নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব,ইইই প্রকৌশলী। মতিঝিল আইডিয়াল, ঢাকা কলেজ, বুয়েট এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্র।টেলিকমিউনিকেশন এক্সপার্ট। Sustainable development activist, writer of technology and infrastructural aspects of socio economy.

এক নিরুদ্দেশ পথিক

সমাজের প্রতিটি ছোট বড় সমস্যার প্রকৃতি নির্ধারণ করা, আমাদের আচার ব্যবহার, সমাজের প্রচলিত কৃষ্টি কালচার, সৃষ্টিশীলতা, চারিত্রিক উদারতা এবং বক্রতা, অপরাধ প্রবৃত্তি, অপরাধ সঙ্ঘঠনের ধাঁচ ইত্যাদির স্থানীয় জ্ঞানের আলোকে সমাজের সমস্যার সমাধান বাতলে দেয়াই অগ্রসর নাগরিকের দায়িত্ব। বাংলাদেশে দুর্নীতি রোধ, প্রাতিষ্ঠানিক শুদ্ধিকরন এবং টেকনোলজির কার্যকরীতার সাথে স্থানীয় অপরাধের জ্ঞান কে সমন্বয় ঘটিয়ে দেশের ছোট বড় সমস্যা সমাধান এর জন্য লিখা লিখি করি। আমার নির্দিষ্ট দৃষ্টিভঙ্গি আছে কিন্তু দলীয় সীমাবদ্ধতা নেই বলেই মনে করি, চোর কে চোর বলার সৎ সাহস আমার আছে বলেই বিশ্বাস করি। রাষ্ট্রের অনৈতিক কাঠামোকে এবং দুর্নীতিবাজদের সবাইকে তীক্ষ্ণ ভাবে চ্যালেঞ্জ করার চেষ্টা করি। রাষ্ট্র কে চ্যালেঞ্জ করতে চাই প্রতিটি অক্ষমতার আর অজ্ঞতার জন্য, তবে আঘাত নয়। ব্যক্তিগত ভাবে নাগরিকের জীবনমান উন্নয়ন কে দেশের ঐক্যের ভিত্তিমূল মনে করি। ডাটাবেইজ এবং টেকনোলজি বেইজড পলিসি দিয়ে সমস্যা সমাধানের প্রোপজাল দেবার চেষ্টা করি। আমি মূলত সাস্টেইন এবল ডেভেলপমেন্ট (টেকসই উন্নয়ন) এর নিরিখে- অবকাঠামো উন্নয়ন এবং ডিজাইন ত্রুটি, কৃষি শিক্ষা খাতে কারিগরি ব্যবস্থাপনা ভিত্তিক সংস্কার, জলবায়ু পরিবর্তন, মাইক্রো ইকনমিক ব্যাপার গুলো, ফিনান্সিয়াল মাইগ্রেশন এইসব ক্রিটিক্যাল ব্যাপার নিয়ে লিখার চেষ্টা করি। মাঝে মাঝে চোরকে চোর বলার জন্য দুর্নিতি নিয়ে লিখি। পেশাঃ প্রকৌশলী, টেকনিক্যাল আর্কিটেক্ট, ভোডাফোন।

এক নিরুদ্দেশ পথিক › বিস্তারিত পোস্টঃ

মার্কিন নিষেধাজ্ঞার পরের রাজনীতি

২৯ শে জানুয়ারি, ২০২২ রাত ৯:৫৯

যখন বুঝবেন আপনার প্রতিপক্ষ আপনার চেয়েও সেয়ানা, তখন আপনি কি করবেন? আপানকে ফেয়ার খেলতে হবে। লাইন অফ ফায়ারে দাঁড়িয়ে আপনাকে রুল অফ দ্য ওয়্যার, রুল অফ দ্য গেইম, রুল অফ দ্য বিজনেস গুলা মানতে হবে, ওয়ারেন্ট অফ প্রসিডিউর ফলো করতে হবে যথাযথভাবে, আন্তর্জাতিক প্রসেস/রিতিনীতি মানতে হবে, ওভার দ্য টেবিল নেগোশিয়েট করার পেছনের ক্যাপাবিলিটি গুলা এভেইল করতে হবে অথবা স্রেফ আপনাকে যথাসময়ে আত্ম সমর্পন করতে হবে।

আওয়ামীলীগ ফাউল খেলতে খেলতে সে স্থানীয় রাজনীতিকেই শুধু দুর্বিত্তায়িত করেনি, দেশকে ক্রিমিনাল স্টেইট বানায়নি বরং সে ডিপ্লোম্যাটিক এবং হিউম্যান রাইটস এফেয়ার্সকেও সেই একই ফাউল খেলার অংশ মনে করে।ফলে, ডেমোক্রেসি সম্মেলনে ইনভাইটেশন না পেয়েও, মার্কিন স্টেইট ডিপার্ট্মেন্ট এবং ট্রেজারির ২ স্তরের নিষেধাজ্ঞা খেয়েও সে কি করেছে দেখেন-

