নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব,ইইই প্রকৌশলী। মতিঝিল আইডিয়াল, ঢাকা কলেজ, বুয়েট এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্র।টেলিকমিউনিকেশন এক্সপার্ট। Sustainable development activist, writer of technology and infrastructural aspects of socio economy.

এক নিরুদ্দেশ পথিক

সমাজের প্রতিটি ছোট বড় সমস্যার প্রকৃতি নির্ধারণ করা, আমাদের আচার ব্যবহার, সমাজের প্রচলিত কৃষ্টি কালচার, সৃষ্টিশীলতা, চারিত্রিক উদারতা এবং বক্রতা, অপরাধ প্রবৃত্তি, অপরাধ সঙ্ঘঠনের ধাঁচ ইত্যাদির স্থানীয় জ্ঞানের আলোকে সমাজের সমস্যার সমাধান বাতলে দেয়াই অগ্রসর নাগরিকের দায়িত্ব। বাংলাদেশে দুর্নীতি রোধ, প্রাতিষ্ঠানিক শুদ্ধিকরন এবং টেকনোলজির কার্যকরীতার সাথে স্থানীয় অপরাধের জ্ঞান কে সমন্বয় ঘটিয়ে দেশের ছোট বড় সমস্যা সমাধান এর জন্য লিখা লিখি করি। আমার নির্দিষ্ট দৃষ্টিভঙ্গি আছে কিন্তু দলীয় সীমাবদ্ধতা নেই বলেই মনে করি, চোর কে চোর বলার সৎ সাহস আমার আছে বলেই বিশ্বাস করি। রাষ্ট্রের অনৈতিক কাঠামোকে এবং দুর্নীতিবাজদের সবাইকে তীক্ষ্ণ ভাবে চ্যালেঞ্জ করার চেষ্টা করি। রাষ্ট্র কে চ্যালেঞ্জ করতে চাই প্রতিটি অক্ষমতার আর অজ্ঞতার জন্য, তবে আঘাত নয়। ব্যক্তিগত ভাবে নাগরিকের জীবনমান উন্নয়ন কে দেশের ঐক্যের ভিত্তিমূল মনে করি। ডাটাবেইজ এবং টেকনোলজি বেইজড পলিসি দিয়ে সমস্যা সমাধানের প্রোপজাল দেবার চেষ্টা করি। আমি মূলত সাস্টেইন এবল ডেভেলপমেন্ট (টেকসই উন্নয়ন) এর নিরিখে- অবকাঠামো উন্নয়ন এবং ডিজাইন ত্রুটি, কৃষি শিক্ষা খাতে কারিগরি ব্যবস্থাপনা ভিত্তিক সংস্কার, জলবায়ু পরিবর্তন, মাইক্রো ইকনমিক ব্যাপার গুলো, ফিনান্সিয়াল মাইগ্রেশন এইসব ক্রিটিক্যাল ব্যাপার নিয়ে লিখার চেষ্টা করি। মাঝে মাঝে চোরকে চোর বলার জন্য দুর্নিতি নিয়ে লিখি। পেশাঃ প্রকৌশলী, টেকনিক্যাল আর্কিটেক্ট, ভোডাফোন।

এক নিরুদ্দেশ পথিক › বিস্তারিত পোস্টঃ

গ্রামীণ অবকাঠামো ডিজাইন ও বাস্তবায়ন ত্রুটির সেকাল একাল

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:৪৪

(নোটঃ কিছুটা বড় পোস্ট, তবে কানেক্টেড রাখার চেষ্টার করেছি। সামুতে এক নিরুদ্দেশ পথিক ব্লগের মাত্র ২ বছর পুর্তি উপলক্ষে!)

গ্রামীন পরিবেশে অবকাঠামো বিষয়ক ভাবনা আসলেই আমার মনের পর্দায় ভেসে উঠে ভিন্ন ভিন্ন বৈশিষ্টের পাকা কাচা ভাঙা এবং অর্ধ ভাঙা কিছু ব্রিজ এর কথা, বাঁশের সাঁকো গুলোর কথা কিংবা আমাদের গ্রামের পাশ ঘেঁসে যাওয়া উঁচু রেল সড়কটির কথা, বন্যায় ডুবে যাওয়া গ্রামের ভিতরের রাস্তা গুলোর কিছু দূর পর পর যাতে বাঁশের অস্থায়ী সাঁকো ছিল, যেখানে কাদা মাখা পা পিছলে যেতে চাইতো। কিংবা আমাদের স্কুল ঘরটির কথা যার প্লাস্টার খয়ে গেসে, ছাদের আস্তর ভেঙ্গে গেছে কিছু জায়গায়।

ভেসে উঠে আমার গ্রামের বাড়ির সামনের একটা খুব ছোট একটা সেতু যার ঠিক মাঝ খানটায় একটা বড় ফুটা ছিল যেখান থেকে কয়েকটা জং ধরা সরু রড বেরিয়ে ছিল বহু বছর, যেখানে একটা ইটবাহী ট্রাক আটকে পড়েছিল কয়েকদিন, যার পাশের সাইড বেরিকেড আংশিক ভাঙা ছিল, ভিত্তি মূলের ফাটল ধরা ইটের গাইড ওয়াল যা ভারী যানবাহন সহ রাস্তার লোড নিতে না পেরে সরে গেসে কিছুটা দূর, মূল ব্রিজ থেকে যার উপর থেকে ভরা বর্ষায় ছেলেরা পানি ঝাঁপ দেয়ার প্রতিযোগিতা করতো, গ্রামের দুরন্ত ছেলেরা যেখান থেকে খুলে নিয়েছে কয়েকটা ইট! অথবা স্কুল ঘরের দেয়ালের খয়ে যাওয়া প্ল্যাসটারে খোদাই করে প্রেমিকার নামের পাশে প্লাস দিয়ে লিখা সুপ্ত ভালোবাসার কথা যার জন্য মার খেয়েছে আমাদের ভীষণ কড়া হেড মাষ্টার হুমায়ূন স্যারের, যিনি এসমব্লিতে দাঁড় করিয়ে ভরা কন্ঠের দরাজ গলায় শপথ পড়াতেন "আমরা স্কুলে আসবো, উত্তর থেকে আসব, দক্ষিণ থেকে আসবো, পুর্ব থেকে আসবো, পশ্চিম থেকে আসব, ভাই বোনকে নিয়ে"। আজ জীবনের এতটা পথ পাড়িয়ে দিয়ে ভাবছি, কেন আবকাঠামো গুলো সেই সময়ে খুব পুরানো না হলেও এত জীর্ন ছিল, যা প্রতিশ্রুত লাইফ সাইকেলের এক চতুর্থাংশ সময়ও পেরুতে পারেনি। এটা শুধু পচা ইট বসানো কিংবা সিমেন্ট চুরির গল্প নয় এতে নিহিত রয়েছে ডিজাইন সম্পর্কিত অনেক পেছনের কারণ যার সামান্য কিছু দিক আলোচনাই এই লিখার প্রেক্ষাপট।

