নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব,ইইই প্রকৌশলী। মতিঝিল আইডিয়াল, ঢাকা কলেজ, বুয়েট এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্র।টেলিকমিউনিকেশন এক্সপার্ট। Sustainable development activist, writer of technology and infrastructural aspects of socio economy.

এক নিরুদ্দেশ পথিক

সমাজের প্রতিটি ছোট বড় সমস্যার প্রকৃতি নির্ধারণ করা, আমাদের আচার ব্যবহার, সমাজের প্রচলিত কৃষ্টি কালচার, সৃষ্টিশীলতা, চারিত্রিক উদারতা এবং বক্রতা, অপরাধ প্রবৃত্তি, অপরাধ সঙ্ঘঠনের ধাঁচ ইত্যাদির স্থানীয় জ্ঞানের আলোকে সমাজের সমস্যার সমাধান বাতলে দেয়াই অগ্রসর নাগরিকের দায়িত্ব। বাংলাদেশে দুর্নীতি রোধ, প্রাতিষ্ঠানিক শুদ্ধিকরন এবং টেকনোলজির কার্যকরীতার সাথে স্থানীয় অপরাধের জ্ঞান কে সমন্বয় ঘটিয়ে দেশের ছোট বড় সমস্যা সমাধান এর জন্য লিখা লিখি করি। আমার নির্দিষ্ট দৃষ্টিভঙ্গি আছে কিন্তু দলীয় সীমাবদ্ধতা নেই বলেই মনে করি, চোর কে চোর বলার সৎ সাহস আমার আছে বলেই বিশ্বাস করি। রাষ্ট্রের অনৈতিক কাঠামোকে এবং দুর্নীতিবাজদের সবাইকে তীক্ষ্ণ ভাবে চ্যালেঞ্জ করার চেষ্টা করি। রাষ্ট্র কে চ্যালেঞ্জ করতে চাই প্রতিটি অক্ষমতার আর অজ্ঞতার জন্য, তবে আঘাত নয়। ব্যক্তিগত ভাবে নাগরিকের জীবনমান উন্নয়ন কে দেশের ঐক্যের ভিত্তিমূল মনে করি। ডাটাবেইজ এবং টেকনোলজি বেইজড পলিসি দিয়ে সমস্যা সমাধানের প্রোপজাল দেবার চেষ্টা করি। আমি মূলত সাস্টেইন এবল ডেভেলপমেন্ট (টেকসই উন্নয়ন) এর নিরিখে- অবকাঠামো উন্নয়ন এবং ডিজাইন ত্রুটি, কৃষি শিক্ষা খাতে কারিগরি ব্যবস্থাপনা ভিত্তিক সংস্কার, জলবায়ু পরিবর্তন, মাইক্রো ইকনমিক ব্যাপার গুলো, ফিনান্সিয়াল মাইগ্রেশন এইসব ক্রিটিক্যাল ব্যাপার নিয়ে লিখার চেষ্টা করি। মাঝে মাঝে চোরকে চোর বলার জন্য দুর্নিতি নিয়ে লিখি। পেশাঃ প্রকৌশলী, টেকনিক্যাল আর্কিটেক্ট, ভোডাফোন।

এক নিরুদ্দেশ পথিক › বিস্তারিত পোস্টঃ

কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র নীতি, বিগ-বি এবং রাষ্ট্রীয় অঙ্গীকার

০৫ ই মে, ২০১৬ রাত ৩:২০


দীর্ঘ মেয়াদী বিদ্যুৎ এবং জ্বালানী পরিকল্পনার অংশ হিসেবে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের সমন্বয়ে জাইকার সহায়তায় টোকিও ইলেক্ট্রিক পাওয়ার কোম্পানি বাংলাদেশ পাওয়ার সিষ্টেম মাস্টার প্ল্যান-২০১০ প্রণয়ন করেছে। ফেব্রুয়ারি ২০১১ সালে প্রকাশিত ২০৩০ সাল পর্যন্ত ৮% জিডীপি বৃদ্ধির মেঠডলজি ভিত্তিক এই মহাপরিকল্পনায় কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদনকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। ঠিক এই সময়ে জাইকার তত্ত্বাবধানে বিগ-বি (The Bay of Bengal Industrial Growth Belt," or BIG-B”) এর অনূকূলে বাংলাদেশ পাওয়ার সিষ্টেম মাস্টার প্ল্যান-২০১৫ এর কাজ এগিয়ে চলছে। এখানে পিএসএমপি-২০১০ থেকে ঠিক কি কি ডেভিয়েশান আসে তা দেখার এবং পর্যালোচনার অপেক্ষায় আছি আমরা।

বাংলাদেশ পাওয়ার সিষ্টেম মাস্টার প্ল্যান-২০১০ এবং এই সংক্রান্ত জ্বালানী নিরাপত্তার স্ট্রাটেজিক পর্যালোচনা দেখুন এই লিংকে।

এটা অনুমেয় যে এই বিগ-বি পরিকল্পনায় মাতারবাড়ি-মহেশখালি কেন্দ্রিক এক বিশাল কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ এর হাব গড়ে তোলার পরিকল্পনা নেয়া হচ্ছে যা প্রস্তাবিত পায়রা পোর্ট পর্জন্ত এক্সটেন্ডেড হবে (এমনকি মংলা!)।
(ক) উচ্চ মান সম্পন্ন পরিবেশ গত সমীক্ষা এবং তার বাস্তবায়ন,
(খ) অতি উচ্চ মানের কয়লা এবং টেকনোলজি ব্যবহার নীতি এবং
(গ) উচ্চ মান সম্পন্ন শোধন (এক্সট্রিম্লী লো এমিশান সহ) এর গ্যারান্টি ক্লজ এর বাইরে আমরা
(ঘ) আন্তর্জাতিক পর্যায়ের বছরে একাথিক স্বচ্ছ ও স্বাধীন অডিট
-এর নিশ্চয়তার ভিত্তিতেই শুধু আমরা এই মহা পরিকল্পনাকে স্বগত জানাই। অন্যথায় বাংলাদেশ ব-দ্বীপের বিস্তীর্ন উপকূলীয় ইকোসাইকেল ডার্টি এনার্জি কয়লা দিয়ে নস্ট হতে দেয়া যায় না কোন ভাবেই।


