নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব,ইইই প্রকৌশলী। মতিঝিল আইডিয়াল, ঢাকা কলেজ, বুয়েট এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্র।টেলিকমিউনিকেশন এক্সপার্ট। Sustainable development activist, writer of technology and infrastructural aspects of socio economy.

এক নিরুদ্দেশ পথিক

সমাজের প্রতিটি ছোট বড় সমস্যার প্রকৃতি নির্ধারণ করা, আমাদের আচার ব্যবহার, সমাজের প্রচলিত কৃষ্টি কালচার, সৃষ্টিশীলতা, চারিত্রিক উদারতা এবং বক্রতা, অপরাধ প্রবৃত্তি, অপরাধ সঙ্ঘঠনের ধাঁচ ইত্যাদির স্থানীয় জ্ঞানের আলোকে সমাজের সমস্যার সমাধান বাতলে দেয়াই অগ্রসর নাগরিকের দায়িত্ব। বাংলাদেশে দুর্নীতি রোধ, প্রাতিষ্ঠানিক শুদ্ধিকরন এবং টেকনোলজির কার্যকরীতার সাথে স্থানীয় অপরাধের জ্ঞান কে সমন্বয় ঘটিয়ে দেশের ছোট বড় সমস্যা সমাধান এর জন্য লিখা লিখি করি। আমার নির্দিষ্ট দৃষ্টিভঙ্গি আছে কিন্তু দলীয় সীমাবদ্ধতা নেই বলেই মনে করি, চোর কে চোর বলার সৎ সাহস আমার আছে বলেই বিশ্বাস করি। রাষ্ট্রের অনৈতিক কাঠামোকে এবং দুর্নীতিবাজদের সবাইকে তীক্ষ্ণ ভাবে চ্যালেঞ্জ করার চেষ্টা করি। রাষ্ট্র কে চ্যালেঞ্জ করতে চাই প্রতিটি অক্ষমতার আর অজ্ঞতার জন্য, তবে আঘাত নয়। ব্যক্তিগত ভাবে নাগরিকের জীবনমান উন্নয়ন কে দেশের ঐক্যের ভিত্তিমূল মনে করি। ডাটাবেইজ এবং টেকনোলজি বেইজড পলিসি দিয়ে সমস্যা সমাধানের প্রোপজাল দেবার চেষ্টা করি। আমি মূলত সাস্টেইন এবল ডেভেলপমেন্ট (টেকসই উন্নয়ন) এর নিরিখে- অবকাঠামো উন্নয়ন এবং ডিজাইন ত্রুটি, কৃষি শিক্ষা খাতে কারিগরি ব্যবস্থাপনা ভিত্তিক সংস্কার, জলবায়ু পরিবর্তন, মাইক্রো ইকনমিক ব্যাপার গুলো, ফিনান্সিয়াল মাইগ্রেশন এইসব ক্রিটিক্যাল ব্যাপার নিয়ে লিখার চেষ্টা করি। মাঝে মাঝে চোরকে চোর বলার জন্য দুর্নিতি নিয়ে লিখি। পেশাঃ প্রকৌশলী, টেকনিক্যাল আর্কিটেক্ট, ভোডাফোন।

এক নিরুদ্দেশ পথিক › বিস্তারিত পোস্টঃ

অটোমেশন, কর্মসংস্থান ও প্রশাসনিক বাস্তবায়নের ধাঁধাঁ!

১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:০০

ক। "অনেকের ধারণা টেকনোলজি এবং মেশিন যত উন্নত হবে, মানুষের কর্ম সংস্থান তত কমে যাবে। মানুষ উল্লেখযোগ্য হারে বেকার হয়ে যাবে।"

এটা কারো জন্য সত্য, কারো জন্য আধা বা সিকি সত্য এবং কারো জন্য মিথ্যা।

টেকনোলোজির ১। উদ্ভাবন ২। বিকাশ এবং ৩। ট্রান্সফর্মেশন তিন ধারাতে একটি দেশের কতটুকু পারদর্শিতা তার নির্ভর করে এই "সত্য" এর মাত্রা।