১। পররাষ্ট্রমন্ত্রী, তথ্যমন্ত্রী, র‍্যাব, মন্ত্রী কাদের সাহেব, হানিফ সাহেব সবাই মিলে একযোগে আম্রিকার বিরুদ্ধে পাল্টা অভিযোগ দিতে শুরু করলো। দেশের মুখে চুনকালি পড়ার পর নিরবে স্বীকার করে, ভেতর থেকে কিছু কাজ করে, কিছু গ্রহণযোগ্য/বিশ্বাসযোগ্য তদন্তের ব্যবস্থা না করে খিস্তি খেওউড় শরু করল। তথ্য বাবা জয় নিয়ে আসলেন মার্কিন পুলিশের শত শত বিচার বহির্ভুত হত্যার একটা বানোয়াট তালিকা। নিষেধাজ্ঞার পরেও বাংলাদেশ সরকারের মানবাধিকার পরিস্থিতি ভাল করার কোন প্রতিজ্ঞা কিংবা কোন বিশ্বাসযোগ্য পদক্ষেপ আমরা আওয়ামীলীগের কাছে থেকে পাইনি। যদিও সংবাদ ভাষ্যে দেখা গেছে ক্রসফায়ার আপাতত বন্ধ হয়েছে। যেহেতু সরকার ক্রসফায়ারই অস্বীকার করে, তাই এটা নিয়ে কিছু বলার উপায় তাঁর নেই।
মূল বিষয়টা হচ্ছে, মানবাধিকার হরণের দৃশ্যমান ও অকাট্য সব প্রমাণের পরেও গুম খুন নির্যাতনের বিষয় অস্বীকার। বিচার তদন্ত ক্ষতিপূরণের বোধগম্য কোন ব্যবস্থা নিতে অপরাগতা এবং ভাবিষতে অপরাধ না করার বিশ্বাসযোগ্য প্রতিশ্রুতি না থাকা।
২। এদিকে নিষেধাজ্ঞার পরেও ধস্তা ধস্তির নামে তারা বিএনপি কর্মী মেরেছে।
৩। হবিগঞ্জে সহ আরো কিছু জেলায় বিরোধী দলের সভায় হামলা ও গণ মমলা করেছে।
৪। নারায়নগঞ্জের নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মী গ্রেফতার করেছে, তার পক্ষে দাঁড়ানো সঙ্গীত শিল্পীর বহু বছরের পুরানো মামলা একটিভ করেছে।
৫। ন্যাক্কার জনকভাবে গুমের শিকার হওয়া ভুক্তভূগী পরিবারের কাছে মিথ্যা হলফনামায় সাইন করিয়েছে, যা ডেইলি স্টার সহ কিছু পত্রিকার এবং মানবাধিকার সংস্থার তদন্তে বেরিয়ে এসেছে।
অর্থাৎ সে প্রথমে গুমের শিকার হওয়া পরিবারকে মামলা করতে দেয়নি, তারপর তাদের জিডি নিয়ে দীর্ঘ্য টালবাহানা করেছে, এরপর গুমের বদলে জাস্ট নিজে নিজেই নিখোঁজ হবার মত মিথ্যা জিডিতে বাধ্য করেছে। এখন ২,৪,৬,৮ বা ১০ বছর পরে এসে সে ভুক্তভোগীদের সাদা কাগজে স্বীকারোক্তি লেখিয়ে আনছে যে, পরিবার গুলো আগেও নাকি পুলিশকে ভুল তথ্য দিয়েছে।
৬। আওয়ামীলীগের সবচেয়ে বড় ধৃষ্টতা হচ্ছে, জাতিসংঘের গুম বিষয়ক টিমকে বাংলাদেশের আসার অনুমতি না দেয়া। এবং নিষেধাজ্ঞার পরেও তারা কাজটি করছে না।

এনফোর্সড ডিজেপিয়ারেন্স বিষয়ে জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের স্পেশাল রিপোর্টায়ার বাংলাদেশে আসার জন্য বহুবার আবেদন করেছে। সরকার তাঁদের বাঁধা দিয়ে গেছে। গুম-খুনের শিকার পরিবারগুলর সংঘঠন 'মায়ের ডাক'এর প্রধানতম একটা দাবী হচ্ছে জাতিসংঘের টিমকে স্বাধীন ভাবে কাজ করতে দেয়া।

আওয়ামীলীগ এসব কিছু করবে না, সে সবকিছুকে ৩০ তারিখের ভোট ২৯ তারিখ রাতে করে ফেলার মত মনে করে। মার্কিন বিচার দপ্তরের ওয়েবসাইটে দেখা গেছে, নিষেধাজ্ঞার আগে থেকেই সরকারের পক্ষে একাধিক লবিস্ট প্রতিষ্ঠান কাজ করছে। তাও নিষেধাজ্ঞার ঠেকানো যায়নি। নিষেধাজ্ঞার পরেও মানবাধিকার পরিস্থিতি উন্নয়নের টাস্কফোরর্স ডিক্লেয়ারেশন, ওপেন এন্ড ভিজিবল একশনে না গিয়ে প্রথমে বল্ল আবারও লবিস্ট নিয়োগ দিবে। এখন বলছে আলোচনা করবে।

