নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব,ইইই প্রকৌশলী। মতিঝিল আইডিয়াল, ঢাকা কলেজ, বুয়েট এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্র।টেলিকমিউনিকেশন এক্সপার্ট। Sustainable development activist, writer of technology and infrastructural aspects of socio economy.

এক নিরুদ্দেশ পথিক

সমাজের প্রতিটি ছোট বড় সমস্যার প্রকৃতি নির্ধারণ করা, আমাদের আচার ব্যবহার, সমাজের প্রচলিত কৃষ্টি কালচার, সৃষ্টিশীলতা, চারিত্রিক উদারতা এবং বক্রতা, অপরাধ প্রবৃত্তি, অপরাধ সঙ্ঘঠনের ধাঁচ ইত্যাদির স্থানীয় জ্ঞানের আলোকে সমাজের সমস্যার সমাধান বাতলে দেয়াই অগ্রসর নাগরিকের দায়িত্ব। বাংলাদেশে দুর্নীতি রোধ, প্রাতিষ্ঠানিক শুদ্ধিকরন এবং টেকনোলজির কার্যকরীতার সাথে স্থানীয় অপরাধের জ্ঞান কে সমন্বয় ঘটিয়ে দেশের ছোট বড় সমস্যা সমাধান এর জন্য লিখা লিখি করি। আমার নির্দিষ্ট দৃষ্টিভঙ্গি আছে কিন্তু দলীয় সীমাবদ্ধতা নেই বলেই মনে করি, চোর কে চোর বলার সৎ সাহস আমার আছে বলেই বিশ্বাস করি। রাষ্ট্রের অনৈতিক কাঠামোকে এবং দুর্নীতিবাজদের সবাইকে তীক্ষ্ণ ভাবে চ্যালেঞ্জ করার চেষ্টা করি। রাষ্ট্র কে চ্যালেঞ্জ করতে চাই প্রতিটি অক্ষমতার আর অজ্ঞতার জন্য, তবে আঘাত নয়। ব্যক্তিগত ভাবে নাগরিকের জীবনমান উন্নয়ন কে দেশের ঐক্যের ভিত্তিমূল মনে করি। ডাটাবেইজ এবং টেকনোলজি বেইজড পলিসি দিয়ে সমস্যা সমাধানের প্রোপজাল দেবার চেষ্টা করি। আমি মূলত সাস্টেইন এবল ডেভেলপমেন্ট (টেকসই উন্নয়ন) এর নিরিখে- অবকাঠামো উন্নয়ন এবং ডিজাইন ত্রুটি, কৃষি শিক্ষা খাতে কারিগরি ব্যবস্থাপনা ভিত্তিক সংস্কার, জলবায়ু পরিবর্তন, মাইক্রো ইকনমিক ব্যাপার গুলো, ফিনান্সিয়াল মাইগ্রেশন এইসব ক্রিটিক্যাল ব্যাপার নিয়ে লিখার চেষ্টা করি। মাঝে মাঝে চোরকে চোর বলার জন্য দুর্নিতি নিয়ে লিখি। পেশাঃ প্রকৌশলী, টেকনিক্যাল আর্কিটেক্ট, ভোডাফোন।

এক নিরুদ্দেশ পথিক › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাংলাদেশের কৃষি​ ইনফাস্ট্রাকচার, ব্যবস্থাপনা এবং ​কৃষি পণ্যের দাম বৃদ্ধি

০১ লা মার্চ, ২০১৬ রাত ২:৫৬

শহুরে নাগরিক বিভিন্ন ব্যয় ভারে নূজ্য থাকেন। বিস্তৃত নিন্ম বিত্তের প্রায় শতভাগ উপার্জিত জীবিকা খাদ্য সংক্রান্ত খাতে ব্যয় হয়। আমাদের বিকাশমান মধ্যবিত্তেরও সিংহ ভাগ উপার্জন খাদ্য পণ্য ক্রয়ে ব্যয় হয়। নদীর সারফেইস ওয়াটার, ভূগর্ভস্ত পানির স্বল্পতা কিংবা দুষ্প্রাপ্যতা, ঋতুর পরিবর্তন, খরা, রাসায়নিক ব্যবস্থাপনার জঞ্জাল, কৃষি ঋন এবং কৃষি উপকরণের কোম্পনি নির্ভরতার প্রত্যক্ষ কারণে দিন দিন বাড়ছে কৃষি উৎপাদন ব্যয়। সেই সাথে রয়েছে দাম বৃদ্ধির পিছনের কিছু পরোক্ষ কারণ। এই সব নিয়ে একটি সংক্ষিপ্ত আলোচনার পরিসর গড়া হয়েছে এই কৃষি​ ইনফাস্ট্রাকচার সম্পর্কিত কথামালায়।

১।​​ কৃষি পণ্য রেজি​স্ট্রেশন​, বিভিন্ন ফলনের ​​​ভারসাম্য এবং ডাইভার্সিটিঃ ​ বাংলাদেশে​​ কৃষি পণ্য রেজিস্টার্ড নয়, চাহিদার আলোকে উৎপাদন হয় না। রেজিস্টার্ড না থাকায় ​​ফলনে ​​ভারসাম্য এবং ডাইভার্সিটি নেই। ফলে​ একদিকে​ বিশেষ বিশেষ এলাকায় বিশেষ বিশেষ ফলন বেশি করা হয়। এতে হয় বাম্পার ফলন হচ্ছে, বাম্পার মানেই ফলনের দাম কম​, বিক্রি করতে না পারা, ফলন গরুতে খাওয়ানো, হারভেস্ট না করা​।​ অন্যদিকে ভূগর্ভস্ত সেচের পানি না থাকায়, নদিতে পানি না থাকায় এবং খরায়​ (অনাবৃষ্টি), কিংবা অতি বৃষ্টি এবং শিলা বৃষ্টিতে এলাকার সবাই ক্ষতি গ্রস্ত হচ্ছে।​ ​ফলনে ভারসাম্য এবং ডাইভার্সিটি​ এমন একটা ব্যাপার যা সরকার এবং কৃষি প্রশাসনই শুধু দেশের সামগ্রিক ভোক্তা চাহিদা এবং দূর্যোগ ব্যবস্থাপনার চাহিদার আলোকে নির্নয় করতে পারে। সেই আলোকে বিশেষ বিশেষ ফলন উৎপাদনের জন্য কৃষককে উৎসাহ এবং প্রণোদনা দিতে পারে। প্রণোদনা হচ্ছে বীজ, সার, ফলন ভেদে নিউট্রিশন, কৃষি পরামর্শক এবং চাষাবাদ বিশয়ক টুলস ইত্যাদির ব্যবস্থা করা, যোগান দেয়া বা এগুলোর প্রাপ্তিকে ফেসিলিটেইট করা। এগুলো আমাদের তৃণমূল পর্জায়ে বিস্তৃত আঞ্চলিক কৃষি অফিসের মাধ্যমে করতে পারার কথা। কিন্তু হায়! এসব কিছুই না করে উনারা সারের ডিলারশীপ ভিত্তিক ঘুষ আদান প্রদানে ব্যস্ত থাকেন। দূর্যোগ ব্যবস্থাপনার জন্য খাদ্য পণ্য সংগ্রহের কাজে যে ফান্ড দেয়া হয় সেটার নয়ছয় এবং ফলন কিনে কৃষক হয়রানি করে ঘুষ আদায়ই উনাদের প্রধান কাজ। কৃষকরা সমস্যা নিয়ে কৃষি অফিসে গেলে বরং বিপদেই পড়েন।


বিস্তীর্ন মাঠে ধানের আবাদ-বাম্পার ফলন তাও বিপর্যস্ত ধান চাষি (সমন্বিত চাষ এর অনুপস্থিতি)