বাংলাদেশ পাওয়ার সিষ্টেম মাস্টার প্ল্যান-২০১০ প্রাইমারি ফুয়েল সোর্স স্ট্রাটেজিতে অভ্যন্তরী কয়লা হতে ১১২৫০ মেগাওয়াট (২৯,০৭%) এবং আমদানিকৃত কয়লা হতে ৮,৮০০ মেগা ওয়াট (২১,৭১%) বিদ্যুৎ উৎপাদনের কথা বলা হয়েছে। অর্থাৎ মোট টার্গেট ৩৮৭০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ এর বিপরীতে শুধু কয়লাভিত্তিক ১৯ হাজার ৬৫০ মেগাওয়াট উৎপাদনের কথা বলা হয়েছে যা মোট উৎপাদন টার্গেটের ৫০.৭৮%।

আমদানিমুখী কয়লা ভিত্তিক উৎপাদন টার্গেটের (৮৮০০ মেগাওয়াট) এর অনুকূলে ইতিমধ্যেই ৫টি ১৩২০ মেগাওয়াট এবং ১ টি ৭০০ মেগাওয়াট সহ মোট ৭৩০০ মেগাওয়াট পরিকল্পনা জিটুজি বেসিসে বিভিন্ন দেশের সাথে চুক্তি করা হয়েছে অথবা আন্ডারস্ট্যান্ডিং এ পৌঁছানো হয়েছে। এর বাইরে আরো কিছু বৃহৎ আমদানী নির্ভর কয়লা ভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের চুক্তির কাজ এগিয়ে নেয়া হচ্ছে। এরই প্রেক্ষিতে দেশের অন্যান্য রিসোর্স ডোমেইন এর সাথে ডার্টি ফুয়েল এনার্জি কোল ব্যাপক ব্যবহার পরিকল্পনার সামঞ্জস্য রাখার নিরিখে এই অঞ্চলের অন্য কিছু গুরুত্বপূর্ন ম্যাক্রো ইকোনমিক ভ্যারিয়াবল সম্পর্কিত বিষয় নিয়ে একটি দীর্ঘ এবং গুণগত নাগরিক আলোচনার সূত্রপাত করা দরকার।

১। সুন্দরবন এর জিওসাইকেল এবং ইকোসাইকেল রক্ষা - মংলা পোর্ট ভিত্তিক কোল ট্রান্সপোর্টেশনের অনুকূলে বৃহত্তর সুন্দরবন এবং এর সারাউন্ডিং এলাকায় (খুলনা সাতক্ষীরা বাগেরহাট, পুরানো সুন্দরবন এলাকা) যে কোন ধরনের কয়লা বিদ্যুৎ প্ল্যান্ট মুক্ত রেখে সুন্দরবনের জৈব বৈচিত্র রক্ষার সুদৃঢ় রাষ্ট্রীয় অঙ্গীকার। সেক্ষেত্রে আমরা রামপাল কোল প্ল্যান্টকে নিন্মোক্তো কন্সেপ্টে সাবেক সুন্দরবন এলাকা থেকে সরানোর দাবি জানাই।

এখানে আমরা উপকূলীয় এলাকাকে ২ টি ফল্ট জোনে আনার সুপারিশ করছি।


জোন কন্সেপ্ট। (পটুয়াখালী-বরগুনা-পাথারঘাটা) এবং (গলাচিপা-কলাপাড়া-কুয়াকাটা)
ফল্ট লাইন-১ (পায়রা নদী) - পটুয়াখালী-বরগুনা-পাথারঘাটা বরাবর দেশ এর উপূকূলকে পুর্ব পশ্চিমে ভাগ করে পশ্চিমে সুন্দরবনের দিকে কোনভাবেই কোন তাপ বিদ্যুৎ এবং কোন ল্যান্ড ক্লেইম ইনফাস্ট্রাকচার না করা। মানে রামপাল এর প্রস্তাবিত ১৩২০ মেগাওয়াটের প্ল্যান্টকে প্রস্তাবিত পায়রা পোর্ট ভিত্তিক কোল ট্রান্সপোর্টেশনের অনুকূলে পটুয়াখালী-বরগুনা-পাথারঘাটার পূর্ব দিকে সরানোর দাবি।

ফল্ট লাইন-২ (গলাচিপা নদী) - গলাচিপা-কলাপাড়া-কুয়াকাটা ফল্ট লাইন-১ (পায়রা নদী-পটুয়াখালী-বরগুনা-পাথারঘাটা) জোনকে আরেকটু বর্ধিত করে গলাচিপা নদী পর্যন্ত বিস্তৃত করে এর পশ্চিম দিক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র এবং ডেল্টা ইনফাস্ট্রাকচার এর আওতা মুক্ত রাখলে একদিকে সুন্দরবন রক্ষা পাবে অন্য দিকে ইলিশ সহ পায়রার মোহনা এবং পাথরঘাটা কেন্দ্রিক উর্বর সামুদ্রিক মৎস্য প্রজনন সুরক্ষা পাবে। সুন্দরবনের প্রান, পরিবেশ, ইকোসাইকেল এবং মৎস্য সম্পদের সুরক্ষায় এই লাইন মেন্টেইন করা রিকোমেন্ডেড।
উল্লেখ্য মংলা পোর্ট ট্রান্সপোর্টেশন কেন্দ্রিক রামপাল এর ১৩২০ মেগা ওয়াট তাপবিদ্যুৎ প্রকল্প (বিউবো-এনটিপিসি ইন্ডিয়া) এই উভয় ফল্ট জোনের সাথে সরাসরি কনফ্লিক্টেড। সুতরাং আমরা এই প্রকল্প সহ অন্য যেকোন মংলা ভিত্তিক সাবেক বৃহত্তর সুন্দরবন এলাকা হতে সরিয়ে ফল্ট জোন লাইন-২ এর পুর্ব দিকে স্থানান্তর চাই। নিদেন পক্ষে পায়রার প্রস্তাবিত পোর্টের অনুকূলে ফল্ট জোন-১ এর পুর্ব দিকে।


