নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব,ইইই প্রকৌশলী। মতিঝিল আইডিয়াল, ঢাকা কলেজ, বুয়েট এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্র।টেলিকমিউনিকেশন এক্সপার্ট। Sustainable development activist, writer of technology and infrastructural aspects of socio economy.

এক নিরুদ্দেশ পথিক

সমাজের প্রতিটি ছোট বড় সমস্যার প্রকৃতি নির্ধারণ করা, আমাদের আচার ব্যবহার, সমাজের প্রচলিত কৃষ্টি কালচার, সৃষ্টিশীলতা, চারিত্রিক উদারতা এবং বক্রতা, অপরাধ প্রবৃত্তি, অপরাধ সঙ্ঘঠনের ধাঁচ ইত্যাদির স্থানীয় জ্ঞানের আলোকে সমাজের সমস্যার সমাধান বাতলে দেয়াই অগ্রসর নাগরিকের দায়িত্ব। বাংলাদেশে দুর্নীতি রোধ, প্রাতিষ্ঠানিক শুদ্ধিকরন এবং টেকনোলজির কার্যকরীতার সাথে স্থানীয় অপরাধের জ্ঞান কে সমন্বয় ঘটিয়ে দেশের ছোট বড় সমস্যা সমাধান এর জন্য লিখা লিখি করি। আমার নির্দিষ্ট দৃষ্টিভঙ্গি আছে কিন্তু দলীয় সীমাবদ্ধতা নেই বলেই মনে করি, চোর কে চোর বলার সৎ সাহস আমার আছে বলেই বিশ্বাস করি। রাষ্ট্রের অনৈতিক কাঠামোকে এবং দুর্নীতিবাজদের সবাইকে তীক্ষ্ণ ভাবে চ্যালেঞ্জ করার চেষ্টা করি। রাষ্ট্র কে চ্যালেঞ্জ করতে চাই প্রতিটি অক্ষমতার আর অজ্ঞতার জন্য, তবে আঘাত নয়। ব্যক্তিগত ভাবে নাগরিকের জীবনমান উন্নয়ন কে দেশের ঐক্যের ভিত্তিমূল মনে করি। ডাটাবেইজ এবং টেকনোলজি বেইজড পলিসি দিয়ে সমস্যা সমাধানের প্রোপজাল দেবার চেষ্টা করি। আমি মূলত সাস্টেইন এবল ডেভেলপমেন্ট (টেকসই উন্নয়ন) এর নিরিখে- অবকাঠামো উন্নয়ন এবং ডিজাইন ত্রুটি, কৃষি শিক্ষা খাতে কারিগরি ব্যবস্থাপনা ভিত্তিক সংস্কার, জলবায়ু পরিবর্তন, মাইক্রো ইকনমিক ব্যাপার গুলো, ফিনান্সিয়াল মাইগ্রেশন এইসব ক্রিটিক্যাল ব্যাপার নিয়ে লিখার চেষ্টা করি। মাঝে মাঝে চোরকে চোর বলার জন্য দুর্নিতি নিয়ে লিখি। পেশাঃ প্রকৌশলী, টেকনিক্যাল আর্কিটেক্ট, ভোডাফোন।

এক নিরুদ্দেশ পথিক › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাংলাদেশের কৃষি ও খাদ্য নিরাপত্তা

১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৩:৩২

(নোটঃ কিছুটা বড় পোষ্ট। তবে কানেক্টেড রাখার চেষ্টা করেছি। আশা করি ওর্থ রিডিং হিসেবে পাবেন।)

জলবায়ু পরিবর্তন, ঋতু বৈচিত্রের ক্রমবর্ধমান ভারসাম্যহীনতা, অনিয়মিত বৃষ্টি (অতিবৃষ্টি কিংবা অনাবৃষ্টি), শক্তিমান দেশ সমূহের তৈরী ফারাক্কা রূপী মরণফাঁদ, আন্তর্জাতিক নদ নদীর পানি প্রত্যাহার ও প্রবাহ পথের পরিবর্তন , উৎস থেকে প্রাকৃতিক পানি প্রবাহ হ্রাস, পলি পতন আর কূলের ভাঙ্গন জনিত নাব্যতা হ্রাস, অতিমাত্রায় ব্যবহারের কারণে ভূগর্ভস্থ প্রাকৃতিক পানির উৎসের গভীরতা বৃদ্ধি, সর্বোপরি সমতলের সাধু পানি অঞ্চলে সাগরের লবণাক্ত পানির আগ্রাসন ইত্যাদি ইত্যাদি বহুবিধ কারণে বাংলাদেশের কৃষক দিন দিন পানি হারা হয়ে পড়ছেন। ফসলের মৌসুমে চারদিকে পানির হাহাকার সুতীব্র হচ্ছে।

এমতাবস্থায় ধান গবেষণা প্রঠিস্থান "ইরি" ও "বিরি" পানি সাশ্রয়ী ও লবনাক্ততা সহনশীল ধানের জাত উৎপাদন করে দেশের অর্থনীতিতে এবং খাদ্য নিরাপত্তায় অসামান্য অবদান রেখে চলেছেন। এই গবেষণা কর্মটিকে রাষ্ট্রীয় ভাবে অসীম সম্মানে সিক্ত করা খুবই প্রয়োজন।

পরিবর্তিত জলবায়ুর অনিরাপদ বিশ্বে খাদ্য নিরাপত্তার ভবিষ্যৎ চ্যালেঞ্জ গুলো মোকাবেলায় আমাদের এখন থেকেই বহুবিদ পরিকল্পনা হাতে নেয়া জরুরী হয়ে দাঁড়িয়েছে। আলোচ্য বিষয়ের শুধু একটি মাত্র হতে পারে এমন যে "আমরা আমাদের খাদ্যাভ্যাস কে ধীরে ধীরে কিন্তু কার্যকর ভাবে পরিবর্তন করব যেখানে পানি নির্ভরতা ধীরে ধীরে কমে আসে "

আলোচনার গভীরে আসলেই ধান প্রসঙ্গ আসবে। ধান চাষ অতিমাত্রায় পানি নির্ভর। সুতরাং ভাত প্রধান জাতি সমূহ খাদ্য নিরাপত্তার অন্যতম শিকার হবে। এটা এমন এক ফসল যেখানে স্থির কিংবা বদ্ধ পানি আবাশ্যক। এটাই প্রধান সমস্যা। আজ থেকে ৫০ বৎসর পর এত বিপুল পরিমাণ ধান উৎপাদনের পানি আসবে কোথা থেকে? সেই সময়ের চাহিদার একটা ট্রেন্ড বের করা সম্ভভ হলেও জমির ক্রমবর্ধমান অনুর্বরতা, নদীর এবং ভূগর্ভস্থ পানির স্তর হ্রাস এবং কেমিক্যাল নির্ভরতার কারনে উৎপাদন কেমন হবে সেই ট্রেন্ড বের করা অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে!

উন্নত বিশ্ব বহু আগে থেকেই ধান চাষকে নিরুৎসাহিত করে গম, আলু, জব, ভুট্রা বা অন্যান্য কর্ণ ইত্যাদিকে প্রধান খাদ্য তালিকায় ঠাই দিয়েছে, এটা যেমন হয়েছে প্রাকৃতিক ভাবে তেমনি হয়েছে বহু বছরের সুনিয়ন্ত্রিত কর্মসূচীর মাধ্যমে।

ঠিক যেভাবে ইরি বিরি এবং বারি ধানের উপর উচ্চমান গবেষণা চালিয়ে উফশী এবং লবনক্ততা সহায়ক জাত বের করেছে, কিংবা গাছের দৈর্ঘ্য ছোট করে পানি নির্ভরতা কিছুটা কমিয়েছে, একইভাবে গম সহ অন্যান্য সামান্য পানিনির্ভর শস্যের উপর মৌলিক গবেষণা করা দরকার হয়েছে যাতে তুলনামূলক কম শীতেও (বা নাতিদীর্ঘ শীতকালীন সময়ে) বাংলাদেশের মাটির অণুজীব এবং উর্বরতার নিরিখে ভালো ফলন পাওয়া যায়।

বাংলাদেশ এর বিবিধ কৃষি প্রসঙ্গঃ
এই তিন দশক আগেও আমাদের দেশে শীতকালীন ফসল হিসেবে ব্যাপক ভাবে গম, কাঊন, ভুট্রা, বিভিন্ন ডাল বীজ (হেলেন, মটর, খেসারি, মুগ) ইত্যাদি আবাদ হতো যার প্রত্যেকটিই প্রধান খাদ্য তালিকায় আসার উপযুক্ত দাবিদার। আর এই সবগুলো ফসল অতি সামান্য পানি নির্ভর, গবেষণার মাধ্যমে যাকে আরো উন্নত করা সম্ভভ ছিল এবং আছে।

কিন্তু সার্বিক অবহেলায় আর দূরদৃষ্টির অভাবে প্রত্যেকটি ফসল ই আমরা হারিয়েছি, অতি আশার কথা যে আমরা বিনিময়ে আলু ফসল পেয়েছি যা আরেকটি পানি সাশ্রয়ী ফলন।


সরকারীভাবে কিছু প্রণোদনা এই প্রাপ্তির পেছনে অনস্বীকার্য অবদান রেখেছে, তেমনি আমাদের কৃষকরা আলুকে অর্থকরী ফসল আর খাদ্য দুটি পর্যায়েই আদৃত করেছেন। তাই সামাজিক আন্দোলন এর এই শ্লোগান "বেশি করে আলু খান, ভাতের উপর চাপ কমান" একটি নীরব সবুজ বিপ্লবে রূপান্তরিত হয়েছে। আবারো বলছি, সরকার গুলোর ভুমিকাকে আমি অত্যন্ত সম্মানের চোখে বিবেচনা করি।

তবে কথা থেকে যায়, আলু কেন্দ্রিক সবুজ কৃষি বিপ্লবের সুদীর্ঘ তিন দশক পর আজ আবার আমাদের প্রাপ্তির হালখাতা খুলে বসার খুব খুব প্রয়োজন,

ক। আমরাকি চাহিদার সাথে সামাঞ্জস্য রেখে উৎপাদন করছি? খ। কৃষকের ঘাম ঝরানো উৎপাদনের আর্থিক মুল্য নিশ্চিত করছি? গ। উন্নততর প্রজাতির আলু উৎপাদন করে আন্তর্জাতিক বাজার খুজেছি? ঘ। আলু সংরক্ষণের জন্য পর্যাপ্ত কোল্ড স্টোরেজ তৈরি করেছি? ঙ। উৎপাদন মৌসুমে (হারভেস্ট) কৃষকের উৎপাদিত পণ্যের নিরাপত্তা মজুদ কিংবা বাজার মুল্যে দিয়েছি?

এই মৌলিক প্রশ্ন গুলো সম্পূরক ভাবে প্রধান প্রধান সব ফসলের দৃষ্টিকোণ থেকে আসতে পারে। শুধু আলু নয় ফলন মৌসুমে ধানের জন্যও উপরের প্রশ্ন গুলার উত্তর খোঁজা জরুরী। একটি পণ্যের বাজার সূচনা করে বসে থাকলে হবে না তার বিকাশ নিশ্চিত করা সূচনা অপেক্ষা জরুরী। এটা বাজার অর্থনীতিরও একটি উপাদান।

আজ আমাদের কৃষকের সামনে ভায়াবহ বিভীষিকা। ৮-৯ টাকা উৎপাদন খরচের আলুর বাজার মুল্য কৃষকের হাতে ভরা মৌসুমে (সোর্স এন্ড) ৩-৪ টাকা, এটা সামান্য একটা ভয়াবহতা নয়, এরও নীচে যদি কিছু থাকে, তারও নিচের বিষয়। এই অবস্থা উন্নত বিশ্বে হলে বহু কৃষক আত্মহত্যা করতেন। হাঁ ব্যাপারটি সেই রকমের ভয়াবহ। এভাবে আমরা ফলন মৌসুমে ধান চাষিদেরও নিরাপত্তা হীন করেছি। এর কুফল সামনে আসছে। সহজ কথায় এভাবে খামখেয়ালীপনা আর অবহেলায় আমাদের কৃষির মেরুদণ্ড ভেঙ্গে যাচ্ছে। জটিল থেকে জটিলতর হচ্ছে আমাদের খাদ্য নিরাপত্তার ভবিষ্যৎ।

বাজার চাহিদা এবং রপ্তানীর সম্ভাবনার সাথে সামাঞ্জাস্য রেখে ফসল উৎপাদনের টার্গেট নির্ধারণ, কৃষককে বীজ নিরাপত্তা, সেচ ও সারের নিশ্চয়তা দান এবং উৎপাদিত ফসলের নুন্যতম দাম নির্ধারিত ন্যায্য লভাংশ্য সহ নিশ্চিত করা, মধ্য সত্ত্ব ভোগীদের দৌরাত্ত্ব কমানো, মজুদকরন আর পণ্য পরিবহন সহজীকরন আজকের জরুরী কাজ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এর বাইরে আছে বীজ নিরাপত্তা, অতিমাত্রয় কীটনাশক ব্যবহারের চাকচিক্যময় আগ্রাসন রোধ, জৈব সারের সুলভতা নিশ্চিত করন, জিএমও জাতের ফলন বিনা নিরীক্ষায় অথবা স্বল্প মেয়াদী নিরীক্ষায় অনুপ্রবেশ ঠেকানো (এতে কৃষক বীজের জন্য এনজিও নির্ভরতা বাড়ছে, উৎপাদন খরচ বাড়ছে এবং দেশীয় ফলনে ডিস্কন্টিনিউটির জন্য দেশীয় প্রজাতি হারিয়ে যাচ্ছে)।

বাজার চাহিদা নির্ণয়ের ব্যাপারটি আসলেই সরকার ও সরকারী প্রতিষ্ঠান সমূহের অনেক অনেক দায়িত্ব ও করণীয় চলে আসে। এটা একটা ব্যাপকতর কাজ। কৃষক, তার সামর্থ্য, বিভিন্ন ফসলের উৎপাদনের মাত্রা ও প্রয়োজনীয়তা, সংরক্ষণের সক্ষমতা ইত্যাদি বহু সম্পূরক বিষয় নিয়ে কাজ করতে হবে। এতে করে একটি ফসলের সারপ্লাস হয়ে যাওয়া কমবে, বর্ষা ও বন্যা মৌসুমে অন্য ফলনের আমদানি নির্ভরতা কমবে। একটি উদাহরন হতে পারে আলু ও পিঁয়াজ। শীত মৌসুমে উৎপাদিত পন্য হলেও একদিকে একটির বাম্পার ফলন হচ্ছে যাকে অবকাঠামোর (কোল্ড স্টোরেজ, সংখ্যায় এবং লোকেশন ভিত্তিক ) অভাবে সংরক্ষণ করা সম্ভভ হচ্ছে না। অন্যদিকে আমাদের পিঁয়াজ উৎপাদন প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল, বিশেষ কারনে অনুৎসাহিত বটে এবং পিঁয়াজ আমদানিতে আমাদের একটি ভালো পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা ব্যয় হয়ে যাচ্ছে।

অর্থাৎ আমরা বলছি একটি সমন্বিত ফলন সহায়ক কৃষি পরিকল্পনা এবং পরিবেশ তৈরি করতে হবে, জাতে বাজার চাহিদা ফোরকাস্ট করে শস্য উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হবে। কৃষক নিজ নিজ স্তানীয় কৃষি অফিসে নিজের ফলনের রকমভেদ, আবাদক্রিত জমি এবং আনুমানিক উতপাদনের আভাস রেজিস্ট্রার করবেন। বাজার চাহিদা ফোরকাস্ট অনুযায়ী আঞ্চলিক কৃষি অফিস সেটা উৎসাহিত বা অনুৎসাহিত করবে। এতে করে ফলনের উতপাদনে বৈচিত্র্য আসবে, বিশেষ ফলনের সারপ্লাস হবে না। এর অন্য একটি গুরুত্ব পূর্ণ দিক হোল, এটা কৃষি খাতে অবকাঠামো উন্নয়নে ইনভেস্ট করা শিল্পপতি দের স্বার্থ সংরক্ষণ করবে। উদাহরন হলো, কোল্ড স্টোরেজ ম্যানেজমেন্ট ইফিশিয়েন্ট হবে। পূর্বের বৎসরের অতিরিক্ত পন্যের খালাশ না হবার কারনে নতুন বৎসরে স্টোরেজ মালিকের ব্যবসায়িক ক্ষতি হবে না। অন্য একটি দিক হলো ট্রান্সপোর্ট (পরিবহন) চাহিদা নির্ধারন এবং অপ্রয়োজনীয় ট্রান্সপোর্টেশন রোধ। মানে হোল একদিকে অপ্রয়োজনীয় অধিক ফলন নিরুৎসাহিত হবে, অন্যদিকে গুরুত্ব পূর্ণ বিশেষ ফলনের উপর কৃষক মনোযোগ হাবে না, সেই সাথে কৃষি অবকাঠমো উন্নয়েনে বিনিয়োগ ক্রমবর্ধমান হারে বাড়বে।