২। বিশ্বের সবচাইতে ঘন বসতি পুর্ন দেশে মাস প্রোডাক্টিভিটি নিশ্চিত করতে আমাদের থানা এবং ইউনিয়ন ভিত্তিক আঞ্চলিক কৃষি অফিস গুলোর হয়ে উঠা দরকার ছিল এক একটি টুলস হাউজ, যাতে কৃষক তাঁর কায়িক শ্রম থেকে মুক্তি পান। কৃষিকে পেশা হিসেবে আনন্দময় হিসেবে পান। এক একটি কৃষি অফিসের এক একটি সহায়ক কৃষি ফার্ম হয়ে উঠার কথা ছিল, ছিল এক একটি ফ্রি পরামর্শ কেন্দ্র, ট্রেনিং সেন্টার এবং হাতে কলমে প্রশিক্ষণ কেন্দ্র। কিন্তু এসব স্বপ্ন। সামান্য পাওয়ার টিলার এর ভাড়া দিতেই কৃষকের আর্থিক দম ফুরায়।

গতর খাটানো কৃষি শ্রম-ফসলের মাঠে কৃষকের অরক্ষিত হাঁসি!
​​
​৩​। কিছু ফলন (ধান,​ আলু​, আম, পেয়ারা, বড়ই​, কাঁঠাল, বিভিন্ন সবজি ইত্যাদি​) এর বাম্পার হলেও একই মৌসুমের অন্য ফলনের ব্যাপক চাহিদা থাকা স্বত্বেও উৎপাদন হচ্ছেই না, প্রতি বছর আদা, পেঁয়াজ, রসুন, মসুর ডাল বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয় যা অতি রাসায়নিক সার, স্প্রে নির্ভর জিএমও জাত, স্বাস্থের জন্য খুবই ক্ষতিকর​। এখানে কিছু আমদানিকারক চক্র রয়েছে যারা পিঁয়াজ এর মত ফলন গুলো স্থানীয় ভাবে উৎপাদনে কিংবা উৎপাদন সহজীকরনে পরোক্ষ বাঁধা দেয়। এই সব রাজনৈতিক দুরবিত্তায়নের যুগে অপ্রতিরোধ্য চক্র হয়ে উঠেছে।

​৪​। কৃষক সরকারের কাছ থেকে সরাসরি রাসায়নিক সার, বীজ, কীটনাশক জৈব সার পাচ্ছেন না। এগুলো এজেন্ট/ডিলার/দালালের মাধ্যমে আসে। এই সাপ্ল্যাই চেইনটা নিয়ে ভাবার সময় এসেছে, মূল দামের সাথে এদের বখরা যোগ হয়। এর বাইরে আছে দলীয় কর্মীদের অনুকল্য এবং আরো এক স্তরের দালালী ব্যবসা। ফলে ক্ষুদ্র ঋণ নিয়ে জিএমও বীজের ফলন করেন। তাছাড়া একটি এলাকায় সবাই ধান করলে চাইলে অন্য ফলন করা যায় না। কৃষক পর্যায়ে বিচিত্র ফলনের সমাহার আনা দুস্কর হয়েছে পরিপার্শের কৃষি ইনভাইরন্মেন্টের কারণে, তাই এই কাজে কৃষি প্রশাসন কে খুব প্রয়োজন। ফলন রেজিস্ট্রেশন এবং এর অনুকুলে বীজ সার দেয়া, ফসলকে চাহিদার আলোকে সমন্বিত করা হয় না বলে এবং উৎপাদিত কৃষি পন্যের দামের ন্যায্য মূল্য না দেয়ায়, পণ্য দামে সরকারের নিয়ন্ত্রণ না থাকাই স্বাভাবিক। কৃষক হয় হায় হায় করে অথবা সময় বুঝে বেশি দাম নিবার চেস্টা করে।

​৫​। ব্যাপারটা এতো সহজও নয়। বাংলাদেশের জন্য উপযোগী ফারমার্স মার্কেট হয়ে উঠেনি শহরে, ফলে শহরের ভোক্তা এবং গ্রামের উৎপাদনকারীর মাধ্যে কয়েক স্তরের দালাল চক্র কাজ করে।​ কাওরান বাজারের মত বড় বাজার গুলোতে ব্যক্তি কৃষকের ফলন নিয়ে আসার সুযোগ নেই। দেশে অরগ্যানিক বা জৈব কৃষির চাষাবাদের উদীয়মান বাজার এর পুরোটাই সুপার শপ ভিত্তিক। খোলা বাজারে জৈব পণ্যের সুযোগ সৃষ্টি করা দরকার। পবিত্র রমজান মাসে এবং অন্য ফেস্টিভালে মজুতদাররা বাজার নিয়ন্ত্রণ করে, এখানে কৃষক তেমন সুবিধা পান না। কারন ফলন তারা আগেই লট ধরে বেচে দেন, কিছু সামান্য ব্যাতিক্রম ছাড়া !

​৬​। ​​ট্রান্সপোর্টেশন খুবই এক্সপেন্সিভ।​মানহীন। ফলজ পণ্য, দানাদার শস্য, পাতা জাতীয় সবই একই খোল ট্রাকে, যাত্রীবাহী বাসের ছাদে কিংবা বক্সে অত্যন্ত গরমের মধ্যে, অত্যধিক বাতাসে, রোদে পরিবহণ করা হয়, মানে পরিবহণ মাধ্যমটির অভ্যন্তর লেয়ারড নয়, তাপানূকুল পরিবেশ তো আশাই করি না। মানে বলছি দেশে সবজি সহ নানা রকম কৃষি পণ্য পরিবহনের উপযোগী কোন যুতসই পরিবহণ ব্যবস্থা গড়ে উঠেনি।এক ট্রাকই সকল পন্যের ট্রান্সপোর্ট ডেস্টিনেশন। গবেশনায় দেখা গিয়েছে ১৫-২০% পণ্য শুধু পরিবহনে নস্ট হয়। ফলে পরিবহনে পণ্যের মান নস্ট হয়ে কিছু অংশ মূল্য হারায়। ​​​ট্রান্সপোর্টেশন​ সেকটরে পুলিশের চাঁদাবাজিও ভয়ানক। ২০১৫ তে পবিত্র কুরবানীর ঈদের সময় দেখা গিয়েছে এক ট্রাক গরু উত্তর বঙ্গ থেকে ঢাকায় আসতে পথে পথে চাঁদাবাজি হয়। এগুলো প্যাসিভ কষ্ট হয়ে কৃষি​ উৎপাদনের দাম বাড়াচ্ছে। ​
২২হাজার টাকা চাঁদা দিতে হয় ১০ টনের একটি ট্রাককে ৪৩৯ কিমি পথ অতিক্রম করতে, পন্যের দাম কমবে না বাড়বে?

পণ্যের দাম বাড়াচ্ছে পুলিশের চাঁদাবাজি

​৭​। স্থানীয় পাইকারি বাজারের সমিতি নির্ভর, পুলিশি এবং রাজনৈতিক চাঁদাবাজি। স্থানীয় দুর্বিত্ত রাজনীতির লোকে​রা শকুনের মত লুফিয়ে থাকে​ কখন ফলন তোলার সময় হবে!