ক। গ্রাম ও মফস্বলের রাস্তা তৈরির ধরনঃ পলি পতন প্রতিবন্ধকতা, বর্ষা ও ফ্ল্যাশ ফ্ল্যাড পরবর্তি সময়ে জলাবদ্ধতার উৎস

নদীমাতৃক বাংলাদেশে নদী এবং খালের পাড়ে শহর বন্দর এবং হাট বাজার বসে উঠেছে শতাব্দী প্রাচীন নৌপথ ভিত্তিক মাস ট্রাস্নপোর্টেশন এর কারনে যা সভ্যতার অত্যন্ত যৌক্তিক অধ্যায়। কিন্তু পরবর্তিতে সড়ক পথ করার সময় দেখা যায় ঠিক নদী বা খালের একটি কূল ব্লক করে রাস্তা বানানো হয়েছে (কথিত মাটি প্রাপ্তির সুবিধার জন্য) কিন্তু এতে চাষের জমিতে পলি পতনে প্রতিবন্ধকতা দেখা দিয়েছে, বিপরীতে পলি পতন জনিত উর্বরতা ত্বরান্বিত করতে সঠিক সময়ে ওয়াটার পাসের জন্য পর্যাপ্ত কাল্ভার্ট, ব্রিজ কিংবা স্লুইস গেইটের বন্দবস্ত করা হয়নি। অথবা বর্ষা পরবর্তি জলাবদ্ধতা কিংবা ফসল কাটা নতুন ফসলের জন্য জমি প্রস্তুতে দ্রুত পানি সরানোর বিবেচনা ব্রিজ কাল্ভার্ট ডিজাইন এবং ডাইমেনশনে আনা হয়নি। কাচা পাকা রাস্তা করা হয়েছে কিন্তু সেই এলাকার কয়েক যুগে হওয়া বন্যা গুলোর পানির উচ্চতা কেমন ছিল তার গড় মেজারমেন্ট নেয়া হয়নি, ফলে এই ২০১৫ সালের বন্যাতেও গ্রামের ভিতরের সব রাস্তা এবং গ্রামের মূল রাস্তাটির কিছু অংশের উপর পানি উঠতে দেখেছি, অথচ পাশেরই শত বছরের পুরানো রেলসড়ক বন্যা মুক্ত।

মাটি ভরেটের রাস্তার বেইজে সাপোর্ট না রাখায় প্রতি বছর বর্ষা এবং বন্যা পরবর্তি সময়ে ভেঙ্গে যাওয়া অংশে মাটি ফেলে মেরামত করা লাগে। গ্রামীণ আবোকাঠামো সামাজিক বনায়নের বাস্তব আওতায় না থাকায় এই ভাঙ্গন পরিস্থিতি আরো ত্বরান্বিত হচ্ছে।

পলি পতনের জন্য নদীর বা খালের দুই কূল উন্মুক্ত রেখে দুই স্রোত ধারার মাঝের ভুমিতে নতুন খাল খনন করে রাস্তা বানানোর ডিজাইন কোথাও চখে পড়ে না যা বাড়তি পানি প্রবাহের এবং শুকনা মৌসুমে পানি ধারনের বন্দবস্ত করতে পারতো। রাস্তা নির্মানে এগুলো এক একটি ডিজাইন গ্যাপ নির্দেশক যা আমরা হয় ধরতে পারিনি অথবা দুর্নিতি পরায়নতার কারনে বাস্তবায়ন করিনি।


খ। গ্রাম ও মফস্বলের রাস্তা পাকার করার ধরনঃ গ্রামীণ অর্থনীতির সব অংশকে ইন্টিগ্রেট না করা

সেকালের গ্রামের পায়ে হাটা মেঠো পথ একালে পাকা হয়েছে কিন্তু স্থানীয় আর্থনৈতিক কর্মকান্ডের বিবেচনা গুলো পিছনেই পড়ে গেসে। চুরি প্রশস্ত করতে এমনভাবে পাকা হয়েছে যে রাস্তাকে প্রশস্ত করা যায়নি, কোন মতে হাফ লেইন সমপরিমান বা তারো একটু কম প্রস্থ বানিয়ে তাকে যার পর নাই নিন্ম মানের ইটা এবং বালু নিয়ে সামান্য রোল করে তার উপর অতি পাতলা পীচে আবৃত করা হয় যা ২-১টি বর্ষার পরেই খয়ে যেতে শুরু করে, এবং বীভৎস রুপ ধারণ করে। পীচে আস্তরিত অংশের ঠিক বাইরেই রাস্তার ঢাল শুরু, পায়ে হাঁটা পথ টুকু পর্যন্ত থাকেনা।পীচ ঢালা কিংবা পীচ খয়ে যাওয়া কনাময় এসব পথেই গ্রামের ছেলে মেয়ে দূরের মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক স্কুলে আসা যাওয়া করে, এর বাইরে সংকীর্ন পথটুকুও রাখা হয়না যাতে খালি পায়ে মাঠে কাজ করা কৃষক হাঁটবে। এই সব রাস্তার উঁচা নিচা গর্তে রোগীর কিংবা সন্তান সম্ভবা মায়েদের কষ্টের কথা কেউ কোনদিন ভাবেনি।

অর্থাৎ রাস্তা তৈরিতে সমাজের সকল অর্থনৈতিক শ্রেণীর চাহিদা বিবেচনায় আসেইনি। বাংলাদেশে মাথায় করে পণ্য পরিবহন করা হয়, কাধে করে এবং কাঁধের ভারে পণ্য পরিবহন করা হয়, এমনকি পণ্য দড়ি টানা হয়, বাই সাইকেলের সামনে পিছনে বস্তা রেখে পণ্য পরিবহন করা হয়।মানহীন পাকা রাস্তা করে করে গ্রামীন অর্থনীতির এর ক্ষুদ্র কিন্তু পরিবেশ সহায়ক পণ্য পরিবহন এবং হাটা পথ উপড়ে ফেলা হয়েছে।
হাঁ পাকা রাস্তা গ্রামীণ সমাজের ট্রাস্নপোর্টেশনকে আধুনিক করতে ভূমিকা রাখছে, বেশি পণ্য পরিবহণকে সহজ করছে (সেটাই হওয়া উচিৎ) কিন্তু ২-১টি বর্ষার পরেই এই মানহীন রাস্তা গুলো এটতা বাজে হয়ে উঠে যে, তা সুবিধা ভোগ করার বদলে তা মানুষের গলার কাটা হয়ে দাঁড়ায়। উপরন্তু ছোট উৎপাদনের ক্ষেত্রে এই অনাধুনিক পরিবহন সমূহ স্থানীয় পর্যায়ে উতপাদিত এবং বিক্রিত পণ্য মুল্য বাড়াতে রাখতে সহায়ক ভুমিকা রাখছে। এর মাধ্যমে আমরা অপ্রয়োজনে সীমিত পণ্য উতপদন কারীকে পেট্রোল বা ডিজেল চালিত পরিবহন ব্যবহারে বাধ্য করছি।


