী বিভাগ কে পরোয়া না করে বা রাজনৈতিক দুরব্রিত্ত্ব দের উপেক্ষা করে স্বাধীন ভাবে কাজ করার প্রদত্ত্ব ক্ষমতা কাজে লাগিয়েছে?



নাকি এইসব স্বাধীনতা কে ওভার রুল করার এখতিয়ার উচ্চ আদালত কে দিয়ে রাখা ইচ্ছে করে, যখন খুশি, যেখানে খুশি হস্ত ক্ষেপ করার জন্য।



আমরা আরো দেখেছি, নির্বাহী বিভাগের ক্ষমতা বলয়ের বাইরে থেকে স্বাধীন ভাবে বা ন্যায় নিষ্ঠ ভাবে কাজ করার চাইতে আমাদের আদালতের অধিক আগ্রহ পৃথক মজুরি কাঠামো নিয়ে। অভ্যন্তরীণ দুর্নীতি নির্মূলের প্রকল্প না থাকা প্রথিস্থানের পৃথক মুজরি কাঠামো এর ভিতরের মানুষদের কিভাবে ঘুষ ভিত্তিক এই উপরি আয় থেকে বিরত রাখবে?





১২ আদালতের দুর্নীতি রোধে কতিপয় দাবীঃ



(১) আদালতে সকল ধরনের রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ, নিয়োগ, চাপ বন্ধ করতে হবে। নির্বাহী বিভাগ কে সম্পূর্ণ বিচার বিভাগ থেকে আলাদা করতে হবে।

(২) দলীয় বিবেচনায় বিচারক নিয়োগ, ঘুষ বানিজ্যের মাধ্যমে মেধাহীন বিচারক নিয়োগ বন্ধ করতে হবে।

(৩) উচ্চ ও নিন্ম আদালতের প্রতিটি ধাপকে সময় মাফিক নিরধারন করে দিতে হিবে। একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে মারমার কার্যক্রম সম্পন্নের বাধ্যবাধকতা থাকতে হবে।

(৪) সকল দাপ্তরিক কাজ কম্পুটারাইজড করতে হবে জাতে পাই পেয়াদা, পিয়ন, পেশকার, উমেদার, জিআর সেকশনের কনস্টেবল এবং জিআরও এদের দৌরাত্ব কমে। একটি নির্দিষ্ট টিম কম্পুটারাইজড রায় লিখবে, তাদের কর্মকাণ্ড জবাবদিহিতার মধ্য দিয়ে মনিটর করা হবে।

(৫) সকল আদালতের ফি মধ্যবিত্ত্ব ও নিন্ম বিত্তের সাধ্যে আনতে হবে।

(৬) রেজিস্টার্ড আইনজীবী ব্যবহারের বাধ্যবাধকতা শিথিল করতে হবে

(৭) বাংলাদেশের উচ্চ আদালতের তথাকথিত ঐতিহ্যগতভাবে দীর্ঘ ছুটির রেওয়াজ বাতিল করে সেটা প্রজাতন্ত্রের সাধারণ ছুটির সাথে সামাঞ্জস্য পূর্ণ করতে হবে। অবকাশের নামে মামলা জট বাড়ানোর দায় আদালত কে নিতে হবে।

(৮) পিয়ন, পেশকার, উমেদার, জিআরও সেকশনের কনস্টেবল মোক্তার এবং উকিল দের সাথে বিচারকের অনৈতিক আর্থিক লেনদেন (ঘুষের) প্রতিটি অভিযোগ আমলে নিয়ে শাস্তির আওতায় আনতে হবে।

(৯) প্রতিটি মামলায় রায় কে মান গত দিক থেকে পারফরম্যান্স ইন্ডক্সে এনে তার উপর ভিত্তি করে বিচারকের পদন্নোতি দিতে হবে।

(বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক আইনজীবি সমিতির দাবীনামা)

(১০) দলীয় সংকীর্ণ আনুগত্তের পরিবর্তে অভিজ্ঞতা সততা মেধা মানবিক গুনাবলিসম্পন্য সুপ্রিম কোর্টের প্রদত্ত নির্দেশনার আলোকে বিচারক নিয়োগ দিতে হবে।

(১১)রাষ্ট্রের আইন কর্মকর্তা নিয়োগের ক্ষেত্রে এটর্নী সার্ভিস কমিসন গঠন করে বিধিমালা প্রনয়ণ করতঃ উপযুক্ত ব্যক্তিদের এএজি ও জিএজি নিয়োগ দিতে হবে।

(১২) প্রাক্তন ও বর্তমান মন্ত্রী, এমপি ও প্রভাবশালী রানৈতিক নেতৃবৃন্দসহ তাদের সন্তানদেরকে অনৈতিক সুবিধা প্রদানের মাধ্যমে উচ্চতর আদালতে বিচার কার্যকে কুলষিত করণ বন্ধ করতে হবে।

(১৩) উচ্চতর আদালতের বিচার কাজে কতিপয় আইনজীবি ব্যক্তিদের নিকট সিন্ডিকেট বানিজ্য রোধ আইনের আওতায় এনে আদালত অঙ্গনে অবাঞ্চিত ঘোষণা করতে হবে।