খাদ্য নিরাপত্তার অতি আবশ্যকীয় অন্য একটি দিক হলো কৃষি জমির মান সংরক্ষণ।
মানসম্পন্ন ও মানহীন উভয় প্রকারের কীটনাশক আর গুনাগুন সম্পন্ন কিংবা গুনাগুণ শূন্য রাসায়নিক সারের ব্যাপক হারে ব্যবহারের ফলে আবাদী জমি তার উৎপাদন সক্ষমতা হারিয়ে ফেলছে। সুতরাং আমাদেরকে রাসায়নিক ও জৈব সারের মধ্যকার সামঞ্জস্য নির্ণয় করতে হবে। অত্যন্ত কঠোর ভাবে গুনাগুণ হীন অথবা ক্ষতিকর রাসায়নিক সার ও কীটনাশক বিপনন নিয়ন্ত্রন করতে হবে। এই কাজটি সরকারকে অত্যন্ত যত্ন সহকারে পালন করতে হবে। এখানে একদিকে যেমন গবেষণা মুলক কর্ম (সঠিক স্থানে অর্থ বরাদ্দ প্রদান, উৎসাহ দান, রোডম্যাপ তৈরি) করতে হবে তেমনি নিয়ন্ত্রন মূলক পদক্ষেপও নিতে হবে। সেই সাথে কৃষকের আঞ্চলিক বা মৌসুমি সমস্যা গুলি (বিশেষ রোগের বা কীট পতঙ্গের প্রাদুর্ভাব) যত্ন সহকারে আমলে আনতে হবে। সময়মত ও প্রয়োজনমত রাসায়নিক ও জৈব সার উৎপাদন আর এর বিতরন নিশ্চিত করতে হবে।

কীটনাশক ব্যবস্থপনার উচ্চতর ধাপে গিয়ে এটিকে সঙ্কুচিত করে আনতে হবে। উচ্চ মাত্রার কীটনাশক একদিকে যেমন ক্ষতিকর পতঙ্গ দমন করে তেমনি কিছু পতঙ্গ প্রজাতিকে প্রতিরোধী হয়ে উঠতে সাহায্য করে। অর্থাৎ এর মাধ্যমে কৃষক একটি অনন্ত চক্রে পড়ে যান, যাতে তাঁকে বছর বছর উন্নততর কীটনাশক ব্যবহারের উপর নিরভরশীল হয়ে পড়তে হয়। এটি কৃষি বিপনন কোম্পানি গুলোর ক্রমবর্ধমান প্রসারতার হেতু। খাদ্য নিরাপত্তার অতি উচ্চতর ধাপে আমাদের এই সূক্ষ্ম ব্যাপার গুলো নিয়ে বিস্তারিত পরিকল্পনা নিয়ে আসতে হবে যেটা কিনা জৈব ব্যাবস্থপনাকে কৃষক আর কৃষি জমির মান সংরক্ষণের অনুকূলে নিয়ে আসবে।

খাদ্য নিরাপত্তার পরবর্তী ধাপে গিয়ে জেনেটিকালি মডিফাইড ফলনের জাতকে নিয়ন্ত্রিত করতে হবে কিংবা এইসব জাতের অনুপ্রবেশকে সার্বিক ভাবে বাঁধাগ্রস্ত করতে হবে , যাতে এর প্রভাব কীট পতঙ্গের জীবন চক্র, প্রাসঙ্গিক জৈব অনুষঙ্গ, এবং প্রাকৃতিক খাদ্য চক্রের ব্যাল্যান্সকে ধ্বংস করে না দেয়। এই ভাবে অতিরিক্ত ফলন সহায়ক সার ও কীটনাশক ও অতি দীর্ঘ মেয়াদী গবেষণা করে উপযোগীতা নির্ণয় সাপেক্ষেই শুধুমাত্র বাজারজাতের অনমুতি দিতে হবে। এই ধরনের গবেষণা সুবিধা এবং কাঠামো উভয়ই আমাদের অপ্রতুল।

তারপর আসবে দূরদৃষ্টি সম্পন্ন পরিকল্পনা সমূহ, যেমন খাদ্যাভ্যাসকে পরিকল্পিত ভাবে নিয়ন্ত্রন করে এর প্রকৃতি পরিবর্তন করার সুদূরপ্রসারী এবং বুদ্ধি ভিত্তিক ব্যাপার যার মাধ্যমে ধীরে ধীরে পানি সাশ্রয়ী ফসল গুলোকে (যেমন, গম, আলু, ভুট্রা, কাউন ইত্যাদি ) প্রধান খাদ্য তালিকায় নিয়ে আসা যায়। এক্ষেত্রে শিক্ষক, নিট্রিউশন এক্সপার্ট, ডাক্তার এবং কৃষি বিজ্ঞানীদের কার্জকর ইন্টেলেকচুয়াল ভূমিকা রাখতে হবে। মোদ্দাকথা হলো আমাদেরকে খাদ্য নিরাপত্তার কার্যকর পর্যায়ে পৌঁছাতে হলে ধানের উপর নির্ভরতা কমাতে হবে, চাষাবাদে পানি বান্ধব প্রযুক্তি উদ্ভাবন আর তার ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে।

খাদ্য নিরাপত্তার অন্য একটি বিষয় হলো কৃষককে প্রয়োজনীয় প্রধান প্রধান শস্যের ফলন গুলোর সাথে বছর বছর সম্পৃক্ত রাখা। একটি নতুন ফলনকে রাষ্ট্রীয় উৎসাহ আর প্রথম দিককার আর্থিক প্রণোদনার বলয়ে রেখে বিকশিত করা সম্ভব (যেমনটি আলুর ক্ষেত্রে হয়েছে বাংলাদেশে গত দশক গুলতে) কিন্তু সেই ফলনটিই যদি প্রত্যক্ষ পরোক্ষ ( প্যাসিভ ) সমস্যার কারণে কৃষকের মন থেকে উঠে যায় তাকে ফিরিয়ে আনা একবারেই অসম্ভব হয়ে দাঁড়ায়। বাংলাদেশে যেমনটি হয়েছে গম ফসলের বেলায়, যেটি কিনা অত্যন্ত পানি সাশ্রয়ী। বাংলাদেশে আজ কৃষকের সরাসরি সমস্যা গুলোর তালিকাই অনেক দীর্ঘ, এর সাথে যোগ হয়েছে প্যাসিভ সমস্যা যেমন-১। পণ্যের মুল্যের তুলনায় তার পরিবহন খরচ বেশি। ২। পরিবহনের সময়,পন্য পরিবহনের পিছনে কৃষকের শ্রম ঘন্টা্র অপচয়। ৩। লজ্জাকর চাঁদাবাজি (কৃষি পন্য উৎপাদনে আর তার পরিবহনে চাঁদাবাজি...কৃষিতে বেসরকারি অবকাঠামো নির্মাতাদের লোকসান (গুদামজাত ফসলের বাজারমূল্য পরিবহন খরচের তুলনায় কম তাই পন্য খালাস হচ্ছে না, নতুন গুদাম বিঘ্নিত হচ্ছে)। ৫। উৎপাদনকারী চাষির তুলনায় মধ্য সত্ত্ব ভোগী দালালদের লভাংশ বেশি। ৬। সার, বীজ, শ্রমিক, সেচ, কীটনাশকের দাম এর অনিয়ন্ত্রিত বৃদ্ধি। ৭। নিম্ম মুল্যের কারণে সৃষ্ট অপরিশোধিত কৃষি ঋণের দায়ভার ইত্যাদি ইত্যাদি।

সুতরাং দীর্ঘ মেয়াদে একটি পানি বান্ধব ফলন পরিকল্পনা গুলো বাস্তবায়ন করতে চাইলে প্রত্যক্ষ পরোক্ষ সমস্যা সমাধান করে কৃষককে প্রধান প্রধান শস্যের ফলন গুলোর সাথে বছর বছর সম্পৃক্ত রাখা জরুরী।

এভাবে পর্যায়ক্রমে আলোকপাত করতে হবে কৃষি ভূমি সংরক্ষণের উপরও। ক্রমবর্ধমান জনবসতির চাপ আর শিল্প বিকাশের ফলে কৃষক আবাদ যোগ্য ভূমি হারাচ্ছেন, কৃষি উতপাদনে যার প্রভাব খুবই নেগেটিভ। কৃষি ভূমি সমীক্ষা করে সংরক্ষণ দরকার। কৃষি ভূমি সংরক্ষণের বিপরীতে শিল্প প্রসারণে কৃষি ভূমি অধিগ্রহন করা বা না করার কৃষি বান্ধব নীতিমিলা চূড়ান্ত করা দরকার। বসত বাড়ি নির্মানে কৃষি ভূমি ভরাটের ভয়ংকর ট্রেন্ড বন্ধ করে কার্যকর ভার্টিক্যাল কন্সট্রাকশন এর নীতিমালা এবং তার কঠোর বাস্তবায়ন চাই। জলবায়ু পরিবর্তনের কারনে উপকূলীয় কৃষি প্রাকৃতিক ক্যালেন্ডার কিংবা আমাদের কৃষকদের দীর্ঘ সময়ের এডাপ্টেড ক্যালেন্ডার ব্যাহত হচ্ছে, তাই উনারা পেশা পরিবর্তনে বাধ্য হচ্ছেন, আস্তে আস্তে শুহুরে বস্তিতে এসে ভিড়ছেন। জলবায়ু জনিত ডিস্প্লেইস মেন্টের বাইরে আছে, ইকোনমিক ডিস্প্লেইস্মেন্ট (শিল্প প্রসারে কৃষি জমির দাম বাড়ছে, কৃষক ভূমি হীন হয়ে টারমিনিটেড হচ্ছেন। এর বাইরে ব্যাপক আকারে রাজনৈতিক ডিস্প্লেইসমেন্ট আছে, আছে সীমিত আকারে ক্ষুদ্র ঋনে জর্জরিত হয়ে গরীবের এলাকা ছাড়ার ব্যাপার। এই সবগুলো ব্যাপারই কৃষি উৎপাদনের উপর প্রভাব ফেলছে। অনেক মানসম্পন্ন বা গুণী কৃষক চাষাবাদ থেকে দূরে সরে অন্য পেশায় অন্তরীন হচ্ছেন।

পাশাপাশি আসবে কৃষিতে নিবেদিত অমানবিক পর্যায়ের কায়িক শ্রমের ব্যাপার গুলো। সুতরাং যান্ত্রিক চাষাবাদের অনুষঙ্গ (মেশিন টুলস) গুলোকে দেশীয় প্রযুক্তির আওতায় আনতে হবে যাতে কৃষি সারঞ্জামের দাম সাধ্যের নাগালে আসে। এখানে সাবসিডি দেয়া চাই। প্রত্যেক ইউনিয়ন পর্জায়ের কৃষি অফিসে নাম মাত্র টাকায় ব্যাপক পরিসরে কৃষি সারঞ্জাম ভাড়া দেবার বন্দবস্ত করা যেতে পারে। জমি তৈরি, বীজ ছিটানো, আগাছা পরিস্কার,পানি সেচ, হারভেস্ট প্রত্যেকটি কৃষি ইভেন্টকে দেশীয় প্রযুক্তির আওতায় আনতে পারলে কৃষক তার পেশাকে আনন্দময় ভাববেন এবং কৃষিতে তাঁর ইনভল্ভমেন্ট ও ইনভেস্টমেন্ট বাড়াবেন। কায়িক শ্রমের বিলোপ ঘটানো গেলে শিক্ষিত এবং স্বল্প শিক্ষিতদের কৃষিতে টানা সহজ হবে।

ক্রমান্বয়ে আসবে অনিয়ন্ত্রিত প্রাকৃতিক সম্পদ আহরণকে চরম পর্যায়ে নিয়ন্ত্রণ করার ব্যাপার। অবারিত প্রাকৃতিক উৎস থেকে অনিয়ন্ত্রিত কৃষি ও মৎস্য সম্পদ আহরণ গ্রামীণ কর্মসংস্থানেরআদিম উপায় হলেও জলবায়ু পরিবর্তন এবং অনিয়ন্ত্রিত হিউম্যান ইন্টারভেনশন এর কারনে প্রাণ এবং পরিবেশ এর চরম বিপর্জয়ের ঝুকির উপর দাঁড়িয়ে আমাদের আজ কর্মসংস্থানের সেসব মধ্যমকে পুনরায় ভাবনায় আনতে হবে। চাষ না করে ওয়াইল্ড সোর্স থেকে মধু আহরণ, চাষ না করে মৎস্য আহরণ বা নিধন, পাখি শিকার, সুন্দরবন সহ অন্যান্য প্রাকৃতিক বন থেকে মধু, মোম, চিংড়ী পোনা, উদ্ভিদ্য এবং প্রাণীজ সম্পদ আহরণের ন্যাচারাল এবং প্রাচীন ব্যাপারগুলো আমাদের ওয়াল্ড লাইফ, জৈব বৈচিত্র, মৎস্য প্রজনন এবং পরাগায়নের মত মৌলিক ব্যাপার গুলোকে বিষিয়ে তুলছে তা নিয়ে গভীরভাবে ভাবতে হবে। মাছের ডিম এবং ডিমওয়ালা মাছ খাওয়ার কালচার বন্ধ করতে হবে, বন্ধ করতে হবে ন্যাচারাল মৌচাক থেকে মধু আহরণের ব্যাপার গুলো। বিচ্ছিন্ন ভাবে নদী, বন ও বাঘ রক্ষার অকার্জকর আন্দোলন এবং ইনভেস্টমেন্ট না করে বিস্তৃত গ্রামীণ জনসাধারণের (মৌয়াল, বনজীবি, মৎস্যজীবী) বিকল্প কর্মসংস্থানের উৎস বের করে পাখি, মৌমাছি, নদী এবং বন বাঁচাতে হবে। মৌমাছি এবং সাধু পানির মৎস্য প্রজাতির সংরক্ষণে অনিয়ন্ত্রিত রাসায়নিক সার কীটনাশক চাষাবাদ নিয়ন্ত্রিত করে মৃত্তিকা, পানি এবং মৎস্য সংবেদনশীল চাষাবাদের উপর জোর দিতে হবে। প্রাণ এবং পরিবেশ রক্ষায়, মৌমাছি রক্ষায় এবং মা মাছ রক্ষায় সচেষ্ট হতে হবে। বন বাঁচাতে সবার আগে বনজীবিদের বাঁচাতে হবে। কৃষি পন্য উৎপাদন পুরোপুরি প্রকৃতির উপর ছেড়ে না দিয়ে, পরিবেশ বান্ধব বাণিজ্যিক চাষাবাদ ভিত্তিক করে তুলে প্রাকৃতিক কৃষি ও মৎস্য সম্পদের উৎসগুলোকে রক্ষায় মনোযোগী হতে হবে।

বাংলাদেশ সংকটে কিংবা দুর্যোগে খাদ্য শস্য আমদানি করে থাকে। এর বাইরে নিয়মিতই বাইরে থেকে বীজ আমদানি করা হয়। বায়ো সিকিউরিটি টেস্ট বা জেনেটিক টেস্ট, ফাঙ্গাল টেস্ট বিহীন বাছবিচারহীন হীন বীজ আমদানি দেশের খাদ্য নিরাপত্তাকে চারম ঝুঁকি পুর্ণ অবস্থায় নিয়ে গেছে। অথচ আমাদের দেশে কয়েক হাজার ধান জাত ছিল, যার মধ্যে বিভিন্ন অঞ্চলে বহু ন্যাচারাল উচ্চ ফলনশীল জাত ছিল। বারির বীজ রক্ষার হিমাগারের চিলার নষ্ট ছিল কয়েক মাস, ফলে প্রায় ৮০০ ধান বীজ প্রজাতির ভাগ্য কি হয়েছে জানা যায়নি। নিজস্ব বীজ থেকে নিজেদের কৃষকদের ডিস্কানেক্টেড করে বিদেশী বীজ (পড়ুন বায়ো ওয়েপন) ধুকিয়ে দেয়া হয়েছে। অন্যদিকে ডাম্পিং, মেয়াদুত্তীর্ণ খাদ্য শস্য আমদানিতেও কোন টেস্ট হয় না। (একটি ধারণা এমনো আছে ব্রাজিল থেকে আনা পচা গম থেকে নেইক ব্লাস্ট পরবর্তিতে গুদামজাতকরনের প্রক্রিয়ায় কোন ভাবে ফসলী বীজে ট্রান্সফার হয়)। উল্লেখ করা যেতে পারে প্রায় ৩ দশক পরে এসে গত ২০১৬তে চালের উৎপাদনে শূন্য প্রবৃদ্ধি দেখা দিয়েছে, আগামীতে এটা নেগেটিভে যাচ্ছে।