তার পরেও সে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা গুলো স্বীকার করে ভিজিবল একশন নিবে না, কারণ আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে আওয়ামী লীগ সন্ত্রাসের অসীম ক্ষমতা দিয়ে পিটিয়ে, গুম করে, খুন করে যে ভয়ের রাজ্য কায়েম করেছে, সেই রাজ্য হাতছাড়া হয়ে যায় পাছে! তাই সে রাষ্ট্রীয় বাহিনী দিয়ে নিয়মিত নির্যাতন ও ভয়ের সংস্কৃতি জারি রাখতে মরিয়া। ভয় ভেঙে গেলে ক্ষমতা যাবে নিশ্চিত!


আপনি যদি মার্কিন স্টেইট ডিপার্ট্মেন্টের সাইটে গিয়ে ২০১৭ থেকে ২০২০ সালের 'কান্ট্রি রিপোর্টস অন হিউম্যান রাইটস প্র্যাক্টিসেসঃ বাংলাদেশ' নামক রিপোর্ট গুলো দেখেন তাইলে তাজ্জব বলে যাবেন। সম্ভবত যুদ্ধাপরাধ ছাড়া এমন কোন অপরাধের নাম নেই যা এসব রিপর্টে নেই। আর এম্নেস্টি ইন্টারন্যাশনাল কিংবা হিউম্যান রাইটস ওয়াচের কান্ট্রি রিপোর্ট তো আছেই।

বিষয় হচ্ছে, আওয়ামীলীগ মনে করে তারা গুম করে কিন্তু তা কেউ জানে না। তারা রাতের ভোট করে তা কেউ দেখে না। গনহারে হামলা মামলা নির্যাতন, গুম খুন, মানবাধিকার হরণ করে তা কেউ রিপোর্ট করে না, মানুষের কান্নার শব্দ করো কানে যায় না। গণতন্ত্রের নামে গুন্ডাতন্ত্রের মাধ্যমে ভয়ের মহাবিস্তার, লাগাতার ভোট বিহী নির্বাচন এগুলার ব্যাপকতা কেউ বুঝে না। তারা দেশের মানুষকে আন্ধা বোবা লুলা বধির ভাবে, একই ভাবনা তারা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় নিয়েও করে!

আওয়ামীলীগ মানবাধিকার লঙ্ঘনের অকাট্য ঘটনা গুলোকে স্বীকার করবে না, মানবাধিকার পরিস্থিতি উন্নয়নে টাস্কফোর্স ঘোষণা করবে না, সুশাসন ফিরাতে গণতন্ত্র, বিচার ও জবাহিদিতাকে উন্মুক্ত করবে না।


বরং দেশের প্রতিষ্ঠান গুলোর উপর চুনকালি টানবে, আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা আনবে একের পর এক। প্রয়োজনে দেশের 'ভাবমূর্তির' বারোটা বাজেবে। রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত করে, দেশের অর্থনৈতিক ক্ষতি করেও আওয়ামীলীগ নিজের অপরাধ লুকাবে।
গুম খুন অপরহণ নির্যাতনের প্রমাণিত অভিযোগ আমলে নিয়ে সে ভিজিবল একশন সে নিবে না, বরং বিদ্যমান অভিযোগ ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করবে। কারণ আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে আওয়ামী লীগ সন্ত্রাসের অসীম ক্ষমতা দিয়ে পিটিয়ে, গুম করে, খুন করে এমন এক গুন্ডাতন্ত্র এবং ভয়ের রাজ্য কায়েম করেছে, যা তার অবৈধ ক্ষমতাকেই সুরক্ষা দিচ্ছে। সেই রাজ্য হাতছাড়া হয়ে যায় পাছে! তাই সে রাষ্ট্রীয় বাহিনী দিয়ে নিয়মিত নির্যাতন ও ভয়ের সংস্কৃতি জারি রাখতে মরিয়া। ভয় ভেঙে গেলেই ক্ষমতা যাবে নিশ্চিত!

৩০ মে ২০১৮ সালে প্রথম আলোতে ''ইয়াবা-সুন্দরী'র সাম্রাজ্য বনাম বন্দুকযুদ্ধের ছলনা' কলামে আমি লিখেছিলাম-
''‘ক্রসফায়ার’ বা ‘বন্দুকযুদ্ধ’ হচ্ছে রাষ্ট্রকে আনুষ্ঠানিকভাবে বিচারহীন প্রতিষ্ঠানে পরিণত করা। ক্রসফায়ারে বাংলাদেশের অপরাধ নিয়ন্ত্রণ কিংবা দমন—কোনোটিই হয়নি। বরং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলোর হাতে একচেটিয়া ক্ষমতা দিয়ে তাদের জবাবদিহির বাইরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। তাদের হাতে জমা হয়েছে একচেটিয়া ‘সন্ত্রাসের’ ক্ষমতা। ক্রমাগত ক্রসফায়ার জানান দিচ্ছে যে বাংলাদেশে বিচারব্যবস্থা সমাজের অপরাধ নিয়ন্ত্রণে এবং দমনে কোনোই প্রভাব রাখে না।''