গ। গ্রামের রক্ষায় বৃক্ষ রোপণঃ এখনও কেন্দ্রীয় বনায়ন প্রকল্পে নেই

অনিয়ন্ত্রিত রাসায়নিক খাদ্য নির্ভর মৎস্য চাষ, বন্যা এবং মানহীন মাটি ফেলার কাজের কারনে গ্রামের ভিতর বাইরের রাস্তাগুলো প্রতি বছর বর্ষায় ভাঙ্গে যাচ্ছে। বছর বছর তাই মাটি ফেলার একই পণ্ডশ্রম করা লাগছে, এতে সরকারের টাকা নস্ট হচ্ছে কিন্তু গ্রামের কার্জকর কোন উন্নতি হচ্ছে না। রাস্তা গ্রামীণ সমাজের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অর্থনৈতিক কর্মকান্ডের মেরুদণ্ড। খারাপ রাস্তার কারনে পণ্য পরিবহণ এবং মোট উৎপাদন খরচ বাড়ে, এর বাইরে রয়েছে মানুষের কষ্ট বিশেষ করে শিশু, বয়স্ক মানুষ , রোগী এবং সন্তান সম্ভবা মায়েদের।
রাস্তায় পরিকল্পিত বৃক্ষ রোপন করা গেলে ভাঙ্গন কিছুটা রোধ সম্ভভ।

ঘ। গ্রাম ও মফস্বল শহরের ব্রিজ নির্মাণঃ অবহেলা এবং খামখেয়ালীপনার চরম চিত্র

গ্রামের ব্রিজ তৈরিতে দৈর্ঘ্য, প্রস্থ এবং উচ্চতা ফাঁকি দেয়া হয় এতে করে নানা বিধ সমস্যা তৈরি হয়। সয়েল টেস্ট করা হয় না ঠিক মত, ঠিক কোথা থেকে বাইজমেন্ট পাইলিং উঠবে তা আনুমান সাপেক্ষে কনট্রাক্টর এবং রাজ মিস্ত্রি ঠিক করেন। নিন্ম উচ্চতার কারনে নৌ চলাচল বিঘ্নিত হয় এতে ব্রিজের পাশেই আরেকটি যায়গায় ভরা মৌসুমে নালা করে ছোট ছোট কাঠের নৌকা গুলো ঠেলে পার করতে হয়। দৈর্ঘ্য ছোট করায় একদিকে নদী এবং খাল গুলোকে গলা টিপে হত্যা করার উপক্রম করা হয় যা স্রোতের বিপরীত মূখী বলের (ডি সেন্ট্রিফিউগাল ফোর্স) কারনে ব্রিজের ঠিক পাশের রাস্তার ভিত্তিকে দুর্বল করে দেয় এতে গাইড ওয়াল ভেঙ্গে পড়ে, ব্রিজে উঠার রাস্তা ভেঙ্গে যায়, প্রায়ই দেখা যায় সেখানে বাঁশের তৈরি সাপোর্ট সংযোগ তৈরি করতে হয়, এটা ভুক্তভোগীরা সকলের কাছ থেকে চাঁদা নিয়ে করেন যা আবার কিছু দিন পর ভেঙ্গে পড়ে। মূল কারণ অনির্ণিতই থেকে যায়।

সেতুর প্রস্থে ভয়াবহ চুরি হয়, এটা দুর্নিতির আরেকটি খাত যা সচরাচর আমাদের নজরে আসে না। এধরনের ব্রিজের রেলিং এ রড সিমেন্ট দেয়া হয় অপর্যাপ্ত যা সামান্য আঘাতে ভেঙ্গে যায় এবং কম্পন মাত্রা বাড়িয়ে মূল সেতুর আয়ু কমিয়ে দেয়। অথচ সেতুর দৈর্ঘ, প্রস্থ উচ্চতা, ভার নিবার সক্ষমতা ক্যাল্কুলেশন সাপেক্ষেই রেলিং এর ডিজাইন করার কথা। আয়তাকার বা বর্গাকার বক্স কাল্ভার্ট না করে সাধারণ গাইড ওয়াল দিয়ে এখনও কিছু কিছু ব্রিজ করতে দেখা যায় যা বন্যার স্রোতে সরে যায়। এগুলো এক একটি ডিজাইন ত্রুটি যা প্রকৌশলী মাত্রই অবগত কিন্তু ডিজাইন ইনপুট হিসেবে নিতে কিংবা প্রকল্প পরিচালকের দুর্নিতি প্রবনাতার কারনে বাস্তবায়ন থেকে পলায়নপর।

ঙ। গ্রাম ও মফস্বল শহরের রাস্তার প্রস্থঃ মাল্টি লেভেল ট্রাস্নপোরটেশনের বেবেচনা ডিজাইনে নেই

এমনিতেই গ্রামীণ কাঁচা সড়ক গুলো সংকীর্ন করে তৈরি করা হয়, উপরন্তু ভাঙ্গন জনিত কারনে সেগুলো আরো জীর্ন হয়। কিন্তু কাঁচা সড়ক পাকা করার সময় স্টান্ডার্ড লেইন বাস্তবায়নের কথা থাকলেও গ্রামের কাঁচা রাস্তা পাকা করার সময় রাস্তা পর্জাপ্ত বর্ধিত না করে কোন মতে পুরো রাস্তা কভার করে শুধু হাফ লেইন পিচ করা হয়। উপরন্তু এইসব রাস্তার কিছু সেতুতে লেইন আরো সংকীর্ন করে ফেলা হয় যাতে উভয় মুখি যানচলাচল ব্যাহত হয়। এইসব পাকা রাস্তার পাকা প্রস্থের বাইরে পায়ে হেঁটে চলার রাস্তা থাকে না, যা জুতা সেন্ডেল না পড়া লোকের চলাচলে, গবাদি পশু চলাচলে কিংবা মালামাল টানা বা ঠেলার প্রতিবন্ধক। বাংলাদেশের গ্রামীণ সমাজে মালামাল এবং কৃষি পন্য যে পায়ে হাঁটা পথে টানা বা ঠেলা হয়, কৃষকের নিজের কাঁধে বা কাঁধের উপর ভারে বহন করা হয় এইসব ডিজাইনার কিংবা পরিকল্পনাকারীদের বেবেচনায় নেই। ফলে এই পাকা রাস্তা গ্রামীণ সমাজের উচ্চ বিত্তের কম্ফোর্ট বয়ে আনলেও কৃষকের উৎপাদন ব্যয় বৃদ্ধি করে।