​৮​। ঋন থাকায়​​ ফলন স্টরেজ করতে পারেন না​ আমাদের​ কৃষক​, উৎপাদনের অব্যবহতি পরেই তা বিক্রয় করে দেন। তার উপর​ উচ্চ আদ্রতার এবং উচ্চ তাপমাত্রার আবহাওয়ায়​ পচনশীল সবজি জাতীয় কৃষি পণ্য সংরক্ষণের কোন উপায়ই দেশে নেই,​ এগুলো নিয়ে কোন পরামর্শ নেই, টুলস সাপোর্ট নেই, গবেষণা নেই। নেই কোন ইনফাস্ট্রাকচার। কোল্ড স্টরেজ ফ্যাসিলিটি সীমিত, প্রান্তিক কৃষক এখানে এক্সেস কম পান, সাধারণত মজুতদার কোল্ড স্টরেজ ব্যবহার করেন। তবে কারিগরি ব্যাপার হোল ভিন্ন ভিন্ন ফলনের চাহিদা মোতাবেক আমাদের কোল্ড স্টরেজ ক্লাসিফাইড নয়, দেখা যায় পুরটাই আলূর উপযোগী! ফলে কৃষকরা তারা এন্টি ক্লোরিনেটেড ওয়াটার, কার্বাইড কিংবা ফরমালিন ব্যবহার করছেন! ​উৎপাদিত পচনশীল পন্যের সংরক্ষণ না থাকায় মৌসুমের বাইরে ফলনের কোন বাজার নেই। এতে কৃষককে অনেক বেশি উৎপাদিত বাল্ক পণ্য মৌসুমেই বাজারে ছাড়ার বাধ্যবাধকতা থাকে। (উদাহরণ ভিন্ন ভিন্ন জাতের আমের হারভেস্ট ডিউরেশন ৩-৪ সপ্তাহ, লিচূর মাত্র ২ সপ্তাহ,কাঠলের ৩-৪ সপ্তাহ ,সংরক্ষণ ব্যবস্থা না হাকায় এই ক্ষুদ্র সময়ের মধ্যেই আপনাকে বাজারজাত করতে হবে! )। তাই পরিমানের তুলনায় বেশি উৎপাদন হলেও সমন্বিত বাজারজাতকরনের অভাবে পচনশীল পন্য পানির দরে বিক্রি হয় ফুল মৌসুমে যদিও পড়ে আকাশচুম্বী থাকে দাম। এতে বিষ মিশিয়ে সংরক্ষণের প্রবণতা বাড়ে, এই কাজ সাধারণত দালাল এবং মজুতদারেরাই বেশি করে। উপরন্তু বাংলাদেশ এমন একটি কৃষি উৎপাদনকারী দেশ যার পণ্য প্রবাসী বাংলাদেশীরা কিছু মাত্র ভোগ করলেও আমাদের কোন ভিনদেশি ভোক্তার আন্তর্জাতিক বাজার নেই, এর প্রধান কারন মানসম্পন্ন খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরন, ফুড গ্রেড প্রসেস, মান্সম্পন্ন প্যাকেজিং এবং বিপণন। এই কাজে থাইল্যান্ড, ফিলিপাইন এবং ব্রাজিলকে ফলো করতে পারে বাংলাদেশ।

৯। কৃষি পণ্যের বাজার বাজারঃ একটি কৃষি পন্যের অন্তত ৬ রকমের বাজার থাকা চাই-

ক। মৌসুমে দেশি ভোক্তার বাজার
খ। মৌসুমে​র​ বাইরে দেশি ভোক্তার বাজার ​
গ। মৌসুমে ​বি​দেশি ভোক্তার বাজার ​ ​
ঘ। মৌসুমে​র বাইরে ​ ​বি​দেশি ভোক্তার বাজার ​
ঙ। এই পণ্য জাত প্রসেসড ফুডের বাজার দেশে (যেমন ফলের ক্ষেত্রে ড্রাই ফ্রুট,জুস, জুস তৈরির নেক্টার)
​​চ। ​এই পণ্য জাত প্রসেসড ফুডের বাজার বিদেশে (খেয়াল করবেন- পেয়ারার জুস পৃথিবীর অন্যতম দামি, কিন্তু মৌসুমের শেষ দিকে গরুতে খায় আমাদের দেশে!)।

আফসুস হচ্ছে, আমাদের কৃষকের বাজার "ক" তেই সীমাবদ্ধ। হ্যাঁ মজুদকারীরা বিষ মিশিয়ে "খ" বাজার তৈরির চেষ্টায় আছেন, সেই সাথে পুরো খাদ্য চক্র বিষাক্ত হয়ে উঠেছে, ঘরে ঘরে আজ মানুষ স্বাস্থ্য ঝুকির মধ্যে। অথচ কৃষি প্রধান দেশে সরকারের আন্তরিকতা থাকলে মৌসুমে​র​ বাইরে দেশি ভোক্তার বাজার​ ফুড গ্রেড প্রসেসের মধ্যে থেকেই বের করা যায়। মোট কথা আমাদের কৃষি উৎপাদন বেশি মাত্রায় অনিয়ন্ত্রিত এবং আন এক্সপ্লোরড।

এই ছয় রকমের বাজারের বাইরেও এই সময়ে অরগ্যানিক কৃষি পন্যের জন্যও এই ৬ টি প্যারালাল বাজার সৃষ্টি করা সম্ভভ। একজন কৃষককে মোট ১২ রকমের বাজারে তাঁর উৎপাদিত পণ্য বাজারজাত করনের সুযোগ করে দিলে বাংলাদেশের কৃষি এবং খাদ্য নিরাপত্তায় এক অভাবনীয় মাত্রা যোগ হবে। বাংলাদেশ পৃথিবীর ৪র্থ বৃহত্তম কৃষি উৎপাদনকারী দেশ, কৃষিতে আমাদের অর্জন অবশ্যই অসামান্য। উৎপাদনের এই অর্জনকে খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরনে সঞ্চারিত করা গেলে সেটা হবে একটা টেকসই উন্নয়ন। ​ ​

​১০​। এখন প্রায় সব বীজই জিএমও, এগুলা থেকে উৎপাদিত ফলনের বীজ থেকে চারা হয় কিন্তু ফল হয় না। ফলে প্রতি বছর চারা কিনার বোঝা, আর এগুলা যেহেতু পতঙ্গ প্রতিরোধী নয় তাই এদের সার বীজ কীটনাশক স্প্রে বেশি লাগে। এগুলা সব মিলে কৃষকের​ উৎপাদন খরচ বাড়ছেই, সেই সাথে​ বছর বছর ঋনের দায় বাড়ছেই। কোন বিরল ফলনের জাত চাষ করা চাষি তার ফলন থেকে ডিস্কন্টিনিঊ হয়ে জান, ফলে ধান বা সবজির বিশেষ জাত ২-৩ বছর চাষাবাদ না হবার কারনে বিলুপ্ত হয়ে যায়। পরে চাইলে তা আর পাওয়া যায় না। ফলে দিন দিন দেশীয় জাত বিলুপ্ত হয়ে বিদেশি কোম্পানির উপর জি এম ও চারা নির্ভরতা আসছে যা রোগ বালাই এবং পতঙ্গ প্রতিরোধী নয়। আপনাকে তাদের সার, এন্টি ফাঙ্গাস, এন্টি ব্যাক্টেরিয়াল কীটনাশক স্প্রে কিনতে হবে। যেহেতু এগুলো ব্যবহার করে উপকারী পোকা গুলোর প্রজাতি নস্ট হয়ে যাচ্ছে, তাই ক্ষতিকারক পোকা গুলো আরো বেশি শক্তিশালী হয়ে উঠছে। মানে হোল আপনাকে বছর বছর আরো শক্তিশালী ঔষধ (সার, এন্টি ফাঙ্গাস, এন্টি ব্যাক্টেরিয়াল কীটনাশক স্প্রে ইত্যাদি) কিনতে হবে। এভাবেই আপনি সার বীজ কীটনাশক ছত্রাকনাশক সব কিছুর জন্য কোম্পানি নির্ভর হয়ে উঠবেন। এটা সরকার এবং প্রশাসনের লোকদের আমরা বুঝাতে পারছিনা। আফসুস। উনাদের বুঝে আসে না, কেন কৃষকের উৎপাদন ব্যয় দিন দিন বাড়ছে।


