নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব,ইইই প্রকৌশলী। মতিঝিল আইডিয়াল, ঢাকা কলেজ, বুয়েট এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্র।টেলিকমিউনিকেশন এক্সপার্ট। Sustainable development activist, writer of technology and infrastructural aspects of socio economy.

এক নিরুদ্দেশ পথিক

সমাজের প্রতিটি ছোট বড় সমস্যার প্রকৃতি নির্ধারণ করা, আমাদের আচার ব্যবহার, সমাজের প্রচলিত কৃষ্টি কালচার, সৃষ্টিশীলতা, চারিত্রিক উদারতা এবং বক্রতা, অপরাধ প্রবৃত্তি, অপরাধ সঙ্ঘঠনের ধাঁচ ইত্যাদির স্থানীয় জ্ঞানের আলোকে সমাজের সমস্যার সমাধান বাতলে দেয়াই অগ্রসর নাগরিকের দায়িত্ব। বাংলাদেশে দুর্নীতি রোধ, প্রাতিষ্ঠানিক শুদ্ধিকরন এবং টেকনোলজির কার্যকরীতার সাথে স্থানীয় অপরাধের জ্ঞান কে সমন্বয় ঘটিয়ে দেশের ছোট বড় সমস্যা সমাধান এর জন্য লিখা লিখি করি। আমার নির্দিষ্ট দৃষ্টিভঙ্গি আছে কিন্তু দলীয় সীমাবদ্ধতা নেই বলেই মনে করি, চোর কে চোর বলার সৎ সাহস আমার আছে বলেই বিশ্বাস করি। রাষ্ট্রের অনৈতিক কাঠামোকে এবং দুর্নীতিবাজদের সবাইকে তীক্ষ্ণ ভাবে চ্যালেঞ্জ করার চেষ্টা করি। রাষ্ট্র কে চ্যালেঞ্জ করতে চাই প্রতিটি অক্ষমতার আর অজ্ঞতার জন্য, তবে আঘাত নয়। ব্যক্তিগত ভাবে নাগরিকের জীবনমান উন্নয়ন কে দেশের ঐক্যের ভিত্তিমূল মনে করি। ডাটাবেইজ এবং টেকনোলজি বেইজড পলিসি দিয়ে সমস্যা সমাধানের প্রোপজাল দেবার চেষ্টা করি। আমি মূলত সাস্টেইন এবল ডেভেলপমেন্ট (টেকসই উন্নয়ন) এর নিরিখে- অবকাঠামো উন্নয়ন এবং ডিজাইন ত্রুটি, কৃষি শিক্ষা খাতে কারিগরি ব্যবস্থাপনা ভিত্তিক সংস্কার, জলবায়ু পরিবর্তন, মাইক্রো ইকনমিক ব্যাপার গুলো, ফিনান্সিয়াল মাইগ্রেশন এইসব ক্রিটিক্যাল ব্যাপার নিয়ে লিখার চেষ্টা করি। মাঝে মাঝে চোরকে চোর বলার জন্য দুর্নিতি নিয়ে লিখি। পেশাঃ প্রকৌশলী, টেকনিক্যাল আর্কিটেক্ট, ভোডাফোন।

এক নিরুদ্দেশ পথিক › বিস্তারিত পোস্টঃ

\'আই হেইট পলিটিক্স\' মধ্যবিত্ত রুপান্তরকে নিউ শেইপ দিতে চিন্তার নতুন বিন্যাস দরকার!