চ। গ্রাম ও মফস্বল শহরের স্কুল বাসা মসজিদ নির্মানঃ রাজ মিস্ত্রিই ডিজাইনার

গ্রামীণ এলাকার বিল্ডিং কন্সট্রাকশনে সয়েল টেস্ট, ফাউন্ডেশন ডিজাইন, আরসিসি লোড মেজার করার সিভিল এবং ম্যাকানিক্যাল ব্যাপার গুলো রাজ মিস্ত্রি দিয়েই করান হয় মূলত খরচ বাঁচাতে। এর উপরে আদ্রতার ব্যাপার, বন্যা সহনীয় উচ্চতার হিসেব আমলে নিয়ে ফাউন্ডেশন এবং রড-সিমেন্ট ইত্যাদির আনুপাতিক ব্যবহারের ব্যাপার সমূহ অবহেলিত। ফলে কন্সট্রাকশনের স্থায়ীত্ব নাতিদীর্ঘ একই স্থাপনা রিমেইক করতে সরকার এবং নাগরিকের উপর্যুপরি ব্যয় হচ্ছে যা পরিহার করার সুযোগ রয়েছে ।


ছ। কৃষি ভূমি সংরক্ষণে গ্রামে গ্রামে ভার্টিক্যাল কনস্ট্রাকশনের আইডিয়া এখনও উপেক্ষিতঃ

এখনো আইল বা সীমানা ধরে বসত বাড়ি ভাগ হচ্ছে, এক লোকের যত সন্তান তত প্লট এবং তত ঘর করা হচ্ছে, আমরা বলছি এটা হোরাইজন্টাল কন্সট্রাকশন যা ঘনবসতি পুর্ন দেশে বেমানান। এতে দেখবেন গ্রামের এক একটি বাড়ি এক একটি বস্তি হয়ে উঠছে। বসত বাড়ির ভূমিকে ডিজিটাইজ করে আইলটাকে সফট কন্সেপ্ট এ আনা যায়। সরকার গ্রামে বহুতল বসতবাড়ির মডেল না বানালে কৃষি ভূমি রক্ষা পাবে না, একটু ধনী হলেই নতুন নতুন কৃষি ভূমি ভরাট হয়ে বাড়ি হচ্ছে। এখন কথা হচ্ছে সরকারের দরকার কেন, ব্যাপারটা মানুষকে বুঝাতে হবে যে, জমি ১ শতাংশ হোক হাফ শতাংশ হোক জমি ব্যাক্তিরই থাকবে, তবে বেড়া দিতে হবে না, সে চাইলে বিক্রি করতে পারবে আগের মতই, এতে জমির দামও কমবে না। একই বাড়ির অনেক গুলো পরিবার এর জন্য একটি বহুতল বাড়ির মডেল ডিজাইন করে, ধনী গরিব উভয়কেই চাহিদামত মান্সম্পন্ন একমোডেশন দেয়া যায়। এসব করতে হলে ভূমি রেজিস্ট্রেশন ব্যবস্থাপনা ডিজিটাইজড করতে হবে। মেলা কাজ। গ্রামীণ ইনভায়রন্মেন্টে ভার্টিক্যাল কন্সট্রাকশন ডিফিকাল্ট, এই কাজটায় সরকারকে খুব দরকার। মানুষকে পাইলট করে দেখিয়ে দিতে হবে আগে, তবে কোন বেসরকারি মুনাফাখোর কাউকে নয়, তাইলে জমি হাতিয়ে নেয়াই হবে তাদের মূল কাজ!

এরশাদ সরকারের আমলে দেশের আবাদী এবং অনাবাদী খাস জমিতে গুচ্চগ্রাম করার আপাত প্রশংসনীয় একটা উদ্যোগ নেয়া হয়েছিল। উল্লেখ্য এই প্রকল্প গুলোতে ধানী জমি, প্রাকৃতিক জলাশয় এবং প্রবাহমান খাল ভরাটের কোন বাছবিচার ছিল না, অর্থাৎ পরিবেশ বান্ধব বসতি গড়ার নির্দেশনা একেবারেই ছিলনা। এই প্রকল্পে গ্রামীণ পরিবেশে একটি সীমিত এলাকায় খুব ঘন ঘন করে ছোট ছোট টিন শেইড রো হাউজ তৈরি করে দরিদ্রদের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছিল, রাজনৈতিক দুর্বিত্তায়নের ছোবল সে সময় এতটা প্রকট ছিলনা বিধায় মোটামুটি ভাবে বলা চলে ভূমিহীনরাই সেসব ঘরের বরাদ্দ পেয়েছিল।ভুমিহীন ব্যতীত অন্যদের কাছে বিক্রি বা অন্য উপায়ে হস্তান্তরের উপর নিষেধাজ্ঞা ছিল না ঘরগুলতে। পরবর্তিতে স্থানীয় রাজনৈতিক দুর্বিত্তরা এবং জন প্রতিনিধিরা সেসব গরীবদের অনেকেকেই উচ্চেদ করে নিজেরা এইসব ঘর হাতিয়েছে। বর্তমানে এইসব গুচ্চগ্রাম শহুরে বস্তির এক্সটেনশন, এক একটি গুচ্চ গ্রাম হয়ে উঠেছে অপরাধ, জুয়া, মাদক এবং সুদি ব্যবসার কেন্দ্র।

আজ থেকে ২৫-৩০ বছর আগে শুরু হওয়া এই প্রকল্প গুলো অনুভূমিক (হোরাইজোন্টাল) না করে উল্লম্ব্য (ভার্টিক্যাল) করার পরিকল্পনা নেয়া গেলে, (তার আগেই চীন এই মডেলে গিয়েছে বলে এটা সেসময় নুতন কোন আইডিয়া ছিল না, উপরন্তু প্রকল্পটি বিশ্বব্যাংক ফান্ডেড ছিল, সেসব ঘরের টিন গুলোও বিদেশি ছিল) আজকের গ্রামীণ অবকাঠামো পরিকল্পনা সহজতর হোত, কৃষি ভূমি রক্ষা করা যেত। ভূমিহীনদের বাইরে স্বচ্চলদের জন্যও একই মডেল তৈরি করা যেত, এতে এক একটি বাড়ির অনেক গুলো পরিবারকে একটি বহুতল ভবনে উঠিয়ে দিয়ে (অবশ্যই সরকারি আর্থিক সহায়তায়) একটি বাড়ি একটি খামার হয়ে উঠার সুযোগ পেত। আজকের অবস্থা হোল মানুষ থাকার যায়গা নেই, বাড়ি হবে খামার! তাই আজ গ্রামের বাড়িতে আর শীতকালীন কিংবা বর্ষাকালীন শাক সবজির আবাদ একে বারেই অনিপুস্থিত।পাশাপাশি দুটি ঘরের মধ্যস্ত যায়গা এত কম এবং বসতির চাপ এত বেশি যে, ২-১টি লতা জাতীয় গাছ লাগানোর চিন্তাও অবান্তর।

