নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব,ইইই প্রকৌশলী। মতিঝিল আইডিয়াল, ঢাকা কলেজ, বুয়েট এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্র।টেলিকমিউনিকেশন এক্সপার্ট। Sustainable development activist, writer of technology and infrastructural aspects of socio economy.

এক নিরুদ্দেশ পথিক

সমাজের প্রতিটি ছোট বড় সমস্যার প্রকৃতি নির্ধারণ করা, আমাদের আচার ব্যবহার, সমাজের প্রচলিত কৃষ্টি কালচার, সৃষ্টিশীলতা, চারিত্রিক উদারতা এবং বক্রতা, অপরাধ প্রবৃত্তি, অপরাধ সঙ্ঘঠনের ধাঁচ ইত্যাদির স্থানীয় জ্ঞানের আলোকে সমাজের সমস্যার সমাধান বাতলে দেয়াই অগ্রসর নাগরিকের দায়িত্ব। বাংলাদেশে দুর্নীতি রোধ, প্রাতিষ্ঠানিক শুদ্ধিকরন এবং টেকনোলজির কার্যকরীতার সাথে স্থানীয় অপরাধের জ্ঞান কে সমন্বয় ঘটিয়ে দেশের ছোট বড় সমস্যা সমাধান এর জন্য লিখা লিখি করি। আমার নির্দিষ্ট দৃষ্টিভঙ্গি আছে কিন্তু দলীয় সীমাবদ্ধতা নেই বলেই মনে করি, চোর কে চোর বলার সৎ সাহস আমার আছে বলেই বিশ্বাস করি। রাষ্ট্রের অনৈতিক কাঠামোকে এবং দুর্নীতিবাজদের সবাইকে তীক্ষ্ণ ভাবে চ্যালেঞ্জ করার চেষ্টা করি। রাষ্ট্র কে চ্যালেঞ্জ করতে চাই প্রতিটি অক্ষমতার আর অজ্ঞতার জন্য, তবে আঘাত নয়। ব্যক্তিগত ভাবে নাগরিকের জীবনমান উন্নয়ন কে দেশের ঐক্যের ভিত্তিমূল মনে করি। ডাটাবেইজ এবং টেকনোলজি বেইজড পলিসি দিয়ে সমস্যা সমাধানের প্রোপজাল দেবার চেষ্টা করি। আমি মূলত সাস্টেইন এবল ডেভেলপমেন্ট (টেকসই উন্নয়ন) এর নিরিখে- অবকাঠামো উন্নয়ন এবং ডিজাইন ত্রুটি, কৃষি শিক্ষা খাতে কারিগরি ব্যবস্থাপনা ভিত্তিক সংস্কার, জলবায়ু পরিবর্তন, মাইক্রো ইকনমিক ব্যাপার গুলো, ফিনান্সিয়াল মাইগ্রেশন এইসব ক্রিটিক্যাল ব্যাপার নিয়ে লিখার চেষ্টা করি। মাঝে মাঝে চোরকে চোর বলার জন্য দুর্নিতি নিয়ে লিখি। পেশাঃ প্রকৌশলী, টেকনিক্যাল আর্কিটেক্ট, ভোডাফোন।

এক নিরুদ্দেশ পথিক › বিস্তারিত পোস্টঃ

আরেকটি নতুন বিভাগ বনাম ক্ষমতার চূড়ান্ত বিকেন্দ্রীকরণ

১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৩:২৭

ঢাকা থেকে ৯০ কিমি দুরে আরেকটি বিভাগ হবে বলে সর্বশেষ একনেক সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে। গোমতী নদীর পাড়ে একটা বিভাগ হবে, খুব সুন্দর একটি নাম তার "ময়নামতি"। এটা হলে কুমিল্লা সহ কয়েকটি জেলা নিয়ে আরেকটি নতুন বিভাগ হবে, ২-১টি থানা-উপজেলা (যেমন-লাকসাম) জেলা হবার সম্ভাবনা বাড়বে, সব দফতরের অফিস হবে। বিভাগের নাম করে ফান্ড আসবে, কিছু উন্নয়ন কাজ হবে, শহর ডেভেলপ হবে। সরকারি বেসরকারি বেশ কিছু প্রতিষ্ঠানের বিভাগ কেন্দ্রিক সুবিধা পাওয়া যাবে।