১১। বাংলাদেশের ​প্রত্যন্ত জনপদে পন্য পরিবহণ এবং নাগরিক ট্রাস্পোর্টেশন সেবা পৌঁছে দেয়াই হবার কথা ছিল- বিআরটিসি'র আর রেলের কাজ। কিন্তু তা না করে বিআরটিসি ওয়েল স্ট্যাব্লিশড রুট গুলোতে এসি বাস সার্ভিস নিয়ে ব্যস্ত আছে, অধিক ব্যয় দেখিয়ে প্রফিট হাতিয়ে নেয়ার মচ্ছব ​বানাচ্ছে একের পর এক​। আর রেল! কি আর বলবো- ইঞ্জিন না কিনে কোচ কিনা নিয়েই ব্যস্ত আছে​! ফলে​ সাধারণ ট্রাক - নসিমন-করিমন-টেম্পু আর পাম্প চালিত যান সহ স্থানীয় উদ্ভাবন গুলোই হয়ে উঠেছে গ্রামীণ মানুষের​ জন এবং পন্যের​ পরিবহণ।​ অতি অবাক করা বিষয় কৃষি উৎপাদনের জন্য বাংলাদেশে আজো কোন পরবহন ব্যবস্থা দাঁড়া করায়নি "বি আর টি সি" এবং বাংলাদেশ রেলওয়ে। আজো উত্তর বঙ্গ, দক্ষিণ বঙ্গের পণ্য শহরে আনার জন্য কোন বিশেষায়িত বাস ট্রেন নেই, ক্লাসিফাইড এবং লেয়ারড রেল কোচ নেই, শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কোচ নেই, বি আর টি সি এবং রেলের! অথচ মাস এগ্রি এবং ফিশারিজ প্রডাক্ট কিছু নির্দিস্ট বেল্ট থেকেই আসে। চাঁদাবাজি, বখরা, কমিশন মুক্ত রেল এবং বি আর টি সির ক্ল্যাসিফাইড কৃষি পণ্য পরিবহণ ব্যবস্থা তৈরি করা গেলে বাংলাদেশের কৃষিকে এবং কৃষি পণ্যের ট্রান্সপোর্টেশন এবং বাজারজাতকরনের ব্যবস্থাপনা গুলোকে এক অভাবনীয় উচ্চতায় আনা যাবে।

মহাসড়কের পাশে, ফেরি ঘাটে, জ্যামে মাইলের পর মাইল দাঁড়িয়ে থাকে নন প্রায়োরিটি কৃষি পণ্য বাহী ট্রাক। সকাল ৬ টার মধ্যে ঢাকায় প্রবেশের বাধ্যবাধকতায় পড়ে, ৬-১০ টা ঢাকা বাইপাসের সুযোগ না থাকায় আটকে থাকে হাজার হাজার ট্রাক, এসব পণ্য মূল্য বাড়াচ্ছে, শ্রম ঘন্টা নস্ট হচ্ছে! এইসব পরোক্ষ বিষয় নিয়ে ভাবাই সময়ের দাবি। ​

​​কিন্তু শহরে বসে আমরা নাগরিকরা দাম কম চাই খালি! যদিও বহুবিধ প্রত্যক্ষ পরোক্ষ কারণে কৃষক সর্বসান্ত। হাঁ কিছু দালাল মধ্যস্বত্য ভোগ করে বড় লোক হচ্ছেন। এগুলার জন্য লীডারশীপ এবং কৃষি প্রসাশ​নের স্ট্রাকচারাল খামখেয়ালী পনা​ দায়ী। কিভাবে উপরে ব্যাখ্যা করেছি, এখানে​ শুধু একটা বিশেষ আইন করলেই বা নির্দেশ দিলেই হবে না। একটা সমন্বিত কৃষি উৎপাদন​, প্রক্রিয়া জাতকরন, ফলন সমন্বয়, গবেষণা, স্টোরেজ​, পরিবহণ এবং বিপনন ব্যবস্থা​র ফ্রেইমোয়ার্ক ​দাঁড়া করাতে হবে যাতে মধ্যস্বত্য দালালের অংশগ্রহন​ সিস্টেমেটিকেলি কমে আসে, যাতে ডিরেক্ট চ্যানেলে সরাসরি কৃষক তার পণ্য শহরের বাজারে আনতে পারবেন (ফার্মারস মারকেট) কিংবা ​সু​পার চেইন গু​লো​ ডাইভার্স কৃষক সোর্স থেকে পণ্য কিন​তে বাধ্য থকবেন​, যাতে কৃষক ৬+৬ রকমের বাজার এক্সপ্লোর করতে পারেন। সেই সাথে​ রাসায়নিক​ সার​,​​ জৈব সার, কীট নাশক, জৈব বালাই নাশক,​ বীজের বন্দোবস্ত করতে হবে,​ মোট কথা​ চাহিদার আলোকে উৎপাদনকে উৎসাহিত করতে ​প্রয়োজনীয় প্রণোদনা দেয়া হবে​।​ রাসায়নিক সারে উৎপাদিত বাজারের বাইরে প্যারালাল অরগ্যানিক কৃষি পন্যের বাজার তৈরিও সময়ের দাবি। ​

দাম কমানোই যেন নাগরিকের একমাত্র কাম্য না হয়। পিছনের ব্যাপার গুলো নাগরিকদের বুঝতে হবে, নাগরিক সচেতনতা তৈরি করে সরকারের উপর চা​প​ দিতে হবে। আমাদের সরকার গুলো​ জ্ঞানহীন দুর্নিতি প্রবণ হীনমান্য লোকে গড়া, এই ব্যাকডেটেড লোক গুলার দেশকে সার্ভিস দেবার ক্যাপাবিলিটিও নেই। তবে তারা যে​ সত্যিকারের দুরদর্শী সমাধান ভিত্তিক কাজ​ করছে না এটা তাদের চোখে আঙুল দিয়ে না দেখাতে পারলে তারা কিছু​ই​ করবে না।​ ​​তাই কৃষি এবং খাদ্য পণ্যের দাম বাড়ার দায় কৃষককে না দিয়ে প্রশাসন এবং সরকারকে মৌলিক ইনফাস্ট্রাকচারের অনুপুস্থিতির জানান দিক অগ্রসর নাগরিক!

কৃষি ব্যবস্থাপনার সেন্স আসুক নাগরিকের মাঝে,
কৃষি প্রশাসনের ব্যবস্থাপনা সেন্স উন্নত হোক,
​কৃষি উৎপাদন প্রক্রিয়াজাতকরণ পরিবহণ এবং বিপননের মান্সম্পন্ন জ্ঞান ছড়িয়ে যাক, ​


বাংলাদেশ এগিয়ে যাক! ​​

​রেফারেন্স ব্যাংকঃ ১৫ ও ১৬ নং কমেন্টে!