কৃষি ভূমি সংরক্ষণের জীবনপণ তাগিদের বাইরেও উন্নত আবসন কেন্দ্রিক ভিন্ন চাহিদা রয়েছে প্রান্তিক গ্রামীণ সমাজে এবং বস্তিতে, এর সাথে শিক্ষায় সাফল্যের প্রত্যক্ষ সংযোগ রয়েছে। গ্রামীণ স্কুল গুলোয় আমাদের সরকারগুলো শিক্ষা বিস্তারে উপবৃত্তি দিলে সেটি একটি পর্যায় পর্যন্ত কার্যকর ভাবে শিক্ষা সম্প্রসারনে কাজে লেগেছে। কিন্তু কোয়ান্টেটিভ শিক্ষার কভারেজকে আজ কোয়ালিটেটিভ করা যাচ্ছে না যে বিশেষ কিছু কারনে তার মধ্যে মানহীন আবাসন গুরুত্ব পুর্ন।বস্তির পরিবেশে শিক্ষার চেয়েও গুরুত্বপুর্ন অন্য ৪টি চাহিদা পূরণ প্রকট হয়ে উঠে- ক্ষুধা-দারিদ্র, আবাসন -নিরাপত্তা, বস্ত্র-সম্ভ্রম এবং চিকিৎসা। এই চাহিদাগুলো অপুর্ণ রেখে শিক্ষা কিংবা শিক্ষার নৈতিক (এথিকস) বিস্তার অসম্ভভ।

তাই গ্রামীণ ও বস্তির নাগরিককে শিক্ষার পরিপুর্ন সুবিধাভোগী করতে চাইলে তাঁদের পূর্বোক্ত মৌলিক সমস্যাদির সমাধান দিতে হবে, যার মধ্যে মানসম্পন্ন আবাসন অন্যতম। আর গ্রামীণ নাগরিককে আর্থিক ভাবে বিকশিত করতে চাইলে গ্রামীণ অবকাঠামোর টেকসই উন্নয়নে নজর দিতে হবে।


সময় ফুরিয়ে যায়নি। গ্রামীণ অবকাঠামো ডিজাইন করা হোক গ্রামীণ অর্থনীতিকে প্রাণ সঞ্চারের নিমিত্তে। বাংলাদেশের জন্য ডিফাইন্ড টেকসই উন্নয়ন (সাস্টেইন এবল ডেভেলপমেন্ট) এর স্বরূপ বাংলাদেশেরই স্থানীয় জ্ঞানের উপর ভিত্তি করে হোক!

বাংলাদেশের গ্রামীণ অর্থনিতির পূর্ণ বিকাশের প্রতিবন্ধক গুলো সনাক্ত হোক,
গ্রামীণ অবকাঠামো টেকসই উন্নয়নে ইন্ট্রিগ্রেটেড হোক,

বাংলাদেশ এগিয়ে যাক!




ড্রাফটঃ ২রা ফেব্রুয়ারি ২০১৬,
১ম আপডেটঃ ১৩ই ফেব্রুয়ারি ২০১৬
২য় আপডেটঃ ২৩ই ফেব্রুয়ারি ২০১৬
(খ। গ্রাম ও মফস্বলের রাস্তা পাকার করার ধরনঃ গ্রামীণ অর্থনীতির সব অংশকে ইন্টিগ্রেট না করা, এই প্যারা সংযুক্ত করেছি। )

মন্তব্য ১৩ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (১৩) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১:৪২

মহা সমন্বয় বলেছেন: আপনার পোষ্ট আমার ভাল লাগে শিক্ষনীয় অনেক কিছু পাওয়া যায়। তবে এখন না পরে পড়ব।
ধন্যবাদ।

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১:৫২

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ, ভাইয়া।
সময় করে পড়ে নিলে, খুশি হব। আশা করি হতাশ করবে না, পোস্ট টি।

২| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৯:৪৩

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: দারুন।

কিন্তু যাদের এই দারুনটা ধারন করা দরকার তারাই যে কানা, বোবা বধির!!!!

সময় ফুরিয়ে যায়নি। গ্রামীণ অবকাঠামো ডিজাইন করা হোক গ্রামীণ অর্থনীতিকে প্রাণ সঞ্চারের নিমিত্তে। বাংলাদেশের জন্য ডিফাইন্ড টেকসই উন্নয়ন (সাস্টেইন এবল ডেভেলপমেন্ট) এর স্বরূপ বাংলাদেশেরই স্থানীয় জ্ঞানের উপর ভিত্তি করে হোক!

সরকারকে চোখে আঙুল দিয়ে না দেখালে বোঝানো যাবে না। আর তারাতো বেশী আগ্রহী ফ্লাইওভার টাইপ প্রোজেক্টে-যেখানে বিদেমী ঋধের বড় অংশ মেরে জনতার কাঁধে পাচিয়ে দেয়া যায়। প্রকৃত জনকর্যান প্রকল্পে খুব ঠেকা না হলে দেখা পাওয়া যায় না..
ব্যক্তি উদ্যোগে কি এমন একটি মডেল গ্রাম সম্ভব?

২ বৎসর পূর্তির শূভেচ্ছা ও অভিনন্দন।

১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:২৮

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: ব্যক্তি উদ্যোগে কি এমন একটি মডেল গ্রাম সম্ভব?
১। ব্যক্তি উদ্যোগে সম্ভভ যদি গ্রামীণ কোন সমবায় অর্গানাইজেশন নিজেরা এই কাজটা করে। এই কাজে কোম্পানিকে ইনভল্ভড করা যাবে না কোন ভাবেই, যতক্ষণ না বাংলাদেশে বিজনেস এথিকস বাস্তাওবায়ন হয়। আবাসন এবং জমি খুব সেন্সিটিভ এবং মৌলিক ইস্যু। এখানে কোন ভূমি দস্যুতাকে পশ্রয় দেয়া যাবেনা।

২। সরকারকে একটা ফ্রেইমোয়ার্ক নিয়ে আস্তে হবে, যেখানে জমির স্বত্ব বর্তমান মালিকদেরই থাকবে, স্বত্ব কিংবা মালিকানা কোন ভাবেই সরকার বা অন্যকারো কাছে অস্তান্তর হবে না, তবে সরকার দীর্ঘমেয়াদি আবাসন ঋন সুবিধার নাগরিক বান্ধব পরিকল্পনা নিয়ে আসবে যেটা অবশ্যই চলমান ক্ষুদ্র ঋণ এর মত মডেল নয়।

৩। আমি নিজে চেষ্টা করছি আমার গ্রামে এরকম একটা বাড়ি তৈরি করতে পারি কিনা। গত এক বছরে বেশ কিছু লোকজনকে এই আইডিয়া দিয়েছি। আমাদের সমস্যা হচ্ছে, ট্রাস্ট। মানুষ ফিজিক্যাল ল্যান্ড চান, বেড়া দিয়ে আইডেন্টিফাইড। তাই বললাম, এইসব কাজে নাগরিক বান্ধব সরকারের সাহাজ্যের হাত খুব দরকার।


আবাসনের বাইরে, গ্রামে একটা কেন্দ্রীয় গোয়াল ঘর বানানোর আইডিয়া এসেছে সপ্তাহ কয়েক আগে, যেটা চৌকিদার/আন্সার/ভিলেজ ডিফেন্স টীম দিয়ে প্রটেক্ট হবে। যার সাথে মিল্ক ভিটার সহ মিট কোম্পানী গুলোর ট্রান্সপোর্টেশন সাপ্লাই চেইনকে সমন্বিত করা যাবে। এখানে সেন্ট্রালাইজশ বায়ো গ্যাসও করা যায়। ইত্যাদি ইত্যাদি।।একটা ব্যাপক কৃষি ইভলুশন আইডিয়া।