০৫ ই আগস্ট, ২০২৩ রাত ২:৫২

'আই হেইট পলিটিক্স' ব্যাখ্যা করতে গেলে মধ্যবিত্তের বিকাশের উপলক্ষ গুলো বিস্তারিত আলোচনায় আনা দরকার। এখানে আসতে পারে অনেকগুলা বিষয়-
১। ঘুষের বিস্তার, সরকারি দুর্নীতি ও আমলাতন্ত্র নির্ভর মধ্যবিত্ত বিকাশ,
২। চাঁদাবাজি ও অবৈধ ইনকাম জাত রাজনৈতিক মধ্যবিত্ত শ্রেণীর বিকাশ,
৩। ব্যবসায়িক জালিয়াতি ও দুর্নীতির জাত মধ্যবিত্ত বিকাশ,
৪। বেসরকারি খাতের বিকাশ ও ঋণ নির্ভর ব্যক্তি উদ্যোগের বিকাশ।

আমাদের নাগরিকদের অনেকেই দুর্বিত্ত প্রশাসনিক কিংবা দুর্বিত্ত রাজনৈতিক সংশ্রবে এসে দুধের বাটি হাতে পেয়ে গেছেন, কেউ সন্ধান পেয়েছেন তবে এখনও ভোগের ও ভাগের লাইনে অপেক্ষারত। বাকি একটি বড় অংশ এই সুযোগের অপেক্ষায় আসার প্রস্তুতি নিচ্ছে।
বদরুদ্দীন উমর স্কুল অফ থটে বলা যায়, অবৈধ সম্পদ অর্জনে ভাটা আসতে পারে এই ভয়ে মধ্যবিত্ত পরিবর্তনে ভয় পায় কিংবা রাজনীতি ঘৃণার ভান ধরে।


*******
৫। তবে গুরুত্বপুর্ণ বিষয়, সোশ্যাল মিডিয়া মানুষের বিশেষ করে তরুণদের জীবনযাত্রাকে চেঞ্জ করে ফেলায়, আগে থেকেই থেকে যাওয়া ব্যক্তি স্বার্থকেন্দ্রিক শহুরে ভোগবাদীতা মধ্যবিত্তের রূপান্তর প্রক্রিয়াকে আমূল পরিবর্তন করে দেয়া।

৬। মধ্যবিত্ত ট্রান্সফর্মেশানের ষষ্ঠ ধাপ আমি মনে করে সাহিত্য ও শিল্পে বিরাজনীতি করণ। হুমায়ুন আহমেদের হাত ধরে বাংলাদেশের সাহিত্য পাঠক কলকাতা থেকে ঢাকায় অবতরণ করলেও তাঁর সাহিত্য ব্যাপকভাবে সমাজ ও রাজনীতি সচেতনতাকে এড়িয়ে গেছে। হ্যাঁ সমাজের দৈনন্দিন যাপিত জীবনকে অলংকৃত করেছে, কিন্তু তাতে তরুণদের দেশ গড়ার কোন উৎসাহ দেয়া হয়নি। (ফুটনোট দিয়ে রাখি যে, Faruk Wasif ভাইয়ের এখানে সম্পূর্ণ ভিন্ন অব্জার্ভেশান আছে)। সমাজ সচেতনতা এবং রাজনীতি বিরুদ্ধ এই ধারা এখন সাদাত হোসেনরা ফলো করছেন।

বাংলাদেশের শিল্পাঙ্গন সরকারি টাকার কাছে বিক্রি হয়ে গেছে। দুটা পয়সা আর একটা পদের পিছে ঘুরছে আমাদের সমূদয় ক্লাসিক্যাল শিল্পের সব অঙ্গন। হাজার হাজার বই প্রকাশিত হচ্ছে, সামান্য অংশ সরকারের নজর পেতে নেতা তোষণ কেন্দ্রিক, বাকি সব মধ্যবিত্তের ট্রান্সফর্মেশানের পঞ্চম ধাপ আমি মনে করে সাহিত্য ও শিল্পে বিরাজনীতি করণে ঠাসা। বিএনপি ক্ষমতা থেকে যাবার পরে তত্ত্বাবধায়কের আমলে রাজনীতি কিছু নাটক হয়েছে, পরের নাটক ও সিনেমায় সমাজ ও রাজনীতি অনুপস্থিত। আছে প্রেম, বিনোদন, বেহায়াপনা, অপসংস্কৃতি। পরিচালকরা ক্ষমতা চাটায় প্রতিযোগিতা করছে। সম্প্রতি মহানগরের মাধ্যমে আশফাক নিপুন আলো ছড়িয়েছেন।