মন্তব্য ৩৫ টি রেটিং +৭/-০

মন্তব্য (৩৫) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা মার্চ, ২০১৬ রাত ৩:০৩

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: ​ক্রমবর্ধমান রাসায়নিক চাষের বিস্তৃতি, ভেজাল ক্যামিক্যাল নির্ভর ফুড প্রেসেসিং, কৃষি ভূমির উপর শিল্পের অনিন্ত্রিত আগ্রাসন, বনে মাত্রাতিরক্ত হিউম্যান পেনিট্রেশন, নদী এবং বায়ু দূষণ, সর্বোপরি জলবায়ু পরিবর্তনের কারনে ঠিক কি কি পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে গ্রামীণ পরিবেশে কৃষকের জীবন বিবির্তিত হচ্ছে এইসব বিশধ গবেষণার প্রয়োজন, বাংলাদেশ পরিপ্রেক্ষিতে।গ্রামীণ পরিবেশ, এর নদি পানি, চাষাবাদ, কৃষি উৎপাদনকে এক তরফা বিবর্তন করে ফেলা হয়েছে একই গড্ডালিকা প্রবাহের আমদানি মুখী ব্যবসার এবং চাষাবাদের রাসায়নিক মডেলে, এতে বাতাস বন নদি পানি জমি সব বিষাক্ত হয়েছে। ফসলের বিচিত্রতা হারিয়েছে। সাধু পানিতে মাছ নেই। ফারাক্কা এবং গজলডোবা ব্যারেজের কারনে সারফেইস ওয়াটার কমছে। কৃষি ক্যালেন্ডার অনিয়মিত হচ্ছে।পুষ্টি ঔষধ নির্ভর। বীজ হয়েছে কোম্পানি নির্ভর। শিল্প, ধনী এবং রাজনীতির লোকেদের কাছে বেশি থেকে বেশি জমে যাচ্ছে। ফলে কৃষক দিন দিন অর্থনৈতিক ভাবে প্রান্তিক হচ্ছেন, ঋন নির্ভর হচ্ছেন। নিজের জমিতেই চাষাবাদ খরচ এত বাড়ছে যে, ফসলের উৎপাদন মূল্য দিয়ে কভার করা যাচ্ছে না। আর বর্গা চাষিদের রয়েছে ঋণের দায়। এতে ভয় হচ্ছে, দিন দিন বেশি থেকে বেশি প্রকৃত কৃষক চাষাবাদ থেকে ডিস্কানেক্টেড হবেন। এতে ফসল বৈচিত্র যা আছে তা হারিয়ে যাবার সমূহ বিপদের সম্ভাবনা রয়েছে।অথচ কৃষি, মৎস্য উতপাদন সংরক্ষণ এবং বিপণনকে ডেভেলপমেটে ইনক্লুড করেই সমন্বিত কৃষি এবং শিল্প ভিত্তিক মাস ডেভেলপমেন্টে যাওয়া যায়। দেশকে সত্যিকার ভাবে উন্নত করতে গেলে দেশের কৃষকদের স্বার্থ রক্ষা করতে হবে। কৃষিতে অতি উন্নত হতে হবে কৃষকের আর্থনৈতিক স্বার্থ স্ট্যাবলিশ করে। সাস্টেইনেবল ডেভেলপমেন্ট এর স্বরূপ স্থানীয় জ্ঞানের আলোকে উপলভধি করতে হবে।​

২| ০১ লা মার্চ, ২০১৬ সকাল ৯:১২

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: খুব চমৎকার লিখেছেন। আমি মনে করি আপনার পোস্টে যে দিকগুলোর কথা তুলে ধরেছেন, তা এই দেশের কৃষি সংশ্লিষ্ট কর্তাব্যক্তিদের মনযোগ দিয়ে পড়া উচিত।

০১ লা মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১২:৪৪

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: আমি মনে করি আপনার পোস্টে যে দিকগুলোর কথা তুলে ধরেছেন, তা এই দেশের কৃষি সংশ্লিষ্ট কর্তাব্যক্তিদের মনযোগ দিয়ে পড়া উচিত।

ভাইয়া, অনেক অনেক ধন্যবাদ।

অবকাঠামো সংক্রান্ত লিখালিখির মাধ্যমে আমরা সমাজ নাগরিক সচেতনতা আনার চেষ্টা করছি। এরই ধারাবাহিকতায় কর্তাদের দৃষ্টি আসবে এই সব বিষয়ে।বেশ কিছু মহৎ প্রাণ তো অবশ্যই রয়েছে আমাদের কৃষি প্রশাসনে। আমাদের কৃষির অর্জনও কিন্তু অনেক। আশা করি মৌলিক ইনফাস্ট্রাকচার সংক্রান্ত ব্যাপারগুলো মনোযোগ পাবে।

৩| ০১ লা মার্চ, ২০১৬ সকাল ৯:২৯

আরজু নাসরিন পনি বলেছেন: পড়ার আগ্রহ ধরে রাখার মতো করে উপস্থাপন করেছেন, বিষয়টা বেশ ভালো লেগেছে।
তবে ৯ নম্বর অংশটা পুরো বাক্যের পর বাক্যে উপস্থাপন না করে যদি পরপর দিতেন তবে কেমন হতো ভাবছি। মানে আমি নিচে যেভাবে দিলাম সেভাবে পড়ে আরাম পেয়েছি।

৯। একটি কৃষি পন্যের অন্তত ৬ রকমের বাজার থাকা চাই-
ক। মৌসুমে দেশি ভোক্তার বাজার
খ। মৌসুমে​র​ বাইরে দেশি ভোক্তার বাজার
​গ। মৌসুমে ​বি​দেশি ভোক্তার বাজার ​
​ঘ। মৌসুমে​র বাইরে ​ ​বি​দেশি ভোক্তার বাজার ​
ঙ। এই পণ্য জাত প্রসেসড ফুডের বাজার দেশে (যেমন ফলের ক্ষেত্রে ড্রাই ফ্রুট, জুস তৈরির নেক্টার)
​​চ। ​এই পণ্য জাত প্রসেসড ফুডের বাজার বিদেশে (যেমন ফলের ক্ষেত্রে ড্রাই ফ্রুট, জুস তৈরির নেক্টার)।

অনেকগুলো বিষয় এনেছেন...

আমাদের কৃষিতে এমন অবস্থা যে
"সর্বাঙ্গে ব্যথা
ওষুধ দিব কোথা"।


সব পর্যায়েই সঠিক তদারকি দরকার।


খুব ভালো বিষয়ের উপস্থাপন...অনেক শুভেচ্ছা জানবেন।

০১ লা মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১২:৩৮

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: আপু, খুব ভালো দিক নির্দেশনা দিয়েছেন। ঠিক করে নিলাম!
অনেক অনেক ধন্যবাদ এবং আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানবেন।

৪| ০১ লা মার্চ, ২০১৬ সকাল ১০:০৯

কল্লোল পথিক বলেছেন: খুব সুন্দর একটা বিষয় তুলে ধরেছেন।
অসংখ্য ধন্যবাদ।

০১ লা মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১২:৪৪

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: আন্তরিক শুভেচ্ছা!

৫| ০১ লা মার্চ, ২০১৬ সকাল ১০:১৫

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন:
আর একটা মার -মার কাট-কাট পোষ্ট। আজকে যুক্তরাষ্ট্রের কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা কেন্দ্র The International Research Institute for Climate and Society এর ফেসবুক পেজের বিভিন্ন পোষ্ট গুলো দেখতেছিলাম। হঠাৎ করে চোখে পড়ল ইথিয়পিয়ায় প্রচণ্ড খরায় আক্রান্ত এক কৃষকের বেঁচে থাকার গল্প। গল্পটা তুলে দিলাম এখানে:

"Three years ago, when an earlier drought hit Hade Alga hard, [farmer Shekole] Hagos got a 3,000-birr insurance payout—or about $142. The money cushioned the impact of the drought and prevented some difficult choices.'When I got the 3,000(birr) I was happy because it saved us from migration and it saved us from selling our animals,' Hagos said. '1,600 (birr) I used to pay loans; 1,400 I used to buy food.'