একটি বিভাগ তার প্রশাসনিক কাজ গুলো জেলা ওয়ারি করে থাকে। তবে নতুন বিভাগ নতুন কিছু অফিস করবে, লোক বল বাড়বে, নতুন কিছু লোক আমলাতান্ত্রিক সুবিধও (পড়ুন ঘুষ খাবার বন্দোবস্ত) পাবে।

এত সব প্রাপ্তির বাইরেও আমি ভাবছি ১। প্রাইম মিনিস্টারের অফিস থেকে চূড়ান্ত ক্ষমতা না সরলে, ২। স্থানীয় সরকারের ক্ষমতায়ন না হলে, ৩। জেলা পরিষদ কার্যকর না হলে, ৪। উপজেলা পরিষদ ও ইউনিয়ন পরিষদ এমপিদের রাহু গ্রাস মুক্ত না হলে- নতুন বিভাগ হয়ে নতুন আমলাতান্ত্রিক জটিলতা সৃষ্টির কি দরকার? শুধু কিছু ফাইল আগে যা ঢাকায় বা চট্রগ্রামে নিয়ে যেতে হত সেসব কুমিল্লায় সই করানো যাবে? কিন্তু সেই সিদ্ধান্ত তো ঢাকায় অফিস করা এমপি'র কিংবা প্রধানমন্ত্রীর অফিস থেকেই আসবে, তাই না?

অন্যদিকে এমনিতেই সংকুচিত হয়ে পড়া কৃষি জমি আরো ব্যাপক আকারে একোয়ার কিংবা ভরাট হয়ে অফিস এবং অন্যান্য অনুতপাদনশীল খাতে যাবে। এই অঞ্চলের কৃষি জমির দাম বাড়বে যা আরো বেশি সংখ্যক কৃষককে অর্থনৈতিক প্রান্তিক করে তুলবে। কৃষি ভিত্তিক উৎপাদনের জমি অনুতপাদনশীল খাতে রূপান্তরিত হবে। উল্লেখ্য বাংলদেশের শীর্ষ স্থানীয় রেমিটেন্স আনয়নকারী জেলা কুমিল্লা, এই রেমিটেন্স এই অঞ্চলের জমির দাম আকাশ চূম্বী করেছে ও অনুতপাদনশীল খাতে রূপান্তরিত করতে নিয়ত ভূমিকা রাখছে একদিকে, অন্যদিকে ভূমি থেকে বেশি থেকে বেশি প্রান্তিক কৃষি নাগরিককে উচ্ছেদ করছে এবং একটি অসম অর্থনৈতিক বিভাজন তৈরি করছে। প্রান্তিক এবং নিন্ম মধ্যবিত্তের কৃষি ও আবাসন সমস্যাকে প্রকট করে তোলা এই সমস্যা বাংলাদেশের অন্য অনেক এলাকা থেকে কিছুটা ভিন্ন।