৭। মধ্যবিত্তের ট্রান্সফর্মেশানের পরের ধাপ সরকার প্রযোজিত মোটিভেশনের গল্প বিক্রি ও শর্টকাটে বড়লোক হওয়ার ফাঁদ। ব্যবসার ও বিনিয়োগের পরিবেশ তৈরি না করে, দক্ষতা তৈরি না করে, বিদ্যুৎ পানি জমি বাসা ভাড়া পরিবেশ শোধন সহজ না করে- বলা হয়েছে সরকারের দিকে চেয়ে না থেকে, নিজে উদ্যোক্তা হও, চাকরি দেও।

উদ্যক্তা, ই-কমার্স, ব্যাংক ঋণ দেখিয়ে ধনী হওয়ার শর্টকাট দেখানো হয়েছে। উন্নয়ন প্রকল্পের নামে সীমাহীন অর্থ অপচয় ও লুট করা, মানহীন কাজ করা, প্রশাসনিক জালিয়াতির মাধ্যমে অতিরিক্ত ব্যয় দেখানো কিংবা উন্নয়ন প্রকল্পের সময়ক্ষেপণ করে টাকা মেরে রাজনৈতিক প্রভাবশালীর বলয়ে রেখে মধ্যবিত্তের ছোট একটা অংশের বিকাশ নিশ্চিত করা হয়েছে। জবাবদিহিহীন রাষ্ট্রে বেপরোয়া দুর্নীতি, লুটপাট ও জালিয়াতির মাধ্যমে একদল কর্মকর্তা, রাজনীতিবিদ ও ব্যবসায়ী রাতারাতি প্রথমে উচ্চ মধ্যবিত্ত পরে ধনী হন।


৯। দেশের কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকারি ১৪ দল ছাড়া বিরোধীদের একেবারেই রাজনীতি করতে না পারা, দাঁড়াতে না দেয়ার ঘটনা গুরুত্বপূর্ণ। এর মাধ্যমে দেশের ছাত্ররা সরকারি দলের সংশ্লিষ্টতা প্রমাণে বাধ্য হয়ে ক্রিয়েটিভিটি এবং সমাজ সচেতনতা হারিয়েছে। ডিবেটিং ক্লাব, পলিসি ক্লাব, এনভায়রন্টাল ক্লাবের মত সমাজ ও পলিসি বেইজড কাজগুলো না থাকা আমাদের ছাত্রছাত্রীদের রাজনৈতিক মুর্খ বানিয়ে ফেলেছে, রাজনীতি নিয়ে তারা মিডিয়ার সামনে নির্বোধের মত কথা বলে। রাজনীতি বিষয়ে অনাগ্রহী প্রজন্ম নিজেদের চেয়ে শতগুণ নিকৃষ্ট লোকদের দিয়ে শাসিত হচ্ছে।

১০। মাদ্রাসা শিক্ষাকে বিরাজনীতি করণ। হেফাজতের মত অরাজনৈতিক সংঘঠন দেশের কওমি মাদ্রাসা ছাত্রদের রাজনৈতিক আধিকার বিষয়ক সচেতনতা থেকে দূরে রেখেছে।

****
নিরাপদ সড়ক আন্দোলনে স্কুলের বাচ্চারা যেভাবে রাস্তায় নেমে এসেছিলো সেটা অকল্পনীয় ছিলো। তারা যতটা নিয়ম ঠিক করতে চেয়েছেন ততটা কিন্তু রাজনীতি নয়। কিংবা যখন তারা রাজনীতি মেরামতের চিন্তা শুরু করেছেন তখন তাদের হিংস্র শক্তি দিয়ে স্বৈরাচারী সরকার আন্দোলনকে শক্তিহীন ও ব্যর্থ করে দেয়।
****