আমরা স্পষ্টই বলতে চাই, বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান গুলো, আইন শৃঙ্খলা বাহিনী গুলো মানবাধিকার হরণ কারী হিসেবে পরিচিত কিংবা প্রতিষ্ঠিত কোনটাই ছিল না। হ্যাঁ তাঁদের বিরুদ্ধে বিচ্ছিন্নভাবে মানবাধিকার হরণ ও ঘুষের কিছু অভিযোগ ছিল। এটা আওয়ামী লীগ, যারা নিজেদের ভোট বিহীন অবৈধ ক্ষমতা চালিয়ে যেতে, রাজনৈতিক ও বুদ্ধিবৃত্তিক বিরোধীদের দমন করে মাফিয়াতন্ত্র কায়েম করতে, রাতের ভোট করে একদলীয় ফ্যাসিস্ট শাসন কায়েম করতেই রাষ্ট্রীয় বাহিনীকে খুনী বাহিনী হিসেবে গড়ে তুলেছে, এবং আন্তর্জাতিক কলঙ্ক বয়ে এনেছে।

জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে বাংলাদেশ বর্তমানে সর্বোচ্চ শান্তিরক্ষী প্রেরণকারী দেশ। যে বাহিনী (কিংবা সদস্যরা) শন্তিরক্ষা মিশনে গিয়ে পৃথিবীর দেশে দেশে শান্তি কায়েমের বহু অনন্য নজির স্থাপন করেছে, তাঁদেরকে নির্যাতক, মানবাধিকার হরণকারী, নির্মম খুনি, গুম ও অপহরণকারী বানানোর এই দায় শেখ হাসিনার এবং উনার দলের একক। এই অপমানের দায় বাংলাদেশের জনগণ নিবে না, এই দায় একক ভাবে শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগকেই নিতে হবে।

সংসদে দেয়া নিষেধাজ্ঞা বিষয়ে জাপা এমপির সংসদ বক্তব্য আলোচিত হচ্ছে। গাইবান্ধা-১ আসনের এমপি শামীম হায়দার পাটোয়ারী ঢাবি'র আইন বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ড মফিজুল ইসলাম পাটোয়ারীর ছেলে। উনি বেশ পড়ালেখা করে, প্রস্তুতি নিয়ে কথা বলেছেন এটা আমার খুব ভাল লেগেছে। ভদ্রলোক শুধু শিক্ষিতই নয়, বরং মার্জিতও। উনি জ্ঞানী বাবার জ্ঞানী ছেলে। উনার বক্তব্য সত্যি আমার খুব ভালো লেগেছে, একটি ছাড়া প্রস্তাব গুলো খুব ভাল। কিন্তু উনি রাতের ভোট নিয়ে বলেননি, গুম ও খুন নিয়ে এক লাইন মাত্র বলেছেন, গুম খুনের সাথে অবৈধ ক্ষমতা এবং নিষেধাজ্ঞার সম্পর্ক না টেনেই জাতীয় ঐক্যের কথা বলেছেন।

বিরোধী পিটানো, জেল জুলুম মামলা মিছিল সমাবেশে বেদম পিটানি, রাস্তায় বিক্ষোভ করলেই গণ মামলা, প্রতিবাদ বিক্ষভ-মামলা-সরকারি চাপের সাথে জামিনের জড়াজড়ি সম্পর্ক, ভোটহীন নির্বাচন, রাতের ভোট, বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় এম্পি-মেয়র-চেয়ারম্যান এসবের সুরাহা না করে জাতীয় ঐক্য কিভাবে আসবে? উনি বলেননি। তবে উনি জোর দিয়ে বলেছেন, লবিং এবং পিআর নিয়ে ফালতু একটা বিতর্ক সৃষ্টিকারীরা নিষধাজ্ঞার গভীরতাই তারা বুঝেনি।


শিক্ষিত ও বিজ্ঞ সংসদরা ডেমোক্রেটিক প্রসেস রি-ওপেনের কথা না বললে পরিস্থিতি ইম্প্রুভ করতে পারবেন কিভাবে? উনাকে আরো সুস্পষ্ট ভাবে বলতে হবে, ''বেশি উন্নয়ন ও কম গণতন্ত্র'', এসব ভন্ডামি থেকে সরে এসে সংসদ ভেঙে স্বচ্চ ভোটের সংসদ লাগবে, প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা কমাতে হবে। এমন ঐক্যমতে আসতে হবে যেখানে, ''গণতন্ত্র ও জবাব্দিহিতা ফার্স্ট'' এইটা স্বীকৃত হবে স্থায়ীভাবে। গণতন্ত্র না থাকলে বিশ্বের কোন দেশের অতি উন্নয়ন টেকসই হয়নি, উনি ভেনিজুয়েলার উদাহরণ দিয়েছেন।