বিদ্যমান নির্মাণকৌশল ও প্রযুক্তি কোনোভাবেই পরিবেশবান্ধব বা কৃষিবান্ধব নয়। নির্মাণ করতে গিয়ে আমরা আমাদের মাটি, পানি, উর্বরতা, পরিবেশ এবং প্রতিবেশকে ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করে ফেলেছি। ইটের ভাটা মাটি, পানি, জলজ বাস্তুসংস্থান,মাটির অণুজীব ও উর্বরতা ব্যবস্থা অর্থাৎ বাংলাদেশের কৃষি ও পরিবেশের জন্য মরণ ফাঁদ! ভূমির উপরিভাগের মাটি উর্বর। মাটির উপরিভাগের অণুজীব ও উর্বরতা ব্যবস্থাপনাকে ধ্বংস করে দিয়ে বর্তমানে বছরে নির্মাণকাজে ব্যবহৃত হয় কমবেশি ২ হাজার ৫০০ কোটি পোড়ামাটির ইট। এর কাঁচামাল হিসেবে প্রায় সাড়ে ৬ কোটি টন কৃষিজমির উপরিভাগের মাটি নষ্ট হয়। এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, প্রতিবছর ১ শতাংশ কৃষিজমি নষ্ট হচ্ছে। এর ৯৭ ভাগ নষ্ট হচ্ছে অপরিকল্পিত গ্রামীণ গৃহায়ণ ও ইটের ভাটার কারণে ওপরের মাটি তুলে ফেললে সেই জমির উর্বরতা কমপক্ষে ২০ বছরের জন্য নষ্ট হয়ে যায়। যে ৫০ লাখ টন কয়লা ইটের ভাটায় ব্যবহৃত হচ্ছে তা দুনিয়ার নিকৃষ্টতম ভারতীয় কয়ালা যাতে অশোধনযোগ্য সালফারের পরিমান ৬% এর বেশি, উচ্চ মানসম্পন্ন হিসেব কয়লার মান হিসেবে এটা প্রায় ১০ থেকে ২০ ভাগ। এই কয়লার অশোধিত অপদ্রব্য বাংলাদেশের জল স্থল এবং বাতাস বিষিয়ে দিয়েছে। বাংলাদেশের কৃষকের স্বাস্থ্য বিপর্যয়ের মূলে রয়েছে ইটের ভাটার অশোধিত হাই পার্টিক্যাল এবং ভারত-বাংলাদেশের যাতবতীয় ইন্ডাস্ট্রিয়াল, ক্যামিক্যাল হ্যাজার্ডে সয়লাব নদীর পানি। উল্লেখ্য, বাংলাদেশের ৪০ শতাংশ খাবারের পানিতে দূষণ থাকে যা স্বাস্থ্য বিপর্যয় ডেকে আনছে এবং হাস্পাতালে রোগীর মিছিল তৈরি করছে। মাটি, পানি, জলজ বাস্তুসংস্থান এবং মাটির অণুজীব ব্যবস্থাপনা ধ্বংস হয়ে পড়ায় আমাদের কৃষককে অতি বেশি মাত্রায় রাসায়নিক সার বীজ কিটনাশাক ব্যবহার করতে হচ্ছে। ফলে ফলনের উৎপাদন খরচ লাগামহীন হচ্ছে, ভূমি আরো বেশি বিষাক্ত হচ্ছে। জমির উপরিভাগের মাটি দিয়ে পোড়া ইট তৈরি করায় দিন দিন খাদ্যের হুমকিতে যাচ্ছে দেশ। এ ধারা অব্যাহত থাকলে অদূর ভবিষ্যতে খাদ্যনিরাপত্তা পুরোপুরি বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

এখনও সময় আছে, আমাদের কৃষকদের নিয়ে নাগরিক এবং রাষ্ট্রীয় ভাবনা গভীর এবং চূড়ান্ত করতে হবে। অর্থনীতিতে সাস্টেইনেবল বলে তেমন ধ্রুব কিছু নাই, আগামীর অর্থনীতিতে সাস্টেইনেবল হয়ে উঠবে শুধু কৃষি আর চাষাবাদে পানি ব্যবহারের উৎকর্ষ।

একটা সময় এমন আসতে পারে যখন কাঁড়ি কাঁড়ি বৈদেশিক মুদ্রা থাকলেও পৃথিবীর বহু দেশকে খাদ্য রপ্তানিতে রাজি করানো যাবে না, নিজ নিজ নাগরিকের মৌলিক অস্তিত্বের প্রশ্নে আপোষ করবেনা দেশগুলো। কৃষিপ্রধান দেশ গুলো তাদের নাগরিকদেরও খাদ্য সঞ্চয় করতে বাধ্য করবে। হাঁ একটি বিকল্প আসবে হয়ত, সুপার কেমিক্যাল ফুড বাজারে আসবে। কিন্তু তা প্রাণ ধ্বংসকারী খাদ্য বোমা হয়েই থাকবে যার সত্ত্বও আমাদের থাকবে না।


পুনঃলিখন
১৭ই জানুয়ারি ২০১৬
১ মে ২০১৭

মন্তব্য ১২০ টি রেটিং +৪১/-০

মন্তব্য (১২০) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৩:৫৩

চাঁদগাজী বলেছেন:


৫ম শ্রেণী থেকে উপরের ক্লাশগুলোর বইতে এই বিষয়ে পড়ানোর দরকার

১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:২২

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: ভাই, আপনার উৎসাহ পেয়ে আমাকে পোষ্টটি পুনরায় লিখতে হয়েছে। একটা প্যারা নতুন করে এড করেছি, বানান ঠিক করেছি কিছু। পরে আরো সময় দিব ইনশাল্লাহ।

আন্তরিক ধন্যবাদ ভাইয়া।

২| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৭:২৭

রাফা বলেছেন: চমৎকার লিখেছেন কৃষির উপরে।সম্পুর্ণ একটি প্যাকেজ পেলাম আপনার পরিশ্রমি লেখাটায়।বিপনন,সংরক্ষন কৃষকের সঠিক মূল্য প্রাপ্তি নিয়ে একটি অগোছালো অবস্থা আমাদের।কোন ফসল উদবৃত্ত না হয়ে ভ্যারাইটিজের দিকে দৃষ্টি দিলে অনেক ক্ষেত্রেই আমদানি নির্ভরতা কমে যেতো আমাদের।যদি পারি জিবনে কখনও কৃষির উপর ব্যাবসা করবো।এটা আমার একটা স্বপ্ন।

ধন্যবাদ,এক নিরুদ্দেশ পথিক।

১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:২৬

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: পড়ার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ, মন্তব্যে উৎসাহ বোধ করছি।

৩| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:২২

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: এই ধরনের যে কোন লেখা ব্লগিং এর প্রাণ, আনন্দ এবং সম্পদও বটে।
গুরুত্বপূর্ন এই পোস্টটি আশা করি সকলেই পড়বেন।

১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:৪৮

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: এই ধরনের যে কোন লেখা ব্লগিং এর প্রাণ, আনন্দ এবং সম্পদও বটে।

মৌলিক চিন্তায় ও কাজে সময় ব্যয় এর ইন্টেলেকচুয়াল ইনভেস্টমেন্ট এগিয়ে যাক,
নাগরিক ভাবনা এগিয়ে যাক,
বাংলাদেশ এগিয়ে যাক!

আন্তরিক ধন্যবাদ।

৪| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:৩৫

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: অসাধারণ পোষ্ট। অবিশ্বাস্য হলেও সত্য যে আপনার এই পোষ্ট পুরোটা পড়েছি মোবাইলে। তখন বাহিরে ছিলাম। বাসায় এসে কম্পিউটারে বসতে হলো শুধু আপনাকে ধন্যবাদ দেওয়ার জন্য। পোষ্ট টা প্রিয়তে রাখলাম। এক পোষ্টে সব বিষয় কভার করেছেন। অনেক গুছিয়ে লিখেছেন।

গত মে মাসে বাংলাদেশের কৃষকদের কৃষি পণ্যের ন্যায্য মূল্য না পওয়ার উপর একটা পোষ্ট লিখেছিলাম কৃষি মন্ত্রীর পৌষ মাস; কৃষক গনি মিয়ার সর্বনাশ। আমাদের কৃষি মন্ত্রী তৃপ্তির ঢেকুর তুলে ধান উৎপাদনে স্বনির্ভরতা অর্জন করেছেন; কিন্তু একবারও মনে করেন না আজ থেকে ১০-১৫ বছর পূর্বে দেশের অর্ধেক জমিতে পাট চাষ হতো পাটের সে জমি গুলোতে এখন কি চাষ হচ্ছে?

দেশের চাহিদার কত ভাগ পিয়াজ, রসুন বর্তমানে দেশে উৎপাদন হয়? পূর্বে যে জমি গুলোতে পিয়াজ, রসুন চাষ হতো সেই জমি গুলোতে বর্তমানে কি চাষ হয়?

পূর্বে যে জমি গুলোতে গম চাষ হতো সেই জমি গুলোতে বর্তমানে কি চাষ হয়?

পাটের চাহিদা কমে গেছে তাই পাট উৎপাদন কমিয়ে দিয়েছে কৃষক সেটা মেনে নিলাম। কিন্তু কেন কৃষকরা পিয়াজ, রসুন, গম চাষাবাদ বন্ধ করলো? আপনি কি কোনদিন কোন কৃষকের কাছে জানতে চেয়েছিলেন কেন রসুন, পিয়াজ উৎপাদন বন্ধ করলেন? কি সমস্যা? এমন তো না যে বাংলাদেশের মানুষ রসুন, পিয়াজ খাওয়া ছেড়ে দিয়েছে?

যদি কোন দিন সুযোগ পেতাম তবে কৃষি মন্ত্রীকে উপরোক্ত প্রশ্ন গুলো করতাম। তাকে জিজ্ঞাসা করতাম ধান উৎপাদনের পুরো কৃতিত্ব আপনাকে দিতে রাজি আছি যদি পিয়াজ, রসুন, গম উৎপাদনে আপনি পুরো পুরি ব্যর্থ এই দাবি মেনে নেন।




১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:৪৭

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: পলাশ ভাই, আন্তরিক ধন্যবাদ। অনেক অনেক ধন্যবাদ। খুব অনুপ্রেরণা পাচ্ছি।

কিন্তু একবারও মনে করেন না আজ থেকে ১০-১৫ বছর পূর্বে দেশের অর্ধেক জমিতে পাট চাষ হতো পাটের সে জমি গুলোতে এখন কি চাষ হচ্ছে? দেশের চাহিদার কত ভাগ পিয়াজ, রসুন বর্তমানে দেশে উৎপাদন হয়? পূর্বে যে জমি গুলোতে পিয়াজ, রসুন চাষ হতো সেই জমি গুলোতে বর্তমানে কি চাষ হয়? পূর্বে যে জমি গুলোতে গম চাষ হতো সেই জমি গুলোতে বর্তমানে কি চাষ হয়? পাটের চাহিদা কমে গেছে তাই পাট উৎপাদন কমিয়ে দিয়েছে কৃষক সেটা মেনে নিলাম। কিন্তু কেন কৃষকরা পিয়াজ, রসুন, গম চাষাবাদ বন্ধ করলো? আপনি কি কোনদিন কোন কৃষকের কাছে জানতে চেয়েছিলেন কেন রসুন, পিয়াজ উৎপাদন বন্ধ করলেন? কি সমস্যা? এমন তো না যে বাংলাদেশের মানুষ রসুন, পিয়াজ খাওয়া ছেড়ে দিয়েছে?

আপনার প্রতিটা প্রশ্ন সম্মিলিত ভাবে আমাদের এক একটি খেয়ালি এবং অদূরদর্শিতাকে নির্দেশ করছে। নেতৃত্ব, কৃষি সংশ্লিষ্ট সবাই, শিক্ষক- ছাত্র, আমলা এবং নাগরিক সবাইকে ইন্টেলেকচূয়ালি ফাংশন করতে হবে। আজ থেকে ২০-৫০-১০০ বছর পর আমাদের কৃষি ঠিক কি কি চ্যালেঞ্জ অতিক্রম করবে, শুধু ধান ভিত্তিক কৃষির ভবিষ্যৎ কি, সারফেইস ওয়াটার এবং ভূ-গর্ভস্ত পানির ভবিষ্যৎ কি সেটা জানার চেষ্টা থাকতে হবে।

শিল্প ভিত্তিক অর্থনীতি মার খেলে (ধরুন আরো কয়েকটি ইকোনমিক রেসিশন কিংবা বিশ্ব যুদ্ধ), এই কৃষি-ই দেশ এবং দেশের মানুষকে বাঁচাবে। কৃষি-ই সাস্টেইনেবল।

৫| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:২৩

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: এই রকম তথ্য সমৃদ্ধ একটা পোষ্টে কোন মন্তব্য না; যা অত্যন্ত লজ্জাজনক। অথচ আমরা ব্লগাররা দাবি করি আমরা সমাজের অন্যান্য মানুষ গুলোর চেয়ে বেশি সচেতন।

আমার দেশের বাড়ি নীলফামারী জেলায়। আমার ছোট ভাই এক সাথে ধানের ব্যবসা করে ও টিভি-ফ্রিজের শো-রুম এর ব্যবসা আছে। আমি তাকে প্রতি সপ্তাহে জিজ্ঞাসা করি কিরে এই সপ্তাহে কয়টা টিভি, ফ্রিজ বিক্রি করলি? সে বলে ধানের দামের এই অবস্থা। কৃষক ধান বিক্রি করে সার, কীটনাশক ও বীজের দোকানের বাকি পরিশোধ করতে পারতেছে না টিভি-ফ্রিজ কিনবে কোথা থেকে?

সবচেয়ে কষ্ট লাগে বাংলাদেশের প্রচলিত সংবাদ মাধ্যম গুলোর নীরবতা। তারা সরকারের রোষানলে পড়ার ভয়ে এখন কোন সংবাদ করে না যা সরকারের কোন ব্যর্থতা নির্দেশ করে। বাংলাদেশটা যদি ইসলাম ধর্ম প্রধান দেশ না হতো তবে পশ্চিমা বিশ্ব বা ভারতের মতো হাজার হাজার কৃষক আত্মহত্যা করতো প্রতি বছর।

আমার নিজের পিএইচডি গবেষণার বিষয় জলবায়ুর পরিবর্তন নিয়ে। নিজের অবিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি খাদ্য নিরাপত্তা নিয়ে বাংলাদেশকে সামনে খুবই ভয়ংকর পরিস্থিতির মোকাবেলা করতে হবে। আফ্রিকা মহাদেশের দেশগুলো দরিদ্রতা কমার সাথে সাথে কনজামপশন বেড়ে যাবে আগামী দিন গুলোতে। তখন ঐ সকল দেশ আন্তর্জাতিক বাজার থেকে খাদ্যপন্য ক্রয় করবে। বাংলাদেশকে ঐ সকল দেশের সাথে প্রতিযোগিতা করতে হবে খাদ্য ক্রয় করার জন্য। আমি জানিনা বাংলাদেশের পলিসি মেকাররা আপনার পোষ্টে উল্লেখিত বিষয় গুলো নিয়ে কোন চিন্তা করতেছে কি না।

Sustainable Development বা সমন্বিত উন্নয়ন পরিকল্পনা ছাড়া আমাদের সামনে বিকল্প কোন উপায় না।



১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:২৫

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: আফ্রিকা মহাদেশের দেশগুলো দরিদ্রতা কমার সাথে সাথে কনজামপশন বেড়ে যাবে আগামী দিন গুলোতে। তখন ঐ সকল দেশ আন্তর্জাতিক বাজার থেকে খাদ্যপন্য ক্রয় করবে। বাংলাদেশকে ঐ সকল দেশের সাথে প্রতিযোগিতা করতে হবে খাদ্য ক্রয় করার জন্য

এককালের অন্ধকারচ্ছন্ন মহাদেশ আফ্রিকা উন্মুক্ত হয়ে কঞ্জাম্পশন বাড়িয়েছে ঠিকই কিন্তু সেখানে নিন্মোক্তো বিবর্তন গুলো হচ্ছে-
১। তেল প্রাপ্তির সাথে সাথে আফ্রিকার তেল সমৃদ্ধ দেশগুলোতে কৃষি অনুৎসাহিত হয়েছে সরকারগুলোর অনাগ্রহে, এককালের কৃষি প্রধান দেশ নাইজেরিয়াতে কাসাবা, ইয়াম,কোকো এবং পাম উৎপাদন সিগ্নিফিকেন্টলি কমেছে। নাইজেরিয়া চালের অন্যতম বৃহত্তম আমদানিকারক দেশ। ঘানা, ক্যামেরুন, কঙ্গো, কোডেভোয়া, কেনিয়ার মত দেশ গুলো কোর্পোরেট আগ্রাসনে পড়ে, রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতায় পড়ে, জলবায়ু এবং মরুকায়নের কবলে পড়ে আস্তে আস্তে কৃষিতে ফোকাস হারাচ্ছে।
২। কলোনিয়াল ক্রাইসিস এবং শ্বেতাঙ্গ উচ্ছেদে আফ্রিকার বড় বড় ফার্ম হাউজ গুলো প্রডাকশন হারিয়েছে। এক কালের আফ্রিকার ফুড বাস্কেট বলে পরিচিত জিম্বাবুয়ের কৃষির আজ ত্রিশুঙ্কু দশা।
৩। আফ্রিকার হাতে আধুনিক কৃষি সারঞ্জাম একেবারেই নেই। সার বীজ সেচ চরম অবহেলিত (আমাদের চেয়েও খারাপ অবস্থা)। সেচে তাঁরা খুবই পিছিয়ে। পানিও নেই তাদের। ব্যাতিক্রম ইথিওপিয়া। ইজরাইল সেখানে ব্যাপক কৃষি ভিত্তিক ইনভেস্ট করছে।

ফলে ইকোনমি বড় হবার সাথে সাথে আফ্রিকানদের কঞ্জাম্পশন বাড়ছে,উৎপাদন কমছে কিন্তু খাদ্য আমদানি বাড়ছে ,এটা খাদ্যের আন্তর্জাতিক বাজারকে খুবই প্রতিযোগিতা মুলক করে ফেলছে।

৬| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:১২

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: আমি ফাঁকিবাজি কইরা এক বাক্যে লিখেছি; আপনি বিস্তারিত লিখে উদাহারণ যোগ করায় পূর্ণতা পেয়েছে খাদ্য নিরাপ্তার বিষয়টা।

Sustainable Development এর উপর কয়েক মাস পূর্বে কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক অফারকৃত একটা কোর্স করেছি কোর্সেরা থেকে। এর পরে থেকে শুধু নিজেরা জিগাই বাংলাদেশের ভবিষ্যত পরিনতি কি? সারফেস ওয়াটার শেষ; ভূগর্ভস্হ্য পানিও শেষ? মাটির অবস্হাও তথৈবচ, বন সব উজাড়, সমুদ্রের মাছের উৎপাদন বৃদ্ধি নিম্নগামী। শিক্ষা ক্ষেত্রে বাংলাদেশের বার্ষিক বরাদ্দ গত ৩ বছর থেকে প্রতিনিয়ত কমতেছে। ভবিষ্যত প্রজন্মের ভবিষ্যত কি?