টেকনোলজির উদ্ভাবন ও বিকাশে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ ম্রিয়মাণ। বাংলাদেশ শুধু টেকনোলজির বিপণন ও কিছু ক্ষেত্রে ট্রান্সফর্মেশনের উপর দাঁড়িয়ে আছে। তথাপি কৌশলগত খাত গুলোতে বাংলদেশের টেকনোলোজি ট্রানফার আন ডিফাইন্ড, ফলে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ কারিগরি খাতে বর্তমানে বিদেশী স্কিল্ড শ্রমিক আধিক্য বাড়ছে। সামনের দিনে এর সাথে আরো বেশি গতিতে যোগ হবে অটোমেশন ও রোবোটিক্স।

বাংলাদেশ তাঁর সুবিশাল মানব সম্পদকে নিত্য নতুন টেকনোলোজির সাথে পরিচয় করিয়ে দিতে, ট্রেইন আপ করতে ও টেকনোলোজি ট্রানফার সক্ষম করতে ব্যর্থ হচ্ছে। উচ্চ টেকনোলোজি বাস্তবায়িত হচ্ছে সেগুলো বিদেশীরা এসে করে দিয়ে যাচ্ছে এবং মেইন্টেইনও করছে রিমোটলি অথবা লোকালি। ফলে দেশে মানসম্পন্ন উচ্চ কারিগরি রিসোর্সের প্রতুলতা রয়েছে।

আমাদেকে অবশ্যই পর্যাপ্ত সংখ্যক হাই স্কিল্ড ফরেন রিসোর্স রাখতে হবে, তবে কিন্তু আছে। এটা এমনভাবে রাখতে হবে যাতে তারা টেকনোলজি ট্রান্সফারে বাধ্য হন অর্থাৎ ট্রেনিং এন্ড ডেভেলপমেন্ট উইন্ডো ওয়েল ডিফাইন্ড করে দেশীয় রিসোর্স ডেভেলপমেন্টের কৌশলগত উদ্যোগ জরুরী।

ইঞ্জিনিয়ারিং ডিজাইন ও ম্যান্যুফাকচারিং ফ্লোরে বিদেশি নাগরিকের আধিক্য আসলে একটি দেশের পশ্চাৎ পসারতারই স্বারক। এই ক্ষেত্রে বুঝে নিতে হবে দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা মানসম্পন্ন ও পর্যাপ্ত কারিগরি রিসোর্স তৈরিতে অক্ষম।



খ। "আবার অনেকেই মনে করেন টেকনোলজি এবং মেশিন ভবিষ্যতে এত উন্নত হবে, মেশিনই মানুষকে নিয়ন্ত্রণ করবে।"

কম্পিউটিং, ম্যাশিন ল্যাঙ্গুয়েজ, প্রোগ্রামিং, কন্ট্রল সিস্টেমস টেকনোলজি ইত্যাদির বিপরীতে রোবোটিক্স এর টেকনোলজি ন্যাচারে এবং প্রয়োগে ভিন্ন। ১ম ধারা চিন্তা ও উদ্ভাবন করে, ২য় ধারা তার মেশিন লার্নিং ও ১ম ধারায় প্রয়োগ কৃত কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহারে কাজ করে।

আগে যে শ্রম ঘন কিংবা পুনঃ পুনঃ ধাপের কাজ বা প্রয়োগ মানুষ করতো তার রিপ্লেইস্মেন্ট রোবোট হয়ে গেলে কর্ম সংস্থানের সঙ্কোচন হওয়ায়ই স্বাভাবিক। তবে চিপ ফেব্রিকেশন, সিলিকম সিরামিক্স, মাউক্রো ও ন্যানো সিলিকম সিরামিকসে ও প্রসেসর শিল্পের মত বেশ কিছু সফস্টিকেটেড শিল্পে রোবটের বিকল্প নাই, এগুলা হাতে করা যায় না।

কম্পিউটিং, প্রোগ্রামিং, কন্ট্রল সিস্টেমস টেকনোলজি মেশিন ও অটোমেশনের ব্যাকগ্রাউন্ড নলেজ ফাউন্ডেশন, আর রোবোট হল এই কারিগরি উতকর্শগুলোর সমন্বয়ে তৈরি হিউম্যানোয়েড প্রোডাক্ট। একদিকে জ্ঞান ও ইনোভেশন ব্যবস্থাপনা, অন্যদিকে স্বল্প কারিগরি ও পুনঃ পুনঃ করা লাগে এইসব শ্রম ঘন কাজের জন্য তৈরি হিউম্যান রিসোর্সের বিল্পক বা রিপ্লেইস্মেন্ট।