জনসংখ্যার অনুপাতিক হিসেবে রাষ্ট্র ও প্রশাসনিক ব্যবস্থাপনা সাজাতে চাইলে বাংলাদেশকে ফেডারেল সিস্টেমে (সেন্টার এবং প্রভিন্স) যাওয়া ভালো (ছোট দেশ, অমুকে তমুকে স্বাধীনতা চাইবে ইত্যাদি জড় এবং স্থূল আলোচনা। প্রশাসনিক ব্যবস্থাপনা হিউম্যান বেইজ নির্ভর, ভূমির পরিমাণ নির্ভর নয়)। বিকেন্দ্রীকরন করে প্রভিন্স বেইজড করলে প্রভিন্স গুলোর নিজস্ব বাজেট থাকবে, নিজস্ব ম্যাক্র এবং মাইক্রো অর্থনীতি থাকবে, উতপাদন ও কঞ্জাম্পশনের নিজস্ব হিসেব থাকবে, থাকবে প্রভিন্স এবং তার জেলা-উপজেলা-ইউনিয়ন ভিত্তিক গ্রোথ টার্গেট, প্রভিন্স এবং তার জেলা-উপজেলা-ইউনিয়ন ভিত্তিক কর্মসংস্থানের হিসেব এবং টার্গেট সেট ইত্যাদির ইত্যাদি থাকবে, থাকবে কর্মসংস্থান তৈরির চরম চাপ। অর্থাৎ পররাষ্ট্র এবং কূটনীতি বাদে রাস্টের অন্যান্য সমূদয় ব্যবস্থাপনা সেট আঞ্চলিক পর্যায়ে আসবে, এতে স্থানীয় গভরনেন্ট পর্যায়ে রাজনৈতিক নেতৃত্ব বিকশিত হবার সুযোগ আসবে। ব্যবস্থাপনা জ্ঞানের দিক একেবারে আন্ধা, লুলা, কিংবা বধিরের আঞ্চলিক প্রশাসনকে ডিঙ্গিয়ে আইন প্রণেতা নাম নিয়ে সরাসরি কেন্দ্রীয় সংসদে গিয়ে "অন্ধের হাতি দর্শন" এবং এক নির্বোধ সিস্টেমে পড়ার সুযোগ কিংবা দুর্বিত্তায়িত সম্ভাবনা কমে আসবে। অর্থাৎ বিলুপ্ত হয়ে পড়া জবাবদিহিতা এবং আঞ্চলিক চাহিদা নির্ভর আর্থনীতি প্রাণ ফিরে পাবে।

শিক্ষা, স্বাস্থ্য, নাগরিক সুবিধা, শিল্প, কৃষি ও মৎস্য সহ যাবতীয় উৎপাদন এবং কর্মসংস্থান সহ বহুবিধ নিজস্ব টার্গেট কিংবা টার্গেট সেট এবং বাজেট থাকার সুবিধা হচ্ছে এতে করে একের সাথে অন্যের প্রতিযোগীতা তৈরি হবে। অসাড় এবং জড় কেন্দ্রীয় সংসদ অতীত মুখী কুৎসা রটনা কেন্দ্রিক আলোচনা কাঠামো থেকে বেরিয়ে এসে প্রভিন্স ভিত্তিক নজরদারি, খবরদারি এবং কম্পারেটিভ স্ট্যাডী করে ক্রিয়েটিভ সময় পার করার সুযোগ পাবে। এতে স্থানীয় এবং কেন্দ্রীয় সরকারের মধ্যে টানাপোড়েন থাকবে যা স্থানীয়দের উপর কাজের প্রেসার বাড়াবে।

প্রভিন্স সিস্টেম কর প্রণোদনা দিয়ে নিজ অঞ্চলে বিজনেজ আনতে মরিয়া থাকে, এতে করে কৃষি-শিল্প-আবাসন খাতের জমি সমন্বিত রেখে প্রভিন্স তার শহর এবং শিল্প কেন্দ্র গড়ার নিজস্ব দায় নিবে। ফলশ্রুতিতে কর্মসংস্থান তৈরি হয়। ভূমি ব্যবস্থাপনা ভালো হবে।

বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় প্রশাসনিক সিস্টেম সহজ ঘুষ ভিত্তিক কাঠামোয় তৈরি করা হয়েছে, সব আঞ্চলিক নিয়োগ (সরকারি - আধা সরকারি - স্বায়ত্ব শাসিত অফিস, স্কুল কলেজ ইত্যাদি) ও ব্যবস্থাপনা কেন্দ্রীয় মনিটরিং এর নাম করে সেন্ট্রালাইজড করে মন্ত্রীদের ঘুষ নিবার পথ সুগম করা হয়েছে। কেন্দ্র থেকে একক নিয়ন্ত্রণের নাম করে শুধু একক পয়েন্টে দুর্নীতির ক্ষেত্রকে উর্বরতা দেয়া হয়েছে, এতে তদবির ভিত্তিক প্রশাসনিক আমলাতন্ত্র জটিল থেকে জটিলতর হয়েছে। এর চূড়ান্ত বিকেন্দ্রীকরণ দরকার। যাতে দেশে সরকার এবং কেন্দ্রের বাইরে স্বায়ত্ব শাসিত প্রতিষ্ঠান এবং প্রতিষ্ঠানিক শাসন (আইনের শাসন) কাঠামো এবং তার চর্চা গড়ে উঠে।