উপরের মন্তব্যটার জন্য ধ্যবাদ।


৭| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:৫৬

অন্ধবিন্দু বলেছেন:
৮৭ বার পঠিত! হায় রে। জনসচেতনা কেমনে গড়ে ওঠবে। আসলে এসব কথা উচ্চ পর্যায়ে কম হয় না। কিন্তু জনগণ যদি সচেতন না হোন। তবে চাপটা আসবে কোথ থেকে !!

এক নিরুদ্দেশ পথিক,
এ ধরণের পোস্ট স্টিকি হওয়া উচিত। যাইহোক, আশাকরি আগ্রহ হারাবেন না।

১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৩৫

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: ভাই, মনে কথা বলেছেন।
কমেন্ট গুলোর রিপ্লাই এবং কিছু বানান ঠিক সহ এই ৮৭ হিটের মধ্যে আমার নিজেরই ১২-১৫ টি। গুরুত্বপুর্ন পোষ্টের এরকমই অবস্থা। সবাই চাঞ্চল্যকর বিষয় নিয়ে ব্যস্ত।

তবে নিজেকে ধৈর্যশীল মনে করি। আশা রাখি আগ্রহ হারবো না।

আন্তরিক ধন্যবাদ আপনাকে।

২০ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:৪২

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: অন্ধবিন্দু, আপনাকে আবারো ধন্যবাদ। আপনিই প্রথম স্টিকি করার কথা বলেছেন।

৮| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:২০

আমিনুর রহমান বলেছেন:


পোষ্ট স্টিকি করার জন্য কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। নিয়মিত এমন পোষ্ট লিখতে থাকুন, এই বিষয়ে সচেতনার খুব দরকার। তবে আপনি পোষ্ট আরো পড়ে বানানগুলো ঠিক করে ফেলুন। অনেক ছোট ছোট টাইপো যা পোষ্টের মানের সাথে মানায় না।

এমন একটি পোষ্টের জন্য কৃতজ্ঞতা।


১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৪৩

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: আমিনুর রহমান ভাই, চেষ্টা করেছি বানান ঠিক করার জন্য। নজরে আনার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।

৯| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:৫২

হাসান মাহবুব বলেছেন: স্টিকি করা হোক।

১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৪৪

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: হুম সচেতনতা ছড়িয়ে যাক!

১০| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:০৯

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: এভাবে পর্যায়ক্রমে আলোকপাত করতে হবে কৃষি ভূমি সংরক্ষণের উপরও। ক্রমবর্ধমান জনবসতির চাপ আর শিল্প বিকাশের ফলে কৃষক আবাদ যোগ্য ভূমি হারাচ্ছেন, কৃষি উতপাদনে যার প্রভাব খুবই নেগেটিভ। কৃষি ভূমি সমীক্ষা করে সংরক্ষণ দরকার। কৃষি ভূমি সংরক্ষণের বিপরীতে শিল্প প্রসারণে কৃষি ভূমি অধিগ্রহন করা বা না করার কৃষি বান্ধব নীতিমিলা চূড়ান্ত করা দরকার। বসত বাড়ি নির্মানে কৃষি ভূমি ভরাটের ভয়ংকর ট্রেন্ড বন্ধ করে কার্যকর ভার্টিক্যাল কন্সট্রাকশন এর নীতিমালা এবং তার কঠোর বাস্তবায়ন চাই। জলবায়ু পরিবর্তনের কারনে উপকূলীয় কৃষি প্রাকৃতিক ক্যালেন্ডার কিংবা আমাদের কৃষকদের দীর্ঘ সময়ের এডাপ্টেড ক্যালেন্ডার ব্যাহত হচ্ছে, তাই উনারা পেশা পরিবর্তনে বাধ্য হচ্ছেন, আস্তে আস্তে শুহুরে বস্তিতে এসে ভিড়ছেন। জলবায়ু জনিত ডিস্প্লেইস মেন্টের বাইরে আছে, ইকোনমিক ডিস্প্লেইস্মেন্ট (শিল্প প্রসারে কৃষি জমির দাম বাড়ছে, কৃষক ভূমি হীন হয়ে টারমিনিটেড হচ্ছেন। এর বাইরে ব্যাপক আকারে রাজনৈতিক ডিস্প্লেইসমেন্ট আছে, আছে সীমিত আকারে ক্ষুদ্র ঋনে জর্জরিত হয়ে গরীবের এলাকা ছাড়ার ব্যাপার। এই সবগুলো ব্যাপারই কৃষি উৎপাদনের উপর প্রভাব ফেলছে। অনেক মানসম্পন্ন বা গুণী কৃষক চাষাবাদ থেকে দূরে সরে অন্য পেশায় অন্তরীন হচ্ছেন। ভূমি সংরক্ষণ বিষয়ক প্যারাটি এডিট করেছি।

১১| ২০ শে জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:৩৮

মৃদুল শ্রাবন বলেছেন: অসাধারন পোষ্ট। স্টিকি করার জন্য কর্তৃপক্ষকে ধন্যপক্ষকে ধন্যবাদ।

২০ শে জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:২৬

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ পড়ার জন্য।
স্টিকি করার জন্য কর্তৃপক্ষকে ধন্যপক্ষকে ধন্যবাদ।

১২| ২০ শে জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:১৯

মনিরা সুলতানা বলেছেন: গুরুত্ব পূর্ণ পোষ্ট
জাজাক আল্লাহ খায়রান আপনার পরিশ্রমী থেকে যদি কিছুটা সচেতনতা আসে
আজ থেকে ১৫ বছর আগে আমাদের বিতর্কের বিষয় নির্ধারিত হত কৃষকদের হাতে মোবাইল ফোন কত জরুরী ,অথচ আজকের দিনে দাঁড়িয়ে আমাদের সব কৃষকের হাতে ট্রাক্টরের মত প্রয়োজনীয় মেশিন নেই ।
স্টিকি না করলে নজরেই আসত না ।

২০ শে জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:২৭

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: আন্তরিক ধন্যবাদ আপু।
যদি কিছুটা সচেতনতা আসে- সেই আশায়।

০৩ রা মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১২:১৩

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: আজ থেকে ১৫ বছর আগে আমাদের বিতর্কের বিষয় নির্ধারিত হত কৃষকদের হাতে মোবাইল ফোন কত জরুরী ,অথচ আজকের দিনে দাঁড়িয়ে আমাদের সব কৃষকের হাতে ট্রাক্টরের মত প্রয়োজনীয় মেশিন নেই ।

১৩| ২০ শে জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:৪৩

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আজকে ষ্টীকি হোয়ায় চোখে পড়ল!

সবাইতো আর সবসময় লগইন থাকে না। তাই অনেক সময় অনেক দারুন ভাল পোষ্টও মিস হয়ে যায়! নির্বাচিত পাতাও স্ক্রলিংয়েই থাকে।
সামুকে ধন্যবাদ সবার চোখে পড়ার ব্যবস্থা করায়।

যাদের বোঝার কথা তারাতো বুজেও অবুঝ! অথবা দলান্ধতা অথবা জ্ঞানান্ধতা কিংবা আমদানীকারকদের উৎকোচে উৎপাদনের মৌলিক বিষয়গুলো ইগনোর করে!
নইলে কি আর আমাদের শতশতটন চিনি অবিক্রিত থাকার কারণে মিল বন্ধ হবার উপক্রম হয়! সেই দেশে চিনি আমদানীর অনুমোদন দেয়া হয়!!!!!!!?????
ডিজিটাল হয়ে গেছে না। উৎপাদনের এত কষ্ট কে করে- যেকানে পেয়াজ পেলেই হলো। কেরা আমদানী!!! তাইতো দেশি পিয়াজ মার খায় বাইরের পিয়াজ রমরমা ব্যবসা করে! বিদ্যুতের মতো সেনসেটিভ খাতও পরনির্ভরশীল!!!!!!!!!!!!!!!!!!!
এভাবে প্রতিটি কৃষি বা উৎপাদন রিলেটেড শিল্পেই একই অবস্থা!

শুভবোধের উদয় হোক। দেশের স্বার্থে। জনতার স্বার্থে।


২০ শে জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:৩৭

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: সামুকে ধন্যবাদ সবার চোখে পড়ার ব্যবস্থা করায়।

সমন্বিত এবং ডাইভারসিফাইড চাষাবাদ, রেজিস্ট্রেশন ভিত্তিক চাষাবাদ, মূল্যায়ন ব্যবস্থার কিছু মৌলিক ব্যাপার টাচ করেছি।

আসলে আমাদের একেবারে তৃণমূলে কৃষি প্রসাশনের অবকাঠামো রয়েছে। চাইলে এদেরকে কাজে লাগানো যায়। থানা এবং ইউনিয়ন পর্যায়ে অফিসে প্রায় কোন মৌলিক কাজই হয় না, শুধু সারের ডিলারশীপ ব্যবস্থাপনা এবং এতদসংক্রান্ত তদবির ছাড়া। মাঝে মাঝে খাদ্য শস্য মজুদের ব্যাপারে কিছু দৌড়াদৌড়ি হয়।

থানা এবং ইউনিয়ন পর্যায়ে আমাদের ২ টা খুব খুব দরকারি কাজ নিয়ে যাওয়া দরকার-
১। ফলন রেজিস্ট্রেশন এবং ফলন ডারভার্সিফিকেশন ব্যবস্থাপনা যা আর্টিকেলে ব্যাখ্যা করেছি। তবে এটাকে কৃষি পণ্যের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করনের সাথে ইন্টিগ্রেটেড করতে হবে।
২। এক একটা কৃষি অফিসকে এক একটা টুলস হাউজ করে তুলতে হবে, যেখান থেকে কৃষকরা মেশিন এবং টুলস নামে মাত্র মূল্যে ভাড়া নিতে পারবেন।

১৪| ২০ শে জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:১৭

রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: গুরুত্বপূর্ন পোস্ট। ধন্যবাদ।

২০ শে জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:৪৮

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: আন্তরিক ধন্যবাদ আপু।

১৫| ২০ শে জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:৫২

খোলা মনের কথা বলেছেন: শুধু মাত্র আমাদের দেশ নয় সারা বিশ্ব এখন জলবায়ু হুমকিতে আছে। এর সমাধান কিভাবে হবে সেটা আরো বেশি চিন্তার বিষয়। তবে আমাদের সকলের উচিত স্ব স্ব ভাবে সচেতন হওয়া। ধন্যবাদ সুন্দর একটা পোষ্ট দেওয়ার জন্য।

২০ শে জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:০৬

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: এর সমাধান কিভাবে হবে সেটা আরো বেশি চিন্তার বিষয়। তবে আমাদের সকলের উচিত স্ব স্ব ভাবে সচেতন হওয়া।

সহমত।

স্থানীয় জ্ঞান এবং কৃষকের জ্ঞানকে টেকসই ডেভেলপমেন্ট এ ইঙ্কলুড করা আবশ্যক।

১৬| ২০ শে জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:২০

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: ভার্টিক্যাল কনস্ট্রাকশনের কথা বলেছি- ব্যাখ্যা দিলে পোস্ট আরো বড় হয়ে যাবে তাই বাদ দিয়েছি। এখানে এড করছি-

"এখনো আইল ধরে বসত বাড়ি ভাগ হচ্ছে, এক লোকের যত সন্তান তত প্লট এবং তত ঘর করা হচ্ছে, আমরা বলছি এটা হোরাইজন্টাল কন্সট্রাকশন যা ঘনবসতি পুর্ন দেশে বেমানান। এতে দেখবেন গ্রামের এক একটি বাড়ি এক একটি বস্তি হয়ে উঠছে। বসত বাড়ির ভূমিকে ডিজিটাইজ করে আইলটাকে সফট কন্সেপ্ট এ আনা যায়। সরকার গ্রামে বহুতল বসতবাড়ির মডেল না বানালে কৃষি ভূমি রক্ষা পাবে না, একটু ধনী হলেই নতুন নতুন কৃষি ভূমি ভরাট হয়ে বাড়ি হবে। এখন কথা হচ্ছে সরকারের দরকার কেন, ব্যাপারটা মানুষকে বুঝাতে হবে যে, জমি ১ শতাংশ হোক হাফ শতাংশ হোক জমি ব্যাক্তিরই থাকবে, তবে বেড়া দিতে হবে না, সে চাইলে বিক্রি করতে পারবে আগের মতই, এতে জমির দামও কমবে না। একই বাড়ির অনেক গুলো পরিবার এর জন্য একটি বহুতল বাড়ির মডেল ডিজাইন করতে হবে, যাতে ধনী গরিব উভয়কেই চাহিদামত মান্সম্পন্ন একমোডেশন দেয়া যায়। এসব করতে হলে ভূমি রেজিস্ট্রেশন ব্যবস্থাপনা ডিজিটাইজড করতে হবে। মেলা কাজ। গ্রামীণ ইনভায়রন্মেন্টে ভার্টিক্যাল কন্সট্রাকশন ডিফিকাল্ট, এই কাজটায় সরকারকে খুব দরকার। মানুষকে পাইলট করে দেখিয়ে দিতে হবে আগে।"

১৭| ২০ শে জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:৩৩

তানজির খান বলেছেন: আপনার পোস্ট সামাজিকভাবে সচেতনতা তৈরী করবে বলে আশাকরি। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষন করছি আমরা। এখনই যথায্থ সময় এ ব্যাপারে পদক্ষেপ নেবার।

সুন্দর আগামীর স্বপ্ন দেখি আমরা। ধন্যবাদ আপনাকে।

২০ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:৫৯

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: সুন্দর আগামীর স্বপ্ন দেখি আমরা।

১৮| ২০ শে জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:৪১

চাঁদগাজী বলেছেন:


গ্লোবেল ওয়ারমিং এর বিরুদ্ধে ব্যবস্হা নেয়ার জন্য, এখুনি একটি সায়েন্টিফিক ও টেকনোলোজিক্যাল রিচার্চ গ্রুপ সরকারের গড়ে তোলা দরকার; এর পেছনে বিনিয়োগ শুরু করা দরকার; এটা মেগা প্রজেক্ট, পুরো জাতিকে বাঁচানোর প্রজেক্ট।

সরকার কিছু না করলেও জাতি বাঁচবে; তবে, সোমালিয়ানদের মত অরাজকতার মাঝে বাঁচবে।

২০ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:৩১

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: গ্লোবেল ওয়ারমিং এর বিরুদ্ধে ব্যবস্হা নেয়ার জন্য, এখুনি একটি সায়েন্টিফিক ও টেকনোলোজিক্যাল রিচার্চ গ্রুপ সরকারের গড়ে তোলা দরকার; এর পেছনে বিনিয়োগ শুরু করা দরকার; এটা মেগা প্রজেক্ট, পুরো জাতিকে বাঁচানোর প্রজেক্ট।
সহমত।

১৯| ২০ শে জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:৪৬

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:

৮-৯ টাকা উৎপাদন খরচের আলুর বাজার মুল্য কৃষকের হাতে ভরা মৌসুমে (সোর্স এন্ড) ৩-৪ টাকা,
কিন্তু মাত্র ৫০ কিলোমিটার দুর থেকে ৬দফা হাতঘুরে কঞ্জুমার এন্ডে ২০-২৫ টাকা। অনুরুপ ভাবে ১টাকার ফুল্কপি ১৫-২০টাকা।
এর মুলকারন ঘাটে ঘাটে চাঁদাবাজি। ইচ্ছা থাকলেই নিরাময় সম্ভব।
অতচ চাইনিজ কৃষিপন্ন কমলা আপেল চট্টগ্রাম বন্দর থেকে চারশত কিলোমিটার ট্রাক পরিবহনের পরও ভোক্তা পর্যায়ে মাত্র১০-২০% বাড়ে। আর বাংলার কৃষক ২৫০% ঠকে।

২১ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:১৮

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: এর মুলকারন ঘাটে ঘাটে চাঁদাবাজি। ইচ্ছা থাকলেই নিরাময় সম্ভব।
অতচ চাইনিজ কৃষিপন্ন কমলা আপেল চট্টগ্রাম বন্দর থেকে চারশত কিলোমিটার ট্রাক পরিবহনের পরও ভোক্তা পর্যায়ে মাত্র১০-২০% বাড়ে। আর বাংলার কৃষক ২৫০% ঠকে।


কৃষিতে (পুলিশি এবং দলীয়) চাঁদাবাজি অগ্রাধিকার ভিত্ততে নির্মুল করা দরকার, সরকার চাইলে একটু কঠোর হয়ে এটা করতে পারে।

১। কৃষি পন্য পরিবহনে পুলিশ প্রসাশনের চাঁদাবাজিই মূখ্য। গত কুরবানির ঈদের সময় দেখিছি উত্তরবঙ্গ থেকে ঢাকায় একটা ট্রাক ঢাকায় আসতে গেলে ১৭-২২ জায়গায় পুলিশ চাঁদাবাজি করে। কিন্তু এটা নিয়ে আলোচনা নেই। রাজনৈতিক চাঁদাবাজি নিয়ে আমরা মাঝে মধ্যে কিছু কথা বলি।
২। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা এবং ত্রাণের কাজে মজুদের জন্য সরকার খাদ্য শস্য ক্রয় করে এজেন্ট (দালাল) দের প্রাধান্য দেয়, এটা বিলোপ করতে হবে। সরাসরি কৃষক থেকে কিনার ব্যবস্থা করা যায়। টিসিবি কেও সরাসরি কৃষক থেকে ক্রয় করতে হবে।
৩। মধ্যস্বত্ত ভোগীদের দৈরাত্ব কমাতে কাওরান বাজারে সরাসরি "ফার্মারস মার্কেট" চালু করা যায়।
৪। ধান এবং রবি ফলন মৌসুমে কিংবা বিশেষ কৃষি পণ্যের জন্য বিশেষ এলাকা থেকে সেই পন্য পরিবহনের উপযোগী মালবাহী বগি এড করা যেতে পারে যাত্রীবাহী ট্রেনে। রাজশাহী, বগুড়া, ঝিনাইদহ, চাঁদপুর এই এলাকা গুলো থেকে ছেড়ে আসা ট্রেনে এরকম বিশেষায়িত মালবাহী বগি দেয়া যায় নিয়মিত।

আসলে করার অনেক কিছুই আছে, আমাদের সময় ফুরিয়ে যায়নি।

হাসান ভাই, আন্তরিক ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।

২০| ২০ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:০৮

টোকাই রাজা বলেছেন: খুব গুরুত্বপুর্ন ও সচেতনমুলক পোস্ট। আসলে বাঙালী ভাল জিনিস খায় কম।

২১ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:১৮

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: আশা করি দিন বদলাবে, বাস্তবেই।

২১| ২০ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৫৩

ডি মুন বলেছেন: পোস্টটিতে সমস্যাগুলো যেমন তুলে ধরেছেন, সাথে সাথে সমাধানের পথও বাতলে দিয়েছেন।
চমৎকার একটি পোস্ট।

ধীরে ধীরে আমাদের খাদ্যাভ্যাসের পরিবর্তন এবং একই সাথে কৃষক ও পরিবেশবান্ধব কৃষিব্যবস্থাই পারে আমাদের জীবনমান সচল ও সুন্দর রাখতে। একই সাথে সরকারের উচিত কৃষিসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ যারা নতুন নতুন ফসলের জাত আবিষ্কার করে আমাদেরকে খাদ্যসংকট বা অনাকাঙ্ক্ষিত খাদ্যঘাটতি থেকে নীরবে বাঁচিয়ে চলেছেন - তাদেরকে পুরস্কৃত করা।

গুরুত্বপূর্ণ পোস্টটি লেখায় আপনাকে ধন্যবাদ
সামুকেও ধন্যবাদ স্টিকি করার জন্যে।

ভালো থাকুন।

২১ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:২০

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: ধীরে ধীরে আমাদের খাদ্যাভ্যাসের পরিবর্তন এবং একই সাথে কৃষক ও পরিবেশবান্ধব কৃষিব্যবস্থাই পারে আমাদের জীবনমান সচল ও সুন্দর রাখতে। একই সাথে সরকারের উচিত কৃষিসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ যারা নতুন নতুন ফসলের জাত আবিষ্কার করে আমাদেরকে খাদ্যসংকট বা অনাকাঙ্ক্ষিত খাদ্যঘাটতি থেকে নীরবে বাঁচিয়ে চলেছেন - তাদেরকে পুরস্কৃত করা।

সহমত, খুব গুরুত্বপুর্ন কথা বলেছেন।

২২| ২০ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৩৬

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: যাক অবশেষে মডু মামাদের সুমতি হয়েছে, পোষ্টটি স্টিকি করেছে।

মডু মামাদের সাথে সাথে ব্লগারদের সুমতি হউক। বিজ্ঞান ও গবেষনা মূলক পোষ্ট গুলোর দৈন্য দশা দেখলে মনে হয় মগাচিপ হইয়া যাই নইলে লুল কবি; পোষ্টে হিটের বন্যায় পোষ্ট প্লাবিত =p~

২১ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:২১

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: পলাশ ভাই, আন্তরিক কৃতজ্ঞতা।
আপনার অংশগ্রহণ পোষ্টটিকে সমৃদ্ধ করেছে।

২৩| ২০ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৫১

অন্ধবিন্দু বলেছেন:
@মোস্তফা কামাল,
বিজ্ঞান ও গবেষনা মূলক পোষ্ট গুলোর দৈন্য দশা হবার অলসতা ও বিজ্ঞানের প্রতি অনাগ্রহ। পাশাপাশি আমরা বিজ্ঞানটাকেও বেশ জটিল করে উপস্থাপন করি যা সাধারণ মানুষ ঠিক ধরতে পারে না।

অনেক ধন্যবাদ ব্লগ কতৃপক্ষকে পোস্টটি স্টিকি করা হয়েছে। ব্লগে যে পক্ব ও পরিণত লেখাৗ আসে তাতে সবার দৃষ্টি আকর্ষন হোক। অন্তত এতে করে কর্তাব্যক্তিরা্ও দেখুক, ব্লগ ক্যান ডু সামথিং সিনসিয়ার।

২১ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:২৫

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: আমরা বিজ্ঞানটাকেও বেশ জটিল করে উপস্থাপন করি যা সাধারণ মানুষ ঠিক ধরতে পারে না।

সহমত।

অনেক ধন্যবাদ ব্লগ কতৃপক্ষকে পোস্টটি স্টিকি করা হয়েছে। সহ ব্লগারগণকেও আন্তরিক ধন্যবাদ ক্রিয়েটিভ পার্টিসিপেইট এর জন্য। আমরা দশ জনে একটি সমস্যার সমাধান নিয়ে ভাবলে, আলোচনা, বিতর্ক- সমালোচনা করলে একচূয়াল সমাধানটি বেরিয়ে আসবে।

ধন্যবাদ সহ।

২৪| ২০ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:২২

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন:


@অন্ধবিন্দু,

আপনার "আমরা বিজ্ঞানটাকেও বেশ জটিল করে উপস্থাপন করি যা সাধারণ মানুষ ঠিক ধরতে পারে না।" সাথে দ্বিমত করার কোন উপায় নাই।

এটার অন্যতম কারণ হলো আমরা যখন বিজ্ঞানের কোন বিষয় নিয়ে লিখি সেটা বেশি ভাগ ক্ষেত্রেই বই বা গবেষণা প্রবন্ধ থেকে তুলে দেই কঠিন টার্ম গুলো। সেই সাথে ব্যাখ্যা গুলোও। বেশিভাগ সময় লেখক চেষ্টা করে না নিজের ভাষায় লেখার; আমাদের অডিয়েন্সের পাঠক কারা সেটাও চিন্তা করে না।

তবে এ ক্ষেত্রে আমাদের ব্লগারদের দোষও কোন অংশে কম না। আমরা বিজ্ঞান বিষয়ক লেখা গুলোতে নিয়মিত আলোচনায় অংশ গ্রহণ করলে লেখক অনেক সচেতন হবে; পাঠক লেখার কোন অংশটি বুঝতে পারতেছে না সেটা জানতে পারবে; সেই সাথে পরবর্তী লেখার সময় পূর্বের লেখার সীমাবদ্ধতা গুলোকে এড়িয়ে যেতে চাইবে। ব্যাপারটা কাজী নজরুল ইসলামের খোকার সাধ কবিতার মতো "আমরা যদি জাগি মা কেমনে সকাল হবে?"

২১ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:২৮

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: "আমরা যদি জাগি মা কেমনে সকাল হবে?" মাঝে মাঝে ভাবি এই কবিতাটার মর্ম কথা উচ্চ পর্যায়ে পড়ানো দরকার!
দেশ আমাদের সমস্যাও আমাদের, সমাধান আমাদেরকেই বের করতে হবে।

২৫| ২০ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:২৪

রুদ্র জাহেদ বলেছেন: অসাধারন পোস্ট

২০ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:৩২

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ।

২৬| ২০ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:৪৯

কল্লোল পথিক বলেছেন: আমাদের কৃষিভিত্তিক অর্থনীতির জন্য খুব গুরত্ব পূর্ণ পোস্ট।
ধন্যবাদ লেখক।

২১ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:২৮

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: পথিক ভাই, ধন্যবাদ জানবেন।

২৭| ২০ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:২৩

প্রামানিক বলেছেন: খুব গুরুত্বপুর্ন ও সচেতনমুলক পোস্ট।

২১ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:২৯

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।

২৮| ২০ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:৪৫

অন্ধবিন্দু বলেছেন:
@মোস্তফা কামাল,
বিজ্ঞান বিষয়ক লেখা গুলোতে নিয়মিত আলোচনায় অংশ গ্রহণ যারা করবে/করতেম। এখন কিন্তু আর ব্লগটিতে খুব একটা আসছি না। কারণ বিষয়ভিত্তিক/বিজ্ঞান বিষয়ক সাইট অনেক বেড়েছে এখন। ফেসবুক আছে। এছাড়া অনলাইন ম্যাগাজিন ও অন্যান্য টার্গেটেড অডিয়েন্স সংশ্লিষ্ট সাইট তো রয়েছেই।

আবার দেখা যায়, লেখক নিজের ভাষায় চেষ্টা করে লিখেন, কিন্তু পাঠক ওই বিষয়টিতে প্রাথমিক ধারণা না রাখার ফলে তা তার কাছে দুর্বোধ্যই লাগে। লেখকের পক্ষে তো আর ধরে ধরে তা বুঝিয়ে দেয়া সম্ভব নয়!!

আমরা যদি জাগি মা কেমনে সকাল হবে? আমি বলি রাতটা কাটানোর জন্য বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থাকে আরো বেশি বিজ্ঞানমুখি করে তুলতে হবে। তবেই আসবে সকাল।।

২১ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১:২৫

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থাকে আরো বেশি বিজ্ঞানমুখি করে তুলতে হবে, স্কুলের কারিকুলামকে এপ্লাইড করতে হবে, ইন্ডাস্ট্রি (কৃষি এবং শিল্পের) অরিয়েন্টেড করতে হবে।

মাতৃভাষায় বিজ্ঞান শিক্ষার টেক্সটবুক (নিন্ম থেকে উচ্চ) না থাকলে শিক্ষিতরাও বিজ্ঞানের বিষয়ে পড়তে অনাগ্রহী হন না।

২৯| ২০ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:৪৫

-দীপু বলেছেন: দারুন স্টিকি পোস্ট । কৃষি নিয়ে আপনার ভাবনা পরিপূর্ণতা পাক -শুভকামনা ।

২১ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১:১৯

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাইয়া।

৩০| ২১ শে জানুয়ারি, ২০১৬ ভোর ৫:১৮

মাসূদ রানা বলেছেন: গুড পোস্ট ।
-দীপু বলেছেন: দারুন স্টিকি পোস্ট । কৃষি নিয়ে আপনার ভাবনা পরিপূর্ণতা পাক -শুভকামনা ।

২১ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:০৬

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: ধন্যবাদ জানবেন।

৩১| ২১ শে জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:১৬

কথাকথিকেথিকথন বলেছেন: দারুণ পোস্ট । সমস্যা যেমন ধরিয়ে দিয়েছেন, করণীয় কী তাও সুন্দর করে বলেছেন । এখন থেকে সকল প্রকার আগাম প্রস্তুতি নেয়া খুব জরুরী হয়ে পড়েছে ।

অনেক ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা ।

২১ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:০৫

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা ।

৩২| ২১ শে জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:১৫

অলওয়েজ ড্রিম বলেছেন: কৃষি নিয়ে এত চমৎকার পোস্ট পড়ি নাই আর। আপনি শুধু সমস্যাই তুলে ধরেননি সমাধানও বাতলেছেন।

ছোটবেলা থেকেই অনুভব করতাম, একটি মহল্লা কিংবা পাড়া, কিংবা গ্রাম কেন্দ্রিক যদি সুউচ্চ ভবনের ব্যবস্থা থাকত তাহলে কৃষিজমি বাঁচত। এজন্য দরকার সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে সমন্বিত উদ্যোগ। দরিদ্র জনসাধারণের পক্ষে সুউচ্চ ভবন নির্মাণ সম্ভব নয়। এজন্য সরকার দীর্ঘমেয়াদি কিস্তি সুবিধায় স্বল্প মূল্যের ফ্লাটের ব্যবস্থা করতে পারে। এই ব্যবস্থার বাস্তবায়ন করা গেলে বর্তমানের লাখ-লাখ বসতবাড়ি একেকটি কৃষিখামার-বাড়ি হিসাবে গড়ে উঠবে - কোনো বাড়ি ডেইরি খামার, কোনো বাড়ি পোল্ট্রি খামার, কোনোটা ফলের বাগান, কোনোটা সবজি ক্ষেত।

সচেতন ব্লগারদের কাছ থেকে এ বিষয়ে আরও পোস্ট আশা করছি। আমাদের ভিতরে আগে অন্তত ভাল কিছুর আকাঙ্ক্ষা জাগাতে হবে। আকাঙ্ক্ষা না থাকলে প্রাপ্তি ঘটে না। আর আকাঙ্ক্ষা তার মনেই থাকে যিনি জানেন আমার প্রয়োজন। সুতরাং আমাদেরকে জানতে হবে আমাদের কী প্রয়োজন? জানতে হলে পড়তে হবে, পড়তে হলে সংশ্লিষ্ট বিষয়ের উপরে লেখা থাকতে হবে।

পথিক ভাই, আপনার এই অসাধারণ পোস্টের জন্য আপনাকে আন্তরিক শুভকামনা।

২১ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:০২

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: ছোটবেলা থেকেই অনুভব করতাম, একটি মহল্লা কিংবা পাড়া, কিংবা গ্রাম কেন্দ্রিক যদি সুউচ্চ ভবনের ব্যবস্থা থাকত তাহলে কৃষিজমি বাঁচত। এজন্য দরকার সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে সমন্বিত উদ্যোগ। দরিদ্র জনসাধারণের পক্ষে সুউচ্চ ভবন নির্মাণ সম্ভব নয়। এজন্য সরকার দীর্ঘমেয়াদি কিস্তি সুবিধায় স্বল্প মূল্যের ফ্লাটের ব্যবস্থা করতে পারে। এই ব্যবস্থার বাস্তবায়ন করা গেলে বর্তমানের লাখ-লাখ বসতবাড়ি একেকটি কৃষিখামার-বাড়ি হিসাবে গড়ে উঠবে - কোনো বাড়ি ডেইরি খামার, কোনো বাড়ি পোল্ট্রি খামার, কোনোটা ফলের বাগান, কোনোটা সবজি ক্ষেত।

খুব সুন্দর করে বলেছেন। এটাই টেকসই সমাধান। টেকসই সমাধানে কৃষিকে ইনক্লুড করতেই হবে।

ভার্টিক্যাল কন্সট্রাকশনে গ্রামীণ বসত বাড়ি গুলো যেমন এক একটি খামার হয়ে উঠতে পারে তেমনি গ্রামে আবাসন খাতে কৃষি ভূমির আগ্রাসনও ঠেকানো যায়। এই কাজটিই সবার আগে করতে হবে। (পরবর্তি ধাপে শিল্প বিস্তারে ভূমির ব্যবহার, ইকোনমিক জোনের ভূমি অধিগ্রহণ ইত্যাদির ক্রাইটেরিয়া নিয়েও কাজ করার আছে।)