(১৪) কতিপয় বেঞ্চ কর্মকর্তা কর্মচারীদের অনৈতিক লেন-দেন উচ্চতর আদালতের ভাবমুর্তি বিপর্যের সম্মখীন জরুরী ভাবে বন্ধ করতে হবে। দুষি ব্যক্তিদের অনত ৬ মাসের অন্তর অন্তর অন্যবেঞ্চে বদলি করতে হবে, প্রয়োজনে চাকরি থেকে অব্যহতি দিতে হবে।

(১৫) বেঞ্চ ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে বিচার পতিদের কঠর ভূমিকা রাখতে হবে। মোশন ও মেনশন স্লিপ তারিখ ক্রমানুসারে সপ্তাহে কার্যতালিকা ভূক্ত করতে হবে।

(১৬) সেকশন কর্মকর্তা কর্মচারীদের টাকা না দিলে সেকশন হইতে ফাইল আদালতে যায় না। ইহার প্রতিকারসহ মামলা দায়ের ও এফিডেভিটসহ সকল ক্ষেত্রে দুর্নীতির আইনগত ভাবে শাস্তির বিধান করতে হবে।

(১৭) আদর্শ রায়ের কাজ সম্পন্ন করতে বিলম্ব পরিহার করতে হবে। রুল জারি আদেশের অন্তরবর্তী কালীন মামলার নিস্পতির মেয়াতকালীন বিধান দিতে হবে।

(১৮) বিচারাধীন ফৌজদারী আপিলের জামিনের আবেদন পত্রসহ সকল মামলা দ্রুত নিষ্পত্তির ব্যবস্থা নিতে হবে।

(১৯) মামলার নথি গায়েব নৈমিত্তিক ব্যপার হয়ে দাড়িয়েছে। ইহা রোধ করতে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

(২০) মামলা দ্রুত নিষ্পত্তির লক্ষ্যে শুনানির দিন ধার্যের জন্য সময় মেনশন স্লিপ দিতে হবে।

(২১) আপিল বিভাগের প্রতি আবেদনের জন্য ২০০০ টাকা প্রদানের বিধান বাতিল করতে হবে।



Click This Link









আদালত স্বাধীন কিনা, এই প্রশ্ন তোলা বা এই আলোচনা করা আজ বড়ই বিব্রতকর কথা হয়ে দাঁড়াবে। আদালতের অভ্যন্তরীণ ভেজালে ভরা চোর আর বাটপার নিয়ন্ত্রিত কাঠামো, পরতে পরতে দুর্নীতির উপাখ্যান একে সম্মিলিত ভাবে একটি ঘুষ দুর্নীতির আখড়া হিসেবে দাঁড় করিয়েছে। তার উপর যোগ দিয়েছে জটিল আর কুটিল আমলাতান্ত্রিক অব্যবস্থাপনা, আমাদের আদালতে টেকনলজির কোনও ব্যবহার নাই সম্ভভত প্রিন্ট করা ও ওয়েব সাইটে কিছু তথ্য প্রদান ছাড়া। ই ম্যনেজমেন্ট এর কিছু এতে আসে নাই বা আসতে দেয়া হয় নাই। সুতরাং আদালত নিজে স্বাধীন হতে চায় কিনা বা রাজনৈতিক প্রভাব মুক্ত হতে চায় কিনা সেটাই মৌলিক প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে। কিংবা আরো গুরতর প্রশ্ন, আমাদের আদালতের স্বাধীন রাষ্ট্রীয় সত্তা হিসেবে আবির্ভূত হবার যোগ্যতা আদৌ আছে কিনা? স্বাধীনতার ৪২ বৎসর পরে এই ধরনের আলোচনা একজন নাগরিক হিসেবে বড়ই লজ্জার, অপমান আর গ্লানির। এর উত্তর আর যাই হোক, নাগরিক মুক্তির স্বপ্ন কে রাষ্ট্রের সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভের এই দুরাবস্থা শুধুই অস্পষ্ট করবে। এর তাৎপর্য এই যে আমার প্রিয় দেশের একটি সত্যিকার রাষ্ট্র হয়ে আবির্ভূত হবার যাত্রা শুধুই বিলম্বিত আর বিলম্বিত হচ্ছে।



""আমাদের বিবেকের আদালত যত দিন নিষ্ক্রিয় থাকবে, রাষ্ট্রের নামধারী আদালত ততদিন নাগরিক লাঞ্ছনার হাতিয়ার হয়ে অত্যাচারী ও লুণ্ঠনকারী শাসক চক্র, দুর্নীতিবাজ কর্মচারী আর কর্মকর্তা, চোর ডাকাত, বিত্ত্বশালী আর দালাল প্রঠিস্থানের স্বার্থের সুরক্ষা দিবে।""



"পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ আদালত মানুষের বিবেক"। নিজ নিজ বিবেকের কাছে দায়বদ্ধ হওয়াই এই সময়ের কর্তব্য।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.