গল্পটা পড়ার পরে মনে পড়ল আমাদের দেশে গ্রামের কৃষকরা বন্যায় শস্য নষ্ট হলে কি ভাবে দাদন ব্যবসায়ীর ঋণের বেড়া জালে জড়িয়ে পড়ে নিজের চাষের গরু, বাড়ি ভিটা হারায়। স্বাধীনতার ৪৫ বছর পরেও কৃষি প্রধান দেশে শস্য বীমা চালু হলো না। একটা শস্য নষ্ট হলে পেটে ভাত থাকে না। গরুর পরিবর্তে নিজের ঘাড়ে জঙ্গাল পড়ে পরের সিজনে চাষের সময়।



আপনাকে অসখ্য ধন্যবাদ পোষ্টটির জন্য। পূর্বের পোষ্ট গুলোর মতো এটিও কেউ পড়বে না হয়ত। তবে লেখা আপনাকে চালিয়ে যেতে হবে।

০১ লা মার্চ, ২০১৬ দুপুর ২:৫৫

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: ২ টা ব্যাপার টাচ করেছেন।

১। ফলনের ন্যায্য মূল্যঃ চাহিদার আলোকে রেজিস্ট্রেশন করা ডাইভার্সিফাইড ফলনের বাজার মূল্য না আসলে একটি নূন্যতম সমীক্ষা ভিত্তিক উৎপাদন মূল্য সরকার কৃষকে দিতে পারে। এতে কৃষকের লাভ হবে না তবে খরচটা উঠে আসবে। এই কাজটি করা গেলে সরকার এবং প্রশাসন বাজার চাহিদা মত বিশেষ বিশেষ ফলন উৎপাদনে উৎসাহিত করবে। এতে বাম্পার ফলনের ট্রেন্ড থেকে বাইরে এসে ফলনে বিচিত্রতা আসবে, জমির উর্বরতার সাইকেল রোটেট করবে। বৈদেশিক মূদ্রাও সাশ্রয় হবে।

আমার ব্যক্তিগত মত হোল, সরকার ডিজেলে ভর্তুকি উঠিয়ে পণ্য রেজিস্ট্রেশন এবং সেখানে দামে সরাসরি ভর্তুকি দিক। এতে ভর্তুকির অংক দালাল থেকে কৃষকের হাতে পৌঁছাবে।


এটা খাদ্য নিরাপত্তার খুব শক্তিশালী একটা স্তর, এখানে আমাদের পৌঁছাতেই হবে। তবে নন রেজিস্ট্রশন ফলনের দামে ভর্তুকি দিলে দুর্বিত্তায়ন হবে, লোকে অপ্রয়োজনীয় এবং সহজ ফলন করে টাকা গুন্তে চাইবে!


২। বাংলাদেশে চাষাবাদ যে পদ্ধতি, সেটা নিয়ে কাজ করতে হবে। পুরো র সেচ হয়, মানে ফ্লাডেড সেচ হয়, কারো হাতেই টুলস নেই। এতে পানির অপচয় হয়। আমি ইজ্রায়েলী ফার্মে টিউব এবং ডটেড সেচ দেখেছি। একই সেচ পদ্ধতি তারা ইথিওপিয়াতে ট্রান্সফার করেছে। আজ থেকে ২০-৩০ বছর পর নদীর সারফেইস ওয়াটার থাকবেই ফলনের সময়ে। ভূগর্ভস্ত পানিও এত নিচে নামবে যা উঠিয়ে ফলন করতে গেলে ব্যয় বাড়বে।

এখনই টেকসই সেচ পদ্ধতি ডেভেলপ করতে হবে, এটা দরকার আমাদের মাটির গঠন এবং পানি প্রাপ্তির সম্ভাবনা গুলো বিবেচনায় এনে স্থানীয় জ্ঞানের আলোকে এবং সাশ্রয়ী টুলস ভিত্তিক।

৬| ০১ লা মার্চ, ২০১৬ সকাল ১০:৪০

আরজু নাসরিন পনি বলেছেন:
লেখাটা শেয়ার দিলাম ফেসবুকে...

০১ লা মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১২:৪৫

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: ধন্যবাদ, আন্তরিক ধন্যবাদ আরজু নাসরিন পনি আপু!

৭| ০১ লা মার্চ, ২০১৬ সকাল ১০:৪৮

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: আপা, নাম যে পরিবর্তন করলেন আকিকার দাওয়াত তো পাইলাম না =p~

৮| ০১ লা মার্চ, ২০১৬ সকাল ১০:৫০

অলওয়েজ ড্রিম বলেছেন: আগের মতোই আপনার এই পোস্টটিও দুর্দান্ত হয়েছে।

এখানে কিছু আমদানিকারক চক্র রয়েছে যারা পিঁয়াজ এর মত ফলন গুলো স্থানীয় ভাবে উৎপাদনে বাঁধা দেয়। আপনার এই কথাটা বুঝি নাই। আমার জমিতে আমি ফসল উৎপাদন করব তাতে অন্যে কিভাবে বাঁধা দেয়?

ছোটবেলায় দেখেছি রবি মৌসুমে বিচিত্র ফসলের সমাহার। এখন আমার এলাকায় শুধুই ইরি ধানের চাষ।

০১ লা মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১২:৫৫

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: ছোটবেলায় দেখেছি রবি মৌসুমে বিচিত্র ফসলের সমাহার। এখন আমার এলাকায় শুধুই ইরি ধানের চাষ।

১। বছরের পর বছর শুধু ইরি ধান করার কারনে রবি মৌসুমের সেই সব বিচিত্র সমাহারের ফলনের বীজ আর কৃষকের হাতে নেই। মানে উনাকে কোম্পানির জি এম ও জাতের বীজের উপর নির্ভর করতে হবে, যা থেকে ফলন হবে কিন্তু পরবর্তি ফলনের জন্য বীজ হবে না। হা শুধু গাছ হয়, ফল ধরে না। এটা এক ধরনের মিল্কিং কাউ! তবে এখনো বাজারে কিছু দেশি বীজ আছে, এগুলো সংরক্ষণ করা খুব দরকার।

এই ব্যাপারটাকে আমি বলছি ফলনের ডিস্কন্টিনিউটি (সরাসরি পোস্টের সাথে সম্পর্কিত নয় বলে প্রথম কমেন্টে বিস্তারিত বলেছি)।

২। পিঁয়াজের উদাহরণে খটকা লেগেছে তাই না? আমি লিখার সময়েই বুঝতে পেরেছিলাম।
ঢাকার কেন্দ্রীয় কৃষি অফিস যাতে কিছু বিশেষ ফলনের প্রণোদনা না জোগায় (চারা দেয়া, সেগুলোর উপযোগী নিউট্রিশন, সার), নতুন চাষি ট্রেনিং না দেয় এবং সেসব ফসল খাদ্য/দুর্যোগ মন্ত্রণালয় স্থানীয় বাজার থেকে সংগ্রহ না করে সেজন্য কিছু সিন্ডিকেট কাজ করে, খুব অবাক করা ব্যাপার তাই না? কারন তাঁরা আমদানি মুখি ব্যবসা এবং মজুতদারি নিয়ন্ত্রন করে। এই সিন্ডিকেট ফলের বাজারেও আছে, আপনি চাইলেই ফলের এক্সপোর্ট ইনপোর্ট বিজনেস করতে পারবেন না।

৯| ০১ লা মার্চ, ২০১৬ সকাল ১০:৫৭

উল্টা দূরবীন বলেছেন: খুব ভালো একটা লেখা। লেখককে অনেক ধন্যবাদ অনেক গুরুত্বপূর্ণ কিছু কথা আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য।

০১ লা মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১২:৫৭

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: আন্তরিক ধন্যবাদ জানবেন ভাইয়া।