ইন্ডিস্ট্রিয়ালাইজেশনের চরম রূপে স্কিলড ও সেমি স্কিল্ড কর্মজীবী শ্রমিকের ছুটি, ট্যাক্স, হিউম্যান ম্যানেজমেন্ট, হিউম্যান রিসোর্স কস্ট ও কস্ট অফ লাইফ এডজাস্টমেন্ট এর যাবতীয় কষ্টকে নিয়ন্ত্রণ করতে মাস প্রডাকশন রোবটে ঝুঁকছে। সুতরাং কাজের সঙ্কোচন তো হবে। হতে পারে আজ থেকে ২০ বছর পরে কার সেলফ ড্রাইভ হবে এটাই স্বাভাবিক। এমতাবস্থায় বাংলাদেশের ৫০ লক্ষ প্রাইভেট কারের বিপরীতে ৫০ লক্ষ ড্রাভাইরের চাহিদা থাকবে না সেটাই স্বাভাবিক।

যারা অত্যাধুনিক টেকনোলজি "ন্যারো ব্যান্ড আইওটি", "এলটিই আইওটি" এবং "ফাইভ জি" নিয়ে কাজ করছি, যারা "রোবোটিক্স" এবং "আর্টিফিশিয়াল ইন্টিলিজেন্স" নিয়ে কাজ করছেন তাঁদের কাছে ব্যাপারটা যত ক্লিয়ার অন্যদের এই ধারণা দেয়া কিছুটা মুশকিলের বটে!

হিউম্যান ম্যানেজমেন্ট, লাইফ স্টাইলের পরিবর্তন, বাজার, ম্যানেজমেন্টের নতুন নতুন ধারা সৃষ্টি হচ্ছে, যার সবই হাই টেক। এই নতুন ডমেইন গুলোকে আমাদের মানব সম্পদ উন্নয়ন কৌশলে কিভাবে সমন্বিত করা যাবে, বিশ্ব বিদ্যালয় গুলো নতুন নতুন সাবজেক্ট কভার করবে, দ্রুত পুরানো সাব্জেক্টের কারিকুলাম এডাপ্ট করবে বাংলাদেশ তা নিয়ে ভাবনা বেশ বাড়াতে হবে।

নতুন টেকনোলজি নতুন কর্ম সংস্থান তৈরি করবে এটা স্বাভাবিক ব্যাপার, তবে কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তা অস্বাভাবিক কম হিউম্যান রিরোর্স নিয়ে কাজ করবে এটা সাধারণ বোধগম্যতায় আনা দরকার। সুতরাং এখানে এই বোধ তৈরি জরুরি যে কিভাবে দেশের সর্বোচ্চ মেধাবীদের এ আই, রোবোটিক্সের মত উন্নত টেকে সক্ষম করে তোলা যায়, যাতে অন্তত কিছু স্টেইক এই খাতে দেশ নিতে পারে।

সেই সাথে আরেকটি বোধ জরুরি, কেন ইন্ডাস্ট্রি রোবোটে ঝুকছে। ইন্ডিস্ট্রিয়ালাইজেশনের চরম রূপে স্কিলড ও সেমি স্কিল্ড কর্মজীবী শ্রমিকের ছুটি, ট্যাক্স, হিউম্যান ম্যানেজমেন্ট ও ওয়ার্ক মোটিভেশন, হিউম্যান রিসোর্স কস্ট ও কস্ট অফ লাইফ এডজাস্টমেন্ট এর যাবতীয় জঞ্জালকে ও সমূদয় কষ্টকে নিয়ন্ত্রণ করতে মাস প্রডাকশন রোবটে ঝুঁকছে।

শিক্ষা ব্যবস্থাকে যুগ উপযোগী করা এবং ইন্ডাস্ট্রি ওরিয়েন্টেড করা, কর্ম সংস্থানের বাজার উপযোগী করা এবং ভবিষ্যৎ মূখী করে, কারিগরি সক্ষম করতে হবে। বাংলাদেশের আন স্কিল্ড ও সেমি স্কিল্ড শ্রমবাজার কে ট্রান্সফর্মেশনের রূপরেখা তৈরির বোধ জরুরি। "দেশের নেতৃত্বকে একটা তাগাদা নিতে হবে যেন তারা নতুন নতুন বিদেশী টেকনোলজির দেশীয় বাজার প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি টেকনোলোজি ট্র্যান্সফার, বিকাশ এমনকি উদ্ভাবনে দেশের সক্ষমতা তৈরির দিকে মনোযোগ দেন"।