সচেতন ব্লগারদের কাছ থেকে এ বিষয়ে আরও পোস্ট আশা করছি।

অন্তরিক কৃতজ্ঞতা, মন্তব্যের জন্য।

৩৩| ২১ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:৪৭

আহসানের ব্লগ বলেছেন: পরিশেষে বলা যায় আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে ।

২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৬ ভোর ৪:২১

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে প্রাণ, পরিবেশ, কৃষি এবং কৃষক রক্ষায়।

৩৪| ২১ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:০৭

দিশেহারা রাজপুত্র বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে সমস্যার পাশাপাশি সমাধানও তুলে ধরার জন্য।

কি জানেন আমাদের দেশে বাবা মায়েরা চায় তার ছেলে ডাক্তার হোক ইঞ্জিনিয়ার হোক কিন্তু একজন এডুকেটেড ফার্মার কেউ চায় না। দেশের অর্থনীতির রুট কৃষি কিন্তু অধিকাংশ কৃষকের পেটে প্রাইমারী শিক্ষাও নেই। তাই উন্নতি আসলেও তা শম্ভুক গতিতে।

আপনার লেখাটা ভালো লেগেছে তবে এরকম আরো পোস্ট প্রয়োজন।

২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৬ ভোর ৪:২৬

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: ডেভেলপমেন্টকে কৃষির সাথে এন্ড টু এন্ড ইন্টিগ্রেটেড রাখতে হবে।
কৃষিকে টুলস বেইজড , ইন্সট্রুমেন্টাল করতে পারলে, কৃষক কৃষাণী নিজেদের কাজকে আনন্দময় হসেবে পাবেন, এটা এমনিতেই ক্রিয়েটিভ কাজ। তখন শিক্ষিতদের এই পেশায় টানা যাবে।

৩৫| ২১ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:০৯

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:

সাম্প্রতিক কালের সবচেয়ে দরকারি একটি বিষয়, কৃষ্টি এবং খাদ্য নিরাপত্তা। অফলাইনে পড়েছিলাম।
কৃষি হোক আগামির বিজ্ঞান... কৃষিবিদেরা হোক আগামির বিজ্ঞানী।

২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৬ ভোর ৪:২৩

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: অনেক সুন্দর কথা, কৃষি হোক আগামির বিজ্ঞান... কৃষিবিদেরা হোক আগামির বিজ্ঞানী।

৩৬| ২১ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:০৯

আমি বন্দি বলেছেন: সুন্দর বিষয় তুলে ধরেছেন ।

২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৬ ভোর ৪:৩০

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।

৩৭| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:১৭

আমি রুহুল বলেছেন: লেখাটা ভালো লেগেছে তবে এরকম আরো
পোস্ট প্রয়োজন।
হ্যপী ব্লগিং.....

২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৬ ভোর ৪:২৭

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: এরকম আরো পোস্ট প্রয়োজন। সহমত।

৩৮| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:৪১

ব্লগার মাসুদ বলেছেন: আমাদের সকলের এ বিষয়গুলো জানা দরকার । সুন্দর পোস্টটির জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ।

২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৬ ভোর ৪:২৭

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকেও।

৩৯| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:৪৫

সান্তুইয়া বলেছেন: ভালো লিখেছেন, আজকাল সচরাচর এমন লেখা পাওয়া যায় না, আশাকরি ধারাবাহিকতা বজায় রাখবেন। ধন্নবাদ সুন্দর পোষ্টের জন্ন।

২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৬ ভোর ৪:২২

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: ধারাবাহিকতার চেষ্টা করব, সাথে থাকবেন।

৪০| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:০৯

সুমন কর বলেছেন: চমৎকার একটি বিষয় বিস্তারিত ভাবে তুলে ধরার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
দেখলাম, অনেক কিছুই বলা হয়ে গেছে কিন্তু যাদের (সরকার এবং যথাযথ কতৃর্পক্ষ) এ বিষয়ে দৃষ্টি দেয়া দরকার তারা নীরব। এ ক্ষেত্রে একদম শিকড় থেকে সমস্যার সমাধান করতে হবে।

২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৬ ভোর ৪:২০

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: এ ক্ষেত্রে একদম শিকড় থেকে সমস্যার সমাধান করতে হবে।

সুন্দর করে বলেছেন।

৪১| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:২০

ধ্রুব নয়ন চৌধুরী বলেছেন: সিলেবাসে সংযুক্তি করে পাঠদান করা উচিৎ। বিশ্লেষণধর্মী এই পোস্ট খুব জরুরী।

২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৬ ভোর ৪:১৯

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: আন্তরিক ধন্যবাদ, লিখাটাকে উচ্চমান হিসেবে নির্দেশ করার জন্য!

৪২| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:০০

নতুন বলেছেন: এই ভাবে চিন্তা করার ক্ষমতা যদি আমাদের কৃষি মন্ত্রীদের থাকতো।

ভবিষ্যতের পরিকল্পনা এখন না করলে সামনের সমস্যা মোকাবেলা আমরা করতে পারবো না। সবাইকে সচেতন হতে হবে।

২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৬ ভোর ৪:১৮

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: ভবিষ্যতের পরিকল্পনা এখন না করলে সামনের সমস্যা মোকাবেলা আমরা করতে পারবো না। সবাইকে সচেতন হতে হবে।

৪৩| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:২০

নিনাদিনী ফেরদৌস বলেছেন: :)

৪৪| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:০৩

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
আর আরেকটি কথা -
আমাদের কৃষকদের খাদ্য প্রিজারভেশন ও প্যাকেজিঙ্গের সঠিক জ্ঞ্যান পৌছে দেয়া উচিত।
অশিক্ষিতদের অবৈধ আমদানিকরা বিশাক্ত ক্যামিকেল প্রিজারভেটিভ ব্যাবহার করছে, শুটকি প্রসেসে অতি বিশাক্ত DDT ইউজ করছে। এই কারনে সরকার প্রতিবছর গরিব কৃষকদের কষ্টে উৎপন্ন কৃষিপন্য ধ্বংশ করছে, এ নিয়ে কিছু লিখেছিলাম কিন্তু লেখা শেষ করতে পারি নি।

বিদেশীরাও তো Food grade প্রিজারভেটিভ ব্যবহার করে যা মার্কিন FDA এপ্রুভড।
আমরা সেই মানের Food grade প্রিজারভেটিভ, নিরাপদ ড্রাই ফিস প্রসেসিং প্রিজারভেটিভ, Food grade ডাইং এজেন্ট কেন আনছি না?
সরকারি কৃষিবিভাগ, এঞ্জিও বা কর্পরেটরা কেন সঠিক জ্ঞ্যন পৌছে দিচ্ছে না?

বৈধ পৃজার্ভ ও প্যাকেট করে চীন থেকে কমলা, কানাডা থেকে আপেল এক-দেড়মাস হাজার মাইল সাগর পাড়ি দিয়ে জাহাজে আসছে ঢাকায়।
পাপুয়ানিউগিনির স্টিকার লাগানো পাকা কলা নিউইয়র্কের স্টোরে সোভা পাচ্ছে।
আমরা সেই বৈধ প্রিজারভেটিভ কেন শিখিয়ে দিচ্ছিনা, কেন ব্যবহার করছি না?

২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৬ ভোর ৪:১৭

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: হাসান ভাই, প্রিজারভেশন এবং প্রক্রিয়া জাতকরন নিয়ে গুরুত্ব পুর্ন পয়েন্ট লিখেছেন।

কৃষি এবং খাদ্য প্রক্রিয়া জাতকরন নিয়ে একটি আর্টিক্যাল লিখছি, গুছিয়ে নিতে কিছু সময় নিবো। এখানে "এগ্রিকালচারাল প্রমোশন জোন" এর কন্সেপ্ট দিবো। ফরমালিন এবং অন্যান্য ক্লোরাইড ক্যামিক্যাল ঠেকাতে হলে প্রপার প্রক্রিয়াজতকরন এবং ট্রান্সপোর্টেশন দরকার। নাইলে নিজের ফলন সেইভ করতে ক্রিশক এবং এজেন্ট সবসময়ই ভিন্ন পন্থা অবলম্বন করবে। পুরো উৎপাদন কে কৃষক শুধু মৌসুমেই বাজারজাত করছেন প্রসেসিং এর অভাবে, অফ সিজন মার্কেটের অভাবে, আন্তর্জাতিক মার্কেটের আভাবে।প্রিজারভেটিভ এর ব্যাপারটাও ঠিক ধরেছেন, প্রপার ফুড গ্রেড প্রিজারভেটিভ এর দাম বেশি, তাই চূরি কম করা যায় বলে সেসবে আমাদের ব্যবসায়ীদের ইন্টারেস্ট কম!

৪৫| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:০৪

ভুলুয়া বলেছেন: আপনার এই বিষয় গুলো নিয়ে যারা কাজ করার কথা তারা কি এসব জানে না? আমারতো মনে হয় জানে।কিন্তুু ইচ্ছে করেই করে না। কারন দেশ প্রেম আর জনগণের প্রতি দায়িত্ব,কৃষকের কাজের মূল্য নিয়ে এখন কয়জন আমলা, রাজনীতিবিদ,ব্যবসায়ী আর সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারী ভাবে।

২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৬ ভোর ৪:০৯

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: সবার ভিতরে সচেতনা আনা প্রয়োজন, নাগরিক সচেতনতা আসলেই নাগরিক চাপ বাড়বে সংশ্লিষ্ট দের উপর।
মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ।

৪৬| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:২৬

সৈয়দ কামাল হুসাইন বলেছেন: ভালো

৪৭| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:০৭

লাইলী আরজুমান খানম লায়লা বলেছেন: অনেক দিন পর সামুতে ঢু দিলাম, মনের মত একটা পোস্ট দেখেই মনটাই ভরে গেল, যাইহোক সামু কতৃপক্ষকে আন্তরিক ধন্যবাদ পোস্টটিকে স্টিকি করার জন্য । কৃষি নিয়ে অনেক দিন ধরে তেমন কোন লেখাই পড়ি নাই, আমাদের কৃষি যদি বেজ হয় তাহলে কেন আজ কৃষির অবস্থা এমন !!! এক খন্ড জমিতে যদি কৃষক চাষাবাদ করে তবে অনেক ক্ষেত্রে লাভতো দূরের কথা খরচটাই উঠে না, কিন্তু আগের চিত্র ছিল সম্পূর্ণ ভিন্ন --- খুলনা ও সাতক্ষীরার বিস্তির্ণ অঞ্চল লবনাক্তায় ভরা--- এখানে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে চিংড়ি চাষের কারণে চাষাবাদের জমি পরিমান ধীরে ধীরে কমছে --- এখানেও কাজ করার বিস্তর সুযোগ রয়েছে, যদিও কিছু কিছু এনজিও কাজ করছে ---
যাইহোক আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ এই ধরণের একটি চমৎকার বিষয় তুলে ধরার জন্য

২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:২৬

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: এক খন্ড জমিতে যদি কৃষক চাষাবাদ করে তবে অনেক ক্ষেত্রে লাভতো দূরের কথা খরচটাই উঠে না, কিন্তু আগের চিত্র ছিল সম্পূর্ণ ভিন্ন --- খুলনা ও সাতক্ষীরার বিস্তির্ণ অঞ্চল লবনাক্তায় ভরা--- এখানে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে চিংড়ি চাষের কারণে চাষাবাদের জমি পরিমান ধীরে ধীরে কমছে --- এখানেও কাজ করার বিস্তর সুযোগ রয়েছে,


বাস্তব কথা বলেছেন।

সম্মিলিত ভাবে নাগরিক সচেতনতা বাড়াতে পারলে একটা পরিবর্তনের আশা রাখা যায়।

আন্তরিক ধন্যবাদ, ভালো লাগা শেয়ার করার জন্য।

৪৮| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৮:৪৩

আরজু পনি বলেছেন:
খুব বিস্তারিত পোস্ট ।

জরবায়ু পরিবর্তনের কুফলগুলোর সবটুকুতে নারী হয় ভুক্তভোগী সবচেয়ে বেশি ।
যখন পরিবারে খাদ্যের যোগান কমে যায় তখন নারীই আর সবার চেয়ে কম খায়। যখন পানিবধ্যতা থাতে তখন নারীর শরীর বৃত্তিয় প্রাকৃতিক বিভিন্ন সমস্যাগুলোতে নারীকেই ভুগতে হয় বেশি । গ্রাম ছেড়ে বাধ্য হয়ে নারীই আসছে অন্যের বাড়িতে দাসীগিরি করতে । সমাজে অসমতা বেড়ে চেলে এভাবে।
আপনি যেহেতু এসব নিয়ে বিস্তারিত পড়েছেন নারীর ব্যাপারটাও নিশ্চয়ই আপনার চোখ এড়িয়ে যায় নি । তবে বিষয়ে ফোকাস থাকার ব্যাপারটা খুব ভালো লেগেছে ।
সুদূর প্রসারীপরিকল্পনা গ্রহণ না করলে এর ভয়াবহ রূপ আরো বাড়বে ।

সামহোয়্যারইন কর্তৃপক্ষ পোস্টটিকে সবার দৃষ্টি আকর্ষণের ব্যবস্থা করে খুব ভালো একটি কাজ করেছেন ।

আপনাকে অনেক ধন্যবাদ সাথে পোস্টটিকে নিজের শোকেসে বন্দি করলাম ।

২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:৩৬

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: যখন পরিবারে খাদ্যের যোগান কমে যায় তখন নারীই আর সবার চেয়ে কম খায়। যখন পানিবধ্যতা থাতে তখন নারীর শরীর বৃত্তিয় প্রাকৃতিক বিভিন্ন সমস্যাগুলোতে নারীকেই ভুগতে হয় বেশি । গ্রাম ছেড়ে বাধ্য হয়ে নারীই আসছে অন্যের বাড়িতে দাসীগিরি করতে। সমাজে অসমতা বেড়ে চেলে এভাবে।

আপনার সাথে শতভাগ সহমত। খুবই গুরুত্বপূর্ন বিষয়, হাইলাইট করার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ।

ক্রমবর্ধমান রাসায়নিক চাষের বিস্তৃতি, ভেজাল ক্যামিক্যাল নির্ভর ফুড প্রেসেসিং, শিল্পের অনিন্ত্রিত আগ্রাসন, বনে মাত্রাতিরক্ত হিউম্যান পেনিট্রেশন, নদী এবং বায়ু দূষণ এবং সর্বোপরি জলবায়ু পরিবর্তনের কারনে ঠিক কি কি পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে গ্রামীণ পরিবেশে কৃষকের জীবন বিবির্তিত হচ্ছে এইসব বিশধ গবেষণার প্রয়োজন, এই নিয়েই একটি বই লিখার দীর্ঘ দিনের চেষ্টায় লিপ্ত, এই লিখা তারই একটি অংশ।

পর্যায় ক্রমে কৃষি ট্রান্সপোর্টেশন, ফুড প্রসেসিং, প্যাকেজিং, কৃষি পণ্য বাজারজাতকরণের খুটি নাটি বিষয়, গ্রামীণ সমাজের স্বাস্থ্য সেবার সংস্কারের বিষয় গুলো সুনির্দিষ্ট প্রস্তাবনা সহ কভার করবো ইনশাল্লাহ।

আন্তরিক ধন্যবাদ সহ।

৪৯| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:৫২

আলোরিকা বলেছেন: আজ থেকে বিশ /পঁচিশ বছর আগে যখন দাদাবাড়িতে বেড়াতে যেতাম , মনে হত এই গ্রাম দেখেই মনে হয় ইবনে বতুতা লিখেছেন - গোলা ভরা ধান,পুকুর ভরা মাছ ,গোয়াল ভরা গরু । এখন যখন বেড়াতে যাই দেখি ডিজিলাটাইজড গ্রাম । সবার ঘরে ঘরে টিভি , ফ্রিজ ! নেই পুকুরে জাল ফেলে মাছ ধরা বা দৌড়ে মুরগী ধরে অতিথি আপ্যায়নের রেওয়াজ । নেই ঢেঁকির আওয়াজে ঘুম ভাঙ্গা ভোর । এখন সবই সহজলভ্য - যান্ত্রিক । আর আমরা যারা শহুরে , যাদের হাতে টাকা আছে তারাও তো যে কোন মূল্যে শুধু নিজের সুখ / সুবিধাটুকু নিয়েই ব্যস্ত । খাঁটি মধু , ডিম ওয়ালা মাছ কোন কিছুতেই অরুচি নেই যতই মূল্য হোক না তার ! ভাবি না এর উৎস্য কি ।

আমার বাবার গ্রামে কিছু চাষের জমি আছে । গত পঁচিশ বছর ধরে যিনি এ জমি গুলো বর্গা করতেন , তিনি এবার বাবাকে জানিয়েছেন আর চাষ করবেন না - কারণ খরচ বহন করতে পারছেন না ।