আরো উল্লেখ্য যে এই ফল্ট জোন কন্সেপ্ট বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের সঞ্চালন মহা পরিকল্পনার সাথে একেবারেই সাংঘর্ষিক নয়।

এর বাইরে- প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজননের আঁধার হালদা নদী রক্ষা

সুন্দরবন এবং পায়রার মোহনার পশ্চিম দিকের প্রাকৃতিক প্রান বৈচিত্র্যের আধার রক্ষার সাথে সাথে এশিয়ার একমাত্র প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজননের আঁধার হালদা নদী, এর উৎস এবং অব্বাহিকাকে কোল প্ল্যান্ট মুক্ত অঞ্চল ঘোষণা করা জরুরি। এই ধরনের রাষ্ট্রীয় অঙ্গিকার এই অমূল্য প্রাকৃতিক সম্পদের আঁধারকে ইউনেস্কো কর্তিক ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট ঘোষণার দাবীকে একটি মজবুত ভিত্তি দিতে পারে।
অর্থাৎ একটি পরিবেশ বান্ধব জ্বালানি ব্যবস্থাপনাকে সামনে রেখে কয়লা-ভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মানের ক্ষতিকর দিকগুলোর সকল পরিবেশ এবং প্রতিবেশ গত স্টান্ডার্ড মেইন্টেইন করার রাষ্ট্রীয় গ্যারান্টি চাই।


২। ইমিশান গ্যারান্টি ক্লজ এবং স্বাধীন আন্তর্জাতিক অডিট - সরকার উচ্চ কয়লার ব্যবহার নিশ্চিতে এবং হাইপারটিকেলের ইমিশাল লেভেল (পরিশোধন)এর গ্যারান্টি ক্লজ দিবে। প্রতি কোয়ার্টারে ১ টি আন্তর্জাতিক পার্যায়ের ইন্ডিপেন্ডেন্ট অডিট টীম ব্যবহৃত কয়লার মান এবং এমিশন অডিট করে স্বাধীন ভাবে নির্দিস্ট সময়ে তা উন্মুক্ত করবে। আন্তর্জাতিক পার্যায়ের ইন্ডিপেন্ডেন্ট আডিট এবং এসেস্মেন্ট ছাড়া সরকারের কোন বা জি টু জি বডির রিপোর্ট এবং ডেটাকে ক্রেডিবিল স্বীকৃতি দেয়া যাবে না।


৩। বেসরকারি খাতে কোল প্ল্যান্ট না বসানোর অঙ্গীকার- কোল স্ট্রাটেজিতে পরিষ্কার ভাবে বেসরকারি খাতে কোল প্ল্যান্ট না বসানোর অঙ্গীকার থাকবে। বেসরকারি খাতের কোল একদিকে যেমন উচ্চ মান সম্পন্ন কয়লার যোগান করতে পারবে না অন্যদিকে উচ্চ প্রযুক্তির ব্যবহার এবং শোধন নিশ্চিত করতে পারবে না। ফলে পরিবেশ দূষণের অবারিত ক্ষেত্র হয়ে উঠবে এই বেসরকারি প্ল্যান্ট গুলো, রাজনৈতিক এবং ব্যবসায়িক দুর্বিত্তায়ন দিয়ে প্ল্যান্ট অপারেট করার ধৃষ্টতা থাকব, তারা দায়িত্বশীলতা দেখাবে না, এটা বাংলাদেশের বাস্তবতায় চরম সত্য। অন্যদিকে এসব কোম্পানি প্রান্তিক নাগরিককে ভূমিহীন এবং ইকোনোমিকিলি ডিস্প্লেইস করার কারখানা হয়ে উঠবে যাদেরকে পরবর্তিতে নগরের বস্তিতে বসবাসে বাধ্য করবে।

লিখোকের নিজস্ব কন্সেপচূয়াল আর্টিক্যাল।

মন্তব্য ১৯ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (১৯) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই মে, ২০১৬ ভোর ৫:০৭

দইজ্জার তুআন বলেছেন: ++++++++++++++
ভালো লাগা

০৫ ই মে, ২০১৬ দুপুর ২:৩৮

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: আন্তরিক ধন্যবাদ।

২| ০৫ ই মে, ২০১৬ সকাল ৭:৫১

মোহাম্মদ ফরহাদ মিয়াজি ১ বলেছেন: দারুণ একটা তথ্যপূর্ণ লেখার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

০৫ ই মে, ২০১৬ দুপুর ২:৩৯

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ।

৩| ০৫ ই মে, ২০১৬ বিকাল ৩:০৫

গেম চেঞ্জার বলেছেন: ফল্ট লাইন-১ (পায়রা নদী) - পটুয়াখালী-বরগুনা-পাথারঘাটা বরাবর দেশ এর উপূকূলকে পুর্ব পশ্চিমে ভাগ করে পশ্চিমে সুন্দরবনের দিকে কোনভাবেই কোন তাপ বিদ্যুৎ এবং কোন ল্যান্ড ক্লেইম ইনফাস্ট্রাকচার না করা। মানে রামপাল এর প্রস্তাবিত ১৩২০ মেগাওয়াটের প্ল্যান্টকে প্রস্তাবিত পায়রা পোর্ট ভিত্তিক কোল ট্রান্সপোর্টেশনের অনুকূলে পটুয়াখালী-বরগুনা-পাথারঘাটার পূর্ব দিকে সরানোর দাবি।