কারন আবাসন সংকটে কৃষকের নিজের থাকার জায়গা নেই, একই ঘরে নিজে থাকেন গরুও রাখেন। আবার চোরের ভয়, আবার দুধ অবিক্রিত থেকে যাওয়ার ব্যাপার ইত্যাদি ইত্যাদি.।.।।

কোন একসময় গুছিয়ে লিখবো, কিছু গ্রাফিক্যাল কাজো করতে হবে।

৩| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:৪০

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ৩। আমি নিজে চেষ্টা করছি আমার গ্রামে এরকম একটা বাড়ি তৈরি করতে পারি কিনা। গত এক বছরে বেশ কিছু লোকজনকে এই আইডিয়া দিয়েছি। আমাদের সমস্যা হচ্ছে, ট্রাস্ট। মানুষ ফিজিক্যাল ল্যান্ড চান, বেড়া দিয়ে আইডেন্টিফাইড। তাই বললাম, এইসব কাজে নাগরিক বান্ধব সরকারের সাহাজ্যের হাত খুব দরকার।


আবাসনের বাইরে, গ্রামে একটা কেন্দ্রীয় গোয়াল ঘর বানানোর আইডিয়া এসেছে সপ্তাহ কয়েক আগে, যেটা চৌকিদার/আন্সার/ভিলেজ ডিফেন্স টীম দিয়ে প্রটেক্ট হবে। যার সাথে মিল্ক ভিটার সহ মিট কোম্পানী গুলোর ট্রান্সপোর্টেশন সাপ্লাই চেইনকে সমন্বিত করা যাবে। এখানে সেন্ট্রালাইজশ বায়ো গ্যাসও করা যায়। ইত্যাদি ইত্যাদি।।একটা ব্যাপক কৃষি ইভলুশন আইডিয়া।

আপনার আন্তরিক চেষ্টার জন্য স্যালুট।
আর কেন্দ্রীয় গোয়াল ঘরের আইডিয়াও দারুন।

শুরুতে যেটা বলেছেন- এটা বড় ইস্যু। বিজনেস এথিকস বাস্তাওবায়ন, ভুমিদস্যুতা এসব খুব ভয়ানক জিনিষ। যেকোন ভাল পকল্প মুহুর্তে মন্দ হয়ে যেতে পারে এমন নেগেটিভ এপ্রোচে।

এর সাথে প্রফশনাল প্লানিং- আমি বোঝাতে চাচ্ছি তাদের অল্প অংশগ্রহনে বেশি লাভের বিষয়টা এনশিউর করা গেলে, এবং পুরা প্রকল্পটিকে ভীজুয়ালাইজ করে পাইলট প্রকল্পের প্রতিটি ল্যান্ড ওনারকে দেখালে- সামগ্রিকতা এবং সামষ্টিকাতর লাভ উপকার বোঝাতে পারলে.. সাথে যেহেতু আমাদের মানসিকত সি্থাবস্থা একটা ষ্ট্যান্ডার্ড লেভেল যায়নি- কিন্তু যে কোন প্রাপ্তিযোগে সহজেই আমরা আগ্রহী হই- এই ট্যাকটা ইউজ করা যেতে পারে কিনা?

আর নাগরিক বান্ধব সরকার তো এখনো মনে হয় রুপকথা। ক'মাস আগে- প্রেসক্লাবে এক পুরানো বন্ধ সে কোন এক দলের মহাসচিব! কথা প্রসংগে বল্লাম দোস্ত- ওয়েলফেয়ার স্টেট কনসেপ্টে মানুষকে বোঝাও - দেখবা দ্রুত জনপ্রিয়াতা আসবে! সে যেরকম বিস্শয় চোখে তাকাল বুঝলাম ভুল জায়গায় তথ্য প্রবিষ্ট হয়েছে;)
তো কেন্দ্রীয় মহাসচিবের যদি এই দশা হয়- আমজনতার আর দোষ কি?

আমাদের দশা এমন হয়েছে- আমাদের অধিকারবোধই আমরা ভুলে যাচ্ছি। নিরাপদে সঠিক সময়ে গন্তব্যে ফৌছতে পারা যে আমার নাগরিক অধিকার তা - না পরিবহনে উঠলে বোঝা যায়, না সড়ক ব্যস্থাপনার দায়িত্বশীলদের মাথঅ ভ্যাথা আছে, না সেবা দাতা মালিকপক্ষ বিন্দু ধারনা রাখে! উপর মহলের কতাতো বাদই!!

এর মাঝেই আশার প্রদীপ জ্বালতে হলে কষ্টতো একটু বেশি করতেই হবে। তবেই না আসবে কাংখিত বদল :)

++

১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:০১

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: এর সাথে প্রফশনাল প্লানিং- আমি বোঝাতে চাচ্ছি তাদের অল্প অংশগ্রহনে বেশি লাভের বিষয়টা এনশিউর করা গেলে, এবং পুরা প্রকল্পটিকে ভীজুয়ালাইজ করে পাইলট প্রকল্পের প্রতিটি ল্যান্ড ওনারকে দেখালে- সামগ্রিকতা এবং সামষ্টিকাতর লাভ উপকার বোঝাতে পারলে.. সাথে যেহেতু আমাদের মানসিকত সি্থাবস্থা একটা ষ্ট্যান্ডার্ড লেভেল যায়নি- কিন্তু যে কোন প্রাপ্তিযোগে সহজেই আমরা আগ্রহী হই- এই ট্যাকটা ইউজ করা যেতে পারে কিনা?

১। একটা ঘর বানানো এবং সকল প্রাসঙ্গিক কাজের কষ্ট মানে ৩০-৫০ বছরের মোট আবাসন কষ্ট, পুনঃ পুনঃ মাটি ভরাট, টিন চেঞ্জ, ঘরের পিলার চেঞ্জ, বেড়া মেরামত এসবের একটা কষ্ট এস্টিমেশন একটি গ্রামেরর ৫০ টা পরিবারে (ধরুন ৫ টা বাড়ি) সার্ভে করলেই উঠে আসবে।
২। এই এস্টিমেশনের বিপরিতে একটি বাড়ির ১০টি পরিবারের সবগুলো (ধরুন রসুই ঘর সহ ২০ টি) ঘরের বদলে একটি মাল্টি স্টোরি ডিজাইন করা যায় এবং কষ্ট এস্টিমেশন করা যায়। যেখানে ধনী গরীব হিসেবে স্পেইস ডীজাইন করা হবে, তবে নূন্যতম একটা স্টান্ডার্ড থাকবে। যাতে একটি বাসা বস্তির মত হয়ে না উঠে, আমরা বলছি মোটামুটি মান্সম্পন্ন আবাসন যেখান থেকে শিক্ষা প্রোমোট করা যাবে।
৩। সরকার এবং মালিক মিলে একটা ফাইনান্সিয়াল সল্যুশন বের করবে উভয়ের অংশীদারিত্বে। নাগরিক বান্ধব ঋণ সুবিধা দিবে যা দীর্ঘ মেয়াদে বছরে উঠে আসবে। তবে ধনীরা ঋণ নিবে না, নিজেরা আনুপাতিক হারে কন্ট্রিউবিউশন করবে।
৪। এতে ঐ বাড়ির ২০টি ঘর ভেঙ্গে, সেখানে একটা কমন উঠান, ধান সিদ্ধের জায়গা রেখে বাকি স্পেইস সবজি উৎপাদন এবং পুষ্টির জন্য ফল ফলাদির আবাদ হবে। সবই হবে প্ল্যান্ড ওয়েতে, সস্পেইস কে প্লটে প্লটে ভাগ করা হবে, কোথায় কি লাগানো হবে কার কত অংশ থাকবে কমন উতপাদনে তার একটা নির্দেশনা থাকবে। আর গরুর, ছাগলের জন্য তো বল্লামই কমন গোয়াল ঘর থকবে পুরো গ্রামে একটা।