স্কুল-কলেজে রচনায় লিখতাম ,' দাও ফিরিয়ে সে অরণ্য , লও হে এ নগর ।' এ কথার তাৎপর্য এখন জীবনের প্রতিটি পর্যায়ে উপলব্ধি করি । আমরা শুধু ভাবি , ভাবতেই থাকি .......ভবিষ্যৎ প্রজন্ম রোবট হয়ে ডিজিটাল খাবার - দাবারই খাক । আমার কি ? আমিতো আর সে সময় থাকব না :(

অসংখ্য ধন্যবাদ পথিক বিষয়টিকে চমৎকার ভাবে উপস্থাপনের জন্য । +++++

২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:৫৭

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: আলোরিকা, আপনার মন্তব্যে যেন সেই শৈশবের স্মৃতি ভেসে উঠছে চোখের সামনে, নির্মম বাস্তবতা সেসব আজ অতীত।

গ্রাম, গ্রামীণ পরিবেশ, এর নদি পানি, চাষাবাদ, কৃষি উৎপাদনকে এক তরফা বিবর্তন করে ফেলা হয়েছে রাসায়নিক মডেলে, এতে নদি পানি জমি সব বিষাক্ত হয়েছে। ফসলের বিচিত্রতা হারিয়েছে।সাধু পানিতে মাছ নেই। ফারাক্কা এবং গজলডোবা ব্যারেজের কারনে সারফেইস ওয়াটার কমছে। কৃষি ক্যালেন্ডার অনিয়মিত হচ্ছে।

পুষ্টি আজ ঔষধ নির্ভর। বীজ হয়েছে কোম্পানি নির্ভর। শিল্প, ধনী এবং রাজনীতির লোকেদের কাছে বেশি থেকে বেশি জমে যাচ্ছে। ফলে কৃষক দিন দিন অর্থনৈতিক ভাবে প্রান্তিক হচ্ছেন, ঋন নির্ভর হচ্ছেন।

অথচ কৃষি, মৎস্য উতপাদন সংরক্ষণ এবং বিপণনকে ডেভেলপমেটে ইনক্লুড করেই সমন্বিত কৃষি এবং শিল্প ভিত্তিক মাস ডেভেলপমেন্টে যাওয়া যায়। ইউ এস এ, চায়না এবং ইউরোপের উন্নয়ন তাঁদের কৃষি উৎপাদনকে কমিয়ে দেয়নি, বরং এরা কৃষিতে অতি উন্নত। সাস্টেইনেবল ডেভেলপমেন্ট এর স্বরূপ স্থানীয় জ্ঞানের আলোকে নতুন করে উপলভধি করতে হবে।

৫০| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:৫৫

হাসান তারেক বলেছেন: এক একটা কৃষি অফিসকে এক একটা টুলস হাউজ করে তুলতে হবে, যেখান থেকে কৃষকরা মেশিন এবং টুলস নামে মাত্র মূল্যে ভাড়া নিতে পারবেন।

অসংখ্য,
অসংখ্য এবং
অসংখ্য ধন্যবাদ।

২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:২১

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: এক একটা কৃষি অফিসকে এক একটা টুলস হাউজ করে তুলতে হবে, যেখান থেকে কৃষকরা মেশিন এবং টুলস নামে মাত্র মূল্যে ভাড়া নিতে পারবেন।

আশা করি, এটা স্বপ হয়ে থাকবে না। ঋন এবং দেশি বিদেশি কোম্পানির ব্যবসায়িক আগ্রাসন থেকে কৃষিকে মুক্ত করা সময়ের দাবি।

২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:২২

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ পড়ার জন্য।

৫১| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:৩৬

সালাহউদ্দীন আহমদ বলেছেন:
দুর্ভাগ্য বাংলাদেশের। এমন নীতি নির্ধারকেরা নীতি নির্ধারণ করেন, যাদের আছে কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা। যাদের ছেলেমেয়েরা সবাই বিদেশী নাগরিকত্বের অধিকারী। দেশের সামনে কি আসছে তা নিয়ে তাদের না ভাবাটাও পরিকল্পিত। গরীব চাষী ধান ফলানোয় ব্যস্ত। বাবুবাজারের চাল ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট দৈনিক কত মুনাফা করে, সেটা লিখলে সবাই আমাকে পাগল ভাববে। আমরা অনেক সভা সেমিনার করবো, অভিসন্দর্ভ লিখবো। তারপর ঘুমিয়ে পড়বো, আর বিদেশে চলে যাবার ধান্দা করবো।

২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:১৭

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: ভাই, ঠিকই বলেছেন। আমরা একটা লুপে পড়ে গেছি, যা থেকে বেরুতে পারছি না।
তবে নাগরিক সচেতন হলে, নাগরিক চাপ বাড়নো গেলে পরিস্থিতি পরিবর্তন হতে পারে। অসচেতন নাগরিকের দেশে সচেতন রাজনীতিবিদ এবং নেতৃত্ব আশা করা যায় না। ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য নিজেদের চেস্টা করতে হবে।

৫২| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:১৪

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: ক্রমবর্ধমান রাসায়নিক চাষের বিস্তৃতি, ভেজাল ক্যামিক্যাল নির্ভর ফুড প্রেসেসিং, কৃষি ভূমির উপর শিল্পের অনিন্ত্রিত আগ্রাসন, বনে মাত্রাতিরক্ত হিউম্যান পেনিট্রেশন, নদী এবং বায়ু দূষণ এবং সর্বোপরি জলবায়ু পরিবর্তনের কারনে ঠিক কি কি পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে গ্রামীণ পরিবেশে কৃষকের জীবন বিবির্তিত হচ্ছে এইসব বিশধ গবেষণার প্রয়োজন, বাংলাদেশ পরিপ্রেক্ষিতে।
গ্রামীণ পরিবেশ, এর নদি পানি, চাষাবাদ, কৃষি উৎপাদনকে এক তরফা বিবর্তন করে ফেলা হয়েছে একই গড্ডালিকা প্রবাহের আমদানি মুখী ব্যবসার এবং চাষাবাদের রাসায়নিক মডেলে, এতে বাতাস বন নদি পানি জমি সব বিষাক্ত হয়েছে। ফসলের বিচিত্রতা হারিয়েছে। সাধু পানিতে মাছ নেই। ফারাক্কা এবং গজলডোবা ব্যারেজের কারনে সারফেইস ওয়াটার কমছে। কৃষি ক্যালেন্ডার অনিয়মিত হচ্ছে।
পুষ্টি ঔষধ নির্ভর। বীজ হয়েছে কোম্পানি নির্ভর। শিল্প, ধনী এবং রাজনীতির লোকেদের কাছে বেশি থেকে বেশি জমে যাচ্ছে। ফলে কৃষক দিন দিন অর্থনৈতিক ভাবে প্রান্তিক হচ্ছেন, ঋন নির্ভর হচ্ছেন। নিজের জমতেই চাষাবাদ খরচ এত বাড়ছে যে, ফসলের উৎপাদন মূল্য দিয়ে কভার করা যাচ্ছে না। আর বর্গা চাষিদের রয়েছে ঋণের দায়। এতে ভয় হচ্ছে, দিন দিন বেশি থেকে বেশি প্রকৃত কৃষক চাষাবাদ থেকে ডিস্কানেক্টেড হবেন। এতে ফসল বৈচিত্র যা আছে তা হারিয়ে যাবার সমূহ বিপদের সম্ভাবনা রয়েছে।
অথচ কৃষি, মৎস্য উতপাদন সংরক্ষণ এবং বিপণনকে ডেভেলপমেটে ইনক্লুড করেই সমন্বিত কৃষি এবং শিল্প ভিত্তিক মাস ডেভেলপমেন্টে যাওয়া যায়। দেশকে সত্যিকার ভাবে উন্নত করতে গেলে দেশের কৃষকদের স্বার্থ রক্ষা করতে হবে। কৃষিতে অতি উন্নত হতে হবে কৃষকের আর্থনৈতিক স্বার্থ স্ট্যাবলিশ করে। সাস্টেইনেবল ডেভেলপমেন্ট এর স্বরূপ স্থানীয় জ্ঞানের আলোকে উপলভধি করতে হবে।

৫৩| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:৪৭

সিপন ১ বলেছেন: প্রথমেই লেখককেই ধন্যবাদ।
তারপর সামুর মডুদের। লেখাটি সবার চোঁখে পরার ব্যবস্থা করে দেবার জন্য।
[পুরো লেখাটাই একদমে পড়েছি; অসাধারণ! লেখাটিতে লেখকের দূরদর্শিতা, তথ্যবহুল বিশ্লেষণ, সমস্যা মার্ককরন ও সম্ভাব্য সমাধান কি হতে পারে সে বর্ণনা দারুণ! তারচেয়ে বড় কথা সবার অগোচর সমস্যাদি তোলে ধরার চেষ্টা। তাছাড়া, প্রত্যেকের গঠনমূলক মতামত লেখাটাকে আরও গভীর করে তোলেছে। /su]
একটা কথা, আমাদের সংসদের প্রায় সিংহভাগ ম্যাট্রিকও পাশ করতে পারে নি। তাই, তাদের মতো কুয়োর ব্যাঙ কিভাবে বাইরের পৃথিবী কল্পনা করবে সেটাও একটা কথা। সবাই ভাল থাকুন। ভাল লিখুন, ধন্যবাদ সবাইকে।

০৩ রা মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১২:১৬

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: অসাধারণ! লেখাটিতে লেখকের দূরদর্শিতা, তথ্যবহুল বিশ্লেষণ, সমস্যা মার্ককরন ও সম্ভাব্য সমাধান কি হতে পারে সে বর্ণনা দারুণ! তারচেয়ে বড় কথা সবার অগোচর সমস্যাদি তোলে ধরার চেষ্টা। তাছাড়া, প্রত্যেকের গঠনমূলক মতামত লেখাটাকে আরও গভীর করে তোলেছে।

ভালো লাগার ব্যাপারটা শেয়ার করার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ।

৫৪| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:১০

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: গত পরশু দিন আব্বার সাথে কথা হলো। কথা প্রসঙ্গে তাকে জিজ্ঞাসা করলাম আব্বা, জমি কি সব বর্গা দেওয়া হয়েছে বোরো ধান চাষের জন্য? আব্বা জানালেন অর্ধেক জমি ৩ মাস পূর্বে বর্গা দিয়েছিলেন ৫০০০ টাকা বিঘা প্রতি। যেগুলো অবশিষ্ট ছিল সেগুলো এই মাসে বর্গা দিয়েছেন ৪০০০ টাকা বিঘা প্রতি। এই রেট শুধু বোরো ধান চাষের জন্য (জানুয়ারি থেকে এপ্রিল/মে মাস পর্যন্ত)। দামের এই পার্থক্য কারণ ৩ মাস পূর্বে ধানের মণ ছিল ৬০০ টাকা যা বর্তমানে ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকা।

আব্বা আরও জানালেন যে আমাদের গ্রামে আমাদের ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের ১৫ বিঘার মতো ধানি জমি আছে। চেয়ারম্যান তাকে অনুরোধ করেছে ঐ জমিগুলো বোরো ধান চাষের জন্য বর্গা চাষি খুঁজে দিতে। বর্তমানে ৪০০০ টাকা হিসাবে কেউ বর্গা নিতে চাচ্ছে না। কারণ ধানের বীজ, কীটনাশক, রাসায়নিক সার, শ্রমিক সব কিছুর মূল্য পূর্বের অবস্থায় আছে কিংবা ঊর্ধ্বগামী শুধু নিম্ন গামী হলও ধানের মূল্য।

গ্রামের যে গরিব মানুষটি অন্যের ২/৩ বিঘা জমি বর্গা নিয়ে ধান চাষ করত সেই একই মানুষটি এখন পাড়ি জমাচ্ছেন ঢাকা, চট্টগ্রাম কিংবা সিলেটের মতো জনসংখ্যা বহুল শহরে রিক্সা চালানোর জন্য। ঐ সকল শহরে রিক্সা চালিয়ে দিন শেষে আয় গড়ে ৩০০ টাকা (খরচ বাদ দিয়ে); মাসে বাড়িতে পাঠায় ১০,০০০ টাকা; ৪ মাসে আয় ৪০,০০০ টাকা।

অথচ ৫ বিঘা জমিতে ধান চাষ করলে ৪ মাস পরে একজন বর্গা চাষির আয় খরচ বাদে সর্বোচ্চ বিঘা প্রতি ২ হাজার টাকা। ৫ বিঘা জমিতে ধান চাষ করে ৪ মাসে আয় সর্বমোট ১০,০০০ টাকা। গ্রামের শ্রমিক শ্রেণীর মানুষ কেউ আর বর্গা চাষে আগ্রহী না; এর চেয়ে অন্য শহরে গিয়া রিক্সা চালানো হাজার গুলো বেশি লাভজনক। সম্ভবত রিক্সা চালানো বাংলাদেশের একমাত্র ব্যবসা যাতে লস খাওয়ার কোন রিস্ক নাই।

গ্রামে সবচেয়ে কষ্টে আছে এখন নিম্ন মধ্যবিত্ত কৃষক শ্রেণীর মানুষ। চক্ষু লজ্জার ভয়ে শহরে গিয়ে রিক্সাও চালাতে পারে না; এদিকে নিজের সংসার ও ছেলে-মেয়েদের পড়া-লেখার খরচ চালানো প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়ছে দিনে দিনে।

আমি জানিনে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের কৃষকদের কি অবস্থা। তবে আমি উপরে যে তথ্য গুলো দিলাম সেগুলো হলো রংপুর, দিনাজপুর, নীলফামারী, কুড়িগ্রাম ও লালমনির হাট ও পঞ্চগড় জেলার কৃষকদের বাস্তব অর্থনৈতিক অবস্থা।

২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:৫৪

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: সংক্ষেপে ফলনের ডিস্কন্টিনিউটির কথা আর্টিকেলে বলেছি। এভাবে টানা কয়েক বছর আর্থিক আঘাত আসতে থাকলে নিজেদের খাদ্য চাহিদা পূরনের জন্য কৃষক কিছু জমি চাষাবাদ করে বাকি জমি হয় আনাবাদি রাখেন, বর্গা দিবার চেষ্টা করেন, না হয় অন্য ফলনে ঝুকেন নয়ত জমি বিক্রি করে ব্যবসার দিকে ঝোকেন। এতে সমস্যা হচ্ছে-
১। কোন বিরল ফলনের জাত চাষ করা চাষি তার ফলন থেকে ডিস্কন্টিনিঊ হয়ে জান, ফলে ধান বা সবজির বিশেষ জাত ২-৩ বছর চাষাবাদ না হবার কারনে বিলুপ্ত হয়ে যায়। পরে চাইলে তা আর পাওয়া যায় না।
২। ফলে দিন দিন দেশীয় জাত বিলুপ্ত হয়ে বিদেশি কোম্পানির উপর জি এম ও চারা নির্ভরতা আসছে যা রোগ বালাই এবং পতঙ্গ প্রতিরোধী নয়। আপনাকে তাদের সার, এন্টি ফাঙ্গাস, এন্টি ব্যাক্টেরিয়াল কীটনাশক স্প্রে কিনতে হবে।
৩। যেহেতু এগুলো ব্যবহার করে উপকারী পোকা গুলোর প্রজাতি নস্ট হয়ে যাচ্ছে, তাই ক্ষতিকারক পোকা গুলো আরো বেশি শক্তিশালী হয়ে উঠছে। মানে হোল আপনাকে বছর বছর আরো শক্তিশালী ঔষধ (সার, এন্টি ফাঙ্গাস, এন্টি ব্যাক্টেরিয়াল কীটনাশক স্প্রে) কিনতে হবে। এভাবেই আপনি সার বীজ কীটনাশক ছত্রাকনাশক সব কিছুর জন্য কোম্পানি নির্ভর হয়ে উঠবেন। এটা সরকার এবং প্রশাসনের লোকদের আমরা বুঝাতে পারিনি। আফসুস। উনাদের বুঝে আসে না, কেন কৃষকের উৎপাদন ব্যয় দিন দিন বাড়ছে।

৪। বাংলাদেশে কয়েকশত জাতের বেগুন ছিল, এখনো প্রায় ৫০ টির উপরে জাত বিভিন্ন এলাকায় চাষ হচ্ছে। আজ আমাদেরকে মন্সেন্টো-মাহিকো বেগুনের চারা দিচ্ছে। আফসুস।
৫। ৮০০০ এর মত ধান জাত ছিল। কিন্তু সেসব রক্ষায় কিছু করা হয় নি। বারির হিমাগারে কিছু জাত ছিল, চিলার নাকি নস্ট হয়ে গিয়েছিল গত বছর, জাত গুলোর কি অবস্থা জানা জায়নি।

বিনিময়ে ইরি বিরির হাইব্রিড জাত এসেছে, নতুন জাত আসায় ক্ষুধা এবং দারিদ্র মিটেছে। কিন্তু গবেষণার অংশ হিসেবে ব্যাপক ভিত্তিতে অধিক সংখ্যক পুরানো জাতের বীজ রক্ষার সীমিত আবাদটুকু চালিয়ে যাওয়া দরকার ছিল।