আজকে আমাদেরকে স্বীকার করতে হবে, যেন তেন ভাবে আওয়ামীলিগকে বিনা নির্বাচনে ক্ষমতায় রাখার এলিট সমর্থন সরকারকে স্বৈরাচারী বানিয়েছে। আর জবাবদিহি হীন সরকার তার অবৈধ কাজ করাতে গিয়ে আমাদের বাহিনীকে খুনী বানিয়েছে, নিষেধাজ্ঞার চুনকালি মেখেছে। তাই দেশের বাহিনী গুলোকে খুনী ও মানবাধিকার হরণকারী বানানোর পিছনে এসব এলিট সেটেলমেন্টেরও দায় আছে। এটা সবার আগে নাকে ক্ষত ও নুক্তা দিয়ে এসে স্বীকার না করলে নিষেধাজ্ঞা নিয়ে কথা বলে কোন ফায়দা নাই, ভাইসব!

সুশীল বুদ্ধিজীবী সবাই ঐক্যমত্ত করলো, বিএনপি-জামায়াতের বাইরে গ্রহণযোগ্য রাজনৈতিক বিকল্প তৈরি না হওয়া পর্যন্ত বর্তমান সরকারের কোনো বিকল্প নেই। আপনি সংসদের সেই সরকারি কোরামে দাঁড়িয়ে ঐক্যমত্তের কথা বলছেন! ওয়াও! এসব বয়ানের সাক্ষাৎ ফল হচ্ছে, রাষ্ট্রীয় বাহিনীর খুনী ও নির্যাতক হয়ে উঠা। কারণ আপনি দেশ থেকে বিচার ও জবাদিহিতা উঠিয়ে দেয়ায় সায় দিয়েছেন, গণতন্ত্র বন্ধের পক্ষে উকালতি করেছেন। সবার আগে এই ফয়সালা দরকার, নাইলে নিষেধাজ্ঞা আসতেই থাকবে। উনার প্রস্তাব গুলো খুব ভাল তবে শেষটি ছাড়া, সেখানে তিনি হাসিনাকে ভোট ওপেন করতে না বলে বলেছেন ঘরের বাইরে গিয়ে মানুষের সাথে সংযোগ করতে, এটা হাস্যকর। ভোট চুরি করেছে বলেই হাসিনা প্রসাদে ঢুকেছে। অবৈধ ক্ষমতার আঁধার যিনি, সমস্যার কেন্দ্রে যিনি, তিনাকে বিকল্পহীন ধরে, তার কাছে সমস্যা সমাধানের আলাপ কতটা ফল দিবে!

এমপি শামীম বিচার বিভাগের কথা নিয়ে এক বাক্য বলেছেন। বিচার ও নির্বাহী বিভাগের সেপারেশন নিয়ে আশাকরি উনি ভবিষ্যতে বলবেন। উনি উপজেলা শক্তিশালী করনের কথা বলেছেন। প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা না কমালে, প্রেসিডেন্ট-প্রধানমন্ত্রীর -সংসদ-মন্ত্রী পরিষদের মধ্যে ক্ষমতার ভাগাভাগি না হলে, ভারসাম্য না আনলে, উনি ক্ষমতা বিকেন্দ্রীকরণ করে উপজেলায় নিবেন কিভাবে?

এরশাদ উপজেলা করেছেন এটা ভাল, কিন্তু গোড়া কেটে আগায় পানি দিলে গাছ বাঁচে না, এরশাদ নিজের ক্ষমতা কমাননি। বাংলাদেশের শাসন ব্যবস্থা তাই মরে গেছে, কারণ এক ব্যক্তিকে সব ক্ষমতা দিয়ে আপনি এখানে সাংবিধানিক স্বৈরাচারী ব্যবস্থা কায়েম করেছেন ৭২ থেকেই। সাংবিধানিক স্বৈরাচারী ব্যবস্থাকে ভেঙে খান খান করার ঐক্যমত্তই মূল ঐক্যমত্ত। এটা ছাড়া সুশাসন অসম্ভব। আপনি বেশ্যার দরবারে গিয়ে সতীত্ব চাইলে পাবেন?

জ্ঞানী এবং বিজ্ঞ লোক রাতের ভোটের সংসদে থেকে আদতে জবাবদিহি ফিরবে না, মানবাধিকারও এতটুকু উন্নত হবে না। আমাদের জ্ঞানী দরকার, সাথে দরকার স্বচ্চ গণতন্ত্র ও জবাবদিহির সংস্কৃতিকে দাবী করার মত সৎ লোক। এই যায়গায় কবি নিরব।

ইউনিটি খুব দরকার, কিন্তু ইউনিটির জন্য ফান্ডামেন্টাল ব্যারিয়ার গুলো নিয়ে কথা বলা আগে দরকার। আপনি বিপদে পড়ে ইউনিটি চাইবেন আর সুসময় থাকলে পাকিস্তান পাঠাবেন, পিটিয়ে জেলে ভরবেন, গুম করবেন, খুন করবেন এ কেমন পলিসি!