অভ্যন্তরীণ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী সহ কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের ক্ষমতা হ্রাস করে, মন্ত্রী অতিমাত্রিক ক্ষমতা লোপ করে, স্থানীয় সরকারকে সুপারসিড করে গড়ে উঠা এম্পিদের ক্ষমতার চেক এন্ড ব্যালান্স রি-ডিফাইন করে, কেন্দ্রীয় সিস্টেমের সহজ ঘুষ-তদবির-দুর্নীতি ভিত্তিক কাঠামো ভেঙে, কারিগরি অটোমেশনে ঘুষ-তদবির-দুর্নীতি প্রতিরোধী সেবা প্রদানের ও পেমেন্ট আদান-প্রদানের সিস্টেম দাঁড়া করিয়ে কার্যকর,ফলপ্রসূ ও ইফিশিয়েন্ট প্রশাসনিক ব্যবস্থা দাঁড়া করান। নতুন করে প্রশাসনিক সিস্টেম ডেভেলপ করুন। রাষ্ট্রের খরচের লাগাম এবং সীমাহীন অবারিত দুর্নীতির টুঁটি চেপে ধরুন।

ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ এবং প্রতিষ্ঠান ডেভেলপ না করে, ব্যক্তি নেতার বা মন্ত্রীর বা অঞ্চলিক নেতাদের সমষ্টিগত প্রভাব কায়েমে বর্তমানের অকার্যকর মডেলে নবম কিংবা দশম বিভাগ আদতে নাগরিক সমস্যা সমাধান করবে না, করবেনা উৎপাদন কিংবা কর্মসংস্থানের নতুন যোগ। এতে শুধু বাড়বে কিছু লোকের ভোগের যোগ।

আমলাতান্ত্রিক দুর্বিত্তায়ন নিপাত যাক।
রাজনৈতিক দুর্বিত্তায়ন নিপাত যাক।

ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ ও স্থানীয় সরকার প্রাণ ফিরে পাক।
বাংলাদেশ এগিয়ে যাক!

মন্তব্য ৯ টি রেটিং +৬/-০

মন্তব্য (৯) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৪:০৭

চোরাবালি- বলেছেন: আমার দেখা একজনার প্রায় দেড়শত বিঘা জায়গা যখন পৌরসভা ঘোষণা করল সে লোকের তো মাথায় হাত; তাকে জমি বিক্রি করে পৌর কর পরিশোধ করতে হবে। এখানে যুক্তি আসবে জমির দাম তো বাড়বে। সে কি জমে বেচে খাবে যে জমির দাম বাড়াতে তার কাজে আসবে।

১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৩:৪৪

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: গ্রামের নিজস্ব অর্থনোইতিক কর্মকান্ডের বাইরে অন্য যত বেশি মাধ্যমে টাকা ঢুকবে তা তত বেশি নিন্ম বিত্তকে বাস্তু হীন করবে। ধনীর জমি আনপ্রডাক্টিভ কিংবা সেমি প্রডাক্টিভ। এটা কৃষকদের বুঝানোর দায়িত্ব ছিল স্থানীয় সরকারের,টেরেস্ট্রিয়াল মিডিয়ার, বুদ্ধিজীবিদের।

উচ্চ রেমিটেন্স আশা এলাকাগুলোতে বিশেষ করে বিক্রমপুর কুমিল্লা ও নোয়াখালী এলাকা গুলোয় গ্রামের জমির দাম এত বেশি যে একজন সাধারণ কৃষক বা সাধারণ স্বচ্চল তা কিনতে পারে না, ফলে ঘিঞ্জি ঘরে বহু মানুষ একসাথে থাকে।