সব কিছুর ফল হচ্ছে, 'আই হেইট পলিটিক্স'। রাজনীতি ঠিক করতে মধ্যবিত্তের কোন পার্টিসিপেশন নাই, কিন্তু সংকটে মধ্যবিত্ত রাজনীতিবিদদের গালি দিয়ে কাজ সারে, কিন্তু রাজনীতিবিদ যখন ম্যাসিভ পলিসি করে তখন আপনি তার প্রভাব নিয়ে মধ্যবিত্ত ভাবে না, নির্বিকার থাকে। অথচ এই পলিসি তার জীবনকে প্রভাবিত করে চলেছে। এই এক ভয়ংকর দ্বিচারিতার ভিতর দিয়ে আমরা যাচ্ছি। কথা ছিল মধ্যবিত্ত নিজেই রাজনীতির রুল ওফ গেইম চেঞ্জ করে দিবে, কিন্তু মধ্যবিত্তই যে দেশের শুভ পরিবর্তনের মূল শক্তি যায়গা, এই উপলব্ধিটাই অনুপস্থিত। ভয়াবহ ব্যাপার হচ্ছে, পুলিশ ও প্রশাসন যে তাদের যেকোনো কাজের জন্য জনগণের কাছে কৈফিয়ত দিতে বাধ্য এই বোধটাই মানুষের মধ্যে নাই। আউটডোর খেলাধুলা না থাকায় হেলদি গ্রুপ এক্টিভিটি নাই। উপরন্তু আফিমের মত নানা ধরনের নেশায় আসক্ত। প্রেম, ভিডিও গেম, অনলাইন জুয়া ইত্যাদি এখন মহামারির মত ছড়িয়ে পড়েছে।

আমাদের উচ্চ মধ্যবিত্ত দুর্নীতি সহায়ক লুটেরা কাঠামোকে মেনে নিয়েছে, এটা আমি হলফ করে বলতে পারি। উচ্চ মধ্যবিত্ত এবং উচ্চ বিত্ত আমাদের অনৈতিক এস্টাব্লিশ্মেন্ট এর ভিত্তি হয়ে গেছে, রাষ্ট্রচিন্তায় তার অংশগ্রহণ শুধুই ব্যক্তি সম্পদ সৃষ্টি কেন্দ্রিক, কল্যাণধর্মী রাষ্ট্র ব্যবস্থা প্রবর্তনে তার কোন কার্যকরিতা নেই।

অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে, বয়সে ৩০ এর কম তরুণ যারা বুঝতে শিখেছে তাদের জীবনে গনতন্ত্রের কোন কালেকটিভ মেমোরি বা সম্মিলিত অভিজ্ঞতা না থাকা। আরেকটা গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে, এই বিষয়টা নিয়ে বিরোধীদের অসচেতনতা। বিরোধীরা আজকের তরুণদের দেশের সীমিত গণতান্ত্রিক যাত্রার ২০ বছরে সাফল্য মেসেজিং করতে পারেনি। এই দশকে বিরোধী রাজনীতির উল্লেখ্যযোগ্য বিষয় রাষ্ট্র সংস্কারে ঐক্যমত্য, বিএনপি ও গণতন্ত্র মঞ্চ যে রূপরেখা দিয়েছে সেটা পারফেক্ট না, তবে বড় ঘটনা। কিন্তু দেখুন রাষ্ট্র সংস্কার কেন দরকার, তরুণদের জন্য এই নিয়ে আলাদা মেসেজিং নেই। একদিকে তরুণরা সরকারি দলের হিংস্রতা দেখছে ঠিকই, পাশাপাশি তারা শুনছে কিছু উগ্র বিরোধী এক্টিভিস্টের গালিগালাজ, নোংরা প্রতিক্রিয়াশীল মেসেজিং। নতুন বিশ্বাসযোগ্য আশা দেখছে না বরং তারা প্রতিহিংসার ভয়ে আক্রান্ত। ফলে গণতন্ত্রের আকাংক্ষা তাদের আলোড়িত করছে না। তাদের অপেক্ষাকৃত ছোট জীবনে রাজনীতি তাদের সামনে কোন ভ্যালু তৈরি করেনি।