সুতরাং বিকল্প কর্ম সংস্থানের পথ নতুন নতুন টেকনোলজি আয়ত্ব করেই বের করে নিতে হবে। আনস্কিল্ড ও সেমি স্কিল্ড ম্যানপাওয়ার ট্রান্সফর্মেশনের রোডম্যাপ বানিয়ে ফেলতে হবে।


তবে মেশিন মানুষকে কতটা নিয়ন্ত্রণ করবে সেটা বলা সময় সাপেক্ষ পর্যবেখখনের ব্যাপার। তবে রোবোট মানুষের ওয়ে অফ ওয়ার্ক বদলে দিবে সেটা অবধারিত।


গ। বাংলাদেশে অটোমেশন গুলো অসম্পূর্ণ

মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনায় অটমেশন বা কিংবা আরো উচ্চ স্তরের এআই এর ফুল ফেসিলিটি পাওয়ার লোয়েস্ট রিক্যোয়ারমেন্ট হিসাবে সেন্ট্রাল ডেটাবেজ গুলোকে এখনই সিনক্রোনাইজ শুরু করা উচিত। ডিজিটাল ডেটাবেজ বেশ কয়েকটা গড়ে উঠেছে স্ক্যাটার্ডভাবে; ইউটিলাইজ করা যাচ্ছে না ওয়েল কানেক্টেড না থাকায়।

আমি ৪টি ভিন্ন ভিন্ন যায়গায় (নির্বাচন কমিশন, মোবাইল অপারেটর, বি আর টি এ, পাস্পোর্ট অফিস) নিজেই বায়োমেট্রিক ডেটার আলাদা আলাদা ইনপুট নিতে দেখেছি। এ আই কিংবা অন্য সকল হিউম্যান ব্যবস্থাপনা বিষয়ক পোষ্ট প্রসেসিং এর বাইরেও এই প্রতি মন্ত্রণালয় ও সেবা খাতের আলাদা আলাদা বায়োমেট্রিক নেয়া কেন্দ্রিক ব্যবস্থা অতি খরুচে (এই খাত দুর্নিতি ও লুটপাটের উর্বর ক্ষেত্র হয়ে আত্মপ্রকাশ করেছে), এটা নাগরিকের শ্রম ঘন্টা নষ্ট করছে, নগরীতে যানজট বাড়াচ্ছে, অব্যবস্থাপনা ও সমন্বয়হীনতা বাড়াচ্ছে এবং সর্বোপরি ইনটেলিজেন্ট ম্যানেজমেন্টকে বাধ গ্রস্ত করছে।

আমাদের দেশের নীতিনির্ধারক আমলারা ও রাজনৈতিক নেতৃত্ব খুবই রক্ষণশীল। তারা যেকোনো পরিবর্তনে ভয় পায়। তারা নতুন টেকনোলজিকে ভয় পায়; তারা নতুন কোন মেশিনকে ভয় পায়। যার ফলে তারা প্রাণপণ চেষ্টা করে নতুন টেকনোলজির আগমন ঠেকিয়ে রাখতে।

এর প্রধান কারণ কারিগরি অটোমেশন সঠিক ভাবে প্রয়োগ করলে তদবির ভিত্তিক প্রশাসনের দুর্বত্ত লুটপাটের কাজ গুলো ট্রান্সফর্ম হয়ে পড়বে, ফলে ঘুষ ও দুর্নিতির সুযোগ উঠে যাবে। তাই তারা এর পরোক্ষ প্রতিরোধ করে, সরাসরি বাঁধা দেয়, অথবা ডিজিটাল সিস্টেমের কথা বলে অটোমেশন প্রয়োগ করলেও ম্যানুয়াল ইন্টারভেনশন রেখে অসমাপ্ত বাস্তবায়ন করে যাতে ঘুষের যুযোগ ধরে রাখা যায়। চট্রগ্রাম বন্দর অটোমেশন, ট্যাক্স সিস্টেম অটোমেশন, ন্যাশনাল আইডি, পাসস্পোর্ট, ব্যাংকিং রেগুলেশন সহ প্রায় সকল খাতই অসম্পূর্ণ ও দুর্নিতি বান্ধব অটোমেশনে বন্ধী! একদিকে সব গুলো মন্ত্রণালয়ের অটোমেশন খাতের ( তথ্য প্রযুক্তি সহ) উচ্চ বরাদ্দ লুন্ঠিত হচ্ছে, অন্যদিকে অটোমেশন গুলো অসম্পূর্ণ ও ঘুষ ও তদবির বান্ধবই থেকে যাচ্ছে।