মনোগত এবং স্বাস্থ্য সমস্যা তো আছেই, এই পরিবেশে শিশুদের বেড়া স্বাভাবিক উঠা এবং শিক্ষা বিস্তার অসম্ভব।

২| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৫৭

পুলহ বলেছেন: আপনার লেখা কনভিন্সিং, কিন্তু ফেডারেল ব্যবস্থাই সমাধান কি না- সে ব্যাপারে আমি পুরোপুরি নিশ্চিত নই। আরো পড়াশোনা করতে হবে আমার এ বিষয়ে।
তবে বর্তমান এককেন্দ্রিক ব্যবস্থা যে প্রায় অচল- সেটা এভিডেন্ট এবং নিশ্চিতভাবেই এ ব্যবস্থার প্রগ্রেসিভ সংস্কার দরকার বলেই মনে হয়।
ভালো থাকুন। শুভকামনা!

১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ৯:৫২

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: আপনার লেখা কনভিন্সিং, কিন্তু ফেডারেল ব্যবস্থাই সমাধান কি না- সে ব্যাপারে আমি পুরোপুরি নিশ্চিত নই। আরো পড়াশোনা করতে হবে আমার এ বিষয়ে।
এই ধরনের কঠিন মন্তব্যের প্রতি মন্তব্যও দুরূহ বটে!

১। দেখুন প্রেসিডেন্ট এবং প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতায় কোন ভারসাম্য নেই। ০ঃ১০০ বলা চলে। এই দিকে স্থানীয় সরকারের উপর শত ভাগ নিয়ন্ত্রণ বসিয়েছে আইন প্রণেতা নামধারি এম্পিরা। আইন প্রণয়ন করে বাংলাদেশ আইন কমিশন, এখানে জনতার চাহিদা নেই, থাকবেই বা কিভাবে জনগণ তো বুঝেই না তাঁদের কেমন আইন লাগবে, সমাজের ডিমান্ড রুট টু টুপ না হয়ে, বটম টু ডাউন।
২। অথচ ইউনিয়ন পরিষদ, উপজেলা এবং জেলা পরিষদের কাজের সাথে একজন মেম্বার অফ পার্লামান্টের কাজের কোন কনফ্লিক্ট অফ ইন্টারেস্টই থাকার কথা না। এক স্তর করবে ডিজাইন, আরেক স্তর করবে ইমপ্লিমেন্টেশন। অথচ সব কারেন্টের তার গুলোকে এক যায়গায় নিয়ে আসা হয়েছে, তাই দেশটা খালি শর্ট সার্কিট হয়।
৩। ৭০ অনুচ্ছেদ নির্ভর সংসদে একজন এমপিও যদি দলীয় সিদ্ধান্ত কিংবা আনুগত্যের বাইরে যায় তাইলে সে মেম্বারশীপ হারাবে, এটা রাস্ট্রপতির বেলাতেও।

এই রকম হীন্মান্য সংসদীয় পার্লামেন্ট দিয়ে আমরা কি করিব! এর অধীনে নতুন বিভাগ হলেই বা কি না হলেই বা কি। ঠিকই স্কুলের শিক্ষকের বদলীর তদবির করতে ঢাকায় আসা লাগে। (এক। তদবির নির্ভর প্রশাসন দুই। আদান প্রদান)।

৪। লাহোর প্রস্তাবে ঠিক যে ধরনের ফেডারেল প্রশাসন কাঠামোর (এই কাঠামর ধারনা নতুন নয়) কথা বলা হয়েছে, মুজিব নিজেই সেটা বাস্তবায়ন করেননি ক্ষমতা কুক্ষিগত রাখার কারনে, আজকের প্রাইম মিনিস্টারের ক্ষমতা সেদিনের চাইতে বেশি, ঢের বেশি।