মন্তব্য ৮ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০২২ রাত ১০:৫৫

বিবেকহীন জ্ঞানি বলেছেন: আপনি তো গড় গড় করে এ সরকারের সব অপকর্ম বলে দিলেন।শুনেছি ইউরোপের কোন দেশ নাকি বাংলাদেশে সরকার কে নিষেধাজ্ঞা দিতে যাচ্ছে।তাও কঠোর ভাবেই।

২| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০২২ রাত ১১:০৬

সোবুজ বলেছেন: আপনার কথা যদি ঠিকও ধরে নেই ,তবু প্রশ্ন থাকে কার কাছে ঠিক,যে মানবে তার কাছে।যে মানবে না তার কাছে কিছুই ঠিক নাই।আমেরিকা পৃথীর যে কোন দেশে প্রয়োজনে সৈন্য সমাবেশ করতে পারে(সব যায় গায় পারে না)এটা আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন ,যেটা আমেরিকা করে আসছে দুর্বল দেশ গুলোতে।আসলে এখনো পর্যন্ত জোর যার মুল্লুক তার।সেটা দেশেই হোক বা বিদেশে।

৩| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০২২ রাত ১২:০৬

আখেনাটেন বলেছেন: চমৎকার লেখা।

সবচেয়ে খারাপ যে উদাহরণ সৃষ্টি করেছে এ সরকার তা হচ্ছে দেশের একাধারে সবকয়টি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানকে একেবারে ধ্বংস করে দিয়েছে। এটা যে দেশের ভবিষ্যতের জন্য কতটা খারাপ একটি দিক তা এনারা এখন হয়ত টের পাচ্ছে না। তবে যেদিন ক্ষমতা থেকে বিদায় নেবে তখন হয়ত আরেক ফ্রাঙ্কেনস্টাইন এসে সুদে-মূলে এর প্রতিশোধ নেবে। আর আমরা জনগণ যে তিমিরে থাকব, সেখান থেকে এইসব অভিসপ্ত রাজনীতির ধারাকে অভিস্পাত করব, এর পূরসুরী ও উত্তরসূরীদের কাণ্ডারীদের নাম ধরে। দুর্ভাগা জাতি।

৪| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০২২ রাত ১২:৫৬

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
গুম নিয়ে এখন তামাসা শুরু হয়েছে।
এর আগে নিখোজ বা গুম যারা হয়েছিল ইলিয়াস আলী বাদে এরা এমন কেউ নামী বিপদজনক বড় নেতা নন যে সরকার গুম করবে। (ইলিয়াস আলীর গুমের গোমর এক বিএনপি নেতাই ফাঁস করে দিয়েছে)
সিরিয়াতে আইএস যেহাদে যোগ দিতে গিয়েছিল ৩০০০ এর মত বাংলাদেশী যুবক,
বিতর্ক এড়াতে এদের অনেককেই পরিবার থেকে মাইক্রোবাসে উঠিয়ে গুম করা হয়েছে বলে চালিয়ে দেয়া হয়েছিল।

আর অনেকে বলছে সরকার মার্কিন নিষেধাজ্ঞার ভয়ে গুম বন্ধ করে দিয়েছে, ১ মাসে কেউ গুম হয় নি।
বাস্তবতা হচ্ছে গত ১৪ মাসেও কেউ গুম হয় নি।
আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক) ২০২১ এর রিপোর্টে গত এক বছরে তোহা সহ ৬ জন গুম হয়েছিল বলা হলেও
কিন্তু পরবর্তিতে একসময় ৬ জনের ভেতর ৫ জনই ফিরে আসে। ১ জন নিখোজ হয়তো শিঘ্রই ফিরে আসবে বা অলরেডি এসে গেছে।
রিপোর্টটি দেখুন - ২০২১ মানবাধিকার লঙ্ঘনের ‘চরমতম বছর’: আসক

৫| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০২২ রাত ২:০১

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:



আসল ঘটনা হচ্ছে একটি 'বাংলাদেশ বিরোধি মহল' বিদেশে বিভিন্ন প্রভাবশালী লোকজন দিয়ে বাংলাদেশকে কঠোর নিষেধাজ্ঞা দিয়ে বাংলাদেশকে ভিকিরি বানিয়ে সরকার পতন ঘটানো আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছে।
সেই ২০১০ থেকেই।
জামাত তার শিল্পপতি নেতা মীর কাশেমের বানিজ্জিক চ্যানেল ব্যাবহার করে বিএনপি লবিস্ট নিয়োগের জন্য যুক্তরাষ্টেন্সর একটি কনসালটেন্সি ফার্মের সঙ্গে ২৫ মিলিয়ন ডলারের চুক্তি করেছেন। ২০১০ সালের ১০ মে ৬ মাসের জন্য আমেরিকান কনসালটেন্সি ফার্ম কেসিডি এন্ড এসোসিয়েটের সঙ্গে চুক্তি করেন মীর কাশেম আলী।
এই প্রতিষ্ঠানের উদ্যোক্তা মালিক হচ্ছেন মার্কিন সাবেক কংগ্রেসম্যান মার্টিন রুশো। তিনি কেসেডি এন্ড এসোসিয়েটস-এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা।
এই লবিংএ খুব একটা কাজ হয় নি।
শুধু কাদের মোল্লার ফাসির আগের রাতে সেক্রেটারি অফ স্টেট জন কেরি হাসিনাকে ফোন দিয়ে ফাঁসি থামাতে বা নির্বাচন পর্যন্ত ডিলে করতে প্রথমে অনুরোধ পরে কঠিন হুমকি দেন। তবে শেষ হাসিনা সরাসরি এইসব আবদার 'নাকোচ করে' দুঃখ প্রকাশ করেন।