কৃতজ্ঞতাঃ
সোফিয়াই মারাইবেন নাকি টেক-মারানিও হবেন!!! ব্লগে
মোহাম্মদ আলী আকন্দ ভাই এর কমেন্ট পার্টিসিপেশন এর পরিপ্রেক্ষিতে।

মন্তব্য ১৪ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:২৭

রায়হান আলম অলস বলেছেন: দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের দায়িত্বশীলতার বোধ নেই

২| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:৫০

আখেনাটেন বলেছেন: অটোমেশনের ফলে যে লো স্কিলের বহু মানুষ তাদের রুটিরুজি হারাবে তা দিনের মতোই পরিষ্কার। এতে আমাদের মতো গরীব উন্নয়নশীল দেশগুলোই বেশি লুজার হবে।

একবার চিন্তা করুন বাংলাদেশের গার্মেন্টস সেক্টরে অর্ধ-কোটি লোক জড়িত। যার বেশির ভাগই শ্রমিক। বাংলাদেশ সাধারণত লো এন্ড পোশাকের উৎপাদনকারী। এই কাপড় বুনন যদি অটোমেশনে চলে যায়, তাহলে দেশের মালিকেরা নানা অজুহাতে রক্তমাংশের মানুষের চেয়ে মেশিনকেই প্রাধান্য দেবে কাপড় প্রস্তুতে নানাবিধ কারণে। এতে বিশাল এক জনগোষ্ঠী কাজ হারাবে নি:সন্দেহে। চীন ও জাপানে ইতোমধ্যে কিছু পোশাক কারখানা অটোমেশনে চলে গেছে।

২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:২১

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: সমীক্ষা গুলোর তথ্য সত্যের কাছকাছি। আমরা যারা অত্যাধুনিক টেকনোলোজি "ন্যারো ব্যান্ড আইওটি", "এলটিই আইওটি" এবং "ফাইভ জি" নিয়ে কাজ করছি, যারা "রোবোটিক্স" এবং "আর্টিফিশিয়াল ইন্টিলিজেন্স" নিয়ে কাজ করছেন তাঁদের কাছে ব্যাপারটা যত ক্লিয়ার অন্যদের এই ধারণা দেয়া কিছুটা কঠিনও বটে! এমন সব অবাক করা সব কাজে টেকনোলোজি নিয়ে আসা হচ্ছে এবং এমনসব নিত্য নতুন এমেইজিং ওয়েতে এগজিস্টিং টেকনোলজিকে ট্রান্সফর্ম করা হচ্ছে যা সত্যিই বিস্ময়কর!

আলোচনার মূল উদ্দেশ্য "দেশের নেতৃত্বকে একটা তাগাদা দেয়া যেন তারা নতুন নতুন বিদেশী টেকনোলজির দেশীয় বাজার প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি টেকনোলোজি ট্র্যান্সফার, বিকাশ এমনকি উদ্ভাবনে দেশের সক্ষমতা তৈরির দিকে মনোযোগ দেন"।

২টি বিশ্বমান সমীক্ষার তথ্য আবারো শেয়ার করছি-

১। বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ পরামর্শক প্রতিষ্ঠান ম্যাককিনজি গ্লোবাল ইনস্টিটিউট এক গবেষণার মাধ্যমে রোবটদের জন্য দারুণ এক সংবাদ দিয়েছে। তবে এ তথ্যে মানুষের হতাশ হওয়ার কথা। প্রতিষ্ঠানটি বলছে, ২০৩০ সাল নাগাদ বিশ্বের ৪৬টি দেশে ৮০ কোটি কর্মসংস্থান দখল করবে রোবট। অর্থাৎ রোবোটিক অটোমেশনের উন্নতির কারণে চাকরি হারাবে ৮০ কোটি মানুষ।