যদি সততার সাথে কেউ এগিয়ে আসেন, তিনি চাইলে ক্ষেত্র বিশেষে দুর্নীতি প্রতিরোধী অটোমেশন ইমপ্লিমেন্টেশন করার চেষ্টা করতে পারেন। তবে ঢাকা থেকে শুরু করে গ্রাম অবধি যে দীর্ঘ লুটেরা হাভাতের চেইন সেটা তিনি কিভাবে ভাঙবেন কিংবা একবার দিয়ে দেয়া এমপি মন্ত্রীদের লাগাম কিভাবে টেনে ধরবেন তা ভাবার বিষয়।

অভ্যন্তরীণ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী সহ কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের ক্ষমতা হ্রাস করে, মন্ত্রী অতিমাত্রিক ক্ষমতা লোপ করে, স্থানীয় সরকারকে সুপারসিড করে গড়ে উঠা এম্পিদের ক্ষমতার চেক এন্ড ব্যালান্স রি-ডিফাইন করে, কেন্দ্রীয় সিস্টেমের সহজ ঘুষ-তদবির-দুর্নীতি ভিত্তিক কাঠামো ভেঙে, কারিগরি অটোমেশনে ঘুষ-তদবির-দুর্নীতি প্রতিরোধী সেবা প্রদানের ও পেমেন্ট আদান-প্রদানের সিস্টেম দাঁড়া করিয়ে কার্যকর,ফলপ্রসূ ও ইফিশিয়েন্ট প্রশাসনিক ব্যবস্থা দাঁড়া করান। নতুন করে প্রশাসনিক সিস্টেম ডেভেলপ করুন। রাষ্ট্রের খরচের লাগাম এবং সীমাহীন অবারিত দুর্নীতির টুঁটি চেপে ধরুন।

৩| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:১৫

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: একটা ক্যাচালের দিকে যাবে এটা বাস্তবায়নের সময়। কারণ, নোয়াখালী আর ফেনী ঐতিহাসিকভাবে চট্টগ্রামের সাথে তথা চট্টগ্রামের সাথে ট্যাগ থাকতেই পছন্দ করবে। তারা কুমিল্লার সাথে থাকতেও চায় না। বরং নোয়াখালী নিজেও একটা বিভাগ হতে চায় ফেনী, লক্ষ্মীপুর নিয়ে তবু কুমিল্লার সাথে যাবে না।

১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৩:৫১

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: আপনি ঠিক ধরেছেন, কুমিল্লা, চাঁদপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া আর সাবেক ত্রিপুরা এটাচড। অন্যদিকে ফেনী-নোয়াখলী- লক্ষ্মীপুর এরা বেশি এটাচড চট্রগ্রামের দিকে। তবে এখানে ক্ষমতার ব্যাপারও আছে। লোটাস কামাল এবং কাদের সাহেবের মধ্যে। তাই বিভাগ শেষ পর্যন্ত হলে ২ টাই হয়ত হবে।

যাই হোক এই অর্থহীন আলোচনাতে না যাই। আমি বলছি বিদ্যমান অচল এককেন্দ্রিক ব্যবস্থায় প্রশাসনের বিস্তার চাই না, এটা তদবির ও দুর্নীতি ভিত্তিক কাঠামোকে শুধু সম্প্রসারণই করছে।

৪| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৪:৩৫

ইমরান আশফাক বলেছেন: একমত।

৫| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১১:২২

অগ্নি সারথি বলেছেন:
আমলাতান্ত্রিক দুর্বিত্তায়ন নিপাত যাক।
রাজনৈতিক দুর্বিত্তায়ন নিপাত যাক।

ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ ও স্থানীয় সরকার প্রাণ ফিরে পাক।
বাংলাদেশ এগিয়ে যাক!

৬| ২১ শে মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৫:২১

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আমলাতান্ত্রিক দুর্বিত্তায়ন নিপাত যাক।
রাজনৈতিক দুর্বিত্তায়ন নিপাত যাক।

ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ ও স্থানীয় সরকার প্রাণ ফিরে পাক।
বাংলাদেশ এগিয়ে যাক!

+++++++++++++++++++

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.