ফল্ট লাইন-২ (গলাচিপা নদী) - গলাচিপা-কলাপাড়া-কুয়াকাটা ফল্ট লাইন-১ (পায়রা নদী-পটুয়াখালী-বরগুনা-পাথারঘাটা) জোনকে আরেকটু বর্ধিত করে গলাচিপা নদী পর্যন্ত বিস্তৃত করে এর পশ্চিম দিক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র এবং ডেল্টা ইনফাস্ট্রাকচার এর আওতা মুক্ত রাখলে একদিকে সুন্দরবন রক্ষা পাবে অন্য দিকে ইলিশ সহ পায়রার মোহনা এবং পাথরঘাটা কেন্দ্রিক উর্বর সামুদ্রিক মৎস্য প্রজনন সুরক্ষা পাবে। সুন্দরবনের প্রান, পরিবেশ, ইকোসাইকেল এবং মৎস্য সম্পদের সুরক্ষায় এই লাইন মেন্টেইন করা রিকোমেন্ডেড।
উল্লেখ্য মংলা পোর্ট ট্রান্সপোর্টেশন কেন্দ্রিক রামপাল এর ১৩২০ মেগা ওয়াট তাপবিদ্যুৎ প্রকল্প (বিউবো-এনটিপিসি ইন্ডিয়া) এই উভয় ফল্ট জোনের সাথে সরাসরি কনফ্লিক্টেড। সুতরাং আমরা এই প্রকল্প সহ অন্য যেকোন মংলা ভিত্তিক সাবেক বৃহত্তর সুন্দরবন এলাকা হতে সরিয়ে ফল্ট জোন লাইন-২ এর পুর্ব দিকে স্থানান্তর চাই। নিদেন পক্ষে পায়রার প্রস্তাবিত পোর্টের অনুকূলে ফল্ট জোন-১ এর পুর্ব দিকে।


বেসরকারি খাতে কোল প্ল্যান্ট না বসানোর অঙ্গীকার- কোল স্ট্রাটেজিতে পরিষ্কার ভাবে বেসরকারি খাতে কোল প্ল্যান্ট না বসানোর অঙ্গীকার থাকবে। বেসরকারি খাতের কোল একদিকে যেমন উচ্চ মান সম্পন্ন কয়লার যোগান করতে পারবে না অন্যদিকে উচ্চ প্রযুক্তির ব্যবহার এবং শোধন নিশ্চিত করতে পারবে না। ফলে পরিবেশ দূষণের অবারিত ক্ষেত্র হয়ে উঠবে এই বেসরকারি প্ল্যান্ট গুলো..

আমার কথাগুলো পোস্টেই বলে দিয়েছেন। সরকারের লোকেরা দেশের ও মানুষের কথা না ভেবে পকেটের কথা ভাবছে হয়ত বেশি। রামপাল প্লানে আমাদের পরবর্তী প্রজন্মের জন্য যে ভয়াবহ ক্ষতি করা হচ্ছে সেটা ফিলআপ করার কোন পথ দেখছি না। সরকারের আমলা/নীতিনির্ধারকরা কী কান চোখ বন্ধ করে গোঁয়ারের মতো এই প্রজেক্ট বাস্তবায়নে নেমে পড়লো??

খুবই খারাপ লাগে আসলে, যখন দেখি নিজের দেশের মানুষই দেশের/পরিবেশের বারোটা বাজাতে গন্ডারের ন্যায় হাত খুলে নেমে পড়ে। বিদ্যুত তো অবশ্যই দরকার, তাই বলে নিজের জীববৈচিত্র পরিবেশ ধ্বংস করে??

এমনিতেই কয়লা ব্যবহার করে পরিবেশ ধ্বংসের বিরুদ্ধে আমার অবস্থান। আরো অনেকে আছেন যারা এই মত পোষণ করেন। কিন্তু সরকার এবার যা করছে সেটা হলো কেবল কয়লা ব্যবহারই নয়, বরং একটা পুরো ইকোসিস্টেম নষ্ট করে দিচ্ছে!! X( X(


আপনার পোস্টটি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নজরে আনা দরকার।


০৬ ই মে, ২০১৬ ভোর ৫:৪৭

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: ফল্ট লাইন-১ (পায়রা নদী) - পটুয়াখালী-বরগুনা-পাথারঘাটা বরাবর দেশ এর উপূকূলকে পুর্ব পশ্চিমে ভাগ করে পশ্চিমে সুন্দরবনের দিকে কোনভাবেই কোন তাপ বিদ্যুৎ এবং কোন ল্যান্ড ক্লেইম ইনফাস্ট্রাকচার না করা। মানে রামপাল এর প্রস্তাবিত ১৩২০ মেগাওয়াটের প্ল্যান্টকে প্রস্তাবিত পায়রা পোর্ট ভিত্তিক কোল ট্রান্সপোর্টেশনের অনুকূলে পটুয়াখালী-বরগুনা-পাথারঘাটার পূর্ব দিকে সরানোর দাবি।

ফল্ট লাইন-২ (গলাচিপা নদী) - গলাচিপা-কলাপাড়া-কুয়াকাটা ফল্ট লাইন-১ (পায়রা নদী-পটুয়াখালী-বরগুনা-পাথারঘাটা) জোনকে আরেকটু বর্ধিত করে গলাচিপা নদী পর্যন্ত বিস্তৃত করে এর পশ্চিম দিক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র এবং ডেল্টা ইনফাস্ট্রাকচার এর আওতা মুক্ত রাখলে একদিকে সুন্দরবন রক্ষা পাবে অন্য দিকে ইলিশ সহ পায়রার মোহনা এবং পাথরঘাটা কেন্দ্রিক উর্বর সামুদ্রিক মৎস্য প্রজনন সুরক্ষা পাবে। সুন্দরবনের প্রান, পরিবেশ, ইকোসাইকেল এবং মৎস্য সম্পদের সুরক্ষায় এই লাইন মেন্টেইন করা রিকোমেন্ডেড।
উল্লেখ্য মংলা পোর্ট ট্রান্সপোর্টেশন কেন্দ্রিক রামপাল এর ১৩২০ মেগা ওয়াট তাপবিদ্যুৎ প্রকল্প (বিউবো-এনটিপিসি ইন্ডিয়া) এই উভয় ফল্ট জোনের সাথে সরাসরি কনফ্লিক্টেড। সুতরাং আমরা এই প্রকল্প সহ অন্য যেকোন মংলা ভিত্তিক সাবেক বৃহত্তর সুন্দরবন এলাকা হতে সরিয়ে ফল্ট জোন লাইন-২ এর পুর্ব দিকে স্থানান্তর চাই। নিদেন পক্ষে পায়রার প্রস্তাবিত পোর্টের অনুকূলে ফল্ট জোন-১ এর পুর্ব দিকে।