Tariq Sadat ভাইয়ের একটা হাইপো থিসিস দিয়ে শেষ করি, ''আশির দশকে স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের রসদ ছিলো জিয়ার ক্যাপিটালিস্ট ইকনোমিক লিবারাইজেশন ও বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদী রাজনীতির রিসেন্ট মেমোরি। খালেদা জিয়া সফলভাবে এই মেমোরিকে ক্যাপিটালাইজ করে তরুনদের এরশাদবিরোধী আন্দোলনে যুক্ত করতে পেরেছিলেন।''

কিন্তু পরে দেখা গেল, গণতন্ত্র মানে একদিকে দুর্নীতি অন্যদিকে হরতাল, চট্রগ্রাম বন্দর অচল। হরতালে স্কুল কলেজ বন্ধ। গণতন্ত্র মানে হলো দলীয় লেজুড় বৃত্তির ছাত্র রাজনীতি, এবং অবাধ সন্ত্রাস ও মারামারির অধিকার। শিক্ষকদের নিদারুণ হীনতা, রাজনীতির গোলাম বনে যাওয়া। রাজনৈতিক কারণে একের পর এক সরকারি চাকরির পোস্টিং বা বদলি, সরকারি সৎ কর্মচারীর দুঃখ কষ্ট। রাজনীতির সাথে জড়িতদের প্রশাসনে পদায়ন প্রমোশান, ঘুষের আস্ফালন, তদবিরের দৌরাত্ম্য এবং এমপিদের মাফিয়া দৈত্য হয়ে উঠা, চাঁদাবাজির মহামারি।

সবমিলে নতুন করে কালেক্টিভ মেমেরি যেহেতু নাই, হয় সেটা তৈরির সম্মিলিত চিন্তা ও চেষ্টা দরকার, নতুনবা দরকার বাস্তবায়ন যোগ্য আশা ও স্বপ্ন তৈরি ও মেসেজিং, সংস্কারের এর যৌক্তিক রোডম্যাপ ও পথ নির্দেশনা। বড় প্রশ্ন হচ্ছে, মধ্যবিত্ত রুপান্তরকে নিউ শেইপ দিতে থট লিডার/ইয়থ লিডাররা কি চিন্তার নতুন বিন্যাস নিয়ে হাজির হতে পারবেন কী!

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই আগস্ট, ২০২৩ রাত ৩:০৭

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:

এখন আর রাজপথ বন্ধ করা, বা চট্টগ্রাম বন্দর বন্ধ করা এখন আর এই বাংলাদেশে আর সম্ভব নয়।
২০১৩ ফাসীর পর হরতালের কবর রচিত হয়ে গেছে।
বর্তমানে আওয়ামীলীগ বিরোধীদলে গেলেও হরতাল ফিরিয়ে পারবে না।

০৫ ই আগস্ট, ২০২৩ রাত ৩:১৬

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: আওয়ামীলীগ বিরোধীদলে গেলে ১ম সংসদ অধিবেশনের ১ম দিনেই হরতাল দিবে।