১০| ০১ লা মার্চ, ২০১৬ সকাল ১১:৫৪

অগ্নি সারথি বলেছেন: একটা সমন্বিত কৃষি উৎপাদন​, প্রক্রিয়া জাতকরন, ফলন সমন্বয়, গবেষণা, স্টোরেজ​ এবং বিপনন ব্যবস্থা​র ফ্রেইমোয়ার্ক ​দাঁড়া করাতে হবে যাতে মধ্যস্বত্য দালালের অংশগ্রহন​ সিস্টেমেটিকেলি কমে আসে, যাতে ডিরেক্ট চ্যানেলে সরাসরি কৃষক তার পণ্য শহরের বাজারে আনতে পারবেন (ফার্মারস মারকেট) কিংবা ​সু​পার চেইন গু​লো​ ডাইভার্স কৃষক সোর্স থেকে পণ্য কিন​তে বাধ্য থকবেন​, যাতে কৃষক ৬+৬ রকমের বাজার এক্সপ্লোর করতে পারেন। সেই সাথে​ রাসায়নিক​ সার​,​​ জৈব সার, কীট নাশক, জৈব বালাই নাশক,​ বীজের বন্দোবস্ত করতে হবে,​ মোট কথা​ চাহিদার আলোকে উৎপাদনকে উৎসাহিত করতে ​প্রয়োজনীয় প্রণোদনা দেয়া হবে​।​ রাসায়নিক সারে উৎপাদিত বাজারের বাইরে প্যারালাল অরগ্যানিক কৃষি পন্যের বাজার তৈরিও সময়ের দাবি। ​
- সহমত।

০১ লা মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১২:৫৭

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ।

১১| ০১ লা মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১:১২

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: গুরুত্ব বিবেচনায় পোস্টটি স্টীকি করার আবেদন করছি ।

০১ লা মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৩:১২

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: গিয়াস উদ্দিন লিটন ভাই, আন্তরিক কৃতজ্ঞতা!

১২| ০১ লা মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১:৩৬

পুলহ বলেছেন: আপনার আরো কিছু লেখা আগে পড়েছি, আমার ক্ষুদ্র অভিজ্ঞতা যেটা বলে- আপনার বেশিরভাগ পোস্টই তথ্যবহুল, টেকনিকাল এবং সচেতনতামূলক। এটাও তার ব্যতিক্রম না। সমৃদ্ধ একটা লেখা।
আমার সব সময়ের একটা বিশ্বাস ছিলো- গ্রামের সরল কৃষকেরা সামান্য লাভের আশায় খাবারে ফরমালিন/কার্বাইড টাইপ বিষ মেশানোর মতন জঘণ্য কাজ করতে পারে না- আপনার এই পোস্ট পড়ে সে বিশ্বাস আরো পোক্ত হোল। আইডিয়াল এর কাছাকাছি পৌছুতে না পারলেও আমরা যদি বড় বড় ফ্ল' গুলো দূর করে কৃষকের জন্য একটা ন্যায্যমূল্য তৈরি করতে পারি- তাহলেই খাবারে বিষ মেশানোর মতন একটা ভয়াবহ কাজ অনেকাংশেই নিয়ন্ত্রণে চলে আসার কথা- অন্ততঃ আপনার লেখা পড়ে তেমনটাই মনে হোল।
সাথে স্টোরেজ, চাহিদা অনুযায়ী উতপাদন প্রণোদনা, কিংবা স্মার্ট বিপণন - এরকম প্রতিটা ক্রুশাল ক্ষেত্রে যথেষ্ট উন্নতির সূযোগ আছে- আপনার সাথে সহমত।
আমার দুঃখ একটাই- এ বিষয়ে স্পেশালিস্টদের কথা কেন শোনা হচ্ছে না? সংশ্লিষ্ট বিষয়ে অভিজ্ঞ ব্যাক্তি বাংলাদেশে নাই- একথা তো নিশ্চই অবিশ্বাস্য। তারপরেও কেন...
শুভবুদ্ধির উদয় হোক। আপনার পোস্টে অনেক, অনেক ভালোলাগা।
নিরুদ্দেশ পথিক ভাই, আপনার একজন ভক্ত হিসেবে আমার একটা রিকুয়েস্ট! যদি সম্ভব হয়- তো এধরণের পোস্টগুলোর শেষে যদি রেফারেন্স উল্লেখ থাকে- পুরোপুরি সুনির্দিষ্ট না হলেও অন্ততঃ পাঠক যেন লেখার নির্ভরযোগ্যতা বুঝতে পারে এমন উপায়ে- সে ক্ষেত্রে নিঃসন্দেহে আপনার লেখাগুলি আরো, আরো নিখুত হয়ে উঠবে...
আমার আন্তরিক শুভকামনা জানবেন :)

০১ লা মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৩:০৫

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: খুব গুছিয়ে একটি উচ্চ মান মন্তব্য করেছেন। সেজন্য কৃতজ্ঞতা।

১। আপনি ঠিকই বলেছেন। আমাদের ইনফাস্ট্রাকচার এক্সপার্টগণ কিছু বলছেন না। এটা একটা বড় ইন্টেলেকচুয়াল গ্যাপ। কৃষিবিদ এবং প্রকৌশলীদের অনেক অনেক বেশি কথা বলে হবে কারিগরি এবং ব্যবস্থাপনা বিষয়ে।

নিউট্রিশন এক্সপার্টদের কথা বলতে হবে ফুড গ্রেড খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ এবং ফুড গ্রেড ট্রান্সপোর্টেশন নিয়ে কাজ করতে হবে, কথা বলতে হবে।

সচেনতা এমনিতে আসবে না। আমাদের সবাইকে পলিটিক্যাল গসিপে লেগে থাকলে হবে না, বরং অপদার্থ লিডারশীপকে জাগাতে হবে, চাপে রাখতে হবে।

২। আমার কৈফিয়ত।
লিংক আসলে চাইলে দিতে চাই। ৬,৯,১১ এইসব পয়েন্টের অনেক রেফারেন্সই আছে। চেস্টা করবো উল্লেখ করতে! (তবে আমি অনেক কন্সেপচূয়াল কথা বলি, আইডিয়ার কথা বলি! সেসবের রেফারেন্স দিতে পারবো না!)

পরামর্শের জন্য আন্তরিক কৃতজ্ঞতা।

০১ লা মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৪:১৯

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: ১৫ নং কমেন্টে কিছু রেফারেন্স দিয়েছি। অনেক অনেক ধন্যবাদ।

১৩| ০১ লা মার্চ, ২০১৬ দুপুর ২:২১

*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: ভালো পোষ্ট। এদেশে সবচাইতে বেশি অগ্রাধিকার পাওয়ার কথা ছিলো কৃষি খাত। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক ভাবে যে খাত আমাদের খাদ্য নিশ্চিত করে, যে খাত আমাদের স্বয়ংসম্পুর্ণ হওয়ার নিশ্চয়তা দেয়, সেই খাতই আজ সবচাইতে অবহেলিত। আর যারা এই কৃষিকাজে জড়িত তারা আজ শহুরে সমাজের কাছে স্রেফ "কামলা" যেটাকে তারা একটা শুশীল গালী হিসেবে ব্যবহার করে। এই দেশের মানুষ একদিন কৃষি ও কৃষকের অভাববোধ করবে, তাদের জন্য হাহাকার করবে কিন্তু ততদিনে অনেক দেরি হয়ে যাবে, কিছুই করার থাকবে না। এবং এটা ঘটবে নিশ্চিত।

যাইহোক, এখনও সরকার যদি চায় তাহলে কৃষিপণ্য পরিবহর ও বাজার নিশ্চিত করাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিতে পারে। এছাড়াও মৌসুমী ফল ও সবজি বিদেশে রপ্তানির হার আরো বাড়িয়ে কৃষকদের মূল্য প্রাপ্তির হার নিশ্চিত করতে পারে। জেনেটিক্যালি মডিফায়েড বীজ অথবা বহুজাতিক কোম্পানির আমদানিকৃত অন্যান্য পণ্য কঠোর মান যাচাই এবং প্রয়োজনীয়া নিশ্চিত সাপেক্ষে এদেশে বাজারজাত করার অনুমতি দেয়া প্রয়োজন। কারণ বহুজাতিক কোম্পানিগুলো ব্যবসার স্বার্থে যাচ্ছেতাই ভাবে তাদের পণ্য কৃষকদের কাছে বিক্রির চেষ্টা করে বা করছে। এছাড়াও বনায়নের নামে পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর যে গাছগুলো লাগানো হচ্ছে (যেমন একাশিয়া বা ইউক্যালিপটাস) এই ধরণের পরিবেশ হানিকর গাছ যত দ্রুত সম্ভব দেশ থেকে অপসারণ করতে হবে। নইলে খুব বেশিদিন লাগবে না এদেশের মাটির রস ও ফার্টিলিটি নষ্ট হতে। নদীর পানি প্রাপ্তি নিশ্চিত করতে হবে। এজন্য আন্তর্জাতিক নীতিমালাসমূহ বাস্তবায়নের জন্য জাতিসংঘসহ অন্যান্য সংস্থাকে চাপ দিতে হবে।