মুলত প্রভাবশালী এক্স লমেকারস রাজনীতিবিদরাই এক সময় 'লবিং কনসালটেন্সি ফার্ম' খুলে বসেন। আমেরিকায় আইনে টাকার বিনিময়ে দালালী, সরকারের উচ্চপর্যায়ে প্রভাব খাটাতে অর্থ খরচ করা সম্পুর্ন বৈধ ব্যাবসা। তবে ট্রান্সপ্যারেন্ট থাকতে হয়, ক্লায়েন্টের নাম জানাতে হয়, পেমেন্ট দিলে রশিদ দিতে হয়। তবে ক্লায়েন্টের কি কাজে দালালী সেটা গোপনীয় থাকে।

অনুসন্ধানে পাওয়া নথিতে জানা গেছে, প্রতিষ্ঠানটির ঠিকানা হচ্ছে ৭০০/১৩ স্টিন্সট, ১১ ডবিíউ, সুইট-৪০০ ওয়াশিংটন ডিসি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট ও বাংলাদেশের সরকারের উপর চাপ প্রয়োগ ও লবিং করাসহ ক্লায়েন্ট মীর কাশেমের আলীর উদ্দেশ্য (যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসি বন্ধ বা ডিলে করা) সফল করার জন্য এই চুক্তি হচ্ছে বলে চুক্তিপত্রে উলেíখ করা হয়েছে। ১০ মে ২০১০ সাক্ষরিত এই চুক্তিতে মীর কাসেম আলী এবং লবিস্ট ফার্মের পক্ষে জেনারেল কাউন্সেলর জে• ক্যামেরুজ সাক্ষর করেন।

চুক্তি অনুযায়ী প্রতিষ্ঠানিটি মীর কাশেম আলীর উদ্দেশ্য (ইরান বা নিকারাগুয়ার মত শক্ত বানিজ্জিক নিষেধাজ্ঞা) দিতে যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশ সরকারের উচ্চ পর্যায়ে লবিং করবে। প্রয়োজনে ৬ মাসের জন্য চুক্তির মেয়াদ আরো ২৫ মিলিয়ন ডলার দিয়ে বাড়ানো যাবে বলে চুক্তিপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়াও চুক্তির বাইরেও মামলা খরচসহ অন্যান্য খরচের ব্যয় বহন করতে আরো অর্থ দেয়া হবে উপদেশক এই প্রতিষ্ঠানকে।


বাংলাদেশ বিরোধীদের বিদেশী লবিং ফার্ম ভাড়া করা নতুন কোন ব্যাপার না।
এর আগে ড। ইউনুসও দুইবার অন্য একটি লবি ফার্ম (বিটিপি এডভাইজারস) নামে একটি লবিং ফার্ম ভাড়া করেছিল, কিন্তু কি কাজে ভাড়া করেছিল সেটা যানা না গেলেও মোটামোটি অনুমান করা যায়।

খালেদা জিয়াও বেশ আগে এই বিটিপিকেই (বিটিপি এডভাইজারস) ভাড়া করেছিল, বাংলাদেশের জিএসপি সুবিধা বাতিল করার জন্য। জন্য।
বাংলাদেশ সরকার ও জিএসপি সুবিধা ফিরে পেতে একাধিক লবিং ফার্ম ভাড়া করেছিল।


বিসিসিবি সভাপতি সাবের হোসেন চৌধুরিও ১৯৯৬ তে লন্ডনের একটি লবি ফার্ম ভাড়া করেছিলেন, সেটা বাংলাদেশের টেষ্ট স্ট্যাটাস কেনিয়া কে বাইপাস করে পাওয়ার জন্য।
বাংলাদেশ সরকারের সমর্থনে বিজিএমইএ একটি লবিং ফার্ম ভাড়া করেছিল তাজরিন ও রানা প্লাজা কান্ড সামাল দিতে ও যুক্তরাষ্ট যাতে কঠিন ব্যাবস্থা না নিতে পারে। সেটা অনেকটা সফল হয়েছিল। বাংলাদেশ সরকারও মরিয়া হয়ে আলাদা ভাবে আরেকটি এজেন্সি ভাড়া করেছিল হিলারি ওবামাদের গার্মেন্টস নিষেধজ্ঞা এড়াতে।

এখন বাইডেন সরকার আসার পর পুর্ব উৎকোচ হালাল করতে বাংলাদেশ বিরোধি মহলটির প্রবল লবি চাপে উৎকোচ পেয়ে কোন বড় উছিলা নাপেয়ে কিছু সিনেটর কংরেসম্যান, চলমান বিচারভির্ভুত হত্যা গুরুতর মানবাধিকার লংঘনমূলক কাজ শেষ অস্ত্র হিসেবে কাজে লাগালো।

বাংনিজ্জিক নিষেধজ্ঞা দেয়া সম্ভব না। সেই তাজরিন ও রানা প্লাজার উত্তপ্ত মোক্ষম সময়েও সম্ভব হয় নি, এখন কিভাবে সম্ভব?