২| ০৫ ই আগস্ট, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:১৯

ঢাবিয়ান বলেছেন: বিদেশীরা এত দারুন প্রেক্ষাপট তৈরীর পরও বিরোধী দল ও জনগন সে সুযোগের স্বদব্যবহার না করতে পারার কারনগুলো খুবই চমৎকারভাবে তুলে ধরেছেন। আমিও কিছু পয়েন্ট যোগ করতে চাই। বিএনপি এই আন্দোলনে জনগনকে সম্পৃক্ত করতে পারছে না একেবারেই। এর অন্য্যতম কারন হচ্ছে তাদের রাজনৈ্তিক বক্তৃতায় জনগনকে আকৃষ্ট করার মত কিছু নাই। তারেক রহমানকে সম্পৃক্ত করাটা তাদের বিড়াট ভুল সিদ্ধান্ত। তারেক রহমানের হয়ে কেবল টাকার বিনিময়ে ভাড়াটে লোকেরাই রাস্তায় নামবে, ছাত্র জনতা কোন অবস্থাতেই নয়। এর মধ্যে ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে, খালেদা জিয়ার নাতনীদের সাথে একটা ছবি। এতটা দিন ধরে তাকে যে, মৃৃত্যূূপথযাত্রী বলা হচ্ছিল, তা দেখা যাচ্ছে একেবারেই বানোয়াট। মিথ্যাাচার দিয়ে কখনও জনগনকে আকৃৃষ্ট করা যায় না। বিএনপি যদি সরকারের পতন চায় , তবে তাদের গতবারের মত ঐক্যজোট গড়তে হবে। ডঃ কামালদের মত ব্য্যক্তিত্বদের সাথে নিয়ে রাজনৈ্তিক সংস্কারের দৃঢ় ঘোষনা দিতে হবে। জিয়াউর রহমানের আদর্শকে সবার সামনে তুলে ধরতে হবে। দেশ থেকে লাথি খেয়ে বিতারিত হওয়া এক ক্রিমিনালকে দেশনায়ক আখ্যাা দিয়ে তার হয়ে জনগনকে ডাকাডাকি করে কোন লাভ হবে না। বরং রাস্তাঘাট আটকে রেখে ট্রাফিক জ্যাম সৃষ্টি করার জন্য মানুষ দুই দিন পর বিএনপিকে গালাগাল দেয়া শুরু করবে।

একজন হিরো আলমও বরং বিদেশীদের দৃষ্টি বেশি আকর্ষন করতে সমর্থ হয়েছে এবং জনগন হিরো আলমের হয়ে কথা বলা শুরু করেছে। কিন্ত ক্রিমিনাল কথিত দেশনায়কের পক্ষে দলীয় কর্মী ছাড়া আর কারো বিন্দুমাত্র কোন ইন্টারেস্ট নাই।

মানুষ এখন নতুন কোন ক্যরিশমেটিক নেতৃত্ব উত্থানের অপেক্ষায় আছে। গন অধিকার পরিষদের নুরুল হক নুরের সম্ভাবনা কিছুটা রয়েছে। তাদের পুর্বের আন্দোলনের অভিজ্ঞতায় এটা বলা যায় যে, হয়ত আবারো কোন এক সময় স্ফুলিঙ্গের মত জ্বলে উঠতে পারে এদেশের জনগন।

৩| ০৬ ই আগস্ট, ২০২৩ রাত ১২:০০

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনি আমার একজন অনুসারিত ব্লগার বহু দিন ধরে। অর্থাৎ আমি আপনাকে অনুসরণ করি। ব্লগে এইভাবে অনুসরণ করা যায় আপনি জানেন। আমার মন্তব্যের জবাব দেয়াটা আপনার জন্য বুদ্ধিমানের কাজ ছিল। আমাকে আগে জানালে আমি আমার মন্তব্যটা কপি করে রাখতাম। :)

০৬ ই আগস্ট, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৩০

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: সাড়ে চুয়াত্তর, আপনি কি লিখেছেন আমার মাথায় আছে, উত্তর আমি দিব পরে ইনশাআল্লাহ। সময় দিন। দেরি হবে বলে ২টা ম্যাসিভ মিস ইন্টারপ্রেটেশান দিয়ে পাঠক বিভ্রান্ত হোক চাই না।

৪| ০৬ ই আগস্ট, ২০২৩ রাত ১:০৬

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
@ সাড়ে চুয়াত্তর - ওনার সাথে ভিন্নমত পোষন করে এর আগের একটি পোষ্টে আমি অনেক খেটেখুটে একটি লম্বা কমেন্ট করেছিলাম।
উনি মুছে দিয়েছিলেন।
'বাকস্বাধীনতা চাই' দাবিদারদের একি ... .. .!