৫৫| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৬ ভোর ৪:০৩

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: দারুণ একটা প্রসঙ্গ মনে করে দিয়েছেন। ধানের প্রজাতির বিলুপ্তি। আমাদের সারা গ্রাম খুঁজে আমন ধান সিজনে ৩ টা পরিবারের বেশি পাওয়া যাবে না যে পরিবারটি কালোজিরা ধানের চাষ করে। আমার ব্যক্তিগত মতামত হলও পোলাও বা বিরিয়ানির জন্য সারা পৃথিবীতে কালোজিরা চাউল অপেক্ষা ভাল কোন চাউল খুঁজে পাওয়া যাবে না। আব্বা নিজেও ২ বিঘার বেশি জমিতে কালোজিরা ধানের চাষ করেন না। এই ধান এখনও চাষ করেন শুধুমাত্র নিজেদের খাওয়ার জন্য।

প্রতিবছর শহরের আত্নিয়দের কালোজিরা চাউল দিতে হয়।

আমার শৈশব কালে খুব চিকন এক প্রকার ধানের ভাত খেতাম যার নাম ছিল "পাজাম"। মেশিনে চিকন করা মিনিকেট চাউলের মতোই চিকন ছিল। ঐ চালউ প্রাকৃতিক ভাবেই চিকন ছিল। আমার জানা মতে ঐ ধানের চাষ এখন পুরোপুরি বিলুপ্ত। আমাদের পরিবার ও চাষ করে না। চাইলেও এখন আর সম্ভব না হয়ত। বর্তমানে আমন সিজনে আবাদ হয় বিআর -২৮ ও বিআর-২৯। যাদের কল্যানে আমাদের চাউল উৎপাদনে স্বনির্ভরতা (বাস্তবে যদিও প্রতিবছর ৫ থাকে ১০ লাখ মেট্রিকটন চাউল আমদানি করার প্রমান পাওয়া যাচ্ছে)।

৫৬| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৮:৫৫

অলওয়েজ ড্রিম বলেছেন: অনেকের মূল্যবান মতামত পড়লাম। বিশেষ করে পলাশ ভাইয়ের মন্তব্যগুলি এই পোস্টের চমৎকারিত্ব আরো বাড়িয়েছে।

কিন্তু আমার মনেহয় আমাদের দেশের মূল সমস্যা অন্যখানে, আরো গভীরে। কয়েকজন এব্যাপারে হালকা স্পর্শও করেছেন। তাহলো আমাদের নেতৃত্বে সচেতন ব্যাক্তিবর্গের অভাব। কিংবা সচেতনতা থাকলেও দেশপ্রেমের অভাব। কারণ তাদের রয়েছে যৌথ নাগরিকত্ব - উন্নত দেশে রয়েছে বাড়ি-গাড়ি-ব্যবসা। ছেলেমেয়েরা সব সেই সব দেশে। নেতা কিংবা নেত্রী আছেন শুধু যে কদিন চুষে-শুষে খাওয়া যায়। আমরা, যাদেরকে এই বাংলাদেশেই থাকতে হবে তাদেরকে নিয়ে ভাববার সময় কোথায় মহান নেতাদের। সবচেয়ে মজার কৌতুক হচ্ছে এটাই যে আমরাই আবার তাদেরকে ভোট দিয়ে ক্ষমতায় বসাই। আমরা আল-বাল-ছাল-জাল এদের বাইরে বিকল্প কাউকে ভাবি না। অবশ্য পুরো দোষ আমজনতারও নয়। আমরা তো খুঁজেই পাচ্ছি না বিকল্প কাউকে। কোনো কেজরিওয়াল, মাহাথির মোহাম্মদ, লি কুয়াং ইউ (আধুনিক সিংগাপুরের জনক) আমাদের মধ্য থেকে উঠে আসছেন না। এই খানে এসে আবার পুরো দোষটাই জনতার কাঁধে চলে যাবে। আন্তরিকভাবে না খুঁজলে, জোরালভাবে না চাইলে, পরিবর্তনের জন্য আত্মত্যাগের স্পৃহা না জাগলে আমাদের ভিতর থেকেই নেতা কিভাবে উঠে আসবেন? আমরা যতক্ষণ পর্যন্ত বিকল্প নেতৃত্বের জন্য তীব্র আকাঙ্ক্ষা অনুভব না করব ততক্ষণ পর্যন্ত কোনো নেতৃত্ব উঠে আসবে না।
সুতরাং সমস্ত দায়ভাগ শেষপর্যন্ত আমাদের আমজনতার ঘাড়েই যায় বলে আমি মনেকরি। কেননা আমরা এখনও পীরের ছেলে পীর হবে বলেই ভাবি।

২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:০৪

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: কিন্তু আমার মনেহয় আমাদের দেশের মূল সমস্যা অন্যখানে, আরো গভীরে। কয়েকজন এব্যাপারে হালকা স্পর্শও করেছেন। তাহলো আমাদের নেতৃত্বে সচেতন ব্যাক্তিবর্গের অভাব। কিংবা সচেতনতা থাকলেও দেশপ্রেমের অভাব।

সৎ এবং ভীশন সম্পন্ন লিডারশীপ ছাড়া কিছুই হবে না, আমাদের প্রচেষ্টা নাগরিক সচেতনতা তৈরি এবং সৎ এবং ভীশন সম্পন্ন লিডারশীপ তৈরির পথ সুগম করার তাগাদা মাত্র!

৫৭| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৪৭

বিদেশ পাগলা বলেছেন: সময়োপযোগী গুরুত্বপুর্ন পোস্ট । জলবায়ুর পরিবর্তনের পেক্ষাপটে বাংলাদেশের কৃষি ও খাদ্য নিরাপত্তার কথা অবশ্যই আমাদের ভাবতে হবে । তানাহলে হয়তো এমন দিন আসবে অর্থ দিলেও খাদ্য পাওয়া যাবে না । আর পাওয়া গেলেও অনেক মুল্য শোধ করতে হবে ।
ধন্যবাদ

২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:৫৬

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: জনাব,গুরুত্বপূর্ণ কথা বলেছেন। শুভেচ্ছা সহ!

৫৮| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:২২

গেদা (Geda) বলেছেন: অামাদের সচেতন করায় লেখক কে ধন্যবাদ ।

২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:৫৮

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।

৫৯| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৩৭

রুহুল গনি জ্যোতি বলেছেন: খুব ভাল লাগ‌লো আপনার লেখা প‌ড়ে। অ‌নেক ধন্যবাদ আপনাকে।

২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:৫৭

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।

৬০| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:১০

শেষ বেলা বলেছেন: লেখাটা বেশ বড়, তবে পড়ে ভাল লাগলো। জলবায়ুর পরিবর্তনের পেক্ষাপটে বাংলাদেশের কৃষি ও খাদ্য নিরাপত্তার কথা অবশ্যই আমাদের ভাবতে হবে । লেখাটি চিন্তার খোরাক জোগায়। ধন্যবাদ, ভাল থাকবেন।

২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:৫৭

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: ভাই, অনেক ধৈর্য নিয়ে এধরনের লিখা পড়তে হয়, ব্যাপারটা বুঝি। অনেক কিছু করার রয়েছে এই বোধ তাড়িয়ে বেড়ায় তাই লিখি।
অনেক অনেক ধন্যবাদ। ভাল থাকবেন।

৬১| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:৪৬

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন:
২৫ হাজার টাকা খাটিয়ে আমনচাষী ফেরত পেলেন ৮ হাজার টাকা!

৬২| ০৩ রা এপ্রিল, ২০১৬ রাত ২:২৮

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: ধানের দামে যেভাবে সর্বস্বান্ত হন কৃষক

৬৩| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৬ ভোর ৪:১৪

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: গমের ব্লাস্ট ছত্রাক নিয়ে গবেষণার পটভূমি নিয়ে
গত ১ মার্চ ডেইলি স্টারে প্রকাশিত একটি সংবাদের পরিপ্রেক্ষিতেই মূলত গবেষণার শুরু। ওই সংবাদে বলা হয়েছিল— কুষ্টিয়া, মেহেরপুর, চুয়াডাঙ্গা, ঝিনাইদহ, ভোলাসহ মোট ১৩টি জেলায় হুইট ব্লাস্ট রোগে ব্যাপকভাবে ফসলের ক্ষতি হয়েছে। আমি হুইট ব্লাস্ট নিয়ে আগে কাজ করেনি। কেননা এ রোগ এশিয়ায় কখনই ছিল না। সেদিক থেকে এটি এখানে অপরিচিত। আলোচ্য সংবাদের পর আমি এ রোগ সম্পর্কে জানার চেষ্টা করি। প্রায় সব গ্লোবাল ডাটাবেজে সার্চ করতে শুরু করলাম। অনুসন্ধানে দেখা যায়, ১৯৮৫ সালে ব্রাজিলের পারানা রাজ্যে প্রথম মানুষ হুইট ব্লাস্ট রোগ আবিষ্কার করে। ব্রাজিলে হওয়ার পর জাপানি বিজ্ঞানী ইগারাশি শনাক্ত করেন যে এটি ব্লাস্ট রোগ। এখন বিশ্বে বিশেষ করে বলিভিয়া, প্যারাগুয়ে, আর্জেন্টিনার মতো দক্ষিণ আমেরিকার দেশগুলোর প্রায় তিন মিলিয়ন হেক্টর জমি ব্লাস্ট দ্বারা আক্রান্ত এবং প্রতি বছর ফসলের বিপুল ক্ষতি হয়। এ রোগ ফসলের জন্য মারাত্মক শত্রু। সামনে এটি বাংলাদেশের খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তার জন্য বড় হুমকি হবে। কারণ বাংলাদেশে বর্তমানে প্রতিবছর ১৩-১৪ লাখ টন গম উত্পাদন এবং ৩৫-৪০ লাখ টন গম আমদানি করা হয়।

হতে পারে ব্রাজিল থেকে পচা এবং জীবাণু যুক্ত গম আমদানি এই ব্লাস্ট ছত্রাকের আবির্ভাব ঘটিয়েছে বাংলাদেশে। পৃথিবীর বহু দেশে ইন্ডিস্ক্রিমিনেট খাদ্য শস্য আমদানির উপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। জৈব নিরাপত্তা নিয়ে ভাবা খুব দরকার হয়ে পড়েছে।

জৈবপ্রযুক্তি গবেষণায় দেশে সেন্টার অব এক্সিলেন্স প্রতিষ্ঠা প্রয়োজন

৬৪| ০১ লা মে, ২০১৭ দুপুর ১:৪৮

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: দেশের ৫৬ শতাংশ মানুষের শরীরে এন্টিবায়োটিক অকার্যকর!
vet day 02নিজস্ব প্রতিবেদক : “বাংলাদেশে এন্টিবায়োটিকের যত্রতত্র ব্যবহারের কারণে দিনকে দিন এসবের কার্যকারিতা হারাচ্ছে। বর্তমানে দেশের ৫৬ শতাংশ মানুষের শরীরে এন্টিবায়োটিকের কার্যক্রম অকার্যকর হয়ে পড়েছে। মানুষ ও প্রাণি চিকিৎসায়, পোলট্রি, মৎস্য ও পশুখাদ্যে গ্রোথ প্রোমোটর হিসেবে এন্টিবায়োটিকের যথেচ্ছ ব্যবহার হচ্ছে। এর ফলে নতুন নতুন জীবাণু তৈরি হচ্ছে এবং এন্টিবায়োটিকের কার্যকারিতা হারাচ্ছে। দেশে নতুন কোন এন্টিবায়োটিক আবিষ্কারও তেমন হচ্ছেনা। এর ফলে মানব স্বাস্থ্য মারাত্মক হুমকির মধ্যে পড়ছে।” – প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর ও দি ভেট এক্সিকিউটিভ এর যৌথ আয়োজনে ২৯ এপ্রিল (শনিবার), বিশ্ব ভেটেরিনারি দিবস ২০১৭ পালন উপলক্ষ্যে আয়োজিত সেমিনারে স্বাগত বক্তব্যের মাধ্যমে এসব কথা বলেন প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন) এবং অনুষ্ঠান উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক ডা. একেএম নজরুল ইসলাম।
2
এ সময় তিনি জানান, সিপ্রোফ্লক্সাসিন কার্যকারিতা হারিয়েছে ৯৫%, টিবি বা যক্ষা রোগের এন্টিবায়োটিক কার্যকারিতা হুমকির মুখে। এন্টিবায়োটিকের যত্রতত্র ব্যবহারের কারণে সারাবিশ্বে প্রতি বছর ১০ মিলিয়ন মানুষ মারা যাচ্ছে এবং প্রায় ১০০ ট্রিলিয়ন ডলারের আর্থিক ক্ষতি হচ্ছে বলে জানান তিনি।
1
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর ও দি ভেট এক্সিকিউটিভ এর যৌথ আয়োজনে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও ২৯ এপ্রিল (শনিবার), বিশ্ব ভেটেরিনারি দিবস ২০১৭ পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষ্যে সকালে এক বর্ণাঢ্য র‌্যালী বের করা হয়। র‌্যালি শেষে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে সেমিনারের আয়োজন করা হয়। সেমিনারে প্রধান অতিধি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মোহাম্মদ ছায়েদুল হক এমপি। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক কৃষিবিদ আ.ফ.ম. বাহাউদ্দিন নাছিম এমপি এবং সভাপতিত্ব করেন প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. আইনুল হক।
সেমিনারে “Antimicrobial Resistance – From Awareness To Action” -শীর্ষক প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি কলেজের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক নীতিশ চন্দ্র দেবনাথ। এ সময় তিনি মানুষ ও পশু পাখিতে যত্রতত্র এন্টিবায়োটিক ব্যবহারের ফলে এর ক্ষতিকর প্রভাব এবং পরিত্রাণের উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেন।
সেমিনারে কৃষিবিদ আ.ফ.ম. বাহাউদ্দিন নাছিম এমপি বলেন, এন্টিবায়োটিকের ব্যবহার কেবল অনুমোদিত বিশেষজ্ঞের মাধ্যমেই হওয়া উচিত। কারণ এটির সাথে সরাসরি মানুষের জীবনের প্রশ্ন জড়িত। আমরা ইতোমধ্যে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছি, এখন আমাদের পুষ্টি নিরাপত্তার ব্যাপারে সজাগ থাকতে হবে। এ সময় তিনি ভেটেরিনারিয়ানদের জন্য যুগোপযোগী অর্গানোগ্রাম করা এবং সরকারি চাকুরিতে আরো বেশি নিয়োগের আশ্বা দেন।
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. আইনুল হক বলেন, সারাবিশ্বে যত এন্টিবায়োটিক ব্যবহার হয় তার ৭০ শতাংশই প্রাণি উৎপাদনে। পাখি ও পশুতে এন্টিবায়োটিকের ব্যবহার মানুষের চেয়ে প্রায় তিনগুণ বেশি। শুধু সরাসরি এন্টিবায়োটিক গ্রহণ নয়, এসবের মাধ্যমেও মানুষের শরীরে এন্টিবায়োটিকের কার্যকরিতা হারাচ্ছে। তাই এ ব্যাপারে আমাদের অধিক সতর্ক থাকতে হবে।
এ সময় তিনি জানান, দেশে গ্রোথ প্রোমোটর হিসেবে এন্টিবায়োটিকের ব্যবহার নিষিদ্ধ হলেও কিছু অসাধু ব্যবসায়ী পোলট্রি, গরু ও মাছের খাবার তৈরিতে এসবের ব্যবহার করছে। এদের রোধ করতে হবে। মানুষের জন্য নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে হবে।
মোহাম্মদ ছায়েদুল হক এমপি বলেন, অনুমোদিত চিকিৎসক ছাড়া যাতে কেউ এন্টিবায়োটিক প্রেসক্রাইব না করতে পারে সেজন্য আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবো। এছাড়াও মন্ত্রণালয় থেকে ভেটেরিনারিয়ানদের জন্য যুগোপযোগী নতুন অর্গানোগ্রাম করার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করা হবে।
এ বছর ‘The Vet Executive Honor-2017’ প্রদান করা হয় প্রফেসর আবদুর রহমানকে। আয়োজকদের পক্ষ থেকে তাঁকে বিশেষ সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।
আলোচনা সভা সঞ্চালনা ও ভেটেনারিয়ানদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে বক্তব্য দেন উদযাপন কমিটির সদস্য সচিব ডা. মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান মোল্লা। আলোচনা সভা শেষে বাংলাদেশ ভেটেরিনারি স্টুডেন্টস ফেডারেশন (বিভিএসএফ) -এর আয়োজনে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
উল্লেখ্য, ওয়ার্ল্ড ভেটেরিনারি এসোসিয়েশন (WVA) ২০০১ সন থেকে এপ্রিল মাসের শেষ শনিবার বিশ্ব ভেটেরিনারি দিবস ঘোষণা করে এবং এরপর থেকেই সারাবিশ্বে দিবসটি পালন করে আসছে।


http://www.agrinews24.com/দেশের-৫৬-শতাংশ-মানুষের-শর/

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.