বেসরকারি খাতে কোল প্ল্যান্ট না বসানোর অঙ্গীকার- কোল স্ট্রাটেজিতে পরিষ্কার ভাবে বেসরকারি খাতে কোল প্ল্যান্ট না বসানোর অঙ্গীকার থাকবে। বেসরকারি খাতের কোল একদিকে যেমন উচ্চ মান সম্পন্ন কয়লার যোগান করতে পারবে না অন্যদিকে উচ্চ প্রযুক্তির ব্যবহার এবং শোধন নিশ্চিত করতে পারবে না। ফলে পরিবেশ দূষণের অবারিত ক্ষেত্র হয়ে উঠবে এই বেসরকারি প্ল্যান্ট গুলো..



আমরা সুন্দরবান এবং হালদা ধ্বংস হতে দিতে পারি না। অল্টারনেটিভ পসিবিলিটি আছে আমাদের। হ্যাঁ ডার্টি এনার্জি কয়ালা ভিত্তিক প্রকল্প দিয়েই সুন্দরবন বাঁচিয়ে বিদ্যুৎ কেন্দ্র করা যায়।

আমরা উন্নয়ন চাই, তবে সেটা অবশ্যই টেকসই হোক। পরিবেশগত সুরক্ষা এবং সাস্টেইনেবল ডেভেলপমেন্ট দুটোই চাই।

সম্পদ এবং ইনফাস্ট্রাকচার ব্যবস্থাপনা দুরদর্শী হোক,
বাংলাদেশ এগিইয়ে যাক!

৪| ০৬ ই মে, ২০১৬ রাত ১২:০৫

চাঁদগাজী বলেছেন:



পরে পড়বো, ফিরে আসবো।

০৬ ই মে, ২০১৬ ভোর ৫:৫৩

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: হুম আসেন না নিয়মিত! আই এম নট হ্যাপি!

সম্পদ ব্যবস্থাপনায় আমি একটা নীতি ফলো করি। ""গ্রেট মেন থিংক এলাইক""

যখন দেখি সম্পদ ব্যবস্থাপনা নিয়ে অনেক লোক একই রকম কথা বলে না, তখন চিন্তিত হয়ে পড়ি। মনে হয় আমাদের শিক্ষণ এবং আন্ডারস্ট্যান্ডিং পর্যায়ে গুরুতর সমস্যা আছে, ভয়াবহ! তাই মতামত জানা দরকার এইসব বিষয়ে, সচেতনতার ব্যাপারো আছে!

আসবেন, মতামত জানাবেন, প্লিজ।

পাওয়ার নিয়ে রিসেন্টলি মেলা পোস্ট দিচ্ছি!

অপেক্ষায় রইলাম!

৫| ০৬ ই মে, ২০১৬ রাত ১২:৩১

ভ্রমরের ডানা বলেছেন: এমন লেখা শোকেসে বন্দি না করলে শোকেস অধরা রয়ে যাবে তাই প্রিয়তে নিলাম।


লেখাটি স্টিকি করার জন্য মডুদের অনুরোধ করছি।

০৬ ই মে, ২০১৬ ভোর ৫:৪৩

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: আন্তরিক ধন্যবাদ জানবেন।

৬| ০৬ ই মে, ২০১৬ রাত ১২:৫৯

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
বাংলাদেশ একটি জলবায়ু বিপর্যস্ত অপর্যাপ্ত অবকাঠমো নিয়ে পৃথিবীর সবচেয়ে ঘনবসতির দেশ। মুসলিম প্রধান দেশ হিসেবে পৃথিবীর সবচেয়ে কম জঙ্গি আক্রান্ত দেশ।
এই দেশটিকে বাচাতে হলে আগামি দশ বছরের ভেতর বিদ্যুৎ উৎপাদন ৪ গুন বাড়িয়ে ৪০ হাজার মেগাওয়াটে আনতে হবে, শিল্পউৎপাদন বাড়িয়ে দারিদ্র দুরকরে শক্তহয়ে নিজের পায়ে দাড়াতে হবে।
ভুমি-বসৎ হারানো কোটি কোটি জনসংখাকে পৃথিবীর কোন দেশই আশ্রয় দেয় না, দিবে না।
৫০ বছর পর সমদ্রউচ্চতা বেড়ে সুন্দরবন এমনিতেই বিলুপ্ত হয়ে যাবে, আয়তন কমে ঘণবসতি প্রকট হবে, তার আগেই দেশটিকে মাথা তুলে দাড়িয়ে অবকাঠামো শক্ত করতে হবে।
গ্যাস শেষ ফুরিয়ে যাচ্ছে। আপাতত সবচেয়ে সাশ্রয়ী কয়লা বিদ্যুতের উপর জোড় দিতে হবে।

বাংলাদেশের সাথে অন্যদেশের তুলনা করা ঠিক হবে না। বাংলাদেশ প্রকৃতির, কাটাতারের সাথে যুদ্ধকরে আপাত টিকে থাকা পৃথিবীর সবচাইতে ঘণবসতির একটি দেশ।

রামপাল বিদ্যুৎ প্রকল্পের জমি দরকার ছিল ২০০০ একর। বাংলাদেশের ৯০% খালি জমিই তিন ফসলি জমি। সমতল ভূমি এবং উর্বরতা বিবেচনায় ২০০০ একর জমি দেশের অন্য কোথাও একযোগে অধিগ্রহন করার তেমন সুযোগ ছিল না। ঘনবসতিপূর্ণ হওয়ায় ভুমি থেকে উচ্ছেদ সবচেয়ে কঠিন কাজ ছিল, এর উদাহরন আড়িয়াল বিল। আমাদের বাস্তবতা বোঝা উচিত, ঘনবসতিপূর্ণ দেশের ৩ ফসলি আবাদি ভুমি অধিগ্রহন করা আত্মঘাতী । দিনে ১২ হাজার মেট্রিক টন কয়লা পরিবহন করার ব্যায়, যোগাযোগ , পরিবেশ দুষণ, এসব বিষয় মাথায় রেখেই তখনই খাসজমিবহুল রামপালকে সঠিক জায়গা বলে মতামত দেওয়া হয়েছিল।