৫| ০৬ ই আগস্ট, ২০২৩ ভোর ৪:২০

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: হাসান ভাই, আপনি যতটা না কমেন্ট করেন তার চেয়ে অপ্রাসঙ্গিক প্রগাগান্ডা করেন সরকারের পক্ষে। আপনার ৯৮% কমেন্ট আছে, সম্ভবত সব পোস্ট মিলে ২ টা ডিলিট করেছি। পোস্টের সাথে সম্পর্ক হীন সরকারি মিথ্যা তথ্য আমি এলাউ করি না, কারন আমার ব্লগ স্পেইস প্রপাগান্ডার যায়গা না। আপনি নিজের পোস্টে যা ইচ্ছা লিখুন, আমার আপত্তি নেই। আমি কোন মন্তব্য নিব কোনটা সেটা আমার স্বাধীনতা। একটা মন্তব্যকে প্রতি উত্তর কর‍তে ম্যান আওয়ার লাগে, প্লাস বুদ্ধিবৃত্তিক এনার্জি! সো ইটস মাই ওয়াল, আই ডিসাইড! ধন্যবাদ।

৬| ০৬ ই আগস্ট, ২০২৩ রাত ৮:০৩

ঢাবিয়ান বলেছেন: এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: হাসান ভাই, আপনি যতটা না কমেন্ট করেন তার চেয়ে অপ্রাসঙ্গিক প্রগাগান্ডা করেন সরকারের পক্ষে। আপনার ৯৮% কমেন্ট আছে, সম্ভবত সব পোস্ট মিলে ২ টা ডিলিট করেছি। পোস্টের সাথে সম্পর্ক হীন সরকারি মিথ্যা তথ্য আমি এলাউ করি না, কারন আমার ব্লগ স্পেইস প্রপাগান্ডার যায়গা না। আপনি নিজের পোস্টে যা ইচ্ছা লিখুন, আমার আপত্তি নেই। আমি কোন মন্তব্য নিব কোনটা সেটা আমার স্বাধীনতা। একটা মন্তব্যকে প্রতি উত্তর কর‍তে ম্যান আওয়ার লাগে, প্লাস বুদ্ধিবৃত্তিক এনার্জি! সো ইটস মাই ওয়াল, আই ডিসাইড! ধন্যবাদ।

আপনার প্রতিটা বাক্যের সাথে একমত । আপনার ওয়াল বা আপনার ব্লগে আপনি কি করবেন সেটা আপনার পুর্ন ব্যক্তি স্বাধীনতা। এই বিষয়ে প্রশ্ন তোলাটাই আসলে একপ্রকার অসৌজন্যতা ।

আপনার প্রতি অনুরোধ থাকবে , আপনি আপনার স্টাইলে ব্লগিং করে যান।

৭| ০৬ ই আগস্ট, ২০২৩ রাত ৮:৫২

হাসান জামাল গোলাপ বলেছেন: চমৎকার একটি লেখা, আপামর জনসাধারণ বোঝে যে কোথায় কোথায় আমূল সংস্কার অত্যন্ত জরুরী, সে সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা প্রদান ও প্রতিজ্ঞা ছাড়া জনগনের সম্পৃক্ততা আশা করা দুরাশা, জনগণ বোঝে কোনটা সত্যিকারের আন্দোলন আর কোনটা প্রতিশোধ আর প্রতিহিংসার আন্দোলন। স্বাধীনতার পর থেকেই রাজনীতিবিদগণ আধুনিক রাষ্ট্র সম্পর্কে নির্বোধ ছিলেন এবং অসহায়ভাবে ঔপনিবেশিক প্রশাসনের নিকট জ্ঞান ও ধারনার জন্যে আত্মসমর্পণ করেছিলেন।

৮| ০৬ ই আগস্ট, ২০২৩ রাত ১০:৪৩

রাজীব নুর বলেছেন: পড়লাম।
ভালো লাগল পড়ে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.