২। "অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই গবেষক ২০১৩ সালের সেপ্টেম্বরে ‘দ্য ফিউচার অব এমপ্লয়মেন্ট’ নামের এক গবেষণায় অনুমান করেছেন, আসন্ন দশকগুলোয় রোবট টেকনোলজি প্রচুর ‘কাজ’ নিয়ে নেবে। যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষেত্রে তাদের অনুমান, ভবিষ্যৎ দুই দশকে প্রায় ৪৭ শতাংশ কর্মজীবী সেখানে কাজ হারানোর ঝুঁকিতে আছে। বিশেষ করে যেসব ‘কাজ’ দীর্ঘ সময় ধরে পুনঃপুন একই ধাঁচে করা করা হয়, সেগুলোতে মানুষকে প্রতিস্থাপন করবে রোবট। হিসাববিজ্ঞানের নামকরা প্রতিষ্ঠান পিডব্লিউসি এ বছরের ২৪ মার্চ এক অনুমান প্রকাশ করে জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের মতোই যুক্তরাজ্যে কর্মহীনতার একই ঘটনা ঘটবে আগামী ১৫ বছরে অন্তত ১০ মিলিয়ন স্বল্প দক্ষ কর্মজীবীর বেলায়। অল্প পরিমাণ ‘কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা’ দিয়েই অনেক ধরনের এমন সব কাজ করা সম্ভব, যেগুলো এখন মানুষ করছে। যুক্তরাষ্ট্রে হিসাব কষে এও বলে দেওয়া হয়েছে, ৩১ লাখ ট্রাক-ট্যাক্সি-ডেলিভারি ভ্যানের চালক স্বয়ংক্রিয় যানবাহনের কাছে কর্মসংস্থানের বাজারে পরাজিত হতে চলেছে অদূর ভবিষ্যতে। ওয়ালস্ট্রিটে ইতিমধ্যে ট্রেড করছে রোবট।

৩| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:৪৯

মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:




আপনার সোফিয়াই মারাইবেন নাকি টেক-মারানিও হবেন!!! পোস্টে আমি কয়েকটি মন্তব্য করেছিলাম।


এই মন্তব্যগুলির জবাবও আপনি দিয়েছেন।


এরপর আমি কিছু সাধারণ মন্তব্য করেছি।


এখন এই সবগুলি নিয়ে আরেকটা পোস্ট দেয়াতে ভালোই হলো।

২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:৪৬

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: ভাইয়া, আমি পোষ্টে আপনাকে কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করে আপডেইট দিয়েছি।

আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।

৪| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ২:৪৫

চাঁদগাজী বলেছেন:



টেকনোলোজী বাড়লে, মানুষ বেশী লাগবে; তবে, তাদেরকে দক্ষ হতে হবে।

৫| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ৭:০২

মলাসইলমুইনা বলেছেন: অটোমেশনের জন্য যে সব ক্ষেত্রেই মানুষ কর্মস্থান হারাবে তা না | অটোমেশনের ব্যাকওয়ার্ড আর ফরওয়ার্ড লিংকেজ ইন্ডাস্ট্রিগুলো কিভাবে আমরা ক্রিয়েট করতে ও ব্যবহার করতে পারছি বা আদৌ করতে পারছি কি না সেটার উপরও অনেক কিছু নির্ভর করবে | কিন্তু আমাদের সমস্যা হলো কোনো কিছু নিয়েই আমাদের কোনো পরিকল্পনা নেই | তাই অটোমেশনের হুমকি মোকাবেলা করার সত্যিকার পরিকল্পনা আমরা করতে পারবো কি না সেটা সত্যিই চিন্তার একটা বিষয় হয়ে থাকবে আমাদের দেশের জন্য |

২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:১০

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: অটোমেশনের জন্য যে সব ক্ষেত্রেই মানুষ কর্মস্থান হারাবে তা না | অটোমেশনের ব্যাকওয়ার্ড আর ফরওয়ার্ড লিংকেজ ইন্ডাস্ট্রিগুলো কিভাবে আমরা ক্রিয়েট করতে ও ব্যবহার করতে পারছি বা আদৌ করতে পারছি কি না সেটার উপরও অনেক কিছু নির্ভর করবে |

খুব ভাল বলেছেন।

অনেক অনেক ধন্যবাদ।

৬| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:৫৫

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:



আপনার লেখাগুলো সবসময় ব্লগের সেরা! দারুণ বিশ্লেষণ!