জলবায়ু পরিবর্তন জনিত কারণে পৃথিবীর অনেক নীচু অঞ্চলের মত বাংলাদেশের প্রায় তিন ভাগের দুই ভাগ এলাকা সমুদ্র তলে ডুবে যাবে। রামপাল না হলেও ডুবে যাবে। সুন্দরবনও বিলুপ্ত হবে। বিজ্ঞানীরা তাদের গবেষণার ফলাফল হতে এই লক্ষণ এখনই দেখতে পাচ্ছেন । তাই আমাদেরকে একটু 'কঠিন' উদ্যোগ নিতে হবেই।

গ্লোবাল কার্বন এমিশন কমানো উদ্যোগ, যা ১৯৯০ সনে নেওয়া হয়েছিল, তা ইতিমধ্যে কয়েক দফা চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছে । ১৯৯০ সালের উদ্যোগের মত ২০১৫ সালে প্যারিস সম্মেলনের মাধ্যমে নেওয়া উদ্যোগ সামান্য সফল। তাহলে আমাদের কাছে একটিই পথই খোলা আছে অর্থাৎ দ্রুত উন্নত হওয়া যাতে আমাদের হাতে দুর্যোগ মোকাবেলার জন্য পর্যাপ্ত অর্থ ও সম্পদ থাকে এ ক্ষেত্রে আমাদের যুদ্ধকালিন অবস্থার মত অর্থাৎ শুধুমাত্র 'অর্থনীতিক লাভকে' সবকিছুর ঊর্ধ্বে স্থান দিতে হবে। জনসংখার বোঝাকে শক্তিতে পরিনত করে দক্ষতার সাথে সম্পদের সর্বচ্চ ব্যাবহার নিশ্চিত চাই।
আমাদের দেশের বিপুল জনসংখ্যা ও দক্ষীনাঞ্চল ডুবেযাওয়া বিবেচনায় রাখলে এ যুক্তি আরও দৃঢ় হয় যে, শুধুমাত্র উন্নয়ন, অর্থাৎ দরিদ্র শ্রেনীর শিক্ষা ও অর্থনীতিক সামর্থ্য অর্জন আমাদের একমাত্র প্রধান লক্ষ হওয়া উচিত।
উন্নয়নের লাইফলাইন হচ্ছে এনার্জি।
সবদিক বিবেচনায় এই 'রামপাল' এর মত কয়লাভিত্তিক বিদ্যুতকেন্দ্র বাংলাদেশের পক্ষে সব মিলিয়ে লাভজনক হতে পারে। কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ 0.02% থেকে 40% উন্নিত করার লক্ষমাত্রা থাকবে, বেসরকারি খাতে না দেয়াই ভাল, এ ব্যাপারটিতে আপনার সাথে একমত।
রামপাল প্রকল্প থেকে ২৭০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রীডে যোগ হলে এর ইমপ্যাক্ট হবে হিউজ। পদ্মাসেতু হয়ে রেললাইন মংলা পর্যন্ত হচ্ছে। অনেক অর্থনীতিবিদ বলছেন - এতে প্রান্তিক কৃষি অর্থনীতি ও স্থানীয় ক্ষুদ্রশিল্পও প্রভাবিত হবে। এর ফলে ২-৩% বাড়তি জিডিপি যোগ হবে।
অনেক আগে রামপাল নিয়ে একটি লেখা অনেকেই হয়ত পড়েছে
রামপাল ও কয়লা বিদ্যুৎ নিয়ে আমার লেখা

০৬ ই মে, ২০১৬ ভোর ৫:৪১

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: হাসান ভাই, আমার ব্লগে আসেন না। কোন কারনে রাগ করেছেন কিনা? দেশের সম্পদ ব্যবস্থাপনা নিয়ে ভাবার লোক কম। যারা ভাবেন তারাও যদি না আসেন তাইলে কিভাবে হবে!

১। প্রথমেই বিস্তারিত আলোচনার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ। আপনার লিখার লিংক দেয়ার জন্যও।

২। আমি পুরো পাওয়ার সিস্টেম মাস্টার প্ল্যান নিয়েই আলোচনা টানছি এই সময়ে। আলোচনা গুলো দেখতে পারেন।
বাংলাদেশ পাওয়ার সিস্টেম মাস্টার প্ল্যান এবং এনার্জি মিক্স ২০৩০ পর্যালোচনা

এখানে এনার্জি পরিকল্পনার অনেক গুরুত্ব পূর্ন কথা এনেছি। দেশের ইকনোমিক ভ্যারিয়েবল গুলো মাথায় রেখেই ডিজাইন ইনপুট দেয়ার চেস্টা করছি।

মধ্যমেয়াদে বাংলাদেশের জন্য কয়লা ছাড়া গন্তন্তর দেখি না। তবে একটা দূরদর্শী এবং সমন্বিত পরিকল্পনা চাই। একই সাথে দেশের জ্বালানী নিরাপত্তা এবং পরিবেশ গত সুরক্ষাও দরকার। তবেই পাওয়ার সেক্টরের উন্নয়ন টেকসই হবে। আমি টেকসই ডেভেলপমেন্ট ক্যাম্পেইনার, শুধু দায়সারা কিংবা লোক দেখানো উন্নয়নের নয়।