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: গুরুত্ব বিবেচনায় পোস্টটি স্টীকি করার আবেদন করছি ।

০১ লা মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৩:১১

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: এখনও সরকার যদি চায় তাহলে কৃষিপণ্য পরিবহর ও বাজার নিশ্চিত করাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিতে পারে। এছাড়াও মৌসুমী ফল ও সবজি বিদেশে রপ্তানির হার আরো বাড়িয়ে কৃষকদের মূল্য প্রাপ্তির হার নিশ্চিত করতে পারে। জেনেটিক্যালি মডিফায়েড বীজ অথবা বহুজাতিক কোম্পানির আমদানিকৃত অন্যান্য পণ্য কঠোর মান যাচাই এবং প্রয়োজনীয়া নিশ্চিত সাপেক্ষে এদেশে বাজারজাত করার অনুমতি দেয়া প্রয়োজন। কারণ বহুজাতিক কোম্পানিগুলো ব্যবসার স্বার্থে যাচ্ছেতাই ভাবে তাদের পণ্য কৃষকদের কাছে বিক্রির চেষ্টা করে বা করছে। এছাড়াও বনায়নের নামে পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর যে গাছগুলো লাগানো হচ্ছে (যেমন একাশিয়া বা ইউক্যালিপটাস) এই ধরণের পরিবেশ হানিকর গাছ যত দ্রুত সম্ভব দেশ থেকে অপসারণ করতে হবে। নইলে খুব বেশিদিন লাগবে না এদেশের মাটির রস ও ফার্টিলিটি নষ্ট হতে। নদীর পানি প্রাপ্তি নিশ্চিত করতে হবে। এজন্য আন্তর্জাতিক নীতিমালাসমূহ বাস্তবায়নের জন্য জাতিসংঘসহ অন্যান্য সংস্থাকে চাপ দিতে হবে।

বাংলাদেশ পৃথিবীর ৪র্থ বৃহত্তম কৃষি উৎপাদনকারী দেশ, কৃষিতে আমাদের অর্জন অবশ্যই অসামান্য। উৎপাদনের এই অর্জনকে খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরন এবং ট্রান্সপোর্টেশনে সঞ্চারিত করা গেলে সেটাই হবে টেকসই উন্নয়ন। ​ ​

১৪| ০১ লা মার্চ, ২০১৬ দুপুর ২:২২

অলওয়েজ ড্রিম বলেছেন: নিরুদ্দেশ পথিক ভাই
আপনার লেখা যতই পড়ছি ততই মুগ্ধ হচ্ছি। আশা করি নিয়মিত লিখে যাবেন।

০১ লা মার্চ, ২০১৬ দুপুর ২:৫৬

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: আপনারাই উৎসাহী করছেন, কন্ট্রিবিউট করছেন। এতে লিখাগুলো সমৃদ্ধ হচ্ছে।

১৫| ০১ লা মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৪:১৭

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: ​রেফারেন্স ব্যাংকঃ ​

শস্যবহুল অঞ্চলে বৃষ্টিপাত কমছে
ঝুঁকিতে উত্তরাঞ্চলের কৃষি উৎপাদন
জলবায়ু পরিবর্তন চাল উৎপাদন হুমকিতে ফেলছে
মধ্যস্বত্বভোগী নয় পরিবহণে চাঁদাবাজি দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির জন্য দায়ী: বাণিজ্যমন্ত্রী
পণ্য পরিবহণে পথের চাঁদাবাজি বন্ধ না হলে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করা অসম্ভব -অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ
পুটখালী থেকে যশোর পর্যন্ত চাঁদা দিতে দিতে হয়রান ভারতীয় গরু ব্যবসায়ীরা
পুটখালী থেকে যশোর পর্যন্ত চাঁদা দিতে দিতে হয়রান ভারতীয় গরু ব্যবসায়ীরা
মহাসড়কে গরুর ট্রাকে চাঁদাবাজি
গরুর ট্রাকে পথে পথে চাঁদাবাজি
সবজির ট্রাকে পুলিশের বেপরোয়া চাঁদাবাজি
কারওয়ান বাজার ব্যবসায়ীরা লোকমান বাহিনীর ঘেরাটোপে
রাজশাহীতে সংরক্ষণাগার ও সুষ্ঠু পরিবহণের দাবি দীর্ঘদিনের/ প্রতিদিন নষ্ট হচ্ছে ৩০ মেট্রিকটন শাক-সবজি
শেরপুরে সবজি চাষীরা মোটা অংকের লোকসানে পড়েছেন
শেরপুরে মাঠেই নষ্ট হচ্ছে কৃষকের কষ্টে উৎপাদিত সবজি ট্রাক ভাড়া ৩ গুণ
বছরজুড়েই বাড়তি থাকবে পণ্যের দাম

১৬| ০১ লা মার্চ, ২০১৬ রাত ১০:১৮

আরজু পনি বলেছেন:
১,৩,১০ এবং ১২ নং লিঙ্ক কাজ করছে না।
একটু কষ্ট করে দেখবেন ?

১৭| ০১ লা মার্চ, ২০১৬ রাত ১১:১১

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: ঠিকই ধরেছেন!
শস্যবহুল অঞ্চলে বৃষ্টিপাত কমছে
জলবায়ু পরিবর্তন চাল উৎপাদন হুমকিতে ফেলছে
সবজির ট্রাকে পুলিশের বেপরোয়া চাঁদাবাজি

পণ্যের দাম বাড়াচ্ছে পুলিশের চাঁদাবাজি

মন্তব্য সেকশন এ এডিট অপশন চাই!

১৮| ০৩ রা মার্চ, ২০১৬ দুপুর ২:২৮

প্রামানিক বলেছেন: গুরুত্বপূর্ণ একটি পোষ্ট। ধন্যবাদ

০৪ ঠা মার্চ, ২০১৬ রাত ২:৪৩

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ।

১৯| ০৫ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১২:৫৬

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:



পোষ্টটা স্টিকি হওয়ার দাবি রাখে।

২০| ২৪ শে মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৪:০১

টুনা বলেছেন: ভাই, আপনি উপরের কমেন্ট টা মুছে দিন দয়া করে। আসলে লিংটা ঠিক ভাবে কাজ করছেনা। আমি আপনার পোস্ট আপনার নামে একটা অন লাইন পত্রিকায় শেয়ার দিয়েছি। যেহেতু জন কল্যাণের উদ্দেশ্যে পোস্ট দিয়েছেন তাই পূর্বানুমতি নিইনি। আপত্তি থাকলে ডিলিট করে দেব। অনেক দিন হল ব্লগে তেমন আসিনা। "আরজু পনি" এর ফেসবুক শেয়ার থেকে এখানে আসা। ধন্যবাদ সবাইকে। ভাল থাকবেন নিরন্তর। বাংলাদেশের কৃষি​ ইনফাস্ট্রাকচার, ব্যবস্থাপনা এবং ​কৃষি পণ্যের দাম বৃদ্ধি

২৪ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১১:৩০

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: শুভেচ্ছা জানবেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.