২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৩:০০

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: ভাই, আপ্নেদের ব্লগে কাউয়া ক্যাচাল, সিনেমা রিভিউ, ভ্রমন আর কিঞ্চিৎ রোমান্সের চাহিদা বেশি। আমার লেখা পড়ার লোক নেই এখানে। মাঝে মাঝে ভাবি হুদাই সময় নষ্ট করি এখানে!!

৭| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১:২৯

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:
কখনোই নয়। আমি আপনার লেখার মনোযোগী পাঠক। আমার মত অনেকেই আছেন!

৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ২:৫১

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: নিয়মিত পাঠক গণ অনন্ত প্রেরণা। আন্তরিক ধন্যবাদ।

৮| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১:৫৭

পলাতক মুর্গ বলেছেন: পাবিলিক সার্ভিস কমিশনের ফিলসফি পাল্টাতে হবে, নাইলে "চালাক বেশি বুদ্ধি কম" টাইপের করাপ্টেড সচিবদের কারণে দেশ আগাতে পারবে না।

৯| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১০:৫২

গরল বলেছেন: অটোমেশনে যাওয়ার সাথে সাথে এর রিস্কগুলোও মাথায় রাখতে হবে। ইদানিং উবারের মত টেক কম্পানির ডাটাও লিক হচ্ছে টেকনলজিক্যাল দূর্বলতার কারণে সেখানে বাংলাদেশের অবস্থাতো তথৈবচ। আর একটা গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হল স্ট্যান্ডার্ডাইজেশন, এটা উপেক্ষা করলে ডিজাস্টার হয়ে যাবে। একটা উদাহরণ দেই, ইউএনডিপির পুলিশ রিফর্ম প্রোগ্রামে আইসিটি এক্সপার্ট হিসাবে কাজ করার সময় বায়োমেট্রিক ইনভেষ্টিগেশনের জন্য নির্বাচন কমিশনের ডেটাবেজ ইউজ করার চুক্তি হয় নির্বাচন কমিশনের সাথে। কিন্তু ভয়ানক ব্যাপার জেটা লক্ষ করি যে নির্বাচন কমিশনের সংরক্ষিত বায়োমেট্রিক ডাটা কোনমতেই ফরেনসিক স্ট্যান্ডার্ড না। এটা যে কতবড় ঝুকিপূর্ণ তা একটু চিন্তা করলেই বুঝবেন যেখানে এর উপড় ভিত্তি করে কোন নির্দোষ মানুষের ফাসি হয়ে যেতে পারে আবার ভয়ানক খুনিও ছাড়া পেয়ে যেতে পারে। পরে আমরা পুলিশকে নিজস্ব ডাটাবেজ তৈরীতে সহযোগীতা করি এবং স্ট্যান্ডার্ড তৈরীতেও সাহায্য করি।

এরপরও আমরা ইউএনডিপির যেসব প্রোগ্রাম নির্বাচন কমিশন, প্রাইম মিনিষ্টার অফিস ও অন্যান্য সরকারী দপ্তরে কাজ করে তাদেরকে সাথে নিয়ে মিনিষ্ট্রিতে মিটিং এর পর মিটিং করে এটা বুঝাতে সক্ষম হই। তার ফল আপনারা দেখতে পেয়েছেন স্মার্ট ন্যাশনাল আইডি কার্ড সংগ্রহ করার সময়। এখনকার ফিংগার প্রিন্ট ডিভাইস ও আগের ফিংগার প্রিন্ট ডিভাইস এর পার্থক্য লক্ষ করলেই বুঝতে পারবেন। একই কাহিনী মোবাইল সিম এর ফিংগার প্রিন্ট ডিভাইসের, তারা কিন্তু এখনও আগের ষ্ট্যান্ডার্ড ফলো করে।