এই রকম কিছু ভাবনা আরকি.।।

৪| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৩৬

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ৩ নংয়েই তো সমস্যা!

এই অর্থ সংস্থানে এসেই তো থমকে যায় অনেক ভাল পরিকল্পনা।

এখানে রাষ্ট্রীয় বিনিয়োগ অবশ্যই বেশী থাকবে হবে রাষ্ট্রীয় উন্নয়েনর খাতিরেই। তা ৭০ ভাগ হতে পারে। আর ওনার ৩০ % অংশ নিতে পারে যাতে ব্যাংক সহযোঘীতা থাকবে সহজ শর্তে নমনীয় কিস্তিতে। এবং নাগরিককে বোঝাতে হবে পজিটিভলি কেন এই ৩০ ভাগে সে বহন করছে। এবং প্রয়োজনে সেই ৩০ এর বিপরীতে তাকে রাশ্ট্রীয় বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা- যেমন ভ্রমন রেয়াত, ট্যাক্সে রেয়াত, হাসপাতালে ফ্রি উন্নত চিকিৎসা, জীবন বীমার সুবিধা, সন্তানদের শিক্ষার ক্ষেত্রে রেয়াত... এইরকম লোভণীয় অফার থাকলে তারা রাজী হতে দ্বি-মত করবে বলে মনে হয় না।

এগুলোকে কি আপনার মতে কার্যকর হবে বলে মনে হয় ?

২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:৪৯

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: রাষ্ট্রকে মানুষ বিশ্বাস করে কারন রাষ্ট্র আসলে নাগরিকের অর্থনৈতিক আশ্রয়। কথা প্রসঙ্গে বলছি, ড ইউনুস ক্ষুদ্র ঋণ দিয়ে দেশকে যে সেবা দিয়েছেন এটা যদি বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক, রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক কিংবা কৃষি ইনফাস্ট্রাকচার সংক্রান্ত বেসিক ব্যাংক কে দিয়ে দেয়া যেত তাহলে এর প্রভাব হত আশাতীত রকমের ভালো, এই ব্যাংক গুলো তৈরির পিছনের কারন খুব মহৎ ছিল, কিন্তু তারা গণ্ডী পেরিয়ে সময়ের প্রয়োজনকে এডাপ্ট করতে পারেনি। বেসরকারি খাতের লোভাতুর দিকটি আমাদের সব অর্জনকেই গিলে ফেলে। অনিয়ন্ত্রিত ক্ষুদ্র ঋণ আজ সমাজের বোঝা, গ্রামে গ্রামে মানুষের আমানত হাতিয়ে পগারপারের ফন্দি। আজ কৃষক ঋণের দায়ে জর্জরিত।

খানে রাষ্ট্রীয় বিনিয়োগ অবশ্যই বেশী থাকবে হবে রাষ্ট্রীয় উন্নয়েনর খাতিরেই। তা ৭০ ভাগ হতে পারে। আর ওনার ৩০ % অংশ নিতে পারে যাতে ব্যাংক সহযোঘীতা থাকবে সহজ শর্তে নমনীয় কিস্তিতে। এবং নাগরিককে বোঝাতে হবে পজিটিভলি কেন এই ৩০ ভাগে সে বহন করছে। এবং প্রয়োজনে সেই ৩০ এর বিপরীতে তাকে রাশ্ট্রীয় বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা- যেমন ভ্রমন রেয়াত, ট্যাক্সে রেয়াত, হাসপাতালে ফ্রি উন্নত চিকিৎসা, জীবন বীমার সুবিধা, সন্তানদের শিক্ষার ক্ষেত্রে রেয়াত... এইরকম লোভণীয় অফার থাকলে তারা রাজী হতে দ্বি-মত করবে বলে মনে হয় না।

তাই বলছি এই বহুতল গ্রামীণ আবকাঠামো তৈরিতে রাষ্ট্রকে চাই, সরকারকেও নয়। এম্পি মন্ত্রীরা সব চোরই বটে। বরং আমাদের আবাসন সংক্রান্ত রাষ্ট্রীয় কোন ইন্সটিটুশন এই কাজে চিন্তা করুক, কষ্ট মডেল বানাক, ফাইনান্সিয়াল মডেল বানাক, দীর্ঘ মেয়াদে রাষ্ট্র এবং নাগরিকের উভয়ের জন্য একটা উইন উইন প্যাকেজ ডিজাইন অবশ্যই আন্তরিকতা থাকলে করা যায়।

আমরা পাইলট করতে পারি, ২-৩টি পাইলট করলে অর্থ বন্টনের হিস্যার রাইট এপ্রোচ উঠে আসবে, আপনি যেমন বলেছেন সেরকম হতে পারে, পাইলটের অভিজ্ঞতা নিয়ে রি-টিউন করা যেতে পারে!

৫| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৮:৪৩

চাঁদগাজী বলেছেন:


৩/৪ টা গ্রামের লোককে ১ গ্রামে নিয়ে আসতে হবে, বাকী গ্রামের জমিগুলো মুক্ত করে চাসে নিতে হবে; প্রতিটি গ্রাম হতে হবে সমবায়।

আপনার অনেক আইডিয়া সময়ের সাথে এদেশে, বা অন্য দেশে কার্যকরী হবে।

২৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:২১

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: সহ ব্লগারদের এক একটি কমেন্ট কন্ট্রিবিউশন- এক একটি উৎসাহ।

৬| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:২৫

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: খ। গ্রাম ও মফস্বলের রাস্তা পাকার করার ধরনঃ গ্রামীণ অর্থনীতির সব অংশকে ইন্টিগ্রেট না করা