৩। রামপাল এবং পশুর নদী- মংলা ভিত্তিক ম্যাসিভ কোল ট্রান্সপোর্টেশন সুন্দরবনের জন্য সরাসরি ক্ষতি। এটা বিতর্কের উর্ধে। এখানে কোন ইন্টেলেকচূয়াল আপোষ হতে পারে না , ভাই। অর্থমন্ত্রীও বলেছেন সাবস্টেনশিয়াল ক্ষতি হবে। এক সময় মনে হোত, আওয়ামীলীগ সুন্দরবনের বিপর্যয় বুঝতে পারছে না। কিন্তু অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, “দ্যাট উড বি সাম ইমপ্যাক্ট, অবভিয়াসলি।.. ভেরি সাবস্টেনশিয়ালি অ্যাফেক্টেড হবে।”।
ক্ষতি হলেও সরবে না রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র: অর্থমন্ত্রী


৪। রামপালের ভূমি অধিগ্রহণ ৪৩০ একর, ২০০০ একর নয় (সরকারি লিংক দিচ্ছি)।
২x৬৬০ মেঃওঃ মৈত্রী সুপার থার্মাল পাওয়ার প্রজেক্ট (রামপাল) - See more at: Click This Link
আমি সোলার এর বাংলাদেশ ইর‍্যাডিয়েন্স এর সাপেখে কম্পারেটিভ স্ট্যাডি করেছি। ৪৩০ একর এর বিপরীতে সোলার এর ম্যাক্রো মডেলে ১৭০ মেগাওয়াট পর্জন্ত আসে! তাই এটা নিয়ে এগুনো যায় না। আর আমি যেভাবে মাইক্রো, রুরাল সেক্টরে এবং মিডীয়াম রুফটপ সেক্টরে গ্রীড টাইপ আপ সোলার মডেল এর কথা বলি, বিপরীতে মেগা সোলার প্ল্যান্ট কিংবা সোলার থার্মাল এর কথা বলি না মূলত স্পেইস জটিলতার কারনেই। ইকনোমিক ডিস্প্লেইস্মেন্ট বড় ইস্যু।




২০০০ একর হলে তো সোলার মডেলই খাপ খায়, কয়লার দরকারই নেই। নতুন সোলার টেক খুবই ল্যান্ড ইফেক্টিভ। আমাদের সোলার ইর‍্যাডিয়েন্সও চমৎকার, ইউরোপের দেড় গুণ। আমার পরিবেশ বন্ধবো।

৫। আমি সরকার এবং সরকার টু সরকার এই ২ মডেলে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের পক্ষে। তবে বেসরকারি খাতে বিদ্যুৎ চাইনা, কেন আশা করি প্রশ্ন করবেন না!

৪৩০ একর গলাচিপা নদীর পুর্বে একয়ার করা সম্ভভ। এই এলাকায় অনেক ফেলো ল্যান্ড আছে শুধু দালাল ভিত্তিক না হয়ে ল্যান্ড ডিরেক্ট চ্যানেলে (প্রশাসন টু কৃষক) ভূমি অধিগ্রহণ করা চাই। আড়িয়াল বিলের একটা সুবিশাল বিমানবন্দরের সাথে এর মিলানোর প্রশ্ন আসে না।

এটাও বলেছি, একান্তই না পারলে পায়রা নদীয় পূর্বে রাখুন যে কোন কোল, তাইলে সুন্দরবন বাঁচবে। পশুর নদীতে দিন-রাত কয়লার মাস ট্রান্সপোর্টেশন মানেই বন্য প্রাণীর, এমনিতেই এল্পিজি টার্মিনাল হয়ে চলাচল বেড়েছে। আর মংলা সমুদ্র বন্দর হবার যোগ্যতাও রাখে না। সে দিক থেকে পায়রা গুড প্ল্যান।

৬। রামপালে কিভাবে ভূমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে তালুকদার আব্দুল খালেকের ক্যাডার বাহিনী দিয়ে, সেটা জাতীয় কমিটির ডকুমেন্টারি দেখতে পাবেন। মন্তব্য নিষ্প্রয়োজন। আমি কিন্তু বাম ঘরনার লোক না, আপনি সেটা জানেন!


আন্তরিক ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা।

৭| ০৬ ই মে, ২০১৬ ভোর ৫:৫৬

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: কয়লা ভিত্তিক জয়েন্ট ভেঞ্চার পাওয়ার প্ল্যান্টের তালিকা (জি টু জি উদ্যোগ)
১। ১৩২০ মেঃওঃ মৈত্রী সুপার থার্মাল প্রকল্প, রামপাল, বাগেরহাট। বিউবো-এনটিপিসি ইন্ডিয়া
২। ১৩২০ মেঃওঃ মহেশখালি বিউবো - Consortium of TNB-PB, মালয়েশিয়া জেভি পাওয়ার প্ল্যান্ট প্রকল্প
৩। ১৩২০ মেঃওঃ বিউবো-সিএইচডিএইচকে, চীন জেভি পাওয়ার প্ল্যান্ট প্রকল্প
৪। ১৩২০ মেঃওঃ বিউবো-কেপকো, দক্ষিণ কোরিয়া জেভি পাওয়ার প্ল্যান্ট প্রকল্প
৫। ৭০০ মেঃওঃ মাতারবাড়ি সিপিজিসিবিএল- SEMBCORP, সিঙ্গাপুর জেভি পাওয়ার প্ল্যান্ট প্রকল্প
৬। ১৩২০ মেঃওঃ নওপাজেকো-সিএমসি, চীন জেভি পাওয়ার প্ল্যান্ট প্রকল্প

এর বাইরে আরো কিছু বড় বড় অভ্যন্তরীন এবং আমদানিকৃত কয়লার মেগা প্ল্যান্ট পরিকল্পনা হচ্ছে। মাস্টার প্ল্যান-



৮| ০৬ ই মে, ২০১৬ দুপুর ১:৫৫

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
না ভাই, আপনার মত গুনি লোকের সাথে রাগ করি কিভাবে।
আপনার সবলেখাই মনযোগ সহকারে পড়ি
কিভাবে যেন আপনার অতি গুরুত্বপুর্ন লেখাগুলো চোখের আড়ালে থেকে গেলো।