এবার আসি ইন্ডাষ্ট্রিয়াল অটোমেশনের ব্যাপারে, আমাদের দেশের বেশিরভাগ ইন্ডাষ্ট্রিগুলো সনাতনি যণ্ত্রচালিত। এখানেও আসলে কোন ষ্ট্যান্ডার্ড নেই যেমন ইন্ডাষ্ট্রির জন্য SCADA (Supervisory Control And Accuisition of Data) সেই ১৯৫০-৬০ এর সময়কার যা এখন আরো উন্নত হয়ে পাচটা লেভেল এ ভাগ করা হয়েছে।
অটোমেশনে যাওয়ার সাথে সাথে এর রিস্কগুলোও মাথায় রাখতে হবে। ইদানিং উবারের মত টেক কম্পানির ডাটাও লিক হচ্ছে টেকনলজিক্যাল দূর্বলতার কারণে সেখানে বাংলাদেশের অবস্থাতো তথৈবচ। আর একটা গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হল স্ট্যান্ডার্ডাইজেশন, এটা উপেক্ষা করলে ডিজাস্টার হয়ে যাবে। একটা উদাহরণ দেই, ইউএনডিপির পুলিশ রিফর্ম প্রোগ্রামে আইসিটি এক্সপার্ট হিসাবে কাজ করার সময় বায়োমেট্রিক ইনভেষ্টিগেশনের জন্য নির্বাচন কমিশনের ডেটাবেজ ইউজ করার চুক্তি হয় নির্বাচন কমিশনের সাথে। কিন্তু ভয়ানক ব্যাপার জেটা লক্ষ করি যে নির্বাচন কমিশনের সংরক্ষিত বায়োমেট্রিক ডাটা কোনমতেই ফরেনসিক স্ট্যান্ডার্ড না। এটা যে কতবড় ঝুকিপূর্ণ তা একটু চিন্তা করলেই বুঝবেন যেখানে এর উপড় ভিত্তি করে কোন নির্দোষ মানুষের ফাসি হয়ে যেতে পারে আবার ভয়ানক খুনিও ছাড়া পেয়ে যেতে পারে। পরে আমরা পুলিশকে নিজস্ব ডাটাবেজ তৈরীতে সহযোগীতা করি এবং স্ট্যান্ডার্ড তৈরীতেও সাহায্য করি।

এরপরও আমরা ইউএনডিপির যেসব প্রোগ্রাম নির্বাচন কমিশন, প্রাইম মিনিষ্টার অফিস ও অন্যান্য সরকারী দপ্তরে কাজ করে তাদেরকে সাথে নিয়ে মিনিষ্ট্রিতে মিটিং এর পর মিটিং করে এটা বুঝাতে সক্ষম হই। তার ফল আপনারা দেখতে পেয়েছেন স্মার্ট ন্যাশনাল আইডি কার্ড সংগ্রহ করার সময়। এখনকার ফিংগার প্রিন্ট ডিভাইস ও আগের ফিংগার প্রিন্ট ডিভাইস এর পার্থক্য লক্ষ করলেই বুঝতে পারবেন। একই কাহিনী মোবাইল সিম এর ফিংগার প্রিন্ট ডিভাইসের, তারা কিন্তু এখনও আগের ষ্ট্যান্ডার্ড ফলো করে।

এবার আসি ইন্ডাষ্ট্রিয়াল অটোমেশনের ব্যাপারে, আমাদের দেশের বেশিরভাগ ইন্ডাষ্ট্রিগুলো সনাতনি যণ্ত্রচালিত। এখানেও আসলে কোন ষ্ট্যান্ডার্ড নেই যেমন ইন্ডাষ্ট্রির জন্য SCADA (Supervisory Control And Accuisition of Data) সেই ১৯৫০-৬০ এর সময়কার যা এখন আরো উন্নত হয়ে পাচটা লেভেল এ ভাগ করা হয়েছে।


অথচ আমরা এখনও সেটা আত্মীকরণ করতে পারলাম না সেখানে IoTতো তারও উপরের লেভেলের অ্যানালাইটিক সলুশন। যেটাই করি, যতটুকু করি সেটার ষ্ট্যান্ডার্ড মেইনটাইন না করতে পারলে তার পরের লেভেলে পৌছানো খুবি কষ্টকর ও ব্যায় সাপেক্ষ যা এখন বাংলাদেশের প্রতিটা স্তরে বিদ্যমান।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.