সেকালের গ্রামের পায়ে হাটা মেঠো পথ একালে পাকা হয়েছে কিন্তু স্থানীয় আর্থনৈতিক কর্মকান্ডের বিবেচনা গুলো পিছনেই পড়ে গেসে। চুরি প্রশস্ত করতে এমনভাবে পাকা হয়েছে যে রাস্তাকে প্রশস্ত করা যায়নি, কোন মতে হাফ লেইন সমপরিমান বা তারো একটু কম প্রস্থ বানিয়ে তাকে যার পর নাই নিন্ম মানের ইটা এবং বালু নিয়ে সামান্য রোল করে তার উপর অতি পাতলা পীচে আবৃত করা হয় যা ২-১টি বর্ষার পরেই খয়ে যেতে শুরু করে, এবং বীভৎস রুপ ধারণ করে। পীচে আস্তরিত অংশের ঠিক বাইরেই রাস্তার ঢাল শুরু, পায়ে হাঁটা পথ টুকু পর্যন্ত থাকেনা।পীচ ঢালা কিংবা পীচ খয়ে যাওয়া কনাময় এসব পথেই গ্রামের ছেলে মেয়ে দূরের মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক স্কুলে আসা যাওয়া করে, এর বাইরে সংকীর্ন পথটুকুও রাখা হয়না যাতে খালি পায়ে মাঠে কাজ করা কৃষক হাঁটবে। এই সব রাস্তার উঁচা নিচা গর্তে রোগীর কিংবা সন্তান সম্ভবা মায়েদের কষ্টের কথা কেউ কোনদিন ভাবেনি।

অর্থাৎ রাস্তা তৈরিতে সমাজের সকল অর্থনৈতিক শ্রেণীর চাহিদা বিবেচনায় আসেইনি। বাংলাদেশে মাথায় করে পণ্য পরিবহন করা হয়, কাধে করে এবং কাঁধের ভারে পণ্য পরিবহন করা হয়, এমনকি পণ্য দড়ি টানা হয়, বাই সাইকেলের সামনে পিছনে বস্তা রেখে পণ্য পরিবহন করা হয়।মানহীন পাকা রাস্তা করে করে গ্রামীন অর্থনীতির এর ক্ষুদ্র কিন্তু পরিবেশ সহায়ক পণ্য পরিবহন এবং হাটা পথ উপড়ে ফেলা হয়েছে। হাঁ পাকা রাস্তা গ্রামীণ সমাজের ট্রাস্নপোর্টেশনকে আধুনিক করতে ভূমিকা রাখছে, বেশি পণ্য পরিবহণকে সহজ করছে (সেটাই হওয়া উচিৎ) কিন্তু ২-১টি বর্ষার পরেই এই মানহীন রাস্তা গুলো এটতা বাজে হয়ে উঠে যে, তা সুবিধা ভোগ করার বদলে তা মানুষের গলার কাটা হয়ে দাঁড়ায়। উপরন্তু ছোট উৎপাদনের ক্ষেত্রে এই অনাধুনিক পরিবহন সমূহ স্থানীয় পর্যায়ে উতপাদিত এবং বিক্রিত পণ্য মুল্য বাড়াতে রাখতে সহায়ক ভুমিকা রাখছে। এর মাধ্যমে আমরা অপ্রয়োজনে সীমিত পণ্য উতপদন কারীকে পেট্রোল বা ডিজেল চালিত পরিবহন ব্যবহারে বাধ্য করছি।

মুল লিখার সাথে এই প্যারাটি ২য় আপডেটে সংযুক্ত করা হয়েছে।

৭| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:৩১

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: এখন প্রশ্নটা শুরুর।

বর্তমান সামগ্রিক অবস্থার প্রেক্ষিতে যেভাবে করতে হবে তা একটু ঘুরিয়েই করতে হবে! কারণ ঐ যে আমরা ভালটাকে সহজে গ্রহন করতে অভ্যস্থ হয়ে উঠিনি! সবকিছুতেই নেগেটিভ এপ্রোচ আগে আনার কু-অভ্যাস।
আবার ঐ জিনিষই যদি ফরেন প‌্যাকড করে দিতে পারেন- লাফিয়ে লুফে নিতে ঝাপিয়ে পড়বে! ;)

এই বাস্তবতার আলোকে- যদি সত্যিই রুরাল ডেভেলপমেন্টের আপনার এই আইডিয়া পাইলট করতে চান-
আমার মনে হয়- এ জন্যে সবার আগে ঐ প‌্যাকিং প্রসেসে আগাতে হবে।
তাতে সরকারও একটু রয়ে সয়ে বিবেচনা করবে।
আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে এটা খুব প্রাক্টিক্যালি-দেখেছি।
আমি আইটির উপর স্কুল বেউজড একটা প্লানিং জমা দিলাম কয়েক জনায়! প্রথমতো হেসেই উড়িয়ে দেয়। তারপর যদি দেখেও নানা আমলা তান্ত্রিক পাহাড় সামনে দাড় করায়। এভাবেই চলছিল। ঠিক ২ বছর পর- একই ফ্রেমের একটা অফার লেটার ঐ ভদ্রলোকের আত্মীয় ইন্ডিয়া থেকে নিয়ে আসলো।
উনি খুব গর্ব করে তা বলছিলেন। আমি অবাক হয়ে তাকিয়ে ছিলাম তার দিকে। পরে মনে করিয়ে দিতেই বেশ লজ্জ্বা পেলেন। এবং আমাকে খুশি করতে- হ্যা হ্যা আপনিতো ২ বছর আগেই একই জিনিষ ভেবেছিলেন। আসলেই আমরা বুঝতে পারিনা অনেক সময় ব্লা ব্লা..
সে হিসাবে- আপনি যদি একটা এনজিও ওখানেই গঠন করেন্ । তার মাধ্যমে যদি উদৌগ নিতে পারেন.. মনে হয় বেশ ইফেক্টিভ হবে। সাথে ফাইনেন্সের জন্য প্রফেশনাল ফিনেন্সিয়াল প্লান বিষয়টাকে সহজ করে দেবে! বলেই বিশ্বাস।

একজন সাহসী উদ্যোক্তাই পারে একটা দেশকে বদলে দিতে। আর একজন পরিকল্পনাকারীর চেয়ে সাহষী আর কে ? ;)

২৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:২২

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: একজন পরিকল্পনাকারীর চেয়ে সাহষী আর কে ?

আমরা বাংলাদেশীরা দেশের জন্য সাহসী এবং দুরদর্শী পরিকল্পনাকারী হয়ে উঠতে পারিনি! কিন্তু বিদেশের মাটিতে এই অচলায়তন কাটিয়ে উঠেছেন অনেক বাংলাদেশী।

কেন এই উত্তর খুঁজতে হবে, এটা কি শুধুই নেতৃত্বের? অপদার্থ নেতৃত্বের পাশাপাশি স্থপতি - প্রকৌশলীদের ঘুষ ভিত্তিক অনৈতিকতা এবং প্রশাসনিক জটিলতাও এসবের জন্য দায়ী বলে মনে হয়, আমার কাছে। আমরা কখনই কোন ডিজাইনারকে প্রতিবাদ করতে দেখি না। এই অচলায়তন ভাংতে হবে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.