সোলার, উইন্ড পাওয়ার, এ সবই অত্যন্ত ব্যায়বহুল পদ্ধতি।
সোলার ভিত্তিক ৫০ মেগাওয়াটের চেয়ে বড় করা সম্ভব না। উইন্ড পাওয়ারে এর বেশী পেলেও মেইন্টেনেন্স ঝামেলা বেশী। আমাদের দরকার হাজার হাজার মেগাওয়াট।
তবে অত্যাধিক ব্যায়বহুল হলেও জিও থার্মাল পদ্ধতি আমাদের দেশে উপযোগি মনে হয়। তেল গ্যাস কয়লা কিছুই লাগে না, ধোয়া নেই আগুন নেই। ভুগর্ভস্থ তাপে পানি জাল দিয়ে স্টিম টারবাইন চালনা করে এটি বিদ্যুত উৎপন্ন করে।

ফিলিপিনস বিভিন্ন স্থানে ৭৭ টি জিওথার্মাল প্ল্যান্ট বসিয়ে মোট দুইহাজার মেগাওয়াট বিদ্যুত জাতীয় গ্রিডে যোগ করেছে। ইন্দোনেশীয়া ও থাইল্যান্ড সুরু করেছে, আমরাও শুরু করতে পারি।

০৬ ই মে, ২০১৬ রাত ১০:১৭

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: হাসান ভাই,
সোলার, উইন্ড পাওয়ার, এ সবই অত্যন্ত ব্যায়বহুল পদ্ধতি। - সহমত। তাই এইসব প্রকল্পে দুর্নিতি এবং অতি বাহুল্য খরচের লাগাম টেনে বিজনেস কেইস এগিয়ে নেয়া কর্তব্য।

জিও থার্মাল নিয়ে অনেকেই বলেন। বাংলাদেশে উষ্ণ প্রস্রবন নেই তেমন, এই সেক্টরো আমার কাছে উইন্ড সেক্টরের মত নাজুক মনে হয়। তবে যেহুতু একাডেমিক রিসার্চ হয় নি, পাইলট হয় নি, কোয়ালিটি মন্তব্য করা বা আলোচনা করা খুব ডিফিকাল্ট।

আশা রাখি টেকনোলজির উন্নয়নের সাথে সাথে নবায়নযোগ্য খাত আমাদের জন্য অবারিত হবে।

আন্তরিক ধন্যবাদ জানবেন।

৯| ০৬ ই মে, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:২৩

ক্লাউড বলেছেন: এই পোস্টটা আগে পড়েছিলাম। ভাই, কুড়ীগ্রাম, পঞ্চগড় ওইদিকে কয়লাভিত্তিক কেন্দ্রগুলো শিফট করা যায়না? অথবা জামালপুর, শ্রপুরের দিকে? ওই অঞ্চলে সম্ভবত জমির সংকট কিছুটা কম এবং পরিবেশের প্রতি হুমকীও কম হবে। রামপালের বিদ্যুৎ কেন্দ্র যে কতটা আত্মঘাতী এটা সরকার জানে, তাও তাতে তারা অবিচল, ব্যাপারটা খুবই দুঃখজনক। রামপালের পরিবেশগত ক্ষতি কি ভারতীয় অংশের সুন্দরবনে প্রভাব ফেলবে না?

০৬ ই মে, ২০১৬ রাত ১০:০৬

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: উত্তর বঙ্গে কিন্তু অনেক বড় বড় কয়লা ভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ পোস্ট পরিকল্পনা রয়েছে, সবগুলোই অভ্যন্তরীণ সোর্সের।সেগুলো নিয়ে সরকার ধীরে সুস্থে এগুচ্ছে। এটা ভালো। আমরা উন্মুক্ত পদ্ধতিতে কয়লা তুলতে পারবো না। এতে লক্ষ লক্ষ লোক ডিস্প্লেইস হবে, এই এলাকাইয় মরুকায়ন হবে। তাই গ্যাসিফিকেশন পদ্ধতি, ভূগর্ভস্থ পদ্ধতিতে আস্তে আস্তে আগুতে হবে, টেকনোলজির জন্য অপেক্ষা করাই ভালো।

বড়োপুকুরিয়ার কয়লার মান সেই রকম ভালো। অন্যান্ন গুলোরও উত্তরবঙ্গে ১১ হাজার মেগাওয়াটের প্ল্যান্ট পরিকল্পনায় আছে আমাদের নিজস্ব কয়লা দিয়ে।

আমদানিকৃত কয়লার ইনল্যান্ড ট্রান্সপোর্টেশনে কষ্ট বেশি পড়ে তাই উপকূলীয় এলাকা বেছে নেয়া। এটা ঠিক আছে, আমার কথা সরকার সুন্দরবন এবং পরিবেশ বাঁচিয়ে কাজ করুক।

রামপাল নিয়ে সরকার দেশের চিন্তকদের খুব অসম্মান করছে। সারকার চাইলেই আরো ২৫-৫০ কিমি পুর্ব দিকে প্ল্যান্ট সরাতে পারে। একটা চরম অসৎ লোক তৌফিক এলাহি সরকার এবং দেশের ক্ষতি করছে। ভবিষ্যৎ প্রজন্ম এই দিকটাকে ভালো চক্ষে নিবে না।

১০| ০৯ ই মে, ২০১৬ রাত ৮:৪৯

প্রবালরক বলেছেন: বক্তব্যটি প্রাতিষ্ঠানিকীকরন হওয়া দরকার। আপামর জনতার সচেতন হওয়ার পাশাপাশি প্রাতিষ্ঠানিক বিতর্ককে প্রানবন্ত করে তোলা ছাড়া জনস্বার্থের জন্য ক্ষতিকর পরিকল্পনাগুলি ঠেকানোর আর কোন উপায় নেই বোধহয়।

১৮ ই আগস্ট, ২০১৬ বিকাল ৫:৪০

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: বক্তব্যটি প্রাতিষ্ঠানিকীকরন হলে ভাল হয়, আনুষ্ঠানিক বিরোধী রাজনৈতিক দাবি করা গেলে দেশের প্রাণ এবং পরিবেশের উপকারই হবে বলে বোধ করি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.