ভোটার বিহীন ত্রুটিপুর্ন নির্বাচন?
সেটাও গুরুত্বহীন কারন দেশে নির্বাচন নিয়ে দেশে ছোট বড় কোন অসোন্তোষ দৃশ্বমান নেই, কোন বিক্ষোভ নেই, বিরোধি দল সংসদে গেছে, সংসদ সবাই মেনে নিয়েছে।

বিচারভির্ভুত হত্যা গুরুতর মানবাধিকার লংঘনমূলক কাজ?
বেআইনি হলেও সেটাতে ভাল ফল পাওয়া গেছে দেশের জঙ্গিবাদ প্রায় নির্মুল, প্রসংসা পাওয়ার যোগ্য।

র‍্যাব পুলিশ ডিবি মানুষ মারতেছে। টাকার বিনিময়ে ৯ জন খুন, আর বিভিন যাগায় ক্রসফায়ার?
টাকার বিনিময়ে ৯ জন খুন বিচার সমাপ্ত হয়েছে কর্নেল মেজরদের পর্যন্ত ফাসির রায় হয়েছে।
গুম খুন হয়েছে তবে গুম বা হত্যাকান্ড রাজনৈতিক বলা যায় না, বড়-ছোট কোন মানবাধিকার ব্যক্তিত্ব বা বিরোধী রাজনীতিবিদ নিহত বা গুম হয় নি। নারায়নগঞ্জের নিহতরা সবাই সরকার দলিয়, টেকনাফের নিহতও সেই লোকও সরকার দলিয় কাউন্সিলার মেম্বার।

আচ্ছা ঠিক আছে, কিছু লোক তো মারা গেছে কিছু একটা ব্যাবস্থা নিয়ে টাকাটা হালাল তো করতে হবে। ঠিক আছে আগামি সিনেট বৈঠকে প্রস্তাবটা উঠানো হবে।

আফটার অল মারছে তো, কিন্তু কিছু একটা তো করতে হবে।
স্টেট ডিপার্টমেন্ট কোন ব্যাবস্থা নিতে রাজি হচ্ছে না, কোন অনুরোধেই শুনছে না।
তবে ট্রেজারি ডিপার্টমেন্টে আমাদের লোক আছে, একটা কিছু হবে।
বাংনিজ্জিক নিষেধজ্ঞা দেয়া ট্রেজারি ডিপার্টমেন্টের পক্ষে সম্ভব নয়। আমাদের এখতিয়ারের বাইরে, কোন বাহিনী নিষিদ্ধ করাও এখতিয়ারের বাইরে,
তবে মামলা থাকলে কয়েক ব্যাক্তির বিরুদ্ধে সাময়িক কিছু দেয়া দেয়া যায়, মামলা না থাকলেও অন্তত ভিসা নিষেধাজ্ঞা দেয়া যাবে।
তবে সেটাই দাও। টাকাটা অন্তত হালাল হোক।

৬| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০২২ রাত ৩:০৭

গরল বলেছেন: হাসিনা চায়নাকে ও তাদের নেতাদের গভীরভাবে অনুসরণ করছে, তবে হাসিনা এটা বুঝতেছে না যে চায়না আগে নিজেদের ভীত শক্ত করে নিয়েছে। আর ভারতের হাতে তুলে দিয়েছে নিজের নিরাপত্তার ভার, তবে তার চেয়েও বড় সমস্যা হল বিএনপি একটা মূর্খের দল। তারা রাজনিতী করতে চায়নি, চেয়েছিল আওয়ামিলীগকে বোমা মেরে ধ্বংস করে দিতে। শক্তিশালী বিরোধী দল না থাকলে যা হয় তাই হচ্ছে বাংলাদেশে।

৭| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০২২ দুপুর ১২:১৩

নীল আকাশ বলেছেন: আপনার এই পোস্টের শানে নযুল হচ্ছে এটাই বাকশলী শাসন ব্যবস্থা। এর আগেরবারেরটা নতুন জেনারেশন দেখেনি। এইবার দেখছে। এই ব্যবস্থা মানলে দেশে থাকেন, না হলে ফুটেন। জনগনের ইচ্ছে অনিচ্ছাকে সরকার ফুটো পয়সা কাউন্ট করে না।
দাদা আছে না? দাদাই সব আপদ বিপদ থেকে রক্ষা করবে। ​এর জন্য দরকার পরলে উদোম হইয়ে উপুর হয়ে বসতেও কোন আপত্তি নেই।
লেখা ভালো লেগেছে।

৮| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০২২ দুপুর ১:৫২

রাজীব নুর বলেছেন: ভালো লিখেছেন। পোষ্ট টি ভালো